Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • BJP: ভোটার তালিকায় কারচুপি করছে শাসক দল, অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    BJP: ভোটার তালিকায় কারচুপি করছে শাসক দল, অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকায় কারচুপি করছে শাসক দল, এই অভিযোগে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল বঙ্গ বিজেপি (BJP)। মঙ্গলবার বিজেপির ৩ জনের প্রতিনিধি দল এবিষয়ে অভিযোগ জানাতে যায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির আইনজীবী লোকনাথ চট্টোপাধ্যায় ও দলের নেতা শিশির বাজোরিয়া। শাসক দলের ঘনিষ্ঠ ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের নির্বাচনের কাজে না লাগানোর দাবিও জানিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।

    কী দাবি জানাল বিজেপি (BJP)?

    বিজেপির (BJP) দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে শাসক দলের মদতে জেলা প্রশাসন মৃত ব্যক্তিদের নাম রেখে দিচ্ছে ভোটার তালিকায়। যাতে নির্বাচনে শাসক দল কারচুপি করতে পারে। প্রসঙ্গত বছর ঘুরলেই রয়েছে লোকসভা ভোট। বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দলের বিরুদ্ধে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ওঠে। কোথাও কোথাও তো মোট ভোটারের থেকে বেশি ভোটও পড়তে দেখা যায়, যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় রাজ্য জুড়ে। কারচুপি সংক্রান্ত একাধিক মামলায় হাইকোর্টে চূড়ান্ত ভর্ৎসনার মুখে পড়ে রাজ্য সরকার। এবার লোকসভার সংশোধিত ভোটার তালিকা প্রকাশের আগেই কারচুপির অভিযোগে সরব রাজ্য বিজেপি। 

    বিজেপির (BJP) আরও অভিযোগ

    বিজেপির (BJP) আরও অভিযোগ, ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’ এবং ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ নামের দুটি প্রকল্প রাজ্য সরকার চালাচ্ছে, যা বাইরের সংস্থাকে টেন্ডার দিয়ে চালানো হচ্ছে। এই সংস্থার কর্মীরাও শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। দলের দাবি, ওই দুই প্রকল্পের কর্মীদের যেন কোনওভাবেই ভোটার তালিকার কাজে না রাখা হয়। এদিন বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া বলেন, ‘‘শাসক দলের মদতে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল করা হচ্ছে ভোটার তালিকায়। আমি এটাকে ভুল বলব না, এটা হল এক ধরনের চুরি। এনিয়ে আমরা অভিয়োগ জানিয়েছি।’’ বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, নির্বাচনে যাতে কারচুপি না হয়, তাই স্বচ্ছ ভোটার তালিকার দাবিতে তাঁরা কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন।  প্রসঙ্গত, সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী প্রকল্পে যে ফোন নং ব্যবহার করা হচ্ছে তা দিদিকে বলো কর্মসূচির ফোন নং। এনিয়ে দলের অভিযোগ, পার্টির কর্মসূচির ফোন নং সরকারি কাজে ব্যবহার করছে শাসক দল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: বালুরঘাট-গুয়াহাটি ‘বোল্লা-কামাখ্যা’ এক্সপ্রেস ট্রেনের দাবি, রেলমন্ত্রকে চিঠি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: বালুরঘাট-গুয়াহাটি ‘বোল্লা-কামাখ্যা’ এক্সপ্রেস ট্রেনের দাবি, রেলমন্ত্রকে চিঠি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট থেকে সরাসরি ট্রেন ছুটবে গুয়াহাটি পর্যন্ত। একদিকে ঐতিহ্যবাহী মা বোল্লা, অন্যদিকে শক্তিপীঠ মা কামাখ্যা। ফলে বালুরঘাট স্টেশন থেকে গুয়াহাটি পর্যন্ত এই প্রস্তাবিত ট্রেনের নাম রাখা হতে পারে বোল্লা-কামাখ্যা এক্সপ্রেস। ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রকের কাছে এমনই প্রস্তাব পাঠিয়েছেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    পূর্ব ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সুদৃঢ় হবে

