Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • North Dinajpur: উত্তর দিনাজপুরে বিএড, ডিএলএড কলেজ বন্ধের হুমকি কেন দিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী?

    North Dinajpur: উত্তর দিনাজপুরে বিএড, ডিএলএড কলেজ বন্ধের হুমকি কেন দিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলার বিএড, ডিএলএড কলেজগুলির বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য শিক্ষা দফতরে আবেদন জানালেন রাজ্যের শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী তথা হেমতাবাদের বিধায়ক সত্যজিৎ বর্মন। এতদিন এই সব কলেজগুলি পরিকাঠামো ছাড়াই রমরমিয়ে চলেছে। তাহলে কি কলেজগুলি শাসকদলের নেতাদের একাংশকে কাটমানি দিয়ে ম্যানেজ করে রেখেছিল? তা নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলায় বিএড এবং ডিএলএড মিলিয়ে ২২টি কলেজ রয়েছে। রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের কাছে পাঠানো মন্ত্রীর লিখিত অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে, জেলার সব বিএড এবং ডিএলএড কলেজে সঠিক পরিকাঠামো নেই। বেশি ফি নেওয়ার অভিযোগ। ভালো শিক্ষক নেই। ঠিকমত ক্লাসও হয় না। এই নিয়ে গোটা জেলার কলেজগুলির নামও উল্লেখ রয়েছে তাঁর অভিযোগপত্রে। তার মধ্যে আটটি কলেজ তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য বিধানসভায় আরও একাধিক এই কলেজ রয়েছে। এই সব কলেজের ছাত্রছাত্রী এবং তাঁদের অভিভাবকরা মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এবার সেই অভিযোগের তদন্তের জন্যই শিক্ষা দফতরে দরবার করলেন মন্ত্রী।

    কী বললেন মন্ত্রী?

    শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মন বলেন, উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলার ২২টি বিএড এবং ডিএলএড কলেজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। খুব শীঘ্রই এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দফতর তদন্ত শুরু করবে। তদন্তে গুণগত মাণ সঠিক না থাকলে কলেজ বন্ধ করে দেব।

    মন্ত্রীর তালিকাভুক্ত কলেজের এক অধ্যক্ষ কী বললেন?

    মন্ত্রীর অভিযোগপত্রে তালিকাভুক্ত একটি কলেজের অধ্যক্ষ সংঘমিত্রা ঘোষ বলেন, মন্ত্রীর ওই লিখিত অভিযোগপত্রের কথা জানতে পেরেছি। শিক্ষা দফতরের নির্দেশিত সমস্ত পরিকাঠামো আমাদের উপযুক্ত রয়েছে। কোথাও কোনও সমস্যা নেই। কেন তিনি আমাদের কলেজের নাম তালিকায় রাখলেন তা জানা নেই। আমরা যে কোনও সময় এই ব্যাপারে তদন্তের জন্য প্রস্তুত আছি। তবে, এই অভিযোগের পিছনে অন্য কারণ রয়েছে বলে আমার ধারণা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hilsa Fish: পুজোর আগেই বাংলায় ঢুকছে পদ্মার রুপোলি ইলিশ! দাম কত হতে পারে?

    Hilsa Fish: পুজোর আগেই বাংলায় ঢুকছে পদ্মার রুপোলি ইলিশ! দাম কত হতে পারে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষা শেষের দিকে। অথচ এবছর তেমন ইলিশের (Hilsa Fish) দেখাই নেই। বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশ সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে এ রাজ্যে ঢোকে না। প্রতি বছর পুজোর আগে বাংলাদেশ সরকার উপঢৌকন হিসেবে কিছু ইলিশ পাঠায়। তার আগেই ইলিশের সাধ পূরণে একমাত্র ভরসা থাকে সমুদ্রের ইলিশ। তবে হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারের ব্যবসায়ীরা পুজোর আগে শুনিয়েছেন সুখবর। আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। এরপরেই বাংলায় ঢুকছে পদ্মার রুপোলি ইলিশ। পুজো আর মাত্র দেড় মাস বাকি। তার আগে কলকাতার বাজারে আসছে পদ্মার ইলিশ। মৎস্য ব্যবসায়ীদের আশা, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই কলকাতার বাজারে পাওয়া যাবে রুপোলি ইলিশ।

    কী জানালেন আমদানির (Hilsa Fish) সঙ্গে যুক্ত সংগঠনের কর্মীরা?

