Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Panihati:পানিহাটি হাসপাতালে দালাল চক্র! ডাক্তারের চেয়ারে বসে ওষুধের দোকানের মালিক

    Panihati:পানিহাটি হাসপাতালে দালাল চক্র! ডাক্তারের চেয়ারে বসে ওষুধের দোকানের মালিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ওষুধের দালাল চক্রের হদিশ মিলল। বিষয়টি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য  ছড়িয়ে পড়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসকদের একাংশ এই দালাল চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ। ওধুষের দোকানের মালিকের কথা মতো চিকিৎসকরা ওষুধ লিখছেন। রোগীর পরিবারের লোকজন বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকারই এক ওষুধের দোকানের মালিক জরুরি বিভাগে এসে চিকিৎসকদের পাশে তাঁদের বলার চেয়ারে বসে রোগীদেরকে কি ওষুধ লিখছেন তা নজরদারি রাখছেন। মূলত তার দোকানে যে সমস্ত ওষুধ রয়েছে, সেই সব ওষুধ রোগীদের জন্য প্রেসক্রিপশনে লেখার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। আর খোদ ওষুধের দোকানের মালিকই  হাসপাতালে চিকিৎসকদের চেম্বারে বসে নজরদারি করায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রোগীর পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, জরুরি বিভাগে লাইন দিয়ে রোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসেন। কিন্তু, ওই ওষুধের দোকানের মালিক নির্দ্বিধায় হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে চিকিৎসকদের পাশে পাশেই বসে নজরদারি করেন। বাইরে কেউ আসলে অনেকেই তাকে চিকিৎসক ভাববেন। কিন্তু, তিনি দিব্যি হাসপাতালে ঢুকে দিনের পর দিন চিকিৎসকদের উপরে নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছেন। মূলত চিকিৎসকদের লেখা প্রেসক্রিপশনে তার দোকানে থাকা ওষুধ লেখার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।

    কী বললেন হাসপাতালের সুপার?

    দালাল চক্রের সক্রিয়তা এতটাই বেড়েছে যে হাসপাতালে সুপারেরও বিষয়টি নজর এসেছে। হাসপাতালে সুপার শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। কেউ যেন জরুরি বিভাগর এসে চিকিৎসকদের পাশে বসে না থাকে তা দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিন বিষয়টি নজরদারি করব। নিয়ম না মানলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    কী বললেন অভিযুক্ত ওষুধের দোকানের মালিক?

    যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওষুধের দোকানের মালিক দেবাশিস দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, এক মাসের ফিট সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য আমি হাসপাতালে এসেছিলাম। তবে চিকিৎসকের পাশে বসা আমার ঠিক হয়নি। আগে কখনো বসিনি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ঠিক নয়। চিকিৎসকদের ওষুধ লেখার ব্যাপারে আমি কোন প্রভাবিত করি না। আমাকে বদনাম করার জন্য এসব করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ISKCON: জন্মাষ্টমীতে মায়াপুর ইসকন মন্দিরে কী কী আয়োজন রয়েছে, জানেন কী?

    ISKCON: জন্মাষ্টমীতে মায়াপুর ইসকন মন্দিরে কী কী আয়োজন রয়েছে, জানেন কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ৫২৫০ তম আবির্ভাব দিবস উপলক্ষ্যে মায়াপুর ইসকন (ISKCON) মন্দিরে শুরু হল জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠান। সকাল থেকেই হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয় ইসকন মন্দিরে। প্রতি বছরই এই দিনটিকে ধূমধাম করে বিভিন্ন ভক্তিমূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়।

    জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠান নিয়ে কী বললেন ইসকনের (ISKCON) জনসংযোগ আধিকারিক?

