Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Jaundice: নলকূপের দূষিত জলে ব্যাপক হারে ছড়াচ্ছে জন্ডিস, এক গ্রামেই আক্রান্ত ২৫০!

    Jaundice: নলকূপের দূষিত জলে ব্যাপক হারে ছড়াচ্ছে জন্ডিস, এক গ্রামেই আক্রান্ত ২৫০!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আড়াই মাসে জন্ডিসে (Jaundice) আক্রান্ত আড়াইশো জন। বাড়ছে জন্ডিসের ভয়াবহতা। বাঁকুড়ার তালডারাংরার সাতমৌলি গ্রামে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বর্ষার এই মরশুমে যখন ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগে রাজ্যে মানুষ রোজ আক্রান্ত হচ্ছেন, অনেকে মারাও যাচ্ছেন, ঠিক সেই সময় জন্ডিসের দাপট হু হু করে বাড়ছে বাঁকুড়াতে। জানা গেছে, এক গ্রামেই জন্ডিসে আক্রান্ত ২৫০ জন। জেলা স্বাস্থ্য দফতর এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে।

    কীভাবে জন্ডিসের দাপট (Jaundice)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকার প্রত্যেক ঘরেই জ্বর, পেটের গোলমাল, ব্যথা, বমি ইত্যাদি উপসর্গ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষায় জন্ডিস (Jaundice) ধরা পড়ছে। এরপর জেলার স্বাস্থ্য দফতর ওই বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে। দেখা গেছে এলাকার বেশ কিছু নলকূপ রয়েছে, যেখানে পানীয় জলে জন্ডিসের জীবাণুর খোঁজ পাওয়া গেছে। এরপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে, এই নলকূপগুলির জলকে প্রাথমিক ভাবে জীবাণুমুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর থেকে এলাকার মানুষকে গরম করে জল ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

    জন্ডিস নিয়ে চিকিৎসকের মতামত

    চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই সময় ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো জন্ডিসকেও (Jaundice) গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। এই অসুখ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লিভারের ক্ষতি করে। এই জন্ডিস দুই রকমের হয়। প্রথম হল-হেপাটাইটিস-এ এবং হেপাটাইটিস-ইআই। রোগের উপসর্গের দেখা মিললেই দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

    জন্ডিসের (Jaundice)  লক্ষণ কী?

    রোগীর জন্ডিসের প্রধান লক্ষণগুলি হল-

    হলুদ প্রস্রাব

    চোখে হলদে রং হওয়া

    মাথা ঘোরা

    বমি হওয়া

    জ্বর থাকা

    শরীরে ক্লান্তি ভাব

    পেট ব্যথা হওয়া

    রক্তচাপ কম থাকা

    ওজন হ্রাস পাওয়া

    কীভাবে সাবধানতা অবলম্বন করবেন?

    এই জন্ডিস (Jaundice) মূলত জলবাহিত রোগ। তাই পানীয় জল অন্তত ১০ মিনিট ফুটিয়ে খেতে হবে।

    লিভারের ক্ষতি করে এমন ওষুধ খাওয়া যাবে না।

    পরিশোধিত পানীয় জল ছাড়া অন্য জল খাওয়া যাবে না।

    তেল-মশলা-ঝাল খাবার খাওয়া যাবে না।

    কড়া মাপের অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যাবে না।

    রাস্তার কাটা ফল খাওয়া যাবে না।

    পুকুরের জলে বাসন না ধোয়া।

    পুরোপুরি বিশ্রাম করতে হবে।

    এই রোগের থেকে বাঁচতে জেলার স্বাস্থ্য দফতর বিশেষভাবে সতর্কতা জারি করেছে। কোনও রকম অসুবিধা হলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Visva Bharati University: বিশ্বভারতীতে সংস্কৃত নিয়ে গবেষণা করতে আসা মায়ানমারের ছাত্র অপহৃত?

    Visva Bharati University: বিশ্বভারতীতে সংস্কৃত নিয়ে গবেষণা করতে আসা মায়ানমারের ছাত্র অপহৃত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva Bharati University) সংস্কৃত নিয়ে গবেষণারত মায়ানমারের এক ছাত্রকে অপহরণের অভিযোগ উঠল। যা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা বোলপুর জুড়ে। জানা গিয়েছে, পড়াশোনার জন্য ওই ছাত্র বোলপুর থানার ইন্দিরা পল্লীতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। তবে একা নয় ওই ভাড়া বাড়িতে তাঁর সঙ্গে আরও এক বন্ধু থাকত বলে সূত্রের খবর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ছেলেটির নাম পান্না চারা। বিশ্বভারতীর (Visva Bharati University) সংস্কৃত বিভাগের পিএইচডি স্কলার ছিলেন তিনি।

