Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Sukanta Majumdar: দক্ষিণ দিনাজপুরে প্লাবিত এলাকায় দুর্গতদের পাশে দাঁড়ালেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: দক্ষিণ দিনাজপুরে প্লাবিত এলাকায় দুর্গতদের পাশে দাঁড়ালেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করতে মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুর ও হরিরামপুর ব্লকের ৬ নম্বর বাগিচাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উখলি এলাকা পরিদর্শন করলেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন প্লাবিত এলাকায় জলের মধ্যে হেঁটে হেঁটে এলাকার দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন। পাশাপাশি দুর্গতদের সাহায্যেরও আশ্বাস দেন তিনি।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    টানা বৃষ্টির জেরে জল ঢুকে যাওয়ায় হরিরামপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র বন্ধ ছিল। হাসপাতালের রোগীদের স্থানীয় একটি হাইস্কুলে স্থানান্তরিত করা হয়। বিষয়টি জানার পর সেখানে যান বিজেপি সাংসদ (Sukanta Majumdar)। গত চারদিনের অঝোরে বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর কুশমন্ডি ও গঙ্গারামপুর সহ বিভিন্ন ব্লকের ১৯৫ মিলিমিটার রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়। জল ঢুকে যায় হরিরামপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র সহ জেলার বিভিন্ন ব্লকে। তড়িঘড়ি রোগীদের স্থানান্তরিত করা হয় স্থানীয় একটি হাইস্কুলের বিল্ডিংয়ে। এখন অবশ্য জল নেমে গেছে। মঙ্গলবার হরিরামপুরের সেই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ঘুরে দেখেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোট সাড়ে চার হাজার লোক ফ্লাড সেন্টারগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। এই বিষয়ে প্লাবিত এলাকার বাসিন্দারা বলেন, আমরা গত দুইদিন ধরে জলের মধ্যে থাকছি। আবার কিছু পরিবার অন্য কোথাও গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। প্রশাসন থেকে কোনও সুযোগ সুবিধা আমরা পাইনি। জলের স্রোতে আমাদের ঘর বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। বিজেপি সাংসদকে কাছে পেয়ে দুর্গতরা সাহায্য চান।

    কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ভগবানের অশেষ কৃপা সোমবার থেকে আর বৃষ্টি হচ্ছে না। বৃষ্টি হলে  জেলাতে যে বন্যার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করত। প্রত্যেক বছর ভারী বৃষ্টি হলে বন্যার সৃষ্টি হয়। কিন্তু, প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগে ভাগে বন্যা মোকাবিলার কোনও ব্যাবস্থা নেওয়া হয় না। সেই কারণে জেলার হরিরামপুর, বুনিয়াদপুর সহ বিভিন্ন ব্লকে বন্যার সৃষ্টি হয়। যার ফলে সমস্যায় পড়তে হয় এই সব ব্লকের বাসিন্দাদের। আমি খবর পেয়ে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করলাম। আমার যতটুকু সাধ্য আমি দুর্গতদের সাহায্যে করলাম।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: হাওড়ার দাশনগর, জগাছায় আচমকা সিবিআই হানা, কেন জানেন?

    CBI: হাওড়ার দাশনগর, জগাছায় আচমকা সিবিআই হানা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার হাওড়ার দাশনগর এবং জগাছা থানা এলাকার একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযানে নামে সিবিআই (CBI)। সূত্রের খবর, দাশনগর থানার আলামোহন দাস রোডে কৌশিক মাজি এবং জগাছার পার্থ সেনের বাড়ি-ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান চালান তদন্তকারী আধিকারিকরা। ওই দুই ব্যক্তির বাড়ির পাশাপাশি অফিস, গোডাউনে একইসঙ্গে তল্লাশি অভিযান চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্তারা। যদিও তল্লাশির বিষয় নিয়ে আধিকারিকরা প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি।

    কেন সিবিআই হানা? (CBI)

