Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Sukanta Majumdar: দত্তপুকুরকাণ্ডে এনআইএ তদন্ত চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: দত্তপুকুরকাণ্ডে এনআইএ তদন্ত চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্ত দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এ নিয়ে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও চিঠি লিখেছেন। বালুরঘাটের সাংসদের (Sukanta Majumdar) মতে, এই ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি যোগের সম্ভাবনা রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখতে হবে। প্রসঙ্গত, রবিবারই উত্তর চব্বিশ পরগনার দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। প্রাণ হারান ৭ জন। বেসরকারি মতে, মৃতের সংখ্যা ১০। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে ৫ কিলোমিটার দূর থেকেও শোনা যায় সেই আওয়াজ। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের মদতেই বেআইনিভাবে বাজি তৈরির কাজ দীর্ঘদিন ধরে চলছিল।

    চিঠিতে কী লিখলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাঠানো ওই চিঠিতে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, ‘‘দত্তপুকুরের বিস্ফোরণের ঘটনায় ৬-৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এই ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক। এই বিস্ফোরণের উৎস, কারণ খুঁজে পেতে যথাযথ তদন্তের প্রয়োজন।’’  

    সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) আরও সংযোজন, ‘‘স্থানীয় বাসিন্দারা এই বেআইনি বাজি কারখানা সম্পর্কে পুলিশের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু, তাঁদের উদ্বেগের নিরসন করা হয়নি বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়টি উদ্বেগজনক। ভবিষ্যতে এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে এই বিস্ফোরণের যথাযথ তদন্ত হওয়া জরুরি।’’

    বালুরঘাটের সাংসদের (Sukanta Majumdar) আরও মত, ‘‘এই বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি-যোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে এনআইএ তদন্তের আবেদন জানাচ্ছি। এনআইএ তদন্ত হলে এই বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ যেমন প্রকাশ পাবে, তেমনই রাজ্যবাসীও আশ্বস্ত হবেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’

    সুর চড়ালেন শুভেন্দুও

    অন্যদিকে, এই ঘটনায় এনআইএ দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও। দত্তপুকুরের এই বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। নন্দীগ্রামের বিধায়কের মতে, ‘‘আজ থেকে তিন মাস আগে অবৈধ বাজি কারখানা নিয়ে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তাতে কাজের কাজ যে কিছু হয়নি, রবিবারের ঘটনা তার প্রমাণ।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: ‘কন্যারাই সুরক্ষিত না হলে কন্যাশ্রী সফল হবে কীভাবে?’ কেন বললেন রাজ্যপাল?

    CV Ananda Bose: ‘কন্যারাই সুরক্ষিত না হলে কন্যাশ্রী সফল হবে কীভাবে?’ কেন বললেন রাজ্যপাল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় নৃশংসভাবে খুন হওয়া ছাত্রীর পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যপাল। রবিবার দুপুরে মাটিগাড়ায় ওই ছাত্রীর বাবা-মায়ের সঙ্গে তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। প্রায় আধঘণ্টা তিনি মৃত ছাত্রীর বাবা ও মায়ের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এভাবে এই ছাত্রীকে খুনের ঘটনায় তিনি যে ব্যথিত এবং রাজ্যে কন্যা তথা মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন তার ইঙ্গিত এদিন রাজ্যপালের বক্তব্যে পাওয়া গিয়েছে। রাজ্যের কন্যাশ্রী প্রকল্পে সাফল্য নিয়েও প্রশ্নের সুর শোনা গিয়েছে রাজ্যপালের বক্তব্যে।

    কী বললেন রাজ্যপাল? (CV Ananda Bose)

    এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) সোজা চলে যান মাটিগাড়ায় ওই মৃত নাবালিকা ছাত্রীর বাড়িতে। সেখান থেকে বেরিয়ে রাজ্যপাল শিলিগুড়ি স্টেট গেস্ট হাউসে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। রাজ্যপাল বলেন, মাটিগাড়ার ওই নাবালিকা ছাত্রীকে যেভাবে খুন করা হয়েছে তাতে আমি বাকরুদ্ধ। অত্যন্ত নিষ্ঠুর ঘটনা। বাংলায় কোনও কন্যার উপর এমন ঘটনা হওয়া উচিত নয়। পরিবারের পাশে আমি থাকব। কন্যা আছে বলেই কন্যাশ্রী। কন্যারাই  যদি সুরক্ষিত না হয় তাহলে কন্যাশ্রী সফল হবে কিভাবে? কন্যাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। আশা করব, দোষী দ্রুত উপযুক্ত শাস্তি পাবে।

    রাজ্যপাল চলে যেতেই প্রশ্ন উঠল, মুখ্যমন্ত্রী কেন এলেন না?

    রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) ওই ছাত্রীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেই এলাকাবাসী প্রশ্ন তোলেন, এক নাবালিকা ছাত্রীকে নির্মমভাবে খুন করার পরও মুখ্যমন্ত্রী কেন শিলিগুড়িতে এলেন না? এদিন রাজ্যপাল এসে ওই ছাত্রীর পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর নিরবতা নিয়ে মুখর হন স্থানীয় নাগরিকরা। সকলেরই প্রশ্ন, এরকম ঘটনার পরও কেন মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা হয়েও একবারের জন্য ওই ছাত্রীর বাবা- মা’র সঙ্গে দেখা করতে এলেন না। এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে থাকা বিজেপির দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, মণিপুর নিয়ে বেশি ব্যথিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই, সেখানে তিনি তাঁর প্রতিনিধি দল পাঠান। সেখানে কলকাতা থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে শিলিগুড়িতে এক নাবালিকা ছাত্রীকে নির্মমভাবে খুন করার ঘটনা মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যথিত করেনি,তাই তিনি এখনও আসেননি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: লোকাল ট্রেনের যাত্রীদের জন্য সুখবর, আস্ত ট্রেনের ময়লা সাফ ৭-৮ মিনিটে!

    Indian Railways: লোকাল ট্রেনের যাত্রীদের জন্য সুখবর, আস্ত ট্রেনের ময়লা সাফ ৭-৮ মিনিটে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব রেলের উদ্যোগে হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন কারশেডে চালু হল লোকাল ট্রেনের (Indian Railways) জন্য অটোমেটিক কোচ ওয়াশিং প্ল্যান্ট। যেখানে মাত্র ৭ থেকে ৮ মিনিটে একটি ট্রেনের বগি সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার হয়ে যাবে অটোমেটিক ক্লিনারের মাধ্যমে। ট্রেনটি যখন রেল ট্র্যাক দিয়ে এগিয়ে যাবে, তখন দু’ দিক থেকে অটোমেটিক ক্লিনার পরিষ্কারের কাজ শুরু করবে। মূলত শহরতলির লোকাল ট্রেনগুলি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন কারশেডে এই স্বয়ংক্রিয় কোচ ওয়াশিং প্ল্যান্ট বসানো হয়েছে। পূর্ব রেল সূত্রে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই হাওড়া কারশেড ছাড়াও অন্যান্য রেল ডিভিশনে এই ধরনের স্বয়ংক্রিয় কোচ ওয়াশিং মেশিন বসানো হয়েছে।

    কীভাবে হচ্ছে এই পরিস্কারের কাজ (Indian Railways)?

    স্বয়ংক্রিয় কোচ ওয়াশিং প্ল্যান্ট হল রেকের কোচের জন্য একটি মাল্টিস্টেজ এক্সটার্নাল ক্লিনিং সিস্টেম। তরল ডিটারজেন্ট, উচ্চচাপের জলের ফোয়ারা বা জেট এবং উলম্ব ঘূর্ণায়মান ব্রাশ ব্যবহার করে এই পরিষ্কারের কাজ হচ্ছে। ১২ কোচের ইএমইউ ট্রেনের (Indian Railways) পুরো রেকটি বাহ্যিকভাবে ধোয়ার জন্য মাত্র ৭ থেকে ৮ মিনিট সময় লাগে। হাওড়া ইএমইউ কারশেডে গড়ে প্রতিদিন ১৩ টি ইএমইউ রেক এইভাবে ধোয়া হচ্ছে বর্তমানে। ট্রেন প্রবেশের পর ধোয়া শুরু করার জন্য প্ল্যান্টটি সেন্সর ভিত্তিক সুবিধা দিয়ে সজ্জিত। এই ওয়াশিং সিস্টেমে প্রতিটি ট্রেনের জন্য শুধুমাত্র ২০% বিশুদ্ধ জল ব্যবহার করা হচ্ছে এবং অবশিষ্ট ৮০% পুনর্ব্যবহার‍্যোগ্য জল ব্যবহার করা হচ্ছে৷ এরপর ঠিকমতো পরিষ্কার বা ধোয়া হল কিনা, তা দেখতে রেলের পক্ষ থেকে  দক্ষ কর্মী ও  কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। যাঁরা নিয়মিত এই পরিষ্কারের দিকটি পর্যবেক্ষণ করছেন, যাতে স্থানীয় যাত্রীরা রেলের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেন।

