Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েত ভোটেও শুভেন্দুর ক্যারিশমায় ফের নন্দীগ্রামে বাজিমাত বিজেপির

    Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েত ভোটেও শুভেন্দুর ক্যারিশমায় ফের নন্দীগ্রামে বাজিমাত বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রাম বিধানসভায় গ্রাম পঞ্চায়েত গঠনে এগিয়ে রয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর পিছিয়ে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রাম বিধানসভায় মোট ১৭ টি অঞ্চল। এবারে পঞ্চায়েত নির্বাচনে পাখির চোখ ছিল নন্দীগ্রাম। রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চার বিষয় ছিল এই বিধানসভা এলাকা। পঞ্চায়েত ভোটে একে অপরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিল দুই পক্ষ। এবারের গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনে বাজিমাত করল বিজেপি।

    কোন কোন গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করল বিজেপি?

    শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) নন্দীগ্রামবাসী কতটা ভরসা করে তা বিধানসভার পর এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রমাণিত হয়ে গেল। নন্দীগ্রামের ১৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১১ টি বিজেপির। আর ৬ টি  পঞ্চায়েত দখলে রয়েছে তৃণমূলের। ১০টি অঞ্চল বিজেপির দখলে এবং একটি অঞ্চল কালীচরণপুর অঞ্চলে প্রধান ওবিসি সংরক্ষিত হওয়ায় বিজেপির জয়ী প্রার্থী প্রধান নির্বাচিত হন। কালীচরণপুরে একক সংখ্যা গরিষ্ঠ থাকা স্বত্বেও সংরক্ষণের জন্য এই অঞ্চলে বিজেপির প্রধান হন দীপালি দাস। পাশাপাশি আমদাবাদ অঞ্চলে তৃণমূলের পূর্ণচন্দ্র মণ্ডল বিজেপিতে যোগদানের জন্য ২ আগষ্ট আবেদন করেন। এবং ১১ আগষ্ট বোর্ড গঠনের আগে সকাল বেলা পূর্ণ বাবু গোপনে বিজেপিতে যোগদান করে। বোর্ড গঠনে তৃণমূল প্রধান হিসেবে পূর্ণ বাবুর নাম প্রস্তাব করে। আর বিজেপি কারও নাম প্রস্তাব না করে পূর্ণ বাবুকে সমর্থন করে। ফলে, বোর্ড গঠন বিজেপির হয়। এছাড়া ভেকুটিয়া, নন্দীগ্রাম, হরিপুর, গোকুলনগর, সোনাচূড়া, বয়াল-১, বয়াল-২, খোদামবাড়ি-২, বিরুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি দখল করে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, নন্দীগ্রামের মানুষ বিজেপিকে আশীর্বাদ করেছে। তাই এবারে গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি গঠন করতে পেরেছে। সম্প্রতি বিজেপির জয়ী সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেছিলেন, সংখ্যালঘু এলাকায় সংগঠন তৈরি করার কথা বলেন পাশাপাশি সংখ্যালঘুরা যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে সে দিকেও নজর রাখতে হবে। সেই দিকে নজর দিয়ে হরিপুর অঞ্চলে বিজেপি প্রধান করে সংখ্যালঘু মহিলা জয়নব বিবি। ২০২৩ এর গ্রাম পঞ্চায়েতকে ভর করে ২০২৪ এর লোকসভা ভোটের দিকে এগোতে চাইছে বিজেপি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন,মানুষ রায় দিয়েছে আমরা মাথা পেতে নিয়েছি। কিন্তু, বিজেপি ভোটে এখানে সন্ত্রাস করেছে, ছাপ্পা দিয়ে জিতেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Weather: ঘূর্ণাবর্তের জের, শনি ও রবিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে

    West Bengal Weather: ঘূর্ণাবর্তের জের, শনি ও রবিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওয়া অফিসের সূত্রে জানা গিয়েছে বিহার ও উত্তরপ্রদেশের উপর বর্তমানে একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। মৌসুম ভবন (West Bengal Weather) বলছে বিহারের ঘূর্ণাবর্ত থেকে একটি অক্ষরেখা দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে বিস্তৃত আবার মৌসুমী অক্ষরেখা উত্তরবঙ্গের বালুরঘাট হয়ে পূর্বদিকে মণিপুর পর্যন্ত বিস্তৃত। আবহাওয়া অফিসের মতে, রবিবার বাংলাদেশের উপর তৈরি হবে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত। ঠিক এই কারণেই শনি ও রবিবার অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গে এবং দক্ষিণবঙ্গের রয়েছে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। অন্তত আলিপুর আবহাওয়া দফতর এমনটাই জানাচ্ছে। 

    দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    হাওয়া অফিস (West Bengal Weather) জানাচ্ছে শনিবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই ভিজবে মাটি। বীরভূম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ পশ্চিম বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগণার মতো জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অন্যান্য জেলার তুলনায় অনেকটাই বেশি হবে। রবিবারও ভারী বৃষ্টির দাপট বজায় থাকবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। অন্যদিকে, শনি ও রবিবার রাজধানী কলকাতাতে মেঘলা আকাশ দেখা যাবে এবং আগামী দুই তিন দিন কলকাতাতেও বৃষ্টির পরিমাণ (West Bengal Weather) কিছুটা বাড়বে বলেই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। শনিবার কলকাতাতেও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩২ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ২৬ ডিগ্রি। বাতাসের জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯৭ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৭৩ শতাংশ।

    আরও পড়ুুন: বিএড নয়, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে সুযোগ কেবল ডিএড, ডিএলএড-দের, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    কেমন থাকবে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া (West Bengal Weather)?

    আলিপুর আবহাওয়া অফিস (West Bengal Weather) বলছে, শনিবার থেকে উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই জেলাগুলি হল দার্জিলিং, কালিম্পং আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি। শনিবার অতিভারী বৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এ রয়েছে। এছাড়া ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলায়। এমনটাই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। রবিবারও বৃষ্টির দাপট চলবে উত্তরবঙ্গে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Cooch Behar: বিকট শব্দে কাঁপল গোটা এলাকা, কোচবিহার জুড়ে আতঙ্ক, কী বললেন এলাকাবাসী?

    Cooch Behar: বিকট শব্দে কাঁপল গোটা এলাকা, কোচবিহার জুড়ে আতঙ্ক, কী বললেন এলাকাবাসী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। কোচবিহার (Cooch Behar) শহরসহ আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা শব্দ শুনতে পান। শব্দের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল শহরবাসীর ধারণা হয়, বোমা বিস্ফোরণের আওয়াজ। শুক্রবার বিকেল সওয়া ৪টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারে। বিষয়টি জানাজানি হতেই বিকট আওয়াজের শব্দের উৎস খোঁজা শুরু করে পুলিশ প্রশাসন। কিন্তু, শনিবার দুপুর পর্যন্ত সঠিক তথ্য তারা দিতে পারেনি।

    কী বললেন এলাকাবাসী?

    শুক্রবার বিকেলে আচমকা বিকট শব্দে কেঁপে উঠল কোচবিহার (Cooch Behar)। সেই শব্দের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, মাটিও কেঁপে উঠেছে বলে দাবি শহরবাসীর। শুধু কোচবিহার শহরই নয়, আশপাশে ৩০-৩৫ কিলোমিটার দূরে দিনহাটা এবং মাথাভাঙা মহকুমাতেও জোরালো শব্দ শুনতে পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। যেন মিসাইল আছড়ে পড়েছে, কিংবা ভেঙে পড়েছে কোনও মিগ বিমান, এমনই ধারণা হয় এলাকাবাসীর। পুলিশ সূত্রেই খবর, মূল কোচবিহার শহর থেকে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরেও সেই শব্দ শোনা গিয়েছে। শব্দের তীব্রতা অনুভূত হয়েছে দিনহাটা, মাথাভাঙার বেশ কয়েকটি গ্রামেও। যার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এরকম বিকট শব্দ আগে কখনও শোনা যায়নি। আওয়াজের দাপটে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। তবে, এরকম আওয়াজ কীভাবে ঘটল তা স্পষ্ট করে কেউ কিছু বলতে পারেনি। ফলে, এলাকায় চরম আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরাও এই ধরনের শব্দ কোথায় থেকে হল তা সঠিকভাবে বলতে পারছে না। ফলে, সমস্ত বিষয়টি নিয়ে চরম ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

    কী বললেন কোচবিহার (Cooch Behar) জেলা পুলিশ প্রশাসনের এক আধিকারিক?

    স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর দশেক আগে আলিপুরদুয়ারে একবার মিগ বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটেছিল। এ বারও সেই একই ঘটনা ঘটেছে কি না, তা আলোচনা শুরু হয় বিভিন্ন মহলে। তবে, ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও এই শব্দের সূত্র কোথায় তা জানা যায়নি। কারণ, কোনও বিমান ভেঙে পড়া বা বোমা বিস্ফোরণের তথ্য শনিবার দুপুর পর্যন্ত সামনে আসেনি। কোচবিহার (Cooch Behar) জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, কোথাও কোনও ঘটনা ঘটেনি। সম্ভবত এটি মেঘ ফাটার (ক্লাউড বার্স্ট) শব্দ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: টোটো জনজাতিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে উদ্যোগ শিলিগুড়ি ডাক বিভাগের, কী করা হচ্ছে?

