Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Krishna Nagar: ‘আমার দিদিকে মেরে ফেলেছে’, রক্ত দিয়ে লিখে কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে প্রতিবাদ বোনের

    Krishna Nagar: ‘আমার দিদিকে মেরে ফেলেছে’, রক্ত দিয়ে লিখে কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে প্রতিবাদ বোনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার গাফলতিতে রোগীমৃত্যুর ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। পরিবারের লোকজন কখনও বিক্ষোভ দেখান, কখনও আবার চিকিৎসার গাফলতির অভিযোগ এনে হাসপাতাল ভাঙচুর করেন। কিন্তু, নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরের (Krishna Nagar) শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে রোগীমৃত্যুর ঘটনায় কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে মৃতের বোন যা করলেন, এমন শিউরে দেওয়ার মতো দৃশ্য দেখে কার্যত হতবাক হাসপাতালের অন্যান্য রোগীর পরিবারের লোকজন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Krishna Nagar)

    শনিবার জ্বর নিয়ে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন কৃষ্ণনগরের (Krishna Nagar) হাতাড়পাড়ার বাসিন্দা পূজা সরকার। পরিবারের অভিযোগ, এরপর থেকে একরকম বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয় পূজাকে। রবিবার সকালে শরীর আরও খারাপ হয়। পরিবারের লোকজনের দাবি, একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। তারপরই নেতিয়ে পড়েন পূজা। এদিকে মেজদিদির মৃত্যুর খবরে ছোট বোন শিউলি হাসপাতাল চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এরপরই হাতে ব্লেড তুলে নেন বলে অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শীদের। ব্লেড দিয়ে আঙুল চিরে সাদা কাগজে রক্তে লেখেন, ‘আমার দিদিকে মেরে ফেলেছে’। ভয়ঙ্কর এই দৃশ্য দেখে ভিড় জমে যায় হাসপাতাল চত্বরে। কোনওভাবেই তাঁকে আটকানো যাচ্ছিল না। বছর ২০-র যুবতী বারবার বলে চলেছেন, ‘আমার দিদিকে কেন মারল, ওদের জবাব দিতে হবে।’ কেউ ব্লেডটা ফেলে দিতে বললেই, যুবতী পাল্টা বলে উঠছেন, ‘দেখি কে আমার হাত থেকে ব্লেডটা কাড়তে পারে!’ এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশ বলে, লিখিত আকারে হাসপাতাল সুপার, সিএমওএইচকে অভিযোগ জানাতে। সেই অভিযোগপত্রই থানায়ও পাঠিয়ে দিতে বলেন তিনি। এ বিষয়ে এখনও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে, এভাবে রক্তে প্রতিবাদ নজিরবিহীন বলছেন স্থানীয়রা।

    পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    পূজার বড়দিদি বন্দনা দাস বলেন, আমার মেজবোন জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। জ্বরের কষ্টে তিন-চারদিন ঘুম হয়নি। তারপর একটা ইঞ্জেকশন দিয়েছে ডাক্তার। তিনি নিজে বলেছেন এটা ঘুমের ইঞ্জেকশন। তারপরই আর বোনের জ্ঞান ফেরেনি। আমরা জানতে চাই ঘুমের ইঞ্জেকশন দিয়েই কি সারা জীবনের মতো ঘুম পাড়িয়ে দিল? আমরা এর জবাব চাই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Governor Of West Bengal: ফের ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল

    Governor Of West Bengal: ফের ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজভবন-নবান্ন সংঘাত চরমে উঠেছিল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (Governor Of West Bengal) উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে। শাসকদলের একাধিক মন্ত্রী-বিধায়ক তীব্র আক্রমণ শানান সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপালকে। বেশ কয়েকজন প্রাক্তন উপাচার্যকে নিয়ে তখন রাজভবনের বাইরে বিক্ষোভও দেখা যায় কবি সুবোধ সরকারের নেতৃত্বে। এই আবহে ফের রাজ্যে ছ’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল (Governor Of West Bengal) সিভি আনন্দ বোস।

    ৬ উপাচার্য নিয়োগ রাজ্যপালের

    রবিবার রাজভবনের (Governor Of West Bengal) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ছ’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের তালিকায় রয়েছেন একজন অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন আইপিএস অফিসার সি এম রবীন্দ্রনকে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন রথীন বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন প্রাক্তন আইপিএস। জানা গিয়েছে মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হচ্ছেন অচিন্ত্য সাহা। মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে রাজ্যপাল নিয়োগ করেছেন বিবি পারিদাকে। কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের দায়িত্ব পাচ্ছেন নিখিলচন্দ্র রায়। আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের দায়িত্ব পাচ্ছেন রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করা হচ্ছে দিলীপ মাইতিকে।

