Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • South 24 Parganas: চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, মহিলার হাতে চড় খেলেন তৃণমূল নেতা

    South 24 Parganas: চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, মহিলার হাতে চড় খেলেন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে তৃণমূল নেতাকে প্রকাশ্য দিবালকে চড় মারার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি  ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) ফ্রেজারগঞ্জ পোস্টাল থানার কয়লাঘাটা এলাকায়। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম স্বপন দাস।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    স্বপন দাস নামে ওই তৃণমূল নেতা দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) ফেজারগঞ্জের নূপুর হাজরা নামে এক মহিলার কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেন বলে অভিযোগ। আর সেই টাকা চাইতে গেলে তাকে বারে বারে হুমকি ও ভয় দেখানো হচ্ছিল। এরপরই প্রতারিত ওই মহিলা তৃণমূল নেতাকে সামনে পেয়ে ধরে ফেলেন। তাঁকে চড় মারেন, আর সেই ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তবে, ওই তৃণমূল নেতাও ওই মহিলাকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ।

    কী বললেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা?

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা স্বপন দাস বলেন,গাড়ি কেনা-‌বেচা নিয়ে ওই মহিলার সঙ্গে টাকার লেনদেন হয়েছিল। আমি ওই ভদ্রমহিলার কাছে গাড়ি কিনেছিলাম। কিন্তু, তাঁর কাগজপত্র বৈধ ছিল না। তাই নিয়ে কেস চলছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপ আদালতে। আর যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে সেই সময় আমি ডায়মন্ডহারবার জেলে ছিলাম। তাহলে তখন টাকা নিলাম কী করে? সবটাই মিথ্যা কথা।

    প্রতারিত মহিলার কী বক্তব্য?

    নূপুরদেবী বলেন, চাকরি দেওয়ার নাম করে আমার কাছ থেকে হাজার তিরিশ টাকা নিয়েছে। এখন আর তা ফেরত দিচ্ছে না। চাকরিও করে দেয়নি। আমি টাকা চাইতে গেলে আমায় মারধর করেছে। ওর স্ত্রী আমায় অপমান করছে। তাই যখন টাকা দেয়নি তখন আমি বলেছি মেরে পাওনা টাকা আদায় করব। স্বপন দাস বহু মানুষের কাছ থেকে চাকরি সহ সরকারি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। তৃণমূলের বিভিন্ন নেতার কাছেও অভিযোগও জানিয়েছি। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয় নিয়ে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা বলেন, যদি এমন কাজ করে থাকে, অবশ্যই শাস্তি পাবে। এখনও আমি বিষয়টি ভালো করে জানি না আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা অনুপ সামন্ত বলেন, চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করেছে ওই তৃণমূল নেতা। তাই, প্রকাশ্যে ওই নেতার উপর চড়াও হলেন মহিলা। আগামীদিনে আবারও এই ঘটনা ঘটেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “খেটে মরছেন মজুর, আর খেজুর খাচ্ছেন হুজুর!” অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “খেটে মরছেন মজুর, আর খেজুর খাচ্ছেন হুজুর!” অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “খেটে মরছেন মজুর, আর খেজুর খাচ্ছেন হুজুর! ২০১১ সালের আগে ভাইপো কোথায় ছিল? পশ্চিমবঙ্গের সবাই জানে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত কে। যার স্ত্রীর নামে কয়লার টাকা ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ঢোকে।” বৃহস্পতিবার নদিয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়ায় এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এভাবেই আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ‘আমার মাটি আমার দেশ’ কর্মসূচিকে সামনে রেখে গোটা দেশ জুড়ে মাটি সংগ্রহ করছে বিজেপি। এদিন নদিয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়ায় কৃত্তিবাস ওঝার জন্মস্থান থেকে মাটি সংগ্রহ করা হয় বিজেপির তরফ থেকে। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    ইডি-সিবিআইকে ধন্যবাদ

