Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Nadia: নদিয়ায় গুলি করে তৃণমূলের বুথ সভাপতির ছেলেকে খুন, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Nadia: নদিয়ায় গুলি করে তৃণমূলের বুথ সভাপতির ছেলেকে খুন, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামনে চলে এল। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে প্রকাশ্যে চলল গুলি। তৃণমূলের বুথ সভাপতি মহতালি দফাদারের বাড়িতে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলিবিদ্ধ হয়ে বুথ সভাপতির ছেলের মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মতিয়াজুল দফাদার (৩৫)। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে দুজনকে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে  নদিয়ার নাকশিপাড়ার ধাপারিয়া এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    নদিয়ার (Nadia) নাকাশিপাড়ার ধাপারিয়া এলাকায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রার্থী দাঁড়িয়েছিলেন। তৃণমূল জয়ী হলেও কংগ্রেস প্রার্থী অনেক ভোট পেয়েছিলেন। তৃণমূল বোর্ড গঠন করার পরই কংগ্রেসকে সমর্থন করা হয়েছে, এই সন্দেহ করেই তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে দলের অন্যপক্ষ হুমকি দিতে থাকে। এদিন সকালে তৃণমূল আশ্রিত ওই দুষ্কৃতীরা হঠাৎ তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিয়োগ। বুথ সভাপতি বাড়িতে বসে চা খাচ্ছিলেন। প্রথমে দুষ্কৃতীরা বাড়িতে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে বুথ সভাপতি ও তাঁর ছেলে এবং ভাইপোকে। বাধা দিতে গেলেই দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি গুলি চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে বুথ সভাপতির ছেলের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়। ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত হন আরও দুজন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    কী বললেন জখম পরিবারের সদস্য?

    আহত পরিবারের সদস্য গুলমিশা বিবি বলেন, আমাদের পরিবারের প্রত্যেকেই তৃণমূল দল করেন। বেশ কয়েকদিন ধরেই অন্য এক তৃণমূলের গোষ্ঠী বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে শুরু করে। কারণ, নির্বাচনে কংগ্রেসকে আমরা সমর্থন করেছি এই সন্দেহ করেই ওরা এভাবে হামলা চালিয়েছে। অথচ আমাদের পরিবার সকলেই তৃণমূল করে। তারপরও এভাবে হামলা চালানো মেনে নেওয়া যায় না। আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নাকাশিপাড়া থানার পুলিশ।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এ বিষয়ে নাকাশিপাড়ার বিধায়ক প্রথা নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক তৃণমূলের জেলা সভাপতি কল্লোল খাঁ বলেন, এই ঘটনায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও বিষয় নয়। পুরোটাই ব্যক্তিগত কারণে তাদের অশান্তি। এরা উভয় পক্ষ আমাদের দল করে। তবে, এটা রাজনৈতিক কোনও ঘটনা নয়। পুলিশ তদন্ত করছে, সত্য জানা যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে স্থায়ী সমিতির ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়লাভ বিজেপির

    Nandigram: নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে স্থায়ী সমিতির ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়লাভ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রামে (Nandigram) শেষ হাসি হাসল বিজেপিই। নন্দীগ্রাম-১ পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠন করল গেরুয়া শিবির। স্থায়ী কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে সামান্য উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। আর বিজেপি স্থায়ী সমিতিতে জয়ী হওয়ায় কর্মীরাও উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন।

    স্থায়ী সমিতিতে কত ভোটে জয়ী হল বিজেপি? (Nandigram)

