Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Vande Bharat: হাওড়ায় বন্দে ভারতে উঠতে গিয়ে বিপত্তি! মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলেন যাত্রী

    Vande Bharat: হাওড়ায় বন্দে ভারতে উঠতে গিয়ে বিপত্তি! মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলেন যাত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার সাত সকালে হাওড়া স্টেশনে বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেসে যে ঘটনা ঘটল দেখে কার্যত হতবাক রেল কর্মী থেকে যাত্রী সকলেই। এভাবে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসার জন্য স্টেশনে কর্তব্যরত আরপিএফ কর্মী বিনোদকুমার চৌধুরীকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন সকলে। আর বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সেই যাত্রী এখনও বেঁচে ফিরে আসার অভিজ্ঞতা ভাবলেই আঁতকে উঠছেন। আপাতত তাঁকে হাওড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রেলের আধিকারিকরা বলছেন, ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে ওঠার ব্যাপারে রেলের তরফে বারবার যাত্রীদের সতর্ক করা হচ্ছে, তা সত্ত্বেও একশ্রেনির যাত্রীদের হুঁশ ফিরছে না।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    মঙ্গলবার সকালে হাওড়া স্টেশনের নিউ কমপ্লেক্সের ২১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাড়িয়েছিল হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat)। সকাল ৬টা ১০ মিনিটে ছাড়া কথা ছিল ট্রেনটির। সেই মতোই ট্রেনটি পুরীর উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েছিল। ট্রেনটি নির্দিষ্ট সময়ে প্ল্যাটফর্ম ছাড়ার সময়ই দাঁড়িয়েছিল। ট্রেনটি নির্দিষ্ট সময়ে প্ল্যাটফর্ম ছাড়ার সময়ই বিপত্তি ঘটে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে উঠতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন এক যাত্রী। চলন্ত ট্রেনে ওঠার সময় ওই যাত্রীর পা পিছলে যায়। পড়ে গিয়ে তাঁর একটি পা ট্রেন এবং প্ল্যাটফর্মের মাঝখানে আটকে যায়। একটি ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ট্রেন এবং প্ল্যাটফর্মের মাঝে পা আটকে যায় তাঁর। ওই যাত্রী মরিয়া হয়ে পা বার করে আনার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে ঘষা খেয়ে কয়েক মিটার এগিয়ে যান তিনি। সেই দৃশ্য দেখতে পেয়ে ওই যাত্রীকে বাঁচাতে ছুটে আসেন স্টেশনে কর্তব্যরত আরপিএফ কর্মী বিনোদকুমার চৌধুরী। ট্রেনের ভিতর থেকেও এক জন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। টেনে তোলেন ওই যাত্রীকে। অল্পের জন্য রক্ষা পান ওই যাত্রী।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা কী বললেন?

    উচ্চগতির বন্দে ভারত ট্রেন (Vande Bharat) তখন সবেমাত্র স্টেশন ছেড়েছে, আর লাগেজ কাঁধে সেই চলন্ত ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করছিলেন ওই যাত্রী। চোখের সামনে দেখলাম, ওই যাত্রী পা হড়কে প্রায় ট্রেনের ভিতর দিয়ে ঢুকে যাচ্ছেন। কর্তব্যরত আরপিএফ অফিসার ছুটে গিয়ে তাঁকে রক্ষা করেছেন। না হলে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jaynagar Snake Recover: বাড়ির গর্ত থেকে উদ্ধার ২২টি কেউটে সাপ! তীব্র উত্তেজনা জয়নগরে

    Jaynagar Snake Recover: বাড়ির গর্ত থেকে উদ্ধার ২২টি কেউটে সাপ! তীব্র উত্তেজনা জয়নগরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেবারে গর্তের মধ্যে কিলবিল করছে ২২ টি কেউটে সাপ (Jaynagar Snake Recover)। দক্ষিণ ২৪ পরগণার জয়নগর ২ নম্বর ব্লকের বকুলতলা থানায় এলাকায় মিনতি রুইদাসকে একটি সাপ ছোবল দেয়। এরপর আহত এই মহিলাকে জয়নগর ১ নম্বর ব্লকের পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত সেখানেই তাঁর চিকিৎসা হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে সাপের কামড়ের ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এলাকার মানুষ, সাপকে না মেরে সর্প উদ্ধারকারীকে খবর দেয় এবং এরপর একসঙ্গে ২২ টি সাপ উদ্ধার হয়। উদ্ধারকৃত সাপগুলি রীতিমতো কিলবিল করছিল।  

