Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Toy Train: দার্জিলিংয়ে ফের লাইনচ্যুত হল টয় ট্রেন, আতঙ্কিত পর্যটকরা

    Toy Train: দার্জিলিংয়ে ফের লাইনচ্যুত হল টয় ট্রেন, আতঙ্কিত পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের দার্জিলিংয়ে লাইনচ্যুত হল টয় ট্রেন (Toy Train) । ট্রেনের কামরা থেকে ইঞ্জিন খুলে যায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পর্যটকরা। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসের প্রথম দিকে পর পর দুবার টয় ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। এরপর প্রায় ৬ মাস সেরকম দুর্ঘটনা কোনও খবর ছিল না। এদিন ফের দুর্ঘটনায় পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

    ঠিক কী করে দুর্ঘটনা ঘটল?  (Toy Train)

    স্থানীয় ও পর্যটক সূত্রে জানা গিয়েছে,  শনিবার সকালে পর্যটকদের নিয়ে শিলিগুড়ির দিকে রওনা হয় টয় ট্রেনটি। ট্রেনে (Toy Train) ভালই পর্যটক ছিল। ঘুম স্টেশন পর্যন্ত ঠিকঠাকভাবে চললেও স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছাড়তেই ইঞ্জিনটি খুলে গিয়ে লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। হুড়মুড় করে থেমে যায় টয় ট্রেনটি। যদিও দুর্ঘটনায় পর্যটকদের জখম হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর পরই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের লোকজন এসে টয় ট্রেনটিকে লাইন থেকে তোলার উদ্যোগ নেয়। যদিও ঘটনার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পর্যটকরা।

    পর্যটকরা কী করলেন?

    এদিন টয় ট্রেন (Toy Train) থেকে অনেক পর্যটক দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ি ফেরার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। অনেকে আবার টিকিটও কেটেছিলেন। কিন্তু, এই ঘটনার পর ট্রেনে ফেরার সফর বাতিল করেন। মনোজ চট্টোপাধ্যায় নামে এত পর্যটক বলেন, কোনওদিনই টয় ট্রেনে চাপা হয়নি। পরিবারের সঙ্গে এদিন টয় ট্রেনে যাওয়ার পর পরিকল্পনা করেছিলাম। বাস্তবে সকালে যা হল তাতে আর ওই ট্রেনে ফেরার কোনও ইচ্ছে নেই। সায়ন ঘোষ নামে আর এক পর্যটক বলেন, এখানে সবাই পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধব নিয়ে যাত্রা করছি। কাজেই দুশ্চিন্তা হচ্ছে। আর হেরিটেজ টয় ট্রেন মাঝে মধ্যেই লাইনচ্যুত হওয়ার খবর শুনি। কিন্তু এ বার সেটা যে আমাদে সঙ্গেই ঘটবে তা কল্পনাও করতে পারিনি।

    রেল আধিকারিকের কী বক্তব্য?

     উত্তর-পূর্ব ভারতের রেলের জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, টয় ট্রেনটি (Toy Train) উদ্ধারের কাজ চলছে। যাত্রীদের বিকল্প দিনের কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা সড়কপথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই তাঁদের টিকিটের টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: রাতারাতি জীবনযাত্রা বদল, প্রতারণার ‘হাব’ চোপড়া! তাজ্জব পুলিশ

    Uttar Dinajpur: রাতারাতি জীবনযাত্রা বদল, প্রতারণার ‘হাব’ চোপড়া! তাজ্জব পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব করার সিদ্ধহস্ত ছিল জামতারা গ্যাং। রাজ্যজুড়ে নতুন করে শুরু হয়েছে আধার জালিয়াতি করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করছে প্রতারকরা। তমলুকে এক ব্যাঞ্চ ম্যানেজারের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সাফ করেছে প্রতারকরা। একইসঙ্গে বহু মানুষের রাতারাতি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সাফ করে দিচ্ছে প্রতারকরা। এই ঘটনার তদন্তে নেমে উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) চোপড়া, ইসলামপুরের নাম সামনে আসে। চোপড়ার গ্রামে বসেই বড়সড় প্রতারণা চক্র চালাত প্রতারকরা। আগেই এই ঘটনায় তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পরে, এই জালিয়াতিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর চোপড়া থেকে আরও দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

    ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কী পেল পুলিশ? (Uttar Dinajpur)

    ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, কয়েক মাস আগে পর্যন্ত তারা ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিল। ভিন রাজ্য থেকে ফিরেই ‘ওয়ার্ক ফর্ম হোমের’ চাকরি পেয়ে যায়। বাড়িতেই কম্পিউটার সেটআপ, ল্যাপটপ, সঙ্গে ব্রড ব্যান্ড কানেকশন। রাতারাতি জীবনযাত্রায় বদল। প্রতারণার ‘হাব’ উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) চোপড়ার প্রত্যন্ত গ্রাম মুক্তিচিপা, নারায়ণপুরের অধিকাংশ যুবকদের মধ্যে গত কয়েক মাসে ব্যাপক বদল এসেছিল। তদন্তে উঠে এসেছে এই ব্যাঙ্কিং প্রতারণা চক্র সংক্রান্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা দেখে তাজ্জব পুলিশ কর্তারা। তবে, এই ধরনের জালিয়াতির পাঠ কে দিল তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এই চক্রের পিছনে আর কারা রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    পুলিশ কী করছে?

    ভিনরাজ্য থেকে ফিরে এসে বাড়িতে বসে কাজ করে রাতারাতি জীবনযাত্রা বদলে যাওয়ায় মুক্তিচিপা, নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দারাও কার্যত হতবাক হয়ে গিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে অন্য জেলার পুলিশও যোগাযোগ রাখছে। জেলার গোয়েন্দা বিভাগের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়ার পাশাপাশি সতর্ক নজর রাখতে বলা হয়েছে। গ্রামে গ্রামে কারা হাইস্পিড ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন এবং কেন ব্যবহার করছেন, সে সব নিয়ে পুলিশকে আরও বেশি সতর্ক রাখার পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তারা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা, অভিযুক্ত কনস্টেবল, হোমগার্ড

    Jalpaiguri: পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা, অভিযুক্ত কনস্টেবল, হোমগার্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাইমারি স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রায় কোটি টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছিল মালদার তৃণমূল নেতা তথা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। প্রতারিত এক ব্যক্তি চাকরি না পেয়ে ওই তৃণমূল নেতাকে মারধর করতে দেখা গিয়েছে। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতে পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তোলার অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা রাজগঞ্জ থানায় কর্মরত কনস্টেবল সুশান্ত চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। একই অভিযোগ উঠেছে পুলিশের এক হোমগার্ডের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের নাম দেবাশিস দেবনাথ। বিভাগীয় কমিশনারের বাংলোয় কর্মরত তিনি। অভিযুক্ত হোমগার্ড দেবাশিসের বাড়ি ময়নাগুড়ির পানবাড়িতে এবং শ্বশুরবাড়ি কোচবিহার জেলার ঘোষকাডাঙা এলাকায়।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) কোতোয়ালি থানায় দিনকয়েকআগে অভিযোগ দায়ের করেন কয়েক জন প্রতারিত যুবক। শুক্রবার অভিযোগকারীদের থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। অভিযোগকারীরা কোন কোন মাধ্যমে হোমগার্ডকে টাকা দিয়েছিলেন, সে সব তথ্য যাচাই করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পুলিশের বড় কর্তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে নিজেকে প্রভাবশালী প্রমাণ করে দেবাশিস টাকা তুলত। গত আড়াই বছর ধরে এই কাজ করে আসছে। মূলত, প্রতারিতরা টাকা দিয়ে এতদিন অপেক্ষা করছিলেন। চাকরি না হওয়ায় তাঁরা পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হন।  এ দিন ময়নাগুড়ি থেকে দেবাশিসের স্ত্রী দীপা দেবনাথ বলেন, তাঁর স্বামীর এই সব ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। কিছু দিন ধরে তিনি বাড়ি আসছেন না এবং বাড়িতে বেশকিছু লোকজন যাওয়া-আসা করায় তাঁরও সন্দেহ হয়েছিল, কিছু একটা সমস্যা হয়েছে। একই অভিযোগ রয়েছে রাজগঞ্জ থানায় কর্মরত কনস্টেবল সুশান্ত চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেও।  চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে তাঁর নামে।

    প্রতারিতরা কী বললেন?

