Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Flood: বৃষ্টির জেরে দক্ষিণবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি, বহু পুজোমণ্ডপ জলের তলায়! দুশ্চিন্তায় উদ্যোক্তারা

    Flood: বৃষ্টির জেরে দক্ষিণবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি, বহু পুজোমণ্ডপ জলের তলায়! দুশ্চিন্তায় উদ্যোক্তারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজো শুরু হতে আর দু’সপ্তাহ বাকি। এখনও আকাশের মুখ ভার হয়ে রয়েছে। বৃহস্পতিবারও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বীরভূমে জারি রয়েছে লাল সতর্কতা। পাশাপাশি দক্ষিণের বাকি সব জেলায় জারি কমলা সতর্কতা। বৃহস্পতিবারও দক্ষিণবঙ্গের ৫ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ইতিমধ্যেই এদিন বেলা ১১টা নাগাদ ডিভিসি-র মাইথন থেকে ৩০ হাজার কিউসেক এবং পাঞ্চেত থেকে ৩৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল। এদিকে ইতিমধ্যেই বন্যার (Flood) জলে ভেঙে পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের জমিনদারি বাঁধ। পশ্চিম মেদিনাপুর, হুগলি সহ একাধিক জেলায় পুজোমণ্ডপ জলের তলায়। জল না নামলে পুজো কীভাবে হবে, তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় উদ্যোক্তারা।

    জলমগ্ন পুজোমণ্ডপ! (Flood)

    নিম্নচাপের লাগাতার বৃষ্টিপাত ও ডিভিসির ছাড়া জলে আরামবাগ মহকুমায় কয়েক হাজার হেক্টর কৃষিজমি চলে গিয়েছে জলের তলায়। তাতেই মাথায় হাত এলাকার কৃষকদের। এরই মধ্যে মেদিনীপুর থেকে আরামবাগ, রাজ্যের একাধিক প্রান্তে ভারী বর্ষণের জেরে তৈরি হয়েছে বন্যা (Flood) পরিস্থিতি। একই অবস্থা পাশের এলাকা জাঙ্গিপাড়ারও। দামোদর নদের জলে প্লাবিত হুগলির জাঙ্গিপাড়া ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতেও মিলছে না সরকারি সহযোগিতা। এমনই অভিযোগ বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের। জাঙ্গিপাড়া ব্লকের রশিদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আকনা, সেনপুর, হরিহরপুর এবং পশপুর গ্রাম জলমগ্ন। পাশাপাশি রাজবলহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ছিটখোলা গ্রামও চলে গিয়েছে জলের তলায়। এই সব এলাকার একাধিক মণ্ডপ জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের কলমিজোড় এলাকায় জলস্তর বিপদসীমায় পৌঁছেছে। ঘাটাল মহকুমার বাঁকা, গদাইঘাট, গোপিগঞ্জ, কলমিজোড়, রানিচক প্রভৃতি এলাকায় প্রায় বিপদ সীমার উপর দিয়ে জল বইছে যথাক্রমে শিলাবতী ও রূপনারায়ণে। কেলেঘাই, কপালেশ্বরীর ভয়ঙ্করী রূপে কপাল পুড়তে পারে বেলদা-নারায়ণগড় থেকে গোটা সবং-পিংলার। ঘাটালের হরিশপুর থেকে বন্দর যাওয়ার খেয়াঘাট সহ রূপনারায়ণের প্রায় সব খেয়াঘাট বন্ধ। জলের তলায় কয়েকশো হেক্টর চাষযোগ্য জমি। ফুঁসছে কপালেশ্বরী নদী। নন্দপুরা, চক খুনখুনিয়া সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে গিয়েছে। এই সব এলাকায় মণ্ডপ তৈরির জন্য বাঁশের কাঠামো তৈরি করা হয়েছিল। সেই মণ্ডপও এখন জলমগ্ন হয়ে রয়েছে।

    পুজোর উদ্যোক্তারা কী বললেন?

    পুজোর এক উদ্যোক্তা বললেন, মণ্ডপ থেকে জল কবে নামবে, তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি। কারণ, পুজোর প্যান্ডেল আদৌ করা যাবে কি না তা বুঝতে পারছি না। নতুন করে বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি আরও অবনতি হবে। প্লাবিত এলাকায় জল নামতে কতদিন সময় লাগবে তা নিয়ে ধন্দে রয়েছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: বন্ধ কোণা এক্সপ্রেসওয়ের একটি লেন, কোমর জল কোটি টাকার আন্ডারপাসে, ভোগান্তি

    Howrah: বন্ধ কোণা এক্সপ্রেসওয়ের একটি লেন, কোমর জল কোটি টাকার আন্ডারপাসে, ভোগান্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে গত তিনদিন ধরে জলে ডুবে রয়েছে হাওড়ার (Howrah) কোণা এক্সপ্রেসওয়ের উপর গড়পা সেতুর আন্ডারপাস। যার জেরে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। হাওড়া জেলা প্রশাসন এবং পূর্ত দফতরের জাতীয় সড়ক শাখার পদস্থ ইঞ্জিনিয়ারদের পাশাপাশি হাওড়া সিটি পুলিশ ও পুরসভার কর্তারা একাধিক ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করেও পরিস্থিতির বিন্দুমাত্র উন্নতি ঘটাতে পারেননি। ফলে, ভোগান্তির শেষ নেই।