    প্রথমে তিনি কৃত্তিবাস ওঝার মূর্তিতে মাল্যদান করেন। এরপর কৃত্তিবাস ওঝার জন্মভিটা পরিদর্শন করেন এবং সেখান থেকে মাটি সংগ্রহ করেন। এরপরেই কিছুক্ষণের জন্য মঞ্চে উঠে বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন (Suvendu Adhikari), কে ডি সিং-এর কাছ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টাকা নিয়ে মামলা দায়ের করেছিল। এরপরেও আমি প্রায় সাড়ে ৮২ হাজার ভোটে জয়লাভ করেছিলাম। যার স্ত্রীর ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে কয়েক লাখ টাকা ঢোকে, যার শালি ভারত ছেড়ে পালিয়ে থাকে এবং যার বাবা-মায়ের নামে লিভস এন্ড বাউন্ডস কোম্পানি রয়েছে। শুধু তাই নয়, যে কোম্পানির প্রথম সারির কর্মচারী এখন জেল খাটছেন, সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালের আগে কোথায় ছিলেন? আর পশ্চিমবঙ্গের মানুষ জানে কীভাবে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে। ইডি-সিবিআই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে কাজ আমরা পারিনি, সেই কাজ বিচার ব্যবস্থা করে দেখাচ্ছে। আমরা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।

    শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ

    বুধবারই ইডির প্রশ্নবাণের মুখোমুখি হয়েছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে ইডির দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “কয়লা পাচার, গরু পাচার, এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি, সবেতেই তাঁকে একই প্রশ্ন করা হচ্ছে। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও হিসেবে তিনি প্রমাণ করুন দুর্নীতির টাকা ওই কোম্পানিতে ঢোকেনি!”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur:  স্টিল প্ল্যান্টে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে রণক্ষেত্র দুর্গাপুর, পুলিশের লাঠিচার্জ, আন্দোলনে এলাকাবাসী

    Durgapur: স্টিল প্ল্যান্টে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে রণক্ষেত্র দুর্গাপুর, পুলিশের লাঠিচার্জ, আন্দোলনে এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর (Durgapur) স্টিল প্ল্যান্টের (ডিএসপি) উচ্ছেদ অভিযানের প্রাক্কালে বৃহস্পতিবার ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় তামলা বস্তি এলাকায়। পাঁচিল দেওয়ার কাজের শুভ সূচনা করতেই ডিএসপি কর্তৃপক্ষকে বাধার মুখে পড়তে হয় এলাকাবাসীর। ডিএসপি’র জমিতে বসবাসকারীরা কাজ বন্ধ করে দেয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডিএসপি’র সিআইএসএফ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে বচসা থেকে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। সিআইএসএফের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর ওপর লাঠিচার্জ করার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় কয়েকজন এলাকাবাসী আহত হন। গান্ধী মোড় থেকে মায়া বাজার যাওয়ার রাস্তা অবরোধ করে দেয় এলাকাবাসী। রাস্তায় গাছের ডাল ও বাঁশ দিয়ে রাস্তা ঘিরে বিক্ষোভ চলতে থাকে। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী পুনর্বাসনের দাবি করেন। ঘটনাস্থলে দুর্গাপুর থানার বিশাল পুলিস বাহিনী ও কমব্যাট ফোর্স এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Durgapur)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর (Durgapur) ৩২ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের তামলা বস্তি ও ফরিদপুর সহ পলাশডিহা এলাকায় ডিএসপি’র জমিতে প্রায় ১০ হাজারের বেশি বাসিন্দা বসবাস করেন। দীর্ঘদিন ধরে রুটিরুজি’র টানে বহু মানুষ বিহার, ঝাড়খণ্ড সহ এই রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে এসে বসবাস শুরু করেন। বর্তমানে ডিএসপি কর্তৃপক্ষ কারখানার সম্প্রসারণের জন্য অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের নোটিস জারি করে। প্রায় দেড় মাস আগে ওই সব এলাকায় নোটিস জারি করতেই বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু হয়ে গিয়েছিল। ডিএসপি’র টাউন সার্ভিস বিল্ডিং ঘেরাও করে চলতে থাকে দফায় দফায় বিক্ষোভ। তৃণমূল, বিজেপি ও সিপিএম সহ প্রতিটি রাজনৈতিক দল ওই অবৈধ দখলদারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এলাকায় এলাকায় রাজনৈতিক নেতাদের পথসভা হতে থাকে। যদিও এলাকাবাসী রাজনৈতিক দলের শিকার হতে নারাজ। তাঁদের দাবি, আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনের ভোটবাক্সে ভোট ভরতে নেতারা এগিয়ে আসছেন। তাই নেতাদের ওপর ভরসা হারিয়ে নিজেরাই কমিটি গঠন করে আন্দোলন জারি রাখেন। এরই মধ্যে এদিন সকালে অ্যালো স্টিল প্ল্যান্টের পাশে ডিএসপি কর্তৃপক্ষ পাঁচিল দেওয়ার কাজ শুরুর জন্য ভূমি পুজো করতে গিয়ে বিপত্তি ঘটে। ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে আমজনতা। তাঁরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করেন। ঘটনাস্থলে আসেন তৃণমূল নেতা বিশ্বনাথ পাড়িয়াল ও ধর্মেন্দ্র যাদব সহ একাধিক তৃণমূল নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভকারীরা আন্দোলনে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সামিল হতে প্রথম দিকে বাধা দেয়। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে চলতে থাকে বিক্ষোভ। শেষমেশ পুলিস প্রশাসন ও তৃণমূল নেতাদের আশ্বাসে প্রায় ৭ ঘণ্টা পর বিক্ষোভ উঠে যায়।

