Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • ED: চিটফান্ডকাণ্ডে ফের গ্রেফতারি, ইডির হাতে ধৃত চক্র গ্রুপের কর্ণধার পার্থ চক্রবর্তী

    ED: চিটফান্ডকাণ্ডে ফের গ্রেফতারি, ইডির হাতে ধৃত চক্র গ্রুপের কর্ণধার পার্থ চক্রবর্তী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিটফান্ডকাণ্ডে রাজ্য থেকে ফের গ্রেফতারি। এবার ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হলেন চক্র গ্রুপের কর্ণধার পার্থ চক্রবর্তী। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন স্কিমের লোভ দেখিয়ে বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল এই চক্র গ্রুপ। ইডি (ED) সূত্রে জানা গিয়েছে, চক্র গ্রুপের দুটি হোটেল চলত। তারমধ্যে তারাপীঠে দুটি এবং নিউটাউনে একটি। গতকালই তলব করা হয় পার্থ চক্রবর্তীকে এবং দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারই তাঁকে আদালতে তোলা হবে।

    ২০০৭ সালেও গ্রেফতার হয়েছিলেন পার্থ চক্রবর্তী 

    তবে পার্থ চক্রবর্তীর এই গ্রেফতারি নতুন নয় বলেই জানা যাচ্ছে। ১৬ বছর আগে ২০০৭ সালে একবার গ্রেফতার করা হয়েছিল এই চিটফান্ড কর্ণধারকে। সে সময় গ্রেফতারি এড়াতে দীর্ঘদিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন পার্থ চক্রবর্তী। পরে দমদম বিমানবন্দর থেকে তাঁকে আটক করেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। বাজার থেকে কয়েকশো কোটি টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। স্বল্প সময়ে বেশি পরিমাণ রিটার্ন পাওয়ার লোভে প্রচুর মানুষ তাঁর সংস্থায় টাকা রাখতেন। প্রতারিত মানুষরা (ED) কলকাতার একাধিক থানায় পার্থ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তবে শুধুমাত্র চিটফান্ড ব্যবসা বা হোটেল ব্যবসাতেই সীমাবদ্ধ ছিলেন না পার্থ চক্রবর্তী। এক সময় একটি সংবাদপত্রও তিনি চালাতেন বলে জানা গিয়েছে। আবার বিভিন্ন মানুষকে ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে বহু টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে পার্থ চক্রবর্তী বিরুদ্ধে (ED)।

    চিটফান্ড দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (ED)

    অন্যদিকে চলতি মাসের ২১ তারিখ ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হন চিটফান্ড কর্তা বিশ্বপ্রিয় গিরি। তাঁর বিরুদ্ধে দেড় হাজার কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। পার্থ চক্রবর্তীর মতো বিশ্বপ্রিয়ও পুলিশকর্তাদের হাতে এর আগে গ্রেফতার হয়েছেন। ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ কর্তারা তাঁকে গ্রেফতার করেছিলেন। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠায় ইডি (ED) রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। 

    অন্যদিকে প্রীতিময় চক্রবর্তী নামের আরও এক চিটফান্ড কর্তাকে দশদিনের ইডি (ED) হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। জানা গিয়েছে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা পিনকনের ধৃত ব্যবসায়ী কৌস্তুভ রায়ের সংস্থা থেকে ১৩৮ কোটি টাকা নিয়েছিলেন প্রীতিময় এবং এই পুরো টাকাটাই তিনি নেন ২০০৯ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Couple: কোটি কোটি টাকা প্রতারণা, বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার নৈহাটির দম্পতি

