Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Duttapukur: দত্তপুকুরে সরকারি ছাপ দেওয়া বস্তায় বেআইনি বাজি! সব জেনেও পুলিশ কী করছিল?

    Duttapukur: দত্তপুকুরে সরকারি ছাপ দেওয়া বস্তায় বেআইনি বাজি! সব জেনেও পুলিশ কী করছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সরকারি স্ট্যাম্প দেওয়া বস্তায় ভরে বাজি পাচার। দত্তপুকুরের (Duttapukur) মোচপোল গ্রামে বিস্ফোরণস্থলের একেবারে কাছেই দুটি দোকান ঘরে এরকম কয়েকশো বাজির বস্তার হদিশ। যেগুলির প্রতিটিতেই কোনও না কোনও সরকারি সংস্থার ছাপ দেওয়া রয়েছে। পুলিশের চোখে ধুলো দিতেই বাজি কারবারিরা এই অভিনব কৌশল বেছে নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু, তারপরেও পুলিশ সেই সমস্ত বাজি ভর্তি বস্তা বাজেয়াপ্ত কিংবা দোকানঘর থেকে সরাতে কোনও উদ্যোগ নেয়নি, এমনটাই অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তাই উঠছে প্রশ্ন।

    ল্যাবরেটরির পর সরকারি ছাপ দেওয়া বস্তার হদিশ

    দত্তপুকুরের (Duttapukur) মোচপোলে বিস্ফোরণের পর বিভিন্ন জঙ্গল এবং বাঁশঝাড়ে বাজির উপকরণ ফেলে দিয়েই চম্পট দেয় শ্রমিকরা। যা এখনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আশেপাশে। মঙ্গলবারই নিহত কেরামত আলির রাসায়নিক ভর্তি গোডাউনের হদিশ পাওয়া যায়। তারও আগে বেরুনান পুকুরিয়ার একটি পরিত্যক্ত ইটভাটায় অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরির হদিশ মিলেছিল। সেখান থেকে টেস্টটিউবের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। তেমনই অত্যাধুনিক সেই ল্যাবরেটরিতে বিভিন্ন ধরনের বোমা-বাজির পরীক্ষা-নিরীক্ষারও বন্দোবস্ত ছিল। এবার হদিশ মিলল সরকারি ছাপ দেওয়া বাজি মজুতের বস্তা।

    পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা? (Duttapukur)

    দত্তপুকুর (Duttapukur) থানার ইছাপুর-নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের মোচপোল গ্রাম এবং তার আশপাশে বাজিই যেন কুটির শিল্প। এলাকার যেদিকেই চোখ যাবে সেদিকেই লক্ষ্য করা যাবে ছোট, বড়, মাঝারি মাপের বাজি তৈরির গোডাউন। কেউ কেউ আবার ঘর ভাড়া নিয়ে বাজির কারখানা করে ফেলেছেন। ঘটনাস্থলের ১০-১৫ ফুট দূরে পরপর তিনটি শাটার দেওয়া দোকানঘরের হদিশ পাওয়া যায়। এর দুটিতেই থরে থরে সাজানো ছিল সরকারি ছাপ দেওয়া বাজি ভর্তি বস্তা। কোনও বস্তায় ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ায় ছাপ দেওয়া, আবার কোনওটায় পাঞ্জাব সরকার, কর্ণাটকের চিনি কলের ছাপ দেওয়া রয়েছে বস্তায়। কার্যত অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে সেগুলো। পুলিশের এই গা-ছাড়া মনোভাব আতঙ্ক বাড়িয়েছে মোচপোল গ্রামের বাসিন্দাদের। এ বিষয়ে একজন এলাকাবাসী বলেন, দোকানঘরগুলি কেরামত আলি ভাড়া দিত। সেখানে বাজি মজুত করত সে। আমরা বললেও আমাদের কথা তারা শুনত না। উল্টে টাকার গরম দেখিয়ে ভয় দেখাত আমাদের। পুলিশেকে টাকা খাইয়ে এই বেআইনি কারবার চালাত। আমরা গরিব, আমাদের টাকাপয়সা নেই। তাই পুলিশ আমাদের কথা শুনতো না। সরকারি স্ট্যাম্প দেওয়া বস্তায় বাজি মজুতের ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল এলাকা জুড়ে। যে বস্তায় খাদ্সামগ্রী থাকার কথা, সেই বস্তায় কীভাবে বাজি মজুত হল, এখন সেটাই সব থেকে বড় দেখার প্রশ্ন। পাশাপাশি কীভাবেই বা সেই সরকারি ছাপ দেওয়া বস্তা বাজি কারবারিদের কাছে পৌঁছে গেল, তা নিয়েই এখন শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ-দুর্নীতিতে ধৃত মিডলম্যান প্রসন্ন রায়ের ফ্ল্যাটে তল্লাশি সিবিআই-এর