    সকাল থেকেই দফায় দফায় চলে অনুষ্ঠান। রাতে অভিষেক হয় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মূর্তির। এদিন সকাল থেকেই মঙ্গল আরতি শুরু হয়। এরপর দিনভর চলে ভাগবত গীতা পাঠ। সন্ধ্যাবেলা চলবে মঙ্গল আরতি। আর এই আবির্ভাব দিবস উপলক্ষে শুধু দেশের ভক্ত নয়, বিদেশের হাজার হাজার ভক্তরা অংশগ্রহণ করেন এদিন। এ বিষয়ে ইসকনের (ISKCON) জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, সারাদিন ধরে বিভিন্ন ভাষায় চলবে ভাগবত পাঠ। সন্ধ্যা থেকে গুরু পূর্ণিমা এরপর ভগবান দর্শন প্রক্রিয়া চলবে। অন্যদিকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে দিনভর। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের চরণে পুষ্পার্পণ করা হবে সমগ্র জাতির মঙ্গল কামনায়। তিনি আরও বলেন, এদিনের অনুষ্ঠানে মন্দিরে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে চলছে বিভিন্ন পরীক্ষা। সকাল থেকেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠান দর্শন করার জন্য বহু ভক্তের সমাগম ঘটে। তবে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইসকন মন্দিরে ভক্তের অনেকটা ভিড় বেড়ে যায়।

    ভক্তরা কী বললেন?

    সমর ঘোষ নামে এক ভক্ত বলেন, আমি বাগবাজারে থাকি। বুধবারই আমি ইসকনে মন্দিরে চলে এসেছি। ভোর থেকে মন্দিরে রয়েছি। দিনভর নানা অনুষ্ঠানের মধ্যেই মন্দিরে (ISKCON) থেকে খুব ভাল সময় কাটবে। সুস্মিতা দাস নামে এক ভক্ত বলেন, প্রতি বছরই আমি এই অনুষ্ঠানে ইসকনে আসার চেষ্টা করি। আমার বাড়ি কালনায়। এদিন ভোরে মন্দিরে চলে আসি। সারাদিন মন্দিরে নানা ধরনের অনুষ্ঠান দেখে মন ভরে যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: মিনাখাঁ থেকে ১৬ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া যুবতীর খোঁজ মিলল, কীভাবে?

    North 24 Parganas: মিনাখাঁ থেকে ১৬ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া যুবতীর খোঁজ মিলল, কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাজবুল্লা খাতুন মারা গিয়েছে। ১১ বছর বয়সে সে এক আত্মীয়ের হাত ধরে মিনাখাঁ থেকে দিল্লি পাড়ি দিয়েছিল। আর সে বাড়ি ফেরেনি। বহু খোঁজ করেছেন বাড়ির লোকজন। কিন্তু, আর হদিশ পাননি নাজবুল্লার। এরপর ১৬ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। অবশেষে বাড়ির লোকজনের পাশাপাশি প্রতিবেশীরাও ধরে নিয়েছিলেন আর নাজবুল্লা আর বেঁচে নেই। সেই ১৬ বছর আগে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) মিনাখাঁ থেকে হারিয়ে যাওয়া  যুবতীর হদিশ করল হ্যাম রেডিও।

    কী করে খোঁজ মিলল?

    ১১ বছর বয়সে কাজের খোঁজে সে এক আত্মীয়ের হাত ধরে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) মিনাখাঁ থেকে দিল্লি পাড়ি দিয়েছিল। তারপর আর তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। বাড়ির লোকজন বহুবার দিল্লি গিয়েছেন তার খোঁজে। কিন্তু, খালি হাতেই বার বার তাঁদের ফিরতে হয়েছে। হ্যাম রেডিও সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে হ্যাম রেডিওর এক কর্মকর্তার কাছে। সেই ফোনে কথা বলেই  নাজবুল্লার হদিশ পাওয়া যায়। জানা যায়, ১১ বছরের ছোট্ট নাজবুল্লার বয়স এখন ২৭ বছর। এখন তিনি রাজস্থানে থাকেন। তিনি তিন সন্তানের মা। তাঁর নাম এখন রূপা মণ্ডল। তিনি এক জাঠ সম্প্রদায় যুবককে বিয়ে করেছেন। নাজবুল্লার স্বামী বলেন, বহু বছর আগে দিল্লি থেকে রাজস্থান ফেরার পথে  নিউ দিল্লি স্টেশনে হাউ হাউ করে কাঁদছিল নাজবুল্লা খাতুন নামে ওই মেয়েটি। একটি অসহায় মেয়েকে বাড়িতে স্থান দেব ভেবেই বাড়িতে নিয়ে এসে মার হাতে তুলে দিয়েছিলাম। পরবর্তীকালে মা মারা যাওয়ার পর মার কথা মতনই বিয়ে করলাম ওকে। তখন রেজিস্ট্রি করার জন্য আধার কার্ডের প্রয়োজন হয়ে পড়ল। একেকবার এক নাম বলছে দেখে আমি ঠিক করি রূপা মন্ডলই ওর নাম দেওয়া থাক। তাই ছোটবেলার নাজবুল্লা আজ রুপা। ওর বাড়়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। খুব শীঘ্রই আমরা যাব। আর নাজবুল্লা বলেন, ১৬ বছর পর বাড়ি ফিরব জেনেই খুবই আনন্দ লাগবে।