    রেলযাত্রীরা (Indian Railways) খুশি

    রেলের এই কর্মকাণ্ডে খুশি সাধারণ রেলযাত্রীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, আগের তুলনায় এই অটোমেটিক ব্যবস্থা চালু হওয়ার ফলে প্রতিটি ট্রেনের (Indian Railways) কামরাই সুন্দরভাবে পরিষ্কার থাকে। তবে ট্রেন কম্পার্টমেন্টের ভিতরের অংশগুলি সেভাবে পরিচ্ছন্ন থাকে না। যাত্রীদের ফেলে দেওয়া জিনিসেই অনেক সময় নোংরা হয়ে থাকে। তাই ট্রেনের বাহ্যিক দিক পরিষ্কারের পাশাপাশি যাতে কম্পার্টমেন্টের ভিতরের অংশ, বিশেষ করে সিটের নিচে জমে থাকা নোংরা এবং ফ্যানের গায়ে তৈরি হওয়া ঝুল পরিষ্কার করা হয়, সে দিকেও রেল কর্তৃপক্ষকে নজর দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: দত্তপুকুরে বিস্ফোরণের পরই আরও একটি বোমা তৈরির কারখানায় তাণ্ডব এলাকাবাসীর

    Bomb Blast: দত্তপুকুরে বিস্ফোরণের পরই আরও একটি বোমা তৈরির কারখানায় তাণ্ডব এলাকাবাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দত্তপুকুরের জগন্নাথপুরে মোচপোলে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের (Bomb Blast) কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আরও একটি বোমা তৈরির কারখানার হদিশ পেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থল থেকে ঢিল ছোঁড়়া দুরত্বে পাঁচিল ঘেরা পরিত্যক্ত জমিতে কারখানাটি চলত। সেখানে তিনটি ঘরের মধ্যেই বোমা তৈরির সরঞ্জাম মিলেছে। অনেক রাসায়নিক জিনিস মিলেছে। আর একটি প্রাইভেট গাড়ি ছিল। এখানে রমরমিয়ে বোমা তৈরি হত। বিস্ফোরণের পর পরই এই জায়গা ছেড়ে সকলেই পালিয়ে যায়। উত্তেজিত জনতা ওই কারখানায় এসে তাণ্ডব চালায়। কারখানার ভিতরে থাকা সমস্ত জিনিসপত্র ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা? (Bomb Blast)

    বেআইনি বাজি কারখানার মালিক আজিবর রহমান। তিনি স্থানীয় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিল। ঘটনার পর থেকে তার হদিশ পাওয়া যায়নি। এদিন বিকেলের পর নতুন যে বোমা তৈরির কারখানার খোঁজ মিলেছে, সেই কারখানার কয়েকজন মালিক রয়েছে। সকলেই শাসক দলের সঙ্গে জড়িত। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, তৃণমূল নেতাদের মাথায় হাত থাকায় তারা রংবাজি করত। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে কারও মুখ খোলার সাহস ছিল না। এখন বিস্ফোরণ (Bomb Blast) হতেই সকলেই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। আমাদের দাবি, অবিলম্বে অভিযুক্তদের সকলকে গ্রেফতার করতে হবে। এই এলাকায় তৃণমূলের মদতেই এই সব বেআইনি কারখানা চলত। পুলিশকে হাত করেই এখানে এসব কারবার চলত।

    ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক দল?

