Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Kosba Clash: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই কসবায় গুলি করে মারার চেষ্টা তৃণমূল কাউন্সিলরকে!

    Kosba Clash: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই কসবায় গুলি করে মারার চেষ্টা তৃণমূল কাউন্সিলরকে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি তৃণমূলের নেতা। রাজ্যও তৃণমূলের (TMC Inner Clash) দখলে। সেই রাজ্যেই তৃণমূলের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ল এক দুষ্কৃতী (Kosba Clash)। বরাত জেরে বেঁচে গিয়েছেন সুশান্ত। গ্রেফতার হয়েছে মূল ষড়যন্ত্রী জনৈক গুলজার। প্রশ্নটা সেখানে নয়, যে প্রশ্নটা তৃণমূল নেতাদের বুকেও ভয় ধরিয়ে দিয়েছে, তা হল দলের অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরেই কী দুষ্কৃতীর চাঁদমারিতে পরিণত হয়েছিলেন সুশান্ত?

    ‘টাগ অফ ওয়ার’

    এ প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে আমাদের যেতে হবে দক্ষিণ কলকাতার কবসা অঞ্চলে। এই অঞ্চলেরই নেতা সুশান্ত। কলকাতা পুরসভার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তিনি। তাঁকে যেখানে খুন করার চেষ্টা করা হয়, সেই জায়গাটা আবার পড়ে ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লিপিকা মান্না। ২০১০ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত ১০৭-এর কাউন্সিলর ছিলেন সুশান্ত। আসনটিকে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হওয়ায় সুশান্তকে সরানো হয় পাশের কেন্দ্রে। ১০৭-এ প্রার্থী করা হয় লিপিকাকে। পুরসভা নির্বাচনে দু’জনেই জিতেছেন ঘাসফুলের টিকিটে। তার পর থেকে এলাকার দখল কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে দুই কাউন্সিলরের মধ্যে চলছে ‘টাগ অফ ওয়ার’।

    গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব!

    অথচ, সুশান্ত ও লিপিকা দু’জনেই রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ খানের কাছের লোক (Kosba Clash)। লিপিকাকে জাভেদের লোক বলেই চেনেন তৃণমূলের লোকজন। আবার সুশান্তর সঙ্গেও জাভেদের সম্পর্কও বেশ ভালো। এহেন সমীকরণের চালচিত্র যেখানে শোভা পাচ্ছে, সেখানেই কিনা প্রকাশ্যে গুলি করা হল সুশান্তকে লক্ষ্য করে! এবং তার পরেও কোনও মন্তব্য করেননি জাভেদ। লিপিকাও স্পিকটি নট। দায়সারা গোছের উত্তর দিয়েছেন সুশান্ত। তিনি বলেন, “এর মধ্যে রাজনীতি নেই।” বিরোধীদের হাত রয়েছে, তাও বলছেন না তিনি। তাহলে কী পরকীয়া কিংবা পারিবারিক শত্রুতা?

    আরও পড়ুন: লাহোরে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পাক জঙ্গি লখভি, প্রকাশ্যে সেই ছবি

    স্থানীয় সূত্রে খবর, দুটোর কোনওটাই নয়। তাঁদের দাবি, ঘটনার নেপথ্য রয়েছে নির্ভেজাল রাজনীতি। সুশান্ত ১০৮ এর কাউন্সিলর হলেও, পুরানো ওয়ার্ডের দখল ছাড়েননি। লিপিকো গোষ্ঠীর দাপটে তাঁর বাহিনী অবশ্য কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। তাই তৃণমূলের জমানায় তৃণমূলেরই এক কাউন্সিলরকে প্রকাশ্যে গুলি করার সাহস দেখাল দুষ্কৃতী। বুকের পাটা আছে বলতে হয়!

    খেয়োখেয়ির এই রাজনীতিতে আর যাই হোক উন্নয়ন হয় না বলেই দাবি স্থানীয়দের। তাঁদের মতে, উন্নয়ন না হলেও, ‘কামাই’ হয়। যে ‘কামাই’কে ঘিরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি। চলে গোলা-গুলি (TMC Inner Clash)। আক্রান্ত হন খোদ শাসক দলের নেতাই (Kosba Clash)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Hydrogen Train: জলের সাহায্যে চলবে এই রেলগাড়ি! দেশে আসছে হাইড্রোজেন ট্রেন, গতি কত জানেন?

    Hydrogen Train: জলের সাহায্যে চলবে এই রেলগাড়ি! দেশে আসছে হাইড্রোজেন ট্রেন, গতি কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় রেলের এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। রেল ট্র্যাকে ছুটবে এমন একটি ট্রেন, যার জন্য লাগবে না কোনও ডিজেল, লাগবে না কোনও বিদ্যুৎ। শক্তি জোগাবে জল থেকে পাওয়া হাইড্রোজেন (Hydrogen Train)। যাবতীয় পরীক্ষায় যদি সফল হয় তাহলে এটাই হতে চলেছে ভারতের প্রথম ট্রেন যা জলের সাহায্যে চলবে। সম্প্রতি ভারতীয় রেলের বন্দে ভারত বা অমৃত ভারতের মতো ট্রেন সাড়া ফেলে দিয়েছে যাত্রীদের মধ্যে। বুলেট ট্রেন চালানোর প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে হাই়ড্রোজেন ট্রেন চালুর হওয়ার বিষয়টি সর্বত্র সাড়া ফেলে দিয়েছে।

    কীভাবে চলবে? (Hydrogen Train)