    সাপ দেখলেই একেবারে আঁতকে ওঠার উপক্রম হয়। গা ছমছম করে ওঠে। তবে সব সাপের বিষ যে থাকে এমনটাও নয়। সাপ দেখলেই মানুষের মধ্যে একপ্রকার আতঙ্ক তৈরি হয়ে যায়। একই ভাবে সাপও মানুষের উপস্থিতিতে ভয়ার্ত হয়ে যায়।

    উদ্ধার ২২ টি কেউটে সাপ (Jaynagar Snake Recover)

    বকুলতলা থানা এলাকায় মিনতি রুইদাসকে কেউটে সাপ (Jaynagar Snake Recover) কামড়ালে, এলাকার মানুষ সর্পপ্রেমী সমরেন্দ্র চক্রবর্তীকে খবর দেয়। কারণ বাড়ির লোকজনের সন্দেহ ছিল আরও সাপ রয়েছে। ঘটনায় বাড়ির লোকজন একেবারে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। এরপর সমরেন্দ্রবাবু সাপগুলিকে মারার বদলে উদ্ধার করেন। বাড়ির সীমানায় এক গর্ত থেকে ২২টি কেউটে সাপ উদ্ধার করেন তিনি। রীতিমতন নিজের জীবনকে সঙ্কটের মধ্যে ফেলে, এই সাপগুলিকে উদ্ধার করেন তিনি। সাপকে উদ্ধার করে আপাতত একটি জারের মধ্যে প্রাথমিকভাবে রাখা হয়। এরপর দক্ষিণ ২৪ পরগণার বনদফতরে খবর দিয়ে সাপগুলিকে হস্তান্তর করা হয়। পরে বনদফতরের কর্মীরা সাপগুলিকে নিয়ে সংরক্ষিত উদ্যানে ছেড়ে দেয়।

    সর্পপ্রেমীর বক্তব্য

    প্রকৃতির বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষায় সাপের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কেউটে সাপ ধরে সর্পপ্রেমী সমরেন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, “আমি সাপগুলিকে মারতে নিষেধ করি। সাপ প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে। তাই সাপকে বাঁচিয়ে রাখা পরিবেশের জন্য একান্ত প্রয়োজন। এরপর সাপগুলিকে (Jaynagar Snake Recover) উদ্ধার করে বনদফতর বিভাগ নিয়ে যায়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: স্কুল গেটের বাইরে অভিনব ‘বন্যাশ্রী’ পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভে পড়ুয়ারা, কেন জানেন?

    Murshidabad: স্কুল গেটের বাইরে অভিনব ‘বন্যাশ্রী’ পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভে পড়ুয়ারা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পায়ের তলায় জল। স্কুল গেটের সামনে দাঁড়িয়ে হাতে অভিনব ‘বন্যাশ্রী’ পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভে পড়ুয়ারা। এমনই চিত্র দেখা গেল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফরাক্কা ব্লকের নয়নশুক পঞ্চায়েতের দীপচন্দ্রপুর হাজারপুর জুনিয়র হাইস্কুলে। রাজ্যে ‘কন্যা’দের পড়াশোনার অগ্রগতির জন্য কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। সেই পড়ুয়াদের স্কুলের বেহাল রাস্তা ও নিকাশি সংস্কারের দাবিতে অভিনব ‘বন্যাশ্রী’ পোস্টার নিয়ে প্রতিবাদ এলাকার মানুষ কখনও দেখেননি। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত ক্ষোভ উগরে দেয় পড়ুয়ারা।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    অতিবৃষ্টির পর থেকে রাজ্যের একাধিক স্কুলের ভেতর জলা জমার চিত্র উঠে এসেছে। অনেক জায়গায় মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) স্কুলের বেহাল দশার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন পড়ুয়া থেকে শুরু করে অভিভাবকরাও। এই স্কুলের ভিতরে হাঁটু সমান জমা জল। সেই জমা জল দিয়েই স্কুলে ঢুকতে বাধ্য হচ্ছে ছাত্র- ছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকা সকলকেই।  প্রশাসনকে বলেও কোনও কাজ হয়নি। আর ঠিক তারই প্রতিবাদে হাতে ‘বন্যাশ্রী’ পোস্টার নিয়ে প্রতিবাদ পড়ুয়াদের। সঙ্গে জমা জলে ছোট নৌকা চালিয়ে মাছ ধরে অভিনব কায়দায় বিক্ষোভ দেখাল স্কুল পড়ুয়া ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

    স্থানীয় অভিভাবকদের কী বক্তব্য?

