Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • North 24 Parganas: “আগে কাজ তারপর ভোট’ বেহাল রাস্তা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ বিজেপি সাংসদের

    North 24 Parganas: “আগে কাজ তারপর ভোট’ বেহাল রাস্তা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ বিজেপি সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আগে কাজ তারপর ভোট’ দেড় কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে, রাস্তার বেহাল দশা পরিদর্শন করে মন্তব্য করলেন বনগাঁ লোকসভার (North 24 Parganas) বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তাঁর সংসদীয় ক্ষেত্র জামদা আদিবাসী পাড়ার এক রাস্তার অত্যন্ত খারাপ অবস্থার কথা তুলে ধরে, তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করলেন এই বিজেপি সাংসদ। পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেস থেকেও বিজেপিকে কটাক্ষের ঘটনায় ব্যাপক রাজনৈতিক শোরগোল পড়েছে এলাকায়। রাজ্যের পঞ্চায়েত-পুরসভাগুলিতে চলাচলের রাস্তা নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও এলাকার মানুষ নিজেরা চাঁদা তুলে রাস্তা সারাই করছেন, এমন ঘটনার কথাও সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে।   

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (North 24 Parganas)?

    কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (North 24 Parganas) এদিন এলাকার রাস্তা পরিদর্শন করতে গিয়ে বলেন, “আমি যদি রাস্তার অনুমোদন করে দিই, আপনাদের দায়িত্ব থাকবে পঞ্চায়েত থেকে সেই রাস্তা বের করে নিয়ে আসা। আপনারা কি পারবেন? আমি কোনও প্রতিশ্রুতি বুঝি না, আগে কাজ তারপর ভোট। কথার সঙ্গে কাজের মিল থাকতে হবে। আমি কাজের পক্ষপাতি। এলাকায় অত্যন্ত খারাপ রাস্তা। মানুষের সমস্যা কী তাই আমি জানতে চাই।”

    এলাকার মানুষের বক্তব্য

    বেহাল রাস্তার ফলে এলাকার (North 24 Parganas) মানুষের সমস্যা অত্যন্ত প্রবল। হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাওয়া, ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে যাওয়া, ইত্যাদি ক্ষেত্রে গাড়ি চালানোর জন্য উপযুক্ত নয় এই রাস্তা। এই জামদা এলাকার এক স্থানীয় আশাকর্মী জয়ন্তী বসু বলেন, “অনেক গর্ভবতী নারীকে এই রাস্তায় দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে যেতেই রাস্তায় বেশ কয়েকটি বাচ্চা প্রসবের ঘটনা ঘটেছে। কারণ রাস্তা খুব খারাপ। চালাচলের যোগ্য নয় এই রাস্তা। প্রয়োজনীয় কোনও গাড়ি এখানে যাতায়াত করতে পারে না। তাছাড়া রাস্তা খারাপ বলে গাড়ি চালকেরা অধিক টাকা চায়। এলাকার বেহাল রাস্তা ঠিক করার ক্ষেত্রে প্রশাসনের নজর নেই।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    বনগাঁ এলাকার সাংগঠনিক জেলার (North 24 Parganas) তৃণমূলের কংগ্রেস সহ সভাপতি প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, “এলাকার সাংসদ ২০১৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত চার বছর শো-কেসে ছিলেন। বনগাঁর কোনও মানুষ তাঁকে চোখে দেখেননি। এলাকার পঞ্চায়েতের কোনও মানুষ তাঁকে চেনে না। সামনে লোকসভার ভোট তাই এখন মাঠে নেমেছেন তিনি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • DVC: পুজোর আনন্দ ম্লান! ভাসছে দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলা, কী করছে রাজ্য সরকার?

    DVC: পুজোর আনন্দ ম্লান! ভাসছে দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলা, কী করছে রাজ্য সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার থেকেই ডিভিসি-র (DVC) বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়া শুরু হয়েছিল। গত দুদিন ধরে সেই জল ছাড়ার পরিমাণ ক্রমশ বেড়েছে। আর তার দোসর নাগাড়ে বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে এই বৃষ্টি চলবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। ফলে, পুজোর আগেই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দুই বর্ধমান, হাওড়া, দুই মেদিনীপুর জেলায়। ফলে, দক্ষিণবঙ্গের এই সাতটি জেলার মানুষ চরম আতঙ্কে রয়েছেন। পুজোর আনন্দ একেবারে ম্নান হয়ে গিয়েছে। পুজোর মণ্ডপ তৈরির পরিবর্তে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হচ্ছে প্লাবিত এলাকার বাসিন্দাদের। রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    জলাধারগুলি থেকে কত পরিমাণ জলা ছাড়া হল? (DVC)

