Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Islampur: ফের ইসলামপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ১৫, এলাকায় উত্তেজনা

    Islampur: ফের ইসলামপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ১৫, এলাকায় উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত ইসলামপুর (Islampur)। এবারে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে চলল গুলিও। গুলিবিদ্ধ প্রায় ১৫ জন। তাদের ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের সুজালি গ্রাম পঞ্চায়েতের চোতরাগছ গ্রামের আতালডাঙ্গী-হাট এলাকায়। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে গোটা এলাকাজুড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ইসলামপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। বুধবার সকাল থেকে সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Islampur)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  স্থানীয় আতালডাঙ্গী-হাট এলাকায় হঠাৎই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের জেরে চলে গুলি ও ব্যাপক বোমাবাজি হয়। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন প্রায় ১৫ জন। আহতদের অভিযোগ, আমরা তৃণমূল কর্মী। জেলা পরিষদ আসনে নির্দল প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ার কারণে আমাদের ওপরে গুলি চালানো হয়েছে। ইসলামপুরের (Islampur) সুজালি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আব্দুল হক ও তার লোকজন এই হামলার ঘটনায় জড়িত। উল্লেখ্য, উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের ৪নং আসনে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন মৌসুমী খাতুন। তৃণমূলের টিকিট না পাওয়ায় নির্দল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে নেমেছিলেন চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের মেয়ে আরজুনা বেগম। নির্বাচনে জয়ী হয় তৃণমূল প্রার্থী মৌসুমী খাতুন। এই প্রার্থী পদ নিয়ে শুরু থেকেই সেখানে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব লেগেই ছিল। তারই অঙ্গ হিসেবে মঙ্গলবার এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন আহতরা। সংঘর্ষে আহত মহঃ সারোয়ার নামে এক তৃণমূল কর্মী জানিয়েছেন, আমরা মহঃ জাহিদুলের অনুগামী। আমরা তৃণমূল প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছি। চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের মেয়ে নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাঁকে আমরা ভোট দিইনি। তাই তাঁর লোকজনেরা আমাদের ওপরে গুলি চালিয়েছে। অপর এক গুলিবিদ্ধ খলিল মহম্মদ জানিয়েছেন, আমি তৃণমূল দল করি। আমি হাটে গিয়েছিলাম। হঠাৎ করে নির্দল প্রার্থীর লোকজনেরা গুলি চালাতে আরম্ভ করে। আমারও পায়ে গুলি লেগেছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    ঘটনার খবর পেয়ে ইসলামপুর (Islampur) হাসপাতালে ছুটে আসেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল, ইসলামপুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন, ইসলামপুরের যুব তৃণমূল নেতা কৌশিক গুণ সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। তাঁরা অবশ্য এই গোষ্ঠীকোন্দলের বিষয়টি এড়িয়ে যান। এই ঘটনায় জেলা পরিষদের বিজয়ী তৃণমূল প্রার্থী মৌসুমী খাতুনের স্বামী মহঃ জাহিদুল বলেন, আতালডাঙ্গী এলাকায় আমাদের কিছু লোক বাজার করতে গিয়েছিল। সেখানে তাদের উপরে নির্দল সমর্থিত কিছু দুষ্কৃতী হামলা চালায় ও গুলি করে। ওই এলাকা বিরোধীশূন্য হলেও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সেখানে দুটি গোষ্ঠী হয়ে গিয়েছিল। বেশ কিছুদিন ধরেই নির্দল সমর্থিত দুষ্কৃতীরা আমাদের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের হুমকি দিচ্ছিল। সুজালি অঞ্চলে কোনও অশান্তি হোক আমরা তা চাইনি। তাই আমাদের লোকজনদের শান্ত থাকতে বলেছিলাম। কিন্তু, আজ অশান্তি হয়েই গেল। এ বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগারওয়াল বলেন, ২০-২২ জনের মতো আহত হয়েছে। তাদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। ১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনা পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে। পুলিশ সঠিক তদন্ত করবে। তারপরই বিস্তারিত জানা যাবে।” 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Flag: অবাককাণ্ড! স্বাধীনতা দিবসে ৮০০ মিটার দীর্ঘ জাতীয় পতাকা নিয়ে পদযাত্রা, উন্মাদনা

