Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • East Medinipur: বিজেপির ঘরছাড়া কর্মীরা বাড়ি ফিরতেই তৃণমূলের তাণ্ডব, বাড়ি ভাঙচুর, বোমাবাজি

    East Medinipur: বিজেপির ঘরছাড়া কর্মীরা বাড়ি ফিরতেই তৃণমূলের তাণ্ডব, বাড়ি ভাঙচুর, বোমাবাজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের ঘরে ফেরানোর পরই তৃণমূলের বাইক বাহিনীর তান্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের (East Medinipur) খেজুরি-২ ব্লকের বোগা, আলিপুর, কয়ালচক এলাকায়। একাধিক বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশের সামনে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বোমাবাজিও করা হয়। যদিও জনরোষের মুখে পড়ে বাইক বাহিনীর একাধিক বাইক ভাঙচুর করা হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি উদয় শঙ্কর মাইতির গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে এলে কয়েকজন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছে। গন্ডগোলের কারণে শনিবার রসুলপুর ঘাটে ফেরি সার্ভিস বন্ধ রাখা হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (East Medinipur) 

    পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরের (East Medinipur) খেজুরি-২ ব্লক বার বার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি উদয় শঙ্কর মাইতি পঞ্চায়েত সমিতি নির্বাচনে বিজেপির হয়ে জয়লাভের পর তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করেন। আর তারপরেই ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছায় তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর খেজুরি ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন উদয় শংকর মাইতি। এই নিয়ে উত্তেজনা ছিল এলাকায়। এলাকায় বোর্ড দখলের পরই তৃণমূল দাদাগিরি শুরু করে। তৃণমূলের অত্যাচারে বহু বিজেপি কর্মী ঘরছাড়া ছিলেন। শুক্রবার রাতে সেই কর্মীদের বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক সহ দলীয় নেতৃত্ব ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়ার পরই গন্ডগোল শুরু হয়। তৃণমূলের বাইক বাহিনী গ্রামে ঢুকে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাটের অভিযোগ তুলেছেন খেজুরির বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক। তিনি বলেন, ঘর ছাড়া কর্মীদের বাড়িতে ঢোকানোর পরই তৃণমূলের বাইক বাহিনী তাণ্ডব চালায়। বোমাবাজি করে। পুলিশের সামনেই এসব ঘটানো হয়েছে। তৃণমূল কর্মীদের উপর কোনও হামলা হয়নি। নিজেরা বাইক, গাড়ি ভেঙে আমাদের উপর দায় চাপিয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের জেলার যুব সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, বিজেপি এলাকার পরিবেশ অশান্ত করেছে। বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে পঞ্চায়েচ সমিতির বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। তাঁর গাড়ি, একাধিক কর্মীর বাইক ভাঙচুর করা হয়েছে। বিজেপি এসব করেছে। তৃণমূল কোনও হামলা করেনি।

     কী বললেন জেলা পুলিশ সুপার?

    খেজুরিতে গন্ডগোল ও বাড়ি, গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় এলাকা পরিদর্শন করলেন পূর্ব মেদিনীপুর (East Medinipur) জেলা পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য। তাঁর নেতৃত্বেই খেজুরির আলিপুর থেকে কয়ালচক পর্যন্ত একটি রুট মার্চ করে পুলিশ। পুলিশ সুপার বলেন, গন্ডগোলের ঘটনায় কয়েকজন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। নতুন করে অশান্তি এড়াতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: ৬ বছর পর সক্রিয় পুলিশ! পুরনো মামলায় কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বউদি গ্রেফতার

