Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Skoch Award for Bengal: বীরভূমে অভিনব মানবিক শিক্ষাদান, স্কচ পুরস্কার পাচ্ছে “আনন্দ পাঠ”, তীব্র উচ্ছ্বাস জেলায়

    Skoch Award for Bengal: বীরভূমে অভিনব মানবিক শিক্ষাদান, স্কচ পুরস্কার পাচ্ছে “আনন্দ পাঠ”, তীব্র উচ্ছ্বাস জেলায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার সময় পর্ব থেকেই সারা বিশ্বে সবথেকে বেশি শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে পড়াশুনার শিক্ষা ব্যবস্থায়। দিনের পর দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কুল, কলেজ, বন্ধ থাকায় শিক্ষায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। শুধু তাই নয় রাজ্যে প্রয়োজনের থেকে অতিরিক্ত ছুটি, পড়ুয়াদের পড়ার আগ্রহকে অনেকটাই কম করে দিয়েছে বলে, শিক্ষাবিদদের একাংশ দাবি করেছেন। এই প্রভাবকে কাটাতেই বীরভূমের স্কুল শিক্ষায় এক অভিনব মানবিক উদ্যোগের ছবি ধরা পড়েছে “আনন্দ পাঠ” দানে। জেলাশাসক বিধান রায় নিজের প্রচেষ্টায় পিছিয়ে থাকা পরিবারগুলিতে শিক্ষার আলো পৌঁছানোর বিশেষ ব্যবস্থা করেন। বীরভূমের শান্তিনিকেতনে এই উদ্যোগের ফলে এই বছর স্কচ পুরস্কার (Skoch Award for Bengal) পাচ্ছে “আনন্দ পাঠ”। এই পুরস্কারকে ঘিরে জেলাবাসীদের মধ্যে তীব্র উচ্ছ্বাস। দিল্লীতে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জেলা শাসকের হাতে এই পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

    কেন এই অভিনব উদ্যোগ(Skoch Award for Bengal)?

    সমাজের পিছিয়ে থাকা শিশুদের লক্ষ করেই শিক্ষার আলো পৌঁছানোর উদ্যোগ নেওয়া হয় এই “আনন্দ পাঠে” শিক্ষা পদ্ধতির মধ্যে। সমাজে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে রয়েছেন, বাবা-মা নেই  অথবা বিশেষ ভাবে সক্ষম বাচ্চাদের পড়াশুনার জন্য এই পাঠের ব্যবস্থা করা হয়। করোনার সময় থেকেই রাজ্যের স্কুলগুলি বন্ধ থাকায় পড়াশুনার নিয়মিত ছন্দে ব্যাঘাত ঘটেছে। এছাড়াও রাজ্যের সীমাহীন স্কুল ছুটি, বিশেষ করে বাচ্চা-শিশুদের পড়াশুনার ক্ষেত্রে বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি করেছে। এই কথাকে মাথায় রেখেই বীরভূম প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষা প্রদানের এক মানবিক উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে এই স্কচ সম্মানে (Skoch Award for Bengal) জেলা প্রশাসনের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।

    কীভাবে পড়াশুনা চলত আনন্দ পাঠ

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রামে-গ্রামে, পাড়ায়-পাড়ায় প্রাথমিকের স্কুলে পড়াশুনা করে, এমন বাচ্চাদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করানো হয়। ছড়ার ছলে, গল্পের ছলে, ছবি এঁকে বা বাস্তব উদাহরণ দিয়ে, শিশুদের মনে পড়াশুনার আগ্রহকে চমৎকার ভাবে তুলে ধরা হয়। বিষয় উপস্থাপনের উপর গুরুত্ব দিয়ে পড়াশুনার আগ্রহকে বৃদ্ধি করার উপর নজর দেওয়া হয়। এছাড়াও পড়াশুনার বাইরের নান্দনিক বিষয়কে বাড়তি গুরুত্ব আরোপ হয়েছে। একই ভাবে শিক্ষা গ্রহণের জন্য শিশুদের পরিবারে যাতে একটা পড়াশুনার পরিবেশ বা বাতাবরণ তৈরি হয়, সেই ভাবনার উপরেও জোর দেওয়া হয়। আর এই পাঠকে সুনিশ্চিত করার কাজ করেছে “আনন্দ পাঠ”।  

    মূলত একজন দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষক গ্রামে গ্রামে গিয়ে, সকালে ৭ টা থেকে ৯ টা  এবং বিকেল ৪ টা থেকে ৬ টা পর্যন্ত এই পড়াশুনার ক্লাস করান। এটা কোনও ক্লাসের পড়া নয়। পরোটাই শিশুদের মানসিক স্তরের উপর নির্ভর করে ক্লাস করানো হয়। এই অভিনব মানবিক উদ্যোগে স্কচ পুরস্কারে (Skoch Award for Bengal) সম্মানিত হওয়ায় খুশির আবহ বীরভূম জেলায়।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: রাস্তাতেও কাটমানি! পথশ্রী প্রকল্পে তৈরি রাস্তার হাল দেখলে চমকে উঠবেন

