Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Gram Panchayat Election: দলীয় নেতা খুনে দিঘা থেকে গ্রেফতার বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Gram Panchayat Election: দলীয় নেতা খুনে দিঘা থেকে গ্রেফতার বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি ব্লকের অঞ্চল সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় ওরফে ঝাড়েশ্বর সাঁতরার খুনের ঘটনায় সদ্য বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা ফটিক পাহাড়িকে গ্রেফতার করল সিআইডি। ফটিক ছাড়াও আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।  পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Gram Panchayat Election) পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠনের আগে দলীয় নেতা খুনে দলেরই এক নেতা গ্রেফতার হওয়ায় চরম বিড়ম্ভনার পড়েছে শাসক দল।

    ঠিক কী অভিযোগ ছিল?

    দলীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির দাবিদার ছিল এই ফটিক। গত ১০ অগাস্ট কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন হওয়ার কথা ছিল। সভাপতি, সহ সভাপতি নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, বোর্ড গঠন হয়নি। পরে,  পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Gram Panchayat Election) কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন নিয়ে মামলাও হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। মামলা করেছেন সমিতির ১৫ জন তৃণমূল সদস্য। এখানে সমিতির ২৭ জন সদস্যের মধ্যে তৃণমূলেরই ২৩ জন। এঁদের মধ্যে ‘আড়াআড়ি’ বিভাজন রয়েছে। তৃণমূলের একপক্ষ চেয়েছিল, সমিতির সভাপতি হোন ফটিক পাহাড়ি। আরেকপক্ষ চেয়েছিল, সভাপতি হোক উত্তম শীট। জেলা নেতৃত্বের ‘হুইপ’ ছিল উত্তমকে সভাপতি করার। দলেরই একাংশ সেই ‘হুইপ’ মানেননি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বোর্ড গঠন স্থগিত রাখা হয়। ঘটনাচক্রে, এর পরপরই ফটিককে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সুবিচার চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূলের ১৫ জন জয়ী প্রার্থী। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ফটিকও। ফলে, দলীয় নেতৃত্ব ফটিকের ভুমিকায় ক্ষুব্ধ। জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে খুন হয়েছিলেন মৃত্যুঞ্জয় সাঁতরা। কেশিয়াড়ির ডাডরা গ্রামের এই বাসিন্দা দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে নছিপুরে গিয়েছিলেন। রাতে বাইকে করে ফিরছিলেন তিনি। ভসরাঘাটে ঢোকার সময়ে তাঁর উপর চড়াও হয়েছিল সশস্ত্র দুষ্কৃতী দল বলে অভিযোগ। তাঁকে লক্ষ্য করে তির ছোঁড়া হয়েছিল। পায়ে তির লাগায় বাইক থেকে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর মাথায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কোপানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। এমনকী চোখ উপড়ে নেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ। খুনের পর রাস্তার ধারে দেহ ফেলে রেখে দেয় দুষ্কৃতীরা। এই খুনের ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করে সিআইডি। নাম জড়ায় ফটিকের। বেশ কিছুদিন ধরেই মোবাইল বন্ধ রেখে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল ফটিক। শুক্রবার গভীর রাতে দিঘা থেকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি তদন্তকারী দল।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, দলীয় নেতা খুনের তদন্ত করছে সিআইডি। প্রমাণ হাতে পেয়ে যে জড়িত রয়েছে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পঞ্চায়েত (Gram Panchayat Election)  সমিতিতে আমরাই বোর্ড গঠন করব।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি জেলা নেতা অরূপ দাস বলেন, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জন্যই এই গ্রেফতার। আসলে পঞ্চায়েত (Gram Panchayat Election) সমিতির বোর্ড গঠনে দলের নির্দেশ তিনি মানেননি বলেই ৬ বছর আগের খুনের ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করা হল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ভাগীরথীতে নতুন ব্রিজ সহ জাতীয় সড়ক চালু হওয়া নিয়ে কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    Murshidabad: ভাগীরথীতে নতুন ব্রিজ সহ জাতীয় সড়ক চালু হওয়া নিয়ে কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুরের নব নির্মিত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক তৈরির কাজের তদারকি করলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। শনিবার সাত সকালে বহরমপুরের আগে বলরামপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নবনির্মিত জাতীয় সড়কের কাজ কেমন হচ্ছে তা ঘুরে দেখেন।

    মুর্শিদাবাদে নবনির্মিত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের রুট কেমন জানেন? (Murshidabad)

