Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Nadia: ইভটিজারদের হামলায় খুন! নিষ্ক্রিয় পুলিশ, প্রতিবাদে দেহ নিয়ে রাতভর জাতীয় সড়ক অবরোধ

    Nadia: ইভটিজারদের হামলায় খুন! নিষ্ক্রিয় পুলিশ, প্রতিবাদে দেহ নিয়ে রাতভর জাতীয় সড়ক অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর সময় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করেছিলেন বছর চব্বিশের শুভ দাস। আর তারপরই তিনি হামলার শিকার হন। টানা কয়েকদিন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে তিনি হেরে যান। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছিল নদিয়ার (Nadia) হরিণঘাটার বিরহী এলাকায়। শনিবার রাতে হাসপাতাল থেকে দেহ এলাকায় আসতেই পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের মূল সড়ক যোগাযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় হরিণঘাটা থানার পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Nadia)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ায় (Nadia) হরিণঘাটা থানার বিরহীর বাসিন্দা শুভ দাস পুজোর মধ্যে এক দিন বাড়ির কাছের পুজোমণ্ডপে বসেছিলেন। তিনি দেখতে পান, কয়েক জন মত্ত যুবক এক মহিলাকে উত্যক্ত করছেন। শুভ তাঁদের বাধা দেন। ইভটিজারদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় তাঁর। কিছুক্ষণ পর অবশ্য এলাকা ছেড়ে চলে যায় ইভটিজাররা।  অভিযোগ, পরে শুভ যখন বাইক চালিয়ে অন্যত্র যাচ্ছিলেন, তখন ওই ইভটিডজারা তাঁর পিছনে ধাওয়া করে।  বাইকে লাথি মেরে তাঁকে রাস্তায় ফেলে দেন। স্থানীয় বাসিন্দারা রক্তাক্ত অবস্থায় শুভকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তরিত করানো হয় কলকাতার হাসপাতালে। তারপর থেকে কলকাতায় চিকিৎসাধীন ছিলেন শুভ। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। গত শুক্রবার শুভর মৃত্যু হয়। এরপরেই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। শনিবার দেহ এলাকায় ফিরলে তা নিয়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে চলতে থাকে বিক্ষোভ। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    বিক্ষোভকারীদের কী বক্তব্য?

    বিক্ষোভকারীরা বলেন, পুজোর মধ্যে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করতে এলাকার ছেলে খুন হল। পুলিশে জানানোর পরও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার যদি এই অবস্থা হয় তা হলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? আগামীদিনে রাস্তা অন্যায় হলেও কেউ প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসবে না। আমাদের দাবি, অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Contai: এ কী কাণ্ড! খোদ কারামন্ত্রীর খাসতালুকের জেল থেকে পালাল ধর্ষণে অভিযুক্ত এক বন্দি

    Contai: এ কী কাণ্ড! খোদ কারামন্ত্রীর খাসতালুকের জেল থেকে পালাল ধর্ষণে অভিযুক্ত এক বন্দি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কারাগারের ভেতর পর্যন্ত ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা রয়েছে। রয়েছে দোতলা ঘরের সমান উঁচু পাঁচিল। এরপরও লক্ষ্মীপুজোর আবহে পুলিশের চোখে ধূলো দিয়ে জেল থেকে পালাল এক বিচারাধীন বন্দি। তার বিরুদ্ধে সাত বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজ্যের কারামন্ত্রীর বাড়ির কাছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি (Contai) মহকুমা উপ সংশোধনাগারে। ওই বন্দি পালানোর ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Contai)

    শনিবার দুপুরে হঠাৎ পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি (Contai) মহকুমা উপ সংশোধনাগারে  বেজে ওঠে সাইরেন। জানা যায়, শুভেন্দু ঘটক নামে বছর তেইশের এক বন্দিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দুপুরের খাওয়াদাওয়ার সময় সংশোধনাগারের কর্মীরা শুভেন্দুর গরহাজিরার বিষয়টি খেয়াল করেন। মূল রাস্তা থেকে কারাগারের ভেতর পর্যন্ত ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা রয়েছে। রয়েছে দোতলা ঘরের সমান উঁচু পাঁচিল। এর পরেও পটাশপুর থানা এলাকার বাসিন্দা শুভেন্দু কী করে পালাল, সে নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ মুখ খুলতে চাননি। এর আগে  ২০১৮ সালে অক্টোবরে কাঁথি মহকুমা আদালত থেকে পালিয়ে গিয়েছিল কুখ্যাত দুষ্কৃতী কর্ণ এবং মুন্না। তারও কয়েক বছর আগে কাঁথি মহকুমা উপ সংশোধনাগারের পুরানো ভবন থেকে এক আসামী পালিয়ে যাওয়ার নজির রয়েছে। ওই ঘটনার পর কাঁথি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। তার ভিত্তিতে পলাতক শুভেন্দুর খোঁজে জেলা এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচাৰ্য্য বলেছেন, কাঁথি মহকুমা উপ- সংশোধনাগার থেকে এক বন্দি পালিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে। তার ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

    কারামন্ত্রীর কী বক্তব্য?

