Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Jute Mill: দিনেরবেলায় প্রকাশ্যে শ্যুটআউট ভাটপাড়ায়, জুটমিল কর্মীকে তুলে নিয়ে গিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি

    Jute Mill: দিনেরবেলায় প্রকাশ্যে শ্যুটআউট ভাটপাড়ায়, জুটমিল কর্মীকে তুলে নিয়ে গিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে ফের শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটল ভাটপাড়ায়। বিকাশ বেহেরা নামে এক জুটমিল (Jute Mill) কর্মীকে বাড়ির কাছ থেকে গাড়ি করে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রথমে বেধড়ক মারধর করে দুষ্কৃতীরা। পরে, তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালানো হয়। দুটি গুলি তার শরীরে লাগে। আরেকটা গুলি শরীর ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ভাটপাড়া স্ট্রেট জেনারল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে, দিনের বেলায় এভাবে শ্যুটআউটের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে  শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকাশের বাড়ি কাঁকিনারা কুলি লাইন। তিনি কাকিনাড়া জুটমিলের কর্মী (Jute Mill)। এদিন কাজ শেষ করে এসে বাড়ির সামনে রাস্তায় তিনি ঘোরাঘুরি করছিলেন। এদিন বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ গাড়ি করে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর কাছে আসে। তাঁকে সেখান থেকে এক রকম অপহরণ করার মত করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।  ভাটপাড়া পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে নিয়ে গিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলিও চালানো হয় বলে অভিযোগ। দুটো গুলি তার পায়ে লাগে। মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালানো হলেও সে ছুটে পালিয়ে যায়। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। দুষ্কৃতীদের হামলার জেরে গুরুতর জখম অবস্থায় তিনি রাস্তাতেই পড়েছিলেন। হামলার পর পরই দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে, তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আক্রান্ত যুবক বিকাশবাবু বলেন, বাড়ির সামনে আমি ঘোরাঘুরি করছিলাম। আচমকা কয়েকজন এসে আমাকে তুলে নিয়ে চলে যায়। কেন আমাকে নিয়ে গেল আমি তা বুঝতে পারিনি। এরপর ওরা আমাকে বেধড়ক মারধর করে এবং গুলিও চালায়। কেন আমার উপর এভাবে হামলা চালাল আমি বুঝতে পারছি না।

    কী বললেন আক্রান্তের পরিবারের লোকজন?

    আক্রান্ত যুবকের বাবা রাজু বেহেরা  বলেন, এদিন আমি জুট মিলে (Jute Mill) কাজ করছিলাম। ছেলেকে দুষ্কৃতীরা  ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে নিয়ে যায়। সেখানেই ছেলেকে লক্ষ্য  করে গুলি চালায়। আমি চাই, যে বা যারা এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Duttapukur: বিস্ফোরণকাণ্ডে চাপে পড়ে দত্তপুকুর থানার আইসি, নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসি সাসপেন্ড

    Duttapukur: বিস্ফোরণকাণ্ডে চাপে পড়ে দত্তপুকুর থানার আইসি, নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসি সাসপেন্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দত্তপুকুর (Duttapukur) বোমা বিস্ফোরণের পর থেকেই স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের দিকে বাব বার আঙুল তুলছিলেন। নিয়মিত মাসোহারা নিয়ে পুলিশ এই এলাকায় বেআইনি বাজি কারখানা চালাতে দিত। রাজ্যপাল থেকে বিরোধী দলনেতা সকলের কাছে স্থানীয় বাসিন্দারা এই অভিযোগ করে আসছিলেন। অবশেষে চাপে পড়ে দত্তপুকুর থানার আইসি শুভব্রত ঘোষ এবং নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসি হিমাদ্রি ডোগরাকে প্রথমে ক্লোজ করা হয়। পরে, তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়।

    নতুন ওসি কে হলেন?

    দত্তপুকুরে (Duttapukur) বেআইনি বাজি কারখানা নিয়ে নির্দেশ অমান্য করায় শাস্তি হিসেবে প্রথমে হিমাদ্রি ডোগরাকে ক্লোজ করা হয়। পরে, কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সোমবার তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। দত্তপুকুর থানার নীলগঞ্জ ফাঁড়ির নতুন ওসি হন সঞ্জয় বিশ্বাস। তবে, ফাঁড়ির ওসি শুধু নয় দত্তপুকুর থানার আইসি শুভব্রত ঘোষকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে।

    ফাঁড়ির ওসি সাসপেন্ড হওয়া নিয়ে কী বললেন এলাকাবাসী?

