Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • JU Student Death: যাদবপুরের দ্বিতীয় জবাবেও সন্তুষ্ট নয় ইউজিসি! ফের চাওয়া হবে ব্যাখ্যা

    JU Student Death: যাদবপুরের দ্বিতীয় জবাবেও সন্তুষ্ট নয় ইউজিসি! ফের চাওয়া হবে ব্যাখ্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: র‌্যাগিং (JU Student Death) নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে ফের ব্যাখ্যা তলব করবে ইউজিসি। এই নিয়ে টানা তিনবার ব্যাখ্যা চাইবে তারা। এর আগে ইউজিসির বারোটি প্রশ্নের জবাব দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুও জানিয়েছিলেন যে ৩১ টি ফাইলে সেই জবাব পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই জবাবে সন্তুষ্ট নয় ইউজিসি।

    কী বলছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান?

    কিন্তু সোমবার ইউজিসি চেয়ারম্যান এম জগদেশ কুমার একটি সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, দ্বিতীয় দফার জবাবেও সন্তুষ্ট নয় তারা এবং এ নিয়ে ফের চিঠি লিখতে চলেছে ইউজিসি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তৃতীয় প্রশ্নমালা পাঠাতে চলেছে ইউজিসি। গত শুক্রবারে ১২টি প্রশ্নের জবাব তলব করেছিল ইউজিসি। সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল ২৪ ঘণ্টা। জবাবের ৪৮ ঘণ্টা পরে ইউজিসি সাফ জানিয়ে দিল, তারা সন্তুষ্ট নয়। সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউজিসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘র‌্যাগিং একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পড়ুয়াদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতেই হবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে(JU Student Death)। এ ব্যাপারে ইউজিসির সমস্ত বিধি অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। খুব শীঘ্রই আবার ইউজিসির চিঠি যাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে। তাতে আরও ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তারও বিশদ জানতে চাওয়া হবে।’’ 

    ডিন অফ স্টুডেন্টসকে তলব মানবাধিকার কমিশনের

    অন্যদিকে যাদবপুরের ডিন রজত রায়কে সোমবার বেলা বারোটা নাগাদ তলব করে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন (JU Student Death)। জানা গিয়েছে, এ সংক্রান্ত নোটিশ ১৪ অগাস্ট রাজ্য সরকার এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে পাঠিয়েছিল মানবাধিকার কমিশন। কমিশনের বক্তব্য, ‘‘বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টে যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে ঘটনার আগে ডিনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মৃত ছাত্রের সহ-আবাসিকরা। তারপরেও কিভাবে ওই ছাত্রের মৃত্যু ঘটলো?’’ শুধু তাই নয় কর্তৃপক্ষের কর্তব্যে গাফিলতির কথা লেখা হয়েছে নোটিশে। এও লেখা হয়েছে সংবাদমাধ্যমে রিপোর্ট সত্যি হলে মানবাধিকার লঙ্ঘিত (JU Student Death) হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবারই লালবাজারে তলব করা হয় ডিনকে। সে সময় তিনি জানিয়েছিলেন, ঘটনার রাত দশটা পাঁচ মিনিট নাগাদ এক ছাত্র তাকে ফোনে জানান হোস্টেলের এক ছাত্রকে নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। তিনি তখন সুপারকে বিষয়টি দেখতে বলেছিলেন। জানা গিয়েছে, তারপরে সুপার আদৌ খোঁজ নিয়েছেন কিনা, সেই খবর নেননি ডিন। পরে রাত বারোটা নাগাদ সুপার ফোনে জানান, এক ছাত্র রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tea Garden: চোপড়ায় চা বাগানে গুলিবিদ্ধ ১৩ জন শ্রমিক, অভিযুক্ত তৃণমূল মদতপুষ্ট মালিকপক্ষ

    Tea Garden: চোপড়ায় চা বাগানে গুলিবিদ্ধ ১৩ জন শ্রমিক, অভিযুক্ত তৃণমূল মদতপুষ্ট মালিকপক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চা বাগান (Tea Garden) দখলকে কেন্দ্র করে মালিকপক্ষ ও আদিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। সংঘর্ষের জেরে ছড়রা গুলি চালানোর অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হন প্রায় ১৩ জন চা শ্রমিক। গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল মদতপুষ্ট চা বাগানের মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ার হাপতিয়াগছ গ্রাম পঞ্চায়েতের আমবাড়ি এলাকার পিয়ারেলাল চা বাগানে। আহতদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Tea Garden)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পিয়ারেলাল চা বাগানের (Tea Garden) আগের মালিক বাগানটি স্থানীয় কিছু লোকেদের কাছে বিক্রি করে দেন। নতিন চা বাগানের মালিক পক্ষ তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠ। আর শাসক দলের নেতাদের মাথায় হাত থাকায় তারা শ্রমিকদের উপর জুলুমবাজি করছে বলে অভিযোগ। দীর্ঘদিন ধরেই কর্মরত শ্রমিকরা ওই বাগানের পাশেই অস্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। আর তৃণমূল মদতপুষ্ট বাগানের নতুন মালিক পক্ষ ও শ্রমিকদের মধ্যে বাগান দখলকে কেন্দ্র করে ঝামেলা চলছে। এ নিয়ে একাধিকবার আন্দোলনেও নামে আদিবাসীরা। সোমবার সেই বাগান দখল করতে গেলে নতুন মালিকপক্ষ ও আদিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এই সংঘর্ষে ছড়রা গুলি চালানোর অভিযোগ মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে। বেশ কয়েকজন ছড়রা গুলিতে আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে চোপড়ার দলুয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। আহতদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    কী বললেন আদিবাসী জমি রক্ষা কমিটির নেতা?