    Indian Flag: অবাককাণ্ড! স্বাধীনতা দিবসে ৮০০ মিটার দীর্ঘ জাতীয় পতাকা নিয়ে পদযাত্রা, উন্মাদনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসে ঘরে ঘরে জাতীয় পতাকা টাঙানোর কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মোদিজির ডাকে সাড়া দিয়ে মঙ্গলবার বেলা ১২টা পর্যন্ত প্রায় ৯ কোটি দেশবাসী পতাকা উত্তোলন করে সেলফি আপলোড করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের এই উদ্যোগে দেশ জুড়ে সব স্তরের মানুষই উজ্জীবিত। পাশাপাশি ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবসের দিন মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে বিশালাকার জাতীয় পতাকা (Indian Flag) নিয়ে পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

    জাতীয় পতাকার দৈর্ঘ্য কত? (Indian Flag)

    ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবসের সকালে জিয়াগঞ্জ শহরে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানের ছেলেমেয়েরা ৮০০ মিটার দীর্ঘ এক বিশাল জাতীয় পতাকা (Indian Flag) নিয়ে শহর পরিক্রমা করেন। বিশিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষিকা ও প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের হাত ধরে ৮০০ মিটারের এক বিশাল জাতীয় পতাকা নিয়ে এদিন এই পদযাত্রা করা হয়। এদিন দীর্ঘকায় পতাকা দেখতে রাস্তার দুধারে ভিড় উপচে পড়ে। ৮০০ মিটার দীর্ঘ পতাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রায় ১৫০০ জন ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এতবড় পতাকা এর আগে কখনও দেখিনি।

    কী বললেন উদ্যোক্তারা?

    জিয়াগঞ্জের এই কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের এক কর্মকর্তা বলেন, ২০১৮ সালে ১৫ আগস্ট ৪০০ মিটার লম্বা জাতীয় পতাকা (Indian Flag) নিয়ে রাস্তা পরিক্রমা করা হয়েছিল। করোনার কারণে দুবছর বন্ধ ছিল। ২০২১ সালে সেই জাতীয় পতাকা ৫০০ মিটার লম্বা এবং ৯ মিটার চওড়া ছিল। ২০২২ সালে জাতীয় পতাকা বেড়ে ৭৫০ মিটার করা হয়। এবছর আরও ৫০ মিটার বৃদ্ধি পেয়ে ৮০০ মিটার দীর্ঘ পতাকা করা হয়। বিভিন্ন বয়সের দেড় হাজার পুরুষ, মহিলা এই জাতীয় পতাকা বহন করে গোটা জিয়াগঞ্জ শহর পরিক্রমা করা হয়েছে। এই পতাকাটি তৈরি করেছেন জিয়াগঞ্জ শহরের ফুলতলার দর্জি অজিত সেখ এবং তাঁর ছেলে রণি সেখ।

    হাজারদুয়ারিকে আলোকসজ্জায় তেরঙ্গা রংয়ে রাঙিয়ে তোলা হয়

    এছাড়াও ২০২২ সাল থেকে ১৫ ই আগস্টে ঐতিহাসিক হাজারদুয়ারি প্যালেসকে জাতীয় পতাকার রংয়ের আলোকে সজ্জিত করা হয়। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে হাজারদুয়ারিকে তেরঙ্গা রংয়ে রাঙিয়ে তোলা হয়। এবছর সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজনীতি ছাড়ার কেন হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজনীতি ছাড়ার কেন হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রামের অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করেছে বিজেপি। এবার পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িতে তৃণমূল সুপ্রিমোকে ফের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    রাজনীতি ছাড়ার কথা কেন বললেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ঘোষণা করেছিলেন নন্দীগ্রাম বিধানসভা আসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যদি হারাতে না পারি, তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। বিতর্ক থাকলেও নন্দীগ্রামের বিধায়ক হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনে শুভেন্দু বলেছিলেন পঞ্চায়েত নির্বাচনে নন্দীগ্রামে বিজেপি অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি দখল করবে। বোর্ড গঠনে দেখা গেল নন্দীগ্রামের দুটি পঞ্চায়েত সমিতি বিজেপি দখল নেয়। সোমবার নন্দীগ্রাম-১ ও নন্দীগ্রাম-২ পঞ্চায়েত সমিতি দখল নেওয়ার পর নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে আবারও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।  তিনি বলেন, তৃণমূল টাকা দিয়ে ভাঙ্গানোর যে খেলা খেলে চলেছে তার জবাব আমি দেব। কীভাবে খেলতে হয় তা আমার জানা আছে। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, আগামী ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে কাঁথি লোকসভা কেন্দ্র থেকে ৩ লক্ষের বেশি এবং তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে ২ লক্ষের বেশি ভোটে বিজেপি প্রার্থীদের যদি জেতাতে না পারি, মোদিজির হাতে তুলে দিতে না পারি, আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো। বিধানসভার মত লোকসভা ভোটের আগে আবারও চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    সামনে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এই ধরনের চ্যালেঞ্জ রাজ্য রাজনীতিতে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে শুভেন্দু বলেন, ৯ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রী তিনটি স্লোগান দিয়েছিলেন পরিবারবাদীরা ভারত ছাড়ো, দুর্নীতিগ্রস্তরা ভারত ছাড়ো, আর তোষণবাদীরা ভারত ছাড়ো। আর ওই স্লোগানগুলিকে সফল করতেই কর্মীদের বার্তা দেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mahatma Gandhi: চরম অবহেলায় পড়ে রয়েছে গান্ধীর স্মৃতি বিজড়িত সোদপুর খাদি প্রতিষ্ঠান