    মঙ্গলার নন্দীগ্রাম-১ পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটির নির্বাচন ছিল। মোট ভোটার ৪৪। যার মধ্যে বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ১৫, প্রধান ৬ এবং বিধায়ক মিলে মোট ২২ জন। আর তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ১৫, প্রধান ৪, জেলা পরিষদের সদস্য ২, মোট ২১।  সাংসদ ১। ভোটাভুটির সময় তৃণমূলের ২ টি ভোট বাতিল হয়। তৃণমূলের একজন বিজেপিকে সমর্থন করে। ফলাফল হয়ে দাঁড়ায় বিজেপি ২৪ এবং তৃণমূল ১৮। ফলে, স্থায়ী সমিতির কমিটিতে এগিয়ে থাকলো বিজেপি। ভোটাভুটির পর তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা পঞ্চায়েত সমিতির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের দাবি, দলীয় সদস্য অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও বিডিও জোর করে নির্বাচন প্রক্রিয়া আয়োজন করে। বিডিও-র অপসারণের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। এরপর বিজেপি কর্মীরাও এসবের প্রতিবাদ করতে থাকে। ফলে, দুই রাজনৈতিক দলের উত্তেজনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নন্দীগ্রাম।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    এদিন স্থায়ী কমিটি নিজেদের দখলে আনতে পেরে স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, স্থায়ী সমিতি গঠন করব ঘোষণা করেছিলাম। সেটাই হয়েছে। তৃণমূল ঘর ঠিক রাখতে পারেনি। তাই আমরা ২৪ টি সমর্থন পেয়েছি। আগেই বলেছিলাম নন্দীগ্রামে (Nandigram) কীভাবে বোর্ড গঠন করতে হয় তা আমার জানা আছে। সেটা পরিস্কার হয়ে গেলো।

    কী বললেন তমলুকের সাংসদ?

    এদিন স্থায়ী কমিটি নির্বাচনে নন্দীগ্রাম-১ (Nandigram) পঞ্চায়েত সমিতিতে আসেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, সাংবিধানিক অধিকার বলে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। যদিও তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্ন কৌশলে এড়িয়ে যান। শুভেন্দু অধিকারী সব সময় বলে থাকেন তমলুকের সাংসদ তাদের। তবে কি তমলুকের তৃণমূলের সাংসদ বিজেপিকে সমর্থন করলেন? যার ফলে তাদের সংখ্যা ২৪ হল। সাংসদ বলেন, নন্দীগ্রামের উন্নয়নের স্বার্থে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rabindra Bharati University: বোতল ছুড়ে মারার ‘হুমকি’! ক্যাম্পাস যাওয়া বন্ধ করলেন রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য

    Rabindra Bharati University: বোতল ছুড়ে মারার ‘হুমকি’! ক্যাম্পাস যাওয়া বন্ধ করলেন রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিগৃহীত হতে পারেন, তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করলেন রবীন্দ্রভারতীর (Rabindra Bharati University) উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে তৃণমূল কর্মচারী ইউনিয়নের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগও এনেছেন রবীন্দ্রভারতীর (Rabindra Bharati University) উপাচার্য। প্রসঙ্গত, গত মাসের প্রথমেই রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে (Rabindra Bharati University) উপাচার্য হিসেবে শুভ্রকমলবাবুকে নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়ে ইতিমধ্যে উপাচার্য পুলিশ এবং রাজভবনকে লিখিতভাবে চিঠি দিয়েছেন। এই সমস্ত কিছু ঘটনা জানার পরে রাজ্যপাল তথা রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সিভি আনন্দ বোস উপাচার্যকে বাড়িতে থেকেই কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    উপাচার্যকে বোতল ছুড়ে মারার ‘হুমকি’

    রাজ্যপালের মনোনীত উপাচার্যকে (Rabindra Bharati University) কোনওভাবেই মানতে পারছে না সেখানকার তৃণমূল প্রভাবিত শিক্ষা কর্মী থেকে আরম্ভ করে কর্মচারী ইউনিয়ন। তাই কর্নাটক হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায় উপাচার্যের (Rabindra Bharati University) দায়িত্বভার গ্রহণ করতেই নানাভাবে তাঁকে হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসের ৫ তারিখে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Rabindra Bharati University) অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে নাম ঘোষণা হয় শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়ের। তাঁর আগে রবীন্দ্রভারতীতে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য ছিলেন নির্মাল্যনারায়ণ চক্রবর্তী। নির্মাল্যনারায়ণবাবুর অবসর গ্রহণের পর উপাচার্যের পদ ফাঁকা পড়েছিল।

    কী বলছেন রবীন্দ্রভারতীর(Rabindra Bharati University) উপাচার্য?

