Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Panchayat Board: খেজুরিতে বোর্ড গঠনে বোমাবাজি, গুলিবিদ্ধ ৩ বিজেপি কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Panchayat Board: খেজুরিতে বোর্ড গঠনে বোমাবাজি, গুলিবিদ্ধ ৩ বিজেপি কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি-২ ব্লকের নিজ কসবা এলাকায় পঞ্চায়েতে বোর্ড (Panchayat Board) গঠনকে কেন্দ্র করে এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। বিজেপির জয়ী প্রার্থী সহ দলীয় কর্মী সমর্থকদের লক্ষ্য করে ব্যাপক বোমাবাজি এবং গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তিনজন বিজেপি কর্মী গুলিবিদ্ধ হন বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে এসে গণ্ডগোলের মধ্যে পড়ে একাধিক পুলিশ কর্মী জখম হন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    নিজ কসবা গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ২৮টি। তারমধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ১২টি আসন। আর বিজেপি পেয়েছে ১৬টি আসন। বৃহস্পতিবার এই পঞ্চায়েতে বোর্ড (Panchayat Board) গঠনের দিন ধার্য করা হয়। সেই মতো বিজেপি এবং তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীরা দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে জমায়েত হন। উত্তরদিকে তৃণমূল কর্মীরা জমায়েত হন। আর দক্ষিণদিকে জমায়েত হন বিজেপি কর্মীরা। প্রথমে দুই দলের কর্মীদের নিয়ে বচসা শুরু হয়। সেটা বাড়তে বাড়তে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে,  পঞ্চায়েত অফিসের সামনে ব্যাপক বোমাবাজি করা হয়। চলে গুলিও। বিজেপির জয়ী প্রার্থীর স্বামী সহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন থাকায় পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে পুলিশ কর্মীও জখম হন। পরে, ভোটাভুটিতে বিজেপি বোর্ড গঠন করে। বিজেপির জয়ী সদস্য মৌসুমী মণ্ডল প্রধান নির্বাচিত হন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক বলেন, তৃণমূলই এদিন জমায়েত করে এলাকায় সন্ত্রাস করেছে। আমাদের কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। ৩ জন কর্মী আমাদের গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আমরা  হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। আহত তিন বিজেপি কর্মীকে শিল্যাবেড়িয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় মোতায়ন করা হয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী। জখম একাধিক পুলিশ কর্মীকে জনকা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি দেবাশিস দাস বলেন, বোর্ড (Panchayat Board) গঠনের দিনে বিজেপি গণ্ডগোল পাকানোর জন্য ব্যাপক জমায়েত করেছিল। ওরাই এলাকায় বোমাবাজি, গুলি চালিয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবেই যুক্ত নয়।

    হুগলির ফুরফুরায় পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন ঘিরে বোমাবাজি

    হুগলির জাঙ্গিপাড়ার ফুরফুরায় পঞ্চায়েত বোর্ড (Panchayat Board)  গঠন ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। জানা গিয়েছে, ফুরফুরার পঞ্চায়েত গেটে তালা ঝোলানো ছিল। আইএসএফ এই তালা দিয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশ তালা খুলতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয়। পরে, বোমাবাজি করার অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়। আইএসএফের অভিযোগ, এই পঞ্চায়েতে আইএসএফ জয়ী হয়েছে। তৃণমূল দাবি করছে তারা জয়ী হয়েছে। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এই অবস্থায় বোর্ড গঠন করা ঠিক নয়। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, আইএসএফ এলাকায় সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করে রেখেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Board: খানাকুলে তৃণমূলকে সংখ্যালঘু করে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করল বিজেপি