    সাত-আটজন মিলে ওই ছাত্রকে অপহরণ করে বলে অভিযোগ

    বৃহস্পতিবার বিকেলে সাত আট জন মিলে ওই ছাত্রের খোঁজ করতে শুরু করে এলাকায়। তারপরই তাঁকে তুলে নিয়ে চলে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, অপহৃত ছাত্রের (Visva Bharati University) বন্ধুর ফোন নিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ওই দুষ্কৃতীরা প্রত্যেকেই গাড়ি করে এসেছিল বলে জানা গিয়েছে। ভাড়া বাড়ি থেকেই অপহরণ করা হয় ওই বিদেশি ছাত্রকে। এরপরেই গোটা ঘটনার খবর জানতে পারে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারপর নড়েচড়ে বসে বিশ্বভারতী (Visva Bharati University)।

    তদন্ত শুরু পুলিশের

    বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva Bharati University) তরফ থেকে বোলপুর থানায় ই-মেল মারফত অভিযোগ জানানো হয়। সেই মতো বোলপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে কী কারণে ওই বিদেশী ছাত্রকে অপহরণ করা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। কে বা কারা এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাও জানা যায়নি। প্রসঙ্গত, এদিন ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে সবকিছু খতিয়ে দেখে। প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva Bharati University) অনেক পড়ুয়াযই বোলপুর ও শান্তিনিকেতন এলাকার বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন। এই ঘটনায় তাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এই ঘটনার নেপথ্যে অপহরণ না কি অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

     

    আরও পড়ুুন: পার্থর বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন রাজ্যপালের, ক্রমেই শক্ত হচ্ছে প্রাক্তন মন্ত্রীর দুর্নীতির ফাঁস!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: বিরিয়ানিতে কি রং, বাসি-পচা মাংস? খাদ্য সুরক্ষা দফতরের অভিযানে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    Dakshin Dinajpur: বিরিয়ানিতে কি রং, বাসি-পচা মাংস? খাদ্য সুরক্ষা দফতরের অভিযানে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরিয়ানির কথা শুনলেই ভোজন রসিকদের জিভে জল চলে আসে। এবার এই বিরিয়ানির গুণগত মান এবং তা স্বাস্থ্যসম্মত কতটা, তা যাচাই করতে খাদ্য সুরক্ষা দফতর অভিযান চালিয়েছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে (Dakshin Dinajpur) নিম্নমানের খাবার বিক্রি করার অভিযোগে বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরাঁ এবং খাবারের দোকানে হানা দেয় খাদ্য সুরক্ষা দফতর। এছাড়াও এই অভিযানে ছিল ক্রেতা সুরক্ষা দফতর এবং এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। ওই অভিযানে খাবারের মান নিয়ে উঠে এসেছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। আধিকারিকরা দেখেন, দোকানের ফ্রিজে মজুত করা হয়েছে পচা ভাত। এছাড়াও বাসি-পচা মাংস দিয়েই চলছে রান্না। আবার বিরিয়ানিতে দেওয়া হয়েছে ক্ষতিকর রং। পচা ও নিম্নমানের জিনিসের খোঁজ পাওয়ার পর সেসব নষ্ট করেন দফতরের আধিকারিকরা।

    জেলা প্রশাসনের বক্তব্য (Dakshin Dinajpur)

    দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ক্রেতাদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে খাদ্য সুরক্ষা দফতর এই ধরনের অভিযান শুরু করেছে এবং আগামী দিনে আরও করবে। এই প্রসঙ্গে জেলার ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের সহ অধিকর্তা মনোজিৎ রাহা বলেন, “বালুরঘাটে অনেক দোকানের বিরিয়ানি খাবারের মান এবং পরিচ্ছন্নতার মান সন্তোষজনক নয়। শুধু গুণগত মান নয়, সেই সঙ্গে বাসি খাবারের নমুনাও পাওয়া গেছে”। একই ভাবে জেলার ফুড সেফটি অফিসার দীপক গুরুং বলেন, “খাবারের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও সেই খাবার দোকানে রাখা হয়েছে। এই ভাবে যদি খাবার নিয়ে অবহেলা করা হয়, অভিযান আরও চলবে। প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।

    ব্যবসায়ীদের বক্তব্য

    বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক হরেরাম সাহা বলেন, “যে সমস্ত বিরিয়ানি ব্যবসায়ী ওই ধরনের খাবারের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রেখে ব্যবসা করতে বলা হয়েছে। যদি অনিয়ম করা হয় এবং প্রশাসন যদি ব্যবস্থা গ্রহণ করে, তাহলে আমাদের কিছু করার থাকবে না। আমরা প্রশাসনের ভূমিকাকেই সমর্থন করব।”

