Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • South 24 Parganas: শিশুকে ধর্ষণ করে খুন! এই প্রথম ফাঁসির নির্দেশ দিল বারুইপুর আদালত

    South 24 Parganas: শিশুকে ধর্ষণ করে খুন! এই প্রথম ফাঁসির নির্দেশ দিল বারুইপুর আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করেছিল এক যুবক। এর পরেই পকসো-সহ একাধিক ধারায় মামলা শুরু হয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। এ দিন ফাঁসির নির্দেশ দেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বারুইপুর আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (১) সন্দীপকুমার মান্না। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সাজাপ্রাপ্ত ওই যুবকের নাম আজগর আলি খাদি মুন্সারি (৩৮)। আজগরের আইনজীবী বিপ্লব রায়মণ্ডল বলেন, আজগর নির্দোষ। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (South 24 Parganas)

    আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, খুন হওয়া শিশুর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায়। ধর্ষণ করে খুন করা শিশুর বাবার সহকর্মী ছিল সাজাপ্রাপ্ত আজগর। এলাকাতেই একটি প্রকল্পে কাজ করত সে। সেই সূত্রে বাচ্চাটির বাড়িতে যাতায়াত ছিল আজগরের। তার বাড়িও নরেন্দ্রপুর থানা এলাকাতেই। ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই ঘটনার দিন আজগর বছর ছয়েকের ওই শিশুটির বাড়িতে গিয়ে তাকে তার বাবার কাছে নিয়ে যাওয়ার কোলে করে তুলে নিয়ে যায়। এরপরে প্রকল্পের পাঁচিল-ঘেরা একটি জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে খুন করে সে। পরে জঙ্গলে দেহ ফেলে পালিয়ে যায়। আজগর যখন বাড়ি থেকে শিশুটিকে কোলে নিয়ে বেরোচ্ছিল, তখন তা চোখে পড়ে যায় এক জনের। মেয়ের খোঁজ না পেয়ে তাই তার মা-বাবা ওই যুবকের বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল আজগর। তাকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। শেষমেশ ঘটনার ছ’দিন পর ২১ জুলাই আজগরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে দিনই তাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে শিশুটির দেহ উদ্ধার করা হয়।

    সরকারি আইনজীবী কী বললেন?

    সরকারি আইনজীবী রুনুরাজ মণ্ডল বলেন, শিশুকে ধর্ষণ করে খুনের অপরাধে ফাঁসিই উপযুক্ত সাজা। আদালতের রায়ে আমরা খুশি। বারুইপুর আদালতে পকসো মামলায় এই প্রথম ফাঁসির আদেশ হল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বিজেপির পঞ্চায়েত অফিস ভাঙচুর! পুলিশকে সময় বেঁধে দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: বিজেপির পঞ্চায়েত অফিস ভাঙচুর! পুলিশকে সময় বেঁধে দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক ব্লকের উত্তর সোনামুই গ্রাম পঞ্চায়েত তাণ্ডব চালানোর ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বুধবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) পঞ্চায়েত অফিস পরিদর্শন করেন। তৃণমূলের হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা করা হয়। সেখানে তৃণমূল এবং পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন বিরোধী দলনেতা।

    তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)  

    প্রতিবাদ সভা থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)  বলেন,  সরকারি পঞ্চায়েত অফিস কীভাবে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা ভেঙেছে তা আপনারা দেখেছেন। পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশে জানিয়েছেন, সোমনাথবাবু ও স্থানীয় তৃণমূল কর্মী জাকিরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে থানার সামনে বিক্ষোভ হবে। গুন্ডাদের কীভাবে সোজা করতে হয় জানি। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দিয়ে তৃণমূলদের এই পঞ্চায়েত থেকে তাড়িয়েছেন। সোমনাথ একটা ডাকাত কুড়ি কোটি টাকা তুলেছে চাকরি দেওয়ার নাম করে। ভারত সরকারের ব্যাঙ্কে কোটি কোটি টাকা অনাদায়ী হয়ে রয়েছে সবই জানা। এখানকার তৃণমূলীদের বলছি, জনগণের পঞ্চায়েত গড়ে তুলুন। প্রধান-উপপ্রধানদের সাহায্য করুন মানুষের সেবার জন্য। পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত যাওয়ার ব্যবস্থা করবেন। সেই সঙ্গে তিনি জানান, এই পঞ্চায়েতকে যারা কালিমালিপ্ত করল গঙ্গাজল ছিটিয়ে পবিত্র করে পুনরায় পঞ্চায়েতের কাজকর্ম শুরু করুন।

    পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধী দলনেতা

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, তমলুক থানাকে বলছি তিনদিনের মধ্যে সোমনাথ, জাকিরের বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয় বিক্ষোভ হবে। কীভাবে এই গুন্ডাদের জব্দ করতে হয় তা আমরা জানি। ভাঙচুরের বিরুদ্ধে লঘু ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।  পঞ্চায়েত অফিসের চেয়ার, টেবিল ভাঙচুরের ছবি তোলা হয়েছে।  পুলিশ একটা জামিনযোগ্য ধারায় এফআইআর করেছে। সরকারি অফিস চলাকালীন ভাঙচুর করলে কী ধারা যোগ করতে হয় মমতা পুলিশ না জানলেও  সিআরপিসি , আইপিসিতে সেই বিষয়ে লেখা রয়েছে। প্রয়োজনে ধারা যোগ করার জন্য আদালতে যাব।

    তৃণমূলের সভা থেকে পঞ্চায়েত অফিসে হামলা!

    প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক ব্লকের উত্তর সোনামুই গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখল থেকে বিজেপির দখলে এনেছেন সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। তাই ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার, এই ইস্যু তুলে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। ওই প্রতিবাদ সভায় জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক ও এলাকার তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা সোমনাথ বেরা উপস্থিত ছিলেন। তৃণমূল নেতার উস্কানিমূলক বক্তব্যের পর প্রায় ২০০ জন কর্মী ওই অঞ্চলের বিরোধী দলনেতা জাকির হোসেনের নেতৃত্বে বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতে হামলা চালায়। অঞ্চল অফিসের চেয়ার টেবিল থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নষ্ট করে দেওয়া হয়। তাণ্ডবে এলাকার পাশের দোকানদাররা পর্যন্ত দোকান বন্ধ করে দিয়ে ছুটে পালান। উত্তর সোনামুই গ্রাম পঞ্চায়েতের ভিতরে সরকারি কর্মীরা কাজ করছিলেন। সেই সময় শাসক দলের কর্মীদের আক্রমণে তাঁরাও হেনস্তার শিকার। মঙ্গলবার রাত তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jhalda: ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ঝালদা পুরসভায় এখনই হচ্ছে না আস্থাভোট

    Jhalda: ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ঝালদা পুরসভায় এখনই হচ্ছে না আস্থাভোট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশ মেনে ৮ ডিসেম্বর পুরুলিয়ার ঝালদা (Jhalda) পুরসভায় আস্থা ভোট হওয়ার কথা ছিল। জেলা শাসকের উপস্থিতি এই ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিংহ। কিন্তু, বুধবার সেই নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের নতুন নির্দেশ মেনে আগামী ৮ ডিসেম্বর পুরসভায় আস্থাভোট হচ্ছে না। 

    আস্থাভোট নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের কী পর্যবেক্ষণ? (Jhalda)

    ঝালদা (Jhalda) পুরসভার চেয়ারপার্সন শীলা চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণ চেয়ে জোড়া মামলা দায়ের হয়েছিল হাইকোর্টে। মামলা করেছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলার পূর্ণিমা কান্দুও। পাঁচজন তৃণমূল কাউন্সিলার এবং দু’জন কংগ্রেস কাউন্সিলার পৃথক ভাবে মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলাতেই বিচারপতি অমৃতা সিংহ নির্দেশ দিয়েছিলেন, আগামী ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ঝালদা পুরসভায় জেলাশাসকের উপস্থিতিতে আস্থাভোট করাতে হবে। আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে তা নিয়ে রিপোর্টও দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। বুধবার বিচারপতি সিংহের সেই নির্দেশকে খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। বেঞ্চ জানায়, চেয়ারপার্সন অপসারণের পৃথক এবং নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। চেয়ারপার্সনকে অপসারণের ক্ষেত্রে সেই নিয়মই মেনে চলতে হবে। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, আদালত এই বিষয়ে আস্থাভোট করানোর নির্দেশ দিতে পারে না। পুরসভায় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে। সে ক্ষেত্রে পুরসভা যদি মনে করে, আস্থাভোট করানো প্রয়োজন, তা হলে তা-ই হবে।

