Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Memari: দলেরই আদিবাসী নেত্রীকে জাত তুলে অপমান তৃণমূল নেতার! থানার সামনে ধুন্ধুমার

    Memari: দলেরই আদিবাসী নেত্রীকে জাত তুলে অপমান তৃণমূল নেতার! থানার সামনে ধুন্ধুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক মাস আগেই বোর্ড গঠন হয়েছে। এরই মধ্যে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে হেনস্থা, জাতিগত বৈষম্য সহ একাধিক অভিযোগ করলেন দলেরই মেমারি ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ময়না হালদার টুডু। এমনকী, মেমারি (Memari) থানার সামনে তৃণমূল কর্মীরা একে অপরকে প্রকাশ্যে হুঙ্কার দিতে থাকেন। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি গফ্ফর মল্লিক, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্য তথা সহ সভাপতির স্ত্রী ডালিয়া খাতুন, তৃণমূল কর্মী শেখ রহিম, জ্যোর্তিময় মণ্ডলের নামে মেমারি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Memari)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের মেমারির (Memari) কুচুট পঞ্চায়েত প্রধান মদনমোহন দাস তাঁর ঘরে এলাকার সদস্যদের নিয়ে কথা বলছিলেন। সেই সময় সভাপতি ময়না হালদার টুডু তাঁর অনুগামীদের নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন। সেখানে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা হয়। তারপর সভাপতি পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে ফিরে আসেন। বিকেলে মেমারি ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি গফফর মল্লিক তাঁর অনুগামীদের নিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে এলে দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বচসা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মেমারি থানার পুলিশ।

    মেমারি ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কী বললেন?

    এ-বিষয়ে মেমারি (Memari) ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ময়না হালদার টুডু বলেন, ‘আমি সভাপতি পদে বসার পর থেকেই জাতিগত বৈষম্যের শিকার হতে হয়। আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা, জাতপাত তুলে কটূক্তি করা হয়। এদিনের ঘটনা তারই বহিঃপ্রকাশ। শুধু তাই নয়, মন্তেশ্বর বিধানসভার বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী-সহ শীর্ষস্থানীয় নেতাদের নির্দেশে সহ-সভাপতি গফ্ফর মল্লিক ঠিকাদারদের কাজের কাগজপত্রে স্বাক্ষর করার জন্য প্রভাব খাটায়।’

    মেমারি ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি কী বললেন?

    পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি গফ্ফর মল্লিক বলেন, এ-ধরনের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। এটি মিথ্যে অভিযোগ। যদি কোনও ঘটনা ঘটে থাকে, পুলিশ তদন্ত করবে। জাতিগত বিদ্বেষ সংক্রান্ত অভিযোগের প্রশ্নে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে আমি এবং আমার অনুগামীরা দীক্ষিত। সব জাতিকে শ্রদ্ধা, সম্মান করা দলের কাজ। জাতিগত বৈষম্য বিজেপি-সিপিএম করে, আমরা নই।  

    আদিবাসী সমাজের কর্তারা কী বললেন?

    আদিবাসী সমাজের পক্ষ থেকে অশোক হেমব্রম বলেন, মহিলা সভাপতির প্রতি এই দুর্ব্যবহার, কটূক্তি, জঙ্গলমহল তুলে কথাবার্তার বিচার যদি না হয়, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মোদি-শাহ সম্পর্কে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য! ৬০ তৃণমূল বিধায়কের নামে এফআইআর রাজ্য বিজেপির

    BJP: মোদি-শাহ সম্পর্কে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য! ৬০ তৃণমূল বিধায়কের নামে এফআইআর রাজ্য বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের বিরুদ্ধে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য! এই অভিযোগেই ৬০ তৃণমূল বিধায়কের নামে এফআইআর দায়ের করল বিজেপি। এর আগে বিজেপির (BJP) বিধায়কদের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ এনেছিল তৃণমূল, লালবাজারের তলব করা হয়েছিল বিজেপি বিধায়কদের। যদিও হাইকোর্ট এই মর্মে নির্দেশ দেয় যে এই মামলায় বিজেপি বিধায়কদের কোনওভাবেই গ্রেফতার করা যাবে না। তৃণমূলের করা মামালায় অতিসক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে পুলিশকে। এবার বিজেপির মামলায় পুলিশের ভূমিকা কী থাকে, সেটাই দেখার।