    আন্ডারপাসে কোমর সমান জল, ভোগান্তি (Howrah)

    কোণা এক্সপ্রেসওয়ের গড়পা এলাকায় একটি সেতুর পাশাপাশি সেখানকার সবচেয়ে নিচু জমিতে এই আন্ডারপাস তৈরি করেছিল রাজ্য পূর্ত দফতরের জাতীয় সড়ক বিভাগ। কয়েক কোটি টাকা খরচ করে মাত্র মাস পাঁচেক আগে সেটির উদ্বোধন করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাওড়ার (Howrah) কোণা এক্সপ্রেসওয়ের উপরে গড়পা সেতুর সেই আন্ডারপাসে কোমর সমান জল হওয়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে, কোণা এক্সপ্রেসওয়ের কলকাতামুখী একটি লেন পুরো বন্ধ রেখে অন্য লেন দিয়ে দু’দিকে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। চরম নাকাল হতে হচ্ছে পথচারীদের। পাশাপাশি গত তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে হাওড়া পুরসভার ২০টি ওয়ার্ড। বেলগাছিয়া ভাগাড়ে ধস নামার কারণে মূল নিকাশি নালা এখনও বুজে আছে। তাই পুজোর আগে জলে প্লাবিত উত্তর হাওড়া, বেলগাছিয়া ও টিকিয়াপাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই জায়গাটি অত্যন্ত নিচু হওয়ায় আগে ভারী বৃষ্টি হলে সেই জল উনসানি, নয়াবাজ বা শীতলাতলা দিয়ে বেরিয়ে যেত। কিন্তু, জগাছায় একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হওয়ার সময় কয়েক একর জলাজমি বুজিয়ে ফেলা হয়। ফলে, বৃষ্টির সব জল এসে জমতে শুরু করে নিচু ওই এলাকায়। মূল জলাধার বলতে ছিল ওই জলাজমিটি। সেটি বেআইনিভাবে বুজিয়ে দেওয়ায় সব জল এসে জমা হচ্ছে এই আন্ডারপাসে। তা আর বের হওয়ার পথ পাচ্ছে না।

    প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    পূর্ত দফতরের জাতীয় সড়ক বিভাগের এক ইঞ্জিনিয়ার বলেন, আন্ডারপাসে যাতে এলাকার জল না ঢোকে, তার জন্য বিভিন্ন নিকাশি নালার মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় লোকজন সেগুলি খুলে দেওয়ায় এই বিপত্তি। হাওড়া (Howrah) পুরসভার চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী বলেন, টানা বৃষ্টির জন্য জল জমছে। বেলগাছিয়া ভাগাড়ে ধসের জন্য মূল নিকাশি নালাটি অবরুদ্ধ হয়ে থাকায় জলমগ্ন হয়েছে উত্তর হাওড়া ও বেলগাছিয়া। জল বের করতে ৫০টি পাম্প কাজ করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • MGNREGA: সীমাহীন দুর্নীতি একশো দিনের কাজে, ২৫ লাখ ভুয়ো জব কার্ডে কত টাকা আত্মসাৎ?

    MGNREGA: সীমাহীন দুর্নীতি একশো দিনের কাজে, ২৫ লাখ ভুয়ো জব কার্ডে কত টাকা আত্মসাৎ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০০ দিনের কাজের টাকা ব্যাপক নয়ছয়ের অভিযোগ রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে। যতই দিল্লিতে আত্মপ্রচারের জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের সাংসদরা ধর্না দিক, রিপোর্ট বলছে অন্য কথা। ‘ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট’ (MGNREGA)-এ চূড়ান্ত দুর্নীতি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। সন্ধান মিলেছে লাখ লাখ ভুয়ো জব কার্ডের। এর পাশাপাশি কয়েক মাস আগে এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও গড়িয়েছিল। অভিযোগ, উত্তর দিনাজপুর জেলায় জেসিবি দিয়ে পুকুর খনন হয়েছে বলে যে জায়গা দেখানো হয়েছে, সেখানে আদতে রয়েছে একটি ভুট্টার ক্ষেত। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন। কত টাকা শাসক দল আত্মসাৎ করেছে, সেবিষয়ে জানতে চেয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘২৫ লাখ ভুয়ো জব কার্ডে কত টাকা আত্মসাৎ?’’

    ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে হাজার হাজার অভিযোগ

    ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে দুর্নীতির ৩,৩৫৮টি অভিযোগ জমা পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। কীভাবে টাকা নয়ছয় করা হয়েছে, ওই অভিযোগপত্রগুলিতে সেই সংক্রান্ত খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে! শুধু তাই নয়, সারা দেশের মধ্যে একমাত্র রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ যেখানে ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকদের কাছ থেকে কাটমানি নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। ২০১৯ সালেই কেন্দ্রীয় টিম তাদের রাজ্য সফরে এমন ভুরি ভুরি অভিযোগ পায়।