    প্রসঙ্গত, ঝালদা (Jhalda) পুরসভায় মোট ১২টি আসন। ৫টি করে আসন জেতে কংগ্রেস এবং তৃণমূল। নির্দল পায় ২টি আসন। কে পুরবোর্ড গঠন করবে সেই নিয়ে দড়ি টানাটানি চলছে। ২০২২ সালে ২১ নভেম্বর আস্থাভোট হয় ঝালদা পুরসভায়। সেখানে নির্দলের সমর্থন নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে কংগ্রেস। তবে, কংগ্রেস বোর্ড গঠন করার আগেই মামলা হয় হাইকোর্টে। সেই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে এর আগে শীলা চট্টোপাধ্যায় ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। চেয়ারম্যানকে  সরাতে চেয়ে তৃণমূল ও কংগ্রেস দুই পক্ষই আদালতে যায়। তবে, এবার আস্থাভোট না করার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Raiganj:  বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজেপি করা যাবে না, অধ্যাপককে নিদান তৃণমূল নেতার

    Raiganj: বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজেপি করা যাবে না, অধ্যাপককে নিদান তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক অধ্যাপকের দিকে মারমুখী হয়ে তেড়ে যাওয়া ও গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠল এক অশিক্ষক কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই অশিক্ষক কর্মী তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির সভাপতি। বুধবার এ ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে উত্তর দিনাজপুর রায়গঞ্জ (Raiganj) বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Raiganj)

    বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেলে রায়গঞ্জ (Raiganj)  বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক দেবাশিস বিশ্বাস ক্যাম্পাসে এক অশিক্ষক কর্মীর সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেই সময় হঠাৎই বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির সভাপতি তপন নাগ এসে ওই অশিক্ষক কর্মীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। তার প্রতিবাদ করতে গেলে অধ্যাপক দেবাশিস বিশ্বাসের দিকে মারমুখী হন, পাশাপাশি অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। বিজেপি, আরএসএস ইউনিট বিশ্ববিদ্যালয়ে খোলা যাবে না বলে তৃণমূলের ওই নেতা অধ্যাপককে প্রকাশ্যে হুমকি দেন। পরবর্তীতে বচসা ক্রমশ বাড়লে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে অন্যান্য অধ্যাপকরা ছুটে আসেন। অধ্যাপকদের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। গোটা ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। এবং এ হেন আচরণ কাম্য নয় বলেই মনে করছেন শিক্ষা মহল।

    অধ্যাপক কী বললেন?

    অধ্যাপক দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, আমি এক অশিক্ষক কর্মীর সঙ্গে কথা বলছিলাম। সেই সময় তৃণমূল নেতা তপন নাগ এসে প্রথমে সেই অশিক্ষক কর্মীকে উল্টোপাল্টা  কথা বলা শুরু করে এবং হুমকি দেয়। তার আমি প্রতিবাদ করলে আমার দিকে মারমুখী হয় ও গালিগালাজ শুরু করে। যা কোনও ভাবেই কাম্য নয়।

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করলেন অভিযুক্ত তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির সভাপতি তপন নাগ। তিনি বলেন, এক সহকর্মীর সঙ্গে গল্প করার সময় ওই অধ্যাপক আমাকে বাজে কথা বলেন। আমি তার শুধু প্রতিবাদ করেছি। আর কিছু করিনি। তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Santipur: করোনা ভ্যাকসিনের নাম করে নির্বীজকরণ! কাঠগড়ায় স্বাস্থ্য দফতর, ফুঁসছেন এলাকাবাসী

    Santipur: করোনা ভ্যাকসিনের নাম করে নির্বীজকরণ! কাঠগড়ায় স্বাস্থ্য দফতর, ফুঁসছেন এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার নামে এক আদিবাসী ব্যক্তিকে নির্বীজকরণের অভিযোগ উঠল নদিয়ার শান্তিপুর (Santipur) ফুলিয়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এই ঘটনায় স্বাস্থ্যকেন্দ্র ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকজন। বিষয়টি জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Santipur)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার শান্তিপুর (Santipur) থানার চাঁদরা রায়পাড়া এলাকার মাধব রায় নামে এক ব্যক্তিকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার নাম করে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডেকে নিয়ে যায় ওই এলাকারই দুই আশাকর্মী। সেখানে গিয়ে তাঁকে অজ্ঞান করে এন এস ভি অপারেশন অর্থাৎ নির্বীজকরণের অভিযোগ ওঠে। জানা যায়, ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই হয় এই অপারেশন। এরপরই ওই দুই আশাকর্মী ওই ব্যক্তিকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার নাম করে রাস্তার মাঝখানে ছেড়ে দেন। পরিবারের লোকজন দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন। দেখা যায়, গোপনাঙ্গ দিয়ে অনবরত রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এই ঘটনার পরে পরিবারের তরফ থেকে শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় ওই আশাকর্মী এবং ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে। প্রশাসন এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক পূজা মৈত্রকে অপসারণ করতে এলাকায় পোস্টার দেওয়া হয়। এই একই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন খোকন দেবনাথ। বয়স ৬২ বছর। তিনিও শান্তিপুর থানায় মঙ্গলবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। নিঃসন্তান তিনি আবার মানসিকভাবে ভারসাম্যহীনও। লোকের বাড়িতে কিংবা কোনও অনুষ্ঠান বাড়িতে টুকটাক কাজ করে দু’মুঠো অন্নের সংস্থান করেন। তাঁর চল্লিশ বছরের বিবাহিত জীবনে কোনও সন্তান হয়নি। এই ব্যক্তিকেও নির্বীজকরণ করা হয়েছে অভিযোগ পরিবারের। তাঁর দিদি শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    গ্রামবাসীদের কী বক্তব্য?

