Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • North 24 Parganas: দলের অঞ্চল সভাপতিকেই বেধড়ক মার! তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    North 24 Parganas: দলের অঞ্চল সভাপতিকেই বেধড়ক মার! তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের জেরে আহত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক গোষ্ঠী অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) হাড়োয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার পর থেকেই উত্তপ্ত রয়েছে এলাকা।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (North 24 Parganas)  

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) হাড়োয়ার শালিপুর অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম শনিবার হাড়োয়ার ধোনপোতা বাজারে বসে চা খাচ্ছিলেন। সেই সময় আচমকা বেশ কিছু দুষ্কৃতী তাঁর ওপর হামলা চালায়। লোহার রড, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। তরিকুলের চিৎকারে বাজারে থাকা বেশ কিছু লোকজন ছুটে আসলে দুষ্কৃতীরা সঙ্গে সঙ্গে পালিয়ে যায়। তারপর আহত তরিকুল ইসলামকে উদ্ধার করে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ চিকিৎসা করানোর পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনার পর রবিবার শালিপুর অঞ্চলের তৃণমূলের সভাপতি তরিকুল ইসলামের পক্ষ থেকে হাড়োয়া পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায় ও শালিপুর অঞ্চলের প্রধান-সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে হাড়েয়া থানায় খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

    আক্রান্ত তৃণমূল নেতা কী বললেন?

    এ-প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা তরিকুল ইসলাম বলেন,’পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই এলাকায় এলাকায় ঘুরে সংগঠন মজবুত করেছি। এলাকার মানুষের পাশে থেকে উন্নয়নের কাজ করছি। সেটা বর্তমান তৃণমূলের কর্মীদের সহ্য হচ্ছে না। তাই, ওরা আমাকে খুন করার চক্রান্ত করছে।’

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার কী বক্তব্য?

    হাড়োয়া পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তরিকুল তৃণমূলের নাম করে এলাকায় সম্প্রতি তোলাবাজি শুরু করেছে। সেটা এলাকার মানুষ সহ্য করতে না-পেরে ওকে মারধর করেছে। আর ও সহানুভূতি পাওয়ার জন্য মিথ্যাভাবে তৃণমূলের উপর দোষ চাপাচ্ছে।’

    তোলাবাজির বখড়া নিয়ে বিবাদ, কটাক্ষ বিজেপির

    বিজেপির রাজ্য কমিটির নেতা তথা বসিরহাটের পর্যবেক্ষক শংকর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘তৃণমূলের অন্দরে তোলাবাজির টাকার বখড়া নিয়ে গোলমাল শুরু হয়েছে। বখড়ায় ভাগে কম পড়লেই সংঘর্ষ হচ্ছে। শালিপুত্রের ঘটনার নেপথ্যেও রয়েছে সেই বখড়া সঙ্গে বাঁটোয়ারা সংক্রান্ত বিবাদ। মানুষ সব দেখছে। আগামী লোকসভা নিয়ে নির্বাচনে তোলাবাজদের বিরুদ্ধে মানুষ জবাব দেবে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Winter Update: সুখবর শোনাল হাওয়া অফিস, জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ছে চলতি সপ্তাহেই

    Winter Update: সুখবর শোনাল হাওয়া অফিস, জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ছে চলতি সপ্তাহেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশ জাঁকিয়ে পড়তে শুরু করেছে শীত। কনকনে ঠান্ডার অনুভূতি ভালোই পাওয়া যাচ্ছে (Winter Update)। শৈল শহরগুলির তাপমাত্রা এক ধাক্কায় অনেকটাই নেমে গিয়েছে। লে, শ্রীনগর, গুলমার্গে তা মাইনাসেও পৌঁছে গিয়েছে। এরই মাঝে দার্জিলিং-এ তুষারপাত হওয়ারও খবর মিলেছে। জাঁকিয়ে শীত পড়াকে বেশ উপভোগ করে ভোজনরসিক বাঙালি। পিঠে-পুলি খাওয়া, পিকনিক করা চলতে থাকে শীতে। ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে শীত খুব উপযুক্ত। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে বাংলা জুড়েই প্রবল কনকনে ঠান্ডা পড়তে (Winter Update) চলেছে। মানে এবার থেকে লেপ-কম্বল মুড়ি দিয়ে থাকতে হবে।