    Recruitment Scam: নিয়োগ-দুর্নীতিতে ধৃত মিডলম্যান প্রসন্ন রায়ের ফ্ল্যাটে তল্লাশি সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন মিডলম্যান প্রসন্ন রায়। বুধবার তাঁর নিউটাউনের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাল সিবিআই। জানা গিয়েছে, বুধবার রাত সাড়ে ন’টার পর নিউটাউনের ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা (Recruitment Scam)। সিবিআই সূত্রে খবর, ওই ফ্ল্যাটে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি রয়েছে বলে খবর ছিল তাঁদের কাছে।  ধৃত (Recruitment Scam) মিডলম্যান প্রসন্ন রায় বর্তমানে জেলে রয়েছেন। জানা গিয়েছে, বুধবার যে ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানো হয় সেটি প্রসন্ন রায়ের স্ত্রীর নামে রয়েছে। সেখান থেকে এদিন বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেছে সিবিআই। বুধবার সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয় প্রসন্ন রায়ের ফ্ল্যাটের তল্লাশি (Recruitment Scam)। তবে এই প্রথম নয়, নিউটাউনের ফ্ল্যাটে সিবিআই আগেও তল্লাশি চালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    মিডলম্যান প্রসন্ন করতেন গাড়ির ব্যবসা

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত বছরই গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রসন্ন রায়কে (Recruitment Scam)। তাঁর বয়ানে অসঙ্গতি মেলে এবং একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি তাঁর কাছ থেকে পাওয়া যায়। এরপরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০২ সাল থেকে গাড়ি ব্যবসার সঙ্গেই যুক্ত রয়েছেন প্রসন্ন রায়। তাঁর ওই সংস্থার অফিস ছিল উত্তর কলকাতায়। প্রসন্ন রায়ের সংস্থার এক কর্মীর দাবি, শিক্ষা দফতরেও গাড়ি ভাড়া দিতে দেখা যেত প্রসন্ন রায়কে (Recruitment Scam)। এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা এই নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় ধৃত শান্তিপ্রসাদ সিনহার অফিসেও একাধিকবার গাড়ি ভাড়া দিয়েছিলেন প্রসন্ন। সেই সূত্রেই কি নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) জড়িয়ে পড়া তাঁর? এ প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।

    নিয়োগ-দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্ত চলছে ২০২২ সাল থেকে 

    নিয়োগ-দুর্নীতি মামলার (Recruitment Scam) গ্রেফতারি শুরু হয়েছিল ২০২২ সালের জুলাই মাসে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় প্রথম গ্রেফতার হন ইডির হাতে। এরপরে তৃণমূলের ছোট, বড়, মাঝারি অনেক নেতাই গত এক বছরে নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় আটক হয়েছেন। পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন, সেই সময়কার একাধিক শিক্ষা আধিকারিককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এই দুর্নীতির জাল যে অনেক দূর পর্যন্ত রয়েছে তা স্বীকার করে নিচ্ছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা (Recruitment Scam)। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার সন্দেহে ১২৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘সাগরদিঘিতে জিততে পারেনি, ধূপগুড়িতেও পারবে না’, তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘সাগরদিঘিতে জিততে পারেনি, ধূপগুড়িতেও পারবে না’, তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল মানেই চোর, আর এই দলটার নাম এখন তৃণমূল নয়, তোলামূল। ধূপগুড়িতে নির্বাচনী সভা করতে এসে তৃণমূলকে এই ভাষাতেই বিঁধলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে যেভাবে মানুষকে ভোট দিতে না দিয়ে ভোট লুট করেছে, এবারের নির্বাচনে মানুষ তার জবাব দেবে। আগামী লোকসভা ভোটেও মানুষ জবাব দেবে। সাগরদিঘিতে ভোট হয়েছিল জিততে পারেনি, এখানেও পারবে না। বুধবার বিকেলে ধূপগুড়ি শহরে শুভেন্দু অধিকারী দলীয় প্রার্থী তাপসী রায়কে সঙ্গে নিয়ে একটি র‍্যালি করেন। র‍্যালিটি গোটা ধূপগুড়ি শহর পরিক্রমা করে নেতাজিপাড়ার সভাস্থলে গিয়ে শেষ হয়। র‍্যালিতে প্রচুর কর্মী সমর্থক অংশ নিয়েছিলেন।