    কলকাতার ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মীরা জানিয়েছেন, গত ৪ বছর বাংলাদেশের সরকার পুজোর উপহার হিসাবে কলকাতায় পদ্মার ইলিশ পাঠায়। এ বছরেও পূজোর আগে যাতে সেই ইলিশ ঢোকে, সে ব্যাপারে এপারের ব্যবসায়ীরা সরাসরি যোগাযোগ করেন বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রক এবং কলকাতার বাংলাদেশ দূতাবাসে। ওই মাছ ব্যবসায়ী সংগঠনের সচিব সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ জানিয়েছেন, তাঁরা বাংলাদেশ সরকার এবং ওই দেশের এক্সপোর্টারদের কাছে আগেই আবেদন জানিয়েছেন। আশা করা যায় ১৫ ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনুমতি পাওয়া যাবে। তার পরের দিন থেকেই এপারে চলে আসবে পদ্মার টাটকা ইলিশ (Hilsa Fish)। তিনি আরও বলেন, প্রথম দিকে চাহিদার জন্য মাছের দাম একটু বেশি হতে পারে। এক কিলো সাইজের ইলিশ পাইকারি বাজারে ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা পর্যন্ত উঠতে পারে। পরে অবশ্য দাম কমতে পারে। তখন এক কিলো সাইজের মাছ ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

    কী বলছেন মাছ (Hilsa Fish) বিক্রেতারা?

    মাছ বিক্রেতারা জানান, ২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার এদেশে ইলিশ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ৬ বছর এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ ছিল। ২০১৯ সাল থেকে ফের বিশেষ অনুমতির ভিত্তিতে ইলিশ এ দেশে আমদানি শুরু হয়। কিন্তু যে পরিমাণ ইলিশ (Hilsa Fish) আমদানিতে  অনুমতি দেওয়া হয়, তা এক মাসে নিয়ে আসা সম্ভব হয় না। সেই কারণে এবারে তাঁদের পক্ষ থেকে আমদানির সময়কাল ৩০ দিনের পরিবর্তে ৬০ দিন করার অনুরোধ জানানো হয়েছে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রকে। এর ফলে কলকাতার বাজারে বেশি পরিমাণ ইলিশ আমদানি করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

    আমদানির সময়সীমা (Hilsa Fish) কেন বাড়ানো প্রয়োজন?

    গত বছর ২৯৯০ মেট্রিক টন ইলিশ আমদানিতে অনুমতি পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু এতটাই কম সময় দেওয়া হয়েছিল যে সময়ের অভাবে মাত্র ১৩০০ মেট্রিক টন ইলিশ কলকাতায় আনা গিয়েছিল। একইভাবে ২০২১ সালে ৪৬০০ মেট্রিক টন ইলিশ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেবারও মাত্র এক মাস সময় দেওয়া হয়৷ এর ফলে সেবছর মাত্র ১৩০০ মেট্রিক টন ইলিশ (Hilsa Fish) আমদানি করা গিয়েছিল। তাই ব্যবসায়ীরা চাইছেন বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আমদানির সময়সীমা বাড়ানো হোক।

    হাতে মাত্র কটা দিন বাকি। এরপরই কলকাতার বাজারে পাওয়া যাবে পদ্মার রুপোলি শস্য। আর এখন সেই দিকেই তাকিয়ে আছেন খাদ্যরসিক বাঙালি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: ডেঙ্গির নতুন প্রজাতির দাপটেই কি বাড়ছে সংক্রমণ? জানান দিচ্ছে কোন কোন উপসর্গ?

    Dengue: ডেঙ্গির নতুন প্রজাতির দাপটেই কি বাড়ছে সংক্রমণ? জানান দিচ্ছে কোন কোন উপসর্গ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি সংক্রমণ বাড়ছে! প্রত্যেক দিন আক্রান্তের সংখ্যা উর্ধ্বমুখী। তার সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যু! কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং নদিয়া জেলার আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির (Dengue) নতুন প্রজাতি এ বছর বাড়তি বিপদ তৈরি করছে। ইতিমধ্যেই এমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে নাইসেড-এর রিপোর্টে।

    কী বলছে নাইসেড-এর রিপোর্ট (Dengue)? 