    মামলা সুপ্রিম কোর্টে

    প্রসঙ্গত স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের রাখতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে নবান্ন। সেই মামলায় এখনও পর্যন্ত কোনও রায়দান করেনি শীর্ষ আদালত। আবার রাজ্যপালের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশও জারি করেনি সুপ্রিম কোর্ট। জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট ও কলকাতা হাইকোর্টে নির্দেশ মেনে এর আগে যে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছিল তাতে সদস্য সংখ্যা ছিল ৩। এঁরা হলেন, রাজ্যপাল (Governor Of West Bengal), সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি এবং রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি। এরপরে কমিটির সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয় ৫। এ নিয়ে অর্ডিন্যান্সও পাশ করা হয়ে গিয়েছে বিধানসভায়।  এ প্রসঙ্গে রাজ্যপালের আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্তের দাবি, নতুন কমিটিতে রাজ্য সরকারের তিনজন প্রতিনিধি থাকার কথা বলা হয়েছে। এটা পরিকল্পনামাফিক করা হয়েছে। কারণ রাজ্য কোনও সিদ্ধান্ত নিলে তা সংখ্যাগরিষ্ঠতার জেরে পাশ হয়ে যাবে ওই কমিটিতে। সে ক্ষেত্রে রাজ্যপালের মতামতকে উপেক্ষা করার উপায় রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bengal BJP: দিল্লি এবং কলকাতায় তৃণমূলের পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা বিজেপির, সরগরম রাজ্য রাজনীতি

    Bengal BJP: দিল্লি এবং কলকাতায় তৃণমূলের পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা বিজেপির, সরগরম রাজ্য রাজনীতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দিল্লিতে এই অবস্থান বিক্ষোভে হাজির থাকবেন দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলকে চাপে রাখতে এবার দিল্লি এবং কলকাতা দুই জায়গাতেই পাল্টা কর্মসূচি নিল রাজ্য বিজেপি (Bengal BJP)। জানা গিয়েছে, রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে দিল্লিতে একটি সাংবাদিক বৈঠক করবেন বিজেপি সাংসদরা (Bengal BJP) এবং কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের কাছে ডেপুটেশনের জমা দেবেন তাঁরা। ওই ডেপুটেশনে ১০০ দিনের প্রকল্পে তৃণমূল সরকার কীভাবে দুর্নীতি করেছে সেই খতিয়ানই তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি, সুকান্ত মজুমদার যখন দিল্লিতে তৃণমূলের পাল্টা কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকবেন তখন কলকাতাতেই মেয়ো রোডে ধরনায় বসবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতার কর্মসূচিতেও কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা কীভাবে তৃণমূল সরকার নয়-ছয় করেছে সে কথাই তুলে ধরা হবে।

    আরও পড়ুুন: ২০২৯ সালেই কার্যকর হবে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নীতি!

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    দিল্লির কর্মসূচি নিয়ে বঙ্গ বিজেপির (Bengal BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘১০০ দিনের টাকায় দুর্নীতি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতি সহ কেন্দ্রীয় একাধিক প্রকল্পে শাসক দল তথা সরকার দুর্নীতি করেছে। বেআইনিভাবে উপভোক্তা নয় এমন মানুষকেও শাসক দলের নির্দেশে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। তারই বিস্তারিত তালিকা মন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হবে।’’

    বিক্ষোভ কলকাতায়

    অন্যদিকে, কলকাতাতে কর্মসূচি পালন করবে দলের মহিলা মোর্চা (Bengal BJP)। সেখানে হাজির থাকবেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ নিয়ে মহিলা মোর্চার (Bengal BJP) রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বলেন, ‘‘বিভিন্ন প্রকল্পের দুর্নীতি আজ প্রমাণিত। এ রাজ্যের মহিলারাও সুরক্ষিত নয়। প্রতিদিন রাজ্যে মহিলারা আক্রান্ত হচ্ছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নয়-ছয় হয়েছে রাজ্যে। এ ছাড়াও শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এইসব কথাই আমরা বলব।’’ 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bad Road In WB: পুজোয় ছেলে-মেয়েদের নতুন জামা না দিয়ে রাস্তা মেরামত করলেন বাবা-মায়েরা