    South 24 Parganas: রাস্তাতেও কাটমানি! পথশ্রী প্রকল্পে তৈরি রাস্তার হাল দেখলে চমকে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প পথশ্রী। সেই প্রকল্পের কাজেও কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার একতারা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। কাটমানি খেয়ে বেহাল রাস্তা না করার জন্য তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের কাছে বলতে গেলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে পথশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার একতারা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি রাস্তা তৈরির জন্য ৪১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৭৭৮ টাকা বরাদ্দ হয়। অন্যদিকে, এলাকার মানুষদের আরও অভিযোগ, ঢালাই রাস্তার ওপরে আবারও ঢালাই ফেলে টাকা নিজেদের পকেটে ঢুকিয়েছে শাসক দল। আর তা নিয়ে পঞ্চায়েত সদস্যকে বলতে গেলেই হুমকির মুখে পড়তে হয় এলাকার মানুষদের। সেই ঢালাই রাস্তার একাংশ কার্যত মাটির রাস্তায় পরণত হয়েছে। আর সেই বেহাল মাটির রাস্তার ওপর দিয়েই প্রাণ হাতে করে নিয়ে যাতায়াত করতে হয় এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ও অন্যান্যদের। এমনকী প্রসূতি মহিলা বা কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লেও যাতায়াতের জন্য এই বেহাল রাস্তায় ভরসা।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    এই গ্রামের বেহাল রাস্তার মাঝে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে একটি কালভার্ট তৈরি করা হয়েছিল। বর্তমানে সেই কালভার্টের বেহাল অবস্থা। নিত্যদিন দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়। নিজেদের সমস্যার কথা একাধিকবার প্রশাসনকে জানিয়েও এখনও পর্যন্ত কোনও সমস্যার সমাধান হয়নি। ফলে, দুর্ভোগে দিন কাটছে একতারা গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দাদের।

    পঞ্চায়েতের কী অবস্থান?

    স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, কাউকে কোনও হুমকি দেওয়া হয়নি। এসব মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, এই ঘটনায় একতারা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রীতি মণ্ডল বলেন, আমি সবেমাত্র এক মাস প্রধান পদে দায়িত্ব পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে কাজ শুরু করা হবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    তবে, এই বিষয়ে ডায়মন্ডহারবার সংগঠনিক জেলার বিজেপির সহ-সভাপতি সুফল ঘাঁটু তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, কয়লা চোর, বালি চোর তৃণমূলের পক্ষেই এইসব কাজ সম্ভব। রাস্তাতেও ওরা কাটমানি খেয়ে কাজ অসম্পূর্ণ করে রেখেছে। আমাদের দাবি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) জেলা প্রশাসন অবিলম্বে এর তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদা জেলায় বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, চিহ্নিত হটস্পট জোন, নামানো হল ড্রোন

    Malda: মালদা জেলায় বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, চিহ্নিত হটস্পট জোন, নামানো হল ড্রোন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদায় (Malda) ক্রমশ আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। চলতি বছরের জেলায় মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১২১৩ জন। গত সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১০ জন। চলতি সপ্তাহে এখনও পর্যন্ত চল্লিশ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ইংরেজবাজারের ২৫ নম্বর ওয়ার্ড, রতুয়া-১ নম্বর ব্লক এবং কালিয়াচক -৩ নম্বর ব্লকে।

    পরিস্থিতি মোকাবিলায় টাস্ক ফোর্স গঠন

    ডেঙ্গি (Malda) পরিস্থিতি মোকাবিলায় টাস্ক ফোর্স গঠন করল মালদা জেলা প্রশাসন। সমস্ত চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এমনকী  ড্রোন উড়িয়ে জমা জল খোঁজার কাজ শুরু করল মালদা জেলা প্রশাসন ও পুরসভা। স্কুল এবং নার্সিংহোমগুলি পরিদর্শন করবে টাক্স ফোর্স। কোনও বেসরকারি নার্সিংহোম বা হাসপাতাল ডেঙ্গি প্রটোকল না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকী লাইসেন্সও বাতিল করা হতে পারে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

    কোন কোন এলাকা হটস্পট জোন করা হয়েছে?