    Couple: কোটি কোটি টাকা প্রতারণা, বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার নৈহাটির দম্পতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাউকে চড়া সুদের লোভ, কাউকে টাকা ডবল, কাউকে আবার কাজ পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছিল নৈহাটি অরবিন্দপল্লির এক দম্পতি (Couple)। টাকা হাতিয়ে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিল বিশ্বজিৎ মজুমদার ও সোমাশ্রী লাহিড়ী মজুমদার নামে ওই অভিযুক্ত দম্পত্তি। বেঙ্গালুরু থেকে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। আর প্রতারক দম্পত্তি গ্রেফতার হতেই টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় রয়েছেন প্রতারিতরা। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, কতজনের কাছে থেকে ওই দম্পতি টাকা হাতিয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    মায়ের কাছেও লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করেছে ছেলে ও বউমা (Couple)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্বজিৎ ও তার স্ত্রী সোমাশ্রী বছরখানেক ধরেই অরবিন্দপল্লি সহ বিভিন্ন এলাকার ব্যক্তির কাছে চড়া সুদে ফেরত দেওয়ার লোভ দেখিয়ে টাকা তুলতে থাকে। প্রথমে অল্প পরিমাণ টাকা নিয়ে চড়া সুদে অনেককে তারা টাকা ফেরত দেয়। আর তাতে তারা মানুষের আস্থা অর্জন করে। অনেককে আবার বেসরকারি সংস্থায় কাজ পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখায়। কয়েক মাসের মধ্যেই সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করে ওই দম্পতি (Couple) বাজার থেকে মোটা অঙ্কের টাকা তুলতে থাকে। এক টোটো চালক চড়া সুদে টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় তাঁর ব্যাঙ্কে গচ্ছিত প্রায় ৮ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। তিনি কোনও টাকা ফেরত পাননি। এক মহিলার কাছে থেকে ১৫ লক্ষ টাকা তুলেছিল। এরকম নৈহাটি সহ আশপাশের এলাকায় প্রচুর মানুষের কাছে কোটি কোটি টাকা তারা তুলেছিল। এমনকী নিজের মায়ের কাছ থেকেও বিশ্বজিৎ মোটা টাকা হাতিয়ে নেয়। গত তিন মাস ধরে তারা ফেরার ছিল। সময়মতো টাকা ফেরত না পেয়ে প্রতারিতরা এর আগে তার বাড়ির সামনে বিক্ষোভও দেখিয়েছিল। বিশ্বজিৎয়ের মা শেফালী মজুমদার বলেন, আমাদের এলাকায় দেড় কোটি টাকা ছেলে আর বউমা তুলেছে। আশপাশের এলাকা থেকে চার-পাঁচ কোটি টাকা তুলেছে। আমার কাছে থেকেই সাড়ে আট লক্ষ টাকা ওরা হাতিয়েছে। ছেলে ও বউমার কঠোর শাস্তি চাই।

    প্রতারিতদের কী বক্তব্য?

    প্রতারিতদের বক্তব্য, আমাদের মতো বহু মানুষদের কাছ থেকে আর্থিক প্রলোভন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা তারা তুলেছিল ওই দম্পতি (Couple)। গত ২০ মে তারা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ গ্রেফতার করায় আমরা খুশি। আমাদের দাবি, অবিলম্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুক পুলিশ। একই সঙ্গে আমাদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করুক।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ফের ফরাক্কা ব্যারাজের উপর দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা পেল তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস

    Murshidabad: ফের ফরাক্কা ব্যারাজের উপর দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা পেল তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ফরাক্কা ব্যারাজে (Murshidabad) ভয়াবহ দুর্ঘটনা। সোমবার রাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্যারাজের গার্ড রেলিং ভেঙে রেল লাইনে ঢুকে গেল একটি মালবাহী ট্রাক। সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে যায় উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ। অল্পের জন্য রক্ষা পেল তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস। যাত্রীদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট রাজ্য প্রশাসনের কাছে পাঠিয়েছে মালদা এবং মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন।

    কীভাবে বিপত্তি (Murshidabad)?

    নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মালবাহী ট্রাকটি গার্ড ভেঙে ঢুকে পড়ে রেল লাইনে। আর এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় (Murshidabad)। ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ ধরেই ব্যারাজে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছিল। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে আটকে পড়ে বহু যানবাহন। বন্ধ হয়ে যায় রেলের যোগাযোগ মাধ্যমও। দুর্ঘটনার জেরে ফরাক্কা ব্যারাজের উপরে ডাউন লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ে তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস। যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যদিও বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। চালকের তৎপরতায় রক্ষা পেয়েছে ট্রেনটি। ফরাক্কা ব্যারাজে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সিআইএসএফ জওয়ান ও পুলিস প্রশাসন। এদিকে দুর্ঘটনার পরেই ট্রাকটিকে রেল লাইন থেকে সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছে রেল পুলিশ। উল্লেখ করা যেতে পারে, গত সপ্তাহে ফরাক্কা ব্যারাজে একই রকম একটি দুর্ঘটনা ঘটে।

