Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Dacoits: জেলে বসেই পুরুলিয়ার সোনার দোকানে ডাকাতির ছক, এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত

    Dacoits: জেলে বসেই পুরুলিয়ার সোনার দোকানে ডাকাতির ছক, এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে পুরুলিয়া শহরে নামোপাড়ায় সেনকো গোল্ডের শোরুমে ভয়াবহ ডাকাতির (Dacoits) ঘটনা ঘটে। দুষ্কৃতীরা দোকানে ঢুকে ৮ কোটি টাকার সোনা হাতিয়ে চম্পট দিয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতেরা হলেন করণজিৎ সিংহ সিধু এবং বিকাশ কুমার। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসা তথ্য এবং ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মূল অভিযুক্তেরও খোঁজ মিলেছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, তিনি বর্তমানে ভিন্নরাজ্যের একটি জেলে রয়েছেন। সেখানে বসেই ডাকাতির গোটা পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

    পুরুলিয়া এবং রানাঘাটে ডাকাতিকাণ্ডে (Dacoits) কী কোনও যোগসূত্র রয়েছে?

    পুরুলিয়ায় ডাকাতিকাণ্ডে (Dacoits) ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এই চক্রে তিনটি দল রয়েছে। একটি দল দেখে, কোথায় ডাকাতি করা হবে। অর্থাৎ, দোকানের খোঁজ দেওয়া। তারাই রেইকি করে। দ্বিতীয় দলের কাজ মোবাইল-সহ অন্যান্য প্রযুক্তি সাহায্য প্রদান করা। আর তৃতীয় দল সরাসরি দোকান লুটের সঙ্গে জড়িত থাকে। পুরুলিয়ার সঙ্গে রানাঘাটের ডাকাতির ঘটনার যোগসূত্রেরও হদিশ মিলেছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, রানাঘাট শহরের মিশন রোডের পাশে থাকা গয়নার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় ওই দিনই পাঁচ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে এক জন হলেন কুন্দন সিং। এ রাজ্যে একাধিক অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, কুন্দনই ব্যবসায়ী রাজু ঝা খুনের মূল চক্রী। পুলিশ সূত্রে খবর, গাঁজা এবং হেরোইনে আসক্ত কুন্দন মূলত নেশার টাকা জোগাড় করতেই ‘শুটার’ হন। এর মধ্যে মধ্যপ্রদেশের একটি খুনের ঘটনাতেও তার নাম উঠে এসেছিল। রানাঘাট পুলিশ সূত্রে খবর মিলেছে, পুরুলিয়াকাণ্ডে জেলবন্দি মূল অভিযুক্তের সঙ্গে এই কুন্দনের যোগাযোগ ছিল।

    পুরুলিয়ার ডাকাতিকাণ্ডে (Dacoits) ঝাড়খণ্ড-যোগ!

    গত ২৯ অগাস্ট, মঙ্গলবার পুরুলিয়ায় যখন সেনকো গোল্ড শোরুমে ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে, ওই সময় নদিয়ার রানাঘাটে ওই একই সংস্থার স্বর্ণবিপণিতেও ডাকাতি হয়েছে। পুরুলিয়ার ঘটনায় ঝাড়খণ্ড-যোগ প্রকট হতে থাকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নামোপাড়া সংলগ্ন বিভিন্ন রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা নিশ্চিত হয়েছিলেন, দুষ্কৃতীরা ঝাড়খণ্ডের দিকেই গিয়েছে। জেলা পুলিশের একটি দল ঝাড়খণ্ডে যায়। সেখান থেকেই গ্রেফতার হয় করণজিৎ। তার বাড়ি ওই রাজ্যের পাথরডি থানার চাসনালায়। আর বিকাশকে গ্রেফতার করা হন নয়ডা থেকে। শনিবার ধৃতদের পুরুলিয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

    কী বললেন জেলা পুলিশ সুপার?