    Panchayat Board: খানাকুলে তৃণমূলকে সংখ্যালঘু করে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের বোর্ড (Panchayat Board) গঠন করা শুধু সময়ের অপেক্ষা ছিল। কারণ, হুগলির আরামবাগ মহকুমার খানাকুলের অরুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল তৃণমূল। কিন্তু, বোর্ড গঠনের দিন এরকম রাজনৈতিক চমক তৃণমূল নেতৃত্ব আশা করেনি। বোর্ড গঠনের দিনই আচমকাই তৃণমূল  ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দান করল। আর তাতেই পঞ্চায়েত বাজিমাত করল তৃণমূল।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই বিজেপিতে যোগদান করেন ৩ জন তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী। সংখ্যাগরিষ্ঠ থেকেও বোর্ড গঠন করতে পারল না তৃণমূল। এই পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ২৩ টি। তার মধ্যে বিজেপি ৯ টি আসনে জয়ী হয়েছিল। আর তৃণমূল পেয়েছিল ১৪টি আসন। কিন্তু,বৃহস্পতিবার বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই চমক দেয় বিজেপি। তিন জন তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী বিকাশ দাস, দেবাশিস সিং ও অসীমা কারক বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিমান ঘোষের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন। তারপরই পাল্লা ভারী হয় বিজেপির। ৯ টি আসন থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ১২ টি। আর তৃণমূলের আসন কমে দাঁড়ায় ১১ টি। তারপরেই প্রার্থীদের নিয়ে পঞ্চায়েতে বোর্ড (Panchayat Board) গঠনের জন্য হাজির হয় বিজেপি। পঞ্চায়েত মোড়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা জমায়েত করে রয়েছে। রয়েছে পুলিশও।

    বিজেপিতে যোগ দেওয়া জয়ী প্রার্থী কী বললেন?

    বিজেপিতে যোগ দেওয়া জয়ী প্রার্থী বিকাশ দাস দলেন, তৃণমূল দুর্নীতিগ্রস্ত দল। এই দলের সঙ্গে থাকা যায় না। আমরা এলাকায় উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূল ছেড়়ে বিজেপিতে যোগ দিলাম। কারণ, মানুষ বিজেপির সঙ্গে রয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা বিমান ঘোষ বলেন, আগে মুচলেকা দিয়েছে প্রার্থীরা, তারপর যোগদান করানো হয়েছে। আসলে তারা আমাদের দলকে ভালবেসে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। কোনও ভয় দেখানো হয়নি। তৃণমূল  দুর্নীতিগ্রস্ত দল। তাই, কেউ ওই দলের সঙ্গে থাকতে চাইছে না। বিজেপি এই পঞ্চায়েতে বোর্ড (Panchayat Board) গঠন করেছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা দুখীরাম দলুই বলেন, টাকার লোভেই তারা বিজেপিতে গিয়েছে। দলকে ভালবাসলে ওদের তৃণমূলের ফিরে আসা দরকার। এভাবে দল বদল করে মানুষের আস্থা পাওয়া যায় না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Student Death: হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের! রহস্য ঘনীভূত

    Student Death: হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের! রহস্য ঘনীভূত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশিদিন আগের কথা নয়। খড়্গপুর আইআইটির এক ছাত্রের রহস্যমৃত্যু নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। জল গড়িয়েছিল অনেক দূর। এবার ঘটনাস্থল যাদবপুর। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হল মেন হস্টেলের বারান্দা থেকে নিচে পড়ে। দুর্ঘটনা ঘটার পর গুরুতর জখম ওই ছাত্রকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি (Student Death)। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম স্বপ্নদীপ কুণ্ডু। নদিয়া জেলার বাসিন্দা স্বপ্নদীপ এখানে বাংলা অনার্স নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। থাকতেন মেন হস্টেলে এ ব্লকের তিনতলায়। ওই ছাত্র কি ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন, নাকি তাঁকে কেউ ঠেলে ফেলে দিয়েছে, তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।

    প্রাথমিক তদন্তে কী জেনেছে পুলিশ (Student Death)?

