Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Uttar Dinajpur: ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তে রায়গঞ্জে ছড়াচ্ছে আতঙ্ক! প্রশাসনের ঘুম ভাঙবে কবে?

    Uttar Dinajpur: ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তে রায়গঞ্জে ছড়াচ্ছে আতঙ্ক! প্রশাসনের ঘুম ভাঙবে কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে ক্রমশই চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি। এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গিতে প্রাণ গিয়েছে অনেকের। ঘটেছে নানা অঙ্গহানিও। জেলায় জেলায় বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। এবার উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের একাংশে ডেঙ্গির অস্বাভাবিক বাড়বাড়ন্তের ছবি উঠে এল। ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ ব্লকের ১০ নং মারাইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সুভাসগঞ্জের কোতগ্রাম এলাকায়। ডেঙ্গির প্রকোপে এলাকায় তীব্র আতঙ্ক। প্রশাসনের বিরুদ্ধে তৈরি হচ্ছে ক্ষোভ।

    ডেঙ্গির প্রকোপ (Uttar Dinajpur) কেমন?

    স্বাস্থ্য বিভাগের রেকর্ড অনুযায়ী এই এলাকায় (Uttar Dinajpur) গত ৭ দিনে ৪০ জনেরও বেশি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। যাকে ঘিরে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এলাকায় অনেকের মধ্যেই জ্বরের প্রকোপ রয়েছে। জ্বরের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পেলেই সাধারণ মানুষ ছুটছেন রক্ত পরীক্ষার জন্য।

    স্থানীয় মানুষের অভিযোগ

    এলাকার (Uttar Dinajpur) বাসিন্দা সঞ্চিতা রায় জানান, তাঁর শ্বশুরমশাই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রথমে তাঁর ধুম জ্বর আসে। রক্ত পরীক্ষার পর রিপোর্ট আসে পজিটিভ। তড়িঘড়ি তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। এরপর শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা তৈরি হয়। বর্তমানে অবশ্য সুস্থ রয়েছেন তিনি। এরপর পরিবারের বাকি সকলের পরীক্ষা করা হয়। যদিও রিপোর্ট অনুযায়ী বাকিরা ডেঙ্গিমুক্ত রয়েছেন।

    স্থানীয় অপর এক গৃহবধূ অনিতা দাস নিজে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি জানান, ডাক্তারের কাছে জ্বর নিয়ে এসেছিলেন। এরপর রক্ত পরীক্ষা করতেই রিপোর্ট আসে পজিটিভ। শুরু হয় চিকিৎসা। আপাতত সচেতনতাও অবলম্বন করছেন তিনি।

    এলাকায় খোলা হয়েছে স্বাস্থ্য শিবির

    এদিকে এলাকায় (Uttar Dinajpur) ডেঙ্গি মাথাচাড়া দিতেই তড়িঘড়ি স্থানীয় একটি স্কুলে স্বাস্থ্য শিবির খোলা হয়েছে। যেখানে রক্ত পরীক্ষারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই অঞ্চলের স্বাস্থ্য পরিদর্শক মনিকা বিশ্বাস জানান, এখানে রক্ত পরীক্ষার পর নমুনা যাচ্ছে মেডিক্যাল কলেজে। সেখান থেকে রিপোর্ট আসছে। এখনও পর্যন্ত ৪০ পেরিয়ে গিয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। মনিকা দেবী আরও বলেন, এই এলাকাটি অত্যন্ত ঘিঞ্জি। জল জমে থাকে সব সময়। এছাড়াও জঙ্গলও রয়েছে এলাকায়। যা ডেঙ্গির অনুকূল পরিবেশ।

    স্থানীয় উপপ্রধানের প্রতিনিধির বক্তব্য

    অপরদিকে, বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় (Uttar Dinajpur) উপপ্রধানের প্রতিনিধি রানা রক্ষিত। তিনি জানান, ৬২ নং বুথে ক্রমশই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতরের বিভিন্ন স্তরে জানানো হয়েছে। ক্রমাগত মনিটরিং চলছে। এলাকায় সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকেও সচেতন করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে এখন ডেঙ্গি নিয়ে আতঙ্কিত এই অঞ্চল সংলগ্ন এলাকার মানুষ। কত দ্রুত এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় সেদিকেই তাকিয়ে সকলেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri By Election: চড়া রোদে হেঁটেই বাড়ি বাড়ি প্রচারে সুকান্ত, ‘চোরেদের’ না আনার আহ্বান

