Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Lakshmi Bhandar: পুরুষের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা, প্রশাসন কী করছে?

    Lakshmi Bhandar: পুরুষের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা, প্রশাসন কী করছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরুষের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Lakshmi Bhandar) টাকা। অবাক মনে হলেও ঘটনাটি সত্যি। আর এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী কোচবিহারের মাথাভাঙা মহকুমার পচাগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। মহিলাদের জন্য বরাদ্দ টাকা পুরুষের অ্যাকাউন্টে কীভাবে ঢোকে, তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Lakshmi Bhandar)

    কোচবিহারের মাথাভাঙা মহকুমার পচাগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মনোরঞ্জন দে নামে ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে ঢুকছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Lakshmi Bhandar) টাকা। হিসেব মতো তাঁর স্ত্রীর এই প্রকল্পের টাকা পাওয়ার কথা। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, যে মহিলা এই প্রকল্পের টাকা পাবেন, তাঁর নিজস্ব অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। কিন্তু, সেই নিয়মের তোয়াক্কা না করেই এই প্রকল্পের টাকা ঢুকছে। এই বিষয়ে উপভোক্তা মনোরঞ্জন দে নামে ওই ব্যক্তি বলেন, অ্যাকাউন্টে বেশি টাকা ঢুকেছে সেটা সত্যি। তবে, কীসের টাকা আমি তা জানি না। অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার পরই বিষয়টি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। যদিও এই বিষয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    তৃণমূল পরিচালিত পচাগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিষয়টি জানেন না বলে জানান। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন। পচাগর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি সঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, কোনও কাগজপত্রজনিত কারণে সমস্যা হলেও হতে পারে। বিষয়টি অবশ্যই গ্রাম পঞ্চায়েত ও দলীয় পর্যায়ে তদন্ত করে দেখা হবে। তবে অবিলম্বে এই লেনদেন বন্ধ হওয়া উচিত। যার টাকা তার কাছেই যাওয়া ভালো। অন্যদিকে, বিরোধী শিবির বিজেপি অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। কোচবিহার জেলা বিজেপির শহর মণ্ডল সভাপতি বিরাজ বসু বলেন, তৃণমূলের মাধ্যমে এই ধরনের দুর্নীতি হবে, এটাই স্বাভাবিক। যাদের অ্যাকাউন্টে (Lakshmi Bhandar) এই টাকা ঢুকেছে, তারাও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। আমরা দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lotus: অতিবৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কুঁড়ি, দুর্গাপুজোয় কতটা মিলবে অপরিহার্য পদ্মফুল?

    Lotus: অতিবৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কুঁড়ি, দুর্গাপুজোয় কতটা মিলবে অপরিহার্য পদ্মফুল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার প্রকৃতির খামখেয়ালিপনায় দুর্গাপুজোয় পদ্মফুলের সঙ্কট দেখা দিতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা করছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পদ্মফুল চাষিরা। সময়ে বৃষ্টির অভাব এবং অসময়ের বৃষ্টিতে পদ্মফুল (Lotus) চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই কারণেই দুর্গাপুজোয় পদ্মফুল পাওয়া যাবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন জেলার পদ্ম চাষিরা। সেক্ষেত্রে দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনার কথাও অনেকে উড়িয়ে দিতে পারছেন না। কারণ, পুজোয় পদ্মফুল একটি অতি আবশ্যিক উপকরণ। পরিস্থিতি প্রতিকূল হলে চাহিদা এবং জোগানের মধ্যে যে ভারসাম্য থাকবে না, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

    ফুল চাষে পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাব (Lotus)

    পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ও পাঁশকুড়া ফুল উৎপাদনে রাজ্যের প্রথম সারিতে। অন্যান্য ফুলের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পদ্মফুলের চাষ হয় কোলাঘাটের সাগরবাড় সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামে। মূলত, রেল লাইনের পাশের জলাশয়গুলিতে পদ্মফুল (Lotus) চাষ হয়। চৈত্র মাস থেকে শুরু করে পদ্মফুলের চাষ চলে আশ্বিন-কার্তিক মাস পর্যন্ত। এই সময়ে অন্যান্য পুজোর পাশাপাশি মূলত দুৰ্গাপুজোকে লক্ষ্য রাখেন জেলার পদ্মচাষিরা। কারণ, এই ফুল দুর্গাপুজোয় অপরিহার্য হওয়ায় বাড়তি লাভের আশায় মুখিয়ে থাকেন পদ্মচাষিরা। কিন্তু এবার সেই আশায় বাধা হয়েছে প্রকৃ্তির বিরূপ আচরণ। পদ্মফুল চাষের জন্য এ বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাব দেখা দেয় জুন-জুলাই মাসে। আর তাতেই জোগানে সমস্যা তৈরি হয়েছে।

    ফুল চাষিদের কী বক্তব্য?