    সংবাদমাধ্যমে এ বিষয়ে শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ে (Rabindra Bharati University) আমার নিরাপত্তার উপযুক্ত ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত আমি যাব না। বাড়িতে থেকেই কাজ করব। আমার নিরাপত্তার জন্য কী কী ব্যবস্থা করতে হবে, তা ইতিমধ্যে আমি রেজিস্ট্রারকে জানিয়ে দিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় (Rabindra Bharati University) গেলেই নানাভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে। বোতল ছুড়ে মারবো বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমাকে যেনতেন প্রকারেণ পদত্যাগ করাতে চাইছে ওরা।’’

    আরও পড়ুন: জানেন কোন ২১ জন বিধায়ক পশ্চিমবঙ্গকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিলেন?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ৯ বছর ধরে বন্ধ প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, হাইকোর্টে জানাল পর্ষদ

    Calcutta High Court: ৯ বছর ধরে বন্ধ প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, হাইকোর্টে জানাল পর্ষদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৯ বছর ধরেই রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ বন্ধ রয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ঠিক এমনটাই জানালো প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মঙ্গলবার এই রিপোর্টের পাল্টা হলফনামা চেয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court)। অন্যদিকে জানা গিয়েছে মামলার পরবর্তী শুনানি ৪ সেপ্টেম্বর।

    প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি আদালতে (Calcutta High Court) কী জানালেন?

    মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে শেষবারের মতো বিএড ডিগ্রিধারী যাঁরা, তাঁরা প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করতে ঢুকেছিলেন। তাঁদের শেষবারের মতো ব্রিজ কোর্স করানো হয়েছে। তারপর থেকে এই কোর্স আর করানো হয়নি। কিন্তু এনসিআরটি-র গাইডলাইন অনুযায়ী প্রশিক্ষণ ছাড়া পড়াতে পারবেন না প্রাথমিক শিক্ষক বা হাই স্কুলের শিক্ষকরা। প্রাথমিকের জন্য ডিএড ও ডিএলএড কোর্স করতে হবে। এনসিআরটি-র নিয়মে বিএড-এর যাঁরা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তাঁরা প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি পেতে পারেন। কিন্তু চাকরি পাওয়ার এক বছরের মধ্যে তাঁদের ব্রিজ কোর্স সম্পূর্ণ করতে হবে (Calcutta High Court)।

    উচ্চ প্রাথমিকের শূন্যপদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন

    অন্যদিকে, মঙ্গলবারই উচ্চ প্রাথমিকের শূন্যপদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। প্রসঙ্গত, এর আগেই কমিশন জানিয়েছিল খুব তাড়াতাড়ি শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে। এবার চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হল। গত ২৩ অগাস্ট ১৩,০০০ চাকরি প্রার্থীর প্যানেল প্রকাশ করেছিল এসএসসি। প্রসঙ্গত, উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছিল ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে। সে পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছিল ২০১৬ সালে। কিন্তু তারপরে ৯ বছর ধরে আটকে রয়েছে নিয়োগ। নিয়োগের দাবিতে পথে নেমে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.westbengalssc.com/-এ সমস্ত খুঁটিনাটি তথ্য মিলবে।

    আরও পড়ুন: জানেন কোন ২১ জন বিধায়ক পশ্চিমবঙ্গকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিলেন?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: পোলট্রি ফার্মের আড়ালে চলত অবৈধ বাজির কারবার! পুলিশ পৌঁছাতেই ব্যাপক শোরগোল

    South 24 Parganas: পোলট্রি ফার্মের আড়ালে চলত অবৈধ বাজির কারবার! পুলিশ পৌঁছাতেই ব্যাপক শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পোলট্রি ফার্মের আড়ালেই নিষিদ্ধ বাজি কারখানা। দিনের পর দিন গোপনেই চলছিল নিষিদ্ধ বাজি তৈরির কারবার। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দেয় বারুইপুর (South 24 Parganas) থানার পুলিশ প্রশাসন। আর এরপর উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ বাজি। গতকাল দত্তপুকুরে বাজি বিস্ফোরণে একের পর এক মোট ৯ জনের মৃত দেহ উদ্ধারে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। শাসক দলকে কাঠগড়ায় তুলে, বিরোধীরা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের দাবি তুলেছেন। পুলিশমন্ত্রী এবং পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে নানান প্রশ্ন।

    কীভাবে চলত অবৈধ বাজির কারখানা (South 24 Parganas)?  