    প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, মাত্র কয়েক দিন আগেই ওই ছাত্র এখানে ভর্তি হয়েছিলেন। বুধবার ছিল প্রথম ক্লাস। কিন্তু সেই ক্লাসে তাঁকে দেখা যায়নি। অথচ তিনি হস্টেলে ছিলেন। কেন তিনি প্রথম ক্লাসেই উপস্থিত হলেন না, তা পুলিশ খোঁজখবর নিয়ে দেখছে। মেন হস্টেলেন নিচে যখন ওই ছাত্রের দেহ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল (Student Death), তখন তা প্রথম নজরে এসেছিল অন্য ছাত্রদের। তাঁরাই তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে, ঠিক কী ঘটেছিল। আপাতত দেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।

    নদিয়ার গ্রামে শোকের ছায়া (Student Death), কী কথা হয়েছিল মায়ের সঙ্গে?

    অস্বাভাবিক এই মৃত্যুর ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে নদিয়ার হাঁসখালির বগুলায় শোকের ছায়া। এটি (Student Death) আত্মহত্যা না খুন, তা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। জানা গেছে, নদিয়ার বগুলার কলেজ পাড়া এলাকার বাসিন্দা স্বপ্নদীপ এলাকায় ভাল ছেলে হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সম্প্রতি উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য বাংলা প্রথম বর্ষের ছাত্র হিসেবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। কলেজ হস্টেলে থেকে পড়াশোনা শুরু করেন। পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যার সময় শেষ বারের মতো মায়ের সাথে ফোনে কথা বলেন ছাত্রটি। তখন মাকে জানিয়েছিলেন, তিনি ভালো নেই। তাঁর খুব ভয় করছে। মাকে তাড়াতাড়ি সেখানে যাওয়ার জন্যও নাকি বলেছিলেন। পরে তাঁর মা ছেলেকে ফোন করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফোনে পাননি। এই খবর জানিয়ে ওই ছাত্রের মামা র‍্যাগিং-এর দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। এরপর রাত আনুমানিক সাড়ে বারোটা নাগাদ পরিবারকে জানানো হয়, স্বপ্নদীপ ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছেন। ছাত্রটির মাথায় ও শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। ফলে ছাত্রটির মৃত্যু নিয়ে গভীর ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: প্রশাসনের কর্মীদের আটকাল তৃণমূল, ময়নাগুড়িতে ঝুলে রইল বোর্ড গঠন, আন্দোলনে বিজেপি

    BJP: প্রশাসনের কর্মীদের আটকাল তৃণমূল, ময়নাগুড়িতে ঝুলে রইল বোর্ড গঠন, আন্দোলনে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপিকে (BJP) ঠেকাতে মরিয়া চেষ্টা চালায় তৃণমূল। প্রথমে প্রশাসনের কর্মীদের রাস্তা আটকে পঞ্চায়েতে আসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। আর তৃণমূলের জয়ী সদস্যরা পঞ্চায়েত অফিসে না যাওয়ায় বৃহস্পতিবার কার্যত বোর্ড গঠন ঝুলে রইল জলপাইগুড়ির রামশাই গ্রাম পঞ্চায়েতে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    বৃহস্পতিবার  দিন ধার্য্য থাকলেও বোর্ড গঠন ঝুলে রইল ময়নাগুড়ি ব্লকের রামশাই অঞ্চলে। এই গ্রামপঞ্চায়েতের মোট আসন ২৪টি। বিজেপি এবং তৃণমূল পেয়েছে ১২ টি করে আসন। টসের মাধ্যমে বোর্ড গঠন হওয়ার কথা ছিল। অভিযোগ, বোর্ড গঠনের জন্য ব্লক অফিসের আধিকারিক এবং কর্মীদের মাঝ পথেই এদিন তাঁদের আটকে দেয় তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। বিজেপি (BJP) নেতা কর্মীরা তাদের জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে বোর্ড গঠনের জন্য আসলেও তৃণমূলের কোনও জয়ী প্রার্থী না আসায় বোর্ড গঠন আপাতত স্থগিত থাকে। এদিকে বিজেপি নেতা কর্মীরা গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে যেতে গেলে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। সেই সময় পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের তর্ক বিতর্ক শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের পুলিশ জানিয়েছে, ব্লক অফিসের আধিকারিক এবং কর্মীদের নিয়ে আসার ব্যবস্থা করছে তারা। পুলিশের কথা শুনে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা তাদের আন্দোলনের মাত্রা কিছুটা কমিয়ে দেন। তবে, এদিন দুপুর পর্যন্ত এই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন ঝুলে রয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব কেউ মুখ খুলতে চায়নি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) ময়নাগুড়ি ব্লকের উত্তর মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক শান্ত স্বরূপ বিশ্বাস বলেন, আমরা শান্তিপূর্নভাবে এদিন বোর্ড গঠনের জন্য এসেছিলাম। কিন্তু, তৃণমূলের লোকজন ব্লক অফিসের আধিকারিক এবং কর্মীদের আটকে দেয়। তার ওপর নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ায় এদিন আর বোর্ড গঠন হবার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে গেল। এদিন বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত আমরা এই গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরের সামনে অবস্থান করব, যাতে তৃণমূল অন্যায়ভাবে এসে বোর্ড গঠন করতে না পারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: ডেঙ্গি-মৃত্যু নিয়ে ফের চাপানউতোর, রাজ্যের বিরুদ্ধে তথ্য চেপে যাওয়ার অভিযোগ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের! 