    হেয়ার স্ট্রিট থানায় দায়ের মামলা

    জানা গিয়েছে, হেয়ার স্ট্রিট থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেছেন রাজ্য বিজেপির দুই বিধায়ক। তাঁরা হলেন, তুফানগঞ্জের বিজেপি (BJP) বিধায়ক মালতি রাভা রায় এবং দেবগ্রাম ফুলবাড়ী কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই এফআইআর-এ নাম রয়েছে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, বাবুল সুপ্রিয়, শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায় সমেত প্রত্যেক প্রথম সারির নেতার।

    বিজেপির অভিযোগ

    বিজেপির (BJP) ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৩০ নভেম্বর বিকাল তিনটে নাগাদ বিধানসভায় অম্বেডকর মূর্তির পাদদেশে মোদি ও শাহের নামে কুরুচিকর স্লোগান দেন তৃণমূলের বিধায়করা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে করা এই এফআইআর নিয়ে ট্যুইটও করতে দেখা গিয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।

    বিজেপির (BJP) দাবি, দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এরকম কুরুচিপূর্ণ স্লোগান গুরুতর অপরাধ। দুই শীর্ষস্থানীয় পদমর্যাদার ব্যক্তিকে অপমানই নয়, দেশের অসংখ্য মানুষের ভাবাবেগেও আঘাত দিয়েছে এই স্লোগান। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘ভোটের ফল দেখে ‘ইন্ডি’ জোটের পিন্ডি চটকে গিয়েছে’, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘ভোটের ফল দেখে ‘ইন্ডি’ জোটের পিন্ডি চটকে গিয়েছে’, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীকে ‘জাতীয়তা বিরোধী’ বলে মন্তব্য করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঙ্গলবার হাওড়ায় দলীয় কর্মসূচিতে এসে মমতা সরকারের ‘রাজ্য সংগীত’ চালু করার প্রসঙ্গে একথা বলেন তিনি। দলীয় সভায় শুভেন্দু বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৩৫ কোটি দেশবাসীর জন্য জাতীয় সংগীত লিখে গিয়েছেন, যা আমরা গেয়ে থাকি। আর তিনি পাকিস্তানে ভারত এয়ার স্ট্রাইক করলে তার প্রমাণ চান। রাজ্যে সেনাবাহিনী মহড়া করলে নবান্নে বসে বলেন আমার রাজ্য দখল করে নিচ্ছে। ওনার কাজে এটা প্রমাণিত উনি ‘জাতীয়তা বিরোধী’।

    ‘ইন্ডি’ জোট নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    ‘ইন্ডি’ জোট প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘তিন রাজ্যের ভোটের ইন্ডি জোটের পিন্ডি চটকে গিয়েছে। আমি ওই জোটের নেতাদের বলব গয়াতে গিয়ে পিন্ডি দেওয়ার কাজটা শেষ করে আসুন। আমরা বলছি মমতা চোর। রাজ্যে ও কেন্দ্রে মন্ত্রিসভার গঠন কাদের নিয়ে হবে সেটা সেই রাজ্যের বা কেন্দ্রের সাংবিধানিক প্রধান ঠিক করেন। এখানে রাজ্যপাল হস্তক্ষেপ করতে পারেন না। রাজ্যে যে চুরি ও দুর্নীতি হয়েছে তার দায় মুখ্যমন্ত্রীকেও নিতে হবে। মমতার মন্ত্রিসভা বলে ক্ষীর খাব, আর তাঁর মন্ত্রীদের অধীনে থাকা দফতরে দুর্নীতি হলে তার দায় নেব না! এক যাত্রায় পথক ফল হয় না।’

    এনসিআরবি রিপোর্ট নিয়ে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা

    সোমবার রাজ্যের মন্ত্রী এনসিআরবি রিপোর্ট অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ অপেক্ষাকৃত কম অপরাধপ্রবণ রাজ্য বলে দাবি করেন। এদিন সেই বক্তব্য কার্যত উড়িয়ে দিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) পালটা বলেন, ‘আমি থিয়োরিতে বিশ্বাসী নয়, বিশ্বাস করি বাস্তবকে। ২০২১-এর নির্বাচন হওয়ার পর এক লক্ষ হিন্দুকে কেন ঘর ছাড়া হতে হয়েছিল, কেন মানস সাহা-সহ ৫৭ জন বিজেপি কর্মীর হত্যা হয়েছিল? পঞ্চায়েত নির্বাচনে  ৫৫জনের মৃত্যু হয়েছে কেন? যেখানে দেশে পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন সম্পন্ন হলেও কারও মাথাও ফাটেনি, সেখানে এই রাজ্যে নির্বাচনে এত হিংসা কেন জানতে চাই।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Visva Bharati: বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ, কেন জানেন?

