Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Murshidabad: ফের সামশেরগঞ্জে বোমা বিস্ফোরণে আহত এক শিশু! তীব্র আতঙ্কে গ্রামবাসী

    Murshidabad: ফের সামশেরগঞ্জে বোমা বিস্ফোরণে আহত এক শিশু! তীব্র আতঙ্কে গ্রামবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটে যাওয়ার পরেও বোমা বিস্ফোরণ এবং আতঙ্ক থেকে যেন মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) রক্ষা পাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার বিকেলে স্নান করতে গিয়ে, পুকুর পাড়ে খেলার সময় হঠাৎ বোমা বিস্ফোরণে আহত হল এক শিশু (৯)। এরপর তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। আহতের নাম রাজীব শেখ।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Murshidabad)?

    ঘটনাটি ঘটেছে, মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জ ব্লকের লস্করপুর গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। বোমা কী উদ্দেশ্যে রাখা হয়েছিল পুকুর পাড়ে, তা নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কেউ কোনও প্রকার ষড়যন্ত্রের উদ্দেশ্যে রেখেছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    গ্রামবাসীর বক্তব্য

    লস্করপুর গ্রামের নবীন সংঘ ক্লাবের সদস্য আবিদ হাসান জানিয়েছেন, আচমকাই বোমা বিস্ফোরণ ঘটে গতকাল বিকেলে। যে জায়গায় বিস্ফোরণ হয়, তা একটি পুকুর পাড়ের ফাঁকা জমি। এই স্থানেই ঘটনার আগের দিনে বেগুন গাছ লাগানো হয়েছিল। কীভাবে ঘটল বিস্ফোরণ! বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তিনি। বোমার আঘাতে শিশুর ডান হাতে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষতস্থানে ২টি সেলাই পড়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    রাজ্যে বোমায় আক্রান্ত শিশু

    পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন থেকে ফলাফল এবং বোর্ড গঠন পর্যন্ত সবথেকে বেশি বোমা উদ্ধার এবং বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায়। এছাড়াও শীর্ষ তালিকায় রয়েছে মালদা, বীরভূম, কোচবিহার এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা। এই বোমায় শাসক এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীরা যেমন আক্রান্ত হয়েছেন, সেই সঙ্গে বাদ যায়নি শিশুরাও। নির্বাচন চলাকালীন এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ে শীতলকুচি, ভাঙড়, ডোমকল, বেলডাঙ্গা, মেদিনীপুরের পিংলা, বকচা সর্বত্র একাধিক বার শিশুরা খেলতে গিয়ে বোমার আঘাতে আহত এবং মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু প্রশাসনের ঘুম ভাঙেনি তাতেও। জীবনতলার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী পৌলমী হালদার, ফুল তুলতে গিয়ে ডান হাত উড়ে গিয়েছিল বোমার আঘাতে। ভাটপাড়ায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় বোমার আঘাতে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের মৃত্যু ঘটেছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: টানা ৩ ঘণ্টা পুলিশি জেরার মুখে ডিন কি দায় এড়ালেন?

    Jadavpur University: টানা ৩ ঘণ্টা পুলিশি জেরার মুখে ডিন কি দায় এড়ালেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্রদের বাধাতেই আইন প্রয়োগ করা যায় না, বৃহস্পতিবার বিকালে লালবাজারে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ঠিক এমন কথাই বলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ডিন অফ স্টুডেন্ট রজত রায়। বিশ্বস্ত সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রজত রায়কে। বিকাল ৩টে নাগাদ তিনি লালবাজারে হাজিরা দেন, সন্ধ্যা ছটা নাগাদ বেরিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, ডিন কি নিজের কাঁধ থেকে যাবতীয় দায় ঝেড়ে ফেলে সবটা ছাত্রদের উপর চাপিয়ে দিতে চাইলেন? আইন কার্যকর করার দায়িত্ব দিয়েই তো সরকার তাঁদের মতো আধিকারিকদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসায়। মোটা টাকা বেতন দেয়। অথচ বিপাকে পড়লে তাঁরা এই ধরনের দায় এড়ানো মন্তব্য করেন। তাই ডিনের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

    কোন কোন প্রশ্নের উত্তর দিলেন ডিন?

    পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদের সময় একাধিক প্রশ্ন করা হয় রজত রায়কে (Jadavpur University)। যেমন ডিন অফ স্টুডেন্টস এর কাজ কী, তাঁর ভূমিকা কী, এর পাশাপাশি ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা রয়েছে কিনা, হস্টেল সুপারের (Jadavpur University) ভূমিকা কী ইত্যাদি। ঘটনার দিন রাতে হস্টেলে ঠিক কী হয়েছিল? এ সমস্ত কিছুই জানতে চাওয়া হয় ডিন অফ স্টুডেন্ট এর কাছে। তাঁর কাছেও জানতে চাওয়া হয় যাদবপুরে কোনও অ্যান্টি র‌্যাগিং স্কোয়াড আছে কিনা? এদিন কার্যত তিনি স্বীকার করে নেন যে অ্যান্টি স্কোয়াড থাকলেও তা কার্যকরী নয়, সেখানে অনেক খামতি রয়েছে। 

    সেদিনের ঘটনা

    জানা গিয়েছে, সেদিন ঘটনার সম্পর্কে (Jadavpur University) রজত রায়ের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, গত ৯ অগাস্ট রাত ঠিক ১০টা ০৫ মিনিটে হস্টেল থেকে তাঁর কাছে ফোন আসে এবং তাঁকে বলা হয় এক ছাত্রকে পলিটিসাইজ করা হচ্ছে। ফোন পেয়ে ১০টা ০৮ মিনিটে ডিন হস্টেলের সুপারকে ফোন করেন এবং বিষয়টি জানান। কিন্তু সুপার তারপর আর কিছু জানাননি। ডিন এও বলেন, রাত ১২টা ০৮ মিনিটে হস্টেল সুপার আবার তাঁকে ঘুরিয়ে ফোন করেন এবং গোটা বিষয়টি জানান। লালবাজার সূত্রে খবর, ডিনের বয়ানে পুলিশের মনে হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) এবং হস্টেলে আইন-শৃঙ্খলার ঘাটতি রয়েছে। এবং ডিনও কার্যত তা স্বীকার করে নিয়েছেন। ডিনের বয়ানের পরে হস্টেল সুপারকেও লালবাজারে তলব করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ডিনের অনেক কথার মধ্যেই চরম অসঙ্গতি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: পার্থর নাকতলার বাড়িতেই বিক্রি হতো চাকরি! আদালতে বিস্ফোরক সিবিআই

    Partha Chatterjee: পার্থর নাকতলার বাড়িতেই বিক্রি হতো চাকরি! আদালতে বিস্ফোরক সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) নিজের বাড়িতে বসে এসএসসির গ্রুপসি পদের চাকরি বিক্রি করতেন বলে আদালতে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। টাকা নিয়ে বেআইনি চাকরির লিস্ট তৈরি করা হত এই বাড়িতেই। নিত্য যাতায়েত ছিল প্রসন্ন রায় এবং প্রদীপ সিংহের মতন ব্যক্তিদের। সিবিআই-এর এই অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্কুল শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি কাণ্ডে। 

    সিবিআই আদালতে কী বলেছেন (Partha Chatterjee)?

    স্কুল শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি কাণ্ডে বৃহস্পতিবার ফের আদালতে তোলা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee)। কোর্টে সিবিআই দাবি করেন, তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব তথা রাজ্যর প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর (Partha Chatterjee) নাকতলার বাড়িতেই একটি অফিস ছিল। আর সেই অফিসেই চাকরি বিক্রেতাদের নিত্য আনাগোনা ছিল। এই বাড়ির গ্রাউন্ড ফ্লোরেই ছিল চাকরি বিক্রির অফিস। এখানেই প্রথমে লিস্ট তৈরি হত এবং এরপর সেই লিস্ট চলে যেত কমিশনের চেয়ারম্যান, সুবীরেশ ভট্টাচার্যের অফিসে। এই বাড়িতে টাকা নেওয়া হত এবং নামের তালিকা তৈরি করা হত। সিবিআই আরও বলেন যে কিছু লোক থাকত, যারা জেলা থেকে টাকা নিত এবং এরপর সেই টাকা এবং প্রার্থীদের নাম এখানেই নিয়ে আসতো। প্রসন্ন, প্রদীপদের মতন লোকেরা জেলা থেকে টাকা সংগ্রহ করত। এই নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়াটাই একটা ‘পরিকল্পিত অপরাধ’।

    আদালতে পার্থ কী বলেন?