    Mahatma Gandhi: চরম অবহেলায় পড়ে রয়েছে গান্ধীর স্মৃতি বিজড়িত সোদপুর খাদি প্রতিষ্ঠান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চরম অবহেলায়, অনাদরে পড়ে রয়েছে মহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Gandhi) স্মৃতি বিজড়িত সোদপুর খাদি প্রতিষ্ঠান। অথচ বহুদিন আগেই এই প্রতিষ্ঠানটিকে হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রতিষ্ঠানের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ইতিমধ্যেই জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদী প্রতিষ্ঠানের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেছেন। ফের আরও একটি স্বাধীনতা দিবস চলে এল। আজ ১৫ অগাস্ট সেখানে নিয়ম মেনে পতাকা উত্তোলন হবে। ব্যাস ওই পর্যন্ত। কিন্তু, বাস্তবে খাদি প্রতিষ্ঠানে সংস্কারে কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি রাজ্য সরকার।

    কে তৈরি করেছিলেন এই খাদি প্রতিষ্ঠান? (Mahatma Gandhi)

    আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের ছাত্র সতীশচন্দ্র দাশগুপ্ত এই প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছিলেন। সুলেখা কালির আবিষ্কারক ছিলেন তিনি। তাঁর গবেষণা থেকে অর্জিত অর্থ দিয়ে এই প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল। ১৯২৭ সালের ২ জানুয়ারি ১৭ বিঘের জমির উপর এই প্রতিষ্ঠান পথ চলা শুরু করেছিল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পন্ডিত মোতিলাল নেহেরু, আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়সহ বহু কংগ্রেস নেতৃত্ব উপস্থিত হয়েছিলেন। খাদি ও খদ্দর শিল্পের উন্নতির জন্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় বহু উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। যা পরবর্তীকালে ফলপ্রসূ হয়েছিল। এই খাদি প্রতিষ্ঠানে ১২টি উত্পাদন কেন্দ্র, ২৫টি বিক্রয় কেন্দ্র, ৪৭৫ জন তাঁতি এবং ৬৮০০টি চড়কা ছিল। এই প্রতিষ্ঠান থেকে সেই সময় প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকার দ্রব্য উত্পাদন করা হত। গান্ধীজি (Mahatma Gandhi) ১৯৩৯, ১৯৪৫, ১৯৪৬ এবং ১৯৪৭ সালে এই সোদপুর খাদি প্রতিষ্ঠানে বেশ কয়েকবার এসেছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার কয়েকদিন আগে ১৯৪৭ সালের ৯ অগাস্ট বেলেঘাটা যাওয়ার আগে তিনি এই প্রতিষ্ঠানে ছিলেন। ১৩ অগাস্ট পর্যন্ত তিনি এই প্রতিষ্ঠানে ছিলেন। গান্ধীজির ছাড়াও এই প্রতিষ্ঠানে সুভাষচন্দ্র বসু, জওহরলাল নেহরু, রাজেন্দ্র প্রসাদ, মোতিলাল নেহেরু, সরোজিনী নাইডু, বিধানচন্দ্র রায়, খান আব্দুল গফ্ফর খান সহ বিশিষ্টজন এসেছিলেন। গান্ধীজির বহু গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের সাক্ষী রয়েছে এই প্রতিষ্ঠান।

    কী বললেন খাদি প্রতিষ্ঠানের অন্যতম কর্তা?

