Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Arms Factory: দুই কামরার বাড়ির পুরোটাই অস্ত্র কারখানা! চক্ষু চড়কগাছ পুলিশেরই!

    Arms Factory: দুই কামরার বাড়ির পুরোটাই অস্ত্র কারখানা! চক্ষু চড়কগাছ পুলিশেরই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করতে এসে শিকার ধরা পড়ল জালে। পুলিশের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করতে এসে ধরা পড়ল দুষ্কৃতী। এরপর সূত্র ধরে, জয়নগরে দুই কামরার ঘরে মিলেছে অবৈধ বিশাল অস্ত্রের কারখানার (Arms Factory) হদিশ। পুকুরের মধ্যে লুকানো ছিল বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র। বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করতে এসে পুলিশ নিজেই হতবাক। এতো অস্ত্র! তদন্তকারী অফিসারের চক্ষু চড়কগাছ। বাড়ির মালিকের নাম রহমতুল্লা শেখ। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

    অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের ভূমিকা (Arms Factory)

    গোপন সূত্রে পুলিশ আগেই খবর পেয়েছিল এই অস্ত্র কারখানার (Arms Factory) সম্পর্কে। সময় বুঝে বারুইপুর থানার পুলিশের এসওজি, জয়নগর থানা এবং বকুলতলা থানার পুলিশ একত্রিত হয়ে অভিযান চালায়। পুলিশ নিজের পরিচয় আত্মগোপন করে প্রথমে অস্ত্র কেনার জন্য ক্রেতা হিসাবে কারখানার মালিকের কাছে যায়। এরপর টাকা নিয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালের সামনে যেতে বলে অস্ত্র কারবারীকে। ঠিক সন্ধ্যা ৬ টার সময় মাল দেওয়ার কথা হয়। এরপর পুলিশ এলাকায় অনেক সময় অপেক্ষা করে তাকে গ্রেফতার করে।

    কী কী উদ্ধার হল?

    ধৃত কারখানার (Arms Factory) মালিক রহমতুল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, পুলিশ তার বাড়িতে গিয়ে অস্ত্র কারখানা থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করে। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৮ টি ওয়ান শটার বন্দুক, দুটো লং পাইপ। অস্ত্র তৈরির পালিশ মেশিন, ড্রিল মেশিন, ডাইস, ফাইল, করাত, হ্যাক্সো, বাটালি, হাতুড়ি, লোহার পাইপ ইত্যাদি উদ্ধার হয়। এই সব সরঞ্জাম দিয়ে অস্ত্র তৈরি করা হত বলে জানা গেছে। এই প্রসঙ্গে আরও জানা গেছে, ধৃত ব্যাক্তি নিজের সন্তান এবং স্ত্রীকে নিয়ে এই বাড়িতেই বসবাস করতেন।

    পুলিশের বক্তব্য

    বারুইপুর থানার পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি বলেন, “গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এই অপারেশন করা হয়েছে। অবৈধ অস্ত্র কারখানা থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অনেক দিন ধরেই আমরা এই অভিযুক্তকে নজরে রেখেছিলাম। তবে এই ধৃত ব্যক্তির পিছনে কোনও রাজনৈতিক যোগসূত্র রয়েছে কিনা, এই বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। তদন্ত আরও এগোলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nimta: তোলা না দেওয়ায় নিমতায় নির্মীয়মাণ বহুতলে হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Nimta: তোলা না দেওয়ায় নিমতায় নির্মীয়মাণ বহুতলে হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রোমোটারের কাছে তোলা না পেয়ে তাঁর নির্মীয়মান বহুতলে তাণ্ডব চালানোর  অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নিমতা (Nimta) থানার বিরাটি এলাকায়। নির্মাণ শ্রমিকদের হুমকি,অস্থায়ী ঘর, সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন প্রোমোটার। নির্মীয়মাণ বহুতলে হামলার পাশাপাশি নগদ ৯৮ হজার টাকা লুটেরও অভিযোগ তোলা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nimta)

