Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Awas Yojana scheme: আবাস যোজনায় ফের ‘দুর্নীতি’! জেলায় জেলায় ব্যাপক ক্ষোভ ‘বঞ্চিতদের’, মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    Awas Yojana scheme: আবাস যোজনায় ফের ‘দুর্নীতি’! জেলায় জেলায় ব্যাপক ক্ষোভ ‘বঞ্চিতদের’, মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার আবাস যোজনায় (Awas Yojana scheme) নতুন করে দুর্নীতির অভিযোগ দেগঙ্গায়। গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে রাজ্যের আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা। ঘটনা ঘটেছে দেগঙ্গা থানার বেড়াচাঁপা ২ পঞ্চায়েতের পশ্চিম যাদবপুর গ্রামে। মূলত আবাস যোজনার সমীক্ষা করতে গেলে দুর্নীতির ইস্যুতে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা ব্যাপক ক্ষোভের মুখে পড়েন। ঘটনায় তৃণমূল অত্যন্ত চাপের মুখে। পাল্টা বিজেপি এক হাত নিয়েছে চুরি নিয়ে। উল্লেখ্য একই ভাবে সোমবারও পুরুলিয়া-জলপাইগুড়ি-বীরভূমে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছিল।

    যাঁদের বাড়ি দরকার তাঁদের বাড়িতে সমীক্ষা হয়নি (Awas Yojana scheme)

    মমতা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আবাস যোজনার (Awas Yojana scheme) পরিকল্পনায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। ক্যাগ রিপোর্টের ভিত্তিতে স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে যে, তৃণমূল সরকার আবাস যোজনায় প্রচুর পরিমাণে আর্থিক নয়-ছয় করেছে। লোকসভার ভোটের প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একাধিক বার আবাসে আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে মমতাকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন। দুর্নীতির কারণে রাজ্যের বরাদ্দ অর্থও কমিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্র।

    মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনায় সমীক্ষার কাজে গেলে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা ক্ষোভের মুখে পড়েন। স্থানীয়দের বক্তব্য, “তৃণমূলের নেতারা মানুষের ন্যায্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত করেছে। প্রকৃত প্রাপকরা নিজেদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের কারণে। যাঁদের বাড়ি দরকার তাঁদের বাড়িতে সমীক্ষা হয়নি। যাঁদের দুটো তিনটে বাড়ি আছে তাঁদের বাড়িতেই সমীক্ষা করেছে রাজ্য সরকারের জনপ্রতিনিধি এবং আধিকারিকরা। প্রকল্পের সুবিধা থেকে গরিবদের বঞ্চনা করা হয়েছে।” এক সরকারি আধিকারিক বলেন, “পুরনো তালিকা অনুযায়ী আবাসের (Awas Yojana scheme) সমীক্ষা হচ্ছে। তালিকা চূড়ান্ত হলে সব কিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে।” 

    পুরুলিয়া-জলপাইগুড়ি-বীরভূমে ব্যাপক ক্ষোভ

    একই ভাবে পুরুলিয়া জেলার মানবাজার ১ ব্লকে বিক্ষোভ দেখান মহিলারা। অভিযোগে ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত সোনাইজুড়ি পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে দেন। আবার পঞ্চায়েতকে অন্ধকারে রেখে সরকারি সমীক্ষা করছেন বলে অভিযোগ তুলে কয়েকদিন আগে তৃণমূল পরিচালিত বাঘমুণ্ডি ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত অযোধ্যায় তালা ঝুলিয়ে দেন দলেরই কর্মীরা। আবার জলপাইগুড়ির সদর ব্লকে আরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের করলাভ্যালি চা বাগানের শ্রমিক মহল্লার বঞ্চিতরা বিডিও-র দ্বারস্থ হয়ে দ্রুত সমাধানের দাবি করেন। অন্যদিকে, বীরভূমের ইলামবাজারের মঙ্গলডিহি পঞ্চায়েতের সামনে আবাস যোজনার সমীক্ষা চালাতে গিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন ব্লকের আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুনঃ কালীপুজোয় আরও রাত পর্যন্ত চলবে মেট্রো, কবি সুভাষ-দক্ষিণেশ্বর রুটের সূচি পরিবর্তন

    শুভেন্দুর তোপ

    আসানসোলে একটি কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আবাসে ব্যাপক রাজনীতি হচ্ছে। তৃণমূল অনেকদিন খেতে পায়নি। তাই প্রকল্প বিক্রি করতে পথে নেমেছে। প্রথমত এই তালিকাতেই কয়েক লক্ষ যোগ্য লোকের নাম নেই ৷ দ্বিতীয়ত, যে নাম এসেছে, অধিকাংশই তৃণমূল কংগ্রেসের লোকেদের নাম৷ যাঁদের পাকাবাড়ি (Awas Yojana scheme) আছে, পাওয়ার যোগ্য নয়৷ আমি অন্তত ১০০টা ছবি দেখাতে পারি।”

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Metro: কালীপুজোয় আরও রাত পর্যন্ত চলবে মেট্রো, কবি সুভাষ-দক্ষিণেশ্বর রুটের সূচি পরিবর্তন

    Kolkata Metro: কালীপুজোয় আরও রাত পর্যন্ত চলবে মেট্রো, কবি সুভাষ-দক্ষিণেশ্বর রুটের সূচি পরিবর্তন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোয় বিশেষ মেট্রো ট্রেন চালানোর কথা ঘোষণা করেছে কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro)। দর্শনার্থীদের যাতে ঠাকুর দর্শন এবং বাড়ি ফিরতে অসুবিধা না হয় সেই জন্য রাত ১১টা পর্যন্ত মিলবে পরিষেবা। কলকাতা শহর এবং শহরতলির প্রচুর মানুষ কালীপুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন। বড় বড় ক্লাব এবং প্রসিদ্ধ মন্দিরস্থল দর্শন করে থাকেন ভক্তরা। রাত পর্যন্ত বাড়ি ফিরতে যাতে অসুবিধা না হয়, তাই কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত মেট্রোর সময়সূচির পরিবর্তন করা হয়েছে।