    জানা গিয়েছে, ২০০৪ সালে এই প্রতিষ্ঠানটিকে হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়। তবে, তখন সেভাবে কোনও সংস্কার করা হয়নি। গান্ধীজির নাতি গোপালকৃ়ষ্ণ গান্ধী রাজ্যপাল হিসেবে এই রাজ্যে আসলে তিনি এই প্রতিষ্ঠানটিকে সংস্কার করার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। সেই সময় এই প্রতিষ্ঠানের অনেকটাই সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু, তারপর থেকে আর এই প্রতিষ্ঠানটিকে সংস্কার করার বিষয়ে কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। এখন বিল্ডিংয়ের বেশ কিছু জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। টালির ছাউনির বেশ কিছু জায়গায় ভেঙে গিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের ভিতরে আগাছা গজিয়ে উঠেছে। এখন কার্যত ভূতুড়ে বাড়ি মনে হয়। খাদি প্রতিষ্ঠানের অন্যতম কর্তা শেখর শেঠ বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। গান্ধীজি সোদপুর স্টেশন লাগোয়া এই বাড়িটিকে দ্বিতীয় বাড়ি বলে পরিচয় দিতেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংস্কার করার আশ্বাস দেওয়া হয়। বেহাল হয়ে যাওয়া ভবনের কবে সংস্কার হবে সেদিকে আমরা তাকিয়ে রয়েছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gram Panchayat Election: বোর্ড গঠনের পরই কংগ্রেস কর্মীদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Gram Panchayat Election: বোর্ড গঠনের পরই কংগ্রেস কর্মীদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান, গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটে (Gram Panchayat Election) কংগ্রেসকে সমর্থন করা অপরাধ! বোর্ড গঠনের পরই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে গুলিবিদ্ধ একাধিক কংগ্রেস কর্মী। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম অনেকে। বাদ যায়নি মহিলা এবং শিশুও। তিন শিশুসহ আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১৭ জন কংগ্রেস সমর্থক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। রাতভর চলে তৃণমূলের তাণ্ডব। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানার হরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিপুর এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটের (Gram Panchayat Election) আগেই একাধিক তৃণমূল সমর্থক কংগ্রেসের যোগদান করেন। ভোটে কংগ্রেসের হয়েই রাস্তায় নেমেছিলেন তাঁরা। পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের পর সোমবার গভীর রাতে হঠাৎ তৃণমূল আশ্রিত একদল দুষ্কৃতী কংগ্রেস সমর্থকদের বাড়িতে চড়াও হয়। অভিযোগ, একাধিক দুষ্কৃতীদের হাতে দেশি পিস্তল এবং ধারালো অস্ত্র ছিল। কংগ্রেস সমর্থকদের বাড়িতে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে তারা। তিন মাসের শিশুসহ গুরুতর জখম হয় আরও দুজন শিশু। পাশাপাশি গুলি এবং ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আরও ১৪ জন কংগ্রেস সমর্থক গুরুতর জখম হয়। চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হলে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এরপরই তড়িঘড়ি তাদের প্রথমে নাকাশিপাড়া হাসপাতাল এবং পরে, শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এখনও দুই শিশুসহ বেশ কয়েকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আক্রান্ত কংগ্রেস কর্মীর পরিবারের লোকজন বলেন, আমরা আগে তৃণমূল করতাম। এবার পঞ্চায়েতে কংগ্রেস করেছি। এটাই অপরাধ। ওরা পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের পরই এলাকায় এসে হামলা চালিয়েছে।

    কী বললেন কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    এ বিষয়ে নদিয়া জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র সিলভি সাহা বলেন, এ আমরা কোন ভারতবর্ষে বসবাস করছি। যেখানে আমরা স্বাধীন নই। শাসক দল আবার নিজেদের মা মাটি মানুষ বলেন আর এদিকে মায়েদের উপর অত্যাচার চলছে। পঞ্চায়েত ভোটেও (Gram Panchayat Election) বিরোধী শূন্য করার খেলায় মেতেছে রাজ্যের শাসক দল। আমাদের দলীয় কর্মীদের উপর ওরা হামলা চালিয়েছে। শিশুদেরও বাদ দেয়নি। তৃণমূল কতটা বর্বর দল তা প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি, অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হোক।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    নাকাশিপাড়ার বিধায়ক তথা নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক তৃণমূলের জেলা সভাপতি কল্লোল খাঁ বলেন, এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল এটা। তৃণমূলকে বদনাম করার জন্য মিথ্যা প্রচার করছে কংগ্রেস। প্রশাসন পুরো বিষয়টি তদন্ত করছে। ঘটনার সত্যতা সামনে এলে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: স্বাধীনতা দিবসে শাড়িতে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ ফুটিয়ে তুলে শ্রদ্ধা নদিয়ার তাঁতশিল্পীর