    অভিষেককে নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    এদিন সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলকে এক হাত নিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, এই দলের প্রধান কাজ হলো চুরি। কীভাবে সাধারণ মানুষের টাকা মেরে দিয়ে নিজেদের পকেট ভর্তি করা যায় সেটাই মূল উদ্দেশ্য। নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চোর আখ্যা দিয়ে বলেন, বালি,পাথর, কয়লা গরু,চাকরি চুরি তো করেইছেন। গরিব মানুষের আবাস যোজনার টাকাও ছাড়েননি। প্রায় ৫০ লক্ষ আবাস যোজনার টাকা দেওয়া হয়েছে সেখানে ধূপগুড়িও ছিল। কিন্তু, ধূপগুড়ির মানুষও এই প্রকল্পের টাকা পান নি। সভায় বক্তব্য রাখার মাঝখানেই কর্মী সমর্থকরা তৃণমূলের নামে চোর চোর স্লোগান তোলেন।

    ধূপগুড়িবাসীকে কী বার্তা দিলেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    ধূপগুড়িবাসীর প্রতি আবেদন রেখে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, যদি তৃণমূল জেতে তাহলে চোরেরা জিতবে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়,অনুব্রত মণ্ডল, মানিক ভট্টাচার্যরা জিতবে। তাই, এই চোরেদের কোনওভাবেই ভোট না দিতে সকলের কাছে আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, এই চোরেদের সর্দার কিছুদিনের মধ্যেই জেলে যাবে। রাজ্যের মানুষ এদের প্রত্যাখ্যান করেছে। মানুষ বুজে গেছে। এখন অপেক্ষা শুধু ফলাফলের। এদিন এই সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার, শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ সহ অন্যান্য জেলা নেতারা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim medinipur: পশ্চিম মেদিনীপুরে তিনটি দলীয় কার্যালয়ে তালা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Paschim medinipur: পশ্চিম মেদিনীপুরে তিনটি দলীয় কার্যালয়ে তালা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনটি দলীয় কার্যালয় কার দখলে থাকবে, অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি, না অঞ্চল তৃণমূলের সহ-সভাপতির। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই প্রকাশ্যে চলে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। তৃণমূল কার্যালয়ে তালা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের অঞ্চল সহ সভাপতি ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় শোরগোল পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার চন্দ্রকোনা-২ নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর-২ পঞ্চায়েত এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Paschim Medinipur)

    পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) চন্দ্রকোণা-২ ব্লকের ভগবন্তপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে একটি বিবাদ রয়েছে। মূলত অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় ও  অঞ্চল কমিটির সহ-সভাপতি  তথা ভগবন্তপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ইসমাইল খানের মধ্যে বিবাদ লেগেই রয়েছে। জানা যায়, দলীয় নির্দেশকে মান্যতা না দিয়েই গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভোটাভুটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এগিয়ে থাকা ইসমাইল অনুগামীরা গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে প্রধান নির্বাচিত করেন। মূলত নির্দলদের সমর্থন নিয়ে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। তারপর থেকেই এলাকায় রয়েছিল চাপা উত্তেজনা। আর মঙ্গলবার ইসমাইল অনুগামীরা নির্দলের জয়ী সদস্যকে নিয়ে এলাকায় একটি মিছিল করেন। আর সেই মিছিলের পরেই তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়গুলি দখলের অভিযোগ তুলছে তৃণমূলের রামকৃষ্ণ রায়ের অনুগামী তথা তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। ভগবম্তপুর দুই পঞ্চায়েত এলাকার কল্লা, খুড়শি, ভগবন্তপুরে  তিনটি তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় রয়েছে। তিনটি কার্যালয় দখলের অভিযোগ জয়ী নির্দল কর্মীদের বিরুদ্ধে। পাল্টা তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলল নির্দল কর্মীরা। তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় তালা দেওয়ার ঘটনায় নির্দলদের মদত দেওয়ায় নাম জড়াল। এলাকার তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের অভিযোগ, তৃণমূলের যে দুটি দলীয়  বুথ কার্যালয় ও একটি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় ছিল। মঙ্গলবার রাতে সেই কার্যালয়ে তালা দিয়ে দিয়েছে নির্দল কর্মীরা। এলাকার কিছু সিপিএমের কর্মী সমর্থকরা নির্দলদের সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলের কিছু নেতাদের মদতে এই কার্যালয়গুলিকে দখল করে নিয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূলের অঞ্চল  সভাপতি?

    তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, নির্দলের সমর্থন নিয়ে তৃণমূলের একাংশ বোর্ড গঠন করেছে। তৃণমূলের একটি অংশের সমর্থনে এই এলাকায় নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়েছে। তারা মিছিল করে আমাদের দলীয় কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছে।

    কী বললেন অঞ্চল তৃণমূলের সহ সভাপতি?

    তৃণমূলের সহ সভাপতি ইসমাইল খান বলেন, নির্দলরা কেউ ছিল না। সকলেই দলের কর্মী। অঞ্চল সভাপতি দলীয় কার্যালয় তালা দিয়েছিলেন। কর্মীরা তা মানেনি। তালা ভেঙে দলীয় কর্মীরা পার্টি অফিসে ঢুকেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: পুর নিয়োগ দুর্নীতি! ইডির নোটিশের উত্তর পাঠাল ডায়মন্ডহারবার পুরসভা

    ED: পুর নিয়োগ দুর্নীতি! ইডির নোটিশের উত্তর পাঠাল ডায়মন্ডহারবার পুরসভা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে ডায়মন্ডহারবার পুরসভার নাম আগেই জড়িয়েছিল বলে জানা গিয়েছে (ED)। তদন্তের স্বার্থে পুরসভাকে বেশ কিছু প্রশ্ন সম্বলিত নোটিশ পাঠিয়েছিল ইডি। এবার সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর ইডিকে পাঠালো পুরসভা। জানা গিয়েছে, ইডির (ED) প্রশ্ন ছিল যে কতজনকে নিয়োগ করা হয়েছিল? পাশাপাশি তাঁদের নাম, ঠিকানা সহ অন্যান্য তথ্যও চেয়ে পাঠানো হয়েছিল নোটিশে। সেই সমস্ত প্রশ্নেরই উত্তর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডায়মন্ডহারবার পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান প্রণব দাস।

    ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে ১৬ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয় পুরসভায়

    প্রসঙ্গত ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে ১৬ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয় পুরসভায় (ED)। অভিযোগ, এই নিয়োগের জন্য প্রশ্নপত্রের তৈরি করে অয়ন শীলের সংস্থা। চেয়ারম্যানের অবশ্য দাবি যে অয়ন শীলকে তিনি চিনতেন না এবং পুরসভার ব্যবস্থাপনাতেই পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়। চেয়ারম্যানের আরও দাবি, স্বচ্ছভাবেই ১৬ জনকে নিয়োগ করা হয়। জানা গিয়েছে যাঁদের নিয়োগ (ED) করা হয় তাঁরা প্রত্যেকেই ওই পুরসভার অস্থায়ী কর্মী ছিলেন। জানা গিয়েছে ওই ১৬ জনের মধ্যে ৩ জন বহিরাগত এবং বাকি ১৩ জন স্থানীয়। তখন পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন শহরের ১০ নম্বরের ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মীরা হালদার।

    কী বলছেন পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান মীরা হালদার?

    পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান মীরা হালহার অবশ্য দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন (ED)। তিনি বলেন, ‘‘২০১৬-২০১৭ সালের মধ্যে ওই নিয়োগ হয়েছে। তারিখটা সঠিক বলতে পারব না। তবে নিয়োগ স্বচ্ছ ভাবেই হয়েছে। বোর্ড অফ কাউন্সিল বৈঠক করে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। এর পর একটি এজেন্সির মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া হয় (ED)।’’ মীরাদেবীর আরও সংযোজন, ‘‘টেন্ডারের মাধ্যমে একটি সংস্থাকে পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাতে অয়ন শীল বলে কে আছেন কিংবা না আছেন, তা জানা সম্ভব ছিল না।’’  প্রসঙ্গত শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি তদন্ত করতে গিয়েই উঠে আসে অয়ন শীলের নাম এবং সেখান থেকেই সন্ধান মেলে রাজ্যে ৬০ পুরসভায় পুর নিয়োগ দুর্নীতির (ED)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Robbery: রানাঘাটে সেনকো গোল্ড-এর শো-রুমে ডাকাতিকাণ্ডে বিহারের গ্যাং জড়িত, ধৃত ৫

    Robbery: রানাঘাটে সেনকো গোল্ড-এর শো-রুমে ডাকাতিকাণ্ডে বিহারের গ্যাং জড়িত, ধৃত ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার রানাঘাটে সেনকো গোল্ডে ডাকাতির (Robbery) ঘটনায় বিহারের গ্যাংয়ের যোগ পেল পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ৫ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সোনার দোকানে ডাকাতি করার আগে রেইকি করেছিল দুষ্কৃতীরা। ডাকাতি করার পর কোন রাস্তা ধরে পালাবে তার রুটম্যাপও তারা তৈরি করে নিয়েছিল। কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না। চেনা ছকে ডাকাতি করে যাওয়ার পথেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে যায় চারজন। পরে, আরও একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্যদিকে, পুরুলিয়া ডাকাতিকাণ্ডে ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও কেউ গ্রেফতার হয়নি।

    বিহার থেকে দুষ্কৃতীরা ডাকাতি (Robbery) করতে কবে এসেছিল?

    এক মাস ধরে কল্যাণীতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতো রানাঘাটের সোনার দোকানে ডাকাতি (Robbery) করা দুষ্কৃতীরা। নদিয়ার কল্যাণী থানার বি ব্লকের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল তারা। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ধৃত পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই উঠে এসেছে নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রতিবেশীরা বলছেন, প্রায় একমাস আগে তারা এসেছিল। দুটো ঘর ভাড়া নেয়। কিন্তু, কী কাজ করতো তা আমরা কেউ জানতাম না। তারা নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলতো, আসা-যাওয়া করতো এবং দুটি বাইকও ছিল তাদের। কিন্তু, রানাঘাটে ডাকাতির ঘটনার পরেই এখন কল্যাণীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা রয়েছেন রীতিমতো আতঙ্কে। তবে দুষ্কৃতীদের ভাড়া নেওয়া ঘর দুটি সিল করেছে পুলিশ।

    ডাকাতি নিয়ে কী বললেন মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের ডিআইজি?

    এ বিষয়ে মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের ডিআইজি রশিদ মুনির খান বলেন, মূলত এই ডাকাতির (Robbery) ঘটনায় মোট আটজনের একটি টিম ছিল। প্রত্যেকে বিহারের বাসিন্দা। স্থানীয় একজন বিহারী প্রথমে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যায়। তারপর এই দুষ্কৃতী টিমকে বিহার থেকে ডেকে আনে। মঙ্গলবার দুপুর তিনটে নাগাদ তারা ক্রেতা সেজে শোরুমে ঢোকে। তাদের প্রত্যেকের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। খবর পেয়ে কুড়ি মিনিটের মধ্যে আমাদের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ওরা গুলি ছোড়ে। তাদেরকে তাড়া করে আমাদের পুলিশও পাল্টা ফায়ারিং করা শুরু করে। এরপর দুইজনের পায়ে গুলি লাগে। তাদের কাছ থেকে মোট চারটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে এবং ২২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এক কোটি টাকা সোনার গয়না, নগদ সাড়ে তিন লক্ষ টাকা, কিছু অবৈধ বাইকের নম্বর প্লেট এবং আধার কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: উপ নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে আরও ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ধূপগুড়িতে