    আদিবাসী জমি রক্ষা কমিটির নেতা রহিদা ওরাও বলেন, পুলিশের সামনেই মালিকপক্ষের লোকজন আমাদের ওপরে গুলি চালায়। পুলিশ কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। আমাদের ১৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় গোটা এলাকা জুড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় চোপড়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনায় অভিযুক্ত ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tarapith: তারাপীঠ মন্দির থেকে সরানো হল তারা মায়ের বিগ্রহ, কেন জানেন?

    Tarapith: তারাপীঠ মন্দির থেকে সরানো হল তারা মায়ের বিগ্রহ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তারাপীঠের (Tarapith) মন্দিরে গেলে এবার দর্শন মিলবে না মা তারার। কিন্তু, কোথায় গেলেন তিনি? তারাপীঠের মা তারার মাহাত্ম্য ছড়িয়ে রয়েছে দেশে ও বিদেশে। প্রতিদিনই ভক্তদের সমাগমে গম গম করে মন্দির চত্বর। নিত্য পুজোপাঠ তো হয়েই থাকে, তাছাড়াও শনি-মঙ্গলবার এবং বিশেষ দিনগুলিতে বিশেষ পুজো অর্চনা হয়ে থাকে এখানে। কথিত আছে মা কাউকে খালি হাতে ফেরান না। তারাপীঠের মন্দিরে সারা বছরই জনসমাগম হয়। তবে এবার মন্দিরে গেলে দেখা পাওয়া যাবে না তারা মায়ের।

    কেন মন্দিরে দেখা মিলবে না তারা মায়ের? (Tarapith)

    জানা গিয়েছে, মন্দিরের গর্ভগৃহের সংস্কারের কারণেই স্থানান্তরিত করা হল তারাপীঠের (Tarapith) তারা মায়ের মূর্তি। তারাপীঠের ভৈরবের মন্দিরে স্থানান্তরিত করা হল তারা মায়ের মূর্তি। আগামী এক সপ্তাহ ধরে সেখানেই ভৈরবের মূর্তির পাশে বিরাজ করবেন মা। মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, গর্ভগৃহ ও বেদি সংস্কারের পাশাপাশি মন্দিরে রংও করা হবে। ফলে স্থানান্তরিত করা হল তারা মায়ের মূর্তি। তাই এবার গর্ভগৃহ ও বেদি সংস্কার করা হচ্ছে। শিব মন্দির যেহেতু একটু ছোট, তাই গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে সমস্যা হবে। তাই বাইরে থেকেই দর্শনার্থীরা মা তারার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে পারবেন, আশীর্বাদ গ্রহণ করতেও পারবেন।

    কী বললেন মন্দির কমিটির সভাপতি?

    তারপীঠ (Tarapith) মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, প্রায় পাঁচ বছর ধরে মা তারার মন্দিরের কোনওকম সংস্কার হয়নি। করোনার সময় সংস্কারের কাজও করা যায়নি। হাজারে হাজারে ভক্ত প্রতিদিন মন্দিরে আসেন। সেই জন্য মা তারার গর্ভগৃহ বন্ধ করে মন্দির সংস্কার করা কোনওভাবেই সম্ভব হয়ে উঠছিল না। কিন্তু সম্প্রতি রেলের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেখানে বেশ কিছু ট্রেন বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়েছে। যেহেতু অধিকাংশ ভক্ত ট্রেনে যাতায়াত করেন, তাই এই সময় তাঁরা আসতে পারবেন না। সেই কারণে জরুরি ভিত্তিতে এই সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিন এই সংস্কারের কাজ চলবে। গর্ভগৃহে মার্বেল বসানোর পাশাপাশি মন্দির রং করা ও সংস্কারের কাজ করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: এক ব্যক্তির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ এলাকা, জুয়ার বোর্ড ভেঙে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ

    Nadia: এক ব্যক্তির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ এলাকা, জুয়ার বোর্ড ভেঙে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাদ থেকে পড়ে এক ব্যক্তির রহস্যজনক ভাবে মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল এলাকা। জুয়ার বোর্ড ভাঙচুর করা হয়। আগুন জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করেন এলাকাবাসী। পরিবারের দাবি, ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালি থানার বগুলা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম কৃষ্ণপদ মণ্ডল। তাঁর বাড়ি হাঁসখালি থানার মুরাগাছা এলাকায়।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Nadia)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার (Nadia) বগুলা এলাকায় কার্তিক নামে এক দুষ্কৃতী নিয়মিত জুয়ার বোর্ড চালায়। অভিযোগ, রবিবার রাতে কৃষ্ণপদ নামে ওই ব্যক্তিকে ডেকে নিয়ে যায় কার্তিক। গভীর রাতে পুলিশের তরফ থেকে খবর দেওয়া হয়, কৃষ্ণপদ মণ্ডল দুর্ঘটনায় জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি সেখানে গিয়ে জানতে পারে তাঁর মৃত্যু ঘটেছে। প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয় পুলিশের ভয়ে পালাতে গিয়ে সে ছাদ থেকে পড়ে মারা গিয়েছে। পুলিশের দাবি মানতে নারাজ পরিবারের লোকজন। তাঁদের দাবি, রবিবার রাতে জুয়া খেলার সময় তাকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে খুন করা হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে সোমবার কৃষ্ণনগর-বগুলা রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন এলাকাবাসী। তাঁদের অভিযোগ, বগুলা এলাকায় পুলিশের মদতে একাধিক জুয়ার বোর্ড চলে। পুলিশ টাকা নিয়ে চুপ করে থাকে।

    কী বললেন মৃতের পরিবারের লোকজন?

    এ বিষয়ে মৃত কৃষ্ণপদ মণ্ডলের জামাই তন্ময় রায় বলেন, পুলিশ টাকা নিয়ে এই জুয়ার বোর্ড চালাতে মদত দিচ্ছে। আমার শ্বশুরকে খুন করা হয়েছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয় ততক্ষণ এই আন্দোলন চলবে। পাশাপাশি পুলিশকে উদ্যোগ নিয়ে জুয়ার বোর্ডগুলি বন্ধ করতে হবে। যদিও পরবর্তীকালে পুলিশের আশ্বাস পেয়ে অবরোধ তুলে নেন এলাকাবাসী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shantiniketan: আমেরিকার চাকরি ছেড়ে শান্তিনিকেতনে চাষবাসে মেতেছেন দম্পতি, কেন জানেন?

    Shantiniketan: আমেরিকার চাকরি ছেড়ে শান্তিনিকেতনে চাষবাসে মেতেছেন দম্পতি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার বহুজাতিক সংস্থায় চাকরি, বিলাসবহুল জীবন-যাপন ছেড়ে মাটির টানে প্রাকৃতিক চাষে নিজেদের নিয়োজিত করেছেন এক দম্পতি। শুধু নিজেরা চাষ করেন এমন নয়, প্রাকৃতিক চাষ নিয়ে প্রশিক্ষণও দেন তাঁরা। তাঁদের গবেষণার বিষয়ও বেশ সুন্দর। প্রাকৃতিক চাষে ফলন কতটা নির্ভেজাল হয়, পাশাপাশি ভারতের মতো কৃষিপ্রধান দেশে কেন মহিলা চাষির সংখ্যা কম-এই দুটি বিষয়ের উপর তাঁরা নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। শান্তিনিকেতনের (Shantiniketan) অদূরে রূপপুর গ্রামে তাঁদের দোতলা মাটির বাড়ি, চাষের জমি। পুকুর পাড়ে প্রশিক্ষণ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত সহ বিদেশ থেকেও আগ্রহী পড়ুয়ারা আসেন। চাষে উৎপাদিত ফসল বিক্রি ও পাঠদান থেকে যা উপার্জন হয়, তা দিয়েই সুন্দরভাবে জীবন কাটান একদা প্রবাসী এই দম্পতি।

    কেন আমেরিকা ছেড়ে সপরিবারে ফের বাংলার মাটিতে ফিরলেন? (Shantiniketan)

    দেবল মজুমদার ও অপরাজিতা সেনগুপ্ত। বর্ধমান জেলার বাসিন্দা দেবলবাবু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে চাকরি পান আমেরিকার কেন্টাকি শহরে একটি বহুজাতিক সংস্থায়। অন্যদিকে, কলকাতার বাসিন্দা অপরাজিতা সেনগুপ্ত প্রেসিডেন্সি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হয়ে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে আমেরিকার কেন্টাকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। পরে সেখানেই একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা শুরু করেন। খাদ্যদ্রব্যে কেন স্বাদ কম, খাদ্যে ভেজালের পরিমাণ বাড়ছে কেন- প্রভৃতি ভাবিয়ে তোলে এই দম্পতিকে। আমেরিকার একাধিক গ্রাম ঘুরে সেগুলোই উপলব্ধি করতে থাকেন দেবল-অপরাজিতা। এরপরেই হঠাৎ সিদ্ধান্ত। আমেরিকার বিলাসবহুল জীবন-যাপন ছেড়ে মাটির টানে, দেশের টানে ফিরে আসেন। চাকরি জীবনের জমানো টাকা থেকে শান্তিনিকেতনের (Shantiniketan) অদূরে রূপপুর গ্রামে পুকুর সহ সাড়ে ৫ বিঘা জমি কিনে শুরু করেন চাষ নিয়ে গবেষণা। ফার্মাকালচার কোর্স করেছেন দুজনেই।

    দেশীয় পদ্ধতিতে চাষের প্রশিক্ষণ নিতে কোন কোন দেশের পড়ুয়ারা আসেন?