    Nadia: স্বাধীনতা দিবসে শাড়িতে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ ফুটিয়ে তুলে শ্রদ্ধা নদিয়ার তাঁতশিল্পীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় তিনি ছিলেন সামান্য হস্তচালিত তাঁতি। নিজের উৎপাদনের কাপড় কলকাতার বিভিন্ন অলিগলিতে ফেরি করে বিক্রি করা মানুষটি আজ নদিয়া জেলার সাত হাজার হস্তচালিত তাঁত শিল্পীর অবলম্বন। তিনি নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুরের ফুলিয়ার বীরেন কুমার বসাক। হস্তচালিত তাঁত শিল্পের ধারক, বাহক হিসাবে এখন সকলেই তাঁকে একনামে চেনেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাজ্যপাল, দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি সকলের কাছে প্রশংসিত তিনি। রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পদ্মশ্রী সহ বিভিন্ন জাতীয়, আন্তর্জাতিক পুরস্কার রয়েছে তাঁর সংগ্রহে। তিনি শুধু একাই এগিয়ে চলেছেন তাই নয়, ২০১৭-১৮ এবং ১৯ সালের জাতীয় পুরস্কার এ বাংলায় ঘোষিত হয় মোট আটজনের নাম, যার মধ্যে বীরেনবাবুর পাঁচজন ছাত্র রয়েছেন সেই তালিকায়।

    কোন কোন ব্যক্তিত্বদের অবয়ব ফুটিয়ে তোলা হয়েছে শাড়িতে?

    সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর, ক্রীড়া জগতের যুবরাজ সৌরভ গাঙ্গুলী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র দামোদর মোদি সহ বিখ্যাত মানুষদের পোর্ট্রেট হাতে চালানো তাঁতে, জামদানি বুটিকের আদলে তিনি হুবহু ফুটিয়ে তুলেছেন অবয়ব। যার মধ্যে বেশিরভাগই তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে নদিয়ার এই তাঁত শিল্পীর (Nadia)। অন্যদিকে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিদ্রোহী কবি কাজি নজরুল ইসলাম, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আব্দুল কালাম, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু, জাতির জনক মহাত্মা গান্ধি, সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ, জাতীয় সেবিকা মাদার টেরেসা সহ বহু মহামানবের প্রতিকৃতি তাঁর অত্যন্ত কর্মদক্ষতা শিল্প নিপুণতা এবং ধৈর্যের ফলে সমাদৃত হয়েছে সারা দেশ জুড়ে।

    “আজাদি কা অমৃত মহোৎসব” ফুটে উঠেছে তাঁতের শাড়িতে

    স্বাধীনতা দিবস হোক বা প্রজাতন্ত্র দিবস, সরস্বতী পুজো, কিংবা বিশ্ব হস্ত চালিত তাঁত দিবস, কিংবা কোনও মহামানবের জন্ম অথবা মৃত্যু দিন। তিনি শ্রদ্ধা জানান ফাইন আর্ট জামদানি বুননের মাধ্যমে। এবারে স্বাধীনতার ৭৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে ছ মাস আগে থেকেই, তার সুদক্ষ হস্তচালিত তাঁত শিল্পীদের দিয়ে অসাধারণ শিল্পকর্ম ফুটিয়ে তুলেছেন সিল্ক বারো হাত শাড়ির উপর। যেখানে আঁচলে রয়েছে ভারতবর্ষের মানচিত্র, এবং গত বছর ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহীত “আজাদি কা  অমৃত মহোৎসব” লেখা এবং লোগো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। অন্যদিকে ৩৪ টি বিভিন্ন স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং দেশ বরেণ্য মহামানবের পোর্ট্রেট বুটি হিসাবে উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসাবে বুননের  মাধ্যমে সাজানো রয়েছে সমগ্র শাড়িতে।

    কী বললেন বীরেনবাবু?

