Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • JU Student Death: ‘‘২২ অগাস্ট স্বপ্নদীপের দিন, বিধানসভায় যেন প্রস্তুত থাকে তৃণমূল’’, তোপ শুভেন্দুর

    JU Student Death: ‘‘২২ অগাস্ট স্বপ্নদীপের দিন, বিধানসভায় যেন প্রস্তুত থাকে তৃণমূল’’, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যুতে সরগরম রাজ্য। আগামী শুক্রবার ১৮ অগাস্ট বগুলায় মৃত ছাত্রের বাড়ি যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (JU Student Death)। বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি একথা জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত ১৯৪৭ সালের ১৮ অগাস্ট ভারতের মানচিত্রের সঙ্গে জুড়েছিল নদিয়া। সেই অর্থে শুক্রবার এই জেলার স্বাধীনতা দিবস। জানা গিয়েছে, সেখান থেকে মৃত ছাত্রের বাড়িতে যাবেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে থাকতে পারেন বিজেপির ১০ থেকে ১৫ জন বিধায়কও।

    বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারে মঞ্জুরি কমিশন

    ছাত্র মৃত্যুর (JU Student Death) ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার কথা রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসির প্রতিনিধিদের। এই প্রতিনিধি দল যাতে যাদবপুরে শীঘ্রই আসে সেজন্য তৎপর হয়েছেন বিরোধী দলনেতা (JU Student Death)। শীঘ্রই এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে চিঠিও লিখতে চলেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবারই তিনি এ কথা জানিয়েছেন। সরেজমিনে পরিস্থিতি যাতে খতিয়ে দেখে ইউজিসি, সেই অনুরোধ করবেন শুভেন্দু অধিকারী। একইসঙ্গে বিরোধী দলনেতার পাল্টা ঘোষণা, ২২ অগাস্ট ছাত্র মৃত্যুর ইস্যুতে চেপে ধরা হবে সরকারকে। এদিন বিরোধী দলনেতা বলেন যে ১ ইঞ্চি জমিও ছাড়া হবে না তৃণমূলকে। শুভেন্দুর তোপ, ২২ অগাস্ট বিধানসভার ভিতরে তাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য যেন প্রস্তুত থাকেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি এদিন আরও বলেন, ২২ অগাস্ট হবে স্বপ্নদীপের দিন (JU Student Death)। 

    যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যু (JU Student Death)

    এদিনই এবিভিপি-র কর্মী সমর্থকদের ওপর ব্যাপক লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রাক্তনীদের সভা এবং এবিভিপি-এর পাল্টা স্লোগানকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের অভিযোগ, প্রশাসন প্রাক্তনীদের সভা করার অনুমতি দিলেও তাদের কোনও রকম অনুমতি দেয়নি। এই ইস্যুতেও সরব হন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যাডার। তৃণমূলের নির্দেশে চলে। রাষ্ট্রবাদী সংগঠন এবিভিপির ওপর তাই কোনও কারণ ছাড়াই লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ।’’ প্রসঙ্গত, যাদবপুরকাণ্ডে ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে এক জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দা। তিনিও প্রাক্তনী বলেই জানা গিয়েছে (JU Student Death)। এপ্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘‘ জম্মুর ছেলে গ্রেফতার হয়েছে। এখানে কোনও বৃহত্তর ষড়যন্ত্র আছে কি না দেখতে হবে। এনআইএ তদন্ত দরকার।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JU Student Death: সভা-মিছিল ঘিরে উত্তপ্ত যাদবপুর, এবিভিপির ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ

    JU Student Death: সভা-মিছিল ঘিরে উত্তপ্ত যাদবপুর, এবিভিপির ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় বৃহস্পতিবারও সরগরম থাকল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর (JU Student Death)। এদিন সন্ধ্যাতেও উত্তেজনা ছড়াল। এবিভিপি-র কর্মী সমর্থকদের ওপর ব্যাপক লাঠিচার্জের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রাক্তনীদের সভা এবং এবিভিপি-এর পাল্টা স্লোগানকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের অভিযোগ, প্রশাসন প্রাক্তনীদের সভা করার অনুমতি দিলেও তাদের কোনও রকম অনুমতি দেয়নি। জানা গিয়েছে, প্রাক্তনীদের সভা চলছিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে, সে সময়ে এবিভিপি-র কর্মী সমর্থকরা ছাত্র মৃত্যুর প্রতিবাদে স্লোগান (JU Student Death) দিতে থাকেন। তখনই বিক্ষোভকারীদের জোর করে সরানোর চেষ্টা করে পুলিশ। পাল্টা প্রতিরোধ শুরু করে এবিভিপি। তারপরেই লাঠিচার্জ শুরু করে কলকাতা পুলিশ।