    তৃণমূলের মদতেই দত্তপুকুরের (Duttapukur) মোচপোল গ্রামে বেআইনি বাজি কারখানা গড়ে উঠেছিল। তবে, শুধু একটা নয়, গোটা গ্রাম জুড়েই বেআইনি বাজি কারখানা রয়েছে। একাধিক গোডাউন রয়েছে বাজির। আর বাজির আড়ালেই রমরমিয়ে বোমা তৈরি চলত। মুর্শিদাবাদ থেকে মোটা টাকা দিয়ে শ্রমিক নিয়ে এসে চলত বোমা তৈরি। বোমা বিস্ফোরণে ইতিমধ্যেই সরকারি তথ্য অনুযায়ী ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেসরকারি মতে সেই সংখ্যাটি-১০। এরমধ্যে মুর্শিদাবাদের চারজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। রবিবার রাতে রাজ্যপাল ঘটনাস্থলে আসলে স্থানীয় বাসিন্দারা গোটা গ্রাম ঘুরিয়ে বেআইনি বাজি কারখানার রমরমার বিষয়টি তুলে ধরেন। সোমবার দিনভর বিরোধী দলনেতা সহ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, সিপিএমের রাজ্য নেতা মহম্মদ সেলিম সহ একাধিক রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা ঘটনাস্থলে যান। রাজনৈতিক নেতাদের কাছে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ জানিয়েছিলেন, পুলিশ মাসোহার নিয়ে এই কারবার চালাত। বেআইনি বাজি কারখানা নিয়ে পুলিশের কাছে বলতে গেলে তারা ভয় দেখাতো। বিস্ফোরণ হবার পরও পুলিশ ভয় দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এতজনের তরতাজা প্রাণ যাওয়ার পর রাজ্য সরকারের টনক নড়ল। আগে ব্যবস্থা নেওয়া হলে অকালে প্রাণ যেত না। এরজন্য রাজ্য সরকারি দায়ী। শুধু নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসি বা দত্তপুকুর থানার আইসি-র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে হবে না। এই চক্রের সঙ্গে যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Board: পাঁচ হাজার পুলিশ এনেও ‘খেলা’ হল না, খানাকুলের পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে

    Panchayat Board: পাঁচ হাজার পুলিশ এনেও ‘খেলা’ হল না, খানাকুলের পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তির জেরে পঞ্চায়েত বোর্ড (Panchayat Board) গঠন স্থগিত ছিল। হুগলি জেলার খানাকুলের ঠাকুরানিচক পঞ্চায়েতের বোর্ড অবশেষে সোমবার কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে গঠিত হল। এদিন খানাকুলের ওই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করল বিজেপি। টান টান রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্য দিয়ে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হয়। প্রায় পাঁচ হাজার পুলিশের উপস্থিতিতে এদিন বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়। সকাল থেকেই পুলিশ-প্রশাসনের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

    কীভাবে হল বোর্ড (Panchayat Board) গঠন?

    খানাকুলের ২৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১১ টি বিজেপির দখলে। তার মধ্যে একটি পঞ্চায়েত সমিতি আছে। উল্লেখ্য, গত ১১ ই অগাস্ট আরামবাগ মহকুমার প্রায় সব ক’টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠিত হলেও ঠাকুরানিচক পঞ্চায়েতে ব্যাপক মারপিট হওয়ায় বোর্ড গঠন (Panchayat Board) প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। এদিন বন্ধ হয়ে যাওয়া ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৫ টি সংসদের মধ্যে ১৩ টি পায় বিজেপি এবং তৃণমূল পায় ১২ টি। স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপি এগিয়ে থাকে। এদিন খানাকুলের মোড়ে ব্যাপক জমায়েত ছিল তৃণমূল ও বিজেপির। প্রশাসনের নজরদারির পাশাপাশি প্রতিটি এলাকায় পুলিশ মোতায়ন করা হয়। কড়া পুলিশি পাহারার মধ্য দিয়ে বিজেপির জয়ী ১৩ জন প্রার্থীকে পঞ্চায়েতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বোর্ড গঠনের জন্য ভোট প্রক্রিয়া শুরু হয়। অবশেষে বিজেপির প্রধান হন রামকৃষ্ণ মাইতি এবং উপ প্রধান হন সন্ধ্যা কোটাল।

    খানাকুল জুড়ে বিজেপির জয়জয়কার (Panchayat Board)

