Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Raj Bhavan Kolkata: রাজ্যের হম্বিতম্বিই সার, তৃণমূল বিধায়ক শপথ নিলেন রাজভবনেই!

    Raj Bhavan Kolkata: রাজ্যের হম্বিতম্বিই সার, তৃণমূল বিধায়ক শপথ নিলেন রাজভবনেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজভবনের (Raj Bhavan Kolkata) বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ জারি করেছে নবান্ন তথা শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস! অথচ শনিবার রাজভবনেই শপথ বাক্য পাঠ করতে দেখা গেল ধূপগুড়ির নবনির্বাচিত বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়কে। এতেই ওয়াকিবহাল মহল বলছে রাজ্যের কি তবে হম্বিতম্বিই সার হল? তাদের বিধায়ককে শেষ পর্যন্ত শপথ রাজভবনেই (Raj Bhavan Kolkata) নিতে হল!

    সাধারণভাবে বিধায়কের শপথগ্রহণ বিধানসভাতেই হয়ে থাকে 

    সাধারণভাবে বিধায়কের শপথ গ্রহণ রাজভবনে হয় না বরং তা বিধানসভাতেই হয়ে থাকে, কিন্তু এমন বিরল ঘটনা এবার এ রাজ্যে চোখে পড়ল। পাশাপাশি রাজভবনে (Raj Bhavan Kolkata) বিধায়কের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে দেখা গেল না বিধানসভার অধ্যক্ষ এবং পরিষদীয় মন্ত্রীদের। এদিন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নির্মলচন্দ্র রায়কে শপথ বাক্য পাঠ করান। তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিধায়কের পরিবারও। যদিও এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল ২৩ সেপ্টেম্বর তবুও তা ৩০ সেপ্টেম্বরে সম্পন্ন হল, মাঝখানে শপথ নিয়ে শুরু হয় টানাপোড়েন।

    আরও পড়ুন: কম বয়সেও হার্ট অ্যাটাক! বিশ্ব হার্ট দিবসে জানুন হৃদযন্ত্র ভাল রাখার সহজ কিছু উপায়

    কেন রাজভবনে শপথ?

    রাজভবনের (Raj Bhavan Kolkata) তরফে বিধায়ককে চিঠি লিখে শপথ গ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়। রাজ্য সরকার অভিযোগ তোলে যে তাদেরকে নাকি এ বিষয়ে কোনও তথ্যই দেওয়া হয়নি। এরপরে রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী তীব্র আক্রমণ করেন সিভি আনন্দ বোসকে। রাজভবনের যুক্তি, নবনির্বাচিত বিধায়ক রাজবংশী সমাজের এবং তাঁকে রাজভবনে শপথ বাক্য পাঠ করালে জনমানসে ইতিবাচক বার্তা যাবে। রাজভবনের (Raj Bhavan Kolkata) দরজা যে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য উন্মুক্ত, সেই বার্তাও পৌঁছানো সম্ভব। রাজ্যপালের দেওয়া প্রস্তাবে রাজি হয় সরকার। প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ৮ তারিখ ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়। নবনির্বাচিত বিধায়ক শপথ নিলেন ২২ দিন পরে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Club Donation: ‘দিল্লি চলো’ হুঙ্কার ছেড়ে নিজের রাজ্যেই ক্লাবের অনুদান বন্ধ করলেন মমতা!

    Club Donation: ‘দিল্লি চলো’ হুঙ্কার ছেড়ে নিজের রাজ্যেই ক্লাবের অনুদান বন্ধ করলেন মমতা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি চলো ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী! কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে টাকা আদায়ের দাবিতে। অথচ, নিজের রাজ্যেই ক্লাবের অনুদান বন্ধ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের ক্লাবগুলি (Club Donation) আর কোনও সরকারি টাকাই পাবে না। এমনটাই জানিয়েছে নবান্ন। অভিযোগ বহু ক্লাবই নাকি খরচের যথাযথ হিসাব দেয়নি। প্রসঙ্গত, শাসকদলের অনুগ্রহে থাকা ক্লাবগুলি সাধারণভাবে সরকারি অনুদান পায়। সাধারণভাবে দেখা যায় রাজ্য জুড়ে সরকারি অনুদান প্রাপ্ত ক্লাবগুলির সম্পাদক, সভাপতি বা সদস্যরা তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী হন। এবার সেই ক্লাবের সরকারি টাকা নয়ছয় এর অভিযোগ যখন সামনে এল তখন প্রশ্ন উঠছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের দলের বিরুদ্ধেই কি অভিযোগ আনলেন?