    খবরের শিরোনামে ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতি

    বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবরের শিরোনামেও ১০০ দিনের (MGNREGA) কাজে ভুয়ো জব কার্ডের তথ্য উঠে আসতে থাকে। ওই প্রতিবেদনগুলিতে দেখা যায়, পশ্চিমবঙ্গই একমাত্র রাজ্য যেখানে মৃত ব্যক্তিদেরও জব কার্ড রয়েছে। বহুল প্রচারিত সংবাদপত্র ‘দ্য সানডে গার্ডিয়ান’-এর ২০২৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সংস্করণে এই সংক্রান্ত খবর বের হয়। ওই প্রতিবেদনে লেখা হয়, কীভাবে ১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তিদেরও জব কার্ড বানানো হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। ‘দ্য হিন্দু’ পত্রিকার ২০২৩ সালের ১৮ জুনের প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে যে একজন প্রাক্তন বিডিওকে ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই গ্রেফতার করেছে। ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-এর ২০২৩ সালের ১৫ জুলাইয়ের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে যে ইডি একজন তৃণমূল নেতার বাড়িতে হানা দেয় ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতির তদন্তে। সর্বভারতীয় নিউজ নেটওয়ার্ক ‘ইন্ডিয়া টুডে’-র ২২ অগাস্ট ২০২৩ এর প্রকাশিত খবরে দেখা যাচ্ছে সিবিআই ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পশ্চিমবঙ্গে, যারা ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। এছাড়াও একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসেই সিবিআই গ্রেফতার করে একজন প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানকে। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের এই সীমাহীন দুর্নীতি (MGNREGA) আজকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে গরিব এবং অসহায় মানুষদের জীবন জীবিকার অধিকারকে, এমনটাই বলছেন ওয়াকিবহল মহলের একাংশ। দুর্নীতি থেকে নজর ঘোরাতেই শাসক দল এখন টাকা আদায়ের দাবিতে ব্যস্ত।

    কীভাবে টাকা নয়ছয় হচ্ছে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে?

    ১) বিগত বছরে সেন্ট্রাল টিমের ভিজিটে যে দুর্নীতিগুলি উঠে এসেছিল, তার উদ্ধারের পরিমাণ সেন্টাল টিম ঠিক করে দিয়েছিল। এখনও পর্যন্ত কোনও পঞ্চায়েত এই টাকা জমা করেনি।

    ২) নতুন পুকুর (MGNREGA) মূলত জেসিবি মেশিনে কাটা হয়েছে, পরে লেবারের নামে মাস্টার রোল তৈরি করে টাকা তোলার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। যদিও নারেগার গাইডলাইন অনুযায়ী কোনও মেশিন ব্যবহার করে কাজ করা যায় না। মুষ্টিমেয় কিছু পেটোয়া শ্রমিক বা নিজেদের লোকেদের নামে মাস্টার রোল করা হয়েছে এবং কিছু মানুষকে ভয় দেখিয়ে তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকানোর পর জোরপূর্বক ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে আত্মসাৎ করা হয়েছে।

    ৩) নারেগা রিপোর্ট দেখলে স্পষ্ট বোঝা যায়, ১০০ দিনের কাজের যারা প্রকৃত লেবার, তারা ১০০ দিনের কাজ পায়নি, কেউ ১০ দিন, ২০ দিন বা ৩০ দিন সারা বছরে কাজ পেয়েছে। কিন্তু মুষ্টিমেয় কিছু লেবার যারা দলের কর্মীও বটে, ১০০ দিন কাজ সম্পূর্ণ করেছে। তাদের ব্যাঙ্কে টাকা ঢোকানোর পর টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

    ৪) বর্তমানে জব কার্ড (MGNREGA) আধার সিডিং বা যুক্ত হওয়ার আগে একই লেবারকে বিভিন্ন জব কার্ডে ঢুকিয়ে টাকা তোলা হয়েছে।

    ৫) নারেগার নিয়ম অনুযায়ী একটি পরিবারের একটি জব কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, একটি পরিবারের একাধিক জব কার্ড তৈরি করা হয়েছে এবং ঠিক সেগুলিতেই ১০০ দিনের কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

    ৬) কাজগুলির জায়গায় পার্মানেন্ট ডিসপ্লে বোর্ড নেই। ঠিক যখন সেন্ট্রাল টিম ভিজিটে আসছে, তখনই তড়িঘড়ি রাতারাতি ডিসপ্লে বোর্ড জায়গায় জায়গায় লাগানো হয়েছে।

    ৭) যে সব নতুন পুকুর কাটা হয়েছে, সেগুলি সব চাষযোগ্য জমির উপরে কাটা হয়েছে। কিন্তু কোনও জমিকেই সরকারি নিয়ম অনুযায়ী শ্রেণি পরিবর্তন না করেই পুকুর তৈরি করা হয়েছে।

    ৮) কোনও গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রামসভা বা সংসদ সভাতে কোনরূপ আলোচনা বা বেনিফিশিয়ারি তৈরি না করেই নিজেদের লোকেদের জায়গায় নারেগা IBS স্কিমগুলি করা হয়েছে। কিন্তু গ্রামসভাতে আলোচনা বাধ্যতামূলক।

