Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: নিশিকান্ত মণ্ডল খুনের তদন্তে প্রশ্ন তুলে আন্দোলনের ডাক শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: নিশিকান্ত মণ্ডল খুনের তদন্তে প্রশ্ন তুলে আন্দোলনের ডাক শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনের অন্যতম নেতা নিশিকান্ত মণ্ডল খুনের ঘটনার মামলায় ৮ অভিযুক্ত বেকসুর খালাস পেয়েছেন। এবার এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিশিকান্তের পরিবারের লোকজন। নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari) এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন।

    কী বলেছেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    জমি আন্দোলনের নেতা নিশিকান্তের ছেলে সত্যজিৎ মণ্ডল বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। অনেকে আদালতের এই রায়ের জন্য নিশিকান্তের পরিবারের লোকজনের দিকে আঙুল তুলেছেন। অনেক সমালোচনাও শুনতে হয়েছে তাঁর পরিবারের সদস্যদের। রবিবার নন্দীগ্রামের হরিপুরে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সেই সত্যজিৎ মণ্ডলকে পাশে বসিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমালোচনার ঝড় সামলানোর চেষ্টা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জমি আন্দোলনে নিশিকান্তের ভূমিকা তুলে ধরে শুভেন্দু বলেন, ‘কামদুনি কাণ্ডের ওই রকম রায়ের পর এবার নিশিকান্ত মণ্ডল হত্যা মামলার অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করে দেওয়া হল। যারা রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযুক্ত ছিল। আদালতের এই রায়ের জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সাড়ে ৩ বছরের জেল খাটা এক তৃণমূল নেতার অঙ্গুলিহেলনে সবটা হয়েছে।’  তবে, আদালতের এই রায় মাথা পেতে নেওয়ার পক্ষে তাঁর মত নেই। বরং, সঠিক বিচারের জন্য তিনি বলেন, ‘আগামীদিনে আমার এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।’

    আন্দোলনের ডাক বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari)

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, হলদিয়া আদালতে রায়ের সার্টিফায়েড কপির জন্য আবেদন জানানো হবে। তার পর নিশিকান্তর পরিবারের তরফে কলকাতা আদালতে রায় পুনর্বিবেচনার দাবি জানানো হবে। সেই সঙ্গে কালো পতাকা নিয়ে বৃহস্পতিবার ভাঙাবেড়া থেকে সোনাচূড়া বাজার পর্যন্ত ধিক্কার মিছিলের ডাক দিয়েছেন শুভেন্দু। ফলে, এই ইস্যুতে পথে নেমে সোচ্চার হওয়ার কথা বলেছেন বিরোধী দলনেতা। নিশিকান্ত মণ্ডলের ছেলে সত্যজিৎ মণ্ডলও এ দিন দাবি করেন, সঠিক ভাবে তদন্ত করা হলে এ রকম রায় হত না। উচ্চ আদালতে আমরা আপিল করব।

    সরকারি আইনজীবী কী বলেছিলেন?

    আদালতে রায় বের হওয়ার পর সরকারি আইনজীবী জানিয়েছিলেন, ‘উপযুক্ত সাক্ষ্যের অভাবে প্রায় ১৪ বছর ধরে মামলা চলার পর জমি আন্দোলন পর্বে তৃণমূল নেতা নিশিকান্ত মণ্ডল হত্যা মামলার ৮ অভিযুক্ত বেকসুর খালাস পেয়েছে। এমনকী, মৃত নিশিকান্তের পরিবারের লোকেরাও জোড়াল সাক্ষ্য দেননি।’ এসব নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছিল। নিশিকান্ত মণ্ডলের ছেলেকে পাশে বসিয়ে আদালতের রায় নিয়ে ঠিক কী অবস্থান তা জানিয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Raiganj University: রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রারের প্যাড ব্যবহার করে ভুয়ো নিয়োগপত্র, শোরগোল

    Raiganj University: রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রারের প্যাড ব্যবহার করে ভুয়ো নিয়োগপত্র, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে গ্রুপ সি পদে একজনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা জানে না। পরে, খোঁজ নিয়ে জানা যায় নিয়োগপত্রটি ভুয়ো। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে (Raiganj University)। ভুয়ো নিয়োগপত্র ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নিয়োগপত্রটি রীতিমত ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Raiganj University)

    বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, (Raiganj University) রেজিস্ট্রার দূর্লভ সরকারের প্যাডে নিয়োগের তথ্য লিপিবদ্ধ রয়েছে। সেখানে রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষর এবং সিল পর্যন্ত রয়েছে। যে নিয়োগপত্র ঘিরে এই বিতর্ক, সেখানে পবন মহলদার নামে একজনের নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। ঠিকানার জায়গায় লেখা রয়েছে, বোগ্রাম, কর্ণজোড়া। তাঁকে গ্রুপ সি পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। ২৭ শে সেপ্টেম্বর এই নিয়োগপত্র ইস্যু করা হয়। বলা হয়েছে, ১৫ দিনের মধ্যে নিয়োগ করতে হবে। অথচ এই ধরনের কোনও নিয়োগপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি। স্বাভাবিকভাবে বিষয়টি সামনে আসতে কর্তৃপক্ষ চরম বিড়়ম্বনায় পড়েছে।

    কী বললেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার?

    সামাজিক মাধ্যমেই বিষয়টি জানতে পেরেছেন রেজিস্ট্রার। পুরোটাই জাল বলে দাবী করেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই, পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। সোমবার সংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রেজিস্ট্রার বলেন, এই নিয়োগপত্রটি বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এমন কেউ নিয়োগের আবেদন নিয়ে সশরীরে বিশ্ববিদ্যালয়ে (Raiganj University) আসেননি। তবে, বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। কারণ, কোনও চক্র এই কাজ করছে। যে বা যারা এর পিছনে রয়েছে তাদের খুঁজে বের করে তাঁদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। নাহলে এই ধরনের কাজ তারা আরও করবে। পুলিশকে সমস্ত বিষয়টি জানানো হয়েছে। আশা করি, পুলিশ ঘটনার পূর্ণ তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তিনি আরও বলেন, এর আগেও পূর্ববর্তী উপাচার্যের আমলেও এমন ঘটনা ঘটেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বিদেশের দুর্গাপুজোয় এবারও পদ্মফুলের জোগান দিচ্ছে বীরভূম

    Birbhum: বিদেশের দুর্গাপুজোয় এবারও পদ্মফুলের জোগান দিচ্ছে বীরভূম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোয় বঙ্গ থেকে পদ্ম পাড়ি দিচ্ছে বিদেশে। বীরভূমের (Birbhum) আহমদপুরের বিভিন্ন প্রত্যন্ত গ্রামগুলি থেকে পদ্ম ফুল যাচ্ছে বিদেশে। তবে, তাদের চাষ করা পদ্ম বিদেশে যাচ্ছে, এতে যেমন গর্বিত পদ্মচাষিরা। অন্যদিকে, অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টিতে পদ্মচাষে ক্ষতিও হয়েছে এবছর। মিলছে না ন্যায্য মজুরি, আক্ষেপ পদ্মচাষি থেকে মহাজন সকলের।

    বীরভূম (Birbhum)  থেকে কোন কোন দেশে পাড়ি দিচ্ছে পদ্ম?

    গ্রাম বাংলার আনাচে কানাচে পুকুর, ছোট জলাশয় সর্বত্রই পদ্ম চাষ হয়ে থাকে। বীরভূমও (Birbhum) পদ্ম চাষের অনুকূল। আসছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। আর এই দুর্গাপুজোর উপকরণগুলির মধ্যে অন্যতম পদ্ম ফুল। বীরভূমের আহমদপুরের প্রত্যন্ত গ্রামগুলি থেকে এবার পদ্ম পাড়ি দিচ্ছে ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত সহ বিদেশেও। এখান থেকে কলকাতা, দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, মুম্বই প্রভৃতি জায়গায় পদ্ম যাচ্ছে। এমনকী, কালীপুজো, লক্ষ্মীপুজোতেও মেট্রো শহরগুলি পদ্ম ফুল যায় বীরভূমের আহমদপুর থেকে।

    বিদেশে একটি পদ্মের কত দাম?