    কালীঘাট-দক্ষিণেশ্বরে ভক্তদের ব্যাপক লাইন পড়ে (Kolkata Metro)

    দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোতেও (Kolkata Metro) ব্যাপক ভিড় হয় দর্শনার্থীদের। বিশেষ করে কালীঘাট এবং দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ভক্তদের প্রচুর লাইন পড়ে। এবার যাতে ভক্তদের ভিড়ে অসুবিধা না হয় তাই গভীর রাত পর্যন্ত মেট্রো ট্রেনের সূচিতে বদল করা হয়েছে। মেট্রো জানিয়েছে, কালীপুজোর রাতে চার জোড়া বিশেষ মেট্রো ট্রেন চলবে। বৃহস্পতিবার রাতে কালীপুজো পড়েছে তাই শহরের কিছু বিখ্যাত ঠাকুর দেখার জন্য বিশেষ পরিষেবা দেওয়া হবে। সাধারণ দিনে কবি সুভাষ এবং দক্ষিণেশ্বর থেকে শেষ মেট্রো ছাড়া হয় ৯টা ৪০ মিনিটে। কিন্তু কালীপুজোর দিনে এই দুই স্টেশন থেকে আরও রাত পর্যন্ত অতরিক্ত দুটো করে মোট চারটি ট্রেন চলবে।

    আরও পড়ুনঃ ‘‘পুরো সিস্টেমেই মরচে ও পচন’’, এসএসকেএমের কাঁচিকাণ্ডে মমতাকে কাঠগড়ায় তুললেন শুভেন্দু

    কোন কোন সময়ে চলবে মেট্রো

    মেট্রোর (Kolkata Metro) বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ৯টা ৪০ মিনিটের পর রাত ১১টা পর্যন্ত, ২০ মিনিট অন্তর অন্তর স্পেশ্যাল মেট্রো চলবে। কবি সুভাষ থেকে যে চারটি বিশেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ১০টা, ১০টা ২০ মিনিট, ১০টা ৪০ মিনিট এবং ১১টায়। অপর দিকে দক্ষিণেশ্বর থেকে স্পেশ্যাল মেট্রো ছাড়বে রাত ৯টা ৪৮ মিনিট, ১০টা ০৮ মিনিট, ১০টা ২৮ মিনিট এবং ১০টা ৪৮ মিনিটে। তবে কালীপুজোতে শিয়ালদা থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত গ্রিন লাইনে অন্যান্য দিনের তুলনায় কম মেট্রো চলবে। এই লাইনে শিয়ালদা থেকে প্রথম ট্রেন চলবে সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে। একই ভাবে সেক্টর ফাইভ থেকে ৭টা ৫ মিনিটে প্রথম ট্রেন চলবে। অন্যান্য দিন ওই লাইনে আপ-ডাউন মিলিয়ে ১০৬টি ট্রেন চলে। কিন্তু বৃহস্পতিবার গ্রিন লাইনে ৯০টি ট্রেন চলবে। তবে প্রথম এবং শেষ মেট্রোর সময় সূচিতে তেমন পরিবর্তন হয়নি। পার্পেল লাইন, অরেঞ্জ লাইনে তেমন কিছু বদল নেই। একইভাবে মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, “মেট্রোতে কোনও ভাবেই আতশবাজি বা দাহ্য পদার্থ বহন করা যাবে না।”

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: বারবার দাবি জানিয়েছিল বিজেপি, অবশেষে শালতোড়া বিস্ফোরণের তদন্তে এনআইএ

    NIA: বারবার দাবি জানিয়েছিল বিজেপি, অবশেষে শালতোড়া বিস্ফোরণের তদন্তে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার শালতোড়ায় বাইকে বিস্ফোরণের ঘটনায় জেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছিল। বিস্ফোরণের রহস্য এখনও উদঘাটন হয়নি। এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছিল বিজেপি। বিস্ফোরণের সঠিক কারণ খুঁজতে এনআইএ দিয়ে তদন্ত করার জন্য বার বার দাবি জানিয়েছিল বিজেপি। বিজেপির সেই দাবিকে মান্যতা দিয়ে এবার এই বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করল এনআইএ (NIA)।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (NIA)

    জানা গিয়েছে, গত ৩০ অগাস্ট রাতে প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল বাঁকুড়ার (Bankura) শালতোড়া থানার লাপাহাড়ি এলাকা। ঘটনায় মৃত্যু হয় জয়দেব মণ্ডল নামে এক বাইক আরোহীর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয় এলাকায়। শোরগোল পড়ে যায় প্রশাসনিক মহলে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই বাইক আরোহীর বাড়ি শালতোড়া থানারই ঝনকা এলাকায়। বাইকে চড়ে শালতোড়া থানার লাপাহাড়ি এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় তার বাইকে এই বিস্ফোরণ ঘটে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা প্রথমে শালতোড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কিন্তু, কীভাবে ওই বিস্ফোরণ ঘটল, ওই ব্যক্তি বাইকে করে বিস্ফোরক বহন করছিলেন কিনা তা নিয়ে এতদিন তদন্ত করছিল পুলিশ। এবার সেই তদন্তভার নিজেদের হাতে নিল এনআইএ।