    হাইড্রোজেন ট্রেন (Hydrogen Train) চালু হতে আর খুব বেশি দেরিও নেই। আগামী মাসে অর্থাৎ ডিসেম্বরেই এই ট্রেন চালু হবে বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে ভারতীয় রেলের লক্ষ্য হল, ২০৩০-এর মধ্যে রেলকে কার্বন-মুক্ত করে ফেলা। ভারতের কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত একগুচ্ছ ট্রেন চলে প্রতিদিন। লোকাল ট্রেন থেকে দূরপাল্লার রুটে যে অজস্র ট্রেন চলে, তার জন্য দূষণও বাড়ে। এবার দূষণ মুক্ত করার লক্ষ্যে একধাপ এগোতেই হাইড্রোজেন ট্রেন চালু করতে উদ্যোগী রেল। এই ট্রেনের শক্তি জোগান দেওয়ার মূল উৎসই হল জল। ইলেকট্রিক ইঞ্জিনের বদলে এতে থাকবে হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল। জল আর বাষ্প থেকেই বিদ্যুৎ উপন্ন হবে। বায়ু দূষণ বন্ধ করতে ভারতীয় রেল ডিজেল ইঞ্জিনের ব্যবহার বন্ধ করতে চাইছে। এর ফলে বাতাসে মিশবে না কার্বন-ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড। শুধু তাই নয়, নয়েজ অর্থাৎ ট্রেন থেকে যে শব্দ উৎপন্ন হয়, তার পরিমাণও কম হবে এই হাইড্রোজেন ট্রেনে। অন্তত ৬০ শতাংশ কম শব্দ উৎপন্ন হবে বলে জানা গিয়েছে। দেশ জুড়ে ৩৫টি হাইড্রোজেন ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে রেলের।

    আরও পড়ুন: শিক্ষা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়, তবে শিক্ষাকে হতে হবে ভারত-কেন্দ্রিক, মনে করেন মোহন ভাগবত

    কোন রুটে চলবে এই ট্রেন?

    গোটা ভারতের বিভিন্ন রুটে এই ট্রেন (Hydrogen Train) চালানোরপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। হরিয়ানার জিন্দ-সোনিপাত রুটে এই ট্রেনের ট্রায়াল চলবে। ৯০ কিলোমিটার অতিক্রম করবে ওই ট্রেন। যে সব রুটে এই ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে দার্জিলিং-হিমালয়ান রেলওয়ে, নীলগিরি-মাউন্টেন রেলওয়ে, কালকা-সিমলা রেলওয়ে। মাথেরান, কাঙ্গরা ভ্যালি, বিলিমোরা ওয়াঘাই এবং মারওয়ার-দেওঘর রুটে চালানো হতে পারে।এক একটি হাইড্রোজেন ট্রেন তৈরিতে খরচ হবে ৮০ কোটি টাকা। এছাড়া রিফুয়েলিং স্টেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। ২০২৫ সালের মধ্যেই ৩৫টি ট্রেন হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে।

    গতি কত হতে পারে?

    জলের সাহায্য চলবে বলে যে এই ট্রেনের (Hydrogen Train) গতি কম হবে এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। রেল জানিয়েছে, একভাবে ১৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিতে ১ হাজার কিলোমিটার যেতে পারবে এই হাইড্রোজেন ট্রেন। অন্যান্য ট্রেনের তুলনায় এই ট্রেনের আওয়াজ অন্তত ৬০ শতাংশ কম। তবে যাত্রা অত্যন্ত আরামদায়ক হবে বলেই মনে করছে রেল। জানা গিয়েছে, প্রতি ঘণ্টায় ৪০,০০০ লিটার জলের প্রয়োজন হবে এই ট্রেন চলার জন্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: থমকে ছিল এক যুগ! সুকান্তর উদ্যোগে শুরু বালুরঘাট-হিলি রেল লাইন সম্প্রসারণের কাজ

    Balurghat: থমকে ছিল এক যুগ! সুকান্তর উদ্যোগে শুরু বালুরঘাট-হিলি রেল লাইন সম্প্রসারণের কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পের জট কাটল। এই প্রকল্পের জন্য ১২ বছর আগে নির্মিত হয়েছিল রেলের পিলার। বালুরঘাটের (Balurghat) সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের উদ্যোগে দীর্ঘদিন ধরে থমকে থাকা প্রকল্পের কাজ শুরু হতে চলেছে। সেই পিলারের কাজে এবার হাত লাগাচ্ছে রেল। তার অধিকৃত জমি খালি করা হচ্ছে। বালুরঘাটের খিদিরপুর এলাকায় রেলওয়ে ব্রিজের আগেই জমি খালি করা হচ্ছে। জেসিবি নামিয়ে ব্রিজের ১০০ মিটারের মধ্যে জায়গা খালি করা হচ্ছে। বেশকিছু বাড়ি ঘরও ভেঙে ফেলা হচ্ছে।

    ৩০ শতাংশ জমি তুলে দেওয়া হয়েছে (Balurghat)