    Bad Road In WB: পুজোয় ছেলে-মেয়েদের নতুন জামা না দিয়ে রাস্তা মেরামত করলেন বাবা-মায়েরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে চালু হয়েছে পথশ্রী প্রকল্প। শাসক দলের মতে, সর্বত্র রাস্তাঘাটে উন্নয়নের জোয়ার চলছে। কিন্তু বাস্তব চিত্রটা পুরোপুরি আলাদা। পঞ্চায়েত-পুরসভা ভোটের আগে শাসক দল রাস্তার উন্নয়ন নিয়ে চড়াম চড়াম ঢাক পেটালেও, বাস্তবে উন্নয়ন রাস্তার খানা-খন্দের মধ্যে আটকে রয়েছে। এবার এলাকার বাবা-মায়েরা, ছেলে-মেয়েদের পুজোয় নতুন জামা কাপড় না দিয়ে, সেই টাকায় রাস্তা মেরামত (Bad Road In WB) শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই নদিয়ার শান্তিপুরে এলাকার মানুষ চাঁদা তুলে রাস্তা মেরামতের কাজ করেছিলেন। ফলে রাজ্যের শাসক দল উন্নয়নের জোয়ারে রাস্তা মেরামত নিয়ে কতটা চিন্তিত, সেই বিষয়ও এলাকার মানুষের কাছে বড় প্রশ্ন উঠেছে।

    ঘটনা কোথায় ঘটল (Bad Road In WB)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কলকাতা পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বোগপোতা এলাকায় প্রশাসন রাস্তা (Bad Road In WB) মেরামতিতে উদাসীন হলে, এলাকার অবিভাবকরা নিজেদের সন্তানদের জন্য পুজোর জামাকাপড়ের খরচে রাশ টেনে, রাস্তা সারাই করার কাজ শুরু করেছেন। এই রাস্তা মহেশতলার আশুতি ২ নম্বর পঞ্চায়েতের সীমা পর্যন্ত গেছে। লম্বায় প্রায় ১০০ ফুট। রাস্তার পরিস্থিতি ভীষণ খারাপ, রাস্তায় বড় বড় গর্ত, খানাখন্দে ভরা, এলাকায় গাড়ি চালাচল করতে পারছে না। বয়স্ক মানুষের জন্য এই রাস্তা অত্যন্ত অনুপোযুক্ত। তাই পুজোর আগে অভিনব এই প্রচেষ্টা, সরকারের ভূমিকাকে বার বার কাঠগড়ায় তুলেছে বলে মনে করছেন অনেকে।

    এলাকার মানুষের বক্তব্য

    এলাকার বাসিন্দা প্রেমাংশু রায় বলেন, “রাস্তার (Bad Road In WB) জন্য এলাকায় কয়েক হাজার টাকার রাবিশ ফেলা হয়েছে। পুজোর আগে মানুষ টাকা পাবেন কোথায়। সন্তানদের বঞ্চিত করেই আমরা রাস্তা সারাইয়ের কাজ করলাম। পঞ্চায়েত প্রশাসনের কাছে আমরা গিয়েছিলাম। উত্তর এসেছে নিজেরা টাকা তুলে রাস্তা ঠিক করে নিন।” এলাকার আরও এক বাসিন্দা দীপঙ্কর জানা বলেন, “এই ভাঙা রাস্তায় (Bad Road In WB) এক বয়স্ক মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পঞ্চায়েতে গিয়েও কোনও লাভ হয়নি। অবশেষে আমরা নিজেরাই ব্যবস্থায় নেমেছি। ”  

    প্রশাসনের বক্তব্য

    তৃণমূলের আশুতি ২ পঞ্চায়েতের সদস্য সুরজিৎ নস্কর বলেন, “আমরা বিষয়টি শুনেছি, খুই দ্রুত সমস্যার সমাধান করব।” তবে কবে থেকে রাস্তার সমস্যার সমাধান হবে তা স্পষ্ট করে জানাননি তিনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South Dumdum Dengue: ডেঙ্গিতে ফের মৃত্যু তরুণীর, তীব্র আতঙ্ক, ক্ষোভ কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে

    South Dumdum Dengue: ডেঙ্গিতে ফের মৃত্যু তরুণীর, তীব্র আতঙ্ক, ক্ষোভ কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডেঙ্গির প্রকোপ ভয়াবহ চেহারা নিয়েছে। ফের ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল দক্ষিণ দমদম (South Dumdum Dengue) এলাকার এক তরুণীর। এলাকার মানুষের অভিযোগ, তৃণমূলের কাউন্সিলার কেবলমাত্র টাকা চেনে। অপর দিকে তৃণমূলের কাউন্সিলার দু’দিন আগেই পুরসভার চেয়ারম্যানকে ডেঙ্গি প্রতিরোধে ব্যর্থ বলেছেন। প্রশাসন জনস্বাস্থ্য নিয়ে উদাসীন এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মন্তব্য করেছেন এলাকার মানুষ। এলাকায় এই নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৭। এইসব টানাপোড়েনের মধ্যেই মানুষ ডেঙ্গির আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