    এরপরই গেরুয়া আবির খেলায় মেতে ওঠেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। এদিন এই বোর্ড গঠন প্রক্রিয়ায় পুড়শুড়ার বিধায়ক তথা আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিমান ঘোষ ও খানাকুলের বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ উপস্থিত ছিলেন। বিজেপি নেতা বিমান ঘোষ বলেন, একটা পঞ্চায়েত (Panchayat Board) গঠন করতে এত পুলিশ কেন দিতে হবে? তৃণমূল চেয়েছিল কারচুপি করে বোর্ড দখল করে নেবে। কিন্তু বিজেপি তাকে প্রতিরোধ করে। অপরদিকে খানাকুলের বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন, খানাকুল জুড়ে বিজেপির জয়জয়কার। সেরকম ভাবেই বিজেপি ঠাকুরানিচক দখল নিয়েছে।সব মিলিয়ে ঠাকুরানিচক পঞ্চায়েত গঠনে তৃণমূল খেলার মাঠ ছেড়ে পালালো বলা যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘দত্তপুকুর বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয়েছিল আরডিএক্স,’’ বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘দত্তপুকুর বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয়েছিল আরডিএক্স,’’ বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে সোমবার দুপুরে মোচপোল গ্রামে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিস্ফোরণে  ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। বিরোধী দলনেতাকে সামনে পেয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ  উগরে দেন এলাকাবাসী।

    বিরোধী দলনেতাকে (Suvendu Adhikari) কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    এদিন বেলা তিনটে নাগাদ শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দত্তপুকুর গ্রামে যান।  বিস্ফোরণস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে তিনি গাড়ি থেকে নামেন।  সেখান থেকে দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থলে যান। রাস্তার দুধারে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষজন তাঁর সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন। তিনি সকলকে বলেন, ভরসা রাখুন, বোমা বিস্ফোরণের এনআইএ তদন্ত হবে। এরপর তিনি বিস্ফোরণস্থলে যান। বোমা বিস্ফোরণের উল্টো দিকে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির  ছাদে ওঠেন তিনি। সেখান থেকে দুর্ঘটনাস্থল তিনি খতিয়ে দেখেন। সেখানে থেকে নীচে নেমে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বিরোধী দলনেতাকে  সামনে পেয়ে বলেন, তৃণমূলের মদতেই বেআইনি বাজি কারখানা চলতো।  পুলিশ নিয়মিত মাসোয়ারা নিত। তাদের কাছে অভিযোগ জানালে উল্টে তারা আমাদের ধমক দিত। ঘটনার দিনও পুলিশ মাসোহারা নিয়ে যায়। বোমা বিস্ফোরণে  ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের এক সদস্য বলেন, বিস্ফোরণ আমাদের বাড়ির সমস্ত কিছু ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করলে ভালো হয়। বিষয়টি দেখবেন। তিনি এ বিষয়ে আশ্বাস দেন এবং একাধিক ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি তিনি ঘুরে দেখেন।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    দত্তপুকুরে বিস্ফোরণস্থলে দাঁড়িয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, বিস্ফোরণে আরডিএক্স ব্যবহার করা ছিল। আমরা এই ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি তিনি বলেন, বিস্ফোরণে যাদের ক্ষতি হয়েছে তাদেরকে ক্ষতিপূরণও দিতে হবে। গ্রামবাসীরা প্রত্যেকেই চাইছেন এনআইএ তদন্ত হোক তার সঙ্গে সহমত পোষণ করছি। পাশাপাশি তিনি এদিন আরও জানান রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ ও দত্তপুকুর থানার আইসি দুজন মিলিত হয়ে এই ব্যবসা চালাচ্ছিলেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Metro: কলকাতার সমস্ত মেট্রো স্টেশনে বসছে স্বয়ংক্রিয় প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর

    Kolkata Metro: কলকাতার সমস্ত মেট্রো স্টেশনে বসছে স্বয়ংক্রিয় প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় খবরে আসে মেট্রোর লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা! এবার মেট্রো লাইনে (Kolkata Metro) আত্মহত্যার চেষ্টা রুখতে উদ্যোগ নিল কর্তৃপক্ষ। পাতাল রেল এসে দাঁড়ানোর পরেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেনের গেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে প্ল্যাটফর্মেরও (Kolkata Metro) গেট খুলবে। গেট খোলার পরেই যাত্রীরা ওঠানামা করতে পারবেন। এর ফলে প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে উন্মুক্ত অবস্থায় আর থাকবে না রেল লাইন। জানা গিয়েছে, কলকাতা শহরের সমস্ত প্ল্যাটফর্মেই এই নয়া স্ক্রিনডোর বসানোর চিন্তাভাবনা শুরু করেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। মেট্রো লাইন (Kolkata Metro) থেকে প্ল্যাটফর্মকে পৃথক করে রাখা এই স্ক্রিন ডোরের ফলে নিরাপত্তা বেশ আঁটোসাঁটো হবে। প্রসঙ্গত শহরের ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতে ইতিমধ্যে এই ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এবার শহরের সমস্ত প্ল্যাটফর্মেই এই ব্যবস্থা চালু করছে রেল কর্তৃপক্ষ।

