Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Rape: ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ, অধরা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, কী করছে পুলিশ?

    Rape: ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ, অধরা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, কী করছে পুলিশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলেজ ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ (Rape) করার অভিযোগ উঠল স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ওই তৃণমূল নেতা ও তার এক সঙ্গী ওই ছাত্রীর নগ্ন ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় আতঙ্কিত দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দির বাজার থানার কেচারকুড় গ্রামের নির্যাতিতা ওই কলেজ ছাত্রী। 

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Rape)  

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল দশটা নাগাদ ব্যাঙ্কে যায়। সেখানে তার প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করেন ওই যুবতী। সেই সময় কেচারকুড় এলাকার দুই যুবক সাহারুল হালদার ও স্থানীয় তৃণমূল নেতা ইউনুস হালদার ওই কলেজ ছাত্রীকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে সেকেন্দারপুর মোড়ে নিজের একটি ফাঁকা বাড়িতে তোলে। প্রেমিককে একটি ঘরে আটকে রেখে অন্য একটি ঘরের মধ্যে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ (Rape) করা হয় বলে অভিযোগ। পরে, তার নগ্ন ছবি মোবাইলে তুলে নিয়ে হুমকি দেয়। বিষয়টি কাউকে জানানো হলে তার নগ্ন ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এমনকী তাদের ব্ল্যাকমেইল করে টাকাও নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ওই কলেজ ছাত্রীকে তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে হবে, না হলে নগ্ন ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। ঘটনায় নির্যাতিতা কলেজ ছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষা করানোর পাশাপাশি আদালতে গোপন জবানবন্দীর জন্য পেশ করে পুলিশ।

    কী বললেন নির্যাতিতা?

    নির্যাতিতা বলেন, বাড়ি ফিরে সমস্ত বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে জানাই। ঘটনার পর মন্দির বাজার থানায় অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি সারুল হালদার ও ইউনুস হালদারের  বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। আদালতে সমস্ত কিছু জানিয়েছি। কিন্তু, ঘটনার পর তিনদিন হয়ে গেল পুলিশ কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক। ওরা তৃণমূল করে বলে কি পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেবে না। আমাদের দাবি, অভিযুক্তদের ফাঁসি দেওয়া হোক।

    কী বললেন অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতার স্ত্রী?

    অবশ্য এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতা ইউনুস হালদারের স্ত্রী বলেন, যেহেতু আমার স্বামী তৃণমূল কংগ্রেস করেন, তাই চক্রান্ত করে  স্বামীকে ফাঁসানো হচ্ছে। ছাত্রীর পরিবারের লোকজন আইএসএফের কর্মী সমর্থক। এই সব ধর্ষণের (Rape) ঘটনায় আমার স্বামী জড়িত নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে জোর কদমে চলছে বিশ্বকর্মা প্রতিমা তৈরির কাজ, কী বললেন মৃৎশিল্পীরা!

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে জোর কদমে চলছে বিশ্বকর্মা প্রতিমা তৈরির কাজ, কী বললেন মৃৎশিল্পীরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র দুই দিন পরেই বিশ্বকর্মা পুজো। কেমন হচ্ছে প্রতিমা বিক্রি? কেমনই বা আছেন মৃৎশিল্পী কর্মীরা? মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার ফরাক্কার মহাদেবনগরের পালপাড়া গ্রাম এবং বহরমপুরের মৃৎশিল্পীদের কথায় উঠে এলো তাঁদের জীবনে সংগ্রামের কথা। প্রতিমা তৈরির শেষ তুলির টান চলছে জোর কদমে। পুজো কি আর সারা বছর হয়! বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়েই হয়। তাই এই সময়ে যদি প্রতিমা বিক্রি করে লাভের মুখ দেখতে না পান, তাহলে মৃৎশিল্পীদের বাকি সারাটা বছর অত্যন্ত অভাব-অনটনের মধ্যে জীবন কাটাতে হবে। তাই শিল্পীরা নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়ে, রাজ্য সরকারের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এই জেলার মৃৎশিল্পীরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি করে বলেন, পুজো মন্ডপ গুলির মতন আমাদেরও অনুদান চাই। 

    সরকারী অনুদান চাইলেন মৃৎশিল্পীরা (Murshidabad)?