    আবারও মৃত্যু ডেঙ্গিতে (South Dumdum Dengue)

    দক্ষিণ দমদমে (South Dumdum Dengue) ডেঙ্গির থাবায় প্রাণ হারালেন বছর ২০ বয়সের সমাপ্তি মালিক। ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন এই তরুণী বি কম প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। গত বেশ কয়েকদিন ধরেই নাগেরবাজারে এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রক্তের নমুনা পরীক্ষায় ডেঙ্গি ধরা পড়ে এবং গতকাল রাতে অবস্থার আরও অবনতি হলে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা যায়।

    পরিবারের বক্তব্য

    ডেঙ্গিতে মৃত্যুর (South Dumdum Dengue) ঘটনায় পরিবারে মধ্যে শোকের ছায়া। মা অপর্ণা মালিক বলেন, “প্রথমে নাগেরবাজার হেলথ কেয়ারে ভর্তি করি। কিন্তু জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট ছিল ওর। বুকে সংক্রমণ হয়েছিল। পরে সেখান থেকে আরজিকর নিয়ে যাই। প্রচণ্ড বুকে ব্যথা ছিল সমাপ্তির। শেষ রক্ষা হল না। অবশেষে ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে।” সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “এলাকায় কোনও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বালাই নেই, আমরা এলাকায় ব্লিচিং পাউডার দিচ্ছি। প্রশাসন উদ্যোগী হলে এই ভাবে আমার মেয়ের মৃত্যু হত না।”

    স্থানীয় মানুষের অভিযোগ

    ডেঙ্গিতে মৃত্যুর (South Dumdum Dengue) ঘটনায় পুরসভা এবং জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকায় পুরসভার কোনও কাজ হয় না বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, কাউন্সিলার এই গলিতে কোনও দিন আসেনই না। নামেই কাউন্সিলার, কোনও কাজ করেন না তিনি। আগের কাউন্সিলার যদিও বা কিছু করেছে বর্তমান কাউন্সিলার একেবারেই নিষ্ক্রিয়। একটি বাড়িতে আক্রান্ত মোট তিনজন। এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রচুর।

    তৃণমূল কাউন্সিলারের বক্তব্য

    যদিও গত দু’দিন আগেই এই এলাকার কাউন্সিলার দক্ষিণ দমদম (South Dumdum Dengue) পুরসভার চেয়ারম্যানকে ডেঙ্গি প্রসঙ্গে কাঠগড়ায় তুলেছেন। তিনি স্পষ্ট ভাবে বলেছেন, “পুরসভার চেয়ারম্যান ডেঙ্গি প্রতিরোধের পুরোপুরি ব্যর্থ”।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: দিল্লিতে কর্মসূচি করতে তৃণমূলকে কোর্টে যেতে হচ্ছে না, এটাই পার্থক্য।” কটাক্ষ সুকান্তর

    Siliguri: দিল্লিতে কর্মসূচি করতে তৃণমূলকে কোর্টে যেতে হচ্ছে না, এটাই পার্থক্য।” কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের দিল্লি যাত্রা নিয়ে বিজেপিকে অযথা আক্রমণ করা হচ্ছে। কার্যত পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল গণতন্ত্রকে হত্যা করে চলেছে। এরাজ্যে বিরোধীদের কর্মসূচি করতে গেলে কোর্টে যেতে হয়। অপর দিকে তৃণমূলকে দিল্লিতে কর্মসূচি করতে কোর্টে যেতে হয়নি।। রবিবার শিলিগুড়িতে (Siliguri) দলীয় কর্মসূচিতে এসে একথাই বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে কী বললেন সুকান্ত (Siliguri)?

    শিলিগুড়িতে (Siliguri) তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এরাজ্যে  লাঠি, গুলির দ্বারা তৃণমূল কংগ্রেসের অত্যাচার সহ্য করছে বিজেপি। আমাদের অনেক নেতাকর্মীও খুন হয়েছেন। প্রত্যেক দিন মহিলাদের শ্লীলতাহানি হচ্ছে। একমাত্র বিজেপি করেন বলে আমাদের কর্মীরা ঘরছাড়া। এরকম অনেক প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার হতে হচ্ছে বিজেপিকে। কিন্তু দিল্লি, উত্তরপ্রদেশে বিরোধীরা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারে। গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে সুস্থভাবে সকলে রাজনীতি করতে পারে। তাই তৃণমূলের ভয়ের কিছু নেই। বিজেপি, তৃণমূলের কনভয় শান্তিপূর্ণভাবে যেতে সাহায্য করবে। কিন্তু এরাজ্যে আমাদের কর্মসূচি করতে কোর্টে যেতে হয়। দিল্লিতে কর্মসূচি করতে তৃণমূলকে কোর্টে যেতে হচ্ছে না। এটাই পার্থক্য।”

    ট্রেন-বিমান বাতিল প্রসঙ্গে কী বললেন?

