Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Nadia: স্বপ্নদীপের রহস্য মৃত্যুতে খুনের মামলা বাবার, বিক্ষোভ মিছিল নদিয়ায়

    Nadia: স্বপ্নদীপের রহস্য মৃত্যুতে খুনের মামলা বাবার, বিক্ষোভ মিছিল নদিয়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্র ছিলেন স্বপ্নদীপ কুন্ডু। তাঁর বাড়ি নদিয়ার বগুলায় (Nadia)। স্বপ্নদীপ বুধবার রাতে যাদবপুর মেইন হোস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়। ইতি মধ্যেই তাঁর বাবা মামলা দায়ের করেছেন পুলিশের কাছে। এই মৃত্যুর প্রতিবাদে আজ শক্রবার বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হল বগুলায়। বলা হয় স্বপ্নদীপকে যারা খুন করেছে, তাদের গ্রেফতার করে অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে।

    খুনের অভিযোগ (Nadia)?

    ছাত্র স্বপ্নদীপের মৃত্যুর কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এরপরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এই মৃত্যুকে খুনের অভিযোগ বলে মনে করছেন অনেকেই। পরিবারের তরফ থেকে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন নদিয়ার (Nadia) বগুলাবাসী।

    নদিয়ায় মিছিল

    আজ স্বপ্নদীপের মৃত্যুর প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল ১১ টায় বগুলা স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী এবং পাড়া-প্রতিবেশী সহ সাধারণ মানুষ একত্রিত হয়ে বগুলা কলেজ থেকে বগুলা হাই স্কুল (Nadia) পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল বের করে। যারা স্বপ্নদীপ কুন্ডুর মৃত্যুর জন্য দায়ী তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তোলা হয়। অন্যদিকে একাংশ বিক্ষোভকারীদের দাবি, ছেলে মেয়েদের উচ্চশিক্ষিত করার জন্য সব বাবা মায়েরাই চেষ্টা করেন। একইভাবে স্বপ্নদীপের স্বপ্ন পূরণের জন্য তাঁর বাবা-মাও চেষ্টা করেছিলেন। কোনও রকমে সংসার চালিয়ে স্বপ্নদীপকে কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করেছিলেন তাঁর বাবা মা। কিন্তু তাঁর মৃত্যু কখনও এইভাবে হতে পারে না, তাঁকে চক্রান্ত করে মেরে ফেলা হয়েছে, আমরা এর তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। তাই দোষীদের অবিলম্বে ফাঁসির দাবি করছি।

    কী ঘটেছিল

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন স্বপ্নদীপ কুন্ডু (Nadia)। তাঁর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিল গতকাল সকালে। জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের বারান্দা থেকে নিচে পড়ে গিয়েছিলেন। দুর্ঘটনা ঘটার পর প্রথমে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যাদবপুরে বাংলা অনার্স নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। থাকতেন মেন হস্টেলে এ-টু ব্লকের তিনতলায়। ওই ছাত্র কি ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন, নাকি তাঁকে কেউ ঠেলে ফেলে দিয়েছে, তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: ধূপগুড়িতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতি, বাড়িতে হামলা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র‍্যাফ

    Jalpaiguri: ধূপগুড়িতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতি, বাড়িতে হামলা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র‍্যাফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদকের বাড়িতে হামলা চালালো আরেক জেলা সাধারণ সম্পাদকের অনুগামীরা। দু পক্ষের ঝামেলায় উত্তাল হয়ে ওঠে ধূপগুড়ি শহর। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে গভীর রাত অবধি চলে গন্ডগোল। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে র‍্যাফ নামাতে হয়। এদিন ধূপগুড়ির উপ নির্বাচন নিয়ে তৃণমূলের সভা চলছিল। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ধূপগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান অরূপ দে ধূপগুড়ির পুর প্রশাসক ভারতী বর্মণের প্রতি তীব্র আক্রমণ শানান। আর তাতে সভাস্থলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন ভারতী বর্মণ। তারই প্রতিবাদ করেন ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ সিং। সেই সময় তাঁকেও তীব্র আক্রমণ করেন অরূপ। তাতেই শুরু হয় গন্ডগোল। ভেস্তে যায় সভা।