    জানা গিয়েছে, মালদা (Malda) জেলায় হুহু করে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে মালদা জেলাকে ডেঙ্গি প্রবন এলাকা বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ইংরেজবাজারের চারটি ওয়ার্ড ৭,১২,১৩ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ড ও ১২ গ্রাম পঞ্চায়েতকে হটস্পট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারই জরুরি ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন বৈঠক ডাকে। সেখানে জেলার দুই পুরসভা সমস্ত কাউন্সিলার, গ্রামপঞ্চায়তের জন প্রতিনিধি সহ স্বাস্থ্য আধিকারিকদের ডাকা হয়। সেখানে জেলাশাসক নীতিন সিংঘানিয়া বলেন, হটস্পট এলাকাগুলিতে ড্রোন সার্ভে করা হবে। যাতে কোথাও জল জমা না থাকে। এক সপ্তাহ অন্তর রিপোর্ট নেওয়া হবে। গ্রামের ক্ষেত্রে বৈঠক করতে হবে। স্কুলগুলিকেও সতর্ক করা হয়েছে। জেলার ৩২০০ স্কুলের শিক্ষকদের সতর্ক করা হয়েছে। স্কুল পরিষ্কার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় সমস্ত চিকিৎসকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হটস্পট জোনে নজর দারি করা হবে।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা! টাকা আদায়ে তৃণমূল নেতাকে বেধড়ক মার

    Malda: প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা! টাকা আদায়ে তৃণমূল নেতাকে বেধড়ক মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যজুড়ে এখন তোলপাড়। অনেকে এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলের ঘাঁনি টানছেন। অনেক তৃণমূল নেতা চাকরি দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা তুলে দিব্বি জেলের বাইরে হাওয়া খেয়ে বেড়াচ্ছেন। এবার সেই সব নেতাদের চিহ্নিত করে বেধড়ক পিটিয়ে পাওনা টাকা আদায়ের চেষ্টা করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। মালদা (Malda) জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য স্বপন মিশ্রকে বেধড়ক পেটানোর ঘটনা সেকথায় প্রমাণ করেছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ধীরে ধীরে জনরোষ তৈরি হচ্ছে। আগামীদিনে এই ধরনের ঘটনা আরও বাড়বে বলে বিরোধীদের দাবি।

    তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ? (Malda)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে স্বপন মিশ্র মালদা (Malda) জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান পদে ছিলেন। সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছিল।  বহু মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা পাবেন। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার চার থেকে পাঁচটি অভিযোগ থানায় জমা পড়েছে। অভিযোগ, প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রায় কোটি টাকা প্রতারণা করেছেন তিনি। বহু মানুষ চাকরি পাননি। কিন্তু, তাদের টাকার ফেরতও দেননি। টাকা ফেরতের জন্য বহুবার  দরবার করেছেন। কিন্তু, কাজের কাজ কিছু হয়নি। অবশেষে তৃণমূল নেতার উপর চড়াও হয়ে টাকা আদায়ের জন্য চাপ দেন এক ব্যক্তি।

    ভাইরাল ভিডিওতে কী দেখা যাচ্ছে?

    ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি বাড়িতে ঘরের ভিতর চেয়ারে বসে রয়েছেন মালদা (Malda) প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান স্বপন মিশ্র। তাঁর কলার ধরে প্রশ্ন করছেন এক যুবক। একটাই প্রশ্ন, ‘সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকাটা কই? বল কবে টাকা ফেরত দিবি?’ মার খেয়ে কাতরাতে কাতরাতে তৃণমূল নেতা শুধু বলছেন, ‘এখন টাকা দিতে পারব না, সময় দিতে হবে।’ আর এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলাজুড়ে।

    কী বললেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব?

    জেলা তৃণমূল নেতা প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ওই ব্যক্তি দলের এখন কোনও পদে নেই। আর দলের নাম ভাঙিয়ে যে দুর্নীতি করেছে তার দায় দল নেবে না। যারা প্রতরিত হয়েছে তাদের আইনের দ্বারস্থ হয়ে দোষী ব্যক্তির শাস্তির ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেব।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: বাংলাদেশে বাড়ছে ডেঙ্গি, সীমান্তে সক্রিয় কিট পাচারচক্র! কীভাবে?

    Dengue: বাংলাদেশে বাড়ছে ডেঙ্গি, সীমান্তে সক্রিয় কিট পাচারচক্র! কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে গরু পাচার, হেরোইন পাচার, সোনা পাচার হওয়ার খবর শোনা যায়। এবার ভারত-বাংলাদেশে উত্তর ২৪ পরগনা সীমান্ত এলাকায় ডেঙ্গি (Dengue) কিট পাচার চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ, পুলিশ বিএসএফের নজর এড়িয়ে ছোট জিনিস পাচার করা তুলনায় সহজ। তাই, সীমান্তে এই কিট পাচার চলছে। পুলিশ ও বিএসএফের হাতে কয়েকজন পাচারকারী গ্রেফতারও হয়েছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে কয়েক লক্ষ টাকার কিট। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই তথ্য সামনে এসেছে।