    তৃণমূল-বাম ছাত্র সংগঠনগুলির মধ্যে ধস্তাধস্তি 

    অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারই বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ ভবনের সামনে ধস্তাধস্তিতে শুরু হয় একাধিক বাম ছাত্র সংগঠন এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মধ্যে। এতে গোটা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুপক্ষই পাল্টা অভিযোগ এনেছে(JU Student Death) একে অপরের বিরুদ্ধে। একই সময়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভা এবং বাম ছাত্র সংগঠনগুলির যৌথ সভা ঘিরে উত্তেজনা শুরু হয়। দুই পক্ষ মুখোমুখি হতেই প্রথমে বচসা এবং পরে ধস্তাধস্তি হয়।

    লালবাজারে তলব বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে

    বৃহস্পতিবারই ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় লালবাজারে তলব করা হয় (JU Student Death) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে। টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশকর্তারা। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, হোস্টেল এবং প্রশাসনিক সংক্রান্ত বিষয়ে স্নেহ মঞ্জু বসুকে কুড়িটিরও বেশি প্রশ্ন করা হয়েছে।  সূত্রের খবর বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তরই দিন এড়িয়ে গিয়েছেন স্নেহমঞ্জু বসু। এবং  বলেছেন ডিন সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন। যদিও লালবাজারে বিকাল তিনটের সময় স্নেহমঞ্জু বসু এবং ডিন দুজনকেই তলব করা হয়েছিল। কিন্তু রজত রায় এদিন উপস্থিত হননি। এখনও পর্যন্ত অনেকেই গ্রেফতার হয়েছেন ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনায়। যাঁদের মধ্যে ওই হোস্টেলের প্রাক্তনী এবং আবাসিকরাও রয়েছেন। এখানে প্রশ্ন উঠছে প্রাক্তনী হওয়ার পরেও কিভাবে হোস্টেলে থাকা যায় (JU Student Death)?

    ওয়াকিবহাল মহল বলছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশও অমান্য করেছে। র‌্যাগিং সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল ২০০৯ সালে যে ছাত্রাবাসে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের আলাদা রাখতে হবে। এবং তা সম্ভব না হলে বজায় রাখতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তাদের অনবরত নজরদারি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এই ইস্যুতে শোকজ করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে (JU Student Death)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bjp: কোচবিহারে ভাঙন শাসক দলে, গেরুয়া শিবিরে যোগদান ২ নেতার

    Bjp: কোচবিহারে ভাঙন শাসক দলে, গেরুয়া শিবিরে যোগদান ২ নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গে যেন তৃণমূলের ঘর ভেঙেই চলেছে। ফের শাসক শিবির ছেড়ে বিজেপিতে (Bjp) যোগদান করতে দেখা গেল কোচবিহার জেলার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তৃণমূল নেতাকে। বুধবার গেরুয়া শিবিরে যোগদান করলেন কোচবিহার ১ নং ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি সিতেন বর্মন এবং চেয়ারম্যান অমল চন্দ্র সরকার। পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই বারংবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল কোচবিহার। লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। গাড়িতে হামলা হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকেরও। ঝরে বেশ কতগুলি তরতাজা প্রাণ। এতকিছুর পরেও ভোটের ফল ঘোষণা হতে দেখা যায়, বিজেপি (Bjp) জোর টক্কর দিয়েছে শাসকদলকে।

    আরও পড়ুুন: ভারতীয় অর্থনীতিকে দিশা দেখিয়েছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী

    অস্বস্তিতে শাসক শিবির…

    কোচবিহারের ১ নম্বর ব্লক থেকেই জেলা পরিষদের সভাধিপতি হন শাসক দলের সুমিতা বর্মন এবং সহ-সভাপতি হন আব্দুল জলিল আহমেদ। কিন্তু সেই ব্লকেই দলের ভাঙনে জোর অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক শিবির। এদিন দলত্যাগী দুই নেতাই দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, উত্তরবঙ্গে ক্রমশই পায়ের তলায় মাটি হারাচ্ছে তৃণমূল। লোকসভা ভোট যত এগোবে তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক তত বাড়বে।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে চার গির্জায় ভাঙচুর, পোড়ানো হল বাইবেলও, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন খ্রিস্টানরা

    কী বলছেন দলত্যাগী ২ নেতা

    দলত্যাগী দুই নেতা বৃহস্পতিবার একঝাঁক কর্মী সমর্থক নিয়ে বিজেপিরজেলা অফিসে হাজির হন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায়। বৃহস্পতিবার শাসকদলের দুই নেতাকে স্বাগত জানাতে কোচবিহার জেলা বিজেপির (Bjp) পার্টি অফিসে হাজির ছিলেন জেলা কমিটির একাধিক নেতা। দুই দলত্যাগী নেতার বক্তব্য, তৃণমূলে কোনও নীতি আদর্শ নেই। কোচবিহার জেলা তৃণমূল গোষ্ঠীকোন্দলে জর্জরিত। এখানে কেউ কাউকে মানে না। তাই মানুষের কাজ করতেই বিজেপিকে বেছে নিয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে বিজেপির (Bjp) জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘‘ওঁরা দুজনেই তৃণমূলের ব্লকের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপি (Bjp) জয়েন করলেন।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া তৃণমূলের, দখল করল বিজেপি

    Nadia: শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া তৃণমূলের, দখল করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের হাতছাড়া শান্তিপুর (Nadia) পঞ্চায়েত সমিতি। জেলার মধ্যে এই প্রথম পঞ্চায়েত সমিতি দখল করল বিজেপি। অতীতে কখনও বামফ্রন্ট, পরবর্তীতে তৃণমূলের হলেও শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতি এই প্রথম দখল করল বিজেপি। বিজেপি কর্মীদের মধ্যে তীব্র উচ্ছ্বাস। 

    কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস (Nadia)

    শান্তিপুর (Nadia) পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের পর বিজেপির নবনিযুক্ত সভাপতি হলেন নৃপেন মণ্ডল। তিনি হরিপুর ১০ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি থেকে জয়লাভ করেছিলেন। অপরদিকে সহ-সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হন চঞ্চল চক্রবর্তী, তিনি আবার ফুলিয়া টাউনশিপ ২৮ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি থেকে জয়লাভ করেছেন। পঞ্চায়েত সমিতি দখলের পর বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বিজয়োল্লাস লক্ষ্য করা যায়। এদিনের বোর্ড গঠন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রানাঘাট দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক পার্থসারথি চ্যাটার্জী এবং রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জগন্নাথ সরকার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রানাঘাট উত্তর-পূর্বের বিধায়ক অসীম বিশ্বাস, চাকদা বিধানসভার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ সহ অন্যান্য বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।

    বিজেপি সাংসদের বক্তব্য

    বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের (Nadia) দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ যেভাবে বিজেপির প্রতি আস্থা রেখেছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে ভোটই দেবে না মানুষ। তিনি পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, থানার ওসি অঞ্চল সভাপতির মতো আচরণ করছেন। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এলাকায় ঢুকে বিজেপি কর্মীদের ঘরছাড়া, মারধর করে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। শাসকের এত হিংসার পরেও মানুষ বিজেপিকে জয়যুক্ত করেছেন। এই জয় সাধারণ মানুষের জয়।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করলেও খোঁচা দিতে ছাড়লেন না শান্তিপুরের (Nadia) তৃণমূল বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী। তাঁর দাবি, বিজেপি বারবার দাবি করে এই রাজ্যে ডবল ইঞ্জিনের সরকার গড়বে। যেদিন এই রাজ্যে ডবল ইঞ্জিনের সরকার হবে, সেদিন এই রাজ্য উত্তরপ্রদেশে পরিণত হবে। এই রাজ্যে তৃণমূল আছে বলেই মা বোনেরা এখনও স্বাধীনভাবে রাস্তায় বেরোতে পারছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Tourist Places: নীল তরঙ্গমালার নিঃশব্দ আহ্বান বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ, হেনরিজ আইল্যান্ড!