    প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ওএমআর শিট কেলেঙ্কারির হদিশ পেতে নতুন করে তৎপর হয়েছে সিবিআই (CBI)। মঙ্গলবার হাওড়ার দাশনগর এবং জগাছা এলাকায় সিবিআই আচমকা হানা দেয়। মূলত, ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি’ নামের একটি সংস্থার কর্তা কৌশিক মাজি এবং পার্থ সেন। পর্ষদের কাছ থেকে কীভাবে প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষায় ওএমআর শিট দেখে নম্বর দেওয়ার দায়িত্ব তাঁরা পেয়েছিলেন এই বিষয়ে কৌশিক মাজিকে আগেই জেরা করেছিলেন তদন্তকারীরা। জেরায় বিস্তর অসঙ্গতি থাকার কারণেই এই তল্লাশি বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রের খবর। পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর সঙ্গে কীভাবে তাঁদের যোগাযোগ, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, দুই কর্তার বাড়ি থেকে প্রাথমিক নিয়োগ মামলার একাধিক তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই পর পর টানা তিন দিন নিয়োগ মামলার শুনানিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ।  যদিও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি সূত্রের দাবি, নিয়োগ মামলার দুর্নীতির নেপথ্যে উঠে এসেছে একাধিক নাম ও তথ্য। সেগুলি মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। সেকারণেই তদন্ত প্রক্রিয়ায় কিছুটা বাড়তি সময় লাগছে। গত এক সপ্তাহ আগে নিয়োগ মামলার কেস ডায়েরি আদালতে জমা দেয় সিবিআই (CBI)। যা দেখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি। এমনকী অভিযুক্তের সঙ্গে তদন্তকারীদের আঁতাত নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি। বিচারপতির উষ্মা প্রকাশের পরই সিবিআই হানা নিয়েও জেলাজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Basirhat: দলীয় পতাকা লাগিয়ে জমি দখল, প্রতিবাদ করে খুন তৃণমূল কর্মী, অভিযুক্ত শাসক দল

    Basirhat: দলীয় পতাকা লাগিয়ে জমি দখল, প্রতিবাদ করে খুন তৃণমূল কর্মী, অভিযুক্ত শাসক দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে জমি দখলকে কেন্দ্র করে বিবাদ। তার জেরেই তৃণমূল কর্মীর ওপর হামলা করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর লোকজনের বিরুদ্ধে। পরে, ওই তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বসিরহাটের (Basirhat) ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের হরিশপুর চরপাড়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সিরাজুল মোল্লা।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Basirhat)

    সিরাজুলসাহেবের বাড়ি বসিরহাটের (Basirhat) ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের হরিশপুর চরপাড়া এলাকায়। তিনি আবাস যোজনার ঘর পেয়েছিলেন। জমিতে আবাস যোজনার ঘর করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। জমিতে বাড়ি করার জন্য ভিত খোঁড়া হয়। এর মধ্যেই সিরাজুল সাহেবের ব্যক্তিগত জমিতে পার্টি অফিস করার জন্য দলীয় পতাকা লাগিয়ে জমি দখলের চেষ্টার করে তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর লোকজন। অভিযোগ, চলতি মাসের ১৯ তারিখ সিরাজুল সাহেবের ওই জমি দখল করে তাতে পতাকা লাগাতে যায় তৃণমূলের অপর গোষ্ঠী। সেই নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত। পতাকা লাগাতে বাধা দেন ওই তৃণমূল কর্মী। অভিযুক্তরা দলবল নিয়ে সিরাজুলকে বেধড়ক মারধর করে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলা হাসপাতালে। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হয়। পরে, সেখান থেকে ওই তৃণমূল কর্মীকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। মঙ্গলবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। তবে, এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তরা গ্রেফতার হয়নি। যদিও, এই ঘটনায় এখনও তৃণমূলের পক্ষ থেকে কেউ মুখ খুলতে চাইনি।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    মৃত তৃণমূল কর্মীর মা নুরুন্নাহার খাতুন ঢালি বলেন, আমাদের নিজের  জমিতে জোর করে তৃণমূলের একটা গোষ্ঠী দখল করে পতাকা লাগিয়ে দেয়। ওই জমিতে পার্টি অফিস করার চেষ্টা করছিল তারা। আমার ছেলেও তৃণমূল করে। কিন্তু, জোর করে পার্টি অফিস করার প্রতিবাদ করলে ওকে বেধড়ক মারধর করা হয়। মৃতের স্ত্রী শাহনাজ বিবি জানান, সরকারি ঘর পেয়েছি। কিন্তু, সেই ঘরে আমাদের আর থাকা হল না। আমার একটি সন্তান রয়েছে, তাঁকে নিয়ে আমি এবার কোথায় যাব? গোটা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বসিরহাট (Basirhat) থানার পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: রাস্তায় টাকা তুলছে পুলিশ, দিচ্ছে জাল চালান, ছবি দেখে হতবাক বিচারপতি, তদন্তের নির্দেশ