    রেল (Balurghat) সূত্রে খবর, ১২ বছর আগে ওই এলাকায় ব্রিজের কাজ শুরু হয়েছিল। পিলারের কাজ হওয়ার পর আর কোনও কাজই হয়নি। এবার নতুন করে কাজ শুরু হওয়ায় এলাকায় খুশির হাওয়া। প্রসঙ্গত, সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) একাধিক বার রেল দফতরের কাছে বালুরঘাট-হিলি রেল প্রকল্পের জন্য দরবার করেন। রেল দফতর থেকে ইতিমধ্যেই রেলের জন্য টাকা বরাদ্দ করেছে। ওই টাকায় জমি অধিগ্রহণের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের তরফে ৩০ শতাংশ জমি ইতিমধ্যেই রেলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সুকান্ত মজুমদারের দাবি, রেলের জন্য আরও জমি দেওয়া হোক। তার মধ্যে খিদিরপুর মৌজায় বেশি জমি রয়েছে। বালুরঘাটের খিদিরপুর এলাকায় বড় রেলের ব্রিজ তৈরি হবে। দ্রুত আত্রেয়ী নদীর ওপরে ওই রেলের কাজ শুরু হবে। ওই নদীপারের বেশকিছু বাড়ি ঘর পড়েছে। তারা রেলের হাতে জমি হস্তান্তর করে টাকাও পেয়ে গিয়েছে। সেই বাড়িঘর তারা বর্তমানে ছেড়েও দিয়েছেন। ওই বাড়িঘরগুলি এবার ভাঙার কাজ শুরু করল রেল দফতর। এদিন রেলের উচ্চপর্যায়ের ইঞ্জিনিয়াররা ওই এলাকায় গিয়েছিলেন। এই বিষয়ে ঠিকাদার সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার দীপ্তমান তালুকদার বলেন, ‘‘শনিবার থেকে বালুরঘাট-হিলি রেলের কাজ শুরু হল। পাঁচ ছয় মাসের মধ্যে রেল ব্রিজের কাজটা শেষ হবে।’’ যদিও জেলা শাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, ‘‘অনেকটা জমি অধিগ্রহণ করে রেলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। চলতি মাসে আরও অনেকটা কাজ হবে।’’

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সহ সভাপতি বাপি সরকার বলেন, ‘‘দীর্ঘদিনের ধরে বালুরঘাটবাসীর (Balurghat) প্রত্যাশা ছিল হিলি-বালুরঘাট রেল লাইন নিয়ে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের উদ্যোগে বালুরঘাট রেল লাইন সম্প্রসারণের কাজ শুরু হল। আমাদের বিশ্বাস ছিল সুকান্ত মজুমদার দ্বিতীয় বার সাংসদ হয়ে বালুরঘাট-হিলি রেল সম্প্রসারণের কাজ শুরু হবে। আর সেই কাজ শুরু হয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Raiganj University: রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার আর্থিক বেনিয়ম! প্রশ্ন ক্যাগ রিপোর্টে, জবাব তলব

    Raiganj University: রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার আর্থিক বেনিয়ম! প্রশ্ন ক্যাগ রিপোর্টে, জবাব তলব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে (Raiganj University) বহু লক্ষ টাকার আর্থিক বেনিয়ম হয়েছে বলে দাবি করেছে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (ক্যাগ)। রাজ্যের প্রিন্সিপাল অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেলের তরফে চিঠিও পাঠানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়কে। ৯ সেপ্টেম্বর পাঠানো সেই চিঠিতে যে যে অনিয়ম ও অস্বচ্ছতার অভিযোগ মিলেছে, তার জবাব চাওয়া হয়েছে।

    প্রজেক্ট রিপোর্ট বানাতে ৩৭.৬৮ লক্ষ! (Raiganj University)

    ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় (Raiganj University) তৈরি হয়েছিল। সেই সময় থেকে অর্থাৎ, ২০১৫-১৬ আর্থিক বছর থেকে ২০২২-২৩ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচের অডিট করে ক্যাগ (CAG)। গত ২২ এপ্রিল থেকে ২৪ মে পর্যন্ত চলে অডিট। এর পরে ইন্সপেকশন রিপোর্ট তৈরি করে তা বিশ্ববিদ্যালয়কে পাঠানো হয়েছে গত ৯ সেপ্টেম্বর।  আনন্দবাজার প্রত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, ক্যাগের রিপোর্টে বলা হয়েছে, উপাচার্যের বাংলো এবং কর্মীদের আবাসন বানানোর ক্ষেত্রে নির্মাণকারী সংস্থাকে অতিরিক্ত ২৫.৮১ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা। নিয়ম ভেঙে ৫৫ লক্ষ টাকা অগ্রিম দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ক্যাগ। ওই কাজের বরাত প্রথমে রাজ্য সরকার অনুমোদিত সংস্থাকে দেওয়া হলেও পরে তা নিয়ম ভেঙে অন্য এক সংস্থাকে দেওয়া হয় বলে দাবি ক্যাগের। বলা হয়েছে, ওই সংস্থাকে কোনও আইনি ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়নি, বিশ্ববিদ্যালয় কোনও চুক্তিও করেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের প্রজেক্ট রিপোর্ট বানাতে ৩৭.৬৮ লক্ষ টাকা খরচ নিয়েও প্রশ্ন তুলে ক্যাগ। এ ছাড়াও, রাজ্য সরকারের টেন্ডার নীতি অমান্য করে কয়েকটি সংস্থাকে বারংবার বিভিন্ন কাজের বরাত দেওয়া হয়েছে। যে সব ক্ষেত্রে কোনও দরপত্রের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি।

    আরও পড়ুন: শিক্ষা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়, তবে শিক্ষাকে হতে হবে ভারত-কেন্দ্রিক, মনে করেন মোহন ভাগবত

     চেয়ার-টেবিল আনতে খরচ ৫.৪৮ লক্ষ!