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডাকাতির ঘটনার দিন দুয়েক আগে নামোপাড়ার সেনকো গোল্ড শোরুমে এসে গয়না বেছে অগ্রিম দিয়ে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তাই, লুট করতে তারা যখন দোকানে ঢোকে, প্রথম দুই দুষ্কৃতীকে দোকানের কর্মীরা সন্দেহের চোখেই দেখেননি। আর সেই সুযোগেই মিনিট কুড়ি-বাইশের মধ্যে লুটপাট সেরে কার্যত বিনা বাধায় চম্পট দেয় অপরাধীরা। শহরের বিভিন্ন রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। ফুটেজে দেখা গিয়েছে, পালানোর সময় একটি বাইকে তিন জন যাচ্ছিল। তাদের সঙ্গে বড় ব্যাগ ছিল। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ডাকাতির (Dacoits) ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সাত জন যুক্ত ছিল। তাদের মধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও পাঁচ জনের খোঁজ চলছে। ডাকাতির ঘটনায় মূল অভিযুক্তের খোঁজ মিলেছে। সে বর্তমানে ভিন্নরাজ্যের জেলে রয়েছে। সেখানে বসেই ডাকাতির ছক কষেছে সে।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Governor Of West Bengal: ‘অ্যাকশন’ শুরু রাজ্যপালের! মধ্যরাতে নবান্নে গেল রাজভবনের চিঠি

    Governor Of West Bengal: ‘অ্যাকশন’ শুরু রাজ্যপালের! মধ্যরাতে নবান্নে গেল রাজভবনের চিঠি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজপাল সংঘাত তুঙ্গে। ঠিক এমন আবহে অ্যাকশন দেখার জন্য শনিবার সকালেই মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করার কথা বলেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor Of West Bengal)। অবশেষে তিনি অ্যাকশন নিলেন। শনিবার এবং রবিবারের মধ্যবর্তী রাত বারোটার ঠিক কয়েক মিনিট আগে দুটি খামবন্দি চিঠি পাঠালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যার একটি গেল কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এবং অপরটি নবান্নে। যদিও চিঠিতে কী লেখা রয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। রাজ্যপালের (Governor Of West Bengal) এই মুখ বন্ধ চিঠিকে ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছে।

    শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপালের জবাব

    প্রসঙ্গত, উপাচার্য নিয়োগ বিতর্কের মাঝেই তৃণমূলপন্থী প্রাক্তন উপাচার্যদের একাংশকে  রাজভবনের সামনে অবস্থানেও দেখা গিয়েছে সুবোধ সরকারের নেতৃত্বে। শুক্রবার বিকালে ব্রাত্য বসুর মন্তব্যে বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করে। সরাসরি রাজ্যপালকে (Governor Of West Bengal) মহম্মদ বিন তুঘলকের সঙ্গে তুলনা করেন শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে শনিবার সকালেই রাজ্যপাল (Governor Of West Bengal) বলেন, ‘‘মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।’’ এরপরেই চিঠি পাঠান রাজ্যপাল। মনে করা হচ্ছে চিঠির প্রাপ্তি স্বীকারের পরেই জানা যাবে ওই চিঠিতে ঠিক কী লেখা রয়েছে। চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে ঝড়ও উঠতে পারে, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।

    উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে সংঘাত 

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপাল (Governor Of West Bengal) নিজের মনোনীত ব্যক্তিদের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেন। যেমন রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে বসানো হয়েছে কর্নাটক হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শুভ্র কমল মুখোপাধ্যায়কে, আবার মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক গৌতম মজুমদারকে উপাচার্য করে রাখা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করা হয় বুদ্ধদেব সাউকে। এ নিয়েই রাজভবনের (Governor Of West Bengal) সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত চরমে ওঠে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরকে হুঁশিয়ারি দিতে শোনা যায়, উপাচার্যদের বেতন বন্ধ করার। মুখ্যমন্ত্রীর এই অর্থনৈতিক অবরোধের তত্ত্বে বিতর্ক দানা বাঁধে। কিন্তু সেসবে রাজ্যপাল কোনওরকম পাত্তা দেননি, কৃষ্ণনগরের কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করা অধ্যাপক কাজল দে’কে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: “পঞ্চায়েত বা উপনির্বাচন কোনও ভোটই নয়, সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হবে বিজেপিই” হুঙ্কার শুভেন্দুর

    Howrah: “পঞ্চায়েত বা উপনির্বাচন কোনও ভোটই নয়, সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হবে বিজেপিই” হুঙ্কার শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ শানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হাওড়ার (Howrah) বাঁধাঘাট মোড়ে শনিবার সন্ধ্যায় বিজেপির এক জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘বিজেপি ধূপগুড়ি মহকুমা চায় না’ বলে মিথ্যা প্রচার করেছে তৃণমূল। ৪ হাজার ভোটে জিতে ভাবছেন বিজেপি হামাগুড়ি দিচ্ছে! পঞ্চায়েত ভোট বা উপনির্বাচন কোনও ভোট নয়। ভোট তো হবে ২০২৪ সালের লোকসভার ভোট। তৃণমূলকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।

    কী বললেন শুভেন্দু (Howrah)?