    নিমতার (Nimta) বিরাটির এমবি রোডের ধারে রাহুল বাড়ুই নামে এক প্রোমোটার বহুতল তৈরি করছেন। সাত বছর আগে এই বহুতল তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। অভিযোগ, তৃণমূল নেতা স্বপন হালদার অর্থাৎ বর্তমানে উত্তর দমদম পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার শেলি হালদারের স্বামীর ওই প্রোমোটারের কাছে তোলা চান। তোলা না পাওয়ায় এনিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে গন্ডগোল চলছিল। একবার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপরেও বছর দু’য়েক আগে এই বহুতলের কাজ শুরু হয়। এরমধ্যে ফের তোলা চাওয়া নিয়ে প্রোমোটারের সঙ্গে ওই তৃণমূল নেতার গন্ডগোল হয়। এরপর ছয়- সাতজন দুষ্কৃতী এসে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। বহুতলের অফিসঘর ভাঙচুর করা হয়। বেশ কয়েকটি সিসি টিভি ছিল তা ভাঙচুর করে এবং সিসি টিভির হার্ডডিস্ক পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কিছু নগদ টাকা ছিল। তাও লুঠ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সমস্ত ঘটনা জানিয়ে ওই প্রোমোটার নিমতা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    কী বললেন প্রোমোটার?

    প্রোমোটার রাহুল বাড়ুই বলেন, বিরাটি সিদ্ধেশ্বরী বাজার এমবি রোডের ধারে এই নির্মীয়মাণ বহুতল। উত্তর দমদম পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের স্বামী স্বপন হালদারের লোকজন এসে নির্মাণ শ্রমিকদের হুমকি দেয়। ভাঙচুরের পাশাপাশি শ্রমিকদের টাকা মেটানোর জন্য অফিসে ৯৮ হাজার টাকা নগদ মজুত ছিল, তাও লুট করা হয়েছে। নিমতা (Nimta) থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে প্রোমোটারের সঙ্গে স্থানীয় ওই তৃণমূল নেতার গন্ডগোল চলছে।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ক্যামেরার সামনে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। কিন্তু, খোদ দলীয় কাউন্সিলারের স্বামীর বিরুদ্ধে তোলা চাওয়ার অভিযোগ, পাশাপাশি নির্মীয়মাণ বহুতলে ভাঙচুরের ঘটনায় অস্বস্তিতে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বলেন, প্রোমোটার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আইন আইনের পথে চলবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: ছাত্রকে ‘মানসিক র‍্যাগিং’! অভিযুক্ত দুই অধ্যাপক, তীব্র চাঞ্চল্য রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে

    Uttar Dinajpur: ছাত্রকে ‘মানসিক র‍্যাগিং’! অভিযুক্ত দুই অধ্যাপক, তীব্র চাঞ্চল্য রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে এক ছাত্রকে মানসিকভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠল রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে (Uttar Dinajpur)। মূল অভিযোগ এক অধ্যাপক ও অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত গত অগাস্ট মাস থেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্রের র‍্যাগিংয়ে মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র তোলপাড় শুরু হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় শিক্ষাবিদ থেকে ছাত্র-ছাত্রী, গবেষক অধ্যাপিকা, রাজনৈতিক নেতা এমনকি রাজ্যপালকেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা গেছে। ফের র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে উত্তরবঙ্গের রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে।

    র‍্যাগিংয়ের কী অভিযোগ ছাত্রের (Uttar Dinajpur)?

    র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ করেন কিষাণ বর্মন নামে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Uttar Dinajpur) তৃতীয় বর্ষের ইংরেজি বিভাগের এক ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক এবং এক অধ্যাপিকার নামে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন তিনি। কিষাণ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ঠিকমত ক্লাস হচ্ছে না। বিশেষ করে সান্ধ্যকালীন সময়ে ক্লাস বেশির ভাগ সময়ে বন্ধ থাকে।” সম্প্রতি এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলেন কিষাণ। আর তার পর থেকেই ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. সংযুক্তা চ্যাটার্জি, অধ্যাপক ড. নির্ঝর সরকার এবং একাংশ গবেষক তাঁকে প্রায়ই ক্লাস থেকে বের করে দিতেন। সেই সঙ্গে অকারণেই ক্লাসে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করতেন বলে অভিযোগ। এই মানসিক নির্যাতনের প্রেক্ষিতে কিষাণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।

    গঠিত হয়েছে তদন্ত কমিটি

    র‍্যাগিংয়ের এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দফতর এবং জেলা প্রশাসনের (Uttar Dinajpur) অনুরোধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে । যার চেয়ারম্যান করা হয়েছে কলা বিভাগের ডিন অধ্যাপক প্রশান্ত মাহালাকে। এই বিষয়ে মঙ্গলবার একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এদিনের বৈঠকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় বলে সূত্রের খবর। এদিকে এই নবগঠিত কমিটি এই ঘটনায় জোর তদন্ত শুরু করেছে। এই তদন্ত শেষে রিপোর্ট পাঠানো হবে জেলা অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দফতর, জেলা প্রশাসন ও রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরের কাছে।