    ক্ষুব্ধ অভিভাবকদের অভিযোগ, টানা কয়েকদিনের বৃষ্টির ফলে স্কুলের ভিতরে ও বাইরে ব্যাপক জল জমে রয়েছে। ফলে ওই জল পেরিয়ে স্কুলের পড়ুয়াদের স্কুলে আসতে হচ্ছে। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদেরও ওই জল পেরিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হচ্ছে। বারবার স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। তাই, রাস্তা নেমে আন্দোলন করা ছাড়া উপায় ছিল না। আর পড়ুয়াদের সমস্যা বলে তাঁরা নিজেরা পোস্টার নিয়ে আন্দোলনে সামিল হয়।

     বেহাল দশায় ক্ষুব্ধ শিক্ষক- শিক্ষিকাদের কী বলেন?

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) স্কুলের এরকম বেহাল দশায় ক্ষুব্ধ শিক্ষক- শিক্ষিকারাও। তাঁদের বক্তব্য, এরকম জল জমলে তো আমাদের আসা যাওয়ার অসুবিধা হচ্ছে। এমনিতেই জেলায় ডেঙ্গি বাড়ছে। স্কুলের ভিতরে এবং রাস্তায় জমা জল থাকলে ডেঙ্গি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি অবিলম্বে দেখা দরকার। কিন্তু, সব জায়গায় জানিয়েও আমরা লাভ পায়নি। তাই, এইভাবে প্রতিবাদ জানাতে বাধ্য হয়েছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতা অরুণময় দাস বলেন, বৃষ্টির কারণেই এই জল জমার সমস্যা তৈরি হয়েছে। এখানে নিকাশি ব্যবস্থার কিছু সমস্যা আছে। সেই কারণেই জল জমে থাকছে। নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করলে অনেকটা সমস্যা মিটবে। এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: আমফানের পর চার বছর ধরে ক্লাস চলছে গাছতলায়! ঘুম ভাঙেনি প্রশাসনের

    South 24 Parganas: আমফানের পর চার বছর ধরে ক্লাস চলছে গাছতলায়! ঘুম ভাঙেনি প্রশাসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে শাসক দলের নেতারা বারবার বলেন ‘উন্নয়ন রাস্তায়’। কিন্তু উন্নয়ন কতটা কঙ্কাল সার শূন্য, তার বাস্তব চিত্র চোখে পড়ল দক্ষিণ ২৪ পরগণার (South 24 Parganas) নামখানার এক প্রত্যন্ত স্কুলে। প্রায় চার বছর ধরে কখনও গাছ তলায়, কখনও ভাঙা স্কুলের বাইরের দালানে, আবার কখনও রান্না ঘরের বারান্দায় চলছে পড়াশুনা। ছাত্রদের কোনও ক্লাসের ঘর নেই!। প্রশাসনের কাছে বার বার জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। প্রশাসন নির্বিকার, এলাকায় দেখা মেলে না নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের।

    আমফানের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় ত্রাণের ত্রিপল, চাল, ঘরের টাকা, প্রয়োজনীয় ঔষধের টাকা চুরির অভিযোগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। এলাকার উন্নয়নের টাকায় তৈরি হয়েছে তৃণমূল নেতাদের বাড়িঘর-গাড়ি। কেউ বানিয়েছেন লাভ বাড়ি আবার কেউ তৈরি করেছেন সুবিশাল জাহাজ বাড়ি। কিন্তু এই উন্নয়নের জোয়ারে চাপা পড়ে গেছে সরকারি স্কুলঘর। এখনও তৈরি হলনা ছাত্রছাত্রীদের জন্য ক্লাস ঘর। তাই এলাকার মানুষ, স্কুল ঘর তৈরি নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দিলেন।

    নেই স্কুল ঘরের কোনও চাল (South 24 Parganas)!