    গ্রামবাসীদের বক্তব্য, পরিবারকে অবগত না করে এইভাবে অপারেশন করা হয়েছে। আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে লক্ষ্যপূরণের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। তাই, এসব করছে। অবিলম্বে এই ঘটনায় যারা দোষী তাদের গ্রেফতার করতে হবে এবং ভবিষ্যতে যাতে এই ঘটনা না ঘটে সেই কারণে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক পূজা মৈত্রকে অপসারণ করতে হবে। না হলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো।

    ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক কী বললেন?

    শান্তিপুর (Santipur) ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক পূজা মৈত্র বলেন, সম্পূর্ণ নিয়ম মেনে এবং তাঁর সম্মতি নিয়েই অপারেশন করা হয়েছে। নির্দিষ্ট কাগজপত্রে ওই ব্যক্তির সই রয়েছে। যাঁরা অপসারণের কথা বলছেন তাঁরা রাজনৈতিক চক্রান্ত করছেন।

    জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    এবিষয়ে আবার নদিয়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, আমাদের এখানে তো ভ্যাসেকটমির কেস খুব একটা পাওয়া যাচ্ছে না। তাই তার সঙ্গে আমরা টিউবেকটমি করছি। যাতে আমাদের পারফরম্যান্সটা ভালো থাকে। গ্রামীণ হাসপাতাল, স্টেট জেনারেল হাসপাতালে একটি ন্যূনতম লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তাহলে প্রশ্ন, এই লক্ষ্যপূরণ করতে গিয়েই কি এভাবে ধরে ধরে ‘নির্বীজকরণের প্রক্রিয়া’ শুরু হয়েছে। স্পষ্ট করে স্বাস্থ্য আধিকারিক তা বলেননি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguly: গ্রামে জল নেই! আসন ছেড়ে মামলাকারীদের কথা শুনলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    Abhijit Ganguly: গ্রামে জল নেই! আসন ছেড়ে মামলাকারীদের কথা শুনলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পানীয় জলের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন গ্রামবাসীরা। আর গ্রামবাসীদের সেই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের এজলাসে। আর বিচারের দায়িত্ব পড়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) ওপর। স্বাভাবিকভাবে তাঁর উপর আস্থা ছিল মামলাকারীদের। কিন্তু, বিচারপতির ব্যবহারেই আপ্লুত মামলাকারীরা।

    বিচারপতি আসন ছেড়়ে মামলাকারীদের সঙ্গে কথা বললেন (Abhijeet Ganguly)

    আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নকশালবাড়ি ব্লকের হাতিঘিষা গ্রাম পঞ্চায়েতের সেবদুল্লা গ্রামে পানীয় জলের অভাবের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, বহু আবেদন এবং নিবেদনের পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয় জলকষ্টে থাকা কিছু পরিবার। মামলাকরীদের অধিকাংশই আদিবাসী চা-শ্রমিক পরিবারের। সোমবার ওই মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) এজলাসে। সমস্যা বুঝতে অভিযোগকারীদের এজলাসে ডেকে পাঠান বিচারপতি। কিন্তু, শুনানির শুরুতেই গ্রামবাসীদের বক্তব্য ভালো করে শুনতে পাচ্ছিলেন না তিনি। তাই বিচারপতির আসন ছেড়ে নিচে নেমে আসেন তিনি। গ্রামবাসীদের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা কথা বলেন। শুনানির দিন কলে জল পড়ে। অন্য সময় আর জলে বের হয় না। অভিযোগ শুনলেন বিচারপতি। একজন বিচারপতির এমন ব্যবহারে মামলাকারীরা আপ্লুত। মামলাকারীদের কাছে সব শোনার পর শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক দফতর, প্রকল্প রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার-সহ আরও কয়েক জনকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারক।

    মামলাকারীদের কী বক্তব্য?