    গত সপ্তাহেও ঘটেছে দুর্ঘটনা

    গত সপ্তাহে মঙ্গলবার ভোর পাঁচটায় ফরাক্কা ব্যারাজের (Murshidabad) ৬২ নম্বর গেটের কাছে ট্রাক দুর্ঘটনায় বিচ্ছিন্ন হয় উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ। উল্লেখ্য একটি ট্রাক মালদা থেকে আসার পথে ব্রিজের রেলিং ভেঙে রেল লাইনের দিকে চলে যায়। ব্রিজের ওপরে থাকা কর্মরত সিআইএসএফ জওয়ানদের তৎপরতায় ওই মাল গাড়িটিকে দাঁড় করানো হয়। বড়সড় দুর্ঘটনার থেকে রেহাই পায় গাড়ির চালক। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ছুটে আসে ফরাক্কা থানার পুলিশ ও মালদা জেলার বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছে ট্রাকটিকে উদ্ধার করার কাজে হাত লাগান ব্রিজে থাকা কর্মরত সিআইএসএফ জওয়ানরা। তবে এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই। কিছুক্ষণের জন্য ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পরে আস্তে আস্তে তা স্বাভাবিক করে তোলে প্রশাসন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Dengue: ডেঙ্গি বেড়ে চার গুণ! সল্টলেক, রাজারহাট, নিউটাউনের ডেঙ্গি সংক্রমণে উদ্বেগে বাসিন্দারা

    Dengue: ডেঙ্গি বেড়ে চার গুণ! সল্টলেক, রাজারহাট, নিউটাউনের ডেঙ্গি সংক্রমণে উদ্বেগে বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝে মধ্যেই লাগাতার বৃষ্টি। কয়েক দিন আবার সূর্যের তাপে বাইরে থাকাই কষ্টকর হয়ে ওঠে। ফের শুরু হয় বৃষ্টি। গোটা অগাস্ট মাস জুড়ে কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় এমনই আবহাওয়া চলছে। আর এই আবহাওয়াতেই বংশবিস্তার করছে ডেঙ্গির মশা। যার জেরে সল্টলেক, নিউটাউন, রাজারহাট, বাগুইআটির মতো একাধিক জায়গায় কার্যত লাল সতর্কতা জারি হতে চলেছে।

    কী বলছে সাম্প্রতিক সমীক্ষা? 

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ইতিমধ্যেই হয়েছে চারগুণ! ফলে, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২৭ অগাস্ট পর্যন্ত রাজারহাট, সল্টলেক, নিউটাউন এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৪৬ জন। কিন্তু ২০২৩ সালের ২৭ অগাস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ৫০৪ জন। অর্থাৎ কয়েকগুণ বেশি। তার মধ্যে অগাস্টের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহেই ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ১৮০ জন। ফলে, পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    কেন বাড়ছে ডেঙ্গি? 

    স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের মধ্যে উত্তর চব্বিশ পরগনা ডেঙ্গিপ্রবণ জেলা। প্রত্যেক বছর উদ্বেগ বাড়ায় এই জেলা। এই জেলায় আক্রান্ত ও মৃত্যহার বেশি থাকে। সল্টলেক, রাজারহাট, নিউটাউনের মতো এলাকা উত্তর চব্বিশ পরগনার মধ্যেই রয়েছে। তাই বিশেষ নজরদারি হচ্ছে। রোগ নির্ণয় বেশি হচ্ছে বলেই জানা যাচ্ছে। তাই বাস্তব পরিস্থিতি স্পষ্ট হচ্ছে। কিন্তু জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই সব এলাকায় ডেঙ্গি সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী হওয়ার পিছনে রয়েছে একাধিক কারণ। প্রথমত, এই সব এলাকায় একাধিক নির্মীয়মাণ বহুতল রয়েছে। বর্ষার জমা জল সাত দিনের বেশি থাকার ঝুঁকি এই এলাকায় সবচেয়ে বেশি। সেখানেই ডেঙ্গি রোগ বহনকারী মশা বংশবিস্তার করে। পাশপাশি নিয়মিত ব্লিচিং পাউডার ছেটানো কিংবা মশা মারার ওষুধ দেওয়ার কাজও হয় না। ফলে, বিপদ বাড়ে। এছাড়াও, সল্টলেক এলাকায় একাধিক ফুলের নার্সারি রয়েছে। প্রচুর টব থাকে। সেগুলোতেও বর্ষার জল জমছে। বাড়ছে মশার দাপট। অনেক সময়েই নার্সারিতে ঠিকমতো নজরদারি হয় না। ফলে, ডেঙ্গি সংক্রমণ বাড়ছে। এর পাশাপাশি, রাস্তার অবস্থাও বেহাল। বহু জায়গায় বৃষ্টির পরে জল জমে থাকছে। সেখানেও মশার উপদ্রব বাড়ছে।

    কীভাবে হবে মোকাবিলা? 