    ফুল চাষিদের বক্তব্য, জলহাওয়া খুব খারাপ। জল বেড়ে গিয়েছে। কুঁড়িগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পুজোয় জোগান খুব কম থাকবে। এখানকার যা পরিস্থিতি, তা দেখে মনে হচ্ছে, পুজোয় বাজার ভালো যাবে না। বারবার নিম্নচাপ হচ্ছে। আবহাওয়া তো সব খেয়ে যাচ্ছে। গাছ বাড়ছে, কুঁড়িও আসছে, কিন্তু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে, পুজোয় ফুলের চাহিদা অনুযায়ী জোগান দেওয়া যাবে কি না সন্দেহ রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Breathing Problem: অজানা শ্বাসকষ্টে বারবার আক্রান্ত হচ্ছে ছেলেমেয়েরা, আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সিউড়িতে

    Breathing Problem: অজানা শ্বাসকষ্টে বারবার আক্রান্ত হচ্ছে ছেলেমেয়েরা, আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সিউড়িতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। আক্রান্ত হয়ে রোজ মানুষ মারা যাচ্ছেন। বর্ষার জমা জল, যত্রতত্র ময়লা, আবর্জনা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতিতে বারবার রাজ্য প্রশাসন এবং পুরসভার বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন সাধারণ মানুষ। সেই সঙ্গে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা সরব হয়েছেন সর্বত্র। এবার ফের বীরভূমের সিউড়ি ব্লকের বেশ কিছু গ্রামের মানুষ অজানা এক শ্বাসকষ্ট (Breathing Problem) রোগে আক্রান্ত হওয়ায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। কম বয়সের ছেলেমেয়েরাই বারবার এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে রোগের কারণ জানা যাচ্ছে না। আর তাই আতঙ্ক বাড়ছে।

    অজানা শ্বাসকষ্টে (Breathing Problem) আতঙ্ক

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রামের ছেলেমেয়েরা বারবার শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে। এক পরিবারের মধ্যে একাধিক ব্যক্তি এই শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু রোগের কারণ সম্পর্কে কেউ কিছু বলতে পারছে না। সিউড়ির ২ নম্বর ব্লকের অবিনাশপুর, ভোলাইপুর, ক্ষতিপুর সহ বেশ কিছু এলাকার মানুষ রোজ আক্রান্ত হচ্ছে, এই অজানা শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে। যারা এই অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে, তাদের মধ্যে বেশির ভাগের বয়স ১২ থেকে ২০ বছর। এলাকায় এখনও পর্যন্ত ৪০ থকে ৫০ জন ছেলেমেয়ে আক্রান্ত হয়েছে। রোগের কারণ জানতে না পারায় এলাকায় আতঙ্ক বাড়ছে।

    অভিভাবকদের বক্তব্য

    এলাকার অভিভাবকদের বক্তব্য, “এলাকার এক একটি পরিবারের দুই থেকে তিনজন ছেলেমেয়ে এই রোগে বারবার আক্রান্ত হচ্ছে। শ্বাসকষ্ট (Breathing Problem) উঠলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অবিনাশপুর হাসপাতালে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে নিয়ে যেতে হচ্ছে আবার সিউড়ি কিংবা বর্ধমানেও। আক্রান্তদের মধ্যে ছেলের তুলনায় মেয়েদের সংখ্যা অনেক বেশি। এলাকায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে সাধারণ মানুষ।”

    চিকিৎসকদের বক্তব্য

    এলাকায় স্বাস্থ্য দফতর থেকে বিশেষ মেডিক্যাল টিম পৌঁছালেও এখনও পর্যন্ত রোগের (Breathing Problem) কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মানসিক চাপের জন্য এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। সেই সঙ্গে আরও বলেন, সম্পূর্ণ রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি স্বাস্থ্য দফতর।

    সিউড়ি দুই নম্বর ব্লকের বিএমওএইচ (BMOH) বলেন, বেশ কিছু মেয়ের সমস্যার কথা জানা গেছে। আমরা চিকিৎসার কাজ চালাচ্ছি। অনেক বাইরের ডাক্তার এসে চিকিৎসা করছেন। তবে কারণ পুরোপুরি এখন বলা সম্ভব হচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: বীরভূমে কি কেষ্ট-রাজ খতম! একের পর এক সরিয়ে ফেলা হচ্ছে ছবি