    Siliguri: টোটো জনজাতিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে উদ্যোগ শিলিগুড়ি ডাক বিভাগের, কী করা হচ্ছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিলুপ্ত প্রায় টোটো জনজাতি ও তাঁদের সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে  তুলে ধরতে এগিয়ে এল ভারতীয় ডাক বিভাগ। তাঁরা টোটোদের ইতিহাস ও জীবনযাত্রা নিয়ে প্রকাশ করল স্পেশাল কোস্টাল কভার। শুক্রবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়ির (Siliguri) প্রধান ডাকঘরে এটি প্রকাশ করেন উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের পোস্ট মাস্টার জেনারেল অখিলেশ কুমার পাণ্ডে। উপস্থিত ছিলেন টোটো সম্প্রদায়ের সমাজ কর্মী ধনিরাম টোটো। এই স্মরণীয় মুহুর্তের সাক্ষী থাকতে আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট ব্লকের ছোট্ট গ্রাম থেকে টোটো সম্প্রদায়ের অনেকে এসেছিলেন।

    কেন শিলিগুড়ির (Siliguri) প্রধান ডাকঘরের উদ্যোগে স্পেশাল কোস্টা কভার?

    শিলিগুড়ির (Siliguri) প্রধান ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার জেনারেল বলেন, ডাক টিকিট সংগ্রহ করার মতো এই কোস্টাল কভারও সংগ্রহ করা হয়। এর আন্তর্জাতিক চাহিদা রয়েছে। সেকারণেই টোটো জনজাতিকে নিয়ে এই কভার করা হয়েছে যাতে বিশ্বের দরবারে বিলুপ্তপ্রায় এই জনজাতি পৌঁছে যেতে পারে। এর মধ্য দিয়ে টোটো সংস্কৃতির ব্যাপক পরিচিতি ঘটার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নও ঘটবে। এই স্পেশাল কভারে টোটো জনজাতির ছবি, তাঁদের সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রা তুলে ধরা  রয়েছে।

    কেমন আছে টোটোপাড়া?

    আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট ব্লকের এই দূর্গম এলাকায় টোটোপাড়া। মোট ৪১০ টি পরিবার রয়েছে। মোট জনসংখ্যা ১৬৪০।  এর মধ্যে ৮৪০জন পুরুষ। ধনিরাম টোটো বলেন, অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও টোটোপাড়ার মূল সমস্যার সমাধান হয়নি। রাস্তাঘাট নেই। টোটো জনজাতির ইতিহাস সংরক্ষণেরও কোনও উদ্যোগ নেই। এজন্য টোটো জনজাতি নিয়ে একটা মিউজিয়াম তৈরি করাটা খুব জরুরি। স্কুলেরও প্রয়োজন রয়েছে।

     ভারতীয় ডাক বিভাগের এই উদ্যোগ নিয়ে কী বলছে টোটোপাড়া?

    ধনিরাম টোটো বলেন, এটা আমাদের অত্যন্ত গর্বের বিষয়। শিলিগুড়ির (Siliguri) প্রধান ডাকবিভাগের এই উদ্যোগে টোটোপাড়া ও আমাদের সম্পর্কে গোটা বিশ্বের মানুষ আরও  ব্যাপকভাবে জানতে পারবে। কেননা সবাই আমাদের টোটোপাড়ায় যায় না। আমাদের সব থেকে বড় সমস্যা রাস্তাঘাট নেই। পাহাড়ের দুর্গম এলাকা দিয়ে আমাদের চলাফেরা করতে হয়। শিক্ষার ক্ষেত্রে স্কুলের সমস্যা রয়েছে। রাস্তা ও স্কুলের ব্যাপারে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে কথা হয়েছে। বড় সেতু তৈরি করে রাস্তা কেন্দ্রীয় সরকারই তৈরি করতে পারবে। টোটোপাড়ায় হিন্দি ও ইংরেজিতে একলব্য স্কুল করার জন্যও প্রস্তাব দিয়েছি। টোটো জনজাতির ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য একটি মিউজিয়াম তৈরির কথাও বলেছি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: উধাও দিল্লির দোস্তি, পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে রুখতে বিজেপির সঙ্গে জোটে বাম-কংগ্রেস