    স্বাস্থ্য কর্তারা অবশ্য জনসচেতনতার উপরই জোর দিচ্ছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, সল্টলেক, রাজারহাট, নিউটাউনের মতো এলাকায় ডেঙ্গি সংক্রমণ বাড়ছে। তাই জ্বর হলে আর অবহেলা করা চলবে না। দ্রুত রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। রোগ নির্ণয় দ্রুত হলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। তবে, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনসচেতনতার পাশপাশি প্রশাসনিক তৎপরতাও জরুরি। বিশেষত ডেঙ্গি মশার বৃদ্ধি যাতে না হয়, সেদিকে নজরদারি প্রয়োজন। পুর প্রশাসনকে নিয়মিত এলাকা পরিদর্শন করতে হবে। কোনও জায়গা বন্ধ থাকলে, সেই জায়গায় প্রশাসনকে ঢুকে দেখতে হবে জল যাতে না জমে। রাস্তা মেরামত করতে হবে, নিকাশি ব্যবস্থা ভালো করতে হবে। যাতে কোনও পরিস্থিতিতেই জল না জমে। সেই নজরদারির দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। সেই কাজে গাফিলতি থাকলে ডেঙ্গি সংক্রমণ বাড়বেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: দত্তপুকুরে আরও তিনটি গোডাউনের হদিশ, মজুত প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক, বাজি

    Bomb Blast: দত্তপুকুরে আরও তিনটি গোডাউনের হদিশ, মজুত প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক, বাজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানার মালিক কেরামত আলির আরও একটি গোডাউনের হদিশ মিলল। সেখানে বোমা তৈরির সরঞ্জাম থরে থরে সাজানো ছিল। মঙ্গলবার সকালেই পুলিশ সেই গোডাউনের হদিশ পায়। এছাড়়াও এদিন বিস্ফোরণস্থলের (Bomb Blast) পাশেই আরও দুটি গোডাউনের পুলিশ হদিশ পায়। গোডাউন দুটিতে সাটার দেওয়া ছিল। এদিন সাটার খুলতেই থরে থরে সাজানো বাজি উদ্ধার করে পুলিশ।

    পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে কত বাজি বাজেয়াপ্ত করল?

    দত্তপুকুরে বিস্ফোরণের (Bomb Blast) দিন কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আরও একটি বেআইনি কারখানার হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। পাঁচিল ঘেরা পরিত্যক্ত জমিতেই বেআইনি বাজি কারখানা গজিয়ে উঠেছিল। সেখানে হানা দিয়ে উদ্ধার হয়েছিল শক্তিশালী বোমা তৈরির রাসায়নিক। রীতিমতো ল্যাবরেটরি তৈরি করে এই বেআইনি কারবার চলত। উত্তেজিত জনতা সেদিন সেই বেআইনি কারখানা ভাঙচুর করে দেয়। কারখানার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি প্রাইভেট গাড়ি ভাঙচুর করে গুঁড়িয়ে দেয়। ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৯ জনের মৃত্যুর পর টনক নড়েছে পুলিশের। সোমবার রাতে দত্তপুকুরের মোচপোল, কাঠুরিয়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ১২ হাজার ৯৪০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। রাতেই ৫-৬টি গাড়ি করে উদ্ধার হওয়া বাজি নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। বেআইনি বাজি কারখানার মালিক কেরামত আলির আরও একটি গোডাউনের হদিশ মিলল।

    কেরমাতের গোডাউন থেকে কী কী মিলল?

    বাজি উদ্ধারে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি, এফআইআরে নাম থাকা রমজান আলি ওরফে কালোর খোঁজ করছে পুলিশ। মূল অভিযোগকারী প্রভাস চক্রবর্তীর অভিযোগে নাম রয়েছে এই আইএসএফ কর্মীর। তাঁর বিরুদ্ধে কেরামত আলির সঙ্গে যোগসাজশে বেআইনি বাজি কারবারে মদত জোগানোর অভিযোগ রয়েছে। দত্তপুকুরের মোচপোল গ্রামে রমরমিয়ে চলত কেরামত আলির বেআইনি বাজি কারবার। বিস্ফোরণস্থলের (Bomb Blast)  কয়েকশো মিটার দূরে মজুত করা রয়েছে বাজি ও রাসায়নিক। ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেরামত ও তার ছেলে-সহ ৯ জনের মৃত্যুর ২ দিন পর মোচপোল গ্রামে ফের বাজির পাহাড়ের খোঁজ। বিস্ফোরণস্থল থেকে কিছুটা দূরে বাঁশ বাগানের মধ্যে কেরামতের আরও একটি গোডাউনের হদিশ মিলল। গোডাউনের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ক্লোরাইড উদ্ধার হল। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বাড়ি ভাড়া নিয়ে বেআইনি বাজির কারবার ফেঁদে বসেছিল কেরামত আলি। গুদামে এখনও মজুত রয়েছে প্রচুর রাসায়নিক। পাশেই আরও একটি বন্ধ ঘরে বাজি ঠাসা রয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। ঘন জনবসতি এলাকায় এ ধরনের গুদাম থাকায় আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, এর আগেও গুদাম ভাড়া করে বাজির কারবার চালাত কেরামত। বসতি এলাকায় বিপজ্জনক ব্যবসা নিয়ে আপত্তি জানালে কেরামত আলি হুমকিও দিত বলে অভিযোগ।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Duttapukur: দত্তপুকুর বিস্ফোরণে উড়ল বাড়ির চাল, মেয়ের বিয়ে নিয়ে দুশ্চিন্তায় হামিদ আলি