    বীরেনবাবু বলেন, এই শাড়িটি আমি বিক্রির উদ্দেশ্যে তৈরি করিনি। দেশের ৭৬তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আমার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। আমার, ইচ্ছা দিল্লির ন্যাশনাল মিউজিয়ামে এই শাড়িটি সংরক্ষিত হোক সকলের দেখার উদ্দেশ্যে। সমগ্র পরিকল্পনা আমার হলেও প্রথমে ছবি আঁকার পর থেকে এই মহৎ কর্মকাণ্ড সম্পন্ন হয়েছে আমার কাছে থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নদিয়ার (Nadia) বিভিন্ন প্রান্তের হস্ত চালিত তাঁত শিল্পীদের শিল্প উৎকর্ষতায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: হাওড়ায় পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের পরই চটুল গানে তৃণমূল নেতাদের নাচানাচি, বিতর্ক

    Howrah: হাওড়ায় পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের পরই চটুল গানে তৃণমূল নেতাদের নাচানাচি, বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিন হাওড়ার (Howrah) বাঁকড়া -২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিস লাগোয়া সরকারি ভবনে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদের প্রার্থীদের চটুল গানের তালে তালে নাচানাচি করার অভিযোগ উঠল। সেই নাচের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।

    ভিডিওতে কী দেখা যাচ্ছে?(Howrah)

    এই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, হাওড়া (Howrah) জেলা পরিষদের এক তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য শামসুল আলম তরফদার এবং বাঁকড়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহ আরও কয়েকজন সদস্যকে গায়ে সবুজ আবির মেখে আইটেম সং এর তালে তালে নাচতে। সানি লিওনের জনপ্রিয় আইটেম সং ‘লায়লা মে লায়লা’ গানের তালে তালে নাচতে থাকা শামসুল আলম তরফদার সহ অন্যদের ভিডিও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সাধারণ মানুষের বক্তব্য, এরা জন প্রতিনিধি। এরা সাধারণ মানুষকে সুস্থ সংস্কৃতি শেখাবে, তার বদলে যদি এরাই চটুল গানের তালে তালে নাচতে থাকে তাহলে তা দেখে সাধারণ মানুষ বা ছোট বাচ্চারা কী শিখবে?

    কী বললেন বিতর্কিত তৃণমূল নেতা?

    বিতর্কিত তৃণমূল নেতা শামসুল আলম তরফদার বলেন, এই নাচের মধ্যে কোথাও খারাপ কিছু দেখছি না। আর ওটা পঞ্চায়েত অফিস নয়। পঞ্চায়েত অফিসের পাশের একটি ভবন। তৃণমূল কংগ্রেস জানে কোথায় কী করতে হয়। যেখানে নাচ হচ্ছে কোথাও লেখা দেখাতে পারা যাবে না যে সেটা বাঁকড়া দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস। তিনি বলেন, খুশিতে নেচেছি। আমি নাচতে পারি, গাইতে পারি। অনেক কিছুই করতে পারি। খেলতে পারি এবং খেলাতে পারি। সেটা যদি কেউ হিংসা করে তাতে আমি কী করব। এখনও আমার ভিতরে অনেক প্রতিভা লুকিয়ে আছে। সেটা সময়মতো দেখতে পাবেন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    হাওড়ার (Howrah) বিজেপি নেতা উমেশ রায় বলেন, এর আগেও তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের দেখা গিয়েছে শহিদ দিবসে মেয়েদের নিয়ে পাগলু ডান্স করতে। তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে এটা নতুন কিছু নয়। ওরা এটাও বোঝে না পঞ্চায়েত অফিস বা সরকারি কার্যালয় মানুষকে সেবা করার একটা মন্দির। এই লজ্জাকর ঘটনা ব্যাখ্যা করার ভাষা নেই আমাদের কাছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: আরামবাগের খানাকুল-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রথম বোর্ড গড়ল বিজেপি, কর্মীদের উচ্ছ্বাস

    Arambagh: আরামবাগের খানাকুল-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রথম বোর্ড গড়ল বিজেপি, কর্মীদের উচ্ছ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলকে হারিয়ে আরামবাগের (Arambagh) খানাকুল-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন করল বিজেপি। শুধু আরামবাগ নয়, হুগলি জেলায় প্রথম বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বোর্ড গঠন করল। যদিও বোর্ড গঠনের আগেই একটু উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। পরে, তা মিটে যায়। খানাকুল-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট ৩৩ টি আসন রয়েছে। এরমধ্যে তৃণমূল জয়ী হয় ১৫ টি আসনে। আর বাকি ১৮ টি আসনের দখল নেয় বিজেপি। সেই কারণে এদিন সকাল থেকে বোর্ড গঠনের জন্য পঞ্চায়েত সমিতির অফিস চত্বরে প্রচুর বিজেপি কর্মী সমর্থক জমায়েত হন। প্রথমদিকে সামান্য উত্তেজনা হওয়ার পর বিজেপি বোর্ড গঠন করে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Arambagh)