    Visva Bharati: বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী সহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে জাতিবিদ্বেষের মামলা হয়েছে। সেই মামলায় শুনানিতে তিনি আদালতে হাজির ছিলেন না। এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে তাঁকে হাজির থাকার নির্দেশ দিলেন বীরভূমের অতিরিক্ত জেলা বিচারক (এডিজে)। এই মর্মে নোটিস জারি করার নির্দেশ দিল আদালত। আগামী ১৯ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে।

    কেন আদালতে মামলা? (Visva Bharati)

    চলতি বছরের ৫ জুলাই বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে জাতিবিদ্বেষের মামলা করেছিলেন বিশ্বভারতীরই (Visva Bharati) কর্মী প্রশান্ত মেশরাম। তিনি বিশ্বভারতীর অ্যাকাডেমিক এবং রিসার্চ বিভাগের রেজিস্ট্রার। তাঁর অভিযোগ, ওড়িশার কোরাপুটে সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা নিয়ামক পদে মনোনীত হই। আমার পদোন্নতি আটকাতে নানা রকমভাবে ষড়যন্ত্র করা হয়। এমনকী, তফসিলি সম্প্রদায়ভুক্ত হওয়ার জন্য আমাকে অপমান করা হয়। জানা গিয়েছে, এরপরই বিশ্বভারতীর ওই কর্মী বিদ্যুৎ চক্রবর্তী-সহ বিশ্বভারতীর জয়েন্ট রেজিস্ট্রার তন্ময় নাগ, জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ইন্টারনাল অডিট অফিসার প্রশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা চলছে সিউড়ির এডিজে আদালতে। মঙ্গলবার ছিল সেই মামলার শুনানি। শুনানিতে অভিযুক্ত চারজনের মধ্যে তিনজন উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু, প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী হাজিরা দিতে আসেননি। এর পরেই নোটিস জারি করার নির্দেশ দেয় আদালত। এর আগেও অক্টোবর মাসে অসুস্থতার কথা জানিয়ে শুনানিতে হাজির হননি তিনি।

    সরকারি আইনজীবী কী বললেন?

    বিশ্বভারতীর আইনজীবী সুচরিতা বিশ্বাস জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এখন আর বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) উপাচার্য নেই। দিল্লিতে থাকেন। এখনও সেখানেই রয়েছেন। সে কারণে আসতে পারেননি।  সরকারি আইনজীবী রঞ্জিত গঙ্গোপাধ্যায় আদালতে পাল্টা সওয়াল করে জানান, বীরভূমের সিউড়িতে তাঁর পৈতৃক বাড়ি রয়েছে। অন্য জায়গায় থাকলেও আদালতে হাজিরা দিতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। পরবর্তী শুনানির দিন বিদ্যুৎবাবু আদালতে হাজির না থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Santiniketan: পৌষমেলার দাবিতে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ বিশ্বভারতীর গেট ভাঙলেন বিক্ষোভকারীরা!

    Santiniketan: পৌষমেলার দাবিতে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ বিশ্বভারতীর গেট ভাঙলেন বিক্ষোভকারীরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠিক ছিল ছোট করে হলেও পৌষমেলা হবে। কিন্তু, সময় কম থাকার কারণে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন (Santiniketan) ট্রাস্ট যৌথ ভাবে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিল, এবারও হচ্ছে না ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। এবার সেই পৌষমেলার দাবিতে বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ ও ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা বিক্ষোভ দেখানোর নামে কার্যত তাণ্ডব চালালেন।

    বিশ্বভারতীর গেট ভেঙে ঢোকেন বিক্ষোভকারীরা (Santiniketan)

