Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Birbhum: অতি বর্ষণে নলহাটিতে বন্যার আশঙ্কা! ১০৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ব্যাপক ধস, ব্যাহত যান চলাচল

    Birbhum: অতি বর্ষণে নলহাটিতে বন্যার আশঙ্কা! ১০৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ব্যাপক ধস, ব্যাহত যান চলাচল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে বীরভূমের (Birbhum) ব্রাহ্মণী নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে নলহাটি দু নম্বর ব্লকের শীতলগ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকটি গ্রামে তৈরি হয়েছে বন্যার আশঙ্কা। অপর দিকে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে ১০৬ নম্বর জাতীয় সড়কে নেমেছে ধস, ভগ্নপ্রায় পুঠিমারী পল্টন ব্রিজ। ব্যাঘাত ঘটছে যানবাহন চলাচলে। সাধারণ মানুষ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকার। 

    নলহাটিতে বন্যার আশঙ্কা (Birbhum)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত আটটা নাগাদ নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের শীতলগ্রাম পঞ্চায়েতের বারুনি ঘাটায় বৃষ্টির জলে বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে পড়ে প্রসাদপুর গ্রামে। অন্যদিকে বৈধরা জলাধার থেকে গতকাল শনিবার বিকেলে ১৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। ফলে বর্তমানে নলহাটির দুই নম্বর ব্লকের মোট চারটি গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। গতকাল রাত্রে খবর পেয়ে জেলাশাসক বিধান রায়, রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক, রামপুরহাট মহকুমা শাসক ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য যান। অধিক বৃষ্টিপাতের কারণে বহু এলাকা বর্তমানে জলমগ্ন।

    মুর্শিদাবাদে জাতীয় সড়কে ধস

    বীরভূমের (Birbhum) পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের পুঠিমারী পল্টন ব্রিজের সড়কে লাগাতার বৃষ্টির ফলে ভয়াবহ ধস দেখা দিয়েছে। ডাকবাংলা থেকে পাকুর যাওয়ার একমাত্র রাস্তা ১০৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। আর বৃষ্টির ফলে সড়কে ধস। বিঘ্নিত যান চলাচল। সমস্যায় পড়েছে বড় গাড়ি থেকে শুরু করে সব ধরনের যানবাহন। ধসকে ঘিরে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। উল্লেখ্য ৩৪ নং জাতীয় সড়ক বেয়ে নতুন ডাকবাংলা থেকে ঝাড়খণ্ডের দিকে চলে গিয়েছে ১০৬ নং জাতীয় সড়ক। দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকার পর, এক বছর আগেই রাস্তাটি সংস্কার হয়। কিন্তু বর্ষা আসলেই বারংবার ধসের কবলে পড়ে পল্টন ব্রিজের এই সড়ক। এই সড়ক দিয়ে দৈনন্দিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু ধসের কারণে রাস্তায় ছোট গাড়ি থেকে বড় গাড়ি কোনোটাই এখন সাহস নিয়ে পারাপার হতে পারছে না। সড়কের ১৫০ মিটার রাস্তায় ধসের কবলে এবং ৪ থেকে ৫ হাত গভীর গর্ত তৈরি হয়েছে। এদিকে পল্টন ব্রিজের রাস্তায় ধস নামার ফলে আশেপাশের প্রায় দশটি পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

    প্রশাসনের ভূমিকা

    বীরভূমের জেলাশাসককে (Birbhum) জানানোর মত সমস্যার বিষয়টি নিয়ে সামশেরগঞ্জের বিডিও সুজিতচন্দ্র লোধকে জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। ইতিমধ্যেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছেন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তর কাজ শুরু করেছে। খুব দ্রুত সংস্কারের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: কালো টাকা সরাতে ১০ বছরে ২৬ বার বিদেশযাত্রা? কাকে নিয়ে পোস্ট শুভেন্দুর?

