Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Alipurduar: পুজোর মুখে আলিপুরদুয়ারে এনবিএসটিসি-র বহু বাস উধাও, ভোগান্তি, সরব বিজেপি

    Alipurduar: পুজোর মুখে আলিপুরদুয়ারে এনবিএসটিসি-র বহু বাস উধাও, ভোগান্তি, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি বাসে চেপে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) থেকে কলকাতা যাওয়া এখন জেলাবাসীর কাছে স্বপ্ন। কারণ, মাসখানেক ধরে রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাস পরিষেবা বন্ধ হয়ে রয়েছে। বন্ধ হয়েছে অসম বঙ্গাইগাও পর্যন্ত যাতায়াতের একমাত্র সরকারি বাস। ফলে, পুজোর মুখে চরম বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীর পাশাপাশি জেলার হাজার হাজার বাসিন্দা। অবিলম্বে কলকাতা সহ বিভিন্ন রুটের বাস পরিষেবা স্বাভাবিক না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।

    কোন রুটে কত বাস বন্ধ রয়েছে? (Alipurduar)

    পরিবহণ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার (Alipurduar)  ডিপোর ১৫ বছরের বেশি পুরানো ১৯ টি বাস বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ১৫-২০ বছরের ওই পুরানো বাসগুলো দিয়ে বিভিন্ন রুটে যাত্রী পরিষেবা দেওয়া হত। এতে ঝুঁকি তো থাকত, মাঝেমধ্যে বাসগুলি মাঝ রাস্তায় অকেজো হয়ে পড়ত। ফলে, যাত্রীরা নানা সমস্যারও সম্মুখীন হতেন। সম্প্রতি, রাজ্যের পরিবহণ দফতর থেকে কড়া নির্দেশিকা পাঠানো হয়। তাতে বলা হয়েছে ১৫ বছরের বেশি পুরানো কোনও বাস রাস্তায় নামানো যাবে না। বিকল্প বাসের ব্যবস্থা না করেই বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ওই বাসগুলি বসিয়ে দেওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন বাসযাত্রীরা। আলিপুরদুয়ার-শিলিগুড়ি রুটে প্রতিদিন দশটি করে বাস চলাচল করত, বাসের সংখ্যা কমে যাওয়ায় এখন প্রতিদিন ওই রুটে আটটি করে বাস চলছে। কোচবিহার-আলিপুরদুয়ার রুটে প্রতিদিন ১০ টি করে বাস চালানো হত, এখন সেখানে মাত্র ছয়টি বাস চলাচল করছে। এতে দুই শহরের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। এই রুটে ১৫-২০ মিনিট অন্তর বাস চলাচল করলেও তাতে বাস ভর্তি যাত্রী নিয়েই সরকারি বাসগুলি নিয়মিত পরিষেবা দিত। কিন্তু, এখন বাসের সংখ্যা কমে যাওয়ায় স্কুল, অফিস টাইমে বাদুরঝোলা হয়ে নিত্যযাত্রী, স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ এই রুটগুলি ছাড়াও আলিপুরদুয়ারের সঙ্গে সরাসরি কলকাতা পর্যন্ত যাতায়াতের বাস প্রায় মাসখানেক আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই সময় আলিপুরদুয়ার শহরের ব্যবসায়ীরা কলকাতা থেকে পুজোর বিভিন্ন মালপত্র আনার জন্য বাসে যাতায়াত করেন। তাঁরা ধর্মতলা থেকে রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাসে চেপেই আবার আলিপুরদুয়ারে ফিরে আসেন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক মনোজ টিগ্গা বলেন, জেলায় আন্দোলনের পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে বিধানসভায়ও সরব হব। এক সময় উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান দাবি করতেন, রেলের থেকেও উত্তরবঙ্গে বাসের পরিষেবা ভালো। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার পরিষেবা কার্যত তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন রুটে বাসের সংখ্যা কমে যাওয়ায় যাত্রী ভোগান্তির অভিযোগ আসছে।

    কী বললেন উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান?

    পুজোর সময় পর্যটনের মরশুমে ট্রেনের টিকিট না পেয়ে অনেক যাত্রী সরকারি বাসে চেপে ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে আসেন। ফলে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) থেকে ওই সরকারি বাসের চাহিদা পর্যটনের মরশুমে অনেকটাই বেড়ে যায়। কিন্তু এবার মরশুমের অনেক আগে সরকারি বাস পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ায় উদ্বেগে রয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় জানিয়েছেন, টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে, খুব শীঘ্রই বেশ কিছু নতুন বাস রাস্তায় নামানো হবে। তাহলে আর এই সমস্যা আর থাকবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: দার্জিলিংয়ে দাপট দেখাচ্ছে ডেঙ্গি, উদ্বেগে পাহাড়বাসী, চিন্তা পুজোর পর্যটক নিয়েও