    এদিন বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ফলে কারখানাটি প্রায় ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যুদ্ধের পর ধ্বংসস্তূপের মতো গোটা এলাকা হয়ে রয়েছে। এদিন পুলিশ, দমকল বাহিনীর পর ঘটনাস্থলে বোম্ব স্কোয়ার্ডের লোকজন আসে। সিআইডি আধিকারিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এলাকার মানুষের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন। বিকেলের দিকে এলাকায় ফরেন্সিক টিম ঢোকে। তাঁরা কারখানার ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে নমুনা সংগ্রহ করে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “পুরো রাজ্যটাই বেআইনিভাবে চলছে”, বিস্ফোরণকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “পুরো রাজ্যটাই বেআইনিভাবে চলছে”, বিস্ফোরণকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পুরো রাজ্যটাই বেআইনিভাবে চলছে।” রবিবার সকালে বারাসতের নীলগঞ্জের মোছপোলে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “পুরো রাজ্যটাই বেআইনিভাবে চলছে। উনি (পড়ুন মুখ্যমন্ত্রী) তো বড় বড় কথা বলেছিলেন। মুখ্যসচিবকে নিয়ে কমিটি গঠন করা হচ্ছে। বাজি কারখানার শ্রমিকদের আলাদা কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কিন্তু কিছুই হয়নি।”

    শুভেন্দুর নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “উনি নিয়োগ দুর্নীতিতে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ কোম্পানির চোরদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। এসব বিষয়ে তাঁর নজর নেই। তাঁর নজর কীভাবে চোরদের বাঁচানো যায়, তা নিয়ে। তাই এরকম ঘটনা বারবার ঘটে চলেছে।” বারাসত বিস্ফোরণকাণ্ডের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।

    আক্রমণ সুকান্তরও 

    তিনি বলেন, “গোটা বাংলাকে বারুদের স্তূপে পরিণত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দশজনের জীবন চলে যাওয়ার জন্য দায়ী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর সরকার এবং তাঁর দল। এই অপদার্থগুলো যতদিন বাংলায় থাকবে, বাংলার মানুষ মারা যাবে।” তিনি বলেন, “গত কয়েকদিনে কতজন মারা গেল, হিসেব করুন। মিজোরামে মারা গেল কুড়িজনের ওপরে। এখানে মারা গেল দশজন। মুখ্যমন্ত্রী কী চাইছেন? গোটা রাজ্যটাকে কি শ্মশান বানাবেন? শ্মশান বানিয়ে তাঁর শান্তি হবে? এই দশের সংখ্যা তো আরও বাড়বে মনে হচ্ছে। বেআইনি কারখানা চলছে। তৃণমূলের নেতারা ওখান থেকে তোলা তোলে, খোঁজ নিন। দেখবেন তৃণমূলের কোনও না কোনও নেতা ওখান থেকে হপ্তা পায়, মাসে মাসে টাকা পায়। তাই পুলিশ কিছু করে না। আমরা তো আগেই বলেছি, বোমার স্তূপের ওপর বাংলা দাঁড়িয়ে আছে।”

    আরও পড়ুুন: “রথীন ঘোষ সব জানতেন”, বারাসত বিস্ফোরণকাণ্ডে জনতার কাঠগড়ায় মন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, রবিবার সকালে আচমকাই বিস্ফোরণ (Barasat Blast) ঘটে মোছপোলের ওই বাজি কারখানায়। তখন কাজ করছিলেন ২৬ জন। ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়ায় জানা যায়নি, ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও জখম ১৪জনকে উদ্ধার করে ভর্তি (Suvendu Adhikari) করা হয়েছে বারাসত জেলা হাসপাতালে। বিস্ফোরণকাণ্ডে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষকে কাঠগড়ায় তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যথারীতি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মন্ত্রী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barasat Blast: “রথীন ঘোষ সব জানতেন”, বিস্ফোরণকাণ্ডে জনতার কাঠগড়ায় মন্ত্রী