    Anubrata Mondal: ৬ বছর পর সক্রিয় পুলিশ! পুরনো মামলায় কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বউদি গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূম জেলার বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তাঁর ঘনিষ্ঠ কোনও দলীয় নেতা বা কর্মী হলে তাঁকে স্পর্শ করার সাহস ছিল না। পুলিশও তার দিকে তাকানোর সাহস ছিল না। শাসক দলের এরকম দাপুটে নেটার ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্য সকলেই চেষ্টা করতেন। এখন সেই কেষ্ট ঘনিষ্ঠ হওয়ায় অনেকের কাছে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বীরভূমে কি তাহলে কেষ্ট ম্যাজিক উধাও? এমনিতেই এমনিতেই গরু পাচার দুর্নীতি মামলায় গত এক বছরের বেশি সময় ধরে অনুব্রত মণ্ডল তিহারে রয়েছেন। দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও খাতায় কলমে তিনি এখনও জেলা সভাপতির পদে বহাল।  সময়ের সঙ্গে বদলাচ্ছে তৃণমূলের জেলা সংগঠনের কর্তৃত্বের রাশ। অনুব্রত ‘বিরোধী’ নানুরের কাজল শেখ এখন দলের গুরুত্ব পেয়েছেন। তিনি জেলা পরিষদের সভাধিপতিও। বীরভূম জেলাজুড়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ছে অনুব্রত নামটাও। কয়েকদিন আগেই নানুরের হোসেনপুরে দলীয় কার্যালয়ে তাঁর ছবি মুছে দেওয়া হয়েছে। এরপর বোলপুরেও একই ঘটনা ঘটেছে। দলীয় কার্যালয়ে তাঁর নাম মুছে ফেলা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে পুলিশ এখন অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের পুরানো মামলা খুঁজের বের করে নিয়ম মেনে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর আগে ঝাড়খণ্ডের শিউলি মিত্রের সঙ্গে বীরভূমের চিনপাই গ্রামের অনিমেশ মিত্রের বিয়ে হয়। তিনি দুবরাজপুরের তৃণমূল নেতা ভোলানাথ মিত্রের দাদার ছেলে। ভোলানাথবাবু জেলায় অনুব্রত ঘনিষ্ঠ (Anubrata Mondal) নেতা হিসেবেই পরিচিত। ২০১৩ সালে তৃণমূল নেতার ভাইপোর বিরুদ্ধে  আদালতে বধূ নির্যাতনের মামলা হয়। ২০১৭ সালে তাঁর ও তাঁর মায়ের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। এতদিন পুলিশের খাতায় তাঁরা পলাতক ছিলেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, এতদিন অনুব্রত ঘনিষ্ঠ হওয়ায় ভোলানাথের দাপটে তাঁর বউদি ভারতী মিত্র এবং ভাইপো অনিমেশ মিত্রকে গ্রেফতার করার সাহস হয়নি পুলিশের। এবার আর ভোলানাথবাবুর মাথার উপর অনুব্রত নেই। দলের মধ্যেও কেষ্ট এখন ব্রাত্য। তাই, প্রায় ৬ বছর আগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার মামলা সদাইপুর থানার পুলিশ অনুব্রত ঘনিষ্ঠ নেতার বউদিকে গ্রেফতার করেছে। যদিও ভাইপো এখনও অধরা রয়েছে।

    কী বললেন অনুব্রত (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা?

    ভোলানাথবাবু দুবরাজপুর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন। কেষ্ট জেলে যাওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠায় তাঁকে পদ সরিয়ে দেওয়া হয়। দলের কোর কমিটিতে তাঁর ঠাঁই হয়। এতদিন পর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে ভোলানাথবাবু বলেন, ব্লক সভাপতি ছিলাম বলে পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, এটা ঠিক নয়। বউদি বা ভাইপোর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা ঠিক নয়। আইন আইনের পথে চলবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: সমবায় দুর্নীতি কাণ্ড! আলিপুরদুয়ার শহরে ১৫টি জায়গায় সিবিআই তল্লাশি

    CBI: সমবায় দুর্নীতি কাণ্ড! আলিপুরদুয়ার শহরে ১৫টি জায়গায় সিবিআই তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী সহ বারাকপুর মহকুমার একাধিক পুর চেয়ারম্যানের বাড়িতে ইডি হানা দেয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় বেশ কিছুনথি। সেই জের মিটতে না মিটতেই এবার আলিপুরদুয়ার ঋণদান সমবায় সমিতির প্রায় ৫০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির মামলায় শহর জুড়ে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে সিবিআই (CBI)। শনিবার সকাল থেকে শহরজুড়ে শুরু হয়েছে সিবিআইয়ের তল্লাশি।

    সাত সকালেই সিবিআই হানা (CBI)

    শনিবার সকাল ছটা নাগাদ শিবের তদন্তকারীরা ডিআরএম অফিস সংলগ্ন এলাকায় যান। সেখান থেকে দলে দলে ভাগ হয়ে তাঁরা এদিন মূলত সমবায়ের সঙ্গে যুক্ত কর্মচারীদের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ  শুরু করেন। আর্থিক ওই তছরূপের মামলায় আগে সিবিআই (CBI) এর  তদন্তকারীরা প্রতারিতদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সমবায়ের ম্যানেজার তৃপ্তিকনা চৌধুরী সহ শহরের সূর্য নগর এলাকায় কয়েকটি বাড়িতে ওই তল্লাশি অভিযান চলছে। সমবায়ের কর্মী  আধিকারিকদের বাড়িতে গিয়ে তাঁদেরকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন সিবিআই এর কর্তারা। সিবিএর ওই তদন্তকারী দলে মহিলা সদস্যরাও রয়েছেন।

    প্রতারিতদের কী বক্তব্য?