    হাওড়ার (Howrah) সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, লোকসভা ও বিধানসভার একসঙ্গে ভোট হলে, তার আগেই এই তৃণমূলের সরকার পড়ে যাবে। তিনি দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ২০২৪ সালের ভোটের আগে জোট বাঁধুন। তিনি আরও বলেন, বাংলায় যাতে তৃণমূল চুরি করতে পারে, সেই কাজটাই মহম্মদ সেলিম এবং অধীর বাবুরা করে যাচ্ছেন। তাই নিচুতলার কমরেডরা আমাদের সঙ্গে চলে আসুন। বাংলাকে বাঁচাতে চাইলে ‘নো ভোট টু মমতা’ বলুন।

    উপনির্বাচন সম্পর্কে কী বললেন?

    ধূপগুড়ি উপনির্বাচন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই সভায় (Howrah) বলেন, পঞ্চায়েত বা উপনির্বাচন কোনও ভোটই নয়। সাধারণ নির্বাচনে বিজেপিই জিতবে। তিনি আরও বলেন, সব ভোট একসঙ্গে হলে, তৃণমূল হারিয়ে যাবে। একদেশ একভোট যদি হয়, তাহলে ছাব্বিশের আগেই সরকার পড়ে যাবে মমতার। ওখানে মহকুমার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটে জিতেছে তৃণমূল। তাই লোকসভার আগে সকল সাধারণ মানুষ একত্রিত হতে হবে। ওই সিটে ছয় মাস বাদে আবার বিজেপি লিড করবে। সাধারণ নির্বাচনে আমরাই জিতব। তিনি আরও বলেন, আমাদের ২৮-৩০ হাজার ভোটার ভোট দিতে আসেননি।

    রাম- বামের জোট গঠন করার আহ্বান

    হাওড়ার (Howrah) এই সভা থেকেই শুভেন্দু ফের রাম-বাম জোট গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নীচুতলার বাম সমর্থকরা আমাদের সঙ্গে চলে আসুন। বাংলায় তো তৃণমূলকে চোর বলে কংগ্রেস এবং সিপিএম! কিন্তু করলেন কী তাঁরা? তৃণমূল যাতে জিততে পারে, সেই ব্যবস্থাই করলেন বলে স্পষ্ট আক্রমণ করেন শুভেন্দু। তাই নীচুতলার কর্মীদের বলব, আপনারা তো ধান্দাবাজ নন। যদি বাংলাকে বাঁচাতে চান, নিচুতলায় বিজেপির সঙ্গে মিটিং করুন। বিজেপির সঙ্গে একজোট হয়ে লড়াই করলে এই চোর তৃণমূলের উচ্ছেদ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিজেপি করার অপরাধে রাস্তায় বেড়া, অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিজেপি করার অপরাধে রাস্তায় বেড়া, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি করার অপরাধে সমস্ত রাস্তায় কাঁটা দিয়ে বেড়া দিয়ে বাইরের বেরোনোর পথ আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার মথুরাপুর-২নম্বর ব্লকের দক্ষিণ কনকনদিঘি ডাক্তার ঘেরি  মুন্ডাপাড়া এলাকায়। সেখানে ছটি পরিবারকে গত তিনদিন ধরে যাতায়াতের রাস্তায় বেড়া দিয়ে ঘরে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    অভিযোগ, ২০১৫ সাল নাগাদ দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) মণি নদীর ভাঙ্গন রোধে সরকার একটি আইলা বাঁধ তৈরি করার কাজে হাত দেয়, তারজন্য প্রায় ২৫ টি পরিবারকে নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে উঠে যেতে হয়। ১০ টি পরিবারের নিজস্ব জায়গা থাকায় তাদের সরকার থেকে ঘর করে দেওয়া হয়। অন্যদিকে, ১৫ টি পরিবারের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে সরকার ৯টি পরিবার ভালোভাবে থাকতে পারলেও ২০১৭সালে ৬টি পরিবারকে ওই আইলাবাঁধের ঢিলছোঁড়া দূরত্বে পাট্টা দেওয়া হয়। ২০২০ সালে সরকারি টাকায়  ঘর করে দেওয়া হয়। কিন্তু, দুর্ভাগ্যের বিষয় ঘর ও জায়গা পেলেও চলাচলের  রাস্তার ব্যবস্থা করা হয়নি। ৬টি পরিবারের মধ্যে একটি পরিবার সরকারি রাস্তার ধারে থাকায় তার কোনও অসুবিধা না হলেও পাঁচটি পরিবার মহা বিপদে পড়েন। ঘরের সামনে অন্যের জায়গার ওপর দিয়ে জল পেরিয়ে বাঁধে উঠে চলাচল শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু ২০২২ সালের দিকে হঠাৎ করে জমির মালিক তাদের যাতায়াতের বাধা দিতে থাকে। অসহায় পরিবার বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরে বিষয়টি জানান।  পরে, বিষয়টি মিটে যায়। আগের মতো তাঁরা যাতায়াত করতে থাকেন। গত পঞ্চায়েত ভোটে এই পরিবারগুলো বিজেপি করেন। তারপরেই শাসক দলের লোকজন এই পরিবারগুলোর উপরে অত্যাচার করা শুরু করে বলে অভিযোগ। এমনকী মাঝে মাঝে প্রাণনাশের হুমকি  দেওয়া হয়। হঠাৎ করে দেখা যায় তাদের চলাচলের সমস্ত রাস্তা কাঁটা বেড়া দেওয়া হয়। পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, বিজেপি করা আমাদের অপরাধ। বাড়িতে অসুস্থ লোকজন, ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া, নলকূপের জল আনা, বাজারে যাওয়া সব কিছু বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই বিষয় নিয়ে মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি নবেন্দু সুন্দর নস্কর বলেন, শুধুমাত্র রায়দিঘির এই মুন্ডাপাড়া নয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বিভিন্ন জায়গাতেই শাসক দল এইভাবেই পঞ্চায়েতে যারা যারা বিজেপি করেছে তাদেরকে নানাভাবে হেনস্থা করছে। তবে,এর জবাব লোকসভায় মানুষ ঠিক দিয়ে দেবে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য শ্যামল কুমার মাইতি বলেন, এমন যদি ঘটনা হয়ে থাকে তাহলে তার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। ব্যক্তিগত কারণে এসব কিছু হতে পারে। এরসঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। আর এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কোনওভাবেই যুক্ত নয়। তবুও, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদ আদালতে বাংলাদেশের সংগীত শিল্পী মমতাজ বেগম, কেন জানেন?