    Barasat Blast: “রথীন ঘোষ সব জানতেন”, বিস্ফোরণকাণ্ডে জনতার কাঠগড়ায় মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রথীন ঘোষ সব জানতেন।” রবিবার এই ক্ষোভ যাঁরা উগরে দিলেন, তাঁরা বারাসতের নীলগঞ্জের মোছপোলের বাসিন্দা। এদিনই সকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণে (Barasat Blast) কেঁপে ওঠে মোছপোল এলাকা। একটি বাজি তৈরি কারখানায় বিস্ফোরণের অভিঘাতে ভেঙে পড়ে এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িও। স্থানীয়দের দাবি, বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। যদিও ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও জানায়নি পুলিশ-প্রশাসন।

    স্থানীয়দের রোষানলে রথীন

    বিস্ফোরণ (Barasat Blast) প্রসঙ্গে স্থানীয়রা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বিরুদ্ধে। তাঁরা বলেন, “পুলিশ প্রশাসন থেকে রাজ্যের মন্ত্রী রথীন ঘোষ জানতেন এই বাড়িতে বেআইনি বাজি তৈরি হয়।” তাঁরা জানান, যে বাড়িতে এদিন বিস্ফোরণ হয়েছে, তার মালিককে তাঁরা বারংবার লোকালয়ে বাজির কারখানা তৈরি করার অনুমতি না দিতে অনুরোধ করেছিলেন। স্থানীয়দের দাবিতে বাড়ির মালিক কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ। প্রশ্ন উঠেছে, বাড়ির মালিক কি নিজে প্রভাবশালী? নাকি তাঁর মাথায় রয়েছে কোনও প্রভাবশালীর আর্শীবাদী হাত?

    পুলিশকে দুষছে তৃণমূলও

    প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশকে দুষছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা বাবলা রায়ও। তিনি বলেন, “এখানে বাজি কারখানার আড়ালে বোমা (Barasat Blast) কারখানা চলত। পুলিশ সব জানত। ওটা আদতে বাজি কারখানা নয়, বোমা কারখানা।” ওই তৃণমূল নেতা বলেন, “আমি পুলিশের আইসিকে বলেছিলাম আপনারা অবিলম্বে এই কারখানা বন্ধ করুন। সেলিম আলি এই কাজ করছে। ওর নাম করে বলেছিলাম। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করেনি। ওখানে আলু বোমা তৈরি হচ্ছিল। বাজির কোনও সম্পর্কই নেই।”

    এদিকে, বিস্ফোরণের দায় আইএসএফের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী রথীন। তিনি বলেন, “আজ সকালে জানতে পেরেছি, এই কাজের সঙ্গে আইএসএফের একটি ছেলে যুক্ত। ওর নাম রমজান। সে এই বাজির কারখানা চালায়। উল্টোদিকে খুদে বলে একটি এলাকার লোক আছে। যার বাড়িতে বিভিন্ন শ্রমিকরা আসেন। ওরা ওই বাড়িতে বসে খাওয়া-দাওয়া করছিল। সেই সময় ব্লাস্ট হয়। এখনও পর্যন্ত দেহ শনাক্ত করা যায়নি।” আইএসএফের পাল্টা দাবি, এই ঘটনায় দায়ী তৃণমূলই।

    আরও পড়ুুন: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ তদন্তের দাবি বিজেপির

    প্রসঙ্গত, এদিন সকালে আচমকাই বিস্ফোরণ (Barasat Blast) ঘটে মোছপোলের ওই বাজি কারখানায়। তখন কাজ করছিলেন ২৬ জন। ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়ায় জানা যায়নি, ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও জখম ১৪জনকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে বারাসত জেলা হাসপাতালে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Sukanta Majumdar: বালুরঘাটে রাম মন্দিরের আদলে পুজো মণ্ডপ, উদ্বোধনে আসতে পারেন অমিত শাহ, উদ্যোগী সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: বালুরঘাটে রাম মন্দিরের আদলে পুজো মণ্ডপ, উদ্বোধনে আসতে পারেন অমিত শাহ, উদ্যোগী সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির। আগামী জানুয়ারি মাসে ওই মন্দিরের উদ্বোধনে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু, তার আগেই এই রাজ্যে রাম মন্দিরের উদ্বোধন করতে পারেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অবাক মনে হলেও এটা সত্যি। তবে, অযোধ্যার রাম মন্দির নয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উদ্বোধন করতে পারেন বালুরঘাটে রাম মন্দিরের আদলে তৈরি দুর্গা পুজোর মণ্ডপের। অযোধ্যার রাম মন্দিরের আগেই সেটির উদ্বোধন হবে। আসলে বালুরঘাটের বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) ক্লাব বলে পরিচিত নিউ টাউন ক্লাব ও পল্লি পাঠাগারের এবারের দুর্গাপুজোর থিম করা হচ্ছে রাম মন্দির।

    কী বললেন ক্লাবের সম্পাদক?