    Uttar Dinajpur: রাস্তায় টাকা তুলছে পুলিশ, দিচ্ছে জাল চালান, ছবি দেখে হতবাক বিচারপতি, তদন্তের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাস্তায় দাঁড়িয়ে পুলিশের টাকা তোলার অভিযোগ নতুন নয়। বাম আমলেও এই ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূলের জমানাতে তা অনেকটাই বেড়েছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। গত বছর খড়দায় তোলাবাজির অভিযোগে দুই পুলিশ কর্মী সাসপেন্ড হয়েছিলেন। তবে, কোনও পুলিশ কর্মীর তোলাবাজির ছবি বিচা্রপতি নিজের এজলাসে বসে দেখছেন, এই দৃশ্য খুব কম দেখা যায়। জানা গিয়েছে, পাথর বোঝাই ট্রাক চালকদের থেকে টাকা তুলছে পুলিশ। আর পুলিশের সেই টাকা তোলার ছবিই রেকর্ড করা হয় মোবাইলে। ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) ডালখোলা শহরে। সোমবার এজলাসে সেই রেকর্ডিং দেখেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। রাস্তায় দাঁড়িয়ে পুলিশের তোলাবাজি দেখে বিচারপতিও হতবাক হয়ে যান।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Uttar Dinajpur)

    উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) ডালখোলায় পাথর বোঝাই ট্রাক থেকে তোলা তোলার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। দু’টি ট্রাক বেআইনিভাবে এই টাকা দিতে না চাওয়ায়, তাদের আটকে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। আবার কিছু ট্রাকচালক বাধ্য হয়ে টাকা দেন। কিন্তু, তাঁদের যে চালান দেওয়া হয়েছে তাও জাল বলে অভিযোগ। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। পুলিশের সমস্ত তোলাবাজির বিষয়টি মোবাইলে রেকর্ড করা হয়। হাইকোর্টে শুনানির সময় বিচারপতির সামনে তা পেশ ধরা হয়।

    বিচারপতি কী নির্দেশ দিলেন?

    ছবি দেখে বিচারপতি বলেন, ‘এটা কী হচ্ছে? একটা থানায় এত টাকা, তিনটে থানা এত টাকা…এটা কি ভেটিং প্লেস? পুলিশ ঠিক করে দিচ্ছে! আশ্চর্য…।’ মামলাকারীর তরফে বলা হয়, ‘একটা থানা সাড়ে ৪ হাজার টাকা চাইছে।’ সেই কথা শুনে বিচারপতি বলেন, ‘সরকার ওই অফিসারের নাম দেবে। আমি দিচ্ছি না। রেকর্ডিং থেকে সব দেখা গিয়েছে, শোনাও গিয়েছে।’ বিচারপতি নির্দেশ দেন, ‘পুলিশ রেট ঠিক করে দিচ্ছে কত টাকা দিতে হবে! ভিডিও ফুটেজ দেখে এটা স্পষ্ট, এটা অতি গুরুতর অভিযোগ। এর ফরেন্সিক পরীক্ষা করতে হবে। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে এই মামলা সিআইডি-কে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হল। নতুন এফআইআর করে তদন্ত করতে হবে সিআইডি-কে।’ এছাড়া জাল চালান দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগও উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই চালানও পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠান হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৭ নভেম্বর। সেই শুনানিতেই রেকর্ডিং সম্পর্কে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: জিমন্যাস্টিক্সের ফাইনালে পৌঁছলেন পিংলার প্রণতি নায়েক, উচ্ছ্বসিত বাবা-মা

    Paschim Medinipur: জিমন্যাস্টিক্সের ফাইনালে পৌঁছলেন পিংলার প্রণতি নায়েক, উচ্ছ্বসিত বাবা-মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার এশিয়ান গেমসে অংশ নিয়ে প্রথম দিনেই একটি রাউন্ডে জয়ী হয়ে ফাইনালে উঠলেন পিংলার মেয়ে প্রণতি নায়েক। ফাইনাল খেলায় অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করলেন তিনি। পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) পিংলা ব্লকের করকাই চককৃষ্ণদাস গ্রামের মেয়ে হলেন প্রণতি নায়েক। গত ২০২১ সালের ২৫ জুলাই মাসে টোকিওতে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল তিনি। এবার খেলছেন এশিয়ান গেমসে। পরিবার এবং এলাকাবাসীরা তাঁর ফাইনাল ম্যাচকে ঘিরে অত্যন্ত আশাবাদী।