    কী বললেন হ্যাম রেডিও ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক?

    হ্যাম রেডিও ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অম্বরীশ নাগবিশ্বাস বলেন, নাজবুল্লার সঙ্গে কথা বলে ওর একজন আত্মীয়ের নামের কথা জানতে পারি। এরপর হ্যাম রেডিওর সদস্যদের সাহায্যে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) মিনাখাঁয় ওর বাড়ির হদিশ পাই। বাড়ির লোকজন জানেন নাজবুল্লা বেঁচে নেই। ১৬ বছর পর মোবাইল ভিডিও কলে কথা বলতে পেরে ফোনের ওপারে রাজস্থানে বসে নাজবুল্লা আর মিনাখাঁর বাড়িতে বসে পরিবারের লোকজন কান্নায় ভেঙে পড়েন। খুব শীঘ্রই দুই পরিবার এক হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: কোটিপতি প্রাক্তন পোস্টমাস্টার! তদন্তে পাঁশকুড়ার বাড়িতে ইডির তল্লাশি

    ED: কোটিপতি প্রাক্তন পোস্টমাস্টার! তদন্তে পাঁশকুড়ার বাড়িতে ইডির তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগে প্রাক্তন পোস্টমাস্টারের বাড়িতে তল্লাশি চালাল ইডি (ED)। গ্রাহকদের কাছ থেকে পাঁচ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠল প্রাক্তন পোস্টমাস্টারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই প্রাক্তন পোস্টমাস্টারের নাম লক্ষ্মণচন্দ্র হেমব্রম। রাত পর্যন্ত তল্লাশি চালায় ইডির তদন্তকারী দল। বিষয়টি জানাজানি হতেই পাঁশকুড়াজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ওই পোস্টমাস্টারের আদি বাড়ি পাঁশকুড়ার নস্কর দিঘিতে। তবে বর্তমানে তিনি পাঁশকুড়া পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিশাল জায়গা কিনে প্রাসাদোপম বাড়ি তৈরি করেছেন।

    গৃহশিক্ষক থেকে পোস্টমাস্টার হয়ে কোটিপতি!

    জানা গিয়েছে, লক্ষ্মণের বাবা, মা দিনমজুর ছিলেন। প্রথম জীবনে লক্ষ্মণ টিউশনি করতেন। পরে, ডাক বিভাগে চাকরি পান। ২০১৮ সালে লক্ষ্মণচন্দ্র হেমব্রম পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়নার রামচন্দ্রপুরে পোস্টমাস্টার পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি ওই সময় বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। কারণ, সেই সময় বিভিন্ন ক্লাব, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তিনি টাকা ঢালতেন। ওই সময়েই গ্রাহকরা পোস্টমাস্টারের বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকার অর্থ তছরুপের অভিযোগ আনেন। অভিযোগ আসার পরেই ওই ব্যক্তিকে কোলাঘাটের নতুন বাজারের পোস্টমাস্টার হিসাবে নিযুক্ত করে বিভাগীয় দফতর। এরপর অর্থ তছরুপের অভিযোগের ভিত্তিতেই ২০১৯ সালে বিভাগীয় দফতর চাকরি থেকে অপসারিত করে তাঁকে। ২০২০ সালে অভিযোগের ভিত্তিতেই পাঁশকুড়া থানার পুলিশ প্রাক্তন পোস্টমাস্টারকে আটক করে। তবে, পরবর্তী সময়ে তিনি জামিনে মুক্ত হন। তবে, ওই পাঁচ কোটি টাকার তছরুপের অভিযোগে কেন্দ্রীয় সরকারের তদন্তকারী দল ইডি (ED) তদন্তের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে  থাকে। অসমর্থিত সূত্রের খবর, সম্প্রতি সিজিও কমপ্লেসে ডেকে পাঠানো হয় লক্ষ্মণকে। কিন্তু, তিনি যাননি। তাই মঙ্গলবার তদন্তকারী দল তার বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি শুরু করে। প্রথমে বাড়িতে প্রবেশ করে প্রত্যেকের মোবাইল নিজেদের হেফাজতে নেয়। তারপরেই পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সমস্ত খুঁটিনাটি দেখা হয়। রাত ন’টা পর্যন্ত চলে তল্লাশি।