    গঙ্গার নিচে মেট্রো রুটে (Kolkata Metro) অক্সিজেন সরবরাহ ঠিক রাখতে বসছে এক্সজস্ট ফ্যান

    পাশাপাশি গঙ্গার নিচে তেত্রিশ ফুট গভীরতায় ছুটবে মেট্রো (Kolkata Metro)। মাটির এতটা গভীরতায় অক্সিজেন সরবরাহ ঠিক রাখতে উদ্যোগী হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। হাওয়া চলাচল ঠিক রাখতে বসানো হচ্ছে এক্সজস্ট ফ্যান। এখানেও অবশ্য থাকছে স্ক্রিনডোর (Kolkata Metro)। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এর ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেকটাই জোরদার হবে। কারণ কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর করিডরের মেট্রো ব্লু লাইন বলে পরিচিত। পরিসংখ্যান বলছে এই করিডোরে সবথেকে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। প্রায় ৩০ কিলোমিটারের এই করিডরের মধ্যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ শহর সল্টলেক এবং নিউটাউনকে কলকাতার দক্ষিণ শহরতলির সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে।

    কবি সুভাষ থেকে ৯টি স্টেশনের মধ্যে মেট্রো (Kolkata Metro) চলাচল করবে 

    আপাতত কবি সুভাষ থেকে ৯টি স্টেশনের মধ্যে মেট্রো চলাচল করবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এই মেট্রো রেল (Kolkata Metro) চলবে বেলেঘাটা পর্যন্ত। স্টেশনগুলি হল, কবি সুভাষ স্টেশন, সত্যজিৎ রায় স্টেশন, জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী স্টেশন, কবি সুকান্ত স্টেশন, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় স্টেশন, ভিআইপি বাজার স্টেশন, বরুণ সেনগুপ্ত স্টেশন এবং বেলেঘাটা স্টেশন। মেট্রো (Kolkata Metro) সূত্রে আরও খবর, ২০২৩ এর ডিসেম্বরের মধ্যে বেলেঘাটা স্টেশন, ২০২৪ সালের মাঝামাঝির মধ্যে সেক্টর ফাইভ এবং পরের বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সিটি সেন্টার এবং ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কলকাতা বিমানবন্দর পর্যন্ত কাজ শেষ হয়ে যাবে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Organ Transplantation: অঙ্গ প্রতিস্থাপনের পরেই মৃত্যু! নজরদারি কি মুখ থুবড়ে পড়েছে রাজ্যে?

    Organ Transplantation: অঙ্গ প্রতিস্থাপনের পরেই মৃত্যু! নজরদারি কি মুখ থুবড়ে পড়েছে রাজ্যে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলনাড়ু, দিল্লি পারলেও লাগাতার হোঁচট খাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ! তাই রাজ্যের মানুষ সুস্থ হতে ভরসা রাখছে ভিন রাজ্যের উপরই। অঙ্গ প্রতিস্থাপনে রাজ্যের ঢিলেঢালা মনোভাবের জন্য প্রক্রিয়া অত্যন্ত শ্লথ। তার উপর প্রতিস্থাপন (Organ Transplantation) হলেও রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। এসএসকেএম হাসপাতালে সম্প্রতি রোগীমৃত্যুর ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। কবে এ রাজ্যে অস্ত্রোপচার-পরবর্তী পরিকাঠামো শক্ত হবে, সেই প্রশ্ন তুলছেন এ রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ।

    সাম্প্রতিক কোন ঘটনা (Organ Transplantation) ফের প্রশ্ন তুলছে? 

