Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Dakshin Dinajpur: বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থার এ কী হাল! ‘১০০ টাকায়’ গেস্ট লেকচারার নিয়োগ করছে কলেজ

    Dakshin Dinajpur: বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থার এ কী হাল! ‘১০০ টাকায়’ গেস্ট লেকচারার নিয়োগ করছে কলেজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজ। আর সেই কলেজে অতিথি শিক্ষকের ক্লাস পিছু পারিশ্রমিক শুনলে চমকে উঠবেন। এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন নাথালিয়ান মুর্মু কলেজে। কলেজ কর্তৃপক্ষ অতিথি শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। অতিথি শিক্ষকের বেতন ১০০ টাকা প্রতি ক্লাস! সপ্তাহে সর্বোচ্চ ১৫টি ক্লাস করা যাবে। দেওয়া হবে না যাতায়াত ও বাড়তি কোনও খরচ। নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতেই একথার স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। এনিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থার কী হাল, এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।

    কলেজে কতজন গেস্ট লেকচারার নিয়োগ করা হবে?

    ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর তপনে এই কলেজ স্থাপিত হয়। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা-১৮০০ জন। এ বছরও ৫৮০ জন পড়ুয়া ভর্তি হয়েছেন এ কলেজে। সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এই কলেজে যত সংখ্যক পূর্ণ সময়ের অধ্যাপক আছেন তা যথেষ্ট নয়। তাই গেস্ট লেকচারার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ৬ জন অতিথি শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। ২ জন বাংলা, ২ জন এডুকেশন, ১ জন রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ১ জন দর্শনের অতিথি অধ্যাপক নিয়োগ হবে। আগামী ২০ তারিখ ইন্টারভিউ। তার আগেই এই বিতর্ক দানা বেধেছে। বালুরঘাটের নেট পাশ যুবক অসীম বর্মন এ বিজ্ঞপ্তি প্রসঙ্গে বলেন, ‘একজন শিক্ষকের মাইনে ক্লাস প্রতি ১০০ টাকা? আবার বলছেন ১৫টির বেশি ক্লাস দেবেন না। সে হিসাবে মাসে তো ৭ হাজার টাকা হচ্ছে। এখন মনে হচ্ছে পড়াশোনার কোনও দামই নেই।’

    কলেজ কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রণয় নারাজিনারি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে, কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতি অমলকুমার রায়ের বক্তব্য, কলেজে অধ্যাপকের সংখ্যা খুবই কম। অথচ ক্লাসের চাপ বাড়ছে। তাই গেস্ট টিচার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই পদের জন্য ক্লাস প্রতি ১০০ টাকা খুবই কম মানছেন তিনি। তবে, একইসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের ফান্ড থেকে এই বেতন দিতে হবে। আমাদের কলেজের অত সামর্থ্য নেই। বাধ্য হয়েই এই পারিশ্রমিক দিতে হচ্ছে।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি?

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, কলেজে ছাত্র সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু শিক্ষকের অভাব থাকায় কলেজের পরিচালন সমিতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অনেকেই বেকার রয়েছেন যাঁরা স্কুল বা কলেজে পড়াতে ইচ্ছুক। তাঁরা এখানে শিক্ষকতা করতে পারবেন। তারজন্য সামান্য কিছু সাম্মানিক দেওয়া হচ্ছে। আমার মনে হয়, এক্ষেত্রে অনেকেরই উপকার হবে। অনেকেই তো বিনা পয়সায় নানা জায়গায় পড়ান। সেক্ষেত্রে কলেজের যা সামর্থ্য, তাই দিচ্ছে। এতে বিতর্ক হওয়ার কিছু নেই।

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ গেস্ট লেকচারার নিয়োগ করছে। তাকে ১০০ দিনের কাজের চেয়ে কম টাকা দেওয়া হচ্ছে, এর থেকে লজ্জার কি আছে? মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী এসব দেখতে পাননা। তারা বিদেশে হারমোনিয়াম বাজাচ্ছেন। বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থার কী হাল, এটাতেই স্পষ্ট।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: চেম্বারে অসুস্থ যুবতীকে শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত চিকিৎসক তৃণমূল নেতা

    North 24 Parganas: চেম্বারে অসুস্থ যুবতীকে শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত চিকিৎসক তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসুস্থ যুবতীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বনগাঁর গাইঘাটা এলাকায়। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম সুব্রত সরকার। তিনি স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন। ইতিমধ্যেই ওই নির্যাতিতা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (North 24 Parganas)  