    Panchayat Election: উধাও দিল্লির দোস্তি, পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে রুখতে বিজেপির সঙ্গে জোটে বাম-কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছে কংগ্রেস, সিপিএম,তৃণমূল সহ ২৬টি দল। ঠিক তার উল্টো চিত্র ধরা পড়ছে রাজ্যের জেলায় জেলায়। এখানে তৃণমূলকে হারাতে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাল কংগ্রেস-সিপিএম। উধাও দিল্লির দোস্তি। পঞ্চায়েত ভোটকে (Panchayat Election) কেন্দ্র করে লাগামছাড়া সন্ত্রাসের সাক্ষী থেকেছে সারা রাজ্য। গত ১১ জুলাই ফলাফল প্রকাশ হয় পঞ্চায়েত ভোটের। বর্তমানে চলছে বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া। সেখানেই দেখা গেল এমন চিত্র। শাসকদলের বিরুদ্ধে এককাট্টা বিরোধীরা।

    উত্তরদিনাজপুর জেলায় বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাল কংগ্রেস-ফরওয়ার্ড ব্লক

    উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের ৪নং বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতে। এখানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বাম-কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে বোর্ড গঠন (Panchayat Election) করল বিজেপি। শুক্রবার রায়গঞ্জের বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিন ধার্য ছিল।  সেই মোতাবেক সকল দলের জয়ী প্রার্থীরা এসে উপস্থিত হন পঞ্চায়েত চত্বরে (Panchayat Election)। মূলত ২৩টি আসন যুক্ত এই গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি ৯টি, তৃণমূল ৮টি, কংগ্রেস ৪টি, ফরওয়ার্ড ব্লক ১টি এবং একটি আসনে নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়। নির্দল প্রার্থী তৃণমূলকে সমর্থন করে। অপরদিকে কংগ্রেস এবং ফরওয়ার্ড ব্লক বিজেপিকে সমর্থন করায় পঞ্চায়েত বোর্ড বিজেপি গঠন করে। যদিও ভুল চিহ্ন দেওয়ায় দুই পক্ষেরই একটি করে ভোট কাটা যায়। মোট ২৩ টি আসনের মধ্যে বাম কংগ্রেস এবং বিজেপি মিলে ১৩ টি আসন হওয়ায় তারা এই পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করেন। এই পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচিত হন কংগ্রেসের জিন্নাতুন খাতুন এবং উপপ্রধান নির্বাচিত হন বিজেপির ফুলকুমার বর্মন। কংগ্রেসের জয়ী সদস্য জিন্নাতুন খাতুন বলেন, ‘‘আমরা চাই পঞ্চায়েতের উন্নতি হোক। তাই আমরা বিজেপি এবং বাম-কংগ্রেস জোট মিলে বোর্ড গঠন করেছি। আগামীতে মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।’’ অপরদিকে বিজেপির জয়ী সদস্য  ফুলকুমার বর্মন বলেন, ‘‘বাম-কংগ্রেস এবং বিজেপি মিলে এই বোর্ড গঠন করল। আমরা মানুষের সেবা করতে চাই। এটাই আমাদের লক্ষ্য।’’ 

     

    মুর্শিদাবাদ জেলায় বিজেপির সঙ্গে জোটে কংগ্রেস এবং বাম

    এখানেও শাসক দল তৃণমূলকে হঠাতে একজোট বিরোধীরা। মুর্শিদাবাদের 
    সুতি ১ ব্লকের  সাদিকপুরে পঞ্চায়েত (Panchayat Election) দখলে রাখল  বাম-কংগ্রেস-বিজেপি জোট। সুতিতে বোর্ড গঠনের পরে বাম-কংগ্রেস-বিজেপি জোটের প্রধান হলেন আরএসপির আর উপপ্রধান  বিজেপির।  ২৭ আসনের সাদিকপুরে তৃণমূল জয়ী হয় ১০টি আসনে, বিজেপি ৮টি আসনে জয়ী হয়। কংগ্রেস ৬টিতে এবং সিপিএম ২টিতে এবং আরএসপি জয়ী হয় ১টি আসনে। এর মধ্যে কয়েক দিন আগে কংগ্রেসের একজন তৃণমূলে যোগদান করে। এদিন বোর্ড গঠনে তৃণমূলকে হারাতে জোট বাঁধে বাম কংগ্রেস ও  বিজেপি।   প্রধান হন আরএসপির রেশমা খাতুন এবং উপপ্রধান হয় বিজেপির আশিষ দাস । বোর্ড গঠনের পরেই আনন্দে মেতে ওঠেন বাম কংগ্রেস ও বিজেপির কর্মী সমর্থকরা।

    সুতির হারুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতেও বোর্ড গঠন করল বিজেপি-বাম-কংগ্রেস মিলে