    সভার বাইরে হাতাহাতি, বাড়িতে হামলা (Jalpaiguri)

    এই গন্ডগোলের আঁচ সভাস্থলের বাইরে এসেও পড়ে। দুই গোষ্ঠীর অনুগামীরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। সেখান থেকে এসে রাজেশ কুমার সিং এর বাড়িতে হামলা চালান অরূপ দে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী (Jalpaiguri)। তাতেও পরিস্থিতি আয়ত্তে না আসায় র‍্যাফ নামাতে হয় পুলিশকে। সভাস্থলে এক প্রস্থ হাতাহাতির পর ফের অরূপ দে তাঁর দলবল নিয়ে রাজেশ কুমার সিংহের বাড়িতে চড়াও হন বলে অভিযোগ। এরপরেই রাজেশ কুমার সিংয়ের অনুগামী এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সেখান থেকে অরূপ পন্থী বৈদ্যনাথ কুণ্ডু নামে এক যুবনেতাকে ধরে বেদম প্রহার দেয়। অভিযোগ বৈদ্যনাথ কুণ্ডু চাকু নিয়ে হামলা চালায়। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সেখান থেকে সরে পড়েন অরূপ দে।

    দু’ পক্ষই চুপ, উল্লসিত বিরোধীরা (Jalpaiguri)

    যদিও দুজনের কেউই এই ঘটনায় মুখ খোলেননি। এই দুই ব্যক্তিই তৃণমূল কংগ্রেসের জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার সাধারণ সম্পাদক পদে আসীন রয়েছেন। তৃণমূলের এই গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে বাড়তি অক্সিজেন পাচ্ছে বিরোধীরা। ফলে স্বাভাবিক কারণেই তারা উল্লসিত। আর এই গোষ্ঠী কোন্দলকে হাতিয়ার করেই আসন্ন ধুপগুড়ি বিধানসভার উপনির্বাচনের লড়াইয়ের ময়দানে নামতে চলেছে বিরোধীরা। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Paschim Medinipur: আইপ্যাকের দেওয়া প্রধানকে অপছন্দ, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে পঞ্চায়েতে ঝুললো তালা

    Paschim Medinipur: আইপ্যাকের দেওয়া প্রধানকে অপছন্দ, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে পঞ্চায়েতে ঝুললো তালা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: না পসন্দ আইপ্যাকের খামবন্দি প্রধানের নাম। সরাসরি গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের মূল গেটেই তালা ঝোলালো তৃণমূলের যুব সমর্থকরা। ঘটনাকে ঘিরে পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur) যুব-মাদার তৃণমূলের মধ্যে তীব্র শোরগোল। তৃণমূলের অঞ্চল যুব নেতৃত্বের দাবি, ভোটাভুটির মধ্য দিয়ে নির্বাচিত করতে হবে প্রধানকে। অন্যদিকে ব্লক সভাপতির সাফ জবাব, দলের নির্দেশ মানতেই হবে, না হলে দল ছাড়তে হবে।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Paschim Medinipur)?

    ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) দাসপুর ১ ব্লকের রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই দেখা যায়, গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের মূল গেটে তালার উপর চেন জড়িয়ে গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাত যত বাড়ে, তাকে ঘিরেই তোলপাড় এলাকা। স্থানীয় তৃণমূলের রাজনগর এলাকার যুব নেতার দাবি, ভোটাভুটিতে নির্বাচিত হোক এবারের প্রধান। অন্যদিকে দাসপুর ১ ব্লক তৃণমূলের বর্তমান সভাপতি বলেন, দলের যে নির্দেশ তা মানতেই হবে। দল ভোটাভুটিকে অনুমোদন করে না।