    দুর্গাপুজোয় ক্লাবগুলিকে ৭০ হাজার করে অনুদান 

    এরই মাঝে দুর্গাপুজোয় প্রতিটি ক্লাবকে ৭০ হাজার টাকা করে দেওয়ার রাজ্য সরকারের অনুদান (Club Donation) নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা শুক্রবার বলেন, ‘‘আমি অনেক মামলা শুনেছি, যেখানে মানুষ বেতন পাচ্ছেন না, চাকরি পাচ্ছেন না, পেনশন পাচ্ছেন না। আর পুজো কমিটিকে টাকা দেওয়া হচ্ছে!’’ প্রসঙ্গত ক্ষমতা আসার পর পরই ক্লাবগুলিকে দখল করার অভিযোগ ওঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে। বিরোধীরা অভিযোগ করেন লাখ লাখ টাকা খরচ করে রাজ্যের ক্লাবগুলিকে কিনতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

    মোট কত ক্লাবকে অনুদান (Club Donation) দেওয়া হতো?

    পরিসংখ্যান বলছে ২০১১ সালে ৭৮১টি ক্লাবকে এই অনুদান দেওয়া হয়েছিল। এই খাতে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল রাজ্য সরকার। পরের বছর এই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যায় এবং ১৫০০ ক্লাবকে এই অনুদান দেওয়া হয়। যার জন্য রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে খরচ হয় আরও ৪০ কোটি টাকা। প্রথমে বছরে এককালীন ২ লাখ টাকা দেওয়া হতো ক্লাবগুলিকে। পরবর্তী তিন বছর এক লাখ টাকা করে মোট পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে অভিযোগ শোনা গিয়েছে বিরোধী দলনেতার কণ্ঠে। নন্দীগ্রামের বিধায়কের মতে, ক্লাবগুলিকে এই প্রকল্প মারফত টাকা দিয়ে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে। অনুদানের জন্য নতুন ক্লাবের নাম নথিভুক্ত (Club Donation) করার দায়িত্ব দেওয়া হয় শাসকদলের বিধায়কদের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ragging: র‍্যাগিংয়ের শিকার কোচবিহার পলিটেকনিক কলেজের দুই ছাত্র, চাঞ্চল্য

    Ragging: র‍্যাগিংয়ের শিকার কোচবিহার পলিটেকনিক কলেজের দুই ছাত্র, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিংকাণ্ডে (Ragging) তোলপাড় হয়ে যায় গোটা রাজ্য। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই ফের র‍্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটল কোচবিহার পলিটেকনিক কলেজের দুই ছাত্রের সঙ্গে। এদের মধ্যে একজন মেকানিক্যাল এবং অপরজন অটোমোবাইলের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তাঁদের বাড়ি কোচবিহার মাথাভাঙ্গা-২ নম্বর ব্লকের ঘোকসাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা। সিনিয়ার মেসে গিয়ে দুজন প্রথম বর্ষের ছাত্রের উপর এতটাই অত্যাচার করে যে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। কোচবিহার জেলা পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ঘটনা তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Ragging)

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত আটটা নাগাদ কোচবিহার পলিটেকনিক কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র আকাশ আইচ এবং খোকন বর্মন তাদের মেসে ছিল। সে সময় সেই মেসে থাকা  আরেকজন সিনিয়ার বাইরে থেকে বহিরাগতদের নিয়ে এসে তাদের উপর আক্রমণ চালায়। তাদের মুখে রুমাল গুঁজে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এর আগেও এই সিনিয়ার এসে তাদের উপর অত্যাচার করত বলে অভিযোগ। শুক্রবার রাতেও সে হামলা চালায়। কোচবিহার পলিটেকনিক কলেজের জেনারেল সেক্রেটারি মিসবাহুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত ওই সিনিয়ার প্রায় দিনই একটি মেয়েকে সঙ্গে করে নিয়ে এসে মেসে উঠত। দীর্ঘদিন থেকে এই বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল আকাশ এবং খোকন। এটাই তাদের অপরাধ। তাই, বাইরে থেকে দুজনকে নিয়ে এসে ওই দুই পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধর করা হয়। আকাশ আইচকে কোচবিহার এন জে এন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছুটা সুস্থ অবস্থায় শনিবার ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, অত্যন্ত গুরুতরভাবে জখম খোকন বর্মন কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ইতিমধ্যেই ঘটনায় পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।

    আক্রান্তের ছাত্রের বাবা ও মেসের মালিক কী বললেন?

    ঝকম খোকন বর্মনের বাবা পরিমল বর্মন বলেন, মেসের মধ্যেইও র‍্যাগিংয়ের (Ragging) ঘটনা ঘটল। এটা মেনে নিতে পারছি না। আমরা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। মেসের মালিক কার্তিক শীল বলেন, মাত্র এক মাস হয়েছে ওই দুই ছাত্র আমার মেসে এসেছে। মেসের দেখভাল করে আমার স্ত্রী। র‍্যাগিংয়ের বিষয়টি আমার জানা নেই।

    কী বললেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ?