    পোলট্রি ফার্মের আড়ালে নিষিদ্ধ বাজির ব্যবসা চলত বারুইপুরে (South 24 Parganas)। দত্তপুকুরে বাজি বিস্ফোরণের পর যেভাবে মৃত্যু মিছিল হয়েছে, সেই বিষয়কে মাথায় রেখেই বারুইপুর থানার পুলিশ হানাদেয় চম্পাহাটির হারালে। দেখা যায়, সেখানে পোলট্রি ফার্মের আড়ালে তৈরি হচ্ছে বস্তা বস্তা নিষিদ্ধ বাজি ও মশলা। বহু মহিলারা এই বাজি কারখানায় নিষিদ্ধ বাজি তৈরির কাজ চলছিল বলে জানা গেছে। যদিও সংবাদ মাধ্যমকে দেখে ভয়ে পালিয়ে যান ওঁই মহিলারা।

    পুলিশের ভূমিকা

    স্থানীয় (South 24 Parganas) পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বারুইপুরের এসডিপিও অতীন বিশ্বাস ও  বারুইপুর থানার আইসি সমীজিৎ রায়ের নেতৃত্বে উদ্ধার হয়েছে নিষিদ্ধ বাজি। পোলট্রি ফার্মের আড়ালে অবৈধ বাজি তৈরির সরঞ্জামের বস্ত বস্তা উপাদান উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ।

    তবে প্রশ্ন উঠছে, বারুইপুর থানা পুলিশ মাইক নিয়ে প্রচার করা সত্ত্বেও কীভাবে তৈরি হচ্ছে এই নিষিদ্ধ শব্দ বাজি! যেখানে শব্দবাজি নিষিদ্ধ, সেখানে দিনের পর দিন এইভাবে বস্ত বস্তা বাজি তৈরি হচ্ছে! অন্যদিকে বিরোধীরা কটাক্ষ করে এও বলে যে দত্তপুকুরের ঘটনায় কী এবার টনক নড়ল পুলিশের! দত্তপুকুরের মতন ঘটনা হারালে যেন না ঘটে, তার জন্য নজর রাখছে বারুইপুর থানার পুলিশ। এই প্রসঙ্গে আরও উল্লেখ্য যে আসানসোলের বার্নপুরে এক বন্ধ গুদাম ঘর থেকে প্রচুর পরিমাণে অবৈধ বাজি উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri: দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নেই তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক মিতালী রায়, ধূপগুড়িতে কোন্দল প্রকাশ্যে

    Dhupguri: দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নেই তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক মিতালী রায়, ধূপগুড়িতে কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধূপগুড়ির (Dhupguri) উপনির্বাচন নিয়ে শাসক দলের কোন্দল  চলছেই। এবাবের এই নির্বাচনে দলের কিছু নেতা কর্মী তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচারে বের হননি। তারমধ্যে প্রধান মুখ মিতালি রায়। তিনি ২০১৬ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ধূপগুড়ির তৃণমূলের বিধায়ক ছিলেন। ২০২১সালেও বিধায়ক পদে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু, তিনি আর জিততে পারেন নি। এই আসনে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু, সম্প্রতি বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের মৃত্যু হওয়াতে সেই আসনে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর উপ নির্বাচন হবে। আর তৃণমূলের প্রকাশ্যে গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে বিজেপি প্রার্থী পুলওয়ামায় শহিদ জওয়ানের স্ত্রী তাপসী রায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    দলীয় প্রার্থীর প্রচারে নেই তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক

    এবার উপ নির্বাচনে টিকিট পাননি তৃণমূলের মিতালী রায়। আর তাতেই তাল কেটেছে তৃণমূলের ধূপগুড়ি (Dhupguri) এলাকায়। এবারের প্রচারের থেকে নিজেকে পুরোপুরি গুটিয়ে রেখেছেন মিতালীদেবী। ভোটের বাকী মাত্র হাতে কয়েকটা দিন। কিন্ত, প্রার্থী ঘোষণা হবার পর থেকে তাঁকে প্রচার করতে দেখা যায়নি। উলটে তিনি নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। শুধু পরিকল্পনাই নয় তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে একপ্রকার ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছিলেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখের ঠিক আগের দিন তৃণমূল নেতা তথা শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব মিতালী রায়কে বুঝিয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়া থেকে বিরত করেন। তারপরেও মিতালী রায়কে কোনও প্রচারে দেখা যায়নি। যেখানে দলের রাজ্য নেতৃত্ব এবং জেলা নেতৃত্ব  ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের পালা করে প্রচারে আসছেন, সেখানে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক কোনও প্রচারে সামিল হচ্ছেন না।

    তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়কের সঙ্গে জোট প্রার্থীর বৈঠক

    অন্যদিকে, সিপিআইএম ও কংগ্রেসের জোট প্রার্থী ঈশ্বর চন্দ্র রায় মিতালী রায়ের বাড়িতে গিয়ে একান্তে তাঁর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন। তবে, ওই বৈঠকে তাঁদের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। দুজনেই জানিয়েছেন এই বৈঠক সৌজন্য সাক্ষাৎকার মাত্র। এদিকে মিতালীদেবী দীর্ঘদিনের তৃণমূল নেত্রী। তাঁর নিজস্ব ভোট ব্যাংক আছে। তিনি ভোটের প্রচারে না যাওয়ায় তাঁর অনুগামীদের ভোট খুব স্বাভাবিকভাবেই শাসক দল পাবে না বলেই ধরে নেওয়া যায়। এই আবহে ঘোলা জলে মাছ ধরার মতো ধূপগুড়ির (Dhupguri) তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে সিপিএম এবং কংগ্রেস।

    কী বললেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক?

    প্রাক্তন বিধায়ক মিতালী রায়কে ফোনে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ব্যক্তিগত কারণে আমি প্রচারে বের হতে পারছি না। তার ব্যক্তিগত কারণ, নাকি দলের পক্ষ থেকে প্রার্থী না করায় গোঁসা? সেই বিষয়ে তিনি আর খোলসা করে কিছু বলেননি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dacoits: রাজ্যের দুই জেলায় একই সময়ে সোনার দোকানে ভয়াবহ ডাকাতি, পুলিশ-দুষ্কৃতী খণ্ডযুদ্ধ, চলল গুলিও

    Dacoits: রাজ্যের দুই জেলায় একই সময়ে সোনার দোকানে ভয়াবহ ডাকাতি, পুলিশ-দুষ্কৃতী খণ্ডযুদ্ধ, চলল গুলিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের দুই প্রান্তে একই সময়ে সেনকো গোল্ডের শোরুমে ভয়াবহ ডাকাতির (Dacoits) ঘটনা ঘটে। একটি পুরুলিয়ায় ঘটেছে। অন্যটি নদিয়া জেলার রানাঘাটে। হিন্দি সিনেমার কায়দায় প্রকাশ্যে রানাঘাটে পুলিশের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের গুলি বিনিময় হয়। যা দেখে এলাকার মানুষও হতবাক হয়ে যান। রানাঘাটের সেনকো গোল্ড এর শোরুমে ঢুকে দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালায়। বন্দুক দেখিয়ে কর্মীদের মারধর এবং কোটি কোটি টাকা সোনার গয়না লুট করে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে পুলিশের গুলির লড়াই চলে। গুলিতে জখম হয় ২ জন দুষ্কৃতী। ঘটনায় গ্রেফতার হয় চারজন। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। নদিয়ার রানাঘাট থানা এলাকার ঘটনা। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পুরুলিয়াতেও সেনকো গোল্ডের শো রুমে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dacoits)  