    তৃণমূল যুব সম্পাদকের বক্তব্য

    এলাকার (Paschim Medinipur) যুব সম্পাদক প্রবীর মাল বলেন, অঞ্চলের কোর কমিটি আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেনি। আইপ্যাকের সঙ্গে আঁতাত করে এক তরফা নিজেদের কাছের মানুষকে নিয়ে বোর্ড গঠন করেছেন ব্লক সভাপতি। তাই আমরা এই চাপিয়ে দেওয়া প্রধান অর্চনা সামন্তকে মানছি না। তিনি আরও অভিযোগ করেন, আমাদের না জানিয়ে রীতিমতো লুকিয়ে এই রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করা হয়েছে। দলে গণতন্ত্র নেই।

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতির বক্তব্য

    ব্লক সভাপতি (Paschim Medinipur) সুকুমার পাত্র বলেন, সকলের সিদ্ধান্ত পছন্দ নাও হতে পারে। দাসপুর, চন্দ্রকোনাতে ভোটাভুটিতে নির্বাচন হলেও রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে তা হবে না। কারণ দলের স্পষ্ট কোনও নির্দেশ নেই। দল যেভাবে বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নিতে বলবে, আমরাও ঠিক একই ভাবে সিদ্ধান্ত নেবো। যেহেতু এই পঞ্চায়েতে মহিলা সংরক্ষণ রয়েছে, তাই বোর্ডের প্রধান মহিলাকে করা হয়েছে। আর যাঁরা দলের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে ভোটাভুটি বা নাম প্রস্তাব করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দল ব্যাবস্থা গ্রহণ করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Corruption: ছাড় নেই গরিবের চাল-গমেও! গরমিলের অভিযোগে তৃণমূল কাউন্সিলারের রেশন দোকান সিল

    Corruption: ছাড় নেই গরিবের চাল-গমেও! গরমিলের অভিযোগে তৃণমূল কাউন্সিলারের রেশন দোকান সিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোরমুক্ত পঞ্চায়েত গড়ার ডাক দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু সেই চুরি (Corruption) যে কত জায়গায় হচ্ছে, তার নতুন নতুন প্রমাণ সামনে আসছে। একদিকে যেমন জোরালো অভিযোগ উঠেছে, কেন্দ্রেরই নানা প্রকল্পের টাকা হাতিয়ে নিয়ে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বানাচ্ছেন তৃণমূলের নেতারা, তেমনি তাঁরা ছাড় দিচ্ছেন না অসহায় গরিব মানুষকেও। তাই রেশনের সামগ্রীতেও থাবা বসাচ্ছেন তৃণমূলের নেতারা। এবার তেমনই একটি ঘটনা সামনে এল, যেখানে শুধু অভিযোগেই তা সীমাবদ্ধ রইল না। প্রশাসন কার্যত বাধ্য হল ব্যবস্থা নিতে। ফের গরমিলের অভিযোগ ওঠায় সিল করে দেওয়া হল তৃণমূল কাউন্সিলারের রেশন দোকান। ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে আসানসোলে।

    কীভাবে ধরা পড়লেন তৃণমূলের কাউন্সিলার (Corruption)?

    আসানসোল পুরসভার  ৬৩  নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মহঃ সেলিম আখতারের রেশন দোকানে ব্যাপক গরমিলের অভিযোগ (Corruption) পেয়ে অভিযান চালায় পশ্চিম বর্ধমান জেলা খাদ্য বণ্টন দফতর। আচমকা অভিযানে বেশ কিছু গরমিলের সন্ধান পায় তারা। এরপরেই রেশন দোকানটি সিল করে দেওয়া হয়। সাসপেন্ড করা হয় রেশন দোকানের মালিক তৃণমূলের কাউন্সিলার মহঃ সেলিম আখতারকে। এর আগেও এই রেশন দোকানের বিরুদ্ধে গরমিলের অভিযোগ পেয়ে জরিমানা করা হয়েছিল। অভিযোগ, এরপরেও রেশন দোকানের মালিক নিজেকে সংশোধন করেননি। যার ফলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হল খাদ্য বিভাগ।

    শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর (Corruption) 

    এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূলের সবাই চোর। কেন্দ্রের পাঠানো চাল, গম লোপাট (Corruption) করে দিচ্ছেন খোদ তৃণমূলের কাউন্সিলার। যদিও বিজেপির এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসানসোল পুরসভার ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমূল হক বলেন, বিরোধীদের কাজ হচ্ছে সমালোচনা করা। তৃণমূলে থাকলেই দুর্নীতির সাথে যুক্ত বলা হচ্ছে। আর যখনই তাঁরা বিজেপিতে যাচ্ছেন, তখনই তাঁরা ওয়াশিং মেশিনে ধোওয়া হয়ে যান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Gram Panchayat Election: বোর্ড গঠনের দিন বিজেপি বিধায়কের গাড়ি ভাঙচুর, কাঠগড়ায় তৃণমূল, প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ

    Gram Panchayat Election: বোর্ড গঠনের দিন বিজেপি বিধায়কের গাড়ি ভাঙচুর, কাঠগড়ায় তৃণমূল, প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলি জেলার খানাকুলে বিজেপি (BJP) বিধায়কের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভাঙচুর করা হয়েছে বিধায়কের গাড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে খানাকুলের কিশোরপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েতের সামনে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চা়ঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Gram Panchayat Election)

    খানাকুলের কিশোরপুর-১ নং পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ১৩ টি। তার মধ্যে তৃণমূলের দখলে ৮ টি। আর বিজেপি জয়ী হয় ৫ টি আসনে। সেই জয়ী প্রার্থীদের শপথ গ্রহণ করাতে গিয়েছিলেন খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। অভিযোগ, সেখানেই তৃণমূল নেতা নঈমুল হকের নেতৃত্বে বিধায়ককে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। ইট ছোঁড়া হয়। সেই ইটের আঘাতে জখম হন বেশ কয়েকজন বিজেপি (BJP) কর্মী। পাশাপাশি বিধায়কের গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়। তারপরেই জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে খানাকুল থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ বসেন বিজেপি বিধায়ক। দোষীদের গ্রেফতারের দাবি করা হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত গ্রেফতার না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এই অবস্থান বিক্ষোভ চলবে। পাশাপাশি আরামবাগ -গরেরঘাট ও কলকাতা,তারকেশ্বর ১৬/২০ রুটে খানাকুল বাসস্টপে রাস্তার ওপর টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ শুরু করেন।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    বিজেপি (BJP) বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন, দলীয় জয়ী প্রার্থীদের (Gram Panchayat Election) নিয়ে যাওয়ার সময় ওরা এই হামলা চালিয়েছে। তৃণমূল বোর্ড গঠনের দিনই সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে। আসলে এলাকায় ওরা তাণ্ডব করতেই এই হামলা চালিয়েছে। আমরা ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। এই ঘটনায় যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা নঈমুল হক বলেন, বিজেপি (BJP) বিধায়ক আমাদর দলের জয়ী প্রার্থী নিজের দলে টানার চেষ্টা করছিলেন। সেটা এলাকার মানুষ বুঝতে পেরে প্রকাশ্যে প্রতিরোধ করেছে। সাধারণ মানুষ সরব হয়েছে। এরসঙ্গে তৃণমূলের কোনও সংযোগ নেই। ওরা আমাদের নামে এসব অভিযোগ করে মানুষের সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chikungunya: বঙ্গে ফের ফিরছে চিকুনগুনিয়া! চিন্তার ভাঁজ চিকিৎসক মহলে!

    Chikungunya: বঙ্গে ফের ফিরছে চিকুনগুনিয়া! চিন্তার ভাঁজ চিকিৎসক মহলে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় ফের ফিরছে চিকুনগুনিয়া (Chikungunya)! স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সতর্কবার্তায় উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। চার দশক পরে কলকাতায় ফের দেখা দিচ্ছে মশাবাহিত এই রোগ। চিকিৎসক মহল জানাচ্ছে, এই রোগের সময় মতো চিকিৎসা না হলে মহামারীর আকার ধারণ করতে পারে। একেই ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ায় জর্জরিত রাজ্যের মানুষ। তার উপরে বাড়তি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে চিকুনগুনিয়া। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই রোগে আক্রান্তদের আজীবন নানান জটিল রোগে ভুগতে হতে পারে। তাই এই রোগের সংক্রমণ রুখতে হবে।

    চিকুনগুনিয়া (Chikungunya) কী? 