    রাসায়নিক সার ব্যবহারে ফসল ফললেও তার স্বাদ, গুণাবলি প্রভৃতি একেবারেই থাকে না। উপরন্তু, কীটনাশক ব্যবহারে ক্ষতি হয় মানবদেহে। এছাড়া, ভারতবর্ষের মতো কৃষিপ্রধান দেশে মহিলা চাষির সংখ্যা কম। মহিলারা চাষের কাজে অংশ নেন, কিন্তু তাঁদের নামে জমি না থাকায় চাষি বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয় না। এই নিয়েই মূলত গবেষণা এই দম্পতির। এমনকি, অন্যদেরও প্রশিক্ষণ দেন তাঁরা। ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত সহ বাংলাদেশ, আমেরিকা, ফ্রান্স, সুইডেন প্রভৃতি দেশ থেকে আগ্রহী পড়ুয়ারা তাঁদের শান্তিনিকেতনের (Shantiniketan) বাড়িতে থেকে প্রাকৃতিক চাষ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ ও হাতে-কলমে গবেষণায় অংশ নিয়ে গিয়েছেন। এমনকি, ফার্মাকালচার নিয়ে পড়ানোর জন্য সাম্মানিক অধ্যাপক হিসাবে ভারতের বিভিন্ন কৃষি প্রতিষ্ঠান, সেমিনার সহ নেপাল, বাংলাদেশ, আমেরিকা থেকে ডাক পেয়েছেন এই দম্পতি।

    নিজের খামারে দেশীয় পদ্ধতিতে কী কী চাষ করেন এই দম্পতি?

    মাটি ও কাঠ দিয়ে তাঁদের তৈরি বাড়িও বেশ সুন্দর দেখতে। বর্তমানে তাঁদের খামারে ৭ রকমের দেশি ধান, ডাল, গম, বিভিন্ন রকমের লেবু, আম, আতা, পেয়ারা, করমচা, সবেদা, কামরাঙা প্রভৃতি চাষ হয়। পাশাপাশি, মাছ, হাঁসের ডিম উৎপাদিত হয়। উৎপাদিত ফসল নিজেরা খান, এছাড়া জ্যাম-জেলি প্রভৃতি তৈরি করে বিক্রি করেন। উদ্বৃত্ত ফসল বিক্রি করে এক কন্যা সন্তান সহ এই দম্পতির দিনযাপন হয়।

    কী বললেন এই দম্পতি?

    দেবল মজুমদার ও অপরাজিতা সেনগুপ্ত বলেন, ‘ক্রমশ বিশ্ব এক উলটো পথে হাঁটছে। খাবারে বিষ দিচ্ছি, হাওয়া দূষিত হয়ে উঠছে, মহিলারা চাষের কাজ করলেও ভারতে তাঁদের নামে জমি কম। তাই মহিলারা চাষি হিসাব স্বীকৃতি পান না। এসব নিয়ে আমরা না ভেবে বাড়ি-গাড়ি কেনাকাটায় মন দিই বেশি। আমরা আমেরিকায় স্থানীয় খাবারের বিষয়ে ভাবা শুরু করি। তারপরেই সিদ্ধান্ত নিই। সব কিছু ছেড়ে আমাদের এই শান্তিনিকেতনে (Shantiniketan) চলে আসা। নিজেরা প্রতি মুহূর্তে ভুল করতে করতে শিখি, অপরকেও শেখাই। এভাবেই সাবলীল ভাবে আমাদের দিন কেটে যায়।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: ‘‘কাশ্মীরের মতো যাদবপুরও ঠান্ডা হবে’’, তোপ দিলীপের

    Jadavpur University: ‘‘কাশ্মীরের মতো যাদবপুরও ঠান্ডা হবে’’, তোপ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরে (Jadavpur University) ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় সারা রাজ্য। এই আবহে উত্তর ২৪ পরগনার দলীয় সভা থেকে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘কাশ্মীর ঠান্ডা হয়েছে, যাদবপুরও কাল ঠান্ডা হয়ে যাবে।’’ এ প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ উদাহরণ টানেন দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং তিনি বলেন, ‘‘যেখানে যেখানে সন্ত্রাসবাদী, সমাজবিরোধী শক্তি মাথাচাড়া দিয়েছে, তা আমরা শেষ করে দিতে পেরেছি। দেখে আসুন জেএনইউ। ওখানেও প্রকাশ্যে মদ, গাঁজা খাওয়া হতো। প্রকাশ্যে আজাদি আজাদি স্লোগান তোলা হতো। সবাইকে আজাদ করে দেওয়া হয়েছে।’’ পাশাপাশি মেদিনীপুরের সাংসদের আরও দাবি, বাংলায় বিজেপি সরকার এলে যাদবপুরে (Jadavpur University) বিবেকানন্দের স্ট্যাচু তৈরি হবে, আর ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান চলবে।