    আগামী বৃহস্পতিবার ফাইনাল খেলবেন (Paschim Medinipur)

    চিনে ১৯ তম এশিয়ান গেমসে অংশ নিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) প্রণতি। সোমবার সকালে একটি রাউন্ডে ওমেন্স আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্স ভল্টে জেতার পরেই ৯ টা নাগাদ ফোন করেন পিংলার বাড়িতে। বাবা শ্রীমন্ত নায়েক এবং মা প্রতিমা নায়েকের সাথে কথা বলেন। আগামী বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর হবে চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিযোগিতার ম্যাচ।

    পরিবারের বক্তব্য

    বাবা পেশায় বাসের চালক ছিলেন। কিন্তু কয়েক বছর হল সেই কাজ তিনি আর করেন না। এদিকে মা গৃহবধূ (Paschim Medinipur)। প্রণতিরা তিন বোন। মেয়ের সাফল্যে বাবা শ্রীমন্তবাবু বলেন, “মেয়ে এদিনের প্রতিযোগিতায় জেতার পর ফোন করেছিল। আমাদের দুজনের সাথেই কথা হয়েছে। মেয়েকে সাবধানে থাকতে বলেছি আর মনোযোগ দিতে বলেছি চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার দিকে। প্রণতি জানিয়েছে প্রথম, দ্বিতীয় স্থানের মধ্যে থাকার চেষ্টা করবে। আমরা আশীর্বাদ যেমন করেছি, তেমন অনুশীলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছি। এই খেলার ফাইনাল প্রতিযোগিতা নিয়ে আমরা খুব আশাবাদী । একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ওখানে দেশের মুখ উজ্জ্বল করুক প্রণতি, এটাই আমরা চাই।”

    মায়ের বক্তব্য

    ফাইনাল খেলার উচ্ছ্বাসে আশাবাদী মা প্রতিমা নায়েক (Paschim Medinipur) বলেন, “ছোটবেলা থেকেই প্রণতির, খেলার সঙ্গে মন ছিল পড়াশোনাতেও। মামী, প্রণতিকে হাত ধরে ভর্তি করে দিয়েছিল জিমন্যাস্টিক্সে। আমি গর্বিত যে মেয়ে এত দূর পৌঁছতে পেরেছে।”

    মেয়ের সাফল্যে গর্বিত মা আরও বলেন, “অভাবের সংসারে ঠিক মতো খাবার দিতে পারিনি। তার পরেও মেয়ে এত দূর যেতে পেরেছে, আমি তাতেই গর্বিত। দেশের নাম উজ্জ্বল করুক প্রণতি।” মেয়ের হার না মানা জেদে ভরসা আছে বাবা-মায়ের। ভালো কিছু করে দেখাবেন প্রণতি, এমনটাই আশা তাঁদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: পুজো কমিটিকে ঢালাও টাকা, নজর নেই নিত্য যাতায়াতের রাস্তায়, হাওড়া যেন মরণফাঁদ

    Howrah: পুজো কমিটিকে ঢালাও টাকা, নজর নেই নিত্য যাতায়াতের রাস্তায়, হাওড়া যেন মরণফাঁদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজো কমিটিগুলিকে ৭০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই পুজো উদ্যোক্তারা সেই টাকা পেতে শুরু করেছেন। এই খাতে রাজ্য সরকার কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। অথচ এবার হাওড়া (Howrah) শহরে একটি দুর্গাপুজোর মণ্ডপ থেকে অন্য পাড়ার পুজোমণ্ডপে ঠাকুর দর্শন করতে গেলে কার্যত পা ভাঙার অবস্থা হবে। কারণ বহু জায়গায় রাস্তা বলে কিছু নেই। পিচ উঠে পাথর বেরিয়ে গিয়েছে। কোথাও আবার রাস্তা ভেঙে এতটাই গর্ত হয়ে গিয়েছে যে সামান্য বৃষ্টি হলে তা ডোবায় পরিণত হচ্ছে।

    কোন কোন রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ?  (Howrah)