    প্রতারিতদের বক্তব্য, কেউ পাঁচ লক্ষ, কেউ আবার ৮ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। সুশান্ত, দেবাশিসকে আলাদাভাবে সকলেই টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু, প্রতিশ্রুতি মতো তারা কথা রাখেনি। তাই, বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি। আমাদের দাবি, অবিলম্বে টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করতে হবে।

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    দু’জনকেই পুলিশ লাইনে ‘ক্লোজ’ করা হয়েছে। বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার চক্র জেলাজুড়ে রয়েছে কি না পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। আর দেবাশিস আর সুশান্তের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা পুলিশ সুপার উমেশ খাণ্ডবহালে বলেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: বাতিল হল তৃণমূলের দিল্লিগামী এক্সপ্রেস, বিশেষ ট্রেনের অনুমতি দিল না পূর্ব রেল

    TMC: বাতিল হল তৃণমূলের দিল্লিগামী এক্সপ্রেস, বিশেষ ট্রেনের অনুমতি দিল না পূর্ব রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাতিল হল তৃণমূলের (TMC) দিল্লি যাত্রার বিশেষ ট্রেন। আগামীকাল শনিবার হাওড়া থেকে দিল্লিগামী তৃণমূলের জন্য ট্রেন ছাড়ছে না বলে জানা গেছে। এই নিয়ে রেলের পূর্ব রেল, আইআরসিটিসিকে স্পষ্ট ভাবে জানায় যে দিল্লি যাওয়ার জন্য যে আলাদা বগি চাওয়া হয়েছিল, তা কার্যত দেওয়া সম্ভব নয়। তৃণমূল অবশ্য এই ট্রেন বাতিলের বিষয়ে পাল্টা বিজপির চক্রান্ত বলে মন্তব্য করছে।

    রেলের বক্তব্য

    তৃণমূলের (TMC) রেল বাতিল নিয়ে, ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, “আইআরসিটিসি আমাদের কাছে ট্রেনের জন্য বলেছিল। কিন্তু তেমন বগির ট্রেন দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা সেটা আইআরসিটিসিকে জানিয়ে দিয়েছি।”

    তৃণমূলের দিল্লি যাত্রা (TMC)

    আগামী ২ এবং ৩ অক্টোবর দিল্লিতে রয়েছে তৃণমূলের (TMC) বিক্ষোভ কর্মসূচি। দাবি, কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রাপ্য বকেয়া টাকা আদায় করা। তৃণমূল আগে থেকেই ঘোষণা করেছিল, ট্রেন ভাড়া করে তৃণমূলের কর্মীরা দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলন করবে। সেই মতন ২২ বগির একটি এক্সপ্রেস বুক করা হয়েছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় জানা গেল যে পূর্ব রেল এমন কোনও ট্রেন দিতে পারছে না। পূর্ব রেল, আইআরসিটিসকে একটি চিঠি দিয়ে জানায়, ৩০ সেপ্টেম্বরের জন্য যেমন বগি চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল, তা কার্যত দেওয়া সম্ভব নয়।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূল (TMC) এই দিল্লি যাত্রায় ট্রেন বাতিলের ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতি হিংসার ঘটনার কথা বলে উল্লেখ করেছে। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক কারণেই করা হয়েছে। বিজেপি তৃণমূলের এই অভিযানকে ভয় পেয়ে এই আচরণ করছে। তবে এই সব করে বিজেপি, তৃণমূলকে আটকাতে পারবে না।”

    বিজেপির বক্তব্য

    তৃণমূলের (TMC) দিল্লিগামী রেল বাতিলের প্রসঙ্গে বিজেপির পক্ষ থেকে দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “আমি তো রেলের মুখপাত্র নই, তাই এই নিয়ে কিছু বলার অধিকারী নই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dacoits: দিনে দুপুরে খড়্গপুরে সোনার দোকানে ডাকাতির চেষ্টা, গুলিবিদ্ধ দোকানের মালিক, আতঙ্ক

    Dacoits: দিনে দুপুরে খড়্গপুরে সোনার দোকানে ডাকাতির চেষ্টা, গুলিবিদ্ধ দোকানের মালিক, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার রানাঘাট, পুরুলিয়ার সোনার দোকানে দিনেদুপুরে ভয়াবহ ডাকাতির (Dacoits) ঘটনার স্মৃতি এখনও টাটকা। একইসঙ্গে দুটি সোনার দোকানে ডাকাতি করে কয়েক কোটি টাকা লুট  করেছিল দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতে এবার পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর শহরের গোলবাজার এলাকায় একটি সোনার গয়নার দোকানে ডাকাতির চেষ্টা করল দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার দিনেদুপুরে সোনার দোকানে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। ডাকাতিতে বাধা পেয়ে গুলিও চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলির আঘাতে আশিসকুমার দত্ত নামে সোনার দোকানের মালিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। জখম হয়েছেন দোকানের এক কর্মীও। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দোকানের মালিককে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Dacoits)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনার দোকানের মালিক আশিসবাবুর বাড়ি মেদিনীপুর শহরে। খড়গপুরে তাঁর সোনার দোকান রয়েছে। প্রতিদিন তিনি এসে দোকান খোলেন। এদিনও তাঁর সঙ্গে ছেলে ছিল। অভিযোগ, দোকান খোলার সময় আচমকা চার-পাঁচ জন আশিসকে ঘিরে ধরে। তাঁর দোকানে ঢোকার চেষ্টা হয়। বাধা দিলে একজন আশিসকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। গুলিটি লাগে আশিসের পেট এবং বুকের মাঝখানে। সেখানেই লুটিয়ে পড়েন তিনি।  ডাকাতিতে (Dacoits) বাধা দেওয়ায় দোকানের এক কর্মীর উপরও চড়াও হয় ডাকাতদল। অস্ত্র দিয়ে তাঁর হাতে কোপ দেওয়া হয়। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আশপাশের দোকানিরা ছুটে এলে ওই চার-পাঁচ জনের দলটি চম্পট দেয়। এই ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশান উঠতে শুরু করে।