    Anubrata Mondal: বীরভূমে কি কেষ্ট-রাজ খতম! একের পর এক সরিয়ে ফেলা হচ্ছে ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচারকাণ্ডে এখন জেলবন্দি তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বছরখানেক ধরেই তিনি জেলার বাইরে। দলের রাশ এখন কেষ্ট বিরোধী হিসেবে জেলায় পরিচিত কাজ সেখের হাতে। অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) কি সত্যিই ঝেড়ে ফেলতে চাইছে দল? একের পর এক ঘটনায় কার্যত সেই তত্ত্বেই পড়ছে সিলমোহর। এতদিন বীরভূম জেলায় একাধিক জায়গায় তার নাম, ছবি মুছে ফেলা কিংবা ছবি ব্যবহার না করা হলেও কেষ্টর খাসতালুক বোলপুরে কখনও হয়নি। এবার বোলপুরে সেটাই ঘটল।

    ঠিক কী হয়েছে বোলপুরে? (Anubrata Mondal)

    বীরভূমের বেতাজ বাদশা ছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। গ্রেফতারির পরও একুশের বিধানসভা ভোটের পর জেলা তৃণমূলের পোস্টার বয় ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলই। তাঁক সামনে রেখে নির্বাচনী বৈতরনী পার করার চেষ্টা করেছিল দল। এখন সেই কেষ্ট কিনা দলে ব্রাত্য হয়ে পড়ছেন। বোলপুর থানার বাহিরী পঞ্চায়েতের তৃণমূল কার্যালয়ে এতদিন জ্বল জ্বল করত অনুব্রত মণ্ডলের ছবি। সেই ছবি মুছে ফেলা হয়েছে আগেই। এবার ফাঁকা দেওয়ালে পুরানো ছবির অস্তিত্বটুকুও মুছে ফেলা হল। যেটা বোলপুরের মাটিতে এতদিন ভাবা যেত না। অনুব্রতের সেই ছবির জায়গায় বোলপুরের বাহিরী পঞ্চায়েতের তৃণমূল কার্যালয়ের দেওয়ালে এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কাজল শেখের ছবি দেওয়া ব্যানার লাগিয়ে দেওয়া হয়। আর যা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।

    ছাঁটাই-পর্ব চলছে ক’দিন ধরেই

    দুদিন আগেই নানুরের হোসেনপুরে অনুব্রতের ছবি মুছে ফেলা হয়েছিল। তার আগে দুবরাজপুরে একটি দুয়ারে সরকারের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী, অভিষেকের সঙ্গে কাজল সেখের ছবি শোভা পেলেও ঠাঁয় হয়নি কেষ্টর ছবি। সম্প্রতি, পঞ্চায়েতে স্থায়ী সমিতি গঠনেও জেলা তৃণমূলের পর পর পদক্ষেপ দেখে প্রশ্ন উঠেছিল অনুব্রত ছোঁয়া কি এড়াতে চাইছে তৃণমূল? কারণ-কাজল শেখের হাতে জেলার রাশ যাওয়ার পরই একের পর এক অনুব্রত অনুগামীদের এক ঘরে করে দেওয়ার অভিযোগ সামনে আসছে। স্থায়ী সমিতিতে বহু বছর ধরে থাকা সদস্য হওয়া সত্ত্বেও অনুব্রত অনুগামী হিসেবে পরিচিতরা এবার স্থায়ী সমিতিতে জায়গা পাননি। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে সপ্তাহখানেক আগেই খয়রাশোল এর ব্লক সভাপতি কাঞ্চন অধিকারী পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বলেই জেলায় পরিচিত। পার্টি অফিস থেকে ছবি মুছে ফেলার পাশাপাশি কেষ্ট ঘনিষ্ঠদের ধীরে ধীরে ডানা ছাঁটা শুরু হয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Dilip Ghosh: ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষ দেখতে চাইছেন অভিষেকের গ্রেফতারি’’, তীব্র আক্রমণ দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষ দেখতে চাইছেন অভিষেকের গ্রেফতারি’’, তীব্র আক্রমণ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের মানুষ দেখতে চাইছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কবে গ্রেফতার হবেন! ঠিক এই ভাষাতেই তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডকে তীব্র আক্রমণ শানালেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সোমবারই খড়গপুরে ‘চায়ের সঙ্গে চর্চা’-এর একটি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ। সেখানেই তাঁকে এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শোনা গেল। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ধর্না কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দিল্লিতে চলছে তাদের অবস্থান। এনিয়েও রীতিমতো কটাক্ষ শোনা গেল বিজেপি সাংসদের গলায়।