    শনিবার সন্ধ্যায় জ্বরে আক্রান্ত এক যুবতী তাঁকে চেম্বারে দেখাতে যান। অভিযোগ, সেখানে ওই যুবতীর অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে তাঁকে শ্লীলতাহানি করেন তৃণমূল নেতা তথা এলাকার হাতুড়ে চিকিৎসক। ওই যুবতী কোনওরকমে তাঁর চেম্বার থেকে ছুটে পালিয়ে যান। বাড়িতে এসে সকলকে তৃণমূল নেতার কুকীর্তির কথা তুলে ধরে। বিষয়টি জানাজানি হতেই স্বভাবতই এই ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। শনিবার রাতেই উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) গাইঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই নির্যাতিতা যুবতী। খবর পেয়ে সুব্রত সরকারের চেম্বারের সামনে ভিড় করে গ্রামের লোকেরা। তাঁর শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ দেখান।

    কী বললেন  নির্যাতিতা?

    নির্যাতিতা যুবতীর অভিযোগ, কয়েকদিন ধরে মাঝে মধ্যে জ্বর আসছিল। সন্ধেয় ওই চিকিৎসকের কাছে আমি গিয়েছিলাম। সেই সময় চেম্বারে কেউ ছিল না। দেখানোর পর আমি টাকা দিতে যাই। তিনি টাকা না নিয়ে আমার সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন। বাধা দিতে গেলে জোর করে আমার হাত ধরে নিজের দিকে টানার চেষ্টা করেন। কোনওভাবে বেরিয়ে এসে বাড়িতে সমস্ত ঘটনা জানাই।

    যুবতীর পরিবার ও প্রতিবেশীদের কী বক্তব্য?

    যুবতীর পরিবার ও প্রতিবেশীদের বক্তব্য, ‘অভিযুক্ত সুব্রত সরকার এর আগেও এমন বেশ কিছু ঘটনা ঘটিয়েছেন। অর্থের জোরে ক্ষমতা জোরে ঘটনাগুলো ধামাচাপা দিয়েছে। এবার তাঁর শাস্তি চাই। নাহলে আরও অনেকের তিনি এভাবে সর্বনাশ করবেন।’

    কী বললেন অভিযুক্ত চিকিৎসকের পরিবারের লোকজন?

    এদিকে অভিযুক্তের পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, তৃণমূল নেতা বলেই তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। এইসব ঘটনার সঙ্গে তিনি কোনওভাবেই যুক্ত নন। তাঁকে বদনাম করার জন্য এসব মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

    এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, ওই অভিযুক্ত এলাকায় দাপুটে তৃণমূলে নেতা হিসেবেই পরিচিত। এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। আমরা অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এদিকে বনগাঁর এক তৃণমূল নেতা বলেন, কারও বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠলে, পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। আইন আইনের পথে চলবে। দল এই ধরনের কাজকে সমর্থন করে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Biometric Fraud: আঙুলের ছাপ নকল করে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা চুরি! ফের প্রতারণার শিকার অভিনেত্রী

    Biometric Fraud: আঙুলের ছাপ নকল করে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা চুরি! ফের প্রতারণার শিকার অভিনেত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধারে বায়োমেট্রিক জালিয়াতির (Biometric Fraud) শিকার এবার টলিউড মডেল অভিনেত্রী। রাজ্যে গত কয়েক দিনের মধ্যে রায়গঞ্জ, মুর্শিদাবাদের গ্রাহকরাও আধারের আঙুল ছাপ নকল করে টাকা চুরির ঘটনার শিকার হয়েছেন। নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং আধার কতটা সুরক্ষিত! এই নিয়ে তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য, যাঁরা এই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই প্রায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহক। উল্লেখ্য প্রতারকরা গ্রাহকের মোবাইলে ওটিপি ছাড়াই টাকা চুরি করছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় গ্রাহকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ।

    কোন অভিনেত্রী প্রতারণার শিকার হলেন (Biometric Fraud)?

    ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে আধারের নকল আঙুলের ছাপে টাকা জালিয়াতির (Biometric Fraud) শিকার হয়েছেন অভিনেত্রী তথা মডেল মৌসুমী সান্যাল দাশগুপ্ত। তিনি বাঁশদ্রোণী এলাকায় থাকেন। তিনি বলেন, “গত ৬ সেপ্টেম্বর আমার মোবাইলে একটি মেসেজ আসে। এটি আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার মেসেজ ছিল। যদিও টাকা তোলার জন্য মোবাইলে কোনও ওটিপি আসেনি। এরপর ব্যাপারটা বুঝলাম, আমার আঙুলের ছাপ নকল করে টাকা তুলে নিয়েছে কোনও প্রতারক।” আরও জানা গেছে, তাঁর অ্যাকাউন্ট ছিল একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে। মোট ১০০০০ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। কিন্তু আধারের আঙুলের ছাপ কতটা সুরক্ষিত! এই কথা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এই প্রতারণার কথা বাঁশদ্রোণী থানায় জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।

    একই রকমভাবে আঙুলের ছাপ নকল করে রায়গঞ্জের এক স্কুল শিক্ষকের ব্যাঙ্ক থেকে টাকা চুরি হয়েছে বলে জানা গেছে। তিনি অবশ্য অনলাইনে লেনদেন করার সময় এই বিপত্তি ঘটে। অপর দিকে কান্দিতেও এক ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।

    কীভাবে হয় জালিয়াতি?

    এই ধরনের প্রতারণায় আধার এনাবেলড পেমেণ্ট সিস্টেমকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কেউ যদি টাকা তুলতে চান, আর তাঁর কাছে যদি এটিএম কার্ড না থাকে, তাহলে নির্ধারিত কেন্দ্র থেকে টাকা তুলতে পারবেন। তবে এই ক্ষেত্রে শুধুমাত্র গ্রাহকের আঙুলের ছাপের প্রয়োজন হবে। আর আঙুল ছাপের জালিয়াতির মাধ্যমে (Biometric Fraud) প্রতারকরা টাকা চুরি করছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।  

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: জেল থেকে ফোনেই চলছে তোলাবাজি! আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা, কী করছে পুলিশ?

    Barrackpore: জেল থেকে ফোনেই চলছে তোলাবাজি! আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা, কী করছে পুলিশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলে বসেই বারাকপুর (Barrackpore)  শিল্পাঞ্চলে অবাধে তোলাবাজি চালায় বিচারাধীন বন্দিরা। পুজোর আগে এইসব দাগি বিচারাধীন বন্দিদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানালেন বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা। জেল কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে এই বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। জেলে থাকা বন্দিদের হাতে মোবাইল যাতে কোনওভাবেই না পৌঁছায় তা দেখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    জেলে বসেই বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলে তোলাবাজি! কী বললেন ব্যবসায়ীরা?

    কয়েক মাস আগেই বারাকপুর (Barrackpore) শহরের এক নামী বিরিয়ানি প্রস্তুতকারক সংস্থার মালিককে স্করপিও গাড়ি চেয়েছিল এক দাগি বন্দি। জেলে বসেই বিচারাধীন বন্দি সেই টাকা চেয়েছিল। বিরিয়ানির মালিক থানায় অভিযোগ করেছিলেন। পুলিশ মোবাইল ট্র্যাক করে জানতে পারে জেলখানা থেকেই এই ফোন এসেছে। এর পাশাপাশি বারাকপুর-বারাসাত রোডের উপরে আরও এক বিরিয়ানির মালিকের কাছে মোটা টাকা চায় এক বিচারাধীন বন্দি। বিরিয়ানি মালিক টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে হুমকি দেয় ওই বন্দি। হুমকি দেওয়ার দু’দিনের মধ্যেই বিরিয়ানির দোকানে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। দোকান লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলিও ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। এছাড়া ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বড় ব্যবসায়ী, প্রোমোটারের কাছ থেকেও তোলা দাবি করে এই সব দাগি অপরাধীরা। জেলে থেকেই চলে তোলাবাজির কারবার। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, জেলের ভিতরে বন্দিদের হাতে কী করে মোবাইল যায়? এর পিছনে জেল কর্তৃপক্ষের একাংশে হাত রয়েছে। জেলে বসেই বন্দিরা ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের অপরাধ জগৎ সামলাচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন কড়া না হলে এই ধরনের ঘটনা আরও বাড়বে। এই অঞ্চলে ব্যবসায়ীরা সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা করতে পারবে না। জানা গিয়েছে, বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় বারাকপুর মহকুমা সংশোধনাগার ছাড়াও দমদম জেল রয়েছে। মূলত এই দুটি জেল থেকেই দাগি বিচারাধীন বন্দিরা ফোন করে তোলাবাজি চালায়। এই দুই জেল কর্তৃপক্ষকে দাগি অপরাধীদের উপর নজরদারি চালানোর জন্য বলা হয়েছে।

    কী বললেন পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক?