    Dhupguri By Election: চড়া রোদে হেঁটেই বাড়ি বাড়ি প্রচারে সুকান্ত, ‘চোরেদের’ না আনার আহ্বান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ লগ্নে বাড়ি বাড়ি প্রচারে জোর দিল বিজেপি। গত কয়েক দিন ধরে ধূপগুড়ি বিধানসভার (Dhupguri By Election) বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দলের প্রার্থীর হয়ে প্রচার করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শুক্রবার ঠাকুরপাট এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচার চালান তিনি। প্রচারের মূলে রয়েছে রাজ্য সরকারের অনৈতিক কার্যকলাপ। যার মধ্যে অন্যতম হল চাকরি চুরি।

    রাজ্যে সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ সরকার গড়ার আহ্বান (Dhupguri By Election)

    যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি না দিয়ে অযোগ্যদের যেভাবে চাকরি দিয়েছে এই সরকার, সেটাই তিনি তাঁর প্রচারে বারবার তুলে ধরেন। প্রচারে তাঁর আরও অভিযোগ, প্রতিশ্রুতি দিয়েও ধূপগুড়িকে এখনও মহকুমায় উন্নীত করেনি সরকার। এছাড়া আয়ুস্মান ভারত প্রকল্প চালু করতে দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। এই প্রকল্প চালু হলে প্রচুর মানুষ উপকৃত হবেন। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্প চালু হতে দিচ্ছেন না। পাশাপাশি সুকান্তর তোপ, উজ্জ্বলা গ্যাসের দাম কমিয়ে দেওয়া নিয়েও রাজনীতি করছে তৃণমূল। তাই তৃণমূলকে পরাস্ত করতে, রাজ্যে সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ সরকার গড়তে বিজেপিকেই ভোট (Dhupguri By Election) দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

    কড়া রোদ উপেক্ষা করে পায়ে হেঁটে প্রচার (Dhupguri By Election)

    এদিন তিনি এলাকার ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন জনহিতৈষী নীতি এবং কেন্দ্র সরকারের সমস্ত প্রকল্পগুলি মানুষের কাছে তুলে ধরেন। এদিন তিনি কড়া রোদ উপেক্ষা করে পায়ে হেঁটে ওই এলাকাগুলির প্রায় প্রত্যেক বাড়তে গিয়েই প্রচার (Dhupguri By Election) করেন। এই এলাকাতেই আগামীকাল প্রচারে আসবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর জনসভার আগে ওই এলাকায় প্রচার চালান তিনি। সকাল থেকেই তিনি প্রচারে বেরিয়ে তাঁদের দলের প্রার্থীর হয়ে ভোট ভিক্ষা করেন। তিনি ভোটারদের কাছে আহ্বান জানান, যেভাবে তাঁরা গত বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থীকে দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করেছিলেন, এবারও যেন তাঁরা বিজেপি প্রার্থীকেই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেন। এই ভোটে তৃণমূল জয়ী হলে চোরেদের আরও বেশি চুরি করার সুযোগ দেওয়া হবে বলেও আক্রমণ শানান সুকান্ত মজুমদার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: দলের দুই আদিবাসী মহিলার ক্ষোভে টালমাটাল তৃণমূল, ভোট নিয়ে আশাবাদী সুকান্ত

    Dakshin Dinajpur: দলের দুই আদিবাসী মহিলার ক্ষোভে টালমাটাল তৃণমূল, ভোট নিয়ে আশাবাদী সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই আদিবাসী মহিলার ক্ষোভে ক্রমশ তপ্ত হয়ে উঠছে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) রাজনীতি। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের পর থেকে দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে এই দুই মহিলার ক্ষোভের ঘটনা বাড়তে থাকায় ঘরে বাইরে কিছুটা চাপে পড়েছে রাজ্যের শাসকদল। এদিকে তৃণমূলের অন্দরে আদিবাসী মহিলাদের এই ক্ষোভকে হাতিয়ার করেই লোকসভা নির্বাচনের ছক কষতে শুরু করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। তৃণমূলের প্রতি আদিবাসী মহিলাদের ধারাবাহিক ভাবে এমন ক্ষোভ বাড়তে থাকায় লোকসভা নির্বাচনের আগে ভোট ব্যাঙ্ক নিয়ে কিছুটা আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। যদিও তাদের চাপে পড়ার কথা মানতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব।

    দলের বিরুদ্ধে কেন ক্ষুব্ধ কল্পনা কিস্কু?

    বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি কল্পনা কিস্কু, যিনি ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তপন আসন থেকে অন্যতম আদিবাসী মুখ হিসাবে তৃণমূলের হয়ে ভোটে লড়াই করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খুব সামান্য ভোটে বিজেপি প্রার্থী বুধরাই টুডুর কাছে পরাজিত হন। কল্পনার হয়ে প্রথম থেকেই নির্বাচনী ময়দানে নামতে দেখা গিয়েছিল প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষকে। সে সময় থেকেই অর্পিতা ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত হন কল্পনা। কল্পনাকে এবার বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি না করায় বেজায় ক্ষুব্ধ হন তিনি। এই নিয়ে দলের বিরুদ্ধে কার্যত ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।

    কী বললেন সেই দণ্ডিকাণ্ডের নির্যাতিতা?

    অন্যদিকে তপনের গোফানগরের তিন আদিবাসী মহিলা, যাঁরা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কারণে দণ্ডি কাটার মাধ্যমে শাস্তি পেয়েছিলেন। মহিলা নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে যে ঘটনায় কার্যত দোষী প্রমাণিত করে দলের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল তৃণমূল। যা নিয়ে শুধু রাজ্য-রাজনীতি নয়, তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ। শুধু তাই নয়, আদিবাসী সমাজকে বিশেষ বার্তা দিতে দণ্ডি-কাণ্ডের নির্যাতিতা শিউলি মার্ডিকে পঞ্চায়েতের (Dakshin Dinajpur) প্রার্থীও করেছিল তৃণমূল। অর্পিতার অতি ঘনিষ্ঠ ছিলেন নির্যাতিতা। নির্বাচনে জয়লাভের পর পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ঘিরেই শুরু ঝামেলা। নির্যাতিতা শিউলির দাবি, তাঁকে পঞ্চায়েতের প্রধান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তৃণমূল। তা না করায় শুধু তাঁর সাথেই নয়, আদিবাসী সমাজের সাথেও বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে বলে অভিযোগ নির্যাতিতার।

    কী প্রতিক্রিয়া সুকান্ত মজুমদার এবং অর্পিতা ঘোষের?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আদিবাসীদের সাথে বরাবরই বঞ্চনা করে এসেছে তৃণমূল। প্রতিশ্রুতি দিয়েও প্রতিশ্রুতি রাখেনি তারা। যে সবের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ এবারের লোকসভার ফলাফলেই ঘটবে।’ অর্পিতা ঘোষ বলেন, ‘এধরনের কোনও ব্যাপার নেই। দল তাঁদের নিয়েও ভাবছে। এক ব্যক্তি চিরকাল এক চেয়ারে থাকতে পারেনা। তৃণমূলই এ জেলার দুটো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আদিবাসী মহিলাকে বসিয়েছে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: নাবালিকার বিয়ে দিয়ে বই পুড়িয়ে দিলেন মা! মুখ্যমন্ত্রীর ‘কন্যাশ্রী’ কি নামেই?

    Murshidabad: নাবালিকার বিয়ে দিয়ে বই পুড়িয়ে দিলেন মা! মুখ্যমন্ত্রীর ‘কন্যাশ্রী’ কি নামেই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভগবানগোলায় (Murshidabad) জোর করে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ে দিয়ে দিলেন মা-বাবা। আর তারপর মাসখানেক যেতে না যেতেই মেয়ের পড়া বন্ধ করতে চাপ তৈরি করা হল। এই ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ।

    অভিযোগ কী (Murshidabad)?