    স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে অগাস্টের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার। মারা গিয়েছেন ইতিমধ্যেই ২১ জন। আর সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতির জন্যই স্বাস্থ্য ভবন থেকে নমুনা পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা নাইসেড-এর কাছে। নাইসেড-এর রিপোর্ট উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। 
    নাইসেড-এর তরফে জানানো হয়েছে, ডেঙ্গির মূলত চার প্রজাতি সংক্রমণ ছড়ায়। এ বছর স্বাস্থ্য ভবনের পাঠানো ১২৪টি নমুনা পরীক্ষা করে দেখেছে নাইসেড। তাতে দেখা গিয়েছে, ৯৩টি নমুনায় ডেঙ্গি ডেন থ্রি প্রজাতির অস্তিত্ব রয়েছে। আর বাকিগুলিতে রয়েছে ডেন টু প্রজাতি। নাইসেড-এর তরফে জানানো হয়েছে, গত বছরে ডেন টু প্রজাতির দাপট ছিল। এ বছর দাপট বাড়াচ্ছে ডেন থ্রি। তাই গত বছর যাদের ডেঙ্গি হয়েছিল, তাদের ফের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। পাশপাশি যাদের আগে ডেঙ্গি (Dengue) হয়নি, তাদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও যথেষ্ট।

    নতুন প্রজাতি (Dengue) কোন ঝুঁকি বাড়াচ্ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির ডেন থ্রি প্রজাতি রক্তে শ্বেত কণিকার সংখ্যা কমাচ্ছে, যা ভয়ানক। ডেঙ্গি হলে প্লেটলেট কমে। তার ফলে, প্লেটলেটের জোগান দিতে হয়। কিন্তু এ বছর ডেন থ্রি-র প্রকোপে শ্বেত কণিকা কমছে। আর শ্বেত কণিকা দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি ধরে রাখে। ফলে, রক্তের এই উপাদান কমার জেরে রোগীর দ্রুত অন্য জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে থাকে। ফলে, ডেঙ্গির (Dengue) পাশপাশি লিভার, কিডনি কিংবা ফুসফুসের জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আরও বেড়ে যাচ্ছে। যা প্রাণ সংশয় তৈরি করে।

    কীভাবে জানান দেয় ডেঙ্গি (Dengue) ডেন থ্রি প্রজাতি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জ্বর, বমি, মাথার যন্ত্রণা, হাতে-পায়ে যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। যা অন্যান্য ডেঙ্গির (Dengue) প্রজাতিতেও দেখা যায়। কিন্তু ডেঙ্গি ডেন থ্রি প্রজাতি হলে বমি বার বার হতে থাকে। তাছাড়া, রক্তপাত হয়। মলমূত্র ত্যাগের সময়ও রক্তপাত হয়। এছাড়াও গোটা শরীরে লাল ছোপ ছোপ দাগ দেখা দেয়। পাশপাশি, দেহে জলের পরিমাণ কমতে থাকে। অর্থাৎ,ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়। এগুলিই ইঙ্গিত দেয় দ্রুত চিকিৎসা জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sisir Adhikari:  খেজুরিতে আক্রান্ত শিশির অধিকারী, ভাঙল গাড়ির কাচ, কী বললেন জখম সাংসদ?

    Sisir Adhikari: খেজুরিতে আক্রান্ত শিশির অধিকারী, ভাঙল গাড়ির কাচ, কী বললেন জখম সাংসদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার হামলার মুখে পড়লেন সাংসদ শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari)। কাঁথির সাংসদের গাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গাড়ি লক্ষ্য করে ইঁট মেরে ভেঙে দেওয়া হয়েছে গাড়ির কাচ। ভাঙচুর করা হয়েছে সাংসদের গাড়িতেও। জানা গিয়েছে, ইটের ঘায়ে আহত হয়েছেন শিশিরবাবু। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে খেজুরির তেঁতুলতলা এলাকায়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    মঙ্গলবার খেজুরি-২ ব্লকে গিয়েছিলেন সাংসদ শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari) । সেখানে এদিন পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির নির্বাচন ছিল। সেই ভোট দান প্রক্রিয়াতে অংশ নিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি নির্বাচন ঘিরে ব্যাপক বোমাবাজি হয়। শিশির অধিকারীর ভোট দানকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। শিশির অধিকারীর সামনে দাবি তোলা হয়, তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দান করতে হবে এবং সম্পূর্ণভাবে দেখিয়ে প্রকাশ্যে ভোট দিতে হবে। এমনটাই দাবি ছিল স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের। পরে, গন্ডগোলের জেরে যদিও বিডিও অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় ভোটদান প্রক্রিয়া এদিনের মতো বন্ধ হয়ে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে খেজুরির তেঁতুলতলাতে শিশির অধিকারীর গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীদের ইটের আঘাতে মাথায় চোট লাগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা সাংসদ শিশির অধিকারীর। কনভয়ের সঙ্গে থাকা নিরাপত্তা রক্ষীদের তৎপরতায় তাঁকে উদ্ধার করে কাঁথির হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

     কী বললেন শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari)  ও তাঁর পরিবারের লোকজন?

