Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Visva Bharati : অবশেষে বিশ্বভারতীর নিখোঁজ ছাত্র উদ্ধার তালসারি থেকে, কেন নিখোঁজ ছিলেন জানেন?

    Visva Bharati : অবশেষে বিশ্বভারতীর নিখোঁজ ছাত্র উদ্ধার তালসারি থেকে, কেন নিখোঁজ ছিলেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে নিখোঁজ পড়ুয়ার উদ্ধার হল ওড়িশার তালসারি থেকে। গত বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva Bharati) থেকে দর্শন বিভাগের এক ছাত্র নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। এই নিখোঁজ পড়ুয়ার নাম পান্নাকারা থাই, তিনি ছিলেন মায়ানমারের নাগরিক। পরিবারের তরফ থেকে বোলপুর থানায় নিখোঁজের অভিযোগ জানানো হয়েছিল। ছাত্র নিখোঁজের পর থেকেই বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে শোরগোল পড়ে যায়। এরপর পুলিশ দ্রুত তদন্ত শুরু করে।

    কীভাবে উদ্ধার হলেন ছাত্র

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই ঘটনায় নিখোঁজের পরে বোলপুর থানার (Visva Bharati) হাতে মোট ১২ জন গ্রেফতার হয়। এরপর অভিযুক্তদের সূত্র ধরে, ফোন ট্যাপ করে, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে, পুলিশ অনুসন্ধান করে জনেতে পারেন, যে এই ছাত্রকে ওড়িশার তালসারিতে আটকে রাখা হয়েছে। এরপর অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করে পান্নাকারাকে ফিরিয়ে আনা হয়।

    কীভাবে নিখোঁজ হয়েছিল?

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বৃস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় (Visva Bharati) থেকে একটি গাড়িতে করে কয়েকজন যুবক, জোর করে তুলে নিয়ে চলে যায়। থানায় অভিযোগের পর তাঁর খোঁজ খবর করতে করতে পুলিশ দুবরাজপুর থেকে আজারুদ্দিন মির্ধা, শেখ আলাউদ্দিন এবং আতাউল্লা শেখ নামে তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। এরপর আরও জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও ৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই দুষ্কৃতীদের জেরা করতেই চাঞ্চাল্য কর তথ্য উঠে আসে। চুলের ব্যবসার টাকা পাওয়াকে ঘিরে পান্নাকারাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানা যায়।

    মায়ানমার থেকে মেদিনীপুর হয়ে চুল যেত চিনে

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) ছাত্র পান্নাকার থাই চুলের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মায়ানমার থকে পশ্চিম মেদিনীপুর হয়ে চুল যেত চিনে। এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এজেন্টরা পড়ুয়ার কাছ থেকে মোট ৬ কোটি টাকা পেত। এর মধ্যে ৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা এজেন্টদের দিয়েছন পান্নাকারা, কিন্তু এখনও ৫০ লাখ টাকা বাকি। ভাগের টাকা না পেয়ে এজেন্টরা এই বিশ্বভারতীর ছাত্রকে অপহরণ করেছিল বলে জানা গেছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Pawan Singh: অর্জুন পুত্র বিধায়ক পবন সিংয়ের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট জালিয়াতি করে প্রতারণা, চাঞ্চল্য