    মুর্শিদাবাদ জেলার সুতির হারুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত (Panchayat Election) বাম-কংগ্রেস-বিজেপি জোটের দখলে গেল। প্রধান হলেন কংগ্রেসের রাখি রবিদাস ও উপপ্রধান বিজেপির জবা রানী মন্ডল। শুক্রবার জোটের কর্মীদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো, হারুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৬ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পায় ১২ টি আসন, কংগ্রেস  ৮টি আসন, বামফ্রন্ট ৪টি ও বিজেপি ২টি আসন। শেষমেষ বাম-বিজেপি-কংগ্রেসের জোটে ১৪ জন সদস্যের সমর্থনে প্রধান হলেন কংগ্রেসের রাখি রবিদাস ও উপপ্রধান বিজেপির জবা রানী মন্ডল। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে এই দিন হারুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড (Panchayat Election) গঠন সম্পন্ন হল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: বোর্ড গঠনের উত্তেজনায় মর্মান্তিক মৃত্যু বিজেপি কর্মীর, পরিবারে শোকের ছায়া

    Nadia: বোর্ড গঠনের উত্তেজনায় মর্মান্তিক মৃত্যু বিজেপি কর্মীর, পরিবারে শোকের ছায়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ায় (Nadia) বোর্ড গঠন করার সময় প্রথমে অসুস্থ এবং ঠিক তারপরেই আকস্মিক মৃত্যু হল বিজেপির প্রাক্তন বুথ সভাপতির। এই ঘটনায় তীব্র শোরগোল এলাকায়। প্রচণ্ড গরম এবং উত্তেজনাই মৃত্যুর কারণ বলে জানা গেছে।

    কোথায় ঘটল ঘটনা(Nadia)?

    নদিয়ায় (Nadia) আড়বান্দি দু’নম্বর পঞ্চায়েতের চার নম্বর বুথের বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি জিতেন সর্দারের আজ এভাবেই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। জানা যায়, মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪২ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় জনতা দলের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। মোট কুড়িটি আসন আড়বান্দি দু’নম্বর পঞ্চায়েতে। যার মধ্যে বিজেপির দশটি এবং তৃণমূলের দশটি। তাই আজ বোর্ড গঠনের জন্য অন্যান্য বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সাথে তিনিও ছিলেন উৎকণ্ঠার মধ্যে। সেই সঙ্গে ছিল বোর্ড গঠন ঘোষণার প্রতীক্ষা! প্রচণ্ড গরম এবং উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হতেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তড়িঘড়ি দলীয় কর্মী-সমর্থকরা তাঁকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    বিজেপির বক্তব্য

    খবর পেয়ে রানাঘাটের (Nadia) সাংসদ জগন্নাথ সরকার ছুটে যান মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে। তিনি পরিবারবর্গের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন এবং মৃত কর্মীর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানান। তিনি বলেন, ৪ নম্বর বুথের প্রথম সভাপতি ছিলেন জিতেনবাবু। অত্যন্ত অভাবের মধ্যে দিয়েও বিজেপির জন্য কাজ করতেন। বোর্ড গঠনের সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন। অতিরিক্ত গরম এবং উত্তেজনায় মারা গেছেন।

    পরিবারের বক্তব্য

    পরিবারের তরফ থেকে জানা যায়, তিনি শান্তিপুর (Nadia)  গোবিন্দপুর অঞ্চলে একটি তেল মিলে শ্রমিকের কাজ করতেন। তাঁর দুটি নাবালক পুত্রসন্তান, স্ত্রী এবং মা রয়েছেন। মৃতদেহ শান্তিপুরে দাহ করা হবে বলেই জানা গেছে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সমগ্র এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বোর্ড গঠন ঘিরে হানাহানি এবং মারধর-সন্ত্রাসের ঘটনার যে কী ভয়ানক পরিণতি হতে পারে, তা এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: খানাকুলে বিজেপি বোর্ড গঠন করা মাত্রই তৃণমূলের বহিরাগত দুষ্কৃতীদের আক্রমণ

    Hooghly: খানাকুলে বিজেপি বোর্ড গঠন করা মাত্রই তৃণমূলের বহিরাগত দুষ্কৃতীদের আক্রমণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির (Hooghly) খানাকুলের রামমোহন ১ নং পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন ঘিরে আজ পঞ্চায়েত অফিসের সামনে জমায়েত হয়েছিল তৃণমূল এবং বিজেপির প্রচুর কর্মী সমর্থক। টসে জিতে বোর্ড গঠন করে বিজেপি, আর এরপর শুরু হয় এরপর তীব্র উত্তেজনা। বিজেপি কর্মীদেরকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আর তা থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় চারিদিকে। তৃণমূলের কর্মীরা বহিরাগত গুন্ডাদের নিয়ে চড়াও হয় বিজেপির উপরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনা স্থলে পৌঁছায় প্রচুর পুলিশ।

    কেন উত্তেজনা (Hooghly)?

    বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল বহিরাগত লোক নিয়ে অশান্তি করতে আসে। আর তার প্রতিরোধ গড়ে তোলে এলাকার সাধারণ মানুষ। গোটা ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা খানাকুলের (Hooghly) রামমোহন ১ নং পঞ্চায়েত চত্বরে। আরও জানাগেছে, এই পঞ্চায়েতে বিজেপি ও তৃণমূল ৯ টি করে মোট আসনের সমান সামন হয়ে গেছে। এইদিন বোর্ড গঠনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুপক্ষেরই মতামত নিয়েই টস করে, আর তাতে ফলাফল ঘোষণা হলে সংখ্যা গরিষ্ঠতায় বিজেপি বোর্ড গঠন করে। বিজেপি প্রধানের পদ দখল করে। ঠিক তার পরেই উত্তেজনা ছড়িয়ে যায় গোটা এলাকায়। ঘটনার জেরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায়।

    বিজেপির বক্তব্য

    এলাকার (Hooghly) বিজেপি নেতা অশোক মালিক বলেন, এখানে বিজেপি পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করেছে। আর তাই বিজেপি বোর্ড গঠন করায় বহিরাগত গুন্ডাদের ভাড়া করে এনে আক্রমণ করেছে তৃণমূল। কিন্তু মানুষ জেগে গেছে। তৃণমূলের চোরদের মানুষ চিনে নিয়েছে। এবার আসল খেলা খেলবে বিজেপি। ইতিমধ্যেই আসন সমান সমান হওয়ার জন্য অনেক তৃণমূল কর্মী এবং বিজয়ী প্রার্থীরা বিজেপিতে যোগদান করতে চাইছে। এই চোরেদের পাশে মানুষ নেই বলে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি করছে দুষ্কৃতীরা।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এলাকার (Hooghly) এক তৃণমূল নেতা সুকুমার শিকদার বলেন পাশের পঞ্চায়েতে আমার বাড়ি, আমি নিজে তৃণমূল কংগ্রেস করি। তৃণমূলের পঞ্চায়েত গঠন হবে বলে এসছি। কিন্তু এসে দেখি বিজেপির পঞ্চায়েত গঠন হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর উপরেও আক্রমণ হয়েছে বলে জানান তিনি। এই এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Board: এবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে হাতছাড়া পঞ্চায়েত, তৃণমূলের সমর্থনেই বোর্ড দখল করল বিজেপি

    Panchayat Board: এবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে হাতছাড়া পঞ্চায়েত, তৃণমূলের সমর্থনেই বোর্ড দখল করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেই বোধহয় বলে, নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গ! এখানে পর বলতে নিজেদেরই দল। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল যে কোন জায়গায় পৌঁছেছে, তার আরও একটি উদাহরণ সামনে এল। তৃণমূলকে হারাতে এতদিন বিরোধীদের একজোট হওয়ার চিত্র সামনে এসেছে। এবার বিজেপিকে সমর্থন করল তৃণমূল। আর তার জেরে বোর্ড হাতছাড়া হয়ে গেল শাসকদলের। তৃণমূল ও নির্দলের সমর্থনে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করল বিজেপি। বোর্ড গঠনের পরেই পঞ্চায়েতের গেটে বিজেপির দলীয় পতাকা লাগিয়ে উল্লাসে মাতোয়ারা কর্মী-সমর্থকরা।

    কীভাবে বোর্ড এল বিজেপির হাতে?

    জানা যায়, শান্তিপুর ব্লকের গয়েশপুর পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা মোট ২১ টি, যেখানে বিজেপি জয়লাভ করেছিল ১০টি আসনে। তৃণমূল জয়লাভ করেছিল ৯টি আসনে, একটি আসনে জয়লাভ করে সিপিএম। আর অন্য একটি আসনে জয়লাভ করে নির্দল। যদিও পরবর্তীতে সিপিএম প্রার্থী তৃণমূলে যোগদান করায় আরও একটি আসন বাড়ে তৃণমূলের। আজ গয়েশপুর পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হয়। প্রথম থেকেই টানটান উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে চলে বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া। তবে গোটা পঞ্চায়েত চত্বরে কড়া নজরদারি ছিল পুলিশের। জানা যায়, ওই পঞ্চায়েতের নবনির্বাচিত বিজেপির প্রধান হন গোপাল ঘোষ, আর তৃণমূলের উপপ্রধান হন শিপ্রা মণ্ডল। বোর্ড গঠনের পরে বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছেন, নির্দলের জয়ী প্রার্থী ও ওই অঞ্চলের তৃণমূলের ৭ নম্বর বুথের জয়ী প্রার্থীর সমর্থনে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করতে সক্ষম হয় তারা। বোর্ড গঠনের পরেই বিজেপির নবনির্বাচিত প্রধান গোপাল ঘোষকে সাথে নিয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন কর্মী-সমর্থকরা।