    এদিন দুপুর তিনটে নাগাদ হঠাৎ ৮ জন দুষ্কৃতী এক এক করে সেনকো গোল্ডের শোরুমে ঢোকে। ভিতরে ঢুকেই সকলেই তারা আগ্নেয়াস্ত্র বের করে। পাশাপাশি কয়েকজন কর্মীকে মারধর করতে শুরু করে। এরপর মহিলা এবং পুরুষ কর্মীদের চুপচাপ বসে থাকতে বলে। কুড়ি মিনিটের মধ্যে কোটি কোটি টাকার সোনা লুট করে ব্যাগে ঢুকিয়ে নেয় তারা। সর্বস্ব লুট করে চম্পট দেওয়ার সময় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় রানাঘাট থানার পুলিশ। পুলিশ তাদের পিছনে ধাওয়া করে। পরবর্তীকালে বাধ্য হয়ে গুলি চালাতে থাকে পুলিশ। অভিযোগ, দুষ্কৃতীদের তরফ থেকেও পুলিশকে লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালানো হয়। পুলিশের গুলি লেগে ঘটনাস্থলে এই দুই দুষ্কৃতী জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তাদের উদ্ধার করে রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। পাশাপাশি আরও দুই দুষ্কৃতীকে হাতনাতে ধরে ফেলে পুলিশ। এই ঘটনায় মোট চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ধরনের ভর দুপুরে সোনার দোকানে ডাকাতির (Dacoits) মত ঘটনা এর আগে কখনও ঘটেনি। যার কারণে যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন রানাঘাট থানার পুলিশ সুপার ডক্টর কে কান্নান। অন্যদিকে, পুরুলিয়া শহরে সেনকো গোল্ডের দোকানে এদিন দুপুরে দুই জন দুষ্কৃতী প্রথমে ক্রেতা সেজে ওই বহুজাতিক সোনার দোকানে প্রবেশ করে। সোনার গয়না কেনার নাম করে সোনার দোকানের কর্মীকে বিল করতে বলে। সেই মুহূর্তে দুই জনের মধ্যে একজন দুষ্কৃতী হটাৎ জলের বোতল কেনার নাম করে বাইরে চলে আসে। কিছুক্ষণের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হুড়মুড়িয়ে দোকানে ঢুকে পর পাঁচ-ছয় জন দুষ্কৃতী। দোকানে থাকা কর্মীদের মাথায় বন্ধুক ঠেকিয়ে অন্য একটি ঘরে তাঁদের সেলোটেপ দিয়ে বেঁধে দেয়। তার পর অবাধে দোকানে সোনার লুট চালায়। দোকানের ৯০ শতাংশ সোনা লুট করে পালায়।

    কী বললেন সেনকো গোল্ডের এক কর্মী?

    এ বিষয়ে রানাঘাট সেনকো গোল্ড-এর এক কর্মী বলেন, আমরা যথেষ্ট আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। প্রথমে ওরা এক এক করে শোরুমে ঢুকে। দুষ্কৃতীদের ব্যাগে এবং পকেটে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। আগ্নেয়াস্ত্র বের করে প্রথমে আমাকে মারধর করে। এরপর সকল কর্মীদের এক জায়গায় বসিয়ে রেখে তারা লুটপাট চালায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: জমি নিয়ে বিবাদে চলল গুলি, প্রাণ গেল এক যুবকের, তীব্র চাঞ্চল্য চাঁচলে

    Malda: জমি নিয়ে বিবাদে চলল গুলি, প্রাণ গেল এক যুবকের, তীব্র চাঞ্চল্য চাঁচলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমি নিয়ে বিবাদকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে চাঁচলে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। মৃত যুবকের নাম সইদুল আলি (৩০)। বাড়ি চাঁচলের (Malda) জালালপুর এলাকায়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক। একে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে চাঁচলের জালালপুরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। উত্তেজিত জনতা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় বলেও অভিযোগ।

    কেন খুন (Malda)?

    স্থানীয় (Malda) সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে জমি বিবাদের কারণে গুলি করে হত্যা করা হয় সইদুল আলিকে। এই জমিতে বহুদিন ধরে সইদুলরা দখল ভোগসত্ত্ব করে আসছিলেন। কিন্তু বিগত কিছুদিন ধরে প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিশেষ বিবাদ হয় এই জমি নিয়ে। পাল্টা প্রতিবেশীদের দাবি, এই জমি তাঁদের। এরপর বাদানুবাদ থেকে আজ সকালে বন্দুকের গুলি চালানোর ঘটনায় এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে। এই খুনের ঘটনায় এলাকার মানুষকে তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়তে দেখা যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ গেলে, পুলিশকেও ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বলে জানা গেছে। পরিবার এবং গ্রামবাসীদের বক্তব্য একটাই, দোষীদের অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে।

