Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Sukanta Majumdar: দুর্ঘটনায় অঙ্গ হারানো বধূর পাশে সুকান্ত, ফিরে পেলেন পা

    Sukanta Majumdar: দুর্ঘটনায় অঙ্গ হারানো বধূর পাশে সুকান্ত, ফিরে পেলেন পা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্ঘটনায় পা হারিয়ে হাঁটাচলা করার আশা প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের উদয় গ্রাম পঞ্চায়েতের পালসা খাসপাড়ার মেনকা কুজুর নামে এক বধূ। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হারানোর ফলে ছোট ছেলে সহ মেনকাদেবীকে ছেড়ে যান স্বামী। ছেলেকে নিয়েই কোনওরকমে দিন কাটছিল ওই মহিলার। শেষ পর্যন্ত প্রায় ১২ বছর পর বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) উদ্যোগে তাঁর শরীরে কৃত্রিম পা লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরপরেই তিনি হাঁটাচলা করতে পারছেন। মেনকাদেবীর বাড়িতে যান বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁরা ওই মহিলার সুবিধা ও অসুবিধার কথা শোনেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    প্রায় ১২ বছর আগে রাস্তার কাজ করতে গিয়ে রোলারে মেনকাদেবীর বাম পা চাপা পড়ে। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করান। তবুও, শেষ রক্ষা হয়নি। শরীর থেকে পা কেটে বাদ দিতে হয়। দুর্ঘটনার পর একমাত্র ছেলে সহ স্ত্রীকে ছেড়ে চলে যান স্বামী। ছেলেকে নিয়ে কোনওমতে দিন কাটছিল তাঁর। হাঁটাচলার স্বপ্ন প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলেন মেনকাদেবী। কয়েক মাস আগে গঙ্গারামপুর থানার ফুলবাড়িতে পাড়ায় কর্মসূচি করতে আসেন সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সেখানে হাজির হয়ে পালসার গৃহবধূ মেনকা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের কাছে চিকিৎসার আর্জি জানান। বাঁ পায়ের অবস্থা দেখে সুকান্তবাবু চিকিৎসা করানোর উদ্যোগ নেন। সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের উদ্যোগে প্রায় এক মাস আগে মেনকাকে নিয়ে যাওয়া হয় বারাকপুর মহকুমার বনহুগলির একটি সরকারি হাসপাতালে। হাসপাতালে রেখে চলে চিকিৎসা। কয়েকদিন আগে সরকারি হাসপাতালের অঙ্গ বিভাগে মেনকার কৃত্রিম পা লাগানো হয়। কৃত্রিম পা লাগানোর পর হাঁটাচলা করতে পারায় তাঁকে ছেড়ে দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    মেনকার বাড়িতে যান বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী সহ অন্য বিজেপি নেতারা। চলাফেরা করতে কোনওরকম অসুবিধা হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে বিজেপি নেতা খোঁজখবর নেন। কৃত্রিম পায়ের সাহায্যে প্রায় ১২ বছর পর দুই পায়ে হাঁটতে পারায় খুশি মেনকা কুজুর। বিজেপির দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, উন্নয়নমূলক কাজের পাশাপাশি বহু সামাজিক কাজ করেন আমাদের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁর উদ্যোগেই একজন মহিলা শ্রমিক তাঁর কাটা পা ফেরত পেয়েছেন। আগের মতোই মেনকাদেবী হাঁটাচলা করতে পারায় আমরা খুশি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Health University: গোপন ফাইল নিজের কাছে? নয়া বিতর্কে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য! 

    Health University: গোপন ফাইল নিজের কাছে? নয়া বিতর্কে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য! 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলি নীতি থেকে মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষক নিয়োগ কিংবা পরীক্ষা নেওয়ার ধরন, বার বার বিতর্কে উঠে এসেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় (Health University)! এবার আরেক বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

    কী নতুন বিতর্ক (Health University)? 