    আরও পড়ুন: এআই ব্যবহার করেই কাশ্মীরে নিকেশ ৩ জঙ্গি, রহস্য ফাঁস করল সেনা

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    এদিকে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেই সময় রাজনৈতিক মহলে বিস্তর চাপানউতোরও হয়। এনআইএ (NIA) তদন্তের দাবিতে পথে নামে বিজেপি। বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এলাকায় অবৈধ খননকাজের জন্যই বাইকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ডিনামাইটের মতো ভয়ঙ্কর বিস্ফোরক। স্পষ্ট অভিযোগ ছিল বিরোধী দলনেতার। শেষ পর্যন্ত এনআইএ মাঠে নামায় তদন্ত সঠিক পথে এগোবে বলে মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, পুলিশ এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করেনি। কী কারণে বিস্ফোরণ হল এখনও পরিষ্কার নয়। এনআইএ তদন্তে সব কিছু এবার প্রকাশ্যে আসবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘পুরো সিস্টেমেই মরচে ও পচন’’, এসএসকেএমের কাঁচিকাণ্ডে মমতাকে কাঠগড়ায় তুললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘পুরো সিস্টেমেই মরচে ও পচন’’, এসএসকেএমের কাঁচিকাণ্ডে মমতাকে কাঠগড়ায় তুললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাতেই মরচে ও পচন ধরেছে, এমনই অভিমত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। এসএসকেএম হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগের অপারেশন থিয়েটারে রোগীর পেট কাটতে গিয়ে মরচে ধরা কাঁচি ভেঙে যাওয়ার অভিযোগে সরব শুভেন্দু। শহরে একটি কালীপুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে তুলোধনা করেন বিরোধী দলনেতা। 

    কী বললেন শুভেন্দু

    রবিবার এসএসকেএম হাসপাতালে এক অন্তঃসত্ত্বার অস্ত্রোপচার করার সময় চিকিৎসক দেখতে পান যে হাতের কাঁচি জং ধরা। জানা গিয়েছে, সদ্য মেডিক্যাল স্টোর থেকে নতুন কাঁচি হিসেবেই এগুলোকে পাঠানো হয়েছে। এই জং ধরা কাঁচি অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারত ওই প্রসূতির অপারেশনে। নতুন স্টকের যে ক’টি কাঁচি বা সিজার এসেছে তার সবকটিতেই পুরনো জং ধরা কাঁচিতে রঙের প্রলেপ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ, চিকিৎসক সংগঠনের। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘পুরো সিস্টেমেই মরচে ও পচন ধরে গিয়েছে। ভালো ভালো যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য সামগ্রী আরজি কর হাসপাতাল থেকে বের করে নিয়ে গিয়ে নেতাদের হাসপাতালে পাঠানো এবং সেই শাসক ঘনিষ্ঠ হাসপাতাল বা নার্সিংহোমগুলোর পচা এবং বাতিল যন্ত্রপাতি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে এলে এই অবস্থাই হবে। জং ধরা কাঁচি পাওয়া গিয়েছে এরপর আরও অনেক কিছুই পাওয়া যাবে।’’

    আরও পড়ুন: প্রকৃতিবান্ধব দীপোৎসব, লক্ষাধিক ভক্ত সমাগম! নিরাপত্তার চাদরে মোড়া অযোধ্যা

    স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে গিলোটিনে তোলা হয়েছে

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কথায়, এসএসকেএম নিয়ে একসময় গর্ব হতো, এখন বেহাল দশা। তিনি বলেন, ‘‘জং ধরা কাঁচি পাওয়া যাচ্ছে এসএসকেমে, যাকে নিয়ে আমরা গর্ব করি, যে পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে ভালো হাসপাতাল। আমাদের তো বলার কিছু নেই। ১৩ বছর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় স্বাস্থ্য বাজেট হয় না। এরাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে গিলোটিনে পাঠানো হয়েছে। এজন্য দায়ী রাজ্যের অপদার্থ-অযোগ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী, যিনি সন্দীপ ঘোষের মাথার উপরে হাত রেখেছিলেন, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: আয়ুষ্মান ভারত চালু করেনি মমতা, প্রধানমন্ত্রীর সুরেই আক্রমণ শুভেন্দুরও

    Suvendu Adhikari: আয়ুষ্মান ভারত চালু করেনি মমতা, প্রধানমন্ত্রীর সুরেই আক্রমণ শুভেন্দুরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়ুষ্মান ভারত কার্ড নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তুলোধনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের এই কার্ড রাজ্যে অবিলম্বে চালু করার আর্জি রাখেন তিনি। মূলত, আয়ুষ্মান ভারত কার্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে আক্ষেপ করেছিলেন, তা নিয়ে এই ভাষাতেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন বিরোধী দলনেতা।

    প্রধানমন্ত্রী ঠিক কী বলেছেন? (Suvendu Adhikari)

    মঙ্গলবার প্রবীণদের জন্য নতুন স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্পের উদ্বোধন করতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ এবং দিল্লি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর অভিযোগ, রাজনৈতিক স্বার্থে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল এবং দিল্লির আপ সরকার অসুস্থ মানুষকে কেন্দ্রীয় সরকারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে, যা অমানবিক। এই প্রকল্প চালু না হওয়ায় বাংলার প্রবীণ নাগরিকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প ( Ayushman Bharat Card) সম্পর্কে বলতে গিয়েই প্রধানমন্ত্রী রীতিমতো আক্ষেপ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী , সিনিয়র সিটিজেন আয়ুষ্মান কার্ড চালুর ব্যবস্থা করবে বলে প্রতিক্রিয়া দেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

    আরও পড়ুন: এআই ব্যবহার করেই কাশ্মীরে নিকেশ ৩ জঙ্গি, রহস্য ফাঁস করল সেনা

    ঠিক কী বলেছেন শুভেন্দু?