    দেখতে দেখতে আমফান ঝড়ের চার বছর পূর্ণ হয়ে গেল। আমফানে উড়েছে স্কুলের চাল, নেই ঘরের মধ্যে বসে ক্লাস করার মতন উপযুক্ত পরিবেশ। স্কুলের বেহাল দশা নিয়ে প্রশাসন নির্বিকার। ছাত্রছাত্রীরা কখনও গাছ তলায়, কখনো ভাঙা স্কুলের দালানে বসে কষ্ট করে পড়াশুনা করে। এইরকম বেহাল পরিস্থিতির শিকার হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার নামখানা ব্লকের দ্বারিক নগর ভিআই লেলিন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও শিশু শিক্ষা কেন্দ্র। দ্বারিক নগর এলাকার এই স্কুলটির সকালে আইসিডিএস অর্থাৎ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এবং বেলা ১১ টা থেকে এসএসকে অর্থাৎ শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনা হয়। স্কুলের পাশে রয়েছে ১২ ফুট বাই ১৪ ফুট একটি রান্নাঘর, রান্না ঘরের সামনে রয়েছে একটি ছোট্ট বারান্দা, আর সেই বারান্দার মাপ বড়জোর ৬ফুট বাই ১৪ ফুট।

    এলাকাবাসীর বক্তব্য

    আমফান ঝড়ে মূল স্কুলটির (South 24 Parganas) টিনের চাল উড়ে যায়। আর তারপর থেকে আজও ২০২৩ -এর অক্টোবরে এসে গেলেও স্কুলের কোনও সংস্কার হয়নি। এলাকাবাসী তাপসী নাইয়া বলেন, “স্কুলের ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীদের গাছ তলায় বসে পড়াশুনা করতে হয়। বৃষ্টিবাদল হলে ভাঙা স্কুলের বারান্দায় বসে পড়াশোনা সারতে হয় তাদের।” এছাড়া আরও এক ছাত্রের অভিভাবক সম্ভু দাস বলেন, “স্থানীয় প্রশাসনকে বারবার লিখিত দিয়েও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। আন্দোলন করে এখনও পর্যন্ত সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়নি।”

    স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার বক্তব্য

    এসএসকে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা উষাবাজ (South 24 Parganas) বলেন, “গত কয়েক মাস আগে স্কুল সারাই করার জন্য লোক এলেও, গ্রামের লোকজন বা অভিভাবকরা এই কাজ করতে দেননি। গ্রামের লোকজনের দাবি পাকাপোক্ত কংক্রিটের ছাদ করতে হবে। কারণ সিমেন্টের টিনে তৈরি বাড়িতে তাঁদের ভরসা নেই। এই কথা সমর্থন করেছেন নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অভিষেক দাস, তবে তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, “কিছুদিনের মধ্যেই চেষ্টা করবেন যাতে স্কুলের কাজ করা যায়।”

    কিন্তু প্রশ্ন হল বিগত দিনেও প্রশাসন একইভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, আবার প্রতিশ্রুতি! এবার কি প্রতিশ্রুতি মত কাজ হবে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: প্রধানের কাছে ত্রিপল চেয়ে তৃণমূল কর্মীর জুটল মার, শাসক দলের কীর্তি দেখে তাজ্জব এলাকাবাসী

    Murshidabad: প্রধানের কাছে ত্রিপল চেয়ে তৃণমূল কর্মীর জুটল মার, শাসক দলের কীর্তি দেখে তাজ্জব এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের প্রধানের কাছে ত্রিপল চাইতে গিয়ে এরকম ভয়ানক পরিণতি হবে তা স্বপ্নেও ভাবেননি মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরদিঘি ব্লকে গোবর্ধনডাঙা এলাকার বাসিন্দা শিলু মণ্ডল। যারা ভোট দিয়ে পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় এনেছিলেন, সেই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে দলের পঞ্চায়েত প্রধানের নেতৃত্বে এভাবে হামলা চালানোর ঘটনা ঘটবে তা এলাকার মানুষও ভাবেননি। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক দিন ধরে ভারী বৃষ্টির কারণে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) গোবর্ধনডাঙা অঞ্চলের কয়েকটি মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্তরা স্থানীয় তৃণমূল কর্মী শিলু মণ্ডলকে বিষয়টি জানান। তিনি প্রধানকে ফোন করে ত্রিপলের জন্য আবেদন জানান। প্রধানের স্বামী স্বপন হাঁসদা ফোন তুলে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এতে দুপক্ষের মধ্যে বচসা হয়। এরপরই প্রধান ও তাঁর স্বামী দলবল এনে ওই তৃণমূল কর্মীকে পাড়ার সকলের সামনে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। এমনকী তাঁর স্ত্রী মমতা মণ্ডল স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তাঁকেও বেধড়ক পেটানো হয়।

    আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর কী বক্তব্য?

    আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী শিলু মণ্ডল বলেন, সামান্য ত্রিপলের জন্য এভাবে প্রধান দলবল নিয়ে এসে হামলা চালাবে তা ভাবতে পারিনি। এলাকার মানুষের জন্য আমি কাজ করেছি। এটাই আমার অপরাধ। যাদের ভোট পেয়ে তৃণমূল বোর্ড গঠন করল তারা এভাবে হামলা চালাল। দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছি। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।

    অভিযুক্ত প্রধানের কী বক্তব্য?