    এই ঘটনার পর ফের সংশোধনাগারের ভেতরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এদিনের ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেয়ে পাঠানো হয়েছে কাঁথি (Contai) সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের কাছে। পুরো ঘটনায় প্রাথমিকভাবে প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের কারা দফতর। রাজ্যের কারা মন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। প্রাথমিক ভাবে প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হলেই বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হবে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jyotipriya Mallick: বাকিবুর-জ্যোতিপ্রিয় হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটেই টাকা লেনদেনের হদিশ? ফরেন্সিকে যাচ্ছে মোবাইল

    Jyotipriya Mallick: বাকিবুর-জ্যোতিপ্রিয় হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটেই টাকা লেনদেনের হদিশ? ফরেন্সিকে যাচ্ছে মোবাইল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাকিবুরের সঙ্গে হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটেই খোঁজ মিলেছে মিডলম্যানের। ফলে বিপদ আরও বাড়ল গ্রেফতার হওয়া বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। ধৃত বাকিবুরের মোবাইল আগেই বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। সেখানেই মিলেছে রেশনের চাল-আটা চুরির তথ্য। এবার বালুর মোবাইলে থাকা তথ্যকে পরীক্ষা করে, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের খোঁজ করা হবে। চালচুরি কাণ্ডে ধৃত দুই অভিযুক্তের সংলাপকে মিলিয়ে দেখতে করা হবে মোবাইলের ফরেনসিক পরীক্ষা। এজন্য ইডি আদালতের কাছে অনুমতি নিয়েছে বলে জানা গেছে।

    বাকিবুর টাকা দিতেন মিডলম্যানকে

    ইডি সূত্রের খবর, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে এবার আরও বিপাকে ফেলবেন বাকিবুর। ইডির কাছে বাকিবুরের একটি হোয়াটঅ্যাপ চ্যাট হাতে এসেছে, যেখানে খুব স্পষ্ট ভাবে মনে করা হচ্ছে, বালুর সঙ্গে টাকার লেনদেন হয়েছে তাঁর। তবে বাকিবুর নিজে টাকা বালুকে দিতেন না। একজন মিডলম্যানের মাধ্যমে টাকা পৌঁছে যেত প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর কাছে। সূত্রের আরও খবর, বাকিবুরের সংলাপে একাধিকবার এমআইসি (MIC) নামের কোনও ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বাকিবুর নিজে জেরায় ইডিকে জানিয়েছেন, এমআইসি বলতে মিনিস্টার ইন চার্জ অর্থাৎ সেই সময়ের খাদ্যমন্ত্রী স্বয়ং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কথা বলেছেন।

    মাসে দু’বার যেত টাকা

    ইডির জেরায় বাকিবুর আরও জানিয়েছেন, খাদ্যমন্ত্রীকে মাসে দু’বার করে টাকা পাঠাতেন তিনি। এই টাকার পরিমাণ ছিল ৮০ লক্ষ। সেই সঙ্গে বাকিবুরের কাছে সময়ে সময়ে ঋণ নিতেন বালু। এককালীন বালুকে আরও একবার ১২ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছেন বাকিবুর। কিন্তু সবটাই এখন প্রমাণের জন্য ইডিকে তথ্য জোগাড় করতে হবে। তাই বক্তব্য এবং তথ্যকে পাশপাশি মিলিয়ে দেখতে, বালুর মোবাইলের হোয়াটঅ্যাপ চ্যাটের ফরেনসিক পরীক্ষার প্রয়োজন।

    উল্লেখ্য ২০১১ থেকে ২০২২ পর্যন্ত, টানা ১০ বছর রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। তাঁর সময়ে দাঁড়িয়ে বাকিবুরের মতো লোকেরা, চাল-আটা-গম চুরি করে সম্পদের সাম্রাজ্যে নির্মাণ করেছেন। সেই সঙ্গে মন্ত্রীর সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়েছে ২০ গুণ। তবে রাজ্যে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে শাসন ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। ফলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নজর এড়িয়ে, কীভাবে তৃণমূলের নেতামন্ত্রীরা এত সম্পত্তির মালিক হলেন, এই প্রশ্নই বারবার রাজ্যের বিরোধীরা করছেন। তাই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তে আরও চাপে তৃণমূল কংগ্রেস।     

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sujit Bose: আগেই ইডিকে তোপ! পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে বালুকে দেখে কি আতঙ্কিত সুজিত?