    Darjeeling: দার্জিলিংয়ে দাপট দেখাচ্ছে ডেঙ্গি, উদ্বেগে পাহাড়বাসী, চিন্তা পুজোর পর্যটক নিয়েও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাহাড়ে উড়ছে মশা। চিন্তায় পর্যটন ব্যবসায়ীরা। কেননা আশ্চর্যজনকভাবে পাহাড়েও ডেঙ্গি ছড়াচ্ছে। ইতিমধ্যেই দার্জিলিং (Darjeeling) পাহাড়ি এলাকায় প্রায় ২৫ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। যা স্বাস্থ্য দফতরকেও চিন্তায় ফেলেছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর সেই সংখ্যা ছিল মাত্র পাঁচ। এক ধাক্কায় সংখ্যাটি বেড়ে যাওয়ার কারণে উদ্বেগ বাড়ছে চিকিৎসক মহল থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসনের অন্দরে। তবে, পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি জেলাশাসক পুন্নমবালম এসের।

    পাহাড়ের ডেঙ্গু নিয়ে পর্যটকদের উদ্বেগ, চিন্তায় পর্যটন ব্যবসায়ীরা

    উচ্চতার কারণে পাহাড়ে মশা থাকে না। এমনই ধারণা ছিল এতদিন। যার জন্য পাহাড়ে মশারির ব্যবহার সেভাবে ছিল না। দার্জিলিংয়ের সোনাদার বাসিন্দা প্রেম রাই বলেন, মশার উপদ্রব ছিল না পাহাড়ে। তাই এতদিন সমতলে গিয়ে মশার উপদ্রবে অসহ্য লাগত। কিন্তু এখন পাহাড়েও মশার উপদ্রব বাড়ছে। ডেঙ্গিতেও এখানে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। তাই মশারি ব্যবহার করতে হচ্ছে সকলকে। যা আগে করতে হত না। প্রতি বছর সর্বত্র অগাস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গির সংক্রমণ ব্যাপক আকার নেয়। এবার পাহাড়েও যদি সেই চিত্র দেখা দেয় তাহলে আতঙ্কে পুজোর পর্যটন মরশুমে পর্যটকরা পাহাড় থেকে মুখ ফেরাতে পারেন বলে আশঙ্কা ট্যুর অপারেটরদের। উত্তরবঙ্গের এক ট্যুর অপারেটর সাধন রায় ও দেবাশিস মিত্র বলেন, পাহাড়ে এবার আশ্চর্যজনকভাবে ডেঙ্গির সংক্রমণ বাড়তে থাকায় আমরা চিন্তায় রয়েছি। বাইরের অনেক পর্যটকই দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। এক মাসের মধ্যে ডেঙ্গি ব্যাপক আকার নিয়েছে। এর জেরে পুজোয় পর্যটন ব্যবসায় তার ভাল প্রভাব পড়তে পারে।

    কী বললেন এলাকাবাসী?

    পাহাড়ের চরিত্রের বিরুদ্ধে মশা ও ডেঙ্গির বিস্তারের পিছনে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশকেই দায়ী করছেন সকলে। দার্জিলিংয়ের (Darjeeling)  বাসিন্দাদের প্রায় সকলেই মনে করেন, দার্জিলিংয়ে নাগরিক পরিষেবা ভেঙে পড়ার জন্য সর্বত্র নোংরা পরিবেশ তৈরি হয়েছে। হোটেল এবং বসতি বেড়েছে।  নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল। ফলে, জায়গায় জায়গায় জল জমে থাকছে। একারণে পাহাড়ে  মশার বংশবৃদ্ধি হয়েছে।

     কী বললেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা?

    জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তুলসী প্রামাণিক বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। পাহাড়ের পর্যটনে ডেঙ্গি যাতে সমস্যার কারণ না হয়ে ওঠে সেদিকে আমাদের নজর রয়েছে।  জেলাশাসক এস পন্নমবালম বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় এবার যথেষ্ট সতর্ক দার্জিলিং (Darjeeling) জেলা প্রশাসন। পাহাড়ের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। এলাকায় সার্ভে চালাচ্ছে ভেক্টর কন্ট্রোল টিমের সদস্যরা। জোর দেওয়া হয়েছে সচেতনতামূলক প্রচারে। নজর দেওয়া হয়েছে সাফাইয়ের কাজেও। শুধু নালা-নর্দমা নয়, সংলগ্ন এলাকাগুলি যাতে পরিচ্ছন্ন থাকে সেদিকেও নজর দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Esi Hospital: তৃণমূলের সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য, থমকে ইএসআই হাসপাতালের কাজ