    আনন্দবাজার প্রত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, ক্যাগের দাবি, সিসিটিভি ব্যবস্থা, গ্রন্থাগার, স্মার্ট ক্লাসরুম বানানো কিংবা সল্টলেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের (Raiganj University) নামে ভাড়া নেওয়া তিন কামরার ফ্ল্যাট-সহ অনেক কিছু নিয়ে ‘অস্বচ্ছতা’র অভিযোগ রয়েছে ক্যাগের রিপোর্টে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নীতি-নিয়মের তোয়াক্কা করা হয়নি বলে দাবি। এমন নানা তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি ক্যাগের দাবি, ২০১৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ৯৭ লক্ষ টাকার চেয়ার-টেবিল কেনে। যা দোকান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আনতে খরচ হয়েছিল ৫.৪৮ লক্ষ টাকা। এ ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের এমন বহু লক্ষ টাকার খরচ দেখানো হয়েছে, যারযথাযথ রসিদ নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের। বিশ্ববিদ্যালয় এক কোটি টাকার বেশি তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রেও কোনও টেন্ডার ডাকেনি। ক্যাগের দাবি,৪৩.২৯ লাখ টাকার গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে কোনও টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি। যদিও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিয়ম অনুযায়ী একটি বিলে পাঁচ লাখ টাকার বেশি খরচ করতে হলে ই-টেন্ডার বাধ্যতামূলক।

    কী বললেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য?

    উপাচার্য দীপককুমার রায় এবং রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার ক্যাগের কাছে চিঠির কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের (Raiganj University) পরবর্তী এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকের পরে চিঠির জবাব দেওয়া হবে।  কবে হবে সেই বৈঠক? উপাচার্য দীপককুমার বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার বা উচ্চশিক্ষা দফতরের অনুমোদন মিললেই বৈঠক হবে। তার পরেই চিঠির জবাব তৈরি হবে। যে যে দফতর, সংস্থা বা ব্যক্তিকে নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের ইতিমধ্যেই চিঠি পাঠানো হয়েছে। ”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: মরশুমে প্রথমবার কুড়ির নীচে কলকাতার পারদ, বাংলার কোথায় কত তাপমাত্রা?

    Weather Update: মরশুমে প্রথমবার কুড়ির নীচে কলকাতার পারদ, বাংলার কোথায় কত তাপমাত্রা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে শীতের আমেজ। মরশুমে প্রথমবার কুড়ির নীচে কলকাতার পারদ। ১৯.৩ ডিগ্রিতে নামল আলিপুরের তাপমাত্রা। জানাচ্ছে আবহাওয়া (Weather Update) দফতর। আপাতত এই তাপমাত্রা কমার প্রবণতা বহাল থাকবে। পশ্চিমাঞ্চলের কোনও কোনও জেলায় এখনই চোদ্দোর ঘরে পারদ। জাঁকিয়ে শীত ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে। তার আগে টানা শীতের (Winter) আমেজ বহাল থাকার ইঙ্গিত। ডিসেম্বরের মাঝামাঝির আগে কলকাতায় জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা নেই। শুষ্ক আবহাওয়া আপাতত টানা ৮ দিন।

    আরও নামবে তাপমাত্রা (Weather Update)

    হাওয়া (Weather Update) অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গে আরও ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নামবে। পুরুলিয়ার পারদ নেমে গেল ১২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শ্রীনিকেতনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হাওয়া অফিস বলছে, আগামী দু থেকে তিন দিনে আরও কিছুটা নামবে পারদ। আর সবটাই হচ্ছে উত্তরে হাওয়ার কারণে। উত্তরবঙ্গের দুই জেলায় সকাল থেকেই দেখা যাচ্ছে ঘন কুয়াশার দাপট। মালদা ও উত্তর দিনাজপুরে কুয়াশার সম্ভাবনা বেশি থাকছে। শনিবারের পাশাপাশি রবিবারও বিহার সংলগ্ন এই দুই জেলায় ঘন কুয়াশার সতর্কতা থাকছে। দৃশ্যমানতা কমে ৫০ থেকে ২০০ মিটার হতে পারে। অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গের চার জেলায় মাঝারি কুয়াশা। সকালের দিকে সব জেলাতেই হালকা কুয়াশা ও ধোঁয়াশার দেখা মিলছে। মাঝারি কুয়াশা পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়াতে। আগামী ৭ দিন একইরকম থাকতে পারে আবহাওয়া। তবে, আপাতত বৃষ্টির কোনও পূর্বভাস নেই।

    আরও পড়ুন: শিক্ষা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়, তবে শিক্ষাকে হতে হবে ভারত-কেন্দ্রিক, মনে করেন মোহন ভাগবত

    কলকাতার তাপমাত্রা কত নামল

    এদিন ভোর-সকালের দিকে উনিশের ঘরে নেমে যায় কলকাতার পারদ। এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে, শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতের তাপমাত্রার (Weather Update) ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য পারাপতন দেখা যাচ্ছে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বা আপেকি আর্দ্রতার পরিমাণ ঘোরাফেরা করছে ৩৯ থেকে ৯ শতাংশের আশপাশে। আগামী সপ্তাহের শুরুতে আঠারোর ঘরে নামতে পারে কলকাতার তাপমাত্রা। বিহার লাগোয়া এলাকায় কুয়াশার দাপট থাকবে। উত্তরে বিহার এবং দক্ষিণে ঝাড়খণ্ড লাগোয়া জেলায় ভোরে কুয়াশার প্রভাব থাকবে আগামী কয়েকদিন। দার্জিলিঙে কাল রাতের তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি। সেক্ষেত্রে শৈলরানির তাপমাত্রা সোমবার ৩ বা ৪ ডিগ্রিতে পৌঁছাতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: লটারি দুর্নীতি, দক্ষিণ কলকাতার আবাসনে টাকার পাহাড়! গুনতে ব্যাঙ্ক থেকে যন্ত্র আনল ইডি