    Suvendu Adhikari: কালো টাকা সরাতে ১০ বছরে ২৬ বার বিদেশযাত্রা? কাকে নিয়ে পোস্ট শুভেন্দুর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), যা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। কোনও এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বিদেশ যাত্রা নিয়ে কটাক্ষ করতে দেখা গেল নন্দীগ্রামের বিধায়ককে। সেখানে শুভেন্দু লিখছেন, ‘‘একজন হাই ফ্লায়িং জনপ্রতিনিধি ১০ বছর পাবলিক লাইফে থাকার পরেও নিজের নির্বাচনী এলাকায় তৃণমূল স্তরের জনসাধারণের কাছে পৌঁছতে সক্ষম হননি কিন্তু তিনি প্রায় বিদেশে উড়ে যাচ্ছেন। এমন বিদেশ যাত্রা ২০১১ সালের আগে হয়নি ২০১৪ সালের পর থেকেই স্বর্ণযুগ শুরু হয়েছে।’’ 

    হিসাব বহির্ভূত অর্থ স্থানান্তরিত করতে বিদেশযাত্রা!

    হিসাব বহির্ভূত অর্থ স্থানান্তরিত করতে ওই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বিদেশ যাত্রা বলেও কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং তিনি লিখছেন, ‘‘যখনই ওই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মনে হয় হিসাব বহির্ভূত অর্থ এবার স্থানান্তরিত করতে হবে তখনই তিনি বিদেশ যাত্রা করেন।’’ এদিন নিজের বিষয়েও এক্স হ্যান্ডেলে লিখতে দেখা যায় নন্দীগ্রামে বিধায়ককে। তিনি  পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন, ২০০৯ সাল থেকে সাংসদ থাকার কারণে ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্ট রয়েছে তাঁর কাছে কিন্তু সেটা তিনি কখনও ব্যবহার করেননি। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও জানিয়েছেন যে তাঁর পাসপোর্টে ভিসা স্ট্যাম্প নেই। শুভেন্দুর মতে, তাঁর পোস্ট যে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে ঘিরে তিনিও উদ্বিগ্ন রয়েছেন। শীঘ্রই তাঁকে নামিয়ে আনা হবে।

    কাকে উদ্দেশ্য করে পোস্ট শুভেন্দুর

    কাকে উদ্দেশ্য করে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এই পোস্ট করেছেন! সে নিয়েই তৈরি হয়েছে জল্পনা। নিজের পোস্টে তিনি রীতিমতো তালিকাও দিয়েছেন যেখানে ২০১৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিদেশ যাত্রা বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। ওই তালিকা অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) পোস্ট করা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বিদেশ যাত্রা শুরু হয়েছে ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল দিল্লি থেকে ব্যাঙ্কক যাত্রা মধ্য দিয়ে এবং তালিকা শেষ হয়েছে কলকাতা থেকে আমেরিকা যাত্রায় মধ্যে দিয়ে যা সম্পন্ন হয়েছে ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে।  ওই তালিকা অনুযায়ী গন্তব্য স্থান যেমন লেখা হয়েছে, তেমনই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যে উদ্দেশ্য দেখিয়ে বিদেশ যাত্রা করেছেন সেটিও লেখা রয়েছে। যেমন ২০১৫ সালের তাঁর ব্যাঙ্কক যাত্রা ছুটি কাটাতে হয়েছে অন্যদিকে ২০২২ সালে সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকা যাত্রা চিকিৎসার কারণে হয়েছে। ওই তালিকা অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে ২০১৫ সালে চারবার বিদেশ যাত্রা করেছেন ওই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যার মধ্যে তিনবার ব্যাঙ্কক এবং একবার আমেরিকা। ২০১৬ সালে ৩ বার বিদেশ যাত্রা করেছেন যার মধ্যে  দু’বার ব্যাঙ্কক এবং একবার সিঙ্গাপুর। ২০১৭ সালে ওই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব চারবার বিদেশ যাত্রা করেছেন তার মধ্যে দুবার সিঙ্গাপুর একবার ব্রিটেন, একবার ব্যাঙ্কক। ২০১৮ সালে চারবার বিদেশ যাত্রা, যার মধ্যে দুবার ব্রিটেন এবং দুবার সিঙ্গাপুর। ২০১৯ সালের চারবার বিদেশ যাত্রা করেছেন যার মধ্যে তিনবার দুবাই এবং একবার সিঙ্গাপুর। ২০২০ সালে দুবার বিদেশ যাত্রা হয়েছে একবার দুবাই এবং একবার সিঙ্গাপুর। ২০২১ সালে একবার বিদেশ যাত্রা হয়েছে সেটা মালদ্বীপ। ২০২২ সালে চারবার বিদেশ যাত্রা হয়েছে যার মধ্যে তিনবার দুবাই এবং একবার আমেরিকা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: বিজেপির সাংসদ, বিধায়কদের গঙ্গায় ছুড়ে ফেলার নিদান তৃণমূল নেতার