    Esi Hospital: তৃণমূলের সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য, থমকে ইএসআই হাসপাতালের কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোল শিল্পাঞ্চলে হাজার হাজার শ্রমিক পরিবারকে উন্নতমানের চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে ইএসআই হাসাপাতালে (Esi Hospital) নতুন বিল্ডিং তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। বর্তমান ইএসআই হাসপাতালে যে পরিকাঠামো রয়েছে তার থেকে অনেক ভাল পরিষেবা দেওয়া লক্ষ্য ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের। কয়েক কোটি টাকা খরচ করে সেই কাজ শুরু হয়েছিল। তৃণমূলের সিন্ডিকেটের জুলুমবাজির দৌরাত্ম্যে সেই কাজ থমকে পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ। আর যার জন্য হাজার হাজার মানুষ উন্নতমানের চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

    কেন হাসপাতাল তৈরির কাজ বন্ধ রয়েছে?

    আসানসোলের কন্যাপুরে দীর্ঘদিন ধরে ইএসআই হাসপাতাল (Esi Hospital) রয়েছে। রোগীর চাপের কারণে বর্ধিত নতুন বিল্ডিং করার প্রয়োজন হয়। প্রায় দেড় বছর আগে সেই কাজ শুরু হয়। আর এই পরিকাঠামো তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার আর্থিক বরাদ্দ করে। ই টেন্ডারের মাধ্যমে বাইরের কোনও ঠিকাদার কাজ করতে এসেছিলেন। জানা গিয়েছে, এই হাসপাতালে নতুন বেড বৃদ্ধির পাশাপাশি ডায়ালিসিস ইউনিট, অত্যাধুনিক মানের একাধিক ওটি তৈরির কথা ছিল। হাসপাতালের কাজ করা নিয়ে বাইরের ঠিকাদারের সঙ্গে তৃণমূল ঠিকাদারের সিন্ডিকেটের সমস্যা তৈরি হয়। সিন্ডিকেটের ক্রমাগত চাপে ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ। ফলে, এখন শুধু নতুন বিল্ডিং ভূতুড়ে বাড়ির মতো পড়ে রয়েছে। সেখানে পরিষেবার কোনও নামগন্ধ পর্যন্ত নেই। ফলে, তৃণমূলের দৌরাত্ম্যে কেন্দ্রীয় সরকারের কোটি কোটি টাকা জলে যাওয়ার মতো অবস্থা।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    আসানসোলের বিজেপি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ইএসআই হাসপাতালকে (Esi Hospital) নতুন করে সাজিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের। মোটা টাকা আর্থিক বরাদ্দের পর কাজও শুরু হয়েছিল। কিন্তু, তৃণমূলের সিন্ডিকেটের জন্য ইএসআই হাসপাতালের কাজ থমকে রয়েছে। আসানসোল ইএসআই হাসপাতালের এই বিল্ডিংকে ঘিরে এর আগেও বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। পরবর্তীতে সেগুলো কাটিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিল্ডিং।

    কী বললেন রাজ্যের মন্ত্রী?

    এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, আসানসোল ইএসআই হাসপাতালের (Esi Hospital) নতুন বিল্ডিং তৈরি হয়েছে। ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে কিছু একটা গন্ডগোল হওয়ায় সেটি চালু করা যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে আমি জানিয়েছি। এরসঙ্গে তৃণমূলের কোনও সিন্ডিকেটের বিষয় নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Weather: ফের সক্রিয় ঘূর্ণাবর্ত, বুধবার থেকেই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে

    West Bengal Weather: ফের সক্রিয় ঘূর্ণাবর্ত, বুধবার থেকেই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার ও উত্তর প্রদেশের উপর তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের জেরে শনি ও রবিবার ভারী বৃষ্টিপাত (West Bengal Weather) হয় উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে। হাওয়া অফিসের মতে, ফের নতুন করে তৈরি হচ্ছে একটি ঘূর্ণাবর্ত, আর এর জেরে বুধবার থেকেই ফের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে। জানা গিয়েছে, মৌসুমী অক্ষরেখার বর্তমান অবস্থান হল উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর, বিহারের ভাগলপুর হয়ে মালদা এবং সেখান থেকে মণিপুর পর্যন্ত। অন্যদিকে সিকিম থেকে একটি অক্ষরেখা উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে সরাসরি উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর (West Bengal Weather) পর্যন্ত গিয়েছে।

    উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া  (West Bengal Weather)

    হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টা উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হবে। এছাড়া বাকি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ। অন্যদিকে ঘূর্ণাবর্তের জেরে বুধ-বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টির জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলাতেও রয়েছে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে ১৫ অগাস্ট থেকে উত্তরবঙ্গে কমতে পারে বৃষ্টির পরিমাণ। দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে চলবে ভারী বৃষ্টিপাত (West Bengal Weather)। অন্যদিকে মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর রয়েছে হালকা বৃষ্টি সম্ভাবনা