    দেশের মধ্যে লে-তে তাপমাত্রা সব থেকে কমবে

    ভ্রমণপিপাসু বাঙালি যদি কোথাও ঘুরতে যেতে চান, তাঁদের জন্য সুখবর শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। শৈল শহর বলে পরিচিত সিমলা, মানালি লে’তে আগামী সপ্তাহেই তাপমাত্রা মাইনাসে নেমে যাচ্ছে। সারা দেশের মধ্যে সব থেকে শীতপ্রধান অঞ্চল হয়ে দাঁড়াবে (Winter Update) লে। দুদিন আগেই লে-এর তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল হিমাঙ্কেরও ১১ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড নিচে। দেশের অন্যান্য প্রান্তে ঘুরতে যাওয়ার যাঁরা পরিকল্পনা করেছেন, তাঁদের জন্য নিঃসন্দেহে এটা সুখবর।

    কেমন থাকবে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা

    অন্যদিকে, হাওয়া অফিস ইতিমধ্যে জানিয়েছে এবার শীত পড়ার ক্ষেত্রে আর কোথাও কোনও রকমের বাধা নেই। আকাশ পরিষ্কার থাকবে, দাপট চলবে উত্তরের হাওয়ার। আগামী চার দিনে, চার ডিগ্রি কমবে রাতের তাপমাত্রা। সারা রাজ্যে এমনটাই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে চলতি সপ্তাহের তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি থেকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি নেমে যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
    অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে দু-তিন দিনের মধ্যে দার্জিলিং জেলায় বৃষ্টির কিছুটা পূর্বাভাস রয়েছে। তবে বাকি জেলা শুষ্ক (Winter Update) থাকবে বলে জানা গিয়েছে। কুয়াশার দাপটের সঙ্গে ঠান্ডা ব্যাপকভাবে পড়বে। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ব্যাপক কুয়াশা দেখা যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: সোমনাথ-অর্জুন দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে! একে অপরের বিরুদ্ধে কী বললেন জানেন?

    Arjun Singh: সোমনাথ-অর্জুন দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে! একে অপরের বিরুদ্ধে কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের সঙ্গে সাংসদ অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) লড়াই একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল। এতদিন দাপুটে দুই নেতার মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছিল। এখন তা সামনে চলে এল। রবিবার সন্ধ্যায় অর্জুন সিং ভাটপাড়ায় দলীয়  সভায় যোগ দিতে গিয়ে সোমনাথ শ্যামের নাম না করে পোলট্রি মোরগ বলে কটাক্ষ করেন।

    তৃণমূল কর্মী খুনে জড়িত সাংসদ বা তাঁর পরিবারের কেউ, সরব বিধায়ক

    এর আগে ভাটপাড়ায় তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনায় সাংসদ অর্জুন সিংকে নিশানা করেছিলেন জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক। পাশাপাশি, পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। যা নিয়ে ফের চর্চায় এসেছে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয়টি। ফলে অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূলের অন্দরে। গত ২১ নভেম্বর ভাটপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে পুরানি তালাও সংলগ্ন এলাকায় তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদবকে বাড়ির সামনে গুলি করে খুন করা হয়। তিন দিনের মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। যদিও ভিন রাজ্যের ভাড়াটে খুনিরা এখনও অধরা। তাদের ধরতে ইতিমধ্যেই ব্যারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগকে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদবকে খুনের ঘটনায় দেখা গিয়েছে, মেঘনা জুটমিলের পুরাতন লাইন থেকে বেরিয়ে খুনিরা খুন করে আবার সেখানে ঢুকে যায়। এই কারণেই আমি বলেছি, কোথাও না কোথাও সাংসদ বা তাঁর পরিবারের কেউ জড়িত। পরিবারের সেই যুক্ত লোকের নাম পাপ্পু সিং। কেউ প্রভাব খাটাচ্ছে। তাই হয়তো পুলিশ পিছিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমার মনে হয়, পুলিশ এ বার পিছোবে না, কারণ পুলিশের কাছে গ্রেফতার করার জন্য যথেষ্ট তথ্য আছে। যে খুন করেছে, তাঁকে জেল খাটতেই হবে।

