Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Murshidabad: যোগীর ‘অপারেশন বুলডোজার’ বহরমপুরে! সদরের রাস্তায় ভাঙা হল অবৈধ নির্মাণ

    Murshidabad: যোগীর ‘অপারেশন বুলডোজার’ বহরমপুরে! সদরের রাস্তায় ভাঙা হল অবৈধ নির্মাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা প্রশাসন, বহরমপুর পুরসভা ও পুলিশের উদ্যোগে বহরমপুরের মোহনা বাসস্ট্যান্ড থেকে রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী পর্যন্ত রাস্তায় অবৈধ দোকানঘর ভেঙে ফেলা হল। প্রশাসন থেকে আগেও চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছিল, সমস্ত অবৈধ নির্মাণ রাস্তা থেকে সরাতে হবে। অপারেশন বুলডোজারের ফলে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়েছে। দোকানদাররা পড়েছেন সমস্যায়।

    সমস্যা কী (Murshidabad)?

    অবৈধ নির্মাণ ভাঙার জন্য আগেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন “বাংলা বরং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের থেকে কয়েকটা বুলডোজার ভাড়া করে নিয়ে আসুক”। বহরমপুরের রাস্তায় বেআইনি নির্মাণ সরাতে প্রশাসন বুলডোজার দিয়ে অভিযান শুরু করছে বৃহস্পতিবার। এই খবর পেয়ে রাস্তার দোকানদাররা ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তবে এটাই প্রথম নয়, ইতিপূর্বে কান্দি এবং ভরতপুরে বেআইনি বড় বড় নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে।

    প্রশাসনের বক্তব্য

    বহরমপুরের (Murshidabad) এসডিও প্রভাত চ্যাটার্জি জানান, এই দোকানপাটের জন্য নিকাশি ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। ফলে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ড্রেনের উপর সরকারি জায়গার উপর স্ল্যাব বসিয়ে রীতিমতো ব্যবসা চলছিল। কেউ কেউ আবার সরকারি জায়গার উপর লোহার রেলিং লাগিয়ে সরকারি জমি দখল করে বসে রয়েছেন। প্রতিদিন রাস্তায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

    ব্যবসায়ীদের বক্তব্য

    অন্যদিকে দোকান ভাঙা পড়ায়, স্থানীয় (Murshidabad) দোকানের মালিকরা জীবিকা চালানোর জন্য অসুবিধার মধ্যে পড়ছেন বলে অভিযোগ করছেন। তাঁরা আরও বলেন, পরিবারের মুখে কীভাবে অন্ন জোগাবেন, তাই নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন দোকান ব্যবসায়ীরা। সূত্রে জানা গেছে, সরকারের কাছে তাঁরা আর্জি জানাবেন বিকল্প কোনও ব্যবস্থার জন্য। বিকল্প কাজের জোগাড় হলে দুমুঠো অন্ন যোগাতে সক্ষম হবেন তাঁরা। অন্যথায় আবারও ভিন রাজ্যে কাজের খোঁজে যেতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Corruption: জলপথ পরিবহণেও দুর্নীতিতে ডুবে তৃণমূল! হাওড়া ফেরিঘাটে লঞ্চ পরিষেবা তলানিতে

    Corruption: জলপথ পরিবহণেও দুর্নীতিতে ডুবে তৃণমূল! হাওড়া ফেরিঘাটে লঞ্চ পরিষেবা তলানিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্ক ও কৃষি সমবায় সমিতিগুলিতে দুর্নীতির (Corruption) পর এবার হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। এর পাশাপাশি সংস্থার কর্মীরা জানিয়েছেন, লঞ্চগুলি দীর্ঘদিন ভালোভাবে মেরামতি না হওয়ার কারণে যাত্রীরা প্রতিদিন প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করছেন। এমনকী লাইসেন্স বিহীন বেশ কিছু লঞ্চ চলাচলেরও অভিযোগ উঠেছে। উত্তর হাওড়ার বিজেপি নেতা উমেশ রাই সরাসরি এই অভিযোগ করেছেন।