    উত্তরবঙ্গে হড়পা বানের সতর্কতা

    দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতে থাকলেও উত্তরবঙ্গে এ বছরের বর্ষাকালে বেশ ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর জেরে লাল সতর্কতা জারি করা হল তিস্তা, জলঢাকার মতো একাধিক উত্তরবঙ্গের নদীতে (West Bengal Weather)। প্রায় প্রতিটি নদীরই জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে তিস্তা ব্যারেজ থেকে ৩৫০৬ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। ভুটানেও লাগাতার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার জেরে জলঢাকা নদীতে লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে এবং কিছু জায়গায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এরই পাশাপাশি দার্জিলিং, কালিম্পং জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এই পাঁচ জেলা হড়পাবানের (West Bengal Weather) সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রবিবারই সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করে চেল নদীতে নেমেছিল একটি ট্রাক্টর এবং নদীর জলস্রোত ওই ট্রাক্টরকে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে। পরবর্তীকালে ক্রেনের সাহায্যে তা তোলা হয়। জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার মহকুমা প্রায় ১০০ বাড়ি জলবন্দী হয়ে পড়ার খবর মিলেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিকাশি ব্যবস্থার ঠিক না থাকার কারণে এই জল জমার ঘটনা ঘটেছে। এর প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ করতে দেখা গেছে সেখানকার বাসিন্দাদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Habra: যাদবপুরের পর হাবড়া! রাতে পাঁচিল টপকে হস্টেল ছেড়ে পালাল নবম শ্রেণির পড়ুয়া, কেন জানেন?

    Habra: যাদবপুরের পর হাবড়া! রাতে পাঁচিল টপকে হস্টেল ছেড়ে পালাল নবম শ্রেণির পড়ুয়া, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরকাণ্ডের পর এবার হাবড়ার (Habra) বাণীপুর। স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণির এক পড়ুয়াকে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল উঁচু ক্লাসের পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। প্রাণের ভয়ে গভীর রাতে হস্টেলের উঁচু পাঁচিল টপকে রাতের অন্ধকারে প্রায় ১০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে বাড়ির দিকে পালায় ওই পড়ুয়া। কিন্তু, মাঝপথে ওই পড়ুয়াকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় পথ আটকায় বাজারের নৈশপ্রহরীরা। পরে, হাবড়া থানার পুলিশের উপস্থিতিতে রাতেই ছেলেটির বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে নিন্দার ঝড় রাজ্য জুড়ে। এরই মধ্যে হাবড়া (Habra) পুরসভার ওই স্কুলে উঠল র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে ওই স্কুলের নবম শ্রেণির এক পড়ুয়া র‍্যাগিং এর শিকার হন উঁচু ক্লাসের পড়ুয়াদের কাছে। প্রথমে ওই নবম শ্রেণির পড়ুয়াকে মারধর করা হয়। পরবর্তীতে জ্যামিতি বক্সের কম্পাস দিয়ে ওই পড়ুয়ার হাত কেটে দেওয়া হয়। এক প্রকার প্রাণ বাঁচতে বাদুড়িয়া থানার মাদ্রা এলাকার ওই পড়ুয়া গভীর রাতে হস্টেল থেকে পালিয়ে যায়। রাতের অন্ধকারে ১০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে যাওয়ার পরে হাবরা থানার কুমড়া বাজার এলাকায় বাজারের পাহারায় থাকা পাঁচ নৈশপ্রহরী যুবক স্কুল পড়ুয়ার পথ আটকায়। তখনই গোটা ঘটনা সে খুলে বলে। পরে, নৈশপ্রহরীদের পক্ষ থেকে হাবড়়া থানায় খবর দেওয়া হয়। একইসঙ্গে খবর দেওয়া হয় পড়ুয়ার বাড়িতে। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এরপরে ওই পড়ুয়াকে তার বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়। নবম শ্রেণির পড়ুয়ার বক্তব্য, সামান্য বিষয় নিয়ে সিনিয়রা আমাদের উপর অত্যাচার করে। জল না নিয়ে আসার কারণে আমাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। কম্পাস দিয়ে আমার হাত কেটে দেওয়া হয়।

    কী বললেন নৈশ প্রহরীরা?