    সোমনাথকে নিয়ে কী বললেন অর্জুন? (Arjun Singh)

    সোমনাথ শ্যামের সেই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন অর্জুন সিং (Arjun Singh)। তিনি বলেন, আমার ভাইপো আমার সঙ্গে রয়েছে, তারজন্য সে খুনি। আর আমার ভাইপো তাঁর সঙ্গে রয়েছে সে ভাল। আর ভিকি যাদবকে খুন করার পর খুনিরা মেঘনা জুটমিলে ঢুকছিল সেটা তিনি দেখেছেন। তিনি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মুখ্যমন্ত্রীতে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, এক সময় আমরা হাতে গোনা কয়েকজন দল করতাম। দুদিন আগে দল করে আমার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করছে। আমার সামনে দাঁড়ানোর কোনও যোগ্যতা তাঁর নেই। দলীয় ঝান্ডা ছেড়ে বেরিয়ে এসে একটা কথা বলে দেখুক জনগন এমন হাল করবে যে তিনি তখন বুঝতে পারবেন।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপি রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলেছি রাজ্যের পুলিশ নিষ্ক্রিয়, তৃণমূল নিজেরাই নিজেদের খুন করেছে। আমাদের এই কথাটাই তৃণমূল বিধায়ক বলে দিলেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘কালীঘাটের কাকু শুয়ে রয়েছেন  শিশুর বেডে!’ কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘কালীঘাটের কাকু শুয়ে রয়েছেন শিশুর বেডে!’ কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মের কল বাতাসে নড়ে, একজন বলেছিলেন কালী মদ খায় আর মাংস খায়। এক বছরও গেল না সেই কালী মায়ের কৃপায় সাংসদ হারা হয়ে গেলেন তিনি। নদিয়ার নবদ্বীপে একটি নাম সংকীর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে এই ভাষাতেই কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন তিনি।

    শিশুর বেডে কালীঘাটের কাকু শুয়ে রয়েছেন, কটাক্ষ সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

    নদিয়ার নবদ্বীপে সারা ভারত কীর্তন ও বাউল গীতি সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি মহাসম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁকে করতাল হাতে নিয়ে কীর্তন করতেও দেখা যায়। এরপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্র এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন তিনি। তিনি বলেন ধর্মকে যদি আমরা রক্ষা না করতে পারি তাহলে ধর্ম আমাদের রক্ষা করবে না। তার জলজ্যান্ত উদাহরণ কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। মুর্শিদাবাদে শিশু মৃত্যুর ঘটনা নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি। তিনি বলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের স্বাস্থ্য ভালো নেই। যেখানে শিশুর চিকিৎসা হওয়ার কথা, সেই বেডে কালীঘাটের কাকু শুয়ে রয়েছে।

    কৃষক মৃত্যু নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, রাজ্যে সারের কালোবাজারি চলছে। সরকারের কোনও হেলদোল নেই। গোঘাট থানার ওসি কৃষকদের সঙ্গে যা আচরণ করেছে তাতে বোঝাই যাচ্ছে এই সরকার কৃষকদের কথা ভাবে না। তাই, কৃষকরা এই পথ বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন।

    মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয়ের বিয়ে নিয়েও সরব বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, সরকার যে বিয়ে তা এই প্রথম দেখলাম। এবার তো সরকার প্রজাপতি অফিস খুলবে। পাত্র-পাত্রী কে বাছাইয়ের কাজ করবে। রাজ্যে কৃষকের মৃত্যু হচ্ছে, হাসপাতালে শিশুর মৃত্যু হচ্ছে আর মুখ্যমন্ত্রী বিয়ে নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন।

    চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন ১০০১দিনে পড়ল। ১০০০দিনে এক চাকরি প্রার্থী মস্তক মুন্ডন করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন নিয়ে এই সরকারের কোনও হেলদোল নেই। তাই, এই সরকার যতদিন থাকবে ওই চাকরি প্রার্থীরা চাকরি পাবেন না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gita: নজরুলের গান দিয়ে শুরু হবে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’, কী বলছেন স্বামী প্রদীপ্তানন্দ?