    ২০০৪ সালে ভারতীয় রেলের মানচিত্রে বালুরঘাট সংযুক্ত হয়। প্রথমে বালুরং-মালদা গৌড় লিংকের মাধ্যমে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তারপর একে একে শিয়ালদা, কলকাতা, শিলিগুড়ি ও হাওড়ার একাধিক এক্সপ্রেস ট্রেন পেয়েছে এই শহর। সর্বশেষ নবদ্বীপ পর্যন্ত একটি ট্রেন জুটেছে বালুরঘাটের কপালে। ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে একাধিক প্ল্যাটফর্মেরও প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। যার জেরে দ্বিতীয় প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছে বালুরঘাট রেল স্টেশনে। অন্যদিকে, দূরপাল্লার ট্রেন চলাচলের জন্য কারশেড নির্মাণের কাজ চলছে। কিন্তু, উত্তরবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে শুধু শিলিগুড়ি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস রয়েছে। তাছাড়া আর কোনও ট্রেন নেই বালুরঘাটে। অন্যদিকে, রেল উন্নয়ন কমিটির তরফেও দক্ষিণ দিনাজপুর-পূর্ব ভারতের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষাকারী ট্রেনের দাবি তোলা হয়েছে। সাংসদের (Sukanta Majumdar) প্রস্তাবিত বোল্লা-কামাখ্যা এক্সপ্রেস নামকে সমর্থন জানিয়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। দুই মাতৃশক্তিকে সম্মান প্রদর্শনের এই চিন্তাভাবনাকে অনেকেই কুর্ণিশ জানাচ্ছেন। এর ফলে, দক্ষিণ দিনাজপুরের সঙ্গে পূর্ব ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থাও সুদৃঢ় হবে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    বালুরঘাট কলেজের অধ্যাপক ডঃ দুলাল বর্মন বলেন, ‘কলকাতা যেতে চাইলে আমরা তিনটি ট্রেন ধরতে পারি। কিন্তু, উত্তরবঙ্গে যেতে গেলে শুধু শিলিগুড়ির একটি রয়েছে। তাছাড়াও, অসম, মেঘালয় সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির সঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুরের তেমন যোগাযোগ নেই বললেই চলে। তাই বিভিন্ন কাজে ও ভ্রমণের জন্য সেই রাজ্যগুলিতে যেতে চাইলে সমস্যায় পড়তে হয়। পাশাপাশি, অনেকেই কামাখ্যা মায়ের কাছে যান। তাঁদের ক্ষেত্রে এমন ট্রেন পেলে অনেক সুবিধা হবে।’

    একলাখি-বালুরঘাট রেল উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক কী বললেন?

    একলাখি-বালুরঘাট রেল উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক পীযূষকান্তি দেবের বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই দাবি জানিয়ে আসছি। জেলাবাসীর অনেকেই অসম ভ্রমণে যান। এই ট্রেন চালু হলে সকলেই খুশি হবে। বোল্লা-কামাখ্যা এক্সপ্রেসের দাবি সাংসদ (Sukanta Majumdar) তুলেছেন। আমরা এর সমর্থন জানাই।’

    কী বললেন বিজেপি সাংসদ? (Sukanta Majumdar)

    বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) বক্তব্য, ‘বালুরঘাট স্টেশনে লাইনের কাজ পুরো উদ্যমে চলছে। এই কাজের জন্য অনেক উদ্যোগ আটকে রয়েছে। এই লাইন তৈরি হলেই অনেক সম্ভাবনাময় ট্রেন আমরা পাব। আমি ইতিমধ্যেই বালুরঘাট থেকে গুয়াহাটি যাওয়ার ট্রেনের দাবি জানিয়েছি। যা বোল্লা-কামাক্ষা এক্সপ্রেস নাম হতে পারে। জেলার এক মাতৃশক্তি ক্ষেত্র থেকে অসমে শক্তিপীঠ পর্যন্ত এই ট্রেন চলাচল করবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia: পুরুলিয়ার হাসপাতালে এ কী কাণ্ড, মোবাইলের আলোতে চলছে প্রসূতিদের চিকিৎসা!

    Purulia: পুরুলিয়ার হাসপাতালে এ কী কাণ্ড, মোবাইলের আলোতে চলছে প্রসূতিদের চিকিৎসা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোডশেডিংয়ে জেরবার রাজ্যবাসী। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে উদ্যোগী নয় রাজ্য সরকার। আর এই লোডশেডিংয়ের প্রভাব পড়ল হাসপাতাল পরিষেবায়। অন্ধকারে মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে হচ্ছে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের প্রসব। ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়া (Purulia) জেলার বলরামপুর ব্লক হাসপাতালে। এই হাসপাতালে এখন এটাই চেনা চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Purulia)

    রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের সঙ্গে পুরুলিয়া (Purulia) জেলাতেও লোডশেডিং হচ্ছে। তার প্রভাব পড়েছে  বলরামপুর ব্লক হাসপাতালে। এই হাসপাতালে প্রতিদিন কয়েকশো রোগী চিকিৎসা করাতে আসেন। হাসপাতালে বহু রোগী ভর্তি থাকেন। প্রসূতিদের নিয়মিত ডেলিভারি হয় এই হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, পরিষেবার জন্য জেনারেটর সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে এক ঠিকাদার সংস্থা। সেই সংস্থাকে টাকা না দেওয়ায় জেনারেটর পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। সন্ধ্যা হলেই হাসপাতাল ডুবছে অন্ধকারে। এর জেরে চিকিৎসা করতে যেমন সমস্যায় পড়ছেন চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা, তেমনই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগীদেরও। মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে চিকিৎসা করতে হচ্ছে প্রসূতিদের। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের প্রসবও হচ্ছে এই ভাবে। শুধু বিদ্যুৎ নয়, দীর্ঘ সময় ধরে হাসপাতালে জলকষ্ট, শৌচালয় অপরিষ্কার ও হাসপাতাল চত্বর বিষাক্ত আগাছায় ভরে থাকার সমস্যা রয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে বলরামপুরের বিজেপি বিধায়ক বাণেশ্বর মাহাতো বলেন, হাসপাতালে প্রায়শই বন্ধ থাকছে বিদ্যুৎ পরিষেবা। হাসপাতালের মতো জরুরি বিভাগে বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবস্থা করা দরকার। কিন্তু, সেটা করা হয়নি। তাতে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে চিকিৎসকদের সমস্যা হচ্ছে। পুরুলিয়ার (Purulia) বলরামপুরের এই হাসপাতালের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ তিনি করবেন বলেও জানিয়েছেন।

    জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কী বললেন?

    ঘটনা প্রসঙ্গে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. কুনাল কান্তি দে বলেন, বিষয়টি আমাদের গোচরে রয়েছে। জেনারেটর নিয়ে যে সমস্যা দেখা দিচ্ছে, তা ঠিকাদার সংস্থার টাকা বকেয়া থাকার কারণেই হয়েছে। এবার তাদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে রোগীদের কোনওরকম অসুবিধায় না পড়তে হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Railway Minister: জমিজটে থমকে উত্তরবঙ্গের একাধিক রেলপ্রকল্প! রাজ্যকে চিঠি দিলেন রেলমন্ত্রী

    Railway Minister: জমিজটে থমকে উত্তরবঙ্গের একাধিক রেলপ্রকল্প! রাজ্যকে চিঠি দিলেন রেলমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দূরত্ব বিচারে ব্যবধান খুবই কম। কোথাও সাত কিলোমিটার, কোথাও আবার আট কিলোমিটার। সামান্য এই পথে রেল পথ সম্প্রসারণ করা যাচ্ছে না শুধুমাত্র জমি জটের কারণে। এরমধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন রাজ্যের বেশ কয়েকটি নতুন রেল পথের শুভ সূচনা করেছিলেন। তার মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুর থেকে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ সহ এই জেলার আরও বেশ কয়েকটি রেল পথও রয়েছে। কিন্তু, জমি জটের কারণে  এই সব রেল পথের মেইন লাইনের কাজ এখনও থমকে রয়েছে। সম্প্রতি, রেলমন্ত্রী (Railway Minister) অশ্বিনী বৈষ্ণব নিজে এই বিষয়ে উদ্যোগী রেল সম্প্রসারণের জন্য রাজ্য সরকারকে জমি জট কাটানোর জন্য চিঠি দিয়েছেন।

    জমি জটে কোন কোন প্রকল্পে থমকে রয়েছে? (Railway Minister)

    জানা গিয়েছে, বুনিয়াদপুর থেকে কালিয়াগঞ্জ। রায়গঞ্জ থেকে ইটাহার। ইটাহার থেকে বুনিয়াদপুর এবং গুঞ্জরিয়া থেকে গাজোল এই সব এলাকায় রেল সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই মতো কাজ শুরু হলেও, পরবর্তী সময়ে জমি-জটের কারণে কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। মূলত এটি সম্পূর্ণ হলে উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা এই তিন জেলার মানুষের পরিবহণ এবং ব্যবসায়িক দিক থেকে উন্নতি হবে বলে ব্যবসায়ী মহল সূত্রে জানা গিয়েছে। এ বিষয়ে কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই রেলপথ সম্প্রসারণ হয়ে গেলে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হবে। শুনেছি রেল দফতর পুনরায় এ প্রকল্প চালু করার উদ্যোগ  গ্রহণ করেছে। তাতে আমরা খুশি।

    ব্যবসায়ীরা কী বলছেন?