    Pawan Singh: অর্জুন পুত্র বিধায়ক পবন সিংয়ের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট জালিয়াতি করে প্রতারণা, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একীকাণ্ড! এবার খোদ বিধায়কের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট জালিয়াতি করার অভিযোগ উঠল প্রতারণাচক্রের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ভাটপাড়ায়। এর কিছুদিন আগেই সেই ভাটপাড়ারই ফুটপাতের এক ব্যবসায়ীর আধার কার্ড জালিয়াতি করে ভিনরাজ্যে কোটি টাকার ব্যবসা ফেঁদে বসেছিল অসমের এক প্রতারক। ভাটপাড়ার ওই ব্যবসায়ী কিস্তিতে বাইক কিনতে গিয়ে আধার কার্ড জালিয়াতির বিষয়টি তিনি জানতে পারেন। এবার সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই ভাটপাড়ার বিধায়ক তথা অর্জুন পুত্র পবন সিংয়ের (Pawan Singh) ফেসবুক অ্যাকাউন্ট জালিয়াতি করার অভিযোগ উঠল প্রতারণাচক্রের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তবে, বিধায়কের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট জালিয়াতি কারবারীর হদিশ পায়নি পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  চলতি মাসের ১২ তারিখ ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন কুমার সিং (Pawan Singh) নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক প্রোফাইলে তাঁর নামে খোলা একটি ফেক ফেসবুক একাউন্টের ছবি পোস্ট করেন। যেখানে পরিষ্কারভাবে ফেক অ্যাকাউন্ট থেকে মানুষের কাছ থেকে টাকা তোলার ছবি দেখা যাচ্ছে। গোটা ঘটনাটি বিধায়ক পবন সিংয়ের নজরে আসার পরেই  ১৩ই সেপ্টেম্বর জগদ্দল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। যদিও তিনি বিশেষ কাজে রাজ্যের বাইরে থাকলেও তার অনুগামীরা গোটা ভাটপাড়া অঞ্চল জুড়ে সকলকে সাবধান থাকার প্রচার করেছেন। যদিও এক সপ্তাহের বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরও পুলিশের তরফ কোনও  ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে, প্রতারণাচক্ররা আরও বেশি সক্রিয় হয়ে অন্যদের এভাবেই প্রতারণা চালাবে বলেই বিধায়ক অনুগামীরা মনে করছেন।

    কী বললেন ভাটপাড়ার বিধায়ক? (Pawan Singh)

    বিধায়ক পবন সিং (Pawan Singh) বলেন, আসলে সাইবার প্রতারকরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট জালিয়াতি করে আমার ঘনিষ্ঠদের কাছে টাকা চেয়েছিল। বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি। থানার আইসিকে আমি নিজে ফোন করে বিষয়টি আবার বলেওছি। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছি। তবে, কে বা কারা এই প্রতারণা করল তা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। এই ঘটনা অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: অজয় নদে হড়পা বানে ভেঙে গেলে সেতু! বিচ্ছিন্ন বীরভূম-বর্ধমানের যোগাযোগ

    Birbhum: অজয় নদে হড়পা বানে ভেঙে গেলে সেতু! বিচ্ছিন্ন বীরভূম-বর্ধমানের যোগাযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum) অজয় নদে হঠাৎ হড়পা বান। এই হড়পা বানের ফলে মাঝ নদের মধ্যেই আটকে গেল পাথর বোঝাই ডাম্পার। প্রাণে বাঁচলো চালক-খালাসি। কাজ চলছিল নদের উপরে অস্থায়ী সেতুর। কিন্তু আচমকা জলের স্রোতে সব ভাসিয়ে নিয়ে চলে গেল। সেই সঙ্গে ভেঙে পড়ে নদের উপর অস্থায়ী সেতু। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হল বীরভূম-বর্ধমানের। নির্মাণের কর্মীরা কোনও রকমে প্রাণ বাঁচালেন। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এলাকায়। রাজ্যে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের কারণে অধিক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে নদের জলের স্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া দফতর থেকে বেশ কিছু জেলায় কমলা সর্তকতা জারি করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলা গুলিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।

    কীভাবে হড়পা বান (Birbhum)?

    রাজ্যে শনিবার সকালে জয়দেব থেকে পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা শিবপুরের দিকে আসছিল একটি ডাম্বার। পথে অজয় (Birbhum) নদের অস্থায়ী সেতু অতিক্রম করার সময়, এই পাথর বোঝাই ছয় চাকার ডাম্পার, হড়পা বানের কবলে পড়ে যায়। বান আসলে নদের জলের স্তর বৃদ্ধি হতে শুরু করে। এই নদের উপর তৈরি হচ্ছিল অস্থায়ী সেতু, যা কার্যত ভেঙে যায়। সেই সঙ্গে ডাম্পারটি মাঝ নদের আটকে পড়ে। সাঁতার কেটে কোনও ক্রমে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে যান চালক ও খালাসী। একই ভাবে অস্থায়ী সেতু নির্মাণের কর্মীরাও সাঁতার কেটে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছান। এই নদের অস্থায়ী সেতু বীরভূম এবং পশ্চিম বর্ধমানের মধ্যে সংযোগের একটা বিশেষ রাস্তা ছিল। হড়পা বানের কারণে দুই জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় চূড়ান্ত ভোগান্তির মুখে পড়তে হবে বলে মনে করছেন এলাকার মানুষ।