    Malda: বিজেপির সাংসদ, বিধায়কদের গঙ্গায় ছুড়ে ফেলার নিদান তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গা ভাঙ্গনে কেন্দ্ৰীয় অর্থ বরাদ্দের দাবিতে ফারাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজারের দফতর ঘেরাও করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তার আগেই প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। মালদা (Malda) শহরের রথবাড়ি মোড়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কদের তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    বিজেপি সাংসদ, বিধায়কদের প্রসঙ্গে ঠিক কী বলেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি? (Malda)

    দলের প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মালদা (Malda) জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, আগামী ২৫ তারিখের পর, গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধে যদি কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে খগেন বাবুদের মত বিজেপির এমপি, এমএলএদের গঙ্গায় ছুড়ে ফেলা হবে। লড়াই আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ৩৪ বছরের একটা সরকারকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের বুক থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন। সিপিএমরা আজকে নিশ্চিহ্ন পশ্চিমবাংলার বুকে, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বে লড়াই করব, যারা গঙ্গা ভাঙ্গনের অবলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না, ডিএম অফিস ঘেরাও করে সস্তার রাজনীতি করতে চান, ২৫ তারিখের পরে কোনও সুরাহা না বেরোয় তাহলে সেই সাংসদ, বিধায়কদের প্রথমে গঙ্গায় ছোঁড়া হবে, যাতে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে সাধারণ মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে আছে। এখানেই শেষ নয়, তিনি বলেন, যারা গঙ্গার পাড়ে যেতে পারে না, এদিকে ডিএম অফিসের সামনে এসে আন্দোলন করে, তাদের হুঁশিয়ার করে দিতে চাই। কেন্দ্রীয় সরকার ছাড়া গঙ্গার পাড়ে যদি আপনারা যান, গঙ্গা পারের মানুষ বাড়িঘরের সঙ্গে আপনাদের গঙ্গায় ভাসিয়ে দেবে। বিজেপির বন্ধুরা এই সতর্কবার্তা আপনাদের জানিয়ে রাখছি। আমরা পেটে ভাত চাই, গরিব মানুষ খেতে পারছে না। ১০০ দিনের টাকা বাকি রয়েছে আর তোমরা ঝান্ডা লাগিয়ে ডিএম অফিসে মাতামাতি করবে নাচানাচি করবে, সেটা গ্রামের মানুষ সহ্য করবে না। যাদের পেটে খিদে থাকবে, সেই ক্ষুধার্ত মানুষ তোমাদের আর ছেড়ে কথা বলবে না। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে কলুষিত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। হয় দেশের সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলুন, না হলে তাদের কাছ থেকে টাকা এনে গরিব মানুষের কাছে দিন। না হলে মানুষ আপনাদেরকে চলতে- ফিরতে দেবে না।

    কী বললেন বিজেপি  সাংসদ খগেন মুর্মু?

    যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতির বক্তব্যকে আমল দিতে নারাজ বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, আমরা যা করার করেছি। কেন্দ্রে যা বলার বলেছি। তৃণমূলের বিধায়করা নাটক করে মানুষকে বিপথগামী করছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North Bengal: উত্তরবঙ্গে ভারী বর্ষণে ধস জাতীয় সড়কে, গাড়ি পড়ল তিস্তায়, বিপাকে পর্যটকরা

    North Bengal: উত্তরবঙ্গে ভারী বর্ষণে ধস জাতীয় সড়কে, গাড়ি পড়ল তিস্তায়, বিপাকে পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টির কারণে বেহাল উত্তরবঙ্গের (North Bengal) জনজীবন। দার্জিলিংয়ে শ্বেতিঝোরার কাছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে বৃষ্টির কারণে নেমেছে ব্যাপক ধস। ব্যাহত হয়ে পড়েছে যান চলাচল। রাস্তা ভেঙে গাড়ি গিয়ে পড়েছে তিস্তা নদীতে। শিলিগুড়ি থেকে সিকিম বা কালিম্পং যেতে, ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে গাড়ির গতিপথ। উল্লেখ্য গত দুই দিন ধরে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে দক্ষিণবঙ্গেও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আবহাওয়া দফতর বেশ কিছু জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করেছে। উত্তরবঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসের কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিপাকে পড়েছেন পর্যটকরাও।

    ধসে বেহাল জনজীবন (North Bengal)