    বালুরঘাটের নিউটাউন ক্লাব এবং পল্লি পাঠাগারের দুর্গাপুজো এবারে ৭০ তম বর্ষে পদার্পণ করবে। প্রতি বছর থিম পুজোর মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুরের অন্যান্য বড় ক্লাবগুলির মত নিউটাউন ক্লাব নজর কাড়ে। থিম পুজো করে জেলার সেরা পুজোগুলির মধ্যে বেশ কয়েক বার স্থান পেয়েছে এই ক্লাব। গতবছর পুজোয় বুর্জ খলিফার আদলে মণ্ডপ গড়ে সকলকে চমকে দিয়েছিল এই ক্লাব। শুধু তাই নয়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও ছিল চমক। অনলাইনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উদ্বোধন করলেও, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন বলিউডের সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তী। আগামী বছরের এপ্রিল-মে নাগাদ দেশে হতে চলেছে লোকসভা নির্বাচন। তৃতীয় বারের জন্য এই নির্বাচনে জয় পেতে মরিয়া বিজেপি, দেশ জুড়ে তাদের প্রচার অভিযান শুরু করেছে। পশ্চিমবাংলাতেও তাদের প্রচার ধীরে ধীরে গতি পাচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে তাই এবারে দুর্গা পুজোতে অংশ নিতে, দলের রাজ্য নেতাদের নির্দেশ দিয়ে গেছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এতদিন বালুরঘাটের শহরের নিউ টাউন ক্লাব ও পল্লি পাঠাগারের শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে থাকলেও, সম্প্রতি ওই ক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। আর বালুরঘাটের এই  রাম মন্দির উদ্বোধনের ক্ষেত্রেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আনবার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ক্লাব সম্পাদক অরিজিৎ মহন্ত বলেন, রবিবার আমাদের ক্লাবে দুর্গা পুজোর খুঁটি পুজো করা হল।  ক্লাবেস সমস্ত সদস্যরা হাজির হয়েছিলেন। এবারের পুজোয় স্বরাস্ট্রমন্ত্রীকে দিয়ে  উদ্বোধন করাবার চেষ্টা শুরু হয়েছে। বালুরঘাটে আমরা একটু ভিন্ন স্বাদের পুজো করি। আমাদের  গতবারের  বুর্জ খলিফার আদলে মন্ডপ প্রশংসিত হয়েছে। এবারে রাম মন্দিরের রেপ্লিকা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আশা করি, মানুষ রাম মন্দিরের কিছু অনুভূতি এখানে পাবেন। আমাদের এই  উদ্যোগ মানুষের পছন্দ হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Duttapukur: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ তদন্তের দাবি বিজেপির

    Duttapukur: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ তদন্তের দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগণার দত্তপুকুরের (Duttapukur) জগন্নাথপুর মোচপোলে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর থেকেই গ্রামে ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ এলে তাঁদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার পর এদিন দুপুরে বিজেপি মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র সহ দলীয় নেতারা ঘটনাস্থলে গেলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Duttapukur)

    স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার সকালে ভয়াবহ দত্তপুকুরে (Duttapukur) এই এলাকার বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান নীলগঞ্জ এলাকার বাসিন্দারা। এলাকার খুদে নামের এক বাজি ব্যবসায়ীর কারখানায় এই বিস্ফোরণ হয় বলে জানা গিয়েছে৷ উড়ে যায় তার কারখানার বাড়ির ছাদ। চারিদিকে ছড়িয়ে যায় বারুদ-সহ বাজি বানানোর অন্যান্য সরঞ্জাম। এদিক ওদিকে ছড়িয়ে পড়ে রক্তাক্ত দেহ। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরেও শোনা গিয়েছিল এই বিস্ফোরণের শব্দ বলে স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার পর পরই একাধিক বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। জেসিবি এনে উদ্ধার কাজ করা হয়। এদিন ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র। দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ঢুকতে গেলে পুলিশ প্রথমে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে, তাঁরা এলাকায় গেলে স্থানীয় বাসিন্দারাও তাঁদের বিক্ষোভ দেখান। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, নিয়মিত পুলিশ টাকা তুলত বলেই রমরমিয়ে এই বেআইনি কারবার চলত। পুলিশ কিছু বলত না।