    তবে, এবার দুর্গাপুজোয় এখান থেকে পদ্ম যাচ্ছে আমেরিকা, জার্মানি, থাইল্যান্ড, জাপান, নেপাল, ভূটান প্রভৃতি দেশে। পদ্ম বিদেশে যাচ্ছে, এতে স্বাভাবিক ভাবেই আপ্লুত পদ্ম চাষিরা। পাশাপাশি তাদের আক্ষেপ, এবছর অনাবৃষ্টি ও অতিবৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছে পদ্ম চাষে। তাই পদ্ম বিদেশে গেলেও সেই অনুযায়ী দাম মিলছে না। অনেক ক্ষেত্রে লাভবান হচ্ছেন মজুতদারেরা। আর মুনাফা পাচ্ছেন না পদ্ম চাষিরা। এক একটি পদ্ম ফুল মাত্র আড়াই থেকে ৩ টাকায় পদ্ম চাষিদের কাছ থেকে কেনেন মহাজনেরা। সেই পদ্ম তারা দোকানে দেন ৫ থেকে ৬ টাকায়। দোকান থেকে এই বাংলায় এক একটি পদ্ম ফুল বিক্রি হয় ৭ থেকে ১০ টাকায়। বাংলার বাইরে মেট্রো শহরগুলিতে এক একটি পদ্মের দাম হয় ১৩ থেকে ১৫ টাকা, কোথাও ২০ টাকা। আর বিদেশে পাড়ি দিলেই সেই পদ্ম ২ থেকে ৫ ডলারে বিক্রি হয়। যা ভারতীয় মুদ্রায় ১৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত।

    পদ্মচাষিদের কী বক্তব্য?

    পদ্মচাষি ও মহাজনেরা বলেন, বীরভূমের (Birbhum) আহমদপুর থেকে প্রতি বছরই দূরে দূরে পদ্ম ফুল পাঠানো হয়। লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজোয় পদ্ম যায়। সবচেয়ে বেশি দুর্গাপুজোয় পদ্ম পাড়ি দেয়। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পদ্ম যাচ্ছে। আর আমেরিকা, জার্মানি, থাইল্যান্ড, জাপান, নেপাল ভূটানে পদ্ম যাচ্ছে। তবে, বাংলা থেকে বিদেশে পদ্ম পাড়ি দিলেও আমাদের মতো ফুল চাষিরা থাকেন সেই তিমিরেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Death: ডেঙ্গিতে মুর্শিদাবাদ-নদিয়ায় মৃত ২! টনক নড়ছে না প্রশাসনের, আতঙ্কিত রাজ্যবাসী

    Dengue Death: ডেঙ্গিতে মুর্শিদাবাদ-নদিয়ায় মৃত ২! টনক নড়ছে না প্রশাসনের, আতঙ্কিত রাজ্যবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই পুজো, কিন্তু ডেঙ্গির ভয়াবহতা কমছে না। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ। রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue Death) নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রত্যেক দিন এই মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুও ঘটছে। অথচ প্রশাসনের হুঁশ নেই। সরকারের স্বাস্থ্য দফতর এবং পুরসভাগুলি কার্যত মুখে কুলুপ দিয়ে বসে রয়েছে বলে অভিযোগ। ডেঙ্গিতে মৃত্যু নিয়ে কোনও বক্তব্য যেমন নেই, তেমনি রোগ সংক্রমণ নিয়ে প্রশাসনের ভূমিকা নিষ্ক্রিয়। নেই কোনও সামজিক দায়িত্ব। তাই সাধারণ মানুষ অসন্তোষ প্রকাশ করছে প্রশাসনের নিরুদ্ধে।

    গত ৫ অক্টোবর নদিয়ায় মাত্র পনেরো বছরের এক কিশোরের ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়। বিষয়টি গতকাল প্রকাশ্যে এসেছিল। ইতিমধ্যে আজ মুর্শিদাবাদে আরও এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গিতে। রাজ্য জুড়ের ডেঙ্গির থাবায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকা নিয়ে বার বার উঠছে প্রশ্ন।

    মুর্শিদাবাদে ডেঙ্গিতে মৃত্যু (Dengue Death)

    মুর্শিদাবাদের সুতি দফাহাট এলাকায় ডেঙ্গিতে (Dengue Death) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল বছর ৫০-এর আরতি সাহা নামে এক গৃহবধূর। জানা গেছে, গত ৩ দিন আগে শরীরে অসহ্য ব্যথা ও জ্বর নিয়ে আরতি সাহাকে মহিশাইল ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে পরিবার। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রক্ত পরীক্ষার পর ধরা পড়ে ডেঙ্গি পজেটিভ। কিন্তু রোগীর অবস্থার অবনতি হতেই গতকাল স্থানান্তরিত করা হয় জঙ্গিপুর হাসপাতালে। এরপর গভীর রাতে চিকিইসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। এখনও শরীরে জ্বর ও ব্যথা নিয়ে মহিশাইল ব্লক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন গ্রামের বেশ কিছু মানুষ। ডেঙ্গিতে মৃত্যুর ফলে পুজোর আগে নতুন ভাবে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। ডেঙ্গিতে মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লেও হেলদোল নেই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের। দেখা মেলেনি প্রশাসনের কোনও জনপ্রতিনিধিদের। তাই এলাকার মানুষ শাসক দলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