    ৯) নারেগা বিষয়ক গ্রাম পঞ্চায়েতের স্তরে যে কন্ট্রাকচুয়াল ওয়ার্কার কাজ করে, (মূলত প্রতি বছর কন্ট্রাক্ট রিনিউয়াল হয়) তাদের পরের বছর রিনিউয়াল না করার ভয় দেখিয়ে বা চাকরি খাওয়ার ভয় দেখিয়ে স্কিমগুলিতে দুর্নীতি করতে বাধ্য করা হয়েছে।

    ১০) নারেগা বিষয়ক জেলায় জেলায় ডেভেলপমেন্ট মিটিংয়ে সরকারি আধিকারিকরা গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মচারীদের প্রতিনিয়ত অপমান, মাইনে বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি, চোখ রাঙানি ইত্যাদি করে জোরপূর্বক শ্রম দিবস জেনারেট করতে বলেছেন। এঁদের দিয়েই লাখ লাখ ভুয়ো মাস্টার রোল এবং কর্মদিবস তৈরি করে টাকা তোলা হয়েছে। আধাআধি ভাগাভাগিও করা হয়েছে সেই টাকা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Municipality Recruitment Scam: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের দুয়ারে ইডি, চলছে তল্লাশি

    Municipality Recruitment Scam: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের দুয়ারে ইডি, চলছে তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলেও পাইতে পার অমূল্য রতন’–ঠিক এই কথাটাই যেন প্রযোজ্য রাজ্যের ক্রমবর্ধমান দুর্নীতির খতিয়ান ও তাতে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের জড়িত থাকার বিষয়টিতে। শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে গরুপাচার, কয়লা পাচারে একাধিক রাজ্যের শাসক দলের একাধিক হেভিওয়েট নেতামন্ত্রীদের নাম প্রকাশ্যে এসেছে, অভিযোগ উঠেছে। ব্যতিক্রম নয় পুর-নিয়োগ দুর্নীতিও। বর্তমান শাসকের জমানায় দুর্নীতি যে কীভাবে দল ও প্রশাসনকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রেখেছে, তার আরেকটা উদাহরণ দেখা গেল বৃহস্পতিবার।

    সকাল ৬টায় মন্ত্রীর দুয়ারে ইডি

    এদিন পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের আরেক মন্ত্রীর নাম জড়িয়ে পড়ল। বৃহস্পতিবার সাত সকালে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। পুর-নিয়োগ দুর্নীতির (Municipality Recruitment Scam) তদন্তে কলকাতা সহ রাজ্যের ১২ জায়গায় এক যোগে ম্যারাথন তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। সেই সূত্রেই এদিন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা প্রাক্তন মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান রথীন ঘোষের বাড়িতে ইডি হানা দেয়। 

    এদিন, সকাল ৬টা নাগাদ খাদ্যমন্ত্রীর মাইকেলনগরের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। ৫টি গাড়িতে রথীনের বাড়িতে পৌঁছন ইডি আধিকারিকরা। সকাল থেকেই চলছে ইডির তল্লাশি অভিযান (Municipality Recruitment Scam)। বাড়ি ঘিরে রেখেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকরা। বাড়িতেই রয়েছেন রথীন ঘোষ। খাদ্যমন্ত্রী সহ তাঁর পরিবারের লোকজনদের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শুধু খাদ্যমন্ত্রীর বাড়িই নয়, এদিন কামারহাটি পুরসভার তৃণমূলের পুর চেয়ারম্যান গোপাল সাহার অমৃতনগরের বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। পাশাপাশি বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিকের বাড়িতেও পৌঁছে গিয়েছে ইডির একটি দল। টিটাগড়ের প্রাক্তন পুর চেয়ারপার্সন প্রশান্ত চৌধুরীর বাড়িতেও হানা দিয়েছে ইডি (Enforcement Directorate)। দক্ষিণ দমদম পুরসভার নিতাই দত্তের বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি। মোট ১২টি টিমে ভাগ হয়ে ৮০ জন ইডি আধিকারিক নেমেছেন অভিযানে।

    অয়ন শীলের সঙ্গে কী সম্পর্ক রথীনের?

    ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বেআইনিভাবে পুরসভায় নিয়োগ (Municipality Recruitment Scam) সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করছে ইডি। এর মধ্যে অন্যতম হল মধ্যমগ্রাম পুরসভা। রথীন দীর্ঘদিন ধরে মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। সেই প্রেক্ষিতে, নিয়োগ-দুর্নীতি সংক্রান্ত নথি চেয়ে মধ্যমগ্রাম পুরসভার কাছে নোটিশ পাঠিয়েছিল ইডি। সেই নথি ইডি-র দফতরে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ। সূত্রের খবর, ফাইল ঘেঁটে বেশ কিছু সন্দেহজনক তথ্য উঠে আসে। সেখানে রথীন ঘোষের উল্লেখ মেলে। পাশাপাশি, পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলার অন্যতম কিংপিন অয়ন শীল তাঁর বয়ানে রথীন ঘোষের নাম উল্লেখ করেছেন। এমনকি, অয়ন শীলের বাড়িতে বাজেয়াপ্ত করা নথিতে উল্লেখ ছিল রথীনের নাম। সেই সূত্রেই এদিন রথীন ও তাঁর অনুগামীদের বাড়িতে একযোগে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে ইডি (Enforcement Directorate)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: বহু কেন্দ্রীয় প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যর্থ রাজ্য, বঞ্চিত পরিযায়ী শ্রমিকরাও, বলছে রিপোর্ট

