Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Nadia: হাতে আইফোন,পায়ে দামী জুতো, বাইক হাঁকিয়ে ত্রিপল নিতে হাজির বিডিও অফিসে!

    Nadia: হাতে আইফোন,পায়ে দামী জুতো, বাইক হাঁকিয়ে ত্রিপল নিতে হাজির বিডিও অফিসে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রিপল দেওয়ার কথা। বিডিও অফিস থেকে সেই ত্রিপল বিলি করার কথা ছিল। কিন্তু, প্রাপকদের পোশাক, চালচলন দেখে হতবাক হয়ে যান নদিয়ার (Nadia) করিমপুর-২ বিডিও অফিসের কর্মীরা। ত্রিপল বিলি স্থগিত করে দেওয়া হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    কয়েকদিনের বৃষ্টিতে যাদের বাড়ি, গোয়ালঘর ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের ত্রাণ দেওয়ার কথা ছিল। সেই মতো নদিয়ার (Nadia) করিমপুর-২ ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় পঞ্চায়েতের মাধ্যমে জানানো হয়েছিল। বিডিও অফিস থেকে সেই ত্রিপল বিলি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, বাস্তবে দেখা গেল বিডিও অফিসে ত্রিপল নেওয়ার প্রাপকের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। আর প্রাপকদের তালিকায় এমন অনেকে রয়েছে, যাদের হাতে আইফোন রয়েছে, কেউ দামী বাইক, পায়ে দামী জুতো, ব্রান্ডেড কোম্পানির জামাও অনেকে পড়ে রয়েছেন। কেউ আবার চার চাকা হাঁকিয়ে ত্রিপল নেওয়ার জন্য বিডিও অফিসে হাজির হয়েছেন। বিডিও অফিসের এক কর্মী বলেন, বহুদিন ধরেই এই বিডিও অফিসে রয়েছি। সামান্য ত্রিপল নেওয়ার জন্য যারা বিডিও অফিসে এসেছিলেন, তাঁদের ত্রাণের প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। ফলে, এই অবস্থায় ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রিপল বিলি করার কর্মসূচি স্থগিত রাখা হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ যাচাই করার পর প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে ত্রাণ তুলে দেওয়া হবে।

    কী বললেন করিমপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি?

    নদিয়ার (Nadia) করিমপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি সাজিজুল হক শা বলেন, গরিব মানুষদের ত্রিপল দেওয়ার জন্য বিডিও অফিসে শিবির করা হয়েছিল। সেখানে ত্রিপল নেওয়ার জন্য যারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তাঁদের দেখে আমরা তাজ্জব হয়ে গিয়েছিলাম। দেখে কাউকে গরিব পরিবারে লোকজন মনে হচ্ছিল না। কেন  তারা সামান্য ত্রিপল নেওয়ার জন্য এভাবে বিডিও অফিসে হাজির হলেন তা্ বুঝতে পারলাম না। অগত্যা আমি এ নিয়ে বিডিও সাহেবের সঙ্গে দেখা করে সমস্ত বিষয়টি বলি। আমাদের বৈঠকের পরে ঠিক হয়েছে, আবেদনপত্রগুলো সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে দিয়ে যাচাই করানোর পর ত্রাণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Purba Bardhaman: “সঠিক রিপোর্ট জমা দিলেই প্রকল্পের টাকা পেয়ে যাবে রাজ্য” সাফ জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    Purba Bardhaman: “সঠিক রিপোর্ট জমা দিলেই প্রকল্পের টাকা পেয়ে যাবে রাজ্য” সাফ জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই, ইডি স্বনিয়ন্ত্রিত সংস্থা। বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই তারা তদন্তের কাজ করছে। তাই ভোটের রাজনীতির সঙ্গে তদন্তের কোনও সম্পর্ক নেই। পশ্চিমবঙ্গে নেতা-মন্ত্রীদের ঘরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে হাইকোর্টের নির্দেশে। বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার অভিযোগ তোলাটা একেবারেই মিথ্যা। পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) রায়নায় ঠিক এইভাবেই তৃণমূলকে কড়া বার্তা দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরি।

    হিসাব দিলেই টাকা মিলবে (Purba Bardhaman)

    কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরি রায়নায় সাংবাদিকদের সামনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজ ও অন্যান্য প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার টাকা আটকে দিয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। অথচ, তিন বছরের বেশি সময় ধরে কেন্দ্র সরকারের কাছে এই কাজের রিপোর্ট জমা দেয়নি রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের তদন্তে এই সরকারের দুর্নীতি ধরা পড়েছে। সঠিক রিপোর্ট জমা দিলেই কেন্দ্র সরকার প্রকল্পের টাকা রাজ্যকে দিয়ে দেবে।” তিনি আরও বলেন, “বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসর আগে শেষ ৯ বছরে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যকে  ইউপিএ পরিচালিত কেন্দ্র সরকার যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করেছিল, এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসর পর, তার থেকে অনেক বেশি অর্থ বরাদ্দ করেছে। এখনও পর্যন্ত আমাদের সরকার, পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ২ লাখ ৫ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা প্রদান করেছে। কাজেই বিজেপি সরকার, রাজ্য সরকারের প্রাপ্য অধিকার থেকে কখনই বঞ্চনা করে না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা বার বার চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন হিসাব যত তাড়াতাড়ি দেবেন, পাওনা টাকা তত দ্রুত মিলবে। কিন্তু রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে  হিসেব নিয়ে কোনও উত্তর মেলেনি।”

    আর কী বললেন?

    বিজেপি সাংসদ পঙ্কজ চৌধুরি পূর্ব বর্ধমানে আরও বলেন, “এছাড়া করোনার সময় রাজ্যকে বিশেষ সাহায্য দেওয়া হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকঠামোর বজায় রাখার চেষ্টা করছে কেন্দ্র সরকার। বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তৃণমূলের নেতারা সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝানোর অপচেষ্টা করছে। আন্দোলন, ধর্না গনতন্ত্রের অধিকার। যে কেউ আন্দোলন করতেই পারে। তবে বিজেপির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে কোনও লাভ নেই। প্রয়োজনে দেশের বিচার ব্যবস্থা রয়েছে। আদালতের কাছে গিয়ে যে কেউ ন্যায় চাইতে পারে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কাঁচরাপাড়া, হালিশহর সহ রাজ্যের ১২ জায়গায় হানা দিল সিবিআই

    CBI: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কাঁচরাপাড়া, হালিশহর সহ রাজ্যের ১২ জায়গায় হানা দিল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেই পুর নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে রাজ্যের ১২ জায়গায় একযোগে ইডি তল্লাশি চালিয়েছিল। সেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সেই একই কায়দায় রবিবার সাত সকালে রাজ্যের ১২ জায়গায় সিবিআই (CBI) হানা দেয়। তৃণমূলের বর্তমান চেয়ারম্যান, প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বাড়িতে তদন্তকারী আধিকারিকরা হানা দেয়।

    কোথায় কোথায় হানা সিবিআইয়ের? (CBI)

    সিবিআই সূত্রে খবর, কাঁচরাপাড়া, হালিশহর, বারাকপুর, উত্তর দমদম, দক্ষিণ দমদম, কৃষ্ণনগর, টাকি, কামারহাটি, চেতলা, ভবানীপুর সহ ১২ জায়গায় সিবিআই (CBI) হানা দেয়। এদিন হালিশহর পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান অংশুমান রায়ের বাড়িতে সিবিআই হানা দেয়। তিনি ২০১০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন। রবিবার সকালে অংশুমানের বাড়িতে যান সিবিআইয়ের চার সদস্যের একটি দল। তাঁর বাড়ির আলমারি ঘেঁটে কাগজপত্র বার করে দেখতে থাকেন আধিকারিকেরা। বা়ড়ির অন্যান্য জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। কাঁচরাপাড়া পুরসভা নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি হয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্তে কাঁচরাপাড়া পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সুদমা রায়ের বাড়িতেও সিবিআই তল্লাশি চালায়। নিউ বারাকপুর পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান তৃপ্তি মজুমদারের বাড়িতে সিবিআই হানার খবর মিলেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সকালে তৃপ্তির বাড়িতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি খতিয়ে দেখতেই তাঁরা এসেছেন বলে জানা গিয়েছে। এ ছাড়া, দমদম পুরসভার বর্তমান পুরপ্রধান হরেন্দ্র সিংহের বাড়িতেও চলে সিবিআইয়ের অভিযান। একইসঙ্গে, কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অসীম রায়ের বাড়িতে সিবিআই হানা দেয়। একইসঙ্গে এদিন প্রথমে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকদের যাওয়ার খবর মেলে। তার পর একে একে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের ভবানীপুর এবং কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের ভবানীপুর এবং দক্ষিণেশ্বরের আবাসস্থলে সিবিআই অভিযান হয়।

    কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব?