    এদিন আরামবাগের (Arambagh) খানাকুল-২ পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন ঘিরে সকাল থেকেই চাপা উত্তেজনা ছিল। ঘটনার সূত্রপাত, ব্লক অফিসে একটি অচেনা গাড়ি ঢোকাকে কেন্দ্র করে। অচেনা গাড়ি দেখে হঠাৎ করে বিজেপি কর্মীরা বাধা দেন। সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করতেই বিজেপি কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিজেপি কর্মীরা পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদ করেন। বিজেপি কর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলতেই বাধ্য হয়েই পিছু হটতে হয় পুলিশকে। যদিও পরে, শান্তিপূর্ণভাবে বোর্ড গঠন হয়। প্রথম পঞ্চায়েত সমিতি দখল করে বিজেপি কর্মীরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন, এই খানাকুলে তৃণমূল এতদিন সন্ত্রাস কায়েম করে রেখেছিল। এবার মানুষ বিজেপির উপর আস্থা রেখেছে। এলাকার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করবে নতুন বিজেপি বোর্ড। অন্যদিকে, বিজেপি রাজ্য সম্পাদক বিমান ঘোষ বলেন, পুলিশ শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। আমাদের কর্মীরা পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করতে গিয়েছিল, সেখানে পুলিশ তাদের ওপর অমানবিকভাবে বিনা দোষে লাঠি চালিয়েছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। শাসক দল চেয়েছিল পুলিশকে দিয়ে বোর্ড গঠন বানচাল করে পঞ্চায়েত সমিতি দখল নেবে। কিন্তু, আমাদের কর্মীরা মার খেয়েও এক ইঞ্চি জমি ছাড়েনি। তাই, এতদিন পর আমরা বোর্ড দখল করলাম।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, বিজেপির বাধায় আমাদের কর্মীরা যেতে পারেনি। যাওয়ার পর ওরা যে পরিস্থিতি তৈরি করেছিল তাতে কর্মীরা বাধ্য হয়ে ফিরে আসে। তবে পুলিশের উপর হামলা করেছে বলে জানতে পারছি। এ ঘটনা খুবই নিন্দনীয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদার হবিবপুরে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপি, বোর্ড গঠন বাতিল করল প্রশাসন

    Malda: মালদার হবিবপুরে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপি, বোর্ড গঠন বাতিল করল প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পর্যাপ্ত পুলিশকর্মী না থাকার কথা জানিয়ে সোমবার বাতিল হয়ে গেল পূর্ব নির্ধারিত মালদার (Malda) হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন। পঞ্চায়েত সমিতিতে সংখ্যা গরিষ্ঠতা না থাকা তৃণমূলকে সন্তুষ্ট করতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে বিজেপির অভিযোগ। এদিন পূর্ব নির্ধারিত সময়ে বোর্ড গঠনের জন্য বিজেপির লোকজন হবিবপুর ব্লক প্রশাসনের কার্যালয়ে এসে বোর্ড গঠন স্থগিতের নোটিশ টাঙানো দেখে ক্ষুব্ধ হন। হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার অর্ডার জারি করা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    এদিন বেলা এগারোটা নাগাদ বিজেপি সমর্থকরা মালদার (Malda) হবিবপুর বিডিও অফিসে গিয়ে জানতে পারে, আজ বোর্ড গঠন হচ্ছে না। পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন স্থগিত করা হয়েছে জানতে পেরে ব্লক জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। বিজেপি সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে, ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। প্রশাসনের তরফ থেকে তাদেরকে বোঝানো হয়। অবশেষে নোটিশ হাতে করে তারা ফিরে যায়। জানা গিয়েছে, হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট আসন ৩৩ টি। বোর্ড গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৭ জন সদস্যের। নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে বিজেপি- ১৭, তৃণমূল- ১৩, সিপিআইএম- ২ এবং কংগ্রেস- ১ টি আসনে জয়ী হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, মালদার (Malda) হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে মহিলা তফশিলি জাতি সংরক্ষিত একটি আসনে বিজেপি’র এক বিজয়ী প্রার্থী সুলেখা সিংহের জাতিগত শংসাপত্র ভুয়ো বলে বাতিল করা হয়েছে তৃণমূলকে সন্তুষ্ট করতে। এদিন বিজেপির বিধায়ক জয়েল মুর্মু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপির বিজয়ী প্রার্থী সুলেখা সিংহের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র করে তাঁর জাতিগত শংসাপত্র বাতিল করেছে প্রশাসন। তৃণমূলকে খুশি করতেই এই ব্যবস্থা। সোমবার বোর্ড গঠনের ভোট ছিল। এদিন আমরা এসে দেখি, বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত পুলিশ না থাকার কথা উল্লেখ করে বোর্ড গঠন স্থগিত রাখার নোটিশ টাঙাচ্ছে। এদিন বোর্ড গঠনের দিন ধার্য করেছিল প্রশাসন। তাহলে কেন পুলিশি ব্যবস্থা আগে নেওয়া হয়নি। আসলে বিজেপি যাতে বোর্ড গঠন করতে না পারে এটা সেই চক্রান্ত। এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আমরা আদালতে যাব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্বের?