    নদিয়ায় কিশোরের মৃত্যু ডেঙ্গিতে

    সূত্রে জানা গেছে, নদিয়ার গাংনাপুরে পশ্চিম গোপীনগরের বাসিন্দা রনি দেবনাথের মৃত্যু হয় ডেঙ্গিতে (Dengue Death)। গত ৩ অক্টোবর তার ডেঙ্গি পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। শরীরে সেই সঙ্গে ছিল প্রচুর জ্বর। অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে চাকদা, এরপর বনগাঁ হাসপাতাল এবং শেষে বেলেঘাটা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। প্লেটলেট নামতে থাকায় শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যায়। আর এরপর মৃত্যু হয় তার।

    বেসরকারি সূত্রে খবর

    বেসরকারি সূত্রে জানা গেছে, গত জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ৫০ হাজার জন মানুষ রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যা ৫৮। অধিকাংশ পুরসভা কোনও রকম হেল্প লাইন প্রকাশ করেনি। ৬৫ বছরের বেশি বয়স্ক ভেক্টর কন্ট্রোল কর্মীদের বদলে নতুন কর্মী নিয়োগ করেনি। ফলে ডেঙ্গি প্রতিরোধে লোকের অভাবে সঠিক ভাবে কাজ হচ্ছে না। প্রশাসনও সঠিক দায়িত্ব পালন করছে না বলে সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবার ডায়মন্ডহারবার-মধ্যমগ্রামে সিবিআই হানা

    CBI: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবার ডায়মন্ডহারবার-মধ্যমগ্রামে সিবিআই হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারই সাতসকালে রাজ্যের ১২ জায়গায় সিবিআই (CBI) হানা দিয়েছিল। ফিরহাদ-মদন ছাড়াও একাধিক চেয়ারম্যান, প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বাড়িতে হানা দেন সিবিআই কর্তারা। এবার সেই পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে নেমে সিবিআই সোমবার সকালে পৌঁছে গেল তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় ডায়মন্ডহারবারে। ডায়মন্ডহারবার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারপার্সন মীরা হালদারের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই। চলছে বেশ কিছু নথির খোঁজ। একইসঙ্গে মধ্যমগ্রাম পুরসভাতেও এদিন সিবিআই হানা দেয়। এর আগে ইডি এই পুরসভায় হানা দিয়েছিল।

    কেন সিবিআই হানা? (CBI)

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে ডায়মন্ডহারবার পুরসভায় নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় পুরসভার চেয়ারপার্সন ছিলেন মীরা হালদার। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে ওই নিয়োগ হয়েছিল বলে জানত পেরেছে তদন্তকারী সংস্থা। তাঁর কাছে ওই নিয়োগ সংক্রান্ত নথির সন্ধানে গিয়েছে সিবিআই (CBI)। নিয়োগে মীরার কোনও ভূমিকা ছিল কি না, সে বিষয়ে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রাক্তন চেয়ারপার্সন মীরার বাড়িতে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি দল। তাদের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও। বাড়িটি আধা সামরিক বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। মীরা হালদার বাড়িতেই ছিলেন। ফলে, নথি খোঁজার পাশাপাশি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। অন্যদিকে, মধ্যমগ্রাম পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে দুদিন আগেই ইডি খাদ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হানা দিয়েছিল। পুরসভাতেও তাঁরা গিয়েছিলেন। এবার সেই তদন্তে সিবিআই ফের হানা দিলেন।

     প্রসঙ্গত, পুর-নিয়োগ মামলার তদন্ত করছে ইডি এবং সিবিআই। কয়েকদিন আগে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ সহ রাজ্যের ১২ টি জায়গায় একযোগে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তদন্তে নামে ইডি। কামারহাটি পুরসভা এবং বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সনের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে ইডি। পাশাপাশি আড়াই কোটি টাকার একটি ফ্ল্যাটের হদিশ পায় তদন্তকারী আধিকারিকরা। এরপর সেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে রবিবার সিবিআই ১২টি জায়গায় হানা দেয়। হালিশহরের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে কিছু নথি উদ্ধার করে নিয়ে যায় তদন্তকারী আধিকারিকরা। এবার অভিষেকের গড় ডায়মন্ডহারবার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারপার্সনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কী কী তথ্য উদ্ধার হয় তার দিকে তাঁকিয়ে রয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: বলেও কাজ করেনি পঞ্চায়েত! পুজোর খরচ বাঁচিয়ে রাস্তা করলেন এলাকাবাসী