    নিজের সম্পত্তি প্রসঙ্গে কী বললেন প্রাক্তন পোস্টমাস্টার?

    লক্ষ্মণ বলেন, ইডি (ED) আধিকারিকরা বাড়িতে এসে সমস্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখেন। বলেছেন, কাগজপত্র সব ঠিক আছে। আমাকে ৮ তারিখ সিজিও কমপ্লেক্সে যেতে বলা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে যে আর্থিক অভিযোগ রয়েছে তা ঠিক নয়।

    ইডি হানা নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    পাঁশকুড়া থানার আইসি আশিস মজুমদার বলেন, কাউকে না জানিয়ে ইডি (ED) আসে। থানার কাছে কোনও তথ্য ছিল না। জানা গিয়েছে, ফের আগামী ৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়েছে লক্ষ্মণকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: নিজের নামে ব্যাঙ্কে ৬০ লক্ষ টাকা ঋণ, আছে লাক্সারি বাস! জানেনই না ভাটপাড়ার জয়ন্ত

    Barrackpore: নিজের নামে ব্যাঙ্কে ৬০ লক্ষ টাকা ঋণ, আছে লাক্সারি বাস! জানেনই না ভাটপাড়ার জয়ন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাবারের দোকান চালিয়ে কোনও রকমে সংসার চলে বারাকপুর (Barrackpore) মহকুমার ভাটপাড়ার জয়ন্ত ভট্টাচার্যের। কাজের স্বার্থে কিস্তিতে বাইক কেনার তিনি সিদ্ধান্ত নেন। কিস্তিতে বাইক কিনতে গিয়েই যত বিপত্তি। ব্যাংকের নথি ঘেঁটে জানানো হয় তাঁর নামে ৬০ লক্ষ টাকা ব্যাংকে ঋণ রয়েছে। যা শুনে আকাশ থেকে পড়েন জয়ন্তবাবু। কারণ, তিনি এই ধরনের ঋণ কোনও ব্যাংক থেকেই নেননি। পরে, তিনি খোঁজখবর করে জানতে পারেন, আসাম, দার্জিলিং, পুনে এবং বেঙ্গালুরু থেকে তাঁর ভোটার কার্ড, আধার কার্ড ব্যবহার করে ব্যাংক থেকে লোন নেওয়া হয়েছে।

    প্রতারণা নিয়ে কী বললেন জয়ন্তবাবু? (Barrackpore)

    জয়ন্তবাবু বলেন, আমার নামে পাসপোর্ট রয়েছে। অথচ আমি পাসপোর্ট এর জন্য জীবনে কোথাও আবেদন করিনি। আমার নামে রয়েছে লাক্সারি বাস। অথচ আমি কখনও তা দেখিনি। কারণ, কিস্তি ছাড়া বাইক কেনার মতো আমার ক্ষমতা নেই। আমি যে প্রতারিত হয়েছি তা বুঝতে পারি। কারণ, যে সব জায়গা থেকে আমার নাম করে ব্যাঙ্ক থেকে লোন নেওয়া হয়েছে, সেই সব জায়গায় আমি জীবনে যাইনি। তবে, এটা ঠিক কিস্তিতে বাইক কিনতে না গেলে আমি এই চক্রের হদিশ পেতাম না। প্রশাসনের কাছে বিষয়টি জানিয়ে ছিলাম। কিন্তু, তারা কোনও সাহায্য করেনি। ফলে, চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। পরে, এ বিষয়ে তদন্তের জন্য বারাকপুরের (Barrackpore) আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। আদালত এ বিষয়ে তদন্তে নির্দেশ দিয়েছে।

    কী বললেন প্রতারিত ব্যক্তির আইনজীবী?