    এতদিন মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের ভিতর দিয়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ভাগীরথী নদীর উপর রামেন্দ্রসুন্দর সেতু দিয়ে উত্তরবঙ্গে চলে যেত। এটাই এতদিন ছিল চেনা রুট। আর বহরমপুরের মতো ব্যস্ত শহরের ভিতর দিয়ে জাতীয় সড়ক যাওয়ার কারণে ব্যাপক যানজট হয়। ফলে, প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষের ভোগান্তি হত। এবার কেন্দ্রীয় সরকার বহরমপুর শহরকে বাদ রেখেই বাইপাসের মতো নতুন রাস্তা তৈরি করেছে। বহরমপুর শহর ঢোকার আগে সারগাছির পর পর বলরামপুর থেকে রাস্তাটি বাঁদিকে ঢুকে হরিদাসমাটি দিয়ে ভাগীরথীর উপর দিয়ে শিয়ালমারা হয়ে গঙ্গার ওপারে খাগড়ার কাছে মেহেন্দিপুরে জাতীয় সড়কের সঙ্গে মিশছে। এই রাস্তাটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১১ কিলোমিটার। এরমধ্যে ভাগীরথী নদীর উপর ৪৫০ মিটার ব্রিজ তৈরি করা হচ্ছে। সেই ব্রিজ তৈরির কাজও শেষের দিকে। এই রাস্তা চালু হয়ে গেলে দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গ যেতে হলে আর বহরমপুর শহরে ঢুকতে হবে না। সোজা এই রাস্তা ধরে গেলে অনেক কম সময়ে লাগবে।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    এদিন মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) জাতীয় সড়কের কাজ তদারকি করতে আসেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন,  সড়ক যোজনার উন্নয়ন হলে এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা সংস্কৃতি সমস্ত কিছুর উন্নতি হবে। এই কাজের শিলান্যাস করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দ্রুততার সঙ্গে কাজ হচ্ছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে নতুন বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে নতুন তৈরি এই ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক চালু হয়ে যাবে। এই বিষয়ে এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বললেন, রাস্তাটার এক দিক তৈরি হয়ে গিয়েছে। অন্য দিকটা বাকি থাকায় কিছুটা দেরি হচ্ছে। তবে,একদিক চালু করার জন্য উচ্চ আধিকারিকদের কাছে আবেদন করা হয়েছে। সেখান থেকে নির্দেশ এলেই রাস্তার একটা দিক চালু করে দেওয়া যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: আলিপুরদুয়ার সমবায়ে ৫০ কোটির দুর্নীতিতে ইডি, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ, কী বললেন আমনতকারীরা?

    Alipurduar: আলিপুরদুয়ার সমবায়ে ৫০ কোটির দুর্নীতিতে ইডি, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ, কী বললেন আমনতকারীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল জমানাতেই আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) একটি সমবায়ে আমানতকারীদের গচ্ছিত কোটি কোটি টাকা তছরুপ হয়েছিল। ওই ঘটনায় প্রতারিতরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই মামলায়  ইডি এবং সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আর্থিক তছরূপের ঘটনায় কয়েক বছর আগে অভিযোগের ভিত্তিতে সমবায়ের পাঁচ জন কর্মীকে গ্রেফতার করা হলেও আমানতকারীরা তাদের গচ্ছিত টাকা আজও ফেরত পাননি। ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে দুর্নীতির ওই মামলায় সিবিআই ও ইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় খুশি আমানতকারীরা। তাঁদের আশা, কোটি কোটি টাকা তছরূপে জড়িত মূল নাটের গুরুরা এবার সিবিআই ও ইডির জালে ধরা পড়বে।

    কত টাকার দুর্নীতি হয়েছিল? (Alipurduar)

    যদিও বাম আমলে আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতি গড়ে উঠেছিল। শুরুর দিকে ওই ওই সংস্থার কাজকর্ম সুষ্ঠুভাবেই চলছিল। কিন্তু, ২০১৭ সাল থেকেই আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠতে থাকে। ওই সংস্থার প্রায় ২২ হাজার গ্রাহক ছিল। গ্রাহকরা তাঁদের গচ্ছিত টাকা ফেরত না পেয়ে ২০২০ সালের আগস্ট মাসে সমিতির বিরুদ্ধে একজোট হয়ে রাস্তায় নামেন। ২০২০ সালেই বন্ধ হয়ে যায় সমিতির দফতর। এখনও সেই দফতর বন্ধই রয়েছে। ওই সময় অলক রায় নামে এক বাসিন্দা প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই সমবায় কর্তাদের পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে সিআইডি তদন্ত হয়েছে। কিন্তু, আমানতকারীরা টাকা ফেরত পেতে ২০২২ সালে সার্কিট বেঞ্চে সমিতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এরপরেই গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই ও ই ডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারি অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক থেকে ঝাল মুড়ি বিক্রেতা কেউ বাদ যায়নি প্রতারণার হাত থেকে। আদালতের নির্দেশে যে কোন দিনই আলিপুরদুয়ারে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীরা এসে ওই আর্থিক দুর্নীতি তদন্ত শুরু করবে। প্রতারিত আমানতকারীদের বক্তব্য,আসল রাঘব বোয়াল যারা তারা অধরাই রয়ে গিয়েছে। এদের মধ্যে অনেকে ঠিকাদার রয়েছেন। যারা কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে।