    ED: লটারি দুর্নীতি, দক্ষিণ কলকাতার আবাসনে টাকার পাহাড়! গুনতে ব্যাঙ্ক থেকে যন্ত্র আনল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লটারি প্রতারণা মামলায় শুক্রবারেও তল্লাশি অভিযান জারি রেখেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। সকাল থেকেই তদন্তকারীদের কয়েকটি দল দক্ষিণ কলকাতার লেক মার্কেট এবং আরও একটি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে। বিপুল পরিমাণে টাকা উদ্ধার হয়।

    টাকা গোনার যন্ত্র নিয়ে আসা হয়েছে (ED)

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন ২০২৪ সালে যে নথি প্রকাশ করে তাতে দেখা যায়, ফিউচার গেমিং নামে একটি গোষ্ঠী নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে সব থেকে বেশি চাঁদা দিয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলিকে।আদতে কেরলের কোচি শহরের বাসিন্দা সান্তিয়াগো মার্টিন নামে এক পেপার লটারি ব্যবসায়ীর সংস্থা ওই ফিউচার গেমিং। এই রাজ্য এবং রাজ্যের বাইরে মার্টিন ও তার ঘনিষ্ঠদের প্রায় ২০টি ঠিকানায় তেড়েফুঁড়ে অভিযানে নামে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে দক্ষিণ ভারতের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি অভিযানের পর সেখান থেকে প্রাপ্ত নথির ভিত্তিতে কলকাতায় (Kolkata) বৃহস্পতিবার অভিযান চালায় দিল্লি থেকে আসা ইডি আধিকারিকদের বিশেষ দল। এর মধ্যে রয়েছে সল্টলেকের মহিষবাথান, উত্তর ২৪ পরগনার মাইকেলনগর-সহ দক্ষিণ কলকাতার দুই ঠিকানা। ইডি সূত্রের খবর, লেক মার্কেটের প্রিন্স গোলাম মহম্মদ শাহ রোডের একটি বহুতল আবাসনে এক ব্যক্তির ফ্ল্যাট থেকে কয়েক কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। নিয়ে আসা হয়েছে টাকা গোনার যন্ত্রও।

    আরও পড়ুন: প্ররোচনা দিয়ে করা হয়েছিল খ্রিস্টান, ফের সনাতন ধর্মে ফিরলেন প্রায় ১৫০ হিন্দু

    ৬০ হাজার কোটি টাকার লটারি দুর্নীতি!

    ৬০ হাজার কোটি টাকার লটারি দুর্নীতি হয়েছে, এমনটাই দাবি তদন্তকারীদের। লটারির টিকিট বিক্রি করেও সেই টিকিট নম্বরে লটারি না করিয়ে সম্পূর্ণ অন্য সিরিয়াল নম্বরের টিকিটের মাধ্যমে প্রভাবশালীদের টাকা পাইয়ে দেওয়া-সহ অজস্র আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করছে ইডি (ED)। অভিযোগ উঠেছিল, লটারির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা হয়েছে। আর এই প্রতারণার ঘটনায় প্রভাবশালী যোগেরও তত্ত্ব উঠে এসেছে। সেই মামলারই তদন্তে দিল্লি থেকে আসে ইডির বিশেষ দল। এই প্রতারণার জাল কত দূর বিস্তৃত, কারা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত, তার তদন্ত হচ্ছে বলে ইডি সূত্রের খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: ‘ভুয়ো’ চেক দিয়ে ধাপে ধাপে বালুরঘাট পুরসভার ১৪ লক্ষ টাকা গায়েব!

    Balurghat: ‘ভুয়ো’ চেক দিয়ে ধাপে ধাপে বালুরঘাট পুরসভার ১৪ লক্ষ টাকা গায়েব!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা নিয়ে নানা অনিয়মকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়েছে রাজ্য জুড়ে। ইতিমধ্যে কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, মালদা, দুই বর্ধমানসহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার কয়েক’শো স্কুল পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের টাকা ঢোকেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে নাজেহাল শিক্ষা দফতরের পড়ুয়ারা। সেই আবহেই এ বার পুরসভার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েবের অভিযোগ উঠল। বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার ১৪ লক্ষের বেশি টাকা তুলে নিয়েছেন অন্য কেউ! এমন ‘ভুতুড়ে কাণ্ডে’র অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বালুরঘাটে। কে বা কারা পুরসভার টাকা গায়েব করলেন, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। এখানেও কি তাহলে ট্যাবের মতো প্রতারণা চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে? সেই প্রশ্নও ঘোরাফেরা করছে। যদিও বিজেপির দাবি পুরসভা নিজের কেলেঙ্কারির দোষ ব্যাঙ্কের ওপর চাপিয়ে দিতে চাইছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?(Balurghat)

    বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র টাকা গায়েবের বিষয়টি প্রকাশ্যে এনে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি, পুরসভার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ধাপে ধাপে মোট ১৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা তোলা হয়েছে। তিনটি চেকের মাধ্যমে সেই টাকা তুলেছে প্রতারকরা। কিন্তু, অশোকের দাবি, যে যে চেকের মাধ্যমে টাকা তোলা হয়েছে, তা পুরসভার পক্ষ থেকে কাউকে দেওয়া হয়নি। তার পরও কীভাবে ওই চেকগুলির মাধ্যমে টাকা তোলা হল, তা বুঝতে পারছেন না তিনি। অশোকের দাবি, ৫৩৭৭১, ৫৩৭৭২ এবং ৫৩৭৭৩ এই তিনটি নম্বরের চেক ব্যাঙ্কে (Bank) জমা দিয়ে পুরসভার টাকা তোলা হয়েছে। কিন্তু চেকগুলি এখনও পুরসভার চেক বুকে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। অথচ তা দিয়েই ধাপে ধাপে ১৪ লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। কী ভাবে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ পুরসভার টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অশোক। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে এই মর্মে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যানের দাবি, পুরো বিষয়টি জানিয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। এক দিন সময় দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে যদি পুরসভার টাকা ফেরত না আসে তবে আইনি পদক্ষেপ করব। বালুরঘাট থানা, জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকেও লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন চেয়ারম্যান।

    আরও পড়ুন: প্ররোচনা দিয়ে করা হয়েছিল খ্রিস্টান, ফের সনাতন ধর্মে ফিরলেন প্রায় ১৫০ হিন্দু

    ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ কী বললেন?

    বিষয়টি নিয়ে চাপানউতোর হতেই ব্যাঙ্কের বালুরঘাট (Balurghat) শাখার ম্যানেজার বিক্রান্ত কুমার বলেন, ‘‘এই শাখায় এমন কোনও অনিয়মের ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি সদর দফতরে জানানো হয়েছে। কী ভাবে ঘটল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’

    সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    এই বিষয়ে বিজেপির বালুরঘাট (Balurghat) শহরের সভাপতি সমীরপ্রসাদ দত্ত বলেন, ‘‘আমরা সবাই জানি এই সরকার চোরের সরকার। পুরসভা নিজের কেলেঙ্কারির দোষ ব্যাঙ্কের ওপর দিয়ে দিতে চাইছে। এই ঘটনায় পুরসভার সবাই জড়িত।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: কয়লা পাচার মামলার চার্জ গঠন ২৫ তারিখ, প্রক্রিয়া শুরু হল আসানসোল সিবিআই আদালতে

    CBI: কয়লা পাচার মামলার চার্জ গঠন ২৫ তারিখ, প্রক্রিয়া শুরু হল আসানসোল সিবিআই আদালতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার (Coal Smuggling) মামলায় চার্জ গঠনের প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার সিবিআই (CBI) আদালতে চার্জ গঠনের প্রস্তাব দিলেন সিবিআই আইনজীবী রাকেশ কুমার। নির্দিষ্ট মামলা ও ধারা সহ প্রস্তাব গ্রহণ করেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। এর আগে গত ৩ জুলাই কয়লা পাচার মামলার চার্জ গঠনের দিন ধার্য হয়েছিল। অভিযুক্ত ও একাধিক সাক্ষী আদালতে অনুপস্থিত থাকায় ওইদিন চার্জ গঠন হয়নি। তারপরেই বিচারক ৯ অগাস্ট দিন ধার্য করেছিলেন। সেবার আদালতে কর্মবিরতি থাকায় চার্জ গঠন হয়নি। এরপর ৭ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য হয়। সেদিন দুটি সংস্থার বা কোম্পানির জটিলতা থাকায় চার্জ গঠন হয়নি। তারপরেই ১৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেন সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। ১৪ নভেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার শুরু হয় চার্জ গঠনের (Coal Smuggling) প্রাথমিক প্রক্রিয়া।

    আদালতে কী হল? (CBI)

    এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ শুনানি শুরু হয় আসানসোল সিবিআই আদালতে। সেখানে সিবিআইয়ের আইনজীবি রাকেশ কুমার চার্জ গঠনের আবেদন জানান। বিচারপতি রাজেশ চক্রবর্তী সিবিআইয়ের আইনজীবির কাছে জানতে চান কোন কোন ধারায় কাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। তখন রাকেশ কুমার বলেন, পাবলিক সারভেন্ট বা সরকারের ১২ জন ইসিএল কর্মী, কোম্পানির ১০ ও ইনডিভিজুয়াল বা ব্যক্তিগত ভাবে ২৭ জনের নামে মোট তিনটি ভাগে বিভিন্ন ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে। যদিও বেশ কয়েকটি ধারাকে চ্যালেঞ্জ করেন অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা। তাঁরা তাঁদের স্বপক্ষে বক্তব্য রাখার জন্য সময় চাইলে বিচারক আগামী সোমবার ১৮ নভেম্বর তাঁদের বক্তব্য রাখার দিন ধার্য করেন। আশা করা হচ্ছে, সেই (Coal Smuggling) শুনানির পরে কয়লা পাচার মামলায় বহু চর্চিত চার্জ গঠনের অন্য একটি দিন ঠিক করা হবে। বিচারক জানিয়েছেন, আগামী ২৫ তারিখ চার্জ গঠন করা হবে।

    আরও পড়ুন: প্ররোচনা দিয়ে করা হয়েছিল খ্রিস্টান, ফের সনাতন ধর্মে ফিরলেন প্রায় ১৫০ হিন্দু