    মঙ্গলবার একটি কালীপুজোর উদ্বোধনে আসানসোলে আসেন রাজ্যের  বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পূজোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আয়ুষ্মান ভারত কার্ড সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘আমি প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনেছি, যেখানে পশ্চিমবঙ্গ এবং দিল্লি সিনিয়র সিটিজেনদের কাছে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। কারণ, সিনিয়র সিটিজেন ৭০ বছর বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য আয়ুষ্মান ভারত কার্ড লাগু হবে। কিন্তু, এই দুই রাজ্যে তা হচ্ছে না।’’ পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এই কার্ড পশ্চিমবঙ্গের বাইরে কোনও কাজে লাগে না সেখানে আয়ুষ্মান ভারত কার্ড কাজ করে। এমনকী রাজ্যের বহু নার্সিংহোম এই কার্ডের মান্যতা দেন না। রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত কার্ড চালু না করার জন্য প্রধানমন্ত্রী তার আক্ষেপের কথা বলেছেন।’’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘মমতা, মূর্খ মুখ্যমন্ত্রী! আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প প্রবীণ নাগরিকদের জন্য। বাংলার রাজ্য সরকার আয়ুষ্মান ভারত চালু করতে দিচ্ছে না। রাজ্য সরকারের উচিত অবিলম্বে আয়ুষ্মান প্রকল্প চালু করা।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: উপনির্বাচনের আগে ‘দানা’য় ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ির তালিকা তৈরির নির্দেশ, কমিশনে নালিশ বিজেপির

    BJP: উপনির্বাচনের আগে ‘দানা’য় ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ির তালিকা তৈরির নির্দেশ, কমিশনে নালিশ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কমিশনের নির্দেশকে তোয়াক্কা না করেই ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’য় (Cyclone Dana) ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি মেরামতির জন্য ‘হাউস বিল্ডিং গ্রান্ট’ প্রকল্পের উপভোক্তাদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছে বাঁকুড়ার ইন্দপুর ব্লক প্রশাসন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিডিও-র তরফে সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েতে পাঠানো ওই নির্দেশিকায় নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হয়েছে, এই দাবি তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি (BJP)। অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিডিওর বরখাস্ত দাবিও করেছে পদ্ম শিবির।

    ঠিক কী অভিযোগ? (BJP)

    আগামী ১৩ নভেম্বর বাঁকুড়ার তালডাংরা বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। উপনির্বাচন উপলক্ষে গোটা বাঁকুড়া জেলায় লাগু হয়েছে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি। আর এই সময়ের মধ্যে গত ২৮ অক্টোবর ইন্দপুরের বিডিও সুমন্ত ভৌমিকের তরফে পঞ্চায়েতে পঞ্চায়েতে পাঠানো একটি চিঠিকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি যাচাই করে দেখে ‘হাউস বিল্ডিং গ্রান্ট’ প্রকল্পের উপভোক্তাদের বেছে তার তালিকা আগামী ২৯ অক্টোবরের মধ্যে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উপভোক্তাদের কাছে থেকে প্রয়োজনীয় নথি এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিশদ তথ্য নিয়ে ব্লক প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েতগুলিকে। যাকে ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। 

    আরও পড়ুন: এআই ব্যবহার করেই কাশ্মীরে নিকেশ ৩ জঙ্গি, রহস্য ফাঁস করল সেনা

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভোটের আগে তপ্ত বাঁকুড়ার রাজনীতি। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি (BJP)। দলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডল বলেন, “এলাকার কাঁচা বাড়ির বাসিন্দাদের সরকারি প্রকল্পে পাকা বাড়ি দেওয়ার দাবিতে আমরা বারবার ইন্দপুরের বিডিও-র দ্বারস্থ হয়েছি। তখন তিনি কাঁচা বাড়ির বাসিন্দাদের না দিয়ে সেই ঘর দিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল ঘনিষ্ঠদের। এখন তৃণমূলকে উপনির্বাচনে জেতানোর লক্ষ্যে নির্বাচনী বিধি ভেঙে সরকারি প্রকল্পের বাড়ি দেওয়ার ব্যাপারে তোড়জোড় শুরু করছেন। আমরা কমিশনে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি ওই বিডিওকে বরখাস্ত করার দাবি জানিয়েছি।” এ নিয়ে বিডিও আলাদা করে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: কালীঘাট-দক্ষিণেশ্বর-তারাপীঠ, রাজ্যের বিভিন্ন কালীমন্দিরে কী কী ভোগ নিবেদন করা হয়?

    Kali Puja 2024: কালীঘাট-দক্ষিণেশ্বর-তারাপীঠ, রাজ্যের বিভিন্ন কালীমন্দিরে কী কী ভোগ নিবেদন করা হয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্ত্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে দীপান্বিতা কালীপুজো (Kali Puja 2024) বিশেষ জাঁকজমক সহকারে পালিত হয়। আজ কালীপুজো। দুর্গাপুজার পাশাপাশি কালীপুজোতেও বিভিন্ন আচার-নিয়ম (Rituals) থাকে। আর কালীপুজোর বিশেষ আকর্ষণই হল মায়ের ভোগ। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে শ্যামামায়ের মন্দির। আর সেই এক এক মন্দিরের এক এক রকমের ভোগ মাকে নিবেদন করা হয়। কলকাতার সবচেয়ে বিখ্যাত কালীমন্দিরটি হল কালীঘাট মন্দির। এটি একটি সতীপীঠ। এছাড়া দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি, আদ্যাপীঠ, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি, ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি ইত্যাদি কলকাতার বিখ্যাত কয়েকটি কালীমন্দির। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের সেভকেশ্বরী কালীমন্দিরও বেশ বিখ্যাত।

    কোন মন্দিরে মাকে কী কী ভোগ দেওয়া হয়?