    Sujit Bose: আগেই ইডিকে তোপ! পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে বালুকে দেখে কি আতঙ্কিত সুজিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির অভিযোগে জেলযাত্রা শুরু হয়েছে তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলের পর সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এবার লাইনে কে? এই প্রশ্নই যখন ঘুরপাক খাচ্ছে তখন নিজের গ্রেফতারির আশঙ্কা প্রকাশ করতে শোনা গেল মন্ত্রী সুজিত বসুকে (Sujit Bose)। এতেই শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে কি পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার হাজতবাস হতে চলেছে রাজ্যের দমকলমন্ত্রীর?

    মন্ত্রী ঘনিষ্ঠের বাড়িতে তল্লাশি ইডির

    পুর-নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে মন্ত্রীর একদা আপ্ত-সহায়ক বর্তমানে দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই দের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। ১২ ঘণ্টা ধরে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। এর পাশাপাশি সুজিত ঘনিষ্ঠ দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের নামও উঠে আসে ইডির আতস কাঁচের তলায়। এতেই জল্পনা বাড়ছে। পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে সুজিত বসুর (Sujit Bose) দরজায় কার্যত পৌঁছে গিয়েছে ইডি। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার রাস্তা এখন থেকেই খুঁজে বেড়াচ্ছেন সুজিত (Sujit Bose)। শনিবারই এক পথসভায় রাজ্যের মন্ত্রী বলেন, ‘‘নিতাই আমার আপ্তসহায়ক ছিল। প্রথম বার কাউন্সিলর হয়েছে, এখন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছে। ওর বাড়িতে গিয়ে ১২ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি করেছে, কিছুই পায়নি। তার পর এখন আমার নাম বলার জন্য ওর ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছে।’’ সুজিতের এমন বিবৃতির কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য এবিষয়ে বলেন, “রাজনৈতিক বিবৃতি দেওয়ার অধিকার তৃণমূল হারিয়েছে। দুর্নীতি প্রসঙ্গে তৃণমূলের কোনও নেতার আর জনমনে কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। রাজ্য সরকারের প্রাথমিক তিনটি বিষয় থাকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য। এরা গরিব মানুষের মুখের খাদ্য বিক্রি করে দিয়েছে।”  

    পুর-নিয়োগ দুর্নীতি

    প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার হতেই  উঠে আসে প্রোমোটার অয়ন শীলের নাম। তাঁর ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে পুরসভার চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার অসংখ্য ওএমআর শিট উদ্ধার করে ইডি। গ্রেফতার হন অয়ন। তাঁকে জেরা করে জানা যায়, রাজ্যের ৬০টিরও বেশি পুরসভায় চাকরি বিক্রির কথা। ইডির দাবি, চাকরি বিক্রি করতেন তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা-মন্ত্রীরা। পুর-নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এবার ইডির র‌্যাডারে কি সুজিত (Sujit Bose)? আগামী দিনেই জানা যাবে প্রশ্নের উত্তর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Jyotipriya Mallick: পছন্দের ঝাঁ চকচকে হাসপাতালে বালু, মেয়ে খাবার আনলেও তা পরীক্ষা করবে ইডি

    Jyotipriya Mallick: পছন্দের ঝাঁ চকচকে হাসপাতালে বালু, মেয়ে খাবার আনলেও তা পরীক্ষা করবে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালু পছন্দের ঝাঁ চকচকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হলেও, কড়া নিরাপত্তার নিয়মের মধ্যে থাকতে হবে তাঁকে। তাঁর মেয়ে খাবার আনলেও তা পরীক্ষা করবে ইডি। রেশন বণ্টন দুর্নীতি কাণ্ডে, গত শুক্রবার গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। তাঁকে তোলা হয়েছিল ব্যাঙ্কশাল কোর্টে। কিন্তু আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। আদালত তাঁকে ১০ দিনের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। আর এই নির্দেশ শুনেই কাঠগড়ায় বসে পড়েন এবং এরপর বমি করতে শুরু করেন তিনি। দুর্নীতির তদন্তে ভেঙে পড়েননি তো বালু?

