Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Madan Mitra: মদনের হুঙ্কারই সার! দালালদের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়তেই বাড়ি ভাঙচুর তৃণমূল কর্মীর

    Madan Mitra: মদনের হুঙ্কারই সার! দালালদের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়তেই বাড়ি ভাঙচুর তৃণমূল কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দালাল চক্র নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) সরব হয়েছিলেন। তারপরই হাসপাতাল জুড়ে দালালদের বিরুদ্ধে পোস্টার লাগিয়েছিলেন সামসেদ আলি। কামারহাটি পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তুঁতবাগান এলাকার বাসিন্দা সামসেদ সাহেবের এটাই ছিল অপরাধ। আর সেই অপরাধের জন্যই তাঁর বাড়িতে তাণ্ডব চালালো দালাল চক্রের লোকজন। হামলা চালানোর পাশাপাশি সামসেদ সাহেবের পরিবারের লোকজনকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    গত দুদিন আগে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দক্ষিণ দমদমের এক রোগীকে আইসিইউতে ভর্তি করাকে কেন্দ্র করে দালাল চক্রের বিষয়টি সামনে আসে। অভিযোগ, ৬০০০ টাকা দাবি করে মুকিম খান, জামশেদ আলিরা। জামশেদ হাসপাতালের কর্মী। তাদের বিরুদ্ধে মূলত দালালচক্র চালানোর অভিযোগ উঠেছে। যদিও বিষয়টি পরে জানতে পেরে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) হস্তক্ষেপ করেন। ওই রোগীকে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। আইসিইউতে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে রোগীর মৃত্যু হয়। বিষয়টি জানতে পেরেই মদন মিত্র হাসপাতালে এসে প্রকাশ্যে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে সরব হন। জামশেদ আলি, মুকিম খানের বিরুদ্ধে তিনি সরাসরি অভিযোগের আঙুল তোলেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানান। বিধায়ক ঘুরে যাওয়ার পর স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সামসেদ আলি সহ অন্যান্য কয়েকজন কর্মী সাগর দত্ত হাসপাতালে জামশেদ আলির ছবি দিয়ে পোস্টার লাগান। জামশেদ আলিকে দালাল হিসেবে  চিহ্নিত করার জন্যই এই পোস্টারিং বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। দালাল চক্রের বিরুদ্ধে মিছিল করা হয়। রবিবার রাতে সামসেদ আলির বাড়িতে দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়। বাইরে থেকে এলোপাথাড়ি ইট, পাথর ছুড়ে ভাঙচুর করে তারা। সামসেদ আলিকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য হুমকিও দেওয়া হয়। যদিও পরে এলাকার লোকজন জড়ো হতেই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। সামসেদ আলির স্ত্রীর বক্তব্য, হাসপাতালে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন, এটাই আমার স্বামীর অপরাধ। দুষ্কৃতীরা বাড়ি বয়ে এসে হামলা চালিয়েছে। আমার স্বামী বের হলে ওকে বোমা মেরে খুন করে দিত বলে আমাদের আশঙ্কা। আমরা অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক? (Madan Mitra)

    তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) বলেন, এনআরএস, এসএসকেএম হাসপাতালে দালাল চক্রের অভিযোগে পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করল। আমরা প্রকাশ্যে দালালদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছি পুলিশের কাছে, তবু পুলিশ এই দালাল চক্রের পান্ডাদের ধরার ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এই হাসপাতালে দালালি করেই প্রতিদিন ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা রোজগার করে দালালরা। এদের পিছনে কেউ রয়েছে। টাকা ভাগ বাঁটোয়ারা হয়। আমরা চাই, অবিলম্বে অভিযুক্তরা গ্রেফতার হোক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: আরামবাগে গাছ কাটতেও কাটমানি! তৃণমূলের কোন্দলে তালা ঝুলল পার্টি অফিসে