    সামনেই পুজো, তাই বিরিয়ানি প্রেমীরা কতটা বিধিসম্মত খাবার খাচ্ছেন, তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন একাংশের মানুষ। অপর দিকে কলকাতা শহর এবং শহরতলিতে যত্রতত্র গজিয়ে উঠছে বিরিয়ানির দোকান। অতিরিক্তি ভিড়ের মধ্যে হোটেল, রেস্তোরাঁ কতটা নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশন করছে, সেই বিষয়েও কি নমুনা সংগ্রহ করে অভিযান চালাবে খাদ্য সুরক্ষা দফতর? সেটাই এখন ভোজন রসিকদের মনে প্রশ্ন!

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Homestays in Darjeeling: পুজোয় গন্তব্য পাহাড়? মমতার সাধের হোমস্টে নিয়ে কিন্তু অভিযোগের অন্ত নেই

    Homestays in Darjeeling: পুজোয় গন্তব্য পাহাড়? মমতার সাধের হোমস্টে নিয়ে কিন্তু অভিযোগের অন্ত নেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাবছেন পাহাড়ের কোলে হোমস্টে’তে (Homestays in Darjeeling) পরিবার নিয়ে পুজোর কটা দিন সুন্দরভাবে কাটাবেন। অনেকে বুকিং সেরেও ফেলেছেন। আবার অনেকে খোঁজখবর করছেন। কিন্তু হোমস্টে’তে আসার পর ধাক্কা খেতে হতে পারে। কারণ পর্যটকরা বারবার অভিযোগ করছেন, অধিকাংশেরই থাকার ব্যবস্থা অস্বাস্থ্যকর, খাবার খুবই সাধারণ। যা দেখে ঘোরার আনন্দটাই মাটি হয়ে গেছে তাঁদের। একবার যাঁরা থেকেছেন, আর হোমস্টে’তে আসছেন না-একথা বলছেন খোদ ট্যুর অপারেটররাও।

    কেন এই অবস্থা?

    ভুক্তভোগীরা বলছেন, পরিকাঠামো উন্নয়নে যথেষ্ট খামতি রয়েছে। রাস্তা ভালো নেই।  হাতের কাছে জরুরি চিকিৎসা পরিষেবাও মেলে না। পাহাড়ের গ্রামীণ এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের নতুন দিশা হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হোমস্টে’কে বড় করে দেখিয়েছিলেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের উদাসীনতা ও নীতি নির্ধারণের দুর্বলতার কারণেই পাহাড়ের হোমস্টে থেকে পর্যটকরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ। কেননা পর্যটকরা প্রত্যাশামতো পরিষেবাও পাচ্ছেন না। থাকার ব্যবস্থা আহামরি নয়। খাবারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ জানিয়ে গিয়েছেন পর্যটকরা।
    ইস্টার্ন হিমালয়ান ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেল অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সন্দীপন ঘোষ বলেন, ভিন রাজ্য ও দেশের পর্যটকরা এখানকার হোম স্টে (Homestays in Darjeeling) থেকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছেন। প্রত্যেকেই পয়সা খরচ করে ঘুরতে আসেন পরিবারকে নিয়ে কয়েকটি দিন রিল্যাক্স করার জন্য। এখানকার হোম স্টেগুলি সেভাবে গড়ে ওঠনি। পরিষেবা সহ সামগ্রিক ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় বাইরের পর্যটকরা আসতে চান না।

    অসুখ আরও গভীরে

    একাধিক হোমস্টে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, কমিউনিটি ট্যুরিজমের অন্যতম কর্তা দেবাশিষ চক্রবর্তী বলেন, ঠিকমতো পরিকাঠামে গড়ে না ওঠায় এখানে হোমস্টে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে। তার মধ্যে কলকাতার একদল হোটেলিয়ার্স লিজ নেওয়ার পর থেকে এখানকার হোমস্টের আরও পতন শুরু হয়েছে। সস্তার বুকিংয়ে (Homestays in Darjeeling) মুনাফা করার জন্য হোটিলিয়ার্সরা যে পর্যকদের এখানে পাঠাচ্ছেন, তাঁরা ইচ্ছেমতো আমোদ-প্রমোদ করে ঘুরে যাচ্ছেন। এতে পাহাড়ের গ্রামীণ এলাকার নিজস্ব সংস্কৃতি, পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। শান্ত নিরীহ গ্রামীণ এলাকার আগামী প্রজন্মের কাছে বিপথগামীতার পথ খুলে দিচ্ছে। এতে হোমস্টে পাহাড়ের গ্রামবাসীদের কাছে আতঙ্কের হয়ে উঠেছে। এব্যাপারে রাজ্য সরকারের কোনও খেয়াল নেই।

