Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Chandrayaan 3: চন্দ্রযান-৩ এর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে পাঁশকুড়ার পীযূষ, উচ্ছ্বসিত পরিবার

    Chandrayaan 3: চন্দ্রযান-৩ এর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে পাঁশকুড়ার পীযূষ, উচ্ছ্বসিত পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রযান -৩ (Chandrayaan 3) এর সাফল্যের নেপথ্যে এবার নাম জুড়ল পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার। মূলত, চন্দ্রযান ৩ এর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব ছিল পাঁশকুড়ার ঘোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর কাটাল গ্রামের বাসিন্দা পীযূষ পট্টনায়েকের হাতে। প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা পীযূষের বাবা পেশায় ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সেচ দফতরের কর্মচারী, মা গৃহবধূ। ছোটবেলা থেকেই যৌথ পরিবারে বেড়ে ওঠেন তিনি। চন্দ্রযান -৩ এর সাফল্যে খুশি সকলেই।

    চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্য নিয়ে কী বললেন বিজ্ঞানী পীষূষ পট্টনায়েক? (Chandrayaan 3)

    পীষূষের হাতে খড়ি হয় গ্ৰামেরই একটি স্কুলে। ছোটবেলা থেকেই শান্ত ও মেধাবী। ২০০৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন পাঁশকুড়া ব্রাটলি বাট হাইস্কুল থেকে। এরপর, কল্যাণী সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি টেক পাশ করেন। ২০১৩ সালে খড়্গপুর আইআইটি থেকে এম টেক পাশ করে যোগ দেন ইসরোতে। চন্দ্রযান ২ ও ৩ এর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব ছিল তাঁর হাতে। পীযূষ বলেন, চন্দ্রযান-২ ব্যর্থ হতেই সাময়িক মুষড়ে পড়েছিলাম। তারপর এই ব্যর্থতাকে রসদ করে নতুন করে পুরোদমে নেমে পড়়েছিলাম। চার বছর ধরে আমাদের সকলের পরিশ্রম এই সাফল্য এনে দিয়েছে। আমার মূলত চন্দ্রযানের (Chandrayaan 3) তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব ছিল। মহাকাশে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন তাপমাত্রা হয়ে থাকে। যন্ত্রপাতির কাজের জন্য প্রয়োজন সঠিক তাপমাত্রার। সেই বিষয়টি আমাদের টিমের দায়িত্ব ছিল। অবশেষে সাফল্য আসায় খুবই আনন্দ লাগছে।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) বুধবার চাঁদের মাটিতে অবতরণ করায় খুশির আমেজ নেমে এসেছে উত্তর কোটালের পীযূষকান্তি পট্টনায়েকের গ্রামের বাড়িতে। পীযূষের সফলতায় খুশি পরিবার, প্রতিবেশী সহ এলাকাবাসী। পীযূষের দাদা প্রদ্যুৎ পট্টনায়েক বলেন, ভাইয়ের সাফল্যে আমরা খুবই খুশি। চন্দ্রযান-২ এর ব্যর্থতার পর নতুন করে ওরা চেষ্টা চালিয়েছিল। বুধবার চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান-৩ পা রাখতে গর্বে মন ভরে যায়। এমনিতেই দেশবাসী হিসেবে আমাদের গর্ব হচ্ছে। পাশাপাশি আমার ভাই এই অভিযানের অন্যতম শরিক জেনে খুবই ভাল লাগছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: দাদার খাটের নিচেই কয়েকশো কোটি! মমতার পুজো-অনুদান নিয়ে তীব্র কটাক্ষ

    Durga Puja 2023: দাদার খাটের নিচেই কয়েকশো কোটি! মমতার পুজো-অনুদান নিয়ে তীব্র কটাক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে মাত্র আর দু’ মাসও নেই। তার পরই শুরু হবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো (Durga Puja 2023)। আর তারই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে গোটা বাংলা জুড়ে, শুরু হয়েছে মণ্ডপ নির্মাণ, প্রতিমা তৈরি। আর এই সবের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার পশ্চিমবঙ্গের পুজো কমিটিগুলির জন্য অনুদানের পরিমাণ বাড়িয়ে ৭০ হাজার টাকা করার কথা ঘোষণা করেছেন। শুধু তাই নয়, গোটা পুজো জুড়ে যা বিদ্যুৎ খরচ হবে কমিটিগুলির, তার এক-চতুর্থাংশ বিল মেটালেই হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর খুশির মেজাজে দুর্গাপুজো কমিটিগুলি। কিন্তু ক্ষুব্ধ বিরোধীরা। তাঁদের প্রশ্ন, ভাঁড়ে মা ভবানীর দশা যেখানে, সেখানে এই বাহুল্য কি না দেখালেই নয়? এর আগেও এই অনুদানের ওপর ভিত্তি করে সরকারের বিরোধিতা করেছেন বিরোধী রাজনৈতিক দল সহ বুদ্ধিজীবীদের একাংশ। আর এবারও রাজ্য সরকার ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র কটাক্ষে বিঁধলেন নামজাদা বাংলা পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়।

    কে এই কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়?

    কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় একজন বাঙালি সিনেমা পরিচালক এবং বিজ্ঞাপন নির্মাতা। তাছাড়া তিনি পড়াশোনা সূত্রে একজন চিকিৎসক ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি অন্য পেশায় নিযুক্ত হন। এখনও পর্যন্ত তিনি ৬ টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। তার মধ্যে, ‘চাঁদের পাহাড়’, ‘উড়ো চিঠি’, ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘ককপিট’, ‘আমাজন অভিযান’, ‘ক্ষত’ অন্যতম।

    কী লিখেছেন তিনি এই অনুদানের (Durga Puja 2023) বিরুদ্ধে?

    এই অনুদান দেওয়ার খবর প্রকাশ হতে কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় তাঁর নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “এই ৭০০০০ টাকাতে দুঃস্থ সরকারি স্কুলে কিছু বই বিতরণ করা যেত। সব বড় ক্লাবের পুজোর (Durga Puja 2023) বাজেট লক্ষ বা কোটিতে হয়। আর পুজোর দাদার খাটের নীচেই কয়েকশো কোটি থাকে।’ কারও নাম উল্লেখ না করলেও তিনি কাকে লক্ষ্য করে কথাটি বলেছেন তা আর কারও বুঝতে অসুবিধা হয়নি। এই পোস্টের মাধ্যমে তিনি চরম কটাক্ষ করেছেন সরকার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

    অনুদান নেবে না সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার (Durga Puja 2023)

    মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর যেমন খুশির হাওয়া অনেক পুজো কমিটির মধ্যে, ঠিক অপরদিকে এই বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষের সুর তুলেছেন বিরোধী পক্ষরা। প্রসঙ্গত সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার পুজো কমিটি এই অনুদান (Durga Puja 2023) নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এই ক্লাবের সদস্য হলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে অনেকেরই বক্তব্য এই বিপুল পরিমাণ টাকা অন্য কোন খাতেও খরচ করা যেতেই পারত। অনুদান হিসেবে এত টাকা দেওয়াটাকে যুক্তিহীন ব্যাপার হিসাবেই দেখেছেন অনেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: বিজ্ঞানী ছেলের সঙ্গে কথা বলে আপ্লুত মা, কী বললেন ইসলামপুরের অনুজ নন্দী?

    Chandrayaan 3: বিজ্ঞানী ছেলের সঙ্গে কথা বলে আপ্লুত মা, কী বললেন ইসলামপুরের অনুজ নন্দী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) চাঁদের মাটিতে পা রাখার সাফল্যে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বাসিন্দারা একটু বেশি উচ্ছ্বসিত। কারণ, চন্দ্রযান-৩ এর ক্যামেরার ডিজাইন করেছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের আশ্রমপাড়ার বাসিন্দা বিজ্ঞানী অনুজ নন্দী। অনুজ নন্দীর ক্যামেরার তোলা ছবি দেখল গোটা বিশ্ব। অনুজের এই সাফল্যে গর্বিত গোটা ইসলামপুর তথা জেলাবাসী।

    চন্দ্রযান-৩ চাঁদের মাটিতে পা রাখার পর ছেলের সঙ্গে কী কথা হল মায়ের? (Chandrayaan 3)

    বুধবার চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) চাঁদের মাটিতে পা রাখার আগে কোথাও দেখা গিয়েছে মানুষ প্রার্থণা করছেন, কোথাও বা হয়েছে হোম-যজ্ঞ। আবার কোথাও দেখা গেছে মানুষ টিভির পর্দায় নজর রেখেছেন। তবে, চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্যের সাথে চাঁদে অবতরণ দেখতে সকাল থেকেই টিভির পর্দায় নজর রেখেছিলেন অনুজের পরিবারও। ভারতের এই ঐতিহাসিক সাফল্যকে সরাসরি দেখে এবং এই সাফল্যের পিছনে যারা রয়েছেন তাদের একজন যে তাঁদের পরিবারের ছেলে তা ভেবেই আনন্দাশ্রু গোটা নন্দী পরিবারের চোখে। চন্দ্রযান চাঁদের মাটিতে পা রাখার পর শুধু অনুজের পরিবারই নয়, পাড়া-প্রতিবেশী থেকে শুরু করে গোটা ইসলামপুরবাসীর কাছেই এটা গর্বের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইসরোর বিজ্ঞানী অনুজ নন্দীর মা শোভারানি নন্দী বলেন,’অনেকদিন পর ছেলের সঙ্গে কথা হল। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। সৌজন্য বিনিময়ের পরই চন্দ্রযান-৩ নিয়ে কথা হল। চাঁদের মাটিতে পা রাখল চন্দ্রযান। আর এই সাফল্য তার কথাতে বার বার ফুটে উঠছিল।’

    প্রতিবেশীদের কী বক্তব্য?

    পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসলামপুর হাইস্কুলে পড়াশুনা শেষ করার পর রায়গঞ্জ কলেজে বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক হন অনুজ। এরপরই আর পিছনে তাকাতে হয়নি তাঁকে। বেঙ্গালুরুর ইসরোতে গত আট বছর ধরে কাজ করছেন এই বাঙালি বিজ্ঞানী। সঞ্জয় দত্ত নামে এক প্রতিবেশী  বলেন, ‘এটা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। অনুজ নন্দী একজন সাধারণ ঘরের ছেলে হয়ে আজ এমন একটা জায়গায় পৌঁছেছে, যা কিনা গোটা ইসলামপুর তথা পশ্চিমবঙ্গের নাম গোটা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছে। আমরা খুবই আনন্দিত।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদায় স্কুল ভবনের ছাদে ড্রাগন ফ্রুটের বাগান তৈরি করে বিশেষ নজির গড়ল পড়ুয়ারা

    Malda: মালদায় স্কুল ভবনের ছাদে ড্রাগন ফ্রুটের বাগান তৈরি করে বিশেষ নজির গড়ল পড়ুয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলে ড্রাগন ফ্রুটের চাষ করে সেই ফল খাচ্ছে স্কুলের খুদেরাই। নিজেদের হাতে চাষ করে ফসল ফলানোর অনুভূতি পেয়ে খুশি প্রত্যেকে। স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি ফাঁকা সময়ে নিয়মিত গাছের পরিচর্যা করে যাচ্ছে তারা। পড়ুয়াদের সাহায্য করছেন স্কুলের শিক্ষকঁরশিক্ষিকারা। ড্রাগন চাষের পদ্ধতি থেকে পরিচর্যার সমস্ত কিছু শিক্ষ-শিক্ষিকারাই পড়ুয়াদের শেখাচ্ছেন। এতে একদিকে খুদে স্কুল পড়ুয়ারা ড্রাগন ফ্রুটের চাষের পদ্ধতি শিখতে পারছে, পাশাপাশি তারা বাড়িতে গিয়েও এই চাষ করতে পারবে। মালদার (Malda) ইংরেজবাজার ব্লকের শোভানগর হাইস্কুলের পড়ুয়ারা স্কুল ভবনের ছাদে ড্রাগন ফ্রুটের বাগান তৈরি করে বিশেষ নজির তৈরি করেছে।

    ড্রাগন ফ্রুটের বাগান নিয়ে পড়ুয়াদের কী বক্তব্য? (Malda)

    মালদার (Malda) ইংরেজবাজার ব্লকের শোভানগর গ্রামে রয়েছে এই হাই স্কুল। এই স্কুলের পরিবেশ আর পাঁচটা স্কুলের থেকে একটু অন্যরকম। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য পার্শ্ব শিক্ষকদের সহযোগিতায় স্কুল ক্যাম্পাস এক অন্য মাত্রা পেয়েছে। এবার স্কুলের খুদে পড়ুয়াদের ফল চাষের প্রশিক্ষণ দিয়ে নজির সৃষ্টি করা হয়েছে। পড়ুয়াদের হাতে বেশ কিছু ড্রাগন ফলের গাছ লাগানো হয়েছিল স্কুল ভবনের ছাদে। নিয়মিত সেই ড্রাগন চারাগুলির পরিচর্যা করে এসেছে পড়ুয়ারা। প্রায় দেড় বছর ধরে গাছের পরিচর্যা করার পর এই মরশুমে ফল এসেছে গাছে। ফল আসতেই ব্যাপক উদ্দীপনা পড়ুয়াদের মধ্যে। পড়ুয়াদের বক্তব্য, নিজের হাতে আমরা ড্রাগন ফলের বাগান তৈরি করেছি। আর সেই ফল খেতে পেয়ে প্রত্যেকেই আমরা খুশি। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ড্রাগন ফ্রুট চাষ করার জন্য উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের। তাই, স্কুল কর্তৃপক্ষ এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ড্রাগন ফল চাষে আগ্রহ বাড়াতে এমন পরিকল্পনা নিয়েছিল। স্কুলের পড়ুয়ারা এই ড্রাগন বাগান তৈরি করলে আশেপাশের বাসিন্দারাও তা জানতে পারবেন। এমনকী পড়ুয়ারা গাছের চারা লাগানো থেকে শুরু করে পরিচর্যা সমস্ত কিছু শিখে পরিবারের লোকেদেরও শেখাতে পারবে। সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই স্কুলের এমন উদ্যোগ। তা ইতিমধ্যে সাফল্য লাভ করেছে। দেড় বছরের মধ্যে ড্রাগন ফ্রুট পাওয়ার কারণে একদিকে যেমন ছাত্র-ছাত্রীরা খুশি, পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যেও উৎসাহ তৈরি হয়েছে, এই ফলের চাষ নিয়ে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JU Student Death: যাদবপুরে হস্টেলের টবে চলতো গাঁজা চাষ, চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে

    JU Student Death: যাদবপুরে হস্টেলের টবে চলতো গাঁজা চাষ, চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের টবে চলত গাঁজা চাষ। চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল পুলিশের তদন্তে (JU Student Death)। গত ৯ অগাস্ট র‌্যাগিং-এর শিকার হয়ে তিনতলা থেকে পড়ে যান প্রথম বর্ষের বাংলা অনার্সের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুণ্ডু। পরের দিন ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়। স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে তোলপাড় হয় গোটা রাজ্য। বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরের আইন-শৃঙ্খলা সমেত একাধিক বিষয় নিয়ে। যাদবপুরকাণ্ডে (JU Student Death) গ্রেফতার করা হয়েছে ১৩ জনকে। এর মধ্যেই গাঁজা চাষের প্রমাণ পেল পুলিশ।

    কীভাবে পুলিশ এই গাঁজা চাষের প্রমাণ পেল?

    স্বপ্নদীপের মৃত্যু (JU Student Death) রহস্যের উদঘাটন করতে চলছে ফরেনসিক তদন্ত। এই তদন্তের অঙ্গ হিসেবে গ্রেফতার হওয়া ছাত্রদের ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সেই ফরেনসিক পরীক্ষাতেই একটি ফোনে মিলেছে ছবি। যেখানে দেখা যাচ্ছে টবে গাঁজা চাষ হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯ অগাস্ট রাতে ওই ঘটনার পরে কোনও ছবি, ভিডিও বা চ্যাট মুছে ফেলেছে কিনা সেটাই খতিয়ে দেখা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মেন হস্টেলের এ-২ ব্লকের বারান্দার টবে এই গাঁজা চাষ হতো। দুর্ঘটনার রাতের পরে তার সব কিছু সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে সৌরভ চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ যেন ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। স্বপ্নদীপ কুণ্ডু (JU Student Death) তিনতলার বারান্দা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার পরেই হস্টেলের একটি গ্রুপে সৌরভ সম্পর্কে নির্দিষ্ট কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র মারফত।

    বুধবার ১৪ জনকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ

    বুধবার মোট ১৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে যাদবপুর থানায় ডেকে। যাঁদের মধ্যে ৪ জন মেস সদস্য। তৃতীয় বর্ষের তিন পড়ুয়া এবং হস্টেলের ক্যান্টিনের সাতজন কর্মী ছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হস্টেলের রাঁধুনিকে ডেকে যখন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তখন তিনিও তাঁর বয়ানের র‌্যাগিংয়ের কথা উল্লেখ করেছেন। অন্যদিকে যাদবপুরে র‌্যাগিং-এর প্রমাণ পেয়েছে মানবাধিকার কমিশনও। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হতে হয় ছাত্রমৃত্যুর (JU Student Death) ঘটনায় নাম থাকা অরিত্র মজুমদারকে। তাঁর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তিনি বলেন, ঘটনার পরের দিন ১০ অগাস্ট তিনি কাশ্মীরের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। কিন্তু ১১ অগাস্ট তাঁর অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টারে সই দেখা যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে অরিত্রর জবাব, তিনি ভুল করে ওই সই করে ফেলেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মিজোরামে রেল সেতু ভেঙে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মৃত্যুর তালিকায় মালদার কতজন?