    ২০১৯ সালে শেষ বার শান্তিনিকেতনে (Santiniketan) হয়েছিল ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। ২০২০ সালে কোভিড পরিস্থিতির জন্য বন্ধ ছিল মেলা। কিন্তু, পরবর্তীতে ২০২১ ও ২০২২ সালে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী পৌষমেলা বন্ধ করে দেন। যা নিয়ে শান্তিনিকেতন জুড়ে বিক্ষোভ হয়। ৮ নভেম্বর উপাচার্য হিসাবে মেয়াদ শেষ হয়েছে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। নতুন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হয়েছেন সঞ্জয় কুমার মল্লিক। তাই বোলপুর-শান্তিনিকেতনবাসী আশা করেছিলেন, এবার হয়তো পৌষমেলা হবে। কিন্তু, সময় কম থাকার কারণে এত বড় ঐতিহ্যবাহী মেলা করা সম্ভব নয় বলেই শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বৈঠক করে যৌথ প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মেলা বাতিল করে দেয়। যা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সকলে। বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ ও বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢোকার প্রথম বলাকা গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকেন বিক্ষোভকারীরা। যদিও, কার্যালয়ে নেই ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সহ কর্মসচিব। পৌষমেলা করতে হবে এই দাবিতে চলে বিক্ষোভ। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্বভারতী।

    বিক্ষোভকারীদের কী বক্তব্য?

    বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চর পক্ষ থেকে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, আমরা এবার আশা করেছিলাম পৌষমেলা হবে। আচমকা এভাবে মেলা বন্ধ করা ঠিক নয়। মেলা করতে হবে। কেন বন্ধ করা হল মেলা? আমাদের সঙ্গে কেন উপাচার্য কথা বলছেন না? এই মেলা আমাদের সবার আবেগ। ইচ্ছাকৃতভাবে বন্ধ করা হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। আমরা চুপচাপ বসে থাকব না। মেলার দাবিতে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Egra: সরকারি শিবিরে বস্তাপিছু ৬ কেজি করে ধান কম! সরব চাষিরা, প্রশাসনের ভূমিকায় উঠছে প্রশ্ন

    Egra: সরকারি শিবিরে বস্তাপিছু ৬ কেজি করে ধান কম! সরব চাষিরা, প্রশাসনের ভূমিকায় উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই মালদায় সরকারি শিবিরে ধান বিক্রি করতে এসে অনেক চাষি ফিরে যেতে বাধ্য হন। এই ঘটনায় চাষিরা প্রকাশ্যেই বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনায় কারচুপি করার অভিযোগ উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা-১ (Egra) ব্লক কৃষক বাজারে। বিষয়টি জানাজানি হতেই চাষিরা রীতিমতো বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে মহকুমা শাসক উদ্যোগী হন। এগরার মহকুমাশাসক মনজিৎকুমার যাদব বলেন, কৃষক বাজারে ওজন নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। কৃষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে সেই সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।

    প্রতি বস্তা পিছু প্রায় ৬ কেজি করে ধান কম (Egra)  

    রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতো পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় একাধিক ব্লকে সরকারি উদ্যোগে ধান কেনা শুরু হয়েছে। অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করার পর নিয়ম মেনে চাষিরা এগরা-১ (Egra) কৃষক বাজারে ধান বিক্রি করতে যান। কৃষক বাজারে খাদ্য দফতরের উদ্যোগে সরকারি সহায়ক মূল্যে কৃষকদের থেকে ধান ক্রয় করা হচ্ছে। এগরা, কুদি-সহ অন্য এলাকার চাষিরা ধান নিয়ে বাজারে যান। যদিও চাষিরা বাজারে যাওয়ার আগে থেকেই ধানের বস্তা ওজন করে আনেন। পরে কৃষক বাজারেও সরকারি ডিজিটাল যন্ত্রে ধানের বস্তা ওজন করা হয়। দেখা যায়, সেই যন্ত্রে ধান ওজন করার সময় বস্তা পিছু প্রায় ৬ কেজি করে ধান কম দেখাচ্ছে। চাষিদের সন্দেহ হয়। বাইরে থেকে নতুন একটি যন্ত্রে ধান ওজন করতেই গন্ডগোলের বিষয়টি ধরা পড়ে। এরপরই কৃষক বাজারের যন্ত্রে কারচুপির অভিযোগে কৃষকেরা বিক্ষোভ দেখান। খাদ্য দফতরের এক কর্মীকে অফিসের মধ্যে আটকে রাখা হয়।

    চাষিরা কী বললেন?