    মামলাকারীদের বক্তব্য, আদালতে মামলা করার পর অদ্ভুত ভাবে লক্ষ্য করা যায়, ওই মামলার যখনই শুনানির দিন আসে, তখনই কল দিয়ে জল পড়তে শুরু করে। যেই শুনানি হয়ে যায় আবার জল বন্ধ হয়ে যায়। দীপু হালদার নামে এক মামলাকারী বলেন, আমাদের গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে জলকষ্ট। আমরা পিএইচই দফতরে আবেদন করলে আমাদের গ্রামে কল লাগিয়ে দেওয়া হয়। জল সমস্যা মিটে যায়। বাড়ি বাড়ি জলের সংযোগ দিয়ে জল পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা শুরু হয়। আমার বাড়িতেও সংযোগ দেওয়া হয়। তার পর আমার বাড়ির কল দিয়ে জল পড়ছে দেখিয়ে দিয়ে আমার থেকে আধার কার্ডের ফটোকপি নিয়ে নেওয়া হয়। তারপর থেকে আর জল পাচ্ছিলাম না। বিষয়টি বিভিন্ন মহলে দরবার করে সুরাহা না হওয়ায় আমরা আদালতের দ্বারস্থ হই।

    সরকারি আইনজীবী কী বললেন?

    সরকারি আইনজীবী হীরক বর্মণ বলেন, সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের কাজ এখনও চলছে। মাঝেমধ্যে হাতির হানা কিংবা ভারী যানবাহন চলাচলের জন্য পাইপ ফেটে জল সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিচারপতি (Abhijit Ganguly) মামলাকারীদের ডেকেছিলেন। অভিযোগকারীদের মধ্যে পাঁচ জন জানিয়েছেন যে তাঁরা জল পাচ্ছেন। ফলে, মামলাকারীরা জল না পাওয়ার যে অভিযোগ করছে তা ঠিক নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: ফের কুমিরছানা! জঙ্গলে ভরা বিমানবন্দর পরিদর্শনে তৃণমূল সরকারের রাজনীতিরই গন্ধ

    Dakshin Dinajpur: ফের কুমিরছানা! জঙ্গলে ভরা বিমানবন্দর পরিদর্শনে তৃণমূল সরকারের রাজনীতিরই গন্ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনে লোকসভা নির্বাচন। ভোট রাজনীতিকে সামনে রেখে ফের বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) থেকে বিমান চালুর উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। যদিও ভোট পেরোলে আবার সেই উদ্যোগ ধামাচাপা পড়ে যায়। বুধবার তিনজনের একটি দল বালুরঘাট বিমানবন্দরের পরিকাঠামো সরেজমিনে খতিয়ে দেখে। যদিও খবর, বালুরঘাট বিমানবন্দরের পরিকাঠামোগত বহু ঘাটতি রয়েছে। উড়ান চালাতে গেলে আরও একাধিক পরিকাঠামো প্রয়োজন। সেই জায়গা থেকে বালুরঘাট বিমানবন্দর থেকে উড়ান আদৌ চলবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েই গেল। তবে, জেলা প্রশাসনের তরফে দাবি করা হচ্ছে, বিমান চলার সম্ভাবনা প্রবল। 

    ঘন জঙ্গলে পরিপূর্ণ

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মাহিনগরে রয়েছে বালুরঘাট বিমানবন্দর (Dakshin Dinajpur)। প্রায় ১৫২ একর জমির মধ্যে রয়েছে ১৩৮০ মিটার রানওয়ে। বড়মাপের বিমান না চললেও ছোট বিমান চলতে পারবে। তবে বৃহৎ এলাকার বিস্তীর্ণ জমি, এয়ার স্ট্রিপ, প্যাসেঞ্জার লাউঞ্জ, এয়ার ট্রাফিক সহ বিমান পরিষেবার সমস্ত সুবিধাযুক্ত বালুরঘাট বিমানবন্দরটি দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। প্রায় ৩৫ বছরের উপরে এই বিমানবন্দর থেকে বিমান চলাচল করেনি। বর্তমান রাজ্য সরকারের ১১ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দে বিমানবন্দরের ভেঙে যাওয়া রানওয়ে থেকে শুরু করে এয়ার স্ট্রিপ, প্যাসেঞ্জার লাউঞ্জ, এয়ার ট্রাফিক, ক্রু এবং পাইলটদের রেস্ট রুম, প্রয়োজন মতো রেস্তোরাঁ, রিফ্রেশমেন্ট কাউন্টার এবং অন্যান্য সমস্ত কিছু একেবারে নতুনভাবে তৈরি হয়েছে। কিন্তু আধুনিকমানের পরিকাঠামো তৈরির পরেও বর্তমানে এয়ারপোর্টের রানওয়ে ছাড়া বাকি অংশ ঘন জঙ্গলে পরিপূর্ণ। দিনের বেলাতেও লোকে ঢুকতে ভয় পাবে। প্রকাশ্য দিবালোকে বিমানবন্দরে ঘুরছে শিয়াল। রানওয়ের আশেপাশেও গজিয়ে উঠেছে বড় বড় গাছ, ঘাসে ঢেকেছে অন্যান্য এলাকা। অথচ পরিকাঠামো উন্নয়নের খাতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।