    পঞ্চায়েত প্রধান পার্বতী হাঁসদা বলেন, আমি টোটো করে বাড়ি ফিরছিলাম। রাস্তা আটকে আমাকে ওরা ত্রিপল চাওয়ার কথা বলে। আমি পঞ্চায়েতে আবেদন জানাতে বলি। কিন্তু, ওরা তা না শুনে আমার উপর চড়াও হয়। আমার স্বামী বাধা দিতে গেলে তাঁকে ওরা মা়রধর করে। আসলে ওরা মদের ঠেক চালায়। আমি তার প্রতিবাদ করেছিলাম বলে ওরা এসব মিথ্যা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Crocodile: মাঝরাতে দুয়ারে দাঁড়িয়ে ওটা কী! ১০ ফুটের কুমির দেখে থ কালনাবাসী

    Crocodile: মাঝরাতে দুয়ারে দাঁড়িয়ে ওটা কী! ১০ ফুটের কুমির দেখে থ কালনাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাড়ার মধ্যে রাস্তায় থাকা সরমেয়রা তারস্বরে চিৎকার করছিল। মাঝ রাতে পাড়ায় চোর ঢুকেছে ভেবে অনেকে বাড়ির দরজা খুলে বেরিয়ে আসেন। অনেকে আবার সারমেয়দের চিৎকার থামাতে ঘর থেকে বের হন। একেবারে পাড়ার রাস্তার মধ্যে ১০ ফুট লম্বা কুমির (Crocodile) দেখে এলাকাবাসী তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন। সারমেয়দের সঙ্গে মাঝরাতে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসা লোকজনও প্রচণ্ড চিৎকার করতে থাকেন। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে রাস্তাতে কুমির দেখে হতবাক হয়ে পড়েন। সোমবার রাত দেড়টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনা ১০ নম্বর ওয়ার্ডের পালপাড়া এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Crocodile)

    এমনিতেই কয়েকদিন আগে অগ্রদ্বীপের কালিকাপুর ফেরিঘাট খুলতে এসে অভিজিৎ হালদার নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা গঙ্গার চরে ১২ ফুট লম্বা কুমিরকে শুয়ে থাকতে দেখেছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হতেই কুমির দেখতে ভিড় উপচে পড়েছিল। পরে, বন দফতর এসে কুমিরটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এর আগেও গঙ্গার ধারে কুমির আসা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল। এই সব ঘটনার জের মিটতে না মিটতে এবার কালনায় পাড়়ার মধ্যে কুমির (Crocodile) ঢুকে যাওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন। রাত দেড়টা নাগাদ পালপাড়ায় কুমির দাপিয়ে বেড়ানোর খবর জানাজানি হতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে ভয়ে দরজা, জানলা লাগিয়ে ঘরবন্দি হয়ে বসে থাকেন। আর অনেকেই সারা রাত জেগে রাত পাহাড়া দিয়েছেন।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এতদিন গঙ্গায় কুমির (Crocodile) দেখা গিয়েছে বলে শুনেছি। কিন্তু, এভাবে বাড়ির দরজায় এতবড় কুমির হাজির হবে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। কালনার বন দফতরের কর্মী, পুলিশ প্রশাসন এসে দড়ি দিয়ে এলাকাটি ঘিরে দেয়। রাত ভর ভিড় ছিল। সকাল হতেই পিল পিল করে মানুষ কুমির দেখতে ভিড় করে। তবে, এই ঘটনার পর থেকে এই এলাকার মানুষ চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। সন্ধ্যা নামলেই ভয়ে কেউ আর বাড়়ির বাইরে বের হওয়ার সাহস দেখাবে না। প্রশাসনের অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার।

    বন দফতরের কী বক্তব্য?