    এ রাজ্যের অধিকাংশ অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রেই অস্ত্রোপচার সফল হলেও পরবর্তীকালে রোগীর জীবন প্রশ্নের মুখে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগী মারা যান। প্রতিস্থাপন-পরবর্তী চিকিৎসা ঠিকমতো না হওয়ার জেরেই ঘটে বিপত্তি। দিন কয়েক আগে ফের এমনই ঘটনা ঘটল এসএসকেএম হাসপাতালে। সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগে এসএসকেএম হাসপাতালে এক বছর ৩৫-র রোগীর কিডনি ও লিভার প্রতিস্থাপন হয়। কিন্তু প্রতিস্থাপনের (Organ Transplantation) পরের দিনই ওই রোগী মারা যান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, অস্ত্রোপচার সফল হয়েছিল। কিন্তু ওই রোগীর দেহ নতুন অঙ্গ গ্রহণ করতে পারেনি। তাই মারা গিয়েছেন।

    পরিকাঠামো নিয়ে কী সমস্যা রয়েছে (Organ Transplantation)? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অঙ্গ প্রতিস্থাপনকে সফল করে তুলতে হলে, অস্ত্রোপচারের পাশাপাশি গুরুত্ব দিতে হবে অস্ত্রোপচার-পরবর্তী চিকিৎসাপর্বে। কিন্তু এ রাজ্যে তা এখনও অবহেলিত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, দক্ষিণ ভারতে দীর্ঘদিন ধরে সফল ভাবে অঙ্গ প্রতিস্থাপন (Organ Transplantation) হচ্ছে। আর এই সাফল্য ও রোগীর ভরসা বজায় রাখার প্রধান কারণ শুধু সফল অস্ত্রোপচার নয়, তারপরে রোগীর সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকা। কিন্তু এ রাজ্যে এই দ্বিতীয় পর্বে একাধিক খামতি থাকছে। অস্ত্রোপচারের আগে সবরকম মাপকাঠি অনেক ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না। ফলে, শরীরে নতুন অঙ্গ প্রত্যাহারের ঝুঁকি বাড়ছে। পাশপাশি, রোগীর সুস্থ দীর্ঘ জীবনের জন্য প্রয়োজন দীর্ঘদিনের নজরদারি এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সহায়তা। অর্থাৎ, ঠিকমতো ওষুধ ও অন্যান্য চিকিৎসা জরুরি। তবেই রোগী অস্ত্রোপচারের পরে সুস্থ জীবন ফিরে পাবেন। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ রাজ্যে ঠিকমতো নজরদারি হয় না। অঙ্গ গ্রহণকারী রোগীর যে কোনও সংক্রমণের ঝুঁকি মারাত্মক বেশি হয়। কিন্তু দেখা যায়, অনেক সময় হাসপাতাল থেকেই রোগী নানান সংক্রমণের শিকার হয়ে যান। ফলে, বিপদ বাড়ে। তারপরে দীর্ঘকাল যে নজরদারির প্রয়োজন হয়, তাতেও অনেক সময় গাফিলতি থাকে। ফলে, শেষ পর্যন্ত রোগীর সুস্থ জীবন ফিরে পাওয়া হয় না।

    কী বলছেন স্বাস্থ্যকর্তারা? 

    স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা অবশ্য জানাচ্ছেন, এ রাজ্যে অঙ্গ প্রতিস্থাপন (Organ Transplantation) নিয়ে এখনও অনেক পথ চলা বাকি। দক্ষিণের রাজ্যগুলির সঙ্গে তুলনা টানাও ঠিক নয় বলে তাঁরা সাফ জানাচ্ছেন। তাঁদের যুক্তি, ভারতের অন্য যে সব রাজ্যের অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সাফল্য টেনে পশ্চিমবঙ্গের কথা বলা হচ্ছে, সেটা ঠিক নয়। কারণ, সেই সব রাজ্যে প্রতিস্থাপন বহু বছর আগে শুরু হয়েছিল। এ রাজ্যে এতদিন সেই পরিকাঠামো ছিলো না। এখন অন্তত অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে এক সারিতে পশ্চিমবঙ্গের কথা বলা হচ্ছে। অঙ্গ প্রতিস্থাপন সফল করতে সবরকম নজরদারি করা হচ্ছে। পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলেও তাঁরা আশা করছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gram Panchayat Election: শঙ্খ বাজিয়ে, গোবর-গঙ্গাজল ছিটিয়ে নদিয়ার পঞ্চায়েতে কেন শুদ্ধিকরণ করল বিজেপি?

    Gram Panchayat Election: শঙ্খ বাজিয়ে, গোবর-গঙ্গাজল ছিটিয়ে নদিয়ার পঞ্চায়েতে কেন শুদ্ধিকরণ করল বিজেপি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ১৫ বছর পর গ্রাম পঞ্চায়েত (Gram Panchayat Election) হাতছাড়া হল তৃণমূলের। বোর্ড দখল করল বিজেপি। তৃণমূল শাসনের অবসান ঘটিয়ে শঙ্খ বাজিয়ে, গঙ্গাজল ও গোবর জল দিয়ে পঞ্চায়েত কার্যালয়টি শুদ্ধিকরণের মধ্যে দিয়ে পঞ্চায়েত ভবনে ঢুকলেন নবনির্বাচিত বিজেপি প্রধান, উপপ্রধান সহ পঞ্চায়েত সদস্যরা। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার নদিয়ার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কৃষ্ণগঞ্জের তালদহ মাজদিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে।

    শুদ্ধিকরণ নিয়ে নিয়ে কী বললেন পঞ্চায়েত প্রধান?

