Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Alipurduar: কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় আলিপুরদুয়ারে এবার প্রথম চা বাগানে হবে ‘ফুল মুন প্লাকিং’

    Alipurduar: কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় আলিপুরদুয়ারে এবার প্রথম চা বাগানে হবে ‘ফুল মুন প্লাকিং’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফুল মুন প্লাকিং বা পূর্ণিমার রাতে চা পাতা তোলা এবার আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) মাঝেরডাবরি চা বাগানে হচ্ছে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয়। ইতিপূর্বে পরপর তিনটি দোল পূর্ণিমায় চা পাতা তুলে তা বাজারজাতও করা হয়েছে। ফুল মুন প্লাকিংয়ের চায়ের কদর রয়েছে দেশ-বিদেশেও।

    কী বললেন চা বাগানের ম্যানেজার? (Alipurduar)  

    আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) বাগানের ম্যানেজার চিন্ময় ধর বলেন, পূর্ণিমার রাতের তোলা চা পাতার স্বাদ ও গন্ধ বছরের অন্যান্য সময়ে তৈরি হওয়া চা-পাতাকে হার মানায়। পূর্ণিমা রাতে চাঁদের আলো চা গাছের উপর পড়ায় ওই সময় পাতা গুণমানে ভরপুর থাকে। বাজারে চাহিদা থাকায় চলতি বছরে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিনও পূর্ণিমার রাত। ওই রাতেই ২০০০ কেজি চা-পাতা তোলার টার্গেট নেওয়া হয়েছে।

    ফুল মুন প্লাকিং ওই চায়ের দাম কত?

    বাজারে সিটিসি চা পাতা প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে পাওয়া গেলেও ফুল মুন প্লাকিং-এর ওই চায়ের দর অপেক্ষাকৃত অনেকটাই বেশি। প্রতি কেজি চা পাতা পনেরশো টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হবে। মাঝেরডাবরি চা বাগান কর্তৃপক্ষের আলিপুরদুয়ার, (Alipurduar) কলকাতা, শিলিগুড়ি, মুম্বই ছাড়াও বিভিন্ন রেল স্টেশনে তাদের নিজস্ব বিক্রয় কেন্দ্র বা আউটলেট রয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১০০ গ্রাম চা পাতা ১৫০ টাকা দিয়েও ক্রেতারা সংগ্রহ করতে পারবেন।

    কীভাবে তোলা হবে চা পাতা?

    ফুল মুন প্লাকিং সাধারণত দোল পূর্ণিমার রাতেই গত তিন বছর ধরে করে আসছিল আলিপুরদুয়ারেরর (Alipurduar) মাঝেরডাবরি চা বাগান কর্তৃপক্ষ। তবে বাজারে ওই চায়ের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এবার তা লক্ষ্মীপূর্ণিমাতেও করা হচ্ছে। কীভাবে তোলা হবে চা পাতা? সূর্য অস্ত যাওয়ার পর বাগানের একদল চা শ্রমিক মশাল হাতে নিয়ে এগিয়ে যাবেন। পিছনে মহিলা শ্রমিকরা তাঁদের নিজস্ব কায়দায় চায়ের কচি পাতা ঝোলায় ভরবেন। তবে, রাতের বেলা যেহেতু ওই চা পাতা তোলা হবে তাই প্রত্যেক শ্রমিকের কপালে একটি করে সার্চলাইট লাগানো থাকবে। এরপর সংগৃহীত চা পাতা চলে যাবে তাদের নিজস্ব কারখানায়। রাতের বেলাতেই চা পাতা তৈরি করে তা প্যাকেটজাত করে বাজারে ছাড়া হবে। তবে, লক্ষ্মী পূর্ণিমার রাতে চা পাতা তোলার ওই দৃশ্য দেখতে পর্যটক থেকে শহরের বহু উৎসাহী মানুষ বাগানে ভিড় করবেন বলেই জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Situation: ভয়াবহ ডেঙ্গি পরিস্থিতি, রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

    Dengue Situation: ভয়াবহ ডেঙ্গি পরিস্থিতি, রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি (Dengue Situation)। স্বাস্থ্য দফতরের অভ্যন্তরীণ বৈঠকেও এ নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী সেপ্টেম্বর মাসের ৫ তারিখ পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজার ৭০৯ বলে জানা গিয়েছে। বিগত জুলাই থেকে অগাস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে ৫ গুণ। কলকাতা পুরসভা এবং শহরতলি এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা দেড় হাজার (Dengue Situation)। সরকারি মতে, মৃতের সংখ্যা ৩ হলেও বেসরকারি হিসাব বলছে এই সংখ্যা ৩১।