    তৃণমূল-কংগ্রেস-সিপিএমের জাতীয় স্তরে জোটকেও এদিন নিশানা করেন দিলীপ ঘোষ 

    একইসঙ্গে রাজ্যের বুদ্ধিজীবীদেরও এদিনের সভা থেকে তোপ দাগেন বিজেপি সাংসদ। উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায় একটি দলীয় সভা ছিল বিজেপির এবং সেখানেই দিলীপ ঘোষের বক্তব্যে উঠে আসে যাদবপুর (Jadavpur University) প্রসঙ্গ। তৃণমূল-কংগ্রেস-সিপিএমের জাতীয় স্তরে জোটকেও এদিন নিশানা করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনে মোদির বিরুদ্ধে লড়াই করবে সবাই, কিন্তু অন্যায়-অবিচার, খুন, ধর্ষণের মতো অপরাধের বিরুদ্ধে কেউ লড়বে না। সেই বাংলা তৈরি করা হচ্ছে। তাই তৃণমূল চুপ করে আছে।’’ ছাত্রমৃত্যু প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের আরও মন্তব্য, ‘‘ওখানে (Jadavpur University) খুন যেই করুক, এই কাজে তো বিজেপি ছিল না। সিপিএম আছে, নকশালরা আছে, কংগ্রেসের সংগঠন আছে, তৃণমূলও আছে। এবার কিন্তু বিজেপির দিকে কেউ আঙুল তুলতে পারবে না।’’

    দেশবিরোধী শক্তির আখড়া যাদবপুর (Jadavpur University)

    পাশাপাশি এদিন বাংলার যাদবপুর (Jadavpur University), দিল্লির জেএনইউ এবং হায়দরাবাদের ওসমানিয়া ইউনিভার্সিটি একই তারে জোড়া আছে বলেও তোপ দাগেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, এই সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেই বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি বারবার মাথা দিয়ে উঠছে। এরাই ভারতকে টুকরো করার স্লোগান তোলে। তাঁর কথায়, ‘‘যাদবপুর (Jadavpur University) দেশবিরোধী শক্তির আখড়া হয়ে উঠেছে। যেসব রাজনৈতিক সংগঠন কখনও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারে না, যাদের রাজনৈতিক শক্তি নেই, তারাই জেনইউ এবং যাদবপুরে রয়েছে। আমার আপনার বাড়ির ছেলে কখনও কমিউনিজম কী জানে না, নকশাল রাজনীতি বোঝে না, কিন্তু সে ওখানে গিয়ে অতি বাম হয়ে যায়! আসলে সেই পরিবেশ তৈরি করে রাখা হয়েছে।’’ প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যাদবপুরে আক্রান্ত হয়েছিলেন তৎকালীন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। এ প্রসঙ্গ টেনে দিলীপ বলেন, ‘‘ওই সময় (Jadavpur University) বাবুল-অগ্নিমিত্রা পলের উপর আক্রমণ করা হয়েছিল। বাবুলকে থাপ্পড় মারা হয়েছিল। তৎকালীন রাজ্যপাল তাঁকে গিয়েছিলেন উদ্ধার করতে। তাঁকেও কালো পতাকা দেখিয়ে গাড়ি আটকানো হয়েছিল। তারপর আমাদের লোকেরা গিয়ে অফিস উড়িয়ে দিয়েছিল, যেখানে তারা বসে মদ খেতো।’’

    কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী 

    অন্যদিকে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান কলকাতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলকে নিশানা করলেন। যাদবপুরকাণ্ডে (Jadavpur University) কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মৃত্যুর দায় এড়াতে পারেন না।’’ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী জানান, যাদবপুর (Jadavpur University) দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। তবে এটা পরিষ্কার হোক যে র‍্যাগিং রুখতে ইউজিসি-র গাইডলাইনকে মানা হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এর দায় নিতে হবে। কোনও ছাত্রকে র‍্যাগিং করার অধিকার নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: ভোটার তালিকায় কারচুপি রুখতে শিলিগুড়িতে বৈঠক বিজেপির, কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল?