    কী বললেন জেলা পুলিশ সুপার? (Dacoits)

    খড়্গপুর শহরের গোলবাজারে গয়নার দোকানে ডাকাতির (Dacoits) চেষ্টার ঘটনায় গ্রেফতার করা হল ডাকাত দলের সদস্যদের। ভিনরাজ্যে পালানোর সময় ড্রোন উড়িয়ে ওই ডাকাতদলকে পাকড়াও করা হয়। রানাঘাট এবং পুরুলিয়ায় ডাকাতির মতো এই ডাকাতির চেষ্টার পিছনেও বিহার-যোগ পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের বাড়ি বিহারের  বৈশালী এলাকায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, এখনও পর্যন্ত আমরা পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছি। ধৃতদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: বীরভূমে তৃণমূল কার্যালয় থেকে মুছে ফেলা হল অনুব্রতের ছবি, কীসের ইঙ্গিত?

    Anubrata Mondal: বীরভূমে তৃণমূল কার্যালয় থেকে মুছে ফেলা হল অনুব্রতের ছবি, কীসের ইঙ্গিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূম জেলার বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডল। সেই অনুব্রত মণ্ডলই (Anubrata Mondal) কি না দলের মধ্যে ব্রাত্য হয়ে পড়ছেন। এমনিতেই গরু পাচার দুর্নীতি মামলায় গত এক বছরের বেশি সময় ধরে তিনি তিহারে রয়েছেন। দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও খাতায় কলমে তিনি এখনও জেলা সভাপতির পদে বহাল। কিন্তু, বীরভূমের সংগঠনের হাল ধরতে ময়দানে নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, সময়ের সঙ্গে বদলাচ্ছে তৃণমূলের জেলা সংগঠনের কর্তৃত্বের রাশ। অনুব্রত ‘বিরোধী’ নানুরের কাজল শেখ এখন দলের গুরুত্ব পেয়েছেন। তিনি জেলা পরিষদের সভাধিপতিও। সেই কাজলের খাসতালুক নানুরেই অবাককাণ্ড। জেলায় তৃণমূলের অন্দরে কেষ্ট জমানা শেষ হয়ে কি কাজল সেখের জমানা শুরু হয়েছে?

    ঠিক কী হয়েছে নানুরে? (Anubrata Mondal)

    নানুর থানার হোসেনপুর গ্রামে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের ঢোকার মুখে দেওয়ালে দীর্ঘদিন ধরে একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ছবি আঁকা ছিল। ঠিক পাশের দেওয়ালে অনুব্রত মণ্ডল জিন্দাবাদ লেখা ছিল। আর সেই লেখা এবং ছবিও মুছে ফেলা হয়েছে। যদি তা কে করেছে বা কারা করেছে কেউ কিছু বলতে পারছে না। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই এই জেলায় একটি দুয়ারে সরকার শিবিরের আগে হোর্ডিংয়ে তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে কাজল সেখের ছবি ছিল। সেখানে কেষ্ট মণ্ডলের ঠাঁই হয়নি। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা হয়েছিল। এবার ফের দলীয় কার্যালয় থেকে তাঁর ছবি মুছে ফেলা হল। বীরভূমে অনুব্রত জমানা যে শেষ হতে বসেছে তা এই দুটি ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    একসময়ের অনুব্রত (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত নানুরের ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য। অনুব্রত জমানা শেষ হলেও এখনও তিনি স্বপদে বহাল রয়েছেন। দলের মধ্যে এই ধরনের ঘটনায় তিনিও বিব্রত। কিন্তু, তার বেশি আস্ফালন করার কোনও জায়গা নেই। তাই, বিষয়টি জানার পরই তিনি বলেন, আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব। আর সামনেই দুর্গাপুজো, তাই হয়তো কেউ মুছে ফেলেছে। নতুন করে করা হবে। এর বেশি তিনি কিছু বলতে চাননি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    শুক্রবার নানুনের হোসেনপুরে তৃণমূল পার্টি অফিসের ছবি পোস্ট করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, জোড়া-ফুলের দলীয় কার্যালয়ের বাইরের দেওয়ালের একদিকে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। তার পাশে অনুব্রতের (Anubrata Mondal) ছবির জায়গায় রং লেপা রয়েছে। অনুপম হাজরা বলেন, নানুরের হোসেনপুর গ্রামের তৃণমূল কার্যালয়ে অনুব্রত মণ্ডলের ছবি মুছে ফেলা হল। দিদিমণি তো আগেই মুছে দিয়েছেন মন থেকে,এবার দেওয়াল থেকে মোছা শুরু হল। তৃণমূলে একটাই নীতি – চুরি করে যতদিন তুমি পার্টিকে দিতে পারবে ততদিন তুমি ‘ভালো ছেলে’ আর ধরা পড়লেই পার্টি তোমাকে চেনে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: “পশ্চিমবঙ্গ থেকে চোরেদের লিডার দিল্লি যাচ্ছেন” অভিষেককে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর

    Murshidabad: “পশ্চিমবঙ্গ থেকে চোরেদের লিডার দিল্লি যাচ্ছেন” অভিষেককে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ভারতীয় জনতা পার্টির মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা কার্যালয় উদ্বোধন করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। উদ্বোধনের পর তিনি বললেন যে নসিপুর-আজিমগঞ্জ রেল ব্রিজ চালু হয়ে গেলে মুর্শিদাবাদ পর্যটক কেন্দ্রের আদর্শ স্থানে পরিণত হবে। সেই সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে, তৃণমূলের দিল্লি যাত্রাকে নিশানা করে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ থেকে চোরেদের লিডার দিল্লি যাচ্ছেন।”

    জেলা কার্যালয় উদ্বোধন (Murshidabad)

    সুকান্ত মজুমদার বহরমপুর (Murshidabad) থেকে লালবাগ রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে এসে গাড়ি থেকে নেমে, পায়ে হেঁটে লালবাগ সিরাজদৌলা রোড সংলগ্ন মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা কার্যালয় গিয়ে ফিতে কেটে, প্রদীপ প্রজ্জলন করে জেলার সাংগঠনিক জেলা কার্যালয় উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন যে আপনারা জানেন বহরমপুর এবং মুর্শিদাবাদ এই দুটি লোকসভা কেন্দ্র, তাই সাংগঠনিক ভাবে একসাথে ছিল। কিন্তু পরে সাংগঠনিক ভাবে আলাদা জেলার সিদ্ধান্তের কথা আগেই ঘোষণা হয়েছে। জঙ্গিপুর নিয়ে এই জেলায় বিজেপির সংগঠনিক জেলা মোট তিনটি। ফলে বিজেপি আরও শক্তিশালী হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন। 

    মুর্শিদাবাদের উন্নয়ন নিয়ে কী বললেন?

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) এই দিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, মাননীয় নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে সব জায়গার উন্নতি হচ্ছে কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ একটু কম হচ্ছে। তার কারণ, এখানে স্পিড ব্রেকার মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন। এখানে উন্নয়ন করার জন্য জমি পাওয়া যায় না, তার মধ্যেও আমরা নসিপুর ব্রিজ এবং তার প্রস্তাবিত লাইন সেটা সম্পূর্ণ করেছি। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই এই ট্রেন রুট চালু করা হবে। মুর্শিদাবাদ স্টেশন এবং আজিমগঞ্জ স্টেশন এই দুটি স্টেশন অমৃত ভারত প্রকল্পে স্থান পেয়েছে । এখানে আমাদের সাংসদ নেই কিন্তু কোনরকম বৈমাত্রিক সুলভ আচরণ করিনা, কেন্দ্রীয় সরকার সব জায়গাকে সমান চোখে দেখছেন। আর তার উদাহরণ হচ্ছে এই জেলা। কিছুদিনের মধ্যেই নসিপুর-আজিমগঞ্জ রেল ব্রিজ চালু হয়ে গেলে, মুর্শিদাবাদ পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।

    তৃণমূলের দিল্লি যাত্রা নিয়ে কী বললেন?