    স্থানীয় মানুষের বক্তব্য

    স্থানীয় (Birbhum) অবনী মজুমদার বলেন, “এই নদ ক্ষ্যাপা নদ। এই জল আসছে আবার চলেও যাচ্ছে। বানের কারণে সেতু ভেঙে গেছে। চলাচল করতে খুব অসুবিধা হচ্ছে। রাজনৈতিক নেতার ভোটের সময় প্রতুশ্রুতি দেন বটে, কিন্তু কাজের কথা পরে ভুলে জান। আমরা চাই এই নির্মীয়মাণ সেতু দ্রুত তৈরি হোক”। আরেক বাসিন্দা গোঁসাই বাগদী বলেন, “নদের জল হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় পাথর বোঝাই ডাম্বার আটকে গেছে। তবে আজ যাঁরা ছিলেন সকলে বড় বিপত্তি থেকে রক্ষা পেলেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: মহিলাদের চাকরির টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা, কী করছে পুরসভা?

    Alipurduar: মহিলাদের চাকরির টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা, কী করছে পুরসভা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) প্রতারণার নয়া ফাঁদ। চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল ‘স্মার্ট ভ্যালু’ নামে এক সংস্থার বিরুদ্ধে। আলিপুরদুয়ার শহরের প্রানকেন্দ্রে একটি ভাড়াবাড়িতে রমরমিয়ে চলছে প্রতারণার কারবার। পুরসভার পক্ষ থেকে এই ব্যবসা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে সংস্থার লোকজনের দাবি। ফলে, এর পিছনে পুরসভার কর্মকর্তাদের কাটমানি রয়েছে কি না তা নিয়ে এলাকাবাসীর মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    কীভাবে প্রতারণা করছে সংস্থার কর্মীরা? (Alipurduar)

    আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) ছাড়াও কামাখ্যাগুড়ি ও ফালাকাটাতেও এরকম অফিস করেছে ওই সংস্থা। ১৮ হাজার টাকা বেতনের চাকরির টোপ দিয়ে প্রতারণা শুরু করে ওই সংস্থা। প্রথমে তারা কম্পিউটার শেখানোর নাম করে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলে। প্রশিক্ষিত হয়ে গেলেই চাকরি। আর  বেতন মিলবে ১৮ হাজার টাকা। গ্রাম বাংলার যুবক-যুবতীকে এমনই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল সংস্থার পক্ষ থেকে। চাকরির আশায় সেই ফাঁদে পা দিয়েছিলেন গৃহবধূরাও। গ্রামের ১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের টার্গেট করত এই সংস্থার কর্মীরা। মহিলা ও মেয়েদের স্বনির্ভর করতে কম্পিউটার শেখানোর নাম করে তাঁদের কাছ থেকে অনলাইনে নেওয়া হত ১৫ হাজার টাকা। প্রতারিতদের দাবি, কম্পিউটার শেখা হয়ে গেলে তাঁদের চাকরি দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হত। ফলে, প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার পড়ুয়া ও গৃহবধূরা ১৫ হাজার টাকা করে দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ। সবমিলিয়ে ওই সংস্থা বাজার থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছিল।

    প্রতারিতরা কী বললেন?

    প্রতারিত এক বধূর বক্তব্য, আমাদের পরিচিত মানুষজনের ৫০০ তালিকা তৈরি করে ফোন করতে বলা হত। আমাদেরকেও একই ভাবে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তোলার কথা বলা হত। পুরানো কর্মীরা প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে যাঁরা ছেড়ে দিচ্ছেন, তাঁদের জায়গায় আসছেন নতুন কেউ। আমি টাকা ফেরতের জন্য প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছি।

    আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) পুরসভার চেয়ারম্যান কী বললেন?

    আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর বলেন, আমরা এটা সমর্থন করিনা। কেউ যদি পুরসভার নাম ভাঙিয়ে ব্যাবসা করে তা মেনে নেব না। বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনের নজরে আনব। পুরসভার পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: সামান্য সোনার জন্য একরত্তি শিশুকে গলা টিপে ছুড়ে ফেলল গঙ্গায়! তীব্র চাঞ্চল্য

    Murshidabad: সামান্য সোনার জন্য একরত্তি শিশুকে গলা টিপে ছুড়ে ফেলল গঙ্গায়! তীব্র চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই বছর দুই মাসের এক শিশু কন্যার সোনার কানের দুল ও চাঁদির মালা খুলে নিয়ে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে খুন করা হল। এরপর মৃতদেহ গঙ্গায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় প্রতিবেশী এক মহিলার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মহিলাকে বন্দনের ঋণ দেওয়ার জন্য অর্থ প্রয়োজন ছিল, আর তাই শিশু কন্যার সোনা খুলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার পুরাতন শিকদারপুর গ্রামে। অভিযুক্তকে অবিলম্বে ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছেন পরিবার। এখনও পর্যন্ত গঙ্গায় ওই শিশু কন্যার দেহ তলিয়ে রয়েছে বলে জানা গেছে। 

    কীভাবে ঘটল খুনের ঘটনা?

    স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ বাড়ির পাশে খেলা করছিল দুই বছরের একরত্তি শিশু কন্যা সাহানা খাতুন। সেই সময় প্রতিবেশী এক মহিলা নায়েমা খাতুন, সাহানাকে কোলে তুলে নিয়ে যায়। প্রথমে আদর করছে ভেবে পরিবারের সদস্যরা কিছু বলেননি। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরেই শিশু কন্যাকে দেখতে না পেয়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে, ওই প্রতিবেশী মহিলাকে জিজ্ঞেস করতেই বেরিয়ে আসে আসল রহস্য।

    মৃত শিশুর আত্মীয়ের বক্তব্য

    মৃত শিশু কন্যার পিসি সুমা খাতুন বলেন, “বন্ধনের ঋণ দেওয়ার জন্য সাহানাকে খুন করেছে নায়েমা খাতুন। আমার ভাইঝির পড়নে সোনার কানের দুল ও চাঁদির গহনা খুলে, গলাটিপে শ্বাসরোধ করে খুন করে এই মহিলা। খুন করে ভাইঝিকে গঙ্গায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। মৃতদেহ এখনও নদীর তলায় রয়েছে। আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে ওই খুনির কঠিন শাস্তি চাই।

    খুনের তদন্তে পুলিশ

    খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ অভিযুক্তের বাড়ি থেকে সোনার কানের দুল ও চাঁদির মালা উদ্ধার করেছে বলে জানা গেছে। এদিকে ঘটনা জানাজানি হতেই শনিবার সকাল থেকে ক্ষোভে ফুসছেন গ্রামবাসীরা। অভিযুক্ত মহিলার ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ডুবুরি টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত করে দেখছে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: হাওড়ার যুবকের অজান্তেই তাঁর আধার-প্যান দিয়ে চলছিল কোটি কোটি টাকার ব্যবসা, তারপর কী হল?