    সরাতে হবে ইটভাটা

    এরকম একটা পরিস্থিতিতেই এদিন বালুরঘাট বিমানবন্দর পরিদর্শনে আসেন রাজ্য পরিবহণ দফতরের আধিকারিক মানস গাঙ্গুলি ও রেল ইন্ডিয়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক সার্ভিসের আধিকারিকরা। রাজ্য আধিকারিকদের সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও রাজস্ব) সঞ্জয় পণ্ডিত প্রমুখ। বিমানবন্দর পরিদর্শনের পাশাপাশি পরিবহণ ও রাইটসের আধিকারিকরা জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণার সঙ্গে দেখা করেন এবং এনিয়ে আলোচনা করেন। এরপর আবার প্রতিনিধিদল বালুরঘাট বিমানবন্দর পরিদর্শনে আসেন। তবে উড়ান চালু করতে গেলে বেশ কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। বিমানবন্দর চত্বরে কোনও পুকুর বা ইটভাটা থাকার কথা নয়। কিন্তু বালুরঘাট বিমানবন্দরের (Dakshin Dinajpur) ভিতরে বেশ কয়েকটি ডোবা ও পাশেই ইটভাটা রয়েছে। এছাড়াও পাশে রয়েছে বিদ্যুতের সাব-স্টেশন।

    কটাক্ষ বিধায়কের

    রাজ্য সরকারের এই পরিদর্শনকে কটাক্ষ করেছেন বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) বিধায়ক অশোককুমার লাহিড়ি। তিনি বলেন, “এটা আনন্দের কথা হলেও, সবটাই লোক দেখানো। দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য সরকার এই বিমানবন্দর চালুর চেষ্টা করছে, এটাই শুধু শুনছি। বিমানবন্দর চালু করতে যা যা উদ্যোগ বা যা যা প্রয়োজন, সেইসব কোনও কিছুই দেখছি না। সামনে ভোট, তাই হয়তো আবার উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য।”

    কী জবাব মন্ত্রী এবং প্রশাসনের?

    রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বলেন, “উড়ান চালুর জন্য বালুরঘাট বিমানবন্দরে যথেষ্ট পরিকাঠামো রয়েছে। কিছু পরিকাঠামো হয়তো বাকি রয়েছে। সেটা খুবই নগণ্য। মুখ্যমন্ত্ৰী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিমানবন্দর চালুর জন্য সবরকমভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করছেন।” অতিরিক্ত জেলাশাসক সঞ্জয় পণ্ডিত বলেন, বালুরঘাট বিমানবন্দর থেকে উড়ান চালুর সম্ভাবনা রয়েছে। জেলাশাসকের নির্দেশমতো আজ আমরা বিমানবন্দরে (Dakshin Dinajpur) এসেছি। রাজ্য পরিবহণ দফতর এবং রাইটসের কর্তারা বিমানবন্দর পরিদর্শন করেছেন। বিমানবন্দরে আর কী কী প্রয়োজন, তা নিয়ে তাঁরা রিপোর্ট দেবেন। সেই মতো পরবর্তীতে আমরা ব্যবস্থা নেব।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 parganas: এই কি তৃণমূলের ‘উন্নয়নের জোয়ার’? দীর্ঘ ৩৫ বছরেও বাঁশের সেতু পাকা হল না!