    দুর্নীতি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    যদিও বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, সিপিএমের কিছু নেতা ও তাদের পৃষ্ঠপোষকরা মানুষের গচ্ছিত ওই টাকা আত্মসাৎ করেছে। আমি বিধানসভায় এ নিয়ে সরব হয়েছিলাম। আমরা চাই, প্রতারিত মানুষরা তাদের টাকা ফেরত পাবে। অন্যদিকে,  সিপিএমের আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার সম্পাদক কিশোর দাস জানিয়েছেন, তৃণমূল জামাতেই যারা মানুষের গচ্ছিত টাকা আত্মসাৎ করেছে, তাদের অনেকেই শাসক দলের ছাত্র ছায়ায় রয়েছেন। সিবিআই ও ইডি তদন্ত হলেই সব কিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে। আমরা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে স্বাগত জানাচ্ছি। বিজেপির জেলা নেতা মিঠু দাস বলেন, এই দুর্নীতির সঙ্গে তৃণমূল জড়়িত রয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে প্রতারিতদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: পঞ্চায়েতের উপ সমিতি গঠন ঘিরে ধুন্ধুমার নদিয়ায়, লাঠি-বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মার বিজেপি কর্মীদের

    Nadia: পঞ্চায়েতের উপ সমিতি গঠন ঘিরে ধুন্ধুমার নদিয়ায়, লাঠি-বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মার বিজেপি কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপ সমিতি গঠনকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড। শুক্রবার দুপুরে নদিয়ার (Nadia) ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কৃষ্ণগঞ্জ পঞ্চায়েতের উপ সমিতি গঠনকে কেন্দ্র করে শাসক এবং বিরোধী দলের সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় তীব্র চাঞ্চলের সৃষ্টি হল। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা লাঠি, বাঁশ দিয়ে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের। পাশাপাশি এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী শিবির।

    গন্ডগোলের সূত্রপাত কীভাবে (Nadia)?

    জানা গেছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২৫ টি আসন বিশিষ্ট কৃষ্ণগঞ্জ (Nadia)পঞ্চায়েতে ১৩ টি আসনে জয়লাভ করে পঞ্চায়েত বোর্ড দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি পায় ১২ টি আসন। এছাড়াও পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূল ও বিজেপি ১টি করে আসনে জয়লাভ করে। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের আসন সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ১৪ টিতে। অভিযোগ, এদিন পঞ্চায়েতের উপ সমিতি গঠন করতে গিয়ে তৃণমূল সমর্থিত একজন জয়ী সদস্য বিজেপির সদস্যদের মধ্যে গিয়ে বসেন। তৃণমূলের ওই সদস্য বিজেপিকে সমর্থন করতেই উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র বচসার সৃষ্টি হয়। ওই সদস্যার সার্টিফিকেট ও ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল সমর্থিত কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি তৃণমূল আশ্রিত কর্মী-সমর্থকদের বেধড়ক মারে গুরুতর জখম বেশ কয়েকজন বিজেপি সমর্থক বলে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে সরাসরি আঙুল তুলতে দেখা যায় বিরোধী শিবিরের নেতা-কর্মীদের। জখম ব্যক্তিদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে।

    অভিযোগের জবাবে কী বলল তৃণমূল (Nadia)?

    যদিও ঘটনাটি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন তৃণমূল সমর্থিত পঞ্চায়েত প্রধান মদন ঘোষ। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত উপ সমিতির (Nadia) ভোটাভুটি শুরু হলে উপস্থিত বিরোধী শিবিরের কর্মীরা তাদের এক সদস্যাকে হাত ধরে টেনে নিয়ে তাঁর ব্যালট পেপার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে বচসার সৃষ্টি হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই গ্রাম পঞ্চায়েতের বাইরে ধুন্ধুমার কাণ্ড। তার ফলেই বেশ কয়েক জন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad News: ‘‘নাম মমতা, কিন্তু অন্তরে এত পাপ?’’, তীব্র কটাক্ষ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর

    Murshidabad News: ‘‘নাম মমতা, কিন্তু অন্তরে এত পাপ?’’, তীব্র কটাক্ষ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘নাম মমতা কিন্তু এত পাপ অন্তরে’’, ঠিক এই ভাষাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। বৃহস্পতিবার থেকেই কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী মুর্শিদাবাদে (Murshidabad News) রয়েছেন দলীয় কাজে। শুক্রবার বহরমপুর বিধানসভার অন্তর্গত হাতিনগর গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাঠে নতুন ভোটারদের নাম তালিকাভুক্ত করার এক দলীয় কর্মসূচিতে (Murshidabad News) অংশগ্রহণ করেন মন্ত্রী। এরপরই সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং কংগ্রেসের সাংসদ অধীর চৌধুরীকে এক হাত নেন (Murshidabad News)। 

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এদিন বলেন, ‘‘বাংলার মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা, নাম মমতা কিন্তু সেই মমতার রাজ্যে মহিলার কাপড় খুলে রাস্তায় ঘোরানো হয়েছে।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘আমি বুঝতে পারছি না মমতা মহিলা না অন্য কিছু। মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব কে ভোট দিল, কে দিল না, সে দিকে না তাকিয়ে রাজ্যের মানুষকে পালন করা (Murshidabad News)।’’ রাজ্যে বেড়ে চলা নারী নির্যাতন নিয়েও সরব হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ‘‘মমতার রাজ্যে মেয়েরা ধর্ষিতা হচ্ছে, নানান রকম দুর্নীতি চলছে, যে দুর্নীতির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরাও জড়িত।’’ রাজ্যের সন্ত্রাস ইস্যুতে তাঁর মন্তব্য, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সন্ত্রাস বাহিনী এবং পুলিশ যদি প্রার্থী এবং ভোটারদের উপর সন্ত্রাস না চালাতো, তাহলে এই পঞ্চায়েতেই মমতা বন্দোপাধ্যায়কে গদি ছাড়তে হতো।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কংগ্রেস নেতা এখানে (Murshidabad News) মমতার বিরুদ্ধে চিৎকার করছেন আর দিল্লিতে গিয়ে দোস্তি করছেন! অধীর চৌধুরীর এ কী হলো?’’ বাংলায় একরূপ আর দিল্লিতে অন্য রূপ! তিনি জনগণের সঙ্গে এখানে প্রতারণা করছেন।’’

    লোকসভা ভোটে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী 

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘‘এই বাংলায় আমাদের ৭০ জন বিধায়ক আছেন, ১৬ জন সাংসদ আছেন। আগামী ২৪ সালে (Murshidabad News) লোকসভা ভোট। মানুষ দেখতে পাচ্ছে ভারতবর্ষের বিজ্ঞানীদের কৃতিত্ব, গত পরশুদিন চন্দ্রযান-৩ চাঁদের মাটিতে পা রেখেছে। এই আনন্দে গোটা ভারতবর্ষের মানুষ আনন্দে মেতে উঠেছেন। ভারত আজ বিশ্ব আর্থিক ব্যবস্থায় পঞ্চম স্থানে আছে কিন্তু মনমোহন সিংয়ের সরকারে সময়  ১০ বছরে বিশ্বে দশম স্থানে ছিল। তাই পশ্চিমবঙ্গবাসীকে অনুরোধ করেন আসুন সবাই মিলে একত্রিত হয়ে এই ভারতকে বিশ্বের দরবারে এগিয়ে নিয়ে চলি।’’ এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা (Murshidabad News) সভাপতি শাখারভ সরকার ও অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব ও কর্মীবৃন্দ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: ছেলেকে খুন করা হয়েছে, গুরুতর অভিযোগ দুর্গাপুরের সেই ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের বাবার

    Durgapur: ছেলেকে খুন করা হয়েছে, গুরুতর অভিযোগ দুর্গাপুরের সেই ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের বাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় এখনও উত্তাল রাজ্য। এর পর রাজ্যে ঘটে গিয়েছে আরও কয়েকটি ঘটনা। কয়েকদিন আগেই এসএসকেএমের এক নার্সিং ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য দানা বাঁধে। পুলিশ সেই ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে। একই ধরনের ঘটনা ঘটে দুর্গাপুরেও (Durgapur)। সেখানেও এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয়েছে হস্টেলের চারতলা থেকে। সেই ঘটনা এবার অন্যদিকে মোড় নিল। ওই ছাত্রের বাবা অভিযোগ করলেন, তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়েছে। একই অভিযোগ করেছেন, ওই ছাত্র যেখানকার বাসিন্দা, সেই গ্রামের প্রধানও। উল্লেখ্য, দুর্গাপুরের ফুলঝোড়ের বি সি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন ভাগলপুরের বাসিন্দা সৌরভ কুমার। তাঁর বাবা সুরেন্দ্র কুমার ও সৌরভের ভাগলপুরের গ্রামের প্রধান ব্রজেশ পাশওয়ান শুক্রবার খুনের মতো গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। এমনকি এই খুনের পিছনে রয়েছে রীতিমতো চক্রান্ত, এমনও অভিযোগ মৃত ওই ছাত্রের বাবার। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁর সন্তানের নিরুদ্দেশ সম্বন্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে।

    কী ঘটেছিল (Durgapur)?