    হাবড়া (Habra) বাজারের দায়িত্বে থাকা নৈশ প্রহরীরা বলেন, আমরা না দেখলে হয়তো ওই স্কুল পড়ুয়ার বড় বিপদ হত। একদিকে যাদবপুরে এরকম ঘটনা ঘটেছে, সেখানে দাঁড়িয়ে কি করে একটি ছেলে র‍্যাগিংয়ের শিকার হয়ে হস্টেল থেকে বেরিয়ে এত বড় পাঁচিল টপকে দশ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে এলো? এত রাতে পালিয়ে আসতে গিয়ে পথেও তো ছেলেটির বড় কোনও বিপদ হতে পারত? স্কুল এবং হস্টেল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও  প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের হামলায় বিজেপি কর্মীর চোখ নষ্ট, বাড়ি ভাঙচুর

    Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের হামলায় বিজেপি কর্মীর চোখ নষ্ট, বাড়ি ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি কর্মীকে মেরে চোখ নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার কুমারগ্রাম বিধানসভার ভাটিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের থানুপাড়া এলাকায়। জখম ওই বিজেপি কর্মীর নাম হরিশ চন্দ্র  দাস। আলিপুরদুয়ার জেলা সদর হাসপাতাল থেকে ওই বিজেপি কর্মীকে স্থানান্তরিত করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ ?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar)   থানুপাড়া এলাকা জুড়ে বিজেপির দলীয় পতাকা লাগানো ছিল। শনিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ তৃণমূল কর্মীরা সেই পতাকা খুলে দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানতে পেরে থানুপাড়ার বাসিন্দা সাধারণ বিজেপি কর্মী হরিশ চন্দ্র  দাস পতাকা খোলাতে বাধা দেন। পতাকা খোলাতে বাধা দিলেই তাঁর ওপর তৃণমূল কর্মীরা চড়াও হয়। সেসময় এলাকার আরও দুজন বিজেপি কর্মী বাড়ি থেকে বেড়িয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন। তৃণমূলীরা তাঁদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এক বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আর তৃণমূলের হামলায় বিজেপি কর্মী হরিশ দাসের বাঁ চোখে গুরুতর চোট লাগে। এরপরই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। বিজেপি কর্মীরা তাঁকে আলিপুরদুয়ার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে, রবিবার সকালে জেলা সদর হাসপাতাল থেকে ওই বিজেপি কর্মীকে শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।  

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির কুমারগ্রাম বিধানসভার বিধায়ক মনোজ ওরাও বলেন,  অত্যন্ত গরিব সাধারণ বিজেপি কর্মী হরিশ দাসের একটি চোখ নষ্ট করে দিয়েছে তৃণমূলীরা। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব। ওই এলাকায় আমাদের বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে তৃণমূল। বিজেপির অভিযোগ, স্থানীয় বিজেপি কর্মী কার্তিক চন্দ্র রায়ের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। তাঁর বাড়িতে ইট,পাথর দিয়ে ঢিল ছোঁড়া হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি প্রবীর দত্ত বলেন,এটা একটা পারিবারিক বিবাদ। এই পারিবারিক বিবাদের ঘটনাকে রাজনৈতিক রঙ দিতে চাইছে বিজেপি। এই ঘটনায় বিজেপির নোংরা রাজনীতি প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dankuni: ডানকুনিকে বিশ্বমানের টার্মিনালে রূপান্তরিত করা হচ্ছে, কী কী করা হবে জানেন?

    Dankuni: ডানকুনিকে বিশ্বমানের টার্মিনালে রূপান্তরিত করা হচ্ছে, কী কী করা হবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বমানের যাত্রী টার্মিনাল তৈরির পাশাপাশি এবার দেশজুড়ে বেশ কিছু বিশ্বমানের গুডস টার্মিনাল তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে রেল মন্ত্রক। ইতিমধ্যেই যার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এরাজ্যের ডানকুনি গুডস শেডকে আধুনিকীকরণ করে বিশ্বমানের টার্মিনালে রূপান্তরিত করার কাজ শুরু হয়েছে। আর তা খতিয়ে দেখতে ডানকুনি গুডস শেড পরিদর্শনে যান হাওড়া ডিভিশনের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার সঞ্জীব কুমার ও রেলের অন্যান্য অফিসাররা। তারা গুডস শেড পরিদর্শন করে তার নকশা খতিয়ে দেখেন। তিনি বলেন, টার্মিনাল তৈরির জন্য কিছু প্রস্তাব রাখা হয়েছে। খুব শীঘ্রই সে কাজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

    বিশ্বমানের টার্মিনালে তৈরির জন্যে কী কী কাজ করা হবে?

    ডিআরএম রেলের অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে  অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ কিভাবে এগোবে সে ব্যাপারে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন যাতে এটিকে বিশ্বমানের পণ্য শেড করা যায়। পুর্ব রেল সূত্রে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সেই সব প্রস্তাব সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। বিশ্বমানের গুডস শেড তৈরির জন্যে ডি আর এম যে সব প্রস্তাব দিয়েছেন তার মধ্যে উল্লেখ্যোগ্য হল লোডিং বাড়ানোর জন্য অতিরিক্ত লাইন তৈরি করা। পাশাপাশি গাড়ি পার্কিংয়ের জন্যে আলাদা  স্থান তৈরি করা। পৃথক পৃথক প্রবেশ পথ এবং বের হওয়া পথের সুবিধা। পণ্য চালান ব্যবহারকারীদের জন্য কভারড পার্কিং। টু-হুইলারের জন্যে বিশেষ স্থান। যথাযথ ট্রাক পার্কিং সুবিধা। লেবারদের বসার জন্যে শেডে বসার আলাদা বেঞ্চ। যান্ত্রিকভাবে আনলোড করার সুবিধা।

    কী বললেন বাসিন্দারা?