    রাজ্যকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

    ডেঙ্গির এমন পরিস্থিতি (Dengue Situation) নিয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের বিধায়কের মতে, ‘‘ডেঙ্গি মোকাবিলায় সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ রাজ্য প্রশাসন। ডেঙ্গি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। কলকাতার কোনও বেসরকারি হাসপাতালে শয্যা নেই। ঠিক করে ডেঙ্গি পরীক্ষা করা হচ্ছে না। বাড়িতে বাড়িতে জ্বর। ফেব্রুয়ারি-মার্চে ডেঙ্গি আসার আগেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই টাকা অন্য খাতে ব্যয় করে দিয়েছে। মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সম্পূর্ণ ব্যর্থই রাজ্য সরকার (Dengue Situation)।’’ শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্যে সিলমোহর দিতে দেখা গিয়েছে কলকাতার মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টারের যুগ্ম সম্পাদক চিকিৎসক কবিউল হককে। তিনি বলেন, ‘‘মশা বাহিত রোগ ঠেকানোর জন্য রাজ্য সরকারের যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার ছিল, তার কিছুই আমরা দেখতে পাচ্ছি না। এক্ষেত্রে নাগরিকদের সচেতন হতে হবে।’’ 

    ডেঙ্গি প্রতিরোধে কী করতে হবে

    জানা গিয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশেও প্রচুর সংখ্যায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে সীমান্তবর্তী জেলাগুলিকে বিশেষ সতর্ক থাকা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গির উপসর্গ (Dengue Situation) থাকলে কী করতে বলছেন চিকিৎসকরা? জ্বর এবং শরীরের ব্যথার জন্য শুধু প্যারাসিটামল খেতে বলছেন এবং পেইনকিলার খেতে নিষেধ করছেন চিকিৎসকরা। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে জল এবং ফলের রস খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তাররা। দুই দিনের বেশি জ্বর থাকলে সঙ্গে সঙ্গে টেস্ট করানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বর্জ্য সামগ্রী সাফাই অভিযান করতে বলা হয়েছে। জল কোথাও যেন জমা না থাকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal: বেহালার সৌরভকে স্পেনে গিয়ে শালবনীতে শিল্প ঘোষণা করতে হচ্ছে! কটাক্ষ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    West Bengal: বেহালার সৌরভকে স্পেনে গিয়ে শালবনীতে শিল্প ঘোষণা করতে হচ্ছে! কটাক্ষ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিল্প আনতে স্পেন সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে গিয়ে বিদেশি বিনিয়োগ তো দূরের কথা, প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন শালবনিতে (West Bengal) তিনি ইস্পাত কারখানা গড়বেন। ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন, শালবনিতে ইস্পাত কারখানা করার কথা সৌরভকে স্পেন থেকে কেন ঘোষণা করতে হল? তা তো কলকাতাতে বসেও করা যেত। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নিজে একজন ক্রিকেট জগতের মানুষ। তিনি তো শিল্পপতি নন। তাই তাঁকে শিল্পপতি ভেবেই কি রাজ্যে শিল্প স্থাপন করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী! এমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    রবিবারই বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা বাড়িতে বিজেপির দলীয় কর্মসূচিতে যোগদান করেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘স্পেনে গিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে শিল্পের ঘোষণা করতে হল! কী কারণে আমি তো বুঝতে পারছি না। তিনি কলকাতা, দিল্লি কিংবা মুম্বইতে গিয়েও শিল্পের কথা ঘোষণা করতে পারতেন। আসলে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন। আমরা আশা করছিলাম স্পেনের কোনও শিল্পপতি বলবেন তিনি শিল্প কারখানা কিংবা অ্যাকাডেমি করবেন। আসলে মুখ্যমন্ত্রী এভাবেই রাজ্যের মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন (West Bengal)। সৌরভ তো আর শিল্পপতি নন। তিনি একজন ক্রিকেটার। হয়তো এখন শিল্পপতি হয়েছেন।’’ এদিকে রাজ্যের বেহাল কর্মসংস্থান নিয়ে সরব হতে দেখা যায় বালুরঘাটের সাংসদকে। তিনি বলেন, ‘‘এটা তো সবাই জানে এই রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই। সেই কারণে মানুষকে পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে অন্য রাজ্যে যেতে হয়। বাংলার মানুষের কাছে ভুল বার্তা আছে যে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প মুখ্যমন্ত্রী চালু করেছেন। আসলে এমন প্রকল্প অনেক আগে থেকেই মধ্যপ্রদেশ সরকার চালু করেছে। সেখানে লাডলি বেহেনা প্রকল্পে প্রতিমাসে মহিলাদের ১,২৫০ টাকা করে দেওয়া হয়।’’