    দুর্গাপুরের (Durgapur) বিসি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ওই ছাত্রের ঝুলন্ত পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়েছিল গতকালই। মৃত ছাত্রের নাম সৌরভ কুমার, বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা, কম্পিউটার সায়েন্স এবং ডিজাইনের ৩য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি। সূত্রে জানা গেছে, কলেজের (Durgapur) বয়েজ হস্টেলের ফাঁকা চারতলায় একটি ঘরে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাস্থলে নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে।

    ডিন (Durgapur) কী জানিয়েছিলেন?

    কলেজের (Durgapur) ডিন ছাত্র মৃত্যুর পর জানিয়েছিলেন, ২১ তারিখ শেষ ওঁকে দেখা গিয়েছিল। তারপর থেকে নিখোঁজ। বেশ কয়েকদিন ধরে ওঁর কোনও খোঁজ মিলছিল না। ডিন আরও জানিয়েছিলেন, ওঁর তেমন বন্ধু খুব একটা ছিল না। আত্মকেন্দ্রিক ছেলে ছিলেন সৌরভ। হস্টেলের চারতলায় বিল্ডিং মেরামতির কাজ চলছিল, সেই সঙ্গে ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার কাজও চলছিল। খোঁজ না পাওয়ায় প্রথমে বাড়ির লোকজনকে খবর দেওয়া হয়। এরপর হস্টেলের ওপরের একটি ঘর থেকে অত্যন্ত পচা গন্ধ বের হলে, দরজা খুলে দেখা যায় সৌরভ কুমারের মৃতদেহ ঘরের উপর থেকে ঝুলছে।

    পুলিশের ভূমিকা

    স্থানীয় (Durgapur)  ডিসি পূর্ব কুমার গৌতম জানিয়েছিলেন, তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট করে জানা যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: আশা কর্মীদের জুতো মারার নিদান বিএমওএইচ-এর! বিক্ষোভে উত্তাল ব্লক হাসপাতাল

    Asansol: আশা কর্মীদের জুতো মারার নিদান বিএমওএইচ-এর! বিক্ষোভে উত্তাল ব্লক হাসপাতাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশা কর্মীদের জুতো মারা এবং চটি পেটার নিদান ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের (Asansol)। এই অভিযোগে উত্তাল সালানপুরপুর ব্লক হাসপাতাল। সালানপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের এমন মন্তব্যের প্রতিবাদে আশা কর্মীরা ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসে তুমুল বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন। আশা কর্মীদের ডিস্ট্রিক্ট কো-অর্ডিনেটরের কাছে দিলেন স্মারকলিপি। বিএমওএইচ-এর এই মন্তব্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন আশা কর্মীরা। যদিও এদিন সালানপুর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অভিযুক্ত বিএমওএইচ সুব্রত সিট হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন না। আশা কর্মীরা দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখানোর পর যতক্ষণ না বিএমওএইচ তাঁদের কাছে ক্ষমা চাইছেন, ততক্ষণ তাঁরা নিজেদের কাজে যোগ দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

    কী অভিযোগ জানালেন আশাকর্মীরা (Asansol)? 

    অন্যদিকে ডিস্ট্রিক্ট (Asansol) আশা কো-অর্ডিনেটর অমিত গুহ জানিয়েছেন, আশা কর্মীদের দেওয়া এই স্মারকলিপির বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানাবেন। আশা কর্মী চুমকি চ্যাটার্জি ও রেখা নন্দীরা জানিয়েছেন, ঘটনার সূত্রপাত দিন কয়েক আগে। পর্বতপুর এলাকার একজন শিশুকে টিকা দেওয়া হয়েছিল। সেই টিকা দেওয়ার পর জ্বরে আক্রান্ত হয় ওই শিশুটি। পরে ওই শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে স্বাস্থ্য কর্মীদের গাফিলতির অভিযোগ জানানো হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম দফায় স্বাস্থ্যকর্মীরা শিশুটির পরিবারের লোকেদের কাছে মার্জনাও চেয়ে নেন। এরপর ফের ওই স্বাস্থ্য কর্মীদের ব্লক হাসপাতালে ডেকে অভিযোগকারী পরিবারের সদস্যদের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন বিএমওএইচ। পরিবারের সদস্যদের নিদান দেন, স্বাস্থ্য কর্মীদের জুতো মারা ও চটি পেটার। এমনই অভিযোগ বিক্ষোভকারী আশা কর্মীদের।

    মদ্যপ ছিলেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক (Asansol)?