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, চিকুনগুনিয়া (Chikungunya) মশাবাহিত রোগ। এডিস মশা এই রোগ বহন করে। চিকুনগুনিয়া ভাইরাসকে ওই মশার প্রজাতি বহন করে। তার ফলে মশা কামড়ালে মানুষের শরীরে ওই ভাইরাস প্রবেশ করে।

    কী উপসর্গ দেখা দেয় (Chikungunya)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, চিকুনগুনিয়া হলে কয়েকটি উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন বারবার জ্বর হয়। দেহের তাপমাত্রা ১০২ থেকে ১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত হয়ে যায়। তার সঙ্গে দেহের বিভিন্ন অংশে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। হাত-পায়ের পেশিতে মারাত্মক যন্ত্রণা হয়। হাড়ের যন্ত্রণা এই রোগের আরেক উপসর্গ। এছাড়াও, মাথা ঘোরা, বমির মতো উপসর্গও দেখা দেয়। শিশুদের ক্ষেত্রে পেটের অসুখ হয়। যা চিকুনগুনিয়ার আরেক লক্ষণ। বিশেষত, শিশুরা এই রোগে আক্রান্ত হলে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি তৈরি হয়। তাছাড়া, চিকুনগুনিয়ায় (Chikungunya) আক্রান্ত হলে দেহের যে কোনও অংশ থেকে রক্তপাত হতে পারে। তাই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের কোনও উপসর্গ দেখা দিলেই সতর্ক হতে হবে।

    চিকুনগুনিয়া (Chikungunya) কোন ঝুঁকি তৈরি করে? 

    চিকুনগুনিয়ার সংক্রমণ ক্ষমতা তীব্র। এমনটাই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। তাই এই রোগ মহামারীর আকার ধারণ করতে পারে। এই রোগে আক্রান্তদের নানান হাড়ের সমস্যা দেখা দেয়। রোগ থেকে মুক্তির পরেও আর্থারাইটিসের মতো নানান হাড়ের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। পাশপাশি লিভার ও কিডনির নানান অসুখের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় চিকুনগুনিয়া। তবে এই রোগ সবচেয়ে বিপজ্জনক শিশুদের জন্য। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই রোগে আক্রান্ত হলে শিশুদের প্রাণসংশয় তৈরি হয়। তাই বাড়তি সতর্কতা জরুরি।

    কী পরামর্শ (Chikungunya) দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    বিশেষজ্ঞ মহলের পরামর্শ, এই রোগ মশাবাহিত। তাই বাড়িতে বা বাড়ির আশপাশে যাতে মশা না জন্মায়, সেদিকে নজর দিতে হবে। চিকুনগুনিয়া বহনকারী মশা পরিষ্কার জায়গার জমা জলে জন্মায়। তাই ফুলের টব কিংবা পরিষ্কার কোনও জায়গায় যাতে জল জমে না থাকে, সেদিকে নজর দিতে হবে। রোগের (Chikungunya) উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চিকিৎসা শুরু জরুরি। যাতে রোগ সংক্রমণ না হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে। 
    শিশুরা এই রোগে আক্রান্ত হলে বেশি পরিমাণে জল খাওয়াতে হবে। যাতে কোনও ভাবেই ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি তৈরি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: গাজোলে জয়েন্ট বিডিও ঘেরাও, বিক্ষোভের মুখে বেধড়ক মার খেল পুলিশ

    Malda: গাজোলে জয়েন্ট বিডিও ঘেরাও, বিক্ষোভের মুখে বেধড়ক মার খেল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও উত্তেজনায় অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল মালদার (Malda) গাজোলের বাবুপুর অঞ্চল। ঘেরাওয়ের মুখে পড়লেন গাজল ব্লকের জয়েন্ট বিডিও। বিক্ষোভের মুখে পড়ে বেধড়ক মার খেল পুলিশও। জানা গেছে, মালদার গাজোলের বাবুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বৃহস্পতিবার বোর্ড গঠনের কথা ছিল। ১২ আসন বিশিষ্ট বাবুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল পেয়েছে পাঁচটি আসন, সিপিএম তিনটি, কংগ্রেস দুটি এবং বিজেপি ও নির্দল একটি করে আসনে জয়লাভ করে। এরপর জোট বেঁধে বোর্ড গঠনের চেষ্টা শুরু করে বিরোধীরা। কিন্তু অভিযোগ, দিন কয়েক আগে হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যান সিপিএমের একজন জয়ী প্রার্থী। আদিবাসী অধ্যুষিত ওই পঞ্চায়েতে সিপিএম প্রার্থীকে সমর্থন করেছিল ঝাড়খণ্ড দিসম পার্টি। প্রার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে গাজোল থানাতে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এমনকি থানা ঘেরাও করা হয়েছিল।যদিও প্রার্থীর দেখা মেলেনি।

    পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ থেকেই গন্ডগোল (Malda) 

    বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের আগে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হয় বিরোধীরা। বোর্ড গঠনের আগেই উপস্থিত পুলিশ আধিকারিক ও পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায় বিরোধী জোটের। আক্রমণ করা হয় পুলিশকে। বিক্ষুব্ধদের তাড়া খেয়ে এলাকা (Malda) ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয় পুলিশ। মারধর করা হয় বেশ কিছু পুলিশ কর্মীকেও। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছান গাজল ব্লকের জয়েন্ট বিডিও। তাঁকেও ঘেরাও করে রাখেন বিরোধী জোটের কর্মী-সমর্থকরা।

    হল না বোর্ড গঠন (Malda) 

    অন্যদিকে বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া আজ হওয়ার কথা থাকলেও পঞ্চায়েতে হাজির হননি বোর্ড গঠনের জন্য নিযুক্ত সরকারি কর্মীরা। এমনকি অনুপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের বিজয়ী প্রার্থীরাও। স্বভাবতই গোটা ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন ও পঞ্চায়েত কর্মীদের বিরুদ্ধে শাসক দলকে মদত করার অভিযোগ উঠেছে। এখনও পর্যন্ত ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড (Malda) গঠন প্রক্রিয়া স্থগিত রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Krishna Nagar: নদিয়ায় বিজেপির প্রধানকে অপহরণ, অভিযুক্ত তৃণমূল, প্রতিবাদে জাতীয় সড়়ক অবরোধ

    Krishna Nagar: নদিয়ায় বিজেপির প্রধানকে অপহরণ, অভিযুক্ত তৃণমূল, প্রতিবাদে জাতীয় সড়়ক অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোর্ড গঠনের পর বিজেপির (BJP) নির্বাচিত প্রধানকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে কৃষ্ণনগর-২ নম্বর (Krishna Nagar) ব্লকের ধুবুলিয়া-১ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগরের (Krishna Nagar) ধুবুলিয়া-১ নম্বর পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন ছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ধুবুলিয়া-১ নম্বর পঞ্চায়েতের ২১টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে ১১টিতে জয় লাভ করে বিজেপি। ৮ টি পায় তৃণমূল। ২টি আসনে সিপিএম জয়লাভ করে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার কারণে বৃহস্পতিবার শাসকদলের হাত থেকে পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিয়ে বোর্ড গঠন করে বিজেপি। অভিযোগ,বোর্ড গঠনের পর বিজেপির নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধান পঞ্চায়েত ভবন থেকে বাইরে বেরিয়ে আসার সময়  জোরপূর্বক অপহরণ করার অভিযোগ ওঠে শাসকদল  তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজনের বিরুদ্ধে। বিজেপি মনোনীত প্রধানকে অপহরণের পরেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন উপস্থিত বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। যার ফলে উভয়পক্ষের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে তীব্র বচসার সৃষ্টি হয়। এবং ধুবুলিয়ায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের চোখের সামনে তৃণমূলের লোকজন এই  কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করে বিজেপি। এছাড়াও খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রমণের শিকার হতে হয় সংবাদ কর্মীদের। দুর্বৃত্তদের হাতে মার খেয়ে মোবাইল ফোন ভেঙে যায় একজন সংবাদকর্মীর। এছাড়াও সংবাদ কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সবটাই পুলিশের সামনে ঘটলেও পুলিশ নির্বিকার ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ ওঠে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে। পরে, এদিন বিকেলের পর বিজেপির প্রধানকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিজেপির (BJP) প্রধান গৌতম সরকার বলেন, বোর্ড গঠনের পর আমাকে নিয়ে টানাটানি হয়। তাতে আমার চোট লাগে। তারপর আমার আর কিছু মনে নেই।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব? (Krishna Nagar)  