    TMC: বহু কেন্দ্রীয় প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যর্থ রাজ্য, বঞ্চিত পরিযায়ী শ্রমিকরাও, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে গত ২ এবং ৩ অক্টোবর দিল্লি অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূলের (TMC) সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের এই কর্মসূচিকে ঘিরে একপ্রস্থ নাটকেরও সাক্ষী থেকেছে গোটা দেশ। টাকা আদায়ের দাবিতে মিডিয়া হাইপ তুলতে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর অফিসে বিক্ষোভ অবস্থানেও বসে পড়েন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তৃণমূলের এহেন আচরণে প্রশ্ন তুলছে বিভিন্ন মহল। রাজ্যের দুর্নীতি ইস্যু থেকে নজর ঘোরাতেই কি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন ধর্না? এ প্রশ্ন এখন দানা বাঁধছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এমন অজস্র প্রকল্প রয়েছে, যেগুলি বাস্তবায়িত করতেই পারেনি তৃণমূল সরকার, এমনটাই প্রকাশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক রিপোর্টে। আবার অজস্র কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে রাজ্য সরকার নিজেদের পছন্দমতো নামকরণ করেছে, যাতে সাধারণ মানুষকে বোকা বানানো যায়! এভাবে সত্যিই কি কেন্দ্রীয় প্রকল্প রাজ্যের হয়ে যায়!

    কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম পরিবর্তন

    কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাকে রাজ্য সরকার নাম পরিবর্তন করে বানিয়েছে বাংলার আবাস যোজনা। প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা হয়েছে বাংলার আত্মনির্ভর গ্যাস যোজনা। প্রধানমন্ত্রী জন ধন যোজনাকে মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তন করে করেছেন বাংলার আজন্ম জীবন বিমা যোজনা। বাংলার কৃষক বন্ধু নামে যে প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার, তা আসলে প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা। আবার দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা নাম পরিবর্তন করে রাজ্য সরকার করেছে বাংলার কৃষি বিমা যোজনা। জনমুখী কর্মসূচিগুলির সমস্ত কৃতিত্ব নিতেই রাজ্য সরকারের এমন আচরণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। স্বচ্ছ ভারত মিশন তাই বদলে হয়েছে নির্মল বাংলা। কেন্দ্রীয় প্রকল্প বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও যোজনা হয়েছে কন্যাশ্রী প্রকল্প। ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি স্কিম রাজ্যের সৌজন্যতায় এখন হয়েছে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন এখন রাজ্যের নাম পরিবর্তনের ফলে খাদ্য সাথী প্রকল্প। রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনা নাম বদলে হয়েছে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প। প্রশ্ন উঠছে, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে টাকার দাবিতে ধর্না দিতে যাচ্ছেন শাসক দলের (TMC) নেতারা। অথচ কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিকে রাজ্য সরকারের প্রকল্প বলে চালাচ্ছে রাজ্য। এটি দ্বিচারিতা নয়?

    বহু প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যর্থ রাজ্য, বঞ্চিত পরিযায়ী শ্রমিকরাও 

    সম্প্রতি নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের তরফ থেকে লোকসভায় একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে, পোষণ অভিযান, যা কিনা কেন্দ্রীয় সরকারের একটি প্রকল্প যার মাধ্যমে সদ্যোজাত শিশু এবং মায়েদের পুষ্টির চাহিদা মেটানো হয়। এতে ব্যাপকভাবে ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পের টাকা কোনওভাবেই বাস্তবায়ন করতে পারেনি রাজ্য। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্ভয়া ফান্ডেরও কোনও রকম বাস্তবায়ন করতে পারেনি রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী লকডাউনের সময়কালে পরিযায়ী শ্রমিকদের ডেটাবেস সমস্ত রাজ্য দিলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোনও ডেটাবেসই তৈরি করেনি। একেক সময়ে একেক রকম দাবি করছেন তৃণমূলের (TMC) নেতৃত্ব। দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে ১০ লাখ পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছে রাজ্যে। তার থেকে এক লাখ বাড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সংখ্যা ১১ লাখ। অর্থাৎ এখান থেকেই পরিষ্কার যে নির্দিষ্ট কোনও ডেটাবেস না থাকাতেই শাসক দলের নেতৃত্ব একেক সময় একেক রকম বিবৃতি দিচ্ছেন। কোনও রকমের ডেটাবেস না থাকার কারণে আদতে যাঁরা সত্যিকারের পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন, তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন। ডেটাবেস না দিতে পারার কারণেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে বাইরে রাখা হয়েছে গরিব কল্যাণ রোজগার যোজনা, এই প্রকল্প থেকে। কেন্দ্রীয় সরকারের জনমূখী এই প্রকল্পের মাধ্যমে পরিযায়ী শ্রমিকদের জীবন জীবিকার চাহিদা মেটানো হয়। বর্তমানে সারা দেশের ১১৬টি জেলা থেকে ২৫ হাজারেরও বেশি পরিযায়ী শ্রমিক এই প্রকল্পের সহায়তা পেয়েছেন।