    Duttapukur: দত্তপুকুর বিস্ফোরণে উড়ল বাড়ির চাল, মেয়ের বিয়ে নিয়ে দুশ্চিন্তায় হামিদ আলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দত্তপুকুরের (Duttapukur) মোচপোলে বেআইনি বাজি কারখানার বিস্ফোরণে ডুবল হামিদ আলির পরিবারে সুখের দিন। ছোট মেয়ের বিয়ের দিন ঠিক হয়ে গিয়েছে। বাড়িতে শুভ অনুষ্ঠানের আনন্দেই মেতেছিলেন হামিদসাহেব ও তাঁর স্ত্রী মা মহিনুর বিবি। কিন্তু,  বিস্ফোরণের জেরে তাঁদের বাড়ি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উড়ে গিয়েছে বাড়ির চাল। এখন জমানো অর্থে তাঁরা বাড়ি ঠিক করবেন, না মেয়ের বিয়ে দেবেন, সেই নিয়ে এখন প্রবল চিন্তায় হামিদসাহেব।

    বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার নিয়ে কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, হামিদসাহেব চাষবাস করেই সংসার চালান। তাঁদের ছোট মেয়ের বিয়ে নিয়ে নানান পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁরা। সেইমতো প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। ছোট মেয়ের বিয়ে ঠিক হয় উত্তর ২৪ পরগনার বিরা’র এক ছেলের সঙ্গে। হবু জামাই মুদি ব্যবসায়ী। বিয়ের দিন ধার্য হয়েছে ২৪ সেপ্টেম্বর। কিন্তু, তার আগেই ঘটে গেল এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। আকস্মিকভাবে ২৭ অগাস্ট বিস্ফোরণের ঘটনায় তাদের সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে গেল একনিমেষে। জমানো অর্থে এখন বাড়ি ঠিক করবেন, না মেয়ের বিয়ে দেবেন, তা নিয়ে প্রবল চিন্তায় পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। উল্লেখ্য, রবিবার সকাল দশটা নাগাদ ইছাপুর নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের দত্তপুকুরের (Duttapukur) মোচপোল এলাকায় অবৈধ বাজি কারখানায় হওয়া তীব্র বিস্ফোরণে প্রায় ২০ থেকে ২৫ টি বাড়ি প্রবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ভেঙে পড়ে কারও বাড়ির ছাদ। কারও বাড়ির দেওয়াল ভেঙেচুরে যায়। তছনছ হয় বাড়ির সরঞ্জাম। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির তালিকায় রয়েছে হামিদসাহেবের বাড়িও। ছোট মেয়ের বিয়ের আনন্দ এক লহমায় ম্লান হয়ে গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে হামিদসাহেবের স্ত্রী মহিনুর বিবি বলেন, আর্থিকভাবে আমরা এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে, বাড়ি ঠিক করলে সমস্ত উপার্জন বাড়ি ঠিক করতে খরচ হবে। ছোট মেয়ের বিয়ে নিয়ে খুব চিন্তায় রয়েছি। অর্থ সাহায্যের আশা করে বাবা হামিদসাহেব বলেন, এখন যে পরিস্থিতিতে আমরা দাঁড়িয়ে, সেখানে মেয়ের বিয়ে নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেই রয়েছি। সরকার যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে উপকার হয়।

    প্রতিবেশীরা কী বললেন?

    হামিদসাহেবের ছোট মেয়ের বিয়ের কথা দত্তপুকুরের (Duttapukur) মোচপোল গ্রামের সকলেই জানেন। প্রতিবেশীরা বলেন, যদি একান্তই দেখা যায় তিনি প্রবল অর্থ সংকটে পড়েছে এবং সরকারের পক্ষ কোনও সাহায্য না পেলে হামিদসাহেবের মেয়ের বিয়ে নিয়ে তাঁকে চিন্তা করতে হবে না। আমরা গ্রামের সবাই চাঁদা তুলে তাঁদেরকে অর্থ সাহায্য করব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rishra: চাল দিয়ে তৈরি হচ্ছে আইফেল টাওয়ার থেকে হাওড়া ব্রিজ! তাক লাগাচ্ছেন রিষড়ার তপন