    ইডি চেয়েছিল কমান্ড হাসপাতাল (Jyotipriya Mallick)

    আদালতের নির্দেশ শুনে জ্যোতিপ্রিয় (Jyotipriya Mallick) অসুস্থ হয়ে পড়লে, ইডি প্রাথমিক ভাবে কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু তাঁর আইনজীবীদের দাবি মেনে আদালত তাঁকে অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়। সেই সঙ্গে তদন্তকারী অফিসাররা বলেন, অভিযুক্ত নিজের পছন্দের হাসপাতালে যেতে চাইলে, খরচ তাঁকেই বহন করতে হবে। সেই সঙ্গে ইডি আরও স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেয় যে পছন্দের হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন সময়, হেফাজতের মেয়াদের মধ্যে ধরা হবে না। ফলে তদন্তে কোনও ছাড় পাচ্ছেন না বালু।

    হাইফাই চিকিৎসা অ্যাপোলোতে

    শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় হাসপাতালে ভর্তির পর থেকেই দ্রুত চিকিৎসা শুরু হয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick)। সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যেই তাঁর এমআরআই এবং সিটি স্ক্যান করানো হতে পারে। এছাড়াও, নিউরো, হার্ট, কিডনির সমস্যা রয়েছে কিনা, তা দেখা হচ্ছে। তবে আদলতের নির্দেশ রয়েছে, কিছুটা সুস্থ বোধ করলেই, তাঁকে কমান্ড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে হবে। সেই সঙ্গে কমান্ড হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করারও নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট।

    কড়া নিরাপত্তায় থাকবেন হাসপাতালে

    তৃণমূলের বনমন্ত্রী বালু, শারীরিক ভাবে সুগারের সমস্যায় রয়েছেন। তাঁর আইনজীবীরা জানিয়েছেন, খাবারের মাধ্যে নানান বিধিনিষেধ রয়েছে। তাই তাঁর মেয়ে, বাড়ি থেকে রান্না করে খাবার নিয়ে যাবেন। তবে যেহেতু জ্যোতিপ্রিয়র (Jyotipriya Mallick) বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর এবং রাজ্যের মন্ত্রী, তাই তাঁর নিরাপত্তার কথা ভেবে, সেই খাবার পরীক্ষা করবে ইডি। তবে বাইরের কেউ দেখা করতে পারবেন না। এখন বর্তমানে ১০ জন সিআরপিএফ এবং ২ জন ইডির অফিসার নজরে রেখেছেন তাঁকে। আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁর শারীরিক অবস্থা কেমন থাকছে, তা আদালতকে জানাবে ইডি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Distribution Scam: জ্যোতিপ্রিয়র বাড়ির পরিচারকও কোম্পানির ডিরেক্টর! চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির হাতে

    Ration Distribution Scam: জ্যোতিপ্রিয়র বাড়ির পরিচারকও কোম্পানির ডিরেক্টর! চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে (Ration Distribution Scam) টানা ২১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডি গ্রেফতার করে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। ব্যাঙ্কশাল কোর্টের নির্দেশে ১০ দিনের ইডি হেফাজত হয় প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর। রায় শুনে অসুস্থ হয়ে পড়েন মন্ত্রী। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, মন্ত্রী সুস্থ হওয়ার পরেই গণনা হবে ইডি হেফাজতের দিন। মন্ত্রীর গ্রেফতারির পরপরই উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঠিক যেমনটা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পরে উঠে এসেছিল। জানা গিয়েছে, পার্থর মতো বীরভূমে রয়েছে মন্ত্রীর সম্পত্তি। পার্থর ছিল ‘অপা’, মন্ত্রীর রয়েছে ‘দোতারা’ নামের বাড়ি। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, শান্তিনিকেতনে ১০ কাঠা জমির উপরে যে স্থানে বাড়িটি রয়েছে তার বর্তমান বাজারমূল্য ৬ কোটি টাকা। আবার অন্য একটি অংশের মতে, বর্তমান বাজারমূল্য ১০-১২ কোটিও হতে পারে। তবে বীরভূমে আরও প্রচুর সম্পত্তির হদিশ মিলেছে মন্ত্রীর, এমনটাই খবর ইডি সূত্রে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে, সেখানেও রয়েছে প্রাসাদোপম বাড়ি। মন্তেশ্বরে বিরোধী দলের নেতারা দাবি করছেন, গ্রামেও এরকম নামে-বেনামে প্রচুর সম্পত্তি করেছেন বালু। গ্রামে নাকি রয়েছে ৭০ থেকে ৮০ বিঘা সম্পত্তি। তাঁদের রয়েছে একটি আইটিআই কলেজও।  এতো গেল দক্ষিণবঙ্গের কথা। সূত্রের খবর উত্তরবঙ্গেও নামে-বেনামে আরও সম্পত্তি রয়েছে মন্ত্রীর। শুধু মন্ত্রী নয়, মন্ত্রীর স্ত্রীর নামেও রয়েছে বেনামে প্রচুর সম্পত্তি। বাগডোগরাতে মল্লিক দম্পতির রয়েছে দশ কাঠা জমি। 