    এ বিষয়ে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তথা উত্তর দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্সের সদস্য অঞ্জন রায় বলেন,আমরা বারংবার এই দাবি জানিয়ে এসেছি। আমি হাইকোর্টে একটি মামলাও করেছি জমিজট নিরসনের জন্য। রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর সঙ্গে আমরা রেলমন্ত্রী (Railway Minister) অশ্বিনী বৈষ্ণবের কাছেও এই প্রকল্পটি চালু করার দাবি জানিয়েছি। এই প্রকল্পটি চালু হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধাও নেই বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। রাজ্য সরকারের উচিত দ্রুত জমি অধিগ্রহণ করে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করতে সাহায্য করা। তাহলে তিন জেলার মানুষেরই উপকার হবে। এ বিষয়ে রায়গঞ্জ মার্চেন্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অতনু বন্ধু লাহিড়ী বলেন, আমরা চাই এই প্রকল্পটি দ্রুত সম্পন্ন হোক। জমিজটের কারণে প্রকল্পটি আটকে গেছে। আমরা চাই, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হোক। তাহলে সাধারণ মানুষের উপকার হবে তথা জেলার ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও উন্নতি হবে।

    কী বললেন বিজেপি সাংসদ?

    বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, সামান্য রাস্তা শুধু জমিজটের কারণে রেল সম্প্রসারণ করা সম্ভব হয়নি। রাজ্য সরকারের উদ্যোগ না নেওয়া এর প্রধান কারণ। তাই, আমরা রেলমন্ত্রীর (Railway Minister) সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি এই বিষয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠিও দিয়েছেন। জমিজট কেটে গেলেই রেল সম্প্রসারণে আর কোনও সমস্যা থাকবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shantipur: তৃণমূলে যোগ না দেওয়ার জের! বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যার সিভিক ভলান্টিয়ার স্বামীকে বরখাস্ত

    Shantipur: তৃণমূলে যোগ না দেওয়ার জের! বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যার সিভিক ভলান্টিয়ার স্বামীকে বরখাস্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি করার জন্য এরকম ঘটনা ঘটবে, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি শান্তিপুর (Shantipur) থানার সিভিক ভলান্টিয়ার কার্তিক হালদার। তাঁর বাড়ি শান্তিপুরের নৃসিংহপুরে। বিজেপির টিকিটে স্ত্রী জয়লাভের পর তাঁর সঙ্গে ঘরছাড়া হতে হয়েছিল তাঁকে। চাপের কাছে মাথানত না করায় এবার চাকরি গেল তাঁর। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শেষ একমাস অনুপস্থিত থাকার কারণেই ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে অপসারণ করা হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Shantipur)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কার্তিকবাবুর স্ত্রীর নাম সুপর্ণা বর্মন। তিনি ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন। দু’বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সুপর্ণা বর্মন বিজেপির টিকিটে পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়লাভ করেন। সুপর্ণাদেবী জয়লাভ করলেও স্বামীকে নিয়ে উধাও হয়ে যান। চাপ থাকলেও তিনি তৃণমূলে পরে যোগদান করেননি। এই প্রসঙ্গে বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা সুপর্ণাদেবী বলেন, ‘‘শান্তিপুর (Shantipur) থানার পুলিশ-প্রশাসন থেকে শুরু করে দুষ্কৃতীরা তৃণমূলে যোগদান করার জন্য আমার বাপের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়িতে ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করার জন্য নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে আমার ভোটপ্রচারে একদিনও স্বামীকে পাইনি। বোর্ড গঠনে অংশ নেওয়ার পর তিনি ভেবেছিলেন, এবার বুঝি কিছুটা স্বস্তি মিলবে। কিন্তু, রবিবার রাতে থানা থেকে আমার স্বামীর সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি থেকে বরখাস্তের চিঠি এসেছে।’’

    কাজ চলে যাওয়া প্রসঙ্গে কী বললেন বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী?

    বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী কর্তিকবাবু বলেন, ‘‘এখন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে, ডিউটিতে অনিয়মিত যোগদানের। কিন্তু, গত ১০ বছর ধরে চাকরিতে কোনও ছুটি পর্যন্ত নিইনি। শান্তিপুর (Shantipur) থানার ওসি সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন। তাতে কোনও অন্যায় হয়নি। আমার স্ত্রী বিজেপির সদস্য বলেই আমার চাকরি চলে গেল।’’

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    আসলে নদিয়া জেলার মধ্যে শান্তিপুর (Shantipur) পঞ্চায়েত সমিতিই একমাত্র বিজেপির দখলে। সঙ্গে তিনটে পঞ্চায়েতও। আর সেই জয়ের পর বিশেষ পুলিশি অত্যাচার নেমে এসেছিল। জানা গিয়েছে, শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে ২৯টি আসনের মধ্যে ১৬টিতে জয় পেয়েছে বিজেপি। ১৩টি তৃণমূলের। অভিযোগ, বোর্ড ঘোরানোর খেলায় তৃণমূলের সঙ্গে নেমেছিল পুলিশ-প্রশাসনও। শুধুমাত্র বিজেপির একনিষ্ঠ কর্মী বলে তাঁরা নিজেদের আত্মগোপন রেখেও বোর্ড গঠনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, তৃণমূলে যোগ না দেওয়ার কারণে ওই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের স্বামীর চাকরি চলে গেল।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, তাঁরা নিজেদের আত্মগোপন করেই রেখেছিলেন, তাহলে আর চাপ দেওয়া কীভাবে সম্ভব! সিভিক ভলান্টিয়ারের অপসারণের সিদ্ধান্ত প্রশাসনিক বিষয়। তাতে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panihati: মদ্যপানের প্রতিবাদের জের,পানিহাটিতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ

    Panihati: মদ্যপানের প্রতিবাদের জের,পানিহাটিতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের কাউন্সিলার এবং শহর তৃণমূলের সহ সভাপতির মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে। এবার সেই কোন্দল আরও একবার প্রকাশ্যে চলে এল। মদ্যপানের প্রতিবাদ করাকে কেন্দ্র করেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ঘটনাটি ঘটেছে পানিহাটি (Panihati) পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পানিহাটি (Panihati) পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের জয়প্রকাশ কলোনি এলাকায় তৃণমূল কার্যালয়ের পাশে প্রায়ই মদ্যপানের আসর বসে। তৃণমূলের একটি অংশ মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রবীর মজুমদারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল পশ্চিম পানিহাটি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি প্রবীর দের। রবিবার রাতে ফের মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় গোলমাল হয়। মারামারি বাঁধে। পরে কাউন্সিলর প্রবীর মজুমদারের অনুগামীরা তৃণমূল কার্যালয়ের ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। কার্যালয়ের ভেতরে চেয়ার টেবিল থেকে শুরু করে টিভি ভাঙচুর করে। বাদ যায়নি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নেতাজি সুভাষ বোসের ছবিও। ভাঙ্গা হয়েছে পার্টি অফিসের চেয়ার টেবিলও। ভেঙে ফেলে সব ছবিও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। এই অফিসটি বেলঘড়িয়া অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিস কমিশনারের অফিসের সামনেই। সেখানে ভাঙচুরের ঘটনায় হতবাক সকলে। রাতেই ভিড় হয়ে যায় জয়প্রকাশ কলোনিতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে খড়দহ থানার বিশাল পুলিস বাহিনী।

    শহর তৃণমূলের সহ সভাপতি কী বললেন?(Panihati)

    পানিহাটি (Panihati) শহর তৃণমূলের সহ সভাপতির প্রবীর দে’র অভিযোগ, তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে বসে মদ্যপান করেন কাউন্সিলারের অনুগামীরা। এরা সিন্ডিকেট সহ সবকিছুতে যুক্ত। আমি বিষয়টি স্থানীয় বিধায়ক নির্মল ঘোষ এবং তীর্থঙ্কর ঘোষকে জানিয়েছিলাম। বেশ কিছুদিন ধরে সেই মদ্যপানের তিনি প্রতিবাদ করছিলেন।

    তৃণমূলের কাউন্সিলার কী বললেন?

    সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় কাউন্সিলর প্রবীর মজুমদার। তিনি বলেন,  যাদের বিরুদ্ধে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ, তারা কিছুদিন আগে পর্যন্ত প্রবীর দের সঙ্গে থাকতো। বনি বনা না হওয়ায় প্রবীরের সঙ্গে তাদের গোলমাল বাধে। এখানে আমার কোনও ব্যাপার নেই। এদেরকে নিয়েই প্রবীর আমাকে হারাবার সব রকম চেষ্টা করেছিল। এখন আমার অনুগামী বলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমি এসবের বিন্দু বিসর্গ জানি না।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনাকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব।বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন,তৃণমূল কংগ্রেস দল নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠীকোন্দল ও বখরার লেনদেন নিয়ে মারপিট করতে করতেই শেষ হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: কোর্টে ধাক্কা খেল তৃণমূল! মুর্শিদাবাদের রানিনগর-২ স্থায়ী সমিতি গঠন ঝুলে রইল

    Murshidabad: কোর্টে ধাক্কা খেল তৃণমূল! মুর্শিদাবাদের রানিনগর-২ স্থায়ী সমিতি গঠন ঝুলে রইল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টে ধাক্কা খেল তৃণমূল! মুর্শিদাবাদের রানিনগর-২ স্থায়ী সমিতি গঠন ঝুলে রইল। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর ২ পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতি গঠন নিয়ে টালবাহানা চলছিল। অবশেষে স্থায়ী সমিতি গঠনে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশের উপর স্থায়ী সমিতি গঠনের পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে ঘোষণা করায় স্থায়ী সমিতি গঠন কবে হবে তা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে।

    আদালত ঠিক কী নির্দেশ দিল?

    সোমবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা মুর্শিদাবাদের (Murshidabad)  ডোমকলের মহকুমাশাসককে  নির্দেশ দিয়ে বলেন, পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতি গঠনের জন্য সভা ডেকে এখনই ভোটাভুটি করা যাবে না। আর পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী বোর্ড গঠন নিয়ে ইতিমধ্যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকলে তা কার্যকর হবে না। আদালতের নির্দেশের উপর স্থায়ী সমিতি গঠনের পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। আপাতত আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করা যাবে না। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে।

    আদালতে কী জানায় কংগ্রেস?

    কংগ্রেসের অভিযোগ, নিজেরা স্থায়ী সমিতি গঠন করতে চেয়ে তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে দলীয় কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলেও আদালতে অভিযোগ করে কংগ্রেস। উল্লেখ্য যে, কংগ্রেসের ছ’জন সদস্যের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারি এড়াতে তাঁরা পলাতক। আদালতে কংগ্রেস জানায়, ওই সদস্যরা ভোটাভুটিতে অংশ নিতে চান। স্থায়ী সমিতির মোট সদস্য সংখ্যা ৪২। এই পঞ্চায়েতে খাতায় কলমে কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও পরে কয়েক জন সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন।

    রানিনগরে ঠিক কী ঘটেছিল?

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়ী হওয়ায় গত শুক্রবার বিজয় সমাবেশের ডাক দিয়েছিল বাম এবং কংগ্রেস। অভিযোগ, সেই সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে বাধার মুখে পড়েন কংগ্রেস কর্মীরা। কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ পুলিশের সঙ্গে একযোগে তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের সমাবেশে যেতে বাধা দেন তৃণমূল কর্মীরাও। সমাবেশ থেকে ফেরার পথে এই ঘটনা নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ, কংগ্রেস কর্মীরা রানিনগর থানায় ঢুকে তাণ্ডব চালান। থানা লক্ষ্য করে চলে তুমুল ইটবৃষ্টি। রাজ্য সড়কের পাশে তৃণমূলের পার্টি অফিস মান্নান হোসেন ভবনেও ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, রানিনগর থানার পুলিশকে সাহায্য করতে ডেকে পাঠানো হয় আশপাশের থানার পুলিশকর্মীদেরও। তারপর কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে এবং লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুদ্দুস আলি-সহ মোট ৩১ জন বাম এবং কংগ্রেস সমর্থককে। ধৃতদের  লালবাগ আদালতে পেশ করা হয়। আদালত কুদ্দুস-সহ ৩১ জনকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

    কী বললেন কংগ্রেস সাংসদ?

    বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, পুলিশ এবং তৃণমূলের লোকেরা পরিকল্পিত ভাবে কংগ্রেস কর্মীদের মারধর করে উত্তেজনা তৈরিতে ইন্ধন জুগিয়েছে। মিথ্যা মামলায় জেলে যাওয়া দলীয় কর্মীদের মুক্তির দাবিতে জেলা জুড়ে আন্দোলন হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mandarmani: পরনে শুধুই অন্তর্বাস, মন্দারমণির সমুদ্র সৈকতে তরুণীর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য

    Mandarmani: পরনে শুধুই অন্তর্বাস, মন্দারমণির সমুদ্র সৈকতে তরুণীর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরনে শুধুই অন্তর্বাস। পূর্ব মেদিনীপুরের মন্দারমণি কোস্টাল থানা এলাকার চাঁদপুরে সোমবার সকালে সমুদ্রের ধারে পাথরের উপর মিলল এক তরুণীর মৃতদেহ। যা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই তরুণীর নাম  ও পরিচয় কিছু জানা যায়নি। এই ঘটনায় মন্দারমণিতে (Mandarmani) আসা পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

    পর্যটকরা কী বললেন? (Mandarmani)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে স্থানীয় লোকজনই ওই তরুণীকে সমুদ্রের ধারে পাথরের উপর পড়ে থাকতে দেখেন। তরুণীর পরনে ছিল শুধু অন্তর্বাস। দেহটি নজরে আসার পরই  খবর দেওয়া হয় মন্দারমণি কোস্টাল থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ।  পর্যটকরাও সেখানে এসে ভিড় করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ওই তরুণী এলাকার বাসিন্দা নন। ওই তরুণীর বাড়ি বাইরের কোথাও। তাঁকে ওই মন্দারমণিতে (Mandarmani) নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। তবে, দেহটি সমুদ্রের ধারে পাওয়া যাওয়ায় সেটি অন্য কোথাও থেকে ভেসে এসেছে, না তাঁকে এখানে নিয়ে এসে খুন করা হয়েছে, তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। এ ধরনের ঘটনা ঘটায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে পর্যটকদের মধ্যে। তাঁরা বলেন, সি মেরিন ড্রাইভ এলাকায় রাস্তা শুনশান থাকার কারণে এবং রাস্তার পাশে পর্যাপ্ত স্ট্রিট লাইট না থাকার কারণে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা বাড়ছে। অবিলম্বে ওই এলাকায় বাড়ানো হোক স্ট্রিট লাইট। সঙ্গে বাড়ান হোক পুলিশের নজরদারিও। আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। কিছুদিন আগে শংকরপুর বাঁধের অপর প্রান্তেও একটি দেহ ভেসে আসে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।  

    কী বললেন দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিক?

    দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের এক্সিকিউটিভ অফিসার মানসকুমার মণ্ডল বলেন, মন্দারমণি (Mandarmani) এলাকায় আলোর অভাব রয়েছে, এই ধরনের কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। পর্যটক থেকে স্থানীয়দের যাতে কোনও রকমের সমস্যার মধ্যে পড়তে না হয়, তার ব্যবস্থা করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “অভিষেক আলালের ঘরের দুলাল নন যে ইডি তাঁর মতামত নিয়ে ডাকবে”, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “অভিষেক আলালের ঘরের দুলাল নন যে ইডি তাঁর মতামত নিয়ে ডাকবে”, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের দিনই ইডির তলবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী সেপ্টেম্বরের ১৩ তারিখে ইডি ফের ডেকেছে বলে ট্যুইটারে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। পাশাপাশি এই তলবকে ঘিরে, হাওড়ার আন্দুলের সভা থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বললেন, অভিষেক আলালের ঘরের দুলাল নন যে তাঁর মতামত নিয়ে ডাকবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ঠিক এইভাবে আক্রমণ করে তীব্র কটাক্ষ করলেন নন্দীগ্রামের এই বিজেপি বিধায়ক।

    কী বললেন শুভেন্দু?

    হাওড়ার দানেশ শেখ লেনের দলীয় সভা থেকে এদিন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের পুলিশ এবং প্রশাসনের কাছে তৃণমূল কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হতে পারেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে কেউ নন। আইনের চোখে সকলেই সমান। আর আইন বলছে, তিনি দুর্নীতি কাণ্ডে একজন প্রধান অভিযুক্ত। তাই তদন্তকারী সংস্থা কাকে কখন ডাকবে, তা কখনই জিজ্ঞাসা করে ডাকবে না। 

    পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন নিয়ে কী বললেন?

    পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, বোর্ড গঠনের আগেই রাজ্য পুলিশ, বিরোধী দলের নেতাদের পঞ্চায়েত অফিসের সামনে থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এমনকি তাঁদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে, জেলে দিনের পর দিন আটকে রাখা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আগামী দিনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা রাজ্যের শাসক দলের সব বড় চোরদের জেলে পাঠাবে।

    রাজ্যপালের চিঠি নিয়ে বক্তব্য

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, রাজ্যপাল সাংবিধানিক প্রধান। আমি বিধানসভার বিরোধী দলের নেতা। তাই আমি রাজ্যপালকে জিজ্ঞাসা করতে পারি না। আমি বলব, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই চিঠির বিষয়ে রাজ্যবাসীকে অবগত করুন। তিনি আরও বলেন, চিঠির মধ্যে রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার বিষয় নিয়ে কী বলেছেন রাজ্যপাল, সেই কথা অবিলম্বে রাজ্যবাসীর কাছে প্রকাশ করুন মাননীয়া। 

    ঘাটালের সভায় কী বললেন?

    ধূপগুড়ি উপনির্বাচন নিয়ে নাম না করে সিপিএমের কড়া সমালোচনা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি তৃণমূল এবং সিপিএম থেকে দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলেন বিজেপি কর্মীদের। তিনি আরও বলেন, সিপিএম ১৩ হাজার ভোট সরাসরি তৃণমূলকে দান করে নির্বাচনের জয়কে সুনিশ্চিত করেছে। তাই মাকু এবং সেকু থেকে দূরে থাকতে হবে। সেকু মানে সেকুলার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সেকুলার হওয়ার আড়ালে তোষণের রাজনীতি করছেন। তিনি আরও বলেন, সিপিএম একটাও ভোট পায়নি মুসলমান সমাজের। বরং ১৩ হাজার ভোট কেটে তৃণমূলের চোরদের সহযোগিতা করেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suicide Prevention Day: আত্মহত্যার নিরিখে প্রথম পাঁচে পশ্চিমবঙ্গ! পরকীয়ার জেরেই কি বাড়ছে আত্মহত্যা?