    পলিটেকনকিক কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রণব সাহারায় বলেন, অ্যান্টি র‍্যাগিং (Ragging) টিম বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ধরনের ঘটনাকে প্রশয় দেওয়া হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ! অভিযুক্তকে বোর্ডের খুঁটিতে বেঁধে বিক্ষোভ

    Malda: চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ! অভিযুক্তকে বোর্ডের খুঁটিতে বেঁধে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার সকাল বেলা মালদায় (Malda) চাকরি দেওয়ার নামে এবং ব্যবসার অছিলায় টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগের পাশাপাশি ৩৬ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ ওঠে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে একটি বোর্ডের খুঁটিতে বেঁধে রাখলেন অভিযোগকারীর আত্মীয়রা। এই ঘটনায় তীব্র শোরগোল পড়েছে মালাদায়। উল্লেখ্য কয়েকদিন আগেই চাকরি দেওয়ার নাম করে কয়েক কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এই জেলার এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।

    ঘটনা কিভাবে ঘটল (Malda)?

    ঘটনাটি ঘটেছে মালদার (Malda) হবিবপুর থানার বক্সিনগর এলাকায়। একটি বোর্ডের পোস্টে বেঁধে রাখা হয় হবিবপুর থানার বুলবুলচন্ডী মধ্যম কেন্দুয়া গ্রামের বাসিন্দা মোহর সরকারকে। জানা গেছে, মোহর সরকার সঞ্জীব সরকারের কাছ থেকে ব্যবসা এবং চাকরির নাম করে ৩৬ লক্ষ টাকা নেন। কিন্তু সেই টাকা ফেরত দিচ্ছিলেন না। এমনকি তাঁকে দেখাও যাচ্ছিল না এলাকায়। শনিবার সকালে এলাকায় দেখতে পায় তাঁকে এলাকার মানুষ। এরপর ধরে একটি বোর্ডের পোস্টে তাঁকে বেঁধে রাখেন সঞ্জীব সরকারের আত্মীয় পরিজনেরা। ঘটনাস্থলে শনিবার বারোটা নাগাদ পৌঁছায় হবিবপুর থানার পুলিশ। টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও চাকরির প্রতিশ্রুতির কথা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত মোহর সরকার।

    অভিযুক্তের বক্তব্য

    অভিযুক্ত মোহর সরকার বলেন, “একটা লিখিত হয়েছিল ব্যবসার জন্য টাকা নিয়েছি। কিন্তু চাকরির জন্য টাকা নেইনি। বাড়িতে (Malda) একবার বসা হয়েছিল, সেখানে আমি বলেছি আগামী দুই মাসের মধ্যে ২৪ লক্ষ টাকা ফেরত দেবো।” তবে টাকার অঙ্কের বিষয়ে ৩৬ লক্ষ টাকার কথা অস্বীকার করে ২৪ লক্ষ টাকার কথা স্বীকার করেন তিনি। সবটাই লিখিত ভাবে চুক্তিপত্র হয়েছে বলে জানান তিনি।

    স্থানীয় মানুষের বক্তব্য

    স্থানীয় (Malda) প্রতারণার শিকার জ্যোৎস্না বিশ্বাস বলেন, “আইসিডিএস দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে আমার কাছ থেকে অনেক টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছে মোহর। আমি আমার টাকা ফেরত চাই। এলাকায়, টাকা লুট করে বহুদিন ধরে বেপাত্তা ছিল। ধরা পড়তেই তাকে বেঁধে রাখা হয়েছে।” এলাকার আরও এক অভিযোগকারী সঞ্জীব সরকার বলেন, “গত এপ্রিল মাসের ২ তারিখে মোহরের সঙ্গে লিখিত চুক্তি করা হয়। কথা হয় টাকা ফেরত দেবেন। কিন্তু বেপাত্তা হয়ে যান। মোহরের বাড়ির লোকজনকে খবর দেওয়া হয়েছে। এর আগেও থানায় বিষয় জানিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু সমাধানের জন্য মোহর থানায় যাননি। বহুদিন পালতক ছিলেন। আজ ধরতে পেয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। পরিবারের লোকজনকে খবর দেওয়া হয়েছে আপাতত।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  •  Bankura: মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু ৩ শিশুর, গ্রামে পাকা বাড়ি হয়নি কেন? প্রশ্ন বিজেপির