    কালীপুজোর সময় মায়ের যে ভোগ হয়, তা অন্যান্য পুজোর থেকে বেশ কিছুটা আলাদা। এক নজরে দেখে নিন, কোন মন্দিরে মাকে কী কী ভোগ দেওয়া হয়?

    কালীঘাট মন্দির

    সতীর একান্নপীঠের অন্যতম এই কালীঘাট (Kalighat)। সকালে মা-কে আমিষ পদ ভোগে দেওয়া হয়। সেই ভোগের মধ্যে রয়েছে বেগুনভাজা, পটলভাজা, কপি, আলু ও কাঁচকলা ভাজা, ঘিয়ের পোলাও, ঘি ডাল, শুক্তো, শাকভাজা, মাছের কালিয়া, পাঁঠার মাংস ও চালের পায়েস। তবে রাতে মা-কে নিরামিষ ভোগ নিবেদন করা হয়। লুচি, বেগুনভাজা, আলু ভাজা, দুধ, ছানার সন্দেশ আর রাজভোগ থাকে কালীঘাটের ভোগে।

    সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির

    আনুমানিক ১৭০৩ সালে উদয়নারায়ণ ব্রহ্মচারী নামে এক তান্ত্রিক সন্ন্যাসী সেই সময় জঙ্গলের মধ্যে পঞ্চমুণ্ডির আসনে ও ঘটে পুজো (Kali Puja 2024) শুরু করেন। কালীপুজোর রাতে ভোগ দেওয়া হয় লুচি, পটলভাজা, ধোঁকা বা আলুভাজা, আলুর দম ও মিষ্টি।

    দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির

    ভোরে দেবী ভবতারিণীর বিশেষ আরতি দক্ষিণেশ্বরের পুজোর (Kali Puja 2024) বিশেষ আকর্ষণ। আর ভোগে নিবেদন করা হয় সাদাভাত, ঘি, পাঁচরকমের ভাজা, শুক্তো, তরকারি, পাঁচরকমের মাছের পদ, চাটনি, পায়েস ও মিষ্টি।

    তারাপীঠ ম

    কালীপুজোর (Kali Puja 2024) দিন খুব সকালে ডাবের জল দিয়ে শুরু হয় মায়ের ভোগ। সকালের ভোগে থাকে পাঁচ রকম বা ন’রকমের ভাজা, সাদা অন্ন, পায়েস ও মিষ্টি। আমিষ ভোগের মূল উপাদান হল শোল মাছ। ভোগের পাতে এই মাছ না থাকলে ভোগ গ্রহণ করেন না মা তাঁরা। কালীপুজোর দিন তারা মা-এর ভোগ হিসেবে থাকে পোলাও, খিচুড়ি, সাদা ভাত, পাঁচরকম ভাজা, পাঁচ মিশালি তরকারি, মাছ, চাটনি, পায়েস এবং মিষ্টি। এখানকার অন্নভোগের বিশেষত্বই হল পোড়া শোলমাছ মাখা।

    সেভকেশ্বরী কালী মন্দির

    শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক যাওয়ার পথে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে এই কালীমন্দির। কালীপুজোর (Kali Puja 2024) দিনগুলিতে এই সেভকেশ্বরী কালীমন্দিরে ভক্তদের ঢল নামে। সেবক পাহাড়ের নির্জনতায় হয় কালী মায়ের আরাধনা। অনেকেরই বিশ্বাস, দেবী অত্যন্ত জাগ্রতা। এখানে মা-এর ভোগে থাকে সাদা ভাত, পাঁচরকম ভাজা, তরকারি, পায়েস, লুচি, দই, মিষ্টি। আর এখানে ভোগের আকর্ষণ হল বোয়াল মাছ। এদিন এই মাছ দেবীর ভোগ হিসেবে নিবেদন করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2024: রানাঘাটে চূর্ণী নদীর তীরে জঙ্গলে সিদ্ধেশ্বরী কালীর নামকরণ করেছিলেন ‘রণ ডাকাত’!

    Kali Puja 2024: রানাঘাটে চূর্ণী নদীর তীরে জঙ্গলে সিদ্ধেশ্বরী কালীর নামকরণ করেছিলেন ‘রণ ডাকাত’!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাতা কালিকা দশম মহাবিদ্যার একটি বিদ্যা। তিনি ভীষণ-দর্শনা। শক্তি ও সাহসের দেবী। ডাকাতরা নাকি কোথাও ডাকাতি করতে যাওয়ার আগে মা কালীর (Kali Puja 2024) আরাধনা করত, এমন গল্প তো প্রচলিত রয়েছেই। এ নিয়ে বহু গল্প, উপন্যাস সংকলিত হয়েছে। ‘ডাকাত কালী’ আজও বাঙালির কাছে একটা মিথ হয়ে রয়েছে। রণ ডাকাতের প্রতিষ্ঠিত নদিয়ার রানাঘাটে সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরে মায়ের (Ranaghat Siddheswari Kali) আরাধনা করে তাঁর বাহিনী ডাকাতি করতে যেত।

    কেন সিদ্ধেশ্বরী নামকরণ? (Kali Puja 2024)

    সপ্তদশ শতকে চূর্ণী নদীর তীরের জঙ্গল। লোক বসতি একদমই নেই। এখানেই থাকতেন ডাকাত দলের সর্দার রণ এবং তাঁর বাহিনী। মায়ের আরাধনা করে তিনি ডাকাতি করতে যেতেন। এমনটাই জনশ্রুতি রয়েছে ওখানে। আরও প্রচলিত বিশ্বাস রয়েছে যে, মা কালী সমস্ত কামনা পূরণ করতেন, তাই রণ ডাকাত এই মায়ের নাম সিদ্ধেশ্বরী রাখেন। মূলত ডাকাত রণ-র নাম অনুসারে চূর্ণী নদীর এই তীর রাণাঘাট নামে পরিচিত হয় বলেও শোনা যায়।