    অভিযুক্ত অধ্যাপকের বক্তব্য

    যদিও ছাত্রের মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ মানতে নারাজ অভিযুক্ত বিভাগীয় প্রধান ড. সংযুক্তা চ্যাটার্জি । তিনি বলেন, “সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। তদন্ত বৈঠকে সবাইকে ডাকা হয়েছিল, সেখানে সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি তদন্ত কমিটিকে সহযোগিতাও করেছি আমি। কার্যত মিথ্যা অভিযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয়কে (Uttar Dinajpur) কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।” পাশাপাশি বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ হওয়ায় আর বিশেষ কিছু বলতে চাননি।

    বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    অপরদিকে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ড. দুর্লভ সরকার বলেন, “নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন উপাচার্য। সেই তদন্ত কমিটি সামগ্রিক পরিস্থিতি এবং অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। সব পক্ষকে ডেকেই তদন্ত কমিটি বিষয়টি জানার চেষ্টা করছে।” প্রসঙ্গত, আগামী ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশ করার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন (Uttar Dinajpur)।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: আরামবাগে বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Arambagh: আরামবাগে বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:বিজেপি কর্মীর বাড়িতে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের (Arambagh) খানাকুল-১ নম্বর ব্লকের অরুণ্ডা গ্রামে। তৃণমূলের হামলায় ৪ জন বিজেপি কর্মী জখম হন। তাঁদের উদ্ধার করে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Arambagh)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে এলাকায় বিজেপি কর্মীদের উদ্যোগে একটা খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। বিজেপি সমর্থকদের অভিযোগ, আচমকা তৃণমূলের ৩০ থেকে ৪০ জন কর্মী তাঁদের বাড়িতে এসে ভাঙচুর চালায়। মারধরও করা হয়। এমনকী বাড়িতে থাকা টাকা-সোনাও লুট করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় জখম হন বিজেপির দুই মহিলা ও দুই পুরুষ। এরপর পরিবারের লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে আরামবাগ (Arambagh) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে। প্রসঙ্গত, গত ২৯ অগাস্ট অরুণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতে স্থায়ী সমিতি গঠনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল গোটা এলাকায়। রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল অরুণ্ডা গ্রাম। সূত্রের খবর, চলেছিল গুলি। দেদার বোমাবাজি ও হয়। অনেক বাড়িতে ভাঙচুর চলে, পঞ্চায়েত ভবনে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল আগুনও। পুলিশের গাড়িতেও চলে ভাঙচুর। পুলিশের চারটি বাইক জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ১৯ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে থমেথমে ছিল গোটা এলাকা। এরমধ্যে ফের তৃণমূল তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    যদিও তৃণমূলের বিরুদ্ধেই স্পষ্ট অভিযোগ আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তথা পুড়শুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষের। তিনি বলছেন, তৃণমূল ও পুলিশ উভয়েই অরুণ্ডাতে বিজেপি সমর্থকদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে। আমরা প্রশাসনকে জানাব।  সুরাহা না হলে আদালত পর্যন্ত যাব।

    হামলা প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী সমস্ত অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, এটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। মারধর লুটপাট এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। কোন্দল ঢাকতে ওরা আমাদের দলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ragging: যাদবপুরের পর এবার বসিরহাটের স্কুল হস্টেলে র‍্যাগিং! পালিয়ে গেল তিন স্কুল পড়ুয়া