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদ আদালতে বাংলাদেশের সংগীত শিল্পী মমতাজ বেগম, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংগীত শিল্পী তথা বাংলাদেশের আওয়ামী লিগের জাতীয় সংসদের সদস্য মমতাজ বেগম হাজির মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে। তাঁর বিরুদ্ধে চুক্তিভঙ্গ এবং প্রতারণার অভিযোগ তুলে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা আদালতে মামলা করা হয়।

    আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংগীত শিল্পীর বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

    আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, শক্তিশংকর বাগচী নামে এক ব্যক্তি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ করতেন। মমতাজ বেগমের সঙ্গে ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত কাজ করেছিলেন। কোনও একবার অনুষ্ঠানে কথা দিয়েও তিনি আসেননি বলে শংকরবাবুর অভিযোগ। তিনি এনিয়ে আদালতে মামলা করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, অনুষ্ঠানে আসার জন্য শক্তি শক্তিশংকর বাগচী সংগীত শিল্পী মমতাজ বেগমকে বেশ কিছু টাকা দিয়েছিলেন। সঙ্গীত অনুষ্ঠানে না আসা সত্ত্বেও সেই টাকা ফেরত দেননি। ২০০৯ সালে তিনি সংগীত শিল্পীর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অলকেশ দাস সংগীত শিল্পীকে ৮ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।

    সংগীত  শিল্পীর আইনজীবীর কী বক্তব্য?

    মমতাজ বেগমের আইনজীবী দেবাংশু সেনগুপ্ত বলেন, শংকরবাবু যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। টাকা দেওয়ার কথা বলেছেন তার কোনও প্রমাণ আদালতে দেখাতে পারেননি। ওই সময় তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন এবং দুর্ঘটনাজনিত কারণে তাঁর পায়ের হার ভেঙ্গে যায়। তাই, তিনি অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি। মামলা করার পর বিদেশে থাকার কারণে তিনি আদালতে আসতে পারেননি। ফলে, বিচারক তাঁর নামে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেছিলেন। ৮ সেপ্টেম্বর সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশ মতো তিনি মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা আদালতে হাজির হন। এর আগে তাঁর না আসতে পারার কারণে সমস্ত প্রমাণপত্র কোর্টকে জমা দেওয়া হয়। এরপরই বিচারক মমতাজ বেগমকে জামিন দেন। একইসঙ্গে তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়, যদি আগামীদিনে আদালত তাঁকে ডেকে পাঠালে তিনি যেন সেই দিনে আদালতে হাজির হন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaun Banega Crorepati: মায়ের ইচ্ছেপূরণে ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’-তে রায়গঞ্জের গৌরব