    অব্যবস্থা ও আর্থিক দুর্নীতি (Corruption) নিয়ে সরব কর্মীরাও

    হাওড়া স্টেশন লাগোয়া হাওড়া ফেরিঘাট। এই ফেরিঘাটে লঞ্চ পরিষেবা চালায় তৃণমূল পরিচালিত হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতি। ওই সংস্থা হাওড়া থেকে প্রতিদিন শোভাবাজার, বাগবাজার, চাঁদপাল, ফেয়ারলি প্লেস এবং বাবুঘাটে লঞ্চ পরিষেবা চালায়। হাজার হাজার নিত্যযাত্রী হাওড়া ও কলকাতার মধ্যে যাতায়াত করেন। আগে এই সংস্থায় কুড়িটির বেশি লঞ্চ চললেও বর্তমানে বারোটি লঞ্চ চলছে। ফলে হাওড়া ও কলকাতার মধ্যে যতগুলি ট্রিপ হত, এখন তার চেয়ে অনেক কম সংখ্যক ট্রিপ হচ্ছে। কর্মীরা জানিয়েছেন, বেশির ভাগ লঞ্চের অবস্থা ভালো নয়। দীর্ঘদিন ঠিকঠাক মেরামতি না হওয়ার কারণে সেগুলি ভগ্নপ্রায় অবস্থায় রয়েছে। সংস্থার আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ার কারণে সেগুলিকে ঠিকমতো সারানো যাচ্ছে না। ফলে লঞ্চের কর্মীরা ছাড়াও যাত্রীরা প্রাণ হাতে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন। এছাড়াও তাঁরা জানান, তিন মাস বেতন পাচ্ছেন না। কোনও আর্থিক সুবিধা পাচ্ছেন না। সংস্থার একাধিক আর্থিক দুর্নীতি (Corruption) নিয়েও সরব হন কর্মীরা।

    কী অভিযোগ (Corruption) করল বিজেপি?

    বিজেপির রাজ্য সম্পাদক উমেশ রাই একই ধরনের অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, একাধিক লঞ্চের অবস্থা শোচনীয়। ওই অবস্থায় লঞ্চগুলি চালানো হচ্ছে। টিকিট বিক্রি ও বিজ্ঞাপন বাবদ সংগৃহীত অর্থ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি (Corruption) হয়েছে। এ ব্যাপারে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিয়েছেন। যদি রাজ্য সমবায় দফতর কোনও ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে তাঁরা কোর্টের দ্বারস্থ হবেন।

    তদন্তের (Corruption) আশ্বাস দিলেন মন্ত্রী

    রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় জানিয়েছেন, ওই সংস্থাকে বাঁচাতে তাঁর দফতর থেকে আগে ৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে যে অভিযোগ উঠছে, তা অত্যন্ত সিরিয়াস। তিনি এ ব্যাপারে পরিবহণ মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়, তা দেখা হবে। পুরো বিষয়টি (Corruption) তদন্ত করে দেখা হবে বলে তিনি জানান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Leaps and Bounds: একই ব্যাঙ্কে আলাদা নামে দুই অ্যাকাউন্ট রুজিরার! ফাঁসতে পারেন অভিষেকের স্ত্রী?

    Leaps and Bounds: একই ব্যাঙ্কে আলাদা নামে দুই অ্যাকাউন্ট রুজিরার! ফাঁসতে পারেন অভিষেকের স্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফেঁসে যেতে বসেছেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুচিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়! অন্তত এমনই জল্পনা জোরালো হয়েছে ইদানিং। এর কারণ দিন কয়েক আগে নিউ আলিপুরে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের (Leaps and Bounds) অফিসে হানা দিয়েছিলেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেখানে তাঁরা বাজেয়াপ্ত করেছেন রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট।

    লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে তল্লাশি

    ওই অফিস থেকে তিনটি কম্পিউটারের হার্ড ডিস্কও বাজেয়াপ্ত করেছেন গোয়েন্দারা। আরও কিছু নথিও বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এর মধ্যেই রয়েছে রুজিরার দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট। এর মধ্যে রয়েছে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের মধ্য কলকাতা শাখার দুটি অ্যাকাউন্ট। এই শাখায় যে অ্যাকাউন্টটি রয়েছে অভিষেকের স্ত্রীর, সেখানে তাঁর নাম রয়েছে রুজিরা নারুলা। এই ব্যাঙ্কেই রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় নামেও একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এই অ্যাকাউন্টের ১৪২ পাতার স্টেটমেন্ট বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, ২১ অগাস্ট তদন্তকারীরা হানা দেন লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে (Leaps and Bounds)। সেখানে টানা ১৮ ঘণ্টা তল্লাশি চালান তাঁরা। 