    তিনটি চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই

    কয়লা পাচার মামলায় মূল কিংপিন অনুপ মাজি ওরফে লালা, রত্নেশ ভর্মা ও বিকাশ মিশ্রর বিরুদ্ধে আলাদা করে বিশেষ কিছু ধারা যোগ করা মামলায় চার্জ দেওয়া হয়। সিবিআইয়ের (CBI) এই মামলায় ৩৯৬ জন সাক্ষী রয়েছেন। মামলায় অভিযুক্ত ৫০ জন। প্রত্যেকের জন্য রয়েছে ২৫ হাজার পাতার নথি। রয়েছে ১১৪৯ পাতার তথ্যপ্রমাণ। এই মামলায় সিবিআই মোট তিনটি চার্জশিট জমা দিয়েছে। এই মামলায় মোট ৫০ জন অভিযুক্ত রয়েছেন। এর মধ্যে বিনয় মিশ্র ফেরার। এক ইসিএল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ ৪৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হবে। এদিন ৪৮ জনের মধ্যে ৪৬ জন উপস্থিত ছিলেন।

    অভিযুক্তদের আইনজীবী কী বললেন?

    অভিযুক্তদের তরফে তিন আইনজীবী শেখর কুণ্ডু, সোমনাথ চট্টরাজ ও অভিষেক মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আগামী সোমবার আমরা আমাদের বক্তব্য রাখব। সিবিআইয়ের (CBI) তরফে বেশ কিছু ধারা দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে আমাদের আপত্তি আছে। আমরা সেটাই বলব।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: অবশেষে কলকাতাসহ জেলায় জেলায় ঠান্ডার আমেজ, জাঁকিয়ে শীত কবে?

    Weather Update: অবশেষে কলকাতাসহ জেলায় জেলায় ঠান্ডার আমেজ, জাঁকিয়ে শীত কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরপর নিম্নচাপ আর বৃষ্টির জন্য আটকে ছিল শীত। নভেম্বরের শুরুতেও রীতিমত ঘাম দিয়েছে। অবশেষে বদলাতে শুরু করেছে আবহাওয়া (Weather Update) । শুক্রবার সকাল থেকেই কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় শীত শীত (Winter) ভাব অনুভব করা যাচ্ছে। উত্তর-পশ্চিম হাওয়ার দাপটের ফলে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে নেমেছে বলেই জানাচ্ছেন আবহবিদরা। আগামী এক সপ্তাহ ধীরে ধীরে কমবে তাপমাত্রা।

    কোথায় কোথায় কুয়াশা? (Weather Update)

    হাওয়া (Weather Update) অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালের দিকে সামান্য কুয়াশা ঝাড়খণ্ড এবং বিহার লাগোয়া উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গে। ঘন কুয়াশায় ঢাকবে মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের কিছু এলাকা। দৃশ্যমানতা কোথাও ৫০ মিটার ছুঁতে পারে। বাকি সব জেলাতেই সকালের দিকে হালকা কুয়াশা। দিনভর পরিষ্কার আকাশ। রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত নেই। রবিবার দার্জিলিং-এর পার্বত্য এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। পুরুলিয়াতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর ঘরে নেমে আসে। ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ঝাড়গ্রাম, শ্রীনিকেতন, পানাগড়। কলকাতা রাতের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে। সোমবার ১৯-এর ঘরে নামতে পারে কলকাতার রাতের পারদ। শহরের আকাশ মেঘমুক্ত ঝলমলে পরিষ্কার। দিনের তাপমাত্রা ২৯.৪ ডিগ্রি। স্বাভাবিকের তুলনায় দেড় ডিগ্রি কম। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমান ৪০ থেকে ৯৩ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: প্ররোচনা দিয়ে করা হয়েছিল খ্রিস্টান, ফের সনাতন ধর্মে ফিরলেন প্রায় ১৫০ হিন্দু

    তাপমাত্রা আরও নামবে!

    আবহাওয়ার (Weather Update) রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, এবার ধীরে ধীরে নামবে পারদ। উত্তরের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। আগামী পাঁচ দিনে দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস কমবে রাতের তাপমাত্রা। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চলে যাবে স্বাভাবিকের নীচে। সপ্তাহান্তে অর্থাৎ শনি-রবিবারেই আবহাওয়া বদলে যাবে অনেকটাই। তবে, শীতের আমেজ আসলেও জাঁকিয়ে শীত নয় নভেম্বরে। জাঁকিয়ে শীতের জন্য অপেক্ষা ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত। ধীরে ধীরে নামবে পারদ। আগামী পাঁচ দিনে দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস কমবে রাতের তাপমাত্রা। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিক বা তার নিচে চলে যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rash Yatra 2024: নবদ্বীপের রাস মানেই শাক্ত-বৈষ্ণবের মিলন! দেখা মেলে মঙ্গলকাব্যের দেবী কমলে কামিনীর

    Rash Yatra 2024: নবদ্বীপের রাস মানেই শাক্ত-বৈষ্ণবের মিলন! দেখা মেলে মঙ্গলকাব্যের দেবী কমলে কামিনীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাসযাত্রা (Rash Yatra 2024) উপলক্ষ্যে সেজে উঠেছে নবদ্বীপ। নিত্যনতুন থিম আর বাহারি আলোয় জমজমাট তীর্থের এই শহর। রাস উৎসবে সামিল হতে হাজার হাজার ভক্ত ভিড় করা শুরু করেছেন নবদ্বীপে (Nabadwip)। আলোর রোশনাইয়ে নবদ্বীপ শহর এখন জ্বলজ্বল করছে। একে অপরকে টেক্কা দিতে থিমের ছড়াছড়ি।