    বিস্ফোরণকাণ্ডে তদন্ত নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বলেন, জেসিবি দিয়ে তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হচ্ছে। আর তাই আমাদের ঘটনাস্থলে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আসলে পুলিশ মাসোহারা পেত বলেই চুপ ছিল। দু কিলোমিটার দুরে পুলিশ সুপারের অফিস। সেখানে এই ধরনের বেআইনি কারবার পুলিশ জানে না, এটা হতে পারে না। আমরা ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। বারুদের স্তূপে রয়েছে গোটা রাজ্য। তৃণমূল নেতাদের মদত রয়েছে। এই এলাকার বিধায়ক খাদ্যমন্ত্রী। তিনি এই বেআইনি বাজি কারখানার বিষয়ে সব জানেন। পঞ্চায়েত নির্বাতচনের সময় এখান থেকে বোমা সরবরাহ হয়েছে। দত্তপুকুরের (Duttapukur) এই ঘটনার এনআইএ তদন্ত দাবি করছি। রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে না।

    কী বললেন কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    প্রদেশ কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী এদিন ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, এই ঘটনার জন্য স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। পাশাপাশি এই ঘটনার আমরা এনআইএ তদন্তের দাবি করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shantanu Thakur: বিমানবন্দর থেকে ফেরার পথে কনভয়ে গাড়ির ধাক্কা, কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর?

    Shantanu Thakur: বিমানবন্দর থেকে ফেরার পথে কনভয়ে গাড়ির ধাক্কা, কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur) কনভয়ে একটি গাড়ির ধাক্কা মারার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় পিছন দিক থেকে এসে গাড়িটি ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। নিছক দুর্ঘটনা, না এর পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই পুলিশ প্রশাসনের কাছে বিষয়টি মন্ত্রী জানিয়েছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Shantanu Thakur)

    শনিবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী (Shantanu Thakur) কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ঠাকুরনগরে ফিরছিলেন, সে সময়ই অশোকনগরের মানিকতলা এলাকায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর কনভয়ে একটি গাড়ি ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ। ঘটনা নিয়ে থানায় মৌখিক অভিযোগও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ঘাতক গাড়িটি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর কনভয় ফলো করে আসছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। শান্তনুর গাড়ি যখন গুমা পেরিয়ে অশোকনগরের মানিকতলা এলাকা জ্যামে আটকে পড়ে, তখন পিছন থেকে ধাক্কা মারার অভিযোগ উঠেছে। যদিও এই ঘটনার জেরে কোনওরকম চোট পাননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তবে, গাড়ির পিছনে অংশ দুমড়ে মুছড়ে গিয়েছে।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    শান্তনু (Shantanu Thakur) বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় আমি বিমানবন্দর থেকে ফিরছিলাম। সেই সময়েই ঘটনাটি ঘটেছে। তাঁর অভিযোগ, ওই গাড়িটি আমার কনভয়ের পিছু নিয়েছিল। ১০ কিলোমিটার ধরে পিছনে পিছনেই আসছিল। এরপর কনভয় যানজটে আটকাতেই পিছনে ধাক্কা দেয় গাড়িটি। কনভয় গুমা পার করে অশোকনগরের মানিকতলা ঢুকতেই জ্যামে আটকায়। সেই সময়েই কনভয়ের পিছনের একটি গাড়িতে ধাক্কা মারে ওই গাড়িটি। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুরোধও করা হয়েছে। তবে, বিষয়টি নিয়ে এখনই কোনও রাজনৈতিক কারণ খোঁজার চেষ্টা করছি না। তবে, ১০ কিলোমিটার দূর থেকে কেন আমার কনভয়ের পিছু নেওয়া হল তা তদন্ত করা দরকার। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: গোঘাটে সুদের টাকা আদায় করতে গিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি, জখম এক যুবক