    স্থানীয় (Murshidabad) মৃৎশিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাল বাদে পরশু বিশ্বকর্মা পুজো। জোর কদমে চলছে প্রতিমা তৈরির ব্যাস্ততা। তবে এই বছর তেমন ভাবে বেচাকেনা নেই, কিছু প্রতিমার অর্ডার পাওয়া গেলেও, তাতে লাভের পরিমাণ কম। আর তাই তাঁদের খুব কষ্টের মধ্যেই কাটছে দিন। এই অবস্থায় মৃৎশিল্পকে এবং শিল্পীদের পারিবারিক জীবনকে সুরক্ষিত করতে সরকারের সাহায্য একান্ত প্রয়োজন। শিল্পীদের তরফে জানানো হয়, পুজো উদ্যোগতা ক্লাব গুলির জন্য যদি, ৭০ হাজার টাকা দেওয়া যেতে পারে, তাহলে যাঁরা পুজোর ঠাকুর তৈরির কারিগর, তাঁরা কেন আর্থিক সাহায্য পাবেন না!

    মৃৎশিল্পীর বক্তব্য

    ফরাক্কার (Murshidabad) মৃৎশিল্পী কৌশিক পাল বলেন, “যেমন ভাবে সরকার পুজো মন্ডপ গুলোকে অনুদান দিয়েছে, ঠিক সেই ভাবেই মৃৎশিল্পীদের আর্থিক সাহায্য প্রয়োজন।” উল্লেখ্য ফরাক্কার পালপাড়ায় ও বহরমপুরে খাগড়ায় বহু মৃৎশিল্পীদের পরিবার চলে একমাত্র প্রতিমা বিক্রি এবং বিভিন্ন হস্তশিল্পের কাজের উপর। তাই এই শিল্পীদের জন্য বিশেষ আর্থিক অনুদানের আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।

    বহরমপুরের আরেক শিল্পী বলেন, এই বছর বিশ্বকর্মা পুজো বায়না অনেক কম হয়েছে। দিন দিন সাজের জিনিসপত্রের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। অপর দিকে ভালো সাজ না হলে ক্রেতারা প্রতিমা ক্রয় করতে চাননা। তাই দাম বেশি বলে মানুষের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সরকার যদি কলকাতার কুমারটুলির মৃৎশিল্পীদের মতন আমাদেরও স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করত, তাহলে আমরা ভীষণ ভাবে উপকৃত হতাম।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP-TMC Clash: কলকাতা পুরসভায় মারধর বিজেপি কাউন্সিলার সজল ঘোষকে, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP-TMC Clash: কলকাতা পুরসভায় মারধর বিজেপি কাউন্সিলার সজল ঘোষকে, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ কলকাতা পুরসভার অন্দরে (BJP-TMC Clash)। অভিযোগ, বিজেপি কাউন্সিলার সজল ঘোষকে পুরসভার অধিবেশন চলাকালীন ধাক্কা দেন তৃণমূল কাউন্সিলর অসীম বসু। এ নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে যায় পুরসভার ভিতরে। তবে এই দিনের ঘটনা নতুন কিছু নয়, গত মাসেই পুরসভার অন্দরে এমন কাণ্ড দেখা গিয়েছিল। শ্যামপুকুর বিধানসভা এলাকায় এক বিজেপি (BJP-TMC Clash) নেতার বাড়ি জেসিপি নামিয়ে ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে পুরসভার বিরুদ্ধে। সে নিয়ে পুরসভার অন্দরে সরব হতেই তৃণমূল কাউন্সিলাররা মারধর করে বিজেপি কাউন্সিলরদের। একমাসের ব্যবধানে পের একবার তৃণমূলের সন্ত্রাস দেখা গেল কলকাতা পুরসভায়। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, রাজ্যের সর্বত্র তৃণমূলের সন্ত্রাস দেখছে সাধারণ মানুষ। রাস্তার সন্ত্রাস এবার উঠে এসেছে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠানেও।

    ঠিক কি ঘটেছিল?