    জয়ন্তবাবুর আইনজীবী বলেন, জয়ন্তবাবুর নামে ১৪টি ব্যাঙ্ক থেকে ধাপে ধাপে এই ৬০ লক্ষ টাকা তোলা হয়েছে। আসলে, যেটা জানা গিয়েছে,  আসামে জয়ন্ত ভট্টাচার্য নামে কোনও এক ব্যক্তি ভাটপাড়ার জয়ন্তবাবুর কাগজপত্র নিয়েই এই প্রতারণা কারবার চালাচ্ছে। বারাকপুর (Barrackpore) আদালত বিষয়টি তো তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। জয়ন্তবাবু বলেন, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। আর আমার বিরুদ্ধে ব্যাঙ্কে যে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে তা মকুব করা হোক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: সাংসদ শিশির অধিকারীর উপর হামলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর, কী বললেন?

    Suvendu Adhikari: সাংসদ শিশির অধিকারীর উপর হামলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর, কী বললেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের প্রবীণদের গায়ে পাথর ছুড়ল তৃণমূল। বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে রাধাগোবিন্দ সেবাশ্রম সংঘের কৃষ্ণের জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংসদ শিশির অধিকারীর গাড়িতে হামলার প্রেক্ষিতে একথা বললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ৮৬ বছরের প্রবীণ রাজনীতিবিদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রতিষ্ঠা করার জন্য যাঁর অন্যতম অবদান রয়েছে, তাঁর গায়ে পাথর ছোড়া মানে পশ্চিমবাংলার সমস্ত প্রবীণদের গায়ে পাথর ছোড়া।

    জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপনের রাধাগোবিন্দ সেবাশ্রম সংঘের কৃষ্ণের জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পাশাপাশি এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওড়িশার জগন্নাথ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত ও সভাপতি ভবানী প্রসাদ দৈতাপতি প্রভু সহ তপন বিধানসভার বিধায়ক বুধরাই টুডু, গঙ্গারামপুর বিধানসভার বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায়। জন্মাষ্টমীর তিথিতে তপন রাধাগোবিন্দ সেবাশ্রম সংঘের নতুন মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপনে এসেছিলেন। বুধবার তপনে এসে জগন্নাথ দেবের বর্ণাঢ্য পদযাত্রায় যোগদান করেন তিনি। এরপর তপন এলাকার প্রধান রাস্তা পরিক্রমা করে রাধাগোবিন্দ মন্দিরে প্রবেশ করেন। বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগদান করেন তিনি। এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আজ আমরা তপনের রাধাগোবিন্দ মন্দিরে উপস্থিত হয়েছি। এখানে জগন্নাথ মন্দিরে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হবে। আজকের এই পূর্ণ দিনে আমরা সবাই মিলিত হয়ে হাজার হাজার বছরের পুরনো সনাতন ধর্ম যাতে আরও বেশি প্রসারিত হয়, সেজন্য আজকে আমরা এখানে সমবেত হয়েছি।

    মুখ্যমন্ত্রীর উপাচার্যর বেতন বন্ধের হুমকি নিয়ে ফের সরব শুভেন্দু

    এছাড়াও বিধানসভায় আগামীকাল গান সংক্রান্ত প্রস্তাব নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, কাল বিধানসভায় বলব। সেখানে দেখতে পাবেন বিরোধী দলনেতার ভূমিকা কী। উপচার্যের বেতন বন্ধের হুমকি প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বেতন বন্ধ করে দেখুক। একজনের বেতন বন্ধ করেছিল হাইকোর্ট, কান মুলে দিয়েছে। লেকচার কম মেরে বেতন বন্ধ করে দেখুক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Surendranath College: সুরেন্দ্রনাথ কলেজের পড়ুয়ার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার পাঁশকুড়ায়, রহস্য ঘনীভূত