    বারাকপুর (Barrackpore) পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, পুজোর আগে  জেল থেকে দাগি বিচারাধীন বন্দিরা তোলাবাজি করতে না পারে এই বিষয়ে জেল কর্তৃপক্ষকে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। এই ধরনের কারবারের সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। তাদের হাতে কোনও ভাবেই যাতে মোবাইল না যায়  তার নজরদারি করতে বলা হয়েছে। জেলে বসে কিভাবে তারা বাইরের। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: হাওড়া শিল্পাঞ্চল আজ শ্মশানভূমি! বিশ্বকর্মা পুজোর আনন্দ ম্লান

    Howrah: হাওড়া শিল্পাঞ্চল আজ শ্মশানভূমি! বিশ্বকর্মা পুজোর আনন্দ ম্লান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিল্পের জন্য যে শহরের পরিচিতি ছড়িয়ে পড়েছিল দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও সেই শহরে শিল্প আজ শ্মশান ভূমিতে পরিণত হয়েছে। প্রাচ্যের শেফিল্ডস নামে পরিচিত হাওড়া (Howrah) শিল্পাঞ্চলের বিশ্বকর্মা পুজোর জাঁকজমক জৌলুস একটা সময় হার মানাত দুর্গাপুজোকেও। আজ সেই ছবি ধূসর। এখন শুধুই ইতিহাস। বড় বড় বিশ্বকর্মার মূর্তি, তাসা, ব্যান্ড পার্টি, ঢাকের বাদ্যিতে যেখানে কানের পর্দা ফাটার উপক্রম হত আজ সেখানেই যেন নীরবে কোনওরকমে নিয়ম রক্ষার ঘট পুজোয় শিল্পের দেবতার নামমাত্র আরাধনায় মাততে হচ্ছে হাওড়া শিল্পাঞ্চলের মানুষদের।

    এক সময় হাওড়ায় কেমন হত বিশ্বকর্মা পুজো?

    আলামোহন দাসের তৈরি হাওড়ার দাসনগর শিল্পাঞ্চল এখন শ্মশানে পরিণত হয়েছে। গেস্টকিন উইলিয়ামস, রেমিংটন রেন্ড, বার্ন স্ট্যান্ডার্ড, ইন্ডিয়ান মেশিনারি, হুগলি ডক অ্যান্ড পোর্ট ইঞ্জিনিয়ারিং একের পর এক গঙ্গার ধার বরাবর গড়ে ওঠা জুট মিল, ফ্লাওয়ার মিল এখন এক একটা বিরাট ভূতুড়ে বাড়ির মত দাঁড়িয়ে আছে হাওড়া (Howrah) শহরজুড়ে। কোনও রকমে টিকে রয়েছে ঢালাই ও যৎসামান্য কয়েকটি লৌহ ইস্পাত, ক্ষুদ্র শিল্প। একটা সময় কারখানার ছুটি হলে বেজে উঠত সাইরেন। আর হাজারে হাজারে লোক কারখানা থেকে বেরিয়ে রওনা দিতেন গন্তব্যে। আজ সেই সাইরেনও শোনা যায় না। তখন দুর্গাপুজো মহালয়ার মতই বিশ্বকর্মা পুজো আসার ৩-৪ দিন আগে থেকেই একটা পুজো পুজো ভাব ফুটে উঠতো হাওড়া শিল্পাঞ্চলজুড়ে। কোনও কোনও কারখানায় তো বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে এক সপ্তাহ ছুটি দিয়ে দেওয়া হতো। দুর্গাপুজোর মতোই তখন বিশ্বকর্মা পুজোতে চালু ছিল থিম প্যান্ডেল। কোনও কারখানা কত বড় বিশ্বকর্মা প্রতিমা নিয়ে আসবে বা কে কাকে মণ্ডপে টেক্কা দেবে এটাই ছিল সব থেকে বড় প্রতিযোগিতা। বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে শ্রমিকদের সপরিবারেরও নিমন্ত্রণ থাকত। ভোর থেকেই শ্রমিক পরিবারের বউ ও মেয়েরা চলে আসতো কারখানায় পুজোর জোগাড় করতে। তারপর হত বিশ্বকর্মা পুজো এবং দিনভর খাওয়া-দাওয়া, হই হুল্লোর আনন্দ উৎসব। সারা বছরের কাজের ক্লান্তি চাপা পড়ে যেত এই দু-তিন দিনে।

    বিশ্বকর্মা পুজো নিয়ে কী বললেন লেদ কারখানার মালিক, শ্রমিকরা?