    হাওড়া (Howrah) পুর এলাকায় জল জমার সমস্যা দীর্ঘদিনের। বাম আমলেও নানা পরিকল্পনা নেওয়া হলেও সেই জল জমার সমস্যার সমাধান হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেসের আমলেও হাওড়া শহরের জমা জলের সমস্যা মেটাতে বেশ কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ,কিন্তু তাও খুব বেশি কাজ হয়নি। যার ফলে বেশিরভাগ রাস্তাতেই বৃষ্টির জল জমে যাচ্ছে। আর সেই জমা জলের উপর দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে গিয়ে ভেঙে চৌচির হচ্ছে বিভিন্ন রাস্তা। এর ফলে বড় বড় রাস্তার মাঝখানে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। আর তার ওপর দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে গিয়ে নাজেহাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। প্রায় প্রতিদিনই ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটছে বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। তাঁরা জানান, সামান্য কয়েকটি রাস্তায় প্যাচওয়ার্কের মতো করে গর্ত বোঝানো হয়েছে। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম। শালিমার রেলগেট, বামুনগাছি, লিলুয়া, বেনারস রোড, ইস্ট ওয়েস্ট বাইপাস সহ বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। অনেক জায়গায় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় যাতায়াত বন্ধ করে দিতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। ঘুর পথে পৌঁছাতে হচ্ছে গন্তব্যে। অন্যদিকে, হাওড়া শহরের সংযোজিত এলাকা বলে পরিচিত কোণা, ভূতবাগান, পেয়ারাবাগান, বালির জয়পুর বিল এলাকার নিচু এলাকাগুলির অবস্থা আরও খারাপ। এখানে অনেক জায়গায় এখন কাঁচা রাস্তা রয়ে গিয়েছে। সেই সমস্ত রাস্তায় জল জমে যাচ্ছে।

    পুজো উদ্যোক্তারা কী বললেন?

    সালকিয়া বাজলপাড়া প্রতিরোধ বাহিনী দুর্গাপুজো কমিটির এক উদ্যোক্তা অভিজিৎ মণ্ডল বলেন, পুজোর জন্য ক্লাবগুলিকে টাকা দেওয়ার উদ্যোগ খুব ভাল। কিন্তু, পুজোর আগে রাস্তা এভাবে দাঁত, নখ বেরিয়ে থাকবে?  সালকিয়া এলাকায় রাস্তার যা হাল তাতে দর্শনার্থীরা কী করে প্রতিমা দর্শন করবে তা নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় রয়েছি।

    বেহাল রাস্তা নিয়ে অবরোধে বিজেপি

    হাওড়া (Howrah) জুড়ে রাস্তার অবস্থা এতটাই বেহাল যে রাজনৈতিক দলকে আন্দোলনে নামতে বাধ্য করছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার সালকিয়া সীতানাথ বোস লেনে বিজেপি কর্মীরা সকালে রাস্তা অবরোধ করেন। বিজেপির জেলা নেতা উমেশ রায় বলেন, মেলা, খেলায়, পুজো কমিটির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোটি কোটি টাকা খরচ করছেন। আর রাস্তাগুলির দিকে তাঁর কোনও নজর নেই। শহরের সব রাস্তা মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।

    হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান কী বললেন?

    যদিও হাওড়া (Howrah) পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, বর্ষার মধ্যে পুরোপুরি নতুন করে রাস্তা করা যাবে না। তারপর পুরসভার পক্ষ থেকে সমস্ত ভাঙা রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: হাওড়ায় ডেঙ্গি সংক্রমণ হাজার ছুঁইছুঁই, রাশ টানতে পারছে না প্রশাসন

    Howrah: হাওড়ায় ডেঙ্গি সংক্রমণ হাজার ছুঁইছুঁই, রাশ টানতে পারছে না প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া (Howrah) শহরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। হাওড়া পুরনিগম সূত্রে খবর, গত বছর সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত যেখানে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮৫০ জন, এবারে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৯০ জন। এলাকার বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টির জমাজল এবং যত্রতত্র আবর্জনার কারণে ডেঙ্গির মশা বাড়ছে। যদিও হাওড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক নিতাইচন্দ্র মন্ডল জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত গোটা জেলায় কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। অপর দিকে বিজেপি, ডেঙ্গির সংক্রমণ নিয়ে শাসক দলকে নিশানা করে বলে, জেলায় ডেঙ্গি সংক্রমণ হাজার ছুঁইছুঁই, তৃণমূল পরিচালিত হাওড়া পুরসভা রাশ টানতে ব্যর্থ। 

    বালি, জগাছা এবং সাঁকরাইলে ডেঙ্গি আক্রান্ত অধিক (Howrah)