    Arambagh: আরামবাগে গাছ কাটতেও কাটমানি! তৃণমূলের কোন্দলে তালা ঝুলল পার্টি অফিসে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার আরামবাগ (Arambagh) মহকুমা। এবার গাছ কাটা ও তার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্ব তৃণমূলেরই দুই গোষ্ঠীর। আর তার জেরেই  প্রায় ১০ দিন ধরে বন্ধ অঞ্চলের প্রধান দলীয় কার্যালয়। কার্যালয়ে ঝোলানো হল দু’দুটি তালা। আরামবাগের গোঘাটের হাজিপুরে তৃণমূলের অঞ্চল কার্যালয়ের এমন ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Arambagh)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের নতুন অঞ্চল কমিটি গঠন হওয়ার পর থেকেই দ্বন্দ্ব শুরু হয় আদি বনাম নব্য গোষ্ঠীর মধ্যে। আর ওই অঞ্চলে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব একেবারেই প্রকাশ্যে চলে আসে। আর সেই কারণেই কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। দুই গোষ্ঠীর কর্মীরা একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। তৃণমূলের আদি গোষ্ঠীর অভিযোগ, এলাকায় ব্যক্তিগতভাবে কেউ গাছ কাটতে গেলেই অনুমতি লাগবে স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি ও তাঁর দুই অনুগামীর। আর সেই অনুমতি পেতে দিতে হবে গাছ বিক্রির একটা অংশ। এমনই দাবি মতো টাকা দিতে পারেননি এলাকারই এক গাছ মালিক শুভেন্দু কুন্ডু। তিনি নিয়ম মত পঞ্চায়েতে ট্যাক্স দিতে চাইলেও তা নেওয়া হয়নি। তাই তার আর গাছ কাটা হয়নি। আদি গোষ্ঠীর লোকজন তার প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের উপর মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি হচ্ছে। বন্ধ করে দেওয়া হয় দলীয় কার্যালয়। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নতুন দ্বায়িত্ব পাওয়া তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মীর আফসার আলি। তিনি পাল্টা অভিযোগ তোলেন দলের আদি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, আমরা কোনও তালা দিইনি। ওরা তালা দিয়েছে। গাছ কাটার জন্য কাটমানি চাওয়ার অভিযোগও ঠিক নয়।

    কোন্দল নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    গাছ কাটার অনুমতি যেখান থেকে পাওয়া যায় সেই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সৌরভ মণ্ডল বলেছেন, আমি এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। আর আরামবাগের (Arambagh) গোঘাট ১ নং ব্লক তৃণমূলের সভাপতি অরুণ কেওড়া বলছেন, আমাদের কোনও দ্বন্দ্বই নেই। চাবি  হারিয়ে গিয়েছে বলে বন্ধ কার্যালয়।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই ঘটনা সম্পর্কে আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, তৃণমূল যে তোলামূল সেটা বারবার প্রমাণ হয়েছে। সাধারণ মানুষ একটা গাছ কাটবে প্রশাসনের যা নিয়ম আছে সেই নিয়ম মেনে, সেখানেও তোলা দিতে হবে শাসকদলের নেতাদের। মানুষ যাবে কোথায়? সেই টাকাপয়সার ভাগ বাটোয়ারা কমবেশি হওয়ায় দ্বন্দ্ব। তবে, মানুষ বুঝতে পেরেছে এদের ভন্ডামি নাটক। ২০২৪ এ আরামবাগ মহকুমা থেকে তৃণমূল ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: প্রবল বর্ষণে টাঙ্গন-পুনর্ভবা-আত্রেয়ী নদীতে ব্যাপক প্লাবন, ঘরছাড়া বহু মানুষ

    Dakshin Dinajpur: প্রবল বর্ষণে টাঙ্গন-পুনর্ভবা-আত্রেয়ী নদীতে ব্যাপক প্লাবন, ঘরছাড়া বহু মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টির কারণে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) টাঙ্গন এবং পুনর্ভবা নদীর জল বিপদ সীমার উপরে বইছে। জেলা সেচ দফতর সূত্রে এই খবর জানা গেছে। টাঙ্গন নদীর জলে কুশমন্ডি এলাকার বেশ কিছু গ্রামের কয়েকশো মানুষ ঘর ছাড়া। জলে ভেঙে গেছে রাস্তা, বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ পরিষেবা। জলমগ্ন এলাকা থেকে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। অতি বর্ষণে সাধারণ জীবন বিপর্যস্ত। 

    প্লাবিত গঙ্গারামপুর (Dakshin Dinajpur)

    চারদিনের প্রবল বৃষ্টিতে গঙ্গারামপুর ব্লকের শুকদেবপুর গ্রামপঞ্চায়েতের হোসেনপুর এলাকায় বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হল কয়েকটি গ্রাম। ভেঙে গিয়েছে যাতায়াতের রাস্তা। বিচ্ছিন্ন হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। ঘটনাস্থলে ব্লক প্রশাসন ও গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা জেলাজুড়ে ৬৬ টি শিবির খোলা হয়েছে। এই শিবিরগুলিতে প্রায় সাড়ে চার হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি সুকদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হোসেনপুরে বাঁধে ফাটল দেখা যায়। সোমবার সকালে সেই বাঁধ ভেঙে যায় ৷ এর পরই এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়। এলাকায় জলে ডুবে গেছে ধানক্ষেত এবং সবজি চাষের জমি৷