    স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের অধিকাংশ মেডিক্যাল কলেজের যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের (Health University) নানা গোপনীয়, গুরুত্বপূর্ণ ফাইল কর্তৃপক্ষের কাছে এখন নেই। সেগুলি কোথায়, সে সম্পর্কেও কোনও স্পষ্ট তথ্য নেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সুহৃদা পাল, স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় গোপনীয়, গুরুত্বপূর্ণ ফাইল নিজের কাছেই রেখেছেন। রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের নির্দেশের পরেও তিনি সেগুলি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেননি। 
    সম্প্রতি এ নিয়ে রাজ্যপাল তথা স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন চিকিৎসকদের সংগঠন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস, ওয়েস্ট বেঙ্গল। তাঁরা চিঠিতে জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কাজ আটকে থাকছে। পাশপাশি, প্রাক্তন উপাচার্য কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোপনীয় নথি নিজের কাছে রাখতে পারেন, সে নিয়েও তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন। রাজ্যপালের কাছে তাঁদের প্রশ্ন, সুহৃদা পাল বর্তমানে সরকারের কোন পদে রয়েছেন, সে বিষয়ে কেউ জানেন না। এমনকি তিনি কোনও মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষকতার দায়িত্বে নেই। তারপরেও রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নথি কীভাবে তাঁর কাছে থাকে? তাছাড়া তিনি রাজ্য সরকারের থেকে নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন। কোন দায়িত্বের নিরিখে তাঁর বেতন, সে বিষয়েও রাজ্যপালের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কী বলছেন চিকিৎসক মহল (Health University)? 

    রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষক-চিকিৎসক নিয়োগ থেকে বদলি, একাধিক বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। চিকিৎসক বদলি নিয়ে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। শাসক দলের ঘনিষ্ঠ না হলে সময় মতো পদন্নতি কিংবা বদলি হয় না, এমন অভিযোগ বার বার ওঠে। তাছাড়া, বিভিন্ন সময়ে রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষার সময় স্বচ্ছতা ও নিয়মমাফিক কাজ হচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। আর এই সমস্ত অভিযোগের দায় উপাচার্য এড়িয়ে যেতে পারেন না বলেও মনে করছেন চিকিৎসক মহল। তাই রাজ্যপাল সুহৃদা পালকে পদ থেকে সরানোর পরেই তিনি নথি হস্তান্তর করতে নারাজ হন। পাশাপাশি তিনি নথি কোথায় রেখেছেন, সে বিষয়েও বিশ্ববিদ্যালয় (Health University) কর্তৃপক্ষকে কিছু জানাতে চাইছেন না বলে মনে করছেন একাংশ।

    কী বলছেন সুহৃদা পাল? 

    রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অবশ্য এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন। গোপনীয় নথি নিজের কাছে রাখার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, কোনও মন্তব্য করবেন না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: কলকাতায় ডেঙ্গির দাপট অব্যাহত, পুরসভার বাড়ি বাড়ি নজরদারির অভাবেই বাড়ছে বিপদ! 

    Dengue: কলকাতায় ডেঙ্গির দাপট অব্যাহত, পুরসভার বাড়ি বাড়ি নজরদারির অভাবেই বাড়ছে বিপদ! 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় ফের ডেঙ্গি হানা। গত তিন দিনে ডেঙ্গিতে (Dengue) আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন দু’জন। তাঁরা কলকাতারই বাসিন্দা। বর্ষার মরশুমে বাড়ছে ডেঙ্গির চোখ রাঙানি! অভিযোগ, নজরদারির অভাবেই বাড়ছে বিপদ।

    কী বলছে রিপোর্ট (Dengue)? 

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অগাস্টের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত প্রায় চার হাজার মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তার সঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এ বছর এখনও পর্যন্ত ১২ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। দিন কয়েক আগেও কলকাতার দুই বাসিন্দা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁদের ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসাবে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই বিধাননগর এলাকায় গত বছরের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা চারগুণ হয়ে গিয়েছে। কলকাতাতেও ডেঙ্গি সংক্রমণের দাপট বাড়ছে। তাঁদের আশঙ্কা, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে এই সংক্রমণ (Dengue) আরও প্রবল হবে। কলকাতার আশপাশের জেলা হিসাবে উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলি নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে। তার পাশপাশি নদিয়া নিয়েও যথেষ্ট উদ্বিগ্ন সংশ্লিষ্ট মহল। কারণ, স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়াতেও ডেঙ্গি সংক্রমণের হার অন্য বছরের তুলনায় বেশি।

    নজরদারির অভাবেই ডেঙ্গির (Dengue) শক্তিবৃদ্ধি? 