    চাষিদের বক্তব্য, বাড়ি থেকে প্রত্যেকে আমরা ধান ওজন করে কৃষক বাজারে নিয়ে এসেছি। এখানে সেই ধান ওজনে কমে যাচ্ছে। সরকারি যন্ত্রে কেন ওজনে কমছে, তা জানতে চেয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিক্ষোভের জেরে ধান বিক্রি বন্ধ হয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে আসে এগরা থানার পুলিশ। পরে, কৃষক বাজারের অদূরে থাকা মহকুমাশাসকের অফিসে গিয়ে অভিযোগ জানান চাষিরা। এগরা (Egra) মহকুমাশাসকের নির্দেশে মহকুমা খাদ্য আধিকারিক এবং অন্য কর্মীরা কৃষক বাজারে যান। নতুন যন্ত্রে ওজন করে ফের ধান বিক্রি শুরু হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: বালুরঘাটে অনির্দিষ্টকাল ব্যবসা বন‍্ধের ডাক, প্রশাসনের অপদার্থতায় ক্ষোভ

    Dakshin Dinajpur: বালুরঘাটে অনির্দিষ্টকাল ব্যবসা বন‍্ধের ডাক, প্রশাসনের অপদার্থতায় ক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর আগেই বন‍্ধের ডাক দিলেও সকলের অনুরোধে পিছিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু পুজোর মরশুম পার হতেই আন্দোলনে নামলেন বালুরঘাট তহবাজারের ব্যবসায়ীরা (Dakshin Dinajpur)। আগামিকাল ৬ ডিসেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকাল ব্যবসা বন‍্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। বালুরঘাটের তহবাজারের পুরো ব্যবসার পাশাপাশি বালুরঘাট শহর ও আশপাশ এলাকার সবজি ব্যবসাও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার শহর জুড়ে মাইকে এই বন‍্ধের কথা প্রচার করা হয়।

    কেন বিদ্রোহ ঘোষণা ব্যবসায়ীদের? (Dakshin Dinajpur)

    মূলত সবজির খুচরো ব্যাবসায়ীদের সঙ্গে কৃষকদের নজিরবিহীন লড়াইয়ে প্রশাসনিক পদক্ষেপ না থাকার অভিযোগেই এই বিদ্রোহ ঘোষণা বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। যা আগামী দিনে বালুরঘাটবাসীকে নাজেহাল করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তাঁদের অভিযোগ, করোনা কালে তহবাজার থেকে আলাদা হয়েছিল কৃষক বাজার। প্রশাসনিক কর্তাদের উপস্থিতিতেই গত সেপ্টেম্বরে হওয়া বৈঠকে খুচরো ব্যবসায়ীরা লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত ওই কৃষকদের মূল বাজারে ফিরে আসার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। সেই সময়সীমা ইতিমধ্যেই পার হয়ে যাওয়ার পরেও, কৃষকরা তহবাজারে না ফিরে আসায় বালুরঘাট ব্যবসায়ী সমিতির (Dakshin Dinajpur) পক্ষে আগামিকাল ৬ ডিসেমবর থেকে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। আবার মূল বাজারে ফিরতে যদি প্রশাসন জোর করে, তবে তাঁরাও ধর্মঘটের পথে যেতে বাধ্য হবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কৃষক সংগঠনের নেতারা। এমতাবস্থায় কৃষক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে কীভাবে মেলবন্ধন করে বালুরঘাটকে স্বাভাবিক রাখা যাবে, তার সমাধানসূত্র বের করতে নাজেহাল প্রশাসনিক কর্তারা।

    কী করে তৈরি হল সমস্যা?