    মন্দির তৈরির ইতিহাস

    মন্দিরের (Kali Puja 2024) দেবীমূর্তি দক্ষিণা কালিকা বিগ্রহ। জনশ্রুতি রয়েছে, সেসময় বাংলায় ইংরাজের উত্থান সবে শুরু হয়েছে। একদিন এক ইংরাজ সাহেব প্রাণভয়ে ভীত হয়ে দেবীর মন্দিরে ছুটে এসে ঢুকে পড়েছিলেন এবং আত্মত্রাণের জন্য দেবীর চরণ স্পর্শ করে প্রার্থনা জানিয়েছিলেন। তখন ছিল রাত্রিবেলা। ইংরাজটি সে রাত্রে রক্ষা পেয়েছিলেন। কিন্তু ইংরেজদের তখন ম্লেচ্ছ মানা হত। তাই ম্লেচ্ছ স্পর্শের কারণে তখনকার সংস্কারাচ্ছন্ন মানুষের বিবেচনায় দেবীকে নদীগর্ভে বিসর্জন দেওয়া হয়েছিল, সেই সঙ্গে দেবীর মন্দিরটিও ভেঙে ফেলা হয়েছিল। এরপর সে সময়কার সেবাইতের চেষ্টায় স্থানীয় ঘটক বংশীয় দুইজন ভক্ত ও জমিদার পাল চৌধুরীদের এক কর্তাব্যক্তির সহায়তায় দেবীর শিলাময়ী মূর্তি কাশীধাম থেকে এনে কোঠা মন্দির অর্থাৎ চাঁদনী জাতীয় মন্দির (বর্তমান মন্দিরের গর্ভগৃহ) নির্মাণ করে দেবীকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। তখন থেকেই শিলাময়ী দক্ষিণা কালীর মূর্তিটিই সিদ্ধেশ্বরী নামে রানাঘাটের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হিসেবে পূজিতা হচ্ছেন। এই মূর্তিটিও প্রাচীন। বয়স দু’শ বছরের কম নয়। মন্দিরের পাশে ছোট একটি মন্দিরে মহাদেব প্রতিষ্ঠিত আছেন। নাটমন্দির অনেক পরে তৈরি হয়। এ ব্যাপারে কতিপয় স্থানীয় লোকের আর্থিক সাহায্য ছিল।

    নাটমন্দির তৈরির ইতিহাস

    জনশ্রুতি আছে, নাটমন্দির (Kali Puja 2024) তৈরি হওয়ার আগে মন্দিরের দক্ষিণপূর্ব কোণে একটি বিরাট অশ্বত্থ গাছ ছিল। ওই গাছটি নাটমন্দির নির্মাণে বা মন্দিরের অন্যবিধ কাজে বাধা সৃষ্টি করেছিল। অথচ বিপদ-আপদ ঘটে যাওয়ার ভয়ে কেউই গাছটি কাটছিল না। তখন একজন নিঃসন্তান ব্যক্তি গাছটিকে কুঠারাঘাতে কেটে ফেলে। আশ্চর্য তারপর অপুত্রক সেই লোকটির ভাগ্য ফিরে যায় এবং আর্থিক উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে তাঁর একাধিক সুন্দর স্বাস্থ্যবান পুত্র লাভ হয়। লোকটির প্রত্যেক পুত্রই সুপুত্র এবং তাঁরা জীবনে যথেষ্ট উন্নতি করেছিলেন। নাটমন্দিরটি দালান জাতীয় সাদামাটা আচ্ছাদিত স্থান, শিল্প- বৈশিষ্ট্য বর্জিত। সমগ্র মন্দির চত্বরটি বেশ বড়। দেবীর তত্ত্বাবধানের জন্য দেবত্র হিসেবে জায়গা দিয়েছিলেন মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র। এখন তা নেই। রানাঘাটের জনসাধারণ ও অন্যান্য দূর- দূরান্তরের মানুষ দেবী সিদ্ধেশ্বরীকে অতিশয় জাগ্রত মনে করে শ্রদ্ধাভক্তি করেন। ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে, মা সিদ্ধেশ্বরী তাঁদের মনস্কামনা পূর্ণ করেন। কালী পুজোর (Kali Puja 2024) সমস্ত রীতি মেনে এই পুজো সম্পন্ন হয়।

    কষ্টিপাথরের মূর্তি!

    শ্বেতমর্মর প্রস্তরে (Kali Puja 2024) তৈরি দুই ধাপ-বিশিষ্ট পঞ্চভুজ বা পঞ্চকোণ পঞ্চমুণ্ডের আসনোপরি দেবী-বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত। সিদ্ধেশ্বরী নাম হলেও দেবী মূর্তিটি সিদ্ধেশ্বরী বিগ্রহ নয়, এই মূর্তি উৎকৃষ্ট কষ্টিপাথর দ্বারা নির্মিত এবং শ্বেতপ্রস্তর খোদিত মহাদেব। প্রতি বৎসর দেবী মূর্তি রং দ্বারা অলঙ্কারিত করা হয়। মূর্তি উচ্চতায় তিন হাতের মতো। মন্দির গৃহ সাবেক আমলের-কড়ি বড়গার ছাদ, মর্মর দ্বারা বাঁধান মেঝে। সম্মুখদ্বারাটি যে প্রাচীনকালের তা দেখলেই বোঝা যায়। মন্দিরের সামনে বলিদানের ‘থান’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার বালুরঘাটের ‘বাহুবলী’ তৃণমূল নেতা