    মুর্শিদাবাদ থেকে (Murshidabad) তৃণমূলের দিল্লি যাত্রা সম্পর্কে সুকান্ত বলেন, “একশ দিনের টাকা হোক বা আবাস যোজনার টাকা হোক, যারা চুরি করতো তারাই দিল্লি যাচ্ছে।” তিনি এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সাবধান করে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ থেকে চোরেদের লিডার দিল্লি যাচ্ছেন। বাড়িঘর তালা মেরে সাবধানে রাখবেন, না হলে চুরি হয়ে যেতে পারে। ইডি শুধু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমন করেনি, লিপস এন্ড বাউন্স কোম্পানিতে যাঁরা দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন, সিইও ছিলেন এবং ওনার বাবা-মাকেও সমন করেছে । আপনি চুরি করবেন আর বেঁচে যাবেন, এটা নরেন্দ্র মোদির আমলে হবে না। চুরি করলে অবশ্যই তার শাস্তি ভোগ করতে হবে।”

    কর্ণসুবর্ণতে আমার মাটি আমারদেশ

    সুকান্ত মজুমদার শশাঙ্কের রাজধানী কর্ণসুবর্ণতে (Murshidabad) আমার দেশ আমার মাটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। বিকেল ৩ টের সময় বহরমপুর টেক্সটাইল মোড়ে বিজেপির জনসভায় যোগদান করেন। এছাড়াও সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, রাজ্য বিজেপির সম্পাদক তথা মুর্শিদাবাদ বিধানসভার বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ, রাজ্য কমিটির সদস্য দীপঙ্কর চৌধুরী, সাংগঠনিক মুর্শিদাবাদ জেলার সভাপতি সৌমেন মন্ডল এবং বহরমপুর বিধানসভার বিধায়ক সুব্রত মৈত্র এবং কেন্দ্রীয় হজ কমিটির সদস্যা মাফুজা খাতুন উপস্থিতিতে সাংগঠনিক মুর্শিদাবাদ জেলার কার্য্যালয়ের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: শিলিগুড়ি জুড়ে সারের কালোবাজারি, মাথায় হাত কৃষকদের, কী করছে প্রশাসন?

    Siliguri: শিলিগুড়ি জুড়ে সারের কালোবাজারি, মাথায় হাত কৃষকদের, কী করছে প্রশাসন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমাজুড়ে চলছে সারের কালোবাজারি। দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে সার। ফসলের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়াহয় চাষিদের মাথায় হাত। শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়া, নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ি ও মাটিগাড়া ব্লকে আলু, পাট, ধান সহ নানা ধরনের মরশুমি সব্জি চাষ হয়ে থাকে। শীতের নানা ধরনের সব্জি  চাষ শুরু হয় এই সময়েই। এই সুযোগে প্রকাশ্যে সারের কালোবাজারি শুরু হয় গিয়েছে বলে কৃষকদের অভিযোগ।

     কী বলছেন কৃষকরা? (Siliguri)

    শিলিগুড়ির  ফাঁসিদেওয়ার স্বদেশ দাস, খড়িবাড়ির প্রফুল্ল বর্মন বলেন, আলু চাষের সময় ব্যবসায়ীরা সারের কৃত্তিম সঙ্কট তৈরি করেন। জোগান কম দেখিয়ে তারা দ্বিগুণ দামে সার বিক্রি করছেন। ইউরিয়ার ৪৫ কেজির বস্তায় দাম লেখা রয়েছে ২৬৬ টাকা। আমাদের ৪০০ টাকায় কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। পটাশের সরকারি নির্ধারিত দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি। এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি।  ফসফেটেও কালোবাজারি চলছে। সরকারি মূল্য তালিকা দেখানো হলেও সার ব্যবসায়ীরা তা মানতে চাইছে না। বেশি দামে সার কেনার পর জিএসটি সহ বিলও পাচ্ছি না আমরা। চাপাচাপি করলে আমাদের  কাছে সার বিক্রি বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।  

    কী বলছেন সার ব্যবসায়ীরা?