    কেন বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছে ডেঙ্গি কিট? (Dengue)

    এ রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি। নদিয়া জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার। উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেও বহু মানুষ আক্রান্ত। এর পাশাপাশি বর্ষায় বাংলাদেশেও ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ ছড়িয়েছে। সে কারণেই ও দেশে ডেঙ্গি পরীক্ষার কিটের চাহিদা বেড়েছে। তা ছাড়া, পাচারকারীদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে ভারত থেকে বাংলাদেশে কিট নিয়ে যেতে পারলে লাভ অনেক বেশি।বিভিন্ন বেসরকারি ল্যাবরেটরি থেকে কিট কিনতে পাওয়া যায়। ওদেশে ডেঙ্গি পরীক্ষার খরচও অনেক বেশি। এখানে যদি ডেঙ্গি পরীক্ষার জন্য ১০০ টাকা খরচ হয়, বাংলাদেশে খরচ পড়ে ১ হাজার টাকা। তাই এই চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ডেঙ্গি কিটের মতো ছোট জিনিস পাচারে ঝুঁকি অনেক কম। সীমান্তে থাকা কাঁটাতারের ওপারে ডেঙ্গি কিটের ব্যাগ ছুঁড়ে ফেলতে হবে। কাজ ঠিকঠাক হলেই মিলবে টাকা। পরে, পাচারকারীরা এসে সেই ব্যাগ নিয়ে চলে যায়। ডেঙ্গি কিট পাচার চক্রের সদস্যেরা নানা টোপ দিয়ে গ্রামের চাষি, বেকার যুবকদের এ কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে।

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    সম্প্রতি পেট্টাপোল থানার পুলিশের কাছে খবর এসেছিল, এক বাংলাদেশি পাচারকারী পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে এ দেশ থেকে ডেঙ্গির (Dengue) কিট পাচার করার চেষ্টা করছে। ওই পাচারকারী আগেও এই কাজ করেছে। পুলিশ পেট্রাপোল সীমান্তে নজরদারি বাড়ায়। পাচারকারী সীমান্ত এলাকায় আসতেই তাকে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়। ধৃতের নাম মহম্মদ সোহেল রানা। বাড়ি বাংলাদেশের বেনাপোল থানার সাদিপুর এলাকায়। তার কাছ থেকে ৬৮ প্যাকেট ডেঙ্গির কিট আটক করা হয়। এক একটি প্যাকেটে ২৫টি করে কিট ছিল, যার মূল্য প্রায় ৪ লক্ষ টাকা। ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জানিয়েছে, ২০২২ সালের নভেম্বর মাস থেকে ওই দুষ্কৃতী কয়েক বার ভারতে এসেছিল বৈধ পাসপোর্ট ও ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে। প্রতি বারই সে ডেঙ্গির কিট কলকাতা থেকে কিনে বাংলাদেশে পাচার করেছে। এ বারই প্রথম ধরা পড়ল। এর আগেও একজনের কাছে থেকে ৯ লক্ষ টাকার কিট বাজেয়াপ্ত করা হয়। বনগাঁর এসডিপিও অর্ক পাঁজা বলেন, সন্দেহজনক কাউকে দেখলে তল্লাশি করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bongaon: বিজেপি করা অপরাধ! ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে খুন হলেন মা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Bongaon: বিজেপি করা অপরাধ! ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে খুন হলেন মা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি করার অপরাধে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মীর মাকে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনায় বনগাঁর (Bongaon) ঠাকুরনগরের মানিকহীরা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম কানন রায়। তাঁর ছেলের নাম জয়ন্ত রায়। তিনি এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। হামলাকারী তৃণমূল কর্মীর নাম সমীর মল্লিক। তিনি বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি নিরুপম রায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bongaon)  

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়ন্তবাবুর পরিবারের সকলেই বিজেপি সমর্থক। আর এই বিজেপি দল করার অপরাধে প্রায়ই তাঁর বাড়ির উদ্দেশে গালিগালাজ করত সমীর মল্লিক নামে অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী। বুধবার সন্ধ্যাতেও গালিগালাজ করতে করতে যাচ্ছিলেন তিনি। জয়ন্তবাবু তার প্রতিবাদ করলে সমীর মল্লিক তাঁর ওপর চড়াও হন। বেধড়ক মারধর করতে থাকে। ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন বৃদ্ধা মা ও বাবা। তাঁদেরও মারধর করেন সমীর। এমনকী জয়ন্তবাবুর স্ত্রীকেও মারধর করা হয়। জয়ন্তবাবুর মাকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা বনগাঁ (Bongaon) সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি নিরুপম রায়ের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। যদিও ঘটনার পরই অভিযুক্ত হামলাকারীকে গ্রেফতার করেছে গাইঘাটা থানার পুলিশ।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী?