    Siliguri: ভোটার তালিকায় কারচুপি রুখতে শিলিগুড়িতে বৈঠক বিজেপির, কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্য লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই রাজ্যের শাসকদল ভোটার তালিকায় যাতে কারচুপি করতে না পারে তারজন্য নজরদারি চালাবে বিজেপি। এজন্য বিশেষ অভিযানে নামার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভোটার চেতনা মহাঅভিযান।’ রবিবার বিজেপির শিলিগুড়ি (Siliguri) সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে উত্তরবঙ্গে বিজেপির ৯টি সাংগঠনিক জেলাকে নিয়ে এই বিষয়ে বৈঠক হয়। এই বৈঠক উপস্থিত ছিলেন সাংসদ তথা দলের পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজকুমার চাহার, বিধায়ক দীপক বর্মন, বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি সঞ্জয় সিংহ, উত্তরবঙ্গের সব বিজেপি বিধায়ক এবং উত্তরবঙ্গের জেলা সভাপতিরা।

    ‘ভোটার চেতনা মহাঅভিযানে’ কী কী করা হবে? (Siliguri)

    বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি সঞ্জয় সিং বলেন, আমরা মানুষের মধ্যে ভোটার তালিকায় নাম তোলার ব্যাপারে সচেতনতা প্রচার করব। এমন অনেক ভোটার রয়েছেন তাদের ভোটার কার্ড থাকলেও ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ গিয়েছে। আবার অনেকে মারা গিয়েছেন, তাদের ভোটার তালিকায় নাম থেকে গিয়েছে। এই সংযোজন ও সংশোধন করার পাশাপাশি খুঁজে বের করা হবে বয়স হওয়া সত্বেও কারা এখনও ভোটার তালিকায় নাম তোলেননি। কেননা প্রত্যন্ত অঞ্চলে এমন ঘটনা দেখা যায় যে, বহু মানুষ নানান ঝামেলার কারণে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে চান না। অনেকে জানে না কোথায় কীভাবে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে হয়। আমরা এই দিকটিতে ভোটারদের মধ্যে সচেতনতা আনার জন্য এই ‘ভোটার চেতনা মহাঅভিযান’ কর্মসূচি নিয়েছি। আগামী ২৫ ও ২৬ অগাস্ট উত্তরবঙ্গে আমাদের ৯টি সাংগঠনিক জেলায় বুথ স্তর পর্যন্ত এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে অভিযান চলবে। এদিন শিলিগুড়িতে (Siliguri) সাংগঠনিক বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    ভোটার তালিকায় কারচুপি প্রসঙ্গে কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি  সঞ্জয় সিং বলেন, সরকারিভাবে যারা ভোটার তালিকা সংশোধন ও সংযোজনের কাজ করেন তাঁরা অনেক জায়গাতেই যান না। ঠিক মতো বাড়ি বাড়ি পৌঁছন না। এতে ভোটার তালিকার বাইরে থেকে যান অনেকে। আবার মারা গিয়েও অনেকের নাম ভোটার তালিকায় জ্বলজ্বল করে। বিজেপির শিলিগুড়ি (Siliguri) সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরূপ মণ্ডল বলেন, ভোটার তালিকায় রাজ্যের শাসক দল প্রভাব খাটিয়ে কারচুপি করে থাকে। দেখা গিয়েছে সরকারিভাবে যারা ভোটার তালিকার কাজ করেন তাদের বেশিরভাগই রাজ্যের  শাসক দলের বিভিন্ন সংগঠনের নেতা বা সদস্য। তাই আমরা এব্যাপারে মানুষকে সচেতন ও সতর্ক করে তুলতে এই অভিযান চালিয়ে যাব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Subhas Sarkar on Jadavpur: যাদবপুরকাণ্ড নিয়ে কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার?

    Subhas Sarkar on Jadavpur: যাদবপুরকাণ্ড নিয়ে কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ছাত্র মৃত্যুর জন্য দায়ী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও রাজ্য সরকার। কয়েকদশক ধরে এই কালচার চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে শহুরে নকশালের চিন্তা, যে আদর্শটা রাষ্ট্রদ্রোহিতাকে উস্কে দেয়। সেটা বন্ধ করুক রাজ্য সরকার।’ রবিবার দুর্গাপুরে একটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের ক্রীড়ানুষ্ঠানে এসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কাণ্ড নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী (রাষ্ট্র) সুভাষ সরকার (Subhas Sarkar on Jadavpur)।

    যাদবপুরকাণ্ড নিয়ে কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী? (Subhas Sarkar on Jadavpur)