    হাল্লাগোল্লা করে হাওয়া তোলার চেষ্টা করছে তৃণমূল 

     অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে তৃণমূলের অবস্থান কর্মসূচিকে ‘ডু অর ডাই’ আন্দোলন বলে অভিহিত করেছিলেন। এনিয়ে দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) কটাক্ষ, ‘‘দিল্লি পৌঁছলে তো ডু অর ডাই। তার আগেই তো অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে মারা যাচ্ছেন মানুষরা। যাঁদেরকে লোভ দেখিয়ে এসি বাসে নিয়ে গিয়েছেন। তাঁরা নিশ্চিন্তে আগে দিল্লি পৌঁছন। তার আগে তো ধরনাকারি টিচাররা পৌঁছে যাচ্ছেন। আসলে দিদি প্রধানমন্ত্রী হবে এটা কেউ খাচ্ছে না। তাই দিল্লিতে হাল্লাগোল্লা করে হাওয়া তোলার চেষ্টা করছে। যাতে বোঝাবে টিএমসি লড়াইতে আছে।’’

    পুরো পশ্চিমবাংলার মানুষ দেখতে চাইছে অভিষেক কবে অ্যারেস্ট হবে  

    অন্যদিকে, দিল্লি যাত্রার আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য ছিল যে কোনও কর্মীর গায়ে হাত পড়লে তৃণমূল ছেড়ে কথা বলবে না। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে গ্রেফতারির দাবিও তোলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) মন্তব্য, ‘‘এসব ফাঁকা আওয়াজ দিয়ে কি লাভ। পুলিশ দিয়ে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেন। সাংবাদিকদের ছাড়ছেন না, বিরোধীদের ছাড়ছেন না। তার বেশি কিছু করতে পারবেন না। কারণ আপনাদের পিছনে কোন লোক নেই। যাঁদেরকে টিকিট দিয়েছেন, যাঁরা লুটপাট করে খাচ্ছে, তাঁরাই দিল্লি যাচ্ছে। কয়েকটা গুন্ডা, বদমাশ, সমাজবিরোধী। আর দু’‌একটা দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা। কে আছে ওনাদের সঙ্গে?‌ পুরো পশ্চিমবাংলার মানুষ দেখতে চাইছে অভিষেক কবে অ্যারেস্ট হবে। সে আবার অন্যকে অ্যারেস্ট করার কথা বলছে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: ইডি-র নজরে এবার মার্বেল মোড়া তৃণমূলের কার্যালয়, কেষ্ট ঘনিষ্ঠ চারজনকে দিল্লিতে তলব

    Anubrata Mondal: ইডি-র নজরে এবার মার্বেল মোড়া তৃণমূলের কার্যালয়, কেষ্ট ঘনিষ্ঠ চারজনকে দিল্লিতে তলব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কাণ্ডে ধৃত বীরভূম জেলায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এখন তিহার জেলে রয়েছেন। দিল্লিতে এই মামলার বিচার চলছে। এরমধ্যে অনুব্রতের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত বোলপুর শহরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শিবনাথ রায় সহ চার জনকে দিল্লিতে তলব করেছে ইডি। ৩ অক্টোবর থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে তাঁদের হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। যা নিয়ে বীরভূম জেলাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কেন ইডি-র তলব? (Anubrata Mondal)

    পাঁচ বছর আগে রথযাত্রার দিন বোলপুর শহর তৃণমূলের কার্যালয়ের উদ্বোধন করেছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) । তিন তলা ভবনটির অধিকাংশ ঘর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। মেঝেয় দামি মার্বেল। রয়েছে ফলস সিলিং। বিল্ডিং জুড়ে বসানো রয়েছে সিসি ক্যামেরা। ঝাঁ চকচকে পার্টি অফিস দেখে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একবার অনুব্রত উত্তর দিয়েছিলেন, ‘২০১৩ সালে আমি এই বাড়ি ন্যায্য মূল্যে কিনেছিলাম।’ এবার সেই বাড়িই এ বার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) নজরে! কার টাকায় এই বিলাসবহুল দলীয় অফিস তৈরি হল, তারই তদন্তে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সূত্রের খবর, ভবন তৈরিতে কয়েক কোটি টাকা খরচের উৎস কী, তা তদন্ত করে দেখতে চায় ইডি। সেই সূত্রেই  কোন পথে এত টাকা এসেছিল, মূলত সেটা জানতেই এই চার জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে ইডি। ওই দলীয় কার্যালয়ে থাকা মা কালীর বিপুল অঙ্কের গয়নাও তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুরের বিশাল দলীয় কার্যালয়টি প্রথমে তৃণমূল নেতা তথা কাউন্সিলার শিবনাথ রায় এবং বোলপুর পুরসভার তিন কর্মীর নামে কেনা হয়েছিল। পরে অনুব্রতের তৈরি করে দেওয়া ট্রাস্টের নামে সেটি হস্তান্তর করা হয়। শিবনাথ-সহ ওই চার জনকেই তলব করা হয়েছে।

    অনুব্রত (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলার কী বললেন?