    Kaun Banega Crorepati: মায়ের ইচ্ছেপূরণে ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’-তে রায়গঞ্জের গৌরব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:মায়ের ইচ্ছেপূরণ করতে ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’-র (Kaun Banega Crorepati) প্ল্যাটফর্মে বিগ বি’র মুখোমুখি রায়গঞ্জের গৌরব পোদ্দার। ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ নামক জনপ্রিয় রিয়ালিটি শোতে অংশ নিলেন রায়গঞ্জের ছেলে। শুধু অংশ নিলেন না, হট সিটে বসে বিগ বি-র সামনে একের পর এক প্রশ্নের জবাব দিলেন। বলিউড শাহেনশার সঙ্গে এত বড় প্ল্যাটফর্মে যেতে পেরে খুশি রায়গঞ্জবাসী।

    কী বললেন গৌরবের বাবা?(Kaun Banega Crorepati)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ শহরের উকিল পাড়ার বাসিন্দা চিকিৎসক গোপাল পোদ্দারের ছেলে গৌরব পোদ্দার। এবছরে ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ (Kaun Banega Crorepati) শোয়ে ডাক পান। চূড়ান্ত পর্বে হট সিটে বলিউডের সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চনের একের পর এক প্রশ্নের সম্মুখীন হন তিনি। সম্প্রতি সেই শোয়ের টেলিকাস্ট হতেই খুশির আবহ ছড়িয়ে পরে গোটা এলাকায়। গৌরবের বাবা গোপালবাবু বলেন, আমার স্ত্রী ওই অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য অনেকবারই চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, ডাক পাননি। মায়ের ইচ্ছার কথা জেনে এবার ছেলে আবেদন করেছিল। ও ডাক পায়। সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারার কারণে ছেলে হট সিটে যাওয়ার সুযোগ পায়। ১০টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়ে ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা সে জিতে নেয়। পরে, সে ছিটকে যায়। তবে, এই প্রশ্নোত্তর পর্বের মাঝে বিগ বি’র সঙ্গে চলে খুনসুটিও। মায়ের স্বপ্ন এভাবে পূরণ করায় ছেলের জন্য বেশ গর্ব হচ্ছে।  

    প্রতিবেশীরা কী বললেন?

    পরিবারের পাশাপাশি গৌরবের এই সাফল্যে খুশি প্রতিবেশীরাও। তারাও গর্ব অনুভব করছেন। পুরসভার ওই ১৪নং ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর অনিরুদ্ধ সাহা বলেন, “খুবই গর্বের বিষয়। রায়গঞ্জের বাসিন্দা হয়ে এত বড় প্ল্যাটফর্মে (Kaun Banega Crorepati) অংশগ্রহণ করেছে গৌরব। আমরা খুবই আনন্দিত এবং গর্বিত।” প্রতিবেশী প্রিয়া পোদ্দার বলেন, ” এটা আমাদের কাছে একটা স্বপ্নের মত। যে আমাদের প্রতিবেশী এত বড় একটি জায়গায় পৌঁছেছে। আমরা খুবই আনন্দিত। গৌরবের এই সাফল্যে পরবর্তী প্রজন্ম আরও বেশি অনুপ্রাণিত হবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gram Panchayat Election: খেজুরিতে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী! নির্দেশ আদালতের

    Gram Panchayat Election: খেজুরিতে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী! নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে পঞ্চায়েতের (Gram Panchayat Election) বোর্ড গঠনে বোমাবাজির অভিযোগ নিয়ে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল কলকাতা হাইকোর্ট। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। একই সঙ্গে আদালতের নির্দেশ, পরবর্তী বোর্ড গঠনের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর  নিরাপত্তায় করতে হবে বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া। রাজ্য অবিলম্বে এর জন্য কেন্দ্রের কাছে সাহায্য চাইবে। আদালতের আরও নির্দেশ, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন ওই জেলার পুলিশ সুপার। আগের দিনের চাইতে বেশি সংখ্যায় রাজ্য পুলিশের কর্মী মোতায়েন করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ওই বোর্ড গঠনের কাজ হবে বিডিও অফিসের পরিবর্তে জেলাশাসকের দফতরে।

    কী নির্দেশ দিল আদলত?