    ডানকুনি গুডস শেড কলকাতা থেকে সড়কপথে প্রায় ২০ কিমি দূরে। কলকাতার এত কাছে হওয়ার জন্যে কলকাতা শহরে জিনিস আমদানি রপ্তানির জন্যে এটিকে একটি বিশ্বমানের গুডস টার্মিনাল বা হাব হিসাবে গড়ে উঠলে একদিকে যেমন শহরের যানজট কমবে, তেমনি ভিন রাজ্যের জিনিসপত্র দ্রুত পৌঁছে যাবে শহর কলকাতায়। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, খুব দ্রুত এই বিশ্বমানের এই শেড তৈরির কাজ এগোবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেই কাজ শেষ করা হবে। শহরের বাসিন্দারা জানান, কলকাতার কাছেই ডানকুনি থেকে মাত্র কুড়ি কিলোমিটার দূরে খিদিরপুর ডক। ডকে জাহাজে আসা মাল দ্রুত জাতীয় সড়ক ধরে পৌঁছে যাবে ডানকুনি গুড শেডে। তারপর তা যেমন ভিন রাজ্যে রেলপথে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। একইভাবে ডানকুনিতে আসা মালপত্র খিদিরপুর বন্দর দিয়েও রপ্তানিতে সুবিধা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JP Nadda: ‘‘বাংলাকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’’, তোপ জেপি নাড্ডার

    JP Nadda: ‘‘বাংলাকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’’, তোপ জেপি নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংগঠনিক বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। এদিন শাখা সংগঠনগুলির এক বৈঠক আয়োজিত হয় কলকাতায়, যার পোশাকি নাম ছিল সংযুক্ত মোর্চা সম্মেলন। সেখানেই মমতার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। তার আগে সকালে দক্ষিণশ্বরে তিনি পুজোও দেন।

    মমতাকে তোপ বিজেপি সভাপতির

    জেপি নাড্ডা (JP Nadda) এদিন বলেন, ‘‘গতকালও বলেছি আজকেও বলছি, কয়েকটি সংবাদপত্রে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন দুর্নীতি কোথায়! আমি জানতে চাই পার্থ চট্টোপাধ্যায় আজ কোথায়? কোথায় আজ অনুব্রত মন্ডলের মেয়ে? তৃণমূলের নেতারা বহু কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত! তবু আপনি প্রমাণ চাইছেন মমতা দিদি?’’
     
     এদিন বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসার কথা উঠে আসে জেপি নাড্ডার ভাষণে (JP Nadda)। তিনি বলেন, ‘‘২০২১ সালে ভোট পরবর্তী হিংসার জন্য ১২ হাজার মামলা দায়ের করা হয়েছে। বহু মানুষ এখনও পর্যন্ত ঘরছাড়া। এমনকি সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত ভোটে যে হিংসা হয়েছে তা সবাই দেখেছে। আর মমতা দিদি আপনি দেশের গণতন্ত্রের কথা বলছেন! আগে আপনি বাংলার দিকে তাকান।’’  

      অন্যদিকে মোদি সরকারের উন্নয়নের গতিকেও রোধ করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমন অভিযোগও তোলেন নাড্ডা (JP Nadda)। তিনি বলেন, ‘‘বাংলায় কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালুতে সরকারিভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের সরকার পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ২১ লক্ষ পরিবারকে স্বাস্থ্য বীমার আওতায় আনতে চেয়েছিল, আয়ুষ্মান যোজনার মাধ্যমে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাতে বাধা দেয়।’’ জেপি নাড্ডার (JP Nadda) আরও সংযোজন, ‘‘বিগত ৪০-৫০ বছরে বাংলায় কংগ্রেস শাসন হোক বা কমিউনিস্ট শাসন হোক বা তৃণমূল শাসন হোক কেউই বাংলাকে পিছিয়ে নিয়ে যেতে কোনও কিছু বাকি রাখেনি। যে বাংলা বিশ্বকে একসময় পথ দেখিয়েছিল, সেই বাংলা আজ মমতা সরকারের অধীনে এসেছে। দুর্ভাগ্যবশত গত চার পাঁচ দশকে পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন হয়নি।’’