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী

    অন্যদিকে এদিন নন্দীগ্রামে জানকিনাথ মন্দিরে দলীয় কর্মসূচিতে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রীর স্পেন সফর নিয়ে কটাক্ষ শোনা যায় নন্দীগ্রামের বিধায়কের মুখেও। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শালবনিতে সৌরভের বিনিয়োগ (West Bengal) প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আপনি শালবনিতে ইনভেস্ট করবেন, তাহলে স্পেনে গিয়ে সেই কথা ঘোষণা করতে হচ্ছে কেন! উন্মাদদের সরকার চলছে এই রাজ্যে।’’ শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘এর আগেও সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্য এবং বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ ছিলেন সৌরভ। সে সময়ে জমি নিয়েছিলেন অ্যাকাডেমি গড়বেন বলে। পরে মামলা হয় এবং জল গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shantineketan: ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের’ স্বীকৃতি পেল বিশ্বকবির শান্তিনিকেতন, ঘোষণা ইউনেস্কোর

    Shantineketan: ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের’ স্বীকৃতি পেল বিশ্বকবির শান্তিনিকেতন, ঘোষণা ইউনেস্কোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের বিভিন্ন স্থান, যার সাংস্কৃতিক-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য সারা বিশ্বে বন্দিত হয়, ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় স্থান পায় সেই সমস্ত জায়গা। এবার সেই তালিকায় জায়গা করে নিল শান্তিনিকেতন (Shantiniketan)। বিশ্বভারতীও খুশির আনন্দে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

     প্রতিনিধি দল ঘুরে যাওয়ার দুবছর পরই মিলল এই স্বীকৃতি (Shantiniketan)

     ২০২১ সালে ইসিওএমওএসের এক প্রতিনিধি দল এসেছিল শান্তিনিকেতনে। বিশ্বভারতীও ঘুরে দেখেছিল তারা। এই সফরের পর তারা একটি রিপোর্টও তৈরি করে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই  ইউনেস্কোর এই অন্তর্ভূক্তি বলে জানা গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় স্থান পাওয়ায় খুশির হাওয়া শান্তিনিকেতন তথা বীরভূম জেলাজুড়ে। শান্তিনিকেতনের সঙ্গে আপামর বাঙালির আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। কোনওদিন যিনি শান্তিনিকেতনে পা রাখেননি, সেই বাঙালিও শান্তিনিকেতন নামে মোহিত হন। মনে মনে কল্পনার রঙে নিজের মতো করেই এঁকে নেন বিশ্বকবির শান্তিনিকেতনের ছবিখানি। সেই শান্তিনিকেতনের এ সম্মান নিঃসন্দেহে প্রত্যেক বাঙালির কাছে গর্বের। রবিবারই শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করেছে ইউনেস্কোর। এক্স হ্যান্ডেলে সে কথা ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো। এই ঘোষণার পরই উৎসবের আবহ শান্তিনিকেতনে (Shantiniketan)। বিশ্বভারতীর এক পড়ুয়া বলেন, ইউনেস্কোর প্রতিনিধি দল শান্তিনিকেতন, বিশ্বভারতী ঘুরে গিয়েছেন তা শুনেছিলাম। কিন্তু, এবার সেই স্বীকৃতি মেলায় খুবই গর্বিত মনে হচ্ছে। এই আনন্দ উৎসবে শরিক হতে পেরে আমাদের খুব ভাল লাগছে।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছাবার্তা উপচে পড়ছে

    রবিবার এই ঘোষণার পরই বিভিন্ন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে শুভেচ্ছাবার্তা উপচে পড়ছে। এ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের তরফে তাদের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছে ‘বাঙালির গর্বের মুহূর্ত।’ বিশ্বভারতীতে সোমবার আনন্দ উৎসব পালন হবে। সন্ধ্যা ৬টায় উপাসনা গৃহে তা পালিত হবে। জানা গিয়েছে, ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের উপদেষ্টা সংস্থা ইসিওএমওএস বিভাগে শান্তিনিকেতনের (Shantiniketan) নাম প্রস্তাব করে। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্ৰী জি কিষেণ রেড্ডি নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছুদিন আগে তা জানিয়েছিলেন। এবার স্বীকৃতির সিলমোহর পড়ল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Vishwakarma: “পিএম বিশ্বকর্মা কার্যকর না হলে রাজ্যবাসী তৃণমূলকে বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলবে” তোপ অশ্বিনী চৌবের

    PM Vishwakarma: “পিএম বিশ্বকর্মা কার্যকর না হলে রাজ্যবাসী তৃণমূলকে বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলবে” তোপ অশ্বিনী চৌবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা (PM Vishwakarma) যোজনা রূপায়িত না করলে, পশ্চিমবঙ্গবাসী রাজ্যের সরকারকে বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলে দেবে।’ দুর্গাপুরে সিআরপিএফ ক্যাম্পে পিএম বিশ্বকর্মা যোজনার ভার্চুয়াল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসে, রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে এইভাবে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় খাদ্য গণবন্টন, বন, আবহাওয়া ও পরিবেশ বিষয়ক রাষ্ট্রমন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে। একই সঙ্গে “তৃণমূল নিজের কবর নিজের খুঁড়ছে” বলে সরকারকে আক্রমণ করলেন বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কী বললেন (PM Vishwakarma)?