    হাওড়া (Howrah) পুরসভা এলাকা, বালি পুরসভা এলাকা, বালি জগাছা ব্লক এবং সাঁকরাইলে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। ডেঙ্গু রুখতে মানুষকে সচেতন করার কাজ চলছে বলে জানা গেছে। হাওড়া পুরসভা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় এবারে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। হাওড়া পুরসভার ৪, ৩৯, ২৯, ৩১  এবং ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে অনেক জায়গায় বৃষ্টির জল জমে রয়েছে এবং এই এলাকাগুলিতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি। মূলত বাড়িতে জল জমে থাকার কারণেই ওইসব এলাকায় ডেঙ্গি সংক্রমণ বাড়ছে। তবে হাওড়া পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন এবং নাগরিকদের বোঝাচ্ছেন। একই সঙ্গে ভেক্টর কন্ট্রোল টিম মশা মারার তেল স্প্রে করছে।

    বিজেপির অভিযোগ

    এদিকে শহরের (Howrah) ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। উত্তর হাওড়ার বিজেপি নেতা উমেশ রাই, এই ডেঙ্গি সংক্রমণের অভিযোগ করে তৃণমূলকে নিশানা করেন। তিনি বলেন, “ডেঙ্গির পরিসংখ্যানের তথ্য গোপন করা হচ্ছে, প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা জানানো হচ্ছে না। একই সঙ্গে ডেঙ্গিতে মারা গেলে ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির উল্লেখ করা হচ্ছে না। সরকার তথ্য গোপন করে মানুষকে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রেণে সচেতন করছে না। শাসক দল ডেঙ্গি প্রতিরোধে ব্যর্থ।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ডেঙ্গি সংক্রমণ নিয়ে হাওড়া (Howrah) পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “পুরসভার পক্ষ থেকে নিয়মিত রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরকে রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে। যা বাস্তবে ঘটছে তাই পাঠানো হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “ডেঙ্গি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে হাওড়া পুরসভা। কোথাও যাতে জল জমে না থাকে, সেই জন্য যেমন বাড়ি বাড়ি সচেতন করার কাজ চলছে, একইভাবে বর্ষায় জমা জল যাতে দ্রুত নেমে যায়, তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে কিছু কিছু এলাকায় রাস্তা ভেঙে গিয়ে, ছোট ছোট গর্তে যাতে জল জমতে না পারে, সেই জন্য বর্ষার মধ্যেই রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Asian Games 2023: ‘গোল্ডেন গার্ল’ তিতাসকে নিয়ে পড়ল হোর্ডিং, ডাক পুজো উদ্বোধনেও

    Asian Games 2023: ‘গোল্ডেন গার্ল’ তিতাসকে নিয়ে পড়ল হোর্ডিং, ডাক পুজো উদ্বোধনেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেহুলি ঘোষের পর পর বাংলার তিতাস সাধু ও রিচা ঘোষের হাত ধরে এশিয়ান গেমসে (Asian Games 2023) পদক, সোনা জিতল ভারত। চিনে ১৯ তম এশিয়ান গেমসে ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের সোনা জয়ে গর্বিত দেশবাসী। আর বাংলার মেয়ে ‘গোল্ডেন গার্ল’ তিতাসের এই সাফল্যে খুশি হুগলিবাসী।

    কত বছর বয়সে ক্রিকেটে? (Asian Games 2023)  

    তিতাসের বাড়ি হুগলির কলেজ রোড এলাকায়। ছোট থেকে ক্রিকেট ভালোবাসলেও সেভাবে তিনি খেলা করেননি। বরং, ছোট থেকে তিনি সুইমিং করতেন। অনেকে ভেবেছিলেন, তিনি সাঁতারু হবেন। যদিও ১৪ বছর বয়সে ক্লাস এইটে পড়ার সময় বাবা উদ্যোগী হয়ে তাঁকে ক্রিকেট খেলার কোচিংয়ে ভর্তি করেন। সেই শুরু। আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এই অল্প সময়র মধ্যেই তিনি তারকা হয়ে ওঠেন। স্মৃতি মান্দানা, শেফালী বর্মা, জেমাইমা রডরিগেজ, হরমনপ্রীত কৌরদের মতো সিনিয়র ভারতীয় দলের সদস্যদের সঙ্গে ছিলেন বাংলার রিচা ঘোষ ও তিতাস সাধু। অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলা বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিতাস। অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে তিতাসের বোলিং ফিগার ছিল (৪-৬-২), চার ওভার বল করে ছয় রান দিয়ে দুই উইকেট। আর এশিয়ান গেমসে (Asian Games 2023) তিতাস ফাইনালে ( ৪-৬-৩), চার ওভার বল করে ছয় রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন। তাঁর এই পারফরম্যান্সে শ্রীলঙ্কার সোনা জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। ভারত এশিয়ান গেমসে দ্বিতীয় সোনা জেতে। তিতাসের এই সাফল্যের পর চুঁচুড়া কলেজ রোড এলাকায় তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে পুজো কমিটির পক্ষ থেকে হোর্ডিং লাগানো হয়েছে।

    কী বললেন পরিবারের সদস্যরা?