     Bankura: মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু ৩ শিশুর, গ্রামে পাকা বাড়ি হয়নি কেন? প্রশ্ন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে তৃণমূলের রাজত্বে উন্নয়নের জোয়ার চলছে দাবি করলেও, সেই দাবি কতটা কঙ্কাল সার শূন্য তার প্রকৃষ্টতম উদাহরণ হল, বাঁকুড়ার বাকাদহ বোড়ামারা গ্রামের চিত্রটা। উল্লেখ্য গ্রামে একটাও পাকা বাড়ি নেই। রাজ্য সরকারের ইন্দিরা আবাস যোজনার কোনও বাড়ি এখানে চোখে পড়ে না। গ্রামের বাড়িগুলি মাটি দিয়ে তৈরি, অধিকাংশ ভগ্নস্তূপের মতন দাঁড়িয়ে রয়েছে, যেকোনও সময়ে ভেঙে পড়তে পারে বাড়ি। নজর নেই প্রশাসনের। আর শনিবার এই মাটির ঘরের দেওয়াল ভেঙে চাপা পড়ে মৃত্যু হল তিন শিশুর।

    এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) বিষ্ণুপুর থানার বাকাদহ বোড়ামারা গ্রামে। মৃত শিশুদের মধ্যে একই পরিবারের এক শিশু কন্যা ও দুই পুত্র সন্তান ছিল বলে জানা গেছে। এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় বিজেপি, শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ করে বলেছে, গ্রামে পাকা বাড়ি হয়নি কেন? গরীব মানুষের আবাস যোজনার টাকা চুরি করে, পাকা বাড়ির অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে তৃণমূল। পাকা বাড়ি থাকলে হয়তো এই মর্মান্তিক ঘটনার শিকার হতে হতো না।

    কিভাবে দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু ঘটল (Bankura)?

    গত শুক্রবার বিকাল থেকে বাঁকুড়া (Bankura) জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে নিম্নচাপের জেরে প্রবল বৃষ্টিপাত। কিন্তু আজ শনিবার সকাল থেকেই নিম্নচাপের কারণে বৃষ্টিতে মাটির ঘরের দেওয়াল ভেঙে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় মৃত শিশুদের নাম হল রোহন সর্দার (৫), নিশা সর্দার (৪), অঙ্কুশ সর্দার (৩)। জানা গেছে এই তিন শিশু খেলা করছিল বাড়ির মধ্যেই। হঠাৎ করে ঘরের একটি মাটির দেওয়াল ভেঙে, ওই তিন শিশুর গায়ের উপর পড়ে। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা তড়িঘড়ি তিন শিশুকে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর চিকিৎসকরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। সমগ্র ঘটনায় এলাকায় তীব্র শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    গ্রামে নেই একটাও পাকা বাড়ি

    বিষ্ণুপুর (Bankura) ব্লকের বাঁকাদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের বোড়ামারা গ্রাম যেন একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। গ্রামে নেই একটিও আবাস যোজনার পাকা বাড়ি। সবকটি কাঁচা বাড়ি ভগ্নপ্রায় অবস্থা। যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা। আজকে দেওয়াল চাপা পড়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় যে তিনটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তাদের ছিল না পাকা বাড়ি। গ্রামের মানুষের ভয় আগামী দিনেও ঘটতে পারে বড়সড়ক দুর্ঘটনা।

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ

    গ্রামবাসীদের (Bankura) অভিযোগ, তৃণমূলের শাসনে বিগত ১০ বছরে একটিও পাকা বাড়ি পাননি গ্রামের মানুষ। এমনকি গ্রামে নেই কোনও আইসিডিএস সেন্টার, নেই কোনও পানীয় জলের ব্যবস্থা। তাই মানুষের প্রশ্ন ইন্দিরা আবাস যোজনা এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি চুরি করেছে তৃণমূল।   

    বিজেপির বক্তব্য

    বিষ্ণুপুরের সাংসদ (Bankura) সৌমিত্র খান মৃত্যুর প্রতি শোক প্রকাশ করে বলেন, “এই গ্রামে একটাও পাকা বাড়ি নেই। মোদিজির দেওয়া বাড়ির টাকা তৃণমূলের নেতারা চুরি করেছে। আজ ওই পরিবারের পাকা বাড়ি থাকলে এই ভাবে শিশুদের মৃত্যুর শিকার হতে হতো না।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই এলাকার শাসক দলের বর্তমান বাঁকাদহ (Bankura) গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বাসন্তী লায়েক এই পাকা বাড়ির বিষয়ে কেন্দ্রকেই দোষারোপ করেছে। তিনি বলেন, “আবাস যোজনার নাম থাকা সত্ত্বেও বাড়ি মেলেনি শুধুমাত্র কেন্দ্রের টাকা না দেওয়ার জন্য।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Tornado: দুমিনিটের টর্নেডোয় তছনছ সুন্দরবনের কয়েকটি গ্রাম, ক্ষতিগ্রস্ত হুগলিও