    বাড়িতে গিয়ে নজরদারির অভাব রয়েছে। এমনই অভিযোগ তুলছেন অধিকাংশ বাসিন্দা। কলকাতা হোক কিংবা হাওড়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, পুরসভার কাজ নিয়ে একাধিক অভিযোগ বাসিন্দাদের। ডেঙ্গি মোকাবিলায় সক্রিয়তার অভাব রয়েছে, এমনই অভিযোগ তুলছেন অধিকাংশ বাসিন্দা। 
    কলকাতায় ডেঙ্গি (Dengue) মোকাবিলায় বাড়িতে গিয়ে নজরদারির উপর জোর দেওয়ার কথা বলা হলেও আসলে তেমন কাজ হয় না বলেই অভিযোগ। অনেক বাড়িই বন্ধ থাকে। ফলে, বৃষ্টি হলেই ছাদে জল জমে। অনেক বাড়ি বন্ধ থাকার জেরে বাগান ঠিকমতো পরিষ্কার করা হয় না। তার ফলে, সেখানেও মশার আঁতুরঘর হয়ে ওঠে। পুরসভার কর্মীদের সক্রিয়তা পারে এই পরিস্থিতি সামাল দিতে। তার জন্য এলাকায় নজরদারি জরুরি। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেই নজরদারির অভাব রয়েছে। ফলে, বিভিন্ন বন্ধ বাড়ি থেকেই মশার উপদ্রব বাড়ছে। 
    তবে হাওড়া-হুগলি জেলার বাসিন্দাদের অভিযোগ পুরসভার নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে। বৃষ্টির পরেই এলাকার একাধিক জায়গায় জল জমে থাকে। নর্দমা ঠিকমতো পরিষ্কার নয়। রাস্তার হাল খুব খারাপ। অনেকের বাড়িতেই জল ঢুকে যাচ্ছে। সেই জল বের করতেও সময় যাচ্ছে। ফলে, বাড়ছে মশার উপদ্রব। যার জেরে ডেঙ্গির শক্তি বাড়ছে। তাছাড়া, এলাকার পার্ক কিংবা বাগানের আগাছা পরিষ্কারেও নজরদারির অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ করছেন বাসিন্দাদের একাংশ। 
    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পরিচ্ছন্নতা ও রোগ নির্ণয়ে সক্রিয়তা না থাকলে ডেঙ্গি (Dengue) মোকাবিলা কঠিন হয়ে উঠবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: নজর দেয়নি তৃণমূল, কোদাল হাতে রাস্তা মেরামতির কাজ করলেন বিজেপি বিধায়ক

    Bankura: নজর দেয়নি তৃণমূল, কোদাল হাতে রাস্তা মেরামতির কাজ করলেন বিজেপি বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার (Bankura) শালতোড়া বিধানসভা এলাকার বিজেপি বিধায়কের গঙ্গাজলঘাঁটি ব্লকের গ্রামের রাস্তা দীর্ঘদিন বেহাল। বারবার প্রশাসনে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। অভিযোগ, ওই গ্রামে বিজেপি বিধায়ক থাকায় রাস্তা মেরামতির সামান্যতম উদ্যোগ নেয়নি তৃণমূল পরিচালিত স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত। শেষ পর্যন্ত বিধায়ক নিজে স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে ঝুড়ি-কোদাল হাতে রাস্তা মেরামতির কাজ করলেন। বিধায়কের প্রশংসায় পঞ্চমুখ এলাকাবাসী।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Bankura)