    নাম প্রকাশে  অনিচ্ছুক শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমার সার বিক্রেতাদের একাংশের বক্তব্য, সব জিনিসের দাম বেড়েছে। সারের প্যাকেটে যে দাম লেখা থাকে সেই দামে বিক্রি করলে আমাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। ক্যারিং কস্ট বহুগুণ বেড়েছে। কিন্তু, সরকার সারের দাম বাড়ায়নি। তাই বাধ্য হয়ে বাড়তি খরচ ধরে নিয়ে আমরা সার বিক্রি করছি। তাতে সামান্য কিছু টাকা বেশি দিতে হচ্ছে কৃষকদের।

     প্রতিবাদ আন্দোলনে বিজেপির কিষাণ মোর্চা

    বিজেপির কিষাণ মোর্চার  শিলিগুড়ি (Siliguri) সাংগঠনিক জেলা কমিটির  সহ-সভাপতি  স্বপন কুমার বর্মন বলেন, মূলত আলু চাষ শুরুর সময় থেকে গত তিন মাস ধরে  শিলিগুড়ি মহকুমা জুড়ে সারের কালোবাজারি চলছে। আলুর সঙ্গে এই সময় কপি সহ শীতের নানা ধরনের সব্জি চাষ শুরু হয়। এই চাহিদার জন্য এসময় সারের কালোবাজারি শুরু হয়। এতে কৃষকের নাভিশ্বাস অবস্থা। আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে ফাঁসিদেওয়া ও  খড়িবাড়ি ব্লকের বিডিওকে স্মারকলিপি দিয়েছি।  কিন্তু কোনও সাড়া মেলেনি। প্রশাসন ঘুমিয়ে রয়েছে। রাজ্য সরকারের বিষয়টি কেন দেখছে না বুঝতে পারছি না।   

    কী বলছে প্রশাসন?

    শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমার দায়িত্বে থাকা কৃষি দফতরের যুগ্ম আধিকর্তা পার্থ রায় বলেন, আমাদের কাছে সারের কালোবাজারি নিয়ে কোনও কৃষক লিখিতভাবে অভিযোগ করেনি। তবুও, আমরা প্রতিটি জায়গায়  নজর রেখেছি। নিয়মিত অভিযান চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: আদিবাসী সমাজের বিক্ষোভে অবরুদ্ধ ধর্মতলা, প্রবল যানজট, চূড়ান্ত হয়রানির শিকার নিত্যযাত্রীরা

    Howrah: আদিবাসী সমাজের বিক্ষোভে অবরুদ্ধ ধর্মতলা, প্রবল যানজট, চূড়ান্ত হয়রানির শিকার নিত্যযাত্রীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক মদতে কুড়মি-মাহাতোরা জোর করে তফসিলি জনজাতির তকমা পেতে চাইছেন। আর এই ঘটনার প্রতিবাদে আদিবাসী সমাজের উপর দমন পীড়নের প্রতিবাদে পথে নেমেছে ‘ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশন্‌স’। প্রতিবাদে বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠনের সদস্যরা মিছিল করে কলকাতার রানী রাসমণি রোডের এই সমাবেশে উপস্থিত হন। এর ফলে প্রবল যানজটে অবরুদ্ধ হয় কলকাতা সহ হাওড়া (Howrah) জেলার নানা জায়গা। নিত্যযাত্রী, সাধারণ মানুষকে পড়তে হয় ব্যাপক হয়রানিতে। আদিবাসী সমাজ এই যানজটের দায় চাপিয়েছে পুলিশের উপর।

    প্রতিবাদ সমাবেশে মূল দাবি কি?

    ‘ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশন্‌স’-এর পক্ষ থেকে এই সভায় তাদের দাবি করা হয়, তাঁদের ছাড়া অন্য কাউকে ‘সিডিউল ট্রাইব’-এর মর্যাদা দেওয়া যাবে না। অবিলম্বে নকল এসটি সার্টিফিকেট ইস্যু বন্ধ করতে হবে। ২০০৬ সালের বন্য আইন সারা রাজ্যে চালু করারও দাবি জানান তাঁরা। সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য, বিভিন্ন জেলা থেকে হাওড়া (Howrah) স্টেশনে এসে জড়ো হন হাজার হাজার আদিবাসী সমাজের মানুষ।

    হাওড়ায় (Howrah) ব্যাপক যানজট

    আজ, হাওড়া (Howrah) স্টেশন থেকে হাওড়া ব্রিজ হয়ে, মিছিল করে, ধর্মতলায় রানী রাসমণি রোডে সভায় অংশ নিতে যান আন্দোলনকারীরা। অনেকে আবার লঞ্চ পেরিয়েও ধর্মতলা পৌঁছান। আদিবাসীদের এই মিছিলের জেরে হাওড়া এবং কলকাতায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। হাওড়া ব্রিজে যান চলাচল ব্যাহত হয়। হাজার হাজার লোকের মিছিলের জেরে হাওড়া ব্রিজে বেশ কয়েক দফা যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চরম বিপাকে পড়েন হাজার হাজার নিত্যযাত্রী। শুধুমাত্র হাওড়া ব্রিজ নয় হাওড়া ময়দান এবং সালকিয়া পর্যন্ত এই যানজট বিস্তৃত হয়।