    নিন্মচাপের কারণে দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও (North Bengal) হয়েছে ব্যাপক বৃষ্টিপাত। আর এই বৃষ্টির কারণে দার্জিলিংয়ে ব্যাপক ধস নেমেছে। শনিবার রাত থেকেই এই বৃষ্টিপাত চলছে। দার্জিলিংয়ের রম্ভী থানার লোহাপুরের কাছে শ্বেতিঝোরায় জাতীয় সড়কে ধসের কারণে তৈরি হয়েছে বড় গর্ত। রাস্তায় ধস এবং গর্ত দেখে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। সিকিম থেকে শিলিগুড়িতে আসা সব গাড়িগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে অন্য পথে। রাস্তায় চলা বড় গাড়ি, ট্রাকগুলিকে কালিম্পং হয়ে লাভা এবং করোনেশন ব্রিজ ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে পাহাড়ে যেতে ব্যাপক অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। পাশাপাশি মালদা, ধূপগুড়িতেও ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। রাস্তায় হাঁটু পর্যন্ত জল জমে গেছে। অনেক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।

    আবহাওয়া দফতরের বক্তব্য

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গে (North Bengal) দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার সহ আট জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হবে। সেই সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সিকিম আবহাওয়া দফতরের নির্দেশক গোপীনাথ রাহা জানিয়েছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় একই রকম বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আগামী ২৪ ঘণ্টা পরেই কমার সম্ভাবনা রয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: ‘মমতা-সুজন-অধীর-অভিষেক-সেলিম’ এক ব্যানারে, হুগলিজুড়ে পোস্টারে চাঞ্চল্য

    Hooghly: ‘মমতা-সুজন-অধীর-অভিষেক-সেলিম’ এক ব্যানারে, হুগলিজুড়ে পোস্টারে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামান্য একটি রাজনৈতিক নেতাদের ছবি সহ ব্যানার। আর সেই ব্যানার নিয়ে তোলপাড়় হুগলি (Hooghly) জেলার রাজনীতি। জেলার একাধিক প্রান্তেই ওই ব্যানার কে বা কারা টাঙিয়েছে। আর সেই ব্যানারকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী রয়েছে ব্যানারে? (Hooghly)  

    লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে বিরোধীরা ইন্ডিয়া জোট গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তবে, সেই জোটের স্লোগান, ব্যানার, ফেস্টুন, প্রচারের ইস্যু কী হবে তা কিছুই ঠিক হয়নি। ব্যানারে কাদের ছবি ব্যবহার করা হবে, কাদের হবে না সেই বিষয়ে কোনও স্পষ্ট কোনও বার্তা নেই। এরমধ্যেই হুগলি (Hooghly)  জেলায় একটি ব্যানারে দেখা গেল, এক ফ্রেমের মধ্যে মমতা- অভিষেক-সনিয়া-রাহুল-সেলিম-সুজন সকলের মুখ একসঙ্গে শোভা পাচ্ছে ব্যানারে। বাংলার রাজনীতিতে এমন ছবি বিরল। তৃণমূল-বাম-কংগ্রেস সব দলের নেতাদের মুখ একসঙ্গে। এক ব্যানারে। শুধু তাই নয়, একই ব্যানারে লেখা রয়েছে ‘ইনক্লাব’, ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিও। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘ইন্ডিয়া’ জোটে সামিল হওয়ার ডাক দেওয়া হয়েছে সেখানে। হুগলি জেলার বিভিন্ন জায়গায় এমন ব্যানার লাগানো হয়েছে। চাঁপদানী, ভদ্রেশ্বর, পোলবা-সহ অনেক জায়গায় দেখা গিয়েছে মমতা-সেলিম- অধীরদের ছবি নিয়ে এই ব্যানার। কিন্তু কারা ছড়াল এসব? ব্যানার দেখে তা বোঝার উপায় নেই। কারণ, কোনও দল বা কোনও সংগঠনের নাম সেখানে উল্লেখ নেই। শুধু ইন্ডিয়ার সমর্থনে প্রচার করা হয়েছে।