    Tornado: দুমিনিটের টর্নেডোয় তছনছ সুন্দরবনের কয়েকটি গ্রাম, ক্ষতিগ্রস্ত হুগলিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’মিনিটের টর্নেডোয় তছনছ গোটা গ্রাম। ভেঙে পড়েছে গ্রামের একাধিক বাড়ি। নিম্নচাপের বৃষ্টিতে গোটা দক্ষিণবঙ্গ ভিজছে। তার মধ্যেই টর্নেডোয় (Tornado) বিধ্বস্ত হল বসিরহাটের সুন্দরবনের মিনাখাঁ ব্লকের কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুন্দরবনের বাজার ও কয়েকটি গ্রাম।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Tornado)

    বসিরহাটের সুন্দরবনের মিনাখাঁ ব্লকের কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় শনিবার দুপুরে হঠাৎ করেই লাট্টুর মতো পাকিয়ে ওঠে ঝোড়ো হাওয়া। কালো ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে যায় চতুর্দিক। দু’মিনিট ধরে টর্নেডো (Tornado) চলে। যার জেরে কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের মালেয়াড়ি, আমতলা ও জয়গ্রামের মতো সুন্দরবনের বেশ কিছু গ্রাম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই তছনছ হয়ে যায় সব। সকাল থেকেই চলছিল অঝোরে বৃষ্টি। তার মধ্যেই হঠাৎ করে টর্নেডো চালু হয়ে যায়। ঘটনার আকস্মিকতায় হকচকিয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। কোনওরকম প্রস্তুতি ছাড়াই হঠাৎ এই ঝড় আসায় বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। তার মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায়, তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এভাবে, আচমকা ঝড় আসবে তা কেউ ভাবতে পারেননি। অন্যদিকে, হুগলির চুঁচুড়া বিধানসভার কোদালিয়া ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বেনাভারুই গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ক্ষণিকের ঘূর্ণিঝড়। ঝড়ের কারণে বেশ কিছু গাছ-বাড়ি ভেঙে পড়ে। ঘরের টিনের চাল উড়ে গিয়েছে। 

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, প্রায় ১০০ কিলোমিটার বেগে এই ঝড় শুরু হয়। এলাকায় থাকা বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায়। চোখের সামনে বেশ কয়েকটি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেকে জখম হন। বেশ কয়েকটি গাছও ভেঙে পড়েছে রাস্তার উপর, যার ফলে অবরুদ্ধ হয়েছে বেশ কয়েকটি রাস্তা। বেশ কিছু রুটের বাস, লরি, অটো ও টোটো বন্ধ রয়েছে। চরম ভোগান্তিতে বাসিন্দারা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: “ট্রেনে কেন! চার্টার্ড প্লেনে করে কর্মীদের দিল্লি নিয়ে যাক তৃণমূল” তোপ শুভেন্দুর

    Purba Medinipur: “ট্রেনে কেন! চার্টার্ড প্লেনে করে কর্মীদের দিল্লি নিয়ে যাক তৃণমূল” তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রেনে কেন! চার্টার্ড প্লেনে করে কর্মীদের দিল্লী নিয়ে যাক তৃণমূল। ওদের তো কোটি কোটি টাকা! বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী। পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) কাঁথিতে বিজেপির ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে কর্মশালার পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন তিনি।

    কী বলেন শুভন্দু অধিকারী (Purba Medinipur)?

    কাঁথিতে (Purba Medinipur) কর্মীদের কর্মশালায় যোগদান করে, সাংবাদিকদেরকে তৃণমূলের দিল্লি যাত্রার প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ট্রেন বন্ধ হয় নি। আলাদা বগি দিতে পারবেন না তাই বলেছেন। তৃণমূলের কাছে প্রচুর টাকা আছে। ভাইপো এবং পিসি নিজেরা চার্টার্ড প্লেনে যান, তৃণমূলের কর্মীরাও যাবেন। মদ, ডিয়ার লটারি, গাছ পাচার, সেচ দফতর থেকে, পিডবলু দফতর, উত্তরবঙ্গে মহিষ পাচার থেকে শুরু করে পিএইচ-এর জল জীবন মিশন পর্যন্ত মাসে ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকা তোলা আসছে তাঁদের। ডিয়ার লটারি, তাঁদের ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে আয়করের রিটার্ন ফাইলে বলেছে, তৃণমূল কংগ্রেসকে ৩০০ কোটি টাকা জমা করেছে। আইএফবি মদের কোম্পানি বলেছে, তাঁদের মদের ব্যবসা চালাতে গত ২০২১ সালের এক ছয় মাসেই ৪২ কোটি টাকা দিতে বাধ্য হয়েছে তৃণমূলকে। তাই তৃণমূল দু’শ চার্টার্ড বিমানের ব্যবস্থা করে, কলকাতা বিমান বন্দর থেকে দিল্লিতে যাক। দুই দিন ধরে তৃণমূলের কর্মীরা আকাশে উড়তে থাকুক। সামিম, শওকত মোল্লা, আরাবুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর খান সবাইকে প্লেনে করে নিয়ে যাক ভাইপো। যুবরাজ এই খরচ বহন করুক।”

    ডিএ নিয়ে কী বলেনশুভেন্দু?