    হোমস্টে নিয়ে বিজেপি সাংসদ উদ্বেগে

    দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা বারবার বলে আসছেন,  হোমস্টে (Homestays in Darjeeling) থেকে পাহাড়ের মানুষের কোনও লাভ হয়নি। সম্প্রতি পাহাড়ে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, নিজস্ব সম্পত্তিতে গ্রামের নিরীহ মানুষ কর্মচারী হয়ে কাজ করছেন। কেউ স্বনির্ভর হয়ে ওঠেননি।

    তাহলে বাঁচার পথ?

    সন্দীপন ঘোষ ও দেবাশিষ চক্রবর্তী বলেন, সম্প্রতি সিকিম সরকার বাইরের কাউকে হোমস্টে (Homestays in Darjeeling) লিজ দেওয়া বন্ধ করেছে। এখানেও রাজ্য সরকারকে সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেই সঙ্গে হোমস্টের ঘর ও অন্যান্য ব্যবস্থা আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। খাবারের মানের দিকেও নজর দেওয়া দরকার। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের বিরুদ্ধে ইডির অভিযোগ বহাল রাখল হাইকোর্ট, রইল না তদন্তে বাধা

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের বিরুদ্ধে ইডির অভিযোগ বহাল রাখল হাইকোর্ট, রইল না তদন্তে বাধা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে ইডির করা অভিযোগ খারিজ করল না কলকাতা হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত স্কুল শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় ইডির অভিযোগ বা ইসিআইআর-এর খারিজের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। শুক্রবার এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের পর্যবেক্ষণ, ‘‘তদন্ত চলছে। এই পরিস্থিতিতে ইসিআইআর খারিজের আবেদন অপরিণত অবস্থায় রয়েছে। তাই এই নিয়ে আদালত এখনই কোনও নির্দেশ দেবে না।’’

    বাধা রইল ইডির তদন্তে

    শুক্রবার হাইকোর্টের এই পর্যবেক্ষণের ফলে ইডির তদন্তে আর কোনও বাধা রইল না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রসঙ্গত, এই মামলায় ১৩ সেপ্টেম্বর সল্টলেকের ইডি দফতরে হাজিরা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এর আগে ২১ অগাস্ট প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। সেখানে বাজেয়াপ্ত করা হয় বেশ কিছু নথি। পরবর্তীকালে ২৩ অগাস্ট ইডির প্রেস বিবৃতিতে লিপস অ্যান্ড বাউন্সের সিইও হিসেবে উঠে আসে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের (Abhishek Banerjee) নাম। ইডির এই প্রেস বিবৃতি অনুযায়ী ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত লিপস অ্যান্ড বাউন্সের ডিরেক্টর পদে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র গ্রেফতার হতেই তদন্তে জড়ায় লিপস অ্যান্ড বাউন্স সংস্থার নাম। অভিযোগ, ওই কোম্পানির মাধ্যমেই নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করতেন কালীঘাটের কাকু। এক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলে থাকা তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটেরও হদিস পায় ইডি।

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগেই গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষ। তাঁর চিঠির সূত্র ধরেই উঠে আসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নাম। তৃণমূলের যুবনেতার দাবি ছিল যে অভিষেকের নাম বলার জন্য নাকি তাঁকে চাপ দিচ্ছে ইডি-সিবিআই। পরবর্তীকালে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্যবেক্ষণে বলেন যে প্রয়োজন পড়লে সিবিআই বা ইডি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই একই নির্দেশ পরবর্তীকালে বহাল রাখেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: পরিস্থিতি ভয়াবহ! ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিম মেদিনীপুরে ডেঙ্গিতে মৃত ২

    Paschim Medinipur: পরিস্থিতি ভয়াবহ! ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিম মেদিনীপুরে ডেঙ্গিতে মৃত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল রাজ্যে। এবার পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur) গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে দু;জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এখনও পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত ৪ জন। উল্লেখ্য, মাত্র দু’দিন আগেই দক্ষিণ দমদমের এক সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। বৃষ্টির জমা জলে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ ইতিমধ্যেই ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে রাজ্যে। অন্যদিকে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভাগুলির স্বাস্থ্য বিভাগের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন এলাকার মানুষ। ঠিকমতো মশা মারার স্প্রে, তেল এবং জঞ্জাল পরিষ্কার করছে না পুরসভা। পুরসভার চেয়ারপার্সনও মেনে নিয়েছেন, নিযুক্ত কর্মীরা ঠিক করে সাফাইয়ের কাজ করছেন না। নজর রাখছেন না এলাকার কাউন্সিলাররাও।

    গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গিতে মৃত ২ (Paschim Medinipur)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত চারদিন ধরে জ্বর নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন খড়্গপুর শহরের খরিদা বাঙালপাড়া এলাকার রুনিতা মল্লিক নামে এক গৃহবধূ। অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এরপর শুক্রবার ভোরে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। সেই সঙ্গে বৃহস্পতিবারেই ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালেও মৃত্যু হয়েছে আরও এক ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর। জেলায় ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যুর ঘটনায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যকর্তারা। এলাকায় ডেঙ্গির আতঙ্কে সাধারণ মানুষের জনজীবন এখন দুর্বিপাকে। রোগীর আত্মীয়রা অভিযোগ তুলছেন পুরসভার বিরুদ্ধে। এদিকে ডেঙ্গি মৃত্যুর ঘটনায়, শুক্রবার সকালেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পরিছন্নতা খতিয়ে দেখতে আসেন মেদিনীপুর পুরসভার পৌর প্রধান সৌমেন খান সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা।

    পুরসভার বক্তব্য

    খড়্গপুর পুরসভার (Paschim Medinipur) চেয়ারপার্সন কল্যাণী ঘোষ মৃত্যুর কথা স্বীকার করে বলেন, “ডেঙ্গির মৃত্যুর ঘটনা দুঃখজনক। প্রত্যেক পাড়ায় পাড়ায় স্প্রে করার জন্য লোক নিয়েছি আমরা। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডেঙ্গি প্রতিরোধে সব সময় কাজ করছি। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে লোক দেওয়াও হয়েছে। মশা মারার জন্য স্প্রে করার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কিন্তু যাঁদের স্প্রে করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অনেকেই ঠিক মতো কাজ করছেন না। এলাকার কাউন্সিলাররাও এই বিষয়ে ঠিকঠাক নজর রাখছেন না।”

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Smuggling: এ যেন পাচারের স্বর্গরাজ্য! গরু, কয়লার পর এবার মালবোঝাই লরিতে  ১২ কোটির হেরোইন

    Smuggling: এ যেন পাচারের স্বর্গরাজ্য! গরু, কয়লার পর এবার মালবোঝাই লরিতে ১২ কোটির হেরোইন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রফতানির আড়ালে কোটি কোটি টাকার হেরোইন পাচার (Smuggling) হিলি সীমান্তে। বিএসএফের গোপন খবরে দাঁড়িয়ে থাকা মালবোঝাই লরি থেকে উদ্ধার প্রায় ১২ কোটি টাকার হেরোইন। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি সীমান্ত এলাকায়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েক লক্ষ টাকার ইয়াবা ট্যাবলেটও। যদিও এই ঘটনায় গাড়ির মালিক বা চালক কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি বিএসএফ। গরু ও কয়লা পাচারে সাড়া ফেলে দেওয়া রাজ্যে এও এক নতুন ঘটনা।  

    সক্রিয় সীমান্তের কুখ্যাত পাচারকারীরা (Smuggling)

    ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্রের অন্যতম স্থলবন্দর হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি। যে স্থলবন্দরটি আমদানি ও রফতানির অছিলায় মাদক পাচারের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। কেন্দ্র ও রাজ্য প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে যেখান দিয়ে মাদক পাচার করছে সীমান্তের কুখ্যাত পাচারকারীরা (Smuggling)। নিত্যদিনই সামনে আসছে সেই কুখ্যাত কারবারীদের কর্মকাণ্ড। লরি চালক ও মালিকদের দিকে এক্ষেত্রে বরাবরই রফতানিকারকরা আঙুল তুললেও এর পিছনে যে হিলির বেশ কিছু কুখ্যাত পাচারকারীর রয়েছে, এদিনের ঘটনা তা যেন আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। যদিও এক্ষেত্রে পাচারকারীরা নিজেদের পরিচিত নামকে উহ্য রেখে কখনও লঙ্কা, ছোটকা, লেবু, লবণ এমন সব কোড নাম ব্যবহার করে থাকে। তাদের মদতেই মোটা টাকার বিনিময়ে একাজে যুক্ত হন লরি চালক ও মালিকরা। গত শনিবার বাংলাদেশে খইল বোঝাই ট্রাক থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিপল পরিমাণ হেরোইন,যার বাজার মূল্য প্রায় ১২ কোটি টাকা বলে দাবি করেছে বিএসএফ।