    Rishra: চাল দিয়ে তৈরি হচ্ছে আইফেল টাওয়ার থেকে হাওড়া ব্রিজ! তাক লাগাচ্ছেন রিষড়ার তপন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সূক্ষ হাতে চাল দিয়ে তৈরি হচ্ছে দেড় ফুটের আইফেল টাওয়ার থেকে হাওড়া ব্রিজ! অবিশ্বাস্য কাজ করে তাক লাগাচ্ছেন রিষড়ার (Rishra) তপন। চাল দিয়ে তৈরি মডেল তাঁর নিপুন হাতে জীবন্ত হয়ে উঠেছে। এই কাজ নিয়ে বহু মানুষের ভালোবাসা তিনি পেয়েছেন।

    চাল দিয়ে কী কী তৈরি করেছেন শিল্পী?(Rishra)

    রিষড়ার (Rishra) দেওয়ানজি স্ট্রিটের বাসিন্দা তপন বন্দ্যোপাধ্যায়। শিল্পমনস্ক এই ভদ্রলোকের ছোট থেকে নেশা ছিল শিল্পকর্মে। বিভিন্ন জিনিস দিয়ে যে সমস্ত শিল্পকর্ম হয় সেগুলির প্রতি ছোট থেকেই তাঁর একটা আগ্রহ ছিল। যখন একটু বয়স বাড়ে তখন তপনবাবু চিন্তাভাবনা করেন, চাল দিয়ে কিছু শিল্পকর্ম করলে কেমন হয়। যেমন ভাবা তেমন কাজ। এরপর সূক্ষ্ম চালের দানা দিয়ে তাতে আঠা লাগিয়ে একের পর এক অনিন্দ্যসুন্দর কারুকার্যসমৃদ্ধ শিল্পকলা ফুটে উঠেছে তাঁর এই সৃষ্টির মাধ্যমে। ইতিমধ্যে তপনবাবু চাল দিয়ে প্যারিসের আইফেল টাওয়ার থেকে শুরু করে ভারতের পার্লামেন্ট হাউস, লন্ডন ব্রিজ, তাজমহল, সোফা সেট তৈরি করেছেন। তাঁর শিল্পকর্মের জন্য ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বীকৃতি যেমন পেয়েছেন, তারসঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় নানা প্রদর্শনীতে তার এই শিল্পকর্ম প্রশংসিত হয়েছে।

    নিজের শিল্পকর্ম নিয়ে কী বললেন শিল্পী?

    তপনবাবু বলেন, কেবলমাত্র মনের তাগিদে নতুন নতুন শিল্পকর্ম তৈরি করে মানুষকে মনোরঞ্জন করার জন্যই আমি প্রয়াস চালিয়ে যাই। আমার বড় ইচ্ছা, আমি এমন একটা কাজ করব যা মানুষের মনের মণিকোঠায় চিরকাল রয়ে যায়। কিন্তু, এরই মধ্যে কিছু কিছু আক্ষেপ তাঁর রয়ে গিয়েছে। অনেক সময় আমরা দেখেছি, বিভিন্ন প্রদর্শনীতে বাচ্চা বাচ্চা ছেলেরা আমার শিল্প-কর্ম দেখতে চাইলেও তাদের অভিভাবকদের এই স্টল ঘুরে দেখার সময় হয় না, এটাই আমার বড় আক্ষেপ। তবে, আমি একজন শিল্পী। এই শিল্পীর মন নিয়েই বাকি জীবন বাঁচতে চাই। আমার আশা, আগামী দিনেও আমার এই শিল্পকর্ম মানুষের মনোরঞ্জন করে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Update: ভয় ধরাচ্ছে অগাস্ট! শেষ এক মাসে ডেঙ্গি সংক্রমণ ১০ হাজার

    Dengue Update: ভয় ধরাচ্ছে অগাস্ট! শেষ এক মাসে ডেঙ্গি সংক্রমণ ১০ হাজার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র এক মাসে ডেঙ্গি (Dengue Update) সংক্রমণ তিন হাজার থেকে তেরো হাজার। স্বাস্থ্য দফতরের ৩০তম সপ্তাহের রিপোর্টেই দেখা গিয়েছে, গত জানুয়ারি থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৩৬৯। মাত্র এক মাসে সেটি বেড়ে হয়েছে ১৩ হাজার। অর্থাৎ, শুধু অগাস্ট মাসেই রাজ্যে ১০ হাজার মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন।