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যাশ্রী প্রকল্প কতটা কাজে লাগছে গ্রামগঞ্জে, তারই প্রতিচ্ছবি ভগবানগোলায় (Murshidabad)। ক্লাস নাইনের ওই ছাত্রী বিয়ের পরেও পড়াশোনা করতে চেয়েছিল। কিন্তু তার মা বই পুড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করে ওই নাবালিকা ছাত্রী। প্রতিবাদ করতে গেলে নাবালিকাকে মারধর করা হয়। পড়াশোনা নয়, সংসার করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয় পরিবারের লোকজন। প্রত্যেক দিন নানা অত্যাচারের শিকার হতে হচ্ছে নাবালিকা ছাত্রীকে। এমন অভিযোগে সরব নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী। 

    কন্যাশ্রীর বাস্তব চিত্র

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক দিকে যেমন কন্যাশ্রী প্রকল্পের নাম বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছেন, ঠিক তেমনি আবার এই রাজ্যের মেয়েরা পড়াশুনা করতে না পারার বাস্তব চিত্রের সাক্ষ্য বহন করছে। এ যেন একই বঙ্গে দুই রকম চিত্র। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভগবানগোলায় ঘটল উল্টো ঘটনা! নাবালিকা মেয়ের দাবি, তার মা-বাবা বারবার নানা ধরনের কথা বলেন এবং তাকে কার্যত অন্ধকারে রেখে জোর করে এই বিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এই বিয়ে দেওয়ার পরেও নাবালিকা শ্বশুরবাড়ি যেতে চায়নি। বাপের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতে চাইছিল সে। এমনকি মেয়ের বাবা-মা জোর করে তাকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠাতে চেয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই সব বইপত্র পুড়িয়ে দেয়।

    পুলিশের ভূমিকা

    এমন অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে ভগবানগোলা (Murshidabad) থানার পুলিশ গিয়ে খোঁজখবর নেয়। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। নাবালিকা মেয়ে তার সঙ্গে ঘটা নানা ঘটনার কথা স্পষ্ট ভাবে পুলিশকে জানিয়েছে বলে জানা গেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: মধ্যযুগীয় বর্বরতা! ফের বিবস্ত্র করে, লাইট পোস্টে বেঁধে মহিলাকে মারধর!

    South 24 Parganas: মধ্যযুগীয় বর্বরতা! ফের বিবস্ত্র করে, লাইট পোস্টে বেঁধে মহিলাকে মারধর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও মধ্যযুগীয় বর্বরতা এই বাংলায়! পাওনা টাকা আদায়ের দাবিতে একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সভানেত্রীকে বিবস্ত্র করে লাইট পোস্টের গায়ে বেঁধে মারধর করার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) পাথরপ্রতিমা থানা এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র শোরগোল তৈরি হয়েছে।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (South 24 Parganas)?

    পাথরপ্রতিমার (South 24 Parganas) এক স্বনির্ভর গোষ্ঠী থেকে অন্যের নাম করে টাকা তোলা হয়। এর পর সেই টাকা ফেরতের দাবিতে গোষ্ঠীর সভানেত্রীকে বিবস্ত্র করে মারধর করে পোস্টে বেঁধে রাখার অভিযোগ ওঠে ওই গোষ্ঠীরই অন্যান্য মহিলাদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে পাথরপ্রতিমা ব্লকের গোপালনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্গা গোবিন্দপুরে।

    নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগ

    নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগ, তিনি তাঁদের গ্রামের (South 24 Parganas) স্বনির্ভর সবুজ গোষ্ঠী থেকে কিছু টাকা নিয়েছিলেন। সেই টাকা সুদে-আসলে প্রায় ছয় লক্ষের মতো হয়েছে। নির্দিষ্ট ছয় মাসের মধ্যে ওই টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু টাকা ফেরত না দিতে পারায় ওই গোষ্ঠীর অন্যান্য মহিলারা তাঁর বাড়িতে গিয়ে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। এই পরই তাঁকে টানতে টানতে এনে মারধর করা হয়। সেই সঙ্গে তাঁকে বিবস্ত্র করে একটি ইলেকট্রিক পোস্টের গায়ে দু ঘন্টা বেঁধে রাখা হয়।

    গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যদের বক্তব্য

    লাইট পোস্টের গায়ে বেঁধে রাখার কথা স্বীকার করলেও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই গোষ্ঠীর অন্যান্য মহিলা সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, কষ্টের জমানো টাকা সভানেত্রী হওয়ার সুবাদে তিনি নিজের নামে ইচ্ছেমতো লোন নেন। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে তিনি ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সেই টাকা বাড়িতে চাইতে গেলে ওই মহিলার স্বামী, গোষ্ঠীর এক প্রবীণ মহিলাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এছাড়া ওই মহিলা ওই গ্রুপের অন্যান্য কয়েকজন মহিলাকেও মারধর করেন। তারপরেই অন্যান্য মহিলারা দলবদ্ধ ভাবে ওই মহিলাকে বিদ্যুতের খুঁটির (South 24 Parganas) গায়ে বেঁধে রাখেন।