    Surendranath College: সুরেন্দ্রনাথ কলেজের পড়ুয়ার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার পাঁশকুড়ায়, রহস্য ঘনীভূত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় রেললাইনের ধার থেকে এক কলেজ পড়ুয়ার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হল। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম স্বাগত বণিক। তিনি কলকাতার সুরেন্দ্রনাথ কলেজের (Surendranath College) প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায়। হাবড়া নয়, পাঁশকুড়ায় কী করে কলকাতার কলেজ পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হল, তা নিয়ে রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Surendranath College)

    গত ৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে শিয়ালদা যাচ্ছেন বলে হাবড়ার বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন সুরেন্দ্রনাথ কলেজের (Surendranath College) স্ট্যাটিস্টিক্স বিভাগের পড়ুয়া স্বাগত। তার পর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ নেই। মোবাইলটিও বাড়িতে ফেলে যান তিনি। কোনও খোঁজখবর না পেয়ে স্বাগতর বাড়ির লোকেরা হাবড়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। রবিবার গভীর রাতে পুলিশ জানায়, পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার কাছে ক্ষীরাই স্টেশনে রেললাইনের পাশ থেকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় একটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে দেখা যায়, সেই দেহটিই স্বাগতর। এ খবর বাড়িতে আসতেই সকলে ভেঙে পড়েন। বাড়িতে শিয়ালদা যাচ্ছি বলে বেরিয়ে পাঁশকুড়ায় কেন তিনি পৌঁছেছিলেন, তা নিয়ে দানা বাঁধছে রহস্য। মেধাবী ওই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় বন্ধুদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছেন স্বাগতর বাড়ির লোকজন।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, পাঁশকুড়ায় তাঁদের কোনও আত্মীয়-পরিজনও থাকেন না। স্বাগতর কোনও বন্ধুর বাড়িও ওই এলাকায় নয়। তা হলে শিয়ালদা থেকে প্রজেক্টের ‘বাইন্ডিং’ নিয়ে আসার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে স্বাগত পাশকুঁড়ায় কী করে গেলেন? যদি আত্মহত্যার উদ্দেশ্য থাকত, তা হলে তো হাবড়া থেকে শিয়ালদা যাওয়ার পথেই করতে পারত। পাঁশকুড়ায় তাঁকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা চাই, প্রশাসন দয়া করে সত্যিটা বার করুক। তাঁদের আরও বক্তব্য, এর পিছনে ওর বন্ধুবান্ধবের কোনও পরিকল্পনা আছে। ও তো চলে গিয়েছে, আর ফিরবে না। কিন্তু, ভবিষ্যতে যাতে আর কোনও মা-বাবাকে এই পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে না হয়, সে জন্য প্রশাসনকে সজাগ থাকতে হবে। প্রশাসনের পক্ষেই একমাত্র সত্য বের করা সম্ভব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: ইডির আবেদনে আসানসোল থেকে গরুপাচার মামলা সরল দিল্লিতে, চাপ বাড়ল কেষ্টর

    Anubrata Mondal: ইডির আবেদনে আসানসোল থেকে গরুপাচার মামলা সরল দিল্লিতে, চাপ বাড়ল কেষ্টর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোলে সিবিআই-এর বিশেষ আদালত থেকে গরুপাচার মামলা এবার সরল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে। এর ফলে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে যাবতীয় গরু পাচার সংক্রান্ত মামলার শুনানি দিল্লিতে হবে। বুধবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে আসানসোলের বিশেষ আদালত।

    ২৮ জুলাই মামলা স্থানান্তরের আবেদন জানিয়েছিল ইডি

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৮ জুলাই আসানসোলের আদালত থেকে মামলা সরানোর আবেদন জানিয়েছিল ইডি সেই আবেদনই দিন মঞ্জুর করলেন সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। এরফলে মামলার যাবতীয় সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব দিল্লিতেই হবে। প্রসঙ্গত, এর আগে পশ্চিমবঙ্গেই তার বিচার প্রক্রিয়ার চলুক এনিয়ে আবেদন করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal), তা খারিজ হয়ে যায় দিল্লি রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে। কেন এই মামলা আসানসোল থেকে দিল্লিতে সরিয়ে নিয়ে যেতে যান?  বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর এই প্রশ্নের জবাবে ২০০৫ সালে অর্থমন্ত্রকে জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিকে তুলে ধরে ইডি। ঐ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে ৪৪/১/সি ধারায় মামলা স্থানান্তরের আবেদন করতে ইডি।