    বাড়ির পরিচারকও কোম্পানির ডিরেক্টর

    অন্যদিকে জানা গিয়েছে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Ration Distribution Scam) বাড়ির পরিচারকের কাজ করতেন যিনি, তিনিও নাকি দুটি কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন। তদন্তকারী অফিসারদের মতে, রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সরানোর ক্ষেত্রে সেল কোম্পানির গড়ে তোলেন বাকিবুর রহমান ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ইডির দাবি, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নির্দেশ মতোই তিনটি কোম্পানি খুলেছিলেন বাকিবুর রহমান। প্রথমে ওই কোম্পানিগুলিতে ডিরেক্টর পদে রাখা হয় মন্ত্রীর স্ত্রী এবং কন্যাকে। পরে তাঁদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ডিরেক্টর হয়ে আসেন অভিষেক বিশ্বাস ও রাম স্বরূপ শর্মা। জানা গিয়েছে, অভিষেক বিশ্বাস হলেন বাকিবুর রহমানের সম্পর্কে শ্যালক। রাম স্বরূপ শর্মা হলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়ির পরিচারক। পরবর্তীতে ওই পরিচারক জ্যোতিপ্রিয়র সুপারিশে চাকরিও পেয়েছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। 

    জ্যোতিপ্রিয় তৈরি করেছিলেন ফার্মও

    তবে শুধুমাত্র এই তিনটে সেল কোম্পানিই নয়, দুটো ফার্মের কথাও উঠে এসেছে ইডি তদন্তে। তদন্তকারীদের দাবি, এ দুটি ফার্ম গড়ে তুলেছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজেই। তাঁর ব্যক্তিগত হিসাবরক্ষক শান্তনু ভট্টাচার্য একাজ করতে তাঁকে সাহায্য করেন। ফার্মগুলির বর্তমান অবস্থান বাঁকুড়া জেলায়। জানা গিয়েছে, দুটি ফার্মের অ্যাকাউন্টে (Ration Distribution Scam) কুড়ি কোটি টাকার লেনদেন করা হয়েছিল অবৈধভাবে। এই ফার্মের অন্যতম অংশীদার ছিলেন সিপি জান। তাঁর বাড়িতে গত ২৬ অক্টোবর হানা দেয় ইডি। সেখানেই যাবতীয় তথ্য মেলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Birbhum: সালিশী সভায় টাকা দিয়ে ধর্ষণের রফা! লজ্জায় বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা আদিবাসী নাবালিকার

    Birbhum: সালিশী সভায় টাকা দিয়ে ধর্ষণের রফা! লজ্জায় বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা আদিবাসী নাবালিকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্ষণের অপমান সহ্য করতে না পেরে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করল এক আদিবাসী নাবালিকা। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) পাড়ুই থানার গোপালনগর গ্রামের পশ্চিমপাড়া এলাকায়। আপাতত হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সে। এই ঘটনা সামনে আসতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)

    গত ২৫ অক্টোবর বীরভূমের (Birbhum) পাড়ুই থানার গোপালনগর গ্রামে রাতের বেলায় কবাডি খেলার অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানে সকলেই খেলা দেখতে গিয়েছিলেন। নির্যাতিতার বাড়ির লোকজনও কেউ ছিলেন না। অভিযোগ, বাড়ি ফাঁকার সুযোগে পাশের গ্রামের রাজেন মুর্মু নামে এক যুবক বাড়িতে ঢুকে এই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পরেই এলাকায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়ায়। পরিবারের দাবি, স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানের নেতৃত্বে ঘটনার পরে বসানো হয় সালিশি সভা। সেখানে ৫০ হাজার টাকায় গোটা ঘটনার রফাও করা হয়। এরকম একটি প্রস্তাব শুনে লজ্জায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে ওই নির্যাতিতা। সালিশি সভার পর সেই আদিবাসী নাবালিকা লজ্জায় শুক্রবার দুপুরবেলায় বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে। পরিবারের লোকজন ও গ্রামবাসীরা নাবালিকাকে উদ্ধার করে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। পরিবার সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। এই ঘটনায় অভিযুক্ত রাজেন মুর্মুও গা ঢাকা দিয়েছে। শনিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় এলাকাজুড়ে। স্থানীয় কসবা পঞ্চায়েত এবং পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, নির্যাতিতার বাড়িতে ঢুকে যে ঘটনা ঘটানো হয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না। সালিশি সভা বসিয়ে টাকা দিয়ে যে বা যারা রফা করার চেষ্টা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ, এই ধরনের ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য। অবিলম্বে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah:দুর্গা পুজো নয় হাওড়ার খালনা মেতে ওঠে লক্ষ্মী পুজোয়