    Ragging: যাদবপুরের পর এবার বসিরহাটের স্কুল হস্টেলে র‍্যাগিং! পালিয়ে গেল তিন স্কুল পড়ুয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিংয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। ফের র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় তোলপাড় শিক্ষামহল। এবার ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট। সিনিয়র দাদাদের র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে স্কুলের হস্টেল থেকে পালিয়ে গেল তিন ছাত্র। মঙ্গলবার দেগঙ্গা থানার পুলিশ তাদের উদ্ধার করে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির হাতে তুলে দিয়েছে। এর আগেও এই জেলায় বনগাঁ মহকুমায় একটি হস্টেল থেকে সিনিয়রদের র‍্যাগিংয়ে এক স্কুল পড়ুয়া গভীর রাতে হস্টেলের পাঁচিল টপকে বাড়ি পালিয়ে যায়। ফের দেগঙ্গায় একই ঘটনা ঘটায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বেলা একটা নাগাদ দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা বাজারে স্কুলের পোশাকে তিন ছাত্রকে উদ্দেশ্যহীন  ঘোরাঘুরি করতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ছাত্রদের পড়নে যে স্কুলড্রেস ছিল, তা এলাকার কোনও স্কুলের নয়। তাই, স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাদের একটি দোকানে বসিয়ে রাখেন। এরপরই তাঁরা থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে দেগঙ্গা থানার পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। উদ্ধার হওয়া পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, তারা তিনজন  মাটিয়া থানার বেলে ধান্যকুড়িয়া হাইস্কুলের ছাত্র। দুজন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। অন্যজন ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। একজনের বাড়ি হাবড়া ও অন্য দুই ছাত্রের বাড়ি নদিয়া জেলার কল্যাণী ও শান্তিপুরে। তারা হস্টেলে থেকেই পড়াশোনা করত। তিন পড়ুয়ার অভিযোগ, হস্টেলের সিনিয়র দাদারা তাদের মারধর করে। নানা অত্যাচার করে। হস্টেলে থাকতে পাচ্ছিলাম না। তাই, তারা হস্টেল ছেড়ে পালিয়েছিল।

    পুলিশ প্রশাসন কী পদক্ষেপ গ্রহণ করল?

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল পর্যন্ত থানায় র‍্যাগিংয়ের কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। ওই তিন ছাত্রের অভিভাবকদের খবর দেওয়া হয়েছে। আপাতত উদ্ধার হওয়া তিন ছাত্রকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিশনের হেফাজতে রাখা হয়েছে। অভিভাবকরা আসার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যাদবপুরের ঘটনার পর ফের র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ ঘিরে বিভিন্ন মহলে উঠেছে। বিশেষ করে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: নদিয়ায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু, জেলায় কতজন আক্রান্ত জানেন?

    Nadia: নদিয়ায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু, জেলায় কতজন আক্রান্ত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ায় (Nadia) ডেঙ্গিতে লাগাম টানতে পারেনি স্বাস্থ্য দফতর। জেলায় হু হু করে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এর আগে রানাঘাটে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। এবার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল কলেজ ছাত্রীর। কলেজ ছাত্রীর নাম সুস্মিতা মণ্ডল। তাঁর বয়স কুড়ি বছর। রানাঘাট কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তাঁর বাড়ি শান্তিপুর থানার পুলতা গ্রামে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন ওই কলেজ ছাত্রী। তাঁকে প্রথমে হবিবপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে। ছাত্রীর পরিবারের লোকজন ভালো চিকিৎসার জন্য তাঁকে রানাঘাটে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করেন। তারপর থেকেই শুরু হয় চিকিৎসার গাফিলতি। যখন পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হয় তখন ওই কলেজ ছাত্রীকে নার্সিংহোম থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে পরিবারের পরিজনেরা তাঁকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা সাফ জানিয়ে দেন, চিকিৎসার গাফিলতির জন্যই ওই ছাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়েছে। সোমবার রাতে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হলেও কিছুক্ষণ পরই মৃত্যু হয় ওই কলেজ ছাত্রীর। শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা গ্রামে। রানাঘাটের ওই  নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। আবারও কলেজ ছাত্রীর মৃত্যুতে একাধিক প্রশ্ন চিহ্নের মুখে রানাঘাটের ওই বেসরকারি নার্সিংহোম।

    নদিয়া (Nadia) জেলায় ডেঙ্গিতে কতজন আক্রান্ত?

    নদিয়া (Nadia) জেলায় হু হু করে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত, পুরসভার পক্ষ থেকে কোনও উদ্যোগই চোখে পড়ছে না বলে জেলার বাসিন্দাদের অভিযোগ। এখনও পর্যন্ত জেলায় প্রায় ৪ হাজার জন আক্রান্ত রয়েছেন। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, অনেকেই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। অনেকের জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের বক্তব্য, ডেঙ্গি মোকাবিলায় সবরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: রানিনগর-২ বোর্ড গঠনে জেলবন্দি সভাপতি ভোট দিতে যাবেন, নির্দেশ আদালতের

    Murshidabad: রানিনগর-২ বোর্ড গঠনে জেলবন্দি সভাপতি ভোট দিতে যাবেন, নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর-২ পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতি গঠন নিয়ে টালবাহানা চলছিল। এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর স্থায়ী সমিতি গঠনে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন নিয়ে কড়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

    আদালতে কী জানাল রাজ্য?