    বন্ধ হাসপাতালের পরিষেবা

    অধিক বর্ষণের ফলে হরিরামপুর (Dakshin Dinajpur) গ্রামীণ হাসপাতাল জলমগ্ন হয়ে পড়ায় চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ। কিছু রোগীকে ছুটি দিয়ে বাকিদের গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালের বহু ওষুধ জলে ভেসে গেছে। হরিরামপুর হাইস্কুলে গতকাল সন্ধ্যা থেকে শুধুমাত্র জরুরি চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু করেছে ব্লক স্বাস্থ্য দফতর।

    আত্রেয়ী নদীর জলে প্লাবিত এলাকা

    এদিকে বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) আত্রেয়ী নদীর জলে বিভিন্ন নিচু এলাকায় ইতিমধ্যে জল ঢুকতে শুরু করেছে। শহরের আত্রেয়ী কলোনি এলাকায় এদিন সকাল থেকেই জল ঢুকতে শুরু করেছে। বাড়িঘর জলমগ্ন হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন ওই এলাকার মানুষজন। পুরো বিষয়ের উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসন তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

    স্থানীয় মানুষের বক্তব্য

    জলমগ্ন এলাকার স্থানীয় (Dakshin Dinajpur) এক ব্যক্তি বলেন, “গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে আমাদের সাবডিভিশনে কয়েকটি ব্লক জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে, এবং গঙ্গারামপুরের পুনর্ভবা নদীর বাঁধ ভেঙে বেশ কয়েকটি গ্রাম জলমগ্ন হয়ে যায়। আমরা খুবই কষ্টে রয়েছি। প্রশাসন থেকে আমাদেরকে আশ্রয় দেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

    প্রশাসনের বক্তব্য

    এই বিষয়ে জেলাশাসক (Dakshin Dinajpur) বিজিন কৃষ্ণা বলেন, “দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় গঙ্গারামপুর মহকুমাতে সবচেয়ে বেশি বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। জেলাতে মোট ৬৬ টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে, তাতে সাড়ে চার হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছে। তাঁদের খাবার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে ‘গুণধর’ কনস্টেবলের খোঁজ মিলল, কীর্তি জানলে চমকে উঠবেন

    Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে ‘গুণধর’ কনস্টেবলের খোঁজ মিলল, কীর্তি জানলে চমকে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোজিৎ বাগীশের কথা মনে আছে। ‘কোটিপতি কনস্টেবল’। রামপুরহাটে কর্মরত ছিলেন তিনি। রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করেছেন। এই কনস্টেবলকে নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই আরও এক গুণধর কনস্টেবলের হদিশ মিলেছে আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar)। যদিও তদন্তের স্বার্থে পুলিশ ওই কনস্টেবলের নাম সামনে আনতে চাইছে না। ওই কনস্টেবলের দুর্নীতির কাণ্ডকারখানা দেখে চক্ষু চড়কগাছ জেলা পুলিশ কর্তাদের।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Alipurduar)

    রামপুরহাটের কনস্টেবলের কোটিপতি হওয়ার রহস্য ভেদ করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এরমধ্যেই নতুন করে আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) কনস্টেবলের কীর্তি সামনে আসায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ারে ওই পুলিশ কনস্টেবল অনুপস্থিত সিভিক ভলান্টিয়ারদের উপস্থিত দেখিয়ে সেই টাকা নিজের এবং আত্মীয়ের অ্যাকাউন্টে জমা করে বিপুল টাকা আত্মসাৎ করতেন বলে অভিযোগ। ৪-৫ বছর ধরে ওই কনস্টেবল রীতিমতো ছক কষে এই টাকা আত্মসাৎ করে চলেছেন বলে অভিযোগ। প্রাথমিকভাবে প্রায় ৯ লক্ষ টাকা প্রতারণার হিসেব পাওয়া গিয়েছে। আরও থাকতে পারে বলে পুলিশ আধিকারিকরা মনে করছেন। এভাবে একজন পুলিশ কর্মী সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করতে পারেন, তা পুলিশ কর্তারা ভেবেই পাচ্ছেন না।

    কী বললেন জেলার পুলিশ সুপার?

    আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশি বলেন, গত কয়েকদিন আগে সিভিক ভলান্টিয়ারদের মজুরি প্রদানের অসঙ্গতির বিষয়টি সামনে আসে। এরপরই এই ঘটনা নিয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত করছি। তাতে দেখা গিয়েছে কিছু সিভিক ভলান্টিয়ার ডিউটিতে না এলেও তাদের যে প্রাপ্য ভাতা অন্য অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ওই কনস্টেবল অনুপস্থিত সিভিক ভলান্টিয়াদের জাল বিলগুলিতে উপস্থিত দেখিয়ে সরকারি অর্থ তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে বা তাঁর আত্মীয়দের অ্যাকাউন্টে অবৈধভাবে জমা করেছিলেন। পেমেন্ট সফটওয়্যারে অ্যাকাউন্টের বিবরণ পরিবর্তন করে তিনি এই প্রতারণা করেছেন। আইন মেনে যা যা করার করা হচ্ছে। কনস্টেবলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিস্তারিত তদন্ত রিপোর্ট জমা হলেই ওই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ প্রশাসন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “নন্দীগ্রাম যেভাবে পথ দেখিয়েছে, তাতেই বাংলার মানুষের মুক্তি সম্ভব”, বার্তা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “নন্দীগ্রাম যেভাবে পথ দেখিয়েছে, তাতেই বাংলার মানুষের মুক্তি সম্ভব”, বার্তা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পেনের সফরসঙ্গীদের জন্য কত টাকা সরকারি কোষাগার থেকে খরচ করলেন? জানতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, নন্দীগ্রাম বাংলাকে পথ দেখাবে। নন্দীগ্রাম যেভাবে পথ দেখিয়েছে, তাতেই বাংলার মানুষের মুক্তি সম্ভব। সিপিএমকে একটা সময় পর্যন্ত সরানো অসম্ভব মনে হলেও কার্যত নন্দীগ্রামই পথ দেখিয়েছে। এভাবেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে লোকসভা ভোটের আগে বার্তা দিলেন। রাজ্যে বিজেপির সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে কর্মীদের অনুপ্রেরণা জোগালেন বলে মনে করছেন রাজনীতির এক অংশের মানুষ।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)?

    পূর্ব মেদিনীপুরের একটি সভা থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “৩৪ বছরের বাম শাসনের পতন ঘটেছিল নন্দীগ্রাম থেকে। ভবিষ্যতে তৃণমূলের অবসান ঘটবে এই গ্রাম বাংলা থেকেই। নন্দীগ্রামের মানুষ হয়তো মমতাকে ভোট দিলে কয়েকটা চাকরি পেতেন। কিন্তু নন্দীগ্রামের মানুষ বাংলার সঙ্গে ভারতের সুরক্ষার কথা ভেবে মমতাকে হারিয়েছেন। বাংলার মানুষ নন্দীগ্রামকে স্মরণ করলেই পরিত্রাণ পাবেন।”

    আর কী বললেন?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন আরও বলেন, “রাজ্যে বিরোধী দলনেতার কী ভূমিকা, তা আগে মানুষ জানতেন না। আগে মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দলনেতার নাম নিতেন না। এখন বাধ্য হয়ে নিতে হয়। ঠ্যালায় না পড়লে বিড়াল যেমন গাছে ওঠে না, ঠিক তেমনি মুখ্যমন্ত্রীও তাই করছেন। এই কাঁথি, তমলুক অঞ্চলের পঞ্চায়েতে যে সব কর্মীরা বিজেপির হয়ে জয়ী হয়েছেন, তাঁদের সকলকে আমি প্রশিক্ষণ দেবো। ”

    শিল্প প্রসঙ্গে কী বললেন?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও জানিয়েছেন, আগামী ১৫ ডিসেম্বর হলদিয়ার হেলিপ্যাড মাঠে লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশ হবে। কেন্দ্রে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফর নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তিনি। রাজ্যে কী কী  শিল্প এসেছে তার হিসাব জানাতে চান। সেই সঙ্গে তিনি এও বলেন, “রাজ্যে কোন কোন কারখানা বন্ধ হয়েছে, তার তালিকা দিয়ে দিতে পারব”। তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফরের খরচ কত? রাজ্যে নেই মহার্ঘ্য ভাতা! চলছে সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলন। সফরসঙ্গীদের জন্য মমতা কত টাকা সরকারি কোষাগার থেকে খরচ করলেন, তাও জানতে চান শুভেন্দু।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: ডেঙ্গিতেও একের পর এক জেলায় ‘রেড জোন’, বারাসতে এক যুবকের মৃত্যু