    ৫ সেপ্টেম্বর খেজুরিতে পঞ্চায়েতের (Gram Panchayat Election) স্থায়ী সমিতি গঠন নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে তিনটি মামলা হয় হাইকোর্টে। কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী সেদিন বিডিও অফিসে ভোট দিতে গিয়েছিলেন। তখনই শিশিরের গাড়িতে হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। শিশিরের গাড়িতে যথেচ্ছ বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। এবার ওই মামলায় বিস্ফোরক আইন যুক্ত করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। মামলার শুনানিতে শিশিরের আইনজীবীর মোবাইল ফোনে বোমাবাজির ফুটেজ দেখেন বিচারপতি। এরপরই রাজ্যের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের কি মনে হয় না যে, আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে? এখানে তো আদালত মামলাকারীদের নিরাপত্তার নির্দেশ দিয়েছিল। মামলাকারীরা যদি এফআইআর দায়েরের ক্ষেত্রে কোনও ভুল করেও থাকেন, তবে পুলিশ কী করছিল? তিনি আরও বলেন, ‘আদালতকে বোকা ভাবার কোনও কারণ নেই। যেখানে মানুষের প্রাণ সংশয়ে আছে, সেখানে পুলিশের এই ভূমিকা কেন?’ রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানা হয়, ঘটনার দিন ২৫০ জন পুলিশ কর্মী মোতায়েন ছিল। তবে, তারা বাইরে ছিল। বিডিও অফিসের ভিতরে গন্ডগোল হয়েছে। বিচারকের প্রশ্ন, পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও ঘটনার মোকাবিলা করা গেল না কেন? তাহলে তাদের বাইরের বাহিনীর সাহায্য প্রয়োজন।

    খেজুরিকাণ্ডে গ্রেফতারি নিয়ে আদালতে কী জানাল রাজ্য?

    শিশিরের সঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Gram Panchayat Election) সময় নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী খুকুমণি মণ্ডল। যেহেতু বিস্ফোরণ হয়েছে, সেই কারণে এই মামলার তদন্তের অধিকার রাজ্যের নেই বলে দাবি করেন কেন্দ্রের আইনজীবী। রাজ্য জানায়, মোট ৯ জন গ্রেফতার হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JU Student Death: যাদবপুরের মৃত ছাত্র নাবালক ছিলেন! অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা

    JU Student Death: যাদবপুরের মৃত ছাত্র নাবালক ছিলেন! অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরের মৃত পড়ুয়া নাবালক (JU Student Death) ছিলেন। পুলিশ তাই প্রধান অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো ধারা যোগ করল। হস্টেলে র‍্যাগিংয়ের কারণে ইতিমধ্যে পুলিশ মামলা দায়ের করেছিল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও অভ্যন্তরীণ তদন্তে অভিযুক্তদের আজীবন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ধৃতদের প্রত্যেককেই ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবার যোগ করা হল নতুন ধারা।

    ভারতীয় দণ্ডবিধির কত নম্বর ধারায় মামলা দায়ের হল?

    গত ৯ই অগাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলের এ টু ব্লকের তিনতলা থেকে পড়ে মৃত্যু (JU Student Death) হয়েছিল প্রথম বর্ষের ছাত্রের। পুলিশ জানিয়েছিল, হস্টেলের নিচে বিবস্ত্র অবস্থায় পাওয়া যায় ওই ছাত্রকে। ফলে কীভাবে মৃত্যু হল, বিবস্ত্র কেন ছিলেন, ঘরের মধ্যে তাঁর সঙ্গে কী ঘটেছে ইত্যাদি বিষয়ে জানার জন্য পুলিশ পকসো ধারায় মামলা দায়ের করেছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২ নম্বর ধারায় ওই মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত ছাত্রের বয়স ১৮ হয়নি। এই মৃত্যুর তদন্তে যাদবপুর থানার পাশাপাশি তদন্ত করছেন লালাবাজারের গোয়েন্দারা। তদন্তের জন্য একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। পাশপাশি তদন্ত করছেন কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দারা।

    প্রধান অভিযুক্ত (JU Student Death)