    বালুরঘাট শহরের তহবাজার এলাকায় কাঁচামাল অর্থাৎ সবজি এবং মাছের ব্যবসার জন্য পৃথক জায়গা করা রয়েছে। দীর্ঘ বছর ধরে ওই এলাকাতেই কাঁচামালের ব্যবসা করে আসছেন ব্যবসায়ীরা। জেলা ও জেলার বাইরের কৃষকরা এই বাজারে এসেই পাইকারদের কাছে তাঁদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে যেতেন। ওই বাজার থেকেই পাইকারদের কাছ থেকে সবজি সহ অন্যান্য ফসলগুলি খুচরো ব্যবসায়ীরা কিনে গ্রাম বা শহরের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে যেতেন। কিন্তু ছন্দ কাটে করোনা কালে। ওই সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে খুচরা ব্যবসায়ীদের ওই ঘিঞ্জি বাজার থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় হাই স্কুল মাঠে। আর কৃষক বা পাইকারদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয় আন্দোলন সেতুর পাশে রাস্তাতে। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতেই খুচরো সহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা ফের তহবাজারে ফিরে যান। কিন্তু কৃষক বা পাইকাররা আর ওই রাস্তা থেকে উঠে ফেরত যাননি তহবাজারে (Dakshin Dinajpur)। বরং দিন দিন ওই সকালবেলার প্রায় দু’ঘণ্টার এই রাস্তার অস্থায়ী বাজারে কৃষক বা পাইকারদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। অভিযোগ, ধীরে ধীরে বালুরঘাটবাসীও তহবাজারের ওই ঘিঞ্জি পরিবেশে বাজার করতে না গিয়ে ফাঁকা রাস্তা থেকেই ওই বাজার করতে শুরু করে দেন। এতে যেমন তহবাজার ব্যবসায়ীরা মার খেতে শুরু করেন, তেমনি তাঁদেরও দোকান ছেড়ে এসে এই এলাকা থেকে সামগ্রী কিনতে আসতে হচ্ছে। তাই অবিলম্বে ওই কৃষক ও পাইকারদের তহবাজারে ফিরিয়ে আনার দাবিতে সরব হতে থাকেন ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনের সহযোগিতায় একাধিকবার বৈঠক করেও এই সমস্যা মেটানো যায়নি। ফলে এবার একে অপরের বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহর পথে দুই পক্ষই। প্রশাসনকে বাদ দিয়েই এবার দুপক্ষই দফায় দফায় বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেছে।

    কে কী বলছেন?

    বালুরঘাট ব্যবসায়ী সমিতির (Dakshin Dinajpur) সম্পাদক হরেরাম সাহা বলেন, প্রশাসনও বেশ কয়েকবার বৈঠক করে ওই কৃষকদের তহবাজারে ফিরে আসার জন্য বলেছে। আমাদেরও আন্দোলনে না নামতে সময় চেয়ে নিয়েছে। কিন্তু বারবার সময় পেরিয়ে গেলেও ওই আন্দোলন সেতুর বাজার তহবাজারে ফিরে আসেনি। তাই এবার আমরা চরম পথে যেতে বাধ্য হচ্ছি। তহবাজার ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা গোপাল সাহা বলেন, কৃষকরা আমাদের বাজারে না থাকায় ব্যবসা অনেক কমে গিয়েছে। ওরা রাস্তা দখল করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, অথচ প্রশাসন বারবার শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলেছে। তাই আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি। আগামী ৬ তারিখ থেকে বালুরঘাট শহর ও আশপাশ এলাকার সমস্ত সবজি বাজার বন্ধ। তহবাজারের সমস্ত রকম ব্যবসা বন্ধ। কৃষক সংগঠনের নেতা সঞ্জয়কুমার মণ্ডল বলেন, আমরা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উৎপাদিত ফসল নিয়ে বালুরঘাটে আসি। আগে তহবাজারে আমাদের বসার জন্য ছাউনি, ওজন যন্ত্র ইত্যাদি দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কিন্তু করোনাকালে আমাদের রাস্তাতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তখন আমরা কয়েকজন মাত্র কৃষক ছিলাম, এখন সেই সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বেড়ে গিয়েছে। ফলে এই সময় তহবাজারে ফিরে গেলে জায়গার অভাব হবে। তাই আমরা ওই বাজারে আর ফিরে যেতে চাইছি না। আমাদের এই রাস্তা থেকে সরিয়ে আশেপাশেই কোথাও জায়গা করে দিক প্রশাসন। জোড়াজুড়ি করলে বা আমাদের  অন্যান্যা দাবি পূরণ না হলে, আমরাও দুধ, ডিম, সবজি সহ নানা কাঁচামালের কৃষকরা ধর্মঘটের পথে যেতে বাধ্য হব।

    বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, আমরা দুপক্ষের সাথেই কথা চালিয়ে যাচ্ছি। সমাধানসূত্র আশা করি বের হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jamuria: বিরোধীদের সুরে মাফিয়া-রাজ, সিন্ডিকেট-রাজ নিয়ে সরব তৃণমূল বিধায়ক

    Jamuria: বিরোধীদের সুরে মাফিয়া-রাজ, সিন্ডিকেট-রাজ নিয়ে সরব তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধ কয়লার কারবার, গরু পাচার, সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত রয়েছে রাজ্যের শাসক দলের নেতারা। বিরোধীরা এই অভিযোগ মাঝেমধ্যেই করেন। ইতিমধ্যেই জেলায় এসে এসব নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। এবার পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ার (Jamuria) তৃণমূল বিধায়ক হরেরাম সিংয়ের গলায় বিরোধীদের সুর শোনা গেল। তিনি দলেরই নেতাদের বিরুদ্ধে সরব হয়ে কয়লার অবৈধ কারবারকে কেন্দ্র করে ‘সিন্ডিকেট ও মাফিয়া-রাজের’ অভিযোগ তুললেন। আর এই বিষয়কে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক? (Jamuria)

    কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে জামুড়িয়ায় (Jamuria) একটি মিছিলের পরে পথসভা করে তৃণমূল। থানা মোড়ের ওই সভা থেকেই তৃণমূল বিধায়ক হরেরাম সিং বলেন, ‘কিছু নেতা গোলমাল করছেন। ওঁদের দল থেকে বার করতে হবে। জামুড়িয়ায় যাঁরা মাফিয়া-রাজ, সিন্ডিকেট-রাজ চালাচ্ছেন, তাঁরা বিজেপি বা তৃণমূল, যে দলেরই হোক, রেয়াত করা যাবে না। কিছু দিন  কয়লা চুরি বন্ধ হয়েছিল। আবার তা শুরু হয়েছে। এমনকী জামুড়িয়া বিধানসভায় নদী থেকে কিছু গরিব লোক সামান্য বালি নিয়ে বিক্রি করছিলেন। প্রশাসন সেটা বন্ধ করে দিয়েছে। ভালো উদ্যোগ। অথচ, অন্য বিধানসভায় অবৈধ বালির রমরমা। সেখানে পুলিশ প্রশাসন কী করছে? আমি পুলিশকে বলতে চাই, অবৈধ কারবার যদি চালাতে হয়, তাতে সব গরিব মানুষকে সামিল করতে হবে।’

    বিধায়কের মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়ে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপির অন্যতম রাজ্য সম্পাদক তথা বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের বক্তব্য, এতদিন আমরা বলছিলাম, অবৈধ বালি ও কয়লার সিন্ডিকেট চালাচ্ছে তৃণমূল। এখন তৃণমূলের বিধায়কই সে কথা বলছেন। তবে, উনি নিজে বখরা পাচ্ছেন না বলেই কি এমন মন্তব্য করছেন? বিরোধীদের অভিযোগে আমল দেননি তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, হরেরাম কী বলেছেন, ওঁর সঙ্গে কথা বলে জেনে নেব। তার আগে মন্তব্য করব না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: সারের কালোবাজারির পর এবার ভেজাল আলুবীজের রমরমা! মাথায় হাত চাষিদের

    Jalpaiguri: সারের কালোবাজারির পর এবার ভেজাল আলুবীজের রমরমা! মাথায় হাত চাষিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলাজুড়ে এতদিন সারের কালোবাজারিতে চাষিরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। বস্তায় যে দাম লেখা থাকত, তার দ্বিগুণ দামে চাষিরা সার কিনতে বাধ্য হয়েছিলেন। প্রশাসনের তৎপতায় কিছুটা লাগাম টানা সম্ভব হয়েছে। সারের কালোবাজারির জের মিটতে না মিটতেই এবার ভেজাল আলুবীজের রমরমার অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি এলাকায়।  

    ঠিক কী অভিযোগ? (Jalpaiguri)

    জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়ি জুড়েই ভেজাল আলুবীজ কারবারিদের রমরমা চলছে। তার জেরে সমস্যায় পড়ছেন গরিব কৃষকরা। খেটে আলুবীজ রোপণ করছেন, তবে সেই বীজ পচছে মাটির তলাতেই। এরপরই অভিযানে নামে কৃষি দফতর। দোকানে দোকানে অভিযান চালিয়ে খতিয়ে দেখা হয় দোকানিদের কাগজপত্র। তাতে প্রমাণও পান কৃষি আধিকারিকরা। ধূপগুড়ি হাইস্কুল লাগোয়া এক আলুবীজ বিক্রেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে নামী কোম্পানির নামে নিম্নমানের আলুর বীজ বিক্রির। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামেন তাঁরা। সিল করে দেওয়া হয় সেই দোকান। যদি অভিযুক্ত ব্যবসায়ী অমৃতকুমার সরকার বলেন, এক আলু ব্যবসায়ী আমার কাছে আলুবীজগুলি রেখে যান। এরপর আর তিনি আসেননি। এরপরই কৃষি দফতরের দল এসে আমার দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