    মৃতার ছেলে তথা বিজেপি কর্মী জয়ন্ত রায় বলেন, বিজেপি করাটা আমাদের অপরাধ। সমীর নামে এই তৃণমূল কর্মী এর আগেও আমাদের বহুবার গালিগালাজ করেছে। বুধবার আমি প্রতিবাদ করেছিলাম বলে ও এভাবে আমার বাড়ির সকলের উপর হামলা চালিয়েছে। আমার মাকে তো খুন করে দিল। আমরা অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এদিন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, যে বুথে এই ঘটনাটি ঘটেছে সেই বুথে সব থেকে বেশি ভোট পেয়েছিল বিজেপি। আজকে আমরা কোন রাজ্যে বাস করছি যেখানে একজন তৃণমূলের যুব নেতা নিজে দাঁড়িয়ে থেকে খুন করিয়ে দিল। আমরা অবিলম্বে  দাবি জানাচ্ছি। এই বাংলায় শাসন বলে কিছু নেই ক্রিমিনাল গুন্ডাদের রাজত্ব চলছে। নিরূপমের নেতৃত্বে ওই বিজেপি কর্মীর মা খুন হয়েছ। সবার আগে নিরুপমকে গ্রেফতার করা দরকার ছিল।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বনগাঁ (Bongaon) সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি নিরুপম রায় বলেন, কাল রাতে একটা ঘটনা ঘটেছে মানিকহীরা দেশপাড়ায়। সমীর মল্লিক নামে তৃণমূল কংগ্রেসের এক কর্মী এলাকার বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে মারামারিতে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। সব মৃত্যুই বেদনার। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। আইন আইনের পথে চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: তৃণমূলের দিল্লি অভিযানে ভাড়া খেটে কিছু লোকের রোজগার হবে! কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: তৃণমূলের দিল্লি অভিযানে ভাড়া খেটে কিছু লোকের রোজগার হবে! কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমৃত উদ্যান প্রকল্পে মাটি সংগ্রহ করতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) গেলেন মহাভারতের বাংলা অনুবাদক কাশীরাম দাসের বাড়িতে। প্রথমে কাশীরাম দাসের মূর্তিতে মাল্যদান করেন তিনি। এরপর কাটোয়ার কাশীরাম দাসের ভিটে থেকে মাটি সংগ্রহ করেন। এদিন সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।

    রাজভবনে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী

    রাজভবনে এবার থেকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী থাকবে, রাজ্য পুলিশ থাকবে না। এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপাল। রাজ্যপালের রাজভবন কেন্দ্রীয় বাহিনী পাহারা দেবে না রাজ্য পুলিশ পাহারা দেবে, তাতে রাজ্য সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। রাজ্যপাল যেটা ঠিক করবেন, তাই হবে। রাজ্য সরকারের পুলিশের উপর সাধারণ মানুষ ভরসা করতে পারছে না। মুখ্যমন্ত্রী যেখানে ভরসা করতে পারছেন না, সেখানে রাজ্যপাল কী করে ভরসা করবেন। প্রসঙ্গত, রাজভবন এবার থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাহারা দেবে, এমনটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ’র বিরুদ্ধে পোস্টার

    আজ সকালে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটিতে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ’র বিরুদ্ধে একটি পোস্টার পড়ে। যেখানে লেখা রয়েছে, অর্থের বিনিময়ে প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে। এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, এই পোস্টার তৃণমূলের তরফ থেকেই মারা হয়েছে। তাছাড়া অন্য কেউ এই কাজ করবে না বলেই সুকান্তবাবুর মত। সুতরাং এই কাজ কে করেছে বা কারা করেছে, খোঁজ করার বিষয় নেই, এরকম হতেই পারে না।

    মিছিলে শুভেন্দু ও কংগ্রেসের কৌস্তুভ 

    গতকাল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও কংগ্রেসের কৌস্তুভ বাগচী একসঙ্গে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে মিছিল করেন। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওই মিছিলটি ছিল অরাজনৈতিক। তাই মিছিলে হাঁটতেই পারেন। তৃণমূল ও সিপিএমের উচিত ওই মিছিলে হাঁটা। এই কথা বলতে গিয়ে তিনি কৌস্তুভ বাগচীকে বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতা বলাতে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, তাহলে কৌস্তুভ বাগচী কি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? উত্তরে তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, উনি বিজেপিতে আসবেন কিনা, সেটা ওনাকে ঠিক করতে হবে। আমরা ওনাকে বিজেপিতে নেব কিনা, এটা আমাদের ঠিক করতে হবে। আগে ওনাকে ভাবতে বলুন উনি বিজেপিতে আসবেন কিনা, তারপর আমরা ভাববো।