    আলিপুরদুয়ার ঋণদান সমবায় সমিতির প্রায় ২১ হাজার আমানতকারী তাঁদের টাকা গচ্ছিত রেখে প্রতারিত হয়েছেন। আগে এ নিয়ে প্রতারণার একটি অভিযোগ আলিপুরদুয়ার থানায় করেছিলেন আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা আরটিআই কর্মী অলোক রায়। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে পুলিশ পরে সিআইডি তদন্ত হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতের দারস্থ হন কল্পনা দাস সরকার নামে এক প্রতারিত মহিলা। আদালতের নির্দেশে সম্প্রতি ওই মামলায় সিবিআই ও ইডির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর্থিক তছরূপের  ওই মামলায় তদন্তকারীরা সমবায় সংস্থার ম্যানেজার থেকে কর্মীদের বাড়ি ছাড়াও শহরের এক প্রভাবশালী ঠিকাদারের বাড়িতে গিয়েও তাঁকে দীর্ঘক্ষন জিজ্ঞাসা বাদ করেছেন। এদিন সকাল আটটা থেকে দুপুর পর্যন্ত ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে সমবায় সংস্থার সঙ্গে জড়িত এবং যাদের সঙ্গে ওই সংস্থার আর্থিক যোগ ছিল তাদেরকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়েছে। শহর জুড়ে অন্তত ১৫ টি জায়গায় এদিন  একসঙ্গে  সিবিআইয়ের (CBI) এই তল্লাশি অভিযান চলেছে। আলিপুরদুয়ার শহরের সূর্যনগর বিধানপল্লি এলাকার অনেকের বাড়িতে এদিন গিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। প্রতারিতদের বক্তব্য, আমাদের গচ্ছিত টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করলে ভাল হয়।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Disaster: তিস্তার জলে পাওয়া মর্টার শেল মজুত বাড়িতে! জমা দিলে গ্রেফতারি নয়, বার্তা সাংসদের

    Sikkim Disaster: তিস্তার জলে পাওয়া মর্টার শেল মজুত বাড়িতে! জমা দিলে গ্রেফতারি নয়, বার্তা সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিমে (Sikkim Disaster) মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে তিস্তার জলে ফ্রিজ, ঘরের আসবাবপত্রের সঙ্গে ভেসে এসেছে সেনাবাহিনীর প্রচুর পরিমাণে মর্টার শেল-সহ অন্যান্য গোলা বারুদ। নদীর জল কমতেই সেগুলি ভেসে উঠছে। তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা অনেকেই সেগুলিকে কুড়িয়ে বাড়ি নিয়ে গিয়েছেন। তিস্তায় ভেসে আসা সেই সব বিস্ফোরক জমা দিলে পুলিশ মামলা রুজু করবে না। এমনই বার্তা দিলেন  জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায়।

    বাড়িতে মজুত রয়েছে সেনার একাধিক মর্টার শেল!

    সিকিমের বিপর্যয়ে (Sikkim Disaster) ভেসে গিয়েছে সেনা ছাউনি। সেনার বহু অস্ত্রসস্ত্র ভেসে এসেছে। সেই সব অস্ত্র, শেল সাধারণ মানুষের হাতে চলে এসেছে। ইতিমধ্যেই মর্টার শেল কুড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বিস্ফোরণে জলপাইগুড়ির ক্রান্তি ব্লকের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছে আরও ৬ জন। সেনার ধারণা, এরকম অনেক সাধারণ মানুষের হাতেই এই ধরনের শেল, অস্ত্র চলে গিয়েছে। কিন্তু, তা এখনও প্রশাসনের কাছে জমা পড়েনি। বাড়িতে মজুত করা মর্টার শেল জমা দিলে, পাছে পুলিশ গ্রেফতার করে, এই ভয়ে অনেকেই শেলগুলি জমা দিতে চাইছেন না বলে পুলিশ প্রশাসনের ধারণা। যে পরিমাণ মর্টার শেল মজুত রয়েছে তা ফেরত না দিলে আরও বড় বিপদ হতে পারে বলে পুলিশের ধারণা।

    কী বললেন সাংসদ?

    সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, সিকিম বিপর্যয়ের (Sikkim Disaster) পর বন্যার জলে ভেসে এসেছে সেনাবাহিনীর প্রচুর বিস্ফোরক। যেগুলি তিস্তা পাড় থেকে উদ্ধার করে অনেকেই বাড়ি নিয়ে গিয়েছেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধারণা তৈরি হয়েছে, উদ্ধার হওয়া মর্টার শেলগুলি জমা দিলে পুলিশ তাঁদের বিস্ফোরক আইনে গ্রেফতার করতে পারে। এমন ভয়ে সেগুলির তথ্য পুলিশকে দিতে চাইছেন না। যদিও ইতিমধ্যেই সেগুলির মধ্যে কিছু উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করেছে সেনা। বিস্ফোরকগুলি পুলিশকে দিলে মামলা রুজু করবে না। আমি পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। ফলে, সকলের কাছে আমার আবেদন, তিস্তা থেকে যারা সেনার মর্টার সেল সহ বিভিন্ন বিস্ফোরক নিয়ে গিয়েছেন, তাঁরা থানায় গিয়ে জমা করে দিন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘নতুন বছরের শুরুতেই বালুরঘাট থেকে ছুটবে বেঙ্গালুরুগামী ট্রেন’, দাবি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘নতুন বছরের শুরুতেই বালুরঘাট থেকে ছুটবে বেঙ্গালুরুগামী ট্রেন’, দাবি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুতেই বালুরঘাট থেকে ছুটবে বেঙ্গালুরুগামী ট্রেন। শুধু তাই নয়, দিল্লি বা গুয়াহাটিকে পিছনে রেখে বেঙ্গালুরুকেই কেন এক্ষেত্রে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছেন তারও বিস্তারিত ব্যাখ্যা রেলমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেছেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সিক ও পিট লাইনের কাজ দ্রুত সমাপ্তির পথে। যা চলতি বছরে শেষ হওয়ার মধ্যেই বালুরঘাট থেকে চালু হবে বেঙ্গালুরুগামী ট্রেন। এই খবর সামনে আসতেই রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে গোটা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    রাজ্যের প্রত্যন্ত ও সীমান্ত অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা। ভারত-বাংলাদেশের তিনদিক সীমান্ত বেষ্টিত এই জেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বলতে মূলত সড়ক ব্যবস্থাকেই বোঝায়। অথচ কৃষিপ্রধান এই জেলার মানুষকে চিকিৎসার জন্য প্রায় ছুটতে হয় বেঙ্গালুরুতে। শুধু তাই নয়, হিলি চেকপোস্ট পেরিয়ে প্রতিদিনই বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসার জন্য এপারে আসেন কয়েকশো বাংলাদেশি মানুষ। সেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মানুষই স্বাধীনতার প্রায় ৫৬ বছর পর প্রথম ট্রেনে চড়ার স্বাদ পেয়েছিল। কিন্তু, তারপর হাতে গোনা দু’চারটি ট্রেন ব্যবস্থায় কলকাতার সঙ্গে কিছুটা যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলেও দূরপাল্লার কোনও ট্রেন আজও চালু না হওয়ায় চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্যা সেই তিমিরেই রয়ে গেছে। এবার বিজেপি সাংসদের উদ্যোগে এই স্টেশন থেকে দুরপাল্লার ট্রেন চলাচল করা শুরুর পথে। এই বিষয়ে বালুরঘাটের স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আমরা আমাদের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বালুরঘাট থেকে বেঙ্গালুরুতে ট্রেন চলাচল করার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। আমাদের চিকিৎসা করতে মাঝের মধ্যে বেঙ্গালুরুতে যেতে হয়। বালুরঘাট থেকে যদি বেঙ্গালুরুতে ট্রেন চলে তাহলে আমাদের জেলাবাসীর খুব সুবিধা হবে। আমরা চাই, দ্রুত বালুরঘাট থেকে বেঙ্গালুরু ট্রেন চলাচল শুরু হোক।

    বেঙ্গালুরুগামী ট্রেন চালু নিয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, এই লোকসভা কেন্দ্রের বিগত সাংসদরা রেলমন্ত্রীর কাছে শুধুমাত্র দূরপাল্লার ট্রেনের দরবারই শুধু করে গিয়েছেন। কিন্তু, তারপর সেগুলো কেন বাস্তবায়ন হয়নি তার কোনও খোঁজও নেননি তাঁরা। প্রথমত, বিষয়টি বুঝতে গিয়ে আমিও কিছুটা হোঁচট খেয়েছিলাম। কিন্তু, সেখানে থেমে না গিয়ে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করেছি। তারপরেই সিক ও পিট লাইনের কথা জানতে পেরেছি। সিক ও পিট লাইন একটি রেলস্টেশনকে নাবালক থেকে সাবালক স্তরে নিয়ে গিয়ে পৌঁছায়। যা পূর্ণাঙ্গ রূপ পেলেই সেই স্টেশন থেকে দূরপাল্লার সমস্ত ট্রেন চলাচল করতে পারে। বিষয়টি জানার পরেই রেলমন্ত্রীর সঙ্গে এনিয়ে দরবার করি। প্রায় ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দে বালুরঘাট স্টেশনকে সাবালকত্ব রূপ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। চলতি বছরেই যার পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে বালুরঘাট রেলস্টেশন। আর এরপরেই এই স্টেশন থেকে ছুটবে দূরপাল্লার বিভিন্ন রুটের ট্রেন। এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘চিকিৎসা ব্যবস্থায় অনেকটাই পিছিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর। জেলাবাসীর সুবিধার জন্য ও এ জেলার মানুষকে চিকিৎসার জন্য প্রায় যেতে হয় বাইরে। জেলার মানুষ হিসাবে বিষয়টি উপলব্ধি করে সাংসদ হিসাবে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করি। যাতে জেলার মানুষ চিকিৎসা করতে যেতে সুবিধা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ক্ষুদ্র শিশিতে দুর্গা এঁকে তাক লাগিয়েছেন নদিয়ার তুহিন, প্রশংসা কুড়িয়েছেন লণ্ডনের

    Nadia: ক্ষুদ্র শিশিতে দুর্গা এঁকে তাক লাগিয়েছেন নদিয়ার তুহিন, প্রশংসা কুড়িয়েছেন লণ্ডনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একজন শিল্পীর জীবনে হাজার ঝড় বৃষ্টি বয়ে গেলেও ইচ্ছে শক্তি একদিন পৌঁছে দেয় সাফল্যের দৌড়গোড়ায়। সংসারে অভাব অনটন পিছু না ছাড়লেও সবকিছু উপেক্ষা করেও হোমিওপ্যাথি ওষুধে ব্যবহারকারী ক্ষুদ্র কাঁচের শিশির ভেতরে দুর্গা প্রতিমা এঁকে এক অনন্য নজর গড়লেন নদিয়ার (Nadia) চাপড়ার বড় আন্দুলিয়া এলাকার অঙ্কন শিল্পী তুহিন মণ্ডল।