    Jalpaiguri: উপ নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে আরও ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ধূপগুড়িতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধূপগুড়ি (Jalpaiguri) উপ নির্বাচনে আরও ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার কমিশন জেলা নির্বাচনী আধিকারিক অর্থাৎ জেলাশাসককে একটি  চিঠি দিয়ে এই কথা জানিয়েছে। বাহিনী নিয়ে শাসক-বিরোধীদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা।

    ধূপগুড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Jalpaiguri)

    উপ নির্বাচন (Jalpaiguri) উপলক্ষ্যে ১৫ দিন আগেই ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী জলপাইগুড়িতে এসেছে। যার মধ্যে ধূপগুড়ি বিধানসভা এলাকায় ১৪ কোম্পানি এবং কোতোয়ালিতে ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হয়েছে। ধূপগুড়ি বিধানসভা এলাকায় ১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী বিভিন্ন জায়গায় রুট মার্চ করছে। বাকি এক কোম্পানি জলপাইগুড়ি সদরে রাখা হয়েছে। যেখানে ডিসিআরসি এবং স্ট্রং রুম করা হয়েছে সেই সব জায়গায়। এবার আরও ১৫ কোম্পানি বাহিনী আসছে বলে জাতীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রে জেলা নির্বাচনী আধিকারিককে জানানো হয়েছে।

    জেলাশাসকের বক্তব্য

    জলপাইগুড়ির জেলাশাসক (Jalpaiguri) তথা নির্বাচনী আধিকারিক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, মঙ্গলবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বাড়তি ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার চিঠি পেয়েছি। এই বাহিনী কোথায় কোথায় দেওয়া হবে, সেটা নির্বাচনী পর্যবেক্ষক এবং পুলিশ মিলে ঠিক করবে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূলের জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজেশ সিং জানান, যতই কেন্দ্রীয় বাহিনী আসুক তাতে কোনও লাভ হবে না। এটা কেন্দ্রীয় সরকারের একটা ব্যর্থ চেষ্টা। মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে, যাতে মানুষ ভোট না দিতে পারে, তারই একটা কৌশল। কিন্তু সাধারণ মানুষ দু’হাত তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আশীর্বাদ করবে। আগামী ৮ তারিখ ভোটের ফল প্রকাশ হলে তাতে প্রমাণ হয়ে যাবে।

    বিজেপির বক্তব্য

    অন্যদিকে বিজেপির জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে সন্ত্রাস মানুষ দেখেছে, সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারেনি। সেই কারণেই এত কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হচ্ছে ৷ ভোটকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও রকম রিগিং, গন্ডগোল বা ভোট লুটের ঘটনা না ঘটে, তার জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশন এই পদক্ষেপ নিচ্ছে।” পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যাতে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, তার জন্যই কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হচ্ছে। ধূপগুড়ি বিধানসভা এলাকায় মোট ২৬০ টি পোলিং বুথ রয়েছে। নির্বাচনকে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আসা হয়েছে বলে মনে করছে রাজনীতির একাংশ মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদের তিনটি জায়গা থেকে বিপুল পরিমাণে বোমা উদ্ধার, চাঞ্চল্য

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদের তিনটি জায়গা থেকে বিপুল পরিমাণে বোমা উদ্ধার, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডের পর নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন। জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে পুলিশি অভিযান। পুলিশি অভিযানেই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) একাধিক জায়গা থেকে বিপুল পরিমাণে উদ্ধার হল বোমা। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। কে বা কারা বোমা মজুত করেছিল তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