    ব্যানার নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    কোনও রাজনৈতিক দলই ব্যানার লাগানোর দায় নিচ্ছে না। তৃণমূলের হুগলি (Hooghly) জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইন বলছেন, ইন্ডিয়া জোট শক্তিশালী হোক, এটা আমরা সবাই চাই। বিজেপিকে আটকাতে হলে ইন্ডিয়া জোটকে শক্তিশালী করতে হবে। তবে, এই পোস্টার বা ব্যানার কারা লাগাচ্ছে, সেটা আমাদের জানা নেই। আমাদের দলের কেউ করেনি এটা বলতে পারি। ইন্ডিয়া জোটের সমর্থনে এই পোস্টারের দায় নিতে নারাজ বামেরাও। সিপিএম জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলছেন, আমাদের নেতৃত্বের অনুমতি ছাড়া ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদের কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি, যেখানে এই ধরনের পোস্টার দেখবে, যেন সেগুলি ছিঁড়ে দেওয়া হয়। কংগ্রেসের হুগলি জেলা সহ সভাপতি দেবব্ৰত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ইন্ডিয়া জোট হওয়ার পর বিজেপি ভয় পেয়ে গিয়েছে। যাতে এই সমঝোতা ভেঙে যায়, সেই চেষ্টা করছে বিজেপি। সিপিএম ও কংগ্রেস কর্মীদের বিভ্রান্ত করে নিজেদের হাত শক্ত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগাচ্ছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এদিকে ব্যানার বিতর্কে বিজেপি আবার খোঁচা দিতে শুরু করেছে তৃণমূল-সিপিএম-কংগ্রেসকে। পদ্ম শিবিরের হুগলি (Hooghly)  সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলছেন, বেঙ্গালুরুতে যখন এদের শীর্ষ নেতৃত্বরা বৈঠক করেছিল, তখনই রাজ্যের মানুষের কাছে এদের আসল ছবি পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল। এদের দিল্লিতে একরকম মুখোশ, পশ্চিমবঙ্গে আরেকরকম মুখোশ। এই ব্যানার নিয়ে সাধারণ মানুষের এতটুকু মাথাব্যথা নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BSF: নিজের ঘরে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী বিএসএফ আধিকারিক, চাঞ্চল্য

    BSF: নিজের ঘরে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী বিএসএফ আধিকারিক, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী  হলেন এক বিএসএফ (BSF) আধিকারিক। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি সীমান্তের চকগোপাল বিওপিতে ঘটেছে। এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিএসএফের ওই ক্যাম্পে। মৃত বিএসএফ আধিকারিকের নাম ওমপ্রকাশ মীনা (৪৮)। তাঁর বাড়ি রাজস্থানে। বিএসএফের ১৩৭ নম্বর ব্যাটেলিয়ের সাব-ইন্সপেক্টর পদে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। পারিবারিক অশান্তি ছিল না কি না তা জানতে তাঁর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলা হবে। সম্পর্কের কোনও টানাপোড়েন রয়েছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, কাজের জায়গায় কোনও সমস্যা ছিল না কি না সেই বিষয়টিও নজরে রাখছে পুলিশ। তবে, এখনও পর্যন্ত ওই বিএসএফ আধিকারিক কেন আত্মহত্যা করলেন, সে ব্যাপারে ধোঁয়াশা রয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (BSF)

    বিএসএফ সূত্রে খবর, বর্তমানে বিএসএফের (BSF) আধিকারিক চকগোপাল বিওপিতে ছিলেন। এমনিতেই তিনি নিয়ম করে তিনি ডিউটি করতেন। শনিবার সন্ধ্যায় নিজের ঘরেই আত্মঘাতী হন ওই বিএসএফ আধিকারিক। নিজের রিভলবার দিয়ে পর পর চার রাউন্ড গুলি চালান ওই বিএসএফ জওয়ান। সব কটি গুলি নিজের বুক লক্ষ্য করে চালিয়েছিলেন ওই জওয়ান। গুলির আওয়াজ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান তাঁর সহকর্মীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে তাঁকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে আসে বালুরঘাট থানার আধিকারিক, বিএসএফের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা। কী কারণে ওই বিএসএফ আধিকারিক আত্মঘাতী হল তা নিয়ে ধন্দে বিএসএফের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা। রবিবার মৃত ওই বিএসএফ জওয়ানের দেহের ময়না তদন্ত করা হয়।  তারপর তাঁর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

    সহকর্মীরা কী বললেন?