    Malda: মিজোরামে রেল সেতু ভেঙে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মৃত্যুর তালিকায় মালদার কতজন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিজোরামে নির্মীয়মাণ রেল সেতু ভেঙে মৃত্যু হল মালদার (Malda) ২৩ জন শ্রমিকের। মালদা জেলা প্রশাসন সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বুধবার রাত ৮টা পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ওই দুর্ঘটনায় মালদার পুকুরিয়া থানার বিভিন্ন এলাকার ১৬ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও মৃত শ্রমিকদের মধ্যে রয়েছেন ইংরেজবাজার থানার পাঁচজন, মোথাবাড়ি ও গাজোল থানার একজন করে শ্রমিক। ঘটনার পরপরই মৃত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে মালদা জেলা প্রশাসন।

    কী বললেন জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক? (Malda)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রের খবর, মিজোরাম সরকারের তরফে মালদা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে করা হয়েছে মিজোরাম সরকারের তরফে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদা (Malda) জেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মৃত শ্রমিকদের দেহ বাড়িতে ফিরিয়ে আনার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতি শুরু করেছে মালদা জেলা প্রশাসন। বুধবার মৃত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মালদার অতিরিক্ত জেলাশাসক বৈভব চৌধুরী। তিনি বলেন, যে সব দেহ চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলি নিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। মৃত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, মিজোরামের কুরুং নদীর ওপর একটি রেল সেতু তৈরির কাজ করছিল ভারতীয় রেল। সেখানে নিযুক্ত বহু শ্রমিকই মালদা জেলার বাসিন্দা ছিলেন। বুধবার ওই সেতু ভেঙে পড়ায় বহু শ্রমিকের মৃত্যু হয়। গোটা ঘটনায় রেলের তরফে যেরকম বিভাগীয় তদন্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তেমনই মিজোরাম সরকারের তরফেও তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃতের পরিবারগুলিকে সমবেদনা জানিয়েছেন মিজোরাম সরকার। অন্যদিকে, জেলা প্রশাসন ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফেও মৃতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে মৃত শ্রমিকদের পরিবারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri By Election: ‘সব কাজ তৃণমূল করবে, আর ভোট পাবে বিজেপি,’ ধূপগুড়িতে কেন বললেন গৌতম দেব?

    Dhupguri By Election: ‘সব কাজ তৃণমূল করবে, আর ভোট পাবে বিজেপি,’ ধূপগুড়িতে কেন বললেন গৌতম দেব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পাবে বিজেপি, আর কাজ করবে তৃণমূল! বুধবার জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে ভোট (Dhupguri By Election) প্রচারে এসে এমন মন্তব্যই করলেন শিলিগুড়ির তৃণমূলের মেয়র গৌতম দেব। পাশাপাশি ভোটারদের প্রশ্নের মুখে মেজাজ হারালেন তিনি। ধূপগুড়ি বিধানসভা উপ নির্বাচনের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। প্রচারে এসে অনুন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন করতেই তাঁর এই আচরণে সাধারণ মানুষ রীতিমতো ক্ষুব্ধ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dhupguri By Election)

    বুধবার সকালে তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা গৌতম দেব ধূপগুড়ি পুর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে ভোটের (Dhupguri By Election) প্রচার করছিলেন। সেখানেই এক ভোটার গৌতম দেবকে সামনে পেয়ে একাধিক প্রশ্ন তুললেন। জলকাদায় ভরে গিয়েছে রাস্তা, পানীয় জলের পাইপ রাস্তার ওপর দিয়ে গিয়েছে, এইরকম একাধিক অনুন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ওই ভোটার। তিনি মেয়রকে বলেন, ফি বছর বর্ষায় আমাদের জলবন্দি অবস্থায় থাকতে হয়। নিকাশি ব্যবস্থা এমনই খারাপ যে, চলাফেরা করার জন্য একেবারে অযোগ্য হয়ে উঠেছে। প্রথম থেকেই ওই এলাকায় কোনও রকম উন্নয়ন হয়নি। আর এতেই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন গৌতমবাবু। তিনি সেই ভোটারকে পাল্টা জানান, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার, বিধায়ক বিজেপির, সাংসদও বিজেপির। কাজেই এই অনুন্নয়নের জন্য দায়ী বিজেপি। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ধূপগুড়ির জন্য কী কী করেছেন সেই খতিয়ান তুলে ধরেন তিনি। এরপর তিনি বলেন, সব কাজ তৃণমূল করবে, আর ভোট পাবে বিজেপি, এটা হতে পারে না। এরপর পাশ থেকে এক দলীয় কর্মী বলেন, এবার উপ নির্বাচনে লিডের ব্যবস্থা করুন, উন্নয়ন হয়ে যাবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির বিদায়ী কাউন্সিলার কৃষ্ণদেব রায় বলেন, ধূপগুড়ি পুর এলাকার একাধিক ওয়ার্ডে রাস্তার বেহাল অবস্থা। সব থেকে বেশি সমস্যা বিজেপির জেতা ওয়ার্ডগুলিতে। তৃণমূল পরিচালিত বোর্ড বিজেপির জেতা ওয়ার্ডগুলির সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে। এলাকার কী অবস্থা, তা গৌতম দেব নিজে এসে ঘুরে দেখে গিয়েছেন। তবে, ভোটের প্রচারে এসে তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতা এইভাবে সাধারণ মানুষের প্রশ্নের মুখোমুখি হবেন, সেটা হয়তো ভাবতেই পারেননি তিনি। আর এই ঘটনায়  কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল। যদিও ধূপগুড়ি পুর এলাকা থেকে বিধানসভা উপ নির্বাচনে (Dhupguri By Election) তৃণমূল কংগ্রেস অনেকটাই এগিয়ে থাকবে বলে আশাবাদী দলীয় নেতৃত্ব। তবে ধূপগুড়ি পুর এলাকায় সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠছেই। এবারের উপ নির্বাচনে কিছুটা হলেও শাসক-বিরোধী হাওয়া রয়েছে পুর এলাকায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: চন্দ্রযান ৩ অবতরণে মাহেন্দ্রক্ষণের প্রহর গুনছে বাঙালি গবেষকের পরিবার