    বেহাল রাস্তা নিয়ে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ছিল। চন্দনা বাউড়ি বিজেপির বিধায়ক। নিজের বিধায়ক উন্নয়ন তহবিলের বরাদ্দ থেকে রাস্তা মেরামতির উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু, অভিযোগ, শুধুমাত্র বিরোধী দলের বিধায়ক হওয়ায় তাঁকে সেই কাজ করতে দেওয়া হয়নি। বর্ষার সময় দিনের পর দিন বেহাল রাস্তার কারণে এলাকার মানুষ খুব কষ্ট করে যাতায়াতে বাধ্য হচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত নিজের হাতেই রাস্তার হাল ফেরাতে মাঠে নামলেন চন্দনা। স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে ঝুড়ি-কোদাল হাতে কোমর বেঁধে রাস্তা মেরামতির কাজে নেমে পড়লেন। হাত লাগালেন স্থানীয় বিজেপি কর্মীরাও।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বক্তব্য, বাঁকুড়া (Bankura) জেলা প্রশাসনের সব জায়গায় বার বার জানানো সত্ত্বেও শাসকদলের চাপে প্রশাসন ইচ্ছাকৃত ভাবে রাস্তা মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি।’ তাই নিজের বেতনের টাকায় পাথর, মোরাম এবং মাটি আনিয়ে রাস্তার হাল ফেরানোর চেষ্টা করেছি। আসলে বিধায়ক হওয়ার আগে স্বামী শ্রবণ বাউড়ি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। আর আমি জোগাড়ের কাজ করতাম। পাশাপাশি, পেট চালাতে ১০০ দিনের কাজও করেছি দু’জনে মিলে। তাই ঝুড়ি-কোদাল হাতে রাস্তায় মাটি ফেলতে আমাদের কোনও অসুবিধাই হয়নি। দ্বিধা-সংকোচের প্রশ্নই নেই।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বিধায়কের উদ্যোগ স্থানীয় মানুষের বিপুল প্রশংসা কুড়িয়েছে। চন্দনার অভিযোগ উড়িয়ে ‘সবটাই নাটক’ বলে কটাক্ষ করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল-পরিচালিত গঙ্গাজলঘাটি পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি নিমাই মাজি বলেন, বাঁকুড়া (Bankura) জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পথশ্রী প্রকল্পে ওই রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। তারপরেও বিধায়ক এসব করে মানুষের কাছে জনপ্রিয় হওয়ার নাটক করছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia: বজ্রাঘাতে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলায় মৃত্যু হল ছয় জনের, জখম ৬

    Purulia: বজ্রাঘাতে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলায় মৃত্যু হল ছয় জনের, জখম ৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া (Purulia) জেলায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাঁকুড়ার ছাতনা ও শালতোড়া-২ ব্লক মিলিয়ে এক কলেজ পড়ুয়া সহ মোট তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৬ জন। আর পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর এবং পারা ব্লকে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

    বাঁকুড়ায় বাজ পড়ে কতজন মারা গিয়েছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বাঁকুড়ার ছাতনা থানা এলাকায় পৃথক ৩টি জায়গায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। জখম হয়েছেন আরও ৩ জন। শালতোড়া থানা এলাকায় মৃত্যু হয়েছে একজনের। সেখানে জখম হয়েছেন, আরও ৩ জন। মৃতরা হলেন সাগেন মুর্মু (২০), মীরা বাউড়ি (৬১) এবং সুকুরমণি হাঁসদা (২৭)।  ছাতনা থানা এলাকার ঘোষেরগ্রাম পঞ্চায়েতের ছাচনপুর গ্রামের কয়েকজন যুবক গ্রাম সংলগ্ন দ্বারকেশ্বর নদে দুপুরে মাছ ধরতে বাজ পড়ে কলেজ পড়ুয়া সাগেনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, ছাতনা-১ নম্বর পঞ্চায়েতের বারবাকড়া গ্রামে একই দিনে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে মীরা বাউড়ি নামে এক প্রৌঢ়ার। জানা গিয়েছে, দুপুরে বাড়ির বাইরে গরু চড়াচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় বাজ পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। পাশাপাশি, শালতোড়া থানার ছাতিমবাইদ এলাকায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে সুকুরমণি হাঁসদা নামে এক যুবতীর। জখম হয়েছেন আরও ৩ জন। জানা গিয়েছে, ধান লাগিয়ে মাঠ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। সেই সময় বাজ পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়।

    পুরুলিয়া (Purulia)  জেলায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয় তিনজনের