    জানা গিয়েছে, এদিন পুরসভার অধিবেশনে বিজেপির তরফে টেন্ডার দুর্নীতি নিয়ে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ দুর্নীতি প্রস্তাব উত্থাপন করতেই ঝাঁপিয়ে পড়েন তৃণমূল কাউন্সিলররা এবং মারধর শুরু করে ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সজল ঘোষকে (BJP-TMC Clash)। শুধু তাই নয়, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজের অভিযোগও ওঠে তৃণমূল কাউন্সিলার অসীম বসুর বিরুদ্ধে। এরপরেই অধিবেশ বয়কট করেন বিজেপি কাউন্সিলাররা। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই মেয়র বলেন, ‘‘বিরোধীরা এখানে প্রশ্নই করেনা! আমাদের কাউন্সিলারদেরই প্রশ্ন করতে হয়।’’ মেয়রের সামনেই দেখা গেল বিরোধীরা প্রশ্ন করলে ঠিক কী পরিণতি হয়।

    বিক্ষোভ বিজেপির

    বিজেপি কাউন্সিলাররা এদিনের ঘটনা পরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরে তাঁরা সাংবাদিক সম্মেলনও করেন। পুরসভার অন্দরে তাঁদের যে কোনও নিরাপত্তা নেই একথাও বলেন  গেরুয়া শিবিরের কাউন্সিলাররা। মারামারির ঘটনা নিয়ে সজল ঘোষ এবং অসীম বসু দুজনের কাছেই জবাব তলব করেছেন চেয়ারপার্সন মালা রায়। সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলেন চেয়ারপার্সন, তবে ব্যবস্থা গ্রহণ যে কতটা পক্ষপাতহীন হবে তা নিয়ে সন্দিহান গেরুয়া শিবিরের একাংশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • NIA: বেলডাঙায় ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ এবার যুক্ত করল ইউএপিএ ধারা

    NIA: বেলডাঙায় ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ এবার যুক্ত করল ইউএপিএ ধারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় দেড়় বছর আগে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বোমা বিস্ফোরণকাণ্ডে ‘আন ল ফুল অ্যাক্টিভিটিস প্রিভেশন অ্যাক্ট’ অর্থাৎ ইউএপিএ যুক্ত করল এনআইএ (NIA)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে এমন কিছু জিনিস উদ্ধার হয়েছে, যা সাধারণত মিলিটারি গ্রেনেডের মতো। সাধারণ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় যা মূলত উদ্ধার হয় না।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (NIA)

    এনআইএ ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি  বেলডাঙা থানার রামেশ্বরপুর গ্রামে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় একটি বাগানে ছোট পাম্পের ঘরে এই বিস্ফোরণ হয়েছিল। বিস্ফোরণে উড়ে যায় গোটা ঘরটি। ইয়াসউদ্দিন শেখ ওরফে ছাদি শেখ নামে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয় ঘটনাস্থল থেকেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে অভিযোগ করা হয়, ওই পাম্পের ঘরে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল। প্রথমে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে রাজ্য পুলিশ। ঘটনাস্থলে যান ফরেন্সিক আধিকারিকরা। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে এই ঘটনার গুরুত্ব বুঝে তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে এনআইএ (NIA)। আবারও ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান এনআইএ আধিকারিকরা। তবে ততদিনে ৯ মাস পেরিয়ে গিয়েছে। তদন্তে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৭৪ টি গ্রেনেড উদ্ধার করেছিল। সেই রিপোর্ট পুলিশ এনআইএ-এর হাতে তুলে দেয়। মামলার গুরুত্ব অনেকটাই বেড়ে যায়। কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির রিপোর্টের ভিত্তিতে ইউএপিএ-র আবেদন করা হয়। কারণ, সাধারণ বোমা তৈরির ক্ষেত্রে এই ধরনের জিনিস ব্যবহার করা হয় না। কী কারণে সেখানে এই ধরনের শক্তিশালী বোমা তৈরি করা হচ্ছিল তার সূত্র খোঁজার চেষ্টা করছে এনআইএ।

    আদালতে কী জানিয়েছে এনআইএ?