    তৃণমূলের দিল্লি অভিযান

    তৃণমূলের তরফ থেকে ১০ হাজার লোক নিয়ে দিল্লি অভিযান। কী বলবেন? সুকান্তবাবু (Sukanta Majumdar) বলেন, লোক ভাড়া করে পার ডে ৫০০ টাকা করে দিয়ে গোয়াতে লোক নিয়ে গেছে। এখন রেট বাড়িয়ে ৫০০ টাকার জায়গায় ৭০০ করবে। তাতে বিজেপির কোনও আপত্তি নেই। দিল্লিতে ভাড়ায় নিয়ে গিয়ে কিছু লোকের যদি রোজগার হয়, এতে আপনার আমার হিংসা করা উচিত নয়। রাজ্যে চাকরিও নেই, কোন কাজও নেই। কিছু লোকের রোজগার হবে, এতে আপত্তির কিছু নেই। লোকের দুটো ভাত জুটবে পেটে।

    বিচারপতি বদলি

    বিচারপতি অর্পণ চট্টোপাধ্যায়কে অবিলম্বে বদলি করার নির্দেশের ব্যাপারে তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, নিশ্চয়ই বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, সেগুলি আদালত দেখেছেন। এর মধ্যে নিশ্চয়ই সত্যতা আছে। বিচার ব্যবস্থার হয়তো উনি নিরপেক্ষতা রাখতে পারেননি। আমাদের কিছু বলার নেই। আমরা একে স্বাগত জানাবো।

    এরপর সিঙ্গি গ্রামের আরও পাঁচটি বাড়ি থেকে মাটি সংগ্রহ করে কাটোয়ার কুড়ি নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচটি বাড়ি থেকে মাটি সংগ্রহ করেন অমৃত উদ্যানের জন্য। বিকেল চারটে কাটোয়া সংলগ্ন পানুহাট মাঠে জনসভা করেন তিনি। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: আসানসোলে ফের সক্রিয় গরু পাচার চক্র! ধরলেন এলাকাবাসী, পুলিশ কী করছিল?

    Asansol: আসানসোলে ফের সক্রিয় গরু পাচার চক্র! ধরলেন এলাকাবাসী, পুলিশ কী করছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল এখন তিহারে। সিবিআইয়ে কড়া নজরদারিতে গরু পাচার প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাছাড়া এতদিন আসানসোল সিবিআই গরু পাচার মামলা চলছিল। এবার সেই মামলা আসানসোল (Asansol) সিবিআই আদালত থেকে মামলা দিল্লিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এবার ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে গরু পাচার চক্র। তবে, পুলিশ প্রশাসন গরু পাচার রুখতে কতটা সক্রিয় তা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও সাধারণ মানুষ এই বেআইনী কারবারের বিরুদ্ধে এককাট্টা। বুধবার রাতেই আসানসোলের জামুড়িয়া থানার শ্রীপুর এলাকা থেকে রানিগঞ্জের পাঞ্জাবি মোড় এলাকায় গরু বোঝাই ট্রাক আটক হওয়ার ঘটনা সেকথা প্রমাণ করেছে। পুলিশ নয়, স্থানীয় বাসিন্দারা গরু পাচার হওয়া গাড়ি আটক করেন। ফলে, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Asansol)

    বুধবার রাতেই আসানসোলের (Asansol) জামুড়িয়া থানার শ্রীপুর এলাকা থেকে রানিগঞ্জের পাঞ্জাবি মোড় এলাকায় গরু বোঝাই একটি ট্রাক যাচ্ছিল। গাড়িটিকে স্থানীয় বাসিন্দারা আটক করেন। অভিযোগ, বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই গরু নিয়ে যাওয়ার জন্য বুধবার রাতে জাতীয় সড়কের উপর থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা আটক করেন। উদ্ধার করা হয় ৩১টি গরু। এরমধ্যে ট্রাকে ১৮টি গরু এবং ১৩টি বাছুর ছিল। আপাতত স্থানীয় একটি গোশালায় গরুগুলিকে রাখা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ট্রাকটির নম্বর পশ্চিমবাংলার। তাই ঝাড়খণ্ড থেকে লরিটি ঢুকে কোথায় যাচ্ছিল তা স্পষ্ট নয়। ওই লরিতে যে ভাবে গাদাগাদি করে গরু নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাতে দু’টি বাছুর অচেতন হয়ে যায়। আরও বেশ কয়েকটি অসুস্থ হয়ে পড়ে।

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দারা গরু পাচারের অভিযোগে ট্রাকটি আটক করেন। পরে, সেই গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়। গরুগুলিকে নিরাপদ জায়গায় রাখা হয়েছে। কোথায় থেকে এই গরুগুলি নিয়ে আসা হচ্ছিল এবং কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই ট্রাকের চালক এবং খালাসি পালিয়ে যাওয়ায় কাগজপত্র হাতে আসেনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sodepur: এ কী কাণ্ড! সোদপুরে একসঙ্গে ঝান্ডা হাতে আন্দোলনে সিপিএম-তৃণমূল, হতবাক এলাকাবাসী