    লরির চালকের কেবিনেই ১২ কোটির মাদক

    পুলিশ ও বিএসএফ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার হিলির বিপ্লবী সঙ্ঘ পুজো মণ্ডপের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ভুষি বোঝাই লরিতে গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালান ৬১ নম্বর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা। যেখানে পৌঁছে গাড়ির চালকের কেবিনে তল্লাশি চালাতেই মেলে সাফল্য। উদ্ধার হয় ২২ প্যাকেট হেরোইন ও ৫ প্যাকেট ইয়াবা ট্যাবলেট। প্রায় আড়াই কেজি ওজনের ওই হেরোইনের বাজার মূল্য ১২ কোটি টাকা বলে দাবি করেছে বিএসএফ। এদিন এই ঘটনাকে ঘিরে হইচই পরিস্থিতি তৈরি হয় সীমান্ত এলাকায়। যদিও এই ঘটনায় লরির চালক বা মালিক কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি বিএসএফ। ঘটনার পর থেকেই হিলির হাড়িপুকুরের বাসিন্দা তথা লরির মালিক অশোক মণ্ডল পলাতক। যদিও পরবর্তীতে উদ্ধার হওয়া ওই বিপুল পরিমাণ হেরোইন ও ইয়াবা ট্যাবলেটগুলি (Smuggling) পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ।

    পুলিশ অন্ধকারে

    ঘটনা নিয়ে বিএসএফের তরফে তেমন কিছু বলতে চাওয়া না হলেও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল জানিয়েছেন, হিলিতে এধরনের একটি খবর (Smuggling) পেয়েছেন। পুলিশের হাতে বিষয়টি তুলে দেওয়া হলে তাঁরা এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করবেন।।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: শোচনীয় পরিস্থিতি! হাসপাতালে সেন্ট্রাল প্যাথলজির উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, এখনও চালুই হল না

    Nadia: শোচনীয় পরিস্থিতি! হাসপাতালে সেন্ট্রাল প্যাথলজির উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, এখনও চালুই হল না

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ৩ অগাস্ট নদিয়ার শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে সেন্ট্রাল প্যাথলজির উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে এক ছাদের নিচেই সমস্ত রকম পরিষেবা পাওয়ার কথা ছিল রোগীদের। কিন্তু প্রায় দুই মাস অতিক্রান্ত হতে চলল, এখনও তা চালুই হয়নি। ভোট এলে মানুষকে বোকা বানানোর পদ্ধতি মুখ্যমন্ত্রীর! এভাবেই একে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।

    কেন এই উদ্যোগ?

    বছরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে অচল পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ ওঠে। রোগীর আত্মীয়রা কখনও কখনও অভিযোগ তোলেন, বিনা পরিষেবায় তাঁদের রোগীর মৃত্যু ঘটেছে। আবার বিভিন্ন হাসপাতালে দেখা যায় বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ছবি। এবার মূলত সেইসব অভিযোগের ভিত্তিতে যাতে স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল ফেরানো যায় এবং সাধারণ মানুষ আরও উন্নত পরিষেবা পেতে পারেন, সেই উদ্যোগ নিয়েই গত অগাস্ট মাসের ৩ তারিখে মুখ্যমন্ত্রী নিজে নদিয়ার কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে একটি সেন্ট্রাল প্যাথলজির উদ্বোধন করেন। যার মূল উদ্দেশ্য ছিল কোন রোগী যাতে পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হয়। শুধু তাই নয়, যে কোনও পরিষেবা পেতে অন্য হাসপাতালে যেন ছুটতে না হয়। সেদিনে তাঁর উদ্বোধনকে সাধুবাদ জানিয়েছিল বিরোধীরাও। কিন্তু প্রায় দুই মাস অতিক্রান্ত হতে চলল, এখনও উদ্বোধন হলেও চালু হল না পরিষেবা। যা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন করতে শুরু করেছে।