    Gita: নজরুলের গান দিয়ে শুরু হবে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’, কী বলছেন স্বামী প্রদীপ্তানন্দ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’ (Gita) কর্মসূচি রয়েছে। হাজির থাকার কথা খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। অনুষ্ঠান শুরু হবে কাজী নজরুল ইসলামের লেখা, ‘‘হে পার্থসারথি! বাজাও বাজাও পাঞ্চজন্য শঙ্খ, চিত্তের অবসাদ দূর কর কর দূর….’’ গানের মাধ্যমে। হঠাৎ এধরনের নজরুল গীতি দিয়ে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’-এর আয়োজন কি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিতেই? এমন প্রশ্ন শুনে আয়োজক কমিটির সভাপতি স্বামী প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ ‘মাধ্যম’-কে বলেন, ‘‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ কর্মসূচি কখনও নির্দিষ্ট ধর্ম বা বর্ণের মধ্যে বেঁধে দেওয়া হয়নি। নেই কোনও রাজনৈতিক বাছবিচারও। ‘গীতা’ জীবন বোধ, তা যেমন মানুষের কী খাওয়া উচিত সেটাও বলে, তেমনি সুশৃঙ্খল জীবন গঠনের উপায়ও শেখায়। নজরুল ইসলামের এই গান আমাদের কাছে বর্তমানে সময়োপযোগী বলে মনে হয়েছে, তাই রাখা। এই গানের প্রতিটি কথা গীতাকে সরল ও সুন্দরভাবে ব্যাখা করেছে।’’

    পশ্চিমবঙ্গে হিংসার আবহে, শান্তির বার্তা দেবে গীতা (Gita)

    প্রসঙ্গত, গত মাসেই আয়োজকরা দাবি করেন, অসংখ্য মুসলিম ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষও ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’ (Gita) কর্মসূচিতে নাম নথিভুক্ত করেছেন। ‘‘বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের হিংসা, হানাহানির মাঝে শান্তির বার্তা দিতেই আয়োজন করা হয়েছে এমন অনুষ্ঠান, তবে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’ কর্মসূচিতে রাজনৈতিকভাবে সিলমোহর বসানোর চেষ্টা করছেন এক শ্রেণির রাজনীতিবিদ, যা মোটেও কাম্য নয় ’’, মাধ্যমের প্রতিনিধিকে ফোনে একথাও এদিন বলেন স্বামী প্রদীপ্তানন্দ ওরফে কার্তিক মহারাজ।

    জায়গায় জায়গায় গীতা পাঠের পোস্টার ছেঁড়া হচ্ছে

    ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের এই সন্ন্যাসী এদিন কার্যত অভিযোগের সুরেই বলেন, ‘‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীও আমন্ত্রিত থাকবেন গীতা পাঠের (Gita) কর্মসূচিতে, কোনও রাজনীতি নেই তবু শাসক দলের নেতারা জায়গায় জায়গায় ফরমান জারি করছে ২৪ ডিসেম্বর কোনও বাস যেন কলকাতায় না যায়! এ কেমন কথা? মানুষ গীতা পাঠ করতে যাবে না? অনেক জায়গাতে গীতার পোস্টার ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগও আসছে আমাদের কাছে।’’ দিনকয়েক আগেই ২৪ ডিসেম্বর প্রাথমিকে টেট পরীক্ষা ঘোষণা করেছে রাজ্যসরকার। এনিয়ে কার্তিক মহারাজ বলেন, ‘‘আমরা তো গতবছর মায়াপুরেই ঘোষণা করেছিলাম, ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডে হবে এমন এমন কর্মসূচি। গত কয়েকমাস ধরে সংবাদমাধ্যমেও একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে এটা নিয়ে। প্রশাসনের সর্বোচ্চ  আধিকারিকরাও জানেন। তারপরেও কেন ওই দিনে টেট পরীক্ষার দিন দেওয়া হল বোঝা যাচ্ছে না।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: ফের আত্মঘাতী হলেন এক কৃষক, পর পর তিনজন কৃষকের মৃত্যুতে সরকারি ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Paschim Medinipur: ফের আত্মঘাতী হলেন এক কৃষক, পর পর তিনজন কৃষকের মৃত্যুতে সরকারি ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব বর্ধমান, হুগলির পর এবার পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur)। ফের আলু চাষির আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা ঘটল। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত চাষির নাম বাপী ঘোষ। তাঁর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণায়। এই নিয়ে রাজ্যে তিনজন চাষির মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। ঋণের বোঝা সামলাতে না পেরে ওই চাষি আত্মঘাতী হয়েছেন, উঠছে প্রশ্ন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?(Paschim Medinipur)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ঋণ নিয়ে প্রায় চার বিঘা পোখরাজ ও অন্যান্য আলু চাষ করেছিলেন চন্দ্রকোণা লাহিরগঞ্জ এলাকার বাপি ঘোষ নামে এক কৃষক। তবে অকাল বৃষ্টিতে আলুর জমি ডুবে যায়। প্রচুর টাকা ঋণ নিয়ে চাষ করার পর ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই কৃষক। শুক্রবার গভীর রাতে বিষ খান ওই চাষি। এরপর দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে শনিবার সকালে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শনিবার রাতে মৃত্যু হয় তাঁর।