    গত ১১ সেপ্টেম্বর মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটি গঠনের কথা ছিল। তার আগে পঞ্চায়েত সমিতির কংগ্রেসি সভাপতি কুদ্দুস আলিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।পালটা আদালতে যান কুদ্দুস আলি। তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থায়ী কমিটি গঠনে স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত। ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী কমিটি গঠন করা যাবে না বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সঙ্গে কবে রাজ্য সেখানে স্থায়ী কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় তা মঙ্গলবারের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে জানানো হয় ২৭ সেপ্টেম্বর সেখানে বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চায় তারা। এরপরই বিচারপতি অমৃতা সিনহা বিরোধীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে একের পর এক নির্দেশ দেন।

    পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন নিয়ে কী নির্দেশ দিলেন বিচারক?

    এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশে জানিয়েছেন, ২৭ সেপ্টেম্বরই  মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হবে। বোর্ড গঠনের সময় ভোটাভুটিতে জেল থেকে হাজির করাতে হবে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুদ্দুস আলিকে। এছাড়া কংগ্রেসের যে ৬ সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগ দায়ের করেছে তাদের ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গ্রেফতার করা যাবে না। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর ফের মামলাটির শুনানি হবে।

    রানিনগরে ঠিক কী ঘটেছিল?

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়ী হওয়ায় বিজয় সমাবেশের ডাক দিয়েছিল বাম এবং কংগ্রেস। অভিযোগ, সেই সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে বাধার মুখে পড়েন কংগ্রেস কর্মীরা। কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ পুলিশের সঙ্গে একযোগে তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের সমাবেশে যেতে বাধা দেন তৃণমূল কর্মীরাও। সমাবেশ থেকে ফেরার পথে এই ঘটনা নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ, কংগ্রেস কর্মীরা রানিনগর থানায় ঢুকে তাণ্ডব চালান। থানা লক্ষ্য করে চলে তুমুল ইটবৃষ্টি। রাজ্য সড়কের পাশে তৃণমূলের পার্টি অফিস মান্নান হোসেন ভবনেও ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, রানিনগর থানার পুলিশকে সাহায্য করতে ডেকে পাঠানো হয় আশপাশের থানার পুলিশকর্মীদেরও। তারপর কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে এবং লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুদ্দুস আলি-সহ মোট ৩১ জন বাম এবং কংগ্রেস সমর্থককে। ধৃতদের  লালবাগ আদালতে পেশ করা হয়। আদালত কুদ্দুস-সহ ৩১ জনকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: বাইকে করে পাচারের চেষ্টা রুখে দিল বিএসএফ, মিলল ২৩ কেজি সোনা

    North 24 Parganas: বাইকে করে পাচারের চেষ্টা রুখে দিল বিএসএফ, মিলল ২৩ কেজি সোনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড় মাপের সোনা পাচারের রহস্য ফাঁস করল সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বাগদায় ১৪ কোটি টাকার সোনা উদ্ধার করল বিএসএফ। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ২৩ কেজি বিদেশি সোনা আটক করেছে বিএসএফ। সেই সঙ্গে একজন পাচারকারীকেও আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র শোরগোল পড়েছে। চোরাচালান আটকাতে বিএসএফ ভীষণ তৎপর বলে মনে করছেন এলাকার মানুষ। 

    কীভাবে ধরা পড়ল সোনা পাচারকারী (North 24 Parganas)?

    ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) রণঘাট এলাকায়, বিএসএফ সোনা পাচারের প্রচেষ্টাকে আটকে দিল। সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে পাচারকারীরা বাইকের এয়ার ফিল্টারের মধ্যে লুকিয়ে সোনা নিয়ে যাচ্ছিল। ৫০টি সোনার বিস্কুট এবং ১৬ টি সোনার বার সহ একজন চোরাকারবারিকে ধরা হয়েছে। মোট উদ্ধারকৃত সোনার পরিমাণ হল ২৩ কেজি। যার বাজারমূল্য হল ১৪ কোটি টাকা। ধৃতের কাছ থেকে জানা গেছে, অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছিল এই সোনা। এই অভিযুক্তকে ধরার পর সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী্র বাগদা কাস্টম অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে।