    South 24 Parganas: বলেও কাজ করেনি পঞ্চায়েত! পুজোর খরচ বাঁচিয়ে রাস্তা করলেন এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পুজো কমিটিগুলিকে দেওয়া অনুদানের পরিমাণ অনেকটাই বাড়িয়েছে তৃণমূল সরকার। এই খাতে রাজ্য সরকার জলের মতো কোটি কোটি টাকা খরচ করছে। অথচ যে রাস্তা ধরে মণ্ডপে ঠাকুর দেখতে যাবেন দরশনার্থীরা সেই রাস্তা সংস্কারে নজর নেই এই সরকারের। ফলে, রাস্তা ভেঙে চৌচির হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় পুরসভা থেকে পঞ্চায়েত কারও কোনও হেলদোল নেই। এরকমই একটি বেহাল রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগী হলেন গ্রামবাসীরা। পুজোর খরচ কমিয়ে এবার চাঁদা তুলে বেহাল রাস্তা সংস্কার করলেন এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) আসুতি-২ পূর্বপাড়া এলাকায়।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) আসুতি-২ পূর্বপাড়া এলাকার রাস্তাটি অত্যন্ত খারাপ। রাস্তা সংস্কারে স্থানীয় পঞ্চায়েতের কোনও হেলদোল নেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বৃষ্টি হলেই জমছে জল। জমা জলে দুর্ঘটনা ঘটছে। বারবার পঞ্চায়েতে অভিযোগ করেও কাজ হয়নি। তাই নিজেরা টাকা দিয়ে রাস্তা সারাইয়ের কাজ করছি। পুজোর খরচ বাঁচিয়ে আমরা রাস্তার কাজ করছি। পুজোর আনন্দ থেকে এই রাস্তাটা ঠিক করা জরুরি। আমাদের অনেকের ঘরে বয়স্ক মানুষ আছেন। রাস্তাটা ঠিক না হলে, মানুষটাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছেও তো যেতে পারব না। রাস্তার যা অবস্থা, একটা গাড়ি আসবে না। এক বছর না হয় কম আনন্দ করে পুজোর খরচের টাকা বাঁচিয়ে রাস্তা তৈরি করলাম। শুধু রাস্তা নয়, রাস্তার আলো পর্যন্ত নিজেদের খরচ করে লাগাতে হয়েছে। পঞ্চায়েত কোনও কাজেই এগিয়ে আসেন না। করের টাকা, ভোট সবই পায় পঞ্চায়েত। কিন্তু, তারা কোনও কাজ করে না।

    কী বললেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য?

    স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সুরজিৎ দত্ত বলেন, পঞ্চায়েতের তরফেও সবরকম পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। ওই রাস্তাটা আমরা পঞ্চায়েত থেকে একবার করে দিয়েছিলাম। গত কয়েকদিনে টানা বৃষ্টির জন্য রাস্তায় জল জমে রাস্তা খারাপ করে দিচ্ছে। ওই রাস্তাটি আমরা ঢালাই করে দেব। তবে, এখনই বললে এখনই তো কাজ করা যায় না। বরাদ্দ করার পর কাজ হবে সেটা পুজোর আগে হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: আলিপুরদুয়ার সমবায়ে দুর্নীতির তদন্তে নেমে ‘প্রাণভোমরা’ হাতে এল সিবিআইয়ের, কী তা জানেন?

    CBI: আলিপুরদুয়ার সমবায়ে দুর্নীতির তদন্তে নেমে ‘প্রাণভোমরা’ হাতে এল সিবিআইয়ের, কী তা জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমবায়ে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির তদন্তে নেমে ‘প্রাণভোমরা’ হাতে এল সিবিআইয়ের (CBI)। আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতির লোন রেজিস্টার পেয়ে গেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আলিপুরদুয়ার শহরে ঢাকেশ্বরী মোড়ে মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতির অফিস থেকে এই লোন রেজিস্টার উদ্ধার হয়েছে। এই তথ্য তদন্তে অনেকটাই সাহায্য করবে বলে মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    কী রয়েছে লোন রেজিস্টারে? (CBI)