    অন্যদিকে, সিবিআইয়ের (CBI) এই অভিযানের পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি দেখছে তৃণমূল। তাদের দাবি, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচিতে চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপি। তাই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করে হেনস্থা করার চেষ্টা করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: অভিষেকের দেওয়া নম্বরে সুকান্তর কাছে কাতর আর্জি, ‘চোরেদের টাকা দেবেন না’

    Sukanta Majumdar: অভিষেকের দেওয়া নম্বরে সুকান্তর কাছে কাতর আর্জি, ‘চোরেদের টাকা দেবেন না’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজভবনের সামনে তৃণমূলের অবস্থান মঞ্চ থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) ফোন নম্বর সামনে এনেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড দলের কর্মীদের নিদানও দিয়েছিলেন যে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে ফোন করে যেন রাজ্যের দাবি মতো টাকাও চাওয়া হয়। এবার হুগলির এক সাধারণ লোকের (পরিচয় জানা যায়নি,মাধ্যম অডিও-এর সত্যতা যাচাই করেনি) সঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) ফোনের কথোপকথন সামনে এল। সেখানে ওই ব্যক্তিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘দাদা (সুকান্ত মজুমদার) একটাই অনুরোধ আপনার কাছে, কোনও টাকা যেন না আসে চোরেদের কাছে। পাশাপাশি ঐ ব্যক্তি আরও বলছেন, ওরা নিজেদের ইচ্ছা মতো জব কার্ডের টাকা নয়ছয় করেছে। আমাদের এলাকার সর্বনাশ করেছে তৃণমূলের নেতারা।’’ ফোনে ওই ব্যক্তিকে দাবি করতে শোনা যায়, অভিষেকের ঘোষণার পরেই তিনি সুকান্ত মজুমদারের ফোন নম্বর পেয়েছেন।

    নিজের ফেসবুক পোস্টে কী লিখলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি? 

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) নিজের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এই রেকর্ডিং সামনে আনেন এবং তিনি লেখেন, ‘‘জনগণের কষ্টার্জিত ট্যাক্সের হিসাব দিন, আমরা জনগণের টাকা জনগণের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।’’ বালুরঘাটের সাংসদের আরও সংযোজন, ‘‘আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ওরফে ভাইপো আমার নম্বর পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে দেওয়ার পর সাধারণ জনগণ আমাকে ফোন করে চোরেদের টাকা দিতে বারণ করছেন।’’ পাশাপাশি এদিন ২৫ লাখ ভুয়ো জব কার্ডের মাধ্যমে কতটাকা তৃণমূল আত্মসাৎ করেছে তাও জানতে চেয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    তৃণমূলের নাটকবাজি

    কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে দিল্লিতে একপ্রস্থ নাটক করতে দেখা যায় অভিষেক ও তাঁর দলবলকে। গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর অফিসের সামনে ধরনায় বসে পড়েন অভিষেক। অভিষেকের দাবি, ৪০ জনকে একসঙ্গে ঢুকতে দিতে হবে অফিসে। প্রসঙ্গত, গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর অফিস থেকে ৫ জনের প্রতিনিধি দলকে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হলেও তা মানতে চায়নি তৃণমূল নেতৃত্ব। বেআইনিভাবে মন্ত্রীর অফিসে ধরনার অভিযোগে দিল্লি পুলিশ তৃণমূলের নেতৃত্বকে সেই স্থান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। এরপরেই রাজ্যে ফিরে রাজভবন ঘেরাও করেন অভিষেক ও তাঁর দলবল। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। সত্যিই কি আলোচনার টেবিলে বসতে চায় তৃণমূল নেতৃত্ব? নাকি বাজার গরম করা এবং সস্তার রাজনীতিই তাঁদের উদ্দেশ্য? এই ইস্যুতে কলকাতায় এসে রীতিমতো তৃণমূলকে তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘আমি কলকাতাতেও তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বসতে রাজি। তবে তারা বসবে না আমি জানি।’’ ওয়াকিবহাল মহলের বলছে, সত্যিই কেন্দ্রীয় বঞ্চনা থাকলে, কোর্টের রাস্তা খোলা রয়েছে। সে পথে কেন হাঁটছেন না অভিষেক ও তাঁর দলবল?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রার্থী হওয়া অপরাধ! বন্ধ করে দেওয়া হল নিকাশি ব্যবস্থা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রার্থী হওয়া অপরাধ! বন্ধ করে দেওয়া হল নিকাশি ব্যবস্থা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হওয়ার অপরাধ! প্রায় এক মাস ধরে নিকাশি ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) পাথরপ্রতিমা ব্লকের পূর্ণচন্দ্রপুর শ্রী নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের  শ্রীনারায়ণপুর ছয়েরঘেরি এলাকায়। এ যেন হাতে না মেরে জলে ডুবিয়ে মারার পরিকল্পনা। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    পরিবার ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার পাথরপ্রতিমা ব্লকের পূর্ণচন্দ্রপুর শ্রী নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের  শ্রীনারায়ণপুর ছয়েরঘেরি এলাকায় গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে অন্নপূর্ণা হালদার নামে গৃহবধূ বিজেপির প্রার্থী হয়ে পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হয়েছিলেন। যদিও পরে তিনি পরাজিত হন। গৃহবধূ এবং তাঁর পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, বর্তমান শাসকদলের মদতে জল নিকাশি ব্যবস্থা হঠাৎ করে এক তৃণমূলের এক নেতা মাটি ফেলে বন্ধ করে দেন। তাঁদের দাবি জায়গাটি ছিল তাঁদের, দীর্ঘদিন মামলা করে তাঁরা জয়ী হন। যার ফলে তারা এই পথ দিয়ে আর জল যেতে দেবেন না। আর তার ফলেই প্রায় এক মাস ধরে জলের তলায় ওই বিজেপি প্রার্থীদের তিনটি পরিবার সহ+ বিরোধী রাজনৈতিক দলের আরও ১৯ টি পরিবার। বারবার পঞ্চায়েতকে জানিয়ে কোনও কাজ হয়নি। বাড়ির উঠান থেকে ঘরের মেঝেতে পর্যন্ত প্রায় এক হাঁটু জল, অনেক বাড়িতে ভেড়ি দিয়ে জল তুলতে হচ্ছে প্রতিদিন। এমনকী গরুর গোয়াল, মুরগির খোঁয়ার পর্যন্ত জলে ডুবে আছে। প্রতিদিন বাড়ির বয়স্ক মানুষ থেকে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। জলে অসহায়ের মত দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁদের।

    কী বললেন বিজেপি কর্মী?

    বিজেপি কর্মী অন্নপূর্ণা হালদার বলেন, পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রার্থী হওয়া অপরাধ। তারজন্যই পরিকল্পিতভাবে তৃণমূল এই কাজ করেছে। প্রশাসনের কাছে দরবার করেও লাভ হচ্ছে না। এলাকায় যে ভাবে জল জমে রয়েছে তাতে ডেঙ্গির উপদ্রব হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। খুব দুশ্চিন্তায় রয়েছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ মৌলি বলেন, এই ধরনের অভিযোগ ঠিক নয়। কারণ, এই ধরনের নোংরা রাজনীতি তৃণমূল করে না। জল নিকাশি নিয়ে যে সমস্যা হয়েছে তা খতিয়ে দেখে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Disaster: সিকিমে বিপর্যয়ের পর নিখোঁজ বালুরঘাটের সাত পরিযায়ী শ্রমিক, দুশ্চিন্তায় পরিবার

    Sikkim Disaster: সিকিমে বিপর্যয়ের পর নিখোঁজ বালুরঘাটের সাত পরিযায়ী শ্রমিক, দুশ্চিন্তায় পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিমে বিপর্যয়ের (Sikkim Disaster) জেরে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে সাত জন পরিযায়ী শ্রমিকের কোনও খোঁজ নেই। তাঁদের বাড়ি বালুরঘাটের ডাঙ্গা বিজয়শ্রী এলাকায়। পরিবারের লোকজন আর তাঁদের সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ করতে পারছেন না। ফলে, চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন পরিবারের লোকজন।

    কবে কাজে গিয়েছিলেন?