    দীর্ঘদিন রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় থাকার পরেও পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে নিকাশি ব্যবস্থার স্থানীয় কোনও সমাধান করতে পারল না। ফলে, ডিভিসি-র (DVC) মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধারের ছাড়া জল আর বৃষ্টির কারণে ঘাটাল মহকুমার অনেক জায়গায় জল ঢুকে গিয়েছে। এমনিতেই পুজোর কারণে পাড়ায় পাড়ায় সব প্রস্তুতি চলছিল। এখন বন্যা হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন এলাকাবাসী। অতিবর্ষণে সবং ব্লকের ছয়-সাতটি অঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ১১ নম্বর মহাড় অঞ্চলের কানুচক বুথে বেশ কয়েক’টি পরিবারকে তুলে এনে একটি স্কুলের ত্রাণ শিবিরে করে রাখা হয়েছে। একই অবস্থা দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। বকখালি, বালিয়াড়া-সহ গঙ্গাসাগরের সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে দেওয়া হয়নি। মঙ্গলবার বিকেল থেকে অবশ্য ডিভিসির জল ছাড়ার পরিমাণ কমিয়েছে। মাইথন জলাধার থেকে ২০ হাজার কিউসেক এবং পঞ্চায়েত জলাধার থেকে ৫৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ৭৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে।

    পুজোর আগে বন্যার আশঙ্কা

    পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক জায়গায় আবার বন্যার আতঙ্ক শুরু হয়েছে। ডিভিসির (DVC) ছাড়া জলে পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক এলাকা প্লাবিত। বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ায় কেলেঘাই, চণ্ডীয়া, হলদি, রূপনারায়ণ-সহ নদী তীরবর্তী এলাকাগুলিতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না, ভগবানপুর, পাঁশকুড়া, কোলাঘাট, তমলুক, খেজুরি-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় জমা জলের সমস্যা রয়েছে। ঝাড়খণ্ডের গালুডি ব্যারেজে জল ছাড়়ার কারণে ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর-১ এবং ২ ব্লক, সাঁকরাইল এবং নয়াগ্রাম ব্লক প্রশাসন নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের পুজোর আনন্দ উধাও হয়ে গিয়েছে। বন্যার আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে। অনেকে ঘরের চারিদিকে জল থাকায় বের হতে পারছেন না। চরম নাকাল হতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।

    হাওড়ার কোন কোন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা?

    হাওড়়ার আমতা এবং উদয়নারায়ণপুরের পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই আশঙ্কাজনক। দফায় দফায় বৃষ্টিতে মুণ্ডেশ্বরী, রূপনারায়ণ এবং দামোদরের জল বাড়ছে। আমতা-২ ব্লকের ভাটোরা এবং ঘোড়াবেড়িয়া চিতনান গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু গ্রামের মানুষজন বন্যার আতঙ্কে রয়েছেন। এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করেছে। দামোদর নদের জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় উদয়নারায়ণপুরের হরালি, দাসপুর, সীতাপুর, সুলতানপুর, গজা, কুড়চি, হরিহরপুর, হোদল, রামপুর বালিচক, শিবপুর, বিনোদবাটি, জঙ্গলপাড়া, শিবানীপুর, পাঁচারুল-সহ বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

    সেতুর উপর দিয়ে বইয়ে জল

    ফুঁসছে বাঁকুড়ার দ্বারকেশ্বর। এই নদের উপর বাঁকুড়া শহর লাগোয়া মীনাপুর ও ভাদুল সেতুর উপর প্রায় চার ফুট উচ্চতা দিয়ে প্রবল বেগে জল বইছে। সেতুর উপর দিয়ে জল বইতে থাকায় মীনাপুর ও ভাদুল সেতু দিয়ে যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র বাঁকুড়া জেলার ৯৭০ জন বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। বীরভূমের কাদরকুলা থেকে বাগসীনা যাওয়ার রাস্তা জলের তলায় গিয়েছে। আরও জল বৃদ্ধি হলে কীর্ণাহারের সঙ্গে লাভপুরের প্রায় ১৫টি গ্রামের  যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North Bengal: পুজোর আগে অতি বর্ষণে উত্তরবঙ্গে বন্যার ভ্রুকুটি! দুশ্চিন্তায় পর্যটকরা