    বিক্ষোভকারী ও পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    বিক্ষোভকারী রতন সিং বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় মানুষজন বসবাস করে। আমাদের উচ্ছেদ করার আগে ডিএসপিকে পুনর্বাসন দিতে হবে। আসানসোল-দুর্গাপুর (Durgapur) পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি সুমন কুমার জয়সওয়াল বলেন, ডিএসপি কর্তৃপক্ষ লোকাল প্রশাসনকে না জানিয়ে এদিন ভূমি পুজো করতে এসেছিল। সেখান থেকে গন্ডগোল হয়েছে। আমরা সামাল দিচ্ছি। ঘটনার তদন্তও হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Trinamool Clash: মালদায় জেলা সভাপতির অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে তৃণমূল কর্মীরা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Trinamool Clash: মালদায় জেলা সভাপতির অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে তৃণমূল কর্মীরা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলা পরিষদের পদ বণ্টন নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (Trinamool Clash) প্রকাশ্যে চলে এল মালদায়। জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি গঠন নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিল দলের অন্দরেই। গোটা ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূল জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা বিধায়ক রহিম বক্সির বিরুদ্ধে। প্রকাশ্যে রাস্তায় নেমে তাঁর অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন দলেরই কর্মীদের একাংশ।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Trinamool Clash)

    দলের একাংশের অভিযোগ, অভিজ্ঞ এবং জনপ্রিয় সদস্যদের বাদ দিয়ে পরিচিত এবং নবীন সদস্যদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি। মোটা টাকার বিনিময়ে স্থায়ী সমিতির সদস্যদের নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর (Trinamool Clash)। এমনকী মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নিজের ছেলেকে অস্থায়ী সমিতির সদস্য করেছেন বলেও অভিযোগ। ঘটনায় জেরে জেলার বিভিন্ন ব্লকের জেলা পরিষদের বিক্ষুব্ধ সদস্যরা জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভ দেখান হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে ও পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার মালদা জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি গঠনের প্রক্রিয়া চলছিল। সেই সময়ই জেলা সভাপতি রহিম বক্সিকে ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিক্ষুব্ধ সদস্যরা। তাঁদের অনেকেরই অভিযোগ ছিল স্বজনপোষণ ও মোটা টাকার বিনিময়ে পদ বিলিয়েছেন জেলা সভাপতি। দলের অন্দরে সেই ক্ষোভের কথা স্বীকারও করে নেন জেলা সভাপতি।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি?

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি রহিম বক্সি বলেন, জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি গঠনের জন্য রাজ্য থেকে যে তালিকা পাঠানো হয়েছে, সেই অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে। কোনও নির্দেশ অমান্য করা হয়নি। যাঁরা  বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাঁরা দলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করছেন। এসব করার কোনও মানে হয় না।

    বিক্ষোভকারীদের কী বক্তব্য?

    বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি ও কর্মাধ্যক্ষ পদের জন্য জেলার প্রথম সারির নেতাদের না রেখে জেলা সভাপতি সদ্য রাজনীতিতে পা রাখা নিজের ছেলেকে কর্মাধ্যক্ষ করেছেন। পাশাপাশি মোটা টাকার বিনিময়ে পদ বিক্রি করা হয়েছে। এমনকী প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেনের বিধানসভা কেন্দ্র হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে কাউকেই কর্মাধ্যক্ষ করা হয়নি। গোটা ঘটনায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি রহিম বক্সির অপসারণের দাবি জোরালো হয়। এই ঘটনায় দলের কোন্দল (Trinamool Clash) প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: বীরভূমে কি ব্রাত্য হয়ে গেলেন অনুব্রত! ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে উধাও ছবি

    Anubrata Mondal: বীরভূমে কি ব্রাত্য হয়ে গেলেন অনুব্রত! ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে উধাও ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ছিলেন বীরভূমের বেতাজ বাদশা। তাঁর কথাতেই এই জেলায় বাঘে-গরুতে একঘাটে জল খেত। ফলে, সরকারি হোক বা দলীয় কর্মসূচি, অনুব্রতের ছবি থাকা এক প্রকার অঘোষিত নির্দেশ ছিল জেলায়। গরু পাচার মামলায় গত বছর গ্রেফতার হওয়ার পরে যত দিন গিয়েছে, ততই কেষ্ট ম্যাজিক উধাও হয়ে গিয়েছে। দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তাঁর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে পরিচিত কাজল সেখ। এখন কেষ্টকে কার্যত ঝেড়ে ফেলা দেওয়ার মতো অবস্থা দাঁড়িয়েছে বলে দলের অন্দরে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

    দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে ব্রাত্য কেষ্ট! (Anubrata Mondal)

    ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির বসেছে বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত লোবা গ্রামে। লোবা পঞ্চায়েতের তরফে যে তোরণটি বসানো হয়েছে, তার উপরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নিচে দু’পাশে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখের ছবি। এমন তোরণ থেকে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ছবি আগেই সরেছিল। দলীয় সূত্রেই খবর, ‘প্রভাবশালী’ তকমা ঘোচাতে উঁচুতলা থেকেই দলীয় কর্মসূচিতে অনুব্রতের নামে স্লোগান দেওয়া বা তাঁর ছবি ব্যবহারে একসময়ে ‘নিষেধাজ্ঞা’ জারি হয়েছিল। আর এখন দলীয় বা সরকারি কর্মসূচিতে ‘ব্রাত্য’ অনুব্রত। একটা সময়ে মমতা, অভিষেকের সঙ্গে তোরণ, ফ্লেক্স বা ব্যানারে দেখা যাচ্ছিল জেলার অন্য নেতা বা মন্ত্রীর ছবি। তৃণমূল সূত্রেই জানা যাচ্ছে, পঞ্চায়েত ভোটের মুখে অনুব্রতের ছবি ফেরানোর ‘নির্দেশ” এসেছিল ঠিকই, কিন্তু সাময়িক। ঠিক সেই সময় থেকেই ‘উত্থান’ কাজল শেখের। দলের নানুর ব্লক কমিটির কার্যকরী সভাপতি কাজলকে প্রথমবার ভোটের টিকিট দেয় দল। প্রথম বারেই বিপুল ব্যবধানে জিতে সভাধিপতি হওয়ার পরে তাঁর ‘প্রভাব’ ও ‘দাপট’ আরও বেড়েছে জেলায়। অনুব্রতের জায়গা দখল করেছেন কাজল।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা পরিষদের সভাধিপতি?

    অনুব্রত-পরবর্তী অধ্যায় কি শুরু হয়ে গিয়েছে জেলায়? যার প্রতিফলন দেখা গেল লোবা পঞ্চায়েতের তরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় আয়োজিত দুয়ারে সরকার শিবিরের তোরণে। যদিও কাজলের কথায়, ‘তিনি আমার অভিভাবক। আমার রাজনৈতিক গুরু। উনি জেলা সভাপতি আছেন।’ ব্যস ওই পর্যন্ত। বাস্তবে অন্য চিত্র দেখছে দলের কর্মীরা। এই প্রসঙ্গে জেলার এক নেতা বললেন,’ বিকাশদা এখন পদে নেই। কেষ্টদা (Anubrata Mondal) জেলাতেই নেই! এটা মনে রাখতে হবে। এটাই বাস্তব।’

    কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারায় উড়ানে গেল অনুব্রতের (Anubrata Mondal) নথি

    অনুব্রত মণ্ডলের গরু পাচার মামলার যাবতীয় নথি দিল্লিতে নিয়ে গেলেন ইডির আধিকারিকরা। বুধবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ অন্ডাল বিমানবন্দর থেকে দু’টি ট্রলি ভর্তি মামলার নথি নিয়ে দিল্লিতে উড়ে যান ইডির দুই আধিকারিক। তাঁদের সঙ্গে দিল্লি গিয়েছেন আসানসোল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের দুই কর্মীও। দিল্লির আদালতে নথি জমা দেবেন তাঁরাই। এদিন গোটা টিমের নিরাপত্তায় ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। জানা গিয়েছে, বিশেষ কোনও কারণ না থাকলে আজ বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে গরু পাচার মামলার নথি জমা পড়ে যাবে। তারপর সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের দুই কর্মী দিল্লি থেকে ফিরে আসবেন।

    এবার পুজোতে তিহাড়েই থাকতে হবে সুকন্যাকে!

    এক-দুই মাস নয়, চারমাস পিছিয়ে গিয়েছে মূল গরুপাচার মামলার শুনানি। সূত্রের খবর, ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি। এদিকে, দিল্লি হাইকোর্টে সুকন্যার জামিনের আবেদন আপাতত পিছিয়ে গিয়েছে বলে খবর। অর্থাৎ এবছর আর জামিনের আবেদন না হওয়ার সম্ভাবনা। সামনের বছর জামিনের আবেদন হতে পারে। যার ফলে এবার পুজোতে তিহাড়েই থাকতে হবে সুকন্যাকে। এই আদালতেই জামিনের জন্য আবেদন করেছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। কিন্তু তিনি কি পুজোর সময় বের হতে পারবেন? এনিয়ে এখনও কোনও নিশ্চয়তা মেলেনি। সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে সেই মামলার শুনানি হবে। তারপরই বোঝা যাবে তিনি আদৌ পুজোর সময় জেল থেকে বের হতে পারবেন কি না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Smriti Irani: হাওড়া থেকে গৃহ সম্পর্ক অভিযানে স্মৃতি ইরানি, চুটিয়ে জনসংযোগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    Smriti Irani: হাওড়া থেকে গৃহ সম্পর্ক অভিযানে স্মৃতি ইরানি, চুটিয়ে জনসংযোগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে হাওড়া থেকে গৃহ সম্পর্ক অভিযান শুরু করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani)। বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতে জগৎবল্লভপুরে আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। হাওড়ার রাজাপুর দক্ষিণ বাড়িতে বিজেপি কর্মী পলাশ মালিকের বাড়ি থেকে গৃহ সম্পর্ক অভিযান শুরু করেন। এই উপলক্ষ্যে গ্রামের ওই কর্মীর বাড়িতে সকাল থেকেই রান্নাবান্না সহ অতিথি আপ্যায়নের বিভিন্ন আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই দুপুরে পাত পেড়ে খান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    এরপর স্মৃতি (Smriti Irani) যেন পরিবারের মেয়ে-বউদের সঙ্গে মিশে গেলেন। মাটিতে বসে স্মৃতির সঙ্গে খেলেন দলের হাওড়ার নেতারাও। তাই সকাল থেকে রান্নাবান্না চলছিল পলাশ মালিকের বাড়িতে। ভাত, ডাল, বেগুনি, পটল চিংড়ি, শুক্তো, সর্ষে ইলিশ, রুই মাছের কালিয়া, চাটনি, পাঁপড়। আর শেষ পাতে ছিল মিষ্টি। খেতে বসার আগে দলের জেলার নেতাদের থালায় করে খাবার পরিবেশনও করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই উপলক্ষ্যে পরিবারের মহিলা সদস্যা রুমা মালিক বলেন, আমরা তফশিলি সম্প্রদায়ের মানুষ। আমাদের বাড়িতে মন্ত্রী আসবেন, কল্পনা করতে পারিনি। আমরা খুবই খুশি। তাঁর জন্য আমরা ঘরে বাঙালি খাবারের আয়োজন করেছি। 