    Howrah: হাওড়ার যুবকের অজান্তেই তাঁর আধার-প্যান দিয়ে চলছিল কোটি কোটি টাকার ব্যবসা, তারপর কী হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুরের পর এবার হাওড়া (Howrah)। হাওড়ার লিলুয়া থানার এক যুবকের আধার কার্ড, প্যান কার্ড ব্যবহার করে এক প্রতারক কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। অথচ আধারের মালিকই সে কথা জানেন না। বিষয়টি জানতে পেরে প্রতারিত সৌভিক ঘোষ নামে ওই যুবক থানার দ্বারস্থ হন। তাঁর করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে সুরজিৎ দত্ত নামে এক চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে লিলুয়া থানার পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Howrah)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারিত সৌভিকবাবুর বাড়ির হাওড়ার (Howrah) লিলুয়া থানার চামরাইল এলাকায়। সম্প্রতি তিনি অনলাইনে খাবার সরবরাহকারী সংস্থা খোলার জন্য ট্রেড লাইসেন্স করাতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন তাঁর আধার কার্ড, প্যান কার্ড এবং অন্যান্য প্রমাণপত্র নকল করে আগে থেকেই শিবা ট্রেডিং কোম্পানি নামে একটি সংস্থা চলছে। এ কথা শুনে কার্যত হতবাক হয়ে যান সৌভিক। তিনি আরও জানতে পারেন ওই কোম্পানিতে তাঁর নামে দুটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, যেখানে গত দু’বছরে ৮ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে। শিবা ট্রেডিং নামে ওই কোম্পানির কলকাতায় যে ঠিকানা দেওয়া ছিল, সেটাও ভুয়ো বলে অভিযোগ ওঠে। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, ওই সংস্থার যাবতীয় কাগজপত্র দেখাশোনা করতেন পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে বারাকপুরে ভাটপাড়ার এক ব্যক্তি কিস্তিতে বাইক কিনতে গিয়ে আধার কার্ড জমা দেন। কাগজপত্র খতিয়ে দেখে জানা যায় তার ওই আধার কার্ড ব্যবহার করে অসমের এক ব্যক্তি কোটি কোটি টাকার কারবার করেছে। যা জেনে থানায় দ্বারস্থ হয়েছিলেন। হাওড়ার সৌভিকবাবু বিষয়টি জানার পর থানার দ্বারস্থ হওয়ায় পুলিশ এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করেছে।

    কী বললেন প্রতারিত যুবক?

    প্রতারিত যুবক সৌভিকবাবু বলেন, আমার আধার কার্ড দিয়ে এসব হচ্ছে তা আমি ট্রেড লাইসেন্স না করালে জানতেই পারতাম না। এসব জালিয়াতির পিছনে বড়সড় চক্র কাজ করছে। আমি চাই, অবিলম্বে অভিযুক্তদের সকলকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলত শাস্তি দেওয়া হোক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: সহজে ঋণ নেওয়াই কি বিপত্তি! প্রৌঢ় দম্পতির আত্মহত্যাই তুলে দিল প্রশ্ন

    Purba Bardhaman: সহজে ঋণ নেওয়াই কি বিপত্তি! প্রৌঢ় দম্পতির আত্মহত্যাই তুলে দিল প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভাবের সংসারে ঋণদানকারী সংস্থার কাছ থেকে মায়ের নামে টাকা তুলে, সুদের কিস্তি দিতে না পাড়ায়, বেপাত্তা হয়ে যান ছোট ছেলে। এরপর এই ঋণের কিস্তি মেটানোর দায় চাপে মা-বাবার উপর। কিস্তি না মেটাতে পেরে আত্মঘাতী হন প্রৌঢ় দম্পতি, আর এই ঘটনায় শক্তিগড়ে (Purba Bardhaman) তীব্র শোরগোল পড়েছে। উল্লেখ্য, রাজ্যে করোনা অতিমারির পর থেকে ক্রমশ কর্মসংস্থানের পরিসর কমে গেছে। বেকারত্বের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষের হাতে টাকা নেই। বিরোধীরা বার বার অভিযোগ করেছেন, রাজ্যে বিনিয়োগ নেই, শিল্প কারখানা বন্ধ, চাকরির নিয়োগে দুর্নীতি চলেছে। এই অবস্থায় জেলায় জেলায় বেকারদের ঋণদানকারী সংস্থা টার্গেট করে ঋণ দেয় এবং দেওয়ার পর থেকেই সুদের কিস্তি নিয়ে ব্যাপক চাপ তৈরি করে। এই চাপের কবলেই শক্তিগড়ের গোপালপুর গ্রামে আত্মঘাতী হন প্রৌঢ় দম্পতি। ঠিক এই ভাবেই জেলায় ঋণাদনকারী সংস্থা, অভাবের সংসার গুলিতে ঋণ দিয়ে ঋণের কিস্তি আদায়ের নামে সর্বস্বান্ত করেছে বলে অভিযোগ করছেন এলাকার মানুষ।

    কীভাবে আত্মঘাতী (Purba Bardhaman)

    সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ের (Purba Bardhaman) এই আত্মঘাতী প্রৌঢ় দম্পতির নাম হেমন্ত মালিক এবং রেখা মালিক। ঋণের কারণেই তাঁরা আত্মহত্যা করেন। এই দম্পতির ছোট ছেলে রমেশ মালিক, মায়ের নামে একাধিক ক্ষুদ্র ঋণদানকারী সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু ঠিক মতন কিস্তি দিতে পারছিলেন না। এরপর যুবক স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে অন্যত্র পালিয়ে যান। এরপর ঋণের দায় চাপে মা-বাবার উপর। এই সুদের কিস্তির বোঝা না সামলাতে পেরে আত্মঘাতী হন মা-বাবা।

    এলাকার মানুষের অভিযোগ

    স্থানীয় বাসিন্দা (Purba Bardhaman) সুতপা মণ্ডল ঋণ প্রদানকারী সংস্থা সম্পর্কে বলেন, “এখানে ঋণ পেতে কোনও সরকারি সমবায়ের কাছে যেতে প্রয়োজন হয় না। কোনও কাগজপত্র লাগে না। সরকারি ব্যাঙ্কেও যেতে হয় না। বাড়িতে বসেই ঋণ পাওয়া যায়। কিন্তু সপ্তাহে সপ্তাহে কিস্তি না দিতে পারলে প্রবল চাপ তৈরি করে ঋণ প্রদানকারী সংস্থা গুলি। এই চাপের আত্মঘাতী হয়েছেন ওই দম্পতি”। অভিযোগের সুরে আরও বলেন, প্রয়োজনের সময় রাজ্য সমবায় এবং ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ মেলে না। ঋণ নিতে গেলে থাকে কাগজপত্র জমা করার জটিলতা। তাই এই ঋণ প্রদানকারী গোষ্ঠীদের উপর নির্ভর করতে বাধ্য হয় মানুষ। রাজ্যের সরকারি সমবায় গুলি ভালো ভাবে কাজ করলে, মানুষকে এই রকম ঋণদানের সংস্থার কাছে গিয়ে নিঃশেষ হতে হতো না।

    মৃত দম্পতির পরিবারের বক্তব্য

    মৃত দম্পতির বড় ছেলে সনাতন মালিক বলেন, “ভাই ঋণ নিয়েছিল মায়ের নামে। বুধবারে ঋণ প্রদানকারী সংস্থা থেকে সুদের কিস্তি নিতে আসে। বাবা-মা সারাদিন দুশ্চিন্তায় কিছুই খাননি। রাতে চা খেয়ে শুয়ে পড়েছিলেন। বৃহস্পতিবার তাঁদের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়”।

    উল্লেখ্য প্রশাসন (Purba Bardhaman) সূত্রে জানা গেছে, জেলা জুড়ে ঋণ দেওয়ার নাম করে কিছু সংস্থা জাল বিস্তার করে রয়েছে। ঋণের ফাঁদে গরীব মানুষেরা শিকার হচ্ছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: খুদের বুদ্ধিতে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল আপ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, কী হয়েছিল জানেন?

    Malda: খুদের বুদ্ধিতে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল আপ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, কী হয়েছিল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হলান্ডের ছোট্ট হান্সের কথা মনে আছে। বাড়ি ফেরার পথে নিজের চেষ্টায় একটি বাঁধ রক্ষা করে আস্ত শহরকে রক্ষা করেছিল সে। সেই ছোট্ট হান্সের মতো মালদার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র মুরসালিমের শুধুমাত্র উপস্থিত বুদ্ধির জোরে বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল শিয়ালদহ-শিলচরগামী আপ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে মালদা (Malda) জেলার ভালুকা রোড স্টেশনের অদূরে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Malda)

    মালদার (Malda) ভালুকা রোড স্টেশনের আপ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসটি যে লাইনের উপর দিয়ে আসছে, সেই লাইনের পাশে মাটি সরে গিয়েছে। ট্রেনটি যে অবিলম্বে থামানো জরুরি, না হলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে,কড়িয়ালি বারিনওয়ার মিশন বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র মুরসালিম সেটা বুঝেছিলেন। জানা গিয়েছে, টিউশন পড়়ে সে বাড়ি ফেরার সময় রেললাইনে মাটি সরে যাওয়ার বিষয়টি তার নজরে পড়ে। লাল রং যে বিপদ সংকেত এবং সেটা দেখলে ট্রেন দাঁড়িয়ে, সেকথা আগেই জানত মুরসালিম। তাই সে পরনের লাল গেঞ্জি খুলে সেটি নাড়াতে নাড়াতে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই দুরন্ত গতিতে আসা ওই এক্সপ্রেস ট্রেনের দিকে সে এগিয়ে যায়। দূর থেকে লাল সংকেত দেখে আপ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের চালক এমার্জেন্সি ব্রেক কষে ট্রেনটি মাঝপথে থামিয়ে দেন। তারপর ট্রেন থেকে নেমে ওই স্কুল পড়ুয়ার কথামতো লাইনের দিকে তাকাতেই তিনি দেখতে পান লাইনের পাশে মাটি সরে গিয়েছে।