    South 24 parganas: এই কি তৃণমূলের ‘উন্নয়নের জোয়ার’? দীর্ঘ ৩৫ বছরেও বাঁশের সেতু পাকা হল না!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরু একটি বাঁশের সেতু। আর তার ওপর দিয়েই নিত্যদিন প্রাণ হাতে করে যাতায়াত করতে হচ্ছে এলাকার মানুষকে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কাকদ্বীপ বিধানসভার নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। এর অধীনে বটতলা এলাকায় এমনই ছবি দেখা গেল। এলাকার স্থানীয় মানুষদের (South 24 parganas) দাবি, দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে একটি বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়েই প্রাণ হাতে করে পারাপার করতে হয় ২০০ থেকে ২৫০টি পরিবারকে। আর এই বেহাল সাঁকো এখনও পর্যন্ত বেহাল হয়েই পড়ে রয়েছে। এটি বটতলা ও দুর্গানগর-দুটি গ্রামের সংযোগকারী সাঁকো। নিত্যদিনই এলাকার মানুষজনকে পড়তে হয় বহু অসুবিধায়। স্কুল, কলেজ পড়ুয়া, প্রসূতি মা কিংবা রোগীর পরিবারের লোকজনের এই বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়েই নিত্যদিন যাতায়াত করতে হয়। এমনকি কয়েকবার পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনাও ঘটেছে। তারপরেও হেলদোল নেই প্রশাসন থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের। এলাকার মানুষজনের আরও অভিযোগ, ভোটের সময় প্রতিশ্রুতি মেলে এই বেহাল সাঁকো মেরামতের কাজ হবে। শুধু প্রতিশ্রুতি মেলে, কিন্তু কাজ আর হয় না।

    রাজনীতির টানাপোড়েন (South 24 parganas)

    তবে বিষয়টি নিয়ে বর্তমান নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের (South 24 parganas) প্রধান প্রিয়াঙ্কা দাস জানান, এই বিষয়টি নজরে এসেছে। তিনি তাঁর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে এই বেহাল সাঁকো মেরামতের আশ্বাস দেন। তবে এই বিষয়টি নিয়ে বিজেপির কাকদ্বীপ বিধানসভার কনভেনর অভিজিৎ দাস বলেন, শাসক দল যতই প্রতিশ্রুতি দিক না কেন, কোনও দিন এরা চুরি ছাড়া অন্য কাজ করে না। তবে এই বিষয় নিয়ে তাঁরা বিডিওকে জানিয়েছেন আগেও। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কাজ হয়নি। আবার একবার জানাবেন। যদি কোনও কাজ না করেন, তাহলে এলাকাবাসীদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন ছাড়া পথ নেই।

    একাধিক প্রশ্ন (South 24 parganas)

    তবে প্রশ্ন উঠছে, দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে এই বেহাল অবস্থা কেন? উন্নয়নের জোয়ারে শাসক দলের কেন নজরে এল না এই সেতু? শুধুই কি তাহলে ভোটের রাজনীতি? উঠছে একাধিক প্রশ্ন?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: শিলিগুড়িতে একই দিনে মমতা-শুভেন্দু! বিজেপি কর্মীদের হাত-পা ভাঙার নিদান গৌতমের

    Siliguri: শিলিগুড়িতে একই দিনে মমতা-শুভেন্দু! বিজেপি কর্মীদের হাত-পা ভাঙার নিদান গৌতমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির (Siliguri) মাটিতে একই দিনে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভা হতে চলেছে। স্বাভাবিকভাবেই দুই হেভিওয়েট নেতার সভা ঘিরে শিলিগুড়ির রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করেছে। যুযুধান দুই রাজনৈতিক দলের সভা ঘিরে গন্ডগোলের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজনৈতিক মহল। ১২ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে বিজেপি এবং তৃণমূলের সভা, পাল্টা সভা হতে চলেছে। যা নিয়ে জেলাজুড়ে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে।

    ফুটবল লিগের খেলা বন্ধ করে মমতার সভা, প্রতিবাদে বিজেপি (Siliguri)

    বুধবার শিলিগুড়ি (Siliguri) পৌঁছে কার্শিয়াং যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে আগামী ৭ তারিখ অবধি পারিবারিক বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। এরপর আগামী ৮ তারিখ কার্শিয়াং, ১০ তারিখ আলিপুরদুয়ারে, ১১ তারিখ বানারহাটে এবং ১২ তারিখ শিলিগুড়িতে সভা করবেন। শিলিগুড়ির এই সভা নিয়েই যত প্রশ্ন। কারণ, এখন শিলিগুড়ি স্টেডিয়ামে লিগের খেলা চলছে। আর তা চলাকালীন খেলা বন্ধ করে স্টেডিয়ামে মমতার সভা করতে গিয়ে মাঠ খুঁড়ে নষ্ট করা হচ্ছে বলে বিরোধীদে অভিযোগ। এ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েই ওই দিন শিলিগুড়িতে পাল্টা সভার ডাক দিয়েছে বিজেপি। সেই সভায় হাজির থাকবেন শুভেন্দু অধিকারী। যাত্রাপথে মুখ্যমন্ত্রীকে কালো পতাকা দেখানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। ওই দিন বিজেপির সভায় আসবেন শুভেন্দু অধিকারী। আজই এ নিয়ে আবেদন করা হবে। অনুমতি মিলবে না ধরে নিয়েই আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে বিজেপি।