    West Bengal Tourist Places: নীল তরঙ্গমালার নিঃশব্দ আহ্বান বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ, হেনরিজ আইল্যান্ড!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের উপকূল পর্যটনে (West Bengal Tourist Places) বরাবরই এক বিশেষ স্থান রয়েছে এই প্রান্তিক উপকূল পর্যটন কেন্দ্র বকখালির। কিছুদিন আগে পর্যন্ত বকখালি যাওয়ার জন্য কলকাতা থেকে নামখানা অবধি বাসে বা ট্রেনে গিয়ে তারপর ফেরি নৌকায় হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদী পেরিয়ে আবার গাড়ি বা বাসে পৌঁছতে হত বকখালি। কিন্ত এখন নদীর ওপর সেতু তৈরি হয়ে যাওয়ায় সেই ঝক্কি আর সামলাতে হয় না। ফলে পর্যটকরা সরাসরি বাসে বা গাড়ি নিয়েই পৌঁছে যেতে পারেন কলকাতা থেকে মাত্র ১২৮ কিমি দূরের এই মনোরম সমুদ্র সৈকত বকখালিতে। একদিকে বঙ্গপোসাগরের নীল তরঙ্গমালার অমোঘ আহ্বান, অপরদিকে সোনালী বালুকাবেলার দুরন্ত হাতছানি, মাথার ওপর সুনীল আকাশ, তটভূমি জুড়ে সারি সারি ঝাউগাছের বাঙ্ময়, অথচ নিঃশব্দ আমন্ত্রণ-প্রকৃতি প্রেমিক পর্যটকদের হৃদয় হরণের জন্য আর কী চাই? মূলত এই সাগর আর এই অসাধারণ প্রকৃতির টানেই হাজার হাজার মানুষ বারবার ছুটে আসেন বকখালিতে। সমুদ্র ছাড়াও এখানে রয়েছে একটি কুমির প্রকল্প। কুমির ছাড়াও আছে বেশ কয়েকটি হরিণ।

    ম্যানগ্রোভ অরণ্যের মাঝে হেনরিজ আইল্যান্ড (West Bengal Tourist Places) 

    বকখালি থেকে মাত্র ৪-৫ কিমি দূরে আর একটি সুন্দর স্থান হেনরিজ আইল্যান্ড (West Bengal Tourist Places)। প্রকৃতপক্ষে এটি পঃ বঃ মৎস্য উন্নয়ন নিগমের একটি প্রকল্প। এই মৎস্য উন্নয়ন নিগম বা দি ফিশারিজ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের উদ্যোগেই এই ম্যানগ্রোভ অরণ্যের মাঝে গড়ে উঠেছে পর্যটন কেন্দ্র। এখানে বেশ কয়েকটি সুবিশাল জলাশয়ে করা হচ্ছে মাছের চাষ। পর্যটকদের চারপাশের শোভা দর্শনের জন্য রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। একটু এগিয়ে গেলেই ঘন ম্যানগ্রোভ অরণ্য। তারপরেই সমুদ্র। অপূর্ব পরিবেশ। মৎস্য উন্নয়ন নিগম এখানে পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থাও করেছে। এদের এখানে আছে  দুটি থাকার ব্যবস্থা- ১) সুন্দরী ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্স এবং ২) ম্যানগ্রোভ ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্স।

    নির্জন বিচ ফ্রেজারগঞ্জ (West Bengal Tourist Places) 

    বকখালি থেকে প্রায় ৪ কিমি পথ গেলে আর এক  সুন্দর, নিরালা, নির্জন বিচ ফ্রেজারগঞ্জ (কলকাতার দিক থেকে যাওয়ার সময় আগে পড়বে এই ফ্রেজারগঞ্জ)। এখানে থাকার জন্য রয়েছে বেনফিশের হোটেল। এছাড়াও আছে বেশ কিছু বেসরকারি হোটেল (West Bengal Tourist Places) ।

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন?