    গ্রামীণ পরিকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যর্থ রাজ্য 

    প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার অধীনে ২০২০ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এ রাজ্যে মোট ২,৫২৭ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ হওয়ার কথা। এখানেই সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ রাজ্য। এই সময়ের মধ্যে এক কিলোমিটার সড়ক সম্প্রসারণের কাজও হয়নি। অন্যদিকে তৃণমূলের (TMC) নেতারা যে দাবি করে থাকেন যে গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে সারা দেশে তাঁরা অনেক রাজ্যকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন! বাস্তবে দেখা যাচ্ছে উল্টো ছবি। কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্ট বলছে, এ দাবি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। গ্রামীণ পরিকাঠামোর উন্নয়নের দিক থেকে কেরল, তেলঙ্গানা, গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রের থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bhatpara: বোর্ড মিটিংয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানালেন অধিকাংশ কাউন্সিলার, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Bhatpara: বোর্ড মিটিংয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানালেন অধিকাংশ কাউন্সিলার, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাটপাড়া (Bhatpara) পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কাউন্সিলারদের একাংশ বিক্ষুব্ধ ছিলেন। এর আগে একাধিকবার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কাউন্সিলারদের একাংশ। এবার জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠল ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান রেবা রাহার বিরুদ্ধে। যা নিয়ে ভাটপাড়া পুরসভায় তৃণমূলের কাউন্সিলাররা আড়াআড়িভাবে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হতে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bhatpara)

    বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনা করে সবার সম্মতি না নিয়ে ভাটপাড়া (Bhatpara) পুরসভার জমি সাহু একাডেমি নামে একটি সংগঠনকে এক টাকার বিনিময়ে  লিজে দেওয়ার অভিযোগ চেয়ারম্যান রেবা রাহার বিরুদ্ধে। নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির চরিতার্থ করতে গোপনে আর্থিক লেনদেনর বিনিময়ে এই অবৈধ হস্তান্তর হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের ।এই কাটাপুকুর মাঠ ভাটপাড়া পুরসভার স্পোর্টস অ্যাকাডেমি তৈরির জন্য চিহ্নিত করা হয়েছিল,৮০ লক্ষ টাকা খরচ করে এই কমপ্লেক্সকে সাজিয়েছিলেন তৎকালীন ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অর্জুন সিং। তাহলে কেন একটি বেসরকারি সংস্থার হাতে এই জমি তুলে দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে চেয়ারম্যানকে চিঠি দেন কাউন্সিলার গোপাল রাউত, ভাইস চেয়ারম্যান দেব্যজ্যোতি ঘোষ, নূর এ আলম,অরুণ ব্রহ্ম, জিতু সাউ এর মত পুর প্রতিনিধিরা। এই জমির পরিমান প্রায় তিন একর, যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২০ কোটি টাকা, সেই জমি কেন এক টাকার বিনিময়ে তুলে দেওয়া হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ওই পুর প্রতিনিধিরা। স্কুল তৈরির জন্য সাহু একাডেমিকে আগেই সাত কাঠা জমি দেওয়া হয়েছিল। তাহলে পুরো জমি দেওয়ার অর্থ কী? যদিও এই বিষয়ে পুরসভার চেয়ারম্যানের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    কী বললেন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান?

    ভাটপাড়়া (Bhatpara) পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন, বোর্ড মিটিংয়ে কোনও আলোচনা না করেই এই জমি ওই সংস্থাকে কেন দেওয়া হল? এর পিছনে অন্য কোনও বিষয় রয়েছে। আমরা এই ঘটনার জন্য বোর্ড মিটিংয়ে আমরা সবাই প্রতিবাদ জানাই। বাধ্য হয়ে চেয়ারম্যান ওই সংস্থাকে জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Accident: মঙ্গলবারই শেষ কথা, সিকিমে দুর্ঘটনার পর খোঁজ নেই দুই ভাই সহ তিনজনের, দুশ্চিন্তায় পরিবার

    Sikkim Accident: মঙ্গলবারই শেষ কথা, সিকিমে দুর্ঘটনার পর খোঁজ নেই দুই ভাই সহ তিনজনের, দুশ্চিন্তায় পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোটরবাইক নিয়ে সিকিমে (Sikkim Accident) ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ রায়গঞ্জ শহরের একই পরিবারের দুই ভাই ও তাঁদের এক বন্ধু সহ তিন যুবক। বুধবার সিকিমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানার পর উৎকণ্ঠায় রয়েছেন তাঁদের পরিবার। নিখোঁজ যুবকের নাম স্বর্ণদীপ মজুমদার ও শ্রীকান্ত মজুমদার। তাদের বাড়ি রায়গঞ্জের উকিল পাড়া ও সেবকপল্লিতে। আর অন্যজনের নাম ঈশান। তাঁর বাড়ি রাঁচি।