    ইতিহাস তৈরি হল, দাবি বিজেপির

    অন্যদিকে বিজেপি নেতৃত্ব এও জানিয়েছেন, শান্তিপুর গয়েশপুর পঞ্চায়েতে বিজেপি এবার ইতিহাস গড়ল। কারণ ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির তেমন প্রভাব না থাকলেও ২০২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই অঞ্চলে বিজেপির যথেষ্ট প্রভাব তৈরি হয়। আর মানুষ ঢেলে ভোট দেওয়াতে তারা পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করতে পারে। তবে বিগত দিনে ওই পঞ্চায়েতে উন্নয়নমূলক কোনও কাজ হয়নি বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি নতুন করে বোর্ড গঠন করায় ওই পঞ্চায়েত এলাকায় কিভাবে আরও উন্নয়ন করা যায়, সেই লক্ষ্য থাকবে, এমনটাই জানিয়েছেন তাঁরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: আসন সংখ্যার বিচারে তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও প্রধান পদে বাজিমাত বিজেপির

    Hooghly: আসন সংখ্যার বিচারে তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও প্রধান পদে বাজিমাত বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংখ্যা গরিষ্ঠতায় তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও আরামবাগের (Hooghly) সালেপুর ১ নং পঞ্চায়েতে প্রধান পদ দখল নিলো বিজেপি। এই নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য হুগলিতে। উপপ্রধান আসনে তৃণমূল বসলেও, সংরক্ষণের কারণে, প্রধানের আসন হাতছাড়া হলো তৃণমূলের। অপর দিকে প্রধানে বাজিমাত বিজেপির।

    আরামবাগের সালেপুর পঞ্চায়েতে কত আসন  (Hooghly)?

    সালেপুর  (Hooghly) পঞ্চায়েতে মোট ১৬ টি আসনের মধ্যে মাত্র ৬ টি আসন জয়ী হয়েছে বিজেপি। এই পঞ্চায়েত প্রধান আসন দখল নিলো বিজেপি। এখানে ৬ টি বিজেপি পেলেও, ১০ টি আসনে জয়ী হয়ে সংখ্যা গরিষ্ঠ হয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু তার পরেও সংরক্ষিত আসনের জেরে প্রধান হতে পারেনি তৃণমূল।

    আসন সংরক্ষণ কেমন?

    জানা গেছে, ওই পঞ্চায়েতের  (Hooghly) প্রধান আসন এসটি(ST) ও মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। তৃণমূল  সংখ্যা গরিষ্ঠ আসন দখল করলেও এসটি এবং মহিলা কেউ জয়ী হতে পারেনি। আর তার জেরেই কম আসন পেয়েও প্রধানের আসনে বসলেন বিজেপির জয়ী প্রার্থী পূর্ণিমা মান্ডি। যদিও উপপ্রধান পদে বসেন তৃণমূলের সত্যজিত চক্রবর্তী। এইদিনে বোর্ড গঠনে পঞ্চায়েতের সামনে জমায়েত হয় প্রচুর বিজেপি ও তৃণমূলের সমর্থকরা। মোতায়েন রয়েছে প্রচুর পুলিশ।

    বিজেপির বক্তব্য

    প্রধান বিজেপির হতেই আনন্দে উচ্ছ্বাসে বিজেপি সমর্থকদের। গেরুয়া আবির খেলায় মেতে ওঠেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। সালেপুর পঞ্চায়েতে  (Hooghly) প্রধান নির্বাচিত হয়ে পূর্ণিমা মান্ডি বলেন যে এলাকায় অনেক কাজ করতে হবে। এলাকার রাস্তাঘাট, ড্রেন এবং পানীয় জলের সমস্যাগুলিকে আগে মেটাতে হবে। যাঁদের ঘর বাড়ি নেই তাঁদের ঘরের ব্যবস্থা করতে হবে। বর্ষায় জমা জলে ডেঙ্গির প্রভাব থেকে সকলকে সচেতন করতে হবে। জনগণের জন্য সরকারের সকল প্রকল্পের সুভিধা গুলিকে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতে হবে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই ব্লকের এক তৃণমূল নেতা বলেন, প্রধান প্রার্থী আদিবাসী সমাজের জন্য সংরক্ষিত। শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট হয়েছে এখানে। আমরা তৃণমূল মাত্র ৫ ভোটে পরাজিত হয়েছি। আমাদের তৃণমূল দলের নির্দেশে উপপ্রধান পদের জন্য একজনকে স্থির করা হয়েছে। আগামী দিনে পঞ্চায়েত চালাতে গিয়ে বিজেপি যদি অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করে, তাহলে আমাদের ১০ জন সদস্যদের নিয়েই প্রশাসনের সহযোগিতায় কাজ করব। আশাকরি প্রধান সহযোগিতা করবেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Board: প্রধান হয়েছেন শাশুড়ি, তৃণমূলের বিপক্ষ গোষ্ঠী তাণ্ডব চালালো জামাইয়ের বাড়িতে!