    আদালতে এনআইএ (NIA) জানায়, পাইপ বোমা বা বোমাতে লোহার টুকরো যা ব্যাবহার করা হয়েছে, তা সাধারণত মিলিটারি গ্রেনেডের মতো। ঘটনায় যারা গ্রেফতার হয়েছে এবং যারা জামিনে রয়েছে, তাদের জামিন বাতিল করার আবেদন জানানো হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mandarmani: যুবতীকে ধর্ষণ করে খুন, উদ্ধার মন্দারমণিতে, নারীপাচার চক্রের যোগ!

    Mandarmani: যুবতীকে ধর্ষণ করে খুন, উদ্ধার মন্দারমণিতে, নারীপাচার চক্রের যোগ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:১১ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে মন্দারমণির (Mandarmani) চাঁদপুরে অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবতীর অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সেই যুবতীর পরিচয় পেলেন তদন্তকারীরা। যুবতীর বাড়ি নদিয়ার তাহেরপুরে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, তাঁকে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধ খুন করা হয়েছে। মন্দারমণি, চাউলখোলা এলাকায় একটি নারী পাচার চক্র রয়েছে। তারা বিভিন্ন এলাকা থেকে গরিব মেয়েদের ভাল কাজ দেওয়ার নাম করে নিয়ে এসে বিপথে চালিত করে। এই যুবতীও এই ধরনের চক্রের খপ্পড়ে পড়েছিল বলে বলে পরিবারের লোকজনের দাবি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Mandarmani)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি সপ্তাহে শনিবার কিংবা রবিবার সোদপুরে বিউটিশিয়ানের কোর্স শিখতে যেতেন মৃত যুবতী। শনিবার দিদির বাড়ি বারাকপুরে থেকে সোদপুরের উদ্দেশে বের হন এবং বাড়িতে ফোন করে জানান ফিরতে রাত হবে। ১০ সেপ্টেম্বর রবিবার সন্ধে ৬টার সময় মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এরপর তাঁর ফোন সুইচ অফ দেখায়। ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে মন্দারমণি (Mandarmani) কোস্টাল থানা এলাকার চাঁদপুরে সমুদ্রের পাশে বোল্ডারের ওপর একটি অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সময় নাম-পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ। এদিকে যুবতীর পরিবার তাহেরপুর থানায় মিসিং ডায়েরি করে। এরপর জানা যায়, মৃত যুবতীই তাহেরপুরের বাসিন্দা।

    পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    কীভাবে নদিয়ার তাহেরপুর থেকে সোদপুর হয়ে মন্দারমণি (Mandarmani) পৌঁছলেন, তার ব্যাখা নেই পরিবারের কাছেও। যদিও মৃত যুবতীকে ধর্ষণের পর গলা টিপে খুন করা হয়েছে বলে বিস্ফোরক দাবি করলেন মৃত যুবতীর দাদা দিলীপকুমার পাল। তিনি বলেন, ‘মন্দারমণির চাউলখোলায় একটি বড়সড় চক্র রয়েছে। যাঁরা বিভিন্ন জায়গা থেকে গরিব বাড়ির মেয়েদের কাজ ও টাকার প্রলোভন দেখিয়ে বিপথে পরিচালনা করে। সোদপুর পর্যন্ত এই চক্র কাজ করছে কিনা পুলিশ তদন্ত করলে পরিষ্কার হয়ে যাবে। হয়তো আমার বোনকে এখানে নিয়ে এসে বাজে কাজ করানোর চেষ্টা করেছিল। রাজি হয়নি বলেই বোনকে মেরে ফেলা হয়েছে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: চাকরিপ্রার্থীর ভুল বানানে তাজ্জব বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, বাতিল করলেন নিয়োগ