    সিকিম ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ! (Sikkim Accident)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩০ শে সেপ্টেম্বর স্বর্ণদীপ মজুমদার তাঁর খুড়তুতো দাদা শ্রীকান্ত মজুমদার এবং ঝাড়খণ্ডের রাঁচির বাসিন্দা এক যুবক সিকিমের গুরুদংমার লেকের উদ্দেশ্যে বাইক নিয়ে রওনা দেন। মঙ্গলবার রাতে তাঁরা সিকিমের লাচুংয়ের একটি হোটেলে রাতে থাকেন। বুধবার ভোরে তাঁদের নিজেদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর জন্য রওনা দেওয়ার কথা টেলিফোনে পরিবারের লোকেদের জানিয়েছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবার রাতে পরিবারের সঙ্গে শেষ কথা হয় তাদের। বুধবার তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে তাঁদের পরিবারের লোকজনেরা। সিকিমে ভয়াবহ দুর্যোগ (Sikkim Accident) নিয়ে আশঙ্কায় নিঁখোজ দুই  পরিবারের লোকজন। রায়গঞ্জ থানার দ্বারস্থ হয়েছেন দুই পরিবারের লোকজনেরা। সিকিমের ভয়াবহ দুর্যোগের খবর জানতে পেরে পরিবারের লোক আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে তাঁদের। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, স্বর্ণদীপ মজুমদার ও তাঁর রাঁচির বন্ধু কলকাতায় আইটি সেক্টরে কর্মরত। আর শ্রীকান্ত মজুমদার কলকাতায় একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত রয়েছেন।

    পরিবারের লোকজন কী বললেন?

    নিখোঁজ শ্রীকান্তের বাবা কমল মজুমদার বলেন, গতবছরেও ছেলেরা বাইক নিয়ে বাইরে ঘুরতে গিয়েছিল। তবে, এ বছর ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যাবে তা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি। সিকিমে ২৩ জন সেনা কর্মী নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই আমরা চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি। নিখোঁজ স্বর্ণদীপের মা মিঠু মজুমদার বলেন, মঙ্গলবার রাতেই ছেলের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছে। এদিন সিকিমের দুর্ঘটনার (Sikkim Accident) কথা জানতে পেরে ছেলের সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। কিন্তু, আর যোগাযোগ করতে পারিনি। সব মিলিয়ে কতক্ষণে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হবে সেই আশায় দিন গুণছেন তাদের পরিবার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khardah: খড়দায় তৃণমূল নেতার দাদাগিরি! জমি থেকে উচ্ছেদের হুমকি, আতঙ্কে ব্যবসায়ী

    Khardah: খড়দায় তৃণমূল নেতার দাদাগিরি! জমি থেকে উচ্ছেদের হুমকি, আতঙ্কে ব্যবসায়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতার দাদাগিরিতে আতঙ্কে রয়েছেন এক হোটেল ব্যবসায়ী। কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে ওই হোটেল ব্যবসায়ীকে জমি থেকে উচ্ছেদ করতে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতা শুকুর আলির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে খড়দা (Khardah) বিধানসভার রহড়া থানার বন্দিপুর এলাকায়। ইতিমধ্যেই সন্দীপ ঘোষ নামে ওই হোটেল ব্যবসায়ী তৃণমূল নেতা শুকুর আলির নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ এখনও পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয় নি। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Khardah)

    খড়দার (Khardah) বন্দিপুর এলাকায় কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে সন্দীপ ঘোষের একটি হোটেল রয়েছে। হোটেলের পাশে তাঁদের পৈত্রিক জমি রয়েছে। অন্যান্য শরিকের সঙ্গে সেই জমি এখনও ভাগ হয়নি। অভিযোগ, সন্দীপবাবুর এক শরিক সেই জমি ওই তৃণমূল নেতাকে বিক্রি করে দেন। আর সেই জমি বিক্রি করাকে কেন্দ্র করে গন্ডগোলের সূত্রপাত। কারণ, জমি এখনও ভাগই হয়নি। ফলে, ওই জমির কে কোন দিক নেবে তা এখনো ঠিক হয়নি। কী করে সেই জমি কাউকে না জানিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হল তা নিয়ে হোটেল ব্যবসায়ীর শরিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। আর শুকুর আলি জমি কেনার পরেই সামনের রাস্তার দিকে জায়গায় দখল করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। আর সেটা নিয়েই হোটেল ব্যবসায়ীর সঙ্গে ঝামেলা।

    হোটেল ব্যবসায়ীর কী বক্তব্য?

    হোটেল ব্যবসায়ী সন্দীপ ঘোষ বলেন, শুকুর আলি তার স্ত্রীর নামেই এই জমি কিনেছেন। আমরা তাঁর কাছে সমাধানের জন্য গিয়েছিলাম। আমরা পারিবারিকের সমস্যার বিষয়টি সমাধান করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। তিনি সমস্যার সমাধান না করে, উল্টে তিনি আমাদের জমি ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এরমধ্যেই ওই তৃণমূল নেতার বেশ কয়েকজন অনুগামী জমি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে যায়। না হলে পরিস্থিতি ভাল হবে না বলে হুমকি দিয়ে যায়। চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি। এখনও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।   মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। খড়দার (Khardah) বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে বিষয়টি দরবার করেছি। তিনি সমস্ত রকমভাবে সাহায্য করেছেন। কিন্তু, এই তৃণমূল নেতার দাদাগিরি বন্ধ হয়নি। ফলে, চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি।

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী বললেন?