    Arambagh: গোঘাটে সুদের টাকা আদায় করতে গিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি, জখম এক যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ ঘটনা হুগলির আরামবাগে (Arambagh)। প্রশাসনের উদাসীনতার সুযোগ নিয়ে মানুষ যে কতখানি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, এই ঘটনা তারই জলজ্যান্ত প্রমাণ। সুদে টাকা ধার দিয়ে না পাওয়াতে এক ব্যক্তি দুষ্কৃতীদের সঙ্গে নিয়ে গিয়ে হামলা চালালো একজনের বাড়িতে। শুধু তাই নয়, এলোপাথাড়ি গুলিও চালালো। তাতে জখম হলেন ওই ব্যক্তির ছেলে। এলাকার বাসিন্দারাই বলছেন, এমন ঘটনা তাঁরা আগে কখনও দেখেননি।

    কোথায় ঘটেছে এমন ঘটনা?

    ঘটনা হুগলির আরামবাগের (Arambagh) গোঘাট থানার মথুরা এলাকার। শনিবার রাতে হঠাৎ ঘরে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। রাতেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় গোঘাট থানার পুলিশ। একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনায় আহতকে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    কীভাবে ঘটল এই ঘটনা (Arambagh)?

    জানা গেছে, গোঘাটের (Arambagh) মথুরা গ্রামের বাসিন্দা ফটিক রায় তাঁর পরিচিতদের কাছ থেকে বেশ কয়েক হাজার টাকা সুদে ধার নেন। প্রথম কয়েক মাস সুদের টাকা দিতে পারলেও গত দু’মাস তিনি তা দিতে পারেননি। সেই কারণে শনিবার রাতে বাইকে করে ফটিক রায়ের বাড়িতে হঠাৎ চড়াও হয় পাওনাদার সহ তিন দুষ্কৃতী। প্রথমে টাকা ফেরতের দাবি করে। টাকা ফেরত না পেয়ে ফটিক রায়কে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তারা। সেই সময় পরিবারের লোকজন বাধা দিতে গেলে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে দেয় তারা। তার মধ্যেই একটি গুলি গিয়ে লাগে ফটিক রায়ের ছেলে অর্জুন রায়ের হাতে। তার পরেই ভয়ে পালাতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। দু’জন পালিয়ে গেলেও একজনকে ধরে ফেলে পরিবারের লোকজন। তার পর খবর দেওয়া হয় গোঘাট থানায়। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে গ্রেফতার করে ওই দুষ্কৃতীকে। এখনও পড়ে রয়েছে গুলির খোল। পরিবারের দাবি, প্রায় চার রাউন্ড গুলি চালায়।

    কী বলছেন আক্রান্ত (Arambagh)?

    অন্যদিকে ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অর্জুনকে আরামবাগ (Arambagh) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রাতেই। এই ঘটনার বিষয়ে ফটিক রায় বলেন, কৃষ্ণেন্দু সাহা নামে আমার এক পরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে চার মাস আগে ৭৫ হাজার টাকা সুদে ধার নিয়েছিলাম। চার মাস ধরে সুদ দিয়েছি। কিন্তু তাকে এখন পুরো ৭৫ ফেরত টাকা দিতে হবে বলে আমাকে চাপ দেয় বেশ কয়েকদিন ধরে। আমি পুরো টাকা না দিতে পারায় শনিবার প্রায় রাত দেড়টা নাগাদ কৃষ্ণেন্দু সাহা দুই দুষ্কৃতীকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে ঢুকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরিবারের লোকজন বাধা দিলে আমাদের মারধর করে, আমার ছেলে বাধা দিলে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। তারা চার রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ। সেই সময় দুষ্কৃতীরা ছেলেকে গুলি চালায়। একটি গুলি ছিটকে হাতে লাগে। মাটিতে পড়ে যায় অর্জুন। তারপরে ভয় পেয়ে দুজন দুষ্কৃতী পালিয়ে গেলেও একজন মোটর বাইকে স্টার্ট দিতে না পারলে আমরা তাকে ধরে ফেলি। পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ এলে পুলিশের হাতে তুলে দিই ওই দুষ্কৃতীকে। ঘটনার জেরে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share