    Dengue: ডেঙ্গিতেও একের পর এক জেলায় ‘রেড জোন’, বারাসতে এক যুবকের মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার পাশাপাশি জেলায় জেলায় দাপট বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার পর হুগলিতে চিহ্নিত হয়েছে ‘রেড জ়োন’। এর মধ্যে নিষিদ্ধ ওষুধ খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্র বলছে, সেই কারণে ডেঙ্গিতে (Dengue) মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে। ডেঙ্গির হাত প্রসারিত হয়েছে উত্তরেও। মালদহে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। পুজোর আগে এই ডেঙ্গি রাজ্যে ভয় ধরাচ্ছে। রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ডেঙ্গি মোকাবিলায় রাজ্য সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এরমধ্যেই রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত আরও এক জনের মৃত্যু হল। বারাসত জেলা হাসপাতালে রবিবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গি পজেটিভ আরও এক যুবকের। মৃতের নাম সরিফুল ইসলাম( ২৪)। বেশ কিছু দিন ধরেই জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন দেগঙ্গার চাঁপাতলার কুমরুলি গ্রামের সরিফুল। প্রথমে বাড়িতেই তাঁর চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু শেষ কয়েকদিনে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তাঁকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল, তখন একেবারেই শেষ মুহূর্তে। চিকিৎসা হয় বটে, তবে চিকিৎসায় সেভাবে সাড়া দেননি সরিফুল।  রবিবার সন্ধ্যায় বারাসত জেলা হাসপাতালে সরিফুলের মৃত্যু হয়েছে।

    দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে দাপট দেখাচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue)

    কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে দাপট দেখাচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue)। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদে জেলায় সরকারি হিসাবে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০০০ ছাড়িয়েছে। তবে, নতুন করে আক্রান্তের গ্রাফ নিম্নমুখী। জেলার অন্যতম ডেঙ্গি ‘হটস্পট’ লালগোলা, ভগবানগোলা এবং সূতি ব্লক। সরকারি হিসাব বলছে. নদিয়ায় চলতি বছরে দু’হাজারেরও বেশি ডেঙ্গি আক্রান্তের পরিসংখ্যান পাওয়া গিয়েছে। ডেঙ্গির ‘হটস্পট রানাঘাট এবং হরিণঘাটা ব্লকে ডেঙ্গি মোকাবিলার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। উদ্বেগ বাড়ছে হুগলিতেও। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, সেখানে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় তিন হাজার ছাড়িয়েছে। বলাগড়, পাণ্ডুয়া, চণ্ডীতলাকে ‘রেড জোন’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শ্রীরামপুর, উত্তরপাড়াকে ‘রেড জোন’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বারুইপুর মহকুমায় ইতিমধ্যেই ডেঙ্গি আক্রান্ত ৬৫৩। ক্যানিং মহকুমায় ডেঙ্গি আক্রান্ত ১২১ জন। উত্তর ২৪ পরগনাতেও ডেঙ্গি নিয়ে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। বনগাঁ, বাগদা, গাইঘাটা, বাদুড়িয়া, দক্ষিণ দমদম, বিধাননগর, হাবড়ায় লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। দক্ষিণ দমদমে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা এই জেলায় প্রায় সাত হাজার। বাঁকুড়া জেলাতেও ঝোড়ো ব্যাটিং করছে ডেঙ্গি। ইতিমধ্যেই জেলায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ৩৬৩ জন। জানুয়ারি থেকে গত সপ্তাহ পর্যন্ত হাওড়া পুর এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭১১ জন।

    উত্তরবঙ্গে ডেঙ্গির কী অবস্থা?

    দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ জুড়়ে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue)। ডেঙ্গি জ্বরে কাবু মালদা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদা জেলার কালিয়াচকের ১ এবং ৩ নম্বর ব্লক, রতুয়া ২ নম্বর ব্লকে ডেঙ্গির প্রকোপ সব থেকে বেশি। পাশাপাশি, ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদা পুরসভার বিভিন্ন এলাকাতেও ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ওই জেলায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১,০৩২ জন। গত এক মাসে জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৮৭ জন। রাজ্য সরকারের দিকে এই নিয়ে আঙুল তুলেছে বিরোধী দল বিজেপি। ইংরেজবাজার পুরসভার বিরোধী দলনেতা অম্লান ভাদুড়ি বলেন, ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ পুরসভা। ডেঙ্গি আক্রান্তের সঠিক পরিসংখ্যান গোপন করছে তারা। দার্জিলিং জেলায় এখনও পর্যন্ত ২০০ জন আক্রান্ত রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গতবার এই সময় ৭০০ জন আক্রান্ত ছিলেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, গতবারের তুলনায় কম হলেও আমাদের নজরদারি রয়েছে। কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে জ্বর নিয়ে ভর্তি থাকা ৪০ জনের রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট আসেনি। উত্তরবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: প্রচারের ঢক্কানিনাদই সার! ভয়াবহ ডেঙ্গি প্রতিরোধে রাজ্য সরকার যেন কুম্ভকর্ণ