    কলকাতার ধর্মতলা থেকে বর্তমানে সরাসরি বাস যাচ্ছে বকখালি (West Bengal Tourist Places)। অন্যথায় শিয়ালদা থেকে ট্রেনে নামখানা এসে সেখান থেকে ফেরি নৌকায় নদী পেরিয়ে নামখানা-বকখালি বাসে অথবা গাড়ি ভাড়া করে যাওয়া যায় বকখালি। বকখালিতে থাকার জন্য আছে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগম বা ডব্লিউবিটিডিসি (WBTDC)-এর বকখালি ট্যুরিস্ট লজ। এছাড়াও এখানে রয়েছে বেশ কিছু বিভিন্ন মানের ও বিভিন্ন দামের বেসরকারি হোটেল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটে ২৪ ঘণ্টা বনধ ডাকলেন ব্যবসায়ীরা, আন্দোলনের পাশে বিজেপি

    Siliguri: শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটে ২৪ ঘণ্টা বনধ ডাকলেন ব্যবসায়ীরা, আন্দোলনের পাশে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোকানের মালিকানার দাবিতে বুধবার সকাল থেকে শিলিগুড়ির (Siliguri) বিধান মার্কেটে শুরু হয়েছে ২৪ ঘণ্টার ব্যবসা বনধ। এখানেই রয়েছে হংকং মার্কেট। পাহাড়, জঙ্গল ঘুরতে এসে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা একবারের জন্য হলেও হংকং মার্কেটে আসেন বিদেশি পণ্য কেনার জন্য। কিন্তু এদিন হঠাৎ করে বাজার বন্ধ থাকায় অনেকেই হতাশ হয়ে ফিরে যান। দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনের পরও দোকানের মালিকানা না পেয়ে এদিন ব্যবসা বনধ ডাকার পাশাপাশি প্রতিবাদ মিছিল করেন ব্যবসায়ীরা। এই মিছিলে পা মেলান সমস্ত ব্যাবসায়ী ও কর্মচারীরা। সুবিশাল মিছিল বিধান মার্কেট থেকে শুরু হয়ে শহরের মূল রাস্তা পরিক্রমা করে।

    কেন এই ব্যবসা বনধ?

    দেশভাগের পর উদ্বাস্তু হয়ে আসা মানুষের পুনর্বাসনের জন্য শিলিগুড়িতে (Siliguri) এই বাজার তৈরি করেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়। সেই মতো এই বাজারের নামকরণ করা হয় বিধান মার্কেট। কিন্তু, এতদিন পরেও বংশানুক্রমে ব্যবসা করে আসা ১৬২০ জন ব্যবসায়ী দোকানের মালিকানা তথা জমির সত্ত্ব পাননি। দোকানের মালিকানার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে আসছেন বিধান মার্কেটের ব্যাবসায়ীরা। রাজ্যের শাসক দল সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে তা বাস্তবায়িত হয়নি। শিলিগুড়ি- জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’র (এস জে ডি) সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেও ব্যবসায়ীরা দোকানের মালিকানা পাননি। অবশেষে ধর্মঘটের পথে হাঁটেন ব্যাবসায়ীরা। বিধান মার্কেট ব্যাবসায়ী সমিতির সম্পাদক বাপি সাহা বলেন, এরপরেও এসজেডিএ যদি আমাদের দাবি পূরণ না করে তাহলে আমরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।

    ব্যবসায়ীদের আন্দোলনের পাশে বিজেপি

    এদিকে শিলিগুড়ির (Siliguri) বিধান মার্কেটের ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা ও তাঁর দল। দোকানের মালিকানা পাওয়ার ক্ষেত্রে কোথায় সমস্যা হচ্ছে সেবিষয়ে তিনি বিধান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সবরকমভাবে ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে রাজু বিস্তা রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে  প্রশ্ন তোলেন, পশ্চিমবঙ্গে যদি রোহিঙ্গাদের পাট্টা দেওয়া হয়, তাদের ভারতের পরিচয়পত্র দেওয়া হয়, তাহলে বিধান মার্কেটের ব্যবসায়ীদের কেন দোকানের পাট্টা দেওয়া হবে না?

    কী বলছে এসজেডিএ?

    এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, এদিনই বিধান মার্কেটের ব্যবসায়ীদের আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছে। তারা এলে আলোচনা করে গোটা বিষয়টি রাজ্য সরকারকে জানানো হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: খানাকুলে বিজেপির মণ্ডল সভাপতির বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি, বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Arambagh: খানাকুলে বিজেপির মণ্ডল সভাপতির বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি, বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোর্ড গঠনের পরই অশান্তি হুগলি জেলার আরামবাগ (Arambagh) মহকুমার খানাকুলে। বিজেপির মণ্ডল সভাপতির বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি, বোমাবাজি করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার গুলির খোল ও তিনটি তাজা বোমা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের। রাতভর বোমাবাজির জেরে আতঙ্কিত ঠাকুরানিচক এলাকার বেরাপাড়া। বাড়ির গৃহবধূ থেকে শুরু করে বয়স্ক মানুষ ও ছাত্রছাত্রীরা আতঙ্কে ঘরবন্দি হয়ে রয়েছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Arambagh)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগের (Arambagh) খানাকুলের ঠাকুরানিচকের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সুদীপ বেড়ার বাড়িতে গুলি ও বোমা ছোড়া হয়। বাড়ি লক্ষ্য করে একের পর এক গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এমনকী বোমাবাজিও করা হয় বলে অভিযোগ। এদিন সকাল থেকেই ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়ন করা হয়। পুরো এলাকায় পুলিশি টহল চলছে। এই বিষয়ে ওই এলাকার এক গৃহবধূ মিতা বেরা বলেন, পুরো পাড়া বোমা গুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে আছে। গভীর রাতে গুলি চলে। ভয়ে গোটা পাড়ার মানুষ বাড়ির বাইরে বের হতে পারেনি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা তপন মণ্ডল বলেন, খানাকুলের তৃণমূল নেতা নইমুল হক ও বিদায়ী প্রধান শীতল মণ্ডলের নেতৃত্বে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সুদীপ বেরার বাড়িতে হামলা হয়। গুলি ও বোমা ছোঁড়া হয়। লাগাতার সন্ত্রাস চলে। বাড়িতে গর্ভবতী বোন ছিল। তাঁর মাথার উপর দিয়ে গুলি চলে যায়। বোর্ড গঠনের পরই তৃণমূল এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    তৃণমূল নেতা নইমুল হক বলেন, লোকের বাড়িতে ঝামেলা করা আমাদের দলের এই সব নীতি আদর্শ নয়। বিজেপি দুষ্কৃতীকারী দল। বোর্ড গঠনের দিন বিজেপি পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। তৃণমূলের নাম খারাপ করার জন্য বিজেপি চক্রান্ত করেছে। সবমিলিয়ে পুলিশ বোমা ও গুলির খোল গুলো উদ্ধার করার পাশাপাশি তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Health University: চিকিৎসক নিয়োগ থেকে বদলি, দুর্নীতি রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়েও? 

    West Bengal Health University: চিকিৎসক নিয়োগ থেকে বদলি, দুর্নীতি রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়েও? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কখনও অভিযোগ উঠেছে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে, কখনও পরীক্ষা ঘিরে নানা অব্যবস্থা প্রকাশ্যে এসেছে। আবার কখনও বদলির প্রক্রিয়া নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু তারপরেও কোনও রকম পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। কিন্তু পদ চলে যাওয়ার পরেই সক্রিয় তিনি। আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের (West Bengal Health University) উপাচার্যের পদচ্যুত হওয়া ও তারপরে তাঁর আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার ঘটনাকে অন্তত এভাবেই কটাক্ষ করছে রাজ্যের চিকিৎসক মহলের একাংশ।

    কী অভিযোগ উঠছে উপাচার্যের (West Bengal Health University) বিরুদ্ধে? 

    সরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের একাংশের অভিযোগ, নিয়োগ থেকে বদলি, কিছুই নিয়ম মতো হচ্ছে না। একের পর এক সরকারি হাসপাতাল মেডিক্যাল কলেজে উন্নীত হচ্ছে। কিন্তু নিয়ম মাফিক মেডিক্যাল পড়ানোর কোনও পরিকাঠামো সেখানে গড়ে উঠেছে না। আর সে নিয়ে কোনও রকম সক্রিয়তা দেখাননি স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের (West Bengal Health University) উপাচার্য সুহৃদা পাল। অভিযোগ, একাধিক সরকারি মেডিক্যাল কলেজের একাধিক বিভাগে প্রয়োজনীয় শিক্ষক-চিকিৎসক নিয়োগ করা হয় না। ফলে, এমবিবিএস পড়ুয়াদের নিয়মিত ক্লাস করতে অসুবিধা হয়। অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে নিয়োগ হয় না। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। 
    এছাড়াও বদলি নিয়ে অভিযোগ করেছেন শিক্ষক-চিকিৎসকদের একাংশ। নির্দিষ্ট সময় মেনে বদলির রীতি কার্যত উঠে গিয়েছে। তাদের অভিযোগ, এ নিয়ে উপাচার্যকে একাধিকবার জানানোর পরেও কোনও হেলদোল হয়নি। শুধুমাত্র রাজ্যের শাসক দলের ঘনিষ্ঠ হলে তবেই কলকাতা বা বড় শহরের মেডিক্যাল কলেজে পড়ানোর সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে, এমন অভিযোগ করছেন শিক্ষক-চিকিৎসকদের একাংশ।

    সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ (West Bengal Health University) কী?

    তবে, সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দলের ঘনিষ্ঠ এমবিবিএস পড়ুয়ারা মেডিক্যাল কলেজে নানা কুকর্ম করলেও কোনও শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি পরীক্ষার সময়েও প্রয়োজনীয় কোনও ব্যবস্থা স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় করছে না বলে অভিযোগ। কয়েক মাস আগেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষা চলাকালীন এক তৃণমূল নেতা মোবাইল হাতে পরীক্ষা হলে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়। তারপরেও সেই পরীক্ষা বাতিল কিংবা সেই ঘটনার তদন্তের কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয় বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে কল্যাণী জেএনএম, একাধিক মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষার সময় নজরদারি করা যায় না। এমনকি পরীক্ষার্থীদের পাশ করানো নিয়েও শিক্ষক-চিকিৎসকদের হুমকি দেওয়া হয়। এ নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ করলেও উপাচার্য কোনও পদক্ষেপ করেননি বলেই অভিযোগ। কিন্তু সম্প্রতি রাজ্যপাল হস্তক্ষেপ করতেই পদ আগলে রাখতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সুহৃদা পাল। আর তারপরেই চিকিৎসকদের একাংশের মন্তব্য, স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের (West Bengal Health University) উপাচার্যের দায়িত্ব সামলাতে যদি এতখানি তৎপর হতেন, তাহলে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে পড়াশোনার মান অনেক ভালো হতো। সর্বপরি রাজ্যের মানুষ সুদক্ষ চিকিৎসক পেতেন।

    অভিযোগ প্রসঙ্গে কী বললেন সুহৃদা পাল (West Bengal Health University)? 

    সমস্ত অভিযোগ প্রসঙ্গে মুখ খুলতে নারাজ সুহৃদা পাল (West Bengal Health University)। যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়ে দেন, বিষয়টি আদালতের অধীনে রয়েছে। তাই কোনও মন্তব্য করবেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ

  • Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন গ্রেফতার করার কথা বললেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন গ্রেফতার করার কথা বললেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুকাণ্ডে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগে জেলে ঢোকানো উচিৎ বলে মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। যাদবপুরের ঘটনা নিয়ে রাজ্যুজুড়়ে তোলপাড় চলছে। কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়েছে মৃত ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে। বিজেপিও এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারকে কার্যত কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে।

    মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করার কথা কেন বললেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    বুধবার তমলুক জেলা পরিষদের জয়ী বিজেপি সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, যাদবপুরের ছেলেটা আত্মবলিদান দিয়ে চোখ খুলিয়ে দিয়েছে। রাজ্যের অন্য কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে কি হচ্ছে কোনও খবর আছে? তিনি অভিযোগ করেন, কোন কলেজ হোস্টেলগুলোতে সিসিটিভি কিংবা সুপার আছে? আসল সমস্যার সমাধান না করে নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। একে ধরছে, ওকে ধরছে আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধরা উচিৎ। তাঁর ব্যবস্থাপনায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মধ্যযুগীয় বর্বরতা চলছে। যেখানেই হাত দেবেন পচা গন্ধ বের হবে কোনও দফতরই ভালো না। যাদের যোগ্যতা নেই তাঁদের রেজিষ্টার, প্রো ভিসি করা হয়েছে। অ্যাডমিশন বেচে খেয়েছে। যারা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কালেক্টর ছিল। ডিয়ার লটারি ও মদ খাইয়ে যুব সমাজকে পঙ্গু করে দিয়েছে। তাই আজ কলেজে অনার্স বিভাগে ৫০ শতাংশ সিট খালি থাকে।

     বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের কী বার্তা দিলেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    এদিন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ গঠন নিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, জেলা পরিষদের বিজেপির ১৪ জন জয়ী সদস্য শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকবে। কিন্তু, সভাধিপতি ও সহ সভাধিপতি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে না। বিগত বোর্ডের সময় জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের সৌজন্যে জেলা পরিষদ পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছিল। আমরা তা আর হতে দেবোনা। দলের ১৪ জন সদস্য দক্ষ বিরোধী দলনেতা ঠিক করবে। সেই সুদক্ষ বিরোধী দলনেতা জেলা পরিষদের স্বচ্ছভাবে কাজ যাতে হয় তা দেখবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • By Election: পুলওয়ামায় শহিদ জওয়ানের স্ত্রী তাপসীকে ধূপগুড়ি উপ নির্বাচনে প্রার্থী করল বিজেপি

    By Election: পুলওয়ামায় শহিদ জওয়ানের স্ত্রী তাপসীকে ধূপগুড়ি উপ নির্বাচনে প্রার্থী করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের মৃত্যুর পর থেকে ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্র ফাঁকা ছিল। সম্প্রতি নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর হতে চলেছে উপ নির্বাচনের (By Election) ভোট। আর সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ৮ সেপ্টেম্বর ফল ঘোষণা হওয়ার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস-বাম জোট প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। তৃণমূলও এই উপ নির্বাচনে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এতদিন বিজেপি এই আসনে কারও নাম ঘোষণা করেনি। ফলে, বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুর পর এই আসনে দল কাকে প্রার্থী করে তা নিয়ে দলের অন্দরে চর্চা ছিল। অবশেষে শহিদ জওয়ানের স্ত্রী তাপসী রায়কে এই উপ নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তিনিও রাজবংশী। মঙ্গলবারই বিজেপির তরফে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

    বিজেপি প্রার্থী হয়ে কী বললেন শহিদ জওয়ানের স্ত্রী? (By Election)

    ২০১৯ সালে কাশ্মীরে পুলওয়ামায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান ধূপগুড়ি ব্লকের জুরাপানি এলাকার বাসিন্দা সিআরপিএফ জওয়ান জগন্নাথ রায়। স্ত্রীর কোলে তখন ছিল সদ্যোজাত সন্তান। সেই ঘটনার চার বছর পর ভোটে লড়তে চলেছেন তাপসী। ৩২ বছর বয়সী তাপসী  বর্তমানে ধূপগুড়ি শরৎপল্লি এলাকায় থাকেন। তাঁর এক চার বছরের সন্তান রয়েছে। রাজনীতিতে সক্রিয় না হওয়া সত্ত্বেও তাঁকেই বেছে নেওয়া হয়েছে প্রার্থী হিসেবে। উপ নির্বাচন (By Election) প্রার্থী হওয়ার পর তাপসী বলেন, মানুষকে পরিষেবা দিতে এলাকার উন্নয়ন করতে চাই। আমি হাসপাতালের উন্নয়ন করতে চাই। মা-বোনেদের জন্য কিছু করতে চাই। আমি চাই সবাই যেন আমার পাশে থাকেন, আমাকে আশীৰ্বাদ করেন।

    বিজেপি-র বিরুদ্ধে এই উপ নির্বাচনে কারা প্রার্থী হয়েছেন?

    ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে (By Election) বিজেপির প্রার্থী হলেন শহিদ জওয়ানের স্ত্রী তাপসী রায়। মঙ্গলবারই বিজেপির তরফে নাম প্রকাশ করা হয়েছে। কয়েকদিন আগেই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল। দীর্ঘদিনের তৃণমূলকর্মী ড. নির্মলচন্দ্র রায়কে প্রার্থী করা হয়েছে সেখানে। রাজবংশী সংস্কৃতিই তাঁর চর্চার বিষয়। ধূপগুড়ির মাগুরমারির বাসিন্দা নির্মল রায় বইও লেখেন। অন্যদিকে বামেরা প্রার্থী করেছেন অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক তথা ভাওয়াইয়া সঙ্গীত শিল্পী ঈশ্বরচন্দ্র রায়কে। বাম ও কংগ্রেস জোট হিসেবেই লড়বে এই নির্বাচনে। তাঁদেরই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন শহিদ জওয়ানের স্ত্রী তাপসী রায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share