    সহকর্মীদের বক্তব্য, আচমকা ঘরের ভিতর থেকে পর পর গুলির আওয়াজ শুনে আমরা চমকে উঠি। প্রথমে বাইরের কেউ হামলা করল কি না  ভেবে আমরা ছুটে যাই। ঘরের ভিতর রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে পড়ে থাকতে দেখি। এভাবে নিজে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হবেন তা আমি ভাবতে পারিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: শিলিগুড়িতে দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে উধাও জওয়ানের স্ত্রী, কাদের ‘টার্গেট’ করত জানেন?

    Siliguri: শিলিগুড়িতে দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে উধাও জওয়ানের স্ত্রী, কাদের ‘টার্গেট’ করত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম হেমা তামাং। সেনা জওয়ানের স্ত্রী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হেমা দার্জিলিঙের গৈরিগাঁওয়ের বাসিন্দা। কিন্তু, গত এক থেকে দেড় বছর ধরে তিনি শিলিগুড়ি (Siliguri) সংলগ্ন আপার বাগডোগরার স্টালিননগরে বাড়ি ভাড়া করে থাকছিলেন। আপার বাগডোগরায় তাঁর একটি কাপড়ের দোকানও রয়েছে। এই সেনা জওয়ানের স্ত্রী কার্যত শিলিগুড়ির সেনা জওয়ানদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।

    সেনা জওয়ানের স্ত্রীর বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হেমা মূলত বেছে বেছে সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের স্ত্রীদের ‘টার্গেট’ করতেন। তাঁদের কাছ থেকে নানা অছিলায় টাকা ধার নিতেন। কখনও বাড়ি কেনার নাম করে, কখনও নিজের দোকানের প্রয়োজনের কথা বলে এই জওয়ান-পত্নীদের কাছ থেকে হেমা টাকা ধার নেন। কারও কাছ থেকে এক লক্ষ, কারও কাছ থেকে দুই লক্ষ, কারও কাছ থেকে আবার একযোগে ১০ লক্ষ টাকা নেন তিনি। সবমিলিয়ে জওয়ানদের স্ত্রীদের কাছ থেকে দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আর এক জওয়ান-পত্নীর বিরুদ্ধে। কিন্তু, পরিশোধ করেননি কোনওটাই। গত কয়েক দিন ধরে অভিযুক্ত জওয়ানের স্ত্রীর সন্ধান না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রতারিতেরা। ১৭ জন জওয়ান-পত্নী শিলিগুড়ি (Siliguri) পুলিশ কমিশনারেটের বাগডোগরা থানায় অভিযুক্ত হেমা তামাংয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    প্রতারিতদের কী অভিযোগ?

    প্রতারিতদের বক্তব্য, টাকা চাইতে গেলেও নানা অছিলায় তা এড়িয়ে যেতেন হেমা। গত একমাস ধরে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগও করা যাচ্ছে না। এমনকী, হেমার ফোনও বন্ধ রয়েছে। দেখা যায় এরকমভাবে বহু সেনা জওয়ানের স্ত্রীর কাছে সে টাকা হাতিয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সকলে একজোট হয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি। আমাদের দাবি, অবিলম্বে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করুক পুলিশ।

    শিলিগুড়ির (Siliguri) পুলিশ কমিশনারের কী বক্তব্য?

    এ বিষয়ে শিলিগুড়ির (Siliguri) পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর বলেন, অভিযোগ জমা পড়েছে। একটি মামলাও রুজু করা হয়েছে। যেহেতু এটি সেনার বিষয়, তাই সেনা আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: মন্ত্রী-পুরপ্রধানের দ্বন্দ্বে অস্বস্তিতে শাসকদল, সরকারি অনুষ্ঠানে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Cooch Behar: মন্ত্রী-পুরপ্রধানের দ্বন্দ্বে অস্বস্তিতে শাসকদল, সরকারি অনুষ্ঠানে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্ত্রী উদয়ন গুহের সঙ্গে পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষের কোন্দল নিয়ে দলের অন্দরে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু দলের সাংগঠনিক বিষয়ে নয় সরকারি অনুষ্ঠানের কর্মসূচিতে শাসকদলের জেলার দুই শীর্ষ নেতার দ্বন্দ্ব একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। যা নিয়ে কোচবিহার (Cooch Behar) জেলাজুড়ে চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Cooch Behar)