    তৃণমূল কাউন্সিলার শিবনাথ বলেন, ইডির সমন পেয়েছি। তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় কেনার সময় অনুব্রত আমাদের কয়েক জনকে বেশ কিছু জায়গায় সই করিয়েছিলেন। আমার মনে হয় তার জন্যই ডেকে পাঠানো হয়েছে। তদন্তে সবরকমভাবে সহযোগিতাও করব। তবে এত তাড়াতাড়ির মধ্যে দিল্লি যাওয়া সম্ভব নয় বলে ই-মেল করে জানিয়েছি ইডি-কে।

    রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তরজা

    সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, যা কালো টাকা বা যা বেআইনি সম্পদ, তার সবটা অনুব্রত একা নয়, সবাই মিলেই করেছেন। সুতরাং সত্য উদ্ঘাটন করতে গেলে সকলকেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। বিজেপির বোলপুর সংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডলের দাবি, অনুব্রতের অনুগামীরা কালো টাকার সঙ্গে যুক্ত আছেন। শুধু সময়ের অপেক্ষা। আরও বহু জনকে ডাকবে। তৃণমূলের জেলা সহ- সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, বোলপুরের জেলা পার্টি অফিসের ট্রাস্টি সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ওই চার জনকে ডাকা হয়েছে বলে জেনেছি। বিরোধীরা ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন।

    অন্যদিকে, ইডি-র নজরে পার্টি অফিস থাকার পাশপাশি  নানুরের হোসেনপুরের পরে এ বার বোলপুরের বাহিরি-পাঁচশোয়া এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে। সেখানে অনুব্রতের নাম ও ছবি আগেই মোছা হয়েছিল বলে খবর। সেই চুনকাম করা অংশের উপরে সম্প্রতি সাঁটানো হয়েছে তৃণমূলে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও নবনির্বাচিত জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখের ছবি। এমন ঘটনায় ফের তৃণমূলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে, দলের জেলা সভাপতি থাকা সত্ত্বেও কি অনুব্রতের অস্তিত্ব ধীরে ধীরে  মুছে ফেলতে চাইছে দল?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: পড়ুয়ার সংখ্যা শূন্য, শিক্ষক দশ জন! হাওড়ার স্কুলে আজব কাণ্ড, কী করছে প্রশাসন?

    Howrah: পড়ুয়ার সংখ্যা শূন্য, শিক্ষক দশ জন! হাওড়ার স্কুলে আজব কাণ্ড, কী করছে প্রশাসন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলে মাত্র দশ জন শিক্ষিকা। দুজন অশিক্ষক কর্মচারী। প্রত্যেকেই নিয়ম করে প্রতি মাসে মোটা টাকা বেতন পাচ্ছেন। এই স্কুল চালু রাখতে রাজ্য সরকারকে গুণতে হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। অথচ পড়ুয়ার সংখ্যা শূন্য। এমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে হাওড়ার (Howrah) শিবপুরের যমুনাবালা বালিকা বিদ্যালয়ে। তাই শিক্ষিকারা কার্যত আসি যাই মাইনে পাই পরিস্থিতিতে কাজ করে চলেছেন। এভাবে টাকা জলে দেওয়ার অর্থ খুঁজে পাচ্ছেন না এলাকাবাসী।

    পড়ুয়াহীন স্কুলে এসে কী করেন শিক্ষকরা? (Howrah)