    আদলাতে এই দিন জামিনের আবেদন করে পার্থ (Partha Chatterjee) বলেন, আমার শরীর দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আমার একজন জেলের মধ্যে সহকারী দরকার, যদি আপনি মঞ্জুর করেন। তিনি আরও বলেন, বাগ কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী তদন্ত করা উচিত। আমার বয়স বাড়ছে। তিনি আরও দাবি করেন, শিক্ষক নিয়োগে শিক্ষামন্ত্রীর ভূমিকা থাকে না, আমার বিরুদ্ধে বিশেষ ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। এই দিনেও বিচারক পার্থর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Salboni: শালবনিতে বোর্ডে ক্ষমতা দখলের পরও পঞ্চায়েতে কেন তালা দিলেন বিজেপি কর্মীরা ?

    Salboni: শালবনিতে বোর্ডে ক্ষমতা দখলের পরও পঞ্চায়েতে কেন তালা দিলেন বিজেপি কর্মীরা ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রাম পঞ্চায়েতের গেটে পড়ল তালা। তালা ঝুলিয়ে দিলেন স্থানীয় বিজেপির কর্মী, সমর্থকরা। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির লালগেড়িয়া এলাকায়। এই পঞ্চায়েত এবার বিজেপির দখলে এসেছে। প্রধান, উপপ্রধান নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। বুধবার তাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, তা দেওয়া হয়নি বলেই প্রতিবাদে পঞ্চায়েতের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, এদিন না হলেও শীঘ্রই নবনির্বাচিত প্রধান, উপপ্রধানকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি অরূপ দাস। তিনি বলেন, তৃণমূল একটা নোংরা খেলায় নেমেছে। শালবনির লালগেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড বিজেপি দখল করেছে। কিন্তু, প্রধান, উপপ্রধান এবং আমাদের পঞ্চায়েত সদস্যদের তৃণমূল প্রশাসনের সাহায্যে আমাদেরকে হেনস্তা করছে। পুরানো বোর্ডের যে ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারটা থাকে সেটা তৃণমূল বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত করা হয়নি। এইসব করার জন্য  আমাদের পঞ্চায়েত এবং অঞ্চলের যেসব নেতা কর্মীরা রয়েছেন তারা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে তালা মেরে দিয়েছে। আমরা এসব মেনে নেব না। আমরা তৃণমূলের অসহযোগিতার বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলনে নামব। 

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, এবারের লালগেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে আমরা দুটো আসনে মাত্র দু ভোটে হেরে গিয়েছিলাম। আমরা মানুষের রায় মাথা পেতে মেনে নিয়েছি। আগামী ১৮ই অগাস্ট  নির্ধারণ করা হয়েছে ক্ষমতা হস্তান্তকরণের। কিন্তু, বিজেপি এমন একটি বিশৃংখল দল কোনও কর্মী কোনও নেতৃত্বের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। ফলে, যা হওয়ার তাই হয়েছে। পঞ্চায়েতে গিয়ে বলা হয়েছে যে আজকেই ক্ষমতা হস্তান্তর করে দিতে হবে। নাহলে পঞ্চায়েতের কাজ করতে দেব না। পঞ্চায়েতের সমস্ত কর্মীদেরকে বের করে দিয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: তৃণমূলকে হারিয়ে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন বিজেপির, বিজয় মিছিলে পা মেলালেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: তৃণমূলকে হারিয়ে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন বিজেপির, বিজয় মিছিলে পা মেলালেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত  মজুমদারের (Sukanta Majumdar) খাসতালুক হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের ভাটপাড়া পঞ্চায়েত এলাকা। এই গ্রাম পঞ্চায়েতে এবার তৃণমূলকে হারিয়ে প়়ঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করেছে বিজেপি। রাজ্য সভাপতির খাসতালুকেই বোর্ড গঠন করায় বিজেপি কর্মীরা উচ্ছ্বসিত।

    পঞ্চায়েতে কীভাবে বোর্ড গঠন করল বিজেপি?