    Dengue: প্রচারের ঢক্কানিনাদই সার! ভয়াবহ ডেঙ্গি প্রতিরোধে রাজ্য সরকার যেন কুম্ভকর্ণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের প্রথম থেকেই ডেঙ্গি (Dengue) রুখতে নানা কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু প্রত্যেক বছরই পশ্চিমবঙ্গের ডেঙ্গি পরিস্থিতি ওই ধরনের কর্মসূচির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বরং ঢক্কানিনাদ করে নানা কর্মসূচির যে আহ্বান কলকাতা পুরসভা ও রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর করেছিল, তা একেবারেই বাস্তবের মুখ দেখেনি, এমনই অভিযোগ করছে রাজ্য ও কেন্দ্রের বিভিন্ন দফতর। আর রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতিই এই অভিযোগের বাস্তব রূপ!

    কী অভিযোগ উঠেছে (Dengue)? 

    কলকাতা ও আশপাশের জেলা যেমন হাওড়া, হুগলি, উত্তর চব্বিশ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকায় মেট্রো রেল সম্প্রসারণের কাজ চলছে। যার জেরে বহু এলাকা ভাঙা হচ্ছে, ব্রিজ তৈরি হচ্ছে। নির্মীয়মাণ এলাকায় জল জমছে। রেলের তরফে বিভিন্ন জায়গা ঘিরে রাখা হয়েছে। সেখানেও জল জমার আশঙ্কা থাকছে। পাশপাশি মশার লার্ভাও দেখা যাচ্ছে। রেল মন্ত্রকের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট পুরসভাকে পরিষ্কারের জন্য একাধিকবার আবেদন করলেও তারা কর্ণপাত করেনি। এমনকী স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। তারপরেও কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। মশা নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ কিংবা অন্য কোনও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। 
    রেল মন্ত্রকের পাশপাশি এমন অভিযোগ করছে রাজ্যের একাধিক কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। যাদবপুর, কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, বারবার কলকাতা পুরসভার কাছে আবেদন করলেও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। গড়িমসি ভাব রয়েছে। কলকাতার একাধিক সরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সামান্য বৃষ্টি হলেও রাস্তায় জল জমে। বৃষ্টি কমলেও জল জমে থাকে। ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বারবার পুরসভার কাছে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। 
    বাদ নেই কলকাতার মেডিক্যাল কলেজগুলো। এনআরএস, আরজিকর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ সহ একাধিক মেডিক্যাল কলেজের হস্টেল ডেঙ্গির (Dengue) আঁতুরঘর। মশা মারার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বারবার পুরসভা ও স্বাস্থ্য দফতরের কাছে আবেদন করলেও কোনও সক্রিয়তা দেখা যায়নি বলেই অভিযোগ। 
    কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহল জানাচ্ছে, মশা নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করাই পুরসভার প্রধান দায়িত্ব। প্রয়োজনে পুরসভা সেই দফতরের থেকে খরচ নিয়ে নেবে। কিন্তু নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক রাখা, জল জমা আটকানোর কাজ পুরসভার। এই দায় ঠেলার জেরে ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

    রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতি কেমন? 

    রাজ্যে ডেঙ্গির দাপট উর্ধ্বগামী। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে ইতিমধ্যেই ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রত্যেক সপ্তাহে প্রায় চার হাজারের কাছাকাছি মানুষ নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছেন। অক্টোবর মাসে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হবে বলেই আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। যদিও সরকারি হিসাবে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছেন ৩ জন। কিন্তু বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই পর্যন্ত ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিত আরও ভয়াবহ হবে বলেও আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    কী বলছেন পুরকর্তা এবং স্বাস্থ্যকর্তারা? 

    অভিযোগ মানতে নারাজ পুরকর্তারা। কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, “আমরাই বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি করছি। জমা জল আছে কিনা দেখছি। প্রয়োজনে কর্মী নিয়ে গিয়ে মশার লার্ভা মারা হচ্ছে। কিন্তু অভিযোগ পেয়েও পুরসভা কাজ করেনি, এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।” 
    স্বাস্থ্য কর্তারা জানাচ্ছেন, পুরসভার সঙ্গে সারা বছর যোগাযোগ রাখা হয়। নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক রাখা কিংবা জল জমে থাকলে কোনও অসুবিধা হলে সেটা দেখার দায়িত্ব পুরসভার। তবে, ডেঙ্গি পরিস্থিতি (Dengue) নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য দফতর সব সময়ই সক্রিয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: ফের আধারের বায়োমেট্রিক প্রতারণাচক্রের হদিশ, পুলিশ কী করছে?