    বাজেয়াপ্ত বহু নথি 

    তদন্তকারীরা জেনেছেন, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস তৈরি হওয়ার আগে ওই সংস্থার নাম ছিল অনিমেষ ট্রেড লিঙ্ক। সেই সংস্থা হাতবদল হয়। নতুন নাম হয় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস। এ সংক্রান্ত নথিও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। তল্লাশি চালানোর সময় আলিপুর এবং বিষ্ণুপুরে নথিভুক্ত হওয়া বেশ কিছু জমির দলিলও বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। সংস্থার একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি এবং স্টেটমেন্টও বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা।

    এদিকে, ইডির তৎপরতার (Leaps and Bounds) বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে দায়ের করা সেই মামলায় অভিষেকের আইনজীবীর প্রশ্ন, তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে ইডির দায়ের করা ইসিআইআর খারিজের আবেদনের রায়দান যখন স্থগিত, তখন কি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি এই তৎপরতা দেখাতে পারে?

    আরও পড়ুুন: এই কি শিক্ষার পরিবেশ? কলেজ চত্বরে বসেই গাঁজায় সুখটান তৃণমূল ছাত্রনেতার!

    সোমবারই নিয়োগ দুর্নীতির একটি মামলায় অভিষেককে জেরা না করায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার ভর্ৎসনার মুখে পড়ে ইডি। আইন বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, বিচারপতি সিনহার এহেন মন্তব্যের পর অভিষেকের কাছে ইডির সমন পৌঁছনো স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। সেই কারণে এবার বিচারপতি ঘোষের বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়ে সমন এড়াতে চাইছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: দৃষ্টিহীনদের সৃষ্টিশীলতা! নিজেরাই রাখি বানিয়ে পরিয়ে দিলেন পথচলতি মানুষকে

    Hooghly: দৃষ্টিহীনদের সৃষ্টিশীলতা! নিজেরাই রাখি বানিয়ে পরিয়ে দিলেন পথচলতি মানুষকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দৃষ্টিহীনদের সৃষ্টিশীলতা। পবিত্র রাখিবন্ধন দিবস ছিল বুধবার। আর এই পবিত্র দিনে সমাজের দৃষ্টিহীন ভাইবোনেরাও শামিল হলেন। সাধারণ মানুষদের সঙ্গে মিশে গিয়ে পথচলতি মানুষকে রাখি পরিয়ে উৎসব পালন করলেন তাঁরা। না, বাজার থেকে কিনে আনা নয়। নিজেরাই ৩০০ রাখি বানিয়ে এনে রাখিবন্ধন উৎসবে শামিল হলেন। এদিন হুগলি (Hooghly) জেলার প্রাণকেন্দ্র চুঁচুড়া ঘড়ির মোড়ে নিজেদের তৈরি রাখি নিয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৩৫ জন দৃষ্টিহীন ভাইবোন। এঁদের একত্রিত করে নিয়ে এসেছিলেন রবি পাল নামে এক সমাজসেবী। পুলিশ, সংবাদ জগতের প্রতিনিধি, শিক্ষক, আইনজীবী প্রায় প্রত্যেক পেশার মানুষকে দেখা যায় এদিন হাসিমুখে রাখি পরতে।

    সুযোগ থাকলে কাজ দিন, বললেন দৃষ্টিহীন শিবানী

    শিবানী পাল (Hooghly) নামে এক দৃষ্টিহীন মহিলা বলেন, আমরা হয়তো দেখতে পাই না আপনাদের মতো। কিন্তু আমরা অনুভব এবং উপভোগ করতে চাই। আজকের এই পবিত্র দিনে রাখি পরানোর পাশাপাশি ভাইদের কাছে তাঁর আবেদন, আমরা দৃষ্টিহীন বলে খুবই অসহায় ভাবে আমাদের দিন কাটে। সুযোগ থাকলে আমাদের কিছু কাজ দিন, যাতে আমরা ভালোভাবে থাকতে পারি। পথচলতি অনেক মানুষই রাখি গ্রহণ করার পর দৃষ্টিহীনদের উপহার স্বরূপ কিছু অর্থ দেন।