    ভারত -বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া ভাটপাড়া পঞ্চায়েতে তফশিলি জাতি ও উপজাতি মানুষের সংখ্যায় বেশি। দীর্ঘ বাম জমানাতেও ওই পঞ্চায়েতকে দখল করতে পারেনি বামেরা। বালুরঘাট মহকুমার অধিকাংশ পঞ্চায়েতে যখন বামেরা জিতত, তখন এই একটি পঞ্চায়েতেই কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে থাকতো। বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনেও বাম প্রার্থীরা জিতলেও  কংগ্রেসের প্রার্থী লিড নিত ওই পঞ্চায়েতে। এখনও ওই ট্রাডিশন বজায় রেখেছে ভাটপাড়া। ভাটপাড়়া গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ২২টি আসন রয়েছে। তৃণমূল এবং বিজেপি ১১টি করে আসন পেয়েছিল। ফলে, এই গ্রাম পঞ্চায়েতে কার দখলে আসে তা নিয়ে দলের অন্দরে জোর চর্চা ছিল। এই পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান পদে বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। প্রথমে এক তৃণমূলের নির্বাচিত সদস্য ভোট দিতে ভুল হওয়ার কারণে প্রধান পদে জয়লাভ করে বিজেপির জয়ী সদস্য নীলিমা বর্মন। ওই তৃণমূল সদস্যের ভোট বাতিল হতেই  বিজেপি প্রার্থী এগারো -দশ ব্যবধানে প্রধান পদে জয় লাভ করেন। পরে, উপপ্রধান পদে টসের মাধ্যমে ফল বের হয়। আর তাতে জিতেছেন বিজেপির জয়ী সদস্য শিবু সরকার। এই পঞ্চায়েত দখল করতেই বিজেপির নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রবল উচ্ছ্বাস দেখা যায়। সকলেই গেরুয়া আবির খেলায় মেতে ওঠেন। বৃহস্পতিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) ভাটপাড়া পঞ্চায়েত এলাকায় দলীয় কর্মীদের নিয়ে  মিছিল করেন।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে বালুরঘাটে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি স্বপন বর্মন বলেন,ভাটপাড়া পঞ্চায়েত আমাদের দখলে ছিল। কিন্তু, এবারের নির্বাচনে আমরা জয়ী হওয়ার জায়গায় ছিলাম। আমাদের এক সদস্য ভুলবশত ভোটটা নষ্ট করে দেয়। ভোটটা কী কারণে নষ্ট করে তা আমরা দলীয়ভাবে তদন্ত করছি। এই বিষয়ে দল ব্যাবস্থা নেবে। আমরা লড়াইয়ের ময়দানে আছি।

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি? (Sukanta Majumdar)  

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, আমরা ভাটপাড়া পঞ্চায়েতে জিতেছি। সেই আনন্দে বিজেপির কর্মীরা আজ ভাটপাড়া পঞ্চায়েতের খিদিরপুর এলাকায় বিজয় মিছিল বের করেন। আসলে বালুরঘাটের বিডিও ইচ্ছাকৃতভাবে এই ভাটপাড়া পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে জেতানোর চেষ্টা করছিল। বিজেপির আন্দোলনের চাপে গ্রাম পঞ্চায়েতের ফলাফল সমান সমান হয়ে যায়। অবশেষে ভাটপাড়া পঞ্চায়েত বিজেপি দখল করে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khardah: তৃণমূলের মঞ্চে খড়দা থানার আইসি, কাউন্সিলারদের তোলাবাজি না করার হুঁশিয়ারি, বিতর্ক