    পিএম বিশ্বকর্মা (PM Vishwakarma) প্রকল্প প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে বলেন, “এই যোজনায় ১৩ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। তাতে কামার, কুমোর, ছুঁতোর, মুচি, দরজি সহ ১৮ টি বংশ পরম্পরার শিল্প সম্প্রদায়ের লক্ষাধিক পরিবার উপকৃত হবেন। রেজিস্ট্রেশন করার পর তাঁদের ৫ দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাতে ৫০০ টাকা করে পারিশ্রমিক পাবেন। এছাড়াও প্রশিক্ষণ শেষে পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। ১৫ হাজার টাকার নিজেদের পেশায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির সুবিধা পাবেন। প্রশিক্ষণের পর নিজের ব্যবসার জন্য ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ৫ শতাংশ সহজ সুদে ঋণ নেওয়া যাবে বলে বলা হয়েছে। এমএসএমই বিভাগ এই প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছে।”

    তিনি আরও বলেন, “আগামী ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এই প্রকল্প, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে মতো যদি রাজ্যে বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে পশ্চিমবঙ্গবাসী রাজ্যের সরকারকে তুলে  বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলে দেবে।’

    কী বললেন সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া?

    এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া বলেন,”এই প্রকল্প (PM Vishwakarma) হল ১০০ শতাংশ কেন্দ্রের অনুদান। রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত, পুরসভাগুলি উপভোক্তাদের শংসাপত্র যাচাই করে দেবে। তাতে বাধা দিলে অসহায় মানুষগুলো বঞ্চিত হবেন। এর বিরোধিতা করা মানে তৃণমূল নিজের কবর নিজেই খুঁড়বে।”

    বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল বলেন,” যেভাবে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় রাজ্যের তৃণমূল সরকার স্বজনপোষণ করে প্রকৃত প্রাপকদের বঞ্চিত করেছে, আশঙ্কা করছি, সেরকমই এই প্রকল্পে রাজ্য সরকার গরিব অসহায় পরিবারগুলিকে বঞ্চিত করতে পারে। নিজের দলের লোকেদের এই সব সম্প্রদায়ের সাজিয়ে প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সেটা হলে পশ্চিমবঙ্গবাসী তৃণমূলকে ক্ষমা করবে না। লোকসভা ভোটেই তৃণমূলকে ছুড়ে ফেলে দেবে।”

    পিএম বিশ্বকর্মা প্রকল্পে কী ঘোষণা হল?

    রবিবার ১৭ সেপ্টম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদির জন্মদিন। পাশাপাশি একদিন পরেই বিশ্বকর্মা পুজো। দেশের নাপিত, ছুতোর, কামার, দরজি সহ ১৮ টি বংশ পরম্পরার শিল্প সম্প্রদায়ের পারিবারিক পেশার উন্নতিতে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা প্রকল্প (PM Vishwakarma) চালু করেছেন। এইদিন দ্বারিকা থেকে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই রাজ্যে কোলকাতা, শিলিগুড়ি ছাড়াও দূর্গাপুরে এই প্রকল্পের ভার্চুয়াল মাধ্যমে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন দুর্গাপুরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে। এছাড়াও ছিলেন সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই, অজয় পোদ্দার, দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়, সিআরপিএফ আইজি বিদ্যৎ সেনগুপ্ত, ডিআইজি দেবব্রত ভট্টাচার্য  প্রমুখ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: আরামবাগে পঞ্চায়েত প্রধানের দাদাগিরি! বাড়ি ভাঙচুর, হামলা, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Arambagh: আরামবাগে পঞ্চায়েত প্রধানের দাদাগিরি! বাড়ি ভাঙচুর, হামলা, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর অনুগামীদের দাদাগিরি। রাতে একাধিক বাড়ি ভাঙচুর। রবিবার সকালে যুব তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ। পুরাতন মামলা প্রত্যাহার না করায় এহেন হামলার অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের (Arambagh) মায়াপুর এলাকায়। তৃণমূল কর্মীদের মারধর ও বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। যদিও পাল্টা প্রধানের এক অনুগামীকে মারধরের অভিযোগ। ঘটনায় আহত দুই তৃণমূল কর্মী। আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি। যুব তৃণমূল কর্মীর নাম সেখ জাকির হোসেন এবং প্রধান অনুগামী জখম কর্মীর নাম সেখ ইনসান আলি। বাড়ি আরামবাগের বলুন্ডি এলাকায়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Arambagh)