    North Bengal: পুজোর আগে অতি বর্ষণে উত্তরবঙ্গে বন্যার ভ্রুকুটি! দুশ্চিন্তায় পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন বাকি। দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি তুঙ্গে। কিন্তু এর মধ্যে নিম্নচাপের কারণে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণে বিপর্যয়ের মুখে উত্তরবঙ্গের সাধারণ মানুষের জীবন। পুজোর প্যান্ডেল থেকে শুরু করে পুজোর কেনাকাটাকে ঘিরে ব্যবসায় মন্দার প্রভাব পড়েছে। পাশাপাশি উৎসবের সময়ে ধাক্কা খেতে পারে পর্যটন শিল্পও। টানা বৃষ্টির ফলে উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। উত্তরবঙ্গে (North Bengal) তিস্তা-তোর্সা, জলঢাকা, রায়ডাক, সঙ্কোশের মতো পাহাড়ি নদীগুলিতে জলের স্তর বেড়েছে। ফুঁসছে নদীগুলি। বৃষ্টির পরিমাণ এতটাই বেড়েছে যে, তিস্তায় সম্ভব হচ্ছে না জল ধরে রাখা।

    জলপাইগুড়িতে বন্যা সতর্কতা (North Bengal)

    জলপাইগুড়ি জেলা (North Bengal) প্রশাসন ইতিমধ্যেই নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে মানুষকে সরাতে শুরু করেছে। সিকিম পাহাড়ে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ড্যাম ভেঙে যাওয়ায় জলপাইগুড়ির তিস্তায় দু-কূল ছাপিয়ে বন্যার আশঙ্কা। নদীর পাড়ের এলাকায় সতর্কতা জারি করেছে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। নদীর চর এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিস্তায় হলুদ সতর্কতা জারি করেছে সেচ দফতর।  তিস্তা নদীতে পাহাড় থেকে নেমে আসা জলে এলাকায় বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। 

    গাজলডোবা ব্যারাজ থেকে ছাড়া হচ্ছে জল

    তিস্তার (North Bengal) গতিপথের দু পাশে পড়ছে গাজলডোবা ব্যারাজ, দোমহনি, মেখলিগঞ্জ, হলদিবাড়ি, জলপাইগুড়ি শহর। তিস্তার বৃদ্ধি পাওয়া জলস্তরের জেরে ওই সব এলাকাই প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বাংলাদেশেরও বিস্তীর্ণ এলাকাও। সকাল সাতটা নাগাদ গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে ৭ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। যা এখনও পর্যন্ত এ বছরে পরিমাণের অঙ্কে সর্বোচ্চ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমস্ত রকমের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।

    অপর দিকে গজলডোবা ব্যারেজে ভেসে আসছে মৃতদেহ। এখন পর্যন্ত ২টি মৃতদেহ দেখা গিয়েছে বলে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।তিস্তার জলে গজলডোবা ব্যারেজে ভেসে আসছে জীবজন্তু, গাড়ি, সিন্দুক, গ্যাস সিলিন্ডার। সেইসব জিনিস উদ্ধার করতে ব্যস্ত এলকার মানুষ। গজোলডোবা ব্যারেজে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমিয়েছে। 

    জলমগ্ন দার্জিলিং

    শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং এবং দার্জিলিং (North Bengal) যাওয়ার বিকল্প রাস্তার উপর থেকেই বইছে জল। প্রাথমিক ভাবে জানতে পারা গিয়েছে, রাতে হু হু করে জল ঢুকে পড়ে এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দা জানাচ্ছেন যে, আচমকাই জলস্তর দোতলা বাড়ির সমান বেড়ে গিয়েছে। এলাকার জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জল ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সেই কারণেই জল ছাড়ার কাজ শুরু হয়েছে।

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তরবঙ্গের (North Bengal) জেলাগুলির মধ্যে বুধবার কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়িতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ওই তিনটি জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তাছাড়া দার্জিলিং, কোচবিহার, মালদা, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টি হবে। ওই জেলাগুলিতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে।

     প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন রাজু বিস্তা

    সিকিমের বিপর্যয় নিয়ে দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা৷ চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রীকে। চিঠিতে বলেন, “সিকিমের হড়পা বানের প্রভাব উত্তরবঙ্গেও পড়বে। উত্তর সিকিমের লোনাক হ্রদে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ফলে তিস্তার জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। এর প্রভাব পড়তে চলেছে দার্জিলিং, সিকিম ও কালিম্পং জেলায়৷” তিনি আরও বলেন, “সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনকে আরও জানিয়েছি বুধবার সকাল ছ’টা থেকেই বিপদসীমার ৩ মিটার উপরে বইছে জল৷ কালিম্পং জেলার ডিএম-এর সঙ্গে আমার নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি, এ ছাড়া ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর তৈরি আছে বিশেষ বিপর্যয় মোকাবিলা দল৷ এই তিন পার্বত্য এলাকার বেশ কিছু অংশ হড়পা বানে ভেসে গিয়েছে৷ শিলিগুড়িতেও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল অপেক্ষা করছে, যদি কোনও বড় প্রয়োজন হয়, তা হলে অবশ্যই দল দ্রুত পৌঁছে যাবে৷”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur Barrage: ‘বালি মাফিয়াদের জন্য রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি, কোনও নজরদারি নেই’, তোপ আলুওয়ালিয়ার