    ঘাটালের মহকুমা শাসকের কী বক্তব্য?

    ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে। কী কারণে মৃত্যু হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখা হবে। বিডিও সাহেব তাঁর বাড়িতে যাচ্ছেন। প্রশাসন সার্বিক ভাবে মৃতের পরিবারের পাশে থাকবে।

    পর পর তিনজন চাষির মৃত্যুতে রাজ্য সরকারের ভূমিরা নিয়ে  উঠছে প্রশ্ন

    প্রসঙ্গত, শনিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী দুই ব্লকের নিমদহ পঞ্চায়েতের ছাতনি উত্তরপাড়া এলাকায় নিমাই ঘোষ নামে এক আলু চাষির মৃত্যুর আত্মহত্যা করেন। পরিবারের সদস্যরা জানান,বাড়ির পাশেই আম গাছে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। এই ঘটনার পর পরই বর্ধমান জেলায় খানাকুলে আরেক কৃষকের আত্মহত্যার খবর পাওয়া যায়। মৃত কৃষকের নাম তরুণ পালুই (৩৭)। ওই ব্যক্তি খানাকুলের ঘোষপুর অঞ্চলের পিলখাঁ এলাকার বাসিন্দা। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই ফের পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলায় আরও এক চাষির আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল। একের পর এক চাষির মৃত্যুতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণের কোনও উদ্যোগ চোখো পড়ছে না। ফলে, রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: দুবাইয়ে আটকে ১৩ শ্রমিক, বাড়ি ফেরাতে সুকান্তর দ্বারস্থ পরিবারের লোকজন

    Sukanta Majumdar: দুবাইয়ে আটকে ১৩ শ্রমিক, বাড়ি ফেরাতে সুকান্তর দ্বারস্থ পরিবারের লোকজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর সহ বিভিন্ন এলাকার ১৩ জন শ্রমিককে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে দুবাইয়ের এক সংস্থার বিরুদ্ধে। রবিবার ওই শ্রমিকরা এক ভিডিও বার্তার মধ্য দিয়ে তাদের পরিবারের কাছে দেশে ফেরানোর আর্জি জানান। আর ওই বার্তা পাওয়ার পরেই ওই পরিবারদের পক্ষ থেকে  বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) বাড়ি গিয়ে দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানানো হয়। সুকান্ত বাবুও এ বিষয়ে বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে  জানিয়েছেন।

    দুবাইয়ে কেন আটকে রাখা হয়েছে শ্রমিকদের?

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বেশ কয়েকজন শ্রমিক সম্প্রতি দুবাইয়ে কাজের খোঁজে যায়। তাদের জেলারই এক এজেন্ট এর মাধ্যমে ওই কাজে নিয়ে যাওয়া হয়। গত মাস থেকেই  শ্রমিকরা যেতে শুরু করেছিলেন। সম্প্রতি, গত ৫ তারিখেও বিমানে চেপে জেলার আরও কয়েকজন শ্রমিক শারজাতে কাজে পৌঁছায়। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, প্রচুর বেতনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কম্পিউটারের কাজ করতে নিয়ে গিয়ে, নির্মাণ শ্রমিকের কাজে লাগানো হচ্ছে। ওই শ্রমিকদের কম্পিউটারে কাজের বদলে তাদের নির্মাণ শ্রমিকের কাজে লাগানো হয়। প্রায় ১০-১২ ঘণ্টা করে কাজ করানো হচ্ছে। কাজের দু একদিন কাজ করতে এই শ্রমিকরা বিদ্রোহ করে বসে। এরপরে তাদের শারজা থেকে আবুধাবির একটি ঘরের মধ্যে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। জেলার মোট ১৩ জন শ্রমিকের ওই ঘরের মধ্যে আটকে রাখার শুধু নয় তাদের খাওয়া-দাওয়া বা অন্যান্য খরচও দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি ওই শ্রমিকরা বাড়ি ফিরে আসতে চাইলে তাদের কাছে ক্ষতিপুরন হিসেবে মাথা পিছু এক লক্ষ টাকা চাইছে আরবের এক নির্মান সংস্থা। এমন অবস্থায় প্রবল অসহায় পড়া ওই শ্রমিকরা এবারে ভিডিও বার্তার মধ্য দিয়ে তাদের পরিবারের কাছে তাদের দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করার আর্জি জানায়।