    Khardah: তৃণমূলের মঞ্চে খড়দা থানার আইসি, কাউন্সিলারদের তোলাবাজি না করার হুঁশিয়ারি, বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিনে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে কেক খাইয়েছিলেন থানার আইসি সন্দীপ গঙ্গোপাধ্যায়। এই ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর বিতর্ক চলছে। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই খড়দায় (Khardah) তৃণমূলের দলীয় মঞ্চে পুলিশের পোশাক পরে হাজির খোদ খড়দা থানার আইসি রাজকুমার সরকার। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়়েছে।

    তৃণমূলের মঞ্চে উঠে কী করলেন খড়দা থানার আইসি? (Khardah)

    খেলা দিবস উপলক্ষ্যে খড়দা থানার কাছে টিটাগড় পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভায় টিটাগড় পুরসভার তৃণমূলের একাধিক কাউন্সিলারের সঙ্গে বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন। সেই মঞ্চেই খড়দা (Khardah) থানার আইসি রাজকুমার সরকার পোশাক পরে হাজির হন। মঞ্চের মধ্যেই দলের অন্যান্য নেতাদের মতো খড়দা থানার আইসি পোশাক পরে বসেছিলেন। অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে তাঁকেও ফুল দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরে, তিনি তৃণমূল নেতাদের সামনে মঞ্চে বক্তব্য রাখেন। তোলাবাজির বিরুদ্ধে তিনি সরব হন।

    তৃণমূল কাউন্সিলারদের কী হুঁশিয়ারি দিলেন আইসি?

    খেলা হবে দিবসের মঞ্চ থেকে বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীকে পাশে বসিয়ে তৃণমূলের কাউন্সিলারদের হুঁশিয়ারি দিলেন খড়দহ (Khardah) থানার আইসি রাজকুমার সরকার। তিনি বলেন, তোমরা দলের কাউন্সিলার। যেমন কাজ করবে বিধায়কের ইমেজ ওরকমই হবে। সেই সন্মানটা তোমরা রাখবে। আমি তো আছি। বার বার বলছি সামাজিক কাজ করুন। সামনে পুজো আসছে। আমরা সরকারের মুখ। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মানুষের জন্য কাজ করার। পাড়ায় গিয়ে কাজ কর। অসামাজিক কাজ করবে না। তোলাবাজি করবে না। এটা যেন কোনওভাবেই না হয়। আপনাদের নিরাপত্তা যদি আমি না দিতে পারি ওই জায়গাটায় আমার থাকার কোনও যোগ্যতা নেই। সোজাসুজি বিধায়ককে জানাবেন। এই লোকটা কাজ করে না, একে রাখবেন না।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, তৃণমূল দলটা এখন পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করছে। বিরোধীদের শায়েস্তা করছে পুলিশ। আর দলের কাউন্সিলারদের তোলাবাজি না করার বার্তা দিচ্ছে পুলিশ। শাসক দলের নেতাদের সুরে খড়দা (Khardah) থানার আইসি কথা বলছে।  ফলে, বোঝাই যাচ্ছে, দলটার কী অবস্থা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Banana Tree: বিজেপির জয়ী সদস্যের বাগানে অধিকাংশ কলা গাছ কাটার অভিযোগ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Banana Tree: বিজেপির জয়ী সদস্যের বাগানে অধিকাংশ কলা গাছ কাটার অভিযোগ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির টিকিটের জয়লাভ করার পর থেকেই আসছিল শাসকদলের হুমকি। বোর্ড গঠনের পর জয়ী প্রার্থীর ফল ধরা প্রায় ৩০০ টি কলা গাছ (Banana Tree) রাতের অন্ধকারে কেটে নষ্ট করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। চরম অমানবিক রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক এই জঘন্য ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার চাকদার তাতলা- ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে ইটাপুকুর গ্রামে বিজেপির জয়ী সদস্য সুলেখা চৌধুরীর কলাবাগানে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Banana Tree) 

    বিজেপির জয়ী সদস্য সুলেখা চৌধুরীর দেড় বিঘা জমিতে কলার বাগান রয়েছে। দেড়বিঘে জমিতে লাগানো কলা গাছের মধ্যে ৩০০ টি গাছ (Banana Tree) কেটে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। আর্থিক ক্ষয়ক্ষয় বিক্রির পরিমাণ প্রায় ৫০-৬০ হাজার টাকা। বৃহস্পতিবার সকাল বাগানে গিয়ে দেখেন বাগানের অধিকাংশ কলা গাছ কেটে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকাবাসীও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এলাকাবাসীর বক্তব্য, বিজেপির জয়ী সদস্য বলেই এভাবে কারও কলা বাগান নষ্ট করা ঠিক নয়। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

    কী বললেন বিজেপির জয়ী সদস্য?

    বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য সুলেখা দেবী বলেন, বিজেপির টিকিটে ভোটে জয় লাভের কারণে ফল প্রকাশের পরের দিন হঠাৎ রাতের অন্ধকারে আমার বাড়িতে বেশ কিছু শব্দবাজি একত্রিত করে ফাটানো হয়। সুলেখা দেবীর স্বামী হরিশচন্দ্র চৌধুরী এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব  প্রীতম মল্লিক ও তাঁর সহযোগী বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতৃত্বের  বিরুদ্ধে চাকদা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, এর আগে বাড়িতে প্রচুর পরিমাণে শব্দবাজি ফাটানোর প্রতিবাদ করেছিলাম বলে এলাকার তৃণমূল নেতা পাপ্পু মল্লিক এসে শাসিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, আমরা বাজি ফোটাতে যাবো কেনো ! ক্ষতি করার হলে পুরো কলা গাছের (Banana Tree) বাগান কেটে সর্বনাশ করে দিতাম। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চাকদা থানায় লিখিত অভিযোগ জমা করলেও এখনও পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। ব্যক্তিগত অথবা পারিবারিক শত্রুতাও হতে পারে বলে মনে করছেন তারা। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি শেখর কুমার কর বলেন, এই ধরনের ঘটনায় কোনও তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থক যুক্ত থাকতে পারেনা। তবে, প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার জন্য আমরা পুলিশ প্রশাসনকে বলব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Coochbehar: কোচবিহারে বাড়ি সংস্কার করতে হলেও দিতে হবে নতুন হারে পুরকর, আন্দোলনে বিজেপি

    Coochbehar: কোচবিহারে বাড়ি সংস্কার করতে হলেও দিতে হবে নতুন হারে পুরকর, আন্দোলনে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ির কোনও সংস্কার করতে হলেই দিতে হবে পুরকর। এমনই নির্দেশ জারি করেছে কোচবিহার (Coochbehar) পুরসভা। যা নিয়ে পুরসভা এলাকাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। পুরসভার হাজার হাজার বাসিন্দা চরম ক্ষুব্ধ। আর এই ইস্যুকে সামনে রেখেই আন্দোলনে নেমেছে বিজেপি।

    পুরসভার নতুন নির্দেশিকা কী? (Coochbehar)