    ছাত্রমৃত্যুর (JU Student Death) ঘটনায় ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে সর্বত্র জোরালো আওয়াজ ওঠে। এরপর পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং এখনও পর্যন্ত মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রথমে গ্রেফতার করা হয় হস্টেলের পাশ-আউট ছাত্র সৌরভ চৌধুরি। এরপর একে একে দীপশেখর দত্ত, মনোতোষ ঘোষ, অসিত সর্দার, সুমন নস্কর, সপ্তক কামিল্যা, মহম্মদ আরিফ, আসিফ আফজাল আনসারি, অঙ্কন সরকার এবং জয়দীপ ঘোষ গ্রেফতার হয়। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পকসো আদালতে এদের তোলা হবে বলে জানা গেছে।  

    উল্লেখ্য মৃত ছাত্রের বাবা-মা কয়েকদিন আগেই নবান্নে গিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে মৃত ছাত্রের বাবা-মাকে সাহায্যের আশ্বাস দেন। নগরপালকে সঠিক ভাবে তদন্ত করে দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • South 24 Parganas: বিজেপি করা যেন ‘অপরাধ’! সমস্ত রাস্তায় বেড়া দিয়ে পথ আটকে দিল তৃণমূল!

    South 24 Parganas: বিজেপি করা যেন ‘অপরাধ’! সমস্ত রাস্তায় বেড়া দিয়ে পথ আটকে দিল তৃণমূল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার মথুরাপুর দু’নম্বর ব্লকের দক্ষিণ কনকনদিঘির ডাক্তারঘেরি। এখানকার মুন্ডাপাড়া এলাকায় ছটি পরিবারকে গত তিনদিন ধরে চলার রাস্তায় বেড়া দিয়ে ঘরে আটকে রাখার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ২০১৫ সাল নাগাদ মণি নদীর ভাঙন রোধে সরকার একটি আইলা বাঁধ তৈরি করার কাজ হাত দেয়। তার জন্য প্রায় ২৫ টি পরিবারকে নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে উঠে যেতে হয়। ১০ টি পরিবারের নিজস্ব জায়গা থাকায় তাদের সরকার থেকে ঘর করে দেওয়া হয়। অন্যদিকে ১৫ টি পরিবারের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে সরকার। ৯টি পরিবার ভালোভাবে থাকতে পারলেও ৬টি পরিবারকে ওই আইলাবাঁধের ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে পাট্টা দেওয়া হয় ২০১৭ সালে। ২০২০ সালে সরকারি টাকায় ঘর করে দেওয়া হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, ঘর ও জায়গা পেলেও চলাচলের  রাস্তার ব্যবস্থা করা হয়নি। ছটি পরিবারের মধ্যে একটি পরিবার সরকারি রাস্তার ধারে থাকায় তার কোনও অসুবিধা না হলেও পাঁচটি পরিবার মহা বিপদে। ঘরের সামনে অন্যের জায়গার ওপর দিয়ে জল পেরিয়ে বাঁধে উঠে চলাচল শুরু করে তারা।

    কীভাবে ঘনিয়ে এল বিপদ (South 24 Parganas)?

    ২০২২ সালের দিকে হঠাৎ করে তাদের যাতায়াতে বাধা আসে। অসহায় পরিবারগুলি বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরে জানায়। আশ্বাস দেওয়া হলেও কোনওরূপ রাস্তার ব্যবস্থা করা হয়নি। পঞ্চায়েত ভোটে এই পরিবারগুলো বিজেপিকে সমর্থন করায় শাসক দলের লোকজন তাঁদের উপর অত্যাচার শুরু করে বলে অভিযোগ। এমনকি মাঝে মাঝে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। হঠাৎ করে দেখা যায়, তাদের চলাচলের সমস্ত রাস্তায় কাঁটা বেড়া দেওয়া হয়েছে। এমনকি ওই ছটি পরিবারের মধ্যে রাস্তার কাছে যে পরিবার ছিল, তাদেরও রাস্তা (South 24 Parganas) বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিবারগুলি মহা বিপদে পদে পড়ে। বাড়িতে অসুস্থ লোকজন, ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া, নলকূপের জল আনা, বাজারে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে বাড়ির গৃহবধূরা অসুস্থ শিশু নিয়ে এমনকি জল আনার জন্য কলসি নিয়ে এক গোলা জলে নেমে পারাপার, যাতায়াত শুরু করে। সেখানেও তাদেরকে বাধা দেওয়া হয়, এমনকি আজ তাদের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়, ঘর ছেড়ে চলে যেতে হবে। যদি ঘরে থাকে তাদের আর বার হতে দেওয়া হবে না।

    কী বললেন তৃণমূলের কর্মকর্তারা (South 24 Parganas)?