    গোটা ঘটনাটি মদ্যপ অবস্থায় সালানপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক (Asansol) সুব্রত সিট ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ আশা কর্মীদের। যদিও শেষ পর্যন্ত উত্তেজনার খবর পেয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসে সালানপুর থানার পুলিশ। বেশ কিছুক্ষণ পর আশা কর্মীরা তাঁদের বিক্ষোভ তুলে নেন। তবে বিএমওএইচ ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত কাজ করবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আশা কর্মীরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: সেনার পোশাকে যাদবপুরে ওরা কারা? মামলা দায়ের পুলিশের

    Jadavpur University: সেনার পোশাকে যাদবপুরে ওরা কারা? মামলা দায়ের পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর ইস্যুতে তোলপাড় সারা রাজ্য। গত ৯ অগাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যু রহস্যের তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে। একাধিক ইস্যু সামনে এসেছে। গ্রেফতার হয়েছেন ১৩ জন। বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বসতে চলেছে সিসিটিভি। ঠিক এমন আবহে বুধবার সেনার পোশাক পড়ে ২৫-৩০ জনের একটি টিমকে সোজা ঢুকতে দেখা যায় অরবিন্দ ভবনে।  তবে কি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে এবার সেনা নামাতে হচ্ছে? এমন প্রশ্ন দানা বাঁধতে শুরু করে। জলপাই পোশাকে যারা প্রবেশ করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের টুপিতেও লেখা ছিল ভারতীয় সেনা। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে সুয়োমোটো মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, এবিষয়ে লালবাজারে তলব করা হবে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকেও।

    সেনার পোশাকে কারা ঢুকলো যাদবপুরে?

    জলপাই পোশাকে যাঁরা ঢুকলেন তাঁরা কারা? ভারতীয় সেনার কর্মী নাকি আধা সেনা? জানা গিয়েছে, যাঁরা ঢুকেছিলেন তাঁরা ‘এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটি’ নামে একটি সংস্থা থেকে এসেছিলেন। ২৫ থেকে ৩০ জনের এই দল বুধবার বিকাল ৪টে ২০ নাগাদ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। দলের নেতৃত্বে ছিলেন কাজি সাদেক হোসেন নামে জনৈক ব্যক্তি। যাদবপুর থানার এক সাব-ইন্সপেক্টর ইতিমধ্যে এ বিষয়ে মামলা করেছেন। পুলিশ এই ঘটনায় ভারতীয় সেনার নাম এবং প্রতীক অপব্যবহার করার জন্য মামলা দায়ের করেছে। ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩৪ এবং ১৪০ ধারায় এই মামলা রজ্জু করা হয়েছে।

    কী বলছেন সেনার পোশাকে থাকা ওই টিমের লোকজন?

    এক এক সময় এক এক রকমের দাবি করতে দেখা যায় এই টিমের সদস্যদের। কখনও তাঁরা বলেন, এনজিও কখনো বলেন আন্তর্জাতিক সংগঠন। কখনও বলেন, তাঁরা মানবাধিকার কমিশনের সদস্য। আবার একসময় তাঁরা জানান, তাঁরা হচ্ছেন চম্পাহাটির একটি এনজিও-এর কর্মী এবং সংগঠনের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে তিন মাসের ট্রেনিংয়ের পর নাকি তাঁদের পুলিশের কাজ দেওয়া হবে। তাই তাঁরা এসেছেন(Jadavpur University)। যারা এসেছিলেন তাঁদের মধ্য থেকে কাজি সাদিক হোসেন বলেন, ‘‘আমরা সেনা বা আধা সেনা কেউই নই। আমরা হচ্ছি বিশ্ব শান্তি সেনা।’’ তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) তাঁদেরকে কারা ডেকে পাঠিয়েছিল! কেনই বা তাঁরা এলেন! এবং কী কাজ তাঁরা করতে এসেছিলেন! এসমস্ত প্রশ্নের উত্তর তদন্তের পরেই মিলবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে শুক্রবারও যাদবপুরকাণ্ডে (Jadavpur University) পাঁচ ছয় জন পড়ুয়াকে তলব করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকালও তলব করা হয়েছিল পাঁচজন পড়ুয়াকে। লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়েছিল হস্টেলের রাঁধুনিকেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • The Rarest Disease: ইঞ্জেকশনের দাম সাড়ে ১৭ কোটি! দুধের শিশুকে বাঁচাতে অকূল পাথারে পরিবার