    মৃতের পরিবারের বক্তব্য

    মৃতের মামা আকসার আলি বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে জমি নিয়ে এলাকায় বিবাদ চলছিল। জমির মালিকানা সত্ত্বর উপর নির্ভর করে এই বিবাদ কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। জমিতে গেলে প্রায় মারধর করে অন্যপক্ষের গুন্ডারা। তাঁর অভিযোগ ঠিক এমনিই। গত সপ্তাহেও এমনই মারামারির ঘটনা ঘটেছিল। তিনি আরও বলেন, মোস্তফা, আহত আলি, দুলাল এবং নিজামুল মেম্বার মিলে আমার ভাগ্নাকে গুলি করে খুন করছে। কিন্তু প্রকাশ্যে কীভাবে গুলি করে খুন করতে পারে! এই নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন পরিবারের পক্ষ থেকে মামা। দোষীদের গ্রেফতার করে অবিলম্বে শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন পরিবার (Malda)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: অভিষেককে কেন তলব নয়? ইডির কাছে জানতে চাইল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: অভিষেককে কেন তলব নয়? ইডির কাছে জানতে চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি  নিয়ে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ইডির কাছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে খোঁজ নেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতির নির্দেশ, আগামী ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ইডিকে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি

    দিনকয়েক আগেই ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’-এর অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেই ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’ কোম্পানির অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি। সেখান থেকে মেলে বেশ কিছু নথি। তার পরবর্তীকালে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা একটি সাংবাদিক সম্মেলনও করে। ইডির প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’ এর প্রাক্তন সিইও হিসেবে রয়েছে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। প্রসঙ্গত ইডির দাবি এই ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’ সংস্থাকে কাজে লাগানো হতো নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকার সাদা করার কাজে। ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’ এর কাজ অবশ্য জানা গিয়েছে, পরামর্শদানে নামে বিভিন্ন সংস্থার কাছে টাকা নেওয়া। তবে কী ধরনের পরামর্শ ঠিক দেওয়া হতো, তা অবশ্য জানা যায়নি। যে সমস্ত কোম্পানিকে পরামর্শ দানের ভিত্তিতে তারা টাকা নিয়েছে সেই কোম্পানি বা সংস্থাগুলির অস্তিত্ব আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে ইডি। অন্যদিকে, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’ সংস্থাটি যে তাঁরই এটা কার্যত মেনে নিয়েছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ নিজেও। সোমবার ছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস এবং এখানেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’ আমার সংস্থা।  

    বিচারপতি অমৃতা সিনহার পর্যবেক্ষণ

    বিচারপতি (Calcutta High Court) অমৃতা সিনহার পর্যবেক্ষণ যে ইডির বিজ্ঞপ্তিতেই বলা হচ্ছে ঐ সংস্থার মারফত কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। কিন্তু সেই বিষয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মাত্র একবারই তলব করা হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয়বার তলব কেন করা হয়নি সেটাই জানতে চেয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। মামলার (Calcutta High Court)পরবর্তী শুনানি ১৪ সেপ্টেম্বর। অন্যদিকে, বিচারপতি (Calcutta High Court) অমৃতা সিনহা এদিন জানিয়েছেন যে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তের জন্য গঠিত সিবিআই-এর বিশেষ তদন্তকারী দলই তদন্ত করবে পুর নিয়োগ দুর্নীতির। পাশাপাশি আদালতের (Calcutta High Court) নজরদারিতে চলবে এই দুর্নীতির তদন্ত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • River Ganga: গঙ্গা বুজিয়েও তৈরি হয়ে যাচ্ছে একের পর এক হোটেল! তোলা তুলতে ব্যস্ত তৃণমূল  

    River Ganga: গঙ্গা বুজিয়েও তৈরি হয়ে যাচ্ছে একের পর এক হোটেল! তোলা তুলতে ব্যস্ত তৃণমূল  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের পবিত্র নদী গঙ্গার (River Ganga) দুই পাড় জবরদখল করে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে হকারদের স্টল, বড় বড় অট্টালিকা, কারখানা, এমনকী হোটেল। হাওড়া ব্রিজ থেকে গঙ্গার ধার বরাবর রামকৃষ্ণপুর ঘাটের দিকে এগোলে দেখা মেলে, কীভাবে গঙ্গার পাড় দখল করে একের পর এক হোটেল ব্যবসা চলছে। হাওড়া পুরসভা এবং পুলিশ-প্রশাসনের নাকের ডগায় বছরের পর বছর এই জবরদখল চললেও তা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরানোর কোনও উদ্যোগ চোখে পড়ে না। একরকম বহাল তবিয়তে গঙ্গার পাড় দখল করে ব্যবসা চলছে। শুধু গঙ্গার পাড়ে সারি সারি হোটেল বা হকারদের স্টল নয়, কোথাও কোথাও গঙ্গার ঘাটে নামার সিঁড়িও দখল করে দোকানদাররা বসে পড়েছে জিনিসপত্রের পসরা সাজিয়ে। এবার হাওড়া স্টেশনের উল্টোদিকে হাওড়া গঙ্গার ঘাট ও লঞ্চঘাটের মাঝখানে দেখা মিলল নতুন দৃশ্য। কাঠের পাটাতন তৈরি করে গঙ্গার জলের নিচে থাম লাগিয়ে তার উপরে গড়ে উঠেছে হোটেল।