    গরুপাচার মামলায় গত মার্চ থেকে তিহাড়ে বন্দি রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)

    প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলায় একযোগে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি এবং সিবিআই। সিবিআই এর হাতে ২০২২ সালের ১১ অগাস্ট গ্রেফতার হন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। সেই মামলার শুনানি শুরু হয় আসানসলের সিবিআই আদালতে। যদিও পরবর্তীকালে ইডি তাঁকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করে এবং দিল্লির তিহাড় জেলে নিয়ে যায়। গত মার্চ থেকেই দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেন এবং তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলও বর্তমানে তিহাড় জেলে রয়েছেন। এই মামলায় আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন এনামুল হক এবং বিএসএফের কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমার। মামলা আসানসোল থেকে দিল্লিতে সরাতে চেয়ে এর আগেও দুবার আবেদন করেছিল ইডি তবে তৃতীয়বারের আবেদন গ্রহণ করেছে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: গোঘাটে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, উড়ে গেল চালাঘরের একাংশ

    Arambagh: গোঘাটে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, উড়ে গেল চালাঘরের একাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের পর এবার আরামবাগের (Arambagh) গোঘাটে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। বাড়ির মধ্যেই বাজি তৈরি হত বলে জানা গেছে। সেখানেই বুধবার আনমানিক দুপুর ১২টা নাগাদ বাজি তৈরি করতে গিয়ে এই বিস্ফোরণে ঘটে বলে অনুমান।

    বিস্ফোরণের জেরে উড়ে যায় চালা ঘরের একাংশ (Arambagh)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগের (Arambagh) গোঘাটের মান্দারণ পঞ্চায়েতের মোষপুর এলাকার বাসিন্দা সেখ লাল্টু নিজের বাড়িতেই বেআইনিভাবে গোপনে বাজি কারখানা চালাতো। সেখানে হঠাৎই এই বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে। আগুন লেগে যায় চালা ঘরে। ঘটনা জেনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। যদিও নিজেরাই সাবমার্সিবল চালিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় গোঘাট থানার পুলিশ। ঘটনার পর এলাকায় প্রচুর মানুষ জমায়েত হয়। যদিও প্রকাশ্যে কেউ ভয়ে এবিষয়ে মুখ খুলতে চাননি। তবে, ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ওই চালাঘরের অ্যাসবেস্টস ও টিন। এদিক ওদিক পরে রয়েছে বাজি তৈরির সরঞ্জাম, বাজির খোলসহ অন্যান্য জিনিসপত্র। এমনকী বারুদে ভরা বাজি তৈরির মেশিন পড়ে রয়েছে পরিত্যক্ত জায়গায়। ঘটনার পর পলাতক বাড়ির মালিক সেখ লাল্টু।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    প্রায় দশ বছর আগে বোমা তৈরি করতে গিয়ে এই বাড়িতেই বড়সড় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। সেই সময় উড়ে গিয়েছিল বাড়ির চাল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল প্রতিবেশীদের বাড়িও। এমনকী মৃত্যু হয়েছিল বাড়ির এক মহিলার। সেই ঘটনার পর ফের এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকা জুড়ে। অনেকেই ভয়ে মুখ খুলতে না চাইলেও প্রতিবেশী কয়েকজন বলেন, আগের ঘটনার অভিজ্ঞতা ও আতঙ্কের কথা। তাদের ধারণা বাজি তৈরি করতে গিয়েই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন দত্তপুকুরের ঘটনার পরেও কেন শিক্ষা নিচ্ছে না প্রশাসন? তাহলে কি প্রশাসন কোনও খোঁজখবর রাখেনি নাকি পুলিশ প্রশাসনের মদতেই এই বাজি তৈরির কারখানা চলতো। যদি ফের বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতো তার দায় কে নিত?