    এদিন এই প্রশিক্ষণ শিবির (Purba Medinipur) থেকে শুভেন্দু বলেন, “আমাকে জেলে ঢোকানোর জন্য, এই মমতার সরকার সুপ্রিমকোর্ট এবং হাইকোর্টে মোট খরচ করেছে ২৯৫ কোটি টাকা। যখন রাজ্যে আর্থিক সঙ্কট  চলছে, তখন ইমাম-মোয়াজ্জিমদের ভাতা কেন ৫০০ করে বৃদ্ধি করা হল। আশাকর্মী, রাজ্য সরকারের কর্মীদের ডিএ দিতে পারছেন না কিন্তু এই দিকে দান খয়রাতি চলছে। যে টাকায় ভারত চন্দ্রযান পাঠালো, তাঁর ৫৭ শতাংশ সমান ৩০১ কোটি টাকা ক্লাবে ক্লাবে অনুদান দিচ্ছে তৃণমূল। এই লজ্জা কোথায় রাখবে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। হিন্দুদের পুজোকে কেবল মাত্র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পরিণত করেছেন মাননীয়া। দেবীর বোধন, পুস্পাঞ্জলি, বিসর্জন, নিরঞ্জন হবে পঞ্জিকা মতে কিন্তু এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিন্দুদের পুজোকে কেবল মাত্র একটি উৎসবে পরিণত করেছেন।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Baranagar: তৃণমূল সাংসদের সামনে বেহাল রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ জানালেন অনুদান পাওয়া একাধিক পুজো কমিটি

    Baranagar: তৃণমূল সাংসদের সামনে বেহাল রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ জানালেন অনুদান পাওয়া একাধিক পুজো কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটি কোটি টাকা খরচ করে পথশ্রী প্রকল্পে  রাস্তা সংস্কার করার কথা বলা হলেও বাস্তবে কিছুই হয়নি। এমনকী রাজ্যে পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান দেওয়ার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। কিন্তু, রাস্তা সংস্কার করার বিষয়ে সরকারের কোনও হেলদোল নেই। এমনই অভিযোগ ছিল বিরোধীদের। এবার সরকারি অনুদান পাওয়া পুজোকমিটিগুলিও বেহাল রাস্তা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত ক্ষোভ উগরে দিয়েছে। শুক্রবার বরানগরের (Baranagar) পুজো উদ্যোক্তারা পুরসভার কর্মকর্তাদের সামনে বেহাল রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। পুজোর আগে বেহাল রাস্তা সংস্কারের দাবি জানালেন তাঁরা। বরানগর ছাড়়াও বারাকপুর মহকুমার পানিহাটি সোদপুর-মধ্যমগ্রাম রোড, আগরপাড়া, নীলগঞ্জ রোড, বেলঘরিয়া ব্রিজের ঠিক নীচে বেশ কিছুটা জায়গা খানাখন্দে ভরা। ডানলপ মোড়ে বিটি রোড দিয়ে যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। পুজোর আগে এই সব রাস্তা সংস্কার না করা হলে দর্শনার্থীরা চরম নাকাল হবেন।

    পুজো কমিটিগুলিকে কী নির্দেশ দিল পুরসভা? (Baranagar)

    শুক্রবার সন্ধ্যায় পুরসভার উদ্যোগে বরানগরে (Baranagar) পুজো নিয়ে বৈঠক ছিল। বৈঠকে বরানগর পুরসভার ছোট, বড়, মাঝারি সমস্ত পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের ডাকা হয়েছিল। পুরসভার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সাংসদ সৌগত রায়, বিধায়ক তাপস রায়, পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা ছিলেন। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপ নারায়ন বসু বলেন, বেশিরভাগ পুজো কমিটিকেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অনুদান  দেওয়া হচ্ছে। তাই প্রত্যেককে মণ্ডপের সামনে ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা, প্লাস্টিক বর্জন সহ একাধিক ইস্যুতে সচেতনতামূলক বার্তা দেওয়া ফেস্টুন টাঙাতে হবে। অন্যথা আগামী বছর তাদের সরকারি অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে সংশয় তৈরি হবে। নির্দেশ না মিললে আগামী বছর যে অনুদান মিলবে না বলে হুঁশিয়ারি দিলেন পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান।

    পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা কী বললেন?