    পুলিশের ভূমিকা

    খবর পেয়ে, পাথরপ্রতিমা (South 24 Parganas) থানার পুলিশ এসে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে ১৩ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিত মহিলা। আপাতত বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পাথরপ্রতিমা থানার পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ আটক বা গ্রেফতার হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: পঞ্চায়েত উপসমিতির গঠনকে ঘিরে গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মী! কাঠগড়ায় শাসক দল তৃণমূল

    Hooghly: পঞ্চায়েত উপসমিতির গঠনকে ঘিরে গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মী! কাঠগড়ায় শাসক দল তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরামবাগের (Hooghly) খানাকুলের অরুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপসমিতির গঠন ঘিরে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। হঠাৎ সেই সময় এক বিজেপি কর্মী গুলিবিদ্ধ হয় বলে দাবি বিজেপির। তৃণমূলের ভয়ে হাসপাতালেই যেতে পারেননি গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মী! খানাকুল-কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ।

    গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মী (Hooghly)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের অশান্তির রেশ এখনও কাটেনি। দিন কয়েক আগেই রাজনৈতিক অশান্তির জেরেই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হুগলির (Hooghly) খানাকুল। পঞ্চায়েতের অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার দু দিন পর, সামনে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সারা রাত বাড়িতেই থাকতে হয়েছে বিজেপির এক কর্মীকে! পুলিশ আর তৃণমূলের ভয়ে হাসপাতালেও যেতে পারেননি বলে অভিযোগ আহত বিজেপি কর্মীর। পরের দিন ভোরে, অন্য রাস্তা দিয়ে তাঁকে গোপনে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু গুলি করল কে? আহত বিজেপি কর্মীর অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকেই।

    কীভাবে করা হল গুলি?

    হুগলির (Hooghly) খানাকুলে অরুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ছিল গত মঙ্গলবার। বোর্ড গঠন ঘিরে অশান্তি হয় সেই দিন। শাসক-বিরোধী দুপক্ষই হামলায় দায় চাপায় একে অপরের দিকে। ঘটনার দুদিন পর কালীপদ দোলুই নামে এক বিজেপি কর্মী দাবি করেছেন, তাঁর হাতে গুলি লেগেছিল। তিনি খানাকুলের চব্বিশপুর গ্রামের বাসিন্দা। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই কর্মীকে তুলে নিয়ে যান বিজেপির কর্মীরাই। প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয় বাড়িতেই। কালীপদ দোলুইয়ের দাবি, পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়নি। কার্যত দুষ্কৃতীদের ভয়ে লুকিয়ে ছিলাম ঘরে।

    বিজেপির বক্তব্য

    স্থানীয় (Hooghly) বিজেপি কর্মীর অভিযোগ, তৃণমূলের স্থানীয় নেতা বাঘা এবং অপর একজনকে সিভিকের পোশাক পরিয়ে গুলি করা হয়েছে। বিজেপি নেতৃত্ব আরও জানায়, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপির সদস্যদের ওপরে অত্যাচার চালাচ্ছে। দোষীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে অথচ তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। বিজেপি নেতা বিমান ঘোষ বলেন, “এসব আর চলবে না। লোকসভা নির্বাচনেই তৃণমূল সব টের পেয়ে যাবে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    যদিও তৃণমূলের দাবি, এসব অভিযোগ মিথ্যা, সবটাই সাজিয়ে বলা হচ্ছে। আরামবাগ (Hooghly) সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, “সব মিথ্যা। অভিনয় করে ঘটনা সাজিয়ে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। সেদিন কী হয়েছিল, সেটা কারও অজানা নেই। পুলিশ বিষয়টি দেখছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dacoits: রাজু ঝা খুনে মূল অভিযুক্ত কুন্দনই রানাঘাট ডাকাতিকাণ্ডে ধৃত

    Dacoits: রাজু ঝা খুনে মূল অভিযুক্ত কুন্দনই রানাঘাট ডাকাতিকাণ্ডে ধৃত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার রানাঘাটে সেনকো গোল্ডের শোরুমে ডাকাতির (Dacoits) ঘটনায় অভিযুক্ত কুন্দন কুমার যাদব পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ের রাজু ঝা খুনের মূল অভিযুক্ত! পুলিশের কাছে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। নতুন তথ্য সামনে আসতেই রানাঘাটে এসে পৌঁছায় আসানসোল দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

    ডাকাতির (Dacoits) পর পুলিশকে লক্ষ্য করে প্রথম গুলি চালিয়েছি কুন্দন!