    লেদ কারখানার কর্মী সৌমিক মণ্ডল বলেন, তখনকার দিনে অনেক আগে থেকেই পুজো নিয়ে নানা পরিকল্পনা করা হত। কে ঠাকুর আনতে যাবে, এবারে কোনও শিল্পীকে আনা হবে সেসব নিয়ে আলোচনা চলত। সব কিছুর মধ্যেই একটা অন্যরকম অনুভূতি ছিল। এখন সবটাই ইতিহাস। কোনওরকমে সেই ট্রাডিশনকে ধরে রাখতে কোথাও ছোট ঠাকুর এনে আবার কোথাও শুধু ঘটপুজোয় বিশ্বকর্মার আরাধনা করতে হয়। জগদীশপুরের বাসিন্দা রবীন চট্টোপাধ্যায় বলেন, চাকরি করতেন বান স্ট্যান্ডার্ড কারখানায়। কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সম্পূর্ণ অসহায় হয়ে পড়েছিলাম। কোনও চাকরি না পেয়ে সংসারে অভাব নেমে আসে। মেয়ের পড়াশুনা বন্ধ হয়ে গেল। সেই কষ্টের দিনগুলো এখনও মনে পড়লে খুবই খারাপ লাগে। বিশ্বকর্মা পুজো একটা উৎসবের আকার নিত। এখন সবটাই ইতিহাস। কারখানা মালিক সনৎ কুমার দাস বলেন, হাওড়া (Howrah) শিল্পাঞ্চলে একসময় ছিল শিল্পের স্বর্ণযুগ। আজ সেই গৌরব আর নেই।

    মৃৎশিল্পীদের কী বক্তব্য?

    এক মৃৎশিল্পী বাপ্পা পাত্র বলেন, একটা সময় বিরাট বিরাট ঠাকুর হত। শয়ে শয়ে ঠাকুর বিক্রি হতো পুজোর দুদিন আগে থেকেই। এখন বড় ঠাকুরের অর্ডার তো আসেই না। উল্টে ছোট ঠাকুরের দাম পাওয়া যায়না। প্রতিবছরই ঠাকুরের চাহিদা কমছে। তিনি গত বছর যেখানে ৪৫ টি ছোট ঠাকুর তৈরি করেছিলেন এবছর ২০টি ঠাকুর তৈরি করেছেন। তাও বিক্রি হচ্ছেনা। হাওড়ায় (Howrah) ফিরে আসুক শিল্পের সেই সোনালী অতীত। শিল্পের কারিগরের কাছে সেই প্রার্থনা করলেন হাওড়ার শ্রমিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: বিশ্বকর্মা ও গণেশ পুজোতে বৃষ্টি! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    Weather Update: বিশ্বকর্মা ও গণেশ পুজোতে বৃষ্টি! কী বলছে হাওয়া অফিস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বর্ষায় দক্ষিণবঙ্গে একদমই ভাল বৃষ্টিপাত হয়নি। আবহাওয়া দফতরের (Weather Update) আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে প্রায় ৩৩ শতাংশ। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে ভালোই বৃষ্টি হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বৃষ্টির ঘাটতি যেন মিটছে সেপ্টেম্বর মাসে। মাস শুরু হতেই নিম্নচাপে বেশ খানিকটা বৃষ্টিপাত হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, এবারের বিশ্বকর্মা পুজো এবং গণেশ পুজোটা কাটবে বৃষ্টিতেই। প্রসঙ্গত, চলতি বছরে বিশ্বকর্মা পূজা পড়েছে ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার, পরদিন ১৯ সেপ্টেম্বর গণপতি বাপ্পার আরাধনায় মাতবে বাঙালি।  রবিবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গে সব জেলায় বৃষ্টির (Weather Update) কথা শুনিয়েছে আবহাওয়া দফতর। 

    দক্ষিণবঙ্গের কোন কোন জেলায় বৃষ্টি

    রবিবার উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া এই সমস্ত জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। অন্যদিকে, সোমবার অর্থাৎ বিশ্বকর্মা পুজোর দিন দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায় মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত চলবে। মাঝারি বৃষ্টিপাতের জেলাগুলি হল, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর। অন্যদিকে বাকি জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এই জেলাগুলি হল পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া। দক্ষিণবঙ্গের বৃষ্টিপাত (Weather Update) বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