    Howrah:দুর্গা পুজো নয় হাওড়ার খালনা মেতে ওঠে লক্ষ্মী পুজোয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: না দুর্গা পুজো বা কালী পুজো নয়, হাওড়া (Howrah) জেলার শেষ সীমান্তে খালনা গ্রাম, কেবলমাত্র লক্ষ্মী পুজোতেই মেতে ওঠে। শতবর্ষের পুরাতন লক্ষ্মী পুজোর ঐতিহ্য বহন করছে এই গ্রাম। গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নবকুমার সানা জানিয়েছেন, সরকারি খাতায় সব পুজো নেই। কিন্তু এই গ্রামে শতাধিক লক্ষ্মী পুজো হয়। অনেক পুরাতন সময়ের ইতিহাসকে বহন করে চলেছে এই এলাকার লক্ষ্মী পুজো।

    অপরদিকে উত্তর দিনাজপুরে দুর্গাপুজো নয়, লক্ষ্মীপুজোকে ঘিরেই আনন্দে মাতেন রায়গঞ্জের টেনহরি গ্রামের বাসিন্দারা। তাই সারা বছর ধরে এই লক্ষ্মী পুজোর অপেক্ষাতে দিন যাপন করেন স্থানীয় মানুষ। এলাকার বাসিন্দাদের অনেক আত্মীয়-পরিজনই লক্ষ্মীপুজোর সময়ে আসেন পুজো ও মেলার টানে।

    খালনার লক্ষ্মী পুজো (Howrah)

    রাজ্যের বিখ্যাত লক্ষ্মীপুজো বলতে সর্বপ্রথম মনে আসে হাওড়ার (Howrah) জয়পুরের খালনার লক্ষ্মীপুজো। এই ক্লাবের পুজো এবারে ১০৩ বছরে পড়ল। রেডিও দিয়ে পশ্চিম খালনা রাজবংশী পাড়া বারোয়ারি লক্ষ্মী পুজোর মন্ডপ নির্মিত হয়েছে। মন্ডপের সামনে একটা বড় রেডিও তৈরি করা হয়েছে।‌ আর সেখানেই শোনা যাচ্ছে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের চন্ডীপাঠ‌। আবার খালনা গ্রামের ক্ষুদিরায়তলা কোহিনুর ক্লাবের লক্ষ্মীপুজো ১৫৭ বছরে পদার্পণ করল। এই মন্ডপে তুলে ধরা হয়েছে জঙ্গলের পরিসরকে। রয়েছে প্রধান চরিত্রে মুগলি। এছাড়াও রয়েছে মুগলির বন্ধু জঙ্গল, মৌমাছি সহ মধুর চাক, ভল্লুক, বাঘও। সেই সঙ্গে আমরা সবাই ক্লাবের পুজো, তুঙ্গারনাথের মন্দিরের আদলে গড়া মণ্ডপ। একই ভাবে চোখে পড়েছে ‘সহজ পাঠ’-এর মণ্ডপ ভাবনা। হাওড়ার আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল বলেন, “খালনার এই ঐতিহ্যবাহী লক্ষ্মী পুজোকে সর্বাঙ্গ সুন্দর করতে সম্পূর্ণ সচেষ্ট রয়েছে প্রশাসন।”