    Dengue: ডেঙ্গি-মৃত্যু নিয়ে ফের চাপানউতোর, রাজ্যের বিরুদ্ধে তথ্য চেপে যাওয়ার অভিযোগ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের! 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার মরশুম শুরু হতেই শুরু হয়ে গিয়েছে ডেঙ্গির (Dengue) দাপট। জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যার হার বর্ষার শুরুতেই বদলে যায়। জুলাই মাসে ডেঙ্গি আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে। সেই একই ধারা বজায় রয়েছে অগাস্টের প্রথম সপ্তাহেও। তার সঙ্গে বাড়তি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মৃত্যু। একের পর এক ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হচ্ছে। কিন্তু অভিযোগ, মৃত্যু অস্বীকার করছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের কাছে ঠিকমতো তথ্য দেওয়া হচ্ছে না।

    কী বলছে তথ্য (Dengue)? 

    রাজ্যে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা ছিল আড়াই হাজার। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জুলাই মাসে ডেঙ্গি আক্রান্ত হন ৭০০ জন। অগাস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে নতুন করে আরও প্রায় দেড়শো জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। তবে, স্বাস্থ্য দফতর সরকারি ভাবে কিছুই জানাতে রাজি নয়। পাশপাশি ডেঙ্গি মৃত্যু নিয়েও ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে জটিলতা। বেসরকারি হিসাব অনুযায়ী, জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে অগাস্টের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ১২ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। যদিও সরকারি ভাবে কোনও ডেঙ্গি মৃত্যুর তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে না। এমনকি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছেও নিয়মিত তথ্য পাঠানো হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছে। কিন্তু এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ স্বাস্থ্য দফতরের সংশ্লিষ্ট মহল।

    উদ্বেগ (Dengue) বাড়ছে কেন? 

    বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, ২০২২ সালে দেশে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত রাজ্য ছিল পশ্চিমবঙ্গ। সরকারি হিসেবেই আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৭ হাজারের বেশি। দেশের মধ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত রাজ্য হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিহার। তবে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৩ হাজারের কাছকাছি। প্রথম ও দ্বিতীয় রাজ্যের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যার ফারাক অনেকটাই ছিল। এ বছরেও পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক হবে বলেই আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, তাদের আশঙ্কা, ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু নিয়ে জটিলতা বিপদ বাড়াবে। কোনও ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু হলে, সেই এলাকায় বিশেষ প্রশাসনিক তৎপরতা জরুরি। কারণ, সেই এলাকায় আর কেউ আক্রান্ত হয়েছেন কিনা তা প্রশাসনের জানা দরকার। পাশাপাশি এলাকার পরিচ্ছন্নতায় বিশেষ নজরদারি জরুরি। সংক্রমণ যাতে আর না ছড়ায় সে দিকেও নজর দিতে হবে। কিন্তু সরকারি তরফে মৃত্যু স্বীকার না করলে সেই কাজ করা মুশকিল। এলাকার কেউ ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন, তা এলাকাবাসীর জানা দরকার। কিন্তু সরকারের তরফে তা প্রকাশ না করলে, সচেতনতা প্রসার মুশকিল। যা ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের মূল সমস্যা। অক্টোবর-নভেম্বর মাসে পরিস্থিতি কতখানি নিয়ন্ত্রণে থাকবে, সে নিয়েই উদ্বিগ্ন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • BJP: গ্রেফতার করিয়েও শেষরক্ষা হল না তৃণমূলের, টসে জিতে মেখলিগঞ্জে বোর্ড গঠন বিজেপির

    BJP: গ্রেফতার করিয়েও শেষরক্ষা হল না তৃণমূলের, টসে জিতে মেখলিগঞ্জে বোর্ড গঠন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোর্ড গঠনে তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দিতে পুলিশ বিরোধী জয়ী প্রার্থীদের পুরানো মামলার সূত্র ধরে গ্রেফতার করে আটকে রাখছে। বোর্ড গঠনের সময় থেকে রাজ্যজুড়ে এই ধরনের একাধিক ঘটনা ঘটেছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতেও বোর্ড গঠনের আগে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। বোর্ড গঠনের এক দিন আগে বিজেপির (BJP) জয়ী সদস্যকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বিজেপির সেই জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যই হয়ে গেলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান।

    কেন গ্রেফতার বিজেপির জয়ী সদস্য?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন গণনাকেন্দ্রের সামনে ঝামেলা করার অভিযোগ ওঠে বিজেপি (BJP) নেতা রমানাথ বর্মনের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগেই সোমবার গভীর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে হলদিবাড়ি থানার পুলিশ। পঞ্চায়েত নির্বাচনে পার মেখলিগঞ্জ পঞ্চায়েতে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়ে জিতে যান তিনি। বিজেপির অভিযোগ, বোর্ড গঠনে তৃণমূলকে সুবিধা করে দিতেই পুলিশ তৃণমূলের কথা মতো মিথ্যা মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে।

    কী করে বিজেপি বোর্ড গঠন করল?

    হলদিবাড়ি ব্লকের পার মেখলিগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন ১৪টি। এবার ভোটে বিজেপি (BJP) জয়ী হয়েছে ৭টি, তৃণমূলের দখলে আসে ৬টি আসন এবং ফরওয়ার্ড ব্লক পায় একটি আসন। যদিও পরবর্তীতে ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী তৃণমূলে যোগদান করায় তৃণমূল ও বিজেপির আসন সংখ্যা সমান সমান হয়ে যায়। সে কারণেই একজন জয়ী প্রার্থীকে গ্রেফতারির পর বিজেপির অভিযোগ ছিল, বোর্ড গঠনে তৃণমূলকে সুবিধা করে দিতেই মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এদিকে ঘাসফুল ও পদ্ম শিবিরের আসন সংখ্যা সমান হয়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত ঠিক হয় টসেই ঠিক হবে প্রধান। সেই টসে জিতে পঞ্চায়েতের প্রধান হয়ে যান বিজেপির জয়ী সদস্য রমানাথবাবু। বোর্ড গঠন করেছে বিজেপি। উপপ্রধান হয়েছেন ডলি রায়। এদিকে গ্রেফতারির পর পুলিশ রমানাথকে আদালতে তুললে মেখলিগঞ্জ মহকুমা আদালত থেকে তিনি জামিন পেয়ে যান। অংশ নেন বোর্ড গঠন প্রক্রিয়ায়। লটারিতে রাতারাতি তাঁর ভাগ্য ফিরে যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: বাঁকুড়ার ৭ শিক্ষককে তলব করে চার-ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের

    Recruitment Scam: বাঁকুড়ার ৭ শিক্ষককে তলব করে চার-ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) জেরে মুর্শিদাবাদ জেলার চার শিক্ষক বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি। ঠিক এমন সময়, চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই বাঁকুড়ার সাত জন শিক্ষককে তলব করে সিবিআই। কোর্টের নির্দেশে শিক্ষক নিয়োগ-দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্ত চলছে। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী থেকে শাসকদলের একাধিক বিধায়ক বর্তমানে জেলে রয়েছেন। ঠিক এমন সময় এই সাত শিক্ষকের তলব (Recruitment Scam) নিয়ে হইচই পড়ে যায়।

    বুধবার নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেন ওই সাত শিক্ষক

    ৯ অগাস্ট বুধবার তাঁরা হাজিরা দেন নিজাম প্যালেসে (Recruitment Scam)। চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সেখান থেকে বের হতেই সংবাদমাধ্যম ঘিরে ধরে এই সাত শিক্ষককে। তাঁরা প্রত্যেকেই বলেন, ‘‘হাইকোর্টের নির্দেশে আমরা চাকরি পেয়েছি।’’ এই সাত শিক্ষকের মধ্যে একজন বলেন, ‘‘কোর্টের নথি চাইল আমাদের কাছে সিবিআই। এ ছাড়া পর্ষদ যে নিয়োগপত্র দিয়েছিল, সেটাও আমাদের কাছ থেকে জমা নেয় সিবিআই আধিকারিকরা।’’ তাঁদের দাবি, পর্ষদ ঠিক সময়ে নথি সিবিআই-এর কাছে পাঠালে এমন হয়রানির শিকার তাঁদের হতে হত না (Recruitment Scam)।

    ৭ শিক্ষকের পরিচয়

    ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ সামনে আসে। একাধিক মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সোমবার এরকম একটি মামলাতে মুর্শিদাবাদের চার শিক্ষককে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এরপরই তলব করা হয় বাঁকুড়া সাত শিক্ষককে। এই ৭ শিক্ষক হলেন স্বাধীনকুমার পাল, সায়ন্তনী বেজ, প্রিয়াঙ্কা লাহা, গণপতি মাহাত, প্রিয়াঙ্কা নন্দী, হরেন্দ্রনাথ ধাড়া ও পারমিতা সিংহ মহাপাত্র। জানা গিয়েছে, তাঁদের হাজির হতে বলা হয় মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড, পর্ষদের দেওয়া নিয়োগপত্র, জাতিগত শংসাপত্র ইত্যাদি নিয়ে। ওই সাত শিক্ষকের দাবি, তাঁরা নিয়োগ (Recruitment Scam) পেয়েছেন ২০২১ সালে। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার একটি মামলায় তাঁদের ৬ নম্বর বাড়ে বলে দাবি ওই শিক্ষকদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railway: ১৫ অগাস্টের ছুটিতে গন্তব্য উত্তরবঙ্গ! স্পেশাল ট্রেন চালাচ্ছে রেল, জানেন তো?

    Indian Railway: ১৫ অগাস্টের ছুটিতে গন্তব্য উত্তরবঙ্গ! স্পেশাল ট্রেন চালাচ্ছে রেল, জানেন তো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে স্পেশাল ট্রেন চালাবে ভারতীয় রেলওয়ে (Indian Railway)। ঘুরতে পেলে বাঙালি যে আর কিছুই চায় না! একথা ভারতীয় রেল নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছে। ভ্রমণপিপাসু বাঙালি স্বাধীনতা দিবসের ছুটি উপভোগ করতে পারবেন উত্তরবঙ্গের কোনও অরণ্য বা পার্বত্য নদীর কিনারায়। অন্তত ভারতীয় রেলের (Indian Railway) উদ্যোগ তেমনই। চলতি বছরের স্বাধীনতা দিবস পড়েছে মঙ্গলবার। সোমবার অবশ্য ১৪ অগাস্ট, কর্মক্ষেত্রে এই দিনটি ম্যানেজ করতে পারলেই আর চিন্তা নেই। কারণ ১২ ও ১৩ অগাস্ট হচ্ছে শনিবার ও রবিবার। আপনার যে কোনও ভাবে চারদিনের একটি ছোটখাট ট্যুর হয়ে যেতেই পারে।