    তিতাসের বাবা রণদীপ সাধু বলেন, মেয়ের উপর আস্থা ছিল। এশিয়ান গেমসে (Asian Games 2023) এই জয় যেমন ভারতকে সোনা এনে দিল, তেমনি তিতাসের সিনিয়র দলে সুযোগ পাওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা। তিতাসের ঠাকুমা তৃপ্তি সাধু বলেন, ও আমাদের গর্বের মেয়ে। ও যে কিছু করবে সেটা আমাদের বিশ্বাস ছিল। ও আমাদের সেই বিশ্বাস রেখেছে। কাকা রক্তিম সাধু বলেন, তিতাস এখন ‘গোল্ডেন গার্ল’। কলকাতার একাধিক পুজো উদ্যোক্তা তাঁদের পুজোর উদ্বোধনের জন্য যোগাযোগ করেছেন। নিজের শহরের পুজো তো রয়েইছে।

    কী বললেন তাঁর কোচ?

    তিতাসের কোচ দেবদুলাল রায়চৌধুরী বলেন, তিতাস বড় ম্যাচের খেলোয়াড়, সেটা আবার প্রমাণ হল। ১১৭ রানের টার্গেট নিয়ে শ্রীলঙ্কা যেভাবে শুরু করেছিল প্রথম ওভারে ১২ রান করে তাতে চাপ বাড়ে। তবে, তিতাস প্রথম ওভারে দুই উইকেট, পরে শ্রীলঙ্কার ক্যাপ্টেনকে ফিরিয়ে দিয়ে সেই চাপ কাটিয়ে দেয়। বড় ম্যাচ হলেও নিজেকে শান্ত রেখে সঠিক লাইন-লেন্থে বল করে যায় তিতাস। আর তাতেই ভেঙে পরে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইন-আপ। আমরা আশা করেছিলাম, তিতাস ভালো খেলবে। ফাইনাল খেলায় ছন্দে ছিল, এটাই বড় কথা। চাপের মুখে স্বাভাবিক থাকতে পারে এটাই ওর গুণ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Duttapukur: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকান্ডে অন্যতম অভিযুক্ত গ্রেফতার, এতদিন কী করছিল পুলিশ?

    Duttapukur: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকান্ডে অন্যতম অভিযুক্ত গ্রেফতার, এতদিন কী করছিল পুলিশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাসখানেক আগে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের (Duttapukur) মোচপোল এলাকা। তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে বিস্ফোরণে উড়ে যায় প্রায় আস্ত একটা বাড়ি। ছিন্নভিন্ন দেহাংশ ছিটকে গিয়ে পড়ে প্রায় ২০০ মিটার দূরে। কারও কারও হাত-পা উড়ে যায়। আগুনে ঝলসে যান বেশ কয়েকজন। অনেকেই সেদিন বলেছিলেন, কয়েক কিলোমিটার দূরে বারাসত পর্যন্ত শোনা গিয়েছিল বিস্ফোরণের শব্দ। দত্তপুকুর বিস্ফোরণ কাণ্ডে আগেই গ্রেফতার হয় মূল অভিযুক্ত। ২৮ দিন ধরে পালিয়ে বেড়ানোর পর অবশেষে বিস্ফোরণকান্ডে অন্যতম অভিযুক্ত রমজান আলিকে পুলিশ গ্রেফতার করল। তাঁকে কদম্বগাছি থানা এলাকার একটি গ্রাম থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।

    বিস্ফোরণকান্ডে এর আগে আর কে গ্রেফতার হয়েছে? (Duttapukur)