    রাসযাত্রার ইতিহাস (Rash Yatra 2024)

    ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, প্রায় আড়াইশো বছর আগে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরে নবদ্বীপে শাক্ত মতে রাসযাত্রা (Rash Yatra 2024) শুরু হয়েছিল! এখানে মূলত শক্তির দেবীদের পুজো করা হয়। প্রথম থেকেই শাক্ত এবং বৈষ্ণবদের মধ্যে বিরোধ ছিল চরমে। এই বিরোধ মেটাতেই উদ্যোগী হয়েছিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র। ১৭৫২-৫৬ সালের মাঝামাঝি শঙ্করনাথ তর্কবাগীশ শক্তিমূর্তি গড়ে রাস পূর্ণিমার পুজো শুরু করেন। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের তরফে আসে অর্থসাহায্য। শঙ্করনাথের ওই পুজোর পরের বছরই ব্যাদড়াপাড়ার ব্রাহ্মণরা শবশিবা মায়ের পুজো শুরু করলেন। কালীমূর্তির নীচে পর পর দু’টি শিব। এক দম নীচে শবরূপী শিব। তাঁর ওপরে সপ্রাণ শিব। একই মূর্তির পুজো হয় আমপুলিয়া পাড়াতেও। নবদ্বীপে রাসের দ্বিতীয় প্রাচীন প্রতিমা হল শবশিবা মাতার। স্থানীয় পুজো উদ্যোক্তাদের কথায়, শবশিবা মাতা কৃষ্ণচন্দ্রের গুরুদেব চন্দ্রশেখর ভট্টাচার্যের ইষ্টদেবী। এখন যেখানে পুজো হয় সেটি ছিল তাঁর ভিটে। কমবেশি দেড়শো বছর আগে তাঁরা এখান থেকে চলে যান। পুজোর ভার নেন অঞ্চলের বর্ধিষ্ণু ব্রাহ্মণেরা। চাঁদা তুলে এই পুজো হয়। নবদ্বীপের রাসের বিশেষত্ব তার মূর্তির বৈচিত্র্যে। মঙ্গলকাব্যের দেবী কমলেকামিনীর দেখা মেলে রাস উৎসবে। নবদ্বীপে স্মৃতিশাস্ত্র পড়তে আসা অশ্বিনী কুমার স্মৃতিরত্ন এই পুজোর সূচনা করেন। তাঁর পরিবারের উত্তরসূরীরা বর্তমানে সেই পুজো করছেন। বর্তমানে পুজো এলাকাবাসীর সাহায্যে হয়। পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে নবদ্বীপ তরুণ সঙ্ঘ।

    নবদ্বীপে কতদিন রাসযাত্রা?

    মূলত নবদ্বীপে দুই দিন রাস (Rash Yatra 2024) হয়। শুক্রবার থেকে নবদ্বীপের রাসযাত্রা শুরু হয়েছে। আর আজ শনিবার নবদ্বীপে আড়ং চলবে অর্থাৎ যাকে আমরা বিসর্জন বলে থাকি। এবছরও রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরে শুভ  সূচনা হওয়ার রাসে যে নিয়ম ছিল সেই একই নিয়মে রাস পালিত হচ্ছে। বেশ কিছু বারোয়ারি এবং কিছু প্রাচীন মন্দিরে এই রাস পালিত হচ্ছে। নবদ্বীপে মূলত শক্তির দেবদেবতাকে পুজো করা হয়।

    এবছর কোথায় কী থিম?

    এবছরও মহা ধুমধামে পালিত হচ্ছে নবদ্বীপের রাসযাত্রা। তাদের মধ্যে অন্যতম গৌড় বিষ্ণুপ্রিয়া সঙ্ঘ। প্রতি বছরই সাধারণ দর্শনার্থীদের কাছে চমক দিয়ে থাকে এই বারোয়ারি। এবছর তাদের ভাবনা ভূতের সার্কাস। তাদের এই নতুন থিম (Rash Yatra 2024) সাধারণের মন মাতিয়ে দেবে বলে মত বারোয়ারি কমিটির। অন্যদিকে, প্রাচীন মায়াপুর সাউথমাতা পুজো কমিটির ভাবনা কাঁটাতারের বেড়া। মূলত সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ কীভাবে জীবনযাপন করেন, সেই চিত্রই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই মণ্ডপের মাধ্যমে। পাশাপাশি শ্রী শ্রীকৃষ্ণ কালীমাতা এবার ১০০ বছরে পদার্পণ করল। মূলত এখানে মণ্ডপশয্যা না থাকলেও ঐতিহ্যবাহী এক অঙ্গে কৃষ্ণ এবং এক অঙ্গে কালী থাকে। তবে আরেক ঐতিহ্যবাহী প্রতিমা তেঘরি পাড়া বড় শ্যামা মাতা। প্রতি বছর এখানে হাজার হাজার পাঁঠা বলি হয়। তবে এ বছর ট্রাস্টি বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোনওরকম বলি দেওয়া যাবে না। তবে নবদ্বীপে আরেক ঐতিহ্যবাহী পরম্পরা রয়েছে। আগামীকাল ছোট-বড় প্রতিটি রাস কমিটি তাদের নিজেদের মণ্ডপে প্রতিমা পুজো দেওয়ার আগে প্রত্যেকে পোড়ামাতলায় যাবেন। সেখানে পুজো দেওয়ার পর নিজেদের মণ্ডপের প্রতিমাদের পুজো দেবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share