    যে কোনও সময় ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা (River Ganga)

    যাত্রীরা জানান, এতদিন শুধুমাত্র গঙ্গার (River Ganga) পাড় দখল করে হোটেল তৈরি হয়েছিল। এবার হাওড়া স্টেশনের দিকে আর হোটেল বাড়ানোর জায়গা না পেয়ে মালিকরা গঙ্গার ভিতরের দিকে পাড় বুজিয়ে, কোথাও গঙ্গার জলের মধ্যেই থাম দিয়ে তৈরি করেছে হোটেল। ফলে এতে যেমন একদিকে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, পাশাপাশি হাওড়া ব্রিজ সংলগ্ন গঙ্গার ঘাট ক্রমশ তার সৌন্দর্য হারাচ্ছে। এক নিত্যযাত্রী তীর্থঙ্কর চ্যাটার্জি বলেন, তিনি নিয়মিত লঞ্চে যাতায়াত করেন। ভাটার সময় গঙ্গার পাড়ের দিকে লঞ্চের জেটি থেকে তাকালেই এটা পরিস্কার বোঝা যায়, কীভাবে গঙ্গার নিচে বাঁশ ও কাঠের থাম পুঁতে তাতে কাঠের পাটাতন তৈরি করে তার ওপর হোটেল ও দোকান তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, এতে যে শুধুমাত্র পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে তাই নয়, যে কোনও সময় গঙ্গার জলের তোড়ে ওই কাঠ ও বাঁশের থাম হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই প্রশাসনের উচিত এখনই বিষয়টিতে নজরদারি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।
    আরেক লঞ্চের যাত্রী বাবলু সান্যাল বলেন, যখন গঙ্গায় (River Ganga) জোয়ার আসে, তখন প্রচণ্ড ঢেউ ওই পাড়ে ধাক্কা মারে। এমনকী লঞ্চ জেটিগুলিও দুলতে থাকে। তখন যে কোনও সময় জোয়ারের ধাক্কায় কাঠের থাম ভেঙে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যত দিন যাচ্ছে, তত জবরদখল আরও বেড়ে চলেছে বলে তাঁর অভিযোগ। তিনি বলেন, গঙ্গার পাড়ের উপরের অংশে হাঁটার জায়গা নেই, এত হকার সেখানে বসে পড়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে, সেই হকারি গঙ্গার জলের দিকেও বেড়ে চলছে। এখনই প্রশাসনের উচিত এ ধরনের জবরদখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ।

    কাজ হয়নি পুলিশকে বারবার বলেও

    কলকাতা বন্দরের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় মুখার্জি বলেন, জবরদখল (River Ganga) সরানোর কাজ পুলিশ-প্রশাসনের। বন্দরের পক্ষ থেকে তাঁরা পুলিশকে বারবার জানিয়েছেন এ ব্যাপারে। পুলিশকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে বলে তিনি জানান।

    তৃণমূলের মদতেই জবরদখল, তোলাবাজি

    নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন গঙ্গার ধারে এভাবে অবৈধ হোটেল তৈরি করে সেখান থেকে বরাবরই তোলাবাজির অভিযোগ ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। বাম আমলেও স্থানীয় বিধায়ক ও কাউন্সিলারের মদতে গঙ্গার পাড় বুজিয়ে এভাবে বড় বড় হোটেল তৈরি হয়েছে। সেই সব বাম নেতারা বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসে। হাওড়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন জায়গা দখল করেই তৈরি হয়েছে তৃণমূলের পার্টি অফিস এবং তাদের মদতেই এভাবে জবরদখল চলছে বলে সাধারণ মানুষের অভিযোগ। যদিও স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share