    North 24 Parganas: চন্দ্রযান ৩ অবতরণে মাহেন্দ্রক্ষণের প্রহর গুনছে বাঙালি গবেষকের পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছেলে ইসরোর বাঙালি গবেষক। বাবা-মা তাই গর্বিত। সফল ভাবে চাঁদে পা রাখুক চন্দ্রযান ৩। অবতরণের শুভ মুহূর্তের প্রহর গুনছে এই বাঙালি গবেষকের পরিবার। উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের নৈহাটি এলাকায় ইসরো বাঙালি গবেষক মানস সরকারের বাড়ি।

    চন্দ্রযান ৩ অবতরণে বাঙালি গবেষক

    বাঙালি গবেষক মানস সরকার ২০০৬ সাল থেকে ইসরোতে গবেষণার কাজে নিযুক্ত হন। ২০১৯ সালে চন্দ্রযান ২ সফলভাবে উৎক্ষেপণ হলেও শেষ মুহূর্তে চাঁদের মাটি ছুঁতে পারেনি। সেই দিনের ঘটনা আজও ভুলতে পারেনি বাঙালি গবেষকের পরিবার। বাবা শচীন্দ্রনাথ সরকার, মা রঞ্জিতা সরকার সে কথা আজও বলেন। তাই সফল অবতরণের আশায় প্রহর গুনছেন সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা। তাঁদের কাছে যেমন আবেগ, অন্যদিকে একটু ভয়ও কাজ করছে। শেষ মুহূর্তে চাঁদে পা রাখার ব্যাপারে ছেলের সাফল্য কামনা করছেন তাঁরা। একদিকে টিভির পর্দায় চোখ রেখেছেন, অন্যদিকে প্রার্থনা করছেন যাতে গোটা ভারতবর্ষের কাছে এই সাফল্য তুলে দেওয়া যায়। সব মিলিয়ে বাঙালি গবেষকের পরিবার তাকিয়ে রয়েছে শুধু সময়ের দিকে।

    পরিবারের বক্তব্য

    চন্দ্রযান ৩ -এ রয়েছে ছেলের মেধা-পরিশ্রম। মা রঞ্জিতা দেবী জানান, বসিরহাট গাছা আঁখারপুর ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তের কলাপোতা গ্রামে ছিল তাঁদের পরিবারের আদি বাড়ি। ছোটবেলা থেকে ইসরোর গবেষক মানসের সেখানেই বেড়ে ওঠা। সীমান্তের ইডিন্ডা ইউনিয়ন হাইস্কুল থেকে পড়াশোনার পর যাদবপুর, রাজাবাজার এবং হলদিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পাঠ শেষের পর প্রফেসর হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন মানস। মেধাবী এই বাঙালি বিজ্ঞানী গোল্ড মেডেলও পেয়েছেন রাজ্যপালের কাছ থেকে। ২০০৬ সালের আগেই হলদিয়ায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে প্রফেসর হিসেবে নিযুক্ত হন মানস। সেই সময় অ্যামেরিকা থেকে ডাক পেলেও, তিনি দেশের হয়ে কাজ করবেন বলে, সেই অনুরোধ ফিরিয়ে দেন। এরপরই ২০০৬ সালে ইসরো গবেষণা কেন্দ্রে কারিগরি বিভাগে নিযুক্ত হন বসিরহাটের মানস। আজ চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্য কামনার সঙ্গে সঙ্গে ছেলের জন্য গর্ব অনুভব করছে গোটা সরকার পরিবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jute: অবাক কাণ্ড, পাটের পাতা থেকেও তৈরি হচ্ছে চা! এই চা খেলে কোন কোন রোগ থেকে মুক্তি?