    কবে ছাড়ছে স্পেশাল ট্রেন

    এই সমস্ত দিক বিবেচনা করে ০৩১০৩ শিয়ালদা-নিউ জলপাইগুড়ি এক্সপ্রেস স্পেশাল ট্রেন (Indian Railway) চালানোর বন্দোবস্ত করছে ভারতীয় রেল। রেলের তরফে জানা গিয়েছে, আগামী ১১ অগাস্ট শুক্রবার রাতে শিয়ালদহ থেকে ছাড়বে স্পেশাল ট্রেন। রাত ১১টা ৪০মিনিটে শিয়ালদহ স্টেশন ছেড়ে, এই ট্রেন নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দেবে। ভ্রমণপ্রিয় বাঙালিকে নিয়ে ছুটবে উত্তরবঙ্গের মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশের দিকে। ট্রেনের এই যাত্রাপথে নৈহাটি, ব্যান্ডেল কাটোয়া, আজিমগঞ্জ, জঙ্গিপুর, মালদা স্টেশনে দাঁড়াবে এই ট্রেন। শনিবার, ১২ অগাস্ট ঠিক বেলা ১০:৪৫ মিনিট নাগাদ এই ট্রেন পৌঁছাবে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে। তারপর নিজের মতো করে পর্যটকরা কেউ পৌঁছাবেন পার্বত্য দার্জিলিং, সিকিমে অথবা ডুয়ার্সের কোনও রিসর্টে।

    কবে কাটতে পারবেন স্পেশাল ট্রেনের টিকিট

    রেলের তরফে জানানো হয়েছে, আজ, বৃহস্পতিবার ১০ অগাস্ট সকাল আটটা থেকে যে কোনও সংরক্ষণের জন্য নির্ধারিত টিকিট কাউন্টার থেকে এই ট্রেনের (০৩১০৩ শিয়ালদা-নিউ জলপাইগুড়ি এক্সপ্রেস) জন্য টিকিট কাটা যাবে। তবে যাত্রীরা তৎকাল টিকিটের সুবিধা পাবেন না এই ট্রেনে। ট্রেনে এসি কোচের সুবিধাও মিলবে। তবে অন্যান্য ট্রেনের থেকে এই স্পেশাল ট্রেনের (Indian Railway) ভাড়া একটু বেশি পড়বে। তবে তাতে নিশ্চিতভাবেই হতাশ হবেন না ভ্রমণপ্রিয় বাঙালি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: বোর্ড গঠনের পর খড়গ্রামে জয়ী কংগ্রেস সদস্যের ছেলেকে কুপিয়ে খুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    TMC: বোর্ড গঠনের পর খড়গ্রামে জয়ী কংগ্রেস সদস্যের ছেলেকে কুপিয়ে খুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিন ফের রক্ত ঝড়ল মুর্শিদাবাদে। আবারও খুনের অভিযোগ মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে। ফের বলি আরও এক প্রাণ।  এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুন করা হয়েছে পঞ্চায়েত ভোটে জয়ী কংগ্রেস প্রার্থীর ছেলেকে। হামলার ঘটনায় জড়িত তৃণমূল (TMC)। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে বোর্ড গঠন পর্ব শুরু হতেই ফের খুনের ঘটনা ঘটল।