    পুরুলিয়া (Purulia) জেলার পারা ব্লকের শাকড়ায় বাজ পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম দুই যুবক সোমনাথ বৈষ্ণব (২৩) ও অঞ্জন দাস (২১)। রবিবার তাঁরা পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিলেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, স্নান সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। হঠাৎই ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। তাঁরা একটি তেঁতুল গাছের নীচে আশ্রয় নেন। সেখানেই বাজ পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে রঘুনাথপুর থানার সেনেড়া গ্রামে বাজে পড়়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম লক্ষ্মীনারায়ণ বাউরি (৫৬)। এদিন তিনি মাঠে কাজ করতে গিয়েছিলেন। ক্ষেতের কাজ করার সময়ই বাজ পড়ে। রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: নার্সিং হোম থেকেই চলছে শিশু বিক্রির রমরমা! পুলিশের জালে ধৃত ৩

    Purba Medinipur: নার্সিং হোম থেকেই চলছে শিশু বিক্রির রমরমা! পুলিশের জালে ধৃত ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিঘা হাসপাতালের (Purba Medinipur) তৎপরতায় শিশু বিক্রির বড়সড় চক্রের হদিশ পেল দিঘা মোহনা থানার পুলিশ। জনকাল্যাণ নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ প্রসবের পর বলে, মৃত সন্তান জন্ম হয়েছে। তাই শিশুর পরিবার দেখতে চাইলেও দেখাতে দেয়নি নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ। শনিবার মাঝ রাতে যখন পুলিশ আসে, তখন পরিবারের লোক জানতে পারেন, তাঁদের শিশুটি জীবিত আছে। পরে বাচ্চাটিকে বিক্রি করে দিয়েছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। আর এমন অভিযোগেই তোলপাড় এলাকা। পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয় ৩ জন।

    কীভাবে জানা গেল শিশু বিক্রি (Purba Medinipur)?

    সূত্রের খবর, গত সোমবার দিঘা (Purba Medinipur) রাজ্য সাধারণ হাসপাতালের বহির্বিভাগে জন্মের পর টিকাকরণের জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল ৪ দিনের এক শিশুপুত্রকে। টিকাকরণের আগে শিশুটির জন্ম শংসাপত্র-সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শিশুটির সঙ্গে থাকা ৩ মহিলা তা দেখাতে পারেনি। তাছাড়া তাদের কথাবার্তায় অসঙ্গতি থাকায় সন্দেহ হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। বিষয়টি পুলিশের নজরে আনা হয়। এরপর উদ্ধার হওয়া শিশুটিকে তুলে দেওয়া হয় চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির হাতে।

    পুলিশের ভূমিকা

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হলে, ৩ মহিলাকে আটক করে দিঘা মোহনা (Purba Medinipur) থানার পুলিশ। পরবর্তীতে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ না মেলায় ২ মহিলাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। শিশু কেনার অভিযোগে গত মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয় রামনগর থানার দুর্গাপুরের বাসিন্দা মর্জিনা বিবিকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বুধবার এগরার একটি নার্সিংহোমের ( জনকল্যাণ নার্সিং হোম) মালিক সঞ্জয় গোল ও তার স্ত্রী সুপ্রিয়া গোলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নন্দীগ্রামের রানীচকের বাসিন্দা তারা। ধৃত দম্পতি, ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বাচ্চাটিকে কেনার জন্য নিঃসন্তান মর্জিনাকে সহযোগিতা করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। শুক্রবার ধৃতদের কাঁথি আদালতে পেশ করা হলে, বিচারক তাদের ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। দিঘা মোহনা থানার ওসি মৌসুমি সর্দার আরও বলেন ‘এছাড়াও শিশু বিক্রির এই ঘটনায় আর কে কে জড়িত আছে, তার খোঁজ চলছে। পাশাপাশি বাচ্চাটির মা ও দাদুকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ধূপগুড়িতে তৃণমূলকে তুলোধোনা করে শেষ প্রচারে ঝড় তুললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ধূপগুড়িতে তৃণমূলকে তুলোধোনা করে শেষ প্রচারে ঝড় তুললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের প্রচারের শেষ দিনে ঝড় তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন দুপুরে দলীয় প্রার্থী তাপসী রায়ের সমর্থনে বানারহাট চা বাগানে তিনি যান। সেখানে গিয়ে চাঁচাছোলা ভাষায় তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা।