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুরঘাট ব্লকের ডাঙ্গার পাল পাড়ার নিখোঁজ ওই সাত পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম মৃদু পাল, সুধু পাল, দুলাল পাল, বেলাই পাল, সামরা পাল, তজু পাল ও নবীন পাল। এছাড়াও বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া, চিঙ্গিসপুরের আরও চার শ্রমিক সিকিমের অন্যত্র কাজে গিয়েছেন। তাদের খোঁজ মিলেছে। জানা গিয়েছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর ওই সাত পরিযায়ী শ্রমিক কাজে যোগ দিতে যান। মূলত তাঁরা নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন। ৪ অক্টোবর হড়পা বানে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে সিকিম (Sikkim Disaster)। ওই দিনের পর থেকে সকলের ফোন বন্ধ, যোগাযোগ হচ্ছে না বলেও পরিবারের সদস্যরা জানান। জানা গিয়েছে, বালুরঘাটের ডাঙ্গা গ্রামপঞ্চায়েতের ডাঙ্গা বিজশ্রী গ্রামের মৃদু পালের বাড়িতে স্ত্রী ও নাবালিকা কন্যা রয়েছে। পাশেই বাড়ি মৃদুর দাদা সুধু পালও তাঁর স্ত্রীকে রেখে সিকিমে কাজে গিয়েছিলেন। সিকিমের ভয়াবহ বিপর্যয়ের ছবি মোবাইলে দেখেই শিউরে উঠছেন পরিবারের লোকজন।

    পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের লোকজন কী বললেন?

    নিখোঁজ শ্রমিক মৃদু পালের স্ত্রী কৌশল্যা পাল বলেন, কোন ঠিকাদারের সঙ্গে গিয়েছে, তা জানা নেই।  যেদিন থেকে সিকিমের বন্যার (Sikkim Disaster) খবর পেয়েছি, সেদিন থেকেই যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। কিন্তু কিছুতেই যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে না। আমরা খুব চিন্তায় রয়েছি। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা ষষ্ঠী পাহান বলেন, আমাদের গ্রামের মোট সাতজন এক ঠিকাদারের সঙ্গে সিকিমে কাজে গিয়েছিলেন। কারও খোঁজ পাচ্ছিনা। আমাদের গ্রামের সবাই চিন্তায় রয়েছে। উদ্বেগ কাটছে না।

    জেলাশাসকের কী বক্তব্য?

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, জেলার ২৫ জনের খবর পেয়েছি, যারা সিকিমে (Sikkim Disaster) কাজে গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগের সঙ্গেই যোগাযোগ করা গিয়েছে। তাঁরা ভালো রয়েছেন। যাদের খোঁজ মেলেনি, তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পুরো পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে ফিরহাদ-মদনের বাড়িতে সিবিআই হানা

    CBI: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে ফিরহাদ-মদনের বাড়িতে সিবিআই হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে দুদিন আগেই খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতে ইডি হানা দেন। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতে এবার কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের চেতলার বাড়িতে সাতসকালে সিবিআই (CBI)  হানা দেন। পাশাপাশি কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের বাড়়িতে সিবিআই হানা দেয়।

    মেয়রের দুয়ারে সিবিআই (CBI)  

    সিবিআই সূত্রে খবর, রবিবার সাতসকালে প্রচুর সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে নিজাম প্যালেস থেকে বের হন কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা (CBI)। তাঁরা চেতলায় পুরমন্ত্রীর বাড়িতে ঢোকেন। বাইরে দাঁড়িয়ে বাড়ি ঘিরে রেখেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সশস্ত্র জওয়ানেরা। কাউকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। খবর পেয়ে দলীয় কর্মীরা সেখানে ভিড়় জমাতে শুরু করেন। বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ফিরহাদের কন্যা প্রিয়দর্শিনী হাকিম। তাঁকেও ভিতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। দরজায় দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি চলে প্রিয়দর্শিনীর। পরে, তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়। ফিরহাদের বাড়ির সামনে আসেন তাঁর আইনজীবী গোপাল হালদারও। তাঁকেও ঢুকতে বাধা দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। আইনজীবী  বলেন, তাঁর প্রবেশাধিকার রয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী পরে জানান, তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। ফিরহাদের বাড়ির সামনে জমায়েত হওয়া অনুগামীরা। বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। উঠছে কেন্দ্রীয় সরকার-বিরোধী স্লোগান। তাঁদের অভিযোগ, রাজনৈতিক কারণেই এই সিবিআই হানা।

    মদনের বাড়িতে সিবিআই (CBI)  