    বিজেপি (BJP) নেতা সৈকত সরকার বলেন, বিজেপি বোর্ড গঠন করেছে বলে ওরা আমাদের প্রধানকে অপহরণ করেছিল। তৃণমূলের সন্ত্রাসের প্রতিবাদে আমরা রাস্তা অবরোধ করেছিলাম। আমরা অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, বিজেপি (BJP) সংখ্যগরিষ্ঠতা পেলেও ওরা ভোটাভুটিতে হেরে যাচ্ছিল দেখে এসব নাটক করেছিল। অপহরণের ঘটনায় তৃণমূল জড়িত নয়। ওদের সবই বানানো গল্প।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Namami Gange: কেন্দ্রের প্রকল্পে নতুন ভাবে সেজে উঠছে উলুবেড়িয়ার গঙ্গার পাড়, কী কী হচ্ছে?

    Namami Gange: কেন্দ্রের প্রকল্পে নতুন ভাবে সেজে উঠছে উলুবেড়িয়ার গঙ্গার পাড়, কী কী হচ্ছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গাদূষণ রোধে এবং গঙ্গার পাড়ের সৌন্দর্যায়নে বিশেষ জোর দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। এবার কেন্দ্রের সরকারের হাত ধরেই নমামি গঙ্গে প্রকল্পে হাওড়া জেলার গ্রামীণ শহর উলুবেড়িয়ার গঙ্গার ঘাটে লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হবে শহরের ইতিহাস। উলুবেড়িয়ায় কালীবাড়ি সংলগ্ন গঙ্গার ঘাট সৌন্দর্যায়নের প্রকল্প হিসাবে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে৷ আদতে উলুবেড়িয়া পুরসভা এই কাজ করলেও এই ভাবনা দ্রুত কার্যকর করার নির্দেশ এসেছে কেন্দ্র থেকে। উলুবেড়িয়া পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, এই কাজে মূল অর্থ (Namami Gange) জোগাবে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে সামান্য কিছু  খরচ হবে পুরসভার।

    এই অঞ্চল ঘিরে বিস্তারিত পরিকল্পনা (Namami Gange)

    উলুবেড়িয়া পুরসভার এক আধিকারিক জানান, জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে সল্টলেকে দু’দিনের এক আলোচনাসভায় হুগলি নদী সংলগ্ন ২২টি পুরসভাকে ডাকা হয়। সেখানেই উলুবেড়িয়া পুর কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা গঙ্গায় যোগ হওয়া ১৭ টি খালের মুখ জাল দিয়ে ঢেকে দিয়েছে, যাতে খালবাহিত প্লাস্টিক বর্জ‍্য আর নদীতে না পড়ে। ভবিষ্যতে পরিকল্পনা আছে খাল থেকে কচুরিপানা ও প্লাস্টিক তুলে সেগুলি প্রক্রিয়াকরণ করে হস্তশিল্পজাত দ্রব্য তৈরি করার। বাউড়িয়ায় হুগলি নদীর ঘাটকে পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তোলা ও উলুবেড়িয়া কালীবাড়ি সংলগ্ন ঘাটে লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের ব্যবস্থা করারও পরিকল্পনা (Namami Gange) রয়েছে। এরপরই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই প্রকল্পকে সেরা ঘোষণা করা হয়।

    কী জানাল (Namami Gange) পুর কর্তৃপক্ষ?