    কত বোমা বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ? (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় প্রায় দিনই বোমা উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে। মঙ্গলবারই সূতির শাহজাদপুরে একটি বাড়ির পিছন থেকে বালির স্তূপের মধ্যে চার জার ভর্তি বোমা উদ্ধার  করে পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা যায়। বোমা বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। এছাড়াও সালার এবং ভরতপুরে বুধবার সকালে বেশ কয়েকটি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। লোহাদা গ্রামের ঘোষ পুকুরে পাড়ে জঙ্গলের ভিতর একটি ব্যাগের মধ্যে থেকে প্রায় ৬টি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। এই বোমাগুলি ব্যাগের ভিতর কাঠের গুঁড়ো দিয়ে ঢাকা ছিল বলে জানা যায়। একই দিনে সালারের ধনডাঙা গ্রামের পুকুর পার থেকে পুলিশ আটটি বোমা উদ্ধার করে। এই বোমগুলি নিষ্ক্রিয় করার জন্য বোম স্কোয়ার্ডকে ডাকা হয়েছে বলে জানা যায়। মুর্শিদাবাদ জেলায় পঞ্চায়েত ভোট শুরু হওয়ার আগে থেকে প্রতিনিয়ত চলছে বোমা উদ্ধার, বোমাবাজি এবং এই বোমের আঘাতে মানুষের মৃত্যুও ঘটেছে। দুদিন আগেই খড়গ্রামের তেজপাড়া মাঠে ব্যাপক বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা পুলিশকে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। এরপরে আরব শেখ নামে এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপরই জেলায় বিপুল পরিমাণে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

    বোমা উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    কিছুদিন আগে বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেছিলেন, মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা বারুদের উপর দাঁড়িয়ে আছে। যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিজেপি নেতা লাল্টু দাস বলেন, তৃণমূলের দৌলতেই এসব বোমা মজুত রয়েছে। শুধু বোমা উদ্ধার করলেই হবে না, বোমা মজুতকারীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: সবুজের মাঝে বয়ে চলেছে ছোট্ট নদী ঝোড়! শান্তির নয়া ঠিকানা নদিয়ার ‘আসান নগর’

    Nadia: সবুজের মাঝে বয়ে চলেছে ছোট্ট নদী ঝোড়! শান্তির নয়া ঠিকানা নদিয়ার ‘আসান নগর’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরের কোলাহল, নিরন্তর পরিবেশ দূষণের করাল গ্রাস থেকে মুক্তি পেতে যাঁরা দু’দণ্ড কোলাহল-বর্জিত, দূষণমুক্ত, সবুজ গ্রাম্য পরিবেশে দুটো দিন অবকাশ বিনোদন করতে চান, তাঁদের কাছে অচিরেই অন্যতম প্রিয় স্পট হয়ে উঠতে পারে নদিয়া জেলার প্রায় একদম নতুন পর্যটন কেন্দ্র ‘আসান নগর’ (Nadia)। চারদিকে ঘন সবুজের সমারোহ, মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে এক ছোট্ট নদী। শুরুতে এই নদীর নাম কলিঙ্গ, শেষ অংশের নাম পলদা, আর যে অংশটি আসান নগরের মধ্য দিয়ে গেছে, সেই অংশটির নাম ঝোড়।

    শতাব্দী প্রাচীন শিবমন্দির, আশ্চর্য্য বটগাছ, নীলকুঠির ভগ্নাবশেষ (Nadia)

    এখানে এলে অবশ্যই দর্শন করে নিন প্রায় ৮ কিমি দূরের ‘শিবনিবাস’। কথিত আছে, মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের পুত্র শিবচন্দ্রের নাম থেকেই জায়গার নাম হয়েছে ‘শিবনিবাস’। এখানে রয়েছে মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের তৈরি দুটি মন্দির। একটি মন্দির রাম-সীতার, অপরটিতে রয়েছে বিশাল এক শিবলিঙ্গ। শতাধিক বছরের সুপ্রাচীন এই মন্দিরগুলি আজও বাংলার প্রাচীন শিল্পশৈলীর সাক্ষ্য বহন করে চলেছে। আসান নগর (Nadia) থেকে প্রায় ১৩-১৪ কিমি দূরে পাগলাখালি। এখানেও নদীর তীরে রয়েছে এক শতাব্দী প্রাচীন শিবমন্দির। প্রত্যেক সোম ও বৃহস্পতিবার এখানে বসে লঙ্গরখানা। হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয় তখন। প্রত্যেক বুধ ও রবিবার হাট বসে আসান নগরের চাঁদপুরে। এই গ্রাম্য হাটটিও দেখার মতো। আসান নগরের খুব কাছেই আছে এক আশ্চর্য্য বটগাছ। প্রায় তিন একর জায়গার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা এই শতাধিক বছরের প্রাচীন বটগাছটির কোনটা যে আসল গুঁড়ি, আর কোনটা যে গাছের ডাল থেকে নেমে আসা প্রাচীন ঝুড়ি, বোঝা দায়। প্রত্যেক শীতকালে এখানে রং-বেরঙের পাখিদের মেলা বসে। আশান নগরে এখনও রয়েছে কিছু নীলকর সাহেবদের নীলকুঠির ভগ্নাবশেষ।

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন (Nadia)?