    বিজেপি কর্মীদের হাত-পা ভাঙার নিদান গৌতমের

    মেয়র গৌতম দেব বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সভার পর মাঠ ঠিক করে দেওয়া হবে বলেছিলাম। খেলাধূলো আমার হৃদয়ে রয়েছে। তবে এটাকে নিয়ে রাজনীতি করা নিন্দাজনক। বিজেপির অধিকার আছে বিক্ষোভ দেখানোর। তবে তা কীভাবে মোকাবিলা করতে হয় জানি। আমরা হাতে চুড়ি পরে বসে নেই। হাত-পা ভেঙে দেব।’

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপি নেতা শঙ্কর ঘোষ বলেন, এটা মুখ্যমন্ত্রীর গা জোয়ারি মনোভাব প্রকাশ পায়। এর আগে এই স্টেডিয়ামে (Siliguri) গায়ক অরিজিৎ সিংয়ের গানের অনুষ্ঠানের সময় প্রতিবাদ করেছিলাম। তখন বলেছিলাম খেলা ছাড়া আর কোনও অনুষ্ঠান হবে না। এখন শুনছি তৃণমূলের প্রধান স্টেডিয়ামের মাঠে এসে কর্মসূচি করছেন। যদি সেটা হয় আমি নিজে এর প্রতিবাদ করব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tamluk: সভা থেকেই তৃণমূল নেতার উস্কানি! বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েতে ভাঙচুর

    Tamluk: সভা থেকেই তৃণমূল নেতার উস্কানি! বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েতে ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে তৃণমূলের সভা। আর সেই সভা থেকেই বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতে চড়াও হওয়ার ঘটনা ঘটল। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের (Tamluk) উত্তর সোনামুই গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে। সেখানে ঢুকে হামলা এবং ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল শতাধিক তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Tamluk)

    মঙ্গলবার তমলুক (Tamluk) ব্লকের উত্তর সোনামুই অঞ্চল অফিসের ঠিক উল্টো দিকে বিক্ষোভ সভার আয়োজন করে তৃণমূল। সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক, তৃণমূল নেতা সোমনাথ বেরা প্রমুখ। সোমনাথবাবু বক্তব্য শেষ হওয়ার মুখেই সভাস্থলে থাকা মহিলা এবং পুরুষ নির্বিশেষে দলে দলে ছুটে যান বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত অফিসের দিকে। ১০০ দিনের বকেয়ার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। চলে পঞ্চায়েত অফিসের আসবাবপত্র ভাঙচুর। পঞ্চায়েত অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথি নষ্ট করে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।

    গন্ডগোল, ভাঙচুরের সময় পুলিশ ছিল নীরব দর্শক, সরব বিজেপি

    পুরো ঘটনার পিছনে তৃণমূলের উস্কানিকেই দায়ী করেছেন বিজেপির তমলুক (Tamluk) সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি আশিস মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ওই পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় ছিল তৃণমূল। এবার তাদের হারিয়ে পঞ্চায়েতের দখল বিজেপির হাতে গিয়েছে। তারই শোধ তুলতে সাধারণ মানুষকে উস্কে দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েতে হামলা চালানোর জন্য। তৃণমূলের সভাস্থল থেকে সামান্য দূরে দাঁড়িয়ে ছিল পুলিশ। গন্ডগোল, ভাঙচুরের সময় তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। মঙ্গলবার রাতেই বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।’ এই ঘটনার প্রতিবাদে লাগাতার আন্দোলনে নামার ডাক দিলেন বিজেপি নেতৃত্ব।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    জেলা তৃণমূলের এক নেতা বলেন, ১০০ দিনের কাজের বকেয়ার টাকা চক্রান্ত করে আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তার জন্য দায়ী এই রাজ্যের বিজেপি নেতারাই। এলাকার মানুষ নিজেদের দাবি আদায়ে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share