    উলুবেড়িয়া পুরসভার পুরপ্রধান অভয় দাস জানিয়েছেন, হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া খুবই পুরানো শহর। সেই শহরের ইতিহাস ও  ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হবে লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের মাধ্যমে। এর জন্য বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নেওয়া হবে। তিনি বলেন,গঙ্গার দূষণ রোধে আমরা যা যা ব্যবস্থা নিয়েছি, তা কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রশংসা পেয়েছে। এবার কালীবাড়ি ঘাটে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড ব্যবস্থা উলুবেড়িয়ার ইতিহাসে নতুন মাত্রা যোগ করবে। স্থানীয় মানুষ মনে করছেন, এই প্রকল্প (Namami Gange) গড়ে উঠলে তা যেমন পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে, তেমনই এলাকার মানুষ যাঁরা প্রতিদিন গঙ্গার পাড়ে বেড়াতে আসেন, তাঁরাও বেশি করে ভিড় জমাবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Board: বোর্ড হাতছাড়া হচ্ছে দেখে এবার বিজেপির জয়ী প্রার্থীর শংসাপত্র ছিঁড়ে টপাটপ মুখে!

    Panchayat Board: বোর্ড হাতছাড়া হচ্ছে দেখে এবার বিজেপির জয়ী প্রার্থীর শংসাপত্র ছিঁড়ে টপাটপ মুখে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় গণনা কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থীকে হারাতে ব্যালট খেয়ে নিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব মাটি। সিপিএম প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মজুমদারের এমন অভিযোগে চক্ষু চড়ক গাছ হয়েছিল ভোটারদের। শেষে কিনা তাঁদের জনমত পেটে! এমন ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্যে। এবার সেই অবাক করা ঘটনার পুনরাবৃত্তি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে (Panchayat Board)৷ তৃণমূল সদস্যা এবার খেয়েছেন ঠিকই, কিন্তু ব্যালট নয়। তাঁর পেটে গেল বিজেপি প্রার্থীর জয়ের শংসাপত্র। আর এহেন ন্যক্কারজনক ঘটনায় তোলপাড় উত্তর দিনাজপুর জেলা৷

    কীভাবে ঘটল এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা (Panchayat Board)?

    জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ ব্লকের ১৪ নং কমলাবাড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বোর্ড গঠন (Panchayat Board) প্রক্রিয়া ছিল। ফলে সকাল থেকেই টান টান উত্তেজনার পরিবেশ ছিল। কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় শুরু হয় যাবতীয় প্রক্রিয়া। অথচ বেলা বাড়তেই আচমকা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে৷ পঞ্চায়েত দফতরের ভিতরে যখন প্রধান নির্বাচনের জন্য ভোটাভুটি চলছিল, তখন হঠাৎ তৃণমূলের এক সদস্যা বিজেপির জয়ী সদস্যর শংসাপত্র হাত থেকে কেড়ে টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে টপাটপ মুখে পুড়ে নেন। যা দেখে হতভম্ব হয়ে যান সেখানে উপস্থিত অন্যান্য পঞ্চায়েত সদস্য ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এমন ঘটনা মনে করিয়ে দিল গত মাসে সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনা কেন্দ্রে ব্যালট খেয়ে নেওয়ার ঘটনা। উত্তর ২৪ পরগনার সেই ঘটনা নিয়ে রাজ্যবাসী নিন্দায় মুখর হয়। এবার সেই ছায়া উত্তর দিনাজপুরে পড়ল।

    কী জানালেন বিজেপির সদস্য, কী জবাব দিল তৃণমূল?

    বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য দুলাল সরকারের অভিযোগ, পঞ্চায়েতে প্রধান নির্বাচন (Panchayat Board) প্রক্রিয়া যখন শেষ পর্যায়ে, তখন তৃণমূল সদস্য সোনা টোপ্পা তাঁদের এক সদস্যর হাত থেকে শংসাপত্র ছিনিয়ে খেয়ে নেন। বোর্ড হাতছাড়া হতে দেখে এমনই পথ বেছে নেয় তৃণমূল, যাতে বিজেপি বোর্ড গঠন করতে না পারে৷ কিন্তু তৃণমূলের সেই অপচেষ্টা রুখে দিয়ে বিজেপি বোর্ড গঠন করতে পেরেছে। যদিও বিজেপির আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের সোনা টোপ্প৷ তাঁর দাবি, বিজেপি ভোটাভুটি করতে চাইছিল না। সে কারণে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে৷

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share