    এই পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ২২টি। ১৫ বছর রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের দখলে ছিল এই পঞ্চায়েত। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ১৫ বছর পঞ্চায়েতের দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও এলাকার কোনও রকম উন্নয়নমূলক কাজ করেননি শাসক দল পরিচালিত তালদহ মাজদিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন বোর্ডের সদস্যরা। এলাকায় হাইমাস্ট লাইটের ব্যবস্থা থাকলেও তা জ্বলে না। পাশাপাশি রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল পূর্বের বোর্ড দায়িত্বে থাকাকালীন। এরপর ২০২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Gram Panchayat Election) রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি ২২ টি আসনের মধ্যে ১২ টি আসন দখল করে। তৃণমূলের ঝুলিতে যায় ১০টি আসন। ২২ টির মধ্যে বারোটিতে জয়লাভ করে পঞ্চায়েত বোর্ড দখল করে বিজেপি। পাশাপাশি আগামীদিনে পঞ্চায়েত এলাকায় সাধারণ এলাকাবাসীদের স্বার্থে উন্নয়নকে ঢেলে সাজানোর অঙ্গীকারবদ্ধ তাঁরা। মূলত তারই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার পুরানো দিনের সব কলঙ্ককে মুছে ফেলতে গঙ্গাজল ও গোবর দিয়ে পঞ্চায়েত ভবন পরিষ্কার করে তালদহ মাজদিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত ভবনে ঢুকলেন বিজেপি সমর্থিত নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত বোর্ড সদস্যরা। পঞ্চায়েত প্রধান বাসন্তী হালদার বলেন, ১৫ বছর তৃণমূল ক্ষমতায় থেকে প্রচুর দুর্নীতি করেছে। তাই, গোবর আর গঙ্গাজল দিয়ে পঞ্চায়েত ভবন শুদ্ধিকরণ করেছি। এতদিন এলাকায় কাজ না করে তৃণমূল টাকা লুট করেছে। এবার আমরা পঞ্চায়েত শুদ্ধিকরণ করে এলাকার মানুষের জন্য কাজ করব। তাই, আমরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Duttapukur: বিস্ফোরণস্থল থেকে ৩০০ মিটার দূরে ফের ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার, গ্রেফতার তৃণমূল কর্মী

    Duttapukur: বিস্ফোরণস্থল থেকে ৩০০ মিটার দূরে ফের ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার, গ্রেফতার তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দত্তপুকুরের মোচপোলে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের (Duttapukur) ঘটনায় ঘটনাস্থলেই অধিকাংশের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা গুরুতর জখম রয়েছেন। ফলে, কথা বলার অবস্থায় অনেকেই নেই। বিস্ফোরণকাণ্ডে ইতিমধ্যেই পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে নীলগঞ্জ এলাকা থেকে কেরামত আলির ‘সহযোগী’ শফিক আলি ওরফে শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত ব্যক্তি তৃণমূল করত, দাবি পরিবারের লোকজনের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কেরামতের ‘বাজি’র ব্যবসায় ‘অংশীদারিত্ব’ ছিল শফিকের। সূত্রের খবর, বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হয়ে মৃত্যু হয়েছে কেরামতের। তাঁর ছেলেরও মৃত্যু হয়েছে বলে একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, সোমবার সকালে ফের দত্তপুকুরে ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার হল। বিস্ফোরণস্থল থেকে ৩০০ মিটার দূরে একটি পুকুরে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হল। তার মাথা ফাটা, কোমর থেকে পায়ের কোনও চিহ্ন নেই। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

    কী বললেন ধৃত ব্যক্তির পরিবারের লোকজন?