    উত্তরবঙ্গে বৃষ্টিপাত

    অন্যদিকে রবিবার ও সোমবার উত্তরবঙ্গের কোনও জেলাতেই ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়নি আবহাওয়া দফতর। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।  তবে মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ উত্তরবঙ্গে বেশ খানিকটা বাড়বে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এই জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত (Weather Update) হতে পারে। জানা গিয়েছে, আগামী পাঁচ দিন উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে গরম দুই থেকে তিন ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়বে। পাঁচ দিন পর থেকে আবারও তিন ডিগ্রি তাপমাত্রা কমবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: ভোট পরবর্তী হিংসায় অভিযুক্ত আবু তাহের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আত্মসমর্পণ করলেন

    Nandigram: ভোট পরবর্তী হিংসায় অভিযুক্ত আবু তাহের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আত্মসমর্পণ করলেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসায় নাম জড়িয়েছিল নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা আবু তাহেরের। অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে হলদিয়া আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন তিনি। জানা গিয়েছে, তাঁর নামে হুলিয়াও জারি হয়ে গিয়েছিল। এরই মাঝে গ্রেফতারি এড়াতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আবু তাহের (Nandigram)। সেখানেও মেলেনি রক্ষাকবজ। পরের সুপ্রিম কোর্টে যান ভোট পরবর্তী হিংসায় অভিযুক্ত এই তৃণমূল নেতা। ভারতের সর্বোচ্চ আদালত তাঁকে ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেয়। শনিবার আত্মসমর্পণ করেন আবু তাহের। জানা গিয়েছে, ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শনিবার দুপুর নাগাদ আবু তাহের (Nandigram) তাঁর পুত্র এবং আইনজীবীকে নিয়ে হলদিয়া কোর্টে আসেন।

    বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতিকে হত্যায় নাম জড়ায় আবু তাহেরের

    প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের (Nandigram) ফল প্রকাশের পরে রাজ্যজুড়ে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ উঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। বহু বিজেপি কর্মী নিহত হন শাসক সন্ত্রাসে। ঘরছাড়া হন প্রায় লক্ষাধিক বিরোধী কর্মী। অবাধে রাজ্যজুড়ে লুট হতে থাকে একের পর বিজেপি কর্মীর বাড়ি। নন্দীগ্রামের চিল্লাগ্রামে বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতিকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দেবব্রতকে ভর্তি করা হয় কলকাতার হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় নাম জড়ায় নন্দীগ্রামের (Nandigram) তৃণমূল নেতা আবু তাহেরের।

    মামলা দায়ের ৩০২ ধারায়

    ভোট পরবর্তী হিংসাযর তদন্তভার হাইকোর্টের নির্দেশ মতো সিবিআই গ্রহণ করে। সেই তদন্তে উঠে আসতে থাকে একের পর এক শাসকদলের নাম। নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজেন্ট ছিলেন শেখ সুফিয়ান তাঁর নামও উঠে আসে। জানা গিয়েছে, সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে (Nandigram) ছিল আবু তাহেরের নাম। সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ তিনি এড়িয়ে যাচ্ছিলেন, কিন্তু রেহাই মিলল না। শনিবারই আত্মসমর্পণ করতে হল তাঁকে। আবু তাহেরের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বান্ধবীকে বিলাসবহুল গাড়ি উপহার, গ্রেফতার কোটিপতি কনস্টেবল, কেন জানেন?

    Birbhum: বান্ধবীকে বিলাসবহুল গাড়ি উপহার, গ্রেফতার কোটিপতি কনস্টেবল, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বান্ধবীকে ১১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দামের গাড়ি উপহার দিয়েছিলেন। নিজের নামে রয়েছে ১২টি ফিক্সড ডিপোজিট। এফডি-র  টাকার অঙ্কের পরিমাণ ৭৬ লক্ষ টাকা। তাঁর নামে ১০ লক্ষ টাকার জীবন বিমা রয়েছে। রয়েছে বিলাসবহুল বাড়ি। রয়েছে প্রচুর জমি। সব মিলিয়ে কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক। এক ঝলকে অ্যাকাউন্টের ব্যালান্স দেখে মনে হতেই পারে কোনও ব্যবসাদার। কিন্তু, সামান্য একজন ছাপোষা কনস্টবলের এই সম্পত্তি বলে সকলেই অবেক হবে। দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা হতবাক হয়েছিলেন বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাট থানার কনস্টেবল মনোজিৎ বাগীশের সম্পত্তির পরিমাণ দেখে।

    কী কারণে কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হল?