    তবে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের দাবি, এমন যদি ঘটনা হয়ে থাকে, তাহলে তার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তবে এই ঘটনার সাথে তৃণমূল কংগ্রেস (South 24 Parganas) কোনওভাবেই যুক্ত নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mousuni Island: নেই শহর জীবনের ব্যস্ততা, হাতের কাছেই অপরূপ সুন্দর সি-বিচ ‘মৌসুনী আইল্যান্ড’

    Mousuni Island: নেই শহর জীবনের ব্যস্ততা, হাতের কাছেই অপরূপ সুন্দর সি-বিচ ‘মৌসুনী আইল্যান্ড’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের উপকূল পর্যটন মানচিত্রে একেবারে নতুন না হলেও এখনও দিঘা, মন্দারমণি, বকখালির মতো পরিচিতি বা জনপ্রিয়তাও লাভ করেনি দঃ ২৪ পরগনার একেবারে প্রান্তিক অঞ্চলের এই অপরূপ সুন্দরী ভার্জিন সি-বিচ “মৌসুনী দ্বীপ বা মৌসুনী আইল্যান্ড” (Mousuni Island)। এখনও এখানে প্রবেশ করেনি শহরের ব্যস্ত জীবনের বিরামহীন পথচলা। এখনও এখানে তাই স্বমহিমায় বিরাজ করে অখণ্ড নির্জনতা, দূষণমুক্ত পরিবেশ আর অনাবিল প্রকৃতি। বঙ্গোপসাগরের ঊর্মিল তরঙ্গ লহরী এখানে প্রতিনিয়ত হাতছানি দিয়ে ডাকে প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটককে। বিস্তীর্ণ সোনালি বালি আকৃষ্ট করে হৃদয়।

    এই দ্বীপের (Mousuni Island) ইতিহাস

    মৌসুনী দ্বীপের আবার একটা ইতিহাস আছে। এই সুন্দর দ্বীপটিকে জনমানসে পরিচিতি এনে দেওয়ার কৃতিত্বের অন্যতম দাবিদার কিন্তু বৃটিশরা। মূলত বৃটিশ আমলে এই দ্বীপটিকে ইংরেজরা ব্যবহার করত লবণ এবং শুকনো মাছ আনা-নেওয়ার কাজে। প্রথম এই দ্বীপটি (Mousuni Island) সম্পর্কে লিখিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় “দি হিন্দু” পত্রিকায়। মূলত নীল সাগরের শোভা, বালুকাবেলা এই সৈকতের আকর্ষণ। সঙ্গে উপরি পাওনা গ্রাম্য পরিবেশ, জেলেদের মাছ ধরা, নদী, সবুজ ধানের ক্ষেত-এসবের  আকর্ষণও নেহাৎ কম নয়।

    কীভাবে যাবেন (Mousuni Island)?

    মৌসুনী দ্বীপ যাওয়ার জন্য প্রথমে আসতে হবে নামখানা। এখান থেকে হাতানিয়া নদী পেরিয়ে (বর্তমানে এই নদীর ওপর সেতু হয়ে যাওয়ায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধে হয়ে গেছে) বকখালি যাওয়ার পথে খানিকটা এগিয়ে যেতে হবে বাগডাঙা খেয়াঘাট। মূল সড়ক থেকে খেয়াঘাট অবধি যাচ্ছে টোটো। গাড়ি নিয়ে গেলে এখানে খেয়াঘাটের কাছে গাড়ি রাখার জন্য গ্যারেজের ব্যবস্থাও  আছে। সড়ক বা বাস স্টপ থেকে খেয়াঘাট অবধি যেতে সময় লাগে কম-বেশি ৩০ মিনিট। এবার গাড়ি এপাড়ে রেখে খেয়া নৌকায় নদী পেরিয়ে নদীর এপাড়ে এসে সেখান থেকে আবারও টোটোতে প্রায় ১৫-২০ মিনিটের পথ মৌসুনী দ্বীপ বা মৌসুনী আইল্যান্ড (Mousuni Island)।

    কোথায় থাকবেন (Mousuni Island)?

    বর্তমানে এখানে (Mousuni Island) সাগরের কূলে বেশ কিছু টেন্ট তৈরি হয়েছে পর্যটকদের থাকার জন্য। এই টেন্টগুলিতে খাওয়ার ব্যবস্থাও আছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share