Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Dhupguri: ‘ধূপগুড়িতে গেরুয়া ঝড় হবে’, ভোট দিয়ে বললেন সদ্য তৃণমূলত্যাগী প্রাক্তন বিধায়ক

    Dhupguri: ‘ধূপগুড়িতে গেরুয়া ঝড় হবে’, ভোট দিয়ে বললেন সদ্য তৃণমূলত্যাগী প্রাক্তন বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট দিলেন সদ্য তৃণমূলত্যাগী প্রাক্তন বিধায়ক মিতালি রায়। ভোট দিয়ে বেরিয়েই তিনি বললেন, ধূপগুড়িতে (Dhupguri) গেরুয়া ঝড় হবে। তৃণমূলের ফের ভরাডুবি হবে। মঙ্গলবার সকালে অন্যান্য ভোটারদের সঙ্গে লাইনে দাড়িয়ে ভোট দিলেন তিনি।

    শাসক দলের প্রার্থীকে ভোট না দেওয়া প্রসঙ্গে কী বললেন তৃণমূলত্যাগী প্রাক্তন বিধায়ক? (Dhupguri)

    এদিন ভোট দিতে এসে তিনি বলেন, মানুষ বিজেপির পক্ষেই রায় দেবেন। তৃণমূল সরকারের এই দুর্নীতি, ধূপগুড়ি (Dhupguri) পুরসভার দুর্নীতি, পঞ্চায়েত ভোটের সময় মানুষকে ভোট দিতে না দেওয়া, সব মিলিয়ে মানুষ তৃণমূলকে প্রত্যাখ্যান করবে এবারও। দুহাত ভরে মানুষ বিজেপিকে আশীর্বাদ করবে। ভোট দিতে এসেই ভোট কেন্দ্রের ভিতরের অব্যবস্থা দেখে চটে যান সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী প্রাক্তন বিধায়ক। ভোট কেন্দ্রের ভিতরে ইভিএমের সামনে পর্যাপ্ত আলো নেই বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ভোটারদের সমস্যা হচ্ছে। এর পিছনে তিনি সরাসরি চক্রান্তের অভিযোগ এনে বলেন, মানুষ যখন ভোট দিতে যাচ্ছে, তখনই আলোর সমস্যা হচ্ছে। যার ফলে সঠিকভাবে ভোট দিতে পারছে না। মানুষের ভোট সঠিক জায়গায় পড়ছে না। পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করার জন্য প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে তিনি দাবি জানান। বুথের ভিতরে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর প্রিসাইডিং অফিসারের কাছ থেকে টর্চ নিয়ে এসে তিনি ভোট দেন। পাশাপাশি তিনি ভোটারদেরও বলেন, সঠিক আলো হলেই যেন তাঁরা ভোট দেন। এই বিষয়টি নিয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছেও অভিযোগ করেন।

    বুথের বাইরে জমায়েত নিয়ে কী বললেন প্রাক্তন বিধায়ক?

    বুথের বাইরে তৃণমূলের লোকজন জমায়েত করেছিলেন। সেই বিষয়ে মিতালি রায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে নালিশ করেন। পরে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর হস্তক্ষেপে জমায়েত সরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার জন্য তিনি সরাসরি তৃণমূলের দিকে আঙুল তোলেন। বলেন, বুথগুলির আলো, জল সব কিছুর বরাত পেয়েছে তৃণমূলের ছত্রচ্ছায়ায় থাকা কিছু ঠিকাদার। জমায়েত করে, বুথের ভিতরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা না করে কারচুপি করে তৃণমূল জেতার চেষ্টা করছে। কিন্তু, এই সব করে লাভ হবে না কিছুই। ধূপগুড়ি (Dhupguri) উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী তাপসী রায়ই বিপুল ভোটে জিতবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদায় জামাইকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন, কেন জানেন?

    Malda: মালদায় জামাইকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক মাসও বিয়ে হয়নি। এর মধ্যে স্ত্রী শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে রয়েছেন। জামাই বাবাজীবন শ্বশুরবাড়ি আসতেই তাঁকে আদর আপ্যায়ন করার পরিবর্তে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে  মালদা (Malda) জেলার ইংরেজবাজার থানার বুধিয়া বিশ্বাসপাড়ায়।

    কেন জামাইকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হল? (Malda)

    মালদার (Malda) ইংরেজবাজার থানার বুধিয়া বিশ্বাসপাড়ার বাসিন্দা জুবেদা বিবির সঙ্গে ২৪ দিন আগে রতুয়া থানার সুলতানগঞ্জের বাসিন্দা আক্রম আলির বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের সময় ৯০ হাজার টাকা পণ দেওয়ার কথা হয়েছিল। কিন্তু, আর্থিক অবস্থা সচ্ছল না থাকায় পণের সম্পূর্ণ টাকা মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে দিতে পারেননি জুবেদা বিবির বাপের বাড়ির লোকজন। বিয়ের দিন ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। পরে বাকি টাকা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। বিয়ের দিনই পণের সব টাকা দিতে না পারার কারণে অনেক কথা শুনতে হয়েছিল। তবে, বিয়েবাড়িতে অন্য লোকজনের মধ্যস্থতায় বিয়ে হয়ে যায়। কিন্তু, বিয়ের পর থেকেই জুবেদার উপর মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার শুরু হয়। শেষমেশ কয়েকদিন আগেই জুবেদা কাউকে কিছু না জানিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান। সোমবার সন্ধ্যায় টাকার জন্য আক্রম আলি শ্বশুরবাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে তিনি স্ত্রীকে গালিগালাজ করতে থাকেন। পরে, তাঁকে মারধর করা হয়। মেয়েকে মারতে দেখে শ্বশুরবাড়ির লোকজন জামাইকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখেন।

    স্বামীর প্রসঙ্গে কী বললেন স্ত্রী ?

    আক্রম আলির স্ত্রী জুবেদা বিবি বলেন, বাবার খুব বেশি রোজগার নেই। তবুও, পণের টাকা ধাপে ধাপে দিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিল। সেটা ওদের সহ্য হয়নি। বিয়ের কয়েক দিন পর থেকেই স্বামী আমার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাতে থাকে। আমাকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। আমার বাড়িতে এসে আমার উপর অত্যাচার করতেই এলাকাবাসী ঘরে বন্দি করে রাখে। থানায় বিষয়টি জানিয়েছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: আরামবাগে সংখ্যালঘু পরিবারের লোকজন তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিলেন বিজেপিতে

    Arambagh: আরামবাগে সংখ্যালঘু পরিবারের লোকজন তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আরামবাগে (Arambagh) সংখ্যালঘু ভোটে থাবা বসাল বিজেপি। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিল ১৫ টি সংখ্যালঘু পরিবার সহ শতাধিক কর্মী। আরামবাগের জেলা কার্যালয়ে তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিধায়ক মধুসূদন বাগ। এমনিতেই আরামবাগ মহকুমা জুড়ে গত বিধানসভা ভোটের পর থেকে বিজেপির ভাল ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় এই এলাকায় বিজেপির সংগঠন আরও মজবুত হবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    বিজেপিতে যোগদানকারীদের কী বক্তব্য? (Arambagh)

    বিজেপিতে যোগদানের পর যোগদানকারীরা বলেন, তৃণমূল দুর্নীতিগ্রস্ত দল। তারা এলাকায় কোনও উন্নয়ন করেনি। বরং, রাস্তাঘাটের জন্য বরাদ্দ টাকা পকেটে পুড়েছে তৃণমূলের নেতারা। দিনের পর দিন বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। পাশাপাশি তাঁরা আরও বলেন, এনআরসি-র কথা বলে আমাদের মনে ভয় ঢোকানো হয়েছিল। বাংলাদেশ বা পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়েছিল। আমরা তো ভারতীয়, তাই আমাদের কোনও সমস্যা হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে বিজেপি। ফলে, তৃণমূল এতদিন আমাদের ভুল বুঝিয়ে আসছিল। ভুল ভাঙতেই আমরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। আর আরামবাগ (Arambagh) এলাকার উন্নয়নের বিষয়টি তো রয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এ নিয়ে বিজেপির আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে এই ভুল ভেঙেছে। সবকা সাথ সবকা বিকাশের কথা মানুষ বুঝতে পারছে। সে জন্যই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সংখ্যালঘুরা বিজেপির ছাতার তলায় আসছে। তৃণমূল এতদিন তাঁদের ভুল বুঝিয়ে নিজেদের ভোট ব্যাঙ্ক করে রেখেছিল। সেটা তারা বুঝতে পেরেই আমাদের দলে যোগ দিয়েছে। আগামীদিনে আরও অনেকেই আমাদের দলে আসবেন।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই যোগদানের প্রসঙ্গে আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, বিজেপি টাকা পয়সার লোভ দেখিয়ে কিছু লোকজনকে দলে টানছে। পতাকা ধরিয়ে নাটক করছে। যাঁরা যাচ্ছেন তাঁরা নিজেরাই পরে ভুল বুঝতে পেরে আবার তৃণমূলে ফিরে আসবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: দলের সভায় যাওয়াও ‘অপরাধ’! বারুইপুরে বাঁশ, রড, লাঠি দিয়ে মার বিজেপি কর্মীকে

    South 24 Parganas: দলের সভায় যাওয়াও ‘অপরাধ’! বারুইপুরে বাঁশ, রড, লাঠি দিয়ে মার বিজেপি কর্মীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সভায় যাওয়ার ‘অপরাধে’ বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর (South 24 Parganas) থানার বেদবেরিয়া বিদ্যাধরী পল্লিতে। এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে এলাকায়। শাসক দলের দৌরাত্ম্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব।

    ঘটনা কীভাবে ঘটল?

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গুরুতর আহত বিজেপি কর্মী খোকন বিশ্বাস। গতকাল বিজেপির একটি সভায় গিয়েছিলেন তিনি। আর সেই অপরাধেই আজ, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা বিজেপির এই কর্মীর উপর চড়াও হয়। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাঁশ, রড, লাঠি সহ একাধিক অস্ত্র দিয়ে তাঁকে মারধর করতে থাকে। আর তা দেখতে পেয়ে, তাঁর স্ত্রী ও মা বাঁচাতে এলে তাঁদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতা হীরেন রায়।

    আহত বিজেপি কর্মীর বক্তব্য (South 24 Parganas)

    আহত বিজেপি কর্মীর অভিযোগ, এলাকায় হীরেন রায় দুষ্কৃতীদের প্রত্যক্ষ মদত দিচ্ছে। বিজেপি করার অপরাধেই তাঁকে হুমকি এবং বেপরোয়া মারধর করা হয়। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ঘুটিয়ারি শরিফ হাসপাতলে নিয়ে যায়। এরপর তাঁর অবস্থার অবনতি হলে, তাঁকে বারুইপুর (South 24 Parganas) মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসক।

    থানায় দায়ের অভিযোগ

    আহত বিজেপি কর্মীর পরিবারের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় বারুইপুর (South 24 Parganas) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর আগেও একাধিকবার দেখা গেছে বিরোধী দল করার অপরাধে শাসকদলের নেতাকর্মীরা বিরোধী কর্মীদের মারধর করে কন্ঠরোধ করার চেষ্টা করেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর্ব থেকে এই ঘটনা আরও বেশি করা দেখা গেছে। এবার সেই ছবি আরও একবার প্রকাশ্যে এল বারুইপুরে।

    বিধায়কের বক্তব্য

    তবে এই বিষয়ে বারুইপুর (South 24 Parganas) পূর্বের বিধায়ক বিভাস সর্দার জানান, এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস কোনও ভাবেই জড়িত নয়। বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন তিনি। স্থানীয় বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুলিশ-প্রশাসন এই ঘটনায় যদি কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তাহলে আগামী দিনে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri: ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নজরদারিতে কাল ধূপগুড়ি বিধানসভায় উপ নির্বাচন

    Dhupguri: ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নজরদারিতে কাল ধূপগুড়ি বিধানসভায় উপ নির্বাচন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই ধূপগুড়িতে (Dhupguri) বিধানসভা উপ নির্বাচন। আর এই ভোটকে কেন্দ্র করে প্রশাসনিক তৎপরতা তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ির ডিসিআরসি থেকে ভোটের সরঞ্জাম নিয়ে ভোট কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন ভোট কর্মীরা। এমনিতেই এই বিধানসভা কার দখলে থাকবে তা নিয়ে রাস্তাঘাটে, দোকানে এদিন সব জায়গায় জোর আলোচনা চলছে। এমনিতেই ভোটের দুদিন আগেই তৃণমূলকে জোর ধাক্কা দিয়েছে বিজেপি। এমনিতেই এই বিধানসভায় বিজেপির ভাল ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। তারপর তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক মিতালি রায় বিশাল অনুগামী নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় কর্মীরা বাড়তি অক্সিজেন পেয়ে গিয়েছে।

    ধূপগুড়িতে (Dhupguri)ভোটের দিনে কত কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে,জানেন?

    ধূপগুড়ি (Dhupguri) বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ২৬০ টি ভোট গ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে। ধূপগুড়ি পুরসভা, বানারহাট এবং ধূপগুড়ি ব্লক মিলিয়ে মোট ভোটার সংখ্যা- ২ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন, ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ৯০ জন। মহিলা ভোটারের সংখ্যা- ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৩২৪ জন। ২৭টি কুইক রেসপন্স টিম রয়েছে। মোট ভোট কর্মীর সংখ্যা-১২০০ জন। এবারের এই উপনির্বাচনে মোট ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ১৫০টি স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে। আর অতিস্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ৩৭টি। যে সব ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে এক বা দুটি বুথ রয়েছে, সেখানে ৮জন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। আর যে সব ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে তিন বা চারটি বুথ রয়েছে, সেখানে ১৬ জন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। গোটা ধূপগুড়ি এলাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী চষে বেড়াচ্ছে। নির্বাচনকে ঘিরে কোথাও কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এই বাহিনী টহল দিচ্ছে। ধূপগুড়ির গ্রামে গ্রামে এখন শুধু ভারী বুটের আওয়াজ। যাতে বেশ অভয় পাচ্ছেন ভোটাররা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের স্মৃতি এখনও দগদগে বেশ কিছু এলাকার ভোটারদের কাছে। কারণ, পঞ্চায়েত ভোটে অনেক এলাকাতেই বহু ভোটার নিজেদের ভোট দিতে পারেননি বলে অভিযোগ। এই ভোটে কড়া নিরাপত্তা এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় ভোটাররাও বেশ আশ্বস্ত। আর এতেই বাড়তি সুবিধা পাবে বিজেপি বলে মনে করছে তারা।

    উপ নির্বাচন নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    ২০২১শে ধূপগুড়ি (Dhupguri) বিধানসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী ভোট পেয়েছিলেন ১ লক্ষ ৪ হাজার ৬৮৮ টি ভোট। অন্যদিকে, তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছিলেন ১ লক্ষ ৩৩৩ টি ভোট। এবার কিন্তু,বেশ কিছু ইস্যু নিয়ে বিজেপি অনেকটাই বাড়তি অক্সিজেন পাবে। রাজ্যের বিভিন্ন দফতরে দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি সহ একাধিক বিষয়ে বেশ ব্যাকফুটে শাসক দল। এই বিষয়গুলির জন্য কিছুটা চাঙা বিজেপি কর্মীরা। এর পাশাপাশি তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক মিতালি রায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় তৃণমূলের ভোট ব্যাংকে  অনেকটাই থাবা বসাবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ভোটে জিত নিয়ে নিশ্চিত দু পক্ষই। তৃণমূলের তরফে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক রাজেশ সিং বলেন, আমাদের দলীয় প্রার্থী বিপুল ভোটে জিতবে, এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নাই। অন্যদিকে, বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সাধারণ সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ বলেন, ২০২১ সালের চাইতে অনেক বেশী ভোটে আমাদের প্রার্থী জয়ী হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা বন্ধ হল কেন? রাজ্যের কাছে হলফনামা চাইল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা বন্ধ হল কেন? রাজ্যের কাছে হলফনামা চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মানুষের কাছে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা কেন বন্ধ করা হল? তা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। রাজ্যের কাছে এ নিয়ে হলফনামা চেয়েছে হাইকোর্ট। সোমবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ সুবিধার বিষয় সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আড়ালে কেন রাখা হল (Calcutta High Court)? ১৫ দিনের মধ্যে তা রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। এ প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন,‘‘কেন্দ্রীয় সুবিধা (Calcutta High Court) বন্ধ করে রাজ্য যে ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’ তৈরি করেছে, তার কাজ আদালতের কাছে স্পষ্ট নয়। রাজ্যের এমন পদক্ষেপের কারণ আদালতের কাছে পরিষ্কার নয়।’’

    গত মাসেই এ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা করেন সুকান্ত মজুমদার

    প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা থেকে রাজ্যের মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে গত মাসেই হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বালুরঘাটের সাংসদের বক্তব্য, ‘‘বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করার জন্যই কমন সার্ভিস সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতির আরও দাবি, ওই প্রকল্পগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে দেড় লক্ষ মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছেন। এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলা দায়ের করতে নিজেই কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) হাজির হয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার।

    কেন্দ্রের ২০০টি পরিষেবার সুবিধা নানা ভাবে পেয়ে থাকেন রাজ্যের মানুষ

    তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় পরিষেবা থেকে বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করতেই মুখ্যমন্ত্রী এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কেন্দ্রের ২০০টি প্রকল্পের সুবিধা পান রাজ্যের মানুষ । সুকান্ত মজুমদার আরও দাবি করেছিলেন যে সিএসসির মাধ্যমে পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা জানতে পারতো গ্রামের মানুষজন। ২০২০ সালের মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার ওই পরিষেবা তুলে দেয়।  বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এবার হলফনামা চাইল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Murder: বিজেপি নেতা খুনে অভিযুক্তকে জামিন পাইয়ে দিতে ‘চক্রান্তে’ সামিল পুলিশ! মত হাইকোর্টের

    BJP Murder: বিজেপি নেতা খুনে অভিযুক্তকে জামিন পাইয়ে দিতে ‘চক্রান্তে’ সামিল পুলিশ! মত হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত মে মাসে পূর্ব মেদিনীপুরে ময়নায় বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভূঁইয়া খুন (BJP Murder) হন। ওই খুনের ঘটনায় একাধিক তৃণমূল নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে জামিনে মুক্ত করতে চক্রান্ত (BJP Murder) করছে পুলিশ, সোমবার এই মামলার শুনানিতে এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। প্রসঙ্গত, এই খুনের (BJP Murder) ঘটনায় ৯১ দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ করে। আইন অনুসারে ঠিক তার আগের দিনই জামিন পেয়ে যান মূল অভিযুক্ত। কেন চার্জশিট পেশ করতে একদিন সময় বেশি লাগল পুলিশের, তা ব্যাখ্যা করতে গিয়েই এই মন্তব্য করে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, গত ৪ অগাস্ট জামিন পেয়ে যায় মূল অভিযুক্ত (BJP Murder)। ঠিক তার পরের দিনই আদালতে চার্জশিট জমা পড়ে পুলিশের।

    কেন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিতে হয়, তার কারণ ব্যাখ্যা করেন বিচারপতি

    ময়নায় বিজেপি নেতা খুনের (BJP Murder) ঘটনায়, সিবিআই তদন্তের দাবিতে মামলাটি হাইকোর্টে ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন যে আমরা কোনও মামলা সিবিআই-সিআইডিকে দিতে চাই না। কিন্তু কেন আমাদের এই কাজ করতে হয় তার স্পষ্ট উদাহরণ দিচ্ছি। এরপরেই বিচারপতি বলেন, ‘‘গত ৪ অগাস্টই চার্জশিট তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও সেই চার্জশিট আদালতে পেশ করা হয়নি। মূল অভিযুক্তকে জামিন পাইয়ে দিতেই পুলিশ এই কাজ করেছে (BJP Murder)। ৫ অগাস্ট চার্জশিট আদালতে পেশ করেছে পুলিশ (BJP Murder)। এতে স্পষ্ট মূল অভিযুক্তকে জামিন পাইয়ে দিতে পুলিশের চক্রান্ত (BJP Murder)।’’ 

    মামলায় এসসি-এসটি আইনের ধারা যোগ হওয়ার পরেও কীভাবে জামিন, প্রশ্ন হাইকোর্টের

    বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের আর প্রশ্ন, মামলাতে এসসি-এসটি আইনের ধারাগুলিকে যোগ করা হয়েছে। তারপরেও কীভাবে মূল অভিযুক্ত (BJP Murder) জামিন পেতে পারেন? প্রসঙ্গত,  বিজয়কৃষ্ণ ভূঁইয়াকে বোম মারতে মারতে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছে তাঁর পরিবার। তারপরেও বিস্ফোরক আইনের কোনও ধারা কেন যোগ করা হয়নি তাও জানতে চান বিচারপতি।   ১৮ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির  দিন রয়েছে। সেদিন এই সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিতে হবে পুলিশকে, এমন কথাই শুনিয়েছেন বিচারপতি (BJP Murder)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gang Rape: অশোকনগরে  এক যুবতীকে গণধর্ষণ করে রাস্তায় ফেলে যাওয়ার অভিযোগ, অভিযুক্ত চার যুবক

    Gang Rape: অশোকনগরে এক যুবতীকে গণধর্ষণ করে রাস্তায় ফেলে যাওয়ার অভিযোগ, অভিযুক্ত চার যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক যুবতীকে মাদক খাইয়ে ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের (Gang Rape) অভিযোগ উঠল চার যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগরে। অভিযোগ, অচৈতন্য অবস্থায় যুবতীকে গভীর রাতে যশোর রোডের পাশে অশোকনগরের একটি কলেজের সামনে ফেলে চম্পট দেয় অভিযুক্ত যুবকরা। পুলিশ খবর পেয়েই মেয়েটিকে উদ্ধার করে প্রথমে হাসপাতালে নিয়ে যায়। গণধর্ষণের অভিযোগে ওই চার যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে, এত কাণ্ড হওয়ার পরও পুলিশ কিছু জানতে না পারায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Gang Rape)

    মাদক খাইয়ে যুবতীকে অচৈতন্য করে গণধর্ষণের (Gang Rape) ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে অশোকনগর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত চার অভিযুক্তের নাম তন্ময় পাল, আকাশ চক্রবর্তী, টুকাই সিকদার এবং গোপাল পাল। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি অশোকনগর ৫ নম্বর সুভাষপল্লি এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা যুবতী পানশালায় নর্তকীর কাজ করেন। যুবতীর পূর্ব পরিচিত আকাশের কাছে টাকা ধার চায় এই যুবতী। আর এই টাকা ধার দেবে বলেই রবিবার সন্ধ্যার পরে আকাশ ওই যুবতীকে অশোকনগরে ডাকে। এর পরেই আকাশ ওই যুবতীকে আরেক অভিযুক্ত টুকাই সিকদারের ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে ওই যুবতীকে মাদক খাইয়ে অচৈতন্য করে চার বন্ধু মিলে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। তারপরে গভীর রাতে হাবড়া শ্রীচৈতন্য কমার্স কলেজের সামনে যুবতীকে ফেলে চম্পট দেয় ওই চার যুবক। পরবর্তীতে পুলিশ প্রশাসন খবর পেয়ে নির্যাতিতাকে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যায় অশোকনগর হাসপাতালে। সেখানে বসেই ওই যুবতী পুলিশের কাছে ওই চার যুবকের নামে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার সকালে অশোকনগর সুভাষপল্লি এলাকা থেকে ওই চার যুবককে গ্রেফতার করে অশোকনগর থানার পুলিশ। সোমবার তাদের চারজনকে বারাসত আদালতে পাঠানো হয়।

    কী বললেন নির্যাতিতা যুবতী?

    নির্যাতিতার বক্তব্য, ‘আমার সঙ্গে আকাশ চক্রবর্তীর পরিচয় ছিল। আমার কিছু টাকার প্রয়োজন হয়েছিল, আকাশকে বলেছিলাম। ও টাকা দেওয়ার জন্য এদিন রাতে আমায় ডাকে। তারপর একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আমাকে অচৈতন্য করে আকাশ সহ মোট চারজন গণধর্ষণ (Gang Rape) করে। পরে আমাকে একটি ফাঁকা জায়গায় ফেলে দিয়ে চলে যায়। আমি দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই।’ দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবিতে সরব নির্যাতিতার মাও।

    কী বললেন হাসপাতালের সুপার?

    এদিন বারাসত হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, যুবতীর অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে। চিকিৎসার পর সমস্ত কিছু বলা যাবে। এদিন নির্যাতিতাকে দেখতে বারাসত হাসপাতালে আসেন অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। এদিন তিনি বলেন, এই ঘটনা অত্যন্ত পৈশাচিক। দোষীদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আমি ওই পরিবারের পাশে আছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: গ্রামীণ হাসপাতালে নেই স্যালাইন, চড়া দামে কিনতে হচ্ছে বাইরের দোকান থেকে

    Paschim Medinipur: গ্রামীণ হাসপাতালে নেই স্যালাইন, চড়া দামে কিনতে হচ্ছে বাইরের দোকান থেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলায় জেলায় ঘটা করে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল তৈরির হিড়িক পড়ে গিয়েছে। মহকুমা বা গ্রামীণ হাসপাতালগুলিকে নীল-সাদা রং করে ঝাঁ চকচকে করার উদ্যোগ নিয়েছে তৃণমূল সরকার। কিন্তু, ঝাঁ চকচকে বিল্ডিংয়ের ভিতরে রোগীদের ন্যূনতম চিকিৎসা পরিষেবা বলে কিছু নেই। এটা বিরোধীদের কোনও অভিযোগ নয়। পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীর পরিবারের লোকজন এই অভিযোগ করছেন। এই সরকারি হাসপাতালে অমিল স্যালাইন। জেলার অধিকাংশ গ্রামীণ হাসপাতালেই এই এক চিত্র। রোগী বাঁচাতে পরিবারের লোকজনকে হাসপাতালের বাইরের দোকান থেকে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে স্যালাইন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন পরিষেবা না পাওয়া রোগীর পরিবারের লোকজন।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Paschim Medinipur)

    পশ্চিম মেদিনীপুর চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালে অমিল স্যালাইন, তাই বাধ্য হলেই হাসপাতালের বাইরে ওষুধ দোকান থেকে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে স্যালাইন। এই গ্রামীণ হাসপাতালে প্রতিদিন চিকিৎসার জন্য শয়ে শয়ে রোগী আসেন। কিন্তু, এই হাসপাতালে টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে অমিল রয়েছে স্যালাইন পরিষেবা। ইমের্জেন্সি বিভাগে থাকা চিকিৎসকরা রোগীর প্রয়োজন মতো পরিজনদের লিখে দিচ্ছেন স্যালাইনের কথা। রোগী বাঁচাতে দোকানে ছুটছেন রোগীর পরিজনেরা। চড়া দামে দোকান থেকে স্যালাইন কিনে আনছেন তাঁরা, সেই স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে রোগীদের। আর এতেই ক্ষুব্ধ রোগীর পরিজনেরা। চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও তাঁর পরিজনদের অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালে পাওয়ার কথা স্যালাইন, সেই স্যালাইন কিনা কিনে আনতে হচ্ছে দোকান থেকে।

    কী বললেন বিএমওএইচ?

    স্যালাইন সরবরাহ নিয়ে সংকট যে তৈরি হয়েছে, তা কার্যত মেনে নিচ্ছেন চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ স্বপ্ননীল মিস্ত্রি। তিনি বলেন, পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার অন্য হাসপাতালের মতো এই হাসপাতালে স্যালাইনের জোগান নেই। রোগীদের গাঁটের টাকা খরচ করে যাতে স্যালাইন কিনতে না হয় সেই ব্যবস্থা করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বিশেষ করে যে সব রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, তাঁদের যাতে বাইরে থেকে স্যালাইন কিনতে না হয়, তার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: চাকদার ফাইবারের দুর্গা প্রতিমা পাড়ি দিচ্ছে প্যারিসে, উচ্ছ্বসিত জেলাবাসী

    Nadia: চাকদার ফাইবারের দুর্গা প্রতিমা পাড়ি দিচ্ছে প্যারিসে, উচ্ছ্বসিত জেলাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছরই তাঁর তৈরি দুর্গা প্রতিমা বিদেশে পাড়ি দেয়। এই বছর তাঁর তৈরি ফাইবারের দুর্গা প্রতিমা নদিয়া (Nadia) থেকে পাড়ি দিচ্ছে প্যারিসে। দেশের মূর্তি বিদেশের মাটিতে পূজিত হবে, এটা ভেবেই আপ্লুত জেলাবাসী।

    কীভাবে প্যারিসে যাবে ফাইবারের মূর্তি (Nadia)?  

    নদিয়ার (Nadia) চাকদার মৃৎশিল্পী অনুপ গোস্বামী। ছোট থেকেই বিভিন্ন প্রতিমার মূর্তি তৈরি করেছেন তিনি। প্রথমে মাটি দিয়ে বিভিন্ন পূজোর ঠাকুর তৈরি করতেন। পরবর্তীকালে তাঁর হাতের সুন্দর কারুকার্য দেখে হঠাৎ করে বিদেশ থেকে কাজের অর্ডার আসতে শুরু করে। মাটির তৈরি মূর্তি ওজনে অনেকটাই বেশি। অন্যদিকে মজবুতের দিক থেকে কিছুটা দুর্বল। সেই কারণে মাটির তৈরি মূর্তি বিদেশে নিয়ে যেতে অনেকটাই সমস্যায় পড়তে হয়। তাই তিনি বর্তমানে ফাইবারের দুর্গা প্রতিমা তৈরি করছেন। এবার সেই ফাইবারের দুর্গা প্রতিমা পাড়ি দিচ্ছে প্যারিসে। এর আগেও অনুপ গোস্বামীর তৈরি মূর্তি অস্ট্রেলিয়া সহ একাধিক দেশে পাড়ি দিয়েছে।

    মৃৎশিল্পীর বক্তব্য

    মৃৎশিল্পী অনুপ গোস্বামী (Nadia) জানান, কখনও জাহাজে কখনও ফ্লাইটে দুর্গা প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হয়। যেহেতু বাঙালিরা বর্তমানে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে রয়েছে, সেই কারণে দুর্গা পুজো বিদেশেও কমবেশি অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবে প্রতিমা তৈরির সরঞ্জামের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় অসুবিধায় পড়তে হয়েছে শিল্পীদের। লাভের মূল্য আগের তুলনায় অনেকটাই কমে গেছে বলে জানান তিনি। তাঁর তৈরি করা মূর্তি গতব ছর বাহারিন, প্যারিস এবং চিলিতে গিয়েছিল। সেখানে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বছর দুর্গা মূর্তি যাবে প্যারিসে। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, শুধু দুর্গা প্রতিমা নয়, বিভিন্ন মুনিঋষির মূর্তি তৈরি করে থাকেন। তাঁর তৈরি মূর্তি অন্যান্য রাজ্য সহ দেশের বাইরেও নিয়ে যাওয়া হয়। ব্রোঞ্জ,পাথর এবং ফাইবার দিয়ে মূর্তি তৈরি করে থাকেন তিনি। এই বছর রথযাত্রার পরেই বিদেশ থেকে বিশেষ অর্ডার দেওয়া হয়। এই মূর্তি তৈরি করতে প্রায় দুই মাস সময় লেগেছে। তিনি মূর্তি তৈরি প্রসঙ্গে আরও বলেন, প্রথমে সব মূর্তি মাটির তৈরি হয়, এরপর হলোকাস্টিং করে ফাইবারের ছাঁচে তৈরি করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share