    বিজেপি তৃণমূলের ট্রেন-বিমান বাতিল করেনি। বাতিল নিয়ে তৃণমূল মিথ্যা অভিযোগ করছে বলে জানান সুকান্ত মজুমদার। শিলিগুড়িতে (Siliguri) তিনি বলেন, “বিমান প্রাইভেট সেক্টর চালায়, কেন্দ্র সরকার চালায় না। কাজেই প্রাইভেট সেক্টর এয়ার এশিয়া কেন বিমান বাতিল করেছে, সেটা বিমান সংস্থাই বলতে পারবে। ট্রেন বাতিল করা হয়েছে বলা হচ্ছে, কিন্তু আদৌ কি ট্রেন বুক করা হয়েছিল? সব কিছুরই একটা নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। ট্রেনের জন্য আবেদন করেছিল, আর আবেদন করলেই ট্রেন বুক করা হয় না। তৃণমূলের এত কান্নাকাটি করার কী আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে দুটো চার্টার্ড প্লেন ভাড়া নেওয়া আছে। প্রতি মাসে তার জন্য সরকারের টাকা যায়। সেই প্লেনে লোক ভরে ভরে নিয়ে যাক।

    হিসেব না দিলে কেন্দ্র টাকা দেবে না

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন পরিকাঠামো উন্নয়নের টাকা পেতে গেলে বিগত বছরের টাকার হিসেব ক্লাবগুলিকে দিতে হবে। এপ্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত শিলিগুড়ি (Siliguri) থেকে বলেন, “ক্লাবগুলিকে মদ মাংস খাইয়ে, তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার জন্য টাকা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানতেন, এই টাকায় কাজ করবে না ক্লাবগুলি। রাজ্যের ভাঁড়ার শূন্য। তাই এখন বলছেন, হিসেব না দেওয়ার জন্য ক্লাবকে টাকা দেবেন না। এটাই তো নিয়ম হওয়া দরকার। ঠিক একই কারণে বিভিন্ন প্রকল্পে হিসেব না দেওয়ার জন্য রাজ্যকে টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: “যাদের পোড়া বিড়ি জুটত না, তারা সব প্লেনে করে দিল্লি যাচ্ছে”, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Howrah: “যাদের পোড়া বিড়ি জুটত না, তারা সব প্লেনে করে দিল্লি যাচ্ছে”, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধুমাত্র নিয়ম রক্ষার ঝাড়ু দেওয়াই নয়। রীতিমতো রাস্তায় দাঁড়িয়ে রাস্তার ধুলো ও নোংরা-আবর্জনা পরিষ্কার করে, নিজের হাতে ফেললেন সেসব। সেই সঙ্গে কোদাল দিয়ে আবর্জনা পরিষ্কার করে সেখানে ছড়িয়ে দিলেন ব্লিচিং পাউডার। এভাবেই প্রকৃত অর্থে স্বচ্ছ ভারত অভিযান শুরু করলেন বিধানসভার রাজ্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হাওড়া (Howrah) জেলা বিজেপির উদ্যোগে ডুমুরজলা স্টেডিয়াম সংলগ্ন বাজারের কাছে স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি। এরপর দিল্লি যাত্রা সম্পর্কে তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করেন।

    পুর অঞ্চলের স্বচ্ছতা নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু?

    শুভেন্দু অধিকারী এদিন হাওড়ায় (Howrah) স্বচ্ছ ভারত অভিযানে অংশগ্রহণ করে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশ জুড়ে স্বচ্ছ ভারত অভিযানে অংশ নেওয়ার যে আবেদন জানিয়েছেন, তাতেই শামিল হয়েছে গোটা দেশ। সর্বত্র এই অভিযান পালিত হচ্ছে। এই অভিযানের উদ্দেশ্য যতটা না বেশি পরিমাণে সাফাই করা, তার থেকেও বড় ব্যাপার হল মানুষের মধ্যে স্বচ্ছতার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতার প্রচার-প্রসার করা।”

    অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সমগ্র পুর এলাকায়(Howrah)