    দত্তপুকুরকাণ্ডে (Duttapukur) গ্রেফতার শফিকুল ইসলামের স্ত্রী জাহানারা বিবি বলেন, রবিবার বিকালে আমার স্বামীকে একজন ফোন করে। স্বামী বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গেলেই তাকে গ্রেফতার করে। এই ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত নয় আমার স্বামী। কেরামতের সঙ্গে পাড়ার লোক হিসাবে কথাবার্তা হতো। বাজি কারবারের যে অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করা হল পুরোটাই চক্রান্ত। ধৃতের দাদা বাবলু ইসলাম বলেন, আমার ভাই তৃণমূল করত। ওই দলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। এই ঘটনায় ভাইয়ের কোনও সম্পর্ক নেই। ভাইকে ফাঁসানো হল।

    বাজি কারবারে মুর্শিদাবাদের একজন জড়িত, দাবি এলাকাবাসীর

    কেরামত আলির সহযোগী ছিল শফিক আলি। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের জিরাত শেখ নামে একজনের নাম উঠে আসছে। দত্তপুকুরে (Duttapukur) বাজি কারখানায় জিরাতের অন্যতম ভুমিকা রয়েছে, দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। ঘটনার সময় সে ঘটনাস্থলে ছিল না মুর্শিদাবাদে ছিল, তা পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়। তবে, পুলিশ মুর্শিদাবাদের এই ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, কেরামত মোচপোল গ্রামে একজনের বাড়ি ভাড়া নিয়ে বেআইনি বাজি কারখানা গড়ে তুলেছিল। বাড়ির মালিকও এই কারখানায় কাজ করত। বিস্ফোরণের ঘটনায় তারও মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। শফিক আলিকে জেরা করার পর আরও অনেক তথ্য জানা যাবে বলে পুলিশ আধিকারিকরা মনে করছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এমনিতেই বাজি তৈরির কারখানা ছিল বেআইনি। সেখানে আতসবাজি শুধু নয়, বোমা তৈরি হয়। কেরামতের কারখানা থেকে কিছুটা দূরেই আরও একটি বেআইনি কারখানার হদিশ পায় এলাকাবাসী। পাঁচিল ঘেরা সেই জমিতেই বেআইনি বাজি ও বোমা তৈরি করা হত। রীতিমতো গবেষণাগার তৈরি করা হয়েছিল। এলাকাবাসী ভাঙচুর করার সময় দেখতে পায়, সেখানে পটাশিয়াম ক্লোরাইড মজুত করে রাখা রয়েছে। ফলে, সেখানে যে বোমা তৈরি হত, তার জ্বলন্ত প্রমাণ রয়েছে। ঘটনার পর থেকে কেউ না থাকায় সেই কারখানা ভাঙচুর করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: ‘‘প্রাণ হাতে করে গ্রামে বাস করছি’’, দত্তপুকুরে রাজ্যপালকে নালিশ মহিলাদের

    CV Ananda Bose: ‘‘প্রাণ হাতে করে গ্রামে বাস করছি’’, দত্তপুকুরে রাজ্যপালকে নালিশ মহিলাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় মৃত ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। আর সেখান থেকে ফিরেই রবিবার রাতে সোজা দত্তপুকুরে। রবিবার সাতসকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে দত্তপুকুরের জগন্নাথপুরের মোচপোল এলাকা। কাটা কব্জি, পোড়া পা, ঝলসানো শরীর ছড়িয়ে ছিটিয়ে গ্রামের আনাচে কানাচে পড়েছিল। একাধিক বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে গিয়েছে। বিস্ফোরণস্থল ঘুরে দেখেন তিনি। এদিন বিস্ফোরণের নানা দিক নিয়ে খোঁজ নেন তিনি। বেসরকারি মতে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। উড়ে গিয়েছে একাধিক বাড়ির ছাদ। সেই ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেন রাজ্যপাল।

    রাজ্যপালকে (CV Ananda Bose) ঘিরে ধরে কী বললেন মহিলারা?

    রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) যখন বিস্ফোরণস্থল ঘুরে দেখে বেরোচ্ছেন, গ্রামেরই একদল মহিলা তাঁকে ঘিরে ধরেন। উগরে দেন একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ। যে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছে, অভিযোগ, তা কেয়ামত আলি নামে এক ব্যক্তির। এলাকার মহিলাদের দাবি, শুধু কেয়ামত আলির কারখানা নয়, গ্রামজুড়ে এরকম একাধিক বেআইনি বাজি কারখানা রয়েছে। অভিযোগ, বাজির গোডাউন রয়েছে এবং কার্যত প্রাণ হাতে করে বাস করছেন এলাকার লোকজন। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। ফলে, বাজির ব্যবসার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত নন, তাঁরাও এ গ্রামে নিরাপদ নন বলে দাবি করেন মহিলারা। রবিবারের বিস্ফোরণের পর সেই আশঙ্কা আরও জোরালো হচ্ছে। গ্রামের মহিলারা অনুরোধ করেন, রাজ্যপাল যেন একবার এরকমই একটি গোডাউন বা বেআইনি বাজির গুদাম ঘুরে দেখেন। এরপর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস গ্রামের অন্ধকার রাস্তা ধরেই ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৩০০ মিটার পথ এগিয়ে আসেন। সঙ্গে ছিলেন গ্রামের লোকজনও। গ্রামবাসীরা একটি বাড়ি দেখিয়ে তা বাজির গুদাম বলে অভিযোগ করেন। রাজ্যপাল সেই বাড়ির সামনে আসেন এবং সেই মহিলাদের সঙ্গে কথাও বলেন। পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেন। রাজ্যপাল এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করার উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