    ঘটনার পর সাংসদ শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari) বলেন, আমাকে আক্রমণ করাই ওদের লক্ষ্য ছিল। খুনের চেষ্টা হয়েছিল। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এমন ঘটনা ঘটেনি। হামলাকারীদের আমি চিনতে পেরেছি। ওদের আগেও দেখেছি। আমি একজন সাংসদ। তাই যেখানে যেখানে অভিযোগ জানানোর প্রয়োজন সেখানে অভিযোগ জানাব। এই নিয়ে তমলুকের সাংসদ তথা শিশির অধিকারীর সেজ ছেলে দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, বাবা খেজুরি থেকে ফিরছিলেন। তখনই ওঁর গাড়িতে ইট যারা হয়। তাঁর মাথায় আঘাত লেগেছে।  আমাদের পরিবারকে লক্ষ্য করেই একের পর এক হামলা হচ্ছে। যে কোনও দিনই খুন হয়ে যেতে পারে অধিকারী পরিবারের যে কেউ।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূলের তরফে এই হামলার নিন্দা করা হয়েছে। যদিও তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ওকে আগে বলতে হবে তৃণমূলের উপর তৃণমূল হামলা কেন চালাবে? উনি তাহলে কোন দলের সাংসদ, সেটা তিনি আগে স্পষ্ট করে বলুন। উনি তৃণমূল সাংসদ হলে ওর উপর হামলায় প্রশ্ন তুলছে কেন বিজেপি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gang Rape: অশোকনগরে নির্যাতিতা যুবতীর পাশে বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী, কী বললেন?

    Gang Rape: অশোকনগরে নির্যাতিতা যুবতীর পাশে বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী, কী বললেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:এক যুবতীকে মাদক খাইয়ে একটি বাড়িতে গণধর্ষণের (Gang Rape) অভিযোগ ওঠে চার যুবকের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর এলাকায়। নির্যাতিতা যুবতীকে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার বারাসত হাসপাতালে সেই নির্যাতিতাকে দেখা করতে যান বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র। এছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন জেলা সভাপতি তাপস মিত্র সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।

    বিজেপি নেত্রীকে হাসপাতালে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে

    এদিন তিনি নির্যাতিতার (Gang Rape) সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় বিজেপি নেত্রীকে হাসপাতালে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তারপরে বিজেপি নেত্রী সোজা চলে যান বারাসত হাসপাতালে সুপার সুব্রত মণ্ডলের কাছে। সেখানে গিয়ে ঢুকতে না দেওয়ার কারণে তিনি সুপারের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। কেননা, ওই নির্যাতিতার সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়, দেখা করা যাবে না। পরে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়, যদি নির্যাতিতার বাড়ির লোক দেখার অনুমতি দেয় তবেই তারা দেখা করতে পারবেন। এরপরই নির্যাতিতার মা এসে দেখা করার অনুমতি দিলে মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করেন।

    নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করে কী বললেন বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী?

    হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে বিজেপি নেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বলেন, তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্যই আমাকে বাধা দেওয়া হয়েছে। যাতে নির্যাতিতা কিছু না বলতে পারে, তারজন্যই আমাদেরকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না।  ২০২১ সালে ওই মেয়েটির ভাইকে খুন করা হয়েছিল। তখন ওই পরিবারটি মধ্যমগ্রামে থাকত। তাঁর ভাইয়ের মৃত্যু রহস্যই থেকে গিয়েছে। কারা মেরেছে তা এখনও জানা যায়নি। এমনকি ময়না তদন্তের রিপোর্টটা পর্যন্ত বাড়ির লোককে দেওয়া হয়নি। নির্যাতিতার ভাই সুলভ পোদ্দার বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি ছিলেন। আমরা আলাদা করে তদন্তের দাবি জানাব। পাশাপাশি তার ভাই কীভাবে মারা গিয়েছে তারও তদন্তের দাবি জানাব এবং আমাদের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কথা বলে এর বিচার আমরা করব এবং প্রকৃত দোষী যারা তাদের শাস্তির দাবি জানাব। প্রসঙ্গত,পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিচিত এক ব্যক্তির কাছ থেকে নির্যাতিতা যুবতী টাকা ধার চেয়েছিলেন। সেই টাকা দেওয়ার কথা বলে ওই যুবতীকে ডেকে পাঠানো হয়। তারপরই চারজন মিলে যুবতীকে একটি ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ (Gang Rape) করে। রাত তিনটে নাগাদ অচৈতন্য অবস্থায় বছর চব্বিশের ওই তরুণীকে উদ্ধার করে অশোকনগর থানার পুলিশ। ওই নির্যাতিতার অভিযোগ, তাকে মাদক খাইয়ে বেহুঁশ করে গণধর্ষণ করা হয়েছে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে অশোকনগর থানার  পুলিশ। ধৃতরা হল তন্ময় পাল, আকাশ চক্রবর্তী, টুকাই শিকদার ও গোপাল পাল। ধৃতদের প্রত্যেকের বাড়ি অশোকনগর এলাকায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় মঙ্গলবার ধূপগুড়ির উপনির্বাচন হল। তবে, বেশ কয়েকটি বুথে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, পুলিশ বেশ কিছু জায়গায় আমাদের কর্মীদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক বিজেপিতে যোগদান করেছেন। তাঁর বাড়িতে গত কয়েকদিন ধরে পুলিশ গিয়ে নানা ধরনের মানসিক চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।

    বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে পুলিশের বচসা প্রসঙ্গে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি? (Sukanta Majumdar) 

    ধূপগুড়ির প্রার্থীর সঙ্গে পুলিসের বচসার প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)  বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকাতে পরিষ্কার করে বলা রয়েছে, বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে কোনও পুলিশ ঢুকতে পারবে না। তাহলে পুলিশ ২০০ মিটারের মধ্যে ঢোকে কেমন করে? তাদের কে সাহস দিয়েছে? নিয়ম মানতে হবে, না হলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কমিশনের নিয়ম বলছে, বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে প্রার্থী ঢুকতে পারেন, কিন্তু, কোনও পুলিশ ঢুকতে পারবে না। পুলিশ মনে হয় ভোটারদেরকে প্রভাবিত করছে। আমরা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

    শিক্ষক দিবস কীভাবে কাটালেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি? (Sukanta Majumdar) 

    শিক্ষক দিবসে ছাত্রদের কাছে কিছুটা সময় কাটালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে মাটিতে বসে একই সাথে মিড ডে মিল খেলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের কাটনা আদিবাসী উচ্চ বিদ্যালয়ে এদিন শিক্ষক দিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের মুখ্য অতিথি ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সাথে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট টেলিভিশন অভিনেতা কৌশিক রায়। সুকান্ত মজুমদার সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। ছাত্র-ছাত্রীদের নাচ-গান উপভোগ করার পাশাপাশি তাদের সঙ্গে বসে মিড ডে মিল খান সুকান্ত মজুমদার। সকল ছাত্র-ছাত্রীদের কলম উপহার দিয়েছেন তিনি। এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমি একজন শিক্ষক। তাই আজ আমি সারাদিন ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কাটালাম। দুটো স্কুলে গিয়েছিলাম। কাটনা স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে বসে মিড ডে মিল খাওয়া, ছাত্ত্রীংদের সঙ্গে আলাপ করে শিক্ষক দিবস পালন করলাম।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: খেজুরি পঞ্চায়েতে স্থায়ী সমিতি গঠন ঘিরে ব্যাপক বোমাবাজি, বিডিও অফিসে ভাঙচুর

    Purba Medinipur: খেজুরি পঞ্চায়েতে স্থায়ী সমিতি গঠন ঘিরে ব্যাপক বোমাবাজি, বিডিও অফিসে ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) খেজুরি ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির নির্বাচন স্থগিত হয়ে গেল। বিডিও অফিসে ঘটল শাসক দলের দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব। চলল ব্যাপক বোমাবাজি, ভাঙচুর করা হল অফিস এবং গাড়ি। আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কিছু বিজেপি কর্মী। স্থায়ী সমিতির গঠনকে নিয়ে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হওয়ায় ঝুলে রইল সমিতির নির্বাচন।

    ঘটনা কী ঘটেছে?

    খেজুরি (Purba Medinipur) ২ পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠন ছিল আজ। আর তাকে ঘিরে ব্যাপক বোমাবাজি, বিডিও অফিস এবং সরকারি গাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সেই সঙ্গে চলে বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচি। ফলে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। খেজুরি ২ পঞ্চায়েত সমিতির ১৫ জন সদস্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খেজুরি ২ ব্লকের পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচজন পঞ্চায়েত প্রধান, খেজুরির বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক ও কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী। ঘটনাস্থলে ছিল প্রচুর পুলিশ, জল কামান। শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক শোরগোলে শেষ পর্যন্ত স্থায়ী সমিতির নির্বাচন স্থগিত হয়ে গেল।

    সাংসদ সৌমেন্দু অধিকারীর বক্তব্য

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সাংসদ সৌমেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যে আইনের শাসন নেই। শাসক দলের দৌরাত্ম্য চলেছে সর্বত্র। গায়ের জোর দেখিয়ে এলাকা (Purba Medinipur) দখল করতে চাইছে তৃণমূল। শাসক দল বাইরে থেকে লোক ভাড়া করে শান্ত এলাকাকে অশান্ত করার অপচেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, একটি পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠনকে ঘিরে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি করে, এলাকার মানুষের মনে ভয়ের বাতাবরণ তৈরির চেষ্টা করছে তৃণমূল। মানুষ সবই দেখছেন। এরপর সাংবাদিকরা ভিতরে কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শিশির অধিকারী আছেন বলে জিজ্ঞাসা করলে উত্তরে সৌমেন্দু বলেন, আইনশৃঙ্খলা মেনেই সব কাজ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না যায় সেই জন্যই আমরা আছি বলে জানান তিনি।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    খেজুরি (Purba Medinipur) ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শ্যামল মিশ্র পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, বিজেপিকে উস্কানি দিয়ে গেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এখানে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং সহ সভাপতি তৃণমূলের, তাই তৃণমূলই পরিচালনা করবে এই পঞ্চায়েত সমিতিকে। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, স্থায়ী সমিতি গঠনের নামে বিজেপি সন্ত্রাস তৈরি করছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সাংসদ শিশির অধিকারীকে এক কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে এখানে। তারপর ভোটাভুটি করে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি করছে বিজেপি। বিজেপি ভয় পেয়ে এই আচরণ করছে।

    পুলিশের বক্তব্য

    কাঁথির মহকুমার পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা বলেন, বিডিও সাহবের উপরে আক্রমণ করা হয়েছে। অফিসে ভাঙচুরও হয়েছে। তবে কে বা কারা আক্রমণ করছে তাদের এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। তদন্ত শুরু হয়েছে, তবে দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হবে। বিল্ডিং এর বাইরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে আপাতত। বিডিও সাহেবকে হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri By Election: ধূপগুড়িতে উৎসবের মেজাজে ভোট দিলেন চা-বাগানের শ্রমিকরা

    Dhupguri By Election: ধূপগুড়িতে উৎসবের মেজাজে ভোট দিলেন চা-বাগানের শ্রমিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মেজাজে ধূপগুড়ি (Dhupguri By Election) বিধানসভা উপনির্বাচনে ভোট হচ্ছে চা-বাগানগুলিতে। ধূপগুড়ি বিধানসভা এলাকায় সব চা-বাগানেই একই চিত্র। মঙ্গলবার সকাল থেকেই চাবাগানের শ্রমিকেরা বুথে গিয়ে লাইন দিয়ে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চা-বাগানের বুথগুলিতে ভোটারদের সংখ্যা বেড়েছে।

    উপনির্বাচনে (Dhupguri By Election) চা-বাগানের শ্রমিকদের সবেতন ছুটি?

    ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ধূপগুড়়ি আসনটি তৃণমূলের থেকে বিজেপি ছিনিয়ে নেয়। পঞ্চায়েতেও গ্রামীণ এলাকায় যেখানে ভোট হয়েছে বিজেপি ভাল ফল করেছে। ধূপগুড়ি চা বাগানের শ্রমিকদের পাট্টা দেওয়া নিয়ে রাজ্য সরকার টালবাহানা করছে বলে অভিযোগ। ফলে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে চা বাগানের শ্রমিকদের চাপা ক্ষোভ রয়েছে। ইতিমধ্যেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী চা বাগানের শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের দাবিদাওয়ার বিষয়টি শুনেছেন। স্বাভাবিকভাবে এই সব চা বাগানের শ্রমিকদের ভোট কোনদিকে পড়ে সেটাও মস্তবড় ফ্যাক্টর বলে রাজনৈতিক মহলে মত। ধূপগুড়ি (Dhupguri By Election) বিধানসভা এলাকায় ৫টি চা-বাগান রয়েছে। বানারহাট, মোগলকাটা, তোতাপাড়া, কারবালা এবং গেন্দ্রাপাড়া। যদিও এই পাঁচটি চা-বাগানের ভোটার সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। তবুও, চা-বাগানের ভোট একটা ফ্যাক্টর বলে মনে করছে দুই পক্ষই। এদিন ভোট উপলক্ষ্যে বাগানগুলিতে সবেতন ছুটি দেওয়া হয়েছে শ্রমিকদের। রীতিমতো উৎসবের মেজাজেই ভোট হচ্ছে চা-বাগান গুলিতে।

    কী বললেন চা বাগানের শ্রমিকরা?

    ভোট দিয়ে বেরিয়ে এসে শান্তি ঝা, মঙ্গল ওরাও সহ একাধিক চা শ্রমিকদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় বাহিনী এলাকায় কয়েকদিন ধরেই টহল দিচ্ছিল। খুব শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট হচ্ছে দেখে ভাল লাগছে। কারণ, পঞ্চায়েতে অনেকে ভোট দিতে পারেনি। এবার সবাই বুথে এসে লাইন দিয়ে শান্তিতে ভোট দিতে পেরে বেশ ভাল লাগছে। অন্যদিকে, বেলা ১১ টার মধ্যেই বাগানগুলির বুথগুলিতে প্রায় ৫০% ভোট পড়ে গিয়েছিল। দুপুরের পর সেই সংখ্যাটা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই এলাকায় ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। উপনির্বাচনকে (Dhupguri By Election) কেন্দ্র করে কড়া নিরাপত্তা ছিল সব বুথেই। নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পেরে বেশ আশ্বস্ত ভোটাররা। পঞ্চায়েত ভোটের স্মৃতি ভুলে এবার তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হওয়ায় তারা নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gram Panchayat Election:পঞ্চায়েত ভোটের পর ভাঙড়ে ফের ১৪৪ ধারা জারি, কোন কোন এলাকায় জানেন?

    Gram Panchayat Election:পঞ্চায়েত ভোটের পর ভাঙড়ে ফের ১৪৪ ধারা জারি, কোন কোন এলাকায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের (Gram Panchayat Election) সময় ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। আবারও ভাঙড়ে ১৪৪ জারি করল প্রশাসন। মূলত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়-২ ব্লকের কাশিপুর এবং কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করল প্রশাসন। তবে, গোটা ব্লক নয়, প্রতিটি পঞ্চায়েতের কেবল ২০০ মিটারের মধ্যেই এই ১৪৪ ধারা জারি থাকবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

    কেন ১৪৪ ধারা জারি করা হল?

    মঙ্গলবার ভাঙড়-২ ব্লকের ১০টি পঞ্চায়েতে (Gram Panchayat Election)  উপ সমিতি গঠন রয়েছে। এজন্য প্রতিটি পঞ্চায়েতের ২০০ মিটারের মধ্যে কোনও জমায়েত, মিটিং, মিছিল করা যাবে না। আশঙ্কা করা হচ্ছে উপ সমিতি গঠন নিয়ে আবারও অশান্ত হয়ে উঠতে পারে ভাঙড়। সেই কারণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে একদিনের জন্য ১৪৪ জারি করা হয়েছে। এজন্য এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ব্লকের ১০ টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ৯ টি পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল। একমাত্র পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করেছে জমি কমিটি। ইতিপূর্বে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করার সময় আইএসএফের বিজয়ী সদস্যরা অনুপস্থিত ছিলেন। উপ সমিতি গঠনের সময় আইএসএফের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েতে উপস্থিত থাকার কথা জানানো হয়েছে। ব্লকের ১০টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ৭টি পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি আসনে আইএসএফ জয়ী হয়েছে।

    আইএসএফ কর্মীকে কেন আটক করল পুলিশ?

    ভাঙড়ে পঞ্চায়েত ভোটে (Gram Panchayat Election) মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় একাধিক যে সব অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল, সেইসব ঘটনায় মাবুক আলি নামে এক আইএসএফ কর্মীকে বোমা হাতে দেখতে পাওয়া যায়। তারপর থেকেই পুলিশ সেই ছবি সংগ্রহ করে তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল। দীর্ঘদিন এলাকাছাড়া থাকলেও মঙ্গলবার যখন চালতাবেরিয়া পঞ্চায়েতের উপ সমিতির গঠনের জন্য আইএসএফের জয়ী সদস্যদের সঙ্গে সে এসেছিল, তখন তাকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। চালতাবেড়িযা গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে আইএসএফ কর্মী মাবুক আলিকে আটক করল কাশিপুর থানার পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প রক্ষায় স্থানীয়দের সরাতে উদ্যোগী বন দফতর, দ্রুত ছাড়া হতে পারে বাঘ!

    Alipurduar: বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প রক্ষায় স্থানীয়দের সরাতে উদ্যোগী বন দফতর, দ্রুত ছাড়া হতে পারে বাঘ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে শতবর্ষ পুরনো জয়ন্তীর (Alipurduar) জনপদ। সব ঠিকঠাক এগোলে ২০২৫ সালের মার্চের আগেই ব্রিটিশ আমলে তৈরি জয়ন্তী গ্রামের কোনও অস্তিত্ব আর থাকবে না। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প রক্ষায় স্থানীয়দের সরাতে উদ্যোগী বন দফতর, দ্রুত ছাড়া হতে পারে বাঘ! বাঘের অভয়ারণ্যকে রক্ষা করতে স্থানীয়দের বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করে অন্যত্র সরানোর পরিকল্পনা করেছে বন দফতর। রাজি হয়েছেন এলাকার মানুষও। বাঘ ছাড়ার জন্য বন দফতর গত তিন বছরে কয়েক দফায় প্রায় হাজারের উপর হরিণ ছেড়েছে। এবার জনপদকে অভয়ারণ্য থেকে দূরে সরিয়ে বাঘেদের থাকার অনুকূল পরিবেশ নির্মাণে উদ্যোগী হয়েছে বন দফতর। এলাকার মানুষও এই পরিবেশ এবং জন্তুদের রক্ষায় সহমত জানিয়েছেন। আশা করা যাচ্ছে বক্সায় দ্রুত পর্যটকরা বাঘ দেখতে পারবেন।  

    সরানো হবে জয়ন্তীর জনপদ (Alipurduar)?

    বড় বড় সব সরকারি-বেসরকারি ডলোমাইট খননকারী কোম্পানি ছিল এখানে (Alipurduar)। এক সময় এখানে রেলপথও ছিল। ডলোমাইট কারখানা ছিল। আজ আর সে সবের কিছুই নেই! তাই মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাওয়া সুন্দরী জয়ন্তী, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের কোর এলাকা থেকে সরে যাবে। সোমবার এই মর্মে জয়ন্তীর বেশির ভাগ মানুষের সই করা ‘জয়ন্তী ভিলেজ রিলোকেশন ফর্ম’ জমা হয়েছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প অফিসে। বিষয়টি নিয়ে ২৬ অগাস্ট জয়ন্তীতে বৈঠক করে বন দফতর।

    সারানো হবে জয়ন্তী গ্রাম

    ওই বৈঠকে জয়ন্তী গ্রামকে (Alipurduar) বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের কোর এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় বন দফতর। জয়ন্তীর বেশির ভাগ মানুষ সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেছেন বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, এর জন্য জয়ন্তীর প্রত্যেক পরিবারকে ১৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার। জয়ন্তীকে সরিয়ে নিতে খরচ হবে প্রায় ৭০ কোটি টাকা। তবে এর সবটাই দেবে কেন্দ্র। এছাড়া রাজ্য সরকার প্রত্যেক পরিবারকে ৫ ডেসিমেল করে জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হাসিমারার গুদাম ডাবরি এলাকায়, জয়ন্তী থেকে সরে যাওয়া পরিবারদের জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।

    বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা বক্তব্য

    বিষয়টি নিয়ে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা অপূর্ব সেন (Alipurduar)  বলেন, “ যে কোনও টাইগার রিজার্ভ থেকে বনবস্তিবাসীদের সরানোর জন্য এই প্যাকেজ গোটা দেশেই চালু রয়েছে। জয়ন্তী সহ বক্সাতে দুই একটি গ্রামের লোকেদের সাথে এই বিষয়ে আমাদের কথা হয়েছে। তাঁরা বন ও পরিবেশের কথা বিবেচনা করে সরে যেতে চাইলে এই প্যাকেজ পাবেন।” সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী জয়ন্তীতে লোকসংখ্যা প্রায় ৭০০ জন। প্রায় ২০০ পরিবারের এই জনসংখ্যা দিন দিন কমছে। এই সব পরিবারের বেশির ভাগই জয়ন্তী থেকে সরে যেতে চাইছেন।

    স্থানীয় মানুষের বক্তব্য

    জয়ন্তীর (Alipurduar) স্থানীয় বাসিন্দা তপন দত্ত বলেন, “ জয়ন্তী দিন দিন শশ্মানে পরিণত হচ্ছে। এক সময় বাইরে থেকে মানুষ জয়ন্তীতে কাজ করতে আসতেন। এখন উল্টোটাই ঘটছে। জয়ন্তী নদী যে কোনও দিন এই জনপদকে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে। সেই কারণে আমরা বন দফতরের প্যাকেজে রাজি হয়ে, এখান থেকে সরে যাওয়ার জন্য লিখিতভাবে মত দিয়েছি।” জয়ন্তীর আরেক বাসিন্দা মনি কুমার লামা বলেন, “বনের ভিতর কোনও সুযোগ-সুবিধা নেই। আমাদের জীবন এভাবে কাটল। কিন্তু পরবর্তী প্রজন্ম এভাবে কেন থাকবে! বন দফতরের প্রচণ্ড কড়াকড়ি। এলাকায় কোনও কাজ নেই। নেই হাসপাতাল ও ভালো স্কুলও। ফলে শুধু পারিবারিক ভিটের আবেগে ভর করে আর এখানে থেকে কোআও লাভ নেই। সেই কারণে বন দফতরের প্যাকেজে আমরা রাজি হয়ে গেছি ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share