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সিবিআই (CBI) কর্তাদের একটি বড় দল মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতির অফিসে যান। সমবায় সমিতির হিসাব রক্ষক রীনা স্যান্নাল ও সম্পাদিকা রুপা গুহ রায়কে নিয়ে সিবিআই কর্তারা সমবায় সমিতির অফিসে যান। পরে সেখানে সমবায়ের দুই লোন ক্লার্ক  সঞ্জীব দাস ও পঙ্কজ গুহ আচার্যকেও ডেকে পাঠায় সিবিআই। সেখানে প্রথমে অফিস বিল্ডিংয়ের মালিকের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই কর্তারা। তারপর চাবি এনে সমবায় সমিতির অফিসে ঢোকেন তাঁরা। সেখানে দীর্ঘক্ষণ তল্লাসি চালান সিবিআই আধিকারিকরা। অফিস থেকে লোন রেজিস্টার উদ্ধার করেন তদন্তকারিরা। সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়,  উদ্ধার লোন রেজিস্টারে এই সমবায় সমিতির ২০ বছরের কার্যকালের মধ্যে কাকে কতটাকা লোন দেওয়া হয়েছে তার সবই আছে। সেগুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই লোন রেজিস্টার থেকেই কারা কারা এই সমবায় থেকে ঋণ নিয়ে ঋণ শোধ করেননি সেই তালিকাও পেয়ে যাবেন সিবিআই কর্তারা।

    প্রথম অভিযোগকারীর কী বক্তব্য?

    গুরুত্বপূর্ণ এই নথি উদ্ধারের নিয়ে এই মামলায় প্রথম অভিযোগকারী আরটি আই কর্মী অলোক রায় বলেন, আমরা সিবিআই (CBI) তদন্তে আশাবাদী। এবার সিবিআইয়ের পদক্ষেপ করতে সুবিধে হবে। হাতে গরম প্রমাণ পেয়ে গিয়েছে সিবিআই। আমরা চাই টাকা উদ্ধার হোক। প্রতারিত গরীব মানুষেরা টাকা ফেরত পাক। প্রসঙ্গত, ২০০০ সালের ১৮ জানুয়ারি আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতির যাত্রা শুরু হয়। প্রায় ৫০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় ২০২০ সালে এই সমবায় সমিতির ঝাঁপ বন্ধ হয়ে যায়। লোন রেজিস্টার খাতা পেয়ে সিবিআই কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন প্রতারিতরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Disaster: সিকিম বিপর্যয়ের পর তিস্তার চর এখন মরণফাঁদ! কেন জানেন?

    Sikkim Disaster: সিকিম বিপর্যয়ের পর তিস্তার চর এখন মরণফাঁদ! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিমে বিপর্যয়ের পর (Sikkim Disaster) তিস্তার চর এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সিকিমের বিপর্যয়ে ভেসে গিয়েছে সেনা ছাউনি। মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে তিস্তার জলে ফ্রিজ, ঘরের আসবাবপত্রের সঙ্গে ভেসে এসেছে সেনাবাহিনীর প্রচুর পরিমাণে মর্টার শেল-সহ অন্যান্য গোলা বারুদ। ইতিমধ্যেই মর্টার শেল কুড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বিস্ফোরণে জলপাইগুড়ির ক্রান্তি ব্লকের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছে আরও ৬ জন।

    কেন তিস্তার চর মরণফাঁদ? (Sikkim Disaster)

    সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের (Sikkim Disaster) সময়ে সিংতামে তিস্তা নদীগর্ভেই সেনাবাহিনীর ছাউনি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেনাদের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, অন্তত ২২ জন সেনা নিখোঁজ। তারমধ্যে সাতটি দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই সেনা ছাউনির সমস্ত গোলাবারুদ তিস্তার প্রবল স্রোতে ভেসে গিয়েছে। গত ৬ অক্টোবর সেবক করোনেশন সেতু লাগোয়া আন্ধেরি ঝোরায় তিস্তার চরে নিজে থেকেই একটি মর্টার বিস্ফোরণ হয়। সেদিনই বরদাঙে সেনা ছাউনির খুব কাছেই বাগেখোলা নামে একটি পাহাড়ি ঝোরার কাছে বালির চরের ভিতর থেকে প্রথমে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। পরে আগুন বের হতে দেখে স্থানীয়দের অনুমান, ওই ঝোরার কাছেও সম্ভবত বালি চাপা পড়ে গিয়েছে কিছু গোলাবারুদ। ফলে, তিস্তার চরে এখন অনেক বিস্ফোরক মজুত রয়েছে, বালি চাপা পড়ে রয়েছে। চাপ পড়লেই বিস্ফোরণ ঘটবে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    সিকিমের বিপর্যয়ের (Sikkim Disaster) পর সেনা, সিআইডির বোমা বিশেষজ্ঞরা জলপাইগুড়ির ক্রান্তি এলাকা জুড়ে তল্লাশি চালিয়ে আরও ত্রিশটি বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করেছে। কিন্তু, বিপদ এখনও শেষ হয়নি। বিপদটা কতটা ভয়ানক, সেটা আঁচ করে সকলেই প্রচারে নেমেছেন। কিন্তু, কতদিন চলবে এই প্রচার তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একই সঙ্গে তিস্তার চর লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বহু মৎস্যজীবী তিস্তার উপরে ভরসা করে বেঁচে থাকেন। শীতে পরিযায়ী পাখিদের আবাসস্থল এই তিস্তার চর। বুনো হাতির পাল ডুয়ার্স থেকে তরাইয়ে এই তিস্তা পেরিয়েই যাতায়াত করে। সেনারা গোলা ছোড়ার অভ্যাস করার সময়ে অনেক কিশোর এই চরে ঘুরে বেড়ায় গুলির খোল উদ্ধার করার জন্য। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আমরা সবাইকে বলেছি, আপাতত তিস্তার চরে নামা যাবে না। কিন্তু, একটা সময়ে লোকে নামবেই। তখন দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে কি না সন্দেহ থাকছেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Two Male Leopards: রসিকবিলের পর্যটন কেন্দ্র হবে আরও আকর্ষণীয়, দ্রুত আসছে ২ পুরুষ চিতাবাঘ

    Two Male Leopards: রসিকবিলের পর্যটন কেন্দ্র হবে আরও আকর্ষণীয়, দ্রুত আসছে ২ পুরুষ চিতাবাঘ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর মধ্যেই কোচবিহারের রসিকবিলে দুটি পুরুষ চিতাবাঘ (Two Male Leopards) আনা হচ্ছে। ইতিমধ্যে আগে থেকে দুটি স্ত্রী চিতাবাঘ এখানে ছিল। তাদের নাম রিমঝিম এবং গরিমা। এবার তাদের একাকিত্ব এবং নিঃসঙ্গতা কাটবে বলে মনে করছেন অনেকেই। সেই সঙ্গে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল জু অথরিটির কাছে দুটি পুরুষ চিতাবাঘ চেয়ে এই অভয়ারণ্যের পর্যটন কেন্দ্রের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। পর্যটন কেন্দ্রকে আকর্ষণীয় এবং বাঘের সংরক্ষণের জন্য এই প্রচেষ্টা বলে মনে করা হয়েছে।

    রসিকবিলে রয়েছে রিমঝিম-গরিমা (Two Male Leopards)

    এই রসিকবিল অভয়ারণ্য হল কোচবিহারের অসম সংলগ্ন একটি এলাকা। আলিপুরদুয়ার থেকে ৭৪ কিমি দূরে অবস্থিত। সেই সঙ্গে কামাক্ষ্যাগুড়ি রেলস্টেশন থেকে সাত কিলোমিটার দূরে এই স্থান। ফলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে খুব একটা অসুবিধা হবে না। ১৭০০ হেক্টরের বেশি জমি নিয়ে এই প্রাকৃতিক পর্যটন কেন্দ্র। আটিয়ামোচর, রসিকবিল এবং নাগুরহাট এই তিনটি বিটকে ঘিরে তৈরি হয়েছে প্রাকৃতিক পর্যটন কেন্দ্রে। দেশ-বিদেশ থেকে নানা বর্ণের পাখি এই রসিকবিলে আসে। এই পর্যটন কেন্দ্রের আকর্ষণীয় জন্তুদের মধ্যে হল হরিণ, অজগর, ঘড়িয়াল। তবে সবথেকে বেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করে চিতাবাঘ। এনক্লোজারে এখানে রয়েছে দুটি স্ত্রী চিতাবাঘ। হাঁটু জঙ্গলে মুখ গুঁজে নিজেদের আড়াল করে রাখে তারা। আর তাই এই স্ত্রী চিতাদের (Two Male Leopards) জন্য পুরুষ চিতা নিয়ে আসার পরিকল্পনা চলছে।