    ভেজাল আলু বীজের রমরমা নিয়ে সরব চাষিরা

    চাষিদের বক্তব্য, এতদিন সারের কালোবাজারির জন্য দ্বিগুণ দামে সার কিনতে বাধ্য হয়েছি। বহুবার অভিযোগ করার পর প্রশাসনের টনক নড়েছিল। তবে, এখনও প্রশাসনের নজর এড়িয়ে কালোবাজারি চলছেই। এর সঙ্গে এবার ভেজাল আলুবীজের রমরমা শুরু হয়েছে। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এসব করছে। প্রশাসনের কোনও নজর নেই। আমরা দাম দিয়ে ভেজাল বীজ কিনে চাষ করে শেষ হয়ে যাচ্ছি।

    ধূপগুড়ি কৃষি অধিকর্তা কী বললেন?

    জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়ি কৃষি অধিকর্তা তিলক বর্মনের বক্তব্য, উত্তরবঙ্গ আলু ব্যবসায়ী সমিতি এবং একটি আলুবীজ সংস্থার তরফে অভিযোগ পাই। খারাপ মানের আলুবীজ বিক্রির অভিযোগ ছিল। প্রাথমিকভাবে দোকানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তদন্তে প্রয়োজন হলে আরও কড়া পদক্ষেপ করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: মা ও মেয়ের দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্যকর তথ্য, অপহরণ ও খুনের হুমকি দিতেন তৃণমূল নেতা!

    Siliguri: মা ও মেয়ের দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্যকর তথ্য, অপহরণ ও খুনের হুমকি দিতেন তৃণমূল নেতা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়িতে (Siliguri) মা এবং মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় নাম জড়াল স্থানীয় তৃণমূল নেতার। মৃতদেহ উদ্ধার হওয়া ঘর থেকেই সুইসাইড নোট মেলে। তাতেই তৃণমূল নেতার নাম পাওয়া গিয়েছে। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনায় অভিযোগ দায়ের করেছে।

    সুইসাইড নোটে কী রয়েছে? (Siliguri)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩ ডিসেম্বর শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের শিলিগুড়ি (Siliguri) শান্তিনগর এলাকায় একই বাড়ি থেকে জোড়া দেহ উদ্ধার হয়। শোওয়ার ঘরের বিছানার উপর এক তরুণীর দেহ মেলে। মায়ের দেহ উদ্ধার হয় ঝুলন্ত অবস্থায়। ঘটনার তদন্তে নেমে সুইসাইড নোট পায় পুলিশ। সেখানে আত্মহত্যার কারণ হিসাবে রয়েছে জমি সংক্রান্ত সমস্যার কথা। সেখানে তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা কমিটির অন্যতম সম্পাদক প্রসেনজিৎ রায়ের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি তৃণমূল কর্মী সুনীল দাস, সুজিতকুমার ঘোষ, সুভাষ দাস, প্রদীপকুমার চৌধুরীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ওই চিঠির উপর ভিত্তি করে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে।

    বাড়িতে লোক পাঠিয়ে হুমকি দিতেন তৃণমূল নেতা, সরব মৃতের স্বামী

    মৃতের স্বামী সাধন সরকারের অভিযোগ, বছরখানেক আগে প্রসেনজিতের কাছ থেকে একটি জমি কিনেছিলাম। সেই জমি প্রসেনজিৎ নিজেই ডিসপুট ল্যান্ড তৈরি করে আরও টাকা চান আমার কাছে। এ নিয়ে সমস্যা চলছিল। অনেক দিন ধরে প্রসেনজিৎ তাঁর দলবলকে ওই বাড়িতে পাঠাতেন। ওই লোকজনের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র থাকত। বার বার টাকার চাপ দেওয়া হয়। দেওয়া হয় প্রাণে মারার হুমকিও। বাড়িতে বিবাহযোগ্য মেয়ে ছিল। এ নিয়ে আমার স্ত্রী বেশ কয়ে কয়েক মাস ধরেই চিন্তিত ছিল। মাঝে আমাকে আমার স্ত্রীকে অপহরণ বা তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হবে বলে হুমকি দেওয়া হত। এগুলো সহ্য করতে না পেরে ওরা নিজেদের শেষ করে দিয়েছে। আর প্রসেনজিতের মতো বড় নেতার সঙ্গে লড়াইয়ের ক্ষমতা আমার নেই। থানায় জানিয়েছি ঠিকই। কিন্তু, আদৌ কোনও লাভ হবে কি না জানা নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share