    ঠিক কী কারণে খুন?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  বুধবার মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি মহকুমার খড়গ্রাম ব্লকের শাদল গ্রাম পঞ্চায়েতের রুহি গ্রাম এলাকায় ধারালো অস্ত্রের কোপে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। মৃত ওই ব্যক্তির নাম হুমায়ুন খামারু। তাঁর বাড়ি খরগ্রাম থানার রুহিগ্রামে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে হুমায়ুন খামারুর মা সানোয়ারা খামারু জাতীয় কংগ্রেসের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়লাভ করেন। তাঁর ওই আসনে তৃণমূল (TMC) প্রার্থী হেরে যায়। ফলে, সানোয়ারা ও তাঁর পরিবারের লোকজনের রাগ ছিল। গত রবিবার সানোয়ারা বিবি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। ওই এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে পরাজিত হন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। বুধবার বোর্ড গঠনের পরই পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী ও তার দলবল মিলে সানোয়ারা বিবির ছেলে হুমায়ুন খামারুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ। ভোটে জিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী। ভোটে হারের প্রতিশোধ নিতেই হামলার অভিযোগ পরাজিত তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে।

    কী বললেন মৃতের পরিবারের লোকজন?

    হুমায়ুনের বউদি বলেন, আমার দেওর সৌদি আরবে থাকত। ও কয়েক মাস আগে বাড়ি ফিরেছে। ওর সদ্য বিয়ে হয়েছে। ও কোনও দল করত না। আমার শাশুড়ি ভোটে জিতে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে (TMC)  যোগ দেন। এদিন তৃণমূল পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে। তারপরই তৃণমূলের লোকজনই তাকে কুপিয়ে খুন করে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: কামারহাটিতে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ, জখম ২, এলাকায় আতঙ্ক

    Bomb Blast: কামারহাটিতে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ, জখম ২, এলাকায় আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার বিকেলে কামারহাটির ধুবিয়াবাগান এলাকায় বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। বিস্ফোরণে জখম হলেন দুজন। জনবহুল এলাকায় এই ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম দুজনের নাম শেখ নিশান এবং আব্দুল নঈম। ইতিমধ্যেই জখমদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ হয়েছে। বাড়িটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। বোমা বাঁধার কাজে আর কারা কারা ছিল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কামারহাটির ধুবিয়াবাগান এলাকায় শেখ নিশানের বাড়ির ভিতরেই বোমা তৈরির কাজ চলছিল। শেখ নিশানের সঙ্গে আব্দুল নঈম নামে আরও এক ব্যক্তি ছিল। বোমা বাঁধতে গিয়ে আচমকাই বিস্ফোরণ (Bomb Blast) হয়। তাতে নিশানের দুহাতের বেশ কিছুটা অংশ উড়ে যায়। শরীরের নীচের অংশে গুরুতর চোট লাগে। জখম হয় আব্দুল নঈম। তবে, বোমা তৈরির কাজে আর কেউ ছিল কি না তা এখনও পরিষ্কার নয়। শেখ নিশান কামারহাটির দাপুটে তৃণমূল নেতার অনুগামীর ঘনিষ্ঠ। তবে, তাদের রাজনৈতিক পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

     প্রতিবেশীদের  কী বক্তব্য?

    প্রতিবেশীদের বক্তব্য, বিকট শব্দে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। একবারই আওয়াজ হয়। তাতে গোটা এলাকার বাড়ি ঘর সব কেঁপে ওটে। আমরা ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি নিশানের বাড়ি থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। প্রথমে আমরা সিলিন্ডার ফেটে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে আশঙ্কা করি।  ঘরের ভিতরে গিয়ে দেখি, রক্তাক্ত অবস্থায় দুজন ছটফট করছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি। এমনিতেই এলাকাটি অত্যন্ত ঘিঞ্জি। তাই, শুধু একটি বাড়ি নয় বিস্ফোরণে (Bomb Blast) আশপাশে আরও বাড়ির ক্ষতি এবং অনেকেই জখম হতে পারত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share