    Calcutta High Court: চাকরিপ্রার্থীর ভুল বানানে তাজ্জব বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, বাতিল করলেন নিয়োগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেট পরীক্ষায় অনিয়মের বিরুদ্ধে একের পর এক রায় দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর রায়ে স্বস্তি পেয়েছেন যোগ্য প্রার্থীরা। এদিকে সম্প্রতি, কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) নিজেকে যোগ্য বলে দাবি করেন এক চাকরিপ্রার্থী। তিনি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসের দ্বারস্ত হন। আদালতে তিনি মামলা করেন যে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় ৬টি প্রশ্ন ভুল ছিল, এই নম্বর পেলে তিনি চাকরিটা পেতেন। চাকরিপ্রার্থীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে ইন্টারভিউ এবং অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট এর নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার সেই ইন্টারভিউয়ের ভিডিও দেখে বিস্মিত হয়ে গেলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। 

    ইন্টারভিউ-এর ভিডিও 

    বিচারপতির (Calcutta High Court) প্রশ্ন, ‘‘এই যোগ্যতা নিয়ে আপনি শিক্ষকতা করবেন? আপনার আবেদন খারিজ করতে বাধ্য হচ্ছি।’’  আসলে ইন্টারভিউ-এর ভিডিওতে দেখা যায় ওই চাকরিপ্রার্থী ব্ল্যাকবোর্ডে লিখছেন, ‘‘আমরা চাষ করী আনন্দে’’, সঠিক বানান হওয়া উচিত ছিল ‘করি’। কিন্তু তিনি লিখেছেন ‘করী’। পাশাপাশি চাকরিপ্রার্থীকে পাল্টা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, ‘‘বলুনতো দুর্গা বানান কি?’’ মৌখিকভাবে প্রার্থী জানান, ‘দূর্গা’ হল সঠিক বানান। চাকরিপ্রার্থীর আবারও ভুল বানান শুনে কার্যত বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি (Calcutta High Court) গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘এই সাধারণ ছোটখাটো বানান না জানলে আপনি শিক্ষক হবেন কীভাবে?, করি বানানে ভুল হল কেন?’’ চাকরিপ্রার্থী উত্তর দেন, ‘‘আমি নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলাম অনেকদিন আগে পড়াশোনা করেছি তো তাই।’’

    বিচারপতির পাল্টা উত্তর

    বিচারপতি (Calcutta High Court) পাল্টা বলেন, ‘‘আমিও তো অনেক আগে পড়াশোনা করেছি আমারও তো ভুল হওয়ার কথা।’’ এরপরে সম্পূর্ণ ভিডিও আর দেখেননি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘আমি আর সমস্ত ভিডিওটা দেখব না। এই বিদ্যা নিয়ে স্কুলে পড়ানোর যোগ্যতা আপনার নেই! আপনার থেকে অনেক কম যোগ্য চাকরিপ্রার্থী অনিয়মের ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছে, কিন্তু আপনিও স্কুলে পড়ানোর যোগ্য নন।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Shantipur: এটাই কি উন্নয়ন! অভাবের তাড়নায় দুধের শিশুকে বিক্রি করে দিচ্ছেন মা?