    Durgapur Barrage: ‘বালি মাফিয়াদের জন্য রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি, কোনও নজরদারি নেই’, তোপ আলুওয়ালিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিদিন জলাধার থেকে ছাড়া হচ্ছে জল। চলছে টানা বৃষ্টি। সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দুর্গাপুর ব্যারেজ (Durgapur Barrage) পরিদর্শনে যান বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। তিনি বলেন, নজরদারির অভাবে অনৈতিকভাবে বালি তোলাই বন্যার কারণ।

    নদীতে বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য নিয়ে কী বললেন বিজেপি সাংসদ? (Durgapur Barrage)

    অবৈধভাবে বালি তোলার জেরে প্লাবন! দুর্গাপুর ব্যারেজ (Durgapur Barrage) পরিদর্শনে এসে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। এমনকী পরিদর্শনে এলেও তালা খুলে দেখানো হল না দুর্গাপুর ব্যারেজের অটোমেশিন পদ্ধতি ‘স্কাডা’র কাজ। আর তাই নিয়ে বিস্তর রহস্য দানা বেঁধেছে। প্রশ্ন উঠেছে, জলে টইটম্বুর ব্যারেজে যখন লক্ষাধিক কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে, তখন অপারেটার না থাকায় তালা খুলল না ‘স্কাডা’। এদিন সাংসদ বলেন, ‘দুই জেলায় দামোদর উপকূলবর্তী কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমি কোনও সমস্যা আছে কিনা জানতে চাইলাম। সমস্যা থাকলে সহযোগিতা করব বললাম। আমাকে নিয়ে গিয়ে ভেতরে বসিয়ে রাখা হল। কী কারণে স্কাডা সিস্টেম দেখালো না, তা বুঝতে পারছি না। এদের আচরণ সন্দেহজনক। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, ‘নদী থেকে অবৈধভাবে বালি তোলা হচ্ছে। বালি তোলার অনুমতি জেলা প্রশাসন দিলেও নজরদারি নেই। নদীর কিনারায় বালি তোলার ফলে গতিপথ বদলে যাচ্ছে। ফলে নদী তীরবর্তী গ্রাম ও চাষজমি প্লাবিত হচ্ছে। তাই নদী থেকে বালি তোলায় নজরদারি দরকার।”

    নদীতে ড্রেজিং নিয়ে কী বললেন সাংসদ?

    সাংসদ বলেন, এর আগেও দামোদরের (Durgapur Barrage)  ড্রেজিং এর ব্যাপারে আমি বলেছি, আবারও বলব। তবে, সাংসদের যুক্তি, জল ছাড়া হলে জলের প্রধান স্রোতের সঙ্গে বালি ভেসে চলে যায় বলে স্বাভাবিকভাবে ড্রেজিং করার প্রয়োজন হয়। তিনি কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের দোষ দেখছেন না। তিনি প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ১৯৭৮ সালে চার লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল, তখন সামাজিক মাধ্যম ছিল না। সাংসদের কথায় দুই ধারে বালি জমে যায় ফলে বালি তোলার জন্য সরকারিভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। সাংসদ দায়ী করছেন, অন্যায়ভাবে বালি উত্তোলন করা হয় বালিঘাটের কাছেই। জেসিবি দিয়ে বালি তোলা হয়। তাই,আশপাশের গ্রামগুলিতে বন্যা হয়।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NBSTC: রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে এনবিএসটিসি-র তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন, কেন জানেন?

    NBSTC: রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে এনবিএসটিসি-র তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নাম তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন। মঙ্গলবার শাসকদলের শ্রমিক সংগঠন উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ (NBSTC) ড্রাইভার্স অ্যান্ড তৃণমূল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় যত ডিপো রয়েছে তার কয়েকশো কর্মী ছুটি নিয়ে কোচবিহারে সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। রাজ্য সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তকে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে দলেরই শ্রমিক সংগঠন। যা রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। পুজোর মুখে এভাবে আন্দোলন করার ফলে পর্যটকরা সমস্যায় পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

    কেন আন্দোলন? (NBSTC)

    তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের রাজ্যের পরিবহণ দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ৬০ বছর পর্যন্ত পর্যন্ত চাকরির নিশ্চয়তা, অবসরকালীন একসঙ্গে তিন লাখ টাকা, প্রতি বছর তিন শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধি এবং পাঁচ বছর পর পর বেতন কাঠামো পুনর্বিন্যাস করার। সেইমতো গত কয়েকবছর ধরে বেতন সহ বিভিন্ন সুবিধা পেয়ে আসছিলেন তাঁরা। এদিকে এই বছর তাঁদের বেতন বৃদ্ধির জন্য গত অগাষ্ট মাসে ৩০ লক্ষ টাকা চলে আসে। এতে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন কর্মীরা। কিন্তু, সম্প্রতি রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেয় সরকারের অধীনে থাকা পরিবহণ সংস্থার অস্থায়ী কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি করা হবে না। এই মর্মে একটি সংশোধিত নির্দেশিকায় জানানো হয়। আর এতেই কার্যত ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সংস্থার ১৭৫০ কর্মী। বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনে নামেন তাঁরা।

    কী বললেন তৃণমূল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা?

    একসঙ্গে এত সংখ্যক কর্মী আন্দোলনে নামায় উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার (NBSTC) যাত্রী পরিষেবায় ব্যাহত হয়। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ ড্রাইভার্স অ্যান্ড তৃণমূল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের কোচবিহার ডিপোর সম্পাদক দীপেশ দাস বলেন, পুজোর আগে প্রত্যেকেই সুখবর পাওয়ার আশায় থাকেন। নতুন নির্দেশে ৬০ বছর আদৌ চাকরি থাকবে কিনা তার কোনও গ্যারান্টি নেই। আমাদের যদি সংসার না চলে সেক্ষেত্রে আমাদের থেকে সেরা কাজটা আশা করেন কী করে? উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার কর্মীরা দিনরাত পরিশ্রম করে সংস্থার আয় ১৬ কোটি টাকায় নিয়ে গিয়েছে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও ২০১৯ সালের যে বিজ্ঞপ্তি ছিল তা বাতিল করা হয়েছে। এতে অস্থায়ী কর্মীরা বিপদে পড়েছে। তাই আন্দোলনে নামা হয়েছে।

    কী বললেন উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান?

    এদিকে এই গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার (NBSTC) চেয়ারম্যান পার্থপ্রতীম রায় বলেন, সরকারের নির্দেশ সকলকে মান্য করে চলতে হবে। আর নির্দেশ মোতাবেক এখনই তিন শতাংশ হারে বেতন বাড়ানো সম্ভব নয়। বিষয়টি নিয়ে পরিবহণ দফতরের সঙ্গে কথা বলব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: শিলিগুড়িতে জাল আধার কার্ড তৈরির ঘাঁটির সন্ধান, আন্তর্জাতিক চক্রের হাত!

    Siliguri: শিলিগুড়িতে জাল আধার কার্ড তৈরির ঘাঁটির সন্ধান, আন্তর্জাতিক চক্রের হাত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের একের পর এক আধার প্রতারণার ঘটনা  ঘটেছে। বায়োমেট্রিক জাল করে প্রতারণার ফাঁদে ফেলা হয়েছে অনেককে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও হয়েছে অনেকের। উত্তর দিনাজপুরের এই সব প্রতারণা চক্রের একটি গ্যাংকে পুলিশ পাকড়াও করেছে। যদিও এই সব প্রতারকদের হাত থেকে বাঁচতে পুলিশের তরফে আধারের বায়োমেট্রিক লক করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এসবের মাঝে জাল আধার কার্ড তৈরির হদিশ পাওয়া গেল শিলিগুড়িতে (Siliguri)। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কীভাবে জানা গেল? (Siliguri)

    দিন কয়েক আগে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত ব্যক্তির নাম মহম্মদ স্বপন। সে বাংলাদেশের নাগরিক। তাঁর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। এরপরই ধৃতের কাছ থেকে একটি আধার কার্ড পায় ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশ। তদন্তকারী আধিকারিকদের সন্দেহ হয়। পুলিশ পরে জানতে পারে আধার কার্ডটি জাল। ধৃতকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। এরপরই ধৃতের থেকে পুলিশ জাল আধার কার্ড তৈরির ঘাঁটির সন্ধান পায়। জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমার খড়িবাড়ির বাতাসি এলাকায় ফটো তোলার স্টুডিয়োর আড়ালে রমরমিয়ে চলত জাল আধার কার্ডের ব্যবসা। সেই স্টুডিয়োতে ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে  বেশকিছু জাল আধার কার্ড উদ্ধার করে। গ্রেফতার করা হয় সনয় সরকার নামে এক ব্যক্তিকে। ধৃতের দোকানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ জাল আধার কার্ড সহ ল্যাপটপ, হার্ডডিক্স, ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার উদ্ধার করেছে।

    আন্তর্জাতিক চক্রের হাত!