    গ্রাম থেকে মাটি সংগ্ৰহ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Smriti Irani)

    মা-কাকিমা সকলে মিলে আমরা রান্নার আয়োজন করেছি। আরেক মহিলা সদস্যা সুচিত্রা হাজরা বলেন, বাঙালি রান্নার আয়োজন আমরা করেছি। খুবই আনন্দিত যে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Smriti Irani) তিনি আমাদের মতো গরিবের বাড়িতে এলেন। পনেরো বছর হল এখানে দক্ষিণ বাড়িতে এসেছি। কিন্তু এত বড় মাপের কোনও মন্ত্রী আমাদের গ্রামে আসেনি। বিশেষ করে আমাদের বাড়িতে উনি আসছেন। এটা ভেবেই আমরা খুব আনন্দিত। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি হাওড়ার জগৎবল্লভপুর সহ চামরাইল, জগদীশপুর বিভিন্ন অঞ্চলে একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নেন। পার্টি কার্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক, তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসম্পর্ক স্থাপন করেন। আমার মাটি আমার দেশ সম্পর্ক অভিযানের কর্মসূচি হিসেবে গ্রাম থেকে মাটি সংগ্ৰহ করেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মুক্তিপণ চেয়ে ফোন! মালদায় উদ্ধার তৃণমূল কর্মীর রক্তাক্ত মৃতদেহ, গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে

    Malda: মুক্তিপণ চেয়ে ফোন! মালদায় উদ্ধার তৃণমূল কর্মীর রক্তাক্ত মৃতদেহ, গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদা জেলায় গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার তৃণমূল। এক পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হল। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার (Malda) পুখুরিয়া থানার শ্রীপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের চাতরা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সাদেক আলি। বয়স ৫০ বছর। তিনি তৃণমূল কর্মী ছিলেন। তাঁর স্ত্রীর নাম আনোয়ারা বিবি। তিনি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Malda)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাদেক আলির চায়ের দোকান আছে। মঙ্গলবার রাতে দোকান থেকে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের লোকজন বলেন, রাতে তাঁদের কাছে ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। সকালবেলা ফের দু’লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। কিন্তু, আবার ফোন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সকাল এগারোটায় বাঁশবাগান থেকে তাঁর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। প্রসঙ্গত, মালদার (Malda) শ্রীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন ২০টি। তৃণমূল ১২, সিপিএম ৫ এবং কংগ্রেস ৩টি আসনে জয়ী হয়। এরপর তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ সদস্যরা সিপিএম ও কংগ্রেসকে নিয়ে বোর্ড গঠন করে। প্রধান হয় তৃণমূলের। এরপর থেকে প্রাক্তন প্রধানের স্বামী মহব্বত তাঁদের হুমকি দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। নেপথ্যে প্রধান গঠন নিয়ে বিবাদের জেরে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলেরই বিরোধী গোষ্ঠীর দিকে। যদিও জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। মৃতদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি কী বললেন?

    তৃণমূলের মালদার (Malda) জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আবদুর রহিম বক্সী ওই গোষ্ঠীকোন্দলের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। যারা আমাদের দলের ওই কর্মীকে খুন করেছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। যেই যুক্ত থাকুক, পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • R G Kar Medical College: এবার আর জি করের হস্টেলে র‌্যাগিং! অভিযোগ দায়ের থানায়

    R G Kar Medical College: এবার আর জি করের হস্টেলে র‌্যাগিং! অভিযোগ দায়ের থানায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং-এর ফলে মৃত্যু হয়েছে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের র‌্যাগিং-এর (R G Kar Medical College) অভিযোগ উঠল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে। র‌্যাগিং-এর অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন আর জি করের কিছু পড়ুয়া। ছাত্রদের দাবি, ছাত্রাবাসে মানসিক অত্যাচার করা হয়েছে তাঁদের উপর। বুধবার এ নিয়ে তাঁরা অভিযোগ জানান আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায়।

    কী বলছেন ছাত্ররা?