    এখানেই শেষ নয়, এরপর পুজোয় ঠাকুর দেখা (Hooghly)

    রবি জানান, জেলার প্রায় ৭০ জন দৃষ্টিহীনকে তিনি একত্রিত করে তাঁদের নিয়ে বিভিন্ন রকম বিনোদনমূলক ও সমাজসেবামূলক কাজ করে থাকেন। তিনি আরও জানান, এই দৃষ্টিহীন মানুষরা কেউ ট্রেনে হকারি করেন, কেউ ভিক্ষাবৃত্তি করেন। তাঁরা নিজেদের উপার্জিত অর্থ সঞ্চয় করে প্রায় তিনমাস ধরে এই ৩০০ রাখি বানিয়েছেন। তাঁদের একটাই উদ্দেশ্য, সমাজের মুলস্রোতের সঙ্গে মিশে গিয়ে আনন্দ উৎসব উপভোগ করা। ব্যান্ডেল সুভাষনগরের বাসিন্দা রবি ছোটখাট ব্যবসা করেন। তিনি বলেন, আগামী দুর্গাপূজার ষষ্ঠীর দিন এই ৭০ জন দৃষ্টিহীনকে নিয়ে আমি ঠাকুর দেখাবো টোটো করে। এভাবেই সমাজের এই দৃষ্টিহীন, সৃষ্টিশীল মানুষগুলির জীবন আগামী দিনে আরও উপভোগ্য করে তোলার শপথ নিয়েছেন রবি (Hooghly)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: জলের দরে গঙ্গাদেবীর সোনার মূর্তি বিক্রির টোপ, জেলাজুড়ে সক্রিয় প্রতারণা চক্র

    South 24 Parganas: জলের দরে গঙ্গাদেবীর সোনার মূর্তি বিক্রির টোপ, জেলাজুড়ে সক্রিয় প্রতারণা চক্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলের দরে সোনার ঠাকুরের মূর্তি বিক্রির টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল এক চক্রের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Paraganas) সুন্দরবন অঞ্চল কুলতলি, গোসাবা সহ একাধিক জায়গায় প্রতারণা চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। লোক দেখানো করে পুলিশ একজনকে ধরেছে। বাকিদের ধরার বিষয়ে পুলিশের কোনও হেলদোল নেই। ফলে, এই চক্রের ফাঁদে পড়ে আরও হাজার হাজার মানুষের সর্বশান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

    কীভাবে প্রতারণা করা হত?

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Paraganas) সুন্দরবন অঞ্চলের বাসিন্দারা অধিকাংশই মৎসজীবী। মাছ ধরার কারণে তাদের মাঝে মধ্যেই বাঘের হামলার মুখে পড়তে হয়। সেই হামলা থেকে বাঁচতে তাঁরা গঙ্গাদেবীকে প্রতিনিয়ত স্মরণ করেন। তাঁদের কাছে প্রতারকরা সোনার গঙ্গাদেবীর মূর্তি বিক্রির টোপ দিত। তবে, শুধু গঙ্গাদেবী নয় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, মহাদেব সকলের মূর্তি প্রতারকরা বিক্রি করত। তাঁদের সেই বিশ্বাসকে পুঁজি করেই সামাজিক মাধ্যমে সম্পর্ক তৈরি করে তাঁদের গঙ্গাদেবীর সোনার মূর্তি বিক্রি করার প্রলোভন দেখানো হত। প্রতারকরা বক্তব্য ছিল, সোনার মূর্তিটি বিদেশ থেকে আনা। বাজারে কয়েক লক্ষ টাকা দাম। কাউকে ৩০ হাজার, কাউকে আবার ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করত। বিক্রির আগে তাঁদের বিশ্বাস অর্জন করার জন্য ঠাকুরের হাতের একটি অংশ তাদেরকে দেওয়া হত, যা ছিল সোনার। সেই হাত তাঁরা কোনও সোনার দোকানে গিয়ে দেখিয়ে পরীক্ষা করালে তাঁদের আরও বিশ্বাস জন্মাতো। অল্প টাকায় সোনার মূর্তি পাচ্ছি দেখে অনেকেই প্রতারকদের খপ্পরে পড়তেন। তারপর নির্দিষ্ট জায়গায় যখন তাঁরা মূর্তি নেওয়ার জন্য হাজির হতেন, তখন তাদের সোনার বদলে পিতলের মূর্তি দিয়ে টাকা নিয়ে পালিয়ে যেত দুষ্কৃতীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের আগে এই ধরণের প্রতারণা চক্রের বাড়বাড়ন্ত দেখা দিয়েছিল এই এলাকায়। তখন পুলিশ অভিযান চালিয়ে এই চক্রে জড়িত থাকায় মোট ২৮ জনকে গ্রেফতার করে। তারপর এই প্রতারণা চক্র কিছুদিন বন্ধ থাকলেও পুলিশের অপদার্থতায় সম্প্রতি ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। অনেকেই প্রতারিত হচ্ছেন। এই বিষয়ে কুলতুলি থানায় একাধিক অভিযোগও দায়ের হয়েছে। এরপরই পুলিশ ক্রেতা সেজে জালাবেড়িয়া মোড়ে তালিমুল নামে এক প্রতারককে পুলিশ গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে একটি ওয়ান সাটার, লাইভ কার্তুজ, একটি বাইক ও দুটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