    হাওড়া (Howrah) পুর এলাকায় নানা জায়গায় ঘুরে দেখে সর্বত্র নোংরা-আবর্জনা ছড়িয়ে থাকার কথা বলেন শুভেন্দু। চারদিক অত্যন্ত দুর্গন্ধময় এবং অপরিষ্কার। মাস্ক ছাড়া হাঁটা মুশকিল। নিষিদ্ধ প্লাস্টিক পড়ে রয়েছে যত্রতত্র। মলমূত্র, নোংরা-আবর্জনায় ভরে আছে রাস্তার ধার। নিকাশি নালাগুলিও পরিষ্কার করা হয়নি। এতে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হতে পারেন সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে মশা মারার তেল নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে না। ডেঙ্গির মশার আঁতুড়ঘর হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুভেন্দু তাই বলেন, “পুরসভায় নির্বাচন কবে হবে, সেটা তো আমাদের ভাবার কথা নয়। কেউ তো বর্তমানে পুরসভার দায়িত্বে আছেন। তাঁর নেতৃত্বে কর্মীদের কাজ করা দরকার।”

    সাফাই কর্মীরা শুভেন্দুর কাছে অভিযোগ করছিলেন যে তাঁরা নিয়মিত বেতন পান না। সাফাইয়ের জিনিসপত্র দেওয়া হয় না। তাই তাঁরা ধর্মঘটে যাওয়ার কথা ভাবছেন। তিনি সাফাই কর্মীদের আবেদন করেছেন, পুজোর আগে, এই মুহূর্তে ধর্মঘটে না গিয়ে আবেদন-নিবেদনের মাধ্যমে তাঁদের দাবি আদায় করতে।

    দিল্লি যাত্রা নিয়ে কটাক্ষ

    হাওড়ায় (Howrah) শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন, “গোটা তৃণমূল কংগ্রেস মানেই প্রতিষ্ঠিত চোর। সব বাজারগুলিতে ছোট ছোট ঘুমটি রেখেছে। পুরসভা পাঁচ টাকা পেলে, তৃণমূল দশ টাকা পায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভাইপোর নেতৃত্বে প্রাতিষ্ঠানিক চুরি চলছে সর্বত্র। তৃণমূল কংগ্রেসের দিল্লি অভিযান প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “যাদের পোড়া বিড়ি জুটত না, গিটি লাগানো টায়ারের সাইকেল চড়ত, তারা সব প্লেনে করে দিল্লি যাচ্ছে। কাল তো আমরাও দেখতে চাই কত লক্ষ লোক দিল্লি যায়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: ঊষাগ্রাম বয়েজ হাই স্কুলে এখনও সংরক্ষিত গান্ধীজির চিঠি! কী লিখেছিলেন তিনি?

    Asansol: ঊষাগ্রাম বয়েজ হাই স্কুলে এখনও সংরক্ষিত গান্ধীজির চিঠি! কী লিখেছিলেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২ অক্টোবর গান্ধী জন্মজয়ন্তী। গান্ধীজির সঙ্গে বঙ্গের আসানসোল (Asansol) বা রানীগঞ্জের যে সংযোগ ছিল, তার উল্লেখ অনেক জায়গাতেই পাওয়া যায়। ইতিহাস নিয়ে যাঁরা চর্চা করেন, তাঁরা বিষয়টি সম্পর্কে খুবই ভালোভাবে অবগত। সেই গান্ধীজির যুগের স্পর্শ রয়েছে আসানসোলের একটি স্কুলেও। তার আগে জানতে হবে আরও একটি বিষয়। জানেন কি আসানসোলে প্রথম তৈরি হয়েছিল সেপটিক ট্যাঙ্কের ফরমুলা, যা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন স্বয়ং গান্ধীজি! সেটি পাওয়ার পর ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে আবার একটি চিঠিও দিয়েছিলেন তিনি। গান্ধীজির পাঠানো এই চিঠি আজও শোভা পাচ্ছে আসানসোলের ওই স্কুলগাত্রে।

    গান্ধীজি চিঠি পাঠিয়েছিলেন কোন স্কুলে (Asansol)?