    কোচবিহার (Coochbehar) পুরসভা এলাকায় পুরানো বাড়ি কেউ সংস্কার করলে, বাড়িতে কেউ টাইলস বা মার্বেল বসাতে চাইলে পুরসভাকে আগে কর দিতে হবে। পুরসভার নতুন ফরমান অনুযায়ী পুরসভার সব বাসিন্দাকে এই নির্দেশ মেনে চলতে হবে। আর এতেই পুরসভার বাসিন্দারা রীতিমতো ক্ষুব্ধ। একই সঙ্গে ভবানীগঞ্জের বাজারে বহু বছর ধরে ব্যবসায়ীরা রয়েছে। পুরসভার নির্দেশ অনুযায়ী কোনও ব্যবসায়ী নিজের দোকান কাউকে বিক্রি করতে পারবে না। কোনও ব্যবসায়ী দোকান বিক্রি করতে চাইলে পুরসভাকে তা হস্তান্তর করতে হবে। বৃহস্পতিবারই দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বিজেপির দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে মিছিল করে পুরসভায় জমায়েত হন। পুর কর্তৃপক্ষের কাছে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে দরবার করেন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, কোচবিহার (Coochbehar) পুরসভার সার্বিক পরিষেবা বলে কিছু নেই। মূলত এই পুরসভা এলাকায় একাধিক রাস্তা বেহাল রয়েছে। সেই রাস্তা সংস্কার করার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই। অথচ পুরসভার প্রচুর টাকা রয়েছে। কারণ, ভবানীগঞ্জের বাজার মিনি মার্কেট সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে পুরসভা প্রচুর টাকা পুরকর সংগ্রহ করে। কিন্তু, সেই টাকার কোনও পরিষেবা নেই। এখন বাড়ি সংস্কারে পুরকর ধার্য করেছে পুরসভা। এটা বাস্তবে নেওয়া কি ঠিক? পুরসভা গা জোয়ারি করে এই সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়েছে। পুরসভার বাসিন্দারা রীতিমতো ক্ষুব্ধ। পুরসভার এই অবিবেচক সিদ্ধান্ত নিয়ে পুরমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা এই ধরনের নিয়ম বদলানোর দাবি জানাচ্ছি। আমাদের এই আর্জি মেনে সিদ্ধান্ত বদল না করলে আমরা আগামীদিনে এই ইস্যুকে সামনে রেখে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল পরিচালিত কোচবিহার (Coochbehar) পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, পুর আইন অনুযায়ী আমি এই কাজ করেছি। পুর আইনের বাইরে আমি কিছু করিনি। সামনে নির্বাচন আছে তাই বিজেপি এসব করেছে। এটা নিয়ে আমার কাছে বলার কিছু  নেই।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Metro: ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো লাইনে চলবে কাজ, পরপর দুটি শনিবার বন্ধ পরিষেবা

    Kolkata Metro: ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো লাইনে চলবে কাজ, পরপর দুটি শনিবার বন্ধ পরিষেবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো রেল (Kolkata Metro) পরিষেবা বন্ধ থাকবে আগামী দুটি শনিবার। শিয়ালদা থেকে সেক্টর ৫ পর্যন্ত এই মেট্রো পরিষেবা বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি জানা গেছে এই সময়ে ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্তও মেট্রো লাইনে কাজ চলবে।

    কেন বন্ধ থাকবে (Kolkata Metro)?

    আগামী শনিবার ১৯ এবং ২৬ অগাস্ট মেট্রো (Kolkata Metro) পরিষেবা বন্ধ থাকবে। শিয়ালদা থেকে সেক্টর ৫ পর্যন্ত সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যারের জন্য ইন্টিগ্রেটেড সেফটির পরীক্ষা চলবে। ইন্টিগ্রেটেড সেফটি একটি মেট্রো রেলের বিশেষ ব্যবস্থা, যা নিরাপদ এবং সুরক্ষিত রাখে মেট্রোর যাত্রাপথকে। এই ব্যবস্থা ঠিক করার জন্য মেট্রো রেল পরিষেবা বন্ধ থাকবে। মেট্রো রেলের জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, ইন্টিগ্রেটেড সেফটি টেস্টের জন্য আগামী দুটি শনিবারে মেট্রো পরিষেবা বন্ধ থাকবে। সেই সঙ্গে তিনি আরও জানান যে মেট্রোর পরিকাঠামোর উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এই ইন্টিগ্রেটেড সেফটি কার্যকর করার কথা ভেবেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ স্টেশন পর্যন্ত বসানো হবে ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম। সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলে, এই সিস্টেম পরবর্তী স্টেশনে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে মেট্রোকে। যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার কথা ভেবেই যাত্রাপথ যাতে ঝুঁকিপূর্ণ না হয়, তাই এই প্রযুক্তির ব্যবহার বলে মনে করছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।