    বাবার ইচ্ছেপূরণে হাতে তুলি ধরেছিলেন শিল্পী

    শিল্পী তুহিনের বাবা আব্দুল মুজিব মণ্ডল একজন অঙ্কন শিল্পী ছিলেন, তাঁর ইচ্ছে ছিল সন্তান বড় হয়ে তার মত একজন শিল্পী হবে। বাবাকে দেখেই হাতে তুলি ধরেন তিনি। আর এই সংসার চালানোর ক্ষেত্রে অনেক ঝড় ঝাপট তার মাথার উপর দিয়ে গেছে, কিন্তু তিনি পিছুপা হননি। ২২ বছর ধরে তিনি এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। জানা গেছে, মাত্র কয়েক মাস আগে পেট দিয়ে রবীন্দ্রনাথের মূর্তি এঁকে নদিয়া (Nadia) থেকে সারা বিশ্বের দরবারে পৌঁছে গিয়েছিলেন তুহিন, লণ্ডনের একটি সংস্থা তাঁকে শংসাপত্র দিয়েছে। প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ধরে নতুন নতুন শিল্পভাবনাকে তুলির টানে ফুটিয়ে তোলেন তিনি। তবে, হোমিওপ্যাথির একটি ক্ষুদ্র শিশির ভেতরে এইভাবে যে দুর্গা প্রতিমা আঁকা যায় তা কখনও ভাবতে পারছেন না পাড়া প্রতিবেশীরা। স্ত্রী বলেন, প্রতিদিন রাত জেগে শিল্প কলার কাজ করেন স্বামী। তাঁর মতো একজন স্বামী পেয়ে আমি গর্বিত। ছোট মেয়ে লুসি মণ্ডল বলেন, বাবা আমার কাছে আদর্শ। বাবার হাতের কাজ দেখে আমরা হতবাক হয়ে যায়।

    কী বললেন শিল্পী?

    গর্বের সুরে তুহিন বলেন, আমার এই শিল্পকলার জন্য বিদেশ থেকে শংসাপত্র পাব তা ভাবতে পারিনি। একটা সময় আমার সাংসারিক অসচ্ছলতার কারণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম, কিন্তু, কাজের জন্য আমার এখন পরিচিত বেড়েছে। এখন নদিয়ার (Nadia) জেলার বিভিন্ন প্রান্তের অনেক পরিবারের কচিকাঁচারা আমার কাছে ছবি আঁকা শিখতে আসেন, যা এখন সংখ্যায় প্রায় ৫০০ রেও বেশি। তবে লণ্ডনের একটি সংস্থা শংসাপত্র দেওয়াই জীবনের সবথেকে মূল্যবান জিনিস লাভ করেছি। আগামীদিনে এই শিল্পকলার মধ্যে দিয়ে জীবনে আরও প্রতিষ্ঠিত হতে চান তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Flash Flood: সিকিম বিপর্যয়ের পর খোঁজ নেই তথ্য প্রযুক্তি কর্মী সহ তিন বন্ধুর, দুশ্চিন্তায় পরিবার

    Sikkim Flash Flood: সিকিম বিপর্যয়ের পর খোঁজ নেই তথ্য প্রযুক্তি কর্মী সহ তিন বন্ধুর, দুশ্চিন্তায় পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেহাতই শখের বসে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া সিকিমে (Sikkim Flash Flood)। তবে সেটাই যে মহা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠবে তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি মালদার রতুয়ার বাসিন্দা পেশায় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী সুশান্ত সাহার পরিবারের লোকজন। প্রায় চার দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও যোগাযোগ না হওয়ায় রাতের ঘুম উড়েছে ওই পরিবারের। শুধু সুশান্তবাবু নয় সিকিমে ঘুরতে গিয়ে বহু পর্যটকের এখনও খোঁজ নেই।

    সিকিমের লেক থেকে শেষ ছবি! (Sikkim Flash Flood)

    প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত সিকিমে (Sikkim Flash Flood) গত চারদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন সুশান্ত সহ আরও তিন বন্ধু। এদিকে ছেলের খোঁজে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন তার পরিবারের লোকেরা। যদিও এখনও পর্যন্ত ওই যুবকের কোনও খোঁজ মেলেনি বলে জানা গিয়েছে। সুশান্তর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১ অক্টোবর শিলিগুড়িতে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন সুশান্ত। সেখানেই আরও তিন বন্ধুর সঙ্গে মিলে পরিকল্পনা করেন সিকিম ঘুরতে যাওয়ার। তবে রবিবার আবহাওয়া খারাপ থাকায় সোমবার দিন বাইক ভাড়া করে সিকিমে রওনা দেন চার বন্ধু। সোমবার বিকেলে সিকিম পৌঁছে যাওয়ার পর পরিবারের সঙ্গে কথা হয় তার। এমনকি পরদিন মঙ্গলবার সিকিমের গুরুদংমার লেকে গিয়ে বাড়িতে ছবিও পাঠান তিনি। তবে তারপর থেকে সুশান্তর  সঙ্গে আর কোনও রকম যোগাযোগ সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে তার পরিবার। এদিকে সংবাদমাধ্যমে পরিবারের লোকজন খবর পান প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা সিকিম। একাধিক জায়গায় যেমন সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, তেমনি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যোগাযোগ পরিষেবা। এমন অবস্থায় সন্তানের জন্য আরও বেশি করে চিন্তিত হয়ে পড়েছে রতুয়ার থানাপাড়ার সাহা পরিবার।