    Balurghat: নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার বালুরঘাটের ‘বাহুবলী’ তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক নাবালিকাকে নির্যাতনকাণ্ডে পলাতক দক্ষিণ দিনাজপুরের আইএনটিটিইউসি’র প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা বাহুবলী নেতা রাকেশ শীল। তাঁর বিরুদ্ধে নাবালিকাকে নির্যাতনের মামলায় হুলিয়া জারি করেছে আদালত। এবার ওই নাবালিকাকেই অপহরণের অভিযোগে জেলে যেতে হল বালুরঘাটের (Balurghat) তৃণমূলের আরও এক বাহুবলী নেতা লগিন দাসকে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Balurghat)

    বালুরঘাটের (Balurghat) রাজনৈতিক মহলে লগিন দাস অত্যন্ত দাপুটে নেতা হিসেবেই পরিচিত। তিনি ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সদলবলে তৃণমূলে যোগ দিয়ে তৃণমূলের (Trinamool Congress) ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হন। তাঁর স্ত্রী মনোরমা দাস জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন। এছাড়াও বালুরঘাট পুরসভার কাজকর্মেও তাঁর প্রভাব ছিল অনস্বীকার্য। তিনি জেলা ঠিকাদার সংস্থার দীর্ঘদিনের সম্পাদকও ছিলেন। ফলে একদিকে ব্যবসা, অন্যদিকে রাজনীতিতে প্রতিপত্তি, লগিন দাসকে বেতাজ বাদশা করে তুলেছিল। তাঁর বিরুদ্ধেে খুন, জলা জমি ভরাট ইত্যাদি নানা মামলা রয়েছে। এরই মধ্যে গত জুলাই মাসে হিলির এক নাবালিকাকে অপহরণ ও মারধরের মামলা তাঁর বিরুদ্ধে হয়েছিল। ওই নাবালিকার করা পস্কো মামলায় ইতিমধ্যেই পলাতক রয়েছে আরও এক বাহুবলী নেতা। ওই নাবালিকারই দাদা ও বউদির করা পৃথক দুটি মামলাতে অন্যান্য অভিযুক্তদের সঙ্গে ওই মামলায় লগিন দাসও অভিযুক্ত। ওই মামলাতেই লগিন দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: বদলে গেল সময়, ২০২৫-এর একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু কখন

    বিজয়া সম্মিলনী থেকে ফিরতেই গ্রেফতার

    বালুরঘাট (Balurghat) শহর তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র ও রাজ্য নেত্রী জয়া দত্তের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজয়া সম্মিলনী। ওই অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত হন তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান তথা বাহুবলী নেতা লগিন দাস। বিজয়া সম্মিলনী থেকে বাড়ি ফিরতেই তাঁকে গ্রেফতার করল বালুরঘাট থানার পুলিশ। রাতেই তাঁকে হিলিতে নিয়ে যাওয়া হয়। হিলি থানার দুটি মামলায় গ্রেফতার করা হয় লগিন দাসকে। তাঁকে বালুরঘাট জেলা আদালতে নিয়ে আসা হয়। আগামী ৮ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতক তরজা

    বিজেপি (Balurghat) জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, এরা সব নেতা নন, দুষ্কৃতী। তৃণমূলের ছত্রছায়ায় থেকে সমাজকে দূষিত করে চলেছে। এদের জায়গা জেলখানা। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। আইন আইনের পথেই চলবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘দলে টানতেই পারে তৃণমূল’’, তন্ময়কাণ্ড নিয়ে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘দলে টানতেই পারে তৃণমূল’’, তন্ময়কাণ্ড নিয়ে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্রেফ একটা অভিযোগ। সেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। অভিযোগের স্বপক্ষে লালপার্টির শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে জোরালো (Tanmoy Bhattacharya) কোনও প্রমাণও এখনও অব্দি নেই। অথচ, সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তড়িঘড়ি সিপিএম সাসপেন্ড করে দিল প্রবীণ বামপন্থী নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যকে। আর এই গোটা কাণ্ড নিয়ে কার্যত হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    তন্ময় তৃণমূলে!

    রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে তন্ময় তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে চাউর হয়ে গিয়েছিল। আলিমুদ্দিনের কর্তাদের কাছেও হয়তো তেমনই একটা বার্তা গিয়েছিল। তার জেরেই তন্ময়কে সাসপেন্ড করে দিল ক্ষয়িষ্ণু সিপিএম। যে দলের ঠাঁই হতে চলেছে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির তালিকায়, সেই দলেরই এক প্রবীণ নেতাকে সাসপেন্ড করায় ক্ষোভ দানা বাঁধছে সিপিএমের অন্দরেও। তবে তন্ময় (Tanmoy Bhattacharya) যে তৃণমূলের দিকে ঝুঁকেছিলেন, সে দাবি করেছে বিজেপি (BJP)। বিধানসভা নির্বাচনে বরানগর কেন্দ্রে বাম প্রার্থী ছিলেন তন্ময়। এই কেন্দ্রে বিজেপির জয়ের প্রবল সম্ভাবনা ছিল। পদ্মের বরানগর জয়ের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়ান তন্ময়। ভোট কেটে তৃণমূল প্রার্থীকে বিধানসভায় পাঠানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন তিনি।

    কী বললেন শুভেন্দু 

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “বরানগরে তন্ময় ভট্টাচার্য ভোট কেটেই তৃণমূল কংগ্রেসকে জেতার পথ তৈরি করে দিয়েছিলেন। এলাকায় তাঁর প্রভাব-প্রতিপত্তিও রয়েছে।” তিনি বলেন, কেবল বরানগর নয়, তন্ময়ের প্রভাব রয়েছে সুদূর দমদম পর্যন্ত। তাই তন্ময়কে দলে টানতেই পারে তৃণমূল কংগ্রেস।” রাজনীতি সচেতন মানুষের একাংশের দাবি, তন্ময়ের মতো প্রবীণ রাজনীতিককে দলে টেনে ছাব্বিশের বিধানসভা ভোট বৈতরণী উতরোতে চাইছে তৃণমূল।