    বিস্ফোরণ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষের বক্তব্য, দত্তপুকুর ও এগরার ঘটনার পরেও পুলিশ প্রশাসন নাকে তেল দিয়ে ঘুমায় আর তৃণমূল নেতাদের মদতে রাজ্যে তৈরি হচ্ছে বারুদের স্তুপ। এতে সাধারণ মানুষের আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়ে গেছে। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাদের যোগ থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ‘হাফ মার্ডার, না ফুল মার্ডার!’ ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে রেট ঘোষণা ‘সুপারি কিলারের’

    South 24 Parganas: ‘হাফ মার্ডার, না ফুল মার্ডার!’ ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে রেট ঘোষণা ‘সুপারি কিলারের’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবাক কাণ্ড! এরকম বিজ্ঞাপন আগে দেখেছেন বলে মনে হয় না। রীতিমতো ভিজিটিং কার্ড ছেপে হাফ মার্ডার না ফুল মার্ডারের সুপারি চেয়ে আবদেন জানানো হচ্ছে। এলাকায় পোস্টারও দেওয়া হয়েছে। এমনই অবাক করা ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Paraganas) ক্যানিং এলাকায়। এরকম ভিজিটিং কার্ড দেখে চোখ কপালে উঠেছে পুলিশেরও। তবে, স্বঘোষিত সুপারি কিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেরি করেনি পুলিশ। ক্যানিংয়ের ধর্মতলা গ্রাম থেকে স্বঘোষিত মস্তান মোরসেলিম মোল্লা ওরফে বুলেটকে গ্রেফতার করা হয়।

    ঠিক কী ঘটেছে? (South 24 Paraganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত দু-তিন দিন ধরেই এলাকার বিভিন্ন সূত্র মারফৎ এই ভিজিটিং কার্ডের খবর মিলছিল। পাশাপাশি সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Paraganas) ক্যানিংয়ের ধর্মতলা এলাকা সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি জায়গায় এ সম্পর্কে পোস্টারও চোখে পড়ে অনেকের। পোস্টারে কার্ড ছাপিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এক দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। রীতিমত নিজের ছবি, ফোন নম্বর দিয়ে মানুষ মারার জন্য ‘সুপারি কিলিং’এর বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। রেটও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। হাফ মার্ডার করলে ৫০ হাজার এবং ফুল মার্ডার করলে ১ লক্ষ টাকা। ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে এলাকায় পোস্টারিং করে চলছে প্রচার। বিষয়টি জানতে পেরেই ক্যানিং থানার বিশেষ তদন্তকারী দল সাব ইন্সপেক্টর রঞ্জিত চক্রবর্তীর নেতৃত্বে সোমবার দুপুরে হানা দেয় ধর্মতলা গ্রামে। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে একটি দেশি বন্দুক ও দু রাউন্ড গুলিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধৃতকে মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

    ধৃতের বিরুদ্ধে আর কী কী অভিযোগ রয়েছে?

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগেও বেআইনি অস্ত্র পাচারের অভিযোগে গত বছর অগাস্ট মাসে গ্রেফতার হয়েছিল এই মোরসেলিম। এক বছর আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Paraganas) ক্যানিংয়ের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পঞ্চায়েত সদস্য সহ তিনজনকে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রফিকুল সর্দারের ভাগ্নে ওই যুবক। খুনের ঘটনার তদন্তে নেমেও ক্যানিং থানার পুলিশ এই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু, সেই সময় নাবালক হওয়ার কারণে জামিন পেয়ে যায় মোরসেলিম।

     স্থানীয় বাসিন্দারা কী বলছেন?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর থেকেই কার্যত এলাকার মানুষকে মাঝে মধ্যেই ভয় দেখাত এই অভিযুক্ত। গত কয়েকদিন ধরে মানুষ খুন করার জন্য সুপারি নেওয়ার বিজ্ঞাপন দিতে শুরু করে সে। পুলিশি জেরায় নিজের অভিযোগ শিকার করেছে অভিযুক্ত। ধৃতের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রের পাশাপাশি মানুষ মারার বিজ্ঞাপনের ভিজিটিং কার্ডও উদ্ধার হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share