     প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপি যে ভালো ফল করবে তাও এদিন জেপি নাড্ডার (JP Nadda) ভাষণে উঠে আসে এবং তিনি বলেন, ‘‘সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য আপনারা একটা প্রধান ভূমিকা পালন করতে পারেন। আসুন আমাদের সংগঠনের সংখ্যালঘু এবং আদিবাসীদের অন্তর্ভুক্ত করি। আমি এখানে যে উপস্থিতি এবং উদ্দীপনা দেখছি তাতে আমি নিশ্চিত যে বাংলায় পরিবর্তন খুব তাড়াতাড়ি আসবে।’’ এই সময় সভাগৃহ করতালিতে ফেটে পড়ে, সেটার উল্লেখ করে জেপি নাড্ডা (JP Nadda) বলেন, ‘‘করতালির বজ্রধ্বনি বলছে আপনারা অঙ্গীকার নিয়েছেন যে আপনারা দলকে সফল করবেন এবং বাংলায় পদ্ম ফোটাবেন।’’

    সকালে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দেন নাড্ডা (JP Nadda)

    বিজেপির দু’দিনের পূর্বাঞ্চলীয় পঞ্চায়েতি রাজ পরিষদের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শনিবারই রাজ্যে পা রেখেছেন জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। রবিবার সকালে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিলেন বিজেপি নেতা। মন্দির থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি নেতা বলেন, ‘‘এই মন্দির স্বামী বিবেকানন্দের জায়গা, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের জায়গা। এখানে এসে দলের মঙ্গল চাইলাম, দেশের ভাল চাইলাম।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘দেশকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে ভগবানের আর্শীবাদ চাইলাম, যাতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উন্নত ভারত গঠিত হয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • JU Student death: যাদবপুরে সামনের সপ্তাহেই আসছে ইউজিসির অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি

    JU Student death: যাদবপুরে সামনের সপ্তাহেই আসছে ইউজিসির অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরের সপ্তাহেই যাদবপুরে আসছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি আয়োগের (UGC) অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটির সদস্যরা। আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয় অভ্যন্তরীণ কমিটির (ICC) বিশেষ বৈঠক হবে। এরপর ইউজিসির অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটির কাছে সম্পূর্ণ রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। যাদবপুরের মেইন হস্টেলের তিনতলা থেকে পড়ে মৃত্যুর (JU Student death) ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে এবার ইউজিসি তদন্তে নেমে পড়ল। কীভাবে হয়েছে ছাত্রের মৃত্যু! র‍্যাগিং ক্যাম্পাসে কতটা সক্রিয়! হস্টেলগুলিতে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা কতটা সুরক্ষিত! সব কিছুর তদন্ত হবে বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদের একাংশ। তবে যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা যে ইউজিসির উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভিসি আনন্দ বোস বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন। উচ্চ পর্যায়ের অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি তৈরির বিশেষ ভাবনাচিন্তা প্রকাশ করেছেন তিনি।

    কার মা বললেন আমার ছেলে র‍্যাগিংয়ের শিকার (JU Student death)?

    স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে (JU Student death) র‍্যাগিং-এর অভিযোগে ধৃত সৌরভ চৌধুরীও শিকার হয়েছিল র‍্যাগিং-এর! এমন চাঞ্চল্যকর দাবি যাদবপুর কাণ্ডে ধৃত সৌরভ চৌধুরীর মা প্রণতি চৌধুরীর। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কি র‍্যাগিংয়ের আঁতুড় ঘর? সৌরভের মায়ের মন্তব্যে উঠছে এমনই প্রশ্ন! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর রহস্যজনক মৃত্যুর পর কার্যত তোলপাড় সারা রাজ্য। ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে হস্টেলে অত্যাচারের তত্ত্ব। এই কাণ্ডে ইতিমধ্যেই পুলিশের জালে ধরা পড়েছে চন্দ্রকোনার সৌরভ চৌধুরী সহ আরও দুজন। আরও বেশ কয়েকজনের নাম রয়েছে সন্দেহভাজনদের তালিকায়, এমন তথ্য যখন প্রকাশ্যে আসছে, তখন চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন সৌরভের মা প্রণতি চৌধুরী। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় এই সৌরভের ওপরও হয়েছে র‍্যাগিং। কর্তৃপক্ষকে তৎকালীন সময়ে জানিও মেলেনি কোনও সুরাহা। কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে। সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি ব্যবস্থা গ্রহণ করত তাহলে আজ স্বপ্নদীপের মতো তাঁর ছেলেকে মর্মান্তিক পরিণতির শিকার হতে হতো না! সাফ দাবি সৌরভের মায়ের।

    কী বললেন মা?