    Panchayat Board: প্রধান হয়েছেন শাশুড়ি, তৃণমূলের বিপক্ষ গোষ্ঠী তাণ্ডব চালালো জামাইয়ের বাড়িতে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতের বোর্ড (Panchayat Board) গঠন হওয়ার পরেই নবনির্বাচিত প্রধানের জামাইয়ের বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনায় আতঙ্কে গোটা এলাকা। পরিবারের অভিযোগ, তৃণমূলেরই অন্য এক গোষ্ঠী এই বোমাবাজির সঙ্গে জড়িত। ঘটনাটি শান্তিপুর ব্লকের বেলঘড়ি ১ নম্বর পঞ্চায়েতের ফুলিয়ার ফুলিয়া পাড়ার। নবনির্বাচিত প্রধানের জামাই মিঠুন বসাকের অভিযোগ, গতকাল ওই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হওয়ার পরে তাঁর শাশুড়ি বাসন্তী বসাক প্রধান নির্বাচিত হন। এর পরেই তাঁরা প্রত্যেকে বাড়ি চলে আসেন। অভিযোগ, গতকাল গভীর রাতে হঠাৎই তাঁদের বাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছেড়ে দুষ্কৃতীরা। এর পরে তারা বাড়িতে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। পরিবারের লোকজন বাইরে বেরিয়ে আসতেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। যদিও বেশ কয়েক ঘণ্টা বাদে বাড়ি লক্ষ্য করে শুরু হয় বোমাবাজি। সেখানেই শেষ নয়, পরপর দু থেকে তিনবার বাড়িতে বোমা মারার অভিযোগ ওঠে। বিকট শব্দে আবার বাইরে বেরিয়ে আসেন পরিবারের লোকজন। দেখেন, বোমা বিস্ফোরণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

    আতঙ্কে ঘুম নেই পরিবারের

    এর পরে শুরু হয় ব্যাপক আতঙ্ক। সারা রাত ঘুম নেই পরিবারের। গোটা এলাকায় আতঙ্কে সৃষ্টি হয়। খবর পেতেই ঘটনাস্থলে যায় শান্তিপুর থানার পুলিশ, তদন্ত শুরু করে। নবনির্বাচিত প্রধানের জামাই মিঠুন বসাকের এও অভিযোগ, তাঁর শাশুড়ি প্রধান (Panchayat Board) নির্বাচিত হলেও তাঁরা কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। কিন্তু তাঁদের বাড়িতে কেন এভাবে হামলা চালানো হল, পুলিশ এর পূর্ণ তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করুক। না হলে আগামী দিনে আরও বড় ঘটনা ঘটে যেতে পারে, আমরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।

    মুর্শিদাবাদে জোট প্রার্থীর স্বামীকে কোপানোর অভিযোগ

    ঘটনার যেন শেষ নেই। পঞ্চায়েতে বোর্ড (Panchayat Board) গঠন হওয়ার পরে বাড়ি ফেরার সময় জোটের প্রার্থীর স্বামী সহ জোটের এক কর্মীকে রাস্তায় ফেলে ধারালো অস্ত্র  দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে, মুর্শিদাবাদে রানিনগর থানার বেণীপুর শিমুলতলা এলাকায়। জানা যায়, রানিনগর ২ নম্বর ব্লকের মালি বাড়ি দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট পঞ্চায়েত সদস্য ১৭ জন। তার মধ্যে ১০টিতে জয়ী হয় তৃণমূল। সাতটি আসনে জয়ী হয় বাম-কংগ্রেস জোট। ১০ জন নিয়ে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করে তৃণমূল কংগ্রেস। বোর্ড গঠন শেষে জোটের প্রার্থীরা বাড়ি ফেরার সময় এক মহিলা প্রার্থীর স্বামী সহ আরও এক জোটের কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়। এই ঘটনায় দুজন গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে রানিনগর গোধনপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। যদিও কংগ্রেসের তোলা অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রাজনগর থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তারা। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share