    Suicide Prevention Day: আত্মহত্যার নিরিখে প্রথম পাঁচে পশ্চিমবঙ্গ! পরকীয়ার জেরেই কি বাড়ছে আত্মহত্যা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে বাড়ছে আত্মহত্যা! গত দু’বছরে রাজ্যে আত্মহত্যা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ! আত্মহত্যার সংখ্যার নিরিখে দেশের প্রথম পাঁচ রাজ্যের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ব্যক্তিগত জটিলতাই বাড়াচ্ছে আত্মহত্যার প্রবণতা। তাই ১০ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ড সুইসাইড প্রিভেনশন ডে (Suicide Prevention Day) উপলক্ষ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, সমস্যাই জীবন। কিন্তু তারপরেও জীবনকেই বেছে নিতে হবে! তবেই আনন্দ অনুভব করা যাবে।

    কী বলছে সমীক্ষা? 

    ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে আত্মহত্যা বাড়ছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের নিঃশব্দ মহামারি হতে চলেছে আত্মহত্যা। মানসিক অবসাদ ও অন্যান্য মানসিক অসুস্থতা আত্মহত্যার কারণ হয়ে উঠছে। ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে আত্মহত্যার নিরিখে প্রথম পাঁচ রাজ্যের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ২০২০ সাল থেকে এ রাজ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে এক বছরে প্রায় ১৪ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে। শুধুমাত্র কলকাতাতেই ২০২০ সালের তুলনায় ২০২২ সালে ৪৯ শতাংশ আত্মহত্যা বেড়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের আত্মহত্যার (Suicide Prevention Day) সংখ্যা বেশি। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, এ রাজ্যে বছরে ৮,২৯০ জন পুরুষ আত্মহত্যা করছে। মহিলাদের এক বছরে আত্মহত্যার সংখ্যা ৫,২০৯ জন।

    কেন বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা (Suicide Prevention Day)? 

    ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, এ রাজ্যে আত্মহত্যার ঘটনা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ, ব্যক্তিগত জীবনে জটিলতা। বিশেষত পরকীয়া আত্মহত্যার অন্যতম কারণ। সম্পর্কে জটিলতার জেরেই মানসিক অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট আত্মহত্যার ৩৪ শতাংশের মৃত্যুর কারণ হিসাবে ব্যক্তিগত সম্পর্কে জটিলতা কিংবা পরকীয়ার মতো তথ্য উঠে আসে। তবে, এর পাশপাশি, কর্মক্ষেত্রে চাপ ও অস্থিরতা, পরিবারের বিভিন্ন বিষয়ে চাপ দেওয়ার জেরে মানসিক অবসাদের জেরে আত্মহত্যার (Suicide Prevention Day) ঘটনা ঘটছে।

    আত্মহত্যা (Suicide Prevention Day) রুখতে কী পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সামাজিক অস্থিরতা মানসিক স্থিতাবস্থাকে আঘাত করছে। পরিবারের সম্পর্ক কতখানি গুরুত্বপূর্ণ, সে সম্পর্কে সকলকেই সজাগ থাকতে হবে। পরকীয়ার মতো সমস্যা নৈতিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে। তাই এই ধরনের সমস্যা এড়াতে প্রয়োজন পারিবারিক শিক্ষা ও নৈতিক শিক্ষার উপর গুরুত্ব দেওয়া। 
    তবে, মনোরোগ বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, কয়েকটি লক্ষণ স্পষ্ট হলে আন্দাজ করা যায়, আত্মহত্যাপ্রবণ (Suicide Prevention Day) হয়ে উঠছে কিনা। সে সম্পর্কে সতর্ক থাকলে বিপদ এড়ানো সম্ভব। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, পরিবারের কেউ খুব চুপচাপ হয়ে গেলে, নিজেকে সমস্ত বিষয় থেকে হঠাৎ গুটিয়ে নিলে পরিবারকে সতর্ক হতে হবে। তিনি কোনও রকম মানসিক সমস্যায় ভুগছেন কি না, তা আন্দাজ করা যায়। তখনই সতর্ক হলে, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করালে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়। 
    পাশপাশি কথা বলার সময়, হতাশাগ্রস্ত কিনা তা খেয়াল করা জরুরি। অনেকেই এমন ভাবে কথা বলেন, তাতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে, তিনি নিরাশায় ভুগছেন। এমন লক্ষণ স্পষ্ট হলে তাঁর বাড়তি যত্ন জরুরি। কারণ, এই ধরনের লক্ষণ মানসিক অবসাদের ইঙ্গিত দেয়। 
    তবে, কেউ যদি কখনও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন, তাহলে তাঁকে বকাবকি করা কিংবা নিছক মজা করা, আসলে অসচেতনতা বলেই জানাচ্ছেন মনোরোগ চিকিৎসকরা। কেউ আত্মহত্যা করবেন, এমন বললে কিংবা আত্মহত্যার চেষ্টা করলে, তাঁকে দ্রুত বিশেষজ্ঞদের কাছে নিয়ে যাওয়া জরুরি। যাতে ঠিকমতো চিকিৎসা এবং থেরাপির মাধ্যমে, তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানো যায়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share