    পুজো কমিটি বৈঠকে বিধি নিষেধ নিয়ে আলোচনা হয়। পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের কাছ থেকেও তাদের মতামত নেওয়া হয়। পুজো কমিটির সদস্যরা বলেন, বরানগর (Baranagar) পুরসভা এলাকায় গোপাল লাল দাস ঠাকুর রোড, একে মুখার্জী রোড, টবিন রোড সহ পুরসভার একাধিক রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত বেহাল। পুজোর আগে এই রাস্তা মেরামতি না করা হলে দর্শনার্থীদের প্রতিমা দর্শন করতেই চরম নাকাল হতে হবে। তাই, পুজোর আগেই যাতে বেহাল রাস্তা সংস্কার করা হয় তার দাবি করেন পুজো উদ্যোক্তারা। পুজো কমিটি সদস্যদের আরও বক্তব্য, আমাদের রাজ্য সরকার অনুদান দিচ্ছে, খুব ভাল উদ্যোগ। কিন্তু,সরকারের রাস্তার দিকেও নজর দেওয়ার দরকার। না হলে পুজোর সময় সকলকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে।

    রাস্তা সমস্যা শুনে কী করলেন সাংসদ?

    পুরসভা এলাকায় বেহাল  রাস্তার সমস্যার বিষয়টি জানতে পারার পরই তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় মঞ্চ থেকেই মন্ত্রী পুলক রায়কে ফোন করেন। বেহাল রাস্তা সংস্কার করার জন্য তাঁর কাছে তিনি অনুরোধ জানান। কবে, সেই রাস্তা হয় তারদিকে তাকিয়ে রয়েছেন পুরবাসী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: কোচবিহারে দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে সার! কালোবাজারির দাপটে অসহায় কৃষকরা

    Cooch Behar: কোচবিহারে দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে সার! কালোবাজারির দাপটে অসহায় কৃষকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচবিহার (Cooch Behar) জেলা জুড়ে সারের কালোবাজারি শুরু হয়েছে। শীতকালীন সবজি, আলু চাষও শুরুর মুখে। কৃষকরা সার কেনা শুরু করেছেন। আর এই সুযোগে সারের কালোবাজির শুরু হয়েছে জেলা জুড়ে। কার্যত মাথা হাত কৃষকদের।

    কৃষকদের কী বক্তব্য?

    কোচবিহার (Cooch Behar) জেলায় এই সময়ে সব থেকে বেশি আনাজ চাষ হয়। সেই সঙ্গে আলু চাষও শুরু হওয়ার মুখে। সে জন্য বাজারে সারের চাহিদা তুঙ্গে। সব মিলিয়ে জেলায় সারের কদর বাড়তে শুরু করেছে। আর এই সময়েই ‘সার নেই-সার নেই’ বলে হাওয়া উঠেছে বাজারে। ফলে, ৪০০ টাকার প্যাকেটের ইউরিয়া কিনতে হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা দিয়ে। চাষিদের একটা বড় অংশের অভিযোগ, কোচবিহারের বহু বাজারে সারের কালোবাজারি হচ্ছে এমন করেই। প্রায় সমস্ত সার কেজি প্রতি ১০ থেকে ১২ টাকা বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ কৃষকেরা। কোচবিহারের তুফানগঞ্জের ঝাউকুঠি, বালাভূত, বক্সিরহাট-সহ একাধিক জায়গায় সারের কালোবাজারি চলছে। জিরানপুরের এক কৃষক মনোজ বর্মন বলেন, ইউরিয়া, ফসফেট, ডিএসপি, পটাশ সব ক’টি সারের দাম বেশি। প্রায় দ্বিগুণ। দেওয়ানহাটের কৃষক শরদিন্দু দেব বলেন, প্রত্যেক সার কেজি প্রতি ১০ থেকে ১২ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। কৃষকদের অভিযোগ, প্রত্যেক বছর যে সময়ে সারের চাহিদা বাড়ে তখনই কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে কালোবাজারে ওই সার বিক্রি করা হয়। গ্রামের বাজারগুলিতে তেমন ভাবে কোনও নজরদারি না থাকায় বিক্রেতাদের আরও সুবিধা বেশি। সে জন্যে গ্রামে নজরদারি বাড়ানোর দাবি করা হয়েছে। কারণ, ছোট কৃষকেরা বেশির ভাগই গ্রামের ছোট বাজারগুলির উপরে নির্ভরশীল। সেই সুযোগেই অনেকে কালোবাজারি করে।

    প্রশাসন কী করছে?