    পরিবারের লোকজন কী বললেন?

    সুশান্তর মা দিপালী সাহা বলেন, “গত সোমবার দিন ছোট ছেলের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছে। এরপর মঙ্গলবার গুরুদংমার (Sikkim Flash Flood) থেকে বেশ কয়েকটি ছবিও পাঠায় সুশান্ত। যদিও তারপর থেকে বহু চেষ্টা করেও ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে উঠতে পারিনি। খুব দুশ্চিন্তায় আছি। ছেলের চিন্তায় রাতে ঠিকমতো ঘুমোতেও পারছি না।” সুশান্তর বাবা ধীরেন্দ্রনাথ সাহা জানান, “প্রায় চার দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও ছেলের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। পুলিশকে জানিয়েছি যাতে আমার ছেলেকে সুস্থ ভাবে ঘরে ফেরত নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়।” ছোট ভাইয়ের জন্য দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তার দাদা শুভঙ্করও। তিনি জানিয়েছেন, সুশান্তর সঙ্গে সিকিমে ঘুরতে গিয়েছিলেন শিলিগুড়ির দুজন ও বিহারের একজন বন্ধু। তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যায়নি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast in Dattapukur: বাজির পর এবার দত্তপুকুরে বোমা বিস্ফোরণ, আহত ৫ শিশু! কবে হুঁশ ফিরবে?

    Bomb Blast in Dattapukur: বাজির পর এবার দত্তপুকুরে বোমা বিস্ফোরণ, আহত ৫ শিশু! কবে হুঁশ ফিরবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে (Bomb Blast in Dattapukur) বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর এবার বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। বিস্ফোরণে গুরুতর জখম পাঁচ শিশু। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাজ্যের বাজি কারখানাগুলিতে দেশি বোমার চাষ করা হয়, এই অভিযোগে বারবার বিরোধীরা শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। প্রশাসনের হুঁশ এখনও ফিরছে না। 

    উল্লেখ্য, এই স্থানেই গত অগাস্ট মাসে ভয়াবহ বাজি বিস্ফোরণে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তবুও প্রশাসনের ঘুম ভাঙেনি। এই বছরেই রাজ্য জুড়ে এগরা, বজবজ, পিংলা, দিনহাটা, সামসেরগঞ্জ, ঘুটিয়ারি শরীফ, নানুর, ভাঙ্গড়, কালিয়াচক সহ একাধিক জায়গায় বাজি বিস্ফোরণ তথা বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজ্য বার বার তোলপাড় হয়ে উঠেছিল। প্রত্যেক বিস্ফোরণে মানুষের মৃত্যু যেমন হয়েছে, তেমনি শিশুরা পর্যন্ত বিস্ফোরণের প্রভাব থেকে নিস্তার পায়নি। নিহত এবং আহতের সংখ্যাটা নেহাত কম ছিল না। তাই বিরোধীদের অভিযোগ, শাসক তৃণমূল দলের প্রত্যক্ষ মদতে এই বাজি-বোমার কারখানাগুলি চলছে। একই ভাবে পুলিশের নিস্ক্রিয়তা নিয়েও সাধারণ মানুষ সরব হয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনায় ফের বোমা বিস্ফোরণে শিশুরা আক্রান্ত হওয়ায় পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ঘটনা কীভাবে ঘটল (Bomb Blast in Dattapukur)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দত্তপুকুর (Bomb Blast in Dattapukur) থানার কোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের খড়কি দক্ষিণপাড়া এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। একটি বালতির মধ্যে বোমা রাখা হয়েছিল। আর এই বোমা নিয়ে কয়েকজন শিশু খেলা করছিল। হঠাৎ একটি সুতলি খুলে গেলে আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর দ্রুত ছোট জাগুলিয়ার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় শিশুদের। বর্তমানে তাদের চিকিৎসা চলছে।