    প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রহস্যজনক ছাত্রমৃত্যু নিয়ে উত্তাল গোটা রাজ্য। বার বারই অভিযোগ উঠেছে বামপন্থী প্রাক্তন পড়ুয়াদের আনাগোনা ও কলেজ হস্টেলের সিনিয়ার পড়ুয়াদের অমানবিক আচরণের দিকে। যদিও, ওই ঘটনার তদন্ত  এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর বড় প্রশ্ন, এত বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে সিসিটিভি কেন বসানো হয়নি বা বসাতে দেওয়া হয়নি? অভিযোগে জানা গিয়েছে,যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে নতুন ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের সঙ্গে সিনিয়র পড়ুয়াদের নির্মম ব্যবহারের ছবি ধরা পড়ত, তাই হয়তো সিসিটিভি বসাতে দেওয়া হয়নি। সিনিয়ারের উপস্থিতি এবং অনুমতি ছাড়া বাড়িতেও ফোন করতে পারতেন না নতুন পড়ুয়ারা। শৌচালয় থেকে ঘর— সবই পরিষ্কার করতে হত জুনিয়ারদের। রীতিমতো রোস্টার তৈরি করে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের দিয়ে বিভিন্ন কাজ করানো হত। সেই কাজের তালিকায় রয়েছে, শৌচালয় এবং ঘর পরিষ্কার, সিনিয়রদের ভাত বেড়ে দেওয়া, মশারি টাঙিয়ে দেওয়ার মতো কাজ। যা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। রবিবার দুর্গাপুরে এক কেন্দ্রীয় আবাসিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়ানুষ্ঠানের উদ্বোধনে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী (রাষ্ট্র) ডাঃ সুভাষ সরকার (Subhas Sarkar on Jadavpur)। এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডের প্রশ্নে তিনি বলেন, ছাত্র মৃত্যুর জন্য দায়ী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও রাজ্য সরকার। কয়েকদশক ধরে এই কালচার চলছে। রাজ্য প্রশাসন যদি এটা বন্ধ করতে চাইত, তাহলে এর আগের উপাচার্যের জামানায় হোক কলরব, হোক চুম্বন, মুক্ত মন, মুক্ত চিন্তনের নামে যা কিছু হচ্ছিল, সেটা বন্ধ করত। সিসিটিভি বসত। তিনি বলেন, সঠিক তদন্ত হোক। অপরাধীরা গ্রেফতার হোক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shalimar Station: শালিমার স্টেশনের বাইরে পার্কিং লট নিয়ে উদাসীন রাজ্য, প্রকাশ্যে তোলাবাজি!

    Shalimar Station: শালিমার স্টেশনের বাইরে পার্কিং লট নিয়ে উদাসীন রাজ্য, প্রকাশ্যে তোলাবাজি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শালিমার স্টেশন (Shalimar Station) সংলগ্ন পার্কিং লটে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে বহিরাগত ও স্থানীয় মস্তানদের বিরুদ্ধে। এর ফলে অনেক ট্যাক্সিচালকই শালিমার স্টেশনে যেতে চাইছেন না। ফলে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। ট্যাক্সিচালকদের অভিযোগ, হাওড়া বা সাঁতরাগাছি স্টেশনের মতো শালিমার স্টেশনে প্রিপেড ট্যাক্সি বুথ নেই। যে সংস্থাকে শালিমার স্টেশন সংলগ্ন পার্কিংয়ের টেন্ডার দেওয়া হয়েছে, তা মূলত স্টেশনের সামনের পার্কিং জোনের জন্য। কিন্তু পার্কিংয়ের কন্ট্রাক্টররা স্টেশন থেকে আরও প্রায় আধ  কিলোমিটার দূরে দু’নম্বর গেট পর্যন্ত এলাকায় যত ট্যাক্সি প্রবেশ করে, তাদের কাছ থেকে জোর করে পার্কিং ফি নেয় বলে অভিযোগ। যা নিয়ে মাঝে মধ্যেই গন্ডগোল ও মারামারির মতো ঘটনা ঘটে। কিন্তু তারপরেও এই দৌরাত্ম্য কমানো যায়নি। ফলে ট্যাক্সি বা প্রাইভেট গাড়ির চালকরা শালিমার স্টেশনে যেতে ভয় পান।

    নেই কোনও বাসরুটও(Shalimar Station)

    অন্যদিকে শালিমার স্টেশনে যাওয়ার যে বাস রুট রয়েছে, তাও প্রায় এক কিলোমিটার আগেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। ব্যতাইতলা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে থেকে রেললাইন পার হয়ে একটি রাস্তা সরাসরি শিবপুরের বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটির দিকে গেছে। ব্যতাইতলা ফাঁড়ি সংলগ্ন লেভেল ক্রসিং পার হলেই ওই রাস্তায় রয়েছে শালিমার তিন নম্বর গেট। কিন্তু লেভেল ক্রসিংয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গেট বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ যাত্রীকেই ডানদিকে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর অ্যাপ্রোচ রোড দিয়ে ব্রিজে উঠে তারপর কলেজ রোড ধরতে হয়। এই রাস্তাটি ঘুরে এসে আবার তিন নম্বর গেটের কাছ থেকে ডান দিকে কলেজ রোড বেঁকে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই যেদিক দিয়েই যাত্রীরা আসুক না কেন, তিন নম্বর গেটের পর শালিমার স্টেশনে (Shalimar Station) যাওয়ার কোনও বাস রুট না থাকায় তাঁদের অটো, টোটো অথবা ট্যাক্সি ধরতে হয়। ফলে টোটো চালকরাও যাত্রীদের কাছ থেকে মওকা বুঝে যেমন খুশি ভাড়া হাঁকায়।