    কোচবিহার বন দফতরের বক্তব্য

    ১৯৯৫ সালে কোচবিহারের তুফানগঞ্জে গড়ে ওঠে রসিকবিল প্রকৃতি পর্যটন কেন্দ্র। কোচবিহারের বন দফতরের এডিএডও বিজনকুমার নাথ বলেন, “ঠিক কবে চিতাবাঘ আসবে তা এখনি বলা সম্ভবপর নয়। নতুন বাঘের জন্য রসিকবিলের এনক্লোজারে নাইট শেল্টার বানানোর কাজ চলছে।” সেন্ট্রাল জু অথিরিটির অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না ঠিক কবে থেকে চিতাবাঘ (Two Male Leopards) আসবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Metro Service: পুজোয় বাড়তি ট্রেন চালাবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোও, জেনে নিন সময়সূচি

    Metro Service: পুজোয় বাড়তি ট্রেন চালাবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোও, জেনে নিন সময়সূচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজো উপলক্ষে বাড়ানো হয়েছিল নর্থ-ইস্ট মেট্রো (Metro Service) পরিষেবার সময়সীমা। এবার বাড়ানো হল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পরিষেবাও। পুজোর তিনদিন দুপুর থেকে মাঝরাত পর্যন্ত টানা ১২ ঘণ্টা চালু থাকবে মেট্রো পরিষেবা।

    মোট ৭২টি ট্রেন চলবে

    মেট্রোরেল সূত্রে খবর, সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় প্রতিদিন আপ-ডাউন মিলিয়ে ৩৬টি করে মোট ৭২টি ট্রেন চলবে। এই দিনগুলিতে সকাল ১১টা ৫৫ মিনিটে প্রথম সেক্টর ফাইভগামী মেট্রো ছাড়বে শিয়ালদহ থেকে। সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহগামী শেষ মেট্রো রাত ১১টা ৪০ মিনিটে। শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভের দিকে শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে। প্রথম মেট্রো থেকে শেষ মেট্রো দু’দিকেই ট্রেন চলবে ২০ মিনিট অন্তর।

    বিজয়া দশমীতে চলবে ৪৮টি

    মেট্রোরেলের (Metro Service) তরফে জানানো হয়েছে, পুজোর তিনদিন ৭২টি করে ট্রেন চললেও, বিজয়া দশমীতে চলবে ৪৮টি। ওই দিন দুপুর ১১টা ৫৫ মিনিট থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে মেট্রো। পুজোর তিনদিনের মতো বিজয়া দশমীতেও প্রথম ট্রেন ছাড়বে দুপুর ১১টা ৫৫ মিনিটে। সেক্টর ফাইভ থেকে প্রথম ট্রেন ছাড়বে দুপুর ১২টায়। সন্ধ্যায় শিয়ালদহ থেকে সল্টলেকগামী শেষ ট্রেন ছাড়বে ৭টা ৩৫ মিনিটে। সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহের দিকের শেষ ট্রেন ছাড়বে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে। তবে পঞ্চমী ও ষষ্ঠীর দিন ট্রেনের সংখ্যা বাড়ছে না বলেই মেট্রো রেল সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুুন: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে ফিরহাদ-মদনের বাড়িতে সিবিআই হানা

    এদিকে, রবিবার মেট্রোর তরফে জারি করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যাত্রীদের সুবিধার্থে ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরে পেপার বেসড কিউআর কোডযুক্ত টিকিট পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে। আগামী ১১ তারিখ এই করিডরের শিয়ালদহ স্টেশন থেকে চালু হবে নয়া এই টিকিট। এই পরীক্ষামূলক পদক্ষেপ সফল হবে এই করিডরের সম্পূর্ণ অংশেই ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেওয়া হবে টোকেন। পরিবর্তে পুরো ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরেই চালু করা হবে পেপার বেসড কিউআইর কোড যুক্ত টিকিট। তবে পরীক্ষামূলক পর্বে কাগজের টিকিটের পাশাপাশি চালু রাখা হবে টোকেনও।

    প্রসঙ্গত, বিনা টিকিটের যাত্রী ধরতে সাম্প্রতিক কালে তৎপর হয়েছে মেট্রো (Metro Service) কর্তৃপক্ষ। বিনা টিকিটের যাত্রী ধরতে এবার মেট্রোয় উঠছেন টিকিট পরীক্ষকও। সেই অভিযানে ধরা পড়েছে একের পর এক যাত্রী। অভিযোগ, এই যাত্রীর কম দূরত্বের ভাড়ার টোকেন কিনে বেশি দূরত্বে যাত্রা করেছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share