    স্থানীয় মানুষের বক্তব্য

    স্থানীয় আব্দুল হাকিম বলেন, “বাচ্চারা বল ভেবে খেলতে গিয়ে বিপত্তি ঘটেছে। ওরা বেশ কয়েকটি বোমা নিয়ে প্রথমে খেলতে শুরু করে। এরপর হঠাৎ তীব্র শব্দে বিস্ফোরণ (Bomb Blast in Dattapukur) ঘটে। ইতিমধ্যে ৫ জন বাচ্চা বোমার আঘাতে আহত হয়েছে।” তবে কে বোমা রেখে গিয়েছে, সেই বিষয় সম্পর্কে কিছু বলতে পারেননি তিনি। প্রশাসনের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর একটি বড় প্রশ্ন হল, পুলিশ এলাকায় ঠিক করে কর্তব্য পালন করছে না। মাত্র কয়েকদিন আগেই এই দত্তপুকুরে বাজি বিস্ফোরণে ৯ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল কিন্তু এবার আবার ফের বিস্ফোরণ! আহত ৫ শিশু! তাতেও ঘুম ভাঙছে না প্রশাসনের।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • New Town Murder: ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল, ৩০ লক্ষ টাকা না মেলাতেই নৃশংস খুন ছাত্রকে?

    New Town Murder: ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল, ৩০ লক্ষ টাকা না মেলাতেই নৃশংস খুন ছাত্রকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউ টাউনে রেস্তোরাঁ মালিকের খাটের নিচে স্যুটকেস থেকে উদ্ধার হল এক ছাত্রের মৃতদেহ (New Town Murder)। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গেছে, সেলোটেপ দিয়ে আটকানো ছিল মুখ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ছাত্রকে অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল এবং সেই টাকা না মেলায় খুন করা হয়েছে। ওই রেস্তোরাঁ মালিকের বাড়িতেই ভাড়ায় থাকতেন ওই ছাত্র। 

    মৃত ছাত্রের পরিচয় (New Town Murder)

    এই মৃত ছাত্রের নাম সাজিদ হোসেন। মূলত ডাক্তারি পরীক্ষা এনআইআইটির (নিট) কোচিং নেওয়ার জন্য নিউ টাউনে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি। মহিষবাথান বক্স ব্রিজের কাছে থাকতেন এই ছাত্র। মালদার কালিয়াচকে তাঁর বাড়ি। মৃত্যুর পর পরিবারে তীব্র শোকের ছায়া।  

    কীভবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল?

    সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ অক্টোবর থেকে তাঁর কোনও খোঁজ মিলছিল না। এরপর সহপাঠীরা তাঁর নিখোঁজের কথা বাড়িতে জানান। নিউ টাউনে মূলত ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির পড়াশুনা করছিলেন ওই ছাত্র। ৫ তারিখে নিউ টাউন থানায় মিসিং ডায়েরি করে পরিবার। সূত্রে আরও জানা গেছে, সাজিদের মুখে সেলোটেপ লাগানো এবং হাত-পা বাঁধা একটি ছবি পরিবারকে পাঠানো হয়েছিল। সেই সঙ্গে মুক্তিপণ বাবদ ৩০ লক্ষ টাকা দেওয়ার দাবি করেছিল অপহরণকারীরা। পাঠানোর পরে আবার অপহরণকারীরা সেই ছবি ডিলিট করে দেয়। এরপর আজ ভোররাতে উদ্ধার হয় সাজিদের দেহ (New Town Murder)। এই ছাত্রের পরিবার মাসে মোটা অঙ্কের টাকা পাঠাতো। আর এই খবর পেয়ে দুষ্কৃতীরা মনে করে, পরিবারের কাছে প্রচুর টাকা রয়েছে। এরপর পরিকল্পনা করে খুন করা হয় বলে অনুমান। এই ঘটনায় পুলিশ গৌতম নামে এক যুবকের সঙ্গে আরও চারজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।

    পরিবারের বক্তব্য

    শুক্রবার এই ঘটনাকে ঘিরে শোকের ছায়া নেমে এল কালিয়াচকের ১৬ মাইল গুরুটোলা এলাকায়। মৃত সাজিদ হোসেনের (New Town Murder) বয়স ১৯ বছর। বাবার নাম মোক্তার হোসেন। বাবা মোক্তার হোসেন বলেন, “সাজিদ নিউ টাউনের তারুলিয়া সেকেন্ড লেন এলাকার গৌতম নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়া থেকে নিটের কোচিং নিচ্ছিল। তার ডাক্তারি পড়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু চলতি মাসের ৪ তারিখে সে হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে বুঝতে পারি ওর বন্ধুরা মিলে যোগসাজশ করে অপহরণ করেছে। অপহরণকারীরা মুক্তিপণ হিসেবে পরিবারের কাছে ৩০ লক্ষ টাকা দাবি করে। কিন্তু এর মধ্যেই অপহরণকারীরা তাকে খুন করে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Disaster: সিকিম বিপর্যয়ে বীরভূমের একই পরিবারের নিখোঁজ ৮, হোটেলে আটকে বহু পর্যটক