    The Rarest Disease: ইঞ্জেকশনের দাম সাড়ে ১৭ কোটি! দুধের শিশুকে বাঁচাতে অকূল পাথারে পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরলতম রোগে (The Rarest Disease) আক্রান্ত নয় মাসের শিশু। চিকিৎসার খরচ নিয়ে কার্যত দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে এক সেনাকর্মীর পরিবারের। এদিকে একমাত্র ছেলের জীবন বাঁচাতে মরিয়া বাবা ধ্রুব মণ্ডল দ্বারস্থ হয়েছেন বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের। করুণ আর্জি জানিয়েছেন অসহায় মা সঙ্গীতা মণ্ডলও। আর যা নিয়ে প্রায় একমাস ধরে চোখের জলেই দিন কাটছে গোটা পরিবারের। বালুরঘাট শহরের মঙ্গলপুর এলাকার এমন ঘটনায় রীতিমতো আলোড়ন পড়েছে গোটা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। দেশের প্রধানমন্ত্রীই এখন শেষ ভরসা, বলছে অসহায় সেনাকর্মীর পরিবার।

    কীভাবে জানা গেল রোগের কথা?

    বালুরঘাট শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মঙ্গলপুর এলাকার বাসিন্দা পেশায় সেনাকর্মী ধ্রুব মণ্ডলের একমাত্র ছেলে সপ্তর্ষি মণ্ডল। জন্মের নয় মাস পরেও শিশুটির মধ্যে সেরকম শিশুসুলভ আচার আচরণ ও শারীরিক নানা বিষয় দেখতে পায় না তার পরিবার। যা নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তা থেকেই চলতি বছরের এপ্রিল মাসে বালুরঘাটের এক শিশু বিশেষজ্ঞর শরণাপন্ন হন ওই শিশুর পরিবারের লোকজন। যেখানে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে শিশুর জিনগত সমীক্ষা করান তাঁরা। যেখানেই সামনে আসে স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রফি রোগের (The Rarest Disease) যাবতীয় লক্ষণ। বিরলতম এই রোগের কথা শুনেই আঁতকে ওঠেন ভারতীয় সেনা বিভাগে কর্মরত শিশুর বাবা ধ্রুব মণ্ডল।

    সাড়ে ১৭ কোটির ইঞ্জেকশন ভারতেও অমিল

    সুনিশ্চিত করতে এরপর প্রথমে কলকাতা এবং তারপর দিল্লির এইমসে নিয়ে যাওয়া হয় ছোট্ট সপ্তর্ষিকে। কিন্তু সেখানেও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর একই রোগের কথা জানান চিকিৎসকরা। শুধু তাই নয়, দু বছরের মধ্যে এর সঠিক চিকিৎসা না হলে সপ্তর্ষিকে আর বাঁচানো সম্ভব হবে না, এমনটাও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রফি নামের এই মারণ রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই রোগের (The Rarest Disease) জন্য একটিমাত্র ইঞ্জেকশন রয়েছে, যার দাম প্রায় সাড়ে সতেরো কোটি টাকা, যা ভারতে অমিল। শুধুমাত্র বিদেশ থেকে এই ইঞ্জেকশনটি এনেই বাঁচানো সম্ভব ছোট্ট ওই শিশুটিকে। যা জানার পরই কার্যত ভেঙে পড়েছে অসহায় ওই শিশুর পরিবার। কিন্তু কোনওভাবেই যেন হাল ছাড়তে নারাজ সেনাকর্মী ওই শিশুর বাবা ধ্রুব মণ্ডল। ছেলের এই বিরলতম রোগের চিকিৎসার জন্য সকলের কাছে করজোড়ে আবেদন জানিয়ে ইতিমধ্যে দ্বারস্থ হয়েছেন বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের।

    কী বলছেন অসহায় মা?

    শিশুর মা সঙ্গীতা মণ্ডল বলেন, বালুরঘাট থেকে দিল্লি, সব জায়গায় একই রিপোর্ট সামনে এসেছে। রোগের সমস্ত উপসর্গও তার শিশুর মধ্যে রয়েছে। কিন্তু কীভাবে ছেলের জীবন ফেরাবেন তা তাঁরা ভাবতেই পারছেন না। এত টাকাও কীভাবে জোগাড় হবে, সেটাও বুঝতে পারছেন না। তবে দেশের প্রধানমন্ত্রী চাইলেই একমাত্র তাঁর শিশুকে বাঁচানো সম্ভবপর হবে। কীভাবে জুটবে এই বিপুল অঙ্কের টাকা? তা ভেবেই যেন ডুকরে কাঁদছেন শিশুর দিদা। একই চিন্তা প্রতিবেশী ও অনান্য আত্মীয়দের মধ্যেও। মাত্র ১৫ মাসের মধ্যে সাড়ে সতেরো কোটি টাকা জোগাড় করে কি আদৌ ছোট্ট সপ্তর্ষির জীবন ফেরাতে পারবে তার পরিবার? এই প্রশ্নই যেন এখন চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে গোটা বালুরঘাট শহরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jute Cultivation: সরকার পাশে নেই, বৃষ্টির অভাবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে নদিয়ার পাট চাষিরা