    ভালো ফলনের জন্য হয় লক্ষ্মী পুজো

    হাওড়ার (Howrah) পাশাপাশি টেনহরির লক্ষ্মীপুজোর মূল আকর্ষণ হল লক্ষ্মী প্রতিমা নিয়ে মেলা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকার এক বাসিন্দা সুধন্যচন্দ্র দাস আজ থেকে আনুমানিক ৭০ বছর আগে, এই প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় লক্ষ্মীপুজোর সূচনা করেছিলেন। তিনি ওপার বাংলায় ঢাকা জেলার সমরসিং এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। সেখানেও বড় করে পুজোর আয়োজন হতো। এদেশে আসার পর, এই এলাকায় ভালো ফলন ও এলাকার প্রতিটি গরীব মানুষের ঘরে যাতে সম্পদ আসে, সেই কামনায় লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করেছিলেন তিনি। এখানে লক্ষ্মী মায়ের সঙ্গে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নারায়ণেরও পুজো করা হয়। পুজোতে লক্ষ্মী-নারায়ণের পাশে জয়া ও বিজয়ার উপস্থিতিও লক্ষ্য করা যায়। রায়গঞ্জ ব্লকের বর্ধিষ্ণু গ্রাম টেনহরির পুজো, এতটাই খ্যাতি অর্জন করেছে যে শুধু রায়গঞ্জ শহর নয়, মালদহ থেকে শুরু করে দক্ষিণ দিনাজপুর ও বিহারেরও প্রচুর মানুষ, এখানে প্রতিবছর লক্ষ্মীপুজোর উৎসব দেখতে আসেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mukul Roy: মুকুলের একাকী, নিঃসঙ্গ ছবি সামনে আসতেই কটাক্ষের ঝড় নেটিজেনদের, কী বললেন শুভ্রাংশু?

    Mukul Roy: মুকুলের একাকী, নিঃসঙ্গ ছবি সামনে আসতেই কটাক্ষের ঝড় নেটিজেনদের, কী বললেন শুভ্রাংশু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটা সময় শুধু মিটিং, মিছিল নয়, ঘরোয়া  বৈঠকে তাঁকে ঘিরেই সবসময় থাকতেন অনুগামীরা। তাঁকে বাংলার রাজনীতির চাণক্য বলা হত। সেই মুকুল রায় (Mukul Roy) এখন কার্যত একাকী, নিঃসঙ্গ। রাজনৈতিক প্লাটফর্মেও আর তাঁর সেভাবে দেখা মেলে না। বাড়িতে তাঁকে ঘিরে অনুগামীদেরও আর কোনও ভিড় নেই। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় মুকুল রায়ের অসুস্থ, জীর্ণ ছবি সামনে আসতেই একের পর এক প্রশ্ন বাণে বিদ্ধ করা হয় তৃণমূলের প্রাক্তন সেকেন্ড ইন কমান্ডকে।

    মুকুলের ছবি দেখে কী লিখলেন নেটিজেনরা? (Mukul Roy)

    দলের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে মুকুল রায় তৃণমূলে ছিলেন। তিনি রাজ্যসভার সাংসদ মনোনীত হয়েছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পুলিশ প্রশাসন, আমলাদের নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে দলের অন্দরে চর্চিত ছিল। এমনকী বিধায়ক বা সাংসদের টিকিট পেতে গেলেও তাঁর সবুজ সংকেতের প্রয়োজন হত। কাঁচরাপাড়ায় আসলে তাঁকে ঘিরে থাকতেন এক ঝাঁক অনুগামী। রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতা আসার কিছুদিনের মধ্যে তাঁর সঙ্গে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়তে থাকে। দলের অন্দরে গুঞ্জন রয়েছে, তৃণমূলে অভিষেকের উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে দলে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েন তিনি।  পরবর্তীতে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। তিনি গত বিধানসভায় নদিয়ার কৃষ্ণনগর বিধানসভা থেকে বিজেপি প্রতীকে জয়ী হয়ে বিধায়ক নির্বাচিত হন। কয়েকমাস পরই তিনি ছেলে শুভ্রাংশু রায়কে নিয়ে তিনি অভিষেকের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন। পরবর্তীতে তিনি নিজে একাই দিল্লি গিয়ে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তৃণমূল দলটা আর করা যায় না বলে তিনি উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। ফলে, তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান এখনও স্পষ্ট নয়। এরই মাঝে নতুন করে তাঁর এই ছবি সামনে আসতেই নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন অনেকে। সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁর এই ছবি পোস্ট করে অনেকে নানা ধরনের কমেন্ট লিখেছেন। দুদিন আগে বাঁকুড়া জেলার এক বিধায়ক হরকালী প্রতিহার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। মুকুল রায়ের এই ছবি পোস্ট করে একজন সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘বাঁকুড়ার দলত্যাগী বিধায়ক হরকালী প্রতিহারেরও একদিন এই হাল হবে।’ কেউ আবার লিখেছেন, ‘পাপ বাপকেও ছাড়ে না।’ কেউ লিখেছেন, ‘মুকুল ঝড়ে পড়েছে।’

    বাবার ছবি নিয়ে নেটিজেনদের কী প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু?