    Sikkim Disaster: সিকিম বিপর্যয়ে বীরভূমের একই পরিবারের নিখোঁজ ৮, হোটেলে আটকে বহু পর্যটক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরে সিকিমের মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে হড়পা বানে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কবলে পড়লেন পর্যটকরা। বীরভূম থেকে সিকিমে (Sikkim Disaster) বেড়াতে গিয়ে একই পারিবারের দুই শিশু, মহিলা সহ ৮ জন নিখোঁজ বলে জানা গেছে। অপর দিকে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা বিপর্যয়কে অতিক্রম করে কীভাবে বাড়ি ফিরবেন, তা নিয়েও চরম আতঙ্কের ছায়া দেখা গেছে কলকাতা-হাওড়ার বেশ কয়েকটি পরিবারের মধ্যে। দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন পরিজনরা। পাশাপাশি বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধার করতে বাগডোগরা ট্যাক্সিওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশেন বিশেষ পরিষেবা চালু করেছে।

    বীরভূমের নিখোঁজ ৮ জন (Sikkim Disaster)

    সিকিমে (Sikkim Disaster) গিয়ে বীরভূমের একই পারিবারে নিখোঁজ ৮ জন। ইলামবাজারের ভগবতী বাজার এলাকার বাসিন্দা প্রাক্তন শিক্ষক মহম্মদ মহফুজ রহমান, তাঁর ছেলে, ছেলের বউ ও নাতি-সহ একই পরিবারের ৮ জন সিকিম বেড়াতে গিয়েছিলেন। ১ অক্টোবর বোলপুর থেকে তাঁরা সিকিমের উদ্দেশে রওনা দেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ সিকিমের লাচেন এলাকায় একটি হোটেলে উঠেছিলেন তাঁরা। সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর থেকে, অর্থাৎ ৩ অক্টোবর থেকে ওই ৮ জনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পরিবারের সদস্যদের। নিখোঁজদের নাম হল, সোহান রাজভি (৬), রেহা তানভি (১০), রায়না জাহান (৪), রায়সা জাহান (১৩), এসথাউদ্দিন শেখ (৪২), নাজিয়া খাতুন (৩৭), মুজাফফর আহমেদ (৪০), রেবিকা মণ্ডল (৩৪)। পরিবারের তরফে সংশ্লিষ্ট ইলামবাজার থানায় জানানো হয়। তবে একই পরিবারের ৮ জন নিখোঁজ থাকায় রীতিমতো ঘুম উড়েছে পরিবারের বাকি সদস্যদের। প্রশাসন যাতে সিকিমে থাকা পরিজনকে খুঁজে বের করে, সেই জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।

    হোটেলবন্দি হাওড়া-কলকাতার পর্যটকরা

    রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে সিকিমে (Sikkim Disaster) প্রায় তিন হাজারের বেশি পর্যটক আটকে পড়েছেন। পুজোর আগে অনেক মানুষ সিকিমে ঘুরতে গিয়েছিলেন। তবে সিকিমের পাহাড় থেকে সমতলে অনেকে নামতে পারলেও, বেশিরভাগ মানুষ এখনও আটকে রয়েছেন বিপর্যয়ে। গত ২ অক্টোবর কসবার বাসিন্দা পেশায় ডাক্তার, ভাবনী প্রসাদ নিজের পরিবারকে নিয়ে সিকিমে বেড়াতে গেলে বিপর্যয়ের কারণে হোটেলে আটকে পড়েছেন। ভবানীপ্রসাদবাবু ফোনে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “নানারকম খবর শুনছি এবং সেই সঙ্গে আতঙ্কে ভুগছি। পরিবারের সকলে আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন। বাড়িতে পরিজনরা উদ্বিগ্ন হয়ে আছেন। আপাতত সকল প্রোগ্রাম বাতিল করে বাড়ি ফেরার চেষ্টায় রয়েছি।” সিকিমে ঘুরতে যাওয়ায় নিজের পরিজনদের খবর না পেয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ঢাকুরিয়ার বাসিন্দা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত। একই ভাবে হাওড়ার কৌশিক হাজরাও সিকিমে ঘুরতে গিয়ে হোটেলে আটকে পড়েছেন বলে জানা গেছে। পরিবার তাঁদের ফেরা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

    বিশেষ পরিষেবা

    হড়পা বানে সিকিমের (Sikkim Disaster) সঙ্গে উত্তরেবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থার বিশেষ অবনতি ঘটেছে। ঘুরপথে পাহাড় থেকে শিলিগুড়িতে নামতে হচ্ছে। অতিরিক্ত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা সময় লাগছে। গাড়িতে বাড়তি ভাড়া দিতে হচ্ছে পর্যটকদের। এই অবস্থায় মানুষকে বিপর্যয় স্থল থেকে উদ্ধার করতে বাগডোগরা ট্যাক্সিওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশেন বিশেষ পরিষেবার কথা ঘোষণা করেছে। সংগঠনের সচিব মিলন সরকার বলেন, “পর্যটকদের বিনামূল্যে নিরাপদে পৌঁছে দিতে পারলে আনন্দিত হব। আমরা সব সময় প্রস্তুত রয়েছি পরিষেবা প্রদান করার জন্য।”

    বিপদগ্রস্ত পর্যটকরা 9734144375 বা 9832388425 নম্বরে যোগাযোগ করে যে কোনও সাহায্য চাইতে পারবেন। ৬ অক্টোবর, শুক্রবার থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই পরিষেবা চালু থাকবে বলে জানা গেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share