    তৃণমূলকে নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, চা-শ্রমিকদের পি এফের টাকা তুলে দেওয়ার নাম করে বাগানের তৃণমূল নেতারা সেই টাকা আত্মসাৎ করেছে। পাশাপাশি এদিন তিনি তৃণমূল সরকারকে চোরের সরকার বলেন। চা-শ্রমিকদের নিয়ে সভায় তিনি মঞ্চ থেকে সাফ বলেন, এই সরকার গোটা রাজ্য জুড়ে চুরি করছে। যদি তৃণমূল এই বিধানসভা ভোটে জেতে তাহলে এলাকার সমস্ত উন্নয়নের টাকা তারা চুরি করবে। সাধারণ মানুষ তাঁদের নায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হবেন। তাছাড়া বানারহাট এলাকার বড় সমস্যা হল হাতিনালা। এই নালা দিয়ে ভুটান থেকে জল ঢুকে প্রতি বছর বানারহাটকে প্লাবিত করে। তাতে প্রচুর ক্ষতি হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হন এলাকার মানুষ। এই সমস্যার পাকাপাকিভাবে সমাধান করতে গেলে কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগীতা প্রয়োজন। কারণ, এর একদিকে ভুটান, আরেকদিকে রেল লাইন, তার ঠিক পাশেই রয়েছে তেলের পাইপ। সবগুলি দফতরই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন। তাই বিজেপির বিধায়ক হলে তিনি দলগতভাবে কেন্দ্র সরকারের কাছে বিষয়টি সমাধানের আবেদন রাখতে পারবেন। তার ওপর বিজেপির প্রার্থীর স্বামী দেশের হয়ে প্রান দিয়েছেন। তিনিও নিজেকে দেশের জন্য, এলাকার মানুষের জন্য নিয়োজিত করতে চান। তাই এলাকায় চোরদের ঠেকাতে এবং সাধারণ মানুষের চুরি আটকাতে বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়ী করার আহ্বান জানান। এদিন বানারহাট ছাড়াও ধূপগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় তিনি পায়ে হেঁটেও প্রচার করেন। এদিন বানারহাটের এই সভার শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী নিশিথ প্রামাণিক, মিতালি রায় সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারা। বানারহাটের মোগলকাটা, তোতাপাড়া চা-বাগান সহ অন্যান্য এলাকায় প্রচার করেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি ধামসা মাদল নিয়ে বাগানের বিভিন্ন এলাকায় র‍্যালি করেন তিনি।

    মুখ্যমন্ত্রীর রাজবংশী ও মতুয়াদের নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিলে সুকান্ত

    এরই পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজবংশী ও মতুয়াদের নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের বিরুদ্ধে ময়নাগুড়িতে বিজেপির পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিল এবং সভার আয়োজন করা হয়। সেই মিছিলে পা মেলান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Swimming: মুর্শিদাবাদে ৮১ কিলোমিটার সাঁতার প্রতিযোগিতায় প্রথম হলেন বর্ধমানের প্রত্যয়

    Swimming: মুর্শিদাবাদে ৮১ কিলোমিটার সাঁতার প্রতিযোগিতায় প্রথম হলেন বর্ধমানের প্রত্যয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার পর এই প্রথম এবার চেনা ছন্দে ফিরল মুর্শিদাবাদ জেলার ঐতিহ্যবাহী ৮১ কিলোমিটার সাঁতার (Swimming) প্রতিযোগিতা। ৩রা সেপ্টেম্বর সমস্ত প্রতিকূলতা কাটিয়ে এদিন সকাল ৬টা নাগাদ আহিরণ থেকে শুরু হয় এই প্রতিযোগিতা। ফলে, গঙ্গার দুপারে এদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় করেন। গঙ্গায় নৌকা করে প্রতিযোগীদের নজরদারি করা হয়।

    প্রতিযোগিতায় কোন কোন দেশ অংশগ্রহণ করেছিল?