    Jute: অবাক কাণ্ড, পাটের পাতা থেকেও তৈরি হচ্ছে চা! এই চা খেলে কোন কোন রোগ থেকে মুক্তি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কবি সুকুমার রায় লিখেছিলেন, নিম গাছেতে হচ্ছে শিম, কাকের বাসায় বগের ডিম। এবার সেরকমই এক অনন্য গবেষণায় সাড়া মিলেছে ভারতীয় কৃষি গবেষণাগারে। এবার পাট (Jute) গাছ থেকে হবে চা। এও কি সম্ভব! হ্যাঁ, সম্ভব। আর তাই করে দেখিয়েছে কলকাতার একটি কৃষি গবেষণাগার।

    কীভাবে হচ্ছে পাট (Jute) থেকে চা?

    পাট (Jute) শাক তো অনেক খেয়েছেন, এবার বাংলার মাটিতে পাট পাতা থেকেই তৈরি হচ্ছে চা। কলকাতার গবেষণাগারে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা আইসিএআর-নিনফেট কৃষি নিয়ে গবেষণা করে। এই সংস্থার টালিগঞ্জের গবেষণা কেন্দ্রে তৈরি হচ্ছে এই বিশেষ পানীয় অর্থাৎ পাট থেকে চা। পাটের জমি থেকে পাতা তুলে সেটাকে প্রথমে জীবাণুমুক্ত করা হয়। এরপরই বিশেষ তাপমাত্রায় সেই পাট পাতা শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয়। নির্দিষ্ট সময় পরে সেই শুকনো পাটপাতা গুঁড়ো করে রাখা হয় টি ব্যাগে। এই টি ব্যাগ গরম জলে দিলেই চা রেডি।

    কী বললেন আইসিএআর-নিনফেট-এর মুখ্য বিজ্ঞানী?

    আইসিএআর-নিনফেটের মুখ্য বিজ্ঞানী দেবপ্রসাদ রায় বলেন, আমাদের এই গবেষণা সংস্থা থেকে তৈরি এই চা-এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘জুট লিভ টি’। এই চায়ে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যার ফলে ক্যান্সারজনিত রোগ এবং সুগার রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, বার্ধক্যজনিত রোগ সহ বিভিন্ন রোগ থেকে অনেকটাই নিস্তার মিলবে সাধারণ মানুষের। শান্তিপুরে কৃষক বন্ধুদের নিয়ে একটি বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করে গবেষণা সংস্থা আইসিএআর-নিনফেট। কৃষক বন্ধুদের একটি কর্মশালার মাধ্যমে কীভাবে পাট (Jute) গাছ থেকে চা হবে এবং তার ফলে কীভাবে তাঁরা বাজারে সেটিকে বিক্রয় করতে পারবেন এবং লাভের মুখ দেখবেন, তারও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। একটি বিশেষ ওষুধ যা জলের সঙ্গে মিশিয়ে পাট জাক দেওয়ার জায়গায় দিয়ে দিলে অতি দ্রুত পাট গাছ থেকে পাট সংগ্রহ করতে পারবেন চাষিরা। এই বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তবে, পাট গাছ থেকে চা হলে সেটা বাজারে বিক্রি হলে অনেকটাই লাভবান হবেন কৃষকরা। আগের মতো পাট হয়ে উঠবে অর্থকরী ফসল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jhargram: ঝাড়গ্রামের সুমন্ত কীভাবে কিনেছিলেন চাঁদের জমি! এখানেই কি নামবে চন্দ্রযান ৩?

    Jhargram: ঝাড়গ্রামের সুমন্ত কীভাবে কিনেছিলেন চাঁদের জমি! এখানেই কি নামবে চন্দ্রযান ৩?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিবাহ বার্ষিকীতে স্ত্রীকে উপহার দিতে চাঁদে জমি কিনে দিয়েছিলেন ঝাড়গ্রামের (Jhargram) যুবক সুমন্ত মুর্মু। ঘটনা ২০২১ সালের ২ জুলাইয়ের। মাত্র ৩ হাজার ২৪০ টাকা দিয়ে একটি বিদেশি ওয়েবসাইট থেকে তিনি চাঁদে জমি কিনেছিলেন। এজন্য তিনি পেয়েছিলেন শংসাপত্রও। বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদে অবতরণ করতে চলেছে ভারতের চন্দ্রযান ৩। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামবে চন্দ্রযান ৩। তাহলে কি সুমন্তর জমিতে নামবে চন্দ্রযান ৩! শুরু হয়েছে জল্পনা। সুমন্ত রয়েছেন সেই আশায়। সুমন্ত বলছেন, আজ ভারেতর একটি ঐতিহাসিক দিন। চন্দ্রযান ৩ সফল হলে ভারতের মুখ বিশ্বের কাছে উজ্জ্বল হবে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে উত্তর-পূর্ব অংশে তাঁর জমি রয়েছে বলে জানান সুমন্ত। যদি সেখানে চন্দ্রযান নামে, তাহলে তো আনন্দ বলে প্রকাশ করা যাবে না।