    Jute Cultivation: সরকার পাশে নেই, বৃষ্টির অভাবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে নদিয়ার পাট চাষিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়া জেলায় হাজার হাজার পাট চাষি রয়েছে। মূলত পাট চাষের (Jute Cultivation) উপরই তাঁদের সংসার অনেকটা নির্ভরশীল। তবে এ বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টি না থাকায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা। চলে গেছে শ্রাবণ মাস, যেভাবে বর্ষা নামার কথা ছিল, তা না হওয়ায় খাঁ খাঁ করছে জলাশয়। শুকিয়ে গেছে পুকুরের জল, খানাখন্দগুলোরও একই অবস্থা। পাট চাষের জন্য বিশেষ প্রয়োজন বৃষ্টির। অন্যান্য সবজি চাষে সে রকম একটা বৃষ্টির প্রয়োজন হয় না, মেশিনের জল দিয়ে চাষিরা সবজি তৈরি করতে পারেন। কিন্তু বৃষ্টি যে এ বছর পাট চাষে এতটা ক্ষয়ক্ষতি করবে, তা অনেকটাই অজানা ছিল চাষিদের কাছে। সময় মতো বৃষ্টি না হওয়ার কারণে প্রায় দুমাস দেরি হয় পাট কাটতে। একদিকে দিনমজুরদের রোজের টাকা, অন্যদিকে বাড়তি পরিশ্রম করতে হচ্ছে চাষিদের, শুধুই একটু লাভ খুঁজে পাওয়ার জন্য। কিন্তু সে গুড়ে বালি।

    জমানো টাকাও বেরিয়ে যাচ্ছে (Jute Cultivation)

    নদিয়ার বিভিন্ন গ্রামের পাট চাষিরা জানিয়েছেন, এ বছর পাট চাষে (Jute Cultivation) তো লাভ নেই, উপরন্তু ঘরের জমানো টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে তাঁদের। অনেক চাষি এই পাট চাষের উপর নির্ভর করে সারাটা বছর অন্যান্য সবজি চাষে মন দেন। এছাড়াও বছরে দু’একবার ধান চাষও করেন তাঁরা। কিন্তু পাট চাষ করার আগে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের সহযোগিতায় লোন নিয়ে তাঁরা শুরু করেন পাট চাষ। পাট পুরোপুরি তৈরি হওয়ার পরে শুরু হয় কাটার পালা। এরপর বিভিন্ন জলাশয়ে পচানো হয় পাট। তারপরে লাভ বের করে ঋণ মিটিয়ে আবারও অন্যান্য চাষে নজর দেন চাষিরা।

    সরকারি সুবিধা (Jute Cultivation) নামেই, মিলছে কই!

    চাষের ক্ষেত্রে সরকারিভাবে বিভিন্ন সুবিধার কথা প্রচারের আলোতে এলেও তাঁদের যে কোনও সুবিধা মেলে না, তা এক প্রকার জানিয়ে দিলেন চাষিরা। স্থানীয় বিডিও দফতর থেকে মাঝেমধ্যে বিভিন্ন বীজ দেওয়া হয় চাষিদের, এখন তাও বন্ধ। তাই নিজেদের চাষের (Jute Cultivation) উপরই নির্ভর করে সারাটা বছর সংসার চলে তাঁদের। যদিও প্রতি বিঘাতে প্রায় দশ হাজার টাকা করে এবার ক্ষতির মুখে পড়ার সম্ভাবনা বলে জানিয়েছেন চাষিরা। পুকুরের জল পাট পচার কারণে দূষিত হয়, তাই অনেকেই রাজি হন না ব্যবহারের জন্য। কিন্তু এখন আর সেই পুকুর কোথায়? সবই তো ভরাটের খাতায় নাম লিখিয়েছে। অর্থ ব্যয় করে জলাশয়গুলিতে এখন পাট পচানোর একটাই সম্বল চাষিদের। তবে চাষিদের পাশে কেউ নেই বলেই আক্ষেপের সুরে জানান পাট চাষিরা। তাঁদের একটাই দাবি, সরকার যদি একটু নজর দেয়, তাহলে হয়তো বেঁচে যাবে তাঁদের সংসার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share