    অবরুদ্ধ কলকাতা

    কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে পোস্ট করে জানানো হয়, মিছিলের জেরে অবরুদ্ধ ধর্মতলা ক্রসিং, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, লেনিন সরণী, জহরলাল নেহরু রোড, রেড রোড, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট এবং মেয়ো রোড। হাওড়া (Howrah) ও কলকাতায় এই যানজটের জেরে আটকে পড়েন হাজার হাজার অফিস যাত্রী। তাঁদের পায়ে হেঁটে পৌঁছাতে হয় অফিসে। এর জেরে অনেকেই দেরিতে অফিস পৌঁছান। হাওড়া ব্রিজ, স্ট্র্যান্ড রোড,  ব্র্যাবোর্ন রোড সহ বিভিন্ন রাস্তায় গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে।

    আদিবাসী সংগঠনের বক্তব্য

    হাওড়া (Howrah) ও কলকাতায় এই ব্যাপক যানজটের কথা তুলে ধরে আদিবাসী সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, “পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আমরা এই সমাবেশে যোগ দিয়েছি। ফলে যানজটের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে পুলিশের আগে থেকে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। পুলিশের আগে থেকেই ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেনি। তাই সব দায় পুলিশের। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: বিজেপিকে জেতানোর অপরাধ! কেটে দেওয়া হল বাঁশের সাঁকো, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Arambagh: বিজেপিকে জেতানোর অপরাধ! কেটে দেওয়া হল বাঁশের সাঁকো, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক মাস আগেই আরামবাগে বিজেপি কাউন্সিলারের ওয়ার্ড বলে রাস্তা সংস্কার না করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে বনগাঁয় বিজেপি করার অপরাধে এক দলীয় কর্মীর উপর হামলা এবং ছেলে বাঁচাতে গিয়ে খুন হন মা। নৃশংস এই ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল। এসব ঘটনার মধ্যে এবার পঞ্চায়েতে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার কারণে যোগাযোগের বাঁশের সাঁকো কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের  (Arambagh) খানাকুল-২ ব্লক এলাকার নতিবপুর-১ ও ২ পঞ্চায়েত এলাকায়। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Arambagh)

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে আরামবাগের (Arambagh) খানাকুল-২ ব্লক এলাকার নতিবপুর-১ পঞ্চায়েতে তৃণমূল জয়লাভ করে। নতিবপুর-২ পঞ্চায়েত দখল করে বিজেপি। এই দুই গ্রামপঞ্চায়েতের মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে মুণ্ডেশ্বরী নদী। তার উপরই বাঁশের সাঁকো। সেই সাঁকো রাতের অন্ধকারে নদীতে জল বাড়ার সুযোগ নিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সেই সাঁকোই করাত দিয়ে কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসকদলের স্থানীয় নেতা- কর্মীদের বিরুদ্ধে। খানাকুলের বালিগোড়ি গ্রামে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার লোকজন। বিজেপিকে ভোট দেওয়ার কারণে এমনটা ঘটানো হয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। ঘটনাস্থলে যান বিজেপির বিধায়ক। এলাকা ঘুরে তিনিও তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তোলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রামের মানুষ যাতায়াত করতে পারছেন না। বুড়ো-বাচ্চাদের নিয়ে আরও সমস্যা হচ্ছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন, এখানে বিজেপির পঞ্চায়েত। মানুষের কাছে ভুল বার্তা দিতেই এসব করছে। স্থানীয় কিছু তৃণমূল নেতাও তাতে জড়িত রয়েছে। রাতের অন্ধকারে ব্রিজের একটা অংশ কেটে দেওয়া হয়। আর তার জেরেই জলের হালকা স্রোতে বাকিটা ভেসে যায়। আমিও ওখানে গিয়ে দেখেছি, চারপাশে কাঠের গুঁড়ো ছড়ানো। মেশিন দিয়ে ওই ব্রিজটি কাটা হয়েছে। খানাকুল থানার ওসিকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানিয়েছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের ব্লক সম্পাদক বিপ্লব লহরী বলেন, সুশান্ত ঘোষ এটা নিয়ে রাজনীতি করছেন। আসলে ব্রিজটি ভগ্নপ্রায়ই ছিল। ডিভিসি জল ছেড়েছে। সেই জলের তোড়ে ব্রিজটিকে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে। তৃণমূল এসব কেন করতে যাবে? রাজনীতি করতে বিজেপ এসব করছে। তৃণমূল কোনওদিনই এসব চায় না।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share