    কী বলছে রিপোর্ট

    সূত্রের খবর, অগাস্টের প্রথম থেকেই রাজ্যে ডেঙ্গির (Dengue Update) বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে। ক্রমেই তা মাথাচাড়া দিয়েছে। যেমন, ৩৪তম সপ্তাহের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, গত জানুয়ারি থেকে ২২ অগস্ট পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৯০ জন। সব থেকে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে ৩৩ ও ৩৪তম সপ্তাহে। ২৮ অগাস্ট পর্যন্ত পরিসংখ্যানে প্রকাশ, রাজ্যে সংক্রমণ টপকে গিয়েছে ১৩ হাজারের গণ্ডি। অর্থাৎ, শেষ ছ’দিনে সংক্রমণ তিন হাজারেরও বেশি। বস্তুত, গোটা অগাস্ট জুড়ে ঝোড়ো ব্যাটিং করে চলেছে ডেঙ্গি। দৈনিক ৩০০ জনের বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন অগাস্টে।

    বৃষ্টি কম হওয়াই কারণ

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, গত বছরেও ডেঙ্গির (Dengue Update) বাড়বাড়ন্ত হয়েছিল অগস্ট মাসেই। ওই মাসের শেষের দিকে রাজ্যে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ছিল ১০ হাজারের ঘরে। এ বার অবশ্য সেই সংখ্যাটি ভাল রকমেরই বেশি রয়েছে। সেই সঙ্গে এখনও পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় ডেঙ্গির প্রকোপ আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। টানা ভারী বৃষ্টিতে ডেঙ্গির বাহক এডিস মশার লার্ভা ধুয়ে যায়। এ বছর তেমন বৃষ্টি হয়নি। সেপ্টেম্বরের গোড়ায় আরও অবনতি হতে পারে। 

    আরও পড়ুন: দেশের সেরা ৫০ জনের মধ্যে বাংলার ‘জাতীয় শিক্ষক’ কে?

    গ্রামে সংক্রমণ বেশি

    বরাবর ডেঙ্গি (Dengue Update) সংক্রমণে শীর্ষে থাকে উত্তর ২৪ পরগনা। তার পরেই কলকাতা। কিন্তু চলতি বছর আগাগোড়া সংক্রমণে পয়লা নম্বরে ছিল নদিয়া। তবে অগাস্টের মাঝামাঝি থেকে বদলাতে থাকে ছবিটা। নদিয়াকে টপকে শীর্ষে চলে আসে উত্তর ২৪ পরগনা। শুধু এই জেলাতে এ বছর ডেঙ্গি আক্রান্ত চার হাজার ছুঁইছুঁই। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ বিধাননগরে। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা গত বছরের প্রায় চার গুণ (৫০৪)। ডেঙ্গি ছড়িয়েছে দক্ষিণ দমদমেও (৩১০)। তুলনায় শহর কলকাতায় (৯৮৯) সংক্রমণ তেমন বাড়াবাড়ি পর্যায়ে যায়নি এখনও। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এ বার শহরের (৪০ শতাংশ) থেকে গ্রামের দিকে (৬০ শতাংশ) আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Duttapukur Blast: ‘‘কতজন নাবালকের মৃত্যু হয়েছে?’’ দত্তপুকুরকাণ্ডে চিঠি শিশু সুরক্ষা কমিশনের

    Duttapukur Blast: ‘‘কতজন নাবালকের মৃত্যু হয়েছে?’’ দত্তপুকুরকাণ্ডে চিঠি শিশু সুরক্ষা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দত্তপুকুরের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের (Duttapukur Blast) ঘটনায় এবার তৎপর হয়ে উঠল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। রবিবারই কেঁপে ওঠে দত্তপুকুর (Duttapukur Blast)। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে ৫ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত আওয়াজ শোনা যায়। এখনও পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। এই ঘটনায় কোনও শিশুর মৃত্যু হয়েছে কিনা অথবা কোনও শিশু আহত হলে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা ঠিকঠাক করা হয়েছে কিনা, এসব কিছুই জানতে চেয়ে চিঠি পাঠাল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত যে ন’ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে, তাদের মধ্যে ১৬ বছরের রনি শেখ এবং ১৮ বছরের মাসুম শেখও রয়েছে। অর্থাৎ ১৮ বছরের নিচে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সে ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে চিঠি পাঠিয়েছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন।  শুধু তাই নয়, বাজির কারখানায় বিস্ফোরণের (Duttapukur Blast) ঘটনায় যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, তার কপি সমেত অন্যান্য নথিও চেয়ে পাঠিয়েছে শিশু সুরক্ষা কমিশন।

    সোমবার দত্তপুকুরে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন

    সোমবারে দত্তপুকুরে পৌঁছায় জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের একটি দল এবং সেখানে গিয়ে তারা গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে (Duttapukur Blast)। শিশু সুরক্ষা কমিশনের সামনে গ্রামবাসীরা পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন এবং তাঁরা বলতে থাকেন যে পুলিশকে সব কিছু জানানো সত্ত্বেও কোনও রকম ব্যবস্থা তারা নেয়নি। আগে থেকে ব্যবস্থা নিলে এমন ঘটনা হয়তো ঘটতো না! এরপরই বিস্ফোরণের (Duttapukur Blast) যাবতীয় খুঁটিনাটি তথ্য চেয়ে পাঠায় কমিশন।

    বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ (Duttapukur Blast) চলছেই রাজ্যে 

    দত্তপুকুরের ওই বাজি কারখানায় (Duttapukur Blast) কোনও সরকারি অনুমোদন ছিল কিনা তাও জানতে চেয়েছে শিশু সুরক্ষা কমিশন। রাজ্যে গত কয়েক মাসে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ বারবার খবরের শিরোনামে এসেছে। পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার বিস্ফোরণে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু তিন মাসে কোনও উদ্যোগ বা তৎপরতা যে সরকার নেয়নি, তার প্রমাণ মিলল ফের একবার দত্তপুকুরের বিস্ফোরণের পর। ওয়াকিবহাল মহল প্রশ্ন তুলেছে, দত্তপুকুর বা এগরার মত আরও বাজি কারখানা পশ্চিমবঙ্গের আনাচে-কানাচে লুকিয়ে রয়েছে কিনা এবং সেই বাজি কারখানাগুলোতে বিস্ফোরণের (Duttapukur Blast) পরেই কি জানা যাবে যে সেখানে কারখানার অস্তিত্ব ছিল?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: সিসিটিভি ইস্যুতে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে যাদবপুরের উপাচার্য

    Jadavpur University: সিসিটিভি ইস্যুতে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে যাদবপুরের উপাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ নিয়েই পড়ুয়াদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত কেন নিয়েছে কর্তৃপক্ষ (Jadavpur University)? এই প্রশ্ন তুলে প্রথমে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের সংসদ ফেটসুর সদস্যদের সঙ্গে বিতন্ডা হয় উপাচার্যের। পরে কলা বিভাগের সংসদ আফসুর সঙ্গেও বিবাদ হয় উপাচার্যের।

    কী ঘটেছিল ঠিক? 

    জানা গিয়েছে, সোমবার উপাচার্যের ঘরে (Jadavpur University) স্মারকলিপি জমা দিতে যান ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পড়ুয়াদের সংসদ ফেটসুর সদস্যরা এবং তাঁরা দাবি জানাতে থাকেন, স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেই সিসিটিভি বসাতে হবে। কর্তৃপক্ষ এভাবে একতরফা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এ নিয়েই শুরু হয়ে যায় উপাচার্যের (Jadavpur University) সঙ্গে কথা কাটাকাটি। ফেটসুর সদস্যরা যখন বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, ঠিক তখনই আবার ঘিরে ধরেন আফসুর সদস্যরাও। তাঁরাও পাল্টাও স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কথা জানাতে থাকেন উপাচার্যকে। তখনই নিজের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যান উপাচার্য।

    কী বলছেন উপাচার্য?

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) ইউজিসি নির্দেশিকা মেনেই বসছে সিসিটিভি এবং তিন সপ্তাহের মধ্যেই তা বসাতে চলেছে কর্তৃপক্ষ। মোট ২৬টি সিসিটিভি বসছে ক্যাম্পাসের ১০টি জায়গায়। এর জন্য খরচ হচ্ছে ৩৭ লাখ টাকা। বহিরাগতদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ রুখতে এবং ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ দিনের ঘটনা প্রসঙ্গে উপাচার্যের (Jadavpur University) দাবি যে তিনি যখন অধ্যাপক সংগঠনের ডেপুটেশন জমা নিচ্ছিলেন, তখনই আচমকা ভিতরে ঢুকে পড়ে এক দল পড়ুয়া এবং বলতে থাকে তাদের ডেপুটেশনে জমা নিতে হবে। এই ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরবর্তীকালে উপাচার্য বাইরে বেরিয়ে এলে তাঁর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ (Jadavpur University) দেখাতে শুরু করেন একদল পড়ুয়া।

    বিশ্ববিদ্যালয়ে মিলছে মদের বোতল

    গত ৯ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) মেন হস্টেলের তিনতলা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর। তারপর থেকেই প্রশ্ন ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ভিতরে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের ক্যাম্পাসে মেলে টবে গাঁজা চাষ করার প্রমাণও। পাশাপাশি গত সপ্তাহের শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপেন থিয়েটার থেকে উদ্ধার হয় রাশি রাশি মদের বোতল। এই সমস্ত কারণের জন্যই বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। যার বিরোধিতা শুরু করে ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। এবার তাদেরই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল উপাচার্যকেও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share