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জাকির হোসেন নামে এক যুবক তৃণমূলের যুব গোষ্ঠীর কর্মী। পুরাতন একটি গন্ডগোলের ঘটনায়  জাকির সহ এলাকার বেশ কয়েকজন যুব তৃণমূল কর্মী স্থানীয় আরামবাগ (Arambagh) মায়াপুর ২ নং পঞ্চায়েতের প্রধান অলোক সাঁতরার অনুগামীদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলা প্রত্যাহারের জন্য প্রায় হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে প্রধান অনুগামীদের বিরুদ্ধে। মামলা প্রত্যাহার না করায় প্রধান অনুগামীরা শনিবার এলাকায় বেশ কয়েকজন তৃণমূল যুব কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি রবিবার সকালে সেখ জাকির হোসেনকে বাজারে একা পেয়ে প্রধানের অনুগামীরা বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। আক্রান্ত জাকির বলেন, প্রধান ও তাঁর অনুগামীরা এলাকায় দাদাগিরি চালাচ্ছে। থানায় অভিযোগ তোলা হয়নি বলে আমাদের যুব কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে। আমাকে বেধড়ক মেরেছে।

    কী বললেন অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান?

    পুরো ঘটনায় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অলোক সাঁতরার নেতৃত্বে তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে আক্রান্তরা। যদিও ঘটনায় অভিযোগ অস্বীকার করেছে আরামবাগের (Arambagh) মায়াপুর- ২ নং পঞ্চায়েতের প্রধান অলোক সাঁতরা। তিনি বলেন, এই ধরনের কোনও হামলা করা হয়নি। আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। বরং আমাদের দলের কর্মী সেখ ইনসান আলিকে ওরা মারধর করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: রাত পোহালেই বিশ্বকর্মা পুজো, বিক্রি নেই প্রতিমার, মাথায় হাত নদিয়ার মৃৎশিল্পীদের

    Nadia: রাত পোহালেই বিশ্বকর্মা পুজো, বিক্রি নেই প্রতিমার, মাথায় হাত নদিয়ার মৃৎশিল্পীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ রাজ্যে নেই শিল্প, গড়ে ওঠেনি নতুন কল কারখানা! মেলেনি বিশ্বকর্মা ঠাকুর তৈরির বরাদ, চরম আর্থিক সংকটে দিন কাটছে কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পীদের। নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পীদের ঐতিহ্য রয়েছে রাজ্য তথা গোটা দেশজুড়ে। মাটির পুতুল থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেবদেবীর মূর্তি, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যায় কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পীদের কাছ থেকে। বিভিন্ন পুজোর দিকেই তাকিয়ে থাকেন তাঁরা। পুজো এলেই কাজের বরাত পৌঁছে যায়। রাত পোহালেই বিশ্বকর্মা পুজো। মূলত বর্তমানে বিভিন্ন ঘরে ঘরেই ছোটখাটো বিশ্বকর্মার পুজো হয়ে থাকে। সেই প্রতিমাও বিক্রি নেই। মাথায় হাত মৃৎশিল্পীদের।

    একসময় বিশ্বকর্মা পুজোর আগে ব্যস্ত থাকতেন মৃৎশিল্পীরা

    অন্যদিকে,কয়েক দশক আগে নদিয়ার (Nadia) কল্যাণী শিল্পাঞ্চল জুড়ে বড় বড় কলকারখানা থেকে এবং শিল্পপতিদের থেকে বিশ্বকর্মা ঠাকুর তৈরির অর্ডার পেতেন মৃৎশিল্পীরা। সেখান থেকে তাঁদের মোটা টাকা আয়ও হত। কিন্তু, আস্তে আস্তে গোটা রাজ্যের বড়, মাঝারি শিল্প থেকে শুরু করে ছোটখাটো শিল্প বন্ধ হয়ে গেছে। একাধিক কলকারখানা এখন জঙ্গল এবং আগাছা গ্রাস করে নিয়েছে। সেই কারণে বড় ঠাকুর তৈরির অর্ডার আর আসে না। সেই কারণেই কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা।

    কী বললেন মৃৎশিল্পীরা? (Nadia)