    মেট্রো একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম

    কলকাতা শহরের যাতায়াতের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হল মেট্রো রেল (Kolkata Metro)। এই মেট্রো রেলের ইস্ট-ওয়েস্ট রুটে শিয়ালদা থেকে সেক্টর ৫ পর্যন্ত যাত্রীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ পথ। শিয়ালদা থেকে প্রযুক্তি নগরে যাত্রীদের কম সময়ে এবং নিরপদে যেতে এই রুটে প্রত্যেকদিন প্রচুর মানুষ যাতায়াত করেন। বিমান বন্দর থেকে নিউ গড়িয়া পর্যন্ত মেট্রো রেলের কাজও খুব জোর কদমে চলছে। দ্রুত সংযোগ স্থাপনের কাজ শেষ হবে বলে জানা গেছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Gangasagar: কানাডায় বিশ্ব পুলিশ এবং ফায়ার গেমস প্রতিযোগিতায় সোনা জিতলেন সাগরের রাজেশ্বরী

    Gangasagar: কানাডায় বিশ্ব পুলিশ এবং ফায়ার গেমস প্রতিযোগিতায় সোনা জিতলেন সাগরের রাজেশ্বরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন খেলাধূলার ওপরই একটা টান ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরের (Gangasagar) সুমতি নগরের রাজেশ্বরী দাসের। আন্তর্জাতিক স্তরে বিশ্ব পুলিশ এবং ফায়ার গেমস অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় সোনা আনলেন তিনি। কানাডার মনিটাবোতে ২৮ জুলাই থেকে ৬ই অগাস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই প্রতিযোগিত। অনূর্ধ্ব ২৯ বছর মহিলাদের হাই জাম্প প্রতিযোগিতায় একের পর এক প্রতিযোগীকে হারিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে স্বর্ণপদক অর্জন করেছেন সাগরের এই তরুণী। এছাড়াও ট্রিপল জাম্পে রূপো ও লং জাম্প প্রতিযোগিতায় ব্রোঞ্জ জেতেন রাজেশ্বরী। বর্তমানে রাজেশ্বরী দিল্লি সিআইএসএফের হেড কনস্টেবল  পুলিশ ও  ফায়ার দফতরের অধীনে কর্মরত। রাজেশ্বরীর এই সাফল্যে আনন্দিত সাগরবাসী। পদক জয়ের পর সাগরে এসে পরিবারে সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।

    কী বললেন রাজেশ্বরী?

    রাজেশ্বরী বলেন, ২০২১ সালে সিআইএসএফের চাকরিতে যোগদান করেন। পরে, অল ইন্ডিয়া পুলিশ গেমসে প্রথম হয়ে বিশ্ব পুলিশ অ্যাথেলেটিক্স খেলার সুযোগ পান। রাজেশ্বরীর কথায়, কিছু দিন আগে চিঠি পেয়েছি। ওড়িশায় সিআইএসএফের এএসআই পদে পদোন্নতির জন্য এক মাসের ট্রেনিংয়ে যেতে হবে। টুর্নামেন্ট শেষ হলে সেখানে যাব। সুযোগের অভাবে গ্রামের বহু প্রতিভা নষ্ট হয়ে যায়। আমি আগামী দিনে এই প্রতিভাধারী ছেলেমেয়েদের জন্য কাজ করতে চাই। আমার এই জয় সাগরবাসীর (Gangasagar) জয়। দেশের হয়ে অলিম্পিক ও এশিয়ান গেমসের মতন আন্তর্জাতিক স্তরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে চাই এবং দেশের হয়ে পদক জিততে চাই।

    কী বললেন পরিবারের সদস্যরা? (Gangasagar)

    রাজেশ্বরীর বাবা সত্যব্রত দাসের ছোটখাট একটি ওষুধের দোকান রয়েছে। এর পাশাপাশি তিনি চাষবাসও করেন। তিনি বলেন, খুবই অভাবের সংসারে মেয়েকে লালন পালন করেছি। মেয়ের এই জয়ে আমরা খুবই গর্বিত। আমি চাই আমার মেয়ে দেশের হয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে দেশ ও দশের মুখ উজ্জ্বল করুক। রাজেশ্বরীর মা ভরণী দাস বলেন, অভাবের সংসারের মধ্যে খুব কষ্ট করে এক ছেলে ও এক মেয়েকে বড় করে তুলেছি আমরা। রাজেশ্বরীর অদম্য ইচ্ছার কাছে অভাব হার মেনেছে। রাজেশ্বরীর এই সাফল্যে আমরা খুবই গর্বিত ও আনন্দিত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share