    গান্ধীজির পাঠানো চিঠি রাখা হয়েছে আসানসোলের (Asansol) ঊষাগ্রাম বয়েজ হাই স্কুলে। এক সময় এই বিদ্যালয়টি ছিল খ্রিস্টান পরিচালিত, যা স্বাধীনতার পূর্বের সময়ের ইতিহাস বহন করেছে। জেলার অন্যতম পুরনো বিদ্যালয়, যেখানে পড়ুয়াদের জন্য প্রথম তৈরি হয়েছিল শৌচালয়ের সেপটিক ট্যাঙ্ক ফরমুলা, যা বর্তমানে বহুলভাবে প্রচলিত। সেপটিক ট্যাঙ্কের বিষয়টি জানতে পেরে গান্ধীজি সেই ফরমুলা চেয়ে পাঠান। গুজরাটের সবরমতীতে গান্ধীজির আশ্রমের শৌচালয়ের জন্য এই ফরমুলা তিনি চেয়ে পাঠিয়েছিলেন। তখন উষাগ্রাম বয়েজ হাইস্কুলের দায়িত্বে ছিলেন হিলিয়াম বায়ার্স। তাঁকেই প্রথম চিঠি পাঠিয়েছিলেন গান্ধীজি। এরপর যে ইঞ্জিনিয়ার ওই সেপটিক ট্যাঙ্ক তৈরি করেছিলেন, তিনি ফরমুলা পাঠিয়েছিলেন গান্ধীজিকে। পরিবর্তে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে একটি চিঠি গান্ধীজি পাঠিয়েছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষকে। এই চিঠি আজও সংরক্ষিত স্কুলে।

    বর্তমানে এই চিঠি সংরক্ষিত স্কুলে

    সঠিকভাবে সাল না জানা গেলেও, আনুমানিক স্বাধীনতার বেশ কয়েক বছর আগের এই ঘটনা বলে দাবি করা হয়। গান্ধীজির পাঠানো ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা এই চিঠিটি ছিল হিলিয়াম বায়ার্স-এর পরিবারের কাছে। ২০১১ সালে হিলিয়াম বায়ার্সের নাতি এই চিঠিটি বিদ্যালয় (Asansol) কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেন। আর তারপর থেকে গান্ধীজির পাঠানো এই চিঠি সাজিয়ে রাখা আছে বিদ্যালয়ে। গান্ধীজীর পাঠানো এই চিঠি বিদ্যালয়ের সঙ্গে গান্ধীজির যোগের প্রত্যক্ষ প্রমাণ বলেই দাবি করা হয়।

    স্কুলের প্রতিক্রিয়া

    ঊষাগ্রাম বয়েজ হাই স্কুলের (Asansol) কমিটির সম্পাদিকা সুশীলা মল্লিক বলেন, “হিলিয়াম বায়ার্সের নাতি ২০১১ সালে একটি বই আকারে গান্ধীজির চিঠিটি পাঠান। এরপর স্কুলের প্রেস থেকে ফেস্টের সময় ছাপিয়ে স্কুলের দেওয়ালে সেটি লাগানো হয়। ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত জায়গা হল এই স্কুল।” স্কুলের বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক সঞ্জীব নস্কর বলেন, “আমাদের স্কুলেই প্রথম স্যানিটারি বিষয়টি এসেছিল। গান্ধীজি লোক পাঠিয়ে খোঁজখবর নেন এবং তাঁর আশ্রমে প্রয়োগ করেন। সমাজে স্বচ্ছতা এবং পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সেই সময় থেকে গান্ধীজি সচেতন ছিলেন। বাপুর এই চিঠি, স্কুলের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hoogly News: টাকা নেই, খাওয়াবেন কী? জন্মের পরই দুধের শিশুকে অন্যের হাতে

    Hoogly News: টাকা নেই, খাওয়াবেন কী? জন্মের পরই দুধের শিশুকে অন্যের হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুত্র সন্তান প্রসবের পরে হাসপাতাল থেকে ছাড় পাওয়া! তারপরই দুধের শিশুকে অন্যের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হলেন এক মা! কারণ শিশুকে লালন পালন করার মতো আর্থিক ক্ষমতা জন্মদাত্রীর নেই। ইটভাটার শ্রমিক ওই মায়ের স্বামীও নিখোঁজ। রীতিমতো কোর্ট পেপারে সই করেই নিজের পুত্র সন্তানকে দত্তক দিতে বাধ্য হলেন ইটভাটার ওই মহিলা শ্রমিক। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলায় (Hoogly News) চুঁচুড়ায়। জন্মদাত্রী মা তো সন্তানকে ছাড়তে চায়না, কিন্তু রাজ্যে কর্মসংস্থানের বেহাল অবস্থাই প্রতিফলিত হল এই ঘটনায়, এমনটাই মত উঠে আসছে কোনও কোনও মহল থেকে।

    পুলিশ সূত্রে কী জানা গেল? 