    Sodepur: এ কী কাণ্ড! সোদপুরে একসঙ্গে ঝান্ডা হাতে আন্দোলনে সিপিএম-তৃণমূল, হতবাক এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলি জেলাজুড়ে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের হোর্ডিং ঘিরে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল। হোর্ডিংয়ে একসঙ্গে মমতা-অধীর, অভিষেক-সুজনের ছবি। তৃণমূল এবং সিপিএম নেতৃত্ব এই হোর্ডিংয়ের দায় নিতে অস্বীকার করেছেন। কারণ, রাজ্যে সিপিএমের মূল শত্রু তৃণমূল এবং বিজেপি। সেখানে তৃণমূলের শীর্ষ নেতা-নেত্রীর সঙ্গে দলের রাজ্য নেতাদের ছবি থাকায় সিপিএম নেতৃত্ব অস্বস্তিতে পড়ে হোর্ডিং ছিঁড়ে ফেলার নিদান দিয়েছে কর্মীদের। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতে এবার বারাকপুরের সোদপুর (Sodepur) স্টেশনে রেল হকারদের উচ্ছেদের প্রতিবাদে রাজ্যের দুই যুযুধান প্রতিপক্ষ তৃণমূল ও সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন রেলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একসঙ্গে মিছিল করল। সোদপুর প্ল্যাটফর্মে তৃণমূল সিপিএমের একসঙ্গে ঝান্ডা নিয়ে এই প্রতিবাদের ঘটনা দেখে হতবাক নিত্যযাত্রী থেকে সকল রেলযাত্রী।

    কেন আন্দোলন? (Sodepur)

    তৃণমূল এবং সিপিএম দুই দলেরই শ্রমিক সংগঠনের কর্মী সমর্থকরা সোদপুরে (Sodepur) একসঙ্গে দলীয় ঝান্ডা এবং ব্যানার হাতে স্টেশন চত্বরে প্রতিবাদ মিছিল করেন। যা নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিচু তলায় সিপিএম এবং তৃণমূলকর্মীরা যে কাছাকাছি আসতে পারেন এই ঘটনাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। ‘ইন্ডিয়া’ জোটে তৃণমূল থাকায় সিপিএম সমন্বয় কমিটিতে থাকল না, অথচ সোদপুর রেল স্টেশনের হকার ইউনিয়নের সিপিএম কর্মীরা তৃণমূলের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রেলের বিরুদ্ধে স্লোগান দিলেন, মিছিল করলেন। দুপক্ষই একসঙ্গে রেলের বিরুদ্ধে রীতিমতো জেহাদ ঘোষণা করলেন। প্রসঙ্গত, শিয়ালদা মেন লাইনের প্রত্যেকটি রেল স্টেশনে বহুবার হকার উচ্ছেদের নোটিশ দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। কয়েকটি জায়গায় রেল পুলিশ অভিযানও চালিয়েছে। এছাড়াও পুনর্বাসন না দিয়ে উচ্ছেদ করা যাবে না, এটা জানিয়ে লাগাতার স্টেশন গুলিতে আন্দোলনও চালিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির শ্রমিক সংগঠন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে, সুষ্ঠু পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ করা যাবে না। একই দাবিতে সোদপুর রেলস্টেশনে প্রতিবাদ মিছিল হয়। কিন্তু, সেই মিছিল রাজ্য রাজনীতির এক বিরল চিত্র দেখা যায়।

    কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    শাসক বিরোধী একসঙ্গেই মিছিল করেছেন বলেই কার্যত স্বীকার করে নেয় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সিটুর নেত্রী গার্গী চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই শ্রমিক সংগঠন একসঙ্গে প্রতিবাদ করে। যেভাবে রেলস্টেশন থেকে হকারদের উচ্ছেদ করে দেওয়া হচ্ছে তার প্রতিবাদে এবং হকাররা নিজেদের রুটি রুজির দাবিতে এক হয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে। তাই অনেক রকম ঝান্ডা থাকতে পারে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই প্রসঙ্গে বারাকপুর দমদম সাংগঠনিক জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি সোমনাথ শ্যাম বলেন, সোদপুরে (Sodepur) প্রতিবাদ কর্মসূচি আমাদের পূর্ব ঘোষিত ছিল। সেই অনুযায়ী হকারদের স্বার্থে আইএনটিটিইউসি একাধিক দাবি নিয়ে মিছিল করেছে। অন্য রাজনৈতিক দলের শ্রমিক সংগঠনও একইদিনে একইস্থানে মিছিল করেছে। এখানে একসঙ্গে রাজনৈতিক কর্মসূচি করার কোন ব্যাপার নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: চ্যালেঞ্জ করতেই হাঁসুয়া নিয়ে আক্রমণ, বিএসএফের গুলিতে ঝাঁঝরা বাংলাদেশি চোরাচালানকারী