    কী বললেন বারুইপুরের এসডিপিও?

    সোনার মূর্তি বিক্রির বড়সড় চক্র রয়েছে তা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর পুলিশ জেলার এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, এই ঘটনায় একটি বড় চক্র কাজ করছে। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা রয়েছে তা জানতে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • College: এই কি শিক্ষার পরিবেশ? কলেজ চত্বরে বসেই গাঁজায় সুখটান তৃণমূল ছাত্রনেতার!

    College: এই কি শিক্ষার পরিবেশ? কলেজ চত্বরে বসেই গাঁজায় সুখটান তৃণমূল ছাত্রনেতার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রের রহস্যমৃত্যু নিয়ে তোলপাড় চলছে। বহু ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশি তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে গাঁজা চাষ, হস্টেলের মধ্যে মদ্যপান করার মতো ঘটনা সামনে এসেছে। এই সব ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই পূর্ব বর্ধমানের একটি কলেজ (College) চত্বরে প্রকাশ্যে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক নেতাকে মাদক সেবন করতে দেখা যাচ্ছে। তা যথারীতি ভাইরালও। যদিও সেই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি ‘মাধ্যম’।

    ভিডিওতে কী দেখা যাচ্ছে? (College)

    শক্তিগড়ের হাটগোবিন্দপুর ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের (College) টিএমসিপি-র কলেজ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক হিতেশ শেঠ। কলেজ ক্যাম্পাসে বসে বন্ধুদের সঙ্গে গাঁজা সেবন করছেন তিনি। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও-তে সেটাই দেখা যাচ্ছে। অন্য কোথাও নয়, কলেজ চত্বরে বসে মাদক নিচ্ছেন কয়েকজন ছাত্র, এমনই একটি ভিডিও বুধবার রাতে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

    অভিযোগ নিয়ে কী সাফাই দিলেন টিএমসিপি নেতা?

    যদিও ভিডিও-তে যাঁর ছবি দেখা যাচ্ছে বলে দাবি করা হচ্ছে, সেই টিএমসিপি-র কলেজ (College) ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক হিতেশ শেঠ বলেন, সামাজিক মাধ্যমে ছবিটি ভুয়ো। মুখ্যমন্ত্রী কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভোট হবে ঘোষণা করেছেন। তার জন্যই ইচ্ছাকৃতভাবে টিএমসিপিকে কালিমালিপ্ত করতে ছবি এডিট করে এসএফআই এই চক্রান্ত করছে। এসব আমরা কেউ করিনি। ওরা আমাদের ছাত্র সংগঠনকে বদনাম করার জন্যই এসব করছে।

    কী বললেন এসএফআই নেতৃত্ব?