    ভিডিও বার্তায় শ্রমিকরা কী আর্জি জানিয়েছেন?

    ভিডিও বার্তায় শ্রমিকরা বলেন,  একটি ছোট্ট ঘরের মধ্যে ১৩ জন শ্রমিককে আটকে রাখা হয়েছে। সেখানে আমাদের খাবার, ওষুধ বা অন্যান্য খরচ দিতে অস্বীকার করছে আরবের ওই সংস্থা। দুদিন ধরে ওই ঘরে আটকে রাখার পর থেকে আরব বা দক্ষিণ দিনাজপুরে কোনও এজেন্টই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে করছে না। খুব অসহায় ভাবে দিন কাটছে আমাদের। দ্রুত দেশে না ফেরানো হলে আমাদের মৃত্যু ছাড়া কোনও উপায় নেই।

    শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যরা কী বললেন?

    শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যরা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা করে ওই শ্রমিকদের দেশে ফেরানোর আর্জি জানান। সাগরিকা কর্মকার নামে এক শ্রমিক পরিবারের সদস্য বলেন, আমার ভাই ও  ভাগ্নে গিয়েছে দুবাইয়ে। ওরা গত পাঁচ তারিখেই প্লেনে করে রওনা হয়েছিল। কিন্তু মাত্র দুদিন সেখানে কাজ করার পরই,  তাদের সঙ্গে যে ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে ওরা  দেশে ফিরে আসতে চাইছে। কিন্তু তাদের আটকে রাখা হয়েছে। ওনাদের সকলকে দ্রুত দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নিতে কাছে আমরা সাংসদের (Sukanta Majumdar) কাছে আবেদন জানিয়েছি।

    শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর আশ্বাস সুকান্তর (Sukanta Majumdar)  

    সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, শ্রমিক পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা হয়েছে। এই  বিষয়টি নিয়ে আমি বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে, ওই শ্রমিকদের সকলকে দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘মমতার পুলিশ কাপুরুষ,’ মারিশদার পর গোঘাট থানায় দাঁড়িয়ে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘মমতার পুলিশ কাপুরুষ,’ মারিশদার পর গোঘাট থানায় দাঁড়িয়ে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি নেতাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা থানায় হাজির হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পুলিশকে থানায় ঢুকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। মারিশদার পর এবার হুগলির গোঘাট থানা। থানার ভিতরে ঢুকে রনং দেহি মূর্তি ধারণ করলেন বিরোধী দলনেতা।

    কেন গোঘাট থানায় বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ধান্য ক্রয় কেন্দ্রে ধান কেনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোঘাটের ভিকদাস ধান্য ক্রয় কেন্দ্রের সামনে। কৃষকরা অভিযোগ তোলে, প্রয়োজনের তুলনায় ধান্য ক্রয় কেন্দ্রে ধান বেশি বাদ দেওয়া হচ্ছে। তার প্রতিবাদেই রাজ্য সড়ক অবরোধ করে কৃষকরা। সেই অবরোধ তুলতে গিয়ে সম্প্রতি কৃষকদের উদ্যেশে গালিগালাজের অভিযোগ হুগলির আরামবাগ মহকুমার গোঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের অরূপ মন্ডলে বিরুদ্ধে । সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই আগেই সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।  শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা থানার শ্রীনগরে দলীয় কর্মসূচিতে একটি জনসভা ছিল। সেই সভা শেষ করে সেখান থেকে সোজা আরামবাগের গোঘাট থানাতে এসে হাজির হন শুভেন্দু। কৃষকদের হয়ে প্রতিবাদ জানাতে । এদিন সন্ধ্যায় গোঘাট থানর গেটে বিরোধী দল নেতার কোন এসে পৌঁছাতেই বিজেপি দলের কর্মী সমর্থকেরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। 