    Shantipur: এটাই কি উন্নয়ন! অভাবের তাড়নায় দুধের শিশুকে বিক্রি করে দিচ্ছেন মা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকার বিনিময়ে এক মাসের শিশুকন্যাকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুরসভার চেয়ারম্যান সহ পুর প্রতিনিধিরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে আটক করে। যদিও শিশু বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গৃহবধূ ও তাঁর পরিবারের লোকজন। নদিয়ার শান্তিপুর (Shantipur) পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বেড় পাড়ার ঘটনা।

    ঘটনাস্থলে পুরসভার চেয়ারম্যান

    শান্তিপুর (Shantipur) পুরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষের দাবি, হঠাৎই তিনি জানতে পারেন, ওই এলাকার এক গৃহবধূ তাঁর একটি এক মাসের শিশুকন্যাকে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ওই গৃহবধূর আরও এক বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। খবর পেতেই নিজে ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে ঘটনার সত্যতা জানার চেষ্টা করেন তিনি। ওই গৃহবধূকে একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদ করলে পরবর্তীতে নিজের মুখে স্বীকার করে নেন, হ্যাঁ, তিনি এই কাজ করার চেষ্টা করেছেন। এই ঘটনা নিন্দনীয় বলেই জানিয়েছেন পৌরসভার চেয়ারম্যান।

    কী বললেন গৃহবধূ?

    অন্যদিকে গৃহবধুর পরিবারের দাবি, অর্থের অভাবে কোনও রকমে সংসার চলে। যে কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝেমধ্যেই অশান্তি হত। বেশ কয়েক হাজার টাকা দেনা হয়ে যায় ওই গৃহবধূ ও তাঁর স্বামীর। সেই কারণেই বাচ্চাদের মানুষ করতে পারবেন না বলে ওই গৃহবধূ তাঁর নিজের আত্মীয়কে আইনের পথে হেঁটেই  শিশুকন্যাকে দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। যদিও এসব অস্বীকার করে অভিযুক্ত গৃহবধূর (Shantipur) দাবি, তিনি বাচ্চা বিক্রি করেননি। নিজের ইচ্ছাতেই তাঁর জা-এর কাছে দিয়ে দিচ্ছিলেন। কারণ দেনার দায়ে কর্মসংস্থানের জন্য অন্যত্র চলে যেতেন তিনি।

    তদন্তে শান্তিপুর (Shantipur) থানা

    এই ঘটনায় এলাকায় রীতিমতো উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এখন শিশুকন্যা সহ স্বামী-স্ত্রী দুজনেই রয়েছেন পুলিশের (Shantipur) হেফাজতে। এখন দেখার সত্যিই কি ওই গৃহবধূ নিজে থেকেই তাঁর শিশুকন্যাকে বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, নাকি ঘটনার পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ। এসবই তদন্ত করে দেখছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: বিজেপি করায় ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে তৃণমূল, শিক্ষকের পাশে দাঁড়াল ছাত্রছাত্রীরা!

    Uttar Dinajpur: বিজেপি করায় ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে তৃণমূল, শিক্ষকের পাশে দাঁড়াল ছাত্রছাত্রীরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রিয় শিক্ষককে পুনরায় স্কুলে ফেরাতে এবার ক্লাস বয়কট করে আন্দোলনে নামল ছাত্রছাত্রীরা। তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন বিদ্যালয়েরই অন্য শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ শিক্ষাকর্মীরা। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার চোপড়ার সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত টাটু সিংহ স্মৃতি হাই স্কুলে। মূলত, বিজেপি দল করার অপরাধে বুধবার ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ভবেশ করকে স্কুল থেকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ওই বিদ্যালয়েরই পরিচালন সমিতির সদস্য, প্রধান শিক্ষক সহ বহিরাগত কিছু তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।

    আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি

    এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার স্কুলগেটের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন ওই শিক্ষক। শুক্রবার ওই শিক্ষককে নিগ্রহ করার প্রতিবাদে এবং পুনরায় তাঁকে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসার দাবিতে ক্লাস বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয় ছাত্রছাত্রীরা। তাদের এই দাবির পাশে দাঁড়ান ওই বিদ্যালয়েরই অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ অশিক্ষক কর্মীরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে ভবেশবাবুকে বিদ্যালয়ের কাজে যোগ দেওয়াতে হবে। তা না হলে এই আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি দেয় ছাত্র-ছাত্রীসহ শিক্ষক শিক্ষিকারা (Uttar Dinajpur)।

    কী ঘটেছে আগে?