    চাঁদে জমি কিনে উপহার (Jhargram)

    ২০২১ সালে ২ জুলাই সুমন্তের (Jhargram) প্রথম বিবাহ বার্ষিকী ছিল। তার আগের দিন, স্ত্রী মার্থাকে চাঁদে কেনা জমির দলিল উপহার দিয়েছেন সুমন্ত। আকাশের চাঁদ হাতে পেয়ে রীতিমতো আপ্লুত। মার্থা জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের জীবদ্দশায় চাঁদে থাকার সুযোগ হবে না। তবে এই দলিলের ভিত্তিতে আমাদের ভবিষ্যৎ কোনও এক প্রজন্ম হয়তো চাঁদে থাকবে, এটা ভেবেই রোমাঞ্চিত হচ্ছি। সুমন্তের এমন উপহার কোটি টাকার চেয়েও দামি।” বিদ্যুৎ দফতরের ঝাড়গ্রাম সাব স্টেশনের কর্মী সুমন্ত, একটি মার্কিন সংস্থার কাছ থেকে অনলাইনে চাঁদে জমি কিনেছেন ৪৫ ডলারে (ভারতীয় মুদ্রায় ৩২৪০ টাকা)। ডাকযোগে জমির দলিলও পেয়ে গিয়েছেন তিনি।

    চাঁদের জমি বিক্রি হচ্ছে কীভাবে খোঁজ পেলেন?

    ২০২০ সালে কলকাতার দমদমের বাসিন্দা মার্থা টুডুকে বিয়ে করেছেন সুমন্ত। সেই বিয়ের বর্ষপূর্তিতে স্ত্রীকে ব্যতিক্রমী উপহার দেবেন বলে ঠিক করেছিলেন। সুমন্ত (Jhargram) জানান, ছোটবেলা থেকেই চাঁদের প্রতি আগ্রহ ছিল। হঠাৎই ইন্টারনেট ঘাঁটতে গিয়ে চাঁদে জমি কেনা যায় বলে জানতে পারি। ক্রেতাদের তালিকায় রোনাল্ড রেগন, জর্জ বুশের মত অ্যামেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টরাও রয়েছে। তাঁদের নাম দেখেই যোগাযোগ করেন সুমন্ত। অ্যামেরিকার ওই সংস্থাটি প্রকৃতই চাঁদের জমির মালিকানা নিয়ে এ পর্যন্ত ৬০ লক্ষ ক্রেতাকে ৬১ কোটি একর জমি বিক্রি করেছে। আন্তর্জাতিক মানের কয়েকটি হোটেল কর্তৃপক্ষও চাঁদে জমি কিনেছে। তাই সব দিক খতিয়ে দেখে নিশ্চিত হয়ে জমি কেনেন সুমন্ত।

    কোন সংস্থা থেকে কিনলেন চাঁদের জমি

    সুমন্ত (Jhargram) জানান, ডেনিস হোপের মালিকানাধীন আমেরিকার ‘লুনার এমব্যাসিনামের সংস্থাটি চাঁদের জমি বিক্রি করে। রাষ্ট্রপুঞ্জের আনা একটি প্রস্তাবের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্বের কোনও দেশ বা কোনও দেশের সরকার সৌরজগতের কোনও মহাজাগতিক বস্তুর উপর নিজেদের অধিকার, মালিকানা বা আইনি স্বত্ব দাবি করতে পারবে না। আটের দশকের একেবারে গোড়ার চাঁদের জমি এবং খনিজ সম্পদের মালিকানা দাবি করে রাষ্ট্রপুঞ্জকে চিঠি লেখেন হোপ। রাষ্ট্রপুঞ্জের মৌনতাকে সম্মতি ধরে নিয়েই চাঁদের জমি বিক্রি করতে শুরু করেন হোপ। তৈরি করেন ‘গ্যালাকটিক ইনডিপেন্ডেন্ট গভর্নমেন্ট। হোপ নিজে সেই সরকারের প্রেসিডেন্ট। ২০০৯ সালে হোপের গ্যালাকটিক গভর্নমেন্ট আমেরিকার সরকারের মান্যতাও পায়। খোদ হিলারি ক্লিন্টন সই করেছিলেন গ্যালাটিক ইনডিপেন্ডেন্ট সরকারের স্বীকৃতিপত্রে। অ্যামেরিকার পূর্ব উপকূলে নেভাদায় লুনার এমব্যাসির মূল কার্যালয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share