    শিলান্যাস হচ্ছে কোচবিহার (Cooch Behar) পুর এলাকার বেশ কিছু রাস্তার কাজ। আর সেখানেই আরও একবার প্রকাশ্যে আসল রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহ ও পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ-এর দ্বন্দ্ব। অভিযোগ, উদ্বোধনী ব্যানার থেকে শুরু করে চিঠিতে নাম নেই কোচবিহারের পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষের। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের আর্থিক সহযোগিতায় কোচবিহার পুর এলাকার ১৮টি রাস্তার কাজের শিলান্যাস করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী উদয়ন গুহ। শনিবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের কোচবিহার দফতরের সামনে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শিলান্যাস কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। শিলান্যাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক পবন কাদিয়ান, জেলা সভাধিপতি সুমিতা বর্মন, কোচবিহার পুরসভার উপ-পুরপ্রধান আমিনা আহমেদ। শনিবারই সেই অনুষ্ঠান ছিল। স্বাভাবিকভাবে সেই অনুষ্ঠানে পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ যাননি। যদিও অনুষ্ঠানে থাকার আমন্ত্রণ অনেক কাউন্সিলার পাননি বলেও অভিযোগ উঠছে। ফলে, সেই কাউন্সিলারও অনুষ্ঠানে যাননি। একটি সরকারি অনুষ্ঠানেও তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল এভাবে প্রকাশ্যে আসায় রীতিমতো অস্বস্তি শাসক শিবিরে। কোচবিহার জেলার দুই হেভিওয়েট নেতার এই অন্তর্দ্বন্দ্ব আসন্ন ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে কতটা প্রভাব ফেলবে সেটা সময়ের অপেক্ষা।

    মন্ত্রীর কী বক্তব্য?

    মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, চলতি মাসের ৪ তারিখ চিঠি দিয়ে সবিস্তারে জানানো হয়েছিল পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে। এমনকী শনিবারের অনুষ্ঠান নিয়েও তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। পুর এলাকায় কাজ হবে অথচ পুরপ্রধানকে জানানো হবে না, এটা কখনওই হতে পারে না।

    পুরসভার চেয়ারম্যান কী বললেন?

    কোচবিহার (Cooch Behar) পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ নিজের পুর এলাকায় রাস্তা শিলান্যাসের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে এড়িয়ে গেলেন। তিনি বলেন, সরকারি অনুষ্ঠানের বিষয়ে আমি জানি না। কোথায় কী হচ্ছে আমি জানিনা! তাছাড়া আমাকে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Situation: মানুষের মুভমেন্টের জন্যই নাকি ডেঙ্গি ছড়াচ্ছে, ফের অদ্ভুত যুক্তি ফিরহাদের

    Dengue Situation: মানুষের মুভমেন্টের জন্যই নাকি ডেঙ্গি ছড়াচ্ছে, ফের অদ্ভুত যুক্তি ফিরহাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি (Dengue Situation) ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রতিনিয়ত তা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এরই মাঝে আজব যুক্তি শোনা গেল কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের মুখে। মেয়রের যুক্তি অনুযায়ী, মানুষের মুভমেন্টের জন্যই নাকি ডেঙ্গি ছড়াচ্ছে। দুর্গাপূজো শুরু হতে এক মাসও বাকি নেই, এরই মাঝে মেয়রের এমন যুক্তিতে বোঝা যাচ্ছে যে কলকাতা পুরসভার ডেঙ্গি মোকাবিলায় ঠিক কতটা ব্যর্থ। শনিবার সাংবাদিকরা ডেঙ্গি (Dengue Situation) সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্ন করেন মেয়রকে। তখন একটি প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘‘আমরা যতটা সম্ভব প্রস্তুতি নিচ্ছি। কলকাতায় ডেঙ্গি অনেকটা কম। সেটা যাতে কম থাকে সেই চেষ্টা করছি। এখন যেহেতু লকডাউন নেই তাই মানুষের মুভমেন্ট রয়েছে এবং এ কারণেই ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গি। কোথায় মানুষকে মশায় কামড়াচ্ছে তা বলা মুশকিল’’ অন্যদিকে কলকাতা পুরসভার সরকারি তথ্য বলছে, বর্তমানে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৩,৮০৩। ১২ সেপ্টেম্বর এই সংখ্যা ছিল ২,৭৯০। ১২ দিনের ভিতরে সংখ্যা ১,০০০ বেড়েছে।