    দত্তপুকুরের (Duttapukur) মোচপোল গ্রামে বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রথম পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় সফিকুল ইসলাম। বিস্ফোরণ ঘটা বাজি কারখানায় সফিকুলের অংশীদারিত্ব ছিল বলে জানা গিয়েছিল। ধৃত সফিকুল বাজি কারখানার মালিক কেরামত শেখের পার্টনার বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল। তবে কেরামতের  সন্ধান পাওয়া যায় নি। কেউ বলছে, বিস্ফোরণে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন কেরামত। আবার একাংশের দাবি ছিল বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে তার। প্রসঙ্গত, বিস্ফোরণস্থলে নীল ড্রামে মজুত ছিল প্রচুর পরিমাণে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও পটাসিয়াম ক্লোরাইড। বাজি কারখানার অদূরে হদিশ মিলেছিলো ল্যাবরেটরি। এই প্রেক্ষাপটে দত্তপুকুরে বিস্ফোরণে আরডিএক্স ব্যবহার হয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছিলেন এলাকায় গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি অভিযোগ উঠছিল পুলিশি নিষ্ক্রিয়তারও। স্থানীয়দের অভিযোগ, শুধু পুলিশের তোলা আর তৃণমূল নেতাদের কাটমানি খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে গিয়েছিল। আগে কাটমানি ১০ হাজার হলে, এখন ২০ হাজার টাকা ছিল।  

    বিস্ফোরণকান্ডের অভিযুক্তকে কতদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত?

    দত্তপুকুরে (Duttapukur) বাজি বিস্ফোরণে আগেই এফআইআর এর নাম ছিল এই রমজান আলির। রমজান আইএসএফের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেছিল তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। বিস্ফোরণের পর থেকেই এতদিন গা ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল সে। এতদিন পর  তাকে গ্রেফতার করে দত্তপুকুর থানার পুলিশ। এদিন ওই রমজান আলিকে বারাসত আদালতে তোলা হয়। পুলিশের তরফ থেকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হলে বারাসত জেলা আদালতের বিচারক ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shantiniketan: শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে নার্সিং ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু, চাঞ্চল্য

    Shantiniketan: শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে নার্সিং ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিনিকেতন (Shantiniketan) মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী নিবাসে নার্সিং ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু। সমগ্র ঘটনার ভিডিওগ্রাফি করে বোলপুর থানায় তদন্তের দাবি জানালেন ছাত্রীর বাবা। অভিযোগ, ছাত্রীটি যখন অসুস্থ হয়, তার চিকিৎসার প্রেসক্রিপশন পরিবারকে দেওয়া হয়নি। ছাত্রীমৃত্যুর ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Shantiniketan)

    হুগলি জেলার পুরশুড়ার শ্যামপুরের বাসিন্দা চিন্ময় দত্ত। তাঁর মেয়ে স্নেহা দত্তকে (২০) নার্সিং পড়ানোর জন্য শান্তিনিকেতন নার্সিং ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেছিলেন। শান্তিনিকেতন (Shantiniketan) মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী নিবাসে থেকেই সে পড়াশোনা করত। ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে ছাত্রী নিবাসে খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ পরই হঠাৎ স্নেহার মুখ থেকে ফ্যানা বের হতে শুরু করে। কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও, ঘটনার পর থেকে শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কেউ কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। উল্লেখ্য, এই শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের এক কর্মকর্তা মলয় পীঠ অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত। গরু পাচার মামলায় ইডি ও সিবিআইয়ের স্ক্যানারে রয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই একাধিকবার কলকাতার নিজাম প্যালেস ও দিল্লিতে ডেকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

    কী বললেন ছাত্রীর পরিবারের লোকজন?

    এদিন বোলপুর থানায় বসে কান্নায় ভেঙে পড়েন ছাত্রীর বাবা চিন্ময় দত্ত। তিনি সমগ্র ঘটনার ভিডিওগ্রাফি করে তদন্তের দাবি করেছেন। চিন্ময়বাবু বলেন, আমার মেয়ে মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী নিবাসে অসুস্থ হয়। অথচ তাকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি। যদি ভর্তি করা হয়ে থাকে, সেই প্রেসক্রিপশন আমাদের দেওয়া হয়নি। মেডিক্যাল কলেজে (Shantiniketan) ছাত্রীটিকে ভর্তি না করে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে কেন পাঠানো হল? তিনি আরও বলেন, আর কোনও মায়ের কোল যেন এভাবে শূন্য না হয়ে যায়। অনেক স্বপ্ন নিয়ে মেয়েকে পড়তে পাঠিয়েছিলাম। সব শেষ হয়ে গেল। আমি এই ঘটনার তদন্ত দাবি করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share