    স্কুলটি রাজ্যের প্রশাসনিক হেড কোয়ার্টার নবান্ন থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে। স্কুলে প্রাথমিকের পাশাপাশি মাধ্যমিক বিভাগও চালু আছে। একটা সময় এই স্কুলে দুটি বিভাগে বেশ ভালই ছাত্রী ছিল। কিন্তু, গত কয়েক বছরে ছাত্রীর সংখ্যা কমতে থাকে। কোভিড পরিস্থিতির পর স্কুল খুললে পড়ুয়ার সংখ্যা তলানিতে ঠেকে যায়। এই মুহূর্তে প্রাথমিক বাংলা মাধ্যম বিভাগে শুধু ১৬ জুন পড়ুয়া আছে। প্রধান শিক্ষক ও সহ শিক্ষক মিলিয়ে তিনজন। বাকি সব বিভাগে পড়ুয়া শূন্য। জানা গিয়েছে, প্রাথমিকের ইংরেজি বিভাগে পড়ুয়ার সংখ্যা শূন্য। এই বিভাগে দুজন শিক্ষিকা রয়েছেন। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মাধ্যমিক বিভাগে। সেখানে দশ জন শিক্ষিকা এবং দুজন অশিক্ষক কর্মচারী রয়েছে। ছাত্রী সংখ্যা সেখানেও শূন্য। ফলে, শিক্ষিকারা প্রতিদিন স্কুলে এলেও কার্যত কোনও ক্লাস না করেই বেতন পাচ্ছেন। তারা স্কুলে এসে বেশিরভাগ সময়ই কেউ মোবাইলে ব্যস্ত অথবা কেউ  গল্পের বই পড়ে সময় কাটাচ্ছেন।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, একটা সময় এই স্কুলের দুটি বিভাগে ভালো সংখ্যক পড়ুয়া ছিল। কিন্তু, কয়েক বছর পড়ুয়ার সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে কমতে থাকে। কোভিডের  পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। তারা জানাচ্ছেন প্রাথমিকের হাতে গোনা পড়ুয়া থাকলেও মাধ্যমিক বিভাগে পড়ুয়ার সংখ্যা শূন্য। স্কুল বিল্ডিং এর অবস্থা জরাজীর্ণ। স্কুল প্রাঙ্গনে ঝোঁপঝাড়ে ভর্তি। চারদিকে আবর্জনার স্তুপ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ক্লাসরুমগুলি স্যাতস্যাতে ও অন্ধকার। হাওড়ার (Howrah) কোণা এক্সপ্রেসওয়ের ধারে ওই স্কুলটি হওয়ায় সেখানে বাচ্চাদের পাঠাতে তারা ভয় পান। তার ওপরে স্কুল ভবনটির এতটাই জরাজীর্ণ অবস্থা যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই দ্রুত মেরামতি দরকার। স্থানীয় বাসিন্দারা চাইছেন সরকার ব্যবস্থা নিক যাতে স্কুল যেন তার পুরানো অবস্থায় ফিরে আসে।

    স্কুলের এক শিক্ষিকা কী বললেন?

    এদিকে প্রাথমিকের এক শিক্ষক বলেন, আশেপাশে বেশ কয়েকটি স্কুল হয়ে যাওয়ায় এবং সামনে কোণা এক্সপ্রেসওয়ের কারণে অনেক অভিভাবকরা স্কুলে বাচ্চাকে পাঠাচ্ছেন না। এছাড়াও স্কুল বাড়ির অবস্থা ভালো নয়। মাধ্যমিক বিভাগের টিচার ইনচার্জ এ ব্যাপারে কিছু বলতে অস্বীকার করেন।

    স্কুল কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    হাওড়া (Howrah) জেলা মাধ্যমিক বিভাগের ডিআই অজয় কুমার পাল জানিয়েছেন, ওই স্কুলটি সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। পড়ুয়া না থাকায় শিক্ষিকাদের অন্য স্কুলে সরিয়ে দেওয়া হবে।  ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, হাওড়া শহর এলাকায় বেশ কিছু প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা কমে যাওয়ায় শিক্ষক শিক্ষিকাদের অন্য স্কুলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে, স্কুলগুলোকে পুরোপুরি বন্ধ করা হচ্ছে না। ফের যদি পড়ুয়ারা স্কুলে ভর্তি হয় তবে স্কুলগুলোতে শিক্ষক দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: চড়া সুদের টোপ দিয়ে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা! চিটফান্ডের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত তমলুকবাসী

    Fraud: চড়া সুদের টোপ দিয়ে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা! চিটফান্ডের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত তমলুকবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারদা, রোজভ্যালি কেলেঙ্কারির পরেও হুঁশ এখনও ফিরল না। আবারও সর্বস্বান্ত হল কয়েকশো আমানতকারী। এর আগে একাধিক চিটফান্ডে টাকা রেখে অতীতে সব খুইয়েছেন প্রচুর সাধারণ মানুষ। এ বার ‘বন্ধন মাল্টি স্টেট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডে’ কয়েক কোটি টাকা প্রতারণার (Fraud) অভিযোগ উঠল তমলুকে। তমলুকে কয়েক কোটি টাকার বেশি তুলে ঝাঁপ বন্ধ করে উধাও চিটফান্ড সংস্থা। এর জেরে সব খোয়ালেন কয়েকশো আমানতকারী।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Fraud)

    চার বছর আগে কয়েকজন ব্যক্তি মিলে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে রামতারকহাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির দোতলায় ঘর ভাড়া নিয়েছিল। মাসিক সাড়ে চার হাজার টাকার বিনিময়ে সেই ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। সেখানেই গড়ে তোলা হয়েছিল ‘বন্ধন মাল্টি স্টেট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডে’ নামে চিটফান্ড অফিস। ১০ বছরের জন্য ১১ শতাংশ সুদের টোপ দিয়ে তমলুক এবং শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে টাকা তোলা হয় বলে অভিযোগ। চিটফান্ড অফিস তৈরির নেপথ্যে সিপিএমের কয়েকজন নেতা সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তরক বাজার, কাঁকটিয়া বাজার, মেচেদা, সহ বিভিন্ন হাটে বাজার ব্যবসায়ী সমিতির অফিস ঘর ভাড়া নিয়ে চলছিল এই চিটফান্ড ব্যবসা। স্থানীয় অনেক দোকানদার টাকা রেখে সর্বস্বান্ত হয়েছেন। এছাড়াও তমলুক, শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের কয়েক হাজার মানুষ টাকা রেখেছিলেন। তাঁরাও প্রতারিত হয়েছেন। মাস কয়েক আগে সংস্থার অফিসে ঝাঁপ বন্ধ করে কর্মকর্তারা বেপাত্তা হয়ে যায়। অফিসে এখনও তালা ঝুলছে। এরপর প্রতারিত আমানতকারীদের অনেকেই থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। প্রতারণার (Fraud) অভিযোগ তুলে তাঁরা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