    বন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, বিষয়টি জানার পরই কুমিরটিকে (Crocodile) উদ্ধার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কীভাবে কুমির লোকালয়ে এল তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। আমরা সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘সেচমন্ত্রী থাকাকালীন বন্যা নিয়ন্ত্রণে আরামবাগের জন্য কাজ করতে দেয়নি’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘সেচমন্ত্রী থাকাকালীন বন্যা নিয়ন্ত্রণে আরামবাগের জন্য কাজ করতে দেয়নি’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলমগ্ন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে খানাকুল ও পুরশুড়া এলাকা পরিদর্শনে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কোথাও দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করে তাদের অভাব অভিযোগ শোনেন, আবার কোথাও ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন দুর্গতদের হাতে। আর এর মাঝেই বন্যা দুর্গতদের প্রতি বঞ্চনা করা হচ্ছে বলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন তিনি।

    বন্যা নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari)

    এদিন প্রথমে পুরশুড়ার দিগরুই ঘাট এলাকায় যান তিনি। সেখানে দুর্গতদের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেওয়ার পর খানাকুলের হানুয়া এলাকায় যান তিনি। সেখানেও পথসভা পাশাপাশি দুর্গতদের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন তিনি। পাশাপাশি জলমগ্ন এলাকায় গিয়ে জলে নেমে জলবন্দি মানুষদের সঙ্গেও কথা বলন। বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, রাজ্য সরকার চায় খানাকুল ও পুরশুড়ায় বন্যা হোক। কোটি কোটি টাকা বাঁধ সংস্কারে খরচ না করে ভোটের সময় মানুষের হাতে অল্প টাকা তুলে দিলেই ভোট পাবে বলে মনে করে বর্তমান শাসক দল। আর সেই কারণেই কোথাও কোনও সংস্কার হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। এমনকী এই দুর্যোগে রাজ্য নেতাদের কারও দেখা নেই বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, তৃণমূল সাংসদ খানাকুলে বন্যা মানুষদের বিস্কুট দিতে গিয়েছিলেন সেখানের লোক তাকে তাড়া করেছিলেন।

    মমতা-অভিষেককে নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

     আরামবাগের পুরশুড়ার দিগড়ুইঘাটে বন্যা কবলিত দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করতে এসে বিরোধী দোলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন, আমাকে সিবিআই যখন ডেকেছিল আমি গিয়েছিলাম, কিন্তু, ভাইপোর মতো হাইকোর্টে আমি যাইনি। তিনি আরও বলেন, মুখমন্ত্রীর অনেক হেলিকপ্টার আছে তাও তিনি একবারও বন্যা দুর্গতদের দেখতেও আসেননি। এছাড়াও আমি সেচমন্ত্রী থাকাকালীন আমাকে বন্যা নিয়ন্ত্রণে আরামবাগ মহকুমার জন্য কিছু কাজ করতে দেয়নি। মূলত, নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি আক্রমণ করলেন। রাজ্য সরকার ভোট পাওয়ার জন্য ইচ্ছে করেই আরামবাগে নদীগুলি নিয়ে কিছু কাজ করেনি বলে অভিযোগ করেন তিনি। এছাড়াও বন্যা দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলে তাদের জিজ্ঞাসা করেন, সরকারি কোনো সাহায্য পেয়েছেন কিনা।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Visva Bharati: আবেদনে সাড়া দেননি মুখ্যমন্ত্রী! ৩ কিমি রাস্তা চেয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি বিশ্বভারতীর

    Visva Bharati: আবেদনে সাড়া দেননি মুখ্যমন্ত্রী! ৩ কিমি রাস্তা চেয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি বিশ্বভারতীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামান্য তিন কিলোমিটার রাস্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানিয়েও সাড়া মেলেনি। এবার উপাসনা গৃহের সামনের রাস্তা ফেরত পাওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু-র হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এর আগে বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে শান্তিনিকেতনের উপাসনা গৃহ, ছাতিমতলা-সহ বিভিন্ন ঐতিহ্যপূর্ণ স্থানগুলির সামনে থেকে টোটো এবং বিভিন্ন খাবারের দোকানগুলিকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। এদিন বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীরা, টোটোগুলিকে ছাতিমতলা ও উপাসনা গৃহসংলগ্ন স্থান থেকে সরিয়ে দেন। একইসঙ্গে শান্তিনিকেতনের উপাসনা গৃহের সামনে থেকে সংগীত ভবন পর্যন্ত পর্যটকদের নিয়ে টোটোর যাতায়াতও নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে। বিশ্বভারতীর এই পদক্ষেপ সঠিক বলে মনে করছেন শান্তিনিকেতনে ঘুরতে আসা পর্যটকদের একাংশ।

     চিঠিতে উপাচার্য কী লিখেছেন? (Visva Bharati)