    কী বললেন রেলের এক আধিকারিক?

    বিষয়টি জানার পরই রেলকর্মীরা ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি ছুটে যান এবং আপ লাইনটি মেরামতি করেন। তারপর আবার ট্রেনটি সুষ্ঠুভাবে গন্তব্যের দিকে রওনা দেয়। রেলের এক আধিকারিক বলেন, ওই স্কুল ছাত্র ট্রেন লাইনের পাশে মাটি সরে যাওয়ার বিষয়টি না দেখতে পেলে যে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। তার ওই সাহসের জন্যই অভিভূত তার পরিবার থেকে প্রতিবেশীরাও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! ঘেরাও অঞ্চল সভাপতি, পঞ্চায়েত সদস্যদের তীব্র বিক্ষোভ  

    Hooghly: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! ঘেরাও অঞ্চল সভাপতি, পঞ্চায়েত সদস্যদের তীব্র বিক্ষোভ  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত অফিসে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান ও অঞ্চল সভাপতিকে ঘেরাও করে তুমুল বিক্ষোভ করল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা। ঘটনা ঘটেছে আরামবাগের গোঘাট এলাকায় (Hooghly)। জানা গেছে, পঞ্চায়েত পরিষেবা পেতে অনুমতি লাগবে স্থানীয় তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি ও তাঁর অনুগামীদের। আর যদি তা না হয়, তাহলে কাজ হবে না! ঠিক এই অভিযোগ খোদ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের সময় পর্ব থেকেই শাসক দলের অন্দরে কোন্দলের কথা বার বার কথা উঠে এসেছে। সরকারি পরিষেবা পেতে গেলে তৃণমূলের নেতাদেরকেও কাটমানি দেওয়ার কথায় সরব হতে দেখা গেছে। এমনকি বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ককে বলতে শোনা গিয়েছিল, এই জেলার তৃণমূল নেতারা টাকা নিয়ে পঞ্চায়েতের টিকিট বিক্রি করেছিলেন! এবার পঞ্চায়েত পরিষেবা পেতে তৃণমূলের কর্মীরাই অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বিক্ষোভ করলেন। আর তাকে সামাল দিতে নামতে হয়েছে পুলিশকে। তৃণমূলের কর্মী ও সদস্যদের পাশাপাশি এই বিক্ষোভে সামিল হন এলাকার সাধারণ মানুষও।

    পঞ্চায়েত সদস্যদের অভিযোগ (Hooghly)

    শুক্রবার তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোঘাটের (Hooghly) কুমারগঞ্জ পঞ্চায়েতে। ওই পঞ্চায়েতের সদস্য ও অন্যান্য তৃণমূলের কর্মীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েতের প্রধান আল্পনা রায় কোনও কিছুই ঠিক মতো পরিষেবা দেন না। পরিষেবা দেওয়ার আগে স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি ও তার অনুগামীদের অনুমতি লাগবে বলে জানান। এমনকি অভিযোগ ওঠে, সব সময় পঞ্চায়েত অফিস দখল করে বসে থাকেন স্থানীয় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সদরু দোজ্জা। পরিষেবা পেতে গেলে টাকা চাওয়া হয় সাধারণ মানুষের কাছে। আর সেই অভিযোগ তুলে, আজ দুপুরে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে জমায়েত হন, বিক্ষুব্ধ তৃণমুল কর্মী ও সদস্যরা। তার পরেই পঞ্চায়েত সদস্যদের গোষ্ঠী, প্রধান ও অঞ্চল সভাপতিকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান।