    ধৃত সৌরভের মা প্রণতি চৌধুরী রবিবার চন্দ্রকোনায় দাঁড়িয়ে বলেন, “ছেলে যখন পড়াশোনা করত তখন ফোন করলেই বলতো র‍্যাগিং এর কথা, সহ্য করা ছাড়া কোনও উপায় ছিল না তার কাছে।” উল্লেখ্য, যাদবপুর কাণ্ডের (JU Student death) ধৃত সৌরভ বরাবরই মেধাবী ছাত্র ছিল। উচ্চ মাধ্যমিকেও যথেষ্ট ভালো ফল করেছে সৌরভ। মেদিনীপুর কলেজে প্রথমে অংক নিয়ে পড়াশোনা, পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি পাশ। ডাব্লু বিসিএস অফিসার হওয়ার স্বপ্ন দেখছিল সে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ju Student Death: যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুকাণ্ডে নদিয়ায় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন, কী বললেন?

    Ju Student Death: যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুকাণ্ডে নদিয়ায় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন, কী বললেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর (Ju Student Death) নদিয়ার বাড়িতে যান পশ্চিমবঙ্গের শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপের মৃত্যুকে পকসো আইনের অধীনে আনার দাবি করল পশ্চিমবঙ্গের শিশু সুরক্ষা কমিশন। কমিশনের চেয়ারপার্সন। রবিবার নদিয়ায় স্বপ্নদীপের বাড়িতে মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। 

    কী বললেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন?

    স্বপ্নদীপের (Ju Student Death) বয়সের উল্লেখ করে শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন বলেন, এই ঘটনা পকসো আইনের অধীনে পড়ে। স্বপ্নদীপের ১৮ বছর বয়স হয়নি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর ৯ মাস ৯ দিন। তাই এই ঘটনায় পকসো আইনে বিচারের দাবি করা হয়েছে। পরে, অনন্যা আরও বলেন, ছেলেটিকে উলঙ্গ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। ওর দেহে সিগারেটের ছ্যাঁকা ছিল। ও নিজেও ফোন করে ভাইকে জানিয়েছিল, ওকে সমকামী বলা হচ্ছে। তাই এটি যৌন নির্যাতনের পর্যায়ে পড়ে। পাশাপাশি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকেও আক্রমণ করেছেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন। তিনি বলেন, যাদবপুর কি অন্য কোনও গ্রহ? দেশের আর পাঁচটা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে নিয়ম আছে, এখানে তা মানা হবে না কেন? কেন ক্যাম্পাসে, হস্টেলে সিসি ক্যামেরা থাকবে না? আমরা যখন সিসিটিভি বসাতে বলেছিলাম, ওখানকার এক অধ্যাপক ফুটপাতে ক্লাস নিতে শুরু করেন। ওখানে সিনিয়র এবং প্রাক্তনিদের দাদাগিরি চলে। কেউ তাঁদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পান না। এর আগে প্রাক্তন উপাচার্য সুরঞ্জন দাসও চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অধ্যাপক এবং পড়ুয়ারা এর বিরোধিতা করেছিলেন। তাই আজকের ঘটনায় কেউ দায় এড়াতে পারে না। সিসিটিভি থাকলে আমরা জানতে পারতাম হস্টেলে কী হয়েছিল। সকলের হাতেই রক্তের দাগ লেগে আছে। সকলেই আমাদের আতশকাচের নীচে। আমরা পৃথক ভাবে ঘটনার তদন্ত করছি।

    ছাত্র মৃত্যুকাণ্ডে ধৃত দুই পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর (Ju Student Death) ঘটনায় তদন্তে নেমে ফের দুই জনকে গ্রেফতার  করা হল। ধৃতদের মধ্যে মনোতোষ ঘোষের বাড়ি আরামবাগ পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে। মৃত পড়ুয়ার বাবা রামপ্রসাদ কুণ্ডুর  অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমে গ্রেফতার করে মনোতোষ ঘোষকে। মনোতোষের মা বলেন, ছেলের সঙ্গে প্রতিদিন কথা হত। স্বপ্নদীপ বেড না পেয়ে একদিন আমার ছেলের ঘরে ছিল। সেই সূত্রে পরিচয় হয়েছিল। তার বেশি কী হয়েছে তা আমাদের জানা নেই। প্রত্যেকদিনই মনোতোষ বাড়িতে ফোন করতো একটা কথাই বলতো তোমাদের কোনও ভয় নেই। পুলিশ হয়তো কিছু জিজ্ঞাসার জন্য ডাকতে পারে। যাদপবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার  হওয়া দুই ছাত্রের মধ্যে একজন বাঁকুড়া শহরের বাসিন্দা। নাম দীপশেখর দত্ত। শহরের মাচানতলার ফেমাস হোটেলের গলির বাসিন্দা দীপশেখর। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোনমিক্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া দীপশেখর দত্ত। তাঁর বাবা মধুসুদন দত্ত পেশায় ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে তা আমি সমর্থন করি না। পুলিশ তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতার করেছে ছেলেকে। এবার পুরোটাই আইনি বিষয়।তবে, আমি মনে করি ছেলে এই ঘটনায় যুক্ত নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share