    মৃৎশিল্পীদের মূলত ঠাকুর তৈরির ওপরে তাঁদের সংসার চলে। কিন্তু, বড় বড় ঠাকুর তৈরির অর্ডার না এলে কিভাবে এই পেশায় যুক্ত থেকে সংসার চালাবেন তা নিয়েই চিন্তিত তাঁরা। নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরে দীর্ঘদিনের মৃৎশিল্পী তারক পাল বলেন, প্রায় দশ বছর ধরে রাজ্যের বিভিন্ন কলকারখানা এবং শিল্প বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আগে যে সমস্ত আমরা বড় বড় বিশ্বকর্মা ঠাকুর তৈরির অর্ডার পেতাম এখন তা আর আসে না। মূলত ছোট ছোট বাড়ির পুজোর ঠাকুর তৈরির উপরেই আমাদের নির্ভর করতে হয়। কিন্তু সেখানে লাভের অংশ নিতান্তই কম। সেই কারণে এই পেশায় যুক্ত থেকে সংসার চালানো খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা চাই আগের মত যাতে গোটা রাজ্য জুড়ে শিল্প এবং কলকারখানা নতুন করে চালু হোক। তাহলে কিছু আর্থিক দিক থেকে সবল হব। আর এক মৃৎশিল্পী অরবিন্দ পাল বলেন, বর্তমানে যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে সেখানে লাভের শতাংশ অনেকটা কমে গেছে। ঠাকুর তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম এখন ডবল দাম দিয়ে কিনতে হয়। কিন্তু, সেই অর্থে আমরা ঠাকুরের দাম বাড়াতে পারিনি। যে কারণে আর্থিক দিক থেকে সমস্যায় পড়তে হয় আমাদের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Udaipur Sea Beach: নিউ দিঘার খুব কাছেই আর এক সমুদ্র সৈকতের হাতছানি, ঘুরে আসবেন নাকি?

    Udaipur Sea Beach: নিউ দিঘার খুব কাছেই আর এক সমুদ্র সৈকতের হাতছানি, ঘুরে আসবেন নাকি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ আর ওড়িশার সীমান্তে নিউ দিঘার খুব কাছেই এক অপূর্ব সুন্দর, নির্জন, নিরালা সমুদ্র সৈকত এই উদয়পুর সি-বিচ (Udaipur Sea Beach)। মাথার ওপর সুনীল আকাশ, নিচে তটভূমিতে বিস্তীর্ণ সোনালি বালুকাবেলা। আর সামনে বঙ্গোপসাগরের নীল জলের উর্মিল হাতছানি। এই নিয়েই সংসার উদয়পুরের। সাগরের বেলাভূমিতে বসে থাকার সময় যখন জোয়ারের এক একটা ঢেউ এসে পায়ের সামনে আছড়ে পড়ে, তখন যে অসাধারণ অনুভূতি হয়, তা শুধু গল্পেই সম্ভব। সমস্ত বালুকাবেলা জুড়ে সারাটা দিন ধরে আপন মনে খেলা করে লাল কাঁকড়ার দল। দিনের শেষে সূর্য যখন ঢলে পড়ে পশ্চিম দিগন্তে, সাগরের জল হয়ে ওঠে রক্তিম, ঝাউ গাছের সারির ফাঁক দিয়ে সেই অস্তাচলগামী সূর্যের রাঙা আলোর আভায় উদ্ভাসিত উদয়পুর সি-বিচকে মনে হয় কল্পলোকের গল্পগাথা। সেই মনোরম দৃশ্য একমাত্র অনুভূতি দিয়েই উপলব্ধি করতে হয়, ভাষায় প্রকাশ করা প্রায় অসম্ভব।

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন (Udaipur Sea Beach)?

    উদয়পুর যাওয়ার সুবিধা হল নিউ দিঘা থেকে। নিউ দিঘা থেকে মাত্র ২ কিমি দূরে এই উদয়পুর। নিউ দিঘা থেকে যাওয়া যায় রিকশ, মোটর চালিত ভ্যান প্রভৃতিতে। সেরা উপায় হল নিউ দিঘা থেকে সকাল সকাল বেরিয়ে উদয়পুর ঘুরে নিয়ে বিকেল বিকেল নিউ দিঘা বা প্রয়োজনে ওল্ড দিঘা ফিরে এসে সেখানেই রাত্রিবাস করা। ওল্ড দিঘা এবং নিউ দিঘায় রয়েছে দ্য স্টেট ফিশারিজ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিঃ-এর থাকার ব্যবস্থা। ওল্ড দিঘায় আছে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগম বা WBTDC, বেনফিশ, দিঘা-শংকরপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা  ডিএস ডিএ-র পর্যটক আবাস এবং অসংখ্য বেসরকারি হোটেল (Udaipur Sea Beach)।

    কীভাবে উপভোগ করবেন?