    উল্লেখ্য, ২০২১ সালে চোপড়ায় মাম্পি সিংহ নামে এক নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল গোটা জেলা (Uttar Dinajpur)। তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে পরিবার এবং জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। দোষীদের শাস্তির দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভে নামে বিজেপি। সেই ঘটনায় পথ অবরোধ ও সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগে ভবেশবাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তী সময়ে তাঁর সাজা ঘোষণা হয়। প্রায় ২৭ দিন জেল হেফাজতে থাকার পর গত ২৪ শে অগাস্ট ছাড়া পান ভবেশবাবু। তারপর তিনি আবার স্কুলে কাজে যোগ দেন। যদিও কাজে যোগ দেওয়ার পরও তাঁকে রেজিস্টারে সই করতে দেওয়া হচ্ছিল না বলে অভিযোগ ভবেশবাবুর। ছাত্র-ছাত্রী এবং সহকর্মীদের পাশে পেয়ে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ভবেশবাবু।

    কী বললেন প্রধান শিক্ষক?

    অন্যদিকে গোটা ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রণবকুমার বারুই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গোটা ঘটনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে যত দ্রুত সম্ভব আইনি নিয়ম মেনে ভবেশবাবুকে বিদ্যালয়ে (Uttar Dinajpur) যাওয়ার ব্যবস্থা করবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Bankura: স্কুলের পাশেই বারুদের স্তূপে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ! প্রশাসন কি এতটাই অপদার্থ?

    Bankura: স্কুলের পাশেই বারুদের স্তূপে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ! প্রশাসন কি এতটাই অপদার্থ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাস্তার এ প্রান্তে সরকারি মডেল স্কুল, আর তার ৫০ ফুট দূরত্বে আরেক প্রান্তে ওয়েস্ট বেঙ্গল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড নামে সরকারি অধীনস্থ এক বেসরকারি সংস্থার কারখানা। যে কারখানায় (Bankura) রাজ্যের বিভিন্ন জেলার সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংস্থার বর্জ্য পদার্থ নষ্ট করা হয় বিভিন্ন রাসায়নিক প্রক্রিয়ায়। কিন্তু সেই কারখানায় এবার বারুদ নিষ্ক্রিয় করার ঘটনায় উঠে এল একাধিক প্রশ্ন।

    গল গল করে বের হচ্ছে আগুন ও কালো ধোঁয়া (Bankura)

    উল্লেখ্য, উচ্চ শব্দ সৃষ্টিকারী বেআইনি বাজি ও আতশবাজি রোধে রাজ্যের বিভিন্ন থানা বাজেয়াপ্ত করেছে একাধিক অবৈধ বাজি ও আতশবাজি। আর সেই সকল বাজি ও আতশবাজি প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছে এই বেসরকারি সংস্থায়। কিন্তু সেই আতশবাজি নিষ্ক্রিয় করার ঘটনায় ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সাক্ষী রইলেন সরকারি সেই মডেল স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং গ্রামের মানুষজন। গত পরশুদিন অর্থাৎ বুধবার পশ্চিম বর্ধমানের হিরাপুর থানায় বাজেয়াপ্ত করা বেশ কিছু আতশবাজি নিষ্ক্রিয় করার জন্য লরিতে করে আনা হয় এই কারখানায় (Bankura)। নিষ্ক্রিয় প্রক্রিয়া চলাকালীন ঘাটে বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের তীব্র আওয়াজে গোটা স্কুল জুড়ে শুরু হয় ছাত্রছাত্রীদের হুড়োহুড়ি। ক্লাস থেকে বেরিয়ে আছে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শিক্ষক শিক্ষিকারা। ঘটনার তদন্তে স্কুলের শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীরা ছাদের উপরে গেলে দেখতে পান, স্কুলের পাশের কারখানা থেকে গল গল করে বের হচ্ছে আগুন ও কালো ধোঁয়া। গোটা আকাশ ঢাকা পড়ে কালো ধোঁয়ায়। বিকট আওয়াজ ও ধোঁয়া দেখে আতঙ্কে পড়ে যান কারখানার অদূরে থাকা গ্রামবাসীরাও।