    গোপন সূত্রে মিলেছিল খবর

    গোপন সূত্রে বিএসএফ খবর পায়, ভ্যান মোড় (North 24 Parganas) দিয়ে সোনা পাচার হবে। এরপর কমান্ডোদের নেতৃত্বে শুরু হয় নজরদারি। ইতিমধ্যে এক বাইক আরোহীকে সন্দেহ হলে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে তারা। কিন্তু আরোহী ভয় পেয়ে বাইক ফেলে পালিয়ে যেতে চাইলে, তাকে ধরে ফেলে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী। এরপর তাকে ধরে সীমান্ত চৌকিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে গিয়ে তল্লাশি শুরু হলে, বাইকের এয়ার ফিল্টার থেকে সোনা উদ্ধার হয়। ধৃত ব্যক্তির নাম ইন্দ্রজিৎ পাত্র। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার কুলিয়াতে। ইন্দ্রজিতের দাদার সোনার দোকান রয়েছে। রণঘাট থেকে সোনা বনগাঁয় পৌঁছে দেওয়ার জন্য ১৫ হাজার টাকা চুক্তি হয়েছিল বলে জানা গেছে। এই কাজ করতে গিয়েই সে ধরা পড়ে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: টাকা ডবল করে দেওয়ার টোপ! প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ঢেলে প্রতারিত ওড়িশার এক ব্যক্তি

    Barrackpore: টাকা ডবল করে দেওয়ার টোপ! প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ঢেলে প্রতারিত ওড়িশার এক ব্যক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক নিমেষে টাকা ডবলের টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ উঠল এক চক্রের বিরুদ্ধে। ওড়িশার ভদ্রকের শ্রীকান্ত মিশ্র নামে এক ব্যক্তি প্রায় ১০ লক্ষ টাকা প্রতারিত হয়েছেন। ইতিমধ্যেই তিনি বারাকপুর (Barrackpore) পুলিশ কমিশনারেটের ঘোলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত নেমে পুলিশ এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু নগদ টাকা।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Barrackpore)

    হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়া জেলাজুড়ে একটি প্রতারণাচক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অভিনব কৌশলে তারা বিভিন্ন মানুষকে প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ। শুধু এই রাজ্যের বাসিন্দারা তাদের কাছে টাকা জমা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন তা নয়, ভিন রাজ্যেও তারা প্রতারণা চক্র চালাচ্ছে। ভিন রাজ্যে তাদের লিঙ্কম্যানও রয়েছে। এরকম এক প্রতারণার চক্রের শিকার হয়েছেন ওড়িশার ভদ্রকের শ্রীকান্তবাবুও। এই প্রতারণাচক্রের খপ্পরে পড়ে তিনি প্রায় সাড়ে ন’লক্ষ টাকা প্রতারিত হয়েছেন। জানা গিয়েছে, শ্রীকান্তবাবু একটি সূত্র থেকে জানতে পারেন কলকাতায় একটি সংস্থার কাছে ডিজিটাল মাধ্যমে যে কোনও অঙ্কের টাকা জমা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে নগদে তার দ্বিগুণ টাকা তারা ফেরত দিয়ে দেয়। প্রতারণাচক্রের লিংকম্যানই ভদ্রকের ওই ব্যক্তিকে টোপ দেয় বলে অভিযোগ। টাকা ডবলের আশায় শ্রীকান্তবাবু কলকাতায় আসেন। প্রতারকদের সঙ্গে দেখাও হয়। এরপর কলকাতা থেকে গাড়ি করে তাঁরা কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে ধরে ঘোলার মুড়াগাছায় আসেন। সেখানেই প্রতারকরা নানাভাবে বুঝিয়ে আস্থা অর্জন করে শ্রীকান্তের। এরপরই অনলাইনে তিনি সাড়ে ন’ লক্ষ টাকা প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে দেন। প্রতারকদের সঙ্গে একই গাড়িতে ছিলেন শ্রীকান্তবাবু। টাকা ট্রান্সফার হওয়ার পর প্রতারকরা জানায়, গাড়ির ডিকিতে রাখা রয়েছে তাঁর প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা। গাড়ি থেকে নেমে শ্রীকান্তবাবু গা়ড়ির ডিকি খুলে সেই ডবল টাকা আনতে চান। ডিকি খুলতে যাওয়ার আগেই প্রতারকরা গাড়ি নিয়ে উধাও হয়ে যায়। তখনই শ্রীকান্তবাবু প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেন। এরপরই তিনি বারাকপুর (Barrackpore) ঘোলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    পুলিশ-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় তিনজন গ্রেফতার হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন দেবজ্যোতি বিশ্বাস এবং সম্রাট বরাইয়ের বাড়ি কল্যাণী। এই দুজনকে আগেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পরে, পাপ্পু কুমার যাদবের নাম জানতে পারে। তার বাড়ি বিহারে। সে কল্যাণীতে থাকে। হুগলির মগরা থেকে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। কল্যাণীর বাড়ি থেকে সাড়ে আট লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। বারাকপুর (Barrackpore) পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আর কারা রয়েছে তা জানার চেষ্টা চলছে। আর আরও এক লক্ষ টাকা কোথায় রয়েছে তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: তৃণমূলের এ কী হাল? পদত্যাগ করতে চান দলের নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধান

    Paschim Medinipur: তৃণমূলের এ কী হাল? পদত্যাগ করতে চান দলের নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘটা করে দলের সিংহভাগ সদস্যের সমর্থন নিয়ে তৃণমূলের প্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন। প্রধান হওয়ার পর থেকে তিনি পঞ্চায়েত অফিসে যেতে পারেননি। এরমধ্যেই তৃণমূলের ওই প্রধানকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) দাসপুর-১ নম্বর ব্লকের সরবেড়িয়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Paschim Medinipur)

    পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) সরবেড়িয়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ১৫ টি আসনের মধ্যে ১৫টিতেই জয় লাভ করে শাসক দল তৃণমূল। তবে প্রধান নির্বাচন নিয়ে প্রথম থেকেই কোন্দলে জড়ায় শাসকদলের দুই গোষ্ঠী। দলের তরফে কমল জানা নামে একজন সদস্যের নাম পঞ্চায়েত প্রধান হিসেবে প্রস্তাব করা হলেও সিংহভাগ জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য প্রধান হিসেবে চান কার্তিক চন্দ্র ভূঁইয়াকে। দলের নির্দেশকে কার্যত অমান্য করেই ভোটাভুটিতে অংশ নেন পঞ্চায়েত সদস্যরা। ভোটাভুটিতে কমল জানাকে পিছনে ফেলে প্রধান হন কার্তিক চন্দ্র ভূঁইয়া। তবে, প্রধান পদে নির্বাচিত হলেও নিজেরই দলের বেশ কিছু কর্মীর দাপটে গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রবেশ করতে পারেননি তিনি। অবশেষে রবিবার রাত থেকে শুরু হয় নাটক। ১৭ সেপ্টেম্বর রাত আটটা থেকে হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যান দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের সরবেড়িয়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদ্য নির্বাচিত প্রধান কার্তিকবাবু। প্রধানের অনুগামীদের দাবি, অপহরণ করা হয়েছে তাদের নেতাকে। রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। যদিও রাত ১২টার কিছু পরেই আচমকাই বাড়িতে এসে হাজির হন প্রধান। এই ঘটনার জন্য তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলকে দায়ী করেছে অনেকে।

    কী বললেন পঞ্চায়েত প্রধান?

    সরবেড়িয়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কার্তিকবাবু বলেন, কারা আমাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল জানি না। কেন আমাকে কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখার পর ছেড়ে দেওয়া হল তা জানি না। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাই, পঞ্চায়েত প্রধান পদ থেকে ইস্তফা দিতে চাই। শুধু তাই নয় পঞ্চায়েত সদস্য পদ থেকেও দিন কয়েকের মধ্যেই ইস্তফা দেব। সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত পঞ্চায়েত প্রধানের এমন দাবিকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল প়ড়েছে এলাকায়।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    এই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি নেতা কালীপদ সেনগুপ্ত বলেন, শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে সন্ত্রাস থেকে বাদ পড়ছে না দলের নেতারাই। এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। আতঙ্কে ওই প্রধান পঞ্চায়েত সদস্য থেকেও পদত্যাগ করবেন। এই ঘটনা দলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে এনে দিল।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    যদিও বিজেপির কথাকে তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসক দল তৃণমূল। পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur)  ঘাটাল সংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি আশিস হুতাইত বলেন, নিজের ভুল বুঝতে পেরেই পঞ্চায়েত প্রধান পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ভাবনা কার্তিক চন্দ্র ভূঁইয়ার। আর কোনও কারণ নেই। অপহরণের ঘটনাও ঠিক নয়।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share