    কী বললেন রামতারকহাট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক?

    এ বিষয়ে রামতারকহাট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বীরেন্দ্রনাথ ধাড়া বলেছেন, এপ্রিল মাস থেকে ভাড়া বকেয়া। আমরা অফিসের দখল নেওয়ার জন্য পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। ওই চিটফান্ড অফিস বন্ধ হওয়ার পর তার ম্যানেজার অসীম খাটুয়ার বাড়িতে হামলা চালান প্রতারিত (Fraud) আমানতকারীরা। আতঙ্কে এলাকাছাড়া হতে হয় ম্যানেজারকে।

    কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    যদিও এই চিটফান্ডের সঙ্গে সিপিএমের নাম জোড়ানোর নিয়ে মেদিনীপুর জেলা সিপিএম জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেছেন, সিপিএমকে কালিমালিপ্ত করার জন্য নাম আনা হচ্ছে। সিপিএমের সঙ্গে চিটফান্ডের কোনও সম্পর্ক নেই, যদি থাকে তাহলে আইনের পরামর্শ কেন এতদিন নেওয়া হয়নি?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Monsoon in Bengal: একনাগাড়ে বৃষ্টিতে মার খাচ্ছে পুজোর ব্যবসা থেকে কেনাকাটা, কবে মিলবে রেহাই?

    Monsoon in Bengal: একনাগাড়ে বৃষ্টিতে মার খাচ্ছে পুজোর ব্যবসা থেকে কেনাকাটা, কবে মিলবে রেহাই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃষ্টি যেন কিছুতেই থামছে না। হাওয়া অফিস (Monsoon in Bengal) বলছে, আগামী ৪ অক্টোবর বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে চলবে এমন বৃষ্টি। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে তা বৃহস্পতিবারও চলতে পারে। একনাগাড়ে বৃষ্টির কারণে গরম বেশ খানিকটা কমেছে, আদ্রতা জনিত অস্বস্তিও নেই। তবে লাগাতারে বৃষ্টির ফলে চাষের যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি পুজোর মুখে মার খাচ্ছে ব্যবসাও। পাশাপাশি ক্রেতারাও পুজোর কেনাকাটা করতে যেতে পারছেন না। চাষের ক্ষতির ফলে বাড়তে শুরু করেছে, সবজি, ফল-ফুলের দাম। সাধারণভাবে পুজোর মরশুমে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে, বৃষ্টির ফলে (Monsoon in Bengal) সেই দাম আকাশছোঁয়া হয়ে গিয়েছে। চাহিদার তুলনায় যোগান একেবারেই কমে গিয়েছে। অন্যদিকে, ছোট বড় মাঝারি ব্যবসায়ীরাও মার খাচ্ছে, তার কারণ ক্রেতা আসছে না বৃষ্টির কারণে। ছুটির দিন রবিবারও ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে রাজ্য জুড়ে। এদিনও দোকানে কেউ আসতে পারেননি। হাতেগোনা কয়েকটা দিন বাকি রয়েছে পুজোতে। এ সময়ও জামা কাপড় কেনাকাটা করতে যেতে পারছেন না অনেকেই বৃষ্টির কারণে। আজ সোমবার ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীতে ছুটি রয়েছে কিন্তু এদিনও বৃষ্টির কারণে কেনাকাটা পণ্ড হবে বলেই আশঙ্কা।

    কী বলছে হাওয়া অফিস?

    অন্যদিকে হাওয়া অফিস (Monsoon in Bengal) বলছে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত থেকে যে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে সেটি স্থলভাগের আরও কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে এর ফলে একনাগাড়ে বৃষ্টি চলতেই থাকবে। হাওয়া অফিসের মতে, এমনিতে ১০ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গ থেকে বর্ষার বিদায় নেওয়ার কথা কিন্তু পরিস্থিতি যেভাবে বদলাচ্ছে তাতে বর্ষা কবে বিদায় নেবে! তা বলা যাচ্ছে না।

    কোন কোন জেলায় বৃষ্টি?