    ডেঙ্গিতে ফের মৃত্যু শহরে

    অন্যদিকে, কলকাতাতে ফের ডেঙ্গি (Dengue Situation) মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। বিজয়গড়ে ১২ বছরের এক কিশোরী এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি ছিল ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে। সেখানেই তার মৃত্যু হয় বলে সূত্রের খবর। বেশ কয়েকদিন ধরে ওই কিশোরী জ্বরে ভুগছিল, সঙ্গে বমিও হচ্ছিল। স্থানীয় চিকিৎসকদের দেখালেও ফল মিলছিল না। পরিবারের অভিযোগ, ডেঙ্গির জন্য কোনও ব্যবস্থাই নাকি চিকিৎসকরা নেয়নি। শুধু জ্বর ও বমির ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। শনিবার দুপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয় ওই কিশোরী এবং হাসপাতালের জরুরীকালীন বিভাগেই তার মৃত্যু হয়।

    রাজ্যজুড়ে থাবা বসাচ্ছে ডেঙ্গি

    অন্যদিকে রাজ্যজুড়েও ব্যাপক থাবা বসিয়েছে ডেঙ্গি। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ উত্তর চব্বিশ পরগনায় ডেঙ্গি আক্রান্তের (Dengue Situation) সংখ্যা বাড়ছে। স্বাস্থ্য দফতরও স্বীকার করেছে এই তিন জেলায় ডেঙ্গি ভাইরাস অত্যধিক সতর্ক। এরই মধ্যে জ্বর নিয়ে এই তিন জেলার মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি হতেও দেখা যাচ্ছে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: বিদেশে তো উনি সদলবলে বেড়াতে গিয়েছিলেন, মমতা ফিরতেই সরাসরি আক্রমণ দিলীপের

    Dilip Ghosh: বিদেশে তো উনি সদলবলে বেড়াতে গিয়েছিলেন, মমতা ফিরতেই সরাসরি আক্রমণ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশে তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সদলবলে ঘুরতে গিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর স্পেন সফর সম্পর্কে এভাবেই কটাক্ষ করলেন বিজেপির সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এর আগেও বিদেশ সফর করেছেন মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু বাংলাতে তার ফলাফল হয়েছে অশ্বডিম্ব তাই দিলীপ ঘোষের দাবি যে ভুল নয় তা স্বীকার করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। মেদিনীপুরের সাংসদের আরও প্রশ্ন, এই সফর থেকে বাংলার সার্বিক কোনও লাভ হল কি?

    কী বললেন দিলীপ ঘোষ

    শনিবার দিল্লি থেকে কলকাতা ফেরেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বিমানবন্দরের গেটে সাংবাদিকরা তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফর নিয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘‘আমি জানিনা অনেকেরই ছবি দেখলাম। ওনার সঙ্গে যাঁরা গিয়েছিলেন তাঁরা কিসের বিশেষজ্ঞ! কি তাঁদের বিশেষত্ব! কেন সাধারন মানুষের লাখ লাখ টাকা খরচ করে বিদেশে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া হল ওদেরকে।’’ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির (Dilip Ghosh) আরও দাবি, স্পেন থেকে ফুটবল আনতে ওনার সঙ্গে যারা গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে তো কোনও ফুটবলার ছিলেন না। যদি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে যাওয়া যেত, তাহলেও বোঝা যেত। কিন্তু যারা কখনও ফুটবল খেলেননি সেই সমস্ত মহামানবরা গিয়েছিলেন ওদের সঙ্গে। 

    রাজ্যে ফিরে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    অন্যদিকে, ১২ দিনের সফর শেষে কলকাতায় ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী। শনিবারই কলকাতায় ফেরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিল্প এবং কর্মসংস্থানের দিক থেকে পিছনের সারিতে চলে গিয়েছে রাজ্য। সিন্ডিকেট এবং তোলাবাজির কারণে কোনও ছোটখাটো শিল্প-এর সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তাঁর সফর সফল হয়েছে এবং বিনিয়োগও আসছে। তিনি আরও বলেন, ‘‘মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, দুবাইতে আমরা বাণিজ্য সম্মেলন করেছি। এত সফল কর্মসূচি আমি খুব কম দেখেছি।’’ প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফরে ইংল্যান্ড থেকে মাদ্রিদে হাজির হয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে স্পেনের মাদ্রিদে গিয়ে ঘোষণা করতে হল যে শালবনিতে তিনি ইস্পাত কারখানা করবেন। এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী এমন বিদেশ সফর করেছেন কিন্তু তার ফলাফল কিছু হয়নি কোনও বিনিয়োগও আসেনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share