    ঋতব্রত-কাণ্ড মনে করালেন শুভেন্দু

    স্বমত প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) সিপিএমের ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গও টানেন। বলেন, ঋতব্রতও মহিলা হেনস্থাকাণ্ডে অভিযুক্ত ছিলেন। সেই ঘটনার ছবিও ছিল। সিপিএম বহিষ্কারও করে। তারপর তৃণমূল ঋতব্রতকে বড় পদ দিয়ে দলে টেনে নিয়েছিল। তন্ময় ভট্টাচার্যের ঘটনাও তেমন হতে পারে।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “দক্ষিণ দিনাজপুরে ঋতব্রতর মহিলাঘটিত যে ঘটনা প্রকাশ্যে আসে, সেই ছবি ভাইরাল হয়েছিল। ঘটনার প্রমাণও ছিল। কিন্তু দেখা গেল, তৃণমূলের উন্নত ওয়াশিং মেশিনে ঋতব্রতকে দলে নিয়ে আরও বড় নেতা করা হল। ওরা হয়ত তন্ময়কেও (Tanmoy Bhattacharya) তাই করতে চায়।”

    আরও পড়ুন: রোজগার প্রকল্পে ৫১ হাজার যুবক-যুবতীকে নিয়োগপত্র দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    সজলের পথের কাঁটা

    বরানগরে বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন সজল ঘোষ। ভোট কাটাকুটির খেলা না হলে সজলের জেতার সম্ভাবনাও ছিল। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “বরানগরে সজল ঘোষ গত বিধানসভা নির্বাচনে যে লড়াইটা করেছিল, সেই লড়াই তৃণমূলকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। তন্ময় ভট্টাচার্য ভোট কেটে তৃণমূলকে জিততে সাহায্য করেছিল।” তিনি বলেন, “স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল প্রথমে বাজার গরম করবে। তারপর আউট অফ সাইট, আউট অফ মাইন্ড হবে। তারপর একদিন দেখা যাবে, তৃণমূলের আরও উন্নতমানের ওয়াশিং মেশিন, যেটা ভাইপো আমেরিকা বা দুবাই থেকে নিয়ে এসেছে, তাতে তন্ময় ভট্টাচার্যের (Tanmoy Bhattacharya) ধোলাই হবে, তৃণমূলের ঝান্ডা ধরবে। তারপর বরানগর, পানিহাটি, কামারহাটি, রাজারহাট-গোপালপুর, দমদম সাউথ ও দমদমের আসনগুলি বাঁচানোর চেষ্টা করবে।”

    বিজেপি বিরোধিতা তন্ময়ের 

    বিধানসভা কিংবা লোকসভা নির্বাচনে সিপিএমের প্রচারের মূল সুরই ছিল, ‘নো ভোট টু বিজেপি’, ‘নো ভোট টু মোদিজি’। সে প্রসঙ্গেরও অবতারণা করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক । শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “সিপিএম বিরোধী কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ওরা ‘নো ভোট টু বিজেপি’, ‘নো ভোট টু মোদিজি’ প্রচার করে সিপিএম আদতে তৃণমূলেরই জয়ের পথ প্রশস্ত করেছে।” সিপিএম হিন্দুদের ভোট কাটছে বলেও অভিযোগ করেন পোড়খাওয়া এই রাজনীতিক (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ সত্য না মিথ্যে, তা বলবে সময়। তবে একটা কথা ঠিক, তন্ময় ভট্টাচার্যের (Tanmoy Bhattacharya) ক্ষেত্রে সিপিএমের পক্ককেশ নেতৃত্ব যেভাবে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিলেন, তাতে মনে হতেই পারে, প্লট সাজানোই ছিল। তন্ময়কে সরানোর শুধু একটা ছুতোর প্রয়োজন ছিল। এক মহিলা সাংবাদিকের করা অভিযোগই সেই ছুতোর কাজ করে। যার জেরে দ্রুত সাসপেন্ড করে দেওয়া হয় তন্ময়কে।

    কলঙ্ক মোচন

    প্রসঙ্গত, সিপিএমের এই প্রবীণ নেতার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন এক মহিলা সাংবাদিক। জামিন অযোগ্য ধারায় দায়ের হয়েছে মামলা। তন্ময়কে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে পুলিশ। এখন দেখার, তন্ময় (Tanmoy Bhattacharya) গ্রেফতার হন কিনা, নাকি তৃণমূলকে বরানগর পাইয়ে দেওয়ার পুরস্কারের টোপ গিলে ডুব দেন তৃণমূল-গঙ্গায়! যে গঙ্গায় ডুব দিলেই কলঙ্ক মোচন হয়! যেমন হয়েছে ঋতব্রতর, যেমনটা হয়েছে আরও অনেকের ক্ষেত্রেই। সব ক্ষেত্রেই যে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে, তা নয়। কারও বিরুদ্ধে উঠেছে বালি পাচারের অভিযোগ, কেউ আবার গরু পাচারে অভিযুক্ত। কারও গায়ে লেগে রয়েছে কয়লা পাচারের মলিন দাগ। কেউ আবার রেশন-কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে দিন কাটাচ্ছেন গারদের আড়ালে। ‘দিদিবাদী’ হওয়ায় এঁরা অবশ্য এখনও রয়েছেন তৃণমূলেই। সিপিএমের মতো (Tanmoy Bhattacharya) এঁদের সাসপেন্ড করার দুঃসাহস দেখায়নি (Suvendu Adhikari) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।

    ঠক বাছতে গাঁ উজাড় হয়ে যাওয়ার ভয়ে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share