    উদয়পুর সি বিচে (Udaipur Sea Beach) সারাটা দিন এই লাল কাঁকড়ার পিছন পিছন ছুটে বেড়ানো, দূরে সাগরের বুকে জেলেদের মাছ ধরার নৌকো অথবা ট্রলার কিংবা পণ্যবাহী জাহাজের নিরন্তর ভেসে চলা আর ঝাউগাছের সারির মধ্য দিয়ে বাতাসের বয়ে চলার গান শুনতে শুনতে কখন যে সময় কেটে যায় বোঝাই যায় না। তবে উদয়পুর বিচটি অপেক্ষাকৃত শান্ত ও নির্জন। এখানে যেমন দিঘার মতো কোলাহল, জনস্রোত নেই। একই রকম ভাবে এখানে দোকান-পাট, বিশেষ করে খাওয়া-দোকানের সংখ্যাও অনেক কম। কাজেই এখানে ঘুরতে যাওয়ার সময় এই বিষয়টাও ভাবনার মধ্যে রাখা প্রয়োজন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: জন্মদিনে মোদির মঙ্গল কামনায় পুজো দিলেন শুভেন্দু, হাসপাতালে ফল বিতরণে সুকান্ত

    PM Modi: জন্মদিনে মোদির মঙ্গল কামনায় পুজো দিলেন শুভেন্দু, হাসপাতালে ফল বিতরণে সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) জন্মদিন। মোদি ৭৪ বছরে পদার্পণ করলেন। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে মোদির দীর্ঘায়ু এবং শুভ কামনা জানাতে রাজ্যের বিরোধী দলের দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামের মন্দিরে পুজো দিলেন। অপর দিকে বালুরঘাটে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বুড়িমা কালীমায়ের মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জন্য জানালেন মঙ্গল কামনা। সারা দেশের মতো এই রাজ্যেও প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন অত্যন্ত উচ্ছ্বাসের সঙ্গে পালন করা হল। 

    জানকীনাথ মন্দিরে পুজো দিলেন শুভেন্দু (PM Modi)

    বিশ্বনেতা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) জন্মদিনে শুভ কামনা জানিয়ে শুভেন্দু পুজো দিলেন নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের জানকীনাথ মন্দিরে। শুভেন্দু মোদির একটি ছবি নিয়ে মন্দিরে পুজো দিলেন। সেই সঙ্গে লাড্ডু প্রসাদ বিতরণ করলেন সকলের মধ্যে। জন্মদিনকে কেন্দ্র করে পাশেই একটি স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেখানে চলে কর্মীদের রক্তদান শিবির। যাঁরা রক্তদান করেছেন, তাঁদের হাতে তুলে দিলেন গোলাপ ফুল। রীতিমতো ঢাকঢোল বাজিয়ে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে জন্মদিনের আনন্দ এবং কুশল বিনিময় করলেন শুভেন্দু। বিজেপি কর্মীদের মধ্যে এই নিয়ে ব্যাপক উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছে।

    বুড়িমা কালীমন্দিরে পুজো দিলেন সুকান্ত

    দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) জন্মদিনে বালুরঘাটের বুড়িমা কালীমন্দিরে পুজো দিয়ে দীর্ঘায়ু কামনা করলেন রাজ্যের বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রক্তজবা এবং মিষ্টি দিয়ে নিজের পরিবারকে সঙ্গে করে মায়ের মন্দিরে মোদির দীর্ঘায়ু কামনায় পুজো করলেন সুকান্ত। মোদির জন্ম দিনে শুভ কামনার সঙ্গে এই রাজ্যের জন্যও মঙ্গল কামনা করেন তিনি। 

    হাসপাতালে ফল বিতরণ করলেন সুকান্ত

    প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে মন্দিরে পুজো দিয়ে সুকান্ত মজুমদার, বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের রোগীদের আরোগ্য কামনায় ফল বিতরণ করলেন। সেই সঙ্গে রোগীদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন তিনি। রোগীদের বলেন, “যদি মনে হয় শিলিগুড়ি বা কলকাতায় নিয়ে যেতে হবে তাহলে অবশ্যই যেন জানান”। সবরকম সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন সুকান্ত মজুমদার। এছাড়াও হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীরা কেমন আছেন, তা জানতে রোগীদের সঙ্গেও কথা বলেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: বিশ্বকর্মা পুজোর আগেই বন্ধ হয়ে গেল রিলায়েন্স জুটমিল, কর্মহীন পাঁচ হাজার শ্রমিক

    Barrackpore: বিশ্বকর্মা পুজোর আগেই বন্ধ হয়ে গেল রিলায়েন্স জুটমিল, কর্মহীন পাঁচ হাজার শ্রমিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকর্মা পুজো মানে এক সময় বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলে সাজো সাজো রব ছিল। পুজোর কয়েকদিন আগে থেকেই কারখানার কর্মীরা আনন্দে মেতে উঠতেন। এখন একের পর এক কারখানা বন্ধের মুখে। বারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে এখন হাতে গোনা কয়েকটি জুটমিল চালু রয়েছে। সোমবার বিশ্বকর্মা পুজো। তার আগের দিনই বন্ধ হয়ে গেল ভাটপাড়া রিলায়েন্স জুটমিল। এক লহমায় কর্মহীন হয়ে পড়লেন প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক। মাস দু’য়েক আগে বন্ধ হয়ে যায় অন্নপূর্ণা জুটমিল। ফলত, একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত শ্রমিকদের। তাই, বিশ্বকর্মা পুজো থাকলেও এই কর্মহারা শ্রমিকদের কাছে এখন তা অর্থহীন।

    কেন বন্ধ হল রিলায়েন্স জুটমিল?

    জানা গিয়েছে, বারাকপুরের (Barrackpore) ভাটপাড়া রিলায়েন্স জুটমিলে মিলের এক কর্মকর্তার সঙ্গে কয়েকদিন আগে এক শ্রমিকের ঝামেলা হয়েছিল। মিল কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শ্রমিককে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে, অন্য এক শ্রমিকের সঙ্গে এক মিল আধিকারিকের বচসা হয়। মিলের স্থায়ী কর্মীকে বসিয়ে রেখে ঠিকা কর্মী দিয়ে কাজ করানো হচ্ছিল। এনিয়ে দুজন শ্রমিক সরব হন। ফের গন্ডগোল বাধে। এরপরই আগাম কোনও কিছু না জানিয়ে এদিন মিল কর্তৃপক্ষ কারখানা বন্ধ করে দেয়। কাজের অর্ডার নেই, অজুহাত দেখিয়ে মিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যা ঠিক নয় বলে অভিযোগ করেছেন কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমিকরা।

    কী বললেন শ্রমিকরা? (Barrackpore)  

    এক সময় হাওড়ার পাশাপাশি এই বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চল ছিল রাজ্যের মধ্যে অন্যতম শিল্পনগরী। আজ সেই শিল্পনগরী যেন শ্মশানপুরীতে পরিণত হয়েছে। একের পর এক কারাখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। হারিয়ে গিয়েছে শ্রমিকদের সেই বিশ্বকর্মা পুজোর আনন্দ। কমে গিয়েছে পুজোর জৌলুস। অন্যান্য সময় পুজোর আগের দিন শ্রমিকরা ব্যস্ত হয়ে পড়তেন আয়োজনে। শ্রমিক পরিবারের সদস্যরাও ঠাকুর আনা, বাজার করা, ভোগ তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকতেন। এখন সে সবই ম্লান হয়ে গিয়েছে। অনেক শ্রমিকই আর্থিক অনটনে দিন কাটাচ্ছেন। শ্রমিকদের কাছে পুজো তাই অর্থহীন। এক শ্রমিক বললেন, আজকের দিনে আমরা ব্যস্ত থাকতাম। অনেক সময় তো ছেলেমেয়েদের নতুন জামাও কিনে দিয়েছি। এই পুজোই আমাদের কাছে উৎসবের সমান ছিল। আর আজ কিছুই নেই। এবার কারখানাটাই বন্ধ হয়ে গেল। তাই পুজো হবে না। কীভাবে সংসার চালাবো তা বুঝতে পারছি না। এক শ্রমিক বলেন, শনিবার রাতেও আমরা কাজ করে বাড়ি গিয়েছি। আজ সকালে কাজে যোগ দিতে এসে দেখি কারখানা বন্ধ। কেন বন্ধ হল বুঝতে পারছি না। আমাদের দাবি, অবিলম্বে কারখানা চালু করতে হবে।

    জুটমিল বন্ধ নিয়ে কী বললেন সাংসদ?

    সাংসদ অর্জুন সিং বলছেন, “বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলে কিছু কারখানা বাম আমলেই বন্ধ গিয়েছে। আর কিছু কারখানা চলতি সরকারের আমলে বন্ধ হয়েছে। তবে জুট শিল্পের ভবিষ্যত খুব খারাপ। জুট মিলগুলির মালিক পক্ষ ঠিকাকর্মী রাজ চালু করায় আজ পাটশিল্পও ধুঁকছে। এই ঠিকাদারি প্রথা শেষ না হলে জুট শিল্পটাই শেষ হয়ে যাবে। এই জুটমিলও এদিন সেই কারণেই বন্ধ হয়ে গেল।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share