    রানাঘাটে একটি সোনার দোকানে ডাকাতির (Dacoits) ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয় মোট পাঁচজন। তাদের নাম, মণিকান্ত কুমার যাদব, ছোটকুমার পাসোয়ান, কুন্দন কুমার যাদব, রাজকুমার পাসোয়ান এবং রিককি পাসোয়ান নামে পাঁচ অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে। তাদের মধ্যে মণিকান্ত কুমার যাদব এবং ছোটকুমার পাসোয়ানের পায়ে গুলি লাগে। এই পাঁচজনের মধ্যে নাম রয়েছে কুন্দন কুমার যাদবের। গত এপ্রিল মাসের প্রথম দিনেই রাত আটটা নাগাদ শক্তিগড়ে জাতীয় সড়কের ধারে একটি ল্যাংচার দোকানের সামনে খুন হয়েছিলেন ব্যবসায়ী রাজু ঝা। এছাড়া গাড়িতে তাঁর কয়েকজন ব্যবসায়ী সঙ্গী ছিলেন। রাজু ঝার গাড়ি যখন দাঁড়িয়েছিল, তখন আচমকা অন্য একটি গাড়ি থেকে দুষ্কৃতীরা হঠাৎ করে নেমে এসে রাজু ঝার গাড়ি লক্ষ্য করে আচমকা গুলি চালাতে থাকে। এলোপাথাড়ি গুলি লেগে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় ব্যবসায়ী রাজু ঝার। সেই খুনে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে পুলিশের কাছে নাম উঠে আসে এই কুন্দন কুমার যাদবের। তদন্ত নেমে পুলিশ আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য পায়। এই কুন্দন কুমার শুধুমাত্র এই রাজ্যে নয় বিহারস ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ, ছত্রিশগড় সহ বিভিন্ন রাজ্যে খুন করার সুপারি নিত। ব্যবসায়ী রাজু ঝা খুনের পর কুন্দন কুমার যাদব পলাতক ছিলেন। দিন কয়েক আগে রানাঘাটের সোনার দোকানের ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে সে। জানা গিয়েছে, কুন্দন সব সুপারি নেয়। এই ক্ষেত্রে সে সুপারি নিয়েছিল। সেই টিমকে পরিচালনা করেছিল। সেনকো গোল্ডে লুট করার পর পুলিশের সামনে পড়তেই  অন্যান্যরা হতবাক হয়ে পড়েছিল। এই কুন্দনই তখন পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপরই বাকিরাও একের পর এক পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তাকে জিজ্ঞাসা করার পর প্রশাসন তদন্ত নেমে রাজু ঝা খুনের মূল অভিযুক্তকে শনাক্ত করে পুলিশ। বর্তমানে এই পাঁচ অভিযুক্ত পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। রানাঘাট মহাকুমা আদালত ৫ অভিযুক্তকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ধূপগুড়ি উপ নির্বাচনে থানার আইসি-কে নিয়ে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষককে কী বললেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: ধূপগুড়ি উপ নির্বাচনে থানার আইসি-কে নিয়ে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষককে কী বললেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট লুট, তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তো ছিলই। এবার এক সরকারী কর্মী কৌশিক চন্দ্র এবং বানারহাট থানার আইসি-কে ধূপগুড়ি উপ নির্বাচনের কাজে ব্যবহার না করার জন্য কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের কাছে অনুরোধ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার ধূপগুড়িতে তিনি কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের সঙ্গে দেখা করেই এই আবেদন জানান তিনি।