    হাওয়া অফিসের (Monsoon in Bengal) পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গে সোম এবং মঙ্গলবার বৃষ্টিপাত হবে একনাগাড়ে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এছাড়া পুরুলিয়া বাঁকুড়ার মতো জেলাগুলিতেও ভারী বৃষ্টিপাত হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণও বাড়বে। কালিম্পং জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে ইত্যাদি জেলায়। জানা গিয়েছে, নিম্নচাপের বৃষ্টির কারণে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রযাত্রায় যেতে নিষেধ করা হয়েছে। অন্যদিকে শহর কলকাতার আকাশেও থাকবে মেঘের ঘনঘটা। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে কলকাতায়। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা এবং শহরতলি এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: কাজের খোঁজে ভিন রাজ্যে পাড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুরে ইস্তফা দিলেন তৃণমূলের সদস্য

    Dakshin Dinajpur: কাজের খোঁজে ভিন রাজ্যে পাড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুরে ইস্তফা দিলেন তৃণমূলের সদস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে কাজে নেই। তাই, কাজের জন্য হাজার হাজার মানুষ ভিনরাজ্যে যেতে বাধ্য হন। বিরোধীরা বার বারই এই অভিযোগ করে আসছেন। এবার শাসক দলের পঞ্চায়েত সদস্য সেকথা স্বীকার করেছেন। আর সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়ে স্বামীর হাতে কাজ না থাকার কথা উল্লেখ করেছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) হিলি গ্রাম পঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েত সদস্যার নাম অলোকা কুণ্ডু। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ইস্তফাপত্রে কী লিখেছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা? (Dakshin Dinajpur)

    এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) হিলি গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব আপ্তের গ্রাম সংসদ থেকে ঘাসফুলের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। নির্বাচনের কয়েক মাস যেতে না যেতে আচমকাই তাঁর ইস্তফার ঘটনায় শোরগোল পড়েছে হিলিতে। এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদলও। ১৪ আসনের হিলি গ্রাম পঞ্চায়েতে পূর্ব আপ্তের সংসদ থেকে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন গৃহবধূ অলোকা কুন্ডু । ৩০৬ ভোটে নির্বাচনে জয়ী হন তিনি। পঞ্চায়েতের ১২টি আসনে তৃণমূল জয়ী হওয়ায় বোর্ডও তৃণমূলের দখলে যায়। গত মাসে শপথগ্রহণ করে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনে শামিল ছিলেন অলোকা কুন্ডু। সপ্তাহ দুয়েক আগে পঞ্চায়েতের উপসমিতি গঠনের সভাতেও তিনি হাজির ছিলেন। কিন্তু, আচমকা গতকাল পঞ্চায়েতের প্রধান ও দলের ব্লক সভাপতির কাছে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন তিনি। ইস্তফাপত্রে অলোকা লিখেছেন, ‘পারিবারিক ও আর্থিক সমস্যার কারণে সপরিবারে তাঁরা ভিনরাজ্যে কাজে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। তাই বাধ্য হয়ে তিনি নির্বাচিত পদে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন।’ ইস্তফাপত্রটি পঞ্চায়েত প্রধান ও ব্লকের নেতাকে গ্রহণ করার অনুরোধ জানাচ্ছেন তিনি।

    কী বললেন পঞ্চায়েত সদস্যা?

    অলোকার মন্তব্য, পারিবারিক ও আর্থিক সমস্যায় আমি নির্বাচিত পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। আমার স্বামী কাজের সন্ধানে ভিনরাজ্যে যাবে। আমাকেও স্বামীর সঙ্গে যেতে হবে। তাছাড়া আমি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছি। বাচ্চা নিয়ে এত কিছু সামলানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে সরে দাঁড়াচ্ছি।

    পঞ্চায়েত প্রধানের কী বক্তব্য?

    এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) হিলি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিশ্বজিৎ দাস বলছেন, পঞ্চায়েত সদস্যার চিঠি পেয়েছি। তিনি পারিবারিক সমস্যার কারণে ইস্তফাপত্র দিয়েছেন। দ্রুত ওই সমস্যা মিটে যাবে। তবে, এনিয়ে তৃণমূলের হিলি ব্লক সভাপতির কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, তৃণমূল সরকার পশ্চিমবাংলায় যে  কাজের সংস্থান করতে পারছে না তা প্রমাণিত হয়ে গেল। মানুষ চরম আর্থিক সমস্যায় ভুগছেন। হিলির এই ঘটনা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। আজকে তৃণমূলের সদস্য জেতার পরও তাকে কাজের জন্য ভিন রাজ্যে যেতে হচ্ছে। আজকে ভিনরাজ্যে কাজ পাওয়া যায় পশ্চিম বাংলায় কাজ নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share