    কী বললেন রাজ্যপাল? (CV Ananda Bose)

    ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এতগুলো তাজা প্রাণ চলে গেল। আমি এখান থেকে হাসপাতালে যাব। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তারপর বলব। এরপরই বারাসত জেলা হাসপাতালে পৌঁছন তিনি। এরপর তিনি বলেন, শুধু দুর্ঘটনা এটা নয়, এটা বড় ঘটনা। সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। তারা সত্য খুঁজে বের করবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “বাংলার সরকার পাকিস্তান প্রেমী”! পাক-গুপ্তচরের গ্রেফতারি নিয়ে মমতাকে তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “বাংলার সরকার পাকিস্তান প্রেমী”! পাক-গুপ্তচরের গ্রেফতারি নিয়ে মমতাকে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাক গুপ্তচর সন্দেহে সকালে কলকাতা পুলিশের এসটিএফের হাতে গ্রেফতার হয়েছে ভক্তবংশী ঝাঁ নামে এক ব্যক্তি ৷ এই ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) পরিচালিত এই সরকারকে পাকিস্তানপ্রেমী সরকার বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপি সভাপতি। বাংলার বুকে বারেবারে ঘটে চলা এই ধরনের অসামাজিক দেশবিরোধী কাজকর্মের জন্যে শাসক শিবিরকে প্রকাশ্যে দুষলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। 

    রাজ্যে আইএসআই-এর ঘাঁটি!

    সুকান্ত মজুমদার বলেন, “যে সরকার পাকিস্তানকে পছন্দ করে, তারা এখানে বাংলায় বসে আছে। তাই পাকিস্তানের হয়ে কাজ করা আইএসআই এজেন্টরা বাংলাকে কেন্দ্র করে আমাদের দেশের বিরুদ্ধে কাজ করছে। এই লোকেরা মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর সরকারের কাছ থেকে সহযোগিতা পাচ্ছেন। তৃণমূল এই দেশবিরোধী লোকেদের মদতদাতা।” শুধু তাই নয়, এ রাজ্যে আইএসআই-এর ঘাঁটি রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (Kolkata Police Special Task Force) গ্রেফতার করেছে এক ব্যক্তিকে। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত ভক্ত বংশী ঝাঁকে (৩৬)। বিহারের দারভাঙার বাসিন্দা বংশী দেশের নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থাকে পাঠাচ্ছে বলে জনাতে পেরেছিল এসটিএফ (STF)। 

    আরও পড়ুন: ‘দিল্লি বনেগা খালিস্তান’! রাজধানীর মেট্রো স্টেশনের দেওয়ালে দেশবিরোধী স্লোগান

    পাক সুন্দরীদের ফাঁদ!

    তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, আরুশি শর্মা নামে ফেসবুক প্রোফাইল থেকে ধৃতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। এরপর সেই পাক সুন্দরী কার্যত ফাঁদ পেতেছিল বলে অভিযোগ। নানা ঘনিষ্ঠ ছবি শেয়ার করে প্রাথমিকভাবে যুবকের মন জয় করা হয়েছিল। এরপর বলা হয়েছিল তার বোন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বিটের সাংবাদিক। ভারতের বিশেষত দিল্লির সংরক্ষিত এলাকার কিছু ছবি তার লাগবে। এরপরই শুরু হয় ছবি পাঠানোর কাজ। একটি বিশেষ অ্য়াপের মাধ্যমে ছবি পাঠানোর কথা বলা হয়। সেই অ্যাপ ব্যবহার করলে ছবির লোকেশন ও ম্যাপও মিলবে। হাওড়া ও বিদ্যাসাগর সেতু-সহ কলকাতারও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গার ছবি পাঠানো হয়েছে বলে খবর। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে সুন্দরীদের সামনে রেখে হানি ট্র্যাপের মাধ্যমে কাজ হাসিল করার চেষ্টা করছে আইএসআই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share