    পরিস্থিতি এতটাই জটিল আকার নিয়েছে পরিবারের লোকজন চরম বিড়ম্বনায় পড়েছেন। মুকুল (Mukul Roy) পুত্র শুভ্রাংশু এই সোশ্যাল মিডিয়াকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘বর্তমানে বাবার অসুস্থতা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি প্রকাশিত করেছে, সেই ছবি নিয়ে অনেকে অনেক কিছু বলছেন। হ্যাঁ, তিনি সত্যিই অসুস্থ, ২৫ বছর ধরে ব্লাড সুগারের সঙ্গে লড়াই চালাতে চালাতে তিনি এখন ডিমেনশিয়া, পারকিনসন ও লিভারের সমস্যায় ভুগছেন এবং তার সঙ্গে বয়সজনিত কারণে মুত্রথলিতেও একটি সমস্যা দেখা দিয়েছে। হ্যাঁ, তিনি সত্যিই খুবই অসুস্থ। আমি তার পুত্র হিসাবে এর মধ্যে থেকে বলতে বাধ্য হচ্ছি, কিছু লোক তাদের শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। ….আর খোঁজ নেওয়ার প্রশ্নে এইটুকু বলে রাখতে পারি যে,আমাদের দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী শত ব্যস্ততার মধ্যেও নিজে বাবার খোঁজ নেন প্রতিটি সময়ে। আমাদের নেতৃত্ব অভিষেক ব্যানার্জি ও তার ব্যস্ততার ফাঁকে বাবার খোঁজ নেন সবসময়। সকলের কাছে আমার করজোড়ে নিবেদন, শুধু আমার বাবা কেন, কোনও অসুস্থ মানুষের অসুস্থতা নিয়ে ছেলেখেলা করবেন না, কটাক্ষ করবেন না। এইটুকুই বলার ছিল।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘রেশন ডাকাত সংকটজনক নয়’’! বিস্ফোরক ট্যুইট শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘রেশন ডাকাত সংকটজনক নয়’’! বিস্ফোরক ট্যুইট শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট ঘিরে শোরগোল পড়েছে। শুভেন্দু তাঁর পোস্টে একটি শীররিক পরীক্ষার রিপোর্ট তুলে ধরেছেন। দাবি করেছেন সেটি “বাংলার মোস্ট ওয়ান্টেড ডায়াগনস্টিক রিপোর্ট”। রিপোর্টটি ‘রেশন ডাকাত’-এর, যার ডাক নাম ‘বালু ব্যক্তি’। শুভেন্দুর পেশ করা রিপোর্টে বেশ কয়েকটি পরীক্ষার ফলও উল্লেখ করা হয়েছে। শেষে রিপোর্ট কার্ডটিতে লেখা রয়েছে, ‘সংকটজনক নয়’। এই পোস্ট ঘিরে আলোচনার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল সাইটে।

    কেমন আছেন বালু

    রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডি শুক্রবারই গ্রেফতার করেছে রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। তাঁকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই নির্দেশ শোনার পরই এজলাসের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু। আদালত কক্ষেই চেয়ার থেকে পড়ে যান তিনি। বমিও করে ফেলেন। এরপরই তাঁকে আদালতের নির্দেশে বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। হাতপাতাল সূত্রে খবর, আপাতত মন্ত্রীর শীররিক অবস্থা স্থিতিশীল। সোমবারের পর তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হতে পারে।

    আরও পড়ুুন: মুছে গেল ‘ইন্ডিয়া’, রেলের ‘ভারত’ নামের প্রস্তাবে সিলমোহর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার

    চর্চায় মেরুন ডায়েরি

    রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে (Ration Distribution Scam Cae) চর্চায় রয়েছে ‘মেরুন ডায়েরি’। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক-ঘনিষ্ঠ (Jyotipriyo Mallick) হাওড়ার অভিজিৎ দাসের বাড়ি থেকে মিলেছে ‘মেরুন ডায়েরি’, এমনই দাবি করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। ডায়েরির উপরে লেখা ‘বালুদা’। ডায়েরির ভিতরে কোটি কোটি টাকার লেনদেনের হিসেব লেখা আছে বলে দাবি জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এই ডায়েরি নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুদার (Sukanta Majumdar)। সোশাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, ‘রেশন কেলেঙ্কারি বিচার পাক, মেরুন ডায়েরি পথ দেখাক। কে নিয়েছে ? কত নিয়েছে ? কবে নিয়েছে ? তৃণমূলের দুর্নীতির রাজত্বের রাজসাক্ষী হয়ে দাঁড়াবে কি ‘বালু দা’ লেখা মেরুন ডায়েরি ?’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share