    এসব কাটমানিরই খেলা, বলছে বিজেপি

    এ বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে কৃষ্ণনগর উত্তর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি মিডিয়া কনভেনর সন্দীপ মজুমদার বলেন, ভোট বৈতরণী পার হবার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা করেন। তিনি ঘোষণা করেছিলেন একই ছাদের তলায় বিভিন্ন চিকিৎসা সংক্রান্ত পরিষেবা মানুষ পাবেন। সেরকম একটি উদ্যোগ ধুমধাম করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেটা উদ্বোধন হওয়ার পর এখনও বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এটা শুধু মানুষকে দেখানো আমরা কাজ করছি এবং রাজ্য সরকার কাজ করছে। মমতা ব্যানার্জি বিভিন্ন প্রকাশ্য সভায় বলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পৃথিবীর সব থেকে উন্নত। আমরা সেই উন্নতর নমুনা পাচ্ছি, কোথাও বিনা চিকিৎসায় রোগী মারা যাচ্ছে আবার কোথাও নার্স এবং ডাক্তাররা নিগৃহীত হচ্ছেন। একটা অরাজকতার পরিস্থিতি গোটা পশ্চিমবাংলা জুড়ে চলছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গে তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আর তার অপদার্থতা দিন দিন প্রকাশ পাচ্ছে। এটা আর কিছুই নয়, উদ্বোধন করা মানে জনগণের ট্যাক্সের লক্ষ লক্ষ টাকার একটা অংশ কাটমানিতে চলে যাওয়া। পাশাপাশি তিনি বলেন, আমরাও চাই এই ধরনের উদ্যোগ যাতে বাস্তবায়িত হয় এবং সাধারণ মানুষ ঠিকঠাক পরিষেবা পায়।

    কবে চালু হবে, উত্তর মিলল না

    এ বিষয়ে নদীয়া জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতিষচন্দ্র দাস বলেন, ওই প্রকল্পটির পরিকাঠামো গত কাজ চলছে। খুব শীঘ্রই চালু হবে পরিষেবা। তবে বিস্তারিত বিষয়টি হাসপাতালে সুপার জানাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: কোনও উপসর্গ নেই, অথচ প্লেটলেট হু হু করে নেমে যাচ্ছে? রাজ্যে ডেঙ্গির নয়া আতঙ্কে সাবধান!

    Dengue: কোনও উপসর্গ নেই, অথচ প্লেটলেট হু হু করে নেমে যাচ্ছে? রাজ্যে ডেঙ্গির নয়া আতঙ্কে সাবধান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গির (Dengue) দাপট ক্রমশ বাড়ছে। এক সপ্তাহে তিন হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রেই পরিচিত উপসর্গ জানান দিচ্ছে না। আর তার ফলেই দেখা দিচ্ছে বিপত্তি! তাই ডেঙ্গি রুখতে নয়া নিদান দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    কী নতুন সমস্যা হচ্ছে? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি (Dengue) হলে এখন অনেক ক্ষেত্রে পরিচিত উপসর্গ দেখা দিচ্ছে না। জ্বর, সর্দি-কাশি, বমি, মাথার যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে দেহের তাপমাত্রাও বিশেষ বাড়ছে না। বমি কিংবা মাথাব্যথার মতো উপসর্গ নেই। কিন্তু হঠাৎ জ্ঞান হারাচ্ছেন রোগী। পরিচিতদের চিনতে অসুবিধা হচ্ছে। কিংবা মলত্যাগ করতে গিয়ে রক্তপাত হচ্ছে। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরে রক্ত পরীক্ষা করে জানা যাচ্ছে প্লেটলেট কয়েক হাজারে নেমে যাচ্ছে। পরিস্থিতি অনেকটাই বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। আর এই উপসর্গহীন রোগীদের নিজেদের বিপদ যতখানি বাড়ছে, ততটাই বিপদ বাড়ছে অন্যদের। কারণ, এই রোগীদের থেকে অজান্তেই অন্যদের ডেঙ্গি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।

    নয়া বিপদ কাটাতে কী উপায় বলছেন বিশেষজ্ঞ মহল? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উপসর্গহীন রোগীদের দ্রুত চিহ্নিত করা জরুরি। তাই রক্ত পরীক্ষা জরুরি। তাদের পরামর্শ, সর্দি-কাশি কিংবা দেহের তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও রক্ত পরীক্ষা জরুরি। বিশেষত, উত্তর চব্বিশ পরগনা, কলকাতা, নদিয়ার মতো জেলায় ডেঙ্গির (Dengue) দাপট উর্ধ্বগামী। তাই এই সব এলাকার মানুষের বিশেষ সতর্কতা জরুরি। আর সেই জন্য রক্ত পরীক্ষা আবশ্যক বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যেসব এলাকা ডেঙ্গিপ্রবণ, সেখানে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে। আর সেই জন্য দেহের তাপমাত্রা বাড়লে, সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিলেই রক্ত পরীক্ষা জরুরি।

    কী বলছেন স্বাস্থ্যকর্তারা? 