    নব তৃণমূল নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    এদিন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, এখন তৃণমূল হচ্ছে নব তৃণমূল। এরা লিফট দিয়ে ওঠে আর প্যারাসুটে নামে। এরা সাইকেল চড়তে জানে না। এরা দামি গাড়ি চড়ে মানুষের সেবা করে। এই দলের নেতাদের অধিকাংশই বড় গাড়ি চড়ে বেড়ায়। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, আমি যখন সেচমন্ত্রী ছিলাম, সেই সময় তখনকার ধূপগুড়ির বিধায়ককে ১০ কোটি টাকা দিয়েছিলাম সেচের কাজের জন্য। সেই টাকাও আত্মসাৎ হয়েছে। সেই বিধায়ক এখন ভোটের ময়দানেও নেই বলে টিপ্পনী কাটতেও ছাড়েননি তিনি। এছাড়া গোটা রাজ্যে যেভাবে সব কিছুতে লুট হচ্ছে, মানুষ সেটা দেখছে এবং দুর্নীতিমুক্ত সরকার গড়তে বিজেপিকেই ভোট দেবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

    ধূপগুড়ি পুরসভা নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু?(Suvendu Adhikari)

    বিজেপি প্রার্থী তাপসী রায়ের সমর্থনে ধূপগুড়িতে সভা করেন বিরোধী দলনেতা। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি (Suvendu Adhikari) অভিযোগ করেন, ধূপগুড়ি পুরসভাতে লুট হয়েছে। কোনও কাজই পুরসভা করেনি। যে পুরসভা জঞ্জাল সাফ করতে পারে না, একটা ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করতে পারে না, তারা কোনও দিনও সুশাসন দিতে পারে না। এই পুরসভায় বিভিন্ন কাজের টাকা লুট হয়েছে। অবৈধ নিয়োগও হয়েছে। গোটা রাজ্য জুড়ে চুরি করছে। প্রত্যেক জায়গায় তাদের এজেন্ট বসিয়ে রেখেছে। তারা টাকা তুলে তৃণমূলকে পৌঁছে দিচ্ছে। এরা টাকা রোজগারের জন্য দল করে না। কয়লা, গরু, বালি তো আছেই, এবার তারা পঞ্চায়েত ভোটে ব্যালটও খেয়েছে। তার ওপর তাদের আরও আয় ডিয়ার লটারি থেকে। এই লটারি প্রচুর পরিবার ধ্বংস করে দিচ্ছে। ১ কোটি টাকার লোভ দেখিয়ে মানুষকে সর্বসান্ত করে দিচ্ছে। আর এর প্রাইজ পাচ্ছে অনুব্রত মন্ডল, তার মেয়ে বিভিন্ন বিধায়ক সহ দলের বড় বড় নেতারা। তাই এই ভোটে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। যদি এই ভোটে তৃণমূল জয়ী হয় তাহলে সেটা চোরেদের জয় হবে। চুরি আটকাতে তাই তৃণমূলকে ভোট নয়। এদিন তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, যদি এই বিধানসভায় বিজেপি জেতে তা হলে রেল, জাতীয় সড়ক সহ আরও অনেক কিছু উন্নতি করবে বিজেপি। এদিন গরমকে উপেক্ষা করে প্রচুর মানুষ ভিড় করেছিলেন সভায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sujit Bose: সিবিআই দফতরে দেখা মিলল না সুজিত বসুর, কী যুক্তি দিলেন মন্ত্রীমশাই?

    Sujit Bose: সিবিআই দফতরে দেখা মিলল না সুজিত বসুর, কী যুক্তি দিলেন মন্ত্রীমশাই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁকে সিবিআই তলব করেছে বলে যে খবর ছড়িয়েছে, তা নাকি সম্পূর্ণ ভুয়ো। বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন গত ২৪ অগাস্ট দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Bose) খবর পেয়েছিলেন, পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে সিবিআই ‘তলব’ করেছে। তার কিছুক্ষণ পরেই বিবৃতি দিয়ে সুজিত ঘোষণা করেন, সিবিআইয়ের তরফে কোনও তলবি চিঠি তিনি নাকি পানইনি।

    সুজিতের দাবি, চক্রান্ত

    বৃহস্পতিবারই ছিল ৩১ অগাস্ট। এদিন দুপুরে নিজের ক্লাব শ্রীভূমি স্পোর্টিংয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে সুজিত স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, তিনি কোনও সিবিআইয়ের চিঠি পাননি। সুজিত সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘আমি এ রকম কোনও নোটিসই পাইনি। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের একাংশ থেকে ধারাবাবিক ভাবে বলা হচ্ছে, আমাকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় আমি মানসিক ভাবে আহত।’’ তাঁর কথায়, ‘‘এই যে র‌্যাগিং নিয়ে এত কথা হচ্ছে, আমার সঙ্গে যেটা হচ্ছে সেটাও র‌্যাগিং। একটা ভুয়ো খবরকে বার বার বলা হচ্ছে।’’