    থানায় গিয়ে কী করলেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) গোঘাট থানার  সামনে গাড়ি থেকে নামতেই দলীয় নেতা কর্মীরা গেটের সামনেই ফুলমালা দিয়ে সংবর্ধনা জানান। তারপর তিনি ওই এলাকার কয়েকজন কৃষক ও পুরশুড়ার বিধায়ক তথা আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ ও গোঘাটের বিধায়ক বিশ্বনাথ কারককে সঙ্গে নিয়ে থানার ভিতরে ঢোকেন। এরপর থানায় ডিউটি অফিসারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। জিজ্ঞাসা করেন থানার ওসি অরূপ মণ্ডল কোথায়?  তার সঙ্গেই কথা বলবো। যদিও ডিউটি অফিসার জানান, তিনি বিশেষ কাজে বাইরে আছেন। তবে এই কথা শোনার পর শুভেন্দু অধিকারী পুলিশ কর্মীদের ধমক চমক  দিতে থাকেন।

    মমতার পুলিশ কাপুরুষ

    থানায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, এই অকথ্য ভাষায় কৃষকদের গালিগালাজ কখনো মেনে নেওয়া যায় না। আমিও একজন কৃষক পরিবারের ছেলে, আর এই এলাকায় মানুষ কৃষির উপরে নির্ভরশীল, তাই একজন কৃষককে গালিগালাজ করবে মমতা পুলিশ এট মানা যায় না। সতর্ক করে গেলাম। এই ধরনের কোনওরকম ব্যবহার কোনও মানুষের সঙ্গে যেন আর দ্বিতীয়বার করা না হয়। আমি ভেবেছিলাম, তিনি হয়তো নিজে আমার মাধ্যমে কৃষকদের জন্য ভুল স্বীকার করবেন। কিন্তু আমার আসার কথা শুনেই তিনি পালিয়ে গেছেন।  বেশ খানিকক্ষণ অপেক্ষা করার পর তিনি বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, মমতার পুলিশ কাপুরুষ। আমি আসবো বলে ভয়ে পালিয়ে গিয়েছে। আমি আবার আসবো, রেহাই কাউকে দেওয়া হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: পুলিশের পিছনে বিছুটি পাতা ঘষে দেওয়ার নিদান দিলেন তৃণমূল নেতা, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Malda: পুলিশের পিছনে বিছুটি পাতা ঘষে দেওয়ার নিদান দিলেন তৃণমূল নেতা, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশ শাসক দলের হয়ে কাজ করে। বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বার বার এই অভিযোগ করা হয়। তাই, বিরোধীদের আক্রমণের নিশানায় থাকে পুলিশ। এবার শাসক দলের দুই নেতা পুলিশকে তীব্র আক্রমণ করলেন। এর আগে পুলিশকে মেরে তার হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন একসময়ের বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় তিনি এখন জেলে রয়েছেন। এবার পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অশালীন ইঙ্গিত করে প্রকাশ্য মঞ্চে বেলাগাম করলেন মালদার (Malda) হরিশচন্দ্রপুর এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য এবং তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি।

    পুলিশের পিছনে বিছুটি পাতা ঘষে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দুই তৃণমূল নেতার (Malda)