    এর আগেও ভারত নেপাল সীমান্ত এলাকায় জাল আধার কার্ড সহ বেশকয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসএসবি এর হাতেও জাল আধার কার্ড সহ ধরা পড়েছিল বেশকয়েকজন। ধৃত সনয় সরকার শিলিগুড়িতে (Siliguri) আর কাদের হাতে জাল আধার কার্ড তুলে দিয়েছে তার খোঁজ শুরু করেছে দার্জিলিং জেলা পুলিশ। এই ঘটনার পিছনে কোনও আন্তর্জাতিক চক্রের হাত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তারমধ্যে এই জাল আধার কার্ড তৈরির হদিশ প্রশাসনের আরও উদ্বেগ বাড়াল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Digha Fish: দিঘায় ১১০ কেজির কই ভোলা মৎস্যজীবীদের জালে! নিলাম হল ২৫ হাজার টাকায়

    Digha Fish: দিঘায় ১১০ কেজির কই ভোলা মৎস্যজীবীদের জালে! নিলাম হল ২৫ হাজার টাকায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিঘায় (Digha Fish) মৎস্যজীবীদের জালে পড়ল ১১০ কেজি ওজনের কই ভোলা মাছ। এই দানবাকৃতির মাছ বিক্রি হল ২৫ হাজার টাকায়। এই মাছ নিলামের সময় প্রচুর মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। একে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়।

    জাল থেকে তুলতে হাঁসফাঁস অবস্থা (Digha Fish)

    দিঘার মোহনায় বড় বড় দানবাকৃতির মাছ (Digha Fish) ধরা পড়ার কথা বারবার সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসে। আজও দিঘায় বিরাট কই ভোলা জালে পড়ার পর সমুদ্র সৈকতে বেশ চাঞ্চল্য তৈরি হয়ে যায়। বিশাল আকৃতির মাছকে জাল থেকে তুলতে মৎস্যজীবীদের ঘাম ঝরিয়ে রীতিমতো হাঁসফাঁস করতে হয়েছে। দিঘা মোহনা মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে মাছ নিয়ে যেতেই সকলের মধ্যে হুলস্থূল পড়ে যায়। বাজারে নিলামে হাজার হাজার টাকা দাম ওঠে। পরে মাছকে (Digha Fish) বিসিসি আড়তে তোলা হলে ২৫০০০ টাকায় নিলাম হয় বলে জানা গেছে।

    এলাকায় চাঞ্চল্য

    সূত্রে জানা গেছে, এই বিরাট মাছ (Digha Fish) পারাদ্বীপ থেকে দিঘার সমুদ্র সৈকতে এসেছে। কই ভোলাকে ঘিরে সমুদ্র সৈকতে মাছের বাজারে প্রচুর পর্যটক আসেন। মাছকে দেখা এবং মাছ দেখার পর পর্যটকদের মধ্যে অনেকে আশ্চর্য হয়ে ওঠেন। কেউ কেউ উৎসাহী হয়ে মোবাইলে ফটো তুলে রাখেন। এই ফটো আবার সামজিক মাধ্যমে বিনিময় করেছেন অনেকে। তবে ১১০ কেজি ওজনের মাছ সচরাচর দেখা যায় না বললেই চলে। তাই এই মাছকে ঘিরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

    এই প্রথম এতো বড় মাছ ওঠেনি দিঘায়। কয়েকদিন আগেই ১৭৫ কেজি ওজনের একটি কই ভোলা উঠেছিল। তবে মোহনার কাছেই এই বড় মাছ ধরা পড়ে। মাস খানেক আগেও একটি বিরাট সামুদ্রিক ভেটকি মাছ পাওয়া যায়। মাছের ওজন ছিল ২০০ কেজি। ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছিল এই মাছ। তবে এই মাছ গরিব মৎস্যজীবীদের কাছে লটারি পাওয়ার মতো। মাছ বিক্রি করে আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতার মুখ দেখতে পান এই এলাকার মৎস্যজীবীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: পুজোর আগে এই বাংলাতেই ভাঙা হল দুর্গা প্রতিমা, চাঞ্চল্য

    Dakshin Dinajpur: পুজোর আগে এই বাংলাতেই ভাঙা হল দুর্গা প্রতিমা, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে মাঝে মধ্যেই প্রতিমা ভাঙার খবর পাওয়া যায়। বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষ এই সব হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার যোগ সূত্র পাওয়া যায়। এবার এই বাংলার বুকেই ভাঙল দুৰ্গা প্রতিমা! ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) কামারপাড়া এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dakshin Dinajpur)