    মূলত ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ তকমা রক্ষায় যান নিয়ন্ত্রণের জন্য ৩ কিলোমিটার রাস্তাটি বিশ্বভারতীকে (Visva Bharati) দেওয়া হোক, এই মর্মে গত মাসেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রাস্তা ফেরত চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন উপাচার্য। কিন্তু, আবেদন জানিয়েও উত্তর না মেলায়, বিশ্বভারতীর পরিদর্শক তথা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি পাঠালেন উপাচার্য। ওই চিঠিতে উপাচার্য লেখেন, ‘আমরা রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে ২৫ এবং ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩-এ চিঠি পাঠিয়ে বিশ্বভারতীর রাস্তা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আন্তরিক অনুরোধ করেছি, যদিও কোনও উত্তর নেই। তাই বিশ্বভারতীকে রাস্তাটি পুনরায় দিতে আপনার হস্তক্ষেপ ও প্রচেষ্টা প্ৰাৰ্থনা করছি। ঐতিহ্য রক্ষায় সহযোগিতা করেন।’

    প্রসঙ্গত, গত ১৭ সেপ্টেম্বর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো। কবিগুরুর স্মৃতি বিজড়িত এই জায়গাকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করার পর খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়ে সমস্তমহলেই। তার আগে ২০২১ সালের অগাস্ট মাসে বিশ্বভারতী (Visva Bharati) শান্তিনিকেতন পরিদর্শনে আসে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির একটি প্রতিনিধিদল। সেই দলেরই মতামতের ভিত্তিতে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তালিকায় নাম ওঠে শান্তিনিকেতনের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Forest Man: “প্রকৃতির স্বভাবকে না মানলে উত্তর-পূর্ব ভারতও সিকিম হবে”, সতর্কবার্তা ‘ফরেস্ট ম্যানের’

    Forest Man: “প্রকৃতির স্বভাবকে না মানলে উত্তর-পূর্ব ভারতও সিকিম হবে”, সতর্কবার্তা ‘ফরেস্ট ম্যানের’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর-পূর্ব ভারতও হতে পারে সিকিমের মতন হড়পা বানের শিকার। সময়ে যদি সঠিক ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে সামনে ঘটতে পারে বড় বিপদ। প্রকৃতির স্বভাবকে না মানলে বিপর্যয়, বন্যা, হড়পা বান ইত্যাদি হতে পারে। উত্তর-পূর্ব ভারতে প্রকৃতির ভারসাম্যের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। জলপাইগুড়িতে এসে সতর্ক করলেন পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত ‘ফরেস্ট ম্যান’ যাদব পায়েং (Forest Man)।

    কী বললেন ফরেস্ট ম্যান (Forest Man)?

    প্রকৃতির স্বভাবকে অমান্য করলে প্রকৃতিক বিপর্যয় ঘটবেই। নদীর জলে প্রকৃতি সুলভ ধারাকে বাঁধ দিয়ে বাধা প্রদান করলে, সিকিমের মত ঘটনা ঘটবেই। এমনই বিস্ফোরক মন্তব্যে প্রশাসনকে সতর্ক করলেন ফরেস্ট ম্যান (Forest Man)। জলপাইগুড়িতে পরিবেশ কর্মীদের এক অনুষ্ঠানে যোগদান করে ‘ফরেস্ট ম্যান’ যাদব পায়েং বলেন, “ সিকিম হল প্রত্যক্ষ উদাহরণ, যেখনে প্রকৃতিকে ধ্বংস করে বাঁধ নির্মাণ করেছে। অপরিকল্পিত ভাবে বাঁধ নির্মাণ করায় সিকিমে বন্যা বিপর্যয় ঘটেছে। এমন ঘটনা আগে হিমাচল প্রদেশেও ঘটেছে। এইরকম চলতে থাকলে উত্তর-পূর্ব ভারতে এমন বিপর্যয় ফের নামতে পারে। অসমের হাফলং স্টেশন তৈরি করতে গিয়ে প্রচুর বৃক্ষ কাটা হয়েছিল। আজ তার ফল ভোগ করছে অসম।”