    মালদার (Malda) হরিশচন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর সদরের শহিদ মোড়ে আইএনটিটিইউসির প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সভা চলছিল। সেই সভাতেই মঞ্চ থেকে অন্যান্য জেলা ও ব্লক নেতৃত্বদের সামনেই পুলিশকে বেলাগাম আক্রমণ করলেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য স্বপন আলি এবং জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি বিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেতা বিকাশবাবু বলেন, যে সব পুলিশ অফিসার মানুষের জন্য কাজ করছে না তাঁদের বিছুটি পাতা ঘষে দিতে হবে। পুলিশের একাংশ বিরোধীদের হয়ে দালালি করছে। পঞ্চায়েত ভোটের সময় তৃণমূল কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তৃণমূলের জেলার সহ সভাপতি বিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করে স্বপন আলিও পুলিশের পিছনে বিছুটি পাতা ঘষে দেওয়ার নিদান দেন। আর এই দুই শাসক নেতার মন্তব্য নিয়েই শোরগোল শুরু হয়েছে এলাকায়। এতদিন বিরোধীরা একরাশ অভিযোগ করতেন পুলিশের বিরুদ্ধে। এবার শাসকেরই রোশের মুখে পুলিশ। পরবর্তীতেও এই দুই নেতা সংবাদমাধ্যমের সামনে তাদের বক্তব্য অনড় থেকেছেন। তবে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তাঁদের বক্তব্যকে তাদের ব্যক্তিগত বক্তব্য বলে দায় এড়িয়ে গিয়েছেন।

    তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে, সরব বিজেপি

    তৃণমূলের এই বক্তব্য নিয়ে মালদার (Malda) বিজেপি নেতা কিষাণ কেডিয়ার কটাক্ষ, তৃণমূল এই সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত। আসলে রাজ্যজুড়ে ইডির হানা চলছে। হয়ত এরপর হরিশ্চন্দ্রপুরেও আসতে পারে। তাই, তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Winter Update: দার্জিলিঙে তুষারপাত! চলতি সপ্তাহেই রাজ্যে বাড়বে শীতের আমেজ, জানাল হাওয়া অফিস

    Winter Update: দার্জিলিঙে তুষারপাত! চলতি সপ্তাহেই রাজ্যে বাড়বে শীতের আমেজ, জানাল হাওয়া অফিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কনকনে ঠান্ডা আপাতত বেশ উপভোগ করছে বাঙালি। দুদিন আগে নিম্নচাপের বৃষ্টির পরে পারদ যেন আরও খানিকটা নেমে গিয়েছে। চলতি সপ্তাহে শীতের আমেজ (Winter Update) আরও বাড়বে, এমনটাই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। শীতকাল মানে বাঙালির খাওয়া-দাওয়া, ঘুরে বেড়ানো। ভ্রমণ পিপাসু বাঙালির গন্তব্যস্থল দার্জিলিঙ। শীতের মরসুমে প্রথম তুষারপাতও হয়েছে দার্জিলিঙে। সেখানেও ইতিমধ্যে বেশ বড় সংখ্যার পর্যটকদের ভিড় জমতে শুরু করেছে। হোটেলগুলিও ভিড়ে ঠাসা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে যে কলকাতার পারদ নেমে (Winter Update) গিয়েছে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর নিচে। আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার থেকে পারদ আরও নামতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আপাতত নতুন করে কোথাও কোনও রকম বৃষ্টির সম্ভাবনা পশ্চিমবঙ্গে নেই বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

    শীতের আমেজ বাড়বে কলকাতায়

    শনিবারই তিলোত্তমার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৪.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি কম বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। অন্যদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Winter Update) ছিল ১৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি বেশি। রবি ও সোমবার পারদে পতনের আরও হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে হাওয়া অফিস এও জানিয়েছে, গতবারের মতো জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনা বেশ কম। শীত মানেই কলকাতাতে চিড়িয়াখানা সমেত অন্যান্য জায়গাগুলিতে ঘুরতে আসেন প্রচুর মানুষ। এখন থেকেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে সেই ভিড়।

    দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গেও কমবে পারদ

    দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার ক্ষেত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার থেকে বুধবারের মধ্যে শীতের আমেজ আরও বাড়বে অর্থাৎ কমবে তাপমাত্রা। এমনিতেই আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল, পুরুলিয়া, বীরভূমে এখনই অনুভূত হচ্ছে প্রবল ঠান্ডা। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলোতেও ঠান্ডা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। শীতের আমেজ (Winter Update) পড়তেই শুরু হয়েছে পিকনিকও। উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা নিচের দিকে নামছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এর মধ্যে দার্জিলিং জেলাতে বৃষ্টিপাতের কিছুটা সম্ভাবনা থাকলেও উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাতে বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস দেয়নি হাওয়া অফিস। দার্জিলিঙের মতো ভিড় দেখা যাচ্ছে ডুয়ার্সেও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share