    স্বাস্থ্য দফতর অবশ্য রক্ত পরীক্ষা নিয়ে আগের অবস্থানেই অনড়। তারা জানাচ্ছে, অনাবশ্যক আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। তিন দিনের বেশি জ্বর থাকলে, বমি, মাথার যন্ত্রণার মতো উপসর্গ থাকলে তবেই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্ত পরীক্ষা জরুরি। অনাবশ্যক রক্ত পরীক্ষা ডেঙ্গি পরীক্ষার কিটের ঘাটতি তৈরি করবে। কিন্তু স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ এই নীতি মানতে নারাজ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্বাস্থ্য কর্তা বলেন, রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়াবহ। কয়েকটি জেলায় পরিস্থিতি (Dengue) যথেষ্ট উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বরের শেষে আরও কয়েক হাজার মানুষ নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত হবেন, এমন আশঙ্কাও করা যেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আরও কঠিন হয়ে উঠবে। তাই আগে থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। উপসর্গহীন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আর এই উপসর্গহীন রোগীদের নিয়েই নয়া বিপদ তৈরি হচ্ছে। তাই রোগ নির্ণয় সবচেয়ে বেশি জরুরি। তাই সামান্য জ্বর কিংবা সর্দি-কাশিকে একেবারেই অবহেলা করা যাবে না। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mandarmani: মন্দারমণিতে অবশেষে যুবতী খুনের কিনারা, গ্রেফতার ২

    Mandarmani: মন্দারমণিতে অবশেষে যুবতী খুনের কিনারা, গ্রেফতার ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই মন্দারমণির (Mandarmani) সমুদ্রের ধারে এক যুবতীর অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। পরে, জানা যায় ওই যুবতীর নাম লাবনী দাস। তাঁর বাড়ি নদিয়ার তাহেরপুর। কিন্তু, তাঁকে খুন করা হল তা জানা যায়নি। এবার সেই খুনের ঘটনায় অবশেষে রহস্য ভেদ হল। জানা গিয়েছে, ওই যুবতীর দিদির দেওর প্রলয় দাসই এই খুনের মূল চক্রী। ইতিমধ্যে পুলিশ এই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছে। প্রলয়ের এক বন্ধু মনোজ গোস্বামী এই খুনে সাহায্য করেছিল। তাই পুলিশ তাকেও গ্রেফতার করেছে। প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েই মর্মান্তিক পরিণতি। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, এই ঘটনায় আর কারা জড়িত রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    কেন ওই যুবতীকে খুন করা হল? (Mandarmani)

    পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লাবনী দাস কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তাঁর দিদির বিয়ে হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুরে। পরিবারের পাশে আর্থিকভাবে দাঁড়াতে সোদপুরে একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতে যেতেন লাবণী। সেই জন্য দিদির বাড়িতেও প্রায়শই যাতায়াত ছিল তাঁর। ওই যাতায়াতের ফলেই দিদির দেওর প্রলয় দাসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন লাবণী। কলকাতায় এক অ্যাপ ক্যাব সংস্থায় চালক হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিল প্রলয়। সেই কারণে দমদমে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকত সে। প্ৰায় প্রতি শুক্রবারই বিউটি পার্লারে কাজ শেখার নাম করে দমদমে প্রলয়ের সেই ভাড়া বাড়িতে যাতায়াত করতেন লাবণী। সেই সময় প্রলয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন লাবনী। লাবনীর পাশাপাশি অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে প্রলয় প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানতে পেরে প্রথমে লাবনী বিয়ের জন্য চাপ দেন। পরে, তারসঙ্গে অশান্তি শুরু করে। পথের কাঁটা সরাতে মন্দারমণি (Mandarmani) এলাকায় তাপস জানা নামে এক বন্ধুর সাহায্য নেয় প্রলয়। এরপর লাবনীকে নিয়ে সোজা মন্দারমণি যান লাবনী। তারপর সেখানে শ্বাসরোধ করে লাবণীকে খুন করে বলে অভিযোগ। তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ সমুদ্র সৈকতে ফেলে দেওয়া হয়। তাপস এই কাজে প্রলয়কে সাহায্য করেছিল। ঘটনার পর থেকে সে উধাও।

    কী বললেন মৃতার দিদি?

    এই বিষয়ে মৃতার দিদি বলেন, দেওরের সঙ্গে বোনের সম্পর্কের বিষয়টি আমরা জানতাম না। তবে, এভাবে বোনকে খুন করার বিষয়টি মেনে নিতে পারছি না। অভিযুক্তের কড়া শাস্তি দাবি করছি। দেওর ছাড়াও আমার বোনকে খুন করার পিছনে যারা রয়েছে তাদের প্রত্যেকের কঠোর শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share