    পুজো আর হাতে কটাদিন বাকি। ফলে, বিভিন্ন ক্লাবে এখন মণ্ডপ তৈরির কাজ চলছে জোর কদমে। পাল্লা দিয়ে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। অন্য জেলার মতো দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) আর পাঁচটা ক্লাবের মতোই শারদোৎসব মেতে উঠেছে বালুরঘাট থানার কামারপাড়ার কচিপাতা সংঘ নামে একটি ক্লাব। ক্লাব চত্বর জুড়ে চলছে জোরকদমে প্রস্তুতি।  ক্লাব চত্বরেই তৈরি হচ্ছে প্রতিমা। মঙ্গলবার স্থানীয় বাসিন্দারা সকালে হাঁটতে বেরিয়ে দেখতে পান প্রতিমা ভাঙা। খবর জানাজানি হতেই ভিড় জমে যায়। ছড়ায় উত্তেজনা। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। তারা ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুজোর আগে এই ধরনের জঘন্য কাজের নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছে, কী-ই বা উদ্দেশ্য তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে কেতুগ্রামের শ্রীরামপুর গ্রামে দুর্গাপ্রতিমার গলা কেটে ফেলা হয়েছিল। পুজো কমিটির সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরেই নাকি এহেন কাজ করেছিল। গতবছর হায়দ্রাবাদের পুজো মণ্ডপে ঢুকে দুর্গামূর্তি ভাঙচুরের ঘটনায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। অভিযুক্ত দুই মুসলিম মহিলা হামলাকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে, ধৃতদের মানসিক সমস্যা রয়েছে। তবে, দক্ষিণ দিনাজপুরের ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত রয়েছে তা এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ক্লাবের কর্মকর্তারা কী বলছেন?

    এই বিষয়ে ক্লাবের এক কর্মকর্তা শীতল সরকার বলেন, পুজোর জন্য আমরা গত কয়েকদিন ধরেই আমরা খুবই ব্যস্ত। প্রতিমা তৈরির কাজ অনেকটাই হয়ে গিয়েছিল। এরইমধ্যেই এই ধরনের ঘটনা উদ্বেগের।  তবে, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, কোনও ভবঘুরে এই কাজটি করে থাকতে পারে। তবে, পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আমরাও খোঁজখবর নিচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • High Court: নাবালিকাকে অপহরণ সিকিমে, ধর্মান্তরণ করে বিয়ে! হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে পুলিশ

    High Court: নাবালিকাকে অপহরণ সিকিমে, ধর্মান্তরণ করে বিয়ে! হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিম থেকে এক দশম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণ করার অভিযোগ ওঠে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির ভাগ্নের বিরুদ্ধে। অপহরণের পাশাপাশি নাবালিকা ওই ছাত্রীকে বিয়ের আগে জোর করে ধর্মান্তরণ করা হয় বলে অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়, নাবালিকাকে সাবালিকা প্রমাণ করতে জন্ম শংসাপত্র থেকে শুরু করে যাবতীয় নথি জালিয়াতি করার অভিযোগ উঠেছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা উঠেছে কলকাতা হাইকোর্টেও (High Court)।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (High Court)

    মামলাকারীর আইনজীবী তন্ময় বসুর বক্তব্য, পিংলা থানা এলাকার বাসিন্দা বছর ১৫ র নাবালিকা যখন রোজ স্কুলে যেত‌, তখন প্রায়ই তাকে উত্তপ্ত করত অসিউর রহমান নামে এক যুবক। সে পিংলার অঞ্চল সভাপতির ভাগ্নে। বেশ কয়েকবার তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। স্থানীয় অঞ্চল সভাপতির ভাগ্নের হাত থেকে বাঁচাতে বাধ্য হয়েই মেয়েকে পিংলা থেকে সিকিমে মামার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় তার পরিবার। কিন্তু, তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। অভিযোগ, সিকিম থেকেই ওই নাবালিকাকে অপহরণ করা হয়। গত ১৮ জুন অপহরণের অভিযোগ আনা হয় পরিবারের তরফে। কিন্তু, তিন মাসেও হারানো মেয়েকে উদ্ধার করতে না পেরে বাধ্য হয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (High Court) দ্বারস্থ হন নাবালিকার বাবা।

    আদালত কী নির্দেশ দিল?