     স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, বিষয়টি পুরোপুরি প্রশাসনিক। তাই, এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে তৃণমূলকে হারিয়ে ১০টি পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়ল বিজেপি

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে তৃণমূলকে হারিয়ে ১০টি পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়ল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় বাজিমাত করল বিজেপি। তৃণমূলের খাসতালুকেই এখন গেরুয়া বাহিনীর দাপট। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির আসন সংখ্যা প্রায় দূরবীন দিয়ে দেখতে হত। এখন সেখানে জেলার একাধিক ব্লকেই বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। বহু পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করেছে বিজেপি। যা এতদিন ভাবা যেত না। বহু জায়গায় বোর্ড গঠন করতে পেরে বিজেপি কর্মীরাও চাঙ্গা।

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় কটি পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করল বিজেপি?

    এই জেলায় (Murshidabad) লোকসভার তিনটি আসন রয়েছ। এর মধ্যে দুটি তৃণমূলের এবং বিধানসভায় ২২ টি সিটের মধ্যে ২০ টি তৃণমূলের। সেখানে কী করে বিজেপি এতগুলি সিট পেল সেই নিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলায় চলছে চুলচেরা বিচার। ভরতপুর বিধানসভার টেঁয়া-বদ্যিপুর, বহরমপুর ব্লকের হাতিনগর গ্রাম প়ঞ্চায়েত, বেলডাঙ্গা বিধানসভার মহুলা গ্রাম পঞ্চায়েত, বড়ঞা ব্লকের কুরুন্ননুন, বেলডাঙ্গা-১ ব্লকের চৈতন্যপুর-২, বহরমপুর ব্লকের রাঙামাটি চাঁদপাড়া, বেলডাঙ্গা-২ ব্লকের রামনগর বাছড়া, বেলডাঙ্গা-২ ব্লকের কামনগর, বড়ঞার বিপ্রশেখর গ্রাম পঞ্চায়েত, কল্যাণপুর-১ পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপির প্রধান নির্বাচিত হয়েছে। বিজেপির উপ প্রধানও হয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।

    কী বললেন কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    এ বিষয়ে কংগ্রেসের মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন,  বিজেপির সাহায্য নিয়ে তৃণমূল বোর্ড গঠন করছে। স্বাভাবিক কারণে এই জেলায় কিছু কিছু জায়গায় স্থানীয় রাজনীতির উপর ভিত্তি করে অনেক কিছু হয়েছে। তাই বিজেপিও বেশ কয়েকটি বোর্ডে ক্ষমতায় এসেছে। তবে, মানুষ তৃণমূল থেকে মুখ ফেরাচ্ছে এটা তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির জেলা নেতা লাল্টু দাস বলেন, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েতে আমাদের অধিকাংশ জায়গায় দলীয় প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেনি। ২০২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে মোদিজির উন্নয়নকে মানুষ বিশ্বাস করেছে। তৃণমূলের একচেটিয়া রাজকে তছনছ করে বিজেপিকে চেয়েছে। যার ফলে জেলায় (Murshidabad) বিজেপির এইরকম রেজাল্ট হয়েছে। জেলায় দশটি পঞ্চায়েতে বিজেপির প্রধান রয়েছে। আর আটটা উপপ্রধান রয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতিতে ৩৭ জন জয়ী হয়েছে। জেলায় ৩৭৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য এবার জয়ী হয়েছে। সংখ্যালঘু জেলায় বিজেপির উপর আস্থা বাড়ছে এই ঘটনা তা প্রমাণ করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share