    এসএফআইয়ের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদক অনির্বাণ রায়চৌধুরী বলেন, শুধু এই কলেজ (College) বলে নয় রাজ্যের সমস্ত কলেজেই শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেছে তৃণমূল ছাত্র সংগঠন। অধিকাংশ কলেজেই এই ধরনের মাদক সেবন চলে। প্রতিবাদ করলেই ওদের রোষের মুখে পড়তে হয়। এসব জেনেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। কারণ, এসব কাজের সঙ্গে তৃণমূল ছাত্রনেতারা জড়িত থাকে। তিনি আরও বলেন, ওই ছেলেটিই টিএমসিপি হাটগোবিন্দপুর কলেজ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক। সে ওই কলেজেরই দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। আমরা এই ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তের জাল গুটিয়ে আনছে ইডি, নোটিশ ১২টি পুরসভাকে

    Recruitment Scam: নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তের জাল গুটিয়ে আনছে ইডি, নোটিশ ১২টি পুরসভাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তে (Recruitment Scam) বৃহস্পতিবার ইডির (Recruitment Scam) তরফ থেকে ১২টি পুরসভাকে পাঠানো হয়েছে নোটিশ। অন্যদিকে, সকালেই ইডি দফতরে হাজির হতে দেখা যায় অয়ন শীলের হিসাব রক্ষককে। প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি প্রশ্ন করেছিলেন ইডির আইনজীবীকে, এত গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলির (Recruitment Scam) তদন্তের অগ্রগতি কোথায়! তারপরেই পুর-নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায়  ইডি ফের তেড়েফুঁড়ে নামল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

    বুধবারই ডায়মন্ড হারবার পুরসভাকে নোটিশ পাঠানো হয়

    বুধবারই ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ২০১৬ সালের একটি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে নোটিশ পাঠায় ইডি (Recruitment Scam)। এই তালিকায় ফের বৃহস্পতিবার জুড়লো আরও ১১ টি পুরসভার নাম। বুধবার সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে প্রকাশ্যে আসে ডায়মন্ড হারবার পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান মীরা হালদারের বিবৃতি (Recruitment Scam)। তিনি জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার সঙ্গেই হয়েছে। জানা গিয়েছে, যে ১২টি পুরসভার কাছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা নথি (Recruitment Scam) চেয়ে পাঠিয়েছে, সেখানে কলকাতার আশেপাশে দমদম, কামারহাটি, পানিহাটির মতো পুরসভাগুলি রয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে যে সমস্ত নিয়োগ ওখানে হয়েছে, তার যাবতীয় তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে নোটিশে।

    শিক্ষক নিয়োগ-দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তেই উঠে আসে পুর নিয়োগ-দুর্নীতি

    প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ-দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তে উঠে আসে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। হুগলির বলাগড়ের এই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে ইডি। সেখান থেকে যোগসূত্র পাওয়া যায় অয়ন শীলের। পরবর্তীকালে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা অয়ন শীলের ফ্ল্যাটে হানা দেয়। পুরসভায় নিয়োগ-দুর্নীতির নথি এবং বিপুল পরিমাণে ওএমআর শিট উদ্ধার হয় অয়নের ফ্ল্যাট থেকে। গ্রেফতার হয় অয়ন (Recruitment Scam)। জানা যায়, অয়নের সংস্থাই পুরসভার নিয়োগগুলিতে ওএমআর শিট তৈরির দায়িত্ব পেত। এর পরেই রাজ্যের পুরসভাগুলিতে নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তে কোমর বেঁধে নামে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বৃহস্পতিবারে আরও একবার তৎপরতা দেখা দিল পুর নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heritage Building: বাঁকুড়ার হেরিটেজ ভবনে তৃণমূল-সিপিএমের জোড়া দখলদারি! সক্রিয় কলকাতা হাইকোর্ট

    Heritage Building: বাঁকুড়ার হেরিটেজ ভবনে তৃণমূল-সিপিএমের জোড়া দখলদারি! সক্রিয় কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার হেরিটেজ ভবন এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল (Heritage Building) হল থেকে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তৃণমূলের এই পুরসভা এলাকায় সিপিএমের কো-অর্ডিনেশন কমিটি এই হেরিটেজ ভবনের এক অংশ দখল করে রেখেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। দোকানঘর বানিয়েছে খোদ তৃণমূল পরিচালিত পুরসভাও।

    হাইকোর্টের কী নির্দেশ (Heritage Building)?

    বুধবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই হেরিটেজ বিল্ডিংকে (Heritage Building) রক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে নির্দেশে বলা হয়, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে হেরিটেজ ভবনের এলাকা চিহ্নিত করতে হবে এবং বিল্ডিং সংলগ্ন অবৈধ নির্মাণ দ্রুত ভেঙে ফেলতে হবে। এই বিষয়ে জেলাশাসককে হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর করার জন্য বলা হয়েছে।

    কীভাবে জবরদখলে হেরিটেজ বিল্ডিং (Heritage Building)?

    রানি ভিক্টোরিয়ার বড় পুত্রের নাম অ্যাঁলবার্ট এডওয়ার্ড (Heritage Building)। ১৯০১ সাল থেকে ১৯১০ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের শাসক ছিলেন তিনি। তাঁর স্মরণেই বাঁকুড়া সদরে তৈরি হওয়া ভবনের নামকরণ করা হয়। ১৯১১ সালে এই ভবনটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু এই হেরিটেজ ভবনের একটি ভাগ দখল করে হয়েছে স্টাফ কোয়ার্টার এবং বেশ কিছু পাকা দোকানঘর তৈরি করছে বাঁকুড়া পুরসভা। অন্যদিকে এই হেরিটেজ বিল্ডিং-এর আরেকটি অংশ দখল করেছে বাম কর্মচারী সংগঠনের স্টেট কো-অর্ডিনেশন কমিটি।

    কেন আদালতে মামলা হয়েছিল?

    হেরিটেজ বিল্ডিংয়ে (Heritage Building) বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে এলাকা দখলমুক্ত করতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বাঁকুড়ার শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সমাজ নামে এক সংগঠন। এই অভিযোগের আগেই হাইকোর্ট জেলার ভূমি এবং ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায়। উল্লেখ্য এই রিপোর্টে বেআইনি দখলদারির বিষয়ে বিস্তৃত তথ্য দেওয়া হয়েছিল। অবশেষে গতকাল হাইকোর্টের নির্দেশে এলাকা দখলমুক্ত করার কথা বলা হয়।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Shibpur IIEST: চোখ খুলে দিল শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ! জুনিয়রদের রাখি পরিয়ে দিলেন সিনিয়ররা

    Shibpur IIEST: চোখ খুলে দিল শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ! জুনিয়রদের রাখি পরিয়ে দিলেন সিনিয়ররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি র‍্যাগিংয়ের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। একেবারে ভিন্ন ছবি দেখা গেল হাওড়ার শিবপুর আইআইইএসটি-র (Shibpur IIEST) ক্যাম্পাসে। প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের কাছে টেনে নেওয়ার জন্য সিনিয়ররা পালন করলেন রাখিবন্ধন উৎসব।

    ছাত্রমৃত্যুর পরই বদলাতে থাকে আবহাওয়া (Shibpur IIEST)

    একটা সময় ছাত্র সংঘর্ষে উত্তপ্ত থাকত বেসু-র ক্যাম্পাস। ২০০৬ সালে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রের মৃত্যুর পর ধীরে ধীরে ক্যাম্পাসের আবহাওয়া বদলাতে থাকে। ২০১৪ সালে বেসু থেকে হয় শিবপুর আইআইইএসটি। ছাত্রমৃত্যুর পর ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মচারী এবং ছাত্রছাত্রীরা র‍্যাগিং বন্ধের উদ্যোগ নেন। ক্যাম্পাসে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো ছাড়াও অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটিকে শক্তিশালী করা হয়। শিক্ষকরাও ছাত্রদের বোঝাতে শুরু করেন র‍্যাগিং-এর কুফল কী। এর ফলে ক্যাম্পাসে কমে যায় ছাত্র সংঘর্ষ এবং র‍্যাগিং। বর্তমান পরিস্থিতিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র‍্যাগিং-এর অভিযোগ উঠলেও শিবপুর আইআইইএসটি-তে (Shibpur IIEST) কোনও অভিযোগ নেই।

    রাখি বন্ধন, মিষ্টিমুখ, কার্ড বিতরণ (Shibpur IIEST)