    ওই ছাত্রদের বয়ান অনুযায়ী, মানিকতলা ক্রসিংয়ের কাছে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের একটি ছাত্রাবাস রয়েছে। তাঁরা সেখানেই থাকেন। হস্টেলের কয়েকজন প্রাক্তন আবাসিক, কর্মী এবং আর জি করের জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা র‍্যাগিং-এর (R G Kar Medical College)। ছাত্রদের দাবি, তাঁদের ওপর চরম মানসিক অত্যাচার করা হয় রাত তিনটে নাগাদ হস্টেলের দরজা বন্ধ করে। র‌্যাগিং করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, র‌্যাগিং-এর অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে মামলা দায়ের করেছে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার পুলিশ।

    সোমবারই সরানো হয় আর জি করের অধ্যক্ষকে

    অন্যদিকে সোমবারই আর জি করের (R G Kar Medical College) অধ্যক্ষ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সন্দীপ ঘোষকে। এর প্রতিবাদে আর জি করের ছাত্রদের একাংশ এবং কিছু জুনিয়র ডাক্তারকে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায়। মঙ্গলবার নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন মানস বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ, সন্দীপ ঘোষকে সরানোর প্রতিবাদে যাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন, সেই বিক্ষোভকারীদেরই একাংশ এদিন এপিসি রোডের বয়েজ হস্টেলে হামলা চালায় এবং ছাত্রদের উপর মানসিক অত্যাচার করে। গত ৯ অগাস্ট র‌্যাগিং-এর ফলে মৃত্যু হয় যাদবপুরের প্রথম বর্ষের বাংলা অনার্সের ছাত্র স্বপ্নদ্বীপ কুণ্ডুর। এই ঘটনায় মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এখনও এই মামলা চলছে এবং তদন্তে নানা রকমের তথ্য উঠে আসছে। এরই মধ্যে আবার আর জি কর (RG Kar Medical College) হস্টেলে র‌্যাগিং-এর অভিযোগ উঠল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Card: চোপড়ার চা বাগানের রাস্তায় গড়াগড়ি খাচ্ছে রেশন কার্ড, কী করছে প্রশাসন?

    Ration Card: চোপড়ার চা বাগানের রাস্তায় গড়াগড়ি খাচ্ছে রেশন কার্ড, কী করছে প্রশাসন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাস্তায় গড়াগড়ি খাচ্ছে রেশন কার্ড (Ration Card)। কুড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় স্কুল পড়ুয়ারা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের কস্তুরি চা বাগান এলাকায়। করোনা অতিমারীর সময়ে রেশন পেতে প্রচণ্ড হয়রানি পোহাতে হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিক সহ অনেককেই। কার্ড না থাকায় রেশন পাননি অনেকেই। ফলে, রেশন কার্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ জিনিস কী করে পথেঘাটে লুটোপুটি খাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Ration Card)

    বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের যে কোনও নথি এখন প্রচন্ড গুরুত্বপূর্ণ। সে আধার কার্ডই হোক বা প্যান কার্ড হোক বা ভোটার কার্ড অথবা রেশন কার্ড। এই চারটি কার্ডই জীবনের নানান ক্ষেত্রে কাজে দরকার পড়ে। অথচ সেই কার্ডই গড়াগড়ি খাচ্ছে রাস্তায়। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ সাধারণ মানুষের। বুধবার এই ঘটনা তীব্র চাঞ্চলের ছড়িয়ে পড়ে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের কস্তুরি চা বাগান এলাকায়। রাস্তায় ও চা বাগানের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় প্রচুর রেশন কার্ড (Ration Card)। আর সেই কার্ডগুলি খেলার জন্য কুড়িয়ে নিয়ে যায় এলাকার কচিকাঁচারা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় কয়েকশো প্যাকেট ভর্তি রেশন কার্ড পড়ে ছিল। সেই কার্ডগুলি এলাকার কচিকাঁচারা খেলার জন্য কুড়িয়ে নিয়ে যায়। বুধবার নজরে আসতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসীর অনুমান কার্ডগুলি বিলি না করে কেউ বা কারা এখানে ফেলে দিয়ে গিয়েছে। শুধু মাঝিয়ালি এলাকার কার্ড নয়, চোপড়া ব্লকের বেশ কিছু এলাকার কার্ড রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, রাস্তায় প্যাকেটবন্দি অবস্থায় রেশনকার্ডগুলি ছিল। এলাকার কচিকাঁচাদের নজরে পড়তেই প্যাকেট ছিড়ে সেই রেশন কার্ডগুলি তারা নিয়ে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, এত বিপুল পরিমাণ রেশন কার্ড কী করে পথে গড়াগড়ি খেল? নাকি কার্ডগুলি পোস্ট অফিস থেকে এনে এখানে কে বা কারা ফেলে দিয়ে গিয়েছে? তবে, এই ঘটনা নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    কী বললেন পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি?