    প্রধানের এবং অঞ্চল সভাপতির বক্তব্য

    ঘটনায় এলাকার (Hooghly) পঞ্চায়েত প্রধান আল্পনা রায়, তাঁর বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “আমাকেই অপর গোষ্ঠী পঞ্চায়েতে ঢুকতে হেনস্থা করছে”। অন্যদিকে এই ঘটনায় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সদরু দোজ্জা তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে মিথ্যা বলেছেন। তিনি বলেন, “বহিরাগত বেশ কিছু লোক ইচ্ছাকৃত ভাবে গোলমাল করার চেষ্টা করেছিল। তবে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গোঘাট থানার পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Tornado in West Bengal: মাত্র ১০ সেকেন্ডের টর্নেডোতে লন্ডভন্ড সব কিছু! আতঙ্কিত এলাকাবাসী

    Tornado in West Bengal: মাত্র ১০ সেকেন্ডের টর্নেডোতে লন্ডভন্ড সব কিছু! আতঙ্কিত এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় ১০ সেকেন্ডের টর্নেডোতে (Tornado in West Bengal) তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। প্রচণ্ড ঝড়ের দাপটে লন্ডভন্ড গোটা এলাকা। আচমকা এই ঝড়ের দাপটে বহু বাড়ি, গাছপালার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে এখনও কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আবহাওয়া দফতর থেকে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপকে ঘিরে রাজ্যে জারি করা হয়েছে একাধিক সতর্কতা। জেলায় জারি কমলা সতর্কতা। এই জেলার সাধারণ মানুষের মধ্যে তাই তৈরি হয়েছে তীব্র আতঙ্ক।

    কেমন ছিল ঝড়ের তাণ্ডব (Tornado in West Bengal)?

    উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়া থানার অন্তর্গত কুমড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মাত্র ১০ সেকেন্ডের জন্য হয়েছে এই ঝড় (Tornado in West Bengal)। অল্প সময়ের মধ্যে ঝড় এলাকার চালচিত্র বদলে দেয়। তবে এই ঝড়কে টর্নেডো বলবেন কিনা, এই নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে মতভেদ দেখা দিয়েছে। কিন্তু ঝড়ের গতি এবং ব্যাপকতার নিরিখে এই ঝড়, সাইক্লোন বা টর্নেডোর থেকে কম কিছু বলতে নারাজ এলাকার অধিকাংশ মানুষ।

    তীব্রতা কেমন ছিল?

    স্থানীয় সূত্রের জানা গেছে, কাশীপুর পঞ্চায়েত এলাকায় প্রথমে এই ঝড় (Tornado in West Bengal) আছড়ে পড়ে। এরপর ভেঙে পড়ে এলাকার একটি বড় আমগাছ। তবে এলাকার মানুষের বক্তব্য, এই ঝড়ের স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ১০ সেকেন্ড। এর মধ্যেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে, এলাকা থেকে অন্য দিকে সরে যায়। এলাকার মানুষ ঘটনার জেরে তীব্র আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

    স্থানীয় মানুষের বক্তব্য

    স্থানীয় মানুষ জানান, সাময়িক সময়ের জন্য কিছু ভেবেই উঠতে পারছিলেন না তাঁরা। আগে এমন ঝড়ের (Tornado in West Bengal) সম্মুখীন কখনও হননি তাঁরা। সকলে দৈনন্দিন কাজে ব্যস্ত ছিলেন। আচমকা এই ঝড়ের গতি এলাকাকে তোলপাড় করে দেয়। সকলে নিজের নিজের পরিবার এবং নিজেদের বাঁচাতে তৎপর হয়ে ওঠেন। নিরপাদ আশ্রয়ে যেতে শুরু হয় হুড়োহুড়ি। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও আহত বা নিহত হওয়ার খবর মেলেনি।

    আবহাওয়া দফতরের বক্তব্য

    আবহাওয়া দফতরের সূত্রে জানা গেছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে উৎপন্ন নিম্নচাপের কারণে দক্ষিণবঙ্গের জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বেশ কিছু জেলায় ঝড় (Tornado in West Bengal) বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারিও হয়েছে। এই নিন্মচাপ পশ্চিমবঙ্গ ওড়িশা উপকুল থেকে ক্রমশ পশ্চিম-উত্তর দিকে সরে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। 

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share