    এই পরিস্থিতিতে প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের মনোবল বাড়াতে ছাত্রদের সেনেট-এর পক্ষ থেকে বুধবার রাখিবন্ধন উৎসব পালন করা হয়। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মচারীরাও এই উৎসবে শামিল হন। সিনিয়র ছাত্রছাত্রীরা জানিয়েছেন, প্রথম বর্ষের ছাত্রদের মনে ভয় থাকে। সেই ভয় দূর করার জন্য তাঁরা এগিয়ে এসেছেন। রবীন্দ্রনাথের মূর্তির সামনে তাঁরা রাখিবন্ধন পালন করতে প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের হাতে রাখি পরিয়ে দেন। একই সঙ্গে চলে মিষ্টিমুখ এবং কার্ড বিতরণ। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ভাতৃত্ব বোধ গড়ে তোলা এই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন সিনিয়র ছাত্ররা (Shibpur IIEST)।

    স্বাগত জানিয়েছেন হাওড়া শহরের মানুষ

    ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডিন জানিয়েছেন, অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যখন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, তখন এখানে (Shibpur IIEST) ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ভয় কাটাতে সবাই উৎসবে শামিল হয়েছেন। এই অভিনব উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন হাওড়া শহরের মানুষ। সকলেরই দাবি, শিবপুর আইআইএসটি যে পথে র‍্যাগিং বন্ধ করে জুনিয়রদের কাছে টেনে নিয়েছে, একই পথে হাঁটা উচিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদেরও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যকে নিলামে চড়িয়েছেন’, কেন বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যকে নিলামে চড়িয়েছেন’, কেন বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যকে নিলামে চড়িয়েছেন। আর শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটে সার্কাস চলছে। বুধবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়িতে একথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মাটিগাড়ায় নাবালিকা ছাত্রীর খুনের ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দাগলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    মাটিগাড়ায় নিহত নাবালিকা ছাত্রীর বাড়িতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)

    মাটিগাড়ায় নাবালিকা ছাত্রীর খুনের ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি আগেই সরব হয়েছে। রাজ্যপালও ওই ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। বুধবার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। জানা গিয়েছে, এই ছাত্রী খুনের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই নকশালবাড়ির হাতিঘিষায় আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। গত ১৫ অগাস্ট হাতিঘিষায় ছ’ জন মিলে এক আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণ করে। লজ্জা ও ভয়ে বিষয়টি সেই নাবালিকা গোপন রেখেছিল। কিন্তু, দিনের পর দিন তার চালচলনে পরিবারের লোকদের সন্দেহ হয়। জিজ্ঞেস করতেই সেই নাবালিকা কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা ঘটনা জানায়। তার পর গত মঙ্গলবার বাগডোগরা থানায় পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এদিন পর পর দুটি ঘটনা নিয়ে সুকান্ত বলেন, আদিবাসী নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা পুলিশ কেন সময়মতো জানতে পারেনি। কেন মাটিগাড়ায় নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হচ্ছে?

    মুখ্যমন্ত্রীকে কী বললেন সুকান্ত?

    সুকান্ত বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা হওয়ার পরও নাবালিকাদের ধর্ষণ, খুন করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যকে নিলামে চড়িয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বের কী  অবস্থা! কোথাও গোর্খা সম্প্রদায়ের মেয়ে, কোথাও আদিবাসী, রাজবংশী মেয়েদের ধর্ষণ, খুন করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর সচেতন হওয়া উচিত। নাহলে ক্ষোভ,  আক্রোশ এ ধরনের ঘটনা আরও বাড়বে। এদের বিশেষ সম্প্রদায়কে দিয়ে টার্গেট করানো হচ্ছে। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চক্রান্ত। আর এর বিরুদ্ধে গোর্খা, আদিবাসী, রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টি আছে।

    শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটকে নিয়ে কী বললেন সুকান্ত মজুমদার?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, প্রদীপের নীচে অন্ধকার। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হচ্ছে। গত ১৫ অগাস্ট হাতিঘিষায় আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এতদিন পুলিশ তা জানতো না? একের পর এক মহিলাদের উপর যদি এই ধরনের আক্রমণ হয, তাহলে পুলিশ কমিশনারেট কী করছে? কমিশনারেট কী করতে রয়েছে, ঠান্ডা ঘরে বসে বসে মাইনে পাওয়ার জন্য, নাকি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে যোগসাজশ করে অপরাধ সংঘটিত করতে সাহায্য করার জন্য? এটা কমিশনারেট চলছে না, সার্কাস হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share