    Uttar Dinajpur: ফের আধারের বায়োমেট্রিক প্রতারণাচক্রের হদিশ, পুলিশ কী করছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে একের পর এক ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে। গ্রাহকদের বায়োমেট্রিক তথ্য হাতিয়ে ব্যাঙ্ক  অ্যাকাউন্ট সাফ করে দিচ্ছে প্রতারকরা। গ্রাহকদের অজান্তেই তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকরা। দিনের পর দিন এই ধরনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে আবার আন্তঃ রাজ্য আধার ব্যাঙ্ক প্রতারণা চক্রের খোঁজ পেল উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) ইসলামপুর জেলার পুলিশ।

    আন্তঃ রাজ্য আধার ব্যাঙ্ক প্রতারণা চক্রের খোঁজ (Uttar Dinajpur)

    পুলিশ সূত্রে খবর, চা বাগান ঘেরা চোপড়ায় আধার ব্যাঙ্ক প্রতারণার হাব তৈরি করেছে প্রতারকরা। শুধু তাই নয়, প্রতারণা চক্রের পান্ডারা আধুনিক অফিসে বসেই নিমেষে গ্রাহকদের লক্ষ লক্ষ টাকা গায়েব করে দিচ্ছে। কেউ কিছু বোঝার আগেই নিমেশে সর্বস্বান্ত হচ্ছিলেন অনেকে। হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়ায় এলাকায় বেশ কয়েকজনের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে। শুধু হাওড়া বা উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলা নয় রাজ্যের একাধিক জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে। এসব অপরাধের পিছনে এই চক্রের কোনও যোগ রয়েছে কি না তা পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। তদন্তে নেমে আন্তঃ রাজ্য আধার ব্যাঙ্ক প্রতারণা চক্রের খোঁজ পায়। ইতিমধ্যেই ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে ইসলামপুর সাইবার ক্রাইম থানা। উদ্ধার করা হয়েছে, প্রচুর ফিঙ্গারপ্রিন্ট ডেভলপিং কেমিক্যালস, ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার, জমির দলিলের আঙুলের ছাপের কাগজ,আধারের কপি। গ্রেফতার ৩ ব্যক্তিকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়। এরপর শনিবার আরও একটি আধার ব্যাঙ্ক প্রতারণা চক্রের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। উদ্ধার হয় আরও প্রয়োজনীয় গেজেটস, কেমিক্যালস,কম্পিউটার, দলিলের কপি। পুলিশ ওই চক্রের পান্ডাদের ধরতে পারেনি পুলিশ।

    জেলা পুলিশের আধিকারিক কী বললেন?

    রবিবার এই বিষয়ে উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) ইসলামপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিক চন্দ্র মণ্ডল বলেন, প্ৰথম দিনের প্রতারণা চক্রের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল চোপড়া থানার নারায়ণপুর এলাকায়। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় ৩ জনকে। দ্বিতীয় অভিযান চালানো হয় চোপড়া থানার চুটিয়াখোড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। কিন্তু, কাউতকে গ্রেফতার করা যায়নি। সমস্ত বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMCP: শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের হেনস্থার শিকার, স্বেচ্ছাবসর চেয়ে চিঠি অধ্যক্ষের

    TMCP: শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের হেনস্থার শিকার, স্বেচ্ছাবসর চেয়ে চিঠি অধ্যক্ষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের (TMCP) কাছে হেনস্থা শিকার হয়ে চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিতে চাইলেন যোগেশচন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায়। ইতিমধ্যে পঙ্কজবাবু তাঁর এই ইচ্ছার কথা কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতির কাছে লিখিতভাবেও জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত প্রায়শই তাঁর ওপরে মানসিক চাপ সৃষ্টি,হেনস্থা ও কলেজে বহিরাগতদের তান্ডবের তত্ত্ব তুলে ধরেছেন পঙ্কজবাবু। প্রসঙ্গত, সারা রাজ্য জুড়ে শিক্ষক নিগ্রহের ঘটনায় কমবেশি তৃণমূলের নেতারা জড়িত রয়েছেন। যখনই যেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটে শাসক দলের ছাত্র নেতাদের নাম উঠে আসে। তাই পঙ্কজ রায়ের অভিযোগ যে স্বাভাবিক এ কথা মেনে নিচ্ছে পর্যবেক্ষকদের একাংশ।

    আরও পড়ুন: ‘মমতা-সুজন-অধীর-অভিষেক-সেলিম’ এক ব্যানারে, হুগলিজুড়ে পোস্টারে চাঞ্চল্য

    কী বলছেন পঙ্কজ রায়?

    যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী কলেজের অধ্যক্ষ এদিন বলেন, ‘‘দিনের পর দিন ছাত্র সংসদের নামে বহিরাগতরা (TMCP) যে তাণ্ডব চালাচ্ছেন, তা আমার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আমি আগেও বলেছি, আমি যদি কোনও দলের মুখপাত্র হই, সেটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু কলেজ চত্বরে আমি একটি কাজও কোনও দলের হয়ে করেছি, এ কথা কেউ বলতে কিংবা প্রমাণ করতে পারবে না। আমি চ্যালেঞ্জ করছি। পদের লোভ আমার নেই। আমার আদর্শ বিক্রি করার জন্য নয়।’’ প্রসঙ্গত ৩৫ বছর ধরে অধ্যাপনার কাজের সঙ্গে যুক্ত পঙ্কজবাবু কিন্তু এমন পরিস্থিতি কখনও তৈরি হয়নি বলেই জানিয়েছেন তিনি।

    কলেজে বহিরাগত তান্ডব

    এর পাশাপাশি বহিরাগত তাণ্ডবের (TMCP) তত্ত্ব তুলে ধরেছেন পঙ্কজ রায়। তিনি বলেন, ‘‘যে কোনও বিষয়ে বহিরাগতরা এসে হুজ্জতি করছে। যে ভাষায় প্রিন্সিপালের ঘরে ঢুকে তারা কথা বলছে, তা আমার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। কেন বহিরাগতরা কলেজে ঢুকবে? এ প্রশ্নও তুলেছেন পঙ্কজ বাবু। এতে যে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে তাও জানান তিনি। নিজের শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে আর কোনওভাবেই এই মানসিক চাপ তিনি নিতে পারছে না বলে অভিযোগ করেছেন অধ্যক্ষ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: হাওড়ায় ব্যাগ ভর্তি মানুষের কঙ্কাল মিলল পঞ্চায়েত অফিসের পাশে, আতঙ্ক

    Howrah: হাওড়ায় ব্যাগ ভর্তি মানুষের কঙ্কাল মিলল পঞ্চায়েত অফিসের পাশে, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে ব্যাগের মধ্যে এল মানুষের কঙ্কাল। এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাওড়া (Howrah) জেলার শ্যামপুরের ডিহিমণ্ডল ঘাট এলাকায়। নদীর ধারে রয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিস। সেখানেই ব্যাগের মধ্যে থেকে উদ্ধার হল মানুষের কঙ্কাল। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। পরে, খবর পেয়ে পুলিশ এসে কঙ্কাল উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Howrah)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়়ার (Howrah) শ্যামপুর ডিহিমন্ডল ঘাট ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে কঙ্কাল ভর্তি ব্যাগ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তার পাশে ব্যাগের মধ্যে মানুষের কঙ্কালগুলি দেখতে পান তাঁরা। এই খবর ছড়াতেই তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় ওই এলাকায়। এর পর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শ্যামপুর থানার পুলিশ। গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে কীভাবে ব্যাগের মধ্যে এল মানুষের কঙ্কাল। সেই প্রশ্ন উঠছে। কঙ্কালগুলি উদ্ধার করে ফরেন্সিক তদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এদিন পঞ্চায়েতের কাছে ব্যাগটি পড়েছিল। প্রথমে কেউ গুরুত্ব দেয়নি। দীর্ঘক্ষণ ব্যাগটি পড়ে থাকায় ভিতরে কী রয়েছে তা দেখতে গিয়ে সকলেই চমকে ওঠে। কঙ্কাল ভর্তি ব্যাগ দেখতে এলাকায় ভিড় জমে যায়। এই ধরনের ঘটনা যথেষ্ট উদ্বেগের। কে বা কারা এই কাজ করল তা তদন্তে করে দেখা দরকার। কারণ, এটি মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছে। তাই, পুলিশ এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করুক।

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক?

    স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শ্যামপুর থানার পুলিশ। পুলিশ এসে উদ্ধার করে নিয়ে যায় কঙ্কাল। কিন্তু, কী ভাবে সেই কঙ্কাল এল তা নিয়ে যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে এই এলাকায়। হাওড়া (Howrah) জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, কঙ্কাল ভর্তি ব্যাগটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কে বা কারা এই কাজ করেছে তা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শ্যামপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share