    কারখানা (Bankura) বন্ধ করার দাবি

    গ্রামবাসীদের দাবি, ভয়ঙ্কর শব্দে গ্রামের কাঁচা বাড়ির দেওয়াল কেঁপে ওঠে। ঘটনার আতঙ্কের ছাপ এখনও গোটা এলাকা জুড়ে। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, স্কুলের অদূরে কীভাবে গড়ে উঠতে পারে এমন একটি কারখানা? ২০১৬ সালে নির্মিত হয় শালতোড়া ব্লকের পাবয়া গ্রামে সরকারি এই মডেল স্কুল। ২০২১ সালে এই মডেল স্কুলের পাশেই নির্মিত হয় এই  বেসরকারি সংস্থা। তাহলে প্রশ্ন উঠছে সরকারি স্কুলের পাশেই কারখানা নির্মাণে কিভাবে ছাড়পত্র পেল এ সংস্থা? সংশ্লিষ্ট দপ্তর কি আদৌ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দিয়েছিলেন এই ছাড়পত্র? প্রশাসন কি এতটাই অপদার্থ? তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী এমনকি গ্রামের মানুষের একটাই দাবি, এই কারখানায় (Bankura) অবিলম্বে বন্ধ করা হোক বাজি ও আতশবাজি নিষ্ক্রিয় করার কাজ। যদিও শালতোড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: কবে সম্ভব রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির নির্বাচন? জানতে চাইল আদালত

    Calcutta High Court: কবে সম্ভব রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির নির্বাচন? জানতে চাইল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটির নির্বাচনের দিনক্ষণ কবে করা সম্ভব? রাজ্যের কাছে তা জানতে চাইলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা। শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা এই মর্মে নির্দেশ দেন আগামী মঙ্গলবার এর মধ্যে অর্থাৎ ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজ্যকে জানাতে হবে যে রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে কবে নির্বাচন হচ্ছে? পাশাপাশি বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দিয়েছেন, যতদিন না পর্যন্ত স্থায়ী সমিতি গঠন হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত বিরোধী পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনওরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না পুলিশ। 

    বিচারপতির পূর্বের নির্দেশ

    প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ১১ তারিখ বিচারপতি (Calcutta High Court) অমৃতা সিনহা ওই পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটি গঠনের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করেছিলেন। এর ফলে সভাপতি নির্বাচিত হলেও সেখানে কোনও স্থায়ী কমিটি গঠন হয়নি, ইতিমধ্যে ডোমকলের মহকুমা শাসককে হাইকোর্ট জানিয়েছিল যে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী কমিটির কোনও রকমের বৈঠক ডাকা যাবে না। শুক্রবারই কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এই মর্মে শুনানি চলাকালীন রাজ্যের মতামত জানতে চাইলেন অমৃতা সিনহা।

    আরও পড়ুন: মউ স্বাক্ষরই সার, মমতার এবারের বিদেশ সফরের নিটফল সেই ‘অশ্বডিম্ব’!

    বিরোধীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ

    প্রসঙ্গত, রানিনগরের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন বাম সমর্থিত একজন কংগ্রেস প্রার্থী। কিন্তু বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, পুলিশকে ব্যবহার করে স্থায়ী সমিতি গঠন করতে দিচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেস। একই সঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের। ৬ জন বিরোধী সদস্যের ওপর বর্তমানে মামলা চলছে। কংগ্রেসের দাবি, ভোটে অংশ নিতে চান তাঁরা। প্রসঙ্গত, রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতির মোট সদস্য ৪২ জন। বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীরা এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়।

    আরও পড়ুুন: “ওরা সনাতন ধর্মকে মুছে দিতে চায়”, মধ্যপ্রদেশে প্রধানমন্ত্রীর নিশানায় ইন্ডি-জোট

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share