    প্রকৃতিপ্রেমী ফরেস্ট ম্যান

    জলপাইগুড়িতে পরিবেশ ভাবনার উপর কাজ করেন ফরেস্ট ম্যান যাদব পায়েং। ২০১১ সালে ভয়াবহ বিষক্রিয়ায় করলা নদীর মাছ ক্রমশ কমে যাচ্ছিল। এই সময় থেকেই প্রকৃতিপ্রেমী নামক এক সংগঠন জলপাইগুড়িতে পরিবেশ রক্ষার কাজ শুরু করেছে। এই সংস্থার ডাকেই ‘ফরেস্ট ম্যান’, আজ বিশেষ অনুষ্ঠানে এসে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। সেই সঙ্গে নদীতে মাছ ছাড়লেন এবং বৃক্ষরোপণ করলেন। ১৯৮০ সাল থেকে অসমের কলিকামুখের ঔনামুখ চাপরিতে অরণ্য গড়ে তোলেন তিনি। তাঁর সৃষ্ট সেই জঙ্গলে বর্তমানে শতাধিক হাতি, গণ্ডার সহ বেশ কিছু বন্যপ্রাণী রয়েছে। জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ‘ফরেস্ট ম্যান অফ ইন্ডিয়া’ উপাধিতে ভূষিত করে। পরবর্তী কালে তাঁকে ভারত সরকার পদ্মশ্রী সম্মান প্রদান করে।

    বানভাসি সিকিম

    কয়েকদিন আগেই সিকেমে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে বানভাসি হয় তিস্তানদী। জলের প্রবল গতির স্রোতে ভেসে গেছে নদীর পাড়ের এলাকা। মানুষের বাড়ি ঘর, দোকান, হোটেল, বাজার সব কিছু নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। মারা গেছেন অনেক মানুষ। এর প্রভাব পড়েছে তিস্তা সংলগ্ন জলপাইগুড়ি জেলাতেও। রোজ ভেসে আসছে মৃতদেহ। বহু পর্যটক আটকে পড়েছেন এখনও। নিখোঁজ অনেকেই। জাতীয় সড়ক ভেঙে পড়েছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এই পরিস্থিতি যাতে না ঘটে, তাই প্রকৃতি নিয়ে সতর্ক করলেন ফরেস্ট ম্যান (Forest Man)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Train accident: রেলে কাটা পড়ে দুই খণ্ড দেহ, তবুও কথা বলছেন! তীব্র চাঞ্চল্য মুর্শিদাবাদে

    Train accident: রেলে কাটা পড়ে দুই খণ্ড দেহ, তবুও কথা বলছেন! তীব্র চাঞ্চল্য মুর্শিদাবাদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রেনের ধাক্কায় লাইনের কাটা পড়ার কথা প্রায়ই শোনা যায়। তবে এবার ট্রেনে কাটা (Train accident) পড়ার পরও অদ্ভূত ঘটনা ঘটল। শুনেই অবাক কাণ্ড! ট্রেনের ধাক্কায় কাটা পড়ে শরীর দুই টুকরো হয়ে গেছে। এই অবস্থায়ও দুর্ঘটনায়গ্রস্ত ব্যক্তি দিব্যি কথা বলেছেন। এলাকার মানুষ ঘটনাস্থলে এসে ভিড় জমান, এরপর তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। এই রেলে কাটার পরও বেঁচে থাকার ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে মুর্শিদাবাদে।

    ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জ থানার বাসুদেবপুর স্টেশনে। তবে ব্যক্তির পরিচয় কী তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। আশ্চর্য ব্যাপার যে রেলে কাটা পড়ার পরেও সেই ব্যক্তি বেঁচে রয়েছেন। খবর পেয়ে ওই স্থানে দ্রুত পুলিশ পৌঁছায়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। 

    কীভবে ঘটল ঘটনা (Train accident)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনে চাপতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যান রেলের লাইনে এক ব্যক্তি। জামালপুর থেকে কাটোয়াগামী ট্রেন ধরতে যাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যান তিনি। এরপর ট্রেনের চাকায় দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেল ব্যক্তির দেহ। তাঁর কোমরের উপর দিয়ে চলে যায় রেলের চাকা। লাইনের একপাশে পড়ে যায় দুই পায়ের অংশ এবং অপর দিকে পড়ে যায় কোমরের উপরের অংশ। তবুও ব্যক্তি কথা বলছিলেন!

    স্থানীয় মানুষের বক্তব্য

    এই ঘটনার কথা বলতে গিয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি কামাল মণ্ডল বলেন, “ট্রেন স্টেশন থেকে ছেড়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ পা ফস্কে স্টেশন থেকে লাইনে পড়ে যান। শরীর দুই খণ্ড (Train accident) হয়ে যায়। ট্রেন চলে গেলে, আমরা তাঁকে উদ্ধার করতে গেলে, তাঁর কথাও শুনতে পাই। এরপর উদ্ধার করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথেম স্থানীয় সামশেরগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে  যাওয়া হয়। এরপর পরিস্থিতির কথা ভেবে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। ওখানেই তাঁর বর্তমানে চিকিৎসা চলছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share