    Nadia: চ্যালেঞ্জ করতেই হাঁসুয়া নিয়ে আক্রমণ, বিএসএফের গুলিতে ঝাঁঝরা বাংলাদেশি চোরাচালানকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হল বাংলাদেশি এক চোরাচালানকারীর। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার মধ্য রাতে নদিয়ার (Nadia) ভীমপুর থানার অন্তর্গত রাঙিয়াপোতা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। মৃতের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। বয়স আনুমানিক ৪০ বছর। বিএসএফ রাতেই গুলিবিদ্ধ দেহটি কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    বাধা পেয়েই গুলি (Nadia)

    সূত্রের খবর, বুধবার রাতে একদল বাংলাদেশি এদেশে ভীমপুর থানার (Nadia) রানিয়াপোতা বিওপি’র অধীনস্থ এলাকা দিয়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছিল। তখন ওই এলাকায় কর্মরত এক বিএসএফ কর্মী বাধা দিতে গেলে তাকে ঘিরে ফেলে এবং ধারালো হাসুয়া দিয়ে তার ওপর আক্রমণ চালাতে যায়। এরপর ওই বিএসএফ কর্মী গুলি চালাতে শুরু করে। পালাবার সময় গুলিতে জখম হয় একজন। পরে আরও বিএসএফ কর্মী ঘটনাস্থলে জমায়েত হয়ে ওই এলাকায় তল্লাশি করার সময় একটি ঝোপের মধ্যে ওই ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে বিএসএফ কর্মীরা এবং সেখানে তল্লাশি করার সময় উদ্ধার হয় এক বস্তা নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ। তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় জেলা হাসপাতালে। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে জানান। গুলি তার পায়ে লাগে। তার পর মৃতদেহ পুলিশমর্গে রাখা হয় ময়নাতদন্ত জন্য। বিএসএফের পক্ষ থেকে ভীমপুর থানায় সীমান্ত দিয়ে নিষিদ্ধ মাদক পাচারকারী হিসেবে একটি মামলা রুজু করা হয়। ওই ব্যক্তির পরিচয় কী এবং সঙ্গে কারা কারা ছিল, সমস্তটা জানার চেষ্টা করছে ভীমপুর থানা পুলিশ।

    একের পর এক ঘটনা

    উল্লেখ্য, সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা বারবার রুখে দিয়েছে বিএসএফ। কয়েকদিন আগেও বিএসএফের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছিল এক পাচারকারীর। ঘটনাটি ঘটেছিল নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ বর্ডার এলাকার (Nadia)। গভীর রাতে নোনাগঞ্জ বর্ডার এলাকায় এক পাচারকারী সীমান্তে থাকা কাঁটাতার কাটছিল। তখন বিএসএফের তরফ থেকে তাকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়। অভিযোগ, ঠিক তখনই ওই পাচারকারী বিএসএফকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপর বিএসএফের তরফ থেকেও তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। ওই পাচারকারীর গায়ে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। যদিও পরবর্তীকালে তাকে উদ্ধার করে কৃষ্ণগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    তারও আগে ধানতলা থানার (Nadia) দত্তপুলিয়ায় ফেন্সিং না থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইছামতী নদীর ব্রিজের নিচ দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে ৬ থেকে ১০ টি গরু পাচার করার চেষ্টা করেছিল পাচারকারীরা। অভিযোগ, বিএসফের জওয়ানরা গরু পাচারকারীদের আটকাতে গেলে পাচারকারীরা বিএসএফকে লক্ষ্য করে পাথর ও বোমা ছোড়ে। পরে বিএসএফ কাউন্টার ফায়ার করলে বেশ কয়েকজন গরু পাচারকারী আহত হয়। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশ পালিয়ে গেলেও ধরা পড়ে যায় এক গরু পাচারকারী। তাকে পরবর্তীকাল ধানতলা পুলিসের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ।

    পিছনে বড় বড় গাং

    বিএসএফের পাচারকারীদের এটা কোনও প্রথম ঘটনা নয়। গরু পাচার থেকে শুরু করে সোনার বিস্কুট সহ একাধিক জিনিস কখনও বাংলাদেশ থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে (Nadia), আবার কখনও ভারতের বর্ডার পার করে বাংলাদেশে পাচার হয়। বড় বড় গ্যাং কাজ করে এইসব পাচার চক্রের পিছনে। এর আগেও বিএসএফের তরফ থেকে পাচার চক্র রোধে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা চালানো হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share