    এক সপ্তাহের মধ্যে ওই নিখোঁজ নাবালিকাকে উদ্ধার করে সিডব্লিউসি-র হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ৬ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি। আদালতের (High Court) আরও নির্দেশ, নাবালিকার পরিবারকে সম্পূর্ণ পুলিশি নিরাপত্তা দিতে হবে। নাবালিকা ও তার পরিবারের যদি কোনও ক্ষতি হয়, তার জন্য দায়ী থাকবে পিংলা থানার পুলিশ। মামলাতেই হাইকোর্টের কোপে পড়তে হয় পিংলা থানার পুলিশকে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, পুলিশ কি কাউকে আড়াল করছে! নাকি কাউকে বাঁচাতে চুপ রয়েছে! না হলে, তিন মাস কোনও তদন্ত হয়নি কেন? আদালতে পুলিশের নতুন তথ্য জমা পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। দেখা যায়, পনেরো বছরের নাবালিকাকে সাবালিকা করতে তার জন্মশংসাপত্র থেকে শুরু করে যাবতীয় নথি জালিয়াতি করা হয়েছে। আগামী শুনানিতে এনিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে আদালত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suri Hospital: নিরাপত্তারক্ষীদের দিয়ে অপারেশন থিয়েটার চালাবেন সুপার! তুমুল উত্তেজনা সিউড়িতে

    Suri Hospital: নিরাপত্তারক্ষীদের দিয়ে অপারেশন থিয়েটার চালাবেন সুপার! তুমুল উত্তেজনা সিউড়িতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাজ চালাতে সিভিক পুলিশ, সিভিক টিচার, সিভিক ডাক্তারের তত্ত্ব দিয়েছিলেন। আর এই নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল শাসক-বিরোধী দলের বাক্‌যুদ্ধে। এবার নিরাপত্তারক্ষীদের দিয়ে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার চালাতে চাইছেন সুপার! এই অভিযোগে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে বীড়ভূম জেলার সিউড়ি হাসপাতালে (Suri Hospital)। একে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার চূড়ান্ত বেহাল দশা বলে কটাক্ষ করলেন সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে, এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা প্রতিবাদে নেমে সরব হয়েছেন।

    হাসপাতালের ওটিতে কেন নিরাপত্তারক্ষী (Suri Hospital)?

    সূত্রে জানা গেছে, সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের (Suri Hospital) ওটি ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে হবে। কিন্তু পর্যাপ্ত ডাক্তার, নার্স, ওয়ার্ড বয় কোথায়? আর তাই সুপার নির্দেশিকা জারি করেছেন, নিরাপত্তারক্ষীদের এবার থেকে ওটিতে অতরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে বিশেষ টিম তৈরি করা হবে। কিন্তু পুঁথিগত বিদ্যা এবং বাস্তব অভিজ্ঞতা ছাড়া কীভাবে কাজ করবেন নিরাপত্তারক্ষীরা! আর এই নিয়ে উঠেছে বিস্তর প্রশ্ন। এই ঘটনায় সোমবার ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে।

    নিরাপত্তারক্ষীদের বক্তব্য

    হাসপাতালের (Suri Hospital) নিরাপত্তারক্ষী কার্ত্তিক দাস বলেন, “ওটিতে পাঁচজন লোক লাগবে বলে জানিয়েছেন সুপার। এমনকি সুপার পাঁচজনের নামও দেন। কিন্তু পরে জানা গেছে ওটিতে নিরাপত্তার জন্য নয়, ডাক্তারদের সহযোগিতার জন্য অতিরিক্ত লোক লাগবে। এই জন্য আমাদের আপত্তি। আমরা তো কোনও প্রশিক্ষণ নিইনি। তাছাড়া যন্ত্রপাতির কোনও ব্যবহারও জানি না। ফলে, যে কোনও মারাত্মক ভুল হতে পারে। তাছাড়া আমরা কেন এইসব বিষয়ের দায়িত্ব নেব!”

    হাসপাতাল সুপারের বক্তব্য

    হাসপাতালের (Suri Hospital) সুপার নীলাঞ্জন মণ্ডল বলেন, “২৪ ঘণ্টা ওটি চালাতে গেলে লোক লাগবে। সেই জন্য টিম তৈরি করা হচ্ছে। ওঁরা সবাই আমাদের পরিচিত। কেউ নিরাপত্তা রক্ষী আবার কেউ ওয়ার্ড বয়। সকলের সঙ্গে অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক। সাময়িক ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে, তবে ঠিক হয়ে যাবে। শিখে নিলে সবাই পারবেন। তাছাড়া রোগীর পরিষেবার জন্যই এই নতুন পরিকল্পনা।”

    নিরাপত্তা কর্মীদের সুপার ভাইজারের বক্তব্য

    পাশপাশি হাসপাতালের (Suri Hospital) নিরাপত্তা কর্মীদের সুপারভাইজার তরুণ গড়াই বলেন, “সুপার এক সপ্তাহ ধরে বলছেন কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী লাগবে। তাঁকে বলেছি, ওরা ওটি চালাতে পারবে না। তিনি হুমকি দিচ্ছেন। আমি আমাদের সংস্থাকে জানিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share