    এবিষয়ে চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি ফজলুল হককে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি চোপড়া খাদ্য দফতরের আধিকারিক ও পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কারণ, এই রেশন কার্ডগুলি (Ration Card) পোস্ট অফিস থেকে বিলি করার কথা। কিন্তু, সেখানে কী করে কার্ডগুলো এল তা তদন্ত করে দেখার জন্য প্রশাসনকে বলা হয়েছে।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “পুলিশ এবং অভিযুক্তদের যোগসাজশ ভাঙতে হবে” তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: “পুলিশ এবং অভিযুক্তদের যোগসাজশ ভাঙতে হবে” তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাসপেন্ড করলেও বেতনের একটা অংশ পেয়ে রীতিমতো আরাম করবে পুলিশ। তাই পুলিশ এবং অভিযুক্তদের যোগসাজশ ভাঙতে হবে। ঠিক এভাবেই তীব্র ভর্ৎসনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta high court) বিচারপতি। পূর্ব মেদিনীপুরে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মামলা দায়ের হলে হাইকোর্টের বিচারপতির এই মন্তব্যে তীব্র শোরগোল পড়ে যায়। বার বার শাসক-বিরোধীদের পাশাপাশি বিচারপতিদেরও এই ধরনের মন্তব্যে পুলিশ-প্রশাসনের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা কতটা থাকবে, এই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। 

    পুলিশকে কেন ভর্ৎসনা কোর্টের (Calcutta high court)?

    নিম্ন আদালতে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে, পুলিশ একটি চার্জশিট জমা করে। কিন্তু পরে দেখা যায় চার্জশিটে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের বদলে মার্চ মাসের তারিখ উল্লেখ করা রয়েছে। পুলিশের গাফিলতির বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন চার্জশিটে অভিযুক্তরা। এই মামলার শুনানির সময় বিচারপতি (Calcutta high court) তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, “সাসপেন্ড করলে বেতনের একটা অংশ পেয়ে পুলিশ আরামেই থাকবে। সেই সঙ্গে অভিযুক্তদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বেআইনি কাজ করবে। পুলিশ এবং অভিযুক্তদের এই যোগসাজশকে ভাঙতে হবে।” পুলিশ কর্মীদের আরও কড়া প্রশিক্ষণের কথা বলে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি। বিচারপতির এই মন্তব্যে পুলিশের ভূমিকা এবং কাজের ধরন নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তাহলে কি পুলিশ দোষীদের আড়াল করে অপরাধকে পরোক্ষে মদত করছে। বিচারপতির এই মন্তব্যে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।

    মামলা কী ছিল?

    জানা গেছে, ২০১৪ সালে তমলুক থানার অন্তর্গত এক এলাকায় মোবাইলের টাওয়ার বসানোর কথা বলেছিল এক সংস্থা। সেই সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে মামলা দায়ের করা হয়। প্রতারণার মূল অভিযোগ ছিল নিউটাউনের এক সংস্থার বিরুদ্ধে। পুলিশ তদন্তে নেমে ১৫ জনকে গ্রেফতার করে। কিন্তু সময়মতো পুলিশ চার্জশিট দিতে পারেনি। নিম্ন আদালতে সেই চার্জশিট জমা হয় ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে। কিন্তু তার পরেও দেখা যায়, সিটে তারিখ রয়েছে ২০২২ সালের মার্চ মাসের। আর এই মামলায় সঠিক ভাবে তদন্ত না করার অভিযোগে ফের মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta high court)। আর তারপরই বিচারপতি পুলিশের তীব্র সমালোচনা করেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share