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শুকুর আলি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ওই ব্যক্তি মনগড়া কথা বলছেন। পুলিশি তদন্তে সঠিক বিষয় উঠে আসবে। জমি থেকে কাউকে উচ্ছেদ করার জন্য হুমকি দেওয়া হয়নি। তিনি মিথ্যা অভিযোগ করছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bhatar: মাওবাদীর নাম করে ভাতারে এক চিকিৎসকের কাছে ৫ লক্ষ টাকা তোলা চেয়ে হুমকি চিঠি, আতঙ্ক

    Bhatar: মাওবাদীর নাম করে ভাতারে এক চিকিৎসকের কাছে ৫ লক্ষ টাকা তোলা চেয়ে হুমকি চিঠি, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদীর নাম করে এক চিকিৎসকের কাছে তোলা চাওয়ার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। রীতিমতো সক্রিয় একটি কার্তুজে গায়ে চিঠি জড়িয়ে মাওবাদী নাম দিয়ে ওই চিকিৎসককে হুমকি চিঠি পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতার (Bhatar) গ্রামীণ হাসপাতালে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    চিঠিতে ঠিক কী লেখা রয়েছে? (Bhatar)

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের ভাতার (Bhatar) গ্রামীণ  হাসপাতালের দন্ত চিকিৎসক অপর্ণা মুখোপাধ্যায়কে হুমকি চিঠি পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালের আউটডোরে দরজা খুলে ঢুকে দেখেন দরজার সামনেই একটি সক্রিয় কার্তুজ জড়ানো চিঠি পড়ে আছে। চিঠি খুলে তিনি দেখেন, তাতে লাল কালি দিয়ে লেখা আছে, বুধবার পাঁচ লক্ষ টাকা দিতে হবে। না হলে গোটা পরিবারের প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। নীচে মাওবাদী লেখা রয়েছে। চিঠির নীচে প্রেরক হিসেবে তপন মাহাতর নাম লেখা আছে। বুধবারের মধ্যে পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলা হলেও এদিন সেই টাকা নিতে কেউ আসেনি। তবুও, মাওবাদীদের নামে চিঠি ঘিরে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

    চিকিৎসকের কী বক্তব্য?

    চিকিৎসক অপর্ণা মুখোপাধ্যায় বলেন, চিঠি পাওয়ার পরই ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে বিষয়টি জানিয়েছি। পরে, ভাতার (Bhatar) থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। এভাবে আমাকে কেন চিঠি দেওয়া হল তা বুঝতে পারছি না। আমরা চাই, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।

    কী বললেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক?

    জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়রাম হেমব্রম বলেন,চিঠিটি দরজার নীচ দিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপার ও জেলাশাসককে জানানো হয়েছে। কে বা কারা কেন এরকম করল তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    অভিযোগ পাওয়ার পরই ভাতার (Bhatar) থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ভয় দেখানোর জন্যই এই রকম মাওবাদী নাম দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে, কার্তুজটি সক্রিয়। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: মুর্শিদাবাদে ফের ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু যুবকের, প্রশাসনের নজরদারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Dengue: মুর্শিদাবাদে ফের ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু যুবকের, প্রশাসনের নজরদারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার পর মুর্শিদাবাদ জেলায় ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত হয়ে ফের এক যুবকের মৃত্যু হল। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সুদাম ঘোষ (৩৩)। তাঁর বাড়ি নিমা গ্রামে। এর আগে সূতি-২ নম্বর ব্লকের খানাবাড়ি গ্রামের গৃহবধূ চামেলি বিবি (৩২) ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন। সেই জের কাটতে না কাটতে জেলায় ফের মৃত্যুর ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। ঠিকমতো নজরদারি করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ বিরোধীদের।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Dengue)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছিল, সুদাম ঘোষ গত ২৭ সেপ্টেম্বর তার কর্মস্থল কলকাতা থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন। তারপরেই তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন। ২৯ শে সেপ্টেম্বর কান্দি মহকুমা হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা করার পর জানা যায় তিনি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। ওই দিনই তাঁকে কান্দি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ২ রা অক্টোবর কান্দি মহকুমা হাসপাতাল থেকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে যেন আক্রান্তের (Dengue) সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২৬ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গিতে জেলায় আক্রান্ত ৫৩০০ জন এবং আর মৃত্যু হল দুজনের। যা যথেষ্ট উদ্বেগের বলে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা মনে করছেন।

    প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে ডেঙ্গি (Dengue) প্রতিদিন বেড়ে চলেছে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষকে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিচ্ছে না। কিন্তু রাস্তাঘাট, খাল -বিল, নর্দমা টানা বৃষ্টিতে ভরাট হয়ে গিয়েছে। যার ফলে জলবাহিত এবং মশাবাহিত রোগের উপদ্রব বেড়ে যাচ্ছে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় প্রশাসনের উদ্যোগ সেভাবে চোখে পড়ছে না সাধারণ মানুষের। রাস্তাঘাটের জমা জল পরিস্কার করার বিষয়ে পৌর প্রশাসন কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ। মুর্শিদাবাদ জেলার ডেঙ্গি নিয়ে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা  সূতি-২ নম্বর ব্লক, ভগবানগোলা ১ নম্বর ব্লক, লালগোলা ও জলঙ্গি। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ডেঙ্গি মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share