    গত সপ্তাহে সিবিআই সূত্রে জানা যায়, ৩১ অগাস্ট সকাল ১১টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে মন্ত্রীমশাইয়ের হাজির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এদিন নির্দিষ্ট সময় হাজির হননি তিনি। এর পরই তিনি আদৌ হাজির হবেন কি না তা নিয়ে জল্পনা ছড়ায়। এরই মধ্যে বেলা দেড়টা নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করে সুজিত বসু জানান, তিনি সিবিআইয়ের কোনও নোটিসই পাননি।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তের জাল গুটিয়ে আনছে ইডি, নোটিশ ১২টি পুরসভাকে

    সুজিতের আমলেই দুর্নীতি

    সুজিত এক সময়ে দক্ষিণ দমদম পুরসভায় ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। তখনই এই পুর দুর্নীতি হয়েছিল বলে অভিযোগ। পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের পাশাপাশি তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-ও। ইডি সূত্রে খবর, যে ১২টি পুরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে তারা নথি চেয়ে পাঠিয়েছে, তার মধ্যে দমদম, কামারহাটি, পানিহাটির মতো কলকাতা সংলগ্ন একাধিক পুরসভাও রয়েছে। ইডি ওই পুরসভাগুলির কর্তৃপক্ষকে বলেছে, ২০১৪ সাল থেকে সমস্ত নিয়োগের তথ্য পাঠাতে। এক সপ্তাহের মধ্যে ওই তথ্য এবং যাবতীয় নথি পাঠাতে হবে বলে নোটিসে জানিয়েছে ইডি। সিবিআইয়ের নোটিস দেওয়ার খবর নিয়ে বলতে গিয়ে এদিন সুজিতের দাবি, ‘এই খবর ছড়ানোর পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে। কালি ছেটানোর চেষ্টা হচ্ছে। কে বা কারা জড়িত রয়েছে, সেটাই তদন্ত করে দেখতে হবে। দোষীদের শাস্তি হোক।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ডেঙ্গিতে মৃত্যু বধূর, টনক নড়ল পঞ্চায়েতের, এতদিন কী করছিল, প্রশ্ন এলাকাবাসীর

    Murshidabad: ডেঙ্গিতে মৃত্যু বধূর, টনক নড়ল পঞ্চায়েতের, এতদিন কী করছিল, প্রশ্ন এলাকাবাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সূতি থানার ঔরঙ্গাবাদ দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক গৃহবধূ। গৃহবধূর নাম চামেলি খাতুন (৩২)। জেলাজুড়ে ডেঙ্গির প্রকোপ বেড়েই চলেছে। তবে, এতদিন জেলায় কোনও মৃত্যু হয়নি। এই প্রথম জেলায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটায় জেলাজুড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সূতি থানা এলাকার ওই বধূকে দিন পাঁচেক আগে গায়ে জ্বর নিয়ে মহিষা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বেড না থাকার কারণে আহিরণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। আহিরণ হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা করার পর জানতে পারা যায়, চামেলি বিবি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। জঙ্গিপুর হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁর মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে রাস্তায়, ড্রেনে ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো শুরু হয়ে গিয়েছে।

     স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় ডেঙ্গি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। গত সপ্তাহ পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৪০০ জন। জেলাবাসীর ভয় ছিল, ডেঙ্গি যেভাবে দিনের পর দিন বেড়েই চলছে এবার শহরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সংক্রমণ গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে না পড়ে। সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। সূতি থানার ওই বধূ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হওয়ার পর এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এতদিন স্বাস্থ্য দফতর বা পঞ্চায়েত থেকে কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি। ডেঙ্গিতে মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই পঞ্চায়েত এখন নড়েচড়ে বসেছে। আশপাশের পঞ্চায়েতও এদিন থেকে ড্রেন পরিষ্কার করে ব্লিচিং দেওয়া শুরু করেছে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন, আগে থেকে পঞ্চায়েত বা স্বাস্থ্য দফতর উদ্যোগ নিলে ওই বধূর এভাবে বেঘোরে প্রাণ হারাতে হত না। আগামী দিনে ডেঙ্গিতে যেন আর কারও প্রাণ না যায় সেদিকে প্রশাসন নজর দিলে ভাল হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share