    আসান নগর (Nadia) আসার জন্য শিয়ালদা থেকে ট্রেন ধরে আসতে হবে কৃষ্ণনগর অথবা শিয়ালদা-গেদে লোকাল ট্রেনে এসে নামতে হবে মাজদিয়া স্টেশনে। কৃষ্ণনগর থেকে আশান নগরের দূরত্ব প্রায় ১২ কিমি আর মাজদিয়া থেকে প্রায় ১০ কিমি। দুটি জায়গা থেকেই আসান নগর আসতে হবে অটো কিংবা গাড়িতে। এখানে থাকা-খাওয়ার জন্য আছে একটি মাত্র হোম স্টে, “প্রাকৃত হোম স্টে’। এখানে থাকা-খাওয়া ছাড়া আশপাশ ঘুরে দেখারও ব্যবস্থা আছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Duttapukur: দত্তপুকুরে তিন ট্রাক বোঝাই বেআইনি বাজি বাজেয়াপ্ত, গ্রেফতার ২

    Duttapukur: দত্তপুকুরে তিন ট্রাক বোঝাই বেআইনি বাজি বাজেয়াপ্ত, গ্রেফতার ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দত্তপুকুরের (Duttapukur) মোচপোলে বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছে ৯ জন। তালিকায় শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই রয়েছেন। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মৃতের সংখ্যাটা অনেক বেশি। মঙ্গলবারই বিস্ফোরণস্থলের পাশে দুটি গোডাউন থেকে প্রায় ১৩ হাজার বাজি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। তারপরও বেপরোয়া অসাধু ব্যবসায়ীরা। এবার এসটিএফের হাতে মঙ্গলবার রাতে আমডাঙা এলাকা থেকে আটক হল বাজি বোঝাই ৩ টি ট্রাক।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Duttapukur)  

    দত্তপুকুরে (Duttapukur) ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান শুরু করেছে। আর তাতেই বেআইনি বাজি কারবারিদের মাথ হাত পড়েছে। মোচপোলে মঙ্গলবার ১৩ হাজার কেজি বাজি বাজেয়াপ্ত হতেই রাতের অন্ধকারে বেআইনি বাজি পাচার করার চেষ্টা করছিল একদল অসাধু ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার রাতে মজুত করা বাজি পাচারের আগেই  তিনটি ফুল পাঞ্জাব ট্রাক সহ একজন বাজি ব্যবসায়ী ও একজন ট্রাক মালিককে গ্রেফতার করল রাজ্য এসটিএফ। জানা গিয়েছে, ট্রাক ভর্তি করে বাজি নিয়ে পালানোর সময় বেড়াবেড়িয়া এলাকায় একটি ওজন পরিমাপের কেন্দ্র ধরমকাঁটায় ট্রাকে তিনটি আস্তরণ দিয়ে ঢাকা ছিল এই বেআইনি বাজিগুলি। সেখানে ওজন করা হচ্ছিল বাজি ভর্তি ট্রাকের। খবর পেয়ে এসটিএফ আধিকারিকরা সেখানে হানা দেয়। ট্রাকের ঢাকা সরাতেই চক্ষু চড়কগাছ এসটিএফ আধিকারিকদের। ৩ টি ট্রাকেই প্রচুর নিষিদ্ধ বাজি যা বাজেয়াপ্ত করে বাজি ব্যবসায়ী বিমল ধারা ও ট্রাক মালিক সরিফ আলিকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি মোচপোলের বাজি বিস্ফোরণের দুদিন পরে অবৈধ কারবারিরা লাগোয়া এলাকা থেকে ট্রাক ভর্তি করে বাজি নিয়ে পালাতে গিয়ে ধরা পড়ে যায়। এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাজি ভর্তি ট্রাক রাখা থাকলেও ড্রাইভার ও খালাসি ট্রাক রেখে পালিয়ে যায়। এই চক্রের সঙ্গে আর কে কে জড়িত রয়েছে তার খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে এসটিএফ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share