    জানা গিয়েছে, গত ২২ সেপ্টেম্বর চুঁচুড়া জেলা (Hoogly News) হাসপাতালে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন ওই মহিলা শ্রমিক। পাঁচ দিন পরে গত ২৭ সেপ্টেম্বর হাসপাতাল থেকে ছুটি পান ওই মহিলা। তখনও পুত্র সন্তান তাঁর সঙ্গেই ছিল। এরপরেই দুধের শিশুকে দান করে দেন তিনি। সদ্যোজাত শিশুকে দত্তক নেন চুঁচুড়া চ্যাটার্জি বাগান এলাকার বাসিন্দা যাদব এবং বুলু মন্ডল নামের এক দম্পতি। চ্যাটার্জি বাগান (Hoogly News) এলাকার ওই দম্পতি শিশু পুত্রটিকে দত্তক নেওয়ার পরেই স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্তারা হাজির হন তাঁর বাড়িতে। তাঁরা বোঝাতে থাকেন যে শিশু দত্তক নেওয়ার বেশ কিছু সরকারি নিয়ম-কানুন রয়েছে। সেইমতো মহকুমা শাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয় যাদবকে। 

    পুত্র দত্তক পেয়ে খুশি দম্পতি

    অন্যদিকে মাত্র আট দিন বয়সের দুগ্ধ পোষ্য শিশুকে কোলে পেয়ে বেশ খুশি বুলু মন্ডল (Hoogly News)। কিছুতেই ওই সদ্যোজাত সন্তানকে হাতছাড়া করতে চান না দম্পতি। যাদবের দাবি, সম্পূর্ণ নিয়ম মেনেই দত্তক নেওয়া হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে অবশ্য ওই পুত্র সন্তানের জন্মদাত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। জানা গিয়েছে, কোর্ট পেপারে ইটভাটা শ্রমিক জন্মদাত্রী মা লিখেছেন, ‘‘শিশুকে মানুষ করার মতো আর্থিক সামর্থ্য আমার নেই, তার ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে আমি অপারগ। তাই লিখিতভাবে সন্তানকে হস্তান্তর করছি।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: রবিবার পুজোর বাজার কি পণ্ড করবে নিম্নচাপের বৃষ্টি? কী বলছে হাওয়া অফিস?

    Weather Update: রবিবার পুজোর বাজার কি পণ্ড করবে নিম্নচাপের বৃষ্টি? কী বলছে হাওয়া অফিস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার ভারী বৃষ্টিপাত (Weather Update) হয়েছে রাজ্যের জেলায় জেলায়। রবিবার সকাল থেকেই কলকাতা সমেত শহরতলী এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার আকাশ পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। রোদ ঝলমলে আবহাওয়াতে আদ্রতাজনিত অস্বস্তিও নেই। আবহাওয়া দফতরের মতে, আগামী ২৪ ঘণ্টা কলকাতা সহ আশেপাশের এলাকা মেঘলা থাকবে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। বিশ্বকর্মা পুজোর দিনেই সাধারণত বাঙালির দুর্গা পুজোর বাজার শুরু হয়। তখনও নিম্নচাপের (Weather Update) প্রভাবে বৃষ্টিপাতের সাক্ষী থেকেছে রাজ্যবাসী। রবিবার ছুটির দিনে বিকালে পরিবার সমেত বাজার করার পরিকল্পনা হয়তো অনেকেই করেছেন কিন্তু সেই পরিকল্পনাকে ভেস্তে দিতে পারে বৃষ্টি, এমনটাই খবর আবহাওয়া দফতর সূত্রে। রবিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এদিন থাকবে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আদ্রতা রবিবার থাকবে সর্বোচ্চ ৯৭ শতাংশ। আবহাওয়া দফতরের মতে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের ওপরে থাকা নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। শনিবার বিকেলে এই নিম্নচাপটির অবস্থান ছিল উত্তর ওড়িশার উপকূলে, পরবর্তী ১২ ঘণ্টায় এটি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে ঝাড়খন্ডে চলে গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।

    কেমন থাকবে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া?

    ১ অক্টোবর ও ২ অক্টোবর রবিবার ও সোমবার দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বাকি জেলাগুলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। অন্যদিকে ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলার কোনও কোনও জায়গায় অতিভারী (Weather Update) বৃষ্টি হতে পারে। ৪ অক্টোবর বুধবার জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলিতে হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    কেমন থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া?

    ১ অক্টোবর রবিবার ভারী বৃষ্টির (Weather Update) পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম বর্ধমানে। বাকি জেলাগুলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। ২ অক্টোবর সোমবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায়। ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কোনও কোনও জায়গায়। ৪ অক্টোবর বুধবার সবকটি জেলাতেই হাল্কা বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share