    কোচবিহার (Cooch Behar) জেলা কৃষি আধিকারিক গোপাল মান বলেন, ইতিমধ্যেই এমন অভিযোগ পেয়ে তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করা হচ্ছে। যাঁদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া যাবে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিছু তথ্য আমরা হাতে পেয়েছি। অভিযান চালিয়ে চার জন ব্যবসায়ীকে ‘শো-কজ়’ করা হয়েছে। তিন জন ব্যবসায়ীকে সার বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লাইসেন্স ছাড়া, সার বিক্রির অভিযোগে এক জনের মজুত সার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: কম্পিউটার গেম তৈরি করে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস শিরোপা আদায় করল খুদে পড়ুয়া

    Dakshin Dinajpur: কম্পিউটার গেম তৈরি করে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস শিরোপা আদায় করল খুদে পড়ুয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাইভ কম্পিউটার গেম তৈরি করে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে নাম তুলল দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার গঙ্গারামপুর শহরের এক বেসরকারি স্কুলের খুদে পড়ুয়া সুমিত সাহা। এই ঘটনায় উচ্ছ্বসিত পরিবার ও স্কুল কর্তৃপক্ষ। এলাকায় খুশির আবাহ।

    কীভাবে রেকর্ড গড়ল (Dakshin Dinajpur)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, তার বাড়ি গঙ্গারামপুর পৌরসভার (Dakshin Dinajpur) বেলবাড়ি ২ নম্বর ওয়ার্ডে। দু’মাস আগে উজ্জ্বল কিডস ওয়ার্ল্ড স্কুলের এই পড়ুয়া একটি প্রতিযোগিতার জন্য একটি ২ মিনিট ২২ সেকেন্ড লাইভ কম্পিউটার গেম তৈরি করে। প্রায় দু’মাস বাদে ফালাফল আসে যে সুমিত সফল হয়েছে। এই প্রসঙ্গে আরও জানা গেছে, পড়ুয়া ভবিষ্যতে বিজ্ঞানী হয়ে নাসায় বা ইসরোতে কাজ করতে চায়। ছেলের এমন সাফল্যে পরিবারের লোকজন ও স্কুল কর্তৃপক্ষরা বেশ খুশি।

    এই পাড়ুয়ার বয়স মাত্র ১০ বছর এবং চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র সে। সুমিতের বাবা সুজয় সাহা, মা রাখি পাল সকলকে নিয়ে তাদের পরিবার। ছোটবেলা থেকেই সুমিত পড়াশোনাতে বেশ মেধাবী। মাত্র দুমিনিট ২২ সেকেন্ডে একটি ট্রায় ট্রেন গেম তৈরী করে ২০২৩ সালের ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস শিরোপা আদায় করে নিল এই খুদে পড়ুয়া।

    পড়ুয়ার বক্তব্য

    রেকর্ড গড়ে, এই বিষয়ে খুদে ছাত্র সুমিত সাহা (Dakshin Dinajpur) বলে, “ভবিষ্যতে বিজ্ঞানী হয়ে নাসা বা ইসরোতে কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে আমার। এছাড়াও কম্পিউটারের প্রোগ্রামিং নিয়ে কাজ করতে চাই। আমি আমার স্কুল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।”

    খুশিতে স্কুল (Dakshin Dinajpur) কর্তৃপক্ষ, খুদে পড়ুয়াকে উৎসাহিত করতে সংবর্ধনা দেয়। স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীরা কম্পিউটার গেম, কোডিং ও ওয়েবসাইট তৈরি করে। স্কুল কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের মেধা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বসার ব্যবস্থা করে থাকে বলে জানা গেছে।

    স্কুল এবং পরিবারের বক্তব্য

    স্কুলের (Dakshin Dinajpur) প্রধান শিক্ষক অসীম ঘোষ বলেন, “সুমিতের সাফল্য আমাদের কাছে অত্যন্ত গৌরবের। পড়ুয়াদের আমরা পুঁথিগত শিক্ষার বাইরে গিয়ে, কারিগরি শিক্ষায় পারদর্শী করে তুলি ছোট থেকেই। যার যেমন প্রতিভা রয়েছে, সেই পড়ুয়াকে সেভাবেই গড়ে তোলা হয়। আমাদের স্কুলের অনেক পড়ুয়া নিজেরাই ওয়েবপেজ ডিজাইন ও কোডিংয়ের কাজ করে। চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া সুমিত সাহা খুব অল্প সময়ের মধ্যে একটি কম্পিউটার গেম তৈরি করে নিজের প্রতিভার বিকাশ করেছে। এতে আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষ খুবই খুশি”।

    অপর দিকে ছেলের সাফল্যে সুমিতের বাবা-মা বলেন, “ছেলের এমন সাফল্যে আমরা খুবই খুশি। ওর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হোক আমরা এটাই চাই। আমরা সবসময় ওর পাশে সহযোগিতার জন্য রয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share