    অন্য দিকে, সিবিআইয়ের (CBI) একটি দল কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের ভবানীপুরের বাড়িতেও হানা দিয়েছে। তবে, তাঁকে কী কারণে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তা স্পষ্ট নয়। কামারহাটি পুরসভায় কর্মী নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে তাতে তাঁর কোনও ভূমিকা রয়েছে কি না তা সিবিআই আধিকারিকরা খতিয়ে দেখতে পারেন। বরানগর, কামারহাটির চেয়ারম্যানের বাড়িতে দুদিন আগে ইডি হানা দিয়েছিল। এদিন মন্ত্রী ফিরহাদের পাশাপাশি আরও কয়েকটি পুরসভার চেয়ারম্যানের বাড়িতে গিয়েছে সিবিআই। হানা দেওয়া হয়েছে কাঁচরাপাড়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বাড়িতে। হালিশহরেও গিয়েছে সিবিআই।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ইডি দফতরে হাজিরা এড়ালেন অভিষেকের বাবা

    Abhishek Banerjee: ইডি দফতরে হাজিরা এড়ালেন অভিষেকের বাবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর। শনিবার তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি এদিন উপস্থিত হননি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন যে বিশেষ কাজ থাকায় তিনি হাজিরা দিতে পারছেন না। অন্যদিকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে শুক্রবার তলব করা হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু তিনিও শুক্রবার হাজিরা দেননি।

    ১২০০ পাতার নথি পাঠিয়েছেন অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার বেশ কিছু নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। ইডি সূত্রে খবর, ১২০০ পাতার নথি পাঠিয়েছেন অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়। আপাতত তাঁর সেই নথি খতিয়ে দেখবেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের কর্তারা। পরবর্তীকালে ফের তাঁকে তলব করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

    অভিষেকের স্ত্রীকে তলব

    অন্যদিকে, এর আগেও অভিষেকের (Abhishek Banerjee) স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছিল ইডি। পরবর্তীকালে চলতি মাসের ১১ তারিখ তাঁকে ফের তলব করা হয়েছে। চলতি মাসের ৩ তারিখ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তলব করা হয়েছিল। তিনি সেদিন হাজিরা দেননি। এরপর ফের ৯ অক্টোবর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করা হয়। তবে সেই তলবকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মামলা বর্তমানে আদালতের বিচারাধীন।

    আদালতের নির্দেশে তদন্ত

    নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ধৃত কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের যোগ সূত্রে উঠে আসে লিপস অ্য়ান্ড বাউন্স প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থার নাম। জানা যায়, এই সংস্থাটির সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর হিসেবে নাম রয়েছে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) বাবা-মা এবং স্ত্রী রুজিরা বন্দোপাধ্যায়ের। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ওই সংস্থার ডিরেক্টরদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে তাই এই তলব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: তৃণমূলের পাল্টা! কলকাতায় ১ লাখ বঞ্চিতদের সমাবেশ করতে চান শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: তৃণমূলের পাল্টা! কলকাতায় ১ লাখ বঞ্চিতদের সমাবেশ করতে চান শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদের দিল্লিতে তৃণমূলের একপ্রস্থ নাটক দিন কয়েক আগেই দেখা গিয়েছে। এবার রাজভবনের সামনে দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের নেতৃত্বে চলছে অবস্থান বিক্ষোভ। তারই পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুত গেরুয়া শিবিরও। শনিবারই কলকাতায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতি। তাঁকে পাসে বসিয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) জানান যে রাজ্যে অসংখ্য মানুষ রয়েছেন যাঁরা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য হলেও রাজনৈতিক কারণে তাঁদের বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। পুজোর পরে এরকম এক লাখ মানুষকে নিয়ে কলকাতায় অবস্থানে বসবেন নন্দীগ্রামে বিধায়ক (Suvendu Adhikari), এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। এর পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী চান ঐ বিক্ষোভ মঞ্চে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও হাজির থাকুন।

    কী বললেন শুভেন্দু

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ যে এক লাখেরও বেশি ভুয়ো জব কার্ড হোল্ডার রয়েছে বাংলায়। যাঁরা ১০০ দিনের কাজের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন না কিন্তু তাঁদের অ্যাকাউন্টের টাকা ঢুকে যায়। এভাবেই নয়ছয় করা হচ্ছে ১০০ দিনের কাজের টাকা। শুভেন্দুর আরও অভিযোগ যে অনেক গরিব মানুষকে বঞ্চিত করে রাজনৈতিক রঙ দেখে তৃণমূল কংগ্রেস সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা তৃণমূলের বদান্যতায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এবং চাকরিপ্রাপ্তরাও পেয়েছেন। শনিবার শুভেন্দু অধিকারীর পাশে সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতি। শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমি রাজ্য সভাপতিকে বলব এটা নিয়ে ভাবতে এবং চাইবো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও যেন উপস্থিত থাকেন, এই কর্মসূচিতে।’’