    যন্ত্রণাকর অভিজ্ঞতা (Shalimar Station)

    ব্যতাইতলা পুলিশ ফাঁড়ি থেকে আরেকটি রাস্তা লেভেল ক্রসিংয়ের আগে বাঁদিকে বেঁকে গেছে। যেটি  শালিমার (Shalimar Station) দু’নম্বর গেট পর্যন্ত গেছে। এই দুই নম্বর গেট দিয়ে যাতে সহজে শালিমার স্টেশনে যাওয়া যায়, সেই জন্য দু’নম্বর গেটের কাছে একটি উড়ালপুল তৈরি হওয়ার কথা। বর্তমানে সেখানে কিছু পাইলিংয়ের কাজ চলছে। দু’নম্বর গেটের লেভেল ক্রসিংও দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে। ফলে এখান থেকেও যাত্রীদের রেললাইন পার হয়ে ফের আরেকটি টোটো বা ট্যাক্সি ধরে শালিমার স্টেশনে পৌঁছাতে হয়। তাও আর এক যন্ত্রণাকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয় যাত্রীদের। টোটো থেকে নেমে  বর্ষায় ভাঙাচোরা, কাদা প্যাচপ্যাচানি রাস্তা পার হয়ে যাত্রীদের বড় বড় লাগেজ নিয়ে খুবই দুর্ভোগ পেরিয়ে স্টেশনে পোঁছাতে হয়।

    কী বলছেন যাত্রী সংগঠনের কর্তারা?

    হাওড়া জকপুর প্যাসেঞ্জার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি অজয় দোলুই বলেন, শুধু শালিমার স্টেশনেই (Shalimar Station) নয়, সাঁতরাগাছি স্টেশনের বাইরেও এভাবে যাত্রীদের নানা ভাবে হ্যারাসমেন্ট করা হচ্ছে এবং জোর করে অতিরিক্ত পার্কিং ফি নেওয়া হচ্ছে।

    কী জানাল রেল?

    রেল সুত্রে জানানো হয়েছে, শালিমার স্টেশন (Shalimar Station) চত্বরের বাইরের আইনশৃঙ্খলা দেখার কাজ স্থানীয় পুলিশের। যাত্রীদের সঙ্গে জোর করে এবং অতিরিক্ত পার্কিং ফি নেওয়া হলে স্থানীয় পুলিশকেই বিষয়টি দেখতে  হবে। হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা জানান, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: বরানগরে বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Barrackpore: বরানগরে বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বারাকপুর (Barrackpore) মহকুমার বরানগরের কুটিঘাট এলাকায়। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর নাম শ্যামল দাস। তিনি কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কেন হামলা?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যামলবাবু পেশায় গাড়ির চালক। শনিবার নিজের কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরে পাড়াতেই বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করছিলেন। সে সময়ই বেশ কয়েকজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী তাকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করে। তিনি প্রতিবাদ করতেই শ্যামলবাবুকে বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের কাউন্সিলারের স্বামী ও তাঁর দলবল এই হামলা চালায় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় রাতেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বরানগর রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কামারহাটি কলেজ সাগর দত্ত হাসপাতালে ভক্তি করা হয়। সেখানেই আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিজেপি কলকাতা উত্তর শহরতলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরিজিৎ বক্সি। তারপরেই ওই বিজেপি কর্মীর অবস্থার আরও অবনতি হলে তাঁকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনায় বারাকপুর (Barrackpore) সাংগঠনিক জেলাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। জখম বিজেপি কর্মীর পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, ঘটনার তদন্তের আবেদন জানিয়ে বরানগর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে তাদের থানা চত্বরেই ঢুকতে দেয়নি পুলিশ কর্মীরা।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির কলকাতা উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অরিজিৎ বক্সি বলেন, শ্যামল দাস দীর্ঘদিন এলাকার অসামাজিক কাজকর্মের বাধা দিয়ে এসেছে। সে কারণে তার উপর এর আগেও তাঁকে হামলা চালানো হয়েছিল। আবারও হামলা হল। অসামাজিক কাজের পিছনে সক্রিয় মদত রয়েছে পুলিশের।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল কাউন্সিলার নিবেদিতা বসাক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার যুব সমাজকে বিনে পয়সায় বিভিন্নরকম নেশায় আসক্ত করার কাজ করছিলেন এই বিজেপি কর্মী। শনিবার রাতে এমনই ঘটনার খবর পান স্থানীয় কিছু যুবক। তারই প্রতিবাদ করতে গেলে প্রতিবাদকারীদের উপর চড়াও হন শ্যামল দাস। এমনকী এক প্রতিবাদকারীর উপর তিনি হামলা চালান। তবে, ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share