    দেশের দীর্ঘতম সাঁতার (Swimming) প্রতিযোগিতায় মালেশিয়ার তিনজন, স্পেনের দুজন এবং শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ডের একজন করে অংশগ্রহণ করেছেন। দেশের মধ্যে এই রাজ্যের পাশাপাশি চেন্নাই, গুজরাট,ঝাড়খন্ড ও অন্যান্য রাজ্যের প্রতিযোগীরাও অংশগ্রহণ করেছেন। জানা গিয়েছে, বিশ্বের দীর্ঘতম ৮১ কিলোমিটার সাঁতার প্রতিযোগিতা আহিরণ ঘাট থেকে শুরু হয়ে শেষ হয় বহরমপুর গোরাবাজার ঘাটে। একইদিনে জিয়াগঞ্জ থেকে গোরাবাজার ঘাট পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার সাঁতার প্রতিযোগিতা জিয়াগঞ্জ থেকে শুরু হয়। ৮১ এবং ১৯ কিলোমিটারে পুরুষ বিভাগে ৩১ জন এবং মহিলা বিভাগে ১৬ জন সাঁতারু অংশগ্রহণ করেছেন। অংশগ্রহণকারী গঙ্গায় সাঁতার কেটে যাওয়ার সময় দুপাশে প্রচুর মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। সবাই করতালির সাহায্যে, কেউ আবার চিৎকার করে সাঁতারুদের উৎসাহ দান করেছেন।বিশ্বের দীর্ঘতম ৮১ কিলোমিটার সাঁতার প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন বর্ধমানের ছেলে প্রত্যয় ভট্টাচার্য এবং দ্বিতীয় হয়েছেন স্পেনের দানিয়াল পন্স ডিভেন্স। আর ১৯ কিলোমিটারে প্রথম হয়েছেন নিউ টাউনের গৌরব কাবেরী। আর দ্বিতীয় হয়েছেন বাংলাদেশের পলাশ চৌধুরী।

    কী বললেন মুর্শিদাবাদ সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের সচিব?

    মুর্শিদাবাদ সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের সচিব দেবেন্দ্রনাথ দাস বলেন, গত তিন বছর কোভিডের কারণে এই সাঁতার (Swimming) প্রতিযোগিতা করা যায়নি। এদিন সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে আবার শুরু হয়েছে দীর্ঘতম সাঁতার প্রতিযোগিতা। ৮১ এবং ১৯ কিলোমিটার সাঁতার প্রতিযোগিতায় এবারের বাজেট রয়েছে ২৫ লক্ষ টাকা। করোনার পর এই প্রথম সাঁতার প্রতিযোগিতা হওয়ায় সাধারণ মানুষের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kamarhati: কামারহাটিতে তৃণমূল কর্মীকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত কাউন্সিলারের ছেলে

    Kamarhati: কামারহাটিতে তৃণমূল কর্মীকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত কাউন্সিলারের ছেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল কামারহাটিতে (Kamarhati) । তৃণমূলের এক কর্মীকে বন্দুকের বাট এবং লোহার রড দিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল দলেরই কাউন্সিলারের ছেলের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর নাম মহম্মদ নাসিম। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Kamarhati)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল কর্মী মহম্মদ নাসিম খানকে বি টি রোডের কামারহাটি (Kamarhati) মোড় থেকে  পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার আফসানা খাতুনের ছেলে শাহবাজ সিকান্দারের দলবল তুলে নিয়ে যায়। এরপরই তাঁকে বন্দুকের বাট, লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। দুদিন আগেই বেলঘড়িয়ায় টেক্সম্যাকো কারখানার বালির দখল নিয়ে বিধায়ক ঘনিষ্ঠ ও তৃণমূল কাউন্সিলারের অনুগামীদের মধ্যে ব্যাপক গণ্ডগোল হয়েছিল। মূলত বেলঘরিয়ার টেক্সম্যাকো স্ট্রিল ফাউন্ডারি এলাকা থেকে বালি তোলাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দেয়।  কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত গুড্ডু আনসারীর অনুগামীরা টেক্সম্যাকো স্ট্রিল ফাউন্ডারি এলাকা থেকে বালি তুলতে গেলে বাধা দেয় কামারহাটি পৌরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃনমূল কাউন্সিলার নির্মল রাইয়ের অনুগামীরা। এর ফলে দুপক্ষের মধ্যে বচসা ও হাতাহাতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এলাকায়। এলাকার মানুষ ভয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন। পরে, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ফের কামারহাটি উত্তপ্ত হয়ে উঠল।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এদিনের  কাউন্সিলারের ছেলে হামলা চালানো প্রসঙ্গে কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে। তবে, কামারহাটিতে মাঝে মধ্যেই এইরকম গন্ডগোল মোটেই কাম্য নয়। দলগতভাবেও আমরা বিষয়টি দেখব।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, কামারহাটিতে (Kamarhati) তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল লেগেই রয়েছে। কাটমানির টাকা কে নেবে তা নিয়ে দ্বন্দ্ব। এর আগে বিধায়ক অনুগামীর সঙ্গে এক কাউন্সিলারের অনুগামীদের লড়াই হয়েছিল। এবার কাউন্সিলারের ছেলে হামলার সঙ্গে জড়িত। ফলে, বোঝাই যাচ্ছে, তৃণমূল দলটা গোষ্ঠী কোন্দল ছাড়া আর কিছু নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় কি অসন্তুষ্ট! সোমবারই যাদবপুরে আসছে ইউজিসির প্রতিনিধি দল