    কী বললেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী

    সল্টলেক সেক্টর ফাইভে বিজেপির রাজ্য দফতরে এদিন শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) পাশে বসে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতি বলেন, ‘‘আমি ঝাঁসির রানী দেশের মেয়ে। পালিয়ে যাওয়ার পাত্রী নই। আমি সব তথ্যই নিয়ে এসেছি। কলকাতায় যেখানে খুশি বসে তৃণমূলের সঙ্গে কথা বলতে পারি কিন্তু তৃণমূল বসবে না। ওরা কথা বলতে চায় না ওরা শুধু নাটক চালিয়ে যেতে চায়।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Disaster: সিকিম বিপর্যয়ে ভেসে যায় বীরভূমের সেনা কর্মীর দেহ, শোকের ছায়া এলাকায়

    Sikkim Disaster: সিকিম বিপর্যয়ে ভেসে যায় বীরভূমের সেনা কর্মীর দেহ, শোকের ছায়া এলাকায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিম বিপর্যয়ে (Sikkim Disaster) দুই সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে, একজনের নাম গোপাল মান্ডি। তাঁর বাড়ি বীরভূমের ময়ূরেশ্বর থানার নান্দুলিয়া গ্রামে। আর অন্যজনের নাম বিমল ওঁরাও। তাঁর বাড়ি আলিপুরদুয়ারের মধু চা বাগান এলাকায়। এই ঘটনায় দুই জেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Sikkim Disaster)

    পরিবার সূত্রে খবর, ২৯ বছর বয়সি গোপাল ২০১৪ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। গোপাল মেডিক্যাল বিভাগে কর্মরত ছিলেন। ২০২১ সালে বোলপুরের সিয়ানের বাসিন্দা মাম্পি মুর্মুর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। স্ত্রী ছাড়াও গোপালের বাড়িতে আছেন মা-বাবা, দাদা, বোন এবং স্ত্রী। তিনি জলপাইগুড়ির বিন্নাগুড়িতে পোস্টিং ছিলেন। তবে, কয়েকদিন আগে সিকিমের বাবা হরভজন সিংহ মন্দিরে ডিউটি করতে যান তিনি। সিকিমে দুর্যোগের (Sikkim Disaster)  দিন মন্দির থেকে ডিউটি সেরে বিন্নাগুড়ি সেনাছাউনিতে ফিরছিলেন গোপাল। কিন্তু, আর সেনাছাউনিতে ফেরা হয়নি। কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি তাঁর। বুধবার গোপালের বাড়িতে তাঁর নিখোঁজের খবর দেওয়া হয়। তারপর থেকেই উদ্বেগে দিন কাটছিল মান্ডি পরিবারের। বিভিন্ন ভাবে খোঁজখবরের চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। আবার ওই সেনা জওয়ানের বাড়িতে ফোন আসে। তবে এ বার তাঁর মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়। তার পর থেকেই আদিবাসী অধ্যুষিত নান্দুলিয়া গ্রাম শোকস্তব্ধ  হয়ে পড়ে। 

    ছেলের মঙ্গল কামনায় পুজো দেন পরিবারের লোকজন

    অন্যদিকে, আলিপুরদুয়ারের মধু চা বাগানের জওয়ান বিমল ওঁরাও মাস তিনেক আগে লাদাঘ থেকে বদলি হয়ে বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনিতে কাজে যোগ দেন। কয়েকদিন আগে বিন্নাগুড়ি থেকে তাঁকে সিকিমে পাঠানো হয়েছিল। ৪০ বছর বয়সী জওয়ান বিমল ওঁরাওয়ের মৃত্যুতে শোকস্তদ্ধ ডুয়ার্সের মধু চা বাগান। ভাই কমলও সিআরপিএফ কর্মী। তিনি দাদার মৃত্যুর খবর জানতেন। ছেলের সুস্থতা কামনায় বৃহস্পতিবার সকালেও স্ত্রী তনুজা, মা বৈন্ধন ও বাবা মাঙ্গরা স্থানীয় মন্দিরে পুজোও দেন। পরে সিআরপিএফ কর্মী কমল পরিবারের সকলের কাছে আসল সত্যিটা বলে দেন। কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share