    কেষ্টর দৌলতেই কনস্টেবল সায়গল হোসেন কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছিলেন। কিন্তু, মনোজিৎ বাগীশের মাথার উপর কোনও কেষ্ট নেই। তবুও, তিনি কোটিপতি। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে। বারুইপুরে তাঁর ঝাঁ-চকচকে বাড়ি রয়েছে। প্রথমে হাওড়া সিটি পুলিশ ও তারপর হাওড়া গ্রামীণ পুলিশে কর্মরত মনোজিৎ বর্তমানে বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাট থানায় কনস্টেবলের পদে চাকরি করছিলেন। হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির তদন্তে নেমে ২০১২ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত বিভিন্ন তথ্য দেখে কার্যত চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকদের। বিপুল সম্পত্তি উদ্ধার হওয়ার পর তাঁদের আশঙ্কা, তাঁর নামে আরও ফ্ল্যাট-সম্পত্তি থাকতে পারে। হিসাব বর্হিভূত অর্থে অভিযোগের তদন্তে নেমে দুর্নীতি দমন শাখা তাঁকে গ্রেফতার করে। কীভাবে এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি তাঁর কাছে এল তা নিয়ে তথ্য জানতেই অভিযুক্ত কনস্টেবলকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    সূত্রের খবর, অভিযুক্ত কনস্টেবলকে গ্রেফতার করার পর আদালতে পেশ করলে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ আদালতের। বীরভূম (Birbhum) জেলাজুড়ে তাঁকে নিয়ে চর্চা চলছে। বারুইপুরের যে এলাকায় মনোজিৎ বাগীশ থাকেন, সেখানকার স্থানীয়দের বক্তব্য, চাকরি পাওয়ার পর থেকেই ক্রমশ বদলে যেতে থাকে তাঁর আর্থিক পরিস্থিতি। কনস্টেবলের চাকরি পাওয়ার কীভাবে এত সম্পত্তির মালিক হয়ে উঠলেন তা নিয়ে এলাকার চর্চাও চলত। তদন্তে আসল সত্য উদঘাটন হোক চাইছেন এলাকাবাসী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদায় থামবে এবার তেজস রাজধানী এক্সপ্রেস, জেলাজুড়ে খুশির হাওয়া

    Malda: মালদায় থামবে এবার তেজস রাজধানী এক্সপ্রেস, জেলাজুড়ে খুশির হাওয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল রাজধানী এক্সপ্রেসের। এর আগেও জেলার মানুষ এই দাবিতে একাধিকবার রেল কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছেন। জেলার মানুষের দাবি নিয়ে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দেখা করে লিখিত আবেদন জানিয়েছিলেন। অবশেষে রেল মন্ত্রক সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে। এবার মালদার (Malda) উপর দিয়ে ছুটবে তেজস রাজধানী এক্সপ্রেস।

    কোন রুট দিয়ে তেজস রাজধানী এক্সপ্রেস ছুটবে, জানেন?

    আগামীকাল থেকে মালদা (Malda) স্টেশনের কাউন্টারে এই ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন সকলে। রেল মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে এই তথ্য। পুরো বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিকও। ১৪ সেপ্টেম্বর রেলের তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগরতলা-আনন্দ বিহার তেজস রাজধানী এক্সপ্রেসের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। ২০৫০১ নম্বরের তেজস রাজধানী এক্সপ্রেস নতুন রুট আনন্দ বিহার থেকে ছেড়ে কানপুর, পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়, পটনা, জামালপুর, ভাগলপুর, মালদা টাউন, নিউ জলপাইগুড়ি, রঙ্গিয়া, গুয়াহাটি, বদরপুর, ধর্মনগর, আমবাসা হয়ে আগরতলা পৌঁছবে। একই রুটে আগরতলা থেকে আনন্দ বিহার যাবে ২০৫০২ নম্বর সাপ্তাহিক তেজস রাজধানী এক্সপ্রেস। রেল মন্ত্রকের এই বিজ্ঞপ্তি নিজের সোশাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছেন উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু।

    উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে। তিনি বলেন, আগরতলা-আনন্দ বিহার তেজস রাজধানী এক্সপ্রেস এখন থেকে আর কাটিহার স্টেশনে ঢুকবে না। ট্রেনটি মালদা (Malda) রুট দিয়ে চলাচল করবে। কয়েকদিনের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ট্রেনটির নতুন রুট ও সময়সূচি জানিয়ে দেওয়া হবে।

    কী বললেন বিজেপি সাংসদ?

    উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ন’টা থেকে মালদা টাউন স্টেশনে এই ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন সকলে। মালদার (Malda) উপর দিয়ে ছুটবে রাজধানী এক্সপ্রেস । যদিও এই পদক্ষেপের জন্য রেলমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে তিনি ভোলেননি। শুধু রাজধানী এক্সপ্রেসই নয়, রেল মন্ত্রকের পক্ষ থেকেও মালদার জন্য একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মালদা টাউন স্টেশনের ভোল বদলের কাজও শীঘ্রেই শুরু হবে । উন্নত করার পরিকল্পনা আছে জেলার অন্যান্য স্টেশনও। কিছুদিনের মধ্যেই সেসব কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে জানান সাংসদ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah Station: রণক্ষেত্র হাওড়া স্টেশন, আরপিএফ-হকারদের ব্যাপক সংঘর্ষ, তীব্র উত্তেজনা

    Howrah Station: রণক্ষেত্র হাওড়া স্টেশন, আরপিএফ-হকারদের ব্যাপক সংঘর্ষ, তীব্র উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার হাওড়া স্টেশনে (Howrah Station) আরপিএফ এবং হকারদের সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষে উত্তাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ঘটনায় আরপিএফের সঙ্গে হকারদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটলে লাঠিচার্জ হয়। এর ফলে বেশ কয়েকজন হকার ইতি মধ্যে আহত হয়ে পড়েন। হকারদের অভিযোগ, তাঁরা স্টেশনে ব্যবসা করতে গেলে রেল পুলিশ বাধা দেয়। প্রথমে উভয় পক্ষের মধ্যে বচসা হয়। আর তারপরে হকাররা প্ল্যাটফর্মে বসে অবস্থান করতে গেলে, রেলের পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয় এবং তারপর গোলমাল বাধে, মারামারি হয়। এই সংঘর্ষের ঘটনায় স্টেশনের যাত্রীদের মধ্যেও তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।

    স্টেশনর কোথায় ঘটল ঘটনা (Howrah Station)?

    সূত্রে জানা গেছে, হাওড়া স্টেশনের (Howrah Station) ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। হকাররা রেলের পুলিশদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, তাঁরা স্টেশনের মধ্যে থাকা দোকানের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচির কথা জানিয়েছিল, এবং সেই মতন তাঁরা বিক্ষোভ দেখানোর কাজে যোগদান করলে, রেলের পুলিশ এসে তাঁদের বাধা দেয়। এরপর একে একে সমস্ত হকাররা একত্রিত হলে, আরপিএফের সঙ্গে প্রথমে কথা কাটাকাটি এবং এরপর হাতাহাতি হয়। রেলের পুলিশ ঠিক তারপরেই ব্যাপক লাঠি চার্জ করে। ইতি মধ্যে বেশ কিছুজন হকার আহত হয়েছেন।

    আগেও হয়েছে ঝামেলা

    সূত্রে আরও জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবারেও এই হাওড়া স্টেশনে (Howrah Station) হকারদের সঙ্গে রেলের পুলিশদের এক প্রকার ঝামেলা হয়। হকাররা যে স্থানে বসে ব্যবসা করতেন, পুলিশ এসে তাঁদের তুলে দিয়েছিল। সেই দিনেও একপ্রকার ঝামেলা হয় উভয় পক্ষের মধ্যে। আরপিএফ পুলিশ এবং হাকারদের মধ্যে ঘটেছিল হাতাহতির ঘটনাও।

    গত বছর হয়েছিল সাঁতরাগাছি স্টেশনে ঝামেলা

    হাওড়া স্টেশনের মতন (Howrah Station) গত অগাস্ট মাসে সাঁতরাগাছি স্টেশনেও বেধে ছিল ব্যাপক সংঘর্ষ। হকার এবং আরপিএফের মধ্যে হয়েছিল ছিল ব্যাপক মারামারি। রেল পুলিশের লাঠির আঘাতে এক হাকারের মাথা ফেটে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। আর এই ঘটনার পরেই বাধে ব্যাপক সংঘর্ষ। রেল পুলিশের লাঠি চার্জের বিরুদ্ধে রামরাজাতলা এলাকায় চলে হকারদের অবস্থান বিক্ষোভ। এই ঘটনায় রেলের দক্ষিণ-পূর্ব শাখার বেশ কিছু রেল লাইন অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল। বেশ কিছু ট্রেন সাময়িক সময়ের জন্য আটকে যায়। যাত্রীদের ভীষণ অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share