    Jadavpur University: কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় কি অসন্তুষ্ট! সোমবারই যাদবপুরে আসছে ইউজিসির প্রতিনিধি দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারই যাদবপুরে (Jadavpur University) আসছে ইউজিসির বিশেষ প্রতিনিধি দল। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় সন্তুষ্ট নয় ইউজিসি। তাই সোমাবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি আয়োগের বিশেষ প্রতিনিধি দল ক্যাম্পাসে আসছে বলে জানা যাচ্ছে। এই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা কথা বলবেন ক্যাম্পাসের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে। দেখবেন ইউজিসির বিধিনিয়ম কতটা কার্যকর হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে।

    কেন আসছে ইউজিসি(Jadavpur University)?

    সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রমৃত্যুর (Jadavpur University) ঘটনায় ইউজিসি যে রিপোর্ট চেয়েছিল, সেই রিপোর্টে সন্তোষ প্রকাশ করেনি ইউজিসি। ঘটনার রিপোর্ট সন্তোষজনক নয় বলেই ক্যাম্পাসে আসবে ইউজিসি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে সিসিটিভি লাগানো সহ বিভিন্ন বিধিনিষেধ বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে। এমনকি হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ গাইড লাইন কতটা মান্যতা দেওয়া হয়েছে, সেই বিষয়েও জানতে তথ্য গ্রহণ করবে ইউজিসি। কিন্তু ইউজিসি যে সন্তুষ্ট নয়, সেই কথাও জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়কে একাধিক চিঠি দিয়ে। এই জন্যই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি আয়োগ ক্যাম্পাসে আসবে বলে জানা গেছে।

    ইউজিসির ক্ষোভ প্রকাশ

    রাজ্যের পাঁচ তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। প্রথম বর্ষের ছাত্মসত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হয়ে উঠেছে যাদবপুর। র‍্যাগিং সহ একাধিক ইস্যুতে ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করছে। অপর দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কমিটি বিশেষ তদন্ত করছে। বিশ্ববিদ্যালয়কে বার বার চিঠি পাঠিয়ে ঘটনার বিষদ বিবরণ জানতে চেয়েছে ইউজিসি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শোনা গেছে ইউজিসির একাধিক চিঠিতে। আগামী সোমবার ইউজিসি চার সদস্যের প্রতিনিধি দল আসবে বলে জানা গেছে।

    রেজিস্ট্রারকে গালিগালাজ করে চিঠি

    অপর দিকে গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুর ইস্তফা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। শোনা যায় তাঁকে উদ্দেশ্য করে বিশেষ চিঠি দেওয়া হয়। পরে অবশ্য এই ইস্তফার গল্প নিজেই নস্যাৎ করেন রেজিস্ট্রার। বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ জানিয়েছেন, একটি হুমকির চিঠি এসেছে। তাতে অনেক গালিগালাজ রয়েছে। কে পাঠিয়েছে সেই বিষয়ে কোনও কিছু জানা যায়নি। রেজিস্ট্রার আতঙ্কিত হয়ে পড়লে ইস্